CATEGORY entertain:

Card image cap

সারা বিশ্বে ‘পুষ্পা ২’র ঝোড়ো ইনিংস

‘রাপ্পা রাপ্পা’ করে একের পর এক রেকর্ড ভেঙে চলেছে ‘পুষ্পা ২: দ্য রুল।’ মাত্র চার দিনেই সারা বিশ্বের সিনেমা হল থেকে আটশো কোটি টাকার বেশি আয় করে ফেলেছে। তাও আবার দ্রুততম ভারতীয় সিনেমা হিসেবে। বাংলায় কত টাকা আয় করেছে আল্লু অর্জুন, রশ্মিকা মন্দানাদের ছবি? শোনা যাচ্ছে, ইতিমধ্যেই প্রায় ১৬ কোটি টাকার ব্যবসা করে ফেলেছে ছবিটি। আর টিকিটের চাহিদা এখনও তুঙ্গে।মুক্তির দিন থেকেই ঝোড়ো ইনিংস খেলছে ‘পুষ্পা ২: দ্য রুল।’ মাত্র দুদিনেই প্রায় সাড়ে চারশো কোটি টাকা আয় করে ফেলেছিল সুকুমার পরিচালিত ছবি। তিন দিনে ছুঁয়ে ফেলে পাঁচশো কোটি টাকার মাইলস্টোন। আর চতুর্থ দিনে সারা বিশ্বে ছবির আয় মোট ৮২৯ কোটি টাকা। সুতরাং, হাজার কোটির মাইলস্টোন ছোঁয়া শুধুই সময়ের অপেক্ষা।পুজোর সময় থেকেই বাংলার বক্স অফিস চাঙ্গা। ‘বহুরূপী’, ‘টেক্কা’, ‘শাস্ত্রী’র কল্যাণে হলমুখী হয়েছেন দর্শকরা। লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে দেখেছেন বাংলা ছবি। এবার ‘পুষ্পা ২: দ্য রুল’-এর পালা। ছবি নিয়ে খুশি কলকাতার হলমালিকরা। প্রাচী সিনেমা হলের কর্ণধার বিদিশা বসু সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, চার দিনে ছবিটি ৪ লক্ষ টাকা আয় করে ফেলেছে। রাত ১০.৪০ মিনিটে বাড়তি শো-ও দিতে হয়েছে। নবীনা সিনেমা হলে ছবির আয় প্রায় ১৬ লক্ষ টাকা (চার দিনে)। এমনটাই সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন সিনেমা হলের কর্ণধার নবীন চৌখানি।‘পুষ্পা ২: দ্য রুল’ নিয়ে রাজ্যের ডিস্ট্রিবিউটাররাও বেশ খুশি। তাঁদেরই একজন জানান, চার দিনে প্রায় ১৬ কোটি টাকা বাংলা থেকে আয় করে ফেলেছে আল্লু অর্জুন, রশ্মিকা মন্দানা, ফাহাদ ফাজিল অভিনীত ছবি। দেশের ব্যবসার নিরিখেও রেকর্ড করেছে ‘পুষ্পা ২’। পাঁচ দিনে তিনশো কোটির ক্লাবে ঢুকে পড়েছে ছবিটি। আর তাতেই শাহরুখ খানের ‘জওয়ান’ সিনেমাকে ছাপিয়ে গিয়েছে দাক্ষিণাত্যের সিনেমা। কারণ দেশের আয়ের হিসেবে ‘জওয়ান’ সিনেমার তিনশো কোটির মাইলস্টোন ছুঁতে লেগেছিল ৬ দিন।

Card image cap

নুসরতের আশীর্বাদ চাইল পড়ুয়া

শুরু হয়ে গিয়েছে পরীক্ষা। এমন মন দিয়ে পড়াশোনা করার সময়। তাই অনলাইনে আসার খুব বেশি সুযোগ নেই। যেটুকু সময় পাওয়া গিয়েছিল তাতেই প্রিয় নায়িকাকে বার্তা অনুরাগীর। পরীক্ষা যাতে ভালোভাবে হয়, তার জন্য নুসরত জাহানের কাছে আশীর্বাদ চাইল পড়ুয়া।শনিবার অনুরাগীর বার্তা ইনস্টাগ্রামে স্টোরি হিসেবে শেয়ার করেন। তাতে লেখা, ‘নুসরতদি, আমার সিবিএসই বোর্ডস পরীক্ষার জন্য সিলেকশন টেস্ট শুরু হয়ে গিয়েছে… তাই এত অনলাইনে আসতে পারছি না। আমি খুব খুশি হব যদি তুমি আমাকে একটু আশীর্বাদ কর… আমার প্রণাম নিও।’পড়ুয়ার এই বার্তা নুসরতের ফ্যানপেজ থেকে শেয়ার করা হয়। অভিনেত্রী যাতে পরীক্ষার্থীতে শুভেচ্ছা জানান, সেই অনুরোধও করা হয়। পরীক্ষার্থী ও অনুরাগীদের এই আবদার রাখেন নুসরত। পোস্টের একেবারে নিচে লেখেন, ‘গুড লাক।’ একটি ইমোজিও দিয়েছেন নায়িকা।এবারের লক্ষ্মীপুজোর দিন বড় চমক দিয়েছিলেন যশ-নুসরত। নিজেদের নতুন ছবি ‘আড়ি’র ঘোষণা করেছিলেন তাঁরা। ‘সেন্টিমেন্টাল’ ছবি থেকেই নিজের প্রযোজনা সংস্থা শুরু করেছেন নুসরত-যশ। সেই ব্যানারেই এই নতুন ছবি তৈরি করা হচ্ছে। ডিসেম্বর মাসেই ‘আড়ি’র শুটিং শুরু করতে চলেছেন নুসরত জাহান এবং যশ দাশগুপ্ত। তাঁর আগে তিরুপতি মন্দিরে গিয়ে পুজোও দিয়েছেন তারকা জুটি।পুজোর দিন নুসরতের পরনে ছিল ঐতিহ্যবাহী সোনালি পাড়ের দক্ষিণী শাড়ি। সিঁথিতে সিঁদুর। সেই সঙ্গে মানানসই দক্ষিণী ধাঁচের গয়নায় সেজেছিলেন নুসরত। অন্যদিকে যশ দাশগুপ্তকেও দেখা যায় দক্ষিণী স্টাইলে সাদা ধুতি-পাঞ্জাবি পরনে। গলায় উত্তরীয়ও ছিল। আর হাতে ছিল ‘আড়ি’ ছবির চিত্রনাট্য। আগামী বছরের পয়লা বৈশাখে নতুন এই ছবি মুক্তি পাবে। ছবিটি পরিচালনা করছেন জিৎ চক্রবর্তী। গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে থাকছেন মৌসুমী চট্টোপাধ্যায়।

Card image cap

ইউলিয়ার বাবা-মায়ের সঙ্গে সলমন

কড়া নিরাপত্তার মধ্যেই ‘দাবাং টুর’ শুরু করে দিয়েছেন সলমন খান। চূড়ান্ত ব্যস্ততা তারকার। এর মাঝেও সময় বের করে কাছের মানুষ ইউলিয়া ভান্তুরের বাবাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাতে পৌঁছে গিয়েছিলেন বলিউডের সুলতান। শুধু তাই নয় ইউলিয়া ও তাঁর বাবা-মায়ের সঙ্গে ‘ফ্যামিলি ফটো’ও তুলেছেন। এতেই নেটিজেনদের প্রশ্ন। তাহলে ‘প্রেমিকা’ ইউলিয়ার সঙ্গেই কি ভাইজানের বিয়ে পাকা?সংখ্যার বিচারে বয়স ৫৮। তাতে কী? বলিউডের মোস্ট এলিজেবল ব্যাচেলর সলমন খান। যেমন অ্যাকশনে কেতাদুরস্থ, তেমনই রোম্যান্টিক অবতারে সুপারহিট ভাইজান। জীবনে প্রেম একাধিকবার এলেও ছাদনাতলা অবধি আর যাওয়া হয়নি সল্লুর। তবে একাধিকবার সুপারস্টারের বিয়ের জল্পনা শোনা গিয়েছে। এই জল্পনায় এর আগেও ইউলিয়ার নামটি জড়িয়েছে।নিজের বাংলোতেই বিশেষ বান্ধবী ইউলিয়া ভান্তুরের জন্মদিন উপলক্ষে রাতপার্টির আয়োজন করেছিলেন সলমন খান। যেখানে উপস্থিত ছিলেন ভাইজানের পরিবারের সদস্যরা। হাসিমুখেই সকলে ক্যামেরার সামনে পোজ দিয়েছিলেন। বার্থডে গার্ল নিজেও সেই ছবি শেয়ার করে পালটা ভালোবাসা জানিয়েছিলেন।
শুধু তাই নয়, আম্বানিদের বিয়ের অনুষ্ঠানেও ইউলিয়া ভান্তুরকে নিয়ে গিয়েছিলেন সলমন খান। একসঙ্গে তাঁদের নাচতেও দেখা যায়। নভেম্বর মাসের ২৪ তারিখ ছিল সলমনের বাবা সেলিম খানের জন্মদিন। বর্ষীয়ান চিত্রনাট্যকারকে জড়িয়ে ধরে তোলা ছবি পোস্ট করেন ইউলিয়া। জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে লেখেন, ‘আমার অন্যতম প্রিয় একজন মানুষকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা। এই মানুষটাই ভারতে আমাকে পরিবারের মতো অনুভূতি দিয়েছেন। চির কৃতজ্ঞ।’শনিবার নিজের বাবাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে ইউলিয়া লেখেন, ‘হ্যাপি বার্থ ডে বাবা। তোমায় খুব ভালোবাসি আর অনেক ধন্যবাদ। একসঙ্গে দুই হিরো।’ ইউলিয়া এবং তাঁর পরিবারের সঙ্গে সলমনের এই সখ্যতা দেখেই আশায় বুক বাঁধছেন অনুরাগীরা। তাহলে এবার ভাইজান বিয়ের কথা ভাবছেন? এই প্রশ্ন তাঁদের মনে।

Card image cap

KIFF-এও চিন্ময় প্রভুর গ্রেপ্তারির আঁচ!

বাংলার মাটিতে বিশ্ব সিনেমা দেখার সুবর্ণ সুযোগে কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব। এই কয়েকটা দিন কলকাতার সংস্কৃতি চর্চার কেন্দ্রস্থল নন্দন চত্বরে সিনেপ্রেমী মানুষজনের ভিড়ের ছবিটা প্রতি বছরের। এবছরও তার ব্যতিক্রম নেই। আনন্দ করে দেশি, বিদেশি সিনেমা দেখছেন নানা বয়সি দর্শকরা। তবে শনিবার সেই আনন্দের মাঝে দেখা গেল প্রতিবাদের ছবি। বাংলাদেশ পরিস্থিতির আঁচ নন্দন চত্বরে। শিল্পীরা জমায়েত করে গানে, কবিতায় প্রতিবাদ জানালেন। দাবি দুই, ইসকনের সন্ন্যাসী চিন্ময় প্রভুর নিঃশর্ত মুক্তি এবং জাতীয় পতাকা অবমাননায় অভিযুক্তদের উপযুক্ত শাস্তি।শনিবার বিকেলে নন্দন চত্বরের রানুছায়া মঞ্চের সামনে দেখা গেল জাতীয় পতাকা হাতে প্রতিবাদে নেমেছেন কালচার অফ লিটারারি ফোরামের বেশ কয়েকজন শিল্পী। চলছে আবৃত্তি, গান, নাচ। বঙ্গ সংস্কৃতির মধ্যে দিয়েই তাঁরা প্রতিবাদে মুখর হয়েছে। বিশ্ব সিনেমার প্রদর্শনীর মাঝেও কাঁটা বাংলাদেশ ইস্যু। গত কয়েক সপ্তাহে প্রতিবেশী দেশের পরিস্থিতি বাংলা ভাষাভাষী মানুষজনের স্বাভাবিক ঐক্য, আদানপ্রদানের পরিবেশ অনেকটাই বদলে দিয়েছে। বাংলাদেশে হিন্দু নির্যাতনের বিরুদ্ধে এদেশের সংস্কৃতি সমাজের গর্জে ওঠা স্বাভাবিক। আর কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব হয়ে দাঁড়াল সেই প্রতিবাদের মঞ্চ।প্রতিবাদী শিল্পীদের দাবি দুই। চিন্ময় কৃষ্ণ প্রভুর নিঃশর্ত মুক্তি এবং জাতীয় পতাকার অবমাননার কড়া শাস্তি।ওপার বাংলার বিশ্ববিদ্য়ালয়ের পড়ুয়াদের পদতলে তেরঙ্গা – এই ছবি দেখে প্রতিবাদ জানিয়েছেন সে দেশেরই বিশিষ্টজনরা। আর এপার বাংলায় তো বিক্ষোভ স্বতঃস্ফূর্ত। বিশেষত তা যদি বিশ্ব মঞ্চ হয়, তবে তার প্রভাব পড়বে আরও বেশি।  এদিনের প্রতিবাদে শামিল হন অভিনেত্রী তথা বিজেপির লকেট চট্টোপাধ্যায়, জিতেন্দ্র তিওয়ারি। শামিল হন কবি, সাহিত্যিকরাও। এবছর চলচ্চিত্র উৎসবে বাংলাদেশের কোনও ছবি দেখানো হচ্ছে না। তবে সংস্কৃতির প্রাঙ্গণেই বাংলাদেশ ইস্যুতে প্রতিবাদ আছড়ে পড়ল। 

Card image cap

গুরুতর অসুস্থ সায়রা বানু

গুরুতর অসুস্থ বলিউডের বর্ষীয়াণ অভিনেত্রী সায়রা বানু। সূত্রের খবর, তাঁর শারীরিক অবস্থা বেশ সঙ্কটজনক। জানা গিয়েছে, নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন তিনি। সায়রা বানুর হাঁটুতে দু’টি ব্লাড ক্লট ধরা পড়েছে।সূত্র থেকে পাওয়া খবর অনুযায়ী, বেশ কয়েক সায়রা বানুর শারীরিক অবস্থা ভাল নেই। বাড়িতে তিনি ঠিক মতো চলাফেরাও করতে পারছেন না। আপাতত বাড়িতেই চিকিৎসকদের কড়া নজরে রয়েছেন তিনি। তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হবে কিনা, তা সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।দিলীপ কুমারের থেকে বয়সে ২২ বছরের ছোট ছিলেন সায়রা বানু। বয়সকে এক পাশে সরিয়ে দিলীপ কুমারকে চুপি চুপি মনও দিয়ে ফেলেছিলেন সায়রা। তবে দিলীপ সাহাব একেবারেই সেটা টের পাননি প্রথমে। ততদিনে শাম্মি কাপুরের বিপরীতে বলিউডে পা দিয়ে ফেলেছেন সায়রা। তাঁর মিষ্টি চেহারা নিয়ে বলিউডে সেই সময় নানা কথা। দিলীপ কুমারেও চোখ এড়িয়ে যায়নি। সায়রার মিষ্টি স্বভাবে অল্প হলেও মন মজেছিল দিলীপ কুমারের। শোনা যায়, প্রথম দেখাতে নাকি সায়রার ভূয়সী প্রশংসা করেছিলেন দিলীপ। আর তা শুনে সায়রা একেবারেই লজ্জায় লাল। সেই প্রথম আলাপের পরেই প্রেমের সূত্রপাত।১৯৬৬ সালের ১১ অক্টোবর সায়রার সঙ্গে বিয়ে করেন দিলীপ কুমার। তখন সায়রার বয়স ২২, দিলীপ কুমারের ৪৪। দিলীপ কুমার তাঁর বায়োগ্রাফিতে লিখেছিলেন, সায়রার গর্ভে এসেছিল সন্তান। তবে সন্তানধারনের পর সায়রা অসুস্থ হয়ে পড়েন। চিকিৎসক বাঁচাতে পারেনি দিলীপ-সায়রার সন্তানকে। ঠিক এই ঘটনার পরেই দিলীপ কুমার ১৯৮১ সালে ফের বিয়ে করেন। যা কিনা টিকে ছিল মাত্র দু’বছর। প্রেমের টানে ফের সায়রার কাছেই ফিরে আসেন তিনি। বায়োগ্রাফিতে দিলীপ সাহাব জানিয়েছেন, দ্বিতীয় বিয়ের সিদ্ধান্ত আমার জীবনের সবচেয়ে বড় ভুল ছিল।অন্যদিকে, দিলীপের সংসারে মন দিতেই নিজের কেরিয়ারকে ছেড়ে ছিলেন সায়রা। দিলীপ সাহাবকেই জীবনের মূলমন্ত্র করেছিলেন তিনি। হঠাৎ করে স্বামী ছেড়ে যাওয়ায় ভেঙেও পড়েছিলেন সায়রা। তবে দিলীপের প্রতি ভালবাসা একটুও কমেনি। বরং দিলীপ সাহাবের কথা উঠলেই সায়রা বলতেন দিলীপ কুমার আমার কাছে কোহিনুর। যার প্রেমে সারাজীবন আবদ্ধ থাকব! ২০২১ সালের জুলাই মাসে প্রয়াত হন দিলীপ কুমার।

Card image cap

তারাপীঠে দেব, ‘খাদান’ প্রচার নাকি ‘রঘু ডাকাত’ ছবির শুটিং?

খাদান ছবির প্রচারে একেবারে দিনরাত এক করছেন দেব। কখনও দুর্গাপুর তো, কখনও আসানসোল। বাসে করে, ছবির টিম নিয়ে বাংলার মাটিতে ‘খাদান’ নিয়ে ঘুরছেন টলিউডের ‘রাজার রাজা’। আর শুক্রবার সাত সকালে দেব পৌঁছলেন তারাপীঠে। মায়ের কাছে পুজো দিলেন ভক্তিভরে। তাঁর একটাই প্রার্থনা, সবাই ভালো থাকুক। সুস্থ থাকুক। ‘খাদান’ ছবির সাফল্য চেয়ে তারা মায়ের কাছে পুজো দিলেন দেব।সূত্রের খবর, তবে শুধু ‘খাদান’-এর জন্য পুজো নয়, তারাপীঠ মন্দির থেকে দেব রওনা দেন তাঁর নতুন ছবির শুটিং স্পটে।  মনে করা হচ্ছে, পরিচালক ধ্রুব বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘রঘু ডাকাত’ ছবির শুটিংয়ের জন্যই এই মুহূর্তে বীরভূমে রয়েছেন তিনি। তবে এই নিয়ে মুখ খুলতে চাননি ছবির টিম।বাংলার ডাকাত নিয়ে যোগেন্দ্রনাথ গুপ্তের লেখা রঘু ডাকাতের রোমাঞ্চকর গল্পের কথা প্রায় সবাই জানেন। যে রঘু ডাকাতের দাপটে ইংরেজদের বুক কেঁপে উঠত, সেই রঘুর ইংরেজদের প্রতি বিদ্রোহও বাংলার লোককথায় স্থান পায়। লোককথা অনুয়ায়ী, হুগলি জেলার মগরায় বাসুদেবপুর গ্রামে ছিল রঘু ডাকাতের আস্তানা। সেখানেই নাকি একসময় প্রতিষ্ঠিত ছিল এক কালীমন্দির। নাম ডাকাতে কালী। পরে সেই মন্দির ‘রঘু ডাকাতের মন্দির’ হিসেবেও বিখ্যাত হয়। তিনি কিন্তু সাধারণ মানুষের কাছে ডাকাত নয়, ছিলেন বাংলার রবিনহুড। ধনীদের থেকে ধন ডাকাতি করে, তা দিয়ে সেবা করতেন সাধারণের। মেয়েদেরকে অগাধ সম্মান করতেন তিনি। এমনই এক জ্বলন্ত ও বিদ্রোহী চরিত্রকে বড়পর্দায় এবার নিয়ে আসছেন দেব ও পরিচালক ধ্রুব বন্দ্যোপাধ্যায়।২০২১ সালে এই ছবির ঘোষণা করেছিলেন দেব ও পরিচালক ধ্রুব বন্দ্যোপাধ্যায়। ‘রঘু ডাকাত’ ছবির ফার্স্টলুক শেয়ার করে দেব লিখেছিলেন, ‘আজ এই নিশি অমাবস্যায় শক্তি আরাধনার এই পুণ্য লগ্নে এক অজানা কাহিনীর উন্মোচন, নীল বিদ্রোহে সামিল হয়ে ইংরেজদের বিরুদ্ধে লড়াই করা রঘু ডাকাত’।

Card image cap

ভেঙে ফেলা হল আমির খানের ৪০ বছরের অ্যাপার্টমেন্ট!

আচমকাই ভেঙে ফেলা হল আমির খানের মুম্বইয়ের অভিজাত পালি হিলের অ্যাপার্টমেন্ট। আসলে বলিউড তারকা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, এটি নতুন করে নির্মাণের। তিনি যে এমনটা করতে চলেছেন, তা গত বছর থেকেই শোনা যাচ্ছিল। অবশেষে শুরু হল কাজ।মুম্বইয়ের অভিজাত অঞ্চল পালি হিল। সেখানেই বেলা ভিস্তা ও মারিনা নামের দুটি বিলাসবহুল আবাসনের ২৪টি ফ্ল্যাটের মধ্যে ৯টিই আমিরের। জানা যাচ্ছে, সেগুলি নবনির্মাণ করা হবে। এই পুরো বিষয়টির সঙ্গেই আমির যুক্ত রয়েছেন। তিনি এবং আরও যাঁদের এখানে ফ্ল্যাট রয়েছে তাঁরা এবার ৫৫ থেকে ৬০ শতাংশ বেশি এলাকা পাবেন বসবাসের জন্য। খরচ পড়বে প্রতি বর্গ ফুটে ৮০ হাজার থেকে ১ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা। ওই অ্যাপার্টমেন্টগুলি চল্লিশ বছরের পুরনো। এখানে গোড়া থেকেই থাকেন আমির ও তাঁর পরিবার। এবার সিদ্ধান্ত, সেগুলি ভেঙে ফেলে নতুন করে তৈরি করার। জানা যাচ্ছে, প্রথমে বাকি আবাসিকদের ততটা উৎসাহ না থাকলেও পরে সকলেই রাজি হয়ে যান বলিউড তারকার প্রস্তাবে।প্রসঙ্গত, আমিরের শেষ মুক্তিপ্রাপ্ত ছবি ছিল ‘লাল সিং চাড্ডা’। সেটি বক্স অফিসে মুখ থুবড়ে পড়ে। তবে ২০২৩ সালে ‘লাপাতা লেডিজ’ ছবিটি প্রযোজনা করেছিলেন আমির। যদিও ছবিতে তিনি অভিনয় করেননি। এই মুহূর্তে আমির ব্যস্ত ‘তারে জমিন পর’-এর সিকোয়েল ‘সিতারে জমিন পর’-এর কাজে। ছবিটি মুক্তি পাবে ২০২৫ সাল নাগাদ। ছবিতে আমিরের বিপরীতে দেখা যাবে অভিনেত্রী জেনেলিয়া দেশমুখকে। ২০১৮ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত স্প্যানিশ ছবি ‘চ্যাম্পিয়নস’ অবলম্বনে তৈরি হবে ছবিটি।

Card image cap

আল্লু আর্জুনের ‘ফায়ার’ কতটা?

প্রায় তিন বছর ধরে ‘পুষ্পা’র সিক্যুয়েলের অপেক্ষায় ছিলেন অনুরাগীরা। প্রত্যাশা পাহাড় প্রমাণ। কিন্তু এ তো পুষ্পা! ‘ঝুকেগা নেহি।’ যে চন্দনকাঠের চোরাকারবারের মজদুর হিসেবে পুষ্পা কাজ করেছে, আজ সেই চোরাকারবারের সিন্ডিকেটের মাথা সে। প্যান ইন্ডিয়া নয়, এবার সে নিজের নাম ছড়াতে চায় আন্তর্জাতিক মার্কেটে। বাধা সেই পুলিশ অফিসার শেখাওয়াত। চোর-পুলিশের খেলার মাঝেই রাজনীতির জটিলতা-কূটিলতা। সেখানে আবার রয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বীর প্রতাপ রেড্ডি। সমস্ত কিছুর সামনে বুক চিতিয়ে দাঁড়িয়ে একা পুষ্পা। একাই একশো। যেমন অ্যাকশন করতে পারে, তেমনই স্ত্রী শ্রীভল্লির সঙ্গে চুটিয়ে রোম্যান্স করতে পারে।এবারে একেবারে ইন্টারন্যাশনাল এন্ট্রি হয়েছে আল্লু অর্জুনের। জাপানে দেখা গিয়েছে পুষ্পাকে। কেন? তা হয়তো পরবর্তী সিনেমায় দেখা যাবে। ভবিষ্যতের সামান্য আভাস দিয়েই অতীতের গল্পে চলে গিয়েছেন পরিচালক সুকুমার। সেখানে পুষ্পার ছোটবেলার যন্ত্রণা দেখা গিয়েছে। অতীতের সেই ছায়া পুষ্পার বর্তমানকেও তাড়া করে বেড়ায়। কেন, কীভাবে, এমন প্রশ্নের উত্তর সিনেমা হলের জন্য তুলে রাখাই ভালো।এবার আসা যাক অভিনয়ের কথায়। ছবির প্রাণভোমরা অবশ্যই আল্লু অর্জুন। দাক্ষিণাত্যে ‘স্টাইলিং স্টার বানি’ হিসেবে অভিনেতার খ্যাতি রয়েছে। সেই ‘সোয়্যাগ’ তিনি পুষ্পার ক্ষেত্রেও বজায় রেখেছেন। অভিনেতাকে দেখতে দেখতে আটের দশকের ‘দয়াবান’ সিনেমার বিনোদ খান্নার কথা মনে পড়েছে। আল্লুর অভিনয়ের সেরা পাওনা কালী অবতারে তাণ্ডব নৃত্য। শাড়ি-চুড়ি পরে নারী রূপ ধারণ করেই চূড়ান্ত পৌরুষের বার্তা দিয়েছেন তারকা। আবার স্ত্রীর কথা শুনলে ও না শুনলে কী হয় তাও জানিয়েছেন।শ্রীভল্লি হয়ে এবারেও হিসেবে আল্লুকে সঙ্গত দিয়েছেন রশ্মিকা মন্দানা। শুধু একটি সময়ে নায়িকা মনোলগ বলার সুযোগ পেয়েছেন, সেটুকুই কাজে লাগিয়েছেন। বাকি অভিনেতাদের মধ্যে যাঁর কথা বলতে হয় তিনি ফাহাদ ফাজিল। শেখাওয়াতের চরিত্রে যে ছটফটানি প্রয়োজন ছিল, তা তিনি সুদক্ষভাবে ক্যামেরার সামনে ফুটিয়ে তুলেছেন। তবে পুষ্পা-শেখাওয়াতের দ্বৈরথের মধ্যে কমেডির প্রলেপ না দিলেও চলত। রাও রমেশ, সৌরভ সচদেব, জগপতিবাবুরা পার্শ্ব চরিত্র হিসেবে নিজেদের ভূমিকা পালন করেছেন।‘পুষ্পা: দ্য রাইজ’ সিনেমার গান তুমুল ভাইরাল হয়েছিল। এখনও অনুরাগীদের মুখে মুখে ফেরে ‘শ্রীভল্লি’, ‘স্বামী স্বামী’, ‘উ আন্টওয়া’। সেই তুলনায় ‘পুষ্পা: দ্য রুল’ সিনেমার গান বড়ই দুর্বল। ‘স্বামী’ গানের নতুন ভার্সান ছাড়া আর কোনও গানই মন কাড়তে পারল না। তার চেয়ে ব্যাকগ্রাউন্ড স্কোর বেশি বলিষ্ঠ। এ ছবিতে সামান্থা রুথ প্রভুর দুরন্ত নাচ না দেখতে পাওয়ার আক্ষেপও রইল। ‘উ আন্টওয়া’ গানে নায়িকা যে উষ্ণ আবহ তৈরি করেছিলেন তা করতে পারলেন না শ্রীলীলা। সবমিলিয়ে বলতে গেলে ছবির প্রথমার্ধের কিছু জায়গা ধীর গতির। তবে দ্বিতীয় ভাগ টানটান ও অ্যাকশনে ভরপুর। আর সেখানেই রয়েছে ‘পুষ্পা ৩: দ্য র‌্যামপেজ’-এর আভাস।

Card image cap

প্রয়াত বৌদ্ধ পণ্ডিত সুনীতিকুমার পাঠক

শতবর্ষ পেরিয়ে প্রয়াত হলেন রাষ্ট্রপতি পুরস্কার প্রাপ্ত বৌদ্ধ পণ্ডিত সুনীতিকুমার পাঠক। তিনি বিশ্বভারতীর প্রবীণ আশ্রমিক ছিলেন। মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ১০১ বছর। বার্ধক্যজনিত নানা সমস্যায় ভুগছিলেন আজীবন বৌদ্ধ শাস্ত্রে মগ্ন থাকা সুনীতিকুমার পাঠক। কিন্তু তাতে থেমে ছিল না চর্চা। বুধবার রাতে শান্তিনিকেতনের অবনপল্লির বাড়িতেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। বৌদ্ধ পণ্ডিতের প্রয়াণে শোকের ছায়া শান্তিনিকেতনের সংস্কৃতি মহলে।১৯২৪ সালের ১ মে পশ্চিম মেদিনীপুর মলিঘাট গ্রামে তাঁর জন্ম। মাত্র দুবছর বয়সে মাকে হারান সুনীতি। এর পর মামার বাড়িতে বড় হয়ে ওঠা। প্রথমে সংস্কৃত কলেজ ও পরে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশোনা করেন সুনীতিকুমার। ছাত্রবৃত্তি পেয়ে তিব্বতি ভাষাশিক্ষায় মনোনিবেশ করেছিলেন। জীবন শুরু মেদিনীপুরের প্রত্যন্ত অঞ্চলের স্কুলের অস্থায়ী শিক্ষক হিসেবে। এর পর ১৯৫৪ সালে ২০৫ টাকা বেতনে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের পুঁথি বিভাগে যোগদান করেন সুনীতিকুমার পাঠক। তাঁর বৌদ্ধ দার্শনিক হিসেবে খ্যাতি জগৎজোড়া। মৃত্যুর দিন পর্যন্তও তাঁর বাসভবনে তিব্বতের সাহিত্য, ভাষা, ধর্ম, ও সংস্কৃতি নিয়ে নিরলস গবেষণা করেছেন অধ্যাপক। দেশে এবং বিদেশে বৌদ্ধবিদ্যা চর্চায় পরিচিত এবং শ্রদ্ধেয় একটি নাম।শুধু বৌদ্ধবিদ্যাচর্চায় নয়, প্রাচীন ভারতের বহু সাধনালব্ধ বহু শতাব্দীর যে অতীত জ্ঞান, তা তাঁর করতলে আমলকীবৎ। ভারতের রাষ্ট্রপতি পুরস্কার-সহ বহু সম্মানে তিনি ভূষিত হয়েছেন। মহাবোধি সোসাইটি তাঁকে ভাণক এবং মঞ্জুশ্রী সম্মানে সম্মানিত করেছে। এশিয়াটিক সোসাইটি থেকে তিনি পেয়েছেন এস. সি. চক্রবর্তী স্বর্ণ পদক। ২০১৮ সালে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পেয়েছেন দেশিকোত্তম। দুশোর বেশি প্রবন্ধ ছাড়াও বহু গভীর দৃষ্টিসম্পন্ন নিবন্ধের রচয়িতা তিনি। বাংলা, ইংরেজি, হিন্দি, সংস্কৃত, পালি, প্রাকৃত, তিব্বতী, চিনা, মঙ্গোলিয়া – নয় ভাষাতেই তিনি সমান সাবলীল ছিলেন। তাঁর প্রয়াণে ভাষাচর্চা ক্ষেত্রে শূন্যতা সৃষ্টি হল।মৃত্যু সংবাদ পাওয়া মাত্রই বৃহস্পতিবার সকাল থেকে শান্তিনিকেতনের বাসভবনে শ্রদ্ধার্ঘ্য জানান বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিনয় কুমার সোরেন, জেলা সভাধিপতি কাজল শেখ, আশ্রমিক কল্পিকা মুখোপাধ্যায়, কিশোর ভট্টাচার্য, ভ্রমর ভাণ্ডারী, নুরুল হক-সহ অগণিত পড়ুয়া ও অন্যান্যরা। বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিনয় কুমার সোরেন জানান, “গবেষণার সুবাদে তাঁর সংগ্রহে ছিল প্রাচীন তালপাতার পুঁথির ভাণ্ডার। যা ভাষাচর্চার জগতে অমূল্য সম্পদ। তাঁর চলে যাওয়া অপূরণীয় ক্ষতি শুধু শান্তিনিকেতনে নয় সারা বিশ্বের কাছে।”সভাধিপতি কাজল শেখের বক্তব্য, “হিমালয়ের দুর্গম এলাকা-সহ দেশ, বিদেশের বিভিন্ন জায়গায় পায়ে হেঁটে ঘুরে তিনি সংগ্রহ করেছিলেন একাধিক মূল্যবান পুঁথি৷ তাঁর মত ব্যক্তিত্ব বিরল। আগামী দিনে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম গবেষণার মধ্যে দিয়েই তাকে স্মরণ করবেন।” তাঁর কথা শুনে শুনে যিনি লিখে যেতেন রবীন্দ্রনাথ হেমব্রম। তিনি বলেন, “দীর্ঘ দশ বছর ধরে নিজে আর লিখতে পারতেন না। জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত উনি বলে যেতেন, আমি লিখতাম৷ ওঁর মতো পণ্ডিত ব্যক্তি আমি আর দেখিনি। আমরা সকলেই ভারাক্রান্ত।” এদিন সন্ধ্যায় কংকালীতলা শ্মশানে শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়।

Card image cap

সৌরভের মুখে বাংলা সিনেমার জয়গান

৩০তম আন্তর্জাতিক কলকাতা উৎসবে হ্যাটট্রিক করে ফেললেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। এই নিয়ে তৃতীয়বার ফিল্মোৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি। আর সেখানেই বাংলার ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসডরের মুখে মমতাস্তুতি। বক্তৃতাতর শুরুতেই মহারাজ বললেন, “দিদি সবার খেয়াল রাখে।”এদিন কিফ-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের সূচনা হয় ডোনা গঙ্গোপাধ্যায়ের ডান্স ট্রুপের পারফরম্যান্স দিয়ে। মুখ্যমন্ত্রীর লেখা গানেই নৃত্য পরিবশন করেন খ্যাতনামা নৃত্যশিল্পী তথা সৌরভঘরনি ডোনা। তার পরই মুখ্যমন্ত্রীর আমন্ত্রণে প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করে ফিল্মোৎসবের সূচনা করেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। তারকা সাংসদ রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় মহারাজকে সংবর্ধনা জানান। তাঁর সংক্ষিপ্ত ভাষণে একাধিকবার শোনা গেল মমতার আতিথেয়তার প্রশংসা। মঞ্চে দাঁড়িয়েই সৌরভ বলেন, “মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীকে মন থেকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। প্রতিবারই তাঁর উদ্যোগে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানের উষ্ণতা আমাকে স্পর্শ করে। এই নিয়ে আমি তৃতীয়বার আন্তর্জাতিক কলকাতা ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে এলাম। দিদিকে অনেক ভালোবাসা। উনি সবার খেয়াল রাখেন। মঞ্চে উপবিষ্ট সকলের আলাদা করে যত্ন নেন, কে, কোথায় বসে আছেন? কিংবা তাঁদের ঠিকমতো সংবর্ধনা দেওয়া হল কিনা, সব দিকে নজর থাকে দিদির। আর এটাই প্রমাণ করে দেয় যে, ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের সঙ্গে মমতাদি কী ভীষণভাবে জুড়ে রয়েছেন।”মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশংসা করার পাশাপাশি এদিন আন্তর্জাতিক সিনেদুনিয়ার ব্যক্তিত্বদের সামনে বাংলা সিনেমার লিগ্যাসির কথাও মনে করিয়ে দিলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। সত্যজিৎ রায়, ঋত্বিক ঘটক, মৃণাল সেন- বাংলা সিনেমার এই ত্রয়ীর সঙ্গে বর্তমান প্রজন্মের পরিচালকদেরও বাহবা জানান মহারাজ। তিনি মনে করিয়ে দেন, বাংলা ছবি কতটা সমৃদ্ধ করে দর্শকদের। তাঁর কথায়, “খেলা এবং সিনেমা- এই দুটোই তো মানুষকে বিনোদন দেয়। আর কলকাতা চলচ্চিত্র উৎসবে বিশ্বের নানা ছবি দেখা যায়।” মঞ্চে উপস্থিত ফ্রান্স, আর্জেন্টিনা, ইরানের বিশিষ্ট সিনে ব্যক্তিদের কাছে তিলোত্তমার সৌন্দর্যের কথাও তুলে ধরলেন বাংলার ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসডর সৌরভ।প্রসঙ্গত, বুধবার ধনধান্য অডিটোরিয়ামে বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের মাধ্যমে উদ্বোধন হল ৩০তম কলকাতা ফিল্মোৎসবের। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডাকে সাড়া দিয়ে হাজির সিংহভাগ টলিউড। আন্তর্জাতিক কলকাতা চলচ্চিত্র উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের সঞ্চালনার দায়িত্বে যিশু সেনগুপ্ত এবং জুন মালিয়া। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাবনায় নচিকেতা চক্রবর্তীর কণ্ঠে শোনা গেল, আন্তর্জাতিক কলকাতা ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের থিম সং।

Card image cap

KIFF-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে চাঁদের হাট

বাঙালির বারো মাসে যদি তেরো পার্বণ হয়, তাহলে চোদ্দ নম্বর পার্বণ হিসেবে নিঃসন্দেহে আন্তর্জাতিক কলকাতা চলচ্চিত্র উৎসবের নামোল্লেখ করা যায়। বুধবার ধনধান্য অডিটোরিয়ামে বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের মাধ্যমে উদ্বোধন হল ৩০তম কলকাতা ফিল্মোৎসবের। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডাকে সাড়া দিয়ে হাজির সিংহভাগ টলিউড। শত্রুঘ্ন সিনহা, সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়দের পাশে নিয়ে প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করে KIFF-এর উদ্বোধন করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশে ছিলেন তারকা সাংসদ দেবও।অনুষ্ঠানের মঞ্চে উপস্থিত মাধবী মুখোপাধ্যায়, দীপঙ্কর দে, সব্যসাচী চক্রবর্তী, চিরঞ্জিৎ চক্রবর্তী, দেব, সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়, দুলাল লাহিড়ী, শতাব্দী রায়, পাওলি দাম, দেবলীনা কুমার, সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়, সৌমিতৃষা কুণ্ডু-সহ আরও অনেকে। সাংসদ-অভিনেতা শত্রুঘ্ন সিনহা এবং সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে সংবর্ধনা জানালেন তারকা সাংসদ রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়কেও সংবর্ধনা জানানো হল। রঞ্জিৎ মল্লিক, দীপঙ্কর দে-কে সংবর্ধনা জানালেন রুক্মিণী মৈত্র। চিরঞ্জিৎ, সব্যসাচীকে সংবর্ধনা জানালেন কৌশানী মুখোপাধ্যায়। মঞ্চে ‘টেক্কা’ স্মৃতি উসকে দিয়ে সৃজিতকে সংবর্ধনা জানালেন দেব। প্রিয় ‘দিদি’র ডাকে সাড়া দিয়ে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে হাজির টেলিপর্দার একঝাঁক তারকাও। ‘থালি গার্ল’-এর ভূমিকায় তৃণা সাহা।আন্তর্জাতিক কলকাতা চলচ্চিত্র উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের সঞ্চালনার দায়িত্বে যিশু সেনগুপ্ত এবং জুন মালিয়া। মুখ্যমন্ত্রীর লেখা গানে ডোনা গঙ্গোপাধ্যায়ের নৃত্য পরিবেশনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সূচনা হল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাবনায় নচিকেতা চক্রবর্তীর কণ্ঠে শোনা গেল, আন্তর্জাতিক কলকাতা ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের থিম সং। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সংবর্ধনা জানালেন রুক্মিণী মৈত্র। তারকা সমাবেশে চলচ্চিত্র উৎসবে হালকা মেজাজেও ধরা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। কখনও দেবের সঙ্গে কথোপকথনে দেখা গেল তাঁকে। আবার কখনও বা উদ্বোধনের আগে দর্শকাসনে বসে গনগুনিয়ে গানও গাইলেন তিনি। এদিন উদ্বোধনী ছবি হিসেবে দেখানো হচ্ছে তপন সিনহার ‘গল্প হলেও সত্যি’। কিংবদন্তি পরিচালকের জন্মশতবর্ষও পালিত হচ্ছে এবারের উৎসবে। বিশেষ শ্রদ্ধা জানানো হচ্ছে মনোজ মিত্র, উৎপলেন্দু চক্রবর্তী, গৌতম হালদারের মতো ব্যক্তিত্বকে। এবারের ফোকাস কান্ট্রি ফ্রান্স।

Card image cap

বিপদ বুঝে কী করলেন আল্লু অর্জুন?

৫ ডিসেম্বর মুক্তি পেতে চলেছে আল্লু অর্জুনের ‘পুষ্পা ২’। ইতিমধ্য়েই ‘পুষ্পা’ ঝড়ে কাবু গোটা দেশ। আর সেই ঝড়ের ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে, ‘পুষ্পা ২’-এর দেশ জুড়ে প্রচারের সময়ই। এই যেমন সোশাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। যেখানে দেখা গিয়েছে, মঞ্চে বসে রয়েছেন আল্লু অর্জুন। আর তার দিকেই রীতিমতো উড়ে এসে পড়লেন এক অনুরাগী!হ্যাঁ, সম্প্রতি ঠিক এমনই ঘটেছে। যে ভিডিওটি ভাইরাল হয়েছে, সেখানে দেখা গিয়েছে এক অনুরাগী, সেলফি তোলার আবদার নিয়ে রীতিমতো মঞ্চে বসে থাকা আল্লু অর্জুনের দিকে ঝাঁপিয়ে পড়েন। নিরাপত্তারক্ষীরা তাঁকে আটকাতে গেলে, অভিনেতার পা জড়িয়ে ধরেন সেই ভক্ত। গোটা কাণ্ডে প্রথমে তো হতবাক হয়ে যান ‘পুষ্পা’ অভিনেতা। পরে অবশ্য় নিরাপত্তারক্ষীকে সরিয়ে ভক্তর সঙ্গে কথাও বলেন, ছবিও তোলেন, জড়িয়েও ধরেন। এই ঘটনার পরেই মাইক হাতে ভক্তদের শান্ত থাকার অনুরোধও করেন আল্লু অর্জুন।প্রসঙ্গত, ‘পুষ্পা ২’ বিশ্বের ৩ হাজার লোকেশনে বাংলা, হিন্দি-সহ তামিল, তেলুগু, মালয়লম, কন্নড়ের মতো আরও চারটি ভাষায় মুক্তি পাবে ‘পুষ্পা ২: দ্য রুল’। যা মুক্তির আগেই ৪০০ কোটির বেশি ব্যবসা করে ফেলেছে। দক্ষিণী সিনে ইন্ডাস্ট্রির সিনে বিশেষজ্ঞদের মতে, এই ছবি ওপেনিং ডে-তেই কেজিএফ ২-এর ব্যবসার রেকর্ড ভেঙে চুরমার করবে। ‘পুষ্পা’ ছবির দ্বিতীয়ভাগে চিত্রনাট্যে বড়সড় বদল রয়েছে। ক্লাইম্যাক্স নাকি একেবারে চমকে দেবে দর্শকদের। পরিচালক সুকুমার সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ‘পুষ্পা’ ছবিটি যেভাবে গোটা দেশে দারুণ সাফল্য পায়, সে কথা মাথায় রেখেই এই ছবির দ্বিতীয়ভাগ সাজানো হয়েছে। মাসখানেক আগে মুক্তি পাওয়া ‘পুষ্পা ২- দ্য় রুল’ ছবির টিজার। প্রথম ঝলকেই চমকে দিয়েছেন আল্লু অর্জুন, রশ্মিকারা। টিজার দেখার পর থেকেই এই ছবির জন্য মুখিয়ে রয়েছেন দর্শক। এবার শীতকালীন বক্স অফিসে ঝোড়ো হাওয়া দেখার পালা।

Card image cap

অবসর নিয়ে উলটো সুর বিক্রান্তের

সোমবারই সকালই সোশাল মিডিয়ায় অভিনয় কেরিয়ার থেকে সরে দাঁড়ানোর কথা ঘোষণা করলেন বলিউড অভিনেতা বিক্রান্ত মাসে। তাঁর অবসর ঘোষণা নিয়ে তোলপাড় বলিপাড়া। অনুরাগীরা তো বিক্রান্তে ঘোষণা পড়ে রীতিমতো হতবাক হলেন। অনেকেই বলে উঠলেন, এমন কী হল, যে হঠাৎ ৩৭ বছর বয়সে এমন সিদ্ধান্ত! তবে সে উত্তর অধরা। এমনকী, বিক্রান্তও তা নিয়ে মুখ খোলেননি।সোমবারই বিক্রান্তের সঙ্গে ঘটল দারুণ এক ঘটনা। সংসদ ভবনে দেখানো হল বিক্রান্তের কয়েকদিন আগে মুক্তিপ্রাপ্ত ছবি দ্য সবরমতী রিপোর্ট। আর যা দেখলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। দ্য সবরমতী রিপোর্ট-এর স্পেশাল স্ক্রিনিং শেষ হওয়ার পরেই ছবি ও বিক্রান্তের অভিনয়ের প্রশংসায় পঞ্চমুখ মোদি। আর তার পরেই বিক্রান্তের মুখে উলটো সুর। এক সংবাদমাধ্যমে বিক্রান্ত জানান, আমার পোস্টের ভুল ব্যাখা হয়েছে। আমি একেবারেই অবসর ঘোষণা করিনি। বরং অভিনয় থেকে কিছুদিনের ব্রেক নেওয়ার কথা জানিয়েছি মাত্র। অভিনয় ছাড়া আমি আর কিছুই চাই না। আমি মানসিক ও শারীরিক দিক থেকে বিধ্বস্ত। তাই কিছুদিনের ব্রেক নিয়েছি।সোমবার পার্লামেন্টে দেখানো হল বিক্রান্তে ‘ দ্য সবরমতি রিপোর্ট’ ছবিটি। এই ছবির স্পেশাল স্ক্রিনিংয়ে হাজির ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। স্ক্রিনিংয়ের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন বিক্রান্ত। আর সেখানেই তাঁকে জিজ্ঞাসা করা হয় অবসর নেওয়ার কারণ।বিক্রান্ত সাংবাদিকদের সেই প্রশ্ন একেবারেই এড়িয়ে যান। উলটে তিনি বলেন, ”প্রধানমন্ত্রী, প্রতিরক্ষামন্ত্রী ও গৃহমন্ত্রীর পাশে বসে ছবি দেখাটা একটা আলাদাই অভিজ্ঞতা। ছবিটা যে তাঁদের ভালো লেগেছে, সেটা সত্যিই আমার কাছে গর্বের বিষয়। আমি সবাইকেই অনুরোধ করব এই ছবিটা সবাই দেখুক।” এতকিছু বললেও, বিক্রান্ত অবসর নিয়ে একেবারেই মুখে কুলুপ এঁটেছিলেন।বিক্রান্ত তাঁর ইনস্টা পোস্টে লেখেন, ‘গত কয়েক বছরের এই সফর সত্যিই অসাধারণ। এভাবে পাশে থাকার জন্য আপনাদের প্রত্যেককে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। তবে যত অগ্রসর হচ্ছি, বুঝতে পারছি যে, এবার ঘরে ফেরার সময় হয়েছে। নিজেকে নতুন করে গড়ে তোলার সময় হয়েছে। একজন স্বামী কিংবা বাবা হিসেবে বা একজন অভিনেতা হিসেবেও। তাই ২০২৫ সালে আমরা শেষবারের জন্য একবার দেখা করব। যতক্ষণ না সময় সঠিক সময় আসবে।’ সেই পোস্টেই অভিনেতার সংযোজন, ‘শেষ ২টো সিনেমা এবং আরও কত স্মৃতি। সকলকে অসংখ্য ধন্যবাদ সবকিছুর জন্য। চিরকাল ঋণী থাকব।’ বিক্রান্ত মাসের এই পোস্ট দাবানল গতিতে ভাইরাল হওয়ার পর থেকেই মনখারাপ ভক্তদের। কিছুতেই তাঁর অভিনয় থেকে বাণপ্রস্থে যাওয়ার বিষয়টি মেনে নিতে পারছেন না অনেকে।

Card image cap

ডিভোর্স কেবলই গুঞ্জন!

দাম্পত্য কলহ প্রায় মাসখানের ধরেই চর্চার শিরোনামে। নিত্যদিনই কোনও না কোনও ঘটনা সামনে আসছে। এত গুঞ্জন রটলেও, অভিষেক বা ঐশ্বর্য একবারও মুখ খোলেননি। সম্প্রতি ঐশ্বর্যর নামের পাশ থেকে ‘বচ্চন’ পদবী ছেঁটে ফেলায়, সেই গুঞ্জনের পালে লেগেছে! ডিভোর্সের জল্পনা যখন তুঙ্গে, তখন তার মাঝেই প্রকাশ্যে এল এক ‘ব্রহ্মাস্ত্র’ ভিডিও। যেখানে জুনিয়র বচ্চন দম্পতিকে দেখা গেল একছাদের তলায়।মেয়ে আরাধ্যার জন্যই একসঙ্গে অভিষেক-ঐশ্বর্য। সম্প্রতি আরাধ্যা বচ্চনের ১৩তম জন্মদিনে জুনিয়র বচ্চনের মুখ দেখা যায়নি বলে কম কটাক্ষের শিকার হতে হয়নি অভিনেতাকে। কেন মেয়ের জন্মদিনে উপস্থিত হতে পারলেন না? সেই প্রশ্ন তুলেও অনেকে আক্রমণ করেন অভিষেক বচ্চনকে। কিন্তু এই ভিডিও প্রকাশ্যে আসতেই ঝুলি থেকে বেরিয়ে পড়ল বিড়াল! আরাধ্যার বার্থডে পার্টিতে সশরীরে উপস্থিত ছিলেন বাবা অভিষেকও। মেয়ের জন্মদিন উদযাপনের একগুচ্ছ ছবি সোশাল মিডিয়ায় ভাগ করে নিয়েছিলেন ঐশ্বর্য। কিন্তু সেখানে অভিষেককে দেখতে না পেয়েই ডিভোর্সের গুঞ্জন প্রায় সিলমোহর বসিয়ে দিয়েছিল নেটাপাড়া। কিন্তু অভিষেক বচ্চনের উপস্থিতির বিষয়টা ফাঁস করে দেওয়া হল সেই সংস্থার তরফে যাঁরা আরাধ্যার বার্থডে পার্টির আয়োজন করেছিলেন। তাঁদের সোশাল মিডিয়া পেজেই দেখা গেল, ঐশ্বর্য এবং অভিষেক সেই ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট সংস্থাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছেন। তবে জুনিয়র বচ্চন দম্পতি কিন্তু একফ্রেমে ধরা দেননি। বরং আলাদা আলাদা ভিডিও প্রতিক্রিয়া নেওয়া হয়েছে তাঁদের। তবে সেটা যে সেই একই অনুষ্ঠানের তা বুঝতে আর বাকি রইল না। অতঃপর এটা পরিষ্কার যে, মেয়ে আরাধ্যার জন্মদিন একসঙ্গেই পালন করেছেন ঐশ্বর্য-অভিষেক।ভিডিওতে অভিষেককে বলতে শোনা যায়, “১৩ বছর হয়ে গেল ভাবা যায়! ১৩ বছর ধরে আরাধ্যার জন্মদিনের অনুষ্ঠানের আয়োজন করার জন্য ধন্যবাদ। তোমরা আমাদের পরিবার ধন্যবাদ জানান ঐশ্বর্যও। কিন্তু অভিনেত্রীর শেয়ার করা কোনও ছবিতেই দেখা যায়নি তাঁকে। এবার প্রশ্ন, অভিনেত্রী কি ইচ্ছে করেই অভিষেকের সঙ্গে একফ্রেমে ধরা দেননি? সেই উত্তর যদিও অধরা তবে এই দুই ভিডিও দেখে এবার নেটিজেনদের একাংশের প্রশ্ন, ‘ভালই তো আছেন বচ্চন দম্পতি। তা হলে কেন এই বিচ্ছেদের জল্পনা?’ আবার কারও প্রশ্ন, ‘চারদিকে আপনাদের ডিভোর্সের গুঞ্জন, কত কথা রটছে। কেন নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করছেন না আপনারা?’

Card image cap

পোস্ট মুছতে বাধ্য হলেন লগ্নজিতা

বাংলাদেশের অশান্ত পরিস্থিতির মাঝেই ‘হিন্দু মুসলিম’ সংক্রান্ত পোস্ট করেছিলেন লগ্নজিতা চক্রবর্তী। তাতেই তুমুল শোরগোল। লাগাতার কটাক্ষ, ব্যঙ্গ, বিদ্রুপের অভিযোগ। যার পালটা জবাবও দিয়েছিলেন গায়িকা। কিন্তু তাতেও ট্রোলের পালা শেষ হয়নি। চূড়ান্ত ‘ভার্চুয়াল’ হেনস্তার মুখে পড়ে শেষমেশ নিজের পোস্ট মুছতে বাধ্য হলেন শিল্পী।শনিবার নিজের ফেসবুক পেজে লগ্নজিতা লেখেন, ‘ভেবেছিলাম এই হিন্দু মুসলিমের ব্যাপারটা আমরা পেরিয়ে এসেছি, অনেক দিন/বছর/কাল আগেই। কোনওদিন ভাবিনি ২০২৪ সালে দাঁড়িয়ে, এই বিষয়টা নিয়ে একটা পোস্ট করতে হবে। এটা অতীত হয়ে গিয়েছে, এই আমার ভাবনা ও চিন্তা ছিল।’এমন পোস্টের জন্য যে ‘ট্রোল’ হবেন তা ভাবেননি লগ্নজিতা। কিন্তু যখন তা হয়েছে, পালটা জবাব দিতে দেরি করেননি। রবিবার গায়িকা লেখেন, ‘অনেকে বলছেন, এই যে আমার হিন্দু মুসলিম নিয়ে ভাগ করতে ইচ্ছে করে না/করছে না। এটার কারণ নাকি সিপিএমের ৩৪ বছরের শাসন, আমি নাকি কলকাতা এবং পশ্চিমবঙ্গ এবং ভারতে কী হয় কিছুই জানি না, আমি নাকি খুবই অশিক্ষিত, আমার আরও শিক্ষিত হওয়া উচিত ছিল, ইত্যাদি এবং ইত্যাদি। সে তো বুঝলাম। কিন্তু আমি তো হিন্দু-মুসলিম যে ভাই-ভাই, এটা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, কাজী নজরুল ইসলাম, এনাদের থেকে শিখেছিলাম। তো রবীন্দ্রনাথ আর নজরুলও কি সিপিএম ছিলেন? জাস্ট জানতে চাইছি।’‘তাহলে আর গান গাইতে হবে না বাংলাদেশে গিয়ে’, ‘আপনি ন্যাকা সেজে থাকুন, নইলে আপনার গান তো কেউ শুনবে না যদি আসল স্ট্যান্ড নেন’, এমন মন্তব্যের কথা উল্লেখ্য করে লগ্নজিতা লেখেন, ‘শুনুন, থ্রেট শুনে শুনে আজকাল থ্রেটেরও বোর লাগে। যে কোনও জিনিস একঘেয়ে হয়ে গেলে যা হয় আরকি। আমি তো আপনার অফিস যাওয়া নিয়ে কিছু বলছি না। আমার গান গাওয়া নিয়ে আপনার এত সমস্যা কোথায়?’
গায়িকার এই পোস্ট গুলো এখন আর ফেসবুকে নেই। তার বদলে রবিবার বেলা সাড়ে তিনটে নাগাদ লগ্নজিতা লেখেন, ‘আমার পরিবার (ব্যক্তিগত জীবন) এবং আমার ব্যান্ডের (পেশাগত জীবন) কাতর অনুরোধে, তাঁদের যাতে আর অসম্মান না হয়, আমি আমার সমস্ত পোস্ট ডিলিট করে নিতে বাধ্য হলাম। আমি হেরে গেলাম। আনন্দ করুন।’

Card image cap

বাংলাদেশে পাক গায়ক আতিফ আসলামের কনসার্টে চূড়ান্ত অব্যবস্থাপনা!

হাসিনা সরকারের পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকারের শাসনে সংখ্যালঘু নির্যাতন লাগামছাড়া আকার নিয়েছে বাংলাদেশে। এই ঘটনায় রাষ্ট্রসংঘের প্রশ্নের মুখে পড়েছে ইউনুস সরকার। পরিস্থিতি বাগে আনার পরিবর্তে পদ্মাপারের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সংখ্যালঘুদের হেনস্তার ঘটনা ঘটছে। এহেন অশান্ত বাংলাদেশেই কনসার্ট করতে গিয়েছিলেন আতিফ আসলাম। আর পাক গায়কের সেই অনুষ্ঠানেই চূড়ান্ত অব্যবস্থাপনার অভিযোগ উঠেছে।শুক্রবার ঢাকার আর্মি স্টেডিয়ামে আতিফের ‘ম্যাজিক্যাল নাইট ২.০’ কনসার্ট ছিল। অনুষ্ঠানের উদ্যোক্তা ট্রিপল টাইম কমিশন। আয়োজকদের বিরুদ্ধেই অব্যবস্থাপনার অভিযোগ। জানা গিয়েছে, জনপ্রিয় পাক শিল্পী আতিফ মঞ্চে ওঠার পরই লোডশেডিং হয়ে যায়। শুধু তাই নয়, কারি কারি টাকা দিয়ে টিকিট কিনেও অনেকে স্টেডিয়ামে ঢুকতেই পারেননি। ভেন্যুর প্রবেশপথেও হয়রানির শিকার হতে হয় শ্রোতা-অনুরাগীদের একাংশকে। আতিফ আসলামের ‘ম্যাজিক্যাল নাইট ২.০’ কনসার্টের আয়োজকদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, নির্ধারিত আসনসংখ্যার বেশি টিকিট বিক্রি করেছেন তাঁরা। এমনকী এই কনসার্টকে কেন্দ্র করে উত্তরা, মহাখালী-সহ ঢাকার বিভিন্ন প্রান্তে মারাত্মক যানজটের জেরে ভোগান্তির শিকার হতে হয় জনসাধারণকে। এহেন নানা অভিযোগ নিয়ে অনেকেই সোশাল মিডিয়ায় ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন। সবমিলিয়ে পাকিস্তানি গায়ক আতিফের শো ঘিরে বিতর্ক তুঙ্গে।‘ম্যাজিক্যাল নাইট ২.০’ শুরু হওয়ার কথা ছিল বিকেল চারটেয়, পরিবর্তে একঘণ্টা পরে শুরু হয়। ততক্ষণে দর্শকের দীর্ঘ সারি পৌঁছে যায় বহুদূর। যার জেরে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে রাখতে হিমশিম খেতে হয় পুলিশদের। এই কনসার্টের মূল আকর্ষণ স্বাভাবিকভাবেই ছিলেন আতিফ আসলাম। সঞ্চালনার দায়িত্বে ছিলেন বাংলাদেশের তাহসান। এছাড়াও কাকতাল ব্যান্ড এবং পাক গায়ক আবদুল হান্নান গান পরিবেশন করেন। তবে এই সো ঘিরে আরেকটি যে অভিযোগ উঠেছে, সেটি মারাত্মক! জানা গিয়েছে, এই শোয়ের জন্য যাঁরা টিকিট কিনেছিলেন, উদ্যোক্তারা নাকি তাঁদের ব্যক্তিগত তথ্যও ফাঁস করে দিয়েছে।

Card image cap

শ্লীলতাহানির অভিযোগে শরদ কাপুরের বিরুদ্ধে FIR

গ্ল্যামার ইন্ডাস্ট্রিতে তারকাদের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগের ঘটনা নতুন নয়! এবার ‘জোশ’, ‘লক্ষ্য’, ‘দস্তক’-এর মতো একাধিক সিনেমা খ্যাত বলিউড অভিনেতা শরদ কাপুরের বিরুদ্ধে এক মহিলাকে বাড়িতে ডেকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠল। সংশ্লিষ্ট ঘটনার জেরে খর থানায় এফআইআর দায়ের হয়েছে।৩২ বছর বয়সি ওই অভিযোগকারীনী জানিয়েছেন, শরদের সঙ্গে তাঁর ফেসবুকের মাধ্যমে আলাপ। এর পর ভিডিও কলের মাধ্যমেও তাঁর সঙ্গে কথা হয়। শরদ নাকি মহিলাকে বলেছিলেন যে তিনি নতুন সিনেপ্রজেক্ট সম্পর্কিত বিষয়ের জন্য তাঁর সঙ্গে দেখা করতে চান। এর পরই অফিসে দেখা করার নাম করে মহিলাকে বাড়ির লোকেশন পাঠিয়ে দিয়ে শরদ তাঁকে বলেন, তাঁর খার এলাকার অফিসে আসতে। ওই লোকেশন অনুযায়ী গিয়ে সেখানে পৌঁছেই ওই মহিলা দেখতে পান যে এটি অভিনেতার অফিস নয়, বরং বাড়ি। বেল বাজাতেই এক ব্যক্তি এসে দরজা খুলে দেন। পৌঁছনো মাত্রই শরদ কাপুর নাকি তাঁর বেডরুম থেকে আওয়াজ দিয়ে মহিলাকে ডাকেন। এরপরই অভিযোগকারীনী যা বললেন, তাতে চমকে উঠতে হয়!মহিলা পুলিশকে জানিয়েছেন, বেডরুমের দরজার সামনে যেতেই তিনি দেখতে পান শরদ পুরো উলঙ্গ। তৎক্ষণাত তিনি অভিনেতাকে জামাকাপড় পরার অনুরোধ করেন। কিন্তু পরিবর্তে নাকি শরদ তাঁকে বলেন, ভিতরে এসে তাঁকে আলিঙ্গন করে চুমু খেতে। সেই কুপ্রস্তাব ওই মহিলা প্রত্যাখ্যান করা মাত্রই অভিনেতা নাকি তাঁকে জোর করে স্পর্শও করেন। গোটা ঘটনাটা এক বন্ধুকে জানিয়েছিলেন। এরপরই খর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তাঁরা। ভারতীয় নব্য সংহিতার ৭৪, ৭৫ এবং ৭৯ ধারায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে শরদ কাপুরের বিরুদ্ধে। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, বিষয়টি তাঁরা খতিয়ে দেখছেন। এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। জেরার জন্য ইতিমধ্যেই শরদ কাপুরের কাছে নোটিস পাঠিয়েছে মুম্বই পুলিশ।

Card image cap

বাংলাদেশের অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতিতে কবীর সুমনের নিশানায় কারা?

সমসাময়িক নানা বিষয়ে নানা মন্তব্য করার ক্ষেত্রে তিনি বরাবর সক্রিয়। সংবাদমাধ্যমে হোক বা সামাজিক মাধ্যম, নজর রাখলে তাঁর কোনও না কোনও পোস্ট চোখে পড়ে। বাংলাদেশের অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতিতে যে তিনি কিছু বলবেন না, এমনটা ঠিক প্রত্যাশিত ছিল না। অবশেষে এনিয়ে মুখ খুললেন কবীর সুমন। সোশাল মিডিয়ায় ছোট্ট পোস্টে যা বলার বলে দিলেন দুই বাংলার জনপ্রিয় সঙ্গীতকার। কারও নাম না করে তিনি লিখলেন – ‘তোরা ধর্ম আর রাজনীতি নিয়ে ঝগড়া কাজিয়া ক’রে মর – আমি প্রেম করছি, প্রেম ক’রে যাবো।’তাঁর রচনায় বরাবর প্রেম আর বিদ্রোহ হাত ধরাধরি করে চলে। যে কোনও অশান্ত পরিস্থিতি আর পাঁচজন যেভাবে দেখে থাকেন, তিনি দেখেন অন্য দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে। সেই কারণে সম্ভবত জ্বলন্ত যে কোনও ইস্যুতে তাঁর মন্তব্য বেশিরভাগ সময় নতুন বিতর্কের জন্ম দেয়। যদিও তাতে কিছু আসে যায় না কবীর সুমনের। বরং বিতর্কের আঁচে ঘি ঢালতে আরও পাঁচটা মন্তব্য করতে তিনি পিছপা হন না। এর আগেও বাংলাদেশ পরিস্থিতি নিয়ে কবীর সুমনের নিজের মতামত প্রকাশ করেছেন। কখনও তিনি অগ্নিগর্ভ পরিবেশে আমজনতাকে শান্ত থাকার আহ্বানও জানিয়েছেন।কিন্তু চলতি সপ্তাহে ইসকনের সন্ন্যাসী চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারী বা চিন্ময় প্রভুর গ্রেপ্তারি নিয়ে ওপার বাংলায় চূড়ান্ত অরাজক পরিস্থিতি। হিন্দুদের উপর নির্যাতন আরও বাড়ছে। শয়ে শয়ে ইসকন ভক্তকে নিজেদের হেফাজতে নিচ্ছে বাংলাদেশ পুলিশ ও সেনা। সংখ্যালঘুরা সেখানে আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন। এই পরিস্থিতিতে কবীর সুমনের পোস্টের নিশানায় ঠিক কারা? এ বিষয়ে নানাজনে নানা মন্তব্য করলেও ধর্মীয় মৌলবাদকেই তিনি তোপ দেগেছেন, তা অনেকটাই স্পষ্ট। তাঁর পোস্টের প্রথমাংশ ‘তোরা ধর্ম আর রাজনীতি নিয়ে ঝগড়া কাজিয়া ক’রে মর’ একেবারেই ধর্মে ধর্মে যুদ্ধের বিষয়টিকে নিশানা করছে বলে মনে করা হচ্ছে। তার পরই অবশ্য প্রেমের জয়গান গেয়ে ‘প্রেমিক’ গায়ক বলছেন, ‘আমি প্রেম করছি, প্রেম করে যাবো।’