CATEGORY entertain:

Card image cap

বাংলাজুড়ে ‘খাদান’ ঝড়

আর রাত পোহালে নয়! বৃহস্পতিবার গভীর রাতেই ‘খাদান’-এর প্রথম শো। আর সেটাও হাউজফুল। উল্লেখ্য, এমন উন্মাদনা কিন্তু শহর কলকাতা নয় বরং রায়গঞ্জে। এদিন রাত ২টোয় সেখানকার এক প্রেক্ষাগৃহে ‘খাদান’-এর প্রথম শো রাখা হয়েছে। আর অগ্রীম বুকিং শুরু হওয়ার মিনিট খানেকের মধ্যেই সমস্ত টিকিট শেষ।এযাবৎকাল দক্ষিণী রাজ্যগুলোতেই গভীর রাতে পয়লা শো রাখার ট্রেন্ড ছিল। সেখানকার সুপারস্টারদের অনুরাগীদের ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে অপেক্ষা করে প্রেক্ষাগৃহ ভরিয়ে দেওয়ার দৃশ্য খুব একটা অচেনা নয়। তবে পশ্চিমবঙ্গে এই প্রথমবার গভীর রাতে বাংলা সিনেমার শো হাউজফুল। এহেন উন্মাদনার নেপথ্যের কারিগর দেব। বাংলার বুকজুড়ে তাঁর সাড়ে ৩ হাজার কিলোমিটার প্রচার সফর যে বেজায় সফল, সেটা বেশ বোঝা গেল। ভিডিও বার্তায় দেব দর্শক-অনুরাগীদের ধন্যবাদ জানিয়ে বললেন, “ওপেনিংয়েই এমন উন্মাদনা দেখে আমি ভীষণ আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছি। ৬ কোটি বাজেটের সিনেমা সফল হলে পরবর্তীতে ১০ কোটি টাকা বাজেটের বাংলা ছবি বানানোর সাহস পাব। আর এই সাফল্যের গোটা কৃতীত্বটাই আপনাদের সকলের।” ‘বাংলায় ইতিহাস গড়ার’ জন্য টলিউড সুপারস্টারকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন পরিচালক অনিরুদ্ধ রায়। শুধু কি তাই? লুচি-মাংস, ক্ষীরকদম খাওয়ানোর জন্য দেবের কাছে আবদারও রেখেছেন। ওপেনিংয়ের ঝোড়ো ব্যাটিং দেখে আন্দাজ, বড়দিনের বক্স অফিসেও সুনামি তুলতে চলে ‘খাদান’।রায়গঞ্জের কল্যাণী মাল্টিপ্লেক্স এসভিএফ সিনেমায় রাত ২টোয় দেখানো হবে ‘খাদান’। ট্রেলারে দেব-যিশু জুটির ম্যাজিক দেখে ইতিমধ্যেই সারাবাংলা জুড়ে ‘খাদান’ ঝড় উঠেছে। তবে বুধবার রিলিজের ৪৮ ঘণ্টা আগে অগ্রীম বুকিং শুরু করতে না পারায় বেশ ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন দেব। তাঁর এক্স হ্যান্ডেলের পোস্টের ছত্রে ছত্রে সেই ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে। টলিউড সুপারস্টার লিখেছিলেন, “‘খাদান’-এর অগ্রিম বুকিং শুরু হয়নি বলে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। আমি শেষমুহূর্ত পর্যন্ত লড়ে যাচ্ছি। বাংলার প্রেক্ষাগৃহগুলিতে অন্য ভাষার সিনেমার ডিস্ট্রিবিউশনই এর জন্য দায়ী।” অগ্রীম বুকিংয়েই শুধু নয়, নির্দিষ্ট সংখ্যক শো পাওয়া নিয়েও অভিনেতা-প্রযোজক লড়েছেন। হল মালিক কিংবা সিনে পরিবেশকদের ভূমিকায় যে দেব বেশ অসন্তুষ্ট, তাঁর পোস্টে সেই ক্ষোভের আঁচই পাওয়া গিয়েছিল। তবে অ্যাডভান্স বুকিংয়ে সিনেদর্শকদের ‘খাদান’-প্রেম দেখে সেই মান-অভিমান গলে গিয়ে উচ্ছ্বসিত টলিউড সুপারস্টার।এদিকে বৃহস্পতিবার বুক মাই শো-তে দু সপ্তাহ ধরে রমরমিয়ে চলা ‘পুষ্পা’কেও হার মানিয়ে দিয়েছে দেব-যিশু ভক্তদের উন্মাদনা। হইহই করে বিকোচ্ছে টিকিট। আর অনুরাগীদের এই উন্মাদনা যেন বিফলে না যায়, তার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ দেব। তাই তো বৃহস্পতিবার আগেভাগেই ‘ব্যবস্থা নেওয়ার’ কথা ঘোষণা করেছেন জনসমক্ষে। দর্শক-অনুরাগীদের কাছে তাঁর আর্জি, “কাছের সিনেমা হলে খাদান না দেখতে না পেলেই যেন তাঁকে জানানো হয়। তিনি যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার চেষ্টা করবেন।”

Card image cap

অস্কার থেকে ছিটকে গেল ‘লাপাতা লেডিজ’

বিশ্বমঞ্চে পৌঁছতে পারল না ভারতের ‘গাঁয়ের বধূ’দের কথা। অস্কার থেকে ছিটকে গেল আমির খান ও কিরণ রাওয়ের ‘লাপাতা লেডিজ।’ সেরা আন্তর্জাতিক ছবির তালিকায় ভোটাভুটির জন্য মোট ১৫টি ছবিকে বেছে নেওয়া হয়েছে। কিন্তু তাতে ভারতের তরফ থেকে পাঠানো এই ছবি জায়গা করে নিতে পারেনি। এতেই হতাশ অনুরাগীরা।গত বছর সিনেমা হলে মুক্তি পেয়েছিল কিরণ রাও পরিচালিত ‘লাপাতা লেডিজ’। স্পর্শ শ্রীবাস্তব, নীতাংশি গোয়েল ও প্রতিভা রান্টা অভিনীত ছবির অন্যতম প্রযোজক আমির খান। প্রায় পাঁচ কোটি টাকা বাজেটে তৈরি ছবির আয় পঁচিশ কোটি টাকার একটু বেশি। তবে সমালোচকমহলে তা সমাদৃত এবং পরবর্তীকালে OTT-তে বহু দর্শক ছবিটি দেখেছেন ও প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়েছেন। কিন্তু অ্যাকাডেমি অ্যাওয়ার্ডসে ‘লাপাতা লেডিজ’ জায়গা করে নিতে পারল না।প্রসঙ্গত, এর আগে ‘লগান’ ছবির সৌজন্যে অস্কার অনুষ্ঠানে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছিলেন আমির খান। সেরা বিদেশি ছবির ক্যাটাগোরিতে চূড়ান্ত মনোনয়ন পেয়েছিল আশুতোষ গোয়ারিকর পরিচালিত ছবিটি। কিন্তু সেবছর এই পুরস্কার পায় ‘নো ম্যান’স ল্যান্ড’। ‘লগান’ ছবির সহকারী পরিচালক ছিলেন কিরণ। আর ‘লাপাতা লেডিজ’ তাঁর পরিচালনায় তৈরি এবং ছবির প্রযোজনাতেও তিনি অংশীদার। ছবির জন্য আমেরিকায় গিয়ে প্রচারও করেছিলেন কিরণ-আমির। কিন্তু তাতে লাভ বিশেষ হল না।তবে ভারতীয়দের আশা এখনও রয়েছে। অস্কারের দৌড়ে রয়েছে গুণীত মঙ্গার লাইভ অ্যাকশন শর্ট ‘অনুজা’। আর সেরা ১৫ আন্তর্জাতিক ছবির তালিকায় এখনও লড়াই করছে ভারতীয় বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ পরিচালক সন্ধ্যা সুরির ছবি সন্তোষ। ছবিতে মুখ্য ভূমিকায় অভিনয় করেছেন সাহানা গোস্বামী। এবারে সেরা ১৫ ছবিগুলোকে অস্কারের জ্যুরি সদস্যদের দেখানো হবে। তারপর ভোটাভুটির মাধ্যমে বাছা হবে চূড়ান্ত মনোনয়নের তালিকা। উল্লেখ্য, ভারতের তরফ থেকে যখন ‘লাপাতা লেডিজ’কে অস্কারে পাঠানো হয় তখন অনেকেই তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। তাঁদের বক্তব্য ছিল, আমির-কিরণের ছবির বদলে পায়েল কাপাডিয়ার কানজয়ী সিনেমা ‘অল উই ইমাজিন অ্যাজ লাইট’কে আন্তর্জাতিক মঞ্চের লড়াইয়ের জন্য পাঠানো উচিত ছিল।

Card image cap

‘পুষ্পা ২’র দাপটে ‘কোণঠাসা’ বড়দিনের ৪ বাংলা সিনেমা

বড়দিনে চার-চারটে বাংলা ছবির রিলিজ। ২০ ডিসেম্বর ‘খাদান’, ‘সন্তান’, ‘চালচিত্র’ এবং ‘৫ নং স্বপ্নময় লেন’ একসঙ্গে মুক্তি পাচ্ছে। তবে মূল সমস্যা সেই প্রেক্ষাগৃহ পাওয়া নিয়ে। শিরে সংক্রান্তি! রিলিজের আর মাত্র ৪৮ ঘণ্টা বাকি। তবে বুধবারও ‘খাদান’-এর অগ্রীম বুকিং শুরু করতে পারলেন না দেব। দর্শক-অনুরাগীদের কাছে ক্ষমাও চেয়ে নিয়েছেন তিনি এর জন্যে। দক্ষিণী ব্লকবাস্টার ‘পুষ্পা’ ঝড়ে টলিউডে অশনি সংকেত! বাকিরা কে, কোথায় দাঁড়িয়ে এই পরিস্থিতিতে?এই প্রথমবার অবশ্য বাংলা ছবি এমন সমস্যার সম্মুখীন হয়নি। এর আগেও বাংলার প্রেক্ষাগৃহেই বাংলা সিনেমা ‘কোণঠাসা’ হওয়ার খবর একাধিকবার শিরোনামে এসেছে। এবার আরও ‘অ্যালার্মিং সিচুয়েশন’, মত সিনে বিশেষজ্ঞদের। সপ্তাহ দুয়েক আগে মুক্তি পাওয়া ‘পুষ্পা ২’র জন্য রীতিমতো ‘সিঁদুরে মেঘ’ দেখছে টলিউড! টানা দুই সপ্তাহ রমরমিয়ে ব্যবসা করার পরও বড়দিনের সপ্তাহেও যে বাংলার প্রেক্ষাগৃহে দক্ষিণী সিনেমার দাপট বজায় থাকবে, তার আগাম ইঙ্গিত মিলেছে ইতিমধ্যেই। দুন্দুভি অবশ্য অনেক আগেই বেজেছিল। তবে গুটি কজন পরিচালক, প্রযোজকদের সিনেম্যাজিকে প্রেক্ষাগৃহমুখো হয়েছেন বাঙালি সিনেদর্শকরা। বর্তমানেও যে পরিস্থিতির যে খুব একটা হেরফের হয়েছে এমনটা কিন্তু নয়! এবারও ঠিক একই সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে টলিউডের বড়দিন রিলিজগুলিকে। এই বিষয়ে রীতিমতো উদ্বিগ্ন টলিউড।বুধবার দুপুরে প্রযোজক তথা টলিউড সুপারস্টার দেব খোদ জানালেন, “‘খাদান’-এর অগ্রিম বুকিং শুরু হয়নি বলে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। আমি শেষমুহূর্ত পর্যন্ত লড়ে যাচ্ছি। বাংলার প্রেক্ষাগৃহগুলিতে অন্য ভাষার সিনেমার ডিস্ট্রিবিউশনই এর জন্য দায়ী।” অগ্রীম বুকিংয়েই শুধু নয়, নির্দিষ্ট সংখ্যক শো পাওয়া নিয়েও অভিনেতা-প্রযোজক লড়ে যাচ্ছেন। হল মালিক কিংবা সিনে পরিবেশকদের ভূমিকায় যে দেব বেশ অসন্তুষ্ট, তাঁর পোস্টে সেই ক্ষোভের আঁচই পাওয়া গেল। শোনা যাচ্ছে, ‘খাদান’-এর মতোই একই পরিস্থিতির শিকার বড়দিনের আরও দুই রিলিজ- রাজ চক্রবর্তী পরিচালিত ‘সন্তান’ এবং প্রতীম ডি গুপ্তর ‘চালচিত্র’। সূত্রের খবর, এই দুই সিনেমাও নাকি একই সমস্যার সঙ্গে যুঝে চলেছে। যদিও দুই পরিচালকের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা হলেও তাঁদের ফোনে পাওয়া যায়নি। তবে বড়দিনের অন্যতম রিলিজের তালিকায় থাকা ‘৫ নং স্বপ্নময় লেন’ ছবির পরিচালক মানসী সিনহা জানালেন, “আমার প্রযোজক এখনও সেরকম দুশ্চিন্তা করার মতো কোনও খবর দেননি।” অন্যদিকে, বারবার হিন্দি কিংবা দক্ষিণী ভাষার সিনে রিলিজের কাছে বাংলা ছবির ধাক্কা খাওয়ার বিষয়টি নিয়ে যোগাযোগ করা হয়েছিল পরিচালক-প্রযোজক তথা অভিনেতা শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে। তাঁর ‘বহুরূপী’ এবার পুজোর মরশুমে রমরমিয়ে ব্যবসা করেছে। হিন্দি রিলিজের প্রতিকূলতা পেরিয়েও সেই ছবি যে সুপারস্টার, তা ব্যবসার গ্রাফ দেখলেই হলফ করে বলা যায়। শিবপ্রসাদের মন্তব্য, “আমাদের রাজ্যে এর জন্যে একটা সিনে পলিসি দরকার। বিগত ১৩ বছরে বহুবার এরকম পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়েছি আমি নিজেও। ‘বহুরূপী’ও দারুণ ব্যবসা করা সত্ত্বেও অনেক শো কমিয়ে দেওয়া হয়েছিল, তখন কেউ প্রতিবাদ করেনি।” অভিমানের সুর শোনা গেল শিবপ্রসাদের কণ্ঠে।প্রসঙ্গত, বাংলা সিনেমার সুদিন আর দুর্দিন নিয়ে আলোচনার অন্ত নেই। নেটদুনিয়ায় মাঝেমধ্যেই লম্বা হ্যাজ নামিয়ে প্রতিবাদী রব ওঠে- বাংলা সিনেমার পাশে দাঁড়ান। কিন্তু মুশকিলটা হচ্ছে, বাংলার প্রেক্ষাগৃহে যদি বাংলা সিনেমাই ব্রাত্য থাকে কিংবা উদ্ভট স্লট পায়, তাহলে দর্শকদের পাশে দাঁড়ানোর সুযোগটা কোথায়? সেই উত্তর ভবিষ্যতের গর্ভে থাকলেও আপাতত ‘পাখির চোখ’ বড়দিনের বক্স অফিসের দিকে।

Card image cap

অ্যাটলির চেহারা নিয়ে খোঁটা! ফের বিপাকে কপিল শর্মা

গত নভেম্বর মাসে রবিঠাকুরের গান নিয়ে ব্যঙ্গ করায় বিপাকে পড়েছিলেন জনপ্রিয় অভিনেতা ও স্ট্যান্ড আপ কমেডিয়ান কপিল শর্মা। এমনকী, কপিলের বিরুদ্ধে সোশাল মিডিয়ায় ক্ষোভপ্রকাশ করে আইনি পদক্ষেপ করার হুঁশিয়ারিও দিয়েছিলেন শ্রীজাত। পরে অবশ্য কপিলের ক্ষমা চাওয়ায়, বিতর্কে ইতি পরে। তবে দেখুন, সেই ঘটনার একমাস না কাটতেই ফের বিপাকে পড়লেন কপিল শর্মা। এবার জওয়ান ছবির পরিচালক অ্যাটলির চেহারা নিয়ে ঠাট্টা করে রীতিমতো রোষের মুখে পড়লেন কপিল। সোশাল মিডিয়ায় কপিলের বক্তব্য নিয়ে তোলপাড়।
কয়েকদিন আগেই কপিল শর্মা শোয়ে হাজির হয়েছিলেন পরিচালক অ্যাটলি। তাঁর নতুন ছবি ‘বেবি জন’-এর প্রচারেই শোয়ে এসেছিলেন। সঙ্গে ছিলেন বরুণ ধাওয়ানও। ছবির টিমের সামনেই কপিল হঠাৎই অ্য়াটলিকে প্রশ্ন করে বসেন, ”আপনি যখন কোনও স্টারের সঙ্গে কথা বলতে যান, তখন তাঁরা বুঝতে পারে আপনি যে পরিচালক!’কপিলের এই মন্তব্যের নেপথ্যে অনেকেই অপমান খুঁজে পেয়েছেন। নেটিজেনদের মতে, অ্যাটলির চেহারাকেই কটাক্ষ করেছেন কপিল।
তবে এই নিয়ে বিতর্ক বাড়লে কপিল চুপ করে থাকেননি। সম্প্রতি টুইটারে এক নেটিজেনকে জবাব দিতে গিয়ে অ্যাটলি বলেন, ”আমার মন্তব্যের ভুল ব্যাখ্যা না করাই ভালো। আমি কখনই অ্যাটলির চেহারা নিয়ে কথা বলিনি। অ্যাটলি এত ইয়ং পরিচালক, সেই অর্থেই মন্তব্য করেছি।”

Card image cap

মুকেশ খান্নাকে হুঁশিয়ারি সোনাক্ষীর

এক রামায়ণ নিয়ে কুরুক্ষেত্র কাণ্ড। একদিকে ‘মহাভারত’ সিরিয়ালের ভীষ্ম অর্থাৎ মুকেশ খান্না, অন্যদিকে বলিউডের ‘দাবাং গার্ল’ সোনাক্ষী সিনহা। মাঝে শত্রুঘ্ন সিনহা। কারণ বহু পুরনো। ২০১৯ সালে রামায়ণ সংক্রান্ত এক প্রশ্নের ভুল উত্তর দিয়েছিলেন সোনাক্ষী। সম্প্রতি সেই প্রসঙ্গ তুলে শত্রুঘ্ন সিনহাকে অপমান করে বসেন মুকেশ খান্না। এতেই রেগে আগুন সোনাক্ষী। সোশাল মিডিয়ায় দীর্ঘ বিবৃতি দিয়ে বর্ষীয়ান অভিনেতাকে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।
২০১৯ সালে ‘কৌন বনেগা ক্রোড়পতি’ শোয়ে গিয়েছিলেন সোনাক্ষী। এক প্রতিযোগীর তারকা সঙ্গী ছিলেন তিনি। সেখানেই প্রশ্ন করা হয়, হনুমান কার জন্য সঞ্জীবনী নিয়ে গিয়েছিলেন? জবাবে প্রথমে সোনাক্ষী ও তাঁর সহ-প্রতিযোগী বলেছিলেন সীতা। কিন্তু পরে লাইফলাইন ব্যবহার করে প্রশ্নের সঠিক উত্তর দিতে সমর্থ হন। সম্প্রতি সিদ্ধার্থ কান্নানকে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে সেই প্রসঙ্গ নিয়ে মুকেশ জানান, এর জন্য শত্রুঘ্ন সিনহা দায়ি। তিনি মেয়ে সোনাক্ষীকে রামায়ণ জ্ঞান দিতে পারেননি।মুকেশ খান্নার এই বক্তব্যের প্রেক্ষিতেই সোনাক্ষী লেখেন, ‘প্রিয় মুকেশ খান্নাজি… আমি সম্প্রতি একটি বিবৃতিতে পড়লাম যে আপনি বলেছেন এটা আমার বাবার দোষ যে আমি বহু, বহু বছর আগে একটি শোয়ে গিয়ে রামায়ণ সংক্রান্ত প্রশ্নের সঠিক উত্তর দিতে পারিনি। প্রথমেই আপনাকে মনে করিয়ে দিই সেদিন হট সিটে দুইজন মহিলা বসেছিলেন যাঁরা একই প্রশ্নের ঠিক উত্ত দিতে পারেনি, কিন্তু আপনি আমার নাম এবং শুধুমাত্র আমার নাম নিয়ে কথা বলে গিয়েছেন, আর তার কারণ খুবই স্পষ্ট। হ্যাঁ আমি হয়তো সেদিন ব্ল্যাঙ্ক হয়ে গিয়েছিলাম, মানুষ তো, ভুলে গিয়েছিলাম কার জন্য সঞ্জীবনী বুটি নিয়ে আসা হয়েছিল। কিন্তু আপনি তো স্বয়ং ভগবান রামের দেওয়া ক্ষমা করা ও ভুলে যাওয়ার শিক্ষা মনে রাখেননি।’সোনাক্ষীর প্রশ্ন, যদি রামচন্দ্র নিজে মন্থরা, কৈকেয়ী এবং সর্বোপরী রাবণকে ক্ষমা করতে পারেন তাহলে মুকেশ খান্না কেন পারেন না। এর পরবর্তী বক্তব্যেই আবার শত্রুঘ্নকন্যা মনে করিয়ে দেন, মুকেশ খান্নার ক্ষমার তাঁর কোনও প্রয়োজনই নেই। আর পরিবারের অপমান তিনি কোনওভাবেই মেনে নেবেন না। নিজের বক্তব্যের শেষে অভিনেত্রী লেখেন, ‘পরেরবার যদি আমার বাবার দেওয়া মূল্যবোধ নিয়ে কিছু বলার সিদ্ধান্ত নেন, তাহলে অনুগ্রহ করে মনে রাখবেন সেই মূল্যবোধের জন্যই আমি শুধু এই কথাগুলো বলেছি অত্যন্ত সম্মানজনকভাবে। তাও আবার আপনি আমার লালন-পালন নিয়ে প্রশ্ন তোলার পরে। আপনার সুস্থতা কামনা করি।’

Card image cap

‘জাকির ভাই, আমাদের আর একসঙ্গে অ্যালবাম করা হল না’

আজ জলসা শূন্য। উস্তাদ আর আসবেন না। অন্য সুরালোকের জন্য রওনা হয়েছেন তবলা মায়েস্ত্রো। জাকির হুসেনের প্রয়াণে শোকবিহ্বল এ আর রহমান। অতীতে একসঙ্গে কাজ করলেও কেন উস্তাদের সঙ্গে আর জুটি বাঁধলেন না, এই একটাই আক্ষেপ কুরে কুরে খাচ্ছে এখন রহমানকে। সোমবার জাকির হুসেনের প্রয়াণের খবরে আসমুদ্র হিমাচলের মতো ‘মোজার্ট অফ মাদ্রাজের’ মাথাতেও যেন বাজ! জাকির ভাইয়ের এই অকালপ্রয়াণ কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন না তিনি।সদ্য ট্রিনিটি লেবান কনসারভেটোয়ার অফ মিউজিক অ্যান্ড ডান্সের সভাপতি হিসেবে নিযুক্ত হয়েছেন রহমান। রবিবারই রহমানের মুকুটে নতুন পালক জুড়েছে। এর মাঝেই দুঃসংবাদ! প্রিয় জাকির ভাই আর নেই। এক্স হ্যান্ডেলে শোকপ্রকাশ করে রহমান লিখেছেন, “জাকির ভাই ছিলেন একজন অনুপ্রেরণা। অসামান্য ব্যক্তিত্বের অধিকারী। যিনি তবলাকে বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয় করে তুলেছিলেন। ওঁর চলে যাওয়া আমাদের সকলের জন্য অপূরণীয় ক্ষতি। ওঁর সঙ্গে আর কাজ না করতে পারার আক্ষেপটা রয়েই গেল। একসঙ্গে একটা অ্যালবাম করার পরিকল্পনাও করেছিলাম আমরা। যদিও কয়েক দশক আগে আমরা একসঙ্গে কাজ করেছি। তোমাকে সত্যিই মিস করব। ঈশ্বর ওঁর পরিবার এবং জাকির ভাইয়ের বিশ্বব্যাপী অগণিত শিষ্য-শিষ্যাদের এই কঠিন সময়ে শোক সামলানোর ক্ষমতা দিন, এটাই প্রার্থনা করব।”চলতি বছরের ফ্রেব্রুয়ারি মাসেই জাকির হুসেন গ্র্যামি পুরহস্কার পাওয়ায় শুভেচ্ছা জানিয়ে পোস্টে লিখেছিলেন, “ভারতে গ্র্যামি বৃষ্টি হচ্ছে… অভিনন্দন জাকির ভাই।” তখন কে জানত, মায়েস্ত্রো চিরতরে বিদায় নেবেন এই বছরেই। জাকির হোসেনের প্রয়াণের খবর সোমবার ভোররাতে উস্তাদের প্রয়াণের খবর নিশ্চিত করা হয়েছে পরিবারের তরফে। রবিবারই গুরুতর অসুস্থ হয়ে আমেরিকার সান ফ্রান্সিসকোর এক হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন উস্তাদ। জানা গিয়েছে, হৃদযন্ত্রের সমস্যার জন্যই শিল্পীর শারীরিক পরিস্থিতির অবনতি হয়েছিল। পরিবারের তরফেও তাঁর দ্রুত আরোগ্য কামনা করে প্রার্থনার অনুরোধ করা হয়। এর মাঝেই জাকির হোসেনের মৃত্যুর খবর রটে যায়। খোদ উস্তাদের বোন জানান, “তিনি আশঙ্কাজনক। তবে বেঁছে আছেন। সকলে প্রার্থনা করুন।” কিন্তু শেষ রক্ষা আর হল না। সান ফ্রান্সিসকোর হাসপাতালেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। সোমবার ভোরে আসমুদ্র হিমাচলে আছড়ে পড়ল উস্তাদের প্রয়াণের দুঃসংবাদ। ইতিমধ্যেই দেশের রাজনৈতিকমহল থেকে সিনেজগতের তারকারা শোকপ্রকাশ করেছেন।

Card image cap

শাশুড়িকে নিয়ে সাইবাবা দর্শনে ক্যাটরিনা

তাহলে এবার ক্যাটরিনার মা হওয়ার পালা? সেই সুখবর সবাইকে জানানোর আগেই, শাশুড়িকে সঙ্গে নিয়ে সাইবাবা দর্শন! হ্য়াঁ, বলিউড গুঞ্জনে রটেছে এমনই। যে ক্যাটরিনা অন্তঃসত্ত্বা। রটেছে, এই কারণেই নাকি দীর্ঘদিন ধরে সিনেমা থেকে দূরে রয়েছেন ভিকি ঘরনি।ব্যাপারটা একটু খোলসা করে বলা যাক। গত জুন মাসে ক্যাটরিনার একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। যেখানে লম্বা পোশাকের আড়ালে তিনি বেবি বাম্প ঢেকে রেখেছেন বলে রটে যায়। সেই থেকেই শুরু হয় তাঁর মা হওয়ার গুঞ্জন। তার কয়েকদিন আগেই সোশাল মিডিয়ায় ঝড় তুলেছে ক্যাটরিনা ও ভিকি কৌশলের লন্ডন সফরের ভিডিও। যেখানে দেখা গিয়েছে, লন্ডনের রাস্তায় কালো কোট পরে যেন নিজের বেবিবাম্পকে আড়াল করছেন ক্যাট। আর সেই ভিডিও দেখেই রটে যায়, অনুষ্কার মতো ক্যাটও লন্ডনে উড়ে গিয়েছে সন্তান প্রসব করতে! এমনিতেই বিরাট ও অনুষ্কা তাঁদের প্রতিবেশি। গুঞ্জনপাড়া বলছে, সেই কারণেই হয়তো অনুষ্কার থেকে টিপস নিতে লন্ডনে এসেছেন ভিক্যাট। ক্যাটরিনা নিজে লন্ডনের নাগরিক। অভিনেত্রীর জন্ম সেখানেই। নিজস্ব বাড়িও আছে সে দেশে। বিয়ের মতো সন্তানের জন্মানোর খবরটাও গোপন রাখতে চান ক্যাট।তবে সেই রটনার বারুদেই পড়েছে নতুন আগুন। এবার স্বামী নয়, বরং শাশুড়িকে সঙ্গে নিয়ে সাইবাবা দর্শনে গেলেন ক্যাট। শিরিডিতে পৌছে অংশ নিলেন প্রার্থনা অনুষ্ঠানে। আর সেই ভিডিও ভাইরাল হতেই ফের মা হওয়ার জল্পনা। তবে এই নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি ক্যাট বা ভিকি কেউই।

Card image cap

পিছোল ‘খাদান’ ট্রেলারের মুক্তি

শুক্রবার ছবির মুক্তি। রবিবার ট্রেলার প্রকাশ্যে আসার কথা ছিল। আচমকা বিপত্তি! পিছিয়ে গেল দেবের ‘খাদান’ ছবির ট্রেলার রিলিজ। সুপারস্টার নিজে সোশাল মিডিয়ার মাধ্যমে অনুরাগীদের জানিয়েছেন এই খবর। কী কারণে পিছিয়ে গেল ট্রেলার রিলিজ? তাও জানিয়েছেন দেব।‘ফ্যামিলি ড্রামা’ ছেড়ে বহুদিন বাদে অ্যাকশন অবতারে দেব। সারা দেশজুড়ে ছবির প্রচার করেছেন অভিনেতা-প্রযোজক ও তাঁর সঙ্গীরা। দেবকে আবারও মারকাটারি মুডে দেখতে মুখিয়ে রয়েছেন ভক্তরা। তাঁদের জন্যই রবিবার ট্রেলার প্রকাশ করবেন বলে ঘোষণা করেছিলেন তারকা। কিন্তু প্রযুক্তিগত সমস্যার কারণে তা পিছিয়ে দিতে হল।এদিন সকালে ফেসবুক ও এক্স হ্যান্ডেলে দেব লেখেন, ‘সুপ্রভাত, আমি জানি খাদান-এর ট্রেলার দেখার জন্য সবাই খুব এক্সাইটেড। আমরাও তাই। কিন্তু প্রযুক্তিগত সমস্যার কারণে আমাদের আরও কিছুটা সময় লাগবে সেরাটা উপহার দিতে। ততক্ষণ পর্যন্ত এই উচ্ছ্বাস বজায় রাখুন।’নতুন বছরের শুরুতেই ‘খাদান’-এর প্রথম ঝলক প্রকাশ করেছিলেন দেব। আর প্রথম সেই ঝলকেই অভিনেতা-প্রযোজক বুঝিয়ে দিয়েছিলেন এবারের বড়দিনে এবং নিজের জন্মদিনের আগে তিনি বড়পর্দায় বিস্ফোরণ ঘটাতে চলেছেন। ‘ফ্যামিলি নিয়ে ব্যস্ত আছি তো কী ভাবিছিস, অ্যাকশনটা ভুলে গেছি?’, দেবের এই সংলাপই ‘খাদান’ ছবি নিয়ে অনুরাগীদের উৎসাহ কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে। ছবিতে দেব ছাড়াও রয়েছেন যিশু সেনগুপ্ত, বরখা বিশত, ইধিকা পাল, অনির্বাণ চক্রবর্তী, স্নেহা বসু, জন ভট্টাচার্য, সুজন নীল ভট্টাচার্য, বিশ্বজিৎ ঘোষের মতো অভিনেতা। আগামী ২০ ডিসেম্বর সিনেমা হলে মুক্তি পাচ্ছে সুজিত রিনো দত্ত পরিচালিত ছবি। আপাতত ট্রেলারের অপেক্ষা।

Card image cap

প্রধানমন্ত্রীর প্রশংসায় পঞ্চমুখ সইফ

রাতে মোটে তিন ঘণ্টা ঘুম। কাকভোরে যোগব্যায়াম, ধ্যান। নরেন্দ্র মোদির সরল জীবনযাপন মুগ্ধ বলিউড নবাব সইফ আলি খান। প্রধানমন্ত্রী বলে কথা। স্বাভাবিকভাবেই দিনভর তাঁর শিডিউল শশব্যস্ত। আপনি ঘুমোনোর সময় পান? প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতে প্রশ্ন ছুঁড়েছিলেন সইফ। হাসিমুখেই তিনি যা উত্তর দেন, তাতে হতবাক বলিউড তারকা।গত মঙ্গলবার গোটা কাপুর ‘খান-দান’ দিল্লিতে পাড়ি দিয়েছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দেখা করার জন্য। জামাই সইফ আলি খানও উপস্থিত ছিলেন সেই সাক্ষাৎ পর্বে। সেখানেই আলাপচারিতার পর মোদিতে মুগ্ধ সইফ। প্রধানমন্ত্রী যেদিন কাপুরদের সঙ্গে তাঁর বাসভবনে দেখা করলেন, তার ঠিক আগের দিনই সংসদ থেকে ফিরেছেন। স্বাভাবিকভাবেই সইফ আলি খান ভেবেছিলেন, মোদি হয়তো ভীষণ ক্লান্ত। “তবে ঘরে প্রবেশ করেই তিনি যে ভুবনভোলানো মিষ্টি হাসি হাসেন, সেটা দেখে আর কোনও সংশয় কাজ করেনি আমাদের মধ্যে”, দিল্লি থেকে ফিরে সদ্য এক সাক্ষাৎকারে একথা জানিয়েছেন সইফ। অভিনেতার কথায়, “সারাদিন এত কঠোর পরিশ্রম করেন। একটা দেশ চালান। তার মাঝেও সকলের সঙ্গে কী সুন্দর আড্ডা দিতে পারেন। আমি ওঁকে জিজ্ঞেস করেছিলাম- ‘আপনি বিশ্রাম কখন নেন?’ তার উত্তরে মোদিজি জানান, উনি মাত্র ৩ ঘণ্টা ঘুমোন রাতে।”এরপরই সইফ আলি খানের সংযোজন, “ওঁর সঙ্গে সাক্ষাতের দিনটা আমার জন্যে সত্যিই ভীষণ স্পেশাল। উনি এত ব্যস্ততার মাঝেও কিন্তু আমার মা (শর্মিলা ঠাকুর ), আমার বাচ্চাদের (জেহ, তৈমুর) খোঁজ নিয়েছেন। আমার বাবার (মনসুর আলি খান পতৌদি) সঙ্গে দেখা করার স্মৃতিও শেয়ার করলেন। আমাদের পরিবারকে যে সম্মান উনি দিলেন, তার জন্য আমরা সকলেই কৃতজ্ঞ। আমার ছেলেদের জন্য আবার অটোগ্রাফও সই করে দিয়েছেন।” সদ্য কাপুর পরিবারের সঙ্গে মোদির কথোপকথনের ভিডিও প্রকাশ করা হয়েছে নরেন্দ্র মোদীর অফিসের তরফে। সেখানেই মোদির সঙ্গে সময় কাটানোর অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিলেন সকলে। সইফকে বলতে শোনা গেল, “আপনিই প্রথম প্রধানমন্ত্রী যাঁর সঙ্গে আমি দেখা করার সুযোগ পেলাম। ব্যক্তিগতভাবে আপনার সঙ্গে দু বার দেখা করলাম। দারুণ ইতিবাচক মানুষ এবং কঠোর পরিশ্রমী আপনি। আপনার কাজের জন্য শুভেচ্ছা রইল।”

Card image cap

মা হলেন কোয়েল মল্লিক

মা হলেন টলিউড অভিনেত্রী কোয়েল মল্লিক। শনিবার সকালেই কোয়েলের কোল জুড়ে এল ফুটফুটে কন্যা সন্তান। বড়দিনের আগেইপ্রযোজক নিশপালের ঘরে এল লক্ষ্মী । স্বাভাবিকভাবে নিশপাল সিং ও মল্লিক পরিবারে খুশির হাওয়া। কোয়েলর প্রথম পুত্রসন্তান ছোট্ট কবীর, এবার হয়ে গেল দাদা। সোশাল মিডিয়ায় অনুরাগীদের সঙ্গে সুখবর ভাগ করে নিলেন কোয়েল মল্লিক নিজেই। জানা গিয়েছে, মা ও সন্তান রয়েছেন সুস্থ।২০২০ সালের ৫ মে, কোয়েলের কোলজুড়ে এসেছিল ফুটফুটে কবীর। সেই বছরই অষ্টমীর দিন ছেলের নাম প্রকাশ্যে এনেছিলেন কোয়েল। আর চলতি বছর দেবীপক্ষের শুরুতেই ফের মা হওয়ার খবর দিয়েছিলেন অভিনেত্রী। এবার বড়দিনের আগেই মিষ্টি মেয়ে এল কোয়েল ও নিশপালের সংসারে।
প্রায় সাত বছর সম্পর্কের পর ২০১৩ সালে বিয়ে করেন কোয়েল ও নিশপাল। ঘনিষ্ঠ এবং পরিবারের লোকজনদের নিয়ে বিয়ের পর্ব সেরেছিলেন তাঁরা। এক ছেলের পর এবার মেয়ে হওয়ায় বেজায় খুশি নিশপাল ও কোয়েল।

Card image cap

‘পুষ্পা’ যেন ‘ফ্যামিলি ম্যান’

শনিবার সকালে হায়দরাবাদের জুবিলি হিলস চত্বরে যেন জনঅরণ্য। ‘পুষ্পা’র শাপমোচন! একরাত হাজতবাস করে ঘরের ছেলে ঘরে ফিরেছে। অনুরাগী তো বটেই এমনকী আল্লু অর্জুনের বাড়ির এলাকাতেও যেন উৎসবের আমেজ। শুক্রবার দুপুরে স্ত্রীকে আদর করে পুলিশের সঙ্গে বেরিয়েছিলেন। তার পর সারাটা দিন থানা-পুলিশ, আদালতে কেটেছে। একরাত হাজতবাসও করতে হয়েছে। গত চব্বিশ ঘণ্টায় স্ত্রী-সন্তানের মুখও দেখার অবকাশ পাননি। শনিবার সকালে আল্লু অর্জুন বাড়িতে ফিরতেই তাঁর কাছে ছুটে গেলেন স্ত্রী স্নেহা রেড্ডি। স্বামীর বুকে মাথা রেখে কাঁদলেন অঝোরে।স্নেহা-আল্লুর সেই আবেগপ্রবেণ মূহূর্তের ভিডিও নেটপাড়ায় দাবানল গতিতে ভাইরাল। সেখানেই দেখা গেল জুবিলি হিলসের বাড়ির প্রবেশপথে আল্লু অর্জুনকে স্বাগত জানানোর জন্য দুই সন্তানের হাত ধরে দাঁড়িয়ে রয়েছেন স্ত্রী স্নেহা রেড্ডি। স্বামীকে দেখামাত্রই ছুটে গিয়ে জড়িয়ে ধরলেন। ছেলে আল্লু অয়ন এবং আল্লু আরহাও বাবাকে পেয়ে খুশি। দুই ছেলেমেয়েকে কোলে তুলে, তাদের গালে চুম্বন করে বাড়িতে ঢুকলেন দক্ষিণী সুপারস্টার। ‘ফ্যামিলি ম্যান পুষ্পা’কে দেখে চোখের জল মুছলেন ভক্তরাও!৪ ডিসেম্বর হায়দরাবাদের সন্ধ্যা থিয়েটারে ‘পুষ্পা ২’র প্রিমিয়ারে পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় এক মহিলার। তাঁর ৯ বছর বয়সি ছেলে এখনও আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি। ঘটনার জেরে আল্লু অর্জুনের বিরুদ্ধে স্থানীয় থানায় অভিযোগ দায়ের হয়। সেই মামলার ভিত্তিতেই শুক্রবার তেলেঙ্গানা পুলিশ গ্রেপ্তার করে দক্ষিণী তারকাকে। আদালতে ১৪ দিনের জেল হেফাজত দেওয়া হয় তাঁকে। এর পরই সন্ধেয় আল্লু অর্জুনকে হায়দরাবাদের চঞ্চলগুড়া জেলে নিয়ে যাওয়া হয়। যদিও কয়েকঘন্টার মধ্যেই ৫০ হাজার টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে জামিন পেয়ে যান ‘পুষ্পা’। তবে সময়মতো রিলিজ অর্ডার জেলে না পৌঁছনোয় শুক্রবার গোটা রাত গারদেই কাটাতে হয় আল্লু অর্জুনকে। শনিবার সকাল ৬টা ৩৫ মিনিট নাগাদ চঞ্চলগুড়া জেলের পিছনের দরজা থেকে বেরিয়ে আসতে দেখা যায় ‘পুষ্পা’কে। আল্লুকে বাড়ি নিয়ে যেতে এসেছিলেন তাঁর বাবা আল্লু অরবিন্দ এবং শ্বশুর কাঞ্চর্লা চন্দ্রশেখর রেড্ডি। এদিন সকালে জেল থেকে বেরিয়ে আল্লু অর্জুনের মুখে একটাই কথা, “আমি দুঃখিত এবং শোকাহত। আইনকে সম্মান করি, তদন্তে সহযোগিতা করব।” এদিকে স্বামীকে বাড়িতে পেয়েই স্নেহার কান্না যেন কিছুতেই থামতে চাইছে না। বাবার সঙ্গে দেখা করার জন্য উদগ্রীব হয়ে যায় আল্লুর সন্তানরাও।

Card image cap

‘খাদান’ নিয়ে বড় বার্তা দেবের

‘খাদান’ রিলিজের আগেই সুপারহিট! মুক্তির পরে যে দেবের এই ছবি হইচই ফেলে দেবে, তার ইঙ্গিত বেঙ্গল ট্যুরেই পেয়ে গেলেন দেব। আর তাই বাংলার দর্শককে, তথা বাংলা ছবির দর্শককে ধন্য়বাদ জানাতে শুক্রবার ফেসবুক লাইভে এলেন টলিউডের ‘রাজার রাজা’।ফেসবুক লাইভে এসে দেব বলেন, ”বেঙ্গল ট্যুরটা আমাদের জন্য একটা ইতিহাস। তাই এটার একটা ডকুমেনটেশন থাকা উচিত। সেই কারণেই লাইভ। প্রায় একমাস আগে আমরা ভাবছিলাম টেক্কার পর নতুন এমন কী করা যায়, যার মধ্যে দিয়ে খাদান বাংলার প্রতিটা কোণায় পৌছে যাবে। সে ভাবনা থেকেই খাদান বেঙ্গল ট্যুরের জন্ম। দারুণ রেসপন্স পাচ্ছি আমরা। তবুও বলতে চাই, আমার মনে হয় প্রধানের মতো ছবি দেখার দর্শক রয়েছে। এটা আমার মনে হয়েছিল। আমার মনে হয়েছিল যে এমন কী করি যে মানুষগুলো একটা সময় ছবি দেখত আর এখন যে মানুষগুলো টিকিট কেটে ছবি দেখে, তাঁদেরকে কীভাবে এক করব। আমাদের ছবি মুক্তি পেতে আর একসপ্তাহ বাকি। আমরা খুব ইমোশনাল। যেভাবে আমরা রেসপন্স পাচ্ছি।
ফেসবুক লাইভে এসে দেব আরও বলেন, ”বেঙ্গল ট্যুরের শুরুর সময় আমরা ভাবছিলাম, আমরা তো বের হচ্ছি, লোকে কি বের হবে? বাংলা ছবির দর্শক, যাঁরা সিনেমাহলে এসে ছবি দেখেন, তা খুবই লিমিটেড। আমি কয়েক বছর আগে মন্তব্য করেছিলাম, বাংলা ছবির দর্শক ও বাংলার দর্শক একেবারে আলাদা। বাংলা ছবির দর্শক, যাঁরা হলে এসে বাংলা ছবি দেখে, বাংলার দর্শক যাঁরা হলে এসে সমস্ত ছবি দেখে। পুষ্পা দেখে, স্ত্রী ২ দেখে। আরও যে হিন্দি ছবি আসবে বা হলিউড ছবি আসবে সেটা দেখবে। লোকজনকে আমি কীভাবে আমার ছবিটা দেখাবো, যাঁরা দেবকে দেব বানিয়েছে, আমিও সেই ছবিগুলো মিস করেছি। সঙ্গে যাঁরা আমার প্রধান দেখেছে, টনিক দেখেছে, তাঁদের কীভাবে বোঝাবো, এটাও আপনাদের ছবি। আমরা যেভাবে রেসপন্স পাচ্ছি, ভাবিনি এমনটা হবে। সবাইকে ধন্যবাদ। অনেকে আবেগে কাঁদছে। অনেক দূর দূর থেকে লোক আসছে। এত মানুষ দেখতে আসছে। খুবই স্পেশাল। সাড়ে তিন হাজার কিলো মিটার হল খাদান বেঙ্গল ট্যুর। খাদান ট্যুর বাংলা ছবির জন্য ঘোরা। বাংলা ছবির উৎসবে ফিরতে চাই।”

Card image cap

অন্তর্বর্তীকালীন জামিন পেলেন আল্লু অর্জুন

জেল হেফাজতের ঘণ্টা খানেকের মধ্যেই জামিন পেয়ে গেলেন দক্ষিণী তারকা আল্লু অর্জুন। অন্তর্বর্তীকালীন জামিন পেয়েছেন সুপারস্টার। তেলেঙ্গানা হাই কোর্ট তাঁর এই জামিন মঞ্জুর করেছে। এমনটাই জানা গিয়েছে। শুক্রবার দিনভরের ঘটনা সিনেমাকেও হার মানায় ।  ডিসেম্বর মাসের ৪ তারিখ হায়দরাবাদের সন্ধ্যা থিয়েটারে ‘পুষ্পা ২’র প্রিমিয়ারে আল্লু অর্জুনকে দেখতে গিয়ে পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় এক মহিলা অনুরাগীর। সেই অভিযোগেই তারকাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁকে তোলা হয় আদালতে। ১৪ দিনের জেল হেফাজত হয় দাক্ষিণাত্যের সুপারস্টারের। এর পরই টুইস্ট। জেল হেফাজতের কিছুক্ষণের মধ্যেই অন্তর্বর্তীকালীন জামিন পেয়ে গিয়েছেন আল্লু অর্জুন।
জানা গিয়েছে, ভারতীয় দণ্ডবিধির ১০৫ এবং ১১৮ (১) ধারায় মামলা দায়ের হয় আল্লু অর্জুন ও  বাকি অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে। তার জেরেই নিম্ন আদালতে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তেলেঙ্গানা হাই কোর্টের বিচারপতি জানান, তারকাদেরও বাঁচার অধিকার রয়েছে এবং নাগরিক হিসেবে তাঁদেরও ব্যক্তিস্বাধীনতা রয়েছে। এদিকে আল্লুর বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা তুলে নেওয়ার ইচ্ছে প্রকাশ করেছেন মৃতার স্বামী ভাস্কর। সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, “মামলা তুলে নিতে প্রস্তুত আমি। আমি আল্লু অর্জুনের গ্রেপ্তার হওয়ার খবর জানতাম না। আর সেদিন পদপিষ্ট হয়ে আমার স্ত্রীর মৃত্যুর নেপথ্যে ওঁর তো কোনও হাত নেই।” মহিলার মৃত্যুর খবর কানে যেতেই ভিডিও বার্তায় শোক প্রকাশ করেছিলেন আল্লু। মৃতার পরিবারকে নাকি তিনি ২৫ লক্ষ টাকাও দেওয়ার আশ্বাস দেন। তাঁর আহত ছেলের চিকিৎসার দায়িত্বও বহন করেন সুপারস্টার। 

Card image cap

প্রাণনাশের হুমকিতে জন্মদিনের প্ল্যানে বড় বদল

কখনও ফোনে, কখনও চিঠিতে, কখনও আবার সরাসরি শুটিং ফ্লোরে ঢুকে। সলমনকে মেরে ফেলার হুমকি। বিন্দাস হয়েই দোষ নিজেদের ঘাড়ে নিয়েছে লরেন্স বিষ্ণোইর দল। সিনেমার পর্দায় ‘দাবাং’ হলেও রিয়্যাল ভাইজানকে ঘিরে কড়া নিরাপত্তা। বুলেটপ্রুফ গাড়ি থেকে শেরার মতো ডাকাবুকো ‘বডিগার্ড’, সবই আছে সলমনের। কিন্তু বাড়ির ছেলের নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তিত সলমন খানের পরিবার। তাই তো তাঁর জন্মদিন নিয়ে সকলে মিলে নিয়েছেন বড় সিদ্ধান্ত।বড়দিনের ঠিক পরে আগামী ২৭ ডিসেম্বর ৫৯তম বছরে পা দিচ্ছেন সলমন। গত বছরও মুম্বইয়ের গ্যালাক্সি অ্যাপার্টমেন্টের সামনে ছিল ভক্তদের ভিড়। বাবা সেলিম খানকে নিয়ে বাড়ির বারান্দায় এসেছিলেন ভাইজান। ভক্তদের শুভেচ্ছা গ্রহণ করেছিলেন। এবার কি এই দৃশ্য দেখা যাবে? বলিউডের ‘দাবাং’ খানের জন্মদিনের পরিকল্পনা কী? এই প্রশ্নই করা হয়েছিল সোহেল খানকে।সাংবাদিকদের প্রশ্ন শুনেই সামান্য হেসে সোহেল জানান, একেবারে ঘরোয়াভাবেই ভাইজানের জন্মদিনের সেলিব্রেশন হবে। পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত থাকবেন। হাতেগোনা কয়েকজন বন্ধুও আসবেন সুপারস্টারকে শুভেচ্ছা জানাতে। এখন নিরাপত্তার বড় কড়াকড়ি। তাই যা আয়োজন সমস্ত কিছু বাড়ির মধ্যেই হবে।
প্রসঙ্গত, কৃষ্ণসার হরিণ হত্যা মামলায় নাম জড়ানোর পর থেকেই লরেন্স বিষ্ণোইর নেতৃত্বাধীন বিষ্ণোই গ্যাংয়ের নিশানায় সলমন খান। আতঙ্ক বাড়ে বাবা সিদ্দিকির হত্যাকাণ্ডের পর থেকে। দশেরার দিন বাবা সিদ্দিকিকে হত্যা করা হয়। পূর্ব বান্দ্রায় বাজি ফাটাচ্ছিলেন এনসিপি (অজিত) নেতা। সেই সময়ই তার উপরে দুষ্কৃতীদের হামলা হয়। আচমকাই সেখানে হাজির হয় তিন দুষ্কৃতী। তারা লাগাতার গুলি চালাতে থাকে। গুলি ফুঁড়ে দেয় সিদ্দিকির শরীর। ঘটনাস্থলেই লুটিয়ে পড়েন তিনি। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথেই মৃত্যু হয় সিদ্দিকির।
বন্ধুকে এভাবে হারিয়ে ভেঙে পড়েন সলমন খান। এদিকে তো হুমকির শেষ নেই। এর আগে হুমকি বার্তায় পাঁচ কোটি টাকার দাবি করা হয়েছিল। সেই ঘটনার অভিযুক্ত হিসেবে জামশেদপুরের এক সবজি বিক্রেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর পরই আবার সলমন খান ও বাবা সিদ্দিকির ছেলে তথা মুম্বইয়ের বান্দ্রা-পূর্ব আসনের বিধায়ক জিশান সিদ্দিকিকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগে নয়ডা থেকে ২০ বছরের এক যুবককে পাকড়াও করা হয়। ডিসেম্বর মাসে শুটিং ফ্লোরে ঢুকে সরাসরি সলমনকে প্রাণনাশের হুমকি দেয় এক অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তি। নিজেকে লরেন্স বিষ্ণোইর দলের সদস্য হিসেবে দাবি করে সে। যদিও সলমনের কাছে পৌঁছানোর আগেই সেটের নিরাপত্তারক্ষীরা ওই ব্যক্তিকে ধরে ফেলেন। পরে পুলিশ তাকে হেফাজতে নেয়।

Card image cap

৩০তম কলকাতা ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে সেরার শিরোপা পেলেন কারা?

প্রতিবারের মতো এবারও জমাজমাটভাবে শেষ হল কলকাতা ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল। গত একসপ্তাহ ধরে সিনেপ্রেমীরা মজে ছিলেন বিশ্ব সিনেমায়। ফের এক বছরের অপেক্ষা। বুধবার রবীন্দ্রসদনে হয়ে গেল চলচ্চিত্র উৎসবের পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠান। বেছে নেওয়া হল সেরা পরিচালক, সেরা ছবি। সেরার শিরোপা ছিনিয়ে নিল বাংলার তিন ছবি। একনজরে দেখে নিন  কারা পেলেন পুরস্কার।সেরা ভারতীয় তথ্যচিত্র- ভবতোষের কারখানা (বাংলা) ৷ পরিচালক দীপাঞ্জন চৌধুরী। পরিচালকের হাতে তুলে দেওয়া হল ৩ লাখ টাকা নগদ পুরস্কার, সার্টিফিকেট এবং ট্রফি
সেরা ভারতীয় স্বল্পদৈর্ঘ্যের ছবি – গুলারকে ফুল (হিন্দি) ৷ পরিচালক অরণ মৈত্র। পরিচালককে দেওয়া হয় ট্রফি ও সার্টিফিকেট এবং ৫ লাখ টাকা নগদ পুরস্কার ৷
সেরা বাংলা প্যানোরমা ফিল্মের পুরস্কার জিতে নেয়, ধ্রুবর আশ্চর্য জীবন (বাংলা) ৷ অভিজিৎ চৌধুরী পরিচালিত এই ছবি সার্টিফিকেট ও ট্রফির পাশাপাশি পায় ৭.৫ লাখ টাকা পুরস্কার ৷

হীরালাল সেন মেমোরিয়াল অ্যাওয়ার্ড

সেরা পরিচালক (ইন্ডিয়ান ল্যাঙ্গুয়েজ ফিল্ম ক্যাটাগরি) – আরিয়ান চন্দ্র প্রকাশ (সিনেমা-আজুর) ৷ ট্রফির সঙ্গে হাতে তুলে দেওয়া হয় ৫ লাখ টাকা নগদ পুরস্কার ৷

সেরা সিনেমা (ইন্ডিয়ান ল্যাঙ্গুয়েজ ফিল্ম ক্যাটাগরি)- লাচ্ছি (কন্নড়) ট্রফির সঙ্গে পরিচালক ও প্রযোজকের হাতে তুলে দেওয়া হয় ১০ লাখ টাকা নগদ পুরস্কার ৷ পরিচালক ও প্রযোজকের হাতে তুলে দেওয়া হয় সার্টিফিকেটও ৷

গোল্ডেন রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার অ্যাওয়ার্ড (ইন্টারন্যাশনাল কম্পিটিশন)

সেরা পরিচালক- আনা এন্ডেরা (বিলাভড ট্রপিক)। পুরস্কার হিসেবে ট্রফির পাশাপাশি পরিচালকের হাতে তুলে দেওয়া হয় নগদ ২১ লাখ টাকা পুরস্কার এবং সার্টিফিকেট ৷

সেরা সিনেমা- তারিকা (বুলগেরিয়া) পরিচালক মিলকো লাজারোভ ও প্রযোজক ভেসেলকা কিরায়াকোভারের হাতে তুলে দেওয়া হয় ট্রফি, ৫১ লাখ টাকা এবং সার্টিফিকেট ৷

এছাড়াও স্পেশাল জুরি মেনশন (ইন্টারন্যাশনাল কম্পিটিশন ইনোভেশন ইন মুভিং ইমেজেস)-এ সার্টিফিকেট পায় মেক্সিকোর সিনেমা ডেড’স ম্যান সুইচ ৷ FIPRESCI পুরস্কারের সার্টিফিকেট পায় ‘তারিকা’ ৷নেটপ্যাক অ্যাওয়ার্ড বেস্ট ফিল্ম (এশিয়ান সিলেক্ট)- ‘পুতুলনামা’- পরিচালক রণজিত রায়

স্পেশাল জুরি মেনশন (ইন্ডিয়ান ডকুমেন্টারি ফিল্ম)- ‘মোজ্জাত’ (বাংলা)- অমৃত সরকার

স্পেশাল জুরি মেনশন (ইন্ডিয়ান ডকুমেন্টারি ফিল্ম)- ‘মেলভিলাসম’ (মালয়লম)- পরিপ্রসাদ কেএন

স্পেশাল জুরি মেনশন (ইন্ডিয়ান ল্যাঙ্গুয়েজ ফিল্ম ক্যাটাগরি)-এর সার্টিফিকেট দেওয়া হয় হিন্দি সিনেমা নুক্কড় নাটক ছবিকে ৷

৩০তম কলকাতা চলচ্চিত্র উৎসবের সমাপ্তি অনুষ্ঠানে ডোনা গঙ্গোপাধ্যায়ের ‘দীক্ষামঞ্জরী’র নৃত্য পরিবেশনা দিয়ে শুরু হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, শান্তনু বসু, ইন্দ্রনীল সেন, অরূপ বিশ্বাস, গৌতম ঘোষ, সোহম চক্রবর্তী, পাওলি দাম, ঋতাভরী চক্রবর্তী, নিকোলাস ফ্যাসিনোর মতো সিনে-ব্যক্তিত্বরা।

Card image cap

‘রামায়ণ’-এ হনুমান সানি! হাঁকালেন মোটা পারিশ্রমিক

লম্ফ-ঝম্ফতে সানি ওস্তাদ। গর্জনেও তাঁকে টেক্কা দেওয়া বেশ কঠিন। তার উপর ঢাঁই কিলো কা হাত! এমন বলিউডি নায়কই যে হনুমান হিসেবে পারফেক্ট, তা তো বলাই বাহুল্য। তবে খোদ হনুমান থুড়ি সানি কিন্তু একেবারেই চুপ। বরং বলিপাড়ার গুঞ্জন বলছে, রণবীরের রামায়ণ-এ তিনিই হনুমান। ব্যাপারটা একটু খোলসা করে বলা যাক।  নীতেশ তিওয়ারি পরিচালিত ‘রামায়ণ’-এ এন্ট্রি নিলেন সানি দেওল। না কোনও গুঞ্জন নয়, সম্প্রতি সানিই জানিয়েছেন এই কথা। যে ছবিতে রামের চরিত্রে রণবীর কাপুর এবং রাবণের ভূমিকায় দক্ষিণী তারকা যশ রয়েছেন। সেই ছবি সানিকে কী অবতারে দেখা যাবে তা কিন্তু স্পষ্ট করেননি গদর অভিনেতা। তবে শোনা যাচ্ছে, রামায়ণ-এ তাঁকে দেখা যাবে হনুমানের চরিত্রেই। অর্থাৎ রটেছিল যেটা, সেটাই হতে চলেছে।তবে চমক রয়েছে আরও। শোনা যাচ্ছে, ‘রামায়ণ’-এ হনুমান হওয়ার জন্য সানি নাকি হাঁকিয়েছেন মোটা টাকার পারিশ্রমিক। বজরংবলীর চরিত্রে অভিনয় করার জন্য প্রযোজনা সংস্থার কাছে ৪৫ কোটি টাকা চেয়ে বসেছেন সানি দেওল। যদিও সেই বিষয়ে সরাসরি কোনওরকম মুখ খোলেননি এখনও অভিনেতা। সানি দেওলের শারীরিক গড়নের সঙ্গেও দারুণ মানিয়ে যাবে। উপরন্তু ‘গদর ২’ ছবির দৌলতেও ভক্তদের মনে যেরকম ইমেজ তৈরি করেছেন তিনি, তাতে অভিনেতাকে বজরংবলি হিসেবে পাওয়া গেলে জব্বর বিষয় হবে।উল্লেখ্য, ‘গদর ২’র তুমুল সাফল্য সানি দেওলের ফিল্মি কেরিয়ারকে নতুন করে ট্র্যাকে নিয়ে এসেছে। ৬৯০ কোটি টাকার ব্যবসা করা ছবির পর এখন সানি অভিনয়ের দিকেই বেশি মন দিতে চাইছেন। আর হনুমানের চরিত্র নিয়ে নাকি তিনি বেশ আগ্রহী। পরিচালক নীতেশও এই চরিত্রে সানিকেই চান। এও শোনা যাচ্ছে, ইতিমধ্যেই পরিচালক নাকি হনুমানের চরিত্র নিয়ে একটি স্পিন-অফ মুভি তৈরি করার পরিকল্পনাও ছকে ফেলেছেন।আগে প্রভাস-কৃতী স্যাননের ‘আদিপুরুষ’ ডাহা ফ্লপ হওয়ার পর থেকেই পরিচালক নীতেশ তিওয়ারি দুশ্চিন্তায় পড়ে গিয়েছিলেন। একবার তো ভেবেই ছিলেন রামায়ণ ছবির পরিকল্পনায় ইতি দেবেন। এমনকী, তেমনটাই জানিয়ে ছিলেন রণবীর কাপুরকেও। তবে আপাতত, সে সব দুশ্চিন্তায় ইতি। মনে সাহস সঞ্চয় করে নতুন করে ‘রামায়ণ’-এর কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন পরিচালক নীতেশ তিওয়ারি।

Card image cap

দেবকে ‘আনফলো’ রুক্মিণীর!

‘কিশোরী, তোকে না পাইলে জানি না কি করি!’ ‘খাদান’-এর নতুন গানে, ইধিকা পালকে তো মনের কথা এভাবেই বলছেন দেব। কিন্তু যেই না এল রিলের বাইরে রিয়েলের গপ্পো, মানে বান্ধবী রুক্মিণীর কথা, তখন টুক করে বলে ফেললেন আমি ‘সিঙ্গল’! আর তার পর যেমনটি হওয়া উচিত, তেমনটিই হল, বান্ধবী রুক্মিণীর অভিমান। যত রাগ গিয়ে পড়ল ইনস্টাগ্রামে। ব্যস , দূরত্ব রচনা। মানেই ওই আনফলো!দেব এখন ‘খাদান’ টিম নিয়ে বাংলার এদিক থেকে ওদিক ছুটছেন। কখনও বাসে, কখনও বন্দে ভারত। আর এদিকে দেখুন বাংলার নতুন ‘বিনোদিনী’ চুপটি করে বসে আছেন! আসলে, সোশাল মিডিয়ায় সম্প্রতি দেবের একটা ভিডিও ভাইরাল হয়। যেখানে দেব রসিকতার ছলে টুক করে বলে ফেলেছেন তিনি সিঙ্গল! পরে অবশ্য ব্যাপারটি সামলে নিয়ে বলেছেন, সাংবাদিকরা আসলে সিঙ্গল বাইট নিতে চায়! তাতে কী? টলিপাড়ার গুঞ্জনপাড়া বলছে, আসলে রুক্মিণীর নাকি এই সিঙ্গল শব্দতে আপত্তি! আর তার জেরেই আনফলো!এই তো সেদিন কলকাতা চলচ্চিত্র উৎসবের উদ্বোধনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সৌজন্যে দেবের গলায় উত্তরীয় দিলেন রুক্মিণী। তার পরই অভিমান! টলি সূত্র অনুযায়ী, এই রুক্মিণী-দেবের আনফলো কিসসার নেপথ্যে রয়েছে প্রচার। কেননা, একদিকে যেমন ২০ ডিসেম্বর আসছে দেবের ‘খাদান’, অন্যদিকে নতুন বছরেই মুক্তি রুক্মিণীর ‘বিনোদিনী’। তবে ফিল্মি ইতিহাস বলছে, ছবি রিলিজের আগে শুধুমাত্র প্রোমোশনের জন্যই এধরনের গুঞ্জন রটে। দেব-রুক্মিণীর বিষয়টিও হয়তো তাই-ই। 

Card image cap

‘দেশটা কারও বাপের না’ পালটা গর্জন দিলজিতের

হায়দরাবাদ, কলকাতা, বেঙ্গলুরু সেরে ইন্দোর শহরে হয়ে গেল জমজমাট দিলজিৎ দোসাঞ্জের অনুষ্ঠান। তবে গানের মাঝে আচমকাই চটলেন দিলজিৎ। যেহেতু শিল্পী, তাই গানের ভাষাতেই জানালেন প্রতিবাদ।
তা হঠাৎ কেন মঞ্চে প্রতিবাদী হয়ে উঠলেন পাঞ্জাবি গায়ক?
সূত্রের খবর, ইন্দোরে দিলজিতের অনুষ্ঠান শুরু আগে বজরং দলের সদস্যরা অনুষ্ঠানে স্থলে মদ বিক্রি যাতে না হয় তা নিশ্চিত করার কথা বলেন। আর তাতে চটেন দিলজিৎ। তবে কথায় নয়, গানের মধ্য়ে দিয়েই হুঙ্কার ছাড়েন দিলজিৎ। রাহাত ইন্দোওরির কবিতার থেকে শব্দ ধার নিয়ে দিলজিৎ গেয়ে ওঠেন। ‘‘সভি কা খুন হ্যায় ইস্ মিট্টি মে শামিল, কিসি কি বাপ কা হিন্দুস্তান থোড়ি হ্যাঁ?’’দিলজিৎ দোসাঞ্ঝের ‘দিল-লুমিনাটি’ শো ঘিরে ঠিক যতটা উন্মাদনা, ততটাই বিতর্ক! পাঞ্জাবি পপস্টার বিদেশ জয় করে সদ্য দেশে মিউজিক্যাল ট্যুর শুরু করেছেন। আর দিল্লিতে কনসার্টের পর থেকেই একের পর এক বিতর্ক সঙ্গী হয়েছে দিলজিতের। গানের মাধ্যমে মদ, মাদকের প্রচার করার অভিযোগে আইনি নোটিস পেয়েছিলেন তেলেঙ্গনা সরকারের তরফে।
হায়দরাবাদে সেইমতো নিজের গানের লিরিকস বদলে শো করেন গায়ক। এর পরই রটে যায়, আহমেদাবাদে শো করার আগেও নাকি গুজরাট সরকারের তরফে আইনি নোটিস পেয়েছেন দিলজিৎ। খবর শুনেই রেগে কাঁই গায়ক! আর এবার গানের মধ্যে দিয়ে গর্জন করে উঠলেন দিলজিৎ।