CATEGORY state:

Card image cap

‘রাস্তায় আমাদের থাকতেই হবে’

‘রিক্লেম দ্য নাইট’। আর জি করের তরুণী চিকিৎসক ধর্ষণ-খুনে অভিনব প্রতিবাদ দেখেছিল বাংলা। তিলোত্তমার সুবিচারের দাবি রাত জেগেছিল মহানগরী। তারপর দিনের পর দিন কেটে গিয়েছে। শুনানির পর শুনানি হয়ে গিয়েছে। সুবিচার পায়নি নির্যাতিতার পরিবার। তদন্তে ব্যর্থ সিবিআই। ৯০ দিনেও সন্দীপ ঘোষ, অভিজিৎ মণ্ডলদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দিতে পারেনি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তাতেই বিরক্ত রাতদখলের মূল উদ্যোক্তা রিমঝিম। সুবিচার পেতে চাইলে, রাস্তায় থাকতেই হবে বলেই দাবি তাঁর।শনিবার এক সংবাদমাধ্যমকে রিমঝিম বলেন, “রাস্তায় আমাদের থাকতেই হবে। ৪ মাস পরেও মানুষ কনভেনশন, মিছিল, পথসভার ডাক দিচ্ছেন। দেখে মনে হতে পারে ১৪ আগস্টের রাতদখলের মতো আমরা এত হল্লা করছি না হয়তো। মনে হতে পারে আমরা চুপ আছি। কিন্তু মনে মনে আমরা কেউ শান্ত নই। নিরাপত্তা না পাওয়া পর্যন্ত আমাদের কারও শান্ত হওয়ার পরিস্থিতি তৈরি হবে না। জনগণের যে আন্দোলন তার আসলে কোনও পার্টিকে চ্যাম্পিয়ন করানোর থাকে না, সে সব কিছুর ঊর্ধ্বে থাকে। আমরা চেয়েছিলাম আমাদের নিরাপত্তা যাতে নিশ্চিত হয়। এটা একদিন বা চার মাসে হয়ে যাবে না, তা জানতাম।” তাহলে কি সুবিচারের দাবিতে ফের রাতদখলের ডাক দেবেন রিমঝিমরা, উঠছে প্রশ্ন।সিবিআইয়ের ভূমিকায় রিমঝিমের মতোই প্রশ্ন তুলেছেন ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টর্স ফোরামের আন্দোলনকারীরা। পথে নেমে ফের আন্দোলনে শামিল তাঁরা। তবে এই প্রতিবাদকে ‘নাটক’ বলে খোঁচা দিয়ে একাধিক প্রশ্ন তুলেছেন কুণাল ঘোষ। অভয়ার নামে তোলা টাকা-সহ নানা প্রশ্ন তোলেন তিনি। আবার অনেকেই খোদ রিমঝিমের পদক্ষেপ নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন। তাঁদের বক্তব্য, একসময় ‘রিক্লেম দ্য নাইটে’র কথা উল্লেখ করে রিমঝিম প্রচার পাওয়ার চেষ্টা করেছেন। সেই রিমঝিমেরই ফের আন্দোলনের পক্ষে সওয়ালকে মোটেও ভালো চোখে দেখছেন না কেউ কেউ।

Card image cap

কাটা মুন্ডুর পর রিজেন্ট পার্কে উদ্ধার মহিলার বাকি দেহাংশ

গল্ফগ্রিনে কাটা মুন্ডু উদ্ধারের দেড়দিনের মধ্যেই মৃতার বাকি দেহাংশের হদিশ মিলল। পুলিশ সূত্রে খবর, শনিবার বিকেল নাগাদ গলফগ্রিনের অদূরে রিজেন্ট পার্ক এলাকা থেকে শরীরের বাকি দুটি অংশ উদ্ধার করা হয়েছে। SIT সদস্যদের দাবি, ধৃত আতিকুর লস্করকে গ্রেপ্তারের পর জেরার মুখে সে ভেঙে পড়ে। তারপরই স্বীকার করে যে দেহ লোপাটের জন্য তিন টুকরো করা হয়। মুন্ডুটি গল্ফগ্রিনের আস্তাকুঁড়েতে ফেলা হয়েছিল। বাকি দুটি অংশ রিজেন্ট পার্কে নিয়ে গিয়ে ফেলা হয়েছে। এরপরই তল্লাশি চালিয়ে রিজেন্ট কলোনি এলাকা থেকে উদ্ধার হয় মৃত খাদিজা বিবির বাকি দেহাংশ। শুক্রবার সাতসকালে গল্ফগ্রিনের আবর্জনা স্তূপ থেকে মহিলার কাটা মুন্ডু উদ্ধারের ঘটনায় দিনভর চাপা উত্তেজনা ছিল এলাকায়। তদন্তে গতি আনতে তিন থানা – গল্ফগ্রিন, রিজেন্ট পার্ক ও নেতাজি নগরের পুলিশ বিশেষ তদন্তকারী দল বা SIT গঠন করে শুক্রবার রাতেই। আর সঙ্গে সঙ্গে কাজে নেমে দ্রুত ঘটনার কিনারার দিকে এগিয়ে যান তদন্তকারীরা। প্রথমে একটি মিসিং ডায়েরির সূত্র ধরে দক্ষিণ ২৪ পরগনা থেকে আতিকুর লস্করকে আটক করা হয়। পরে জানা যায়, সে-ই মৃত খাদিজা বিবির প্রেমিক। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পর তাকে গ্রেপ্তার করেন সিট সদস্যরা। শনিবার ঘটনাস্থলে গিয়ে সরেজমিনে তদন্ত করেন ডিসি (এসএসডি) বিদিশা কলিতা ও  লালবাজারের হোমিসাইড টিম। পাশাপাশি আতিকুরকে জেরা করা হয়। পুলিশের দাবি, জেরায় সব স্বীকার করে সে। তার বয়ানের ভিত্তিতে তল্লাশি চালিয়ে রিজেন্ট কলোনি থেকে উদ্ধার হয় মহিলার দুটি পা। পুলিশের দাবি, আরও কিছু অংশ উদ্ধার হওয়া বাকি রয়েছে। এদিন সন্ধ্যায় ডিসি (এসএসডি) বিদিশা কলিতা সাংবাদিকদের মুখোমুখি হলেও এনিয়ে বিশেষ কিছু বলতে চাননি। তাঁর সংক্ষিপ্ত প্রতিক্রিয়া, ”সব খতিয়ে দেখা হচ্ছে, তারপর এনিয়ে কিছু বলা সম্ভব।” সবমিলিয়ে, এই ঘটনায় তদন্তকারী দল দ্রুত কিনারার দিকে এগোচ্ছে বলেই আশাবাদী সিট। 

