CATEGORY state:

Card image cap

১০০০ অতীত! এবার অ্যাকাউন্টে ঢুকবে কড়কড়ে ৬০০০ টাকা করে


কেন্দ্র হোক কিংবা রাজ্য সাধারণ মানুষের কথা ভেবে বিভিন্ন প্রকল্পের ব্যবস্থা করা হয়ে থাকে উভয় সরকারের পক্ষ থেকেই। যেমন ২০১১ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকেই একাধিক জনকল্যাণমূলক প্রকল্পের সূচনা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আট থেকে আশি সবার জন্যই কোনো না কোনো সুবিধা আছেই।


রয়েছে কন্যাশ্রী, লক্ষীর ভাণ্ডার, রূপশ্রী, যুবশ্রী, বার্ধক্য ভাতা থেকে শুরু করে একাধিক প্রকল্প। তবে কেন্দ্রও পিছিয়ে নেই। কেন্দ্র সরকারেরও একাধিক প্রকল্প , বৃত্তি  রয়েছে যার মাধ্যমে সাধারণ মানুষকে আর্থিক সাহায্য প্রদান করা হয়ে থাকে।


দুর্দান্ত প্রকল্প কেন্দ্রের 


ভারতবর্ষ হল কৃষি প্রধান দেশ। কৃষকেরা অন্নদাতা। যেই কৃষকেরা কোটি কোটি মানুষের মুখে দু'বেলা অন্ন তুলে দেন এদের তাদের সুবিধার্থে এক প্রকল্প চালু করেছে কেন্দ্র। যার নাম প্রধানমন্ত্রী কিষাণ সম্মান নিধি । এই প্রকল্পের মাধ্যমে দেশের কৃষকেরা সুবিধা পেয়ে থাকেন।


জানিয়ে রাখি, ২০১৯ সালে এদেশের কৃষকদের সরাসরি আর্থিক সহায়তা প্রদান করার জন্য পিএম কিষাণ সম্মান নিধি যোজনা চালু করে সরকার। এই যোজনার মাধ্যমে কৃষকদের বার্ষিক ৬০০০ টাকা দেওয়া হয়ে থাকে। কয়েকটি কিস্তিতে এই টাকা কৃষকদের অ্যাকাউন্টে পাঠানো হয়। প্রতি কিস্তিতে ২০০০ করে দেওয়া হয়।


এবারে তৃতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর এই প্রকল্প নিয়ে পিএম মোদী বলেছিলেন, 'আমাদের সরকার কৃষকদের কল্যাণের জন্য সম্পূর্ণ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমাদের দায়িত্ব নেওয়ার পরে সই করা প্রথম ফাইলটিই হল কৃষি কল্যাণের সঙ্গে সম্পর্কিত। আমরা এবার কৃষক এবং কৃষিজমি নিয়ে আরও বেশি কাজ করতে চাই।'


শর্তাবলী: এই প্রকল্পের  ক্ষেত্রে কিছু শর্তও রয়েছে। এই প্রকল্পের সুবিধা পেতে গেলে যেই কৃষক চাষ করছেন তার নামেই জমি থাকতে হবে। এই সুবিধা একই পরিবারে একজনই নিতে পারবেন। কৃষক করদাতা হলেও তিনি এই প্রকল্পের সুবিধা নিতে পারবেন না।

Card image cap

বরফে ঢেকে যেতে পারে গোটা রাজ্য? জেনে নিন

এবার তুষারপাত হবে কলকাতায়! ভয়াবহ শীত নামবে শহর জুড়ে। সামনে এল এমনই এক ভয়ংকর তথ্য। কোনওবারেই শীত সেই রকম ভয়াবহ একটা পড়ে না। ডিসেম্বর ও জানুয়ারির শীতটাও বেশ আরামদায়ক হয়। কিন্তু এবার তৈরি হতে পারে ভয়াবহ পরিস্থিতি। চলতি বছর হিমাঙ্কের নিচে চলে যেতে পারে কলকাতার তাপমাত্রা।


একেবারে তুষারপাতের মতো অবস্থা তৈরি হতে পারে শহরে।


দিল্লির মৌসম ভবনের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে, আমাদের উপর মারাত্বক প্রভাব ফেলতে চলেছে লা নিনা। লা নিনার প্রভাবেই রাজ্যে আর্কটিক তুষারের মতো ঠান্ডা পড়বে। শীতকালে তীব্র তাপমাত্রার পতনের সম্ভাবনা সংকেত দেয় লা নিনা। তাই খুব তাড়াতাড়ি তুষারে ঢেকে যেতে পারে আপনার-আমার প্রিয় কলকাতা।


