CATEGORY games:

Card image cap

ভারতের বিরুদ্ধে ঘুরে দাঁড়াতে আনকোরা মুখই ভরসা অস্ট্রেলিয়ার

পারথে প্রথম টেস্টে ভারতের কাছে হেরে যথেষ্ট চাপে অস্ট্রেলিয়া। তার মধ্যে প্যাট কামিন্সদের চিন্তা আরও বাড়াচ্ছেন মিচেল মার্শ। চোটের সমস্যা রয়েছে অজি অলরাউন্ডারের। সেই কথা মাথায় রেখে অ্যাডিলেড টেস্টের আগে নতুন মুখকে দলে নিল অস্ট্রেলিয়া। জাতীয় দলের হয়ে একটাও ম্যাচ না খেলা ব্যু ওয়েবস্টারকে রাখা হল স্কোয়াডে।৩০ বছর বয়স হলেও অস্ট্রেলিয়ার জার্সিতে কখনও খেলেননি ব্যু। ডানহাতি এই ব্যাটার মাঝেমাঝে পেস বোলিংও করেন। তাই মিচেল মার্শের বিকল্প হিসাবে তাঁকেই ভাবছে অজি টিম ম্যানেজমেন্ট। অ্যাডিলেডে দিনরাতের টেস্টে মিচেল যদি খেলতে না পারেন তাহলে হয়তো নামানো হতে পারে ব্যুকে। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে মোট ১৭৮৮ রান করেছেন তিনি। তিনটি সেঞ্চুরি এবং ৯টি অর্ধশতরান এসেছে তাঁর ব্যাট থেকে।শেফিল্ড শিল্ডে তাসমানিয়ার বিরুদ্ধে খেলেন ব্যু। চলতি সপ্তাহে নিউ সাউথ ওয়েলসের দুরন্ত পারফরম্যান্স করেছেন তিনি। দুই ইনিংসে ৬১ এবং ৪৯ রান করার পাশাপাশি তুলে নিয়েছেন পাঁচ উইকেট। অস্ট্রেলিয়া এ দলের বিরুদ্ধেও ভালো পারফরম্যান্স করেছিলেন ব্যু। তার পরে শেফিল্ড শিল্ডের ম্যাচেও ভালো খেলার পরে সোজা জাতীয় দলে ডাক পেলেন।ম্যাচ শেষ হওয়ার পরেই অস্ট্রেলিয়ার নির্বাচকপ্রধান জর্জ বেইলির ফোন আসে ব্যুয়ের কাছে। জাতীয় দলে ডাক পেয়ে অজি ক্রিকেটার বলছেন, “‘এ’ দলের হয়ে খেলা মানে টেস্টের থেকে মাত্র একধাপ নিচে থাকা।” আগামী সপ্তাহে অ্যাডিলেডে গিয়ে অজি দলের সঙ্গে যোগ দেবেন ব্যু। যদিও অস্ট্রেলিয়া কোচ অ্যান্ড্রু ম্যাকডোনাল্ড জানিয়েছেন, অ্যাডিলেড টেস্টের দলে কোনও বদল হবে না। পারথ টেস্টের দল নিয়েই দিনরাতের ম্যাচে নামবেন প্যাট কামিন্সরা।

Card image cap

‘খারাপ বস’ মিম নিয়ে প্রতিক্রিয়া গোয়েঙ্কার

ম্যাচে হারের পর প্রকাশ্যেই অধিনায়ক কে এল রাহুলকে তীব্র ভর্ৎসনা করার অভিযোগ উঠেছিল তাঁর বিরুদ্ধে। আইপিএলের নিলাম শেষ হওয়ার পরে ফের চর্চায় সেই সঞ্জীব গোয়েঙ্কা । ২৭ কোটির বিরাট অঙ্ক খরচ করে ঋষভ পন্থকে কেনার পর থেকেই লখনউ সুপার জায়ান্টসের মালিককে নিয়ে মিমের ছড়াছড়ি নেটদুনিয়ায়। মিম নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন গোয়েঙ্কা নিজেও।আগেই জল্পনা ছিল, আসন্ন আইপিএলে রাহুলকে রিটেন করবে না লখনউ। রিটেনশন তালিকা প্রকাশ হওয়ার পরে সেই জল্পনায় সিলমোহর পড়ে। নিলামের সময়ে ঋষভের জন্য ২০ কোটি থেকে একলাফে ২৭ কোটির দর হেঁকে দেন গোয়েঙ্কা। শেষ পর্যন্ত ভারতীয় উইকেটকিপারকে কিনে নেয় লখনউ। আইপিএলের ইতিহাসে সর্বোচ্চ দাম পাওয়া ক্রিকেটার হিসাবে নজির গড়েন পন্থ।তার পর থেকেই নেটদুনিয়ায় তুমুল জনপ্রিয় হয়েছে একটি মিম। সেখানে দেখা যাচ্ছে, লখনউয়ের প্রাক্তন অধিনায়ক রাহুল কথা বলছেন পন্থের সঙ্গে। রাহুলের মতে, “দেখ ভাই, কোম্পানি বেশ ভালো। মাইনেও ভালোই পাবি। কিন্তু বস খুব খারাপ।” অর্থাৎ লখনউয়ে যোগ দিয়ে পন্থ বিরাট দাম পেলেও নিজের মতো খেলার পরিবেশ পাবেন না।ভাইরাল হওয়া এই মিম নিয়ে পন্থ বা রাহুল কেউই মুখ খোলেননি। তবে যাঁকে ঘিরে এই মিম, সেই ‘খারাপ বস’ গোয়েঙ্কা জানান, ভাইরাল হওয়া মিম দেখেননি তিনি। তবে প্রয়োজন পড়লে তিনি কড়া বস হতে মোটেই দ্বিধা করেন না। গোয়েঙ্কার মতে, “এইটুকু বলতে পারি বস খুবই ভালোবাসে সকলে, ভালো-মন্দের খেয়াল রাখে। পাশাপাশি কড়াও হতে পারে। যখন দরকার তখন ভালোবাসে, যখন দরকার খোঁজ রাখে। কিন্তু যখন দরকার তখন বকুনিও দেয়।” লখনউ মালিকের এহেন মন্তব্য প্রকাশ্যে আসার পর থেকে নেটদুনিয়ায় প্রশ্ন, গত মরশুমে রাহুলের পর এবার কি গোয়েঙ্কার রোষে পড়বেন পন্থও?

Card image cap

অজি সফরের জন্য ঋষভকে শুভেচ্ছাবার্তা উর্বশীর!

বলি অভিনেত্রী উর্বশী রাউতেলাকে নিয়ে এমন হাজারো জল্পনা শোনা যায় মাঝেমধ্যেই। এবার অভিনেত্রীকে নিয়ে শোনা গেল নতুন খবর। অস্ট্রেলিয়া সফরের আগে পন্থের জন্য তিনি নাকি বিশেষ শুভেচ্ছাবার্তা দিয়েছেন। নেটদুনিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে সেই ঘটনার কথাও।ভয়াবহ গাড়ি দুর্ঘটনার পর দুরন্ত কামব্যাক করেছেন পন্থ। আপাতত বর্ডার-গাভাসকর ট্রফি খেলার জন্য তিনি রয়েছেন অস্ট্রেলিয়ায়। পারথে প্রথম টেস্টে যথেষ্ট ভালো ব্যাটিং করেন তিনি। প্রথম ইনিংসে ৩৭ রান আসে পন্থের ব্যাট থেকে। ম্যাচে মোট ৬টি ক্যাচও নেন তিনি। ইতিহাস গড়ে পারথ টেস্ট ২৯৫ রানে জিতে নেয় টিম ইন্ডিয়া। পাঁচ ম্যাচের সিরিজে ১-০ এগিয়ে গিয়েছে ভার‍ত।এহেন সুসময়েই ফের নতুন করে পন্থের সঙ্গে জড়াল উর্বশীর নাম। আপাতত মডেলিং নিয়ে ব্যস্ত রয়েছেন অভিনেত্রী। তার মধ্যেই একটি সাক্ষাৎকার দিয়েছেন তিনি। ইউটিউবে প্রকাশিত সেই সাক্ষাৎকারে উর্বশীকে প্রশ্ন করা হয়, যদি ঋষভ পন্থের জন্য কোনও বিশেষ হ্যাশট্যাগ দিতে হয়, তাহলে কোন ট্যাগ দেবেন? হাসিমুখে উর্বশীর জবাব, “অল দ্য বেস্ট ফর অস্ট্রেলিয়া।” যদিও গোটা বিষয়টি নিয়ে আলোচনা না করতেই অনুরোধ জানিয়েছেন অভিনেত্রী।উল্লেখ্য, পন্থের সঙ্গে উর্বশীর সম্পর্ক নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই নানা জল্পনা হয়েছে। বছরদুয়েক আগে থেকে এই জল্পনা শুরু হয়। পন্থের প্রতি ভালবাসার কথা বারবারই প্রকাশ করেছেন উর্বশী। তাঁর খেলা দেখতে মাঠেও পৌঁছে গিয়েছেন একাধিকবার। যদিও পুরো বিষয়টা এড়িয়ে যাওয়াই পছন্দ করেন পন্থ। তবে ‘প্রিয়’ পন্থ যেন কঠিন অজি সফরে গিয়ে ভালো খেলেন, সেই প্রার্থনায় মগ্ন উর্বশী। গোটা বিষয়টিতে নেটদুনিয়ার দাবি, সত্যিই পন্থকে বড্ড ভালোবাসেন বলি অভিনেত্রী। 

Card image cap

দিল্লির মসনদ ছাড়ার পর আবেগী বার্তা পন্থের

রেকর্ড তৈরি হয় ভাঙার জন্য। সেটা বার বার প্রমাণ করছেন ঋষভ পন্থ। মাঠে ব্যাট হাতে নজিরের পর নজির গড়েন ভারতের তারকা ব্যাটার। আর সেই পারফরম্যান্সের জেরে আইপিএল নিলামে সর্বকালের সবচেয়ে বেশি দর পেলেন পন্থ। দিল্লির মসনদ ছেড়ে এখন তিনি লখনউয়ের নবাব। ৯ বছরের সম্পর্ক শেষে দিল্লি ক্যাপিটালসের জন্য আবেগী বার্তা দিয়ে বিদায় নিলেন পন্থভারতীয় দলের উইকেটকিপার-ব্যাটারকে রিটেন করেনি দিল্লি। নিলামে  অবশ্য ঝাঁপিয়েছিল তারা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত রেকর্ড ২৭ কোটি টাকায় তাঁকে তুলে নেয় লখনউ সুপার জায়ান্টস। যে অর্থ নিলামে আর কখনও কেউ পায়নি। দিল্লির অধিনায়কও ছিলেন তিনি। ডেয়ারডেভিলস থেকে ক্যাপিটালস হয়ে অবশেষে বিদায়ের পালা।ইনস্টাগ্রামে তিনি লিখেছেন, “বিদায় বলা সহজ নয়। দিল্লি ক্যাপিটালসের সঙ্গে সফরটা অসাধারণ বললে কম বলা হয়। মাঠের মধ্যে কাটানো রোমাঞ্চকর মুহূর্তের সঙ্গে বাড়তি পাওয়া মাঠের বাইরের অসংখ্য মুহূর্ত। কিশোর হিসেবে এখানে এসেছিলাম, বিদায় নিচ্ছি একজন পরিণত মানুষ হিসেবে। গত কয়েক বছরে এত উন্নতি করব স্বপ্নেও ভাবিনি।সেই সঙ্গে একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন তিনি। যেখানে রয়েছে দিল্লির দলে কাটানো অসংখ্য মুহূর্তের মন্তাজ। সঙ্গে লিখেছেন, “আমার এই সফরটা সবথেকে বেশি রঙিন করেছেন ভক্তরা। তোমরা আমার জন্য স্লোগান তুলেছ, উৎসাহ দিয়েছে আর জীবনের সবচেয়ে কঠিন সময়ে তোমরা আমার পাশে ছিলে। এবার বিদায়। কিন্তু তোমাদের ভালোবাসা সবসময় আমার হৃদয়ে থাকবে। এর পর শুধু একজন ক্রিকেটার হিসেবে তোমাদের মনোরঞ্জন করব। আমাকে পরিবারের একজন করে নেওয়ার জন্য ধন্যবাদ। আর তোমাদের জন্যই আমার সফরটা এত সুন্দর হয়ে উঠেছে।”

Card image cap

বেঙ্গালুরুকে চ‌্যালেঞ্জ ছুড়ছে মহামেডান

দেশ থেকে ফিরে মহামেডানের অনুশীলনে যোগ দিলেন অ্যালেক্সিস গোমেজ। ইস্টবেঙ্গল ম্যাচে খেলে উঠেই স্ত্রী সন্তানসম্ভবা থাকায় দেশে ফিরে গিয়েছিলেন তিনি। কয়েক দিন আগে মহামেডান অনুশীলন শুরু করলেও অ্যালেক্সিস ছিলেন। রবিবারই তিনি ফিরেছেন কলকাতায়। বেশ কয়েকদিন পরে নেমেও এদিন অনুশীলনে নজর কাড়লেন এই বিদেশি। সেটপিস ও ফ্রি-কিক অনুশীলনের উপর জোড় দিয়েছিলেন কোচ আন্দ্রে চেরনিশভ। ফ্রি-কিক থেকে বেশ কয়েকটি গোলও করলেন অ্যালেক্সিস।শেষ ম্যাচে সামনে দশ জনের ইস্টবেঙ্গলকে পেয়েও জিততে পারেনি মহামেডান। তাই নিয়ে সমালোচনা কম হয়নি মহামেডান কোচের। যদিও এখনও লিগ টেবিলে ইস্টবেঙ্গলের একধাপ উপরেই রয়েছেন সিজার মাঞ্জোকিরা। বুধবার ঘরের মাঠে বেঙ্গালুরু এফসিকে কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলতে চায় মহামেডান। লিগ টেবলে দ্বিতীয় স্থানে থাকা বেঙ্গালুরুকে যথেষ্টই গুরুত্ব দিচ্ছে সাদা-কালো শিবির। ক্লাবের ফুটবল সচিব দীপেন্দু বিশ্বাস বলছেন, “যে দলটা লিগ টেবলের দু’নম্বরে রয়েছে তাকে ভালো বলতেই হবে। তবে আমরাও টেবলে উঠে আসতে চাই। সেজন্য আমাদের ভালো খেলতেই হবে। অতীত নিয়ে আর ভাবতে চাইছি না। সামনের দিকে তাকিয়ে এগিয়ে যেতে হবে।”চোট পুরোপুরি না সারায় এই ম্যাচেও থাকছেন না সাদা-কালো ডিফেন্ডার জোসেফ আদজেই। এদিন মাঠে এসে রিহ্যাব করেন তিনি। অনুশীলন শেষে তিনি জানান, জামশেদপুর ম্যাচ থেকে তাঁকে পাওয়া যাবে। মহামেডানের জন্য ভালো খবর আরেক বিদেশি ফুটবলার কার্লোস ফ্রাঙ্কার সুস্থ হয়ে ওঠা। পায়ে ফোস্কার জন্য মাঝে কয়েকদিন অনুশীলন করতে পারেননি তিনি। এখন পুরোদমে অনুশীলন করছেন। বুধবারের ম্যাচে খেলতে সমস্যা নেই তাঁর।অন্যদিকে, আইএসএলের ম্যাচে এদিন হায়দরাবাদ এফসি-কে ৬-০ গোলে হারাল ওড়িশা এফসি। এই জয়ে ৯ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট নিয়ে সাতনম্বরে উঠে এলেন রয় কৃষ্ণ, রহিম আলিরা।

Card image cap

বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের শীর্ষে ভারত

নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ঘরের মাঠে চুনকামের পর বর্ডার গাভাসকর ট্রফিতে কামব্যাক। পারথ টেস্টে অস্ট্রেলিয়াকে ২৯৫ হারিয়ে সিরিজে এগিয়ে গেল বুমরাহর টিম ইন্ডিয়া। সেই সঙ্গে ফিরে পেল হারানো সিংহাসন। ফের বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের শীর্ষে পৌঁছে গেল ভারত।পরপর দুটি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে খেলেছে ভারত। একটা সময়ে তৃতীয়বার ফাইনাল খেলার দৌড়েও প্রবলভাবে এগিয়ে ছিল মেন ইন ব্লু। ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজ জিতে WTC ফাইনাল খেলা নিশ্চিত করে ফেলবে, এমনটাই অনুমান ছিল। কিন্তু যাবতীয় হিসাব উলটে যায় কিউয়িদের বিরুদ্ধে। ঘরের মাঠে ২৪ বছর পরে চুনকাম হয়েছিল ভারত। সেই সঙ্গে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের পয়েন্ট টেবিলেও দ্বিতীয় স্থানে নেমে যেতে হয়েছিল রোহিতদের।তার পর থেকে প্রশ্ন উঠছিল, আসন্ন বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালে কি আদৌ খেলতে পারবে ভারত? কিন্তু যাবতীয় সংশয় উড়িয়ে দিল গম্ভীর ব্রিগেড। দ্বিতীয় ইনিংসে কোহলি-যশস্বীর সেঞ্চুরি আর বুমরাহর আগুনে বোলিংয়ে পাত্তাই পেল না অস্ট্রেলিয়া। এক ঢিলে দুই পাখি মারল ভারত। বর্ডার গাভাসকর ট্রফির প্রথম টেস্টে জয়ের সঙ্গে সঙ্গে অজিদের সরিয়ে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের শীর্ষে উঠে গেল টিম ইন্ডিয়া।এই মুহূর্তে ভারতের পয়েন্ট শতাংশ ৬১.১১। WTC ফাইনালের আগে কোহলিদের হাতে শুধু অজি সিরিজের বাকি চারটি টেস্ট আছে। অন্যদিকে অস্ট্রেলিয়ার পয়েন্ট শতাংশ ৫৭.৬৯। তাদের হাতে অবশ্য ভারতের সঙ্গে টেস্ট বাদেও শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে দুটি টেস্ট রয়েছে। আবার শ্রীলঙ্কাও ৫৫.৬৯ পয়েন্ট শতাংশ নিয়ে WTC ফাইনালের প্রবল দাবিদার। ফলে পারথ টেস্ট জিতে ফাইনালের দিকে অনেকটাই এগিয়ে গেল ভারত। অন্যদিকে চাপ বাড়ল অজিদের উপর।

Card image cap

যশস্বী বিক্রমে পারথে ৪০০র বেশি লিড ভারতের

যশস্বী জয়সওয়ালের দুরন্ত ইনিংসে পারথ টেস্টে ভালো জায়গায় ভারত। তৃতীয় দিনে চা পানের বিরতিতে ৩৫৯ রান তুলে ফেলেছেন বিরাট কোহলিরা। অস্ট্রেলিয়ার থেকে ইতিমধ্যেই ৪০৫ রানের লিড পেয়েছে ভারত। সবমিলিয়ে, অপ্টাস স্টেডিয়াম থেকে টেস্ট জয়ের হাতছানি জশপ্রীত বুমরাহদের সামনে। তবে আশা জাগিয়েও পারথে প্রথম ভারতীয় হিসাবে ডবল সেঞ্চুরি করতে পারলেন না যশস্বী। মধ্যাহ্নভোজের বিরতির পরে ৪ উইকেট পড়ল ভারতের।  পারথ টেস্টে প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ১৫০ রানে গুটিয়ে গিয়েছিল ভারত। সর্বোচ্চ ৪১ রান এসেছিল প্রথম টেস্ট খেলতে নামা নীতীশ রেড্ডির ব্যাট থেকে। কিন্তু দ্বিতীয় ইনিংস থেকে ঘুরে দাঁড়িয়েছে টিম ইন্ডিয়া। বোলারদের দাপটে প্রথম ইনিংসে ৪৬ রানের লিড রয়েছে। তার পরে অজিভূমে ভারতের সেরা ওপেনিং পার্টনারশিপ গড়েছেন যশস্বী এবং কে এল রাহুল। ২০১ রান ওঠে তাঁদের জুটিতে। ৭৭ রান করেন রাহুল। 

Card image cap

রাহুল-যশস্বীর জুটিতে বড় লিডের পথে ভারত

মাত্র ২৪ ঘণ্টার তফাৎ। কিন্তু ভারতের ব্যাটিংয়ের ছবিটা যেন আমূল বদলে গিয়েছে। প্রথম ইনিংসে ব্যাটিং ব্যর্থতার সাক্ষী হয়েছিল টিম ইন্ডিয়া। মাত্র ১৫০ রানে গুঁটিয়ে গিয়েছিল বিরাটদের ইনিংস। আর পারথ টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে ভারতের রান উঠল ১৭২। অথচ একটাও উইকেট খোয়াতে হয়নি ভারতকে। লিড ২১৮ রানের। বর্ডার গাভাসকর ট্রফির দ্বিতীয় দিনের শেষে যশস্বী-রাহুলের চওড়া ব্যাটে চালকের আসনে গম্ভীর বাহিনী।প্রথম দিনের শেষে অস্ট্রেলিয়ার রান ছিল ৭ উইকেট হারিয়ে ৬৭। আশা করা গিয়েছিল দ্রুত ফিরিয়ে দেওয়া যাবে অজি টেল এন্ডারদের। সেটা হল ঠিকই। তবে শেষ উইকেটের জুটিতে উঠল ২৫ রান। স্টার্ক অনবদ্য ব্যাটিং করে ভারতের সঙ্গে ব্যবধান অনেকটাই কমিয়ে আনলেন। শেষ পর্যন্ত ৪৬ রানের লিড পায় টিম ইন্ডিয়া। যশস্বী-রাহুল ওপেনিংয়ে নামতে একটু উৎসুক নজরেই তাকিয়ে ছিলেন দেশের ক্রিকেটভক্তরা। গত কয়েকটা টেস্টে ওপেনিং জুটি একেবারেই কাজ করেনি। ফের কি সেই স্মৃতি ফিরবে?
সেই সমস্ত চিন্তা অবশ্য অনায়াসে বাউন্ডারির বাইরে পাঠিয়ে দিলেন ভারতের দুই ব্যাটার। দিনের শেষে যশস্বী ব্যাট করছেন ৯০ রানে। সেঞ্চুরির দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে তিনি। রাহুলের রান ৬২। দুই ওপেনার শুধু নতুন বলের সুইং সামলে একাধিক সেশন খেলে ফেলেছেন, তাই নয়। বেশ ভালো গতিতে রানও করেছেন তাঁরা। চা পানের বিরতিতে দ্বিতীয় ইনিংসে ভারতের স্কোর ছিল বিনা উইকেটে ৮৪। দিনের শেষে সেটা গিয়ে দাঁড়াল ১৭২ রানে।
প্রথম দিনের শেষে ৭ উইকেটে ৬৭ রান করে রীতিমতো ধুঁকছিল অজিরা। এদিন সকালেও শুরুতেই ধাক্কা খায় অজি শিবির। ৭৯ রানের মধ্যে ৯ উইকেট হারিয়ে ফেলে অস্ট্রেলিয়া। শেষ উইকেটে হ্যাজেলউডকে সঙ্গে নিয়ে সেই স্টার্কই অজিদের পৌঁছে দিলেন ১০৪ রানে। তিনি করলেন ২৬ রান। এটা ভারতের বিরুদ্ধে অস্ট্রেলিয়ার চতুর্থ সর্বনিম্ন স্কোর। অধিনায়ক বুমরাহ একাই পেয়েছেন ৫ উইকেট। অভিষেককারী হর্ষিত রানা পেয়েছেন ৩ উইকেট। দুই উইকেট পেয়েছেন মহম্মদ সিরাজ।

Card image cap

বুমরাহ-সিরাজদের পালটা মার

গতি আর বাউন্সে ভারতকে কাবু করার ছক কষেছিল অস্ট্রেলিয়া। কিন্তু সেই চালে চেকমেট হয়ে গেলেন প্যাট কামিন্সরাই। পারথ টেস্টের প্রথম দিনের শেষে সাতজন অজি ব্যাটার ফিরে গিয়েছেন প্যাভিলিয়নে। স্কোরবোর্ডে মাত্র ৬৭ রান তুলে কার্যত ধুঁকছে অজি ব্রিগেড। প্রথম ইনিংসে ভারতকে টপকে যেতে এখনও ৮৩ রান চাই মিচেল স্টার্কদের। অজি পেসারদের দাপটে প্রথম ইনিংসে মাত্র ১৫০ রানে শেষ হয়ে গিয়েছিল ভারত। সর্বোচ্চ ৪১ রান আসে নীতিশ রেড্ডির ব্যাট থেকে। একাই চার উইকেট তুলে নিয়ে ভারতের টপ এবং মিডল অর্ডারে ধাক্কা দেন জশ হ্যাজেলউড। দুটি করে উইকেট যায় বাকি তিন অজি পেসারের ঝুলিতে। সবমিলিয়ে, পারথের গতি আর বাউন্সে ভারতকে ধরাশায়ী করার পরিকল্পনা সফল হয় অজিদের।
কিন্তু অজি অস্ত্রেই অস্ট্রেলিয়াকে পালটা মার দিল ভার‍ত। অধিনায়ক জশপ্রীত বুমরাহর সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দুরন্ত বোলিং করলেন মহম্মদ সিরাজ এবং এদিন প্রথম টেস্ট খেলতে নামা হর্ষিত রানা। তিনজন মিলে ২৭ ওভার বল করেন। তাতেই তুলে নিয়েছেন বিপক্ষের সাত উইকেট। ২০ রানও টপকাতে পারেননি অস্ট্রেলিয়ার কোনও ব্যাটার।
ভারতীয় বোলারদের মধ্যে এদিন সবচেয়ে সফল জশপ্রীত বুমরাহ। ১০ ওভার বল করে ৪ উইকেট পেয়েছেন তিনি। দুটি উইকেট পেয়েছেন সিরাজ। জীবনের প্রথম টেস্ট খেলতে নেমে ‘ভারতের ত্রাস’ ট্র্যাভিস হেডের উইকেট তুলে নিয়েছেন হর্ষিত রানা। ইতিহাস বলছে, ভারতের বিরুদ্ধে টেস্টের এক ইনিংসে অস্ট্রেলিয়ার সর্বনিম্ন রান ৮৩। সেই লজ্জার নজির এড়াতে এখনও ১৬ রান দরকার কামিন্সদের। প্রথম ইনিংস ভারতের রান টপকাতে ৮৩ চাই অস্ট্রেলিয়ার।

Card image cap

কবে অস্ট্রেলিয়া যাচ্ছেন রোহিত? জানা গেল দিনক্ষণ

দীর্ঘ জল্পনা শেষে জানা গেল, চলতি মাসেই অস্ট্রেলিয়ায় যাচ্ছেন রোহিত শর্মা। পারথ টেস্ট চলাকালীনই তিনি অজিভূমে পৌঁছে যাবেন। তবে প্রত্যাশামতোই প্রথম টেস্টে তিনি খেলতে পারবেন না। কারণ পারথ টেস্টের তৃতীয় দিন, অর্থাৎ ২৪ নভেম্বর অস্ট্রেলিয়ায় পৌঁছচ্ছেন ভারত অধিনায়ক। অ্যাডিলেডে দিনরাতের টেস্টে তিনি খেলতে নামবেন। উল্লেখ্য, দ্বিতীয়বার বাবা হওয়ার পরে ছুটি নিয়েছিলেন রোহিত। গত শুক্রবার দ্বিতীয় সন্তানের জন্ম দিয়েছেন রোহিতপত্নী ঋতিকা সাজদে। রোহিতের অস্ট্রেলিয়া উড়ে যাওয়াটা নির্ভর করছিল, তাঁর সন্তান কবে পৃথিবীর আলো দেখছে সেটার উপর। শুক্রবার রাতে জুনিয়র হিটম্যানের জন্মের খবর পাওয়ার পরে ক্রিকেটমহলে জল্পনা শুরু হয়েছিল, পারথ টেস্টের আগেই অস্ট্রেলিয়ায় উড়ে যেতে পারেন ভারত অধিনায়ক। কিন্তু পরে জানা যায়, রোহিত বেশ কিছুদিন পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাতে চান। তাই প্রথম টেস্টের আগে কোনওমতেই অস্ট্রেলিয়ায় পৌঁছে খেলতে নামা সম্ভব নয়।আগামিকাল থেকে শুরু হচ্ছে পারথ টেস্ট। ওই ম্যাচ চলাকালীনই অস্ট্রেলিয়ায় পৌঁছবেন রোহিত। ২৪ নভেম্বর অর্থাৎ রবিবার অস্ট্রেলিয়ায় পা রাখবেন ভারত অধিনায়ক। অস্ট্রেলিয়া সিরিজের দ্বিতীয় টেস্ট ৬ ডিসেম্বর থেকে। অর্থাৎ প্রথম টেস্টের পর ন’দিনের ব্যবধান রয়েছে। তাই অনুমান করা যায়, অ্যাডিলেডে দিনরাতের টেস্ট খেলতে নেমে পড়বেন রোহিত। উল্লেখ্য, পরিবারের সঙ্গে সময় কাটালেও বেশ কয়েকবার মুম্বইয়ে অনুশীলন করতে দেখা গিয়েছে হিটম্যানকে। তবে অজি পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নিতে কবে অনুশীলনে নামবেন ভারত অধিনায়ক, তা এখনও জানা যায়নি। 

Card image cap

বিরাট চাপে আইসিসি

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি নিয়ে আইনি ‘হুমকি’ আইসিসিকে! সূত্রের খবর, টুর্নামেন্টের সূচি নিয়ে জলঘোলার মধ্যেই নাকি কড়া হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে ক্রিকেটের নিয়ামক সংস্থাকে। বলা হয়েছে, যদি সূচি মনোমত না হয় তাহলে আইনি সংঘাতের মধ্যে পড়তে হতে পারে আইসিসিকে।চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি শুরু হতে আর ১০০ দিনও বাকি নেই। কিন্তু ভারত স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, আয়োজক দেশ পাকিস্তানে গিয়ে তারা খেলবে না। ভারতের মতে, ক্রিকেট দলের উপর বড়সড় হামলা চালাতে পারে জঙ্গিরা। পাকিস্তানের আমজনতা হয়তো ভারতীয় ক্রিকেটারদের উষ্ণ আতিথেয়তা জানাবে, কিন্তু পাকভূমে রোহিত শর্মাদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। ২০০৯ সালে শ্রীলঙ্কা দলের উপরে হামলার উদাহরণও উল্লেখ করা হয়েছে বিসিসিআইয়ের তরফে।অন্যদিকে নিজের অবস্থানে অনড় পাকিস্তানও। সেদেশের সরকার স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির কোনও ম্যাচ পাকিস্তান থেকে সরানো হবে না। হাইব্রিড মডেলেও চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি আয়োজন করতে নারাজ পাকিস্তান। এহেন পরিস্থিতিতে আচমকা জল্পনা ছড়ায়, হাইব্রিড মডেলে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি আয়োজন করার জন্য পাক বোর্ডের সঙ্গে নাকি লাগাতার আলোচনা করছে আইসিসি। সেই সঙ্গে চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দিনক্ষণ এবং সূচিও। চলতি সপ্তাহেই হয়তো সেই সূচি প্রকাশিত হবে।তার পর থেকেই প্রশ্ন ওঠে, শেষ পর্যন্ত পুরো টুর্নামেন্ট কি পাকিস্তানেই হবে? নাকি হাইব্রিড মডেলে আয়োজন করতে রাজি হবে পাক বোর্ড? হাইব্রিড মডেলে খেলা হলে পাকিস্তান টুর্নামেন্ট থেকে নাম প্রত্যাহার করবে বলেও জল্পনা ছিল। এহেন পরিস্থিতিতে ক্রিকেট পাকিস্তান নামে এক সংবাদমাধ্যমের দাবি, টুর্নামেন্টের সম্প্রচারকারী সংস্থাগুলো আইসিসিকে নাকি ‘হুমকি’ দিয়েছে। তাদের দাবি, যেভাবেই হোক ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ রাখতেই হবে টুর্নামেন্টে। এই মেগাম্যাচ না হলেই আইসিসির বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ করবে সম্প্রচারকারী সংস্থাগুলো। সবমিলিয়ে, পাক বোর্ডের অনড় মনোভাবের পাশাপাশি সম্প্রচারকারী সংস্থাগুলোর ‘হুমকি’ পেয়ে বেশ চাপে থাকবে আইসিসি।

Card image cap

বর্ডার-গাভাসকর ট্রফিতেই ভাগ্যনির্ধারণ বিরাট-রোহিতের!

শুধু কোচ গৌতম গম্ভীর নন। বর্ডার-গাভাসকর ট্রফির পারফরম্যান্সে উপর আরও দুজনের ভাগ্য নির্ভর করছে। একজন অধিনায়ক রোহিত শর্মা। অপরজন বিরাট কোহলি! বোর্ড সূত্রের খবর, নির্বাচনপ্রধান অজিত আগরকর বলে দেওয়া দেওয়া হয়েছে, বর্ডার-গাভাসকর ট্রফি শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাঁকে অস্ট্রেলিয়াতেই থাকতে হবে। কোচ গৌতম গম্ভীরকে সঙ্গে নিয়ে আগামী দিনে লালবলের ক্রিকেটে রোডম্যাপ তৈরি করতে হবে।অজিত আগরকর ইতিমধ্যেই অস্ট্রেলিয়া পৌঁছে গিয়েছেন। ভারতীয় দলের অনুশীলনেও দেখা গিয়েছে তাঁকে। টাইমস অফ ইন্ডিয়ার খবর অনুযায়ী, বর্ডার-গাভাসকর ট্রফির শেষ পর্যন্ত নির্বাচকপ্রধান অস্ট্রেলিয়াতেই থাকবেন। আগরকরকে বলে দেওয়া হয়েছে, গম্ভীরের সঙ্গে বসে লালবলের ক্রিকেটে ভারতের আগামী দিনের রোডম্যাপ কী হবে সেটা নিয়ে পুঙ্খানুপুঙ্খ আলোচনা করে নিতে। নাম জানাতে অনিচ্ছুক বোর্ডের এক কর্তা বলছেন, “আগরকর এবং গম্ভীর দুজনেকেই শক্তিশালী ব্যাকআপ তৈরি করতে অন্তত এক-দেড় বছর সময় দিতে হবে। তাছাড়া ভারতীয় দলে পদ্ধতিগত কী কী বদল দরকার সেই নিয়ে ওদের একমত হওয়াটাও দরকার।”বোর্ড সূত্র বলছে, গম্ভীর এবং আগরকর দুজনেই জানেন নিউজিল্যান্ড সফরের খারাপ পারফরম্যান্সের জেরে সমালোচনার মুখে পড়তে হবে। সেটা হওয়াটা স্বাভাবিকও। দুজনে নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে ঠিক করুক, আগামী দিনে ভারতীয় ক্রিকেটে কী কী বদল দরকার। বোর্ডের ওই কর্তাই বলছেন, সিনিয়র ক্রিকেটাররা এখনও ভারতীয় দলের অবিচ্ছেদ্য অংশ। কিন্তু এবার ভবিষ্যৎ ভাবতে হবে এবং কঠিন সিদ্ধান্তও নিতে হবে।বোর্ডের ওই কর্তা বলছেন, “এই ক্রিকেটাররা (রোহিত-বিরাট) এখনও দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। কিন্তু একটা সময় তো কঠিন সিদ্ধান্ত নিতেই হয়। তবে যা-ই সিদ্ধান্ত নেওয়া হোক, সিনিয়রদের সঙ্গে আলোচনা করেই নেওয়া হবে।” বোর্ডের ওই কর্তা বলছেন, “ওরা নিজেদের কেরিয়ার নিয়ে কী ভাবছে সেটা ওদের কাছে জানতে চাওয়া হবে। কারণ নতুন টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ শুরু হচ্ছে। দুবছর বাদেই বিশ্বকাপ।”

Card image cap

অস্ট্রেলিয়ায় ফিরে আসবেন ‘ক্ষুধার্ত’ বিরাট

অস্ট্রেলিয়াকে যেন আগাম সতর্কবার্তা দিয়ে রাখলেন সুনীল গাভাসকর। বলে দিলেন, আসন্ন সিরিজে রান করার জন‌্য ক্ষুধার্ত হয়ে নামবেন বিরাট কোহলি। আসলে সাম্প্রতিক সময়ে বেশ খারাপ ফর্মের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক। ঘরের মাঠে নিউজিল‌্যান্ড সিরিজে রান করতে পারেননি। গাভাসকর বলেছেন, ‘‘যেহেতু নিউজিল‌্যান্ডের বিরুদ্ধে বিরাট রান করতে পারেনি, তাই অস্ট্রেলিয়ায় ওর মধ্যে রানের খিদেটা মারাত্মক থাকবে। রানের জন‌্য ও ক্ষুধার্ত থাকবে।’’ অতীতে অস্ট্রেলিয়ায় বিরাটের দুরন্ত পারফরম‌্যান্সের কথাও মনে করিয়ে দিন গাভাসকর।এক সংবাদ সংস্থাকে গাভাসকর বলেন, ‘‘অ্যাডিলেডে যে টেস্টে ভারত ৩৬ অলআউট হয়েছিল, সেখানেও প্রথম ইনিংসে বিরাট সত্তরের উপর রান করেছিল। আর যদি খুব ভুল না করি, তাহলে ওই ইনিংসে ও রানআউট হয়েছিল। অ‌্যাডিলেডে বিরাট ধারাবাহিকভাবে পারফর্ম করেছে। ওখানকার পরিবেশ-পরিস্থিতি ওর খুব ভাল করে জানা। অ‌্যাডিলেডের আগে অবশ‌্য পারথ টেস্ট হয়েছে। পারথেও বিরাট দুর্ধর্ষ ইনিংস খেলেছে। ২০১৮-’১৯-এ পারথে বিরাট যে টেস্ট সেঞ্চুরিটা করেছিল, সেটা ওর টেস্ট সেঞ্চুরিগুলোর মধ্যে অন‌্যতম সেরা। দুর্ধর্ষ সেঞ্চুরি ছিল সেটা। এ সমস্ত মাঠে রান করার ফলে ওর মধ্যে আত্মবিশ্বাস অনেক বেশি থাকবে। অবশ‌্যই বড় রান করার ক্ষেত্রে কিছুটা ভাগ্যের দরকার হয়। তবে যদি শুরুটা ঠিকঠাক করে দিতে পারে বিরাট, তাহলে ব‌্যাট থেকে বড় রান আসবে।’’ভারতের আর এক প্রাক্তন তারকা সঞ্জয় মঞ্জরেকর বলেছেন, ‘‘বিরাটের জন‌্য অস্ট্রেলিয়া কী প্ল্যানিং করবে, সেটা ওর খুব ভাল করে জানা আছে। ওরা অফস্টাম্পের বাইরে লাইনে বল করে বিরাটকে পরীক্ষার মধ্যে ফেলার চেষ্টা করবে। ইদানিং অফস্টাম্পের বাইরের বল, ছাড়ার থেকেও বেশি ড্রাইভ মারার চেষ্টা করছে বিরাট। অস্ট্রেলিয়াও শুরুতে ঠিক সেটাই করবে। যদি তাতে কাজ না হয়, তাহলে জশ হ‌্যাজেলউডরা মিডল স্টাম্পকে লক্ষ‌্য বোলিং করার প্ল‌্যানিং করবে।’’

Card image cap

পাকভূমে বিশ্বকাপ থেকে নাম তুলল ভারত

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি নিয়ে জটিলতা অব্যাহত। এর মধ্যেই পাকিস্তানের মাটিতে যাচ্ছে না ভারতের আরও একটি ক্রিকেট দল। এমনকী বিশ্বকাপ থেকে নামও তুলে নিয়েছে দৃষ্টিহীন ক্রিকেটদল। কারণ বিদেশমন্ত্রক থেকে পাকভূমে যাওয়ার ছাড়পত্র পায়নি দলটি।চলতি মাসেই পাকিস্তানে দৃষ্টিহীনদের টি-২০ বিশ্বচ্যাম্পিয়নশিপ আয়োজিত হওয়ার কথা। সেই টুর্নামেন্টে অংশ নেওয়ার কথা ছিল ভারতীয় দলের। ক্রীড়ামন্ত্রক দৃষ্টিহীন ক্রিকেট দলকে পাকিস্তানে যাওয়ার অনুমতিও দিয়ে দিয়েছিল। কিন্তু তা সত্ত্বেও পাকিস্তানে যাওয়া হচ্ছে না ভারতীয় দলের। ক্রীড়ামন্ত্রক অনুমতি দিলেও বিদেশমন্ত্রক ব্লাইন্ড ক্রিকেট টিমকে পাকিস্তানে যাওয়ার অনুমতি দেয়নি। ফলে ভারতের দৃষ্টিহীন ক্রিকেটাররা পাকিস্তানে যেতে পারবেন না।বিষয়টি ভারতের দৃষ্টিহীনদের ক্রিকেট সংস্থার প্রধান শৈলেন্দ্র যাদব নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানিয়েছেন ২৫ দিন তারা অনুমতির অপেক্ষায় ছিলেন। কিন্তু বর্ডারের ওপারে গিয়ে টুর্নামেন্ট খেলতে দিতে রাজি হয়নি বিদেশমন্ত্রক। সেই সঙ্গে টুর্নামেন্ট থেকে নাম তুলে নেওয়ার নির্দেশও দিয়েছে। যদিও সরকারের তরফ থেকে আনুষ্ঠানিক কোনও চিঠি পায়নি তারা। তবে মৌখিকভাবে পাকিস্তানে যাওয়ার অনুমতি দেয়নি বিদেশমন্ত্রক। তাছাড়া ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ডও এই টুর্নামেন্টে যোগ দেবে না বলেই খবর।আসলে এর নেপথ্যে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির অঙ্ক কাজ করছে বলেই মনে করা হচ্ছে। বিসিসিআইয়ের তরফ থেকে ইতিমধ্যেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে ভারতীয় টিম কোনও অবস্থাতেই পাকিস্তানে গিয়ে চ‌্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলবে না। পাক অধিকৃত কাশ্মীরে পিসিবি-র চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ট্যুর বাতিল হয়েছে। গোটা বিষয়ে হস্তক্ষেপ করেছে আইসিসি-ও। ইতিমধ্যেই সেই বিষয় নিয়ে রাজনৈতিক জলঘোলা শুরু হয়ে গিয়েছে। পাকিস্তান থেকে নরম-গরমে বক্তব্য রাখলেও বিসিসিআই নিজের অবস্থানে অনড়। তার মধ্যেই দৃষ্টিহীনদের টি-২০ বিশ্বচ্যাম্পিয়নশিপ থেকে নাম তুলে নিল ভারত।

Card image cap

বিরাটকে রুখতে স্লেজিংয়ের পথে হাঁটবে অস্ট্রেলিয়া!

আসন্ন বর্ডার-গাভাসকর ট্রফিতে ভারত অধিনায়কের নাম রোহিত শর্মা ঠিকই। তবে অস্ট্রেলিয়ানদের কাছে পয়লা নম্বর ‘শত্রু’ অবশ্য অন্য এক ভারতীয় ক্রিকেটার। বিরাট কোহলি। অজি-ভূমে দাঁড়িয়ে তাদের বোলিংকে শাসন করার পুরনো অভ্যাস রয়েছে প্রাক্তন ভারত অধিনায়কের। আর তাঁর আমলেই শেষ দু’টো সিরিজ অস্ট্রেলিয়া থেকে জিতে দেশে ফিরেছে ভারত।অতএব, সিরিজ শুরুর আগে অস্ট্রেলিয়ান বোলিংয়ের মন্ত্র একটাই, ‘সব ব্যাটাকে ছেড়ে বেড়ে (পড়ুন বিরাট) ব্যাটাকে ধর!’ সে বর্তমান দলের সদস্য মিচেল মার্শই হোক বা অজি বোলিংয়ের প্রাক্তন মহাতারকা গ্নেন ম্যাকগ্রা। প্রত্যেকের মুখেই বিরাট-কথা। পারথে প্রথম টেস্টের দলে ঘরের ছেলে মার্শের থাকার সম্ভাবনায় এখনও সিলমোহর পড়েনি। তবে দলে থাকলে বিরাটকে কীভাবে রুখবেন, তার নীল-নকশা তৈরি করে ফেলেছেন অজি অলরাউন্ডার। এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলছিলেন, “যদি বিরাট ৩০ রান করে ফেলে, তবে আমি ওকে সোজা ধাক্কা মারব। যাতে ও মাঠ ছাড়তে বাধ্য হয়!” আইপিএলে খেলার সুবাদে খুব কাছ থেকে বিরাটকে দেখেছেন মার্শ। ফলে প্রাক্তন সতীর্থ একবার উইকেটে সেট হয়ে গেলে কতটা ভয়ংকর হতে পারেন, ভালোই জানেন তিনি। সেই অভিজ্ঞতা থেকেই বিরাটকে ‘স্লেজ’ করার পক্ষপাতী নন মার্শ। তাঁর বার্তা, “আইপিএলে বছর দুয়েক বিরাটের সঙ্গে খেলেছি। ফলে মাঠের ভেতরের পাশাপাশি বাইরেও ওকে দেখেছি। সেই অভিজ্ঞতা থেকে আমি কোনওভাবেই ওকে উত্তেজিত করতে চাই না। আগেও সেটা করিনি। এবারও নিখাদ ক্রিকেটীয় লড়াইয়ের মধ্যে বিষয়টি সীমাবদ্ধ রাখতে চাই।”অন্যদিকে ক’দিন আগেই ভারতীয় দলের স্পিনার রবিচন্দ্রন অশ্বিন জানিয়েছিলেন, অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন অধিনায়ক স্টিভ স্মিথকে আউট করার অস্ত্র তাঁর জানা আছে। রবিবার অশ্বিনকে কীভাবে সামলানো যায়, তা নিয়ে নিজের পরিকল্পনার কথা জানিয়ে দিলেন স্মিথ। তিনি জানিয়েছেন যে, অশ্বিন তাঁকে অতীতে আউট করলেও ভারতীয় স্পিনারকে সামলানোর ক্ষমতা তাঁর আছে। প্রাক্তন অজি অধিনায়ক বলেছেন, “আমি অফ স্পিনে আউট হওয়া পছন্দ করি না। কিন্তু অশ্বিন দারুণ বোলার। ও আমাকে বেশ কয়েকবার আউট করেছে। তবে ওর বিরুদ্ধে সফল হওয়ার কৌশল জানি। ওকে কখনও থিতু হতে দেওয়া যাবে না। ওকে আক্রমণ করতে হবে।” উল্লেখ্য, অশ্বিন কয়েকদিন আগেই বলেছিলেন, স্মিথ কীভাবে ব্যাট করেন, তা তাঁর জানা আছে। সেভাবেই তিনি বোলিং করবেন।এই ব্যাপারে অস্ট্রেলিয়ার তারকা ব্যাটারের মন্তব্য, “অশ্বিন এবং আমার মধ্যে বেশ কয়েকবার লড়াই হয়েছে। এই ধরনের লড়াইয়ে যে চাপে পড়ে, সে পিছিয়ে যায়। এটা সম্পূর্ণই মানসিক লড়াই।” তিনি আরও জানিয়েছেন যে, আসন্ন সিরিজে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে। তাঁর বক্তব্য, “আমি আমার সেরাটা দিতে চাই।” ভারতের বিরুদ্ধে আসন্ন টেস্ট সিরিজে স্মিথ তাঁর পছন্দের জায়গা চার নম্বরেই ব্যাট করবেন। স্মিথ জানিয়েছেন, শুরুটা ভালো হওয়া দরকার।

Card image cap

হিটম্যানকে খোঁচা সৌরভের?

সদ্য দ্বিতীয় সন্তানের বাবা হয়েছেন রোহিত শর্মা। মুম্বইয়ে ভূমিষ্ঠ হয়েছে রোহিত-ঋতিকার পুত্রসন্তান। সোশাল মিডিয়ায় শুভেচ্ছার ঢল নেমেছে। সেই সঙ্গে উঠছে এই প্রশ্নও। রোহিত কি শেষ পর্যন্ত বর্ডার গাভাসকর ট্রফির  প্রথম টেস্ট খেলতে অস্ট্রেলিয়া উড়ে যাবেন? এই প্রসঙ্গে ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের মত, তিনি রোহিতের জায়গায় থাকলে অবশ্য পারথ টেস্টে খেলতেন।ইতিমধ্যেই অস্ট্রেলিয়ায় পোঁছে গিয়েছে টিম ইন্ডিয়া। পারথে চলছে ম্যাচ সিমুলেশন। যদিও রোহিত রয়েছেন ভারতে। তিনি প্রথম টেস্টে খেলবেন কিনা, তা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই চর্চা ছিল। অথচ পরিস্থিতি যেদিকে, নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে চুনকাম হওয়ার পর অধিনায়ককে ছাড়াই বর্ডার গাভাসকর ট্রফিতে নামতে হবে। সেক্ষেত্রে কি দলের মানসিক শক্তি কোথাও বাধা পাবে?
রেভস্পোর্টসে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে সৌরভ বলেন, “আশা করি রোহিত তাড়াতাড়ি অস্ট্রেলিয়া পৌঁছে যাবে। এই দলটায় নেতার প্রয়োজন। ওর পুত্রসন্তান হওয়ার খবর শুনেছি। আশা করি, এবার ও নিশ্চিন্ত মনে যত দ্রুত সম্ভব অস্ট্রেলিয়া যেতে পারবে। প্রথম টেস্ট শুরু হতে আর এক সপ্তাহও বাকি নেই। আমি যদি ওর জায়গায় থাকতাম, তাহলে অবশ্যই পারথ টেস্টে খেলতাম। এখনও তো সময় আছে। অস্ট্রেলিয়া সফর কঠিন হবে। রোহিত অসাধারণ অধিনায়ক। ভারতের এই মুহূর্তে নেতার প্রয়োজন।”রোহিতের তড়িঘড়ি অস্ট্রেলিয়া যাওয়া উচিত কি না, এই নিয়ে মতবিরোধ ছিল দুই প্রাক্তনীর মধ্যে। যেমন সুনীল গাভাসকরের মত ছিল, অস্ট্রেলিয়ায় প্রথম টেস্টে অবশ্যই খেলা উচিত ভারত অধিনায়কের। অন্যদিকে প্রাক্তন অজি অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চ ভিন্নমত পোষণ করেছিলেন। তাতে সহমত জানিয়েছিলেন রোহিতের স্ত্রী ঋতিকাও। সেসব অবশ্য সন্তান জন্ম নেওয়ার আগের কথা। এখন রোহিত কী সিদ্ধান্ত নেন, সেটাই দেখার। রোহিত একান্তই প্রথম টেস্ট না খেললে বুমরাহর নেতৃত্বে অগ্নিপরীক্ষায় নামবে টিম ইন্ডিয়া।

Card image cap

বিয়াল্লিশেই মৃত্যু গোলকিপার কোচ প্রশান্ত দে’র

অকালে চলে গেলেন কলকাতা ময়দানের পরিচিত মুখ তথা ইউনাইটেড কলকাতা স্পোর্টস ক্লাবের গোলকিপার কোচ প্রশান্ত দে। শনিবার দুপুরে অনুশীলন করাতে গিয়ে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। পরে বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁর মৃত্যু হয়। প্রশান্তবাবুর বয়স হয়েছিল ৪২ বছর।শনিবার দুপুর দুটো নাগাদ সল্টলেকের সেন্ট্রাল পার্কে বিধাননগর মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন অ্যাকাডেমির প্র্যাকটিসে নামেন প্রশান্ত। প্র্যাকটিস শুরুর কিছুক্ষণ পরই মাঠে লুটিয়ে পড়েন তিনি। প্রথমে তাঁকে মাঠেই সিপিআর দেওয়া হয়। দুপুর পৌনে তিনটে নাগাদ তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় মাঠ লাগোয়া একটি বেসরকারি হাসপাতালে। বেলা সাড়ে তিনটেয় হাসাপাতাল থেকে জানানো হয় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েই মারা গিয়েছেন প্রশান্তবাবু।প্রশান্তবাবু গড়িয়ার বাসিন্দা। বাড়িতে বৃদ্ধ মা-বাবা রয়েছেন। সূত্রের খবর শনিবার সকালের দিকে নিজের আবাসনের বাচ্চাদের অনুশীলন করান তিনি। তারপর স্নান-খাওয়া সেরে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিয়েই পৌঁছে গিয়েছিলেন সল্টলেকের সেন্ট্রাল পার্কে। প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই সেখানে অনুশীলনে নামেন। অনুশীলন করাতে গিয়ে হঠাৎ অসুস্থতা বোধ করেন। হাসপাতালে নিয়ে গেলেও চিকিৎসকদের সব চেষ্টা ব্যর্থ হয়।ময়দানের পরিচিত মুখ এই গোলকিপার কোচের আকস্মিক মৃত্যুতে শোকের ছায়া ময়দানে। শোক প্রকাশ করেছেন আইএফএ সচিব অনির্বাণ দত্ত। শোকপ্রকাশ করা হয়েছে ইউনাইটেড কলকাতা স্পোর্টস ক্লাবের তরফেও। একদিন আগেই কলকাতা লিগের প্রিমিয়ার ডিভিশনে খেলার নিশ্চিত করেছে ইউনাইটেড কলকাতা স্পোর্টস ক্লাব। তারপরই ক্লাবে শোকের ছায়া।

Card image cap

মোহনবাগান ক্লাবে সেনার ‘হানা’

মোহনবাগান ক্লাব চত্বরে সেনাবাহিনীর হানা। ভাঙা পড়ল দিন কয়েক আগে তৈরি হওয়া অস্থায়ী কিয়স্ক। লোগো লাগানো মার্চেন্ডাইজ বিক্রির জন্য ক্লাব চত্বরের সামনেই ওই কিয়স্কটি তৈরি করা হয়েছিল। সেটাই এদিন ভেঙে দিয়েছেন সেনাকর্মীরা। শুধু তাই নয়, ক্লাবের আশেপাশের বেশ কিছু ফ্লেক্স এবং ব্যানারও সরানো হয়েছে।এমনিতে গোটা ময়দান সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণাধীন। তাই ময়দানের ক্লাবগুলির কোনও স্থায়ী নির্মাণ করতে গেলে বা কোনওরকম খোঁড়াখুঁড়ি করতে হলে সেনার অনুমতি নিতে হয়। প্রতিবছর ১ থেকে ১৫ অক্টোবরের মধ্যে ময়দানের নিয়ন্ত্রণ চলে যায় সেনার হাতে। ওই সময় ময়দানের ক্লাবগুলির নির্মাণ পর্যালোচনা করা হয়। অনুমতিবিহীন কোনও নির্মাণ হলে সেটা ভেঙে দেওয়া হয়।দিন কয়েক আগে মোহনবাগান ক্লাব চত্বরে একটি অস্থায়ী মার্চেন্ডাইজ শপ খোলা হয়েছে। কোনও স্থায়ী নির্মাণ নয়, সেটা আসলে অস্থায়ী কিয়স্ক ছিল। কিন্তু শুক্রবার সকালে আচমকা সেনার আধিকারিকরা ক্লাব চত্বরে হানা দেন। এবং অস্থায়ী কিয়স্ক ভেঙে দেওয়া হয়। ক্লাব তাঁবুতে কিছু নির্মাণকাজও চলছিল। সেটাও থামিয়ে দেওয়া হয়। কয়েকটি ফ্ল্যাগ এবং ফেস্টুনও ভেঙে দেওয়া হয় বলে খবর।এ নিয়ে মোহনবাগান কর্তাদের কোনও বিবৃতি এখনও পাওয়া যায়নি। তবে ক্লাব সমর্থকরা ক্ষুব্ধ। ইতিমধ্যে মোহনবাগানের একাধিক ফ্যান ক্লাবের তরফে এ নিয়ে ক্ষোভপ্রকাশ করা হয়েছে। সমর্থকদের বক্তব্য, এভাবে ক্লাব চত্বরে ভাঙচুর করার আগে সমর্থকদের আবেগের কথা ভাবা উচিত ছিল সেনার। সূত্রের খবর, ভাঙচুরের খবর পেয়ে ক্লাব কর্তারা আধিকারিকদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। ভুল বোঝাবুঝি মেটানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।