Card image cap

ভূপতিনগরে বিস্ফোরণে কাঁথির তৃণমূল নেতার বাড়িতে NIA

কাঁথিতে তৃণমূল নেতার বাড়িতে এনআইএ দল। শুক্রবার সাতসকালে তৃণমূল নেতা মানব পড়ুয়ার বাড়িতে হানা দেয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসের শুরুতে ভূপতিনগর থানা এলাকায় নাড়ুয়াবিলা গ্রামে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছিল। সেই ঘটনার তদন্ত চালাচ্ছে এনআইএ। সেই তদন্তেই তৃণমূল নেতার বাড়িতে হানা। একাধিক নথিপত্র উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে সেই কথা জানা গিয়েছে। এদিকে এনআইএ তদন্তের গতিপ্রকৃতি নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে বিজেপি নেতা দিব্যেন্দু অধিকারীর মনেই। পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ পদে রয়েছেন মানব পড়ুয়া। সাত-আটজন এনআইএ তদন্তকারী এদিন কাকভোরে তাঁর কাঁথির বাড়িতে হানা দেন। সেই সময় তৃণমূল নেতা বাড়িতেই ছিলেন। একাধিক জিনিস, নথি খতিয়ে দেখেন তদন্তকারীরা। পাশাপাশি তৃণমূল, নেতাকে জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়। বেশ কয়েক ঘণ্টা ওই বাড়িতে ছিলেন এনআইএ আধিকারিকরা। বেরনোর সময় তাঁদের হাতে বেশ কয়েকটা ডায়েরি এবং একটি ল্যাপটপ ব্যাগ দেখতে পাওয়া যায়। সেগুলি কি তৃণমূল নেতার? সেগুলি থেকে কি কিছু তথ্যসূত্র পেয়েছেন তদন্তকারীরা? যদিও আধিকারিকরা এই বিষয়ে কোনও কথা বলেননি। মানব পড়ুয়া বলেন, “নাড়ুয়াবিলা গ্রামে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনার তদন্তের স্বার্থে আমার বাড়িতে এসেছিলেন এনআইএ প্রতিনিধি দল। আমার পক্ষ থেকে যতটা সম্ভব সহযোগিতা করার, তা করেছি। আগামী দিনে আবার এলে সহযোগিতা করব।” ভূপতিনগর বোমা বিস্ফোরণ কাণ্ডে একাধিক জায়গায় এর আগে তদন্তের জন্য হানা দিয়েছেন তদন্তকারীরা।বিজেপি নেতা দিব্যেন্দু অধিকারী বলেন, “এনআইএ হাই কোর্টের নির্দেশে কাজ করছে। তবে আরও দ্রুততার সঙ্গে কাজ করা উচিত। তাদের কাজে কিছুটা খামতি থেকে যাচ্ছে। যে কারণে মানব পড়ুয়া বহাল তবিয়তে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। রাজনৈতিক কর্মসূচির পাশাপাশি থানার অফিসারদের সঙ্গে কথা বলছেন।” ভগবানপুর বিধানসভার বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ মাইতি দ্রুত তদন্ত করে দোষীদের শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।

Card image cap

কলকাতার তাপমাত্রা নামল ১৪ ডিগ্রিতে

 হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস সত্যি করে মাঝ ডিসেম্বের তিলোত্তমায় অনুভূত শীতের আমেজ। শুক্রবার সকালে কলকাতার তাপমাত্রা নামল ১৪ ডিগ্রিতে। পথঘাট মুড়েছে কুয়াশা। পশ্চিমের জেলাগুলোতে শৈত্যপ্রবাহের পরিস্থিতি। তাপমাত্রা নেমেছে ১০ ডিগ্রির নিচে।শুক্রবার সকাল থেকেই রাজ্যজুড়ে কুয়াশার দাপট। তিলোত্তমার ছবিটাও এক। অনুভূত হচ্ছে শীতের শিরশিরানি। আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে খবর, আগামী চার থেকে পাঁচদিন এরকমই থাকবে আবহাওয়া। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা স্বাভাবিকের থেকে দুই-চার ডিগ্রি সেলসিয়াস নিচে থাকবে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় শৈত্যপ্রবাহ চলবে দক্ষিণবঙ্গের চার জেলা, পুরুলিয়া, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান এবং বীরভূমে। শনি ও রবিবার শৈত্যপ্রবাহের সতর্কবার্তা পাঁচ জেলায়। বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান এবং বীরভূমে। কলকাতার তাপমাত্রা থাকবে ১৫ ডিগ্রির নিচেই। রবিবার পর্যন্ত জেলাজুড়ে থাকবে জাঁকিয়ে শীতের স্পেল। বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই।শীতে জবুথবু উত্তরবঙ্গও। তাপমাত্রা স্বাভাবিকের তুলনায় ২ থেকে ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস নিচে থাকবে বলে অনুমান আবহাওয়া দপ্তরের। আগামী পাঁচদিন তাপমাত্রার কোনও পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই। বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই ১৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত। তবে বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ এলাকা তৈরি হয়েছে। এই নিম্নচাপ পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিম দিকে এগিয়ে স্থলভাগে ঢুকেছে। ক্রমশ দুর্বল হবে সিস্টেমটি। বাংলায় এর প্রভাব না পড়লেও ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা কেরল এবং মাহেতে। তামিলনাডু, পুদুচেরি, কর্ণাটকেও ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা।

Card image cap

অভয়া ধর্ষণ-খুনে জামিন সন্দীপ ও অভিজিতের

আর জি করের তরুণী চিকিৎসক ধর্ষণ ও খুন মামলায় জামিন সন্দীপ ঘোষ এবং টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডলের। শিয়ালদহ আদালতে জামিন পেলেন দুজনে। ২ হাজার টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে জামিন দেওয়া হয় তাঁদের। ৯০ দিন পরেও সিবিআই চার্জশিট জমা দিতে না পারায় জামিন পেলেন সন্দীপ ও অভিজিৎ।চলতি বছরের গত ৮ আগস্ট, নাইট শিফট ছিল তরুণী চিকিৎসকের। পরদিন আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের সেমিনার হল থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার হয়। অভিযোগ, ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে তাঁকে। এই ঘটনায় প্রথমে তদন্তে নামে কলকাতা পুলিশ। সঞ্জয় রায় নামে এক সিভিক ভলান্টিয়ারকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এর পর ধর্ষণ ও খুনের মামলার জল গড়ায় কলকাতা হাই কোর্টে। সিবিআই ঘটনার তদন্তভার পায়। তদন্তে নামার পর একাধিকবার সন্দীপ ঘোষকে জেরা করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এর পর আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে গ্রেপ্তার করা হয়। আর জি করের তরুণী চিকিৎসক ধর্ষণ-খুন এবং আর্থিক দুর্নীতি সংক্রান্ত জোড়া মামলায় নাম জড়ায় তাঁর। কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয় টালা থানার তৎকালীন ওসি অভিজিৎ মণ্ডলকে।আর জি কর কাণ্ডে চার্জশিট জমা দিয়েছে সিবিআই। ওই চার্জশিটে ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়কে মূল অভিযুক্ত হিসাবে উল্লেখও করা হয়। তবে সন্দীপ ঘোষ কিংবা অভিজিৎ মণ্ডল ঠিক কীভাবে যুক্ত ছিলেন এই মামলায়, সে বিষয়ে চার্জশিটে সিবিআইয়ের তরফে সুস্পষ্টভাবে কিছু উল্লেখ নেই। সে কারণেই শুক্রবার শিয়ালদহ আদালত সন্দীপ ঘোষ এবং অভিজিৎ মণ্ডলকে জামিন দেয়। ২ হাজার টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে জামিন পেয়েছেন তাঁরা। আদালতের তরফে জানানো হয়েছে, তদন্তে প্রতি মুহূর্তে সাহায্য করতে হবে দুজনকেই। তরুণী চিকিৎসক ধর্ষণ-খুনে জামিন পেলেও এখনও চলছে আর্থিক দুর্নীতি মামলা। সে কারণে এখনই জেলমুক্তি হচ্ছে না সন্দীপের। তবে অভিজিৎ মণ্ডলের জেলমুক্তি হবে। সিবিআইয়ের ব্যর্থতা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে শুরু জোর চাপানউতোর। তদন্তকারীদের ‘অপদার্থ’ বলে দাবি করেছেন কুণাল ঘোষ। 

Card image cap

সন্দীপ-অভিজিতের জামিনের বিরোধিতায় জুনিয়র ডাক্তাররা

চার্জশিট জমা দিতে পারেনি সিবিআই। আর সে কারণে আর জি কর ধর্ষণ ও খুন মামলায় শিয়ালদহ আদালত জামিন পেয়েছেন সন্দীপ ঘোষ এবং অভিজিৎ মণ্ডল। দুজনের জামিনের বিরোধিতায় সরব রাজনৈতিক মহল। সিবিআইয়ের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন জুনিয়র ডাক্তাররা।শুক্রবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জুনিয়র চিকিৎসক অনিকেত মাহাতো বলেন, “সর্বোচ্চ তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্ট। ৯০ দিন পেরিয়ে যাওয়ার পরেও চার্জশিট দিতে পারেনি সিবিআই। তাই জামিন পেয়ে গেল ২জন। সিবিআই তদন্ত মানেই বিচার পেয়ে গিয়েছি তা নয়। ব্যর্থতার দায় সিবিআইকে নিতে হবে। কেন তারা ধর্ষণ ও খুন মামলায় চার্জশিট দিতে পারল না, তার জবাব দিতে হবে। সাধারণ মানুষের ভাবাবেগে আঘাত করেছে সিবিআই। এবার রাজ্য ধর্ষক-খুনির মুক্তাঞ্চল হয়ে যাবে। বৃহত্তর আন্দোলনের ডাক দিক নাগরিক সমাজ।” আদালতের এই রায়ের পরই অতি দ্রুত জিবি মিটিংয়ে বসছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। শনিবারের মধ্যে পরবর্তী পদক্ষেপ জানাবেন তাঁরা। জুনিয়র চিকিৎসক আসফাকুল্লা নাইয়া-ও সিবিআইয়ের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তিনি বলেন, “শুধু আমাদের নয়, ব্যর্থতার জবাব অভয়া দিদি, তাঁর বাবা-মা, গোটা রাজ্যবাসীকে দিতে হবে। সিবিআইয়ের ঢিলেমির তীব্র বিরোধিতা করি।” নাগরিক সমাজের কাছে তাঁর একটাই অনুরোধ, “রাজপথ ছাড়বেন না।”উল্লেখ্য, চলতি বছরের গত ৮ আগস্ট, নাইট শিফট ছিল তরুণী চিকিৎসকের। পরদিন আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের সেমিনার হল থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার হয়। অভিযোগ, ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে তাঁকে। এই ঘটনায় প্রথমে তদন্তে নামে কলকাতা পুলিশ। সঞ্জয় রায় নামে এক সিভিক ভলান্টিয়ারকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এর পর ধর্ষণ ও খুনের মামলার জল গড়ায় কলকাতা হাই কোর্টে। সিবিআই ঘটনার তদন্তভার পায়। তদন্তে নামার পর একাধিকবার সন্দীপ ঘোষকে জেরা করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এর পর আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে গ্রেপ্তার করা হয়। আর জি করের তরুণী চিকিৎসক ধর্ষণ-খুন এবং আর্থিক দুর্নীতি সংক্রান্ত জোড়া মামলায় নাম জড়ায় তাঁর। কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয় টালা থানার তৎকালীন ওসি অভিজিৎ মণ্ডলকে।
আর জি কর কাণ্ডে চার্জশিট জমা দিয়েছে সিবিআই। ওই চার্জশিটে ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়কে মূল অভিযুক্ত হিসাবে উল্লেখও করা হয়। তবে সন্দীপ ঘোষ কিংবা অভিজিৎ মণ্ডল ঠিক কীভাবে যুক্ত ছিলেন এই মামলায়, সে বিষয়ে চার্জশিটে সিবিআইয়ের তরফে সুস্পষ্টভাবে কিছু উল্লেখ নেই। সে কারণেই শুক্রবার শিয়ালদহ আদালত সন্দীপ ঘোষ এবং অভিজিৎ মণ্ডলকে জামিন দেয়। ২ হাজার টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে জামিন পেয়েছেন তাঁরা।

Card image cap

অক্ষয় তৃতীয়াতেই উদ্বোধন দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের

মাত্র তিন মাসের মধ্যেই শেষ হবে দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের কাজ। অক্ষয় তৃতীয়ায় মন্দিরের উদ্বোধন। আগামী বছরেই দিঘায় শুরু হবে রথযাত্রাও। বুধবার মন্দির পরিদর্শনের পর জানিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কেমন হবে মন্দির, এদিন সেই নীলনকশাও স্পষ্ট করে দিলেন তিনি। সঙ্গে জানালেন, রথযাত্রার সোনার ঝাড়ুও বানিয়ে দেবেন। এই উদ্দেশ্যে নিজের অ্যাকাউন্ট থেকে অনুদান দেবেন পাঁচ লক্ষ টাকা। তবে বানিয়ে দেবে ইসকন।জগন্নাথ মন্দির পরিদর্শনের উদ্দেশ্যে মঙ্গলবারই দিঘা পৌঁছন মুখ্যমন্ত্রী। বুধবার বেলা দেড়টা নাগাদ মন্দির চত্বরে যান তিনি। সঙ্গে ছিলেন মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ, জেলাশাসক, বিধায়ক ছাড়াও ছিলেন কলকাতা ইসকনের ভাইস প্রেসিডেন্ট রাধারমণ দাস। পরিদর্শনের পর মুখ্যমন্ত্রী জানান, “সমুদ্রসৈকতে একটি জগন্নাথ মন্দির তৈরি করব বলে ঠিক করেছিলাম। আমার সঙ্গে সরকারি আধিকারিকরা ছিলেন। তিন বছর পর সেই কাজ শেষ হল।” তিন মাসের মধ্যে বাকি কাজ শেষ হয়ে যাবে। আগামী অক্ষয়া তৃতীয়ায় মন্দিরের উদ্বোধন হবে। আগামী বছর হবে রথযাত্রাও। ‘রীতি’ ভেঙে এবার রথযাত্রায় দিঘার মন্দিরে থাকবেন মুখ্যমন্ত্রী। উলটো রথে ইসকনের রথে যাবেন তিনি। ইসকনের ভাইস প্রেসিডেন্টও আসবেন দিঘার মন্দিরে। পুজোর ৪৮ ঘণ্টা আগে দিঘায় পৌঁছে যাবেন তাঁরা। মুখ্যমন্ত্রীর আশা, “আগামী কয়েক হাজার বছর ধরে বাংলার সমুদ্রতীরে অন্যতম তীর্থধাম হবে এই জগন্নাথ মন্দির।”মন্দির পরিচালনার জন্য মুখ্যসচিবকে মাথায় রেখে তৈরি হচ্ছে ট্রাস্টি বোর্ডও। তাতে থাকবেন না মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বোর্ডের সদস্য হবেন পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক, জেলার পুলিশ সুপার, ইসকন এবং সনাতন ধর্মের প্রতিনিধি এবং দিঘার মাসির বাড়ি জগন্নাথ দেবের মন্দিরে যিনি পুজো করতেন। মুখ্যমন্ত্রী জানান, ২২ একর জমির উপর মন্দির তৈরি করতে প্রায় আড়াইশো কোটি টাকা খরচ করেছে রাজ্য সরকার। আগামী আরও কয়েক বছর মন্দিরের সমস্ত খরচ বহন করবে সরকার।কেমন হবে মন্দির? কী কী থাকবে সেখানে? এদিন তাও বিস্তারিত জানান মুখ্যমন্ত্রী। জানান, আলাদাভাবে ভোগঘর, স্টোর রুম, গেস্ট রুম, বিশ্রাম নেওয়ার জায়গা থাকবে। পুজো দেওয়ার সামগ্রী বিক্রির আলাদা জায়গা থাকবে। সেখানে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদেরে জিনিসপত্র বিক্রির ব্যবস্থাও করা হবে। দোকান করবেন সনাতন ধর্মের লোকেরাও। পুরীর খাজার মতো দিঘায় মিলবে বাংলার ক্ষীরের গজা, প্যাড়া, গুজিয়া। এগুলোর জন্য আলাদা আলাদা ঘর তৈরি করে হবে ট্রাস্টি। মার্বেলের মূর্তি তৈরির কাজ শেষ। নিম কাঠের মূর্তি বানানোর কাজ চলছে। এই মূর্তিকে সামনে রেখেই পুজো হবে। এছাড়াও তৈরি হবে লক্ষ্মীর মন্দিরও। বানানো হবে চৈতন্যদ্বারও। সেখানে থাকবে শ্রীচৈতন্যদেবের মূর্তি। এটাই হবে মূল দ্বার। নাম হবে, ‘চৈতন্যদ্বার জগন্নাথ ধাম।’ পুরীর মতোই এখানেও ধ্বজা তোলার ব্যবস্থা থাকবে। এনিয়ে পুরীর সদস্যদের সঙ্গেও কথা হয়েছে। সেখানকার মন্দিরে ধ্বজা তুলতে পারেন এমন কয়েকজনকে দিঘার মন্দিরে পাঠানোর অনুরোধও জানিয়েছে মুখ্যমন্ত্রী। এর পাশাপাশি, দিঘায় জগন্নাথ দেবের মাসির বাড়ির কাছে একটি ঘাট তৈরি করে দেবে হিডকো। জেলা পরিষদের বাড়ি অধিগ্রহণ করে তৈরি হবে পুলিশ পোস্ট। এছাড়া, স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও অগ্নি নির্বাপণ কেন্দ্র তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে। রাজ্য-দেশের গণ্ডি পেরিয়ে গোটা বিশ্বের মানুষকে দিঘার মন্দিরে আসার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। 

Card image cap

এসপ্ল্যানেডে মেট্রোর সামনে ঝাঁপ

ফের মেট্রোয় ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা এক ব্যক্তির। এসপ্ল্যানেড মেট্রো স্টেশনে এই ঘটনাটি ঘটে। দমদমগামী মেট্রোর সামনে ঝাঁপ দেন ওই ব্যক্তি। তার ফলে পার্ক স্ট্রিট থেকে গিরিশ পার্ক পর্যন্ত মেট্রো পরিষেবা ব্যাহত হয়। ভোগান্তির শিকার হন যাতায়াতকারীরা।বুধবার ঘড়ির কাঁটায় তখন বিকেল ৪টে ১৫ মিনিট। মেট্রো রেল সূত্রে খবর, সেই সময় এসপ্ল্যানেড মেট্রো স্টেশনে দমদমগামী ট্রেন আসছিল। তার সামনে আচমকা ঝাঁপ দেন এক যুবক। খবর দেওয়া হয় মেট্রো কর্তৃপক্ষকে। তড়িঘড়ি মেট্রোর লাইনের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। উদ্ধার করা হয় ওই যুবককে। তাঁকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।মেট্রোর সামনে ওই যুবক ঝাঁপ দেওয়ার ফলে পার্ক স্ট্রিট থেকে গিরিশ পার্ক পর্যন্ত মেট্রো পরিষেবা বন্ধ হয়ে যায়। প্রায় ৩০ মিনিট পরিষেবা বন্ধ ছিল। অফিস ফিরতি সময়ে মেট্রো পরিষেবা বন্ধ থাকায় চরম ভোগান্তির শিকার হন যাতায়াতকারীরা। গন্তব্যে পৌঁছতে নাভিশ্বাস ওঠে তাঁদের। অনেকেই গন্তব্যে পৌঁছতে বিকল্প পরিবহণের বন্দোবস্ত করেন। বিকেল ৪টে ৪৫ মিনিট নাগাদ ফের মেট্রো চলাচল স্বাভাবিক হয়। তবে প্রায় আধঘণ্টা মেট্রো পরিষেবা বন্ধে পরের মেট্রোগুলিতে ভিড় ছিল অনেকটাই বেশি। মেট্রোয় উঠতে গিয়ে বেশ খানিকটা সমস্যায় পড়েন যাত্রীরা।

Card image cap

তল্লাশি অভিযানে উদ্ধার প্রায় ১০০ কেজি গাঁজা

বড়সড় সাফল্য পেল রাজ্য নারকোটিক্স সেল। ধূলাগড় টোল প্লাজার কাছে অভিযান চালিয়ে দুটি প্রাইভেট গাড়ি থেকে বিপুল পরিমাণ গাঁজা উদ্ধার করল বিশেষ দল। ৯৭ কেজি ৬৫০ গ্রাম গাঁজা উদ্ধার করেছে তারা। যার বাজার মূল্য আনুমানিক ১৫ লক্ষ টাকা। একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আরেকজন অভিযুক্ত পলাতক। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে নারকোটিক্স সেল।মঙ্গলবার রাতে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে সাঁকরাইল থানার ধূলাগড় টোল প্লাজার কাছে অভিযান চালায় বিশেষ দল। সেখানে দুটি গাড়ি আটক করে ৪টি বস্তা উদ্ধার করে পুলিশ। সেই বস্তাগুলি খুলতেই দেখা যায়, তার মধ্যে রয়েছে গাঁজা।জানা গিয়েছে, এই মাদক ওড়িশার ভদ্রক থেকে হাওড়া ও হুগলি অঞ্চলে পাচারের উদ্দেশ্যে নিয়ে আসা হয়েছিল। আগে থেকে খবর পেয়ে দুটি গাড়ি আটক করে তল্লাশি চালায় আধিকারিকরা। উদ্ধার হয় বিপুল মাদক। মাদক পাচারের অভিযোগে, বিনোদ কে আর চৌহানকে নামে একজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। অন্য একটি গাড়ির চালক ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। একটি স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করেছে সিআইডির নারকোটিক্স সেল ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।

Card image cap

জ্যোতিপ্রিয়র জামিন আটকাতে ইডির হাতিয়ার প্রভাবশালী তত্ত্ব

জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের জামিন আটকাতে ফের ইডির হাতিয়ার প্রভাবশালী তত্ত্ব। রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রীকে রেশন দুর্নীতির ‘কিংপিন’ বলে দাবি করল ইডি। তাঁদের দাবি, জ্যোতিপ্রিয় এখনও যথেষ্ট প্রভাবশালী। জামিন পেলে পুরো মামলা প্রভাবিত করতে পারেন। পালটা আদালতের প্রশ্ন, মন্ত্রী পদে না থেকেও এত প্রভাব খাটাবেন কীভাবে? পালটা ইডির দাবি, উনি রাজা না হলেও রাজা তৈরির মতোই ক্ষমতাবান।বুধবার ইডির বিশেষ আদালতে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের জামিন মামলার শুনানি ছিল। জামিনের আবেদনের বিরোধিতা করে ইডির দাবি, রেশন দুর্নীতি মামলায় ‘কিংপিন’ জ্যোতিপ্রিয়। এই মামলায় যারা গ্রেপ্তার হয়েছে তারাই ওঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে। তদন্তকারী সংস্থার আইনজীবীর কথায়, রাজনৈতিকভাবে ক্ষমতাবান জ্যোতিপ্রিয়। জামিন পেলে মামলাকে প্রভাবিত করতে পারেন প্রাক্তন মন্ত্রী।ইডির সওয়াল শোনার পর বিচারকের প্রশ্ন, উনি তো এখন মন্ত্রী পদে নেই তাহলে কী করে এতো প্রভাব খাটাবেন? জবাবে তদন্তকারী সংস্থার দাবি, “কেউ কিং হন, কেউ কিং মেকার। এমনও কেস রয়েছে যেখানে দীর্ঘদিন ধরে স্যাংশন দেওয়া হচ্ছে না। কিং মেকাররা এত শক্তিশালী! উনি (জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক) জামিন পেলে পুরো কেস প্রভাবিত হবে।” শেষপর্যন্ত এদিন জামিন পাননি জ্যোতিপ্রিয়।দীর্ঘদিন ধরেই রেশন দুর্নীতি মামলার তদন্ত চালাচ্ছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। প্রাক্তন মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক-সহ বেশ কয়েকজন গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।  ইতিমধ্যে তাঁরা জামিনও পেয়ে গিয়েছেন। শুধুমাত্র জ্যোতিপ্রিয় এখনও জেলবন্দি। এদিনও তাঁর জামিন হল না। মামলার পরবর্তী শুনানি ২১ ডিসেম্বর। সেদিনই স্পষ্ট হবে বছর শেষের আগে রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী জেলমুক্ত হবেন কি না।

Card image cap

দিঘায় মুখ্যমন্ত্রী, সারলেন জনসংযোগ

জগন্নাথ মন্দিরের কাজ কত দূর? তা খতিয়ে দেখতে মঙ্গলবার দিঘায় পৌঁছলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নিউ দিঘায় নেমেই একপ্রস্থ জনসংযোগ সেরেছেন। একেবারে অন্য মেজাজে এলাকার শিশুদের সঙ্গে মেতেছিলেন তিনি।এদিন দুপুর পৌনে তিনটে নাগাদ দিঘার হেলিপ্যাড ময়দানে নামেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁকে সংবর্ধনা জানাতে উপস্থিত হন কাঁথি সংগাঠনিক জেলার যুব তৃণমূল সভাপতি সুপ্রকাশ গিরি, তৃণমূলের কাঁথি সংগাঠনিক জেলার সভাপতি পীযূষকান্তি পণ্ডা, জেলা মহিলা সভানেএী মুক্তারুন বিবি-সহ জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব।মুখ্যমন্ত্রীর সফর ঘিরে কড়া নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়েছে সৈকত নগরী দিঘা-সহ পার্শ্ববর্তী এলাকা। নাকা চেকিং করা হচ্ছে। এদিন হেলিপ্যাড গ্রাউন্ডে নেমে জনসংযোগ করতে দেখা যায় মুখ্যমন্ত্রীকে। ‘ঘরের মেয়ে’ মমতাকে দেখতে সেখানে হাজির হয়েছিল কচিকাঁচা থেকে বৃদ্ধ-বৃদ্ধারাও। তাঁকে দেখার জন্য আমজনতার মধ্যে উন্মাদনাও ছিল চোখে পড়ার মতো। শিশুদের কোলে নিয়ে আদরও করেন তিনি। তার পরে ‘দিঘি’ সরকারি আবাসনে পৌঁছন মুখ্যমন্ত্রী। আজ সেখানেই রাত্রিবাস করবেন। শঙ্খ ধ্বনি ও ‘দিদি – দিদি ‘ সমবেত আওয়াজের মধ্য দিয়ে প্রাণপ্রিয় দিদিকে দিঘায় স্বাগত জানান উপস্থিত জনতা। ‘আমি তোমাদেরই লোক’- এমন মনোভাব নিয়ে সোজা জনতার দিকে এগিয়ে যান মুখ্যমন্ত্রী। অনুরাগীদের আলতো ছোঁয়ায় যেন উষ্ণতা ছড়ান মুখ্যমন্ত্রী। প্রাণপ্রিয় দিদিকে হাতের নাগালে পেয়ে আপ্লুত জনতাও।কাল, বুধবার সকাল থেকে জগন্নাথ মন্দিরের কাজ খতিয়ে দেখবেন মুখ্যমন্ত্রী। ২০১৯ সালে দিঘায় গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, ওল্ড দিঘার জগন্নাথ ঘাটে পুরীর আদলে জগন্নাথদেবের মন্দির তৈরি হবে। এই কাজ হিডকোকে দিয়ে করানো হবে। সেই মতো শুরু হয় কাজ।পরবর্তীকালে বনদপ্তরের সঙ্গে জায়গা নিয়ে সমস্যা হওয়ায় সেখানে মন্দিরের কাজ বন্ধ হয়ে যায়। মন্দিরের জায়গা স্থানান্তরিত করা হয় নিউ দিঘা অঞ্চলের দিঘা লারিকা হলিডে ইনের পাশে। সেখানে ২২ একর জায়গা জুড়ে প্রায় ১৫০ কোটি টাকা ব‌্যয়ে এই মন্দির তৈরি করছে রাজ‌্য সরকার। সেই মন্দিরের কাজ খতিয়ে দেখতে দিঘায় পৌঁছলেন মুখ্যমন্ত্রী।

Card image cap

এখনই ভাঙা যাবে না মন্দারমণির ‘অবৈধ’ হোটেল

মন্দারমণির ‘অবৈধ’ হোটেল বা লজগুলিতে এখনই চলবে না বুলডোজার। নতুন বছরেও থাকবে সেসব। মঙ্গলবার এই সংক্রান্ত মামলায় ২৪ জানুয়ারি পর্যন্ত স্থগিতাদেশের মেয়াদ বাড়াল কলকাতা হাই কোর্ট। অর্থাৎ ওইদিন পর্যন্ত কোনও হোটেল বা লজ ভাঙা যাবে না। এদিন স্থগিতাদেশের মেয়াদ বাড়িয়ে নির্দেশ বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। মামলাটির পরবর্তী শুনানি ১৭ জানুয়ারি। স্থগিতাদেশের মেয়াদ বৃদ্ধিতে স্বভাবতই খুশি হোটেল মালিকরা।সমুদ্রের পাড় দখল করে মন্দারমণির মতো জনপ্রিয় পর্যটনকেন্দ্রে গড়ে উঠেছে একের পর এক হোটেল। অভিযোগ, রীতিমতো প্রাচীর দিয়ে ঘিরে সেখানে পর্যটকদের আমোদপ্রমোদের জায়গা বানিয়েছে একাধিক হোটেল। এনিয়ে জাতীয় পরিবেশ আদালতের নির্দেশ মেনে আগামী ২০ নভেম্বরের মধ্যে শতাধিক ‘বেআইনি’ নির্মাণ ভেঙে ফেলার নোটিস দিয়েছিল পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন। এর বিরোধিতা করে জেলা প্রশাসনের নির্দেশের বিরুদ্ধে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয় মন্দারমণি হোটেল অ্যাসোসিয়েশন। মামলাকারীদের হয়ে সওয়াল করেন আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়।তবে এই নোটিসের বিষয় রাজ্য প্রশাসন এমনকী মুখ্যসচিবও জানতেন না বলেই পরবর্তীতে জানা যায়। যা নিয়ে রীতিমতো ক্ষোভ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ নিয়ে হোটেল মালিকদের সঙ্গেই দ্রুতই বৈঠকে বসার কথাও বলেন মুখ্যসচিব। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, “বুলডোজার কোনও সমাধানের পথ নয়। কোনওরকম বুলডোজার চলবে না।” তবে এই প্রথম নয়, ২০২২ সালেও জাতীয় পরিবেশ আদালতে মন্দারমণির অবৈধ নির্মাণ ভেঙে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল।  তবে সেসময় কোনও কারণে তা স্থগিত হয়ে যায়।  নভেম্বরের ২২ তারিখের শুনানিতে বিচারপতি জানিয়েছিলেন, ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত কোনও হোটেল, লজ ভাঙা যাবে না। মঙ্গলবারই ছিল শুনানি। এদিন বিচারপতি জানান, ২৪ জানুয়ারি পর্যন্ত বুলডোজার চলবে না। অর্থাৎ মন্দারমণিতে হোটেল ভাঙা মামলায় স্থগিতাদেশের মেয়াদ বাড়াল আদালত।

Card image cap

হাজিরা এড়ালেন ‘অসুস্থ’ কালীঘাটের কাকু!

অসুস্থতার অজুহাতে বারবার আদালতে হাজিরা এড়িয়েছেন কালীঘাটের কাকু অর্থাৎ সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র। মঙ্গলবার ভারচুয়াল শুনানিতেও হাজির হননি তিনি। এই পরিস্থিতিতে এবার সুজয়কৃষ্ণের চিকিৎসায় মেডিক্যাল বোর্ড গঠনের আরজি জানাল বিরক্ত সিবিআই। আদালতে সিবিআইয়ের আবেদন, প্রয়োজনে প্রেসিডেন্সি জেলে গিয়েও পরীক্ষা করা যেতে পারে। দরকার হলে অন‌্য হাসপাতালে নিয়ে গিয়েও স্বাস্থ‌্য পরীক্ষা করানোর কথা বলা যেতে পারে, এমনটাও বলেন আইনজীবীরা।অসুস্থ থাকার কারণে পরপর চারবার আদালতে হাজিরা হতে পারেননি সুজয়কৃষ্ণ। তাই মঙ্গলবার তাঁকে ভারচুয়াল পদ্ধতিতে প্রেসিডেন্সি জেল থেকে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেন সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতের বিচারক। কিন্তু এদিনও জেলের তরফে জানানো হয়, তিনি অসুস্থ। তাই ভারচুয়াল পদ্ধতিতেও আদালতে তোলা যায়নি তাঁকে। এর পরই সিবিআইয়ের পক্ষ থেকে তাঁকে ১৭ ডিসেম্বর ফের আদালতে তোলার জন‌্য পরোয়ানা জারির আবেদন করা হয়। উল্লেখ্য, এদিনই হাই কোর্টে ছিল কালীঘাটের কাকুর আগাম জামিন মামলার শুনানি। সেখানে বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী প্রশ্ন করেন, ED’র মামলার শুনানি শেষ হওয়ার পরই কেন সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রকে গ্রেপ্তার করার জন্য তৎপর হল সিবিআই ? তিনি বলেন, “আমার অভিজ্ঞতা থেকে জানি, সিবিআই কখনওই তাড়াহুড়ো করে গ্রেপ্তারির উপর জোর দেয় না। যতক্ষণ না পর্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অপরাধমূলক তথ্য পাওয়া যায় ততক্ষণ গ্রেপ্তারির পথে যায় না।” বিচারপতি বাগচীর কথায়, “আমি জানতে চাই, সিবিআই সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রর বিরুদ্ধে এমন কোন তথ্য পেয়েছে যার জন্য এখনই গ্রেপ্তারির উপর জোর দিচ্ছে। দেড় বছর আগে ইডি সুজয়কৃষ্ণকে গ্রেপ্তার করেছে। এখন কেন হঠাৎ তৎপরতা?”

Card image cap

নদিয়া সীমান্তে শক্তি বাড়াল বিএসএফ

উত্তাল বাংলাদেশ। সংখ্যালঘু হিন্দুদের উপর আক্রমণ নেমে আসছে। এই অবস্থায় অনুপ্রবেশ আশঙ্কা রয়েছে। এদিকে বাংলাদেশ থেকে ভারতের দিকে হিংসার বার্তাও উঠে আসছে। ফলে সীমান্ত পেরিয়ে জঙ্গি ঢোকার আশঙ্কার কথাও উড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে না। সেজন্য এবার নদিয়ার অরক্ষিত সীমান্ত এলাকায় শক্তি বাড়াল বিএসএফ। বাংলাদেশে একের পর এক হিংসার ঘটনা ঘটছে। সীমান্ত পেরিয়ে এপারে অনুপ্রবেশের আশঙ্কাও থাকছে। গতকাল রবিবার থেকেই নদিয়ার ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলিতে বাড়ানো হয়েছে নজরদারি। বিএসএফ সূত্রে জানা গিয়েছে, করিমপুর থেকে গেদে পর্যন্ত ১৬২ কিমি সীমান্ত রয়েছে। চাপড়া, হৃদয়পুর, গেদে, করিমপুরের বিস্তীর্ণ এলাকা অরক্ষিত। স্বাধীনতার পর থেকে এত বছর হয়ে গেলেও কাঁটাতারের বেড়া নেই। কোথাও বাঁশের সাহায্যে সীমান্তে দুই বাংলা ভাগ  হয়ে রয়েছে। আবার অনেক জায়গাতে তাও নেই। বাংলাদেশের এই হিংসাত্মক পরিস্থিতিতে এইসব এলাকাই চিন্তা বাড়াচ্ছে বিএসএফের। অনুপ্রবেশ দুশ্চিন্তা তো আছেই। পাশাপাশি চোরাচালানও বাড়তে পারে। সেই সব বিষয়কে সামনে রেখেই জওয়ানদের সংখ্যা বাড়ানো হল।এখন থেকে ২৪ ঘন্টা সীমান্তে টহলদারি চলবে। সেই কথাও জানাচ্ছে বিএসএফ। ১৯৮ নম্বর ব্যাটেলিয়ানের তিন কোম্পানি বাহিনী নদিয়ার সীমান্তে পাহারার দায়িত্বে থাকে। আরও বিপুল সংখ্যায় জওয়ান বাড়ানো হয়েছে। সীমান্তের চেকপোস্টগুলিতে অবিরাম নজরদারি চলছে। ফাঁক গলে কারও যাওয়া কার্যত অসম্ভব। সাধারণ মানুষদের সঙ্গেও বিভিন্ন বিষয়ে জওয়ানরা কথা বলছেন। বাংলাদেশের ঘটনায় এপারের সীমান্ত এলাকার বাসিন্দারাও উদ্বিগ্ন। তাঁদেরও আশ্বস্ত করছেন জওয়ানরা। সাধারণ মানুষদের উপর আঁচও পড়বে না। সেই কথাও বলা হচ্ছে।

Card image cap

আর জি করে কীভাবে হয়েছিল প্রমাণ লোপাট?

আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের তদন্তে সিবিআইয়ের নজরে ৯০০ ঘণ্টার সিসিটিভি ফুটেজ। তথ্য প্রমাণ লোপাটের অভিযোগের স্বপক্ষে প্রমাণ খুঁজতেই এবার ফুটেজ খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। শিয়ালদহ আদালতে সোমবার এমনটাই জানিয়েছেন সিবিআই। এই ফুটেজেই রহস‍্য লুকিয়ে রয়েছে।আর জি কর কাণ্ডে তথ্য প্রমাণ লোপাটের অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছেন মেডিক্যাল কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ ও টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডল। তাঁদের বিরুদ্ধে প্রমাণ জোগাড়ের জন্য ৮ দিনের আটটি ক‍্যামেরার মোট ৯০০ ঘণ্টার ফুটেজ ফরেন্সিক পরীক্ষার পর খতিয়ে দেখছে সিবিআই। সূত্রের দাবি, এই ফুটেজকেই ডিজিটাল এভিডেন্স হিসেবে ব্যবহার করতে চাইছে তারা। এই ফুটেজ খতিয়ে দেখা সময়সাপেক্ষ বিষয়। সেকথা আদালতেও জানিয়েছেন তদন্তকারীরা।সিবিআইয়ের চার্জশিট অনুযায়ী, লালবাজারের ট্রাফিক বিভাগ থেকে উদ্ধার হওয়া ফুটেজ দেখেই সিবিআই জানতে পারে যে, গত ৯ আগস্ট ভোর ৩টে ২০ মিনিটে অভিযুক্ত সঞ্জয় রায় আর জি কর হাসপাতালের সামনে আসে। হাসপাতালের ট্রমা সেন্টারের গেটের সামনের সিসিটিভি ফুটেজ দেখে সিবিআই জানতে পারে যে, ভোর ৩টে ৩৪ মিনিট ১০ সেকেন্ড থেকে ৩টে ৩৪ মিনিট ৩৪ সেকেন্ড পর্যন্ত দেখা যায় যে, সঞ্জয় রাই টি শার্ট ও জিনস পরে হেলমেট বাঁ হাতে নিয়ে ট্রমা সেন্টার বিল্ডিংয়ের সামনে দাঁড়িয়ে নিরাপত্তারক্ষীর সঙ্গে কথা বলে। তখন তার গলায় ছিল ব্লু টুথ ইয়ারফোন। তার দু’ মিনিট পর ভোর ৩টে ৩৬ মিনিট ৪ সেকেন্ডে সে নিরাপত্তারক্ষীর দিকে হাত নাড়িয়ে ভিতরে চলে যায়।এর পরে সিসিটিভি ফুটেজ দেখে সঞ্জয়ের গতিবিধির উপর নজর রাখে। শেষ পর্যন্ত আর জি কর হাসপাতালের চারতলায় রেসপিরেটরি মেডিসিন বিভাগের পুরুষ ওয়ার্ডের কাছে তার গতিবিধি লক্ষ‌্য করেন সিবিআই আধিকারিকরা। পালমোনারি মেডিসিনের প্রবেশপথের একটি সিসিটিভির ফুটেজকেই গুরুত্ব দিচ্ছে সিবিআই। চার্জশিটে সিবিআইয়ের দাবি, ভোর ৪টে ৩ মিনিট ৩১ সেকেন্ড থেকে ভোর ৪টে ৩ মিনিট ৪৯ সেকেন্ডের মধ্যে সঞ্জয় রায়কে হেলমেট ও গলায় ব্লু টুথ ইয়ারফোন নিয়ে ওয়ার্ডের দিকে যেতে দেখা যায়। ভোর ৪টে ৩১ মিনিট ৪০ সেকেন্ড থেকে ১৪ সেকেন্ডের মধ্যে সঞ্জয়কে ওয়ার্ডের দিক থেকে আসতে দেখা যায়।ফের সে ওয়ার্ডের দিকে ঘুরে যায় বলে সিসিটিভির ফুটেজ দেখে জানতে পারে সিবিআই। এর কয়েক সেকেন্ড পরই অর্থাৎ ভোর ৪টে ৩২ মিনিট ২৫ সেকেন্ডে সঞ্জয়কে ফের ওয়ার্ডের দিকে থেকে বাঁ হাতে হেলমেট নিয়ে আসতে দেখা যায়। কিন্তু তখন তার গলায় ব্লু টুথ ইয়ারফোনটি ছিল না। সিবিআইয়ের দাবি, ওই সময়ের মধ্যেই সঞ্জয় সেমিনার হলে ঢুকে নির্যাতিতাকে ধর্ষণ ও খুন করে।
সিসিটিভি ফুটেজ থেকে মূল অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়ের গতিবিধি জানা গেলেও তথ্য প্রমাণ লোপাটের হদিশ এখনও মেলেনি। সেই প্রমাণ খুঁজতেই এবার ফুটেজ খতিয়ে দেখছে সিবিআই।

Card image cap

যৌন লালসার শিকার ৫ বছরের শিশু

এবার যৌন লালসার শিকার পাঁচ বছরের শিশুকন্যা। শনিবার বাড়ির সামনে থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে তাকে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। কাঠগড়ায় প্রতিবেশী যুবক। গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন শিশুটি। কুকীর্তির সময়ই জঙ্গল থেকে হাতেনাতে ধরা হয় অভিযুক্তকে। তাকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে মুর্শিদাবাদের বড়ঞায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।গতকাল দুপুরে বড়ঞার রানিনগর গ্রামে নিজের বাড়ির সামনেই খেলছিল শিশুটি। আচমকাই সেখান থেকে গায়েব হয়ে যায় সে। এর পর হন্যে হয়ে খোঁজ শুরু করে পরিবার। বেশ কিছুক্ষণ পর জঙ্গলের ভিতর থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়। পরিবারের অভিযোগ, অভিযুক্ত যুবক কুকীর্তি করার সময় হাতেনাতে পাকড়াও করা হয়। এর পর তাকে জঙ্গল থেকে টেনে বের করে বেধড়ক মারধর করা হয়। পরে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে তাকে। এদিকে অচৈতন্য অবস্থায় শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়েছিল। দেহে একাধিক আঘাতের চিহ্ন ছিল তার। বর্তমানে কান্দি মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সে। পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে। পরিবারের দাবি, জঙ্গলে নিয়ে গিয়ে শিশুটিকে ধর্ষণ করা হয়েছে। অভিযুক্তর কঠোর শাস্তির দাবি করেছে পরিবার। 

Card image cap

গ্রামে খুল্লমখুল্লা জুয়ার আসর

উৎসব মানেই যেন বেলাগাম উচ্ছ্বাস। দিনেদুপুরে খুল্লামখুল্লা জুয়ার আসর গ্রামে। পুরুষদের পাশাপাশি মনপ্রাণ খুলে জুয়া খেলছেন মহিলারাও। তাও আবার পুলিশি প্রহরায়! এমনই অভাবনীয় দৃশ্য মালদহের মোকাতিপুর কলোনি এলাকায়। বেহুলা নদীর তীরে জুয়ার টেবিল সাজিয়ে বসেছেন জুয়াড়িরা। সেখানেই দিনের আলোয় চলছে জুয়াখেলা। পুলিশ মহলে কান পাতলে শোনা যাচ্ছে, জুয়ার আসর বন্ধ করা দূর অস্ত। উলটে মহিলাদের নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য তাঁদের সর্বক্ষণ পাহারায় থাকতে হচ্ছে। আজব গাঁয়ের আজব খেল!উপলক্ষ মুলোষষ্ঠী। ওল্ড মালদহের মোকাতিপুর কলোনিতে বেহুলা নদীর ধারে এই সময় মুলোষষ্ঠী পুজোর রেওয়াজ রয়েছে। আর এই পুজো ঘিরেই বসে জুয়ার মেলা। স্থানীয়দের দাবি, প্রায় চারশো বছরের পুরনো এই জুয়া খেলার মেলা আজও ঐতিহ্যবাহী। তাই পুলিশের ধরপাকড় চলে না। জুয়া খেলতে গিয়ে যাতে মহিলাদের কোনও রকম অসুবিধা না হয়, তাঁদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বরং মোতায়েন থাকে পুলিশ। এটাই রেওয়াজ। পুরুষদের পাশাপাশি জুয়া খেলেন মহিলারাও। তাও আবার কোনও ক্যাসিনো বা ক্লাবে বসে নয়। শয়ে শয়ে মানুষের ভিড়ের মধ্যে প্রকাশ্যেই চলছে তাঁদের জুয়া খেলা। গৃহবধূ হেমলতা চক্রবর্তী বলেন, “আমরা জুয়াড়ি মেলায় এসেছি। জুয়া খেলছি।” আর এক গৃহবধূর আফসোস, “আমি জুয়া খেলেছি। কিন্তু জিততে পারিনি, হেরে গিয়েছি।”স্থানীয়দের বিশ্বাস, এখানে পুজো দিয়ে লক্ষ্মীলাভ হলে সারাবছর সুখে কাটে পরিবার। আর এই বিশ্বাস থেকেই অসংখ্য জুয়ার বোর্ড বসে বেহুলা নদীর পাড়ে, আমবাগানে। পুরনো প্রথাকে স্বীকৃতি দিয়ে একটি দিনের জন্য জুয়া খেলায় ‘অঘোষিত ছাড়’ দেয় পুলিশ। মহিলারা জানান, এদিন সকাল ৬টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত জুয়া খেলার ‘অনুমতি ছিল। স্থানীয়দের অনেকেরই দাবি, মুলোষষ্ঠী পুজো দিয়ে ঘরের টাকাপয়সা জুয়ার বোর্ডে লাগান বাড়ির লক্ষ্মীরা। ঐতিহ্য মেনে ষষ্ঠীতলায় এই মেলা হয়। মালদহ ছাড়াও সংলগ্ন বিহার ও ঝাড়খণ্ড থেকেও জুয়াড়িরা এই মেলায় অংশ নেন। এদিনও মেলায় চলে তাস খেলা, গুটি খেলা ও ঘূর্ণমান লটারি-সহ বিভিন্ন ধরনের জুয়া। মেলা উদ্যোক্তাদের তরফে এক কর্তা জানান, প্রাচীনকাল থেকেই এই মেলা হয়ে আসছে। ঐতিহ্য মেনে মেলায় জুয়ার আসর চলে। বাড়ির সকলেই এখানে জুয়া খেলেন। কেউ আবার এই মেলাকে বলেন ‘লেউরি’ মেলা। এই মেলায় লেউরি নামের বিশেষ মিষ্টি বিক্রি হয়।জনশ্রুতি রয়েছে, মনসামঙ্গলে চর্চিত বেহুলা সুন্দরী এখানকার এই নদী দিয়ে তাঁর স্বামীর মরদেহের সঙ্গে কলার ভেলায় ভেসে যাচ্ছিলেন। সেই সময় ষষ্ঠীতলার ঘাটে এক জুয়াড়ি জুয়া খেলে সর্বস্ব খুইয়ে কাঁদছিলেন। জুয়াড়িকে কাঁদতে দেখে বেহুলা সতী তাঁর হাতের সোনার বালা খুলে তাঁকে দিয়ে বলেছিলেন, এটা নিয়ে জুয়া খেললে সব ফিরে পাবেন। সেই বালা নিয়ে জুয়া খেলে ওই জুয়াড়ি হারানো সামগ্রী ফিরে পান। তার পর থেকেই এলাকায় জুয়ার মেলা বসছে বলে স্থানীয়দের বিশ্বাস। তাঁদের মতে, এই মেলায় জুয়া খেললে ধনসম্পত্তি বৃদ্ধির সম্ভাবনা থাকে। লেওরি কিনে বেহুলা নদীর জল স্পর্শ করে ষষ্ঠীতলায় পুজো দিয়ে তাঁরা জুয়ার আসরে বসেন। স্থানীয় মহিলারা সন্তানের মঙ্গলকামনার জন্য ষষ্ঠীতলার একটি গাছে মুলোষষ্ঠী পুজো করেন। পুজোপাঠের পর শুরু হয় জুয়া খেলা।

Card image cap

শীতে বাধা নিম্নচাপ!

 শীতের পথে ফের কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে নিম্নচাপ। দক্ষিণবঙ্গে আবার বৃষ্টির পূর্বাভাস। আজ রবিবার থেকে আবার তাপমাত্রা বাড়বে। কমবে শীতের আমেজ। কালীপুজো মিটতেই বাংলায় শীতের আমেজ জমে উঠেছিল। কিন্তু ঘূর্ণিঝড় ফেনজল শীতের ছন্দে ব‌্যাঘাত আনে। নভেম্বরের শেষলগ্ন থেকে ফের পারদ ঊর্ধ্বমুখী হতে থাকে। তবে শুক্রবার থেকে তাপমাত্রা কিছুটা নিম্নমুখী হয়। ফিরে আসে শীতের আমেজ। কিন্তু এই আমেজ ক্ষণিকের।হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপে ভর করে বাংলায় জলীয় বাষ্প ঢুকছে। ফলে আজ রবিবার থেকে পারদ বাড়বে। আরও জানা যাচ্ছে, দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ এলাকায় তৈরি হয়েছে। এটি শক্তি বাড়িয়ে সুস্পষ্ট নিম্নচাপে পরিণত হয়ে পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিম দিকে এগিয়ে যাবে। অভিমুখ থাকবে শ্রীলঙ্কার উপকূল হয়ে তামিলনাড়ু উপকূলের দিকে। যার প্রভাবে দক্ষিণ-পূর্ব বাতাসে ভর করে জলীয়বাষ্প ঢুকবে বঙ্গে। এতে তাপমাত্রা আবার বাড়বে। রবি ও সোম দুদিন দক্ষিণবঙ্গের বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। মূলত পশ্চিমি জেলাগুলোতে বৃষ্টিপাত হবে। বুধবার থেকে আবহাওয়ার বদল ঘটবে।দক্ষিণবঙ্গের পাশাপাশি, উত্তরবঙ্গেও বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। সেই সঙ্গে দার্জিলিঙে তুষারপাতের পূর্বাভাস রয়েছে। আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, মঙ্গলবার পর্যন্ত সেখানে বৃষ্টি চলবে। সোমবার দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি এবং কোচবিহারে হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। সেই সঙ্গে সোমবার পর্যন্ত দার্জিলিংয়ে তুষারপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।  দার্জিলিং ও উত্তর দিনাজপুরে ঘন কুয়াশার সতর্কতা জারি করা হয়েছে।নভেম্বরের শেষদিকে সান্দাকফুতে তুষারপাত হয়। সেখানে ওটি মরশুমের প্রথম তুষারপাত ছিল। এবার দার্জিলিংয়ে তুষারপাতের পূর্বাভাসে শৈলশহরে ভিড় জমাতে শুরু করেছেন পর্যটকরা। এদিকে ডিসেম্বরের একটা সপ্তাহ কেটে গেল, এখনও দক্ষিণবঙ্গে জাঁকিয়ে ঠান্ডার দেখা নেই। পশ্চিমি জেলাগুলোতেও শীতের কামড় নেই বললেই চলে। শনিবার সর্বনিম্ন পারদ ছিল ১৬.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। মরশুমে প্রথম পারদ এতটা নীচে নামে। আজ রবিবার তাপমাত্রা সামান‌্য বাড়বে। কলকাতায় অবশ‌্য শুষ্ক আবহাওয়া থাকবে। আজ ও কাল মূলত পশ্চিমি জেলাগুলোতে বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। পশ্চিম মেদিনীপুর, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান, মুর্শিদাবাদ, বীরভূম, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া এবং ঝাড়গ্রাম এই জেলাগুলোতে বৃষ্টিপাত হবে। আবহাওয়াবিদদের মতে, নিম্নচাপের প্রভাব কাটলে পারদ নামবে। শীতের আমেজ বাড়বে। ডিসেম্বরের মাঝামাঝি থেকে জাঁকিয়ে ঠান্ডা পড়তে পারে।