মহাসাগরের পরিস্থিতি পরিবর্তন করে আবহাওয়া চরমপন্থী করে তোলে এলনিনো ও লা নিনা। এল নিনোতে গরম ও অতিবৃষ্টি ও লা নিনা তে তীব্র শীতের সৃষ্টি হতে পারে। ২০২৪ সালের শীতে লা নিনার কারণেই হাড় কাঁপানো ঠান্ডা দেখা যাবে সারা দেশে।


এপ্রিল থেকে জুনের মধ্যে শুরু হয় লা নিনা এবং অক্টোবর থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত থাকে। এই কারণেই ভয়ঙ্কর শীত পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে কলকাতায়। তাই এই বছর এই নতুন শীতের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। তুষারপাতের জন্য তৈরি থাকতে হবে সকলকেই। তবে আদৌ বরফ পড়বে কি না তা নিয়ে নিশ্চিত কোনও খবর নেই। তবে যেকোনও পরিস্থিতির জন্য তৈরি থাকতে হবে।

Card image cap

আসানসোল-দুর্গাপুর হয়ে চলবে হাওড়া-গয়া Vande Bharat Express Train

আরও একাধিক নতুন বন্দে ভারত পাচ্ছে দেশ। সেই তালিকায় রয়েছে হাওড়া-গয়াও। আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর নয়া এই ট্রেনগুলির উদ্বোধন হবে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী হাওড়া-গয়া সহ একাধিক বন্দে ভারতের উদ্বোধন করবে। সেই তালিকায় আছে টাটা-পাটনা বন্দে ভার‍ত এক্সপ্রেসও।


ফলে এখন আরও দ্রুত গন্তব্যে পৌঁছতে পারবেন যাত্রীরা।


তথ্য বলছে, বন্দে ভারত এক্সপ্রেস  ২ ঘণ্টা ৫৩ মিনিটে হাওড়া থেকে ধানবাদ পৌঁছবে। তবে হাওড়া থেকে গয়া পৌঁছতে রাজধানী এক্সপ্রেসে ৫ ঘণ্টা ৪১ মিনিট লাগে। বন্দে ভারত এক্সপ্রেসে হাওড়া থেকে গয়া পৌঁছতে রাজধানী এক্সপ্রেসের  তুলনায় এক মিনিট কম সময় লাগবে।


Vande Bharat Express Train: হাওড়া থেকে তিনটি ট্রেন ধানবাদ যায়


হাওড়া থেকে ধানবাদ যাওয়ার জন্য সকাল ৬টা ৫ মিনিটে শতাব্দী  এবং ৬টা ১৫ মিনিটে ব্ল্যাক ডায়মণ্ড এক্সপ্রেস  আছে। বন্দে ভার‍ত উদ্বোধন পর এই রুটে আরও একটি ট্রেন যুক্ত হবে। শুধু তাই নয়, তিনটি ট্রেন চলবে সকালে। ব্ল্যাক ডায়মন্ড সপ্তাহে প্রত্যেকদিনই চলে। অন্যদিকে শতাব্দী এক্সপ্রেস রবিবার ছাড়া সপ্তাহে ছয় দিনই চলে। অন্যদিকে বন্দে ভারত এক্সপ্রেসও সপ্তাহে ছয়দিন চালানো হবে। বৃহস্পতিবার এই রুটে সেমি বুলেট চালানো হবে না।


Vande Bharat Express Train: এক নজরে দেখুন সময়সীমা-


22303 হাওড়া-গয়া বন্দে ভারত


হাওড়া- সকাল 6:50 মিনিটে

দুর্গাপুর- সকাল 8:28 মিনিটে

আসানসোল- সকাল 8:53 মিনিটে

ধানবাদ- সকাল 9:43 মিনিটে

পরসনাথ- সকাল 10:13 মিনিটে

কোডরমা- সকাল 10:58 মিনিটে

গয়া- দুপুর 12:30 মিনিটে

Vande Bharat Express Train: 22304 গয়া-হাওড়া বন্দে ভারত


গয়া- দুপুর 3:15 মিনিটে

কোডরমা- বিকেলে 4:15 মিনিটে

পরসনাথ- বিকেল 5:15 মিনিটে

ধানবাদ- বিকেল 6:00 মিনিটে

আসানসোল- সন্ধ্যা 6:48 মিনিটে

দুর্গাপুর- সন্ধ্যা 7:11 মিনিটে

হাওড়া- রাত 9:05 মিনিটে পৌঁছবে

Vande Bharat Express Train: গয়া থেকে উদ্বোধন হবে


বলে রাখা প্রয়োজন, হাওড়া থেকে পুরী, নিউ জলপাইগুড়ি, পাটনা এবং রাঁচির মধ্যে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস চলে। এমনকি নিউ জলপাইগুড়ি থেকেও গুয়াহাটির মধ্যে নয়া এই ট্রেন চলাচল। গত কয়েকদিন ধরেই বাংলা নতুন একটি বন্দেভারত পেতে পারে বলে জোর চর্চা চলছিল। আর সেই জল্পনা সত্যি করেই গয়া এবং হাওড়ার মধ্যে নয়া একটি বন্দে ভারত চলবে। যদিও এই বিষয়ে পূর্ব রেলের তরফে কিছু জানানো হয়নি। তবে গয়া থেকে এই ট্রেনের উদ্বোধন হবে বলে খবর।


Card image cap

এবার তিনদিনেই শেষ দুর্গাপুজো!

মায়ের পুজো আসছে, জানান দেন সিদ্ধিদাতা ছেলে। গণেশ পুজোতেই সূচনা হয় বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসবের। সেপ্টেম্বরের শুরুতেই যা ডিঙিয়েছে বাঙালি। সপ্তাহ খানেক বাদে বিশ্বকর্মা পুজো। ২২ দিন পর (২ অক্টোবর) মহালয়া। তারপরই বচ্ছরকার প্রতিক্ষার অবসান। পুজো শুরু। ষষ্ঠী, সপ্তমী, অষ্টমী, নবমী এবং দশমীর পুরো নির্ঘণ্ট থেকে সন্ধিপুজোর সময়, কখন অঞ্জলি দেবেন—সবকিছু জেনে নিন এই প্রতিবেদনে।


মূল নির্ঘণ্টের আগে জেনে নিন এবার দেবী দুর্গার আগমন এবং গমন কীভাবে? তার ফল কী হবে। এবার দেবীর দোলায় আগমন। ফল—‘দোলায়াং মড়কং ভবেৎ’। অর্থাৎ বিভিন্ন রকম অশান্তি, বিশৃঙ্খলা, অশুভের আশঙ্কা থাকছে। অন্যদিকে দেবীর ঘোটকে গমন। ফল—‘ছত্রভঙ্গস্তুরঙ্গমে’। অর্থাৎ মড়ক, মহামারী, রোগ-ব্যধিতে বিপর্যস্ত হতে পারে মর্ত্যলোক অর্থাৎ আমাদের পৃথিবী।


আগেই বলা হয়েছে ২ অক্টোবর, বুধবার মহালয়া। তবে পুজো কিন্তু এবার তিনদিনেই শেষ। মহাষষ্ঠী ২৩ আশ্বিন, ৯ অক্টোবর, বুধবার। মহাসপ্তমী ২৪ আশ্বিন, ১০ অক্টোবর, বৃহস্পতিবার। মহাঅষ্টমী ২৫ আশ্বিন, ১১ অক্টোবর, শুক্রবার। উল্লেখ্য, গুপ্তপ্রেস পঞ্জিকা অনুযায়ী সন্ধিপুজো শুরু হবে সকাল ৬।২২।৫৮ সেকেন্ডে। বলিদানের নির্ঘণ্ট সকাল ৬।৪৬।৫৮ সেকেন্ডে এবং সন্ধিপুজো সমাপন হবে সকাল ৭।১০।৫৮ সেকেন্ডে। নিয়ম অনুযায়ী সন্ধিপুজো শুরুর আগে অবধি চলবে অঞ্জলি। মহানবমী ও দশমী পুজো ২৬ আশ্বিন, ১২ অক্টোবর।

Card image cap

সপ্তাহের দ্বিতীয় দিনে পেট্রোলের দাম কমে দাঁড়াল ৯৪.৬৫ টাকা, কলকাতায় কত রেট জানেন?

সপ্তাহের শুরুতেই দেশজুড়ে নতুন করে জারি হয়েছে পেট্রোল ও ডিজেলের রেট। আজ মঙ্গলবার অর্থাৎ সপ্তাহের দ্বিতীয় দিন। কিছু রাজ্যে জ্বালানি তেলের দাম কমল, কিছু রাজ্যে মহার্ঘ্য হল জ্বালানি। আসুন জেনে নিন কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারি অবধি কোথায় কত টাকায় বিক্রি হচ্ছে পেট্রোল-ডিজেল?


আজ কলকাতায় পেট্রোলের লিটার প্রতি দাম ১০৪.৯৫ টাকা এবং ডিজেলের লিটার প্রতি দাম ৯১.৭৬ টাকা। সোমবারের পর পেট্রোল ও ডিজেলের দামে কোনও পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়নি। চেন্নাইয়ে পেট্রোলের লিটার প্রতি দাম ১০০.৮৫ এবং ডিজেলের লিটার প্রতি দাম ৯২.৪৪ টাকা। মুম্বইয়ে পেট্রোলের লিটার প্রতি দাম ১০৩.৪৪ টাকা এবং ডিজেলের লিটার প্রতি দাম ৮৯.৯৭ টাকা। দিল্লিতে পেট্রোলের লিটার প্রতি দাম ৯৪.৭২ টাকা এবং ডিজেলের লিটার প্রতি দাম ৮৭.৬২ টাকা। চেন্নাইতে ডিজেলের দামে সামান্য পরিবর্তন লক্ষ্য করা গেলেও কলকাতা, মুম্বাই ও রাজধানী দিল্লিতে অপরিবর্তিত রয়েছে পেট্রোল-ডিজেলের দাম।


আজ দেশের মধ্যে সবচেয়ে সস্তায় পেট্রোল পাওয়া যাচ্ছে আন্দামানে । এখানে লিটার প্রতি দাম ৮২.৪২ টাকা। উত্তরপ্রদেশের রাজধানী শহর লখনউতে আজ পেট্রোলের লিটার প্রতি দাম ৯৪.৬৫ টাকা। দেশের মধ্যে সবচেয়ে সস্তায় ডিজেলও পাওয়া যাচ্ছে আন্দামানেই। এখানে ডিজেলের লিটার প্রতি দাম ৭৮.০১ টাকা। উত্তর প্রদেশের রাজধানী শহরে ডিজেলের দাম ৮৭.৭৬ টাকা।


প্রতিদিন সকাল ৬টায় পেট্রোল ও ডিজেলের দামের পরিবর্তন হয় এবং নতুন দাম প্রকাশ করা হয়। পেট্রোল ও ডিজেলের দামের সঙ্গে আবগারি শুল্ক, ডিলার কমিশন, ভ্যাট সহ অন্যান্য জিনিস যোগ করার পর এর দাম মূল দামের থেকে প্রায় দ্বিগুণ হয়ে যায়। এই কারণেই আমাদের এতটা বেশি দামে পেট্রোল-ডিজেল কিনতে হয়।


গ্রাহকরা এসএমএসের মাধ্যমে জেনে নিতে পারেন পেট্রোল ডিজেলের দৈনিক দাম। ইন্ডিয়ান অয়েলের গ্রাহকরা ৯২২৪৯৯২২৪৯ নম্বরে আরএসপি এবং তাদের সিটি কোড টাইপ করে তথ্য পেতে পারেন এবং বিপিসিএল গ্রাহকরা আরএসপি এবং তাদের সিটি কোড টাইপ করে ৯২২৩১১২২২২ নম্বরে এসএমএস পাঠিয়ে তথ্য পেতে পারেন।


এছাড়া এইচপিসিএল গ্রাহকরা এইচপিপ্রাইস এবং তাদের সিটি কোড টাইপ করে এবং ৯২২২২০১১২২ নম্বরে পাঠিয়ে দাম জানতে পারেন।


প্রতিদিন সকালে হিন্দুস্তান পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন এবং ইন্ডিয়ান অয়েল কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়ার মতো সংস্থাগুলি তাদের ওয়েবসাইটে পেট্রোল এবং ডিজেলের দাম প্রকাশ করে।

Card image cap

সোমবার থেকেই দাম কমতে পারে অনেক জিনিসের!

আজ, অর্থাৎ সোমবার বসতে চলেছে ৫৪তম জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠক। সামনেই হরিয়ানা এবং মহারাষ্ট্রের বিধানসভা নির্বাচন, তাই নির্বাচনের আবহে দাম কমতে চলেছে একঝাঁক জিনিসের।


সবার আগে এই তালিকায় রয়েছে জীবন বিমা এবং স্বাস্থ্যবিমার মতো পলিসি। বর্তমানে এই পরিষেবাগুলির উপর ১৮% হারে জিএসট দিতে হয়, যে কারণে বিতর্ক রয়েছেই।


তাই এই জীবন বিমা এবং স্বাস্থ্যবিমায় জিএসটি কমতে পারে।


  ক্যানসারের চিকিৎসায় ব্যবহৃত ওষুধের উপর জিএসটি কমার সম্ভাবনা রয়েছে, এতে বহু মানুষ উপকৃত হবেন।


বিদ্যুতের মিটার সংক্রান্ত পরিষেবাগুলির জন্য জিএসটি ছাড় দেওয়া হতে পারে। সেই সঙ্গে রিয়েল এস্টেট এবং ধাতব শিল্পকে এবারের জিএসটি সংক্রান্ত বৈঠকে বিশেষ সহায়তা করা হতে পারে।


  পাশাপাশি, যারা সম্পত্তি কিনবেন এবং ছাত্র-ছাত্রীরা জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠকে সুখবর পেতে পারেