CATEGORY entertain:

Card image cap

চণ্ডীগড় কনসার্টে ফের বিতর্কে দিলজিৎ দোসাঞ্ঝ

বিতর্ক আর দিলজিৎ দোসাঞ্ঝ যেন একে-অপরের ‘সমার্থক’ হয়ে দাঁড়িয়েছে। পাঞ্জাবি পপস্টার যেখানেই শো করতে গিয়েছেন, সেখানেই বিতর্কের মুখে পড়তে হয়েছে তাঁকে। কখনও গানের শব্দের জন্য আবার কখনও বা গানের মাধ্যমে মদ-মাদকের প্রচারের জন্য। ব্যতিক্রম শুধু কলকাতা। এবার চণ্ডীগড়ে কনসার্ট করতে গিয়ে মাত্রাতিরিক্ত শব্দদূষণের অভিযোগ উঠল দিলজিতের বিরুদ্ধে। যার জেরে গায়ককে মোটা অঙ্কের জরিমানা গুনতে হবে এবার।বলিউড সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, কেন্দ্রীয় শাসিত অঞ্চলে দিলজিতের কনসার্ট হওয়ার সময়ে শব্দদূষণের মাত্রা ছাড়িয়েছে ৭৫ ডেসিবলের বেশি। পাঞ্জাব ও হরিয়ানা উচ্চ আদালতের নিষেধাজ্ঞা অনুযায়ী, ৭৬.১ থেকে ৯৩.১ পর্যন্ত শব্দদূষণ ঘটানো আইনত অপরাধ। জানা গিয়েছে, যার জেরে ইতিমধ্যেই দিলজিৎ দোসাঞ্ঝের কনসার্টের আয়োজকদের কাছে নোটিস পাঠানো হয়েছে। আর সেই আইন লঙ্ঘনের অভিযোগেই ১৫ লক্ষ টাকা জরিমানা গুনতে হবে পাঞ্চাবি পপস্টারকে। প্রসঙ্গত, দিল্লিতে ‘দিল-লুমিনাটি’র পয়লা শো থেকেই বিতর্ক সঙ্গী হয়েছে দিলজিতের। যার জেরে তেলেঙ্গানা সরকারের তরফে আইনি নোটিসও পেয়েছিলেন গায়ক। তবে দমে যাননি তিনি। তার পরও লখনউ, পুনে, কলকাতা, বেঙ্গালুরুর, ইন্দোর, চণ্ডীগড় মাতিয়েছেন সুরেলা কণ্ঠে। এককথায় দিলজিতের ‘দিল-লুমিনাটি’ শো ঘিরে ঠিক যতটা উন্মাদনা ছিল, ততটাই বিতর্কের শিরোনামে থেকেছে! ‘লেমোনেড’ এবং ‘পাঁচ তারা’ এই দুটি গান নিয়েই বিতর্কে জড়িয়েছিলেন দিলজিৎ দোসাঞ্ঝ। আবার মঞ্চে দাঁড়িয়েও প্রশাসনের চোখ রাঙানির বিরুদ্ধে জোর গলায় বলেছেন, “আমাদের দেশের সব রাজ্যগুলোতে যদি মদ নিষিদ্ধ করার ঘোষণা করা হয়, তারপরের দিন থেকেই দিলজিৎ দোসাঞ্ঝ জীবনে কোনওদিন আর ‘শরাব পি’ গানটা গাইবে না। আমি প্রতিজ্ঞা করলাম। এরপরই দিলজিতের প্রশ্ন, এটা কি সম্ভব হবে? এই ব্যবসায় আসলে অনেক লাভ। করোনাতে যখন গোটা দেশ বন্ধ ছিল, তখনও কিন্তু মদের ঠেক খোলা থেকেছে। আর আজকে এত বড় বড় কথা গান নিয়ে। যুবপ্রজন্মকে অত বোকা ভাববেন না। কোথায় আমি তো কত ভক্তিগীতি গেয়েছিস সেগুলো নিয়ে তো কেউ কথা বলে না। আমার শো যেখানে যেখানে থাকবে, সেখানে একদিনের জন্য মদ নিষিদ্ধ করে দিন। আমি মদ নিয়ে গান গাইব না।” সম্প্রতি আবার এদেশের পরিকাঠামোর অভাবে আর কনসার্ট না করার সিদ্ধান্তও জানিয়েছেন তিনি সদর্পে। তবে এবার ‘পাঞ্জাব দি পুত্তর’ স্বভূমি চণ্ডীগড়েই বিপাকে পড়লেন।

Card image cap

‘বহুরূপী’র প্রসঙ্গ তুলে কী বললেন দেব

‘খাদান’ মুক্তির এতদিন পর প্রথমবার সিনেমা হল দর্শনে গেলেন সুপারস্টার। স্টার থিয়েটারেও তাঁর ছবি হাউসফুল। কেমন অনুভূতি অভিনেতা-প্রযোজক এবং ক্রিয়েটিভ ডিরেক্টরের?  সেই কথা বলতে গিয়েই উল্লেখ করলেন নন্দিতা-শিবপ্রসাদ জুটির ‘বহুরূপী’র কথা। গত ২০ ডিসেম্বর সিনেমা হলে মুক্তি পেয়েছে ‘খাদান’। এতদিন সোশাল মিডিয়া, সংবাদমাধ্যমের সূত্রে প্রতিক্রিয়া পেয়েছেন দেব। অনুরাগীদের নানা পোস্টও তাঁর নজরে পড়েছে। তবে শনিবার প্রথমবার গিয়েছিলেন প্রেক্ষাগৃহে। উত্তর কলকাতার ঐতিহ্যবাহী স্টার থিয়েটারে দেবকে দেখেই উচ্ছ্বসিত হয়ে ওঠেন দর্শকরা।পরে নিজের ফেসবুক প্রোফাইলে লাইভ ভিডিওর মাধ্যমে নিজের দর্শকদের ধন্যবাদ দেন দেব। জানান, তিনি চেয়েছিলেন নিজের পারিবারিক ছবি ও কমার্শিয়াল সিনেমার দর্শকদের মিলিয়ে দিতে। এমন একটা সিনেমা সবাইকে উপহার দিতে যা হইচই ফেলে দেয়। দেব জানান, দেড় বছর আগে একটা ঝুঁকি নিয়েছিলেন তিনি। আজ তার ফল দেখে অত্যন্ত খুশি তারকা। এর জন্য নিজের অনুরাগীদের ধন্যবাদও জানান। তাঁর কথায়, “মনটা ভালো হয়ে গেল সত্যি!” এবারে বড়দিনের ছুটিতে ‘খাদান’ ছাড়াও মুক্তি পেয়েছে ‘সন্তান’, ‘চালচিত্র’, ‘৫ নং স্বপ্নময় লেন’। দেবের বক্তব্য, “সব ছবিই চলুক। কোথাও যেন এটা আমাদের সবার জিৎ।”দেব জানান, একটা সিনেমা সাফল্য পেলে তার পরের সিনেমাগুলোও সেই সাফল্যের ফল লাভ করে। এই প্রসঙ্গেই তিনি ‘বহুরূপী’র কথা তোলেন। পুজোর সময় ‘বহুরূপী’ ও ‘টেক্কা’ একসঙ্গে মুক্তি পেয়েছিল। দেব বলেন, “এবছর যদি বলি, ‘টেক্কা’ ও ‘বহুরূপী’ পুজোয় সাফল্য পেয়েছিল। অবশ্যই ‘বহুরূপী’ অনেক বেশি চলেছিল ‘টেক্কা’র থেকে, সেটা অস্বীকার করতে আমার কোনও দ্বিধা নেই। অবশ্যই এটা বিগেস্ট হিট। সেটা কোথাও যেন আমার মনে হয় যে আমাদের ‘খাদান’কে সাহায্য করেছে। দর্শককে বেঁধে রাখার কাজটা সহজ নয়। আমি খুশি যে বাংলা ছবি রমরমিয়ে চলছে।” দ্বিতীয় সপ্তাহে ‘খাদান’-এর শো বেড়েছে বলেও জানান দেব। পাইরেসি না করে সবাইকে প্রেক্ষাগৃহে এসে সিনেমাটি দেখার অনুরোধ করেন তিনি।

Card image cap

মধ্যরাতেই সলমনের বার্থডে সেলিব্রেশন!

বলিউডের ‘প্রেম’ থেকে একেবারে অ্য়াকশন প্যাকড ‘টাইগার’। কখনও আবার ‘চুলবুল পাণ্ডে’ হয়ে ‘বজরঙ্গি ভাইজান’। তিনি যে বলি সিংহাসনের ‘সুলতান’, তাঁর প্রমাণ বক্স অফিসে তাঁর গর্জন। গোটা ছবিতে তো ঝড় তোলেনই। সঙ্গে একঝলক পর্দায় আসলেও, ছবি সুপারহিট। হ্যাঁ, সলমন ম্যাজিক এমনই। পর্দার সেই ম্যাজিশিয়নই শুক্রবার পা দিলেন ৫৯-এ। বয়সকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে, তিনি এখনও বলিউডের এলিজেবল ব্য়াচেলার। পেশি ফোলানো চেহারায় সলমন এখন ‘সিকন্দর’ও বটে।গত কয়েক বছর থেকেই গ্য়াংস্টার লরেন্স বিষ্ণোই দল, সলমনের প্রাণের পিছনে পড়েছেন। বার বার তাঁকে প্রাণনাশের হুমকি। রোজই কঠোর থেকে কঠোর হচ্ছে সলমনকে ঘিরে থাকা নিরাপত্তা। কিন্তু সলমনের দাবাংপনা রয়েছে একইরকম। তাঁকে দমিয়ে রাখা বড্ড কঠিন। আর হবে নাই বা কেন, বলিউডের ভাইজান বলে কথা।তা এবারে কী হচ্ছে সলমনের বার্থডে সেলিব্রেশনে?
সূত্রের খবর, কেক কেটে, ভাইজানের প্রিয় খাবার দিয়েই সাজানো হয়েছিল বার্থডে ডিনার টেবিল। এমনকী, অতিথিদের অনুরোধে সলমন নাকি নেচেছেনও।প্রতিবার সলমনের বাংলো গ্যালাক্সিতেই বার্থডে সেলিব্রেট করা হয়। তবে এবার নিয়ম গেল উলটে। ভাইজানের জন্মদিনের পার্টির সমস্ত দায়িত্ব নিলেন বোন অর্পিতা। আর তা শুরু হল বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকেই। বুলেট প্রুফ গাড়িতে চেপে অর্পিতার বাড়িতে দাবাং এন্ট্রি নিলেন সলমন। সলমনের পরে কালো শার্ট, ধূসর রঙের জ্য়াকেট। তবে তিনি একা নন, সলমনের পিছন পিছনই গাড়ি চড়ে এলেন ইউলিয়া ভান্তুর, সোহেল খান, সস্ত্রীক আরবাজ খান, সঙ্গীতা বিজলানির মতো তারকারা। উপস্থিত ছিলেন রীতেশ দেশমুখ, জেনেলিয়াও।

Card image cap

আল্লুকে বাঁচাতে মাঠে নামলেন বাবা

মৃত অনুরাগীর পরিবারকে সদ্য় ২ কোটি টাকা দিয়ে সাহায্য করেছেন আল্লু অর্জুন। এরপরেই ভেবেছিলেন অনুরাগীর মৃত্যুর ঘটনায় তিনি হয়তো ছুটকারা পাবেন। কিন্তু আল্লু অর্জুনের বিপাক কিন্তু কমছে না। কয়েকদিন আগেই পুলিশের ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদের মুখে পড়েছিলেন আল্লু অর্জুন। পুলিশের কড়া প্রশ্নের মুখেও পড়েছেন তিনি। শোনা যাচ্ছে, গোটা পরিস্থিতি নিয়ে বেশ মানসিক চাপে আছেন পুষ্পা অভিনেতা।নতুন খবর হল, ছেলেকে বিপদ থেকে বের করতে এবার মাঠে নামলেন আল্লু অর্জুনের বাবা আল্লু অরবিন্দ। পরিস্থিতি সামলাতে তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রীর রেবন্ত রেড্ডির সঙ্গে দেখা করলেন আল্লুর বাবা। মুখ্যমন্ত্রীকে অনুরোধ করলেন গোটা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখার।হায়দরাবাদে ‘পুষ্পা ২’ ছবির প্রিমিয়ারে পদপিষ্ট হয়ে মহিলা অনুরাগীর মৃত্যুর ঘটনায় বিপাকে আল্লু অর্জুনসহ, গোটা পুষ্পা টিম। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই একরাত জেলেও থাকতে হয়েছিল আল্লুকে। আপাতত, জামিনে তিনি জেল থেকে রেহাই পেয়েছেন। এমনকী, জেল থেকে বেরিয়ে গোটা ঘটনার জন্য দুঃখপ্রকাশও করেছেন আল্লু ও ছবির প্রযোজক। তবে সমস্যা মেটেনি। সম্প্রতি পুলিশি ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদের মুখে পড়েছিলেন আল্লু। আর এবার মৃত মহিলা অনুরাগীর পরিবারকে ২ কোটি অর্থ সাহায্য করলেন আল্লু অর্জুন ও ‘পুষ্পা’ ছবির প্রযোজক।সিনেপর্দায় শত্রু দমনে ‘ঝুঁকতে’ দেখা যায়নি ‘পুষ্পা’ ওরফে আল্লু অর্জুনকে। গুলি চলেছে, বোম ফেটেছে। তবুও পুষ্পা ‘ঝুঁকেগা নেহি’। ‘পুষ্পা ২’-তে সাহস দশগুণ বাড়িয়ে ‘ফায়ার নয়, ওয়াইল্ড ফায়ার’। কিন্তু দেখুন, সিনেপর্দায় পুলিশের হাতে পরাস্ত না হলেও, বাস্তবে শেষমেষ পুলিশ, আইনের কাছে মাথা নিচু করতেই হল ‘পুষ্পা’ আল্লু অর্জুনকে। সাদা হুডিজ টিশার্টে স্ফুলিঙ্গ ফুটলেও, থানায় দাঁড়িয়ে ‘পুষ্পা’র তেজ কম। আর তাই তো, শনিবার সকাল সকাল জেল থেকে বেরিয়ে আল্লু অর্জুনের গলায়, একটাই সুর, ‘ আমি দুঃখিত, শোকাহত। আইনকে সম্মান করি, তদন্তে সহযোগিতা করব’।৫ ডিসেম্বর সারা দেশের সিনেমা হলে মুক্তি পেয়েছে ‘পুষ্পা ২: দ্য রুল।’ তার ঠিক আগের দিন ৪ ডিসেম্বর হায়দারাবাদের সন্ধ্যা থিয়েটারে হয় প্রিমিয়ার। সেখানে যাওয়াই কাল হয়েছে আল্লু অর্জুনের। প্রিয় তারকার আসার খবরে কাতারে কাতারে মানুষ সন্ধ্যা থিয়েটারে ভিড় করে। এই ভিড়ে পদপিষ্ট হয়েই রেবতী নামের অনুরাগীর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়। রেবতীর ৯ বছরের শ্রী তেজ এখনও হাসপাতালে সংকটজনক অবস্থায়।

Card image cap

‘মুখ্যমন্ত্রী হয়ে যান’, সোনু সুদকে নেতাদের অনুরোধ

বলিউডে পা রেখেছিলেন নায়ক হতে, কিন্তু প্রথম দিকে নায়কের বদলে সোনু সুদ ভিলেন হয়ে বলিউডকে চমকে দিলেন। উঁচু লম্বা চেহারা, ব্যারিটন ভয়েজে সোনু পর্দায় এসে দাঁড়ালেই ভিলেন হয়েও মন জয় করে নিতেন। সেই সোনুই করোনা আবহে ভিলেন থেকে হয়ে উঠলেন বাস্তবের নায়ক। সিনেমার তারকা থেকে হয়ে উঠলেন সাধারণ মানুষের মসিহা। জনসাধারণের মধ্যে সোনুর তুমুল জনপ্রিয়তাকে ক্য়াশ করতেই এবার সোনুর হয়ে মাঠে নেমেছেন দেশের অন্যতম প্রভাবশালী নেতারা। জল্পনায় শোনা গিয়েছিল সোনু সুদ নাকি রাজনীতিতে আসছেন। এমনকী, শোনা গিয়েছিল মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ারও অফার পেয়েছিলেন সোনু!সম্প্রতি এই জল্পনা নিয়ে মুখ খুললেন সোনু। তাঁর নতুন ছবি ‘ফতেহ’ প্রচারে এক সংবাদমাধ্যমকে সোনু জানালেন, ”আমাকে এমনকি মুখ্যমন্ত্রীর পদের প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছিল। আমি সেই প্রস্তাব ফিরিয়ে দেওয়ায় উপমুখ্যমন্ত্রী হতে বলা হয়। দেশের অন্যতম প্রভাবশালীরা চেষ্টা করেছিলেন। তোমাকে নির্বাচনে লড়তে হবে না। শুধু রাজনীতিতে যোগ দাও আর আমার সঙ্গে থাকো।”দুবছর আগে খবরে আসে আমআদমি পার্টিতে নাকি যোগ দিচ্ছেন সোনু সুদ। তবে এই নিয়ে কোনওরকম মন্তব্য করতে চাননি সোনু। তবে মনে করা হচ্ছে, AAP-এর সঙ্গে যুক্ত হওয়ার পর থেকেই সোনুকে ফাঁসানোর চেষ্টা চলছে। এর আগে অভিনেতার বিরুদ্ধে বেআইনি নির্মাণের অভিযোগ এনেছিল বৃহণ্মুম্বই পুরনিগম । তবে সম্প্রতি এক সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে সোনু সুদ জানান, ‘রাজনীতিতে যোগ দিতে আমার কোনও আগ্রহ নেই। আমি দু’ বার রাজ্যসভার আসনের প্রস্তাব ফিরিয়েছি। আমি এখন যেমন আছি, তা নিয়েই খুশি আছি।’

Card image cap

মৃতার পরিবারকে ২ কোটি অর্থ সাহায্য আল্লুর

হায়দরাবাদে ‘পুষ্পা ২’ ছবির প্রিমিয়ারে পদপিষ্ট হয়ে মহিলা অনুরাগীর মৃত্যুর ঘটনায় বিপাকে আল্লু অর্জুনসহ, গোটা পুষ্পা টিম। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই একরাত জেলেও থাকতে হয়েছিল আল্লুকে। আপাতত, জামিনে তিনি জেল থেকে রেহাই পেয়েছেন। এমনকী, জেল থেকে বেরিয়ে গোটা ঘটনার জন্য দুঃখপ্রকাশও করেছেন আল্লু ও ছবির প্রযোজক। তবে সমস্যা মেটেনি। সম্প্রতি পুলিশি ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদের মুখে পড়েছিলেন আল্লু। আর এবার মৃত মহিলা অনুরাগীর পরিবারকে ২ কোটি অর্থ সাহায্য করলেন আল্লু অর্জুন ও ‘পুষ্পা’ ছবির প্রযোজক।সিনেপর্দায় শত্রু দমনে ‘ঝুঁকতে’ দেখা যায়নি ‘পুষ্পা’ ওরফে আল্লু অর্জুনকে। গুলি চলেছে, বোম ফেটেছে। তবুও পুষ্পা ‘ঝুঁকেগা নেহি’। ‘পুষ্পা ২’-তে সাহস দশগুণ বাড়িয়ে ‘ফায়ার নয়, ওয়াইল্ড ফায়ার’। কিন্তু দেখুন, সিনেপর্দায় পুলিশের হাতে পরাস্ত না হলেও, বাস্তবে শেষমেষ পুলিশ, আইনের কাছে মাথা নিচু করতেই হল ‘পুষ্পা’ আল্লু অর্জুনকে। সাদা হুডিজ টিশার্টে স্ফুলিঙ্গ ফুটলেও, থানায় দাঁড়িয়ে ‘পুষ্পা’র তেজ কম। আর তাই তো, শনিবার সকাল সকাল জেল থেকে বেরিয়ে আল্লু অর্জুনের গলায়, একটাই সুর, ‘ আমি দুঃখিত, শোকাহত। আইনকে সম্মান করি, তদন্তে সহযোগিতা করব’।৫ ডিসেম্বর সারা দেশের সিনেমা হলে মুক্তি পেয়েছে ‘পুষ্পা ২: দ্য রুল।’ তার ঠিক আগের দিন ৪ ডিসেম্বর হায়দারাবাদের সন্ধ্যা থিয়েটারে হয় প্রিমিয়ার। সেখানে যাওয়াই কাল হয়েছে আল্লু অর্জুনের। প্রিয় তারকার আসার খবরে কাতারে কাতারে মানুষ সন্ধ্যা থিয়েটারে ভিড় করে। এই ভিড়ে পদপিষ্ট হয়েই রেবতী নামের অনুরাগীর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়। রেবতীর ৯ বছরের শ্রী তেজ এখনও হাসপাতালে সংকটজনক অবস্থায়।এদিকে আল্লুর বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা তুলে নেওয়ার ইচ্ছে প্রকাশ করেছেন মৃতার স্বামী ভাস্কর। সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, “মামলা তুলে নিতে প্রস্তুত আমি। আমি আল্লু অর্জুনের গ্রেপ্তার হওয়ার খবর জানতাম না। আর সেদিন পদপিষ্ট হয়ে আমার স্ত্রীর মৃত্যুর নেপথ্যে ওঁর তো কোনও হাত নেই।” মহিলার মৃত্যুর খবর কানে যেতেই ভিডিও বার্তায় শোক প্রকাশ করেছিলেন আল্লু। মৃতার পরিবারকে নাকি তিনি ২৫ লক্ষ টাকাও দেওয়ার আশ্বাস দেন। তাঁর আহত ছেলের চিকিৎসার দায়িত্বও বহন করেন সুপারস্টার। আর এবার ২ কোটি অর্থ সাহায্য করলেন আল্লু।

Card image cap

ভক্তদের নিয়ে ব্লকবাস্টার বার্থডে পার্টি

বড়দিনে টলিউডের বড় সুপারস্টারের জন্মদিন বলে কথা! ভক্ত সমাগম তো হবেই। মায়ানগরীর মন্নতের সিংহদুয়ারে জনঅরণ্যের ছবি এবার তিলোত্তমার ‘দেবনগরী’তে। বক্স অফিসে অশ্বমেধের ঘোড়া ছুটিয়ে বাংলা কমার্শিয়াল সিনেমার হৃতগৌরব পুনরুদ্ধার করে দেব এখন টলিউডের ‘রাজার রাজা’। আর টলিউডের সেই কিংয়ের বাড়ির সামনেই বুধবার জনঅরণ্য। উপলক্ষ্য দেবের জন্মদিন।প্রতিবার বড়দিন মানেই দেবের দিন। বুধবার ৪২-এ পা দিলেন তিনি। এবার ব্লকবাস্টার ‘খাদান’-এর সুবাদে সেই সেলিব্রেশন ডাবল। নিন্দুকরা ছবির মেকিং নিয়ে যতই হইচই করুক, শত্তুরের মুখে ছাই দিয়ে রিলিজের চারদিনেই চার কোটির গণ্ডি পেরিয়ে টলিউডের বক্স অফিস চাঙ্গা করেছেন দেব। সিনেমার এহেন গগনচুম্বী সাফল্যের মাঝেই জন্মদিনে দেবকে শুভেচ্ছা জানাতে উপচে পড়ল ভিড়। কেউ ফুল হাতে, কেউ প্ল্যাকার্ড হাতে গলা ফাটিয়ে শুধু একটাই স্লোগান- “শিরায় শিরায় রক্ত, আমরা দেবের ভক্ত…।” সম্প্রতি এই স্লোগানেই ‘সন্তান’ অভিনেতা ঋত্বিক চক্রবর্তী দেবের অনুরাগীদের ট্রোল করে নিজেই ফাঁপড়ে পড়েছিলেন। যদিও টলিউড সুপারস্টার এসবে কান না দিয়ে নজর রেখেছেন বক্স অফিসদেবের ফিল্মি কেরিয়ারে সবথেকে দ্রুত গতিতে একেক দিনে এক কোটির ঘরে প্রবেশ করা ছবি ‘খাদান’। নিজের রেকর্ড নিজেই ভেঙেছেন দেব। উল্লেখ্য, টলিউডের এখনও পর্যন্ত সর্বোচ্চ আয় করা সিনেমার রেকর্ড হোল্ডারও তিনি। ‘খাদান’ উপহার দিয়ে সেই তালিকায় নতুন মাইলস্টোন যোগ করলেন টলিউড সুপারস্টার। সূত্রের খবর, পাঁচ দিনে পাঁচ কোটির গণ্ডি ছুঁয়েছে ‘খাদান’। আর তাই তো অনুরাগীরা বলছেন, “যা যা বলে দে, জন্মদিনে দেব বক্স অফিস ভেঙেছে।” সকালে নিজের বাড়িতে জন্মদিন উদযাপনের পর সন্ধেবেলা প্রযোজনা সংস্থা সুরিন্দর ফিল্মস-এর অফিসে দেখা গেল দেবকে। অঙ্কের দিকে। আর জন্মদিনেই ‘খাদান’ দিয়ে নিজের ফিল্মি কেরিয়ারে নয়া রেকর্ড গড়ে ফেললেন দেব।

Card image cap

বক্স অফিসে ‘সন্তান’-এর গর্জন

বড়দিনের বক্স অফিসে বাংলা ছবির চারমূর্তি। চতুষ্কোণের এই ভিন্নতার একটি কোণ রাজ চক্রবর্তীর সন্তান। ছবি দেখার পর বাবা-মায়েদের চোখে জল। রুপোলি পর্দার এই গল্পের ভিত তো বাস্তব। সেই বাস্তবের কথাই জানালেন মিঠুন চক্রবর্তী।ছবির প্রযোজনা সংস্থা এসভিএফের পক্ষ থেকে মিঠুনের বার্তা সোশাল মিডিয়ায় শেয়ার করা হয়েছে। ‘মহাগুরু’র কথায়, “সন্তান রিলিজ হয়ে গিয়েছে আর বক্স অফিসে রীতিমতো গর্জন করছে। এটা শুধু একটা ছবি নয়, এটা বাস্তব… এটা সারা জীবনের অভিজ্ঞতা। তা সে ছেলের জন্য হোক বা বাবার জন্য। সেজন্যই এটা দেখা আপনাদের উচিত।”সুপারস্টারের সংযোজন, “এটা অন্তরাত্মার ছবি। আপনাদের অবশ্যই এই ছবিটা দেখা উচিত। আরেকটা কথা বলে রাখি, অনেকে হয়তো জানেন না সেকশন ১২৫ (ভারতীয় ন্যায় সংহিতা) যাতে বাবা-মা এই অধিকার পাওয়ার জন্য আদালতে লড়তে পারেন যে ছেলে-মেয়েরা আমাদের দেখে না, আমাদের খুব কষ্টে রেখে দিয়েছে। তাই আপনাদের জানা উচিত, এমন আইন রয়েছে। তবে আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি এটা যেন না করতে হয়। ছেলেরা যেন বাবা-মায়েদের দেখে, যতটুকু পারে ততটুকু দিয়েই পাশে থাকে।”
এই প্রথমবার ফ্যামিলি ড্রামা দর্শকদের দরবারে এনেছেন রাজ চক্রবর্তী। ছবি বিষয় যেন বর্তমান সময়ের আয়না। বাবা-মায়ের (মিঠুন-অনসূয়া) সঙ্গে ছেলের (ঋত্বিক চক্রবর্তী) বনে না। ছেলে-দায়িত্ব পালন করে ঠিকই, মসোহারাও পাঠিয়ে দেয়, কিন্তু বাড়তি কোনও কিছু দিতে সে রাজি নয়। স্ত্রী-পুত্রের সঙ্গে নিজের মতো থাকতে চায়। বাড়তি আবেগের লেনদেনে সে নারাজ। বাবা-মায়ের শত চেষ্টা সত্ত্বেও ছেলের ইমোশনাল আনঅ‌্যাভেবিলিটি বজায় থাকে। ঘটনা এমন মোড় নেয় যে পিতা, পুত্রের ওপর আইনি ব‌্যবস্থা নেয়।
ছেলের বিরুদ্ধে বাবার মামলা? জয় কার হল তা সিনেমা হলে গিয়েই দেখতে হবে। ছবিতে অনসূয়া মজুমদার এবং শুভশ্রী গঙ্গোপাধ‌্যায়ও প্রশংসিত হয়েছে। হুইলচেয়ারে ছেলের সিনেমা দেখতে গিয়েছিলেন রাজ চক্রবর্তীর মা। ছেলের তৈরি সিনেমা দেখে তাঁর মনও ভিজেছে।

Card image cap

থানায় আল্লুকে ম্যারাথন জেরা পুলিশের

‘পুষ্পা ২’র সাফল্যের খুশি নয়, আল্লু অর্জুনের কপালে এখন শুধুই চিন্তার ভাঁজ। পদপিষ্ট কাণ্ডে পুলিশের প্রশ্নের মুখে দক্ষিণী সুপারস্টার। মঙ্গলবার সকাল এগারোটায় তিনি পৌঁছে যান হায়দরাবাদের চিক্কড়পল্লি থানায়। তারপরই শুরু হয় জিজ্ঞাসাবাদ। একের পর এক প্রশ্নবাণ।
শোনা গিয়েছে, একাধিক প্রশ্ন করা হয়েছে সুপারস্টারকে। কেমন? যেমন –
৪ ডিসেম্বর সন্ধ্যা থিয়েটারে ‘পুষ্পা ২’ সিনেমার প্রিমিয়ারে যে তাঁর যাওয়ার অনুমতি ছিল না তা কি তারকা জানতেন?
আল্লুর এই হল ভিজিটের প্ল্যান কার ছিল?
কোনও পুলিশকর্মী কি তারকাকে পদপিষ্টের ঘটনা জানিয়েছিলেন?
মহিলার মৃত্যুর খবর তিনি কখন জানতে পারেন?
হলের বাইরে অনুরাগীদের সঙ্গে ইন্টারেকশনের অনুমতি কি তারকার ছিল?
প্রসঙ্গত, ‘পুষ্পা ২’র প্রিমিয়ারের দুর্ঘটনাকে কেন্দ্র করে তোলপাড় তেলেঙ্গানার রাজ্য-রাজনীতি। আগেই নায়ককে একহাত নিয়েছেন AIMIM দলের বিধায়ক আকবরউদ্দিন ওয়াইসি। মুখ্যমন্ত্রী তথা কংগ্রেস নেতা রেবন্ত রেড্ডিও ছেড়ে কথা বলেননি। এমন পরস্থিতিতেই রবিবার সুপারস্টারের বাড়িতে হামলা হয়। এই হামলার নেপথ্যে শাসক দল কংগ্রেস? এমন প্রশ্ন ওঠে। আল্লুর বাড়িতে হামলার নেপথ্যে কংগ্রেসের কোনও হাত নেই বলেই জানিয়ে দিয়েছে দলের মুখপাত্র সামা রামমোহন রেড্ডি।রবিবার রাতেই আল্লু অর্জুনের বাড়িতে হামলার তীব্র নিন্দা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী রেবন্ত রেড্ডি। ঘটনার তীব্র নিন্দা করে এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লেখেন, ‘অভিনেতার বাড়িতে হামলার ঘটনার তীব্র বিরোধিতা করছি। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে রাজ্য পুলিশের ডিজি এবং শহরের পুলিশকে কড়া পদক্ষেপ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই ব্যাপারে কোনও ঢিলেমি বরদাস্ত করা হবে না।’ পুলিশের তরফ থেকেও কড়া ব্যবস্থার আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল। এদিকে আল্লু এমন পরিস্থিতিতে নিজের অনুরাীদের শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। এর আগে নিজের বিরুদ্ধে ওঠা যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকারও করেছেন তিনি। পদপিষ্টের ঘটনায় গত ১৩ ডিসেম্বর তারকাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এখন তিনি জামিনে মুক্ত।

Card image cap

বিধানসভায় বিল দিতেই কাঞ্চনকে ঘিরে চর্চা

নভেম্বরেই ভূমিষ্ঠ হয়েছে অভিনেতা-বিধায়ক কাঞ্চন মল্লিকের ও তাঁর স্ত্রী শ্রীময়ী চট্টরাজের সন্তান কৃষভি। আর সেই সময় হাসপাতালের বিল হয়েছিল ৬ লক্ষ টাকা। সেই বিল জমা পড়েছে বিধানসভায়। যা নিয়ে রীতিমতো চর্চা শুরু হয়ে গিয়েছে।সাধারণত বিধায়ক বা তাঁর স্ত্রীর হাসপাতালের বিল বিধানসভায় জমা দেন। সেই টাকা ফেরতও পান তাঁরা। বহু বিধায়কের জটিল রোগের চিকিৎসার খরচ দিয়েছে বিধানসভা। মেডিক্যাল বিলের ক্ষেত্রে কোনও ঊর্ধ্বসীমা থাকে না। শুধুমাত্র চশমার খরচের ক্ষেত্রে খরচের উর্ধ্বসীমা বাঁধা রয়েছে, ৫ হাজার টাকা। তারপরেও সন্তান ডেলিভারির বিল ৬ লক্ষ টাকা হওয়াই চর্চা শুরু হয়েছে। জানা গিয়েছে, বেসরকারি হাসপাতালের খরচ ২ লক্ষ টাকা। আর চিকিৎসকের খরচ ৪ লক্ষ টাকা। এ নিয়েই চাঞ্চল্য় ছড়িয়েছে।এ প্রসঙ্গে বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, বিল খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আরও কিছু জিজ্ঞাসা থাকলে বিধায়ককে ডেকে জেনে নেওয়া হবে। প্রয়োজনে হাসপাতালের সঙ্গে যোগাযোগ করে জানা হবে। দরকারে চিকিৎসককে ডেকে জিজ্ঞেস করা হবে। প্রসঙ্গত, দোল পূর্ণিমায়  শ্রীময়ী চট্টরাজ প্রথমবার বুঝতে পেরেছিলেন মা হতে চলেছেন। আর অন্নকূটের দিনই কাঞ্চন-শ্রীময়ী ঘর আলো করে এসেছে কন্যাসন্তান। যেন অন্নপূর্ণা! তারকাদম্পতি কৃষ্ণভক্ত হওয়ায় সাধ করে মেয়ের নাম রেখেছেন ‘কৃষভি’। 

Card image cap

আল্লু অর্জুনের ১০০ কোটির বাড়ি ভাঙচুর!

আল্লু অর্জুনের ১০০ কোটির প্রাসাদোপম বাড়ির প্রবেশপথ তছনছ! ঘটনার তীব্র নিন্দা করে তেলেঙ্গানার রাজ্য পুলিশকে কড়া পদক্ষেপের নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী রেবন্ত রেড্ডি। সোমবার ছয় অভিযুক্তকে মোটা অঙ্কের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার শর্তসাপেক্ষে জামিন দিল হায়দরাবাদ উচ্চ আদালত।রবিবারই ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস…’ স্লোগান দিয়ে দক্ষিণী সুপারস্টারের জুবিলি হিলসের বাড়িতে হামলা চালায় ওসমানিয়া বিশ্ববিদ্যালয় কমিটির একদল সদস্য। বিকেল পৌনে পাঁচটা নাগাদ দক্ষিণী সুপারস্টারের বাড়ির সামনে জড়ো হয়ে প্ল্যাকার্ড নিয়ে, স্লোগান দিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে ওই ব্যক্তিরা। কুশপুতুল পুড়িয়ে, ১ কোটি টাকা দাবি করে, প্রবেশপথের টবও ভাঙচুর করে। অভিনেতার বাড়ির নিরাপত্তারক্ষীদেরও মারধর করার অভিযোগ ওঠে তাদের উপর। ঘটনার জেরে স্থানীয় পুলিশ ৬ অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে। মামলাও দায়ের হয় তাদের বিরুদ্ধে। তবে রাত পোহাতেই সোম সকালে জামিন পেয়ে যায় ওই ব্যক্তিরা। তবে শর্তসাপেক্ষে! জানা গিয়েছে, ওই ৬ অভিযুক্তের প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে আল্লু অর্জুনকে। হায়দরাবাদ উচ্চ আদালতের তরফে মোট ৬০ হাজার টাকার ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এদিকে তেলঙ্গানার সড়ক ও সিনেমাটোগ্রাফি মন্ত্রী কোমাতিরেড্ডি ভেঙ্কট মৃতার পরিবারকে ২০ কোটির আর্থিক অনুদানের দাবি জানিয়েছেন। এদিকে ঘটনার জেরে রবিবার সন্ধেবেলাই দুই সন্তানকে জোর করে বাড়ি থেকে দাদু-ঠাকুমার কাছে পাঠিয়ে দিয়েছেন আল্লু। সেই ভিডিও ইতিমধ্যেই ভাইরাল নেটপাড়ায়। দেখা গেল, আল্লুর কন্যা আরহা একরাশ চিন্তা নিয়ে গাড়িতে চুপটি করে বসে রয়েছে। ছেলে আরহানও তাই। ‘সুপারস্টার’ ছেলের বাড়িতে হামলা হওয়ার ঘটনায় মুখ খুলেছেন বাবা আল্লু অরবিন্দ। তাঁর মন্তব্য, “সবাই দেখেছেন আমাদের বাড়িতে আজকে কী ঘটেছে। তবে এটা আমাদের ভেবেচিন্তে পদক্ষেপ করার সময়। এইমুহূর্তে আমাদের কোনওরকম প্রতিক্রিয়া দেওয়া উচিত নয়। পুলিশ ইতিমধ্য়েই হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করেছে। তাদের বিরুদ্ধে মামলাও দায়ের হয়েছে। কেউ এইধরনের ঘটনায় উৎসাহ দেবেন না। ফের এরকম ঘটনা ঘটালে পুলিশ তৈরি। আইন আইনের পথে হাঁটবে।

Card image cap

বার্নপুরের সেই ‘খাদান’ কন্যেকেই অভিনয়ের সুযোগ

স্বপ্নের নায়ককে কাছ থেকে দেখা কিংবা একটু ছোঁয়ার জন্য অনুরাগীরা কত কী-ই না করেন। বার্নপুরের রাইমাও সেরকমই দেবের ‘জবরা ফ্যান’। বাড়িতে দেবের ছবি। সেই চার বছর বয়স থেকেই তার শয়নে-স্বপনে শুধুই দেব। শুধু কী তাই? অভিনেতাকে দেবতুল্য রূপে পুজোও করে আসছেন রাইমা। কে জানত, তাঁর ভাগ্যের চাকা যে এভাবে ঘুরে যাবে! একটা সেলফি তুলতে গিয়েই ‘খাদান’-এ অভিনয়ের সুযোগ দিলেন তাঁর ‘দেবদা’। আর সেই কোলিয়ারি কন্যাকেই টিকিট কেটে বড়পর্দায় দেখতে ঢুকছে গোটা বার্নপুর। এইজন্যই তো তিনি ‘রাজার রাজা’। বলছেন রাইমার মতো দেব ভক্তরাই।বার্নপুরের বাসিন্দা রাইমা পাল। আসানসোল গার্লস কলেজের বাণিজ্য বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী। মফস্বলের সেই মেয়ে সুযোগ পানন অভিনেতা দেবের সঙ্গে অভিনয় করার। ‘খাদান’ সিনেমা রিলিজের পর দেখা গেল রাইমার সেই দৃশ্য। যেখানে কয়লা খাদানে অত্যাচারের শিকার কিশোরী। শ্যাম মাহাতো (দেব) অত্যাচারের কথা জানতে পেরে শুরু করলেন নিজস্ব কায়দায় বিচার। ‘ফয়সলা অন দ্য স্পট’। অত্যাচারীর বিরুদ্ধে নিজের আগ্নেয়াস্ত্র তুলে দিলেন নির্যাতিতার হাতে। কাঁপা কাঁপা হাতে গুলি চালালো নির্যাতিতা (রাইমা)। এই দৃশ্য শেষ হতেই বার্নপুরের সিনেমা হলে হাততালি, সিটি। ঘরের মেয়েকে দেবের সঙ্গে ছোট্ট অথচ গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় দেখে খুশি ইস্পাত শহর। কীভাবে হল এই স্বপ্নপূরণ?ছোট থেকেই রাইমার ইচ্ছে ছিল দেবের সঙ্গে দেখা করার। কিন্তু সেই দেখা যে তাঁর জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দেবে, কে তা জানত? রাইমা ‘খাদান’ সিনেমায় অভিনয় করেছেন সেই খবর চাউর হতেই খুশি আসানসোলের মানুষ। বার্ণপুরের পুরানহাটের বাসিন্দা রাইমা নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের মেয়ে। বাবা সুদাম পাল পান বিক্রেতা। রাইমা স্বপ্নেও ভাবেননি তিনি সিনেমায় সুযোগ পাবেন। ‘খাদান’ সিনেমার শুটিং দেখতে গিয়েছিলেন জামুরিয়ায়। একবার দেবকে চোখের দেখা দেখতে। সেখানেই ভক্তের কথা জানতে পারেন অভিনেতা। সুযোগ দেন তার সঙ্গে ছবি তোলার। কিন্তু এখানেই শেষ নয়। তৎক্ষণাৎ সিদ্ধান্ত নেন রাইমাকে দিয়ে একটি দৃশ্যে অভিনয় করানোর। সেলফি তুলতে গিয়েই অভিনয় করার সুযোগ আসে রাইমার কাছে।রাইমা জানিয়েছেন, বুলেট মণ্ডল ও জয়দীপ মুখোপাধ্যায় না থাকলে দেবের কাছে পৌঁছতেই পারতেন না তিনি। তাঁর কথায়, “দেবদাও জানতে পারতেন না আমার পাগলামির কথা। আমি কয়লা খাদান এলাকার মেয়ে। এখানকার পরিবেশ সম্পর্কে সব জানা। কিন্তু জীবনে প্রথম ক্যামেরার সামনে ঘাবড়ে গিয়েছিলাম। দেবদা নিজেই সব বুঝিয়ে দিয়েছিলেন আমাকে। আমাকে নার্ভাস দেখে অনুপ্রেরণা জুগিয়েছিলেন। চল্লিশটা টেকের পর শট ওকে হয়। তার আগে পর্যন্ত ধৈর্য ধরে বুঝিয়ে গিয়েছেন কীভাবে শট দিতে হবে। শুট শেষের পর ক্যামেরাম্যানকে ডেকে ছবিও তুলতে বলেন তিনি নিজেই।” রাইমার মন্তব্য, “বাড়িতে কেউ কখনও অভিনয় করেনি। আবার সুযোগ পেলে আবারও অভিনয় করব। বিশেষ করে গুরুর সঙ্গে কাজের সুযোগ এলে তো কথাই নেই।”

Card image cap

প্রত্যেকদিন ‘খাদান’-এর রেকর্ড!

কামব্যাকে ‘রাজার রাজা’ দেব। ফ্যামিলি ড্রামা ছেড়ে অ্যাকশনে ফিরতেই বছরশেষে বাংলার বক্স অফিস চাঙ্গা। উইকিপেডিয়ার হিসেব বলছে, ছবির ব্যবসা ইতিমধ্যেই দুকোটি ছাড়িয়েছে। ভক্তদের উচ্ছ্বাস সিনেমা হলে দেখা যাচ্ছে। প্রায় প্রত্যেকদিনই রেকর্ড গড়ছে ‘খাদান’। এতেই আপ্লুত দেব। সোশাল মিডিয়ার মাধ্যমেই জানালেন কৃতজ্ঞতা। সুপারস্টার মানেন, এ শুধু তাঁর নয়, বাংলা সিনেমারও কামব্যাক।যাঁদের ‘শিরায় শিরায়’ দেবভক্তি, তাঁদের জন্যই সোশাল মিডিয়ায় তারকা লেখেন, “আমার দর্শকদের প্রতি ভালোবাসা আর কৃতজ্ঞতা জানানোর কোনও ভাষা আমার কাছে নেই… ‘চাঁদের পাহাড়’ ও ‘আমাজন অভিযান’-এর পর এই রকম রেসপন্স ‘খাদান’ পাচ্ছে। প্রথম দিনের থেকে দ্বিতীয় দিন বেশি, দ্বিতীয় দিনের থেকে তৃতীয় দিন আরও বেশি…. প্রত্যেকটা দিনে নতুন রেকর্ড হচ্ছে। এই আবেগ শব্দে কীভাবে প্রকাশ করব আমি জানি না….দর্শক খুশি, তো আমি খুশি। সবাইকে ধন্যবাদ। ভালোবাসা রইল। শুধু আমি না, ‘খাদান’ বাংলা সিনেমাকেও ফেরাল।’উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার গভীর রাতেই ছিল ‘খাদান’-এর প্রথম শো। রায়গঞ্জে রাত দুটোয় দেখানো হয় দেব এন্টারটেনমেন্ট ও সুরিন্দর ফিল্মস প্রযোজিত ছবি। প্রথম শো-ই হাউজফুল। বুকিং শুরু হওয়ার মিনিট খানেকের মধ্যেই সমস্ত টিকিট শেষ। যা কিনা পশ্চিমবঙ্গে এই প্রথমবার বলেই দাবি। অর্থাৎ শুরুতেই ট্রেন্ড সেট করে দিয়েছেন দেব। তাঁর ‘অ্যাংরি ইয়াং ম্যান’ অবতারের জাদুতে এখনও সিনেমা হলে ঝোড়ো ইনিংস খেলছে ‘খাদান’।প্রশংসা যিশু সেনগুপ্তও বিস্তর পেয়েছেন। দেব যদি এছবির কৃষ্ণ হন, তাহলে ‘সারথি কৃষ্ণ’ যিশু। দুজনের যুগলবন্দি বেশ পছন্দ হয়েছে দর্শকদের। ‘একেনবাবু’ কিংবা ‘জটায়ু’র মোড়ক থেকে বেরিয়ে অনবদ্য অনির্বাণ চক্রবর্তী। দীর্ঘদিন বাদে বড়পর্দায় বরখা বিস্তকে দেখা গিয়েছে। দুষ্টু-মিষ্টি প্রেমিকার ভূমিকায় ইধিকা পাল যথাযথ। পরিমিত অভিনয় সঙ্গত সুজন নীল মুখোপাধ্যায়ের। নজর কাড়লেন জন ভট্টাচার্যও। দেবের সঙ্গে অ্যাকশন দৃশ্যে তাঁকে বেশ ভালো লেগেছে।

Card image cap

মেট্রোর চুমু-চর্চায় সোজাসাপটা স্বস্তিকা

মেট্রো স্টেশনের সেই চুমু-চর্চাতেই এবার স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়ের প্রশ্ন, “ভালোবেসে চুমু খাচ্ছে, সেটাতে গাত্রদাহ কেন?”মেট্রো স্টেশনের ভাইরাল চুমু চর্চা নিয়ে প্রতিদিন রোববার ডট ইন-এর জন্য কলম ধরেন অভিনেত্রী। স্বস্তিকার কথায়, “গোটা পৃথিবী জুড়ে যেখানে এত নৈরাজ‌্য, জ্বালা, যন্ত্রণা, খেয়োখেয়ি, মারপিট, ঈর্ষা- সেখানে দুটো মানুষ, তারা ভালোবেসে চুমু খাচ্ছে, সেটাতে গাত্রদাহ কেন? ভালোবাসা থেকে যাতে মানুষের আশা-ভরসা, বিশ্বাস বিলুপ্ত না হয়, তার জন‌্য তো যাদের ভালোবাসি, তাদের হাত ধরে হাঁটা উচিত, তাদের চুমু খাওয়া উচিত। সেটা জনসমক্ষে অশ্লীল পর্যায়ে চলে না গেলে কারও কেন এটা নিয়ে মাথাব‌্যথা থাকবে? যাদের জীবনে প্রেম আছে, ভালোবাসা আছে, তাদের সবার উচিত ঘণ্টায় ঘণ্টায় মেট্রো স্টেশনে গিয়ে চুমু খাওয়া।” অভিনেত্রীর প্রশ্ন, ২০২৪ সালে দাঁড়িয়ে এটা একটা বিষয় হল চর্চা করার মতো?প্রেমের প্রকাশ স্বাভাবিক, সহজাত। সেই প্রকাশ কোনও বাধা মানে না। কত ভিড়ের মাঝেই তো প্রিয়জনের চোখে চোখ রেখে হারিয়ে যাওয়া যায়! প্রেমের আবহ এমনই যে ক্ষণে ক্ষণেই মনে হয়- ‘সমাজ সংসার মিছে সব/মিছে এ জীবনের কলরব…।’ যে ভিডিওটি সকলের টাইমলাইনে ছড়িয়ে পড়েছে, তাতে দেখা যাচ্ছে কালীঘাট স্টেশন। আশেপাশে গুটি কয়েক যাত্রী। তাঁদের উপস্থিতি হেলায় উপেক্ষা করে একে অপরের ঠোঁটে ঠোঁট ডুবিয়ে প্রেমে মগ্ন। আর সেই মুহূর্ত মুঠোফোনে বন্দি করে নেটপাড়ায় যিনি ছড়িয়ে দিলেন, তাঁর খোঁজ কেউ করলেন না কেন? প্রশ্ন স্বস্তিকার। তাঁর সংযোজন, “যে লুকিয়ে-চুরিয়ে ছবি তুলছে, সে কি সেই যুগলের অনুমতি নিয়েছে ছবি তোলার আগে? এই লোকটার মানসিকতা ততটাই কদর্য, যতটা যারা ক‌্যামেরা বসিয়ে মানুষের ব‌্যক্তিগত মুহূর্ত ক্যামেরাবন্দি করে, যারা পাশের বাড়িতে কী হচ্ছে দেখার জন‌্য জানলা খুলে দ‌েখে! নিজস্ব ভয়ারিজমের জায়গা থেকে যে ছবিটা তুলেছে, তাকে কেন প্রশ্ন করে, ট্রোল করে, গালাগালি দিয়ে তুলোধনা করছি না আমরা? এই নোংরা মানুষটার পরিচয় বের করে সোশাল মিডিয়াতে তাকে এক্সপোজ করা উচিত যাতে সে লুকনোর কোনও পথ না পায়। তা না করে যারা নিজেদের প্রতি ভালোবাসা প্রদর্শন করেছিল, তাদের কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছি আমরা। এটা আমাদের দ্বিচারিতা!”

Card image cap

বুলেট প্রুফ গাড়িতে ভাইয়ের জন্মদিনে হাজির সলমন!

বার বার প্রাণনাশের হুমকি। আরও জোরদার নিরাপত্তা। তবুও কি আর ‘দাবাং’ খানকে দমানো যায়! তিনি নিজের নিয়মেই চলাফেরা, শুটিং, দিব্য চালিয়ে যাচ্ছেন। একেবারে টাইগার অবতারে। আর এবার বুলেট প্রুফ গাড়িতে করে, কড়া নিরাপত্তার মধ্যেই ভাই সোহেল খানের জন্মদিনে হাজির হলেন সলমন খান। আর কালো কাচের গাড়ির ভিতর থেকেই ভক্তদের সালাম জানালেন ভাইজান।তিনি দাবাং খান। তিনি বলিউডের বিন্দাস ভাইজান। তাঁকে ভয় দেখানো চাট্টিখানি কথা নয়। এই যেমন, লরেন্স বিষ্ণোইদের থেকে প্রাণনাশের হুমকি পেয়েও, ভাইজান কিন্তু দমেনি। বরং সব হুমকিকে ফুঁৎকারে উড়িয়ে সলমন এখন ব্যস্ত ছবির শুটিংয়ে।কৃষ্ণসার হরিণ হত্যা মামলায় নাম জড়ানোর পর থেকেই লরেন্স বিষ্ণোইর নেতৃত্বাধীন বিষ্ণোই গ্যাংয়ের নিশানায় সলমন খান। আতঙ্ক বাড়ে বাবা সিদ্দিকির হত্যাকাণ্ডের পর থেকে। বন্ধুর মৃত্যুতে ভেঙে পড়েছেন সলমন। এদিকে সুপারস্টারের নিরাপত্তা আরও বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।প্রসঙ্গত, প্রথমে বন্ধু বাবা সিদ্দিকির হত্যা। তার পর একের পর এক খুনের হুমকি। কৃষ্ণসার হরিণ হত্যা মামলায় নাম জড়ানোর পর থেকেই লরেন্স বিষ্ণোইর নেতৃত্বাধীন বিষ্ণোই গ্যাংয়ের নিশানায় সলমন খান। আতঙ্ক বাড়ে বাবা সিদ্দিকির হত্যাকাণ্ডের পর থেকে। দশেরার দিন বাবা সিদ্দিকিকে হত্যা করা হয়। পূর্ব বান্দ্রায় বাজি ফাটাচ্ছিলেন এনসিপি (অজিত) নেতা। সেই সময়ই তার উপরে দুষ্কৃতীদের হামলা হয়। আচমকাই সেখানে হাজির হয় তিন দুষ্কৃতী। তারা লাগাতার গুলি চালাতে থাকে। গুলি ফুঁড়ে দেয় সিদ্দিকির শরীর। ঘটনাস্থলেই লুটিয়ে পড়েন তিনি। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথেই মৃত্যু হয় সিদ্দিকির। ঘটনায় একাধিক অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

Card image cap

‘খাদান’ নিয়ে দেবকে বিশেষ বার্তা জিতের

তাঁরা ‘দুই পৃথিবী’ জুটি। তাঁরা টলিউডের দুই সুপারস্টার। প্রথম দিকে ‘পাগলু’ আর ‘শত্রু’র বক্স অফিসে যুদ্ধ লাগলেও, বাস্তবে জিৎ আর দেব একেবারেই কাছের মানুষ। ফিল্ম পার্টি হোক বা প্রিমিয়ার শো। দুজনে দেখা হলেই আড্ডা। এই যেমন, সম্প্রতি জিৎ ও রুক্মিণী মৈত্রর বুমেরাং ছবির প্রিমিয়ারে দুজনে দেখা হতেই, অনুরাগীরা বলে উঠলেন, দেব-জিতের একসঙ্গে ফের ছবি চাই! তবে সে তো অন্যগল্প। নতুন গল্প হল, বক্স অফিসের লড়াই ভুলে, তারকাসুলভ ইগো একপাশে রেখে দেবের খাদানকে শুভেচ্ছা জানালেন জিৎ। আর শুধুই শুভেচ্ছা নয়, দেবকে দিলেন বিশেষ টিপস!অবশেষে বক্স অফিসে ঝড় তুলতে প্রস্তুত দেবের খাদান। যে ছবির টিজার মুক্তির পর থেকেই হইচই পড়ে গিয়েছিল, অবশেষে সেই ছবি বড়পর্দায়। তবে এই ছবি সিনেমা হল পাওয়া নিয়ে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছিল। সেই সমস্যা কাটিয়ে বাংলা জুড়ে এখন শুধু খাদান আর খাদান। আর তাই তো দেবের খাদান মুক্তি পেতেই, দেবকে শুভেচ্ছা জানালেন জিৎ। সোশাল মিডিয়ায় তিনি লিখলেন, ”ব্যক্তিগত ভাবে দেবকে mass কমার্সিয়াল সিনেমাতে বেশি করে দেখতে চাই |”‘ফ্যামিলি নিয়ে ব্যস্ত আছি তো কী ভাবিছিস, অ্যাকশনটা ভুলে গেছি?’, দেবের এই সংলাপই ‘খাদান’ ছবি নিয়ে অনুরাগীদের উৎসাহ কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিয়েছিল।
তাতে সম্প্রতি ঘৃতাহুতি পড়ল ট্রেলারে। আর তা দেখে যা বোঝা যাচ্ছে, নতুন এই ছবিতে দ্বৈত চরিত্রে অভিনয় করছেন দেব। বাবা ও ছেলের ভূমিকায় দেখা যাবে টলিউড সুপারস্টারকে। যিশুকেও দুটি লুকে দেখা গিয়েছে। তবে সেটি তরুণ বয়স এবং বৃদ্ধ বয়সের। নতুন বছরের শুরুতেই ‘খাদান’-এর প্রথম ঝলক প্রকাশ করেছিলেন দেব। আর প্রথম সেই ঝলকেই অভিনেতা-প্রযোজক বুঝিয়ে দিয়েছিলেন এবারের বড়দিনে তিনি বড়পর্দায় বিস্ফোরণ ঘটাতে চলেছেন। দেব-যিশু, বরখা-ইধিকা ছাড়াও সিনেমায় অভিনয় করেছেন অনির্বাণ চক্রবর্তী, স্নেহা বসু, জন ভট্টাচার্য, সুজন নীল ভট্টাচার্য, বিশ্বজিৎ ঘোষের মতো অভিনেতা। ড়দিনেই দেবের জন্মদিন। এই উপলক্ষে প্রতিবছর অনুরাগীদের জন্য নতুন সিনেমা উপহার হিসেবে নিয়ে আসেন তারকা। ‘টনিক’, ‘প্রজাপতি’, ‘প্রধান’-এর পর এবার ‘খাদান’-এর পালা।

Card image cap

স্কুলে গিয়ে তুমুল নাচ শাহরুখ-অভিষেকের

বাবা সুপারস্টার। তাই ছেলেমেয়ের স্কুলের বার্ষিক অনুষ্ঠানে হাজার চেষ্টা করেও, তারকার তকমা সরিয়ে রাখতে পারলেন না শাহরুখ খান ও অভিষেক বচ্চন। প্রোগাম শুরুর প্রথমদিকে তবুও দর্শক আসনে বসে অন্যান্য মা-বাবাদের মতো অনুষ্ঠানের মজা নিচ্ছিলেন। চোখ ভরে দেখছিলেন আব্রাম ও আরাধ্যার পারফরম্যান্স। কিন্তু অনুষ্ঠান শেষ হতেই অন্য় চমক। অন্য মেজাজে শাহরুখ ও অভিষেক। ছেলেমেয়ের সহপাঠীদের আবদারে নেচে উঠলেন দুই তারকা। আর সেই ভিডিওই এখন ভাইরাল সোশাল মিডিয়ায়।সারাদিন হাজার ব্যস্ততা বলি তারকাদের। কিন্তু যখনই ছেলেমেয়েকে সময় দেওয়ার সময় আসে, তখন হাতের সব কাজ ফেলে ঠিক সময় করে নেন তাঁরা। অন্তত, শাহরুখ খান, ঐশ্বর্য রাই বচ্চন ও অভিষেক প্রতিবছর নিয়ম করে সন্তানদের স্কুলের বার্ষিক অনুষ্ঠানে আসেন। নাতনি আরাধ্যাকে মঞ্চে দেখতে আসেন দাদু অমিতাভ বচ্চনও। এবারও ঠিক এমনটিই হল। দর্শক আসনে বসে আরাধ্যা ও আব্রামের স্কুল ড্রামা দেখলেন শাহরুখ, অভিষেক, ঐশ্বর্যরা। ছেলেমেয়ের পারফরম্যান্স দেখে উচ্ছ্বাস ধরা পড়ছিল তাঁদের চোখে-মুখে। শাহরুখ, অভিষেক ক্যামেরাবন্দিও করলেন তাঁদের সন্তানদের অভিনয়। সব মিলিয়ে আম্বানিদের বার্ষিক অনুষ্ঠান ছিল যেন তারকার সমাবেশ।প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার ধীরুভাই আম্বানি স্কুলের বার্ষিক অনুষ্ঠান ছিল। ছোট থেকেই সেই স্কুলের পড়ুয়া আরাধ্যা। এবার সেই অনুষ্ঠানেই একফ্রেমে হাসিখুশি মেজাজে ধরা দিলেন অভিষেক-ঐশ্বর্য। দাদু অমিতাভ বচ্চনও উপস্থিত ছিলেন নাতনির পারফরম্যান্স দেখতে। এদিন সেখানে হাজির ছিলেন সইফ-করিনাও। কারণ তাঁদের দুই সন্তানও ধীরুভাই আম্বানি স্কুলের পড়ুয়া। তবে সবার থেকে লাইমলাইট কেড়ে নিয়ে যে অভিষেক-ঐশ্বর্য স্পটলাইটে, তা বলাই বাহুল্য! দম্পতিকে আবার রং মিলান্তি পোশাকেও দেখা গেল। অভিষেক-ঐশ্বর্য দুজনেই কালো রঙের পোশাক পরেছিলেন। প্রবেশ পথেই দেখা গেল, স্ত্রীয়ের ওড়না মাটিতে লুটিয়ে পড়তে দেখে পিছন থেকে সামলে দিলেন অভিষেক।

Card image cap

‘বাস্তবে ছ্যাঁচড়া-লম্পট, পর্দায় রাম!’

“নগ্ন হয়ে ছবি তোলে, ও কি শক্তিমান হবে?”, এর আগে রণবীর সিংয়ের ‘শক্তিমান’ হওয়ার খবর পেয়েই বেফাঁস মন্তব্য করেছিলেন মুকেশ খান্না। এবার বলিউডের আরেক রণবীরকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করে বসলেন। সদ্য নীতেশ তিওয়ারির ‘রামায়ণ’-এর শুট শেষ করেছেন কাপুরনন্দন। এবার সেই সিনেমা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে ফের বিস্ফোরক মুকেশ।টেলিপর্দায় ‘মহাভারত’ ধারাবাহিকে ভীষ্মর চরিত্রে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। পরে প্রথম ভারতীয় সুপারহিরো ‘শক্তিমান’-এর ভূমিকায় খ্যাতিলাভ করেন। তবে সেই লিগ্যাসির দায়িত্ব রণবীর সিংয়ের হাতে অর্পণ করতে নারাজ তিনি। বলিউড অভিনেতাকে ৩ ঘণ্টা নিজের অফিসে বসিয়ে রেখেও ‘শক্তিমান’-এর স্বত্ত্বে ছাড়পত্র দেননি মুকেশ। এবার পর্দায় রণবীর কাপুরকে রামের ভূমিকায় দেখতেও নারাজ তিনি। মুকেশের মন্তব্য, “‘অ্যানিম্যাল করার পর রামের চরিত্র অভিনয় করলে তাতে নেচিবাচক প্রভাব পড়বে। এক বলিউড সংবাদমাধ্যমের কাছে প্রবীণ অভিনেতা জানিয়েছেন, রামের চরিত্রে অরুণ গোভিল যা করে ফেলেছেন, সেটা ‘গোল্ডেন স্ট্যান্ডার্ড’। আমি এটাই বলব, রামের চরিত্রে যে কেউ অভিনয় করুক, তাঁকে দেখলে যেন রামের মুখটা ভেসে ওঠে। রাবণের মতো দেখতে যেন না হয় সে। বাস্তবজীবনে লম্পট, ছ্যাঁচড়া হলে পর্দাতেও সেটাই প্রতিভাত হবে। রামের চরিত্রে অভিনয় করতে হলে পার্টি করা, মদ খাওয়া সব বন্ধ করতে হবে। নির্মাতাদের কাস্টিংয়ের বিষয়ে আরও সচেতন হওয়া উচিত।”এরপরই প্রভাস-এর ‘আদিপুরুষ’ ছবির কথা উল্লেখ করে মুকেশ বলেন, “এত বড় তারকা হওয়া সত্ত্বেও প্রভাসকেও তো কেউ রামের ভূমিকায় মেনে নেয়নি। ও খারাপ অভিনেতা বলে নয়, আসলে ও রামের মতো দেখতেই নয়। এবার যিনি রামের চরিত্রে অভিনয় করছেন, তিনি তো আবার কাপুর পরিবারের বংশপ্রদীপ। দারুণ অভিনেতা। সদ্য অ্যানিম্যাল করেছেন, আর সেই ছবিতে ওর নেতিবাচক দিকটা দেখানো হয়েছে। এবার যদি আমি ওঁর মুখের দিকে তাকাইস রামের সঙ্গে কি মিল পাব? আশা করব, অ্যানিম্যাল-এর চরিত্রটা যেন রাম হিসেবে রণবীরকে দেখতে গিয়ে গোলমাল না করে।” প্রবীন অভিনেতার সংযোজন, “আমি এই বিষয়ে কোনও কথা বললেই লোকে আমাকে খারাপ ভাববে। মনে করবে, আমি সবসময়ে সব বিষয়ে কথা বলি। ইতিমধ্যেই আমার ভাবমূর্তি অনেক নষ্ট করা হয়েছে। এই তো সেদিন জ্যাকি শ্রফের ছেলেকে নিয়ে বললাম… আমি কিন্তু রুক্ষ্ম স্বভাবের মানুষ নই। নিজের মনের কথা বলে ফেলি। কেউ রামায়ণ বানালেন অরুণ গোভিল অভিনীত রামের সঙ্গে তুলনা আসবেই।”