CATEGORY state:

Card image cap

পরিত্যক্ত জায়গায় তুলে নিয়ে গিয়ে ‘গণধর্ষণ’

রাজ্যে ফের গণধর্ষণের অভিযোগ। এবার ঘটনাস্থল নদিয়ার ধুবুলিয়া। প্রেমের প্রস্তাব সাড়া না দেওয়ার আক্রোশ! বন্ধুদের সঙ্গে নিয়ে তরুণীর গণধর্ষণের অভিযোগ উঠল পরিচিত যুবকের বিরুদ্ধে। পরিত্যক্ত এলাকায় তুলে গিয়ে তরুণীর উপর নির্যাতন চালানো হয় বলে অভিযোগ। ঘটনাটি ঘটেছে ৭ ডিসেম্বর। তবে বুধবার অর্থাৎ ১৮ তারিখ রাতে ঘটনার কথা জানিয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন নির্যাতিতা।জানা গিয়েছে, ২১ বছর বয়সি নির্যাতিতা ধুবুলিয়ার বাসিন্দা। তিনি মুড়াগাছা এলাকায় এক জিম সেন্টারে যেতেন। ধুবুলিয়া বাসস্ট্যান্ডে সাইকেল রাখার পর, বাসে করে জিমে পৌঁছতেন। ফিরতি পথে সাইকেলে বাড়ি ফিরতেন। সেই বিষয়টি জানত তাঁর পরিচিত যুবক। নির্যাতিতার অভিযোগ, ঘটনার দিন তিনি সাইকেল নিয়ে বাড়ি ফেরার সময় পথ আটকায় কয়েকজন যুবক। সেই দলে ছিল তাঁকে প্রেমের প্রস্তাব দেওয়া যুবকও। নির্যাতিতাকে জোরপূর্বক একটি পরিত্যক্ত জায়গায় তুলে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ করা বলে অভিযোগ।ঘটনার ১২ দিনের মাথায় ওই তরুণী ধুবুলিয়া থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগ পাওয়ার পরই তরুণীর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো হয়েছে। ঘটনার তদন্ত নেমেছে ধুবুলিয়া থানা। পরিচিত যুবককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। অভিযুক্তের সঙ্গে আর কে, কে ছিল তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ। 

Card image cap

অভয়া’র বিচার চেয়ে ধর্মতলায় ধরনা চিকিৎসকদের

‘অভয়া’ কাণ্ডে অভিযুক্ত হিসেবে দুজন – সন্দীপ ঘোষ, অভিজিৎ মণ্ডলের জামিনের পর থেকে নয়া মাত্রা নিয়েছে প্রতিবাদ। সঠিক বিচারের দাবিতে জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অফ ডক্টরস নতুন করে অবস্থান বিক্ষোভে বসতে চলেছে। ধর্মতলা চত্বরে সেই ধরনায় পুলিশ অনুমতি না দিলেও কলকাতা হাই কোর্টে সরল সেই বাধা। বৃহস্পতিবার উচ্চ আদালত চিকিৎসকদের সেই ধরনার অনুমতি দিল বিশেষ শর্ত সাপেক্ষে। ১৮ থেকে ২৬ ডিসেম্বর চৌরঙ্গী রোডে চলবে এই কর্মসূচি। তবে শর্ত নিয়ে চূড়ান্ত নির্দেশ দেওয়া হবে শুক্রবার।১৮ থেকে ২৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত ধর্মতলায় ধরনার অনুমতি চেয়ে জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অফ ডক্টরস চিঠি দিয়েছিল কলকাতার পুলিশ কমিশনারকে। তাতে অনুমতি মেলেনি। সেই কারণে ১৭ তারিখ ধরনার অনুমতি চেয়ে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন তাঁরা। বুধবার শুনানির কথা থাকলেও তা বৃহস্পতিবার সেই ধরনার অনুমতি দিয়েছে বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের বেঞ্চ। জানানো হয়েছে, চৌরঙ্গী রোডের উপর অবস্থান বিক্ষোভ করতে পারবে। সর্বাধিক ২০০ জনকে নিয়ে বিক্ষোভের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তবে বেশ কিছু শর্ত মানতে হবে। শুক্রবার সেসব চূড়ান্ত হবে বলে উচ্চ আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে।‘অভয়া’ কাণ্ডে সন্দীপ, অভিজিতের জামিনের বিরোধিতা, সিবিআই-কে সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট দেওয়া-সহ একগুচ্ছ দাবিতে ধর্মতলায় ধরনায় বসার সিদ্ধান্ত নেন ওয়েস্ট বেঙ্গল জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অফ ডক্টরস। ১৮ থেকে ২৬ ডিসেম্বর ধর্মতলার ডোরিনা ক্রসিংয়ে অস্থায়ী বিক্ষোভ মঞ্চ তৈরি করতে চেয়েছিলেন সংগঠনের সদস্যরা। কিন্তু ডোরিনা ক্রসিংয়ের বদলে একটু দূরে – চৌরঙ্গী রোডের উপর এই অবস্থানের অনুমতি দিল হাই কোর্ট। ২০০ জনকে নিয়ে ২৬ তারিখ পর্যন্ত বিক্ষোভ অবস্থান চলবে। তার প্রস্তুতিও শুরু হয়েছে।

Card image cap

যোগীকে খুনের হুমকি! গ্রেপ্তার মালদহের যুবক

উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকে খুনের হুমকি! মালদহে গ্রেপ্তার যুবক। সোমবার বিকেল সাড়ে চারটে নাগাদ বাড়ি থেকে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে উত্তরপ্রদেশের নয়ডার পুলিশ। ধৃতের থেকে ৩১৫ বোরের পিস্তল, কার্তুজ, একটি ছুরি, আপত্তিকর কিছু ছবি ও একটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত যুবকের নাম শেখ আতাউল। এলাকায় সে খিচ্চু গণী বলে নামে পরিচিত। সে মালদহ থানার রতুয়ার সাহাপুর এলাকার বাসিন্দা। জানা গিয়েছে, কয়েক বছর ধরে দিল্লিতে রিকশা চালকের কাজ করে আতাউল।বেশ কিছুদিন আগে আতাউলের একটি ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়। ভিনরাজ্যে থাকাকালীন একটি ইউটিউব চ্যানেলে সে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীকে খুনের হুমকি দেয় বলে অভিযোগ। সেখানে তাকে বলতে শোনা যায়, “বিসমিল্লা বলে যোগীর কুরবানি দিয়ে দেব।” যদিও সেই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল।ভিডিও ভাইরাল হতেই নয়ডার সেক্টর ৩৯ থানায় অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়। যোগীকে খুনের হুমকির পাশাপাশি সমাজমাধ্যমে হিংসা ছড়ানো ও বাংলাদেশ ইস্যু থেকে সংখ্যাগুরু এবং সংখ্যালঘু বিষয় নিয়ে আপত্তিকর কথাবার্তা বলার অভিযোগ রয়েছে ধৃতের বিরুদ্ধে। এরপর তদন্তে নেমে মালদহে আতাউলের খোঁজ পায় পুলিশ।নয়ডার অ্যাডিশনাল ডিএসপি জানিয়েছেন, ১৩ তারিখ একটি ইউটিউব চ্যানেলের ভিডিও ভাইরাল হয়। যেখানে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীকে খুনের হুমকি দেওয়া হয়। অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। 

Card image cap

মাঝ আকাশে বিমানের শৌচাগারে ধূমপান!

বরাতজোরে বাঁচল মুম্বই-কলকাতা বিমান! মাঝ আকাশে বিমানের শৌচাগারে ধূমপান করে আটক যাত্রী। ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার সকালে কলকাতামুখী ইন্ডিগোর বিমানে। পরে তাঁকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।জানা গিয়েছে, মুম্বই থেকে কলকাতায় আসছিল ইন্ডিগোর 6E 5122 বিমানটি। মাঝ আকাশে থাকাকালীন শেখ গোলাম মোস্তফা নামে এক যাত্রী শৌচাগারে ঢুকে ধূমপান করছিলেন বলে অভিযোগ। বিমানের আরেক যাত্রী বিষয়টি বুঝতে পেরে সেই খবর কেবিন ক্রু-কে দেন। তিনি সেই যাত্রীকে বিমানে ধূমপান করতে নিষেধ করেন। বলেন, নিজের আসনে এসে বসতে।এর পর বিষয়টি বিমান চালক বিমান কর্তৃপক্ষকে জানান। কলকাতা বিমানবন্দরে বিমান অবতরণের পর যাত্রীকে সিআইএসএফ আটক করে। পরে স্থানীয় নেতাজি সুভাষচন্দ্র আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থানার হাতে তুলে দেওয়া হয়। সাধারণত, চলন্ত ট্রেনের শৌচাগারে লুকিয়ে ধূমপান করতে দেখা যায় যাত্রীদের। কিন্তু মাঝ আকাশে বিমানে এ ধরনের ঘটনা কার্যত নজিরবিহীন!বিমানের অন্যান্য যাত্রীদের অভিযোগ, এক যাত্রীর খামখেয়ালিপনার খেসারত দিত হত সব যাত্রীকে। ধূমপান থেকে বড়সড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারত। প্রাণ যেত পারত যাত্রীদের। কী করে কোনও যাত্রী এতোটা দায়িত্বজ্ঞানহীন হতে পারে,  তা বুঝে উঠতে পারছেন না তাঁরা। যদিও বিষয়টি নিয়ে হেলদোল নেই আটক যাত্রীর। 

Card image cap

ইডির হাতে গ্রেপ্তার ইস্পাত সংস্থার কর্ণধার

ব্যাঙ্ক জালিয়াতির অভিযোগে গ্রেপ্তার ইস্পাত সংস্থার কর্ণধার। মঙ্গলবার সকাল থেকে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা হানা দিয়েছিল। কলকাতার গড়িয়াহাট, দমদম ক্যান্টনমেন্ট, হাওড়া, হুগলিতে একযোগে চলেছিল তল্লাশি অভিযান। একাধিক তথ্য, নথি উদ্ধার হয়েছে। সেই তদন্তেই বুধবার ইস্পাত সংস্থার কর্ণধারকে গ্রেপ্তার করা হল।২০২২ সাল থেকে ওই ব্যাঙ্ক জালিয়াতি মামলার তদন্ত চলছে। তিন হাজার কোটি টাকার উপর ব্যাঙ্ক জালিয়াতির ঘটনা এখনও অবধি সামনে এসেছে। সেই তদন্তেই কলকাতা থেকে গ্রেপ্তার হওয়া ওই কর্ণধারকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। এমন কথাই জানিয়েছেন ইডির আধিকারিকরা। আর কোনও প্রভাবশালী ব্যক্তি এই প্রতারণার কাজে জড়িয়ে আছে কি না, তাও জানার চেষ্টা চলছে। জানা গিয়েছে, গতকাল ওই কর্ণধারের বাড়ি, অফিসে ইডি আধিকারিকরা তল্লাশি চালান। বিভিন্ন বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদও চলে। বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি ইডি উদ্ধার করেছে। একাধিক বিষয়ে অসঙ্গতি ধরা পড়েছিল। তারপরেই ওই কর্ণধারকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে খবর।ইডির প্রাথমিক অনুমান, বিপুল পরিমাণ টাকা সরিয়ে ফেলা হয়েছিল শেল কোম্পানি ও সংস্থার মাধ্যমে। এছাড়াও টাকা বিদেশে পাচার হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনার কথাও উড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে না। তদন্তে জাল আরও বিস্তার করা হবে। সেই কথাও জানা যাচ্ছে ইডি সূত্রে। গতকাল হুগলির বৈদ্যবাটি চ্যাটার্জিপাড়ায় একটি বাড়িতে হানা দেয় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের একটি তদন্তকারী দল। কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের নিয়ে দুটি গাড়িতে করে চারজন ইডি আধিকারিক পৌঁছন। এদিকে দমদম ক্যান্টনমেন্টের গোরাবাজার এলাকাতেও ইডি আধিকারিকরা হানা দেন। এসপি মুখার্জি রোডে ইডি হানা দেয়। ওই এলাকার এক ব্যবসায়ী আর্থিক প্রতারণার সঙ্গে যুক্ত বলে অভিযোগ। ওই ব্যবসায়ী রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ব্যাঙ্ক থেকে মোটা টাকা ঋণ নিলেও তা শোধ করেননি। কলকাতার গড়িয়াহাট এলাকাতেও ইডির আধিকারিকরা হানা দেন। হাওড়ার বেলুড় এলাকার এক বাড়িতেও এই তল্লাশি অভিযান চলে বলে খবর।

Card image cap

মোবাইল নিয়ে প্রবেশে ‘না’ তারাপীঠ মন্দিরে

পয়লা পৌষেই ভক্তদের জন্য তারাপীঠে বদলালো নিয়ম। নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, মোবাইল নিয়ে আর প্রবেশ করা যাবে না মন্দিরে। দেবীর চরণ স্পর্শ করলেও জড়িয়ে ধরা যাবে না। এছাড়াও মানতে হবে একাধিক নিয়ম।বছরভর দর্শনার্থীদের ঢল দেখা যায় তারাপীঠ। অমাবস্যা ও বছরের বিশেষদিনে সেই ভিড় কয়েকগুণ বেড়ে যায়। পরিস্থিতি সামাল দিতে রীতিমতো বেগ পেতে হয় মন্দির কর্তৃপক্ষকে। সেই কারণেই সম্প্রতি তারাপীঠ মন্দির কমিটির সভাপতি, সহ-সভাপতি ও সেবাইতদের সঙ্গে এক বৈঠক করেন জেলাশাসক। সেখানেই নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা বজায় রাখতে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পয়লা পৌষ থেকে মা তারার মন্দিরে মোবাইল নিয়ে প্রবেশ পুরোপুরি নিষিদ্ধ। গেটে ফোন জমা রেখে তবেই ভিতরে প্রবেশ করতে পারবেন ভক্তরা।মন্দিরের তরফে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানানো হয়েছে, এবার থেকে পুজোর জন্য দুটো লাইন করতে হবে। অতিরিক্ত কোনও লাইন রাখা যাবে না। মূল একটি লাইন প্রথমে শুরু হবে। পরবর্তীতে বিশেষ লাইন করতে হবে। গর্ভগৃহে আর দেওয়া যাবে না গোলাপজল-আলতা। প্রতিমার চরণ স্পর্শ করতে পারলেও আর প্রতিমাকে জড়িয়ে ধরা যাবে না। কর্তৃপক্ষের কথায়, বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি এড়াতেই এই নিয়ম লাগু করার সিদ্ধান্ত।

Card image cap

ভারচুয়ালি আদালতে হাজিরা দিয়েই সিবিআইয়ের হাতে গ্রেপ্তার ‘কালীঘাটের কাকু’

প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অবশেষে সিবিআইয়ের হাতে গ্রেপ্তার কালীঘাটের কাকু অর্থাৎ সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র। মঙ্গলবার তাঁকে ভারচুয়ালি আদালতে পেশ করার পরই গ্রেপ্তারির নথি আদালতে পেশ করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সূত্রের খবর, তদন্তের স্বার্থে সুজয়কৃষ্ণকে নিজেদের হেফাজতে চাইছে সিবিআই। এদিকে তাঁর তীব্র বিরোধিতা করেছেন কালীঘাটের কাকুর আইনজীবী। প্রাথমিকের মামলায় সিবিআই গ্রেপ্তার করতে পারে, এই আশঙ্কায় আগেই হাই কোর্টে আগাম জামিনের আর্জি জানিয়েছিলেন কালীঘাটের কাকু। প্রোডাকশান ওয়ারেন্ট সংক্রান্ত জটিলতার কারণে তা খারিজ করে দেয় হাই কোর্ট। তার ঠিক পরেরদিনই অন্য মামলায় সুজয়কৃষ্ণকে ভারচুয়ালি পেশ করা হয় আদালতে। সেখানেই প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তাঁকে শোন অ্যারেস্ট দেখায় সিবিআই। বিরোধিতা করে কালীঘাটের কাকুর আইনজীবী বলেন, “ওনাকে আটকে রাখতেই এখন গ্রেপ্তার করতে চাইছে সিবিআই। ২৫ নভেম্বর ইডি মামলায় হাই কোর্টে জামিনের আবেদনের শুনানি শেষ হয়ে গিয়েছে। তারপরই সিবিআই শোন অ‍্যারেস্ট দেখাচ্ছে। এতেই স্পষ্ট যে ওনাকে আটকে রাখতেই হেফাজতে চাওয়া হচ্ছে।”পালটা সিবিআইয়ের আইনজীবী বলেন, সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র দুর্নীতিগ্রস্ত। দুর্নীতিতে যোগ রয়েছে । তদন্তের প্রয়োজনে তল্লাশি চালানো হয়েছিল। তলবও করা হয়েছিল। বহু নথি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। সেই সব নথি খতিয়ে দেখেই তদন্তের জন্য সুজয়কে হেফাজতে নেওয়া প্রয়োজন রয়েছে। সুজয়, শান্তনু, কুন্তলরা অযোগ্য চাকরি প্রার্থীদের কাছে থেকে ঘুষ নিয়েছে। টাকার বিনিময়ে চাকরি পাইয়ে দেওয়া হয়েছে বলেও মন্তব্য করা হয়। সিবিআইয়ের দাবি, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কাছে তালিকা পাঠিয়ে বেআইনিভাবে অনেকের চাকরির ব‍্যবস্থা করেছেন সুজয়কৃষ্ণ। 

Card image cap

মৃত্যুকালীন চাকরি পাবেন দ্বিতীয় স্ত্রীর সন্তানও

প্রথম পক্ষের স্ত্রী নিঃসন্তান হলেও বাবার মৃত্যুকালীন চাকরি পেতে পারেন দ্বিতীয় স্ত্রীর সন্তানও। এই সমস্ত ক্ষেত্রে চাকরির জন্য আবেদন বিবেচনার সময় ‘বৈধ বৈবাহিক’ সম্পর্কে জন্ম নেওয়া সন্তানের সঙ্গে বৈষম্য করা যাবে না বলে জানাল কলকাতা হাই কোর্ট।সোমবার এই সংক্রান্ত মামলায় হাই কোর্টের বিচারপতি অনন্যা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, এই বৈষম্য নিন্দনীয়। তিনি এই নির্দেশ দিতে গিয়ে বলেন, রুটি উপার্জনকারীর মৃত্যুর পর ওই পরিবারের আর্থিক সমস্যা মেটাতে এই চাকরি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয়। সেখানে উপার্জনকারীর বৈধ বৈবাহিক সম্পর্কে জন্ম নেওয়া সন্তান নয় বলে ওই সন্তানকে বঞ্চিত করা যায় না।আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, পূর্ব রেলের আরপিএফএর হেড কনস্টেবল গোরক্ষনাথ পান্ডের মৃত্যুর পর তার দ্বিতীয় স্ত্রীর সন্তান এই চাকরির দাবি জানান। কারণ প্রথম পক্ষের স্ত্রী লছমিনা দেবী হলেন নিঃসন্তান। মৃত্যুর পর পূর্ব রেল আর্থিক সুযোগ-সুবিধা দুই স্ত্রীর সন্তানদের মধ্যে ভাগ করে দিলেও ‘ক্যাম্পাসিওনেট’ বা অনুকম্পিত চাকরির ক্ষেত্রে দ্বিতীয় স্ত্রীর সন্তান চাকরির হকদার নয় বলে জানিয়ে দেয়। এক্ষেত্রে কারণ হিসাবে বলা হয় যে তার দ্বিতীয় বিয়ে বৈধ নয়। যদিও আদালতে প্রথম স্ত্রী এই চাকরির ক্ষেত্রে কোন আপত্তি জানাননি। আসানসোলে কর্মরত অবস্থায় ওই কনস্টেবলের মৃত্যুর পর পরিবার পূর্ব রেলের কাছে চাকরির আবেদন জানায়। সেই আবেদন খারিজ হলে প্রথম স্ত্রী আদালতে আবেদন করে। কিন্তু নিঃসন্তান হওয়ায় চাকরি হয়নি।এদিকে পরবর্তীতে দ্বিতীয় স্ত্রীর ছেলে সেই আবেদন জানায়। কিন্তু কর্তৃপক্ষের তরফে বৈধ আইনি বৈবাহিক সম্পর্কের সংসাপত্র (রেজিস্ট্রি ম্যারেজ সার্টিফিকেট) না দেখাতে পারায় আবেদন বাতিল করে দেয়। মামলা গড়ায় হাই কোর্টে। এদিন মামলার নিষ্পত্তি করে বিচারপতি বৈধতা না থাকলেও দ্বিতীয় স্ত্রীর সন্তান এই চাকরির যোগ্য উত্তরাধিকার বলে নির্দেশ দিয়েছেন।

Card image cap

৪ বছরেই মুড়িগঙ্গার উপর সেতু

সাগর পেরতে ভেসেলের অপেক্ষা শেষ। মুড়িগঙ্গার উপর সেতু বানাবে রাজ্য সরকার। ইতিমধ্যে ডিপিআর তৈরি হয়েছে। আগামী ৪ বছরের মধ্যে শেষ হবে কাজ। মঙ্গলবার একথা আরও একবার জানিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ, মঙ্গলবার সেতুর নামকরণও করে দিলেন তিনি। একইসঙ্গে গঙ্গাসাগর মেলায় কেন্দ্রীয় বঞ্চনা নিয়েও সরব হন মমতা।এদিন নবান্ন সভাঘরে বৈঠকে বসেন মমতা। সেখানে রাজ্যের মন্ত্রী থেকে প্রশাসনিক কর্তা, সকলেই হাজির ছিলেন। বৈঠকের শুরুতেই মুড়িগঙ্গার সেতুর কথা উল্লেখ করেন। চার লেনের সেতুটি তৈরি হতে বছর চারেক সময় লাগবে। তবে তার আগেই সেতুর নামকরণ করলেন মমতা। নাম রাখলেন, ‘গঙ্গাসাগর মেলা সেতু।’ এর ফলে মেলায় পৌঁছনো  সহজ হবে।সাগর পেরিয়ে কপিল মুনি আশ্রমে পৌঁছতে হয়। যার জন্য সমস্যা পড়েন পুণ্যার্থীরা। তাঁদের কথা ভেবেই মুড়িগঙ্গার উপর সেতু বানানোর পরিকল্পনা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। ইতিমধ্যে তার ডিপিআর হয়েছে। খরচ ১৫০০ কোটি টাকা। যা পুরোটাই দেবে রাজ্য। মমতার অভিযোগ, মেলার সমস্ত খরচ বহন করে রাজ্য। কেন্দ্রের তরফে কোনও সহায়তা মেলে না।আগত তীর্থযাত্রীদের সুবিধার জন্য রেল কর্তৃপক্ষকে বিশেষ ট্রেন চালানোর আবেদন জানিয়েছেন। ২ হাজার ২৫০টি সরকারি বাস এবং ২৫০টি বেসরকারি বাস চালানো হবে। জলপথে চলবে ৩২টি ভেসেল, ১০০টি বার্জ এবং ৯০০টি ছোট ভেসেল। প্রতিটিতে থাকবে স্যাটেলাইন ট্র্যাকিংয়ের ব্যবস্থা। পুণ্যার্থীদের সুবিধায় একক টিকিটের ব্যবস্থা করা হবে। থাকছে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা। 

Card image cap

ফের প্রতিবাদ মিছিলে মুখরিত কলকাতা

সীমান্তের ওপারে হিন্দু নির্যাতন থামছেই না। এখনও জেলবন্দি ইসকনের চিন্ময় প্রভু। প্রতিবাদে ফের পথে নামল কলকাতাবাসী। সোমবার শিয়ালদহ থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত মিছিল করল বাঙালি হিন্দু রক্ষা সমিতি। দাবি, অবিলম্বে চিন্ময় প্রভুকে জেলমুক্ত করতে হবে। বাংলাদেশের মহম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের পতন থেকে হিন্দু নির্যাতন বন্ধের দাবি উঠল মিছিল থেকে। জয় শ্রীরাম ধ্বনিতেও মুখরিত হল কলকাতার রাজপথ।এদিন দুপুর একটা নাগাদ শিয়ালদহ থেকে শুরু হয় মিছিল। আম নাগরিকের পাশাপাশি অংশ নিয়েছিলেন সাধু-সন্তরাও। হাতে ছিল গেরুয়া ধ্বজা। মুখে জয় শ্রীরাম স্লোগান। জমায়েত করে মিছিল হয় হাওড়া ব্রিজেও। একইসঙ্গে আর জি কর আন্দোলনের স্লোগান ভিন্ন রূপে উচ্চারিত হল মিছিলে। স্লোগান ওঠে, “জুতো মারো তালে তালে, ইউনুসের গালে গালে।” একইসঙ্গে বিএনপির ‘কলকাতা দখলে’র হুমকিকেও কটাক্ষ করা হল মিছিল থেকে। এক আন্দোলনকারীর খোঁচা, “চারদিনের মধ্যে কলকাতা দখল করবে বলেছিল, কোথায় গেল? ভয়ে পেয়ে গেল নাকি? সীমান্তই পার করতে পারবে না। কলকাতা তো দূরে থাক।” স্বাভাবিকভাবেই এই মিছিলকে কেন্দ্র করে এদিন দুপুরে কলকাতায় ব্যাপক যানজট তৈরি হয়। ভোগান্তির মুখে পড়ে আমজনতা। বাংলাদেশে শেখ হাসিনার সরকার গদিচ্যুত হওয়ার পর থেকেই অস্থির পরিস্থিতি চলছে। হিন্দু-সহ সে দেশের সংখ্যালঘুদের উপর নির্যাতন অব্যাহত। বিশ্বজুড়ে প্রতিবাদের পরও জেলবন্দি ইসকনের সন্ত চিন্ময়কৃষ্ণ। এরই প্রতিবাদে এদিন কলকাতায় ফের পথে নামল নাগরিকরা।

Card image cap

হাই কোর্টে খারিজ কালীঘাটের কাকুর আগাম জামিনের আর্জি

হাই কোর্টে বড় ধাক্কা। কালীঘাটের কাকু অর্থাৎ সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের আগাম জামিনের আর্জি খারিজ করে দিল আদালত।  যেহেতু  প্রোডাকশান ওয়ারেন্ট জারি হয়েছে, এর অর্থ সিবিআই তাঁকে গ্রেপ্তার করেছে। তাই আগাম জামিনের আর্জি গ্রহণযোগ্য নয়।প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেপ্তার করতে পারে সিবিআই। এই আশঙ্কায় গত মাসেই আগাম জামিনের আবেদন নিয়ে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন ‘কালীঘাটের কাকু’ সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র। সোমবার সেই মামলার শুনানি ছিল বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী এবং বিচারপতি গৌরাঙ্গ কান্তের ডিভিশন বেঞ্চে। সেখানেই বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী সুজয়কৃষ্ণের আইনজীবীকে বলেন, “আমাদের মতে সুজয়কৃষ্ণকে গ্রেপ্তার করছে সিবিআই। যেহেতু গ্রেপ্তারের পর আদালতে পেশ করা সম্ভব হয়নি, তাই এই প্রশ্ন আপনি তুলতেই পারেন যে এই গ্রেপ্তারি বৈধ কি না? কিন্তু তার প্রেক্ষিতে সিবিআইয়ের কিছু যুক্তি রয়েছে।”সিবিআইয়ের আইনজীবী বলেন, “আমরা আদালতের সামনে পেশ করার জন্য জেল কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছিলাম। কিন্তু জেলের তরফে জানানো হয় তিনি অসুস্থ, তাই সশরীরে তাকে পেশ করা সম্ভব নয়। এমনকী ভারচুয়ালিও পেশ করা সম্ভব নয়।” সবপক্ষের যুক্তি শুনে বিচারপতি বলেন, “আদালতে পেশ করা সম্ভব হয়নি কেন, সেটা আগাম জামিনের মামলার বিচার্য বিষয় নয়।”

Card image cap

বঙ্গে মরশুমের শীতলতম দিন

জাঁকিয়ে শীত পড়েছে বঙ্গে। রবিবার মরশুমের শীতলতম দিন দেখল কলকাতা। আজ শহরের সর্বনিম্ন তাপামাত্রা ১২.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল শনিবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৪ ডিগ্রি। হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, সোমবার পর্যন্ত শীত ঝোড়ো ব্যাটিং চালাবে। কলকাতার সঙ্গে রাজ্যের বাকি জেলাগুলোতেও শীতের দাপট বজায় থাকবে।আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর জানাচ্ছে, আগামী ২৪ ঘণ্টায় দক্ষিণবঙ্গের তিন জেলা পুরুলিয়া, পশ্চিম বর্ধমান এবং বীরভূমে শৈত্যপ্রবাহ চলবে। আজ পুরুলিয়ার সর্বনিম্ন তাপামাত্রা ৫.৯ ডিগ্রি। বাঁকুড়ায় ৯.৫ ডিগ্রি। সেই হিসাবে এই দুই জেলায় এই মরশুমের শীতলতম দিন। রাত ও দিনের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের নিচে থাকবে। ১৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত শুষ্ক আবহাওয়া থাকবে। বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই। তবে রাজ্যজুড়ে সোম-মঙ্গলবার থেকে তাপমাত্রা ধীরে ধীরে বাড়বে।দক্ষিণবঙ্গের পাশাপাশি, জাঁকিয়ে শীত পড়েছে উত্তরবঙ্গেও। রবিবার দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর ও মালদহ জেলাতে কুয়াশার সতর্কবার্তা রয়েছে। রাজ্যের উত্তরাংশেও সোমবার থেকে তাপমাত্রা কিছুটা বাড়লেও পারদ স্বাভাবিকের নিচেই থাকবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর।সাগরে অবশ্য নিম্নচাপ রয়েছে। দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও সংলগ্ন দক্ষিণ আন্দামান সাগরে ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হয়েছে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় এই ঘূর্ণাবর্ত নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে। যদিও এই নিম্নচাপের অভিমুখ থাকবে তামিলনাড়ু উপকূল। এদিকে, চরম শৈত্যপ্রবাহের সর্তকতা জারি হয়েছে পাঞ্জাবে। কিছু এলাকায় গ্রাউন্ড ফ্রস্ট হতে পারে। শৈত্যপ্রবাহের সর্তকতা জারি মধ্যপ্রদেশেও।

Card image cap

উদ্ধার মাধ্যমিকের ছাত্রের দেহ, চাঞ্চল্য বেলডাঙায়

মোবাইল গেম খেলতে খেলতেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ল মাধ্যমিকের ছাত্র। মুর্শিদাবাদের বেলডাঙার চৈতন্যপুরের উদ্ধার হল তার ঝুলন্ত দেহ। শনিবার সাগর হালদার নামে বয়স ষোলর ওই ছাত্রর দেহ উদ্ধার করে পাঠানো হয়েছে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে। তদন্ত শুরু করেছে বেলডাঙা থানার পুলিশ। পরিবারের অনুমান, মোবাইল গেমে তীব্র আসক্তি ছিল ছেলের। গভীর রাত পর্যন্ত সে গেম খেলায় ব্যস্ত থাকত। তবে তা এমন প্রাণঘাতী হয়ে উঠবে, দুঃস্বপ্নেও কল্পনা করতে পারেননি কেউ।সত্তরপুর গ্রামের প্যান্ডেল ব্যবসায়ী নীলরতন হালদারের একমাত্র পুত্র সাগর হালদার দেবপুর হাই স্কুলের ছাত্রী। আগামী বছর মাধ্যমিক পরীক্ষা দেওয়ার কথা ছিল। তার আগে টেস্টও দিয়েছিল সাগর। জানা যাচ্ছে, শুক্রবার রাতে আত্মীয়দের সঙ্গে পিকনিক সেরে নিজের বাড়ি ফিরে দোতলায় ঘুমিয়েছিল। শনিবার সকালে তার মা চুমকী হালদার ছেলের ঘরে ঢুকতে গিয়ে দেখেন, মাটিতে পড়ে রয়েছে সাগর। ঘরের সিলিং ফ্যান থেকে গামছা ঝুলছে। চুমকিদেবীর চিৎকার শুনে ছুটে আসেন পরিবারের অন্যান্যরা। তাঁরা বুঝতে পারেন, ছেলে আত্মহত্যা করেছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছে সাগর হালদারকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে পাঠালে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।এ বিষয়ে মৃতের বাবা নীলরতন হালদার জানাচ্ছেন, সাগর রাত ১টা পর্যন্ত মোবাইল ঘাঁটত। মাঝেমধ্যে গভীর রাতে ‘মরে গেল মরে গেল’ বলে চিৎকার করত। মোবাইলে ভিডিও গেম খেলে খেলে ঘুমের ঘোরে চিৎকার করা অভ্যাস হয়ে দাঁড়িয়েছিল সাগরের। কিন্তু এসব বিষয়কে গুরুত্ব দেননি তাঁরা। তা যে এতটা বিপজ্জনক হয়ে উঠবে, ভাবতেই পারেননি কেউ। নীলরতনবাবু আরও জানান, তিনি ছেলের পাশের ঘরেই থাকেন। ওইদিন রাত ১টার সময় সাগর শৌচালয়ে গিয়েছিল, তা তিনি টের পেয়েছিলেন। কিন্তু ছেলে যে এমন কাণ্ড ঘটাবে, তা ঘুণাক্ষরেও টের পাননি।পরিবারের লোকজন জানাচ্ছেন, শনিবার সকালে খাটের উপর চেয়ার তুলে ফ্যানের গামছা লাগিয়ে ঝুলে পড়েছিল সাগর। সেই গামছা ফসকে গিয়ে মাটিতে পড়েও গিয়েছিল সে। পরিবারের এক সদস্য নীরেন মণ্ডল বলেন, ”সাগর মোবাইলে কয়েকজন বন্ধুর সঙ্গে অনলাইনে গেম খেলত। শুক্রবার গভীর রাতে সেই গেম চলাকালীন কেউ হয়তো তাকে আত্মহত্যার জন্য প্ররোচিত করেছিল বলে মনে হচ্ছে।” গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে বেলডাঙা থানার পুলিশ।

Card image cap

হাওড়ার স্বর্ণ ব্যবসায়ীর থেকে ১১ লক্ষ টাকার গয়না লুট

রাতের হাওড়ায় লুটতরাজ। দোকান বন্ধ করে বাড়ি ফেরার পথে দুষ্কৃতীদের কবলে স্বর্ণ ব্যবসায়ী। তাঁকে মারধর করে ১১ লক্ষ টাকার সোনার গয়না এবং নগদ ১৫ হাজার টাকাও লুট করে দুষ্কৃতীরা। এই ঘটনায় হাওড়ার উনসানির সুভাষপল্লিতে ব্যাপক চাঞ্চল্য। জগাছা থানার পুলিশ ঘটনার তদন্তে নেমেছে।স্বর্ণ ব্যবসায়ী প্রশান্ত মালিকের বিয়ের গয়নার অর্ডার ছিল। ব্যাগে করে ওই গয়না এবং নগদ টাকা নিয়ে রাতে বাড়ি ফিরছিলেন। আন্দুল রোড থেকে মাত্র ২০০ মিটার দূরে সুভাষপল্লির গলিতে ঢুকতেই বিপত্তি। অভিযোগ, দুজন দুষ্কৃতী বাইকে চড়ে তাঁর কাছে চলে আসে। পথ আটকায়। কিছু বুঝতে না পেরে বাইক থামিয়ে দেন ব্যবসায়ী।এরপর ওই দুই দুষ্কৃতী ব্যবসায়ীর কাছ থেকে গয়না এবং টাকাপয়সা কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। তাতে বাধা দেন ব্যবসায়ী। কালীমন্দিরের সামনে দুষ্কৃতীদের সঙ্গে শুরু হয় ধস্তাধস্তি। এরপর দুষ্কৃতীরা তাঁকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেন। হাত থেকে ছিটকে পড়ে গয়না এবং নগদ টাকা ভর্তি ব্যাগ। দুষ্কৃতীরা ব্যাগ হাতিয়ে চম্পট দেয়। এরপর জগাছা থানায় লিখিত অভিযোগ করেন ব্যবসায়ী। ওই দুষ্কৃতীদের চিনতে পারেননি ব্যবসায়ী। কারণ, যে এলাকায় পথ আটকেছিল দুষ্কৃতী, সেখানে আলো অত্যন্ত কম ছিল। এছাড়া দুষ্কৃতীদের মুখ ঢাকা ছিল। তাই দেখতে পাননি তিনি। পুলিশ এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করেছে। ওই ফুটেজের মাধ্যমে দুষ্কৃতীদের চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে।

Card image cap

রাত পোহালেই কলকাতায় আংশিক বন্ধ জল সরবরাহ

সোমবার সকালের পর থেকে কলকাতায় জল সরবরাহ আংশিক বন্ধ রাখবে পুরসভা। জল সরবরাহ আংশিক বন্ধ থাকবে সল্টলেক ও দক্ষিণ দমদম পুর এলাকার বেশ কয়েকটি এলাকায়। পুরসভা সূত্রে খবর, ঠিক ছিল রবিবার পানীয় জল সরবরাহ বন্ধ রাখা হবে। কিন্তু মেয়র ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, ‘‘মরশুমের শেষ বিয়ের দিন। তাই জল সরবরাহ বন্ধ রাখার দিন বদলের জন্য অনেক অনুরোধ এসেছিল।’’বস্তুত, কলকাতার প্রায় সব অনুষ্ঠান ভবন বুক হয়ে গিয়েছে। তাই জনস্বার্থে রবিবারের বদলে সোমবার সকাল ৬টায় জল সরবরাহর পর বিকেল আর রাতে টালা থেকে পানীয় জল সরবরাহ করা হবে না। আবার মঙ্গলবার সকাল থেকে জল সরবরাহ স্বাভাবিক হবে। ফলে উত্তর কলকাতার ১-৮ নম্বর বরো এলাকা পর্যন্ত জল সরবরাহ বন্ধ থাকবে।একই অবস্থা সল্টলেক পুরসভা এলাকারও। পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, পলতা জল উৎপাদন কেন্দ্র ও টালা সরবরাহ কেন্দ্রের পাইপ লাইন এবং বিভিন্ন জায়গায় অন্তত ৫০টি বিভিন্ন ধরনের মেরামত করা হবে। আগামী গ্রীষ্মে জল সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে এই পদক্ষেপ কলকাতা পুরসভার।

Card image cap

গল্ফগ্রিনে মহিলার কাটা মুন্ডু উদ্ধারে নয়া তথ্য

দেড় দিনের মধ্যেই গল্ফগ্রিনের উদ্ধার হওয়া কাটা মুন্ডু রহস্যে তদন্তের জাল প্রায় গুটিয়ে আনল পুলিশ। গ্রেপ্তার, জেরা, নমুনা ও প্রমাণ সংগ্রহের পর খুনের মোটিভ নিয়ে মোটামোটি নিশ্চিত তদন্তকারীরা। জামাইবাবুর প্রেমের ডাকে সাড়া না দেওয়াতেই বেঘোরে প্রাণ হারাতে হল খাদিজা বিবি নামে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ওই মহিলাকে। গ্রেপ্তার হয়েছে জামাইবাবু আতিকুর লস্কর। শনিবার এই ঘটনায় তদন্তের ভিত্তিতে একাধিক তথ্য সাংবাদিকদের সামনে তুলে ধরলেন ডিসি (এসএসডি) বিদিশা কলিতা।তদন্তকারী আধিকারিক জানাচ্ছেন, মগরাহাটের বাসিন্দা খাদিজা বিবিকে খুন করা হয় ১২ ডিসেম্বর। খাওয়াতে নিয়ে যাওয়ার নাম করে তাঁকে প্রথমে মাথায় আঘাত এবং পরে মৃত্যু নিশ্চিত করতে শ্বাসরোধ করা হয়। এর পর দেহ তিন টুকরো করে ফেলে দেওয়া হয় দক্ষিণ কলকাতার নানা জায়গায়। ১৩ তারিখ সকালে গল্ফগ্রিনের আবর্জনা স্তূপ থেকে উদ্ধার হয় কাটা মুন্ডু। পরেরদিন বিকেলের মধ্যে রিজেন্ট কলোনি এলাকা থেকে দেহের বাকি অংশ উদ্ধার হয়। এহেন নৃশংস ঘটনার তদন্তে তিনটি থানা – রিজেন্ট পার্ক, গল্ফগ্রিন ও নেতাজিনগরের পুলিশ আধিকারিকদের সঙ্গে নিয়ে তৈরি হয় সিট। তদন্তে নেমে অতি দ্রুত সেই কাজ এগিয়ে নিয়ে যান সিটের আধিকারিকরা।মহিলার দেহাংশ উদ্ধারের পর শনিবার সন্ধ্যায় সাংবাদিক বৈঠক করে ডিসি (এসএসডি) বিদিশা কলিতা জানান, ”অভিযুক্ত সন্দেহে আমরা যাকে গ্রেপ্তার করেছি, সেই আতিকুর সম্পর্কে মৃত খাদিজা বিবির জামাইবাবু। বেশ কয়েকদিন ধরে খাদিজাকে সে প্রেমের প্রস্তাব দিচ্ছিল। কিন্তু তা গ্রহণ করেনি খাদিজা। তা সত্ত্বেও বারবার তাঁকে নানাভবে উত্যক্ত করছিল আতিকুর। দুদিন আগে বিরক্ত হয়ে খাদিজা তার মোবাইল নম্বর ব্লক করে দেয়। একে প্রেমের প্রস্তাবে সাড়া দেয়নি, তারপর মোবাইল নম্বর ব্লক করে দেওয়ায় কোওভাবেই আর যোগাযোগ করতে পারছিল না। সবমিলিয়ে প্রবল রাগ হয় আতিকুরের। সেই রাগ থেকে এই হত্যাকাণ্ড। ঘটনার দিন বাড়ি থেকে কলকাতায় কাজ করতে এসেছিল খাদিজা। সেদিনই ফিরে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু কলকাতায় আচমকা আতিকুরের সঙ্গে তাঁর দেখা হয়ে যায়। আতিকুর তাঁকে খাওয়াদাওয়ার পর ফেরার কথা বললে রাজি হন খাদিজা। সেই সুযোগ তাঁকে কোথাও নিয়ে গিয়ে খুন করা হয়। ঘটনা ঠিক কোথায় ঘটেছে, তা জানতে তদন্ত এখনও চলছে।”আরও জানা গিয়েছে, আতিকুর পেশায় রংমিস্ত্রি। তাই তার কাছে বেশ কিছু সরঞ্জাম ছিল, যা খুনের ঘটনায় ব্যবহৃত হয়েছে। যেমন একটি কাটার, যা দিয়ে দেহ টুকরো করা হয়েছে। তার কাছে থাকা বস্তায় অনায়াসে দেহাংশ ভরে এদিক-ওদিক ফেলা হয়েছে। রবিবার আতিকুরকে আদালতে পেশ করে পুলিশ হেফাজতের আবেদন করা হবে বলে জানিয়েছেন বিদিশা কলিতা।

Card image cap

বাংলাদেশিদের পাসপোর্ট তৈরি করে গ্রেপ্তার ২

বাংলাদেশি নাগরিকদের ভারতের ভুয়ো পরিচয়পত্র তৈরি করে পাসপোর্ট বানিয়ে দেওয়ার অভিযোগ। গ্রেপ্তার বারাসত ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার কোস্টাল থানা এলাকার ২ বাসিন্দা। তাঁদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে ৩৭ টি পাসপোর্ট। ধৃতদের আদালতে তোলা হলে ২০ ডিসেম্বর পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।মৌলবাদীদের দাপটে উত্তাল বাংলাদেশ। চরমে হিন্দু নির্যাতন। পরিস্থিতি এতটাই জটিল যে, অনেকেই চেষ্টা করছেন কোনওক্রমে ভারতে চলে আসার। এদিকে সীমান্তে নজরদারি বাড়িয়েছে কেন্দ্র। এই পরিস্থিতিতে ভারতের ভুয়ো পরিচয়পত্র তৈরি করে পাসপোর্ট বানিয়ে দেওয়ার অভিযোগে গ্রেপ্তার ২ জন। জানা গিয়েছে, ধৃতদের নাম সমরেশ বিশ্বাস ও দীপক মণ্ডল। সমরেশ বারাসতের কাজিপাড়ার বাসিন্দা। দীপক দক্ষিণ ২৪ পরগনার কোস্টাল থানা এলাকার বাসিন্দা। পেশায় ডাকঘর বিভাগের অস্থায়ী কর্মী। পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃত সমরেশ ছেলে রিপনের সঙ্গে হাত মিলিয়ে ভুয়ো পাসপোর্ট তৈরির কাজ করতেন। সম্প্রতি সূত্র মারফত খবর পেয়ে রিপনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এর পরই প্রকাশ্যে আসে সমরেশ ও দীপকের নাম।জানা গিয়েছে, গত কয়েকবছর ধরেই রমরমিয়ে চলছিল এই ব্যবসা। প্রতি পাসপোর্ট তৈরি করে দেওয়ার জন্য নূন্যতম ২ লক্ষ টাকা নিত এই চক্রের মাথা। এনআইএ-এর হাতে ধৃত লিটন চক্রবর্তীর সঙ্গে এই সমরেশের যোগাযোগ রয়েছে বলে সূত্রের খবর। আগে দিল্লি পুলিশের হাতেও গ্রেপ্তার হয়েছিলেন সমরেশ। চুঁচুড়া ও বারাসত থেকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছিল তাঁকে। পুলিশ তদন্তে জানতে পেরেছে, ভুয়ো নথি দিয়ে কমবেশি ২৫০ টি পাসপোর্ট বানিয়েছিলেন এই সমরেশ ও তাঁর সাগরেদরা।

Card image cap

কান্দিতে তরুণী চিকিৎসকের ‘আত্মহত্যা’

নিজের বাড়ি থেকেই তরুণী চিকিৎসকের দেহ উদ্ধার। গলায় দড়ি দিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় মুর্শিদাবাদের কান্দি থানার বহড়া গ্রামীণ স্বাস্থ্যকেন্দ্রের মহিলা চিকিৎসকের দেহ উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, আত্মহত্যা করেছেন তিনি। কী কারণে চরম সিদ্ধান্ত, তা নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা।নিহত বছর একত্রিশের পৌলমী বিজয়পুরী। মুর্শিদাবাদের কান্দির নতুন পাড়াতে নিজের বাড়িতেই থাকতেন পরিবারের সঙ্গে থাকতেন পৌলমী। শুক্রবার রাতে নিজের ঘরে অনেকক্ষণ তরুণী চিকিৎসকের কোনও সাড়াশব্দ পাওয়া যাচ্ছিল না। পরিবারের লোকজন বেশ কিছুক্ষণ ডাকাডাকি করেন। তবে তা সত্ত্বেও কোনও শব্দ না পেয়ে ঘরের দরজা ভাঙা হয়। ঘরে ঢুকে তাজ্জব হয়ে যান তাঁরা। দেখেন ঘরে গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলছেন পৌলমী। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় কান্দি থানার পুলিশ। দেহ উদ্ধার করে কান্দি মহকুমা হাসপাতালে ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়।কান্দির এক স্বাস্থ্য আধিকারিক জানান, ২ বছর আগে দন্ত চিকিৎসক হিসাবে বহড়া গ্রামীণ স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যোগ দেন পৌলমী। খুবই সাদাসিধে এবং মিষ্টভাষী ছিলেন তিনি। কীভাবে এই ঘটনা ঘটল তা বুঝতে পারছেন না তিনি। অপরদিকে, পৌলমীর প্রতিবেশীরা জানান, লেখাপড়ায় খুবই ভালো ছিলেন ওই তরুণী। মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় অনেক নম্বর পেয়ে পাশ করেন তিনি। প্রথম থেকেই ডাক্তার হয়ে গ্রামবাসীদের সেবা করার ইচ্ছা ছিল তাঁর। আর হয়েছিলও সেটাই। তবে আচমকা কেন আত্মহননের পথ বেছে নিলেন পৌলমী, তা স্পষ্ট নয়। কান্দি থানার পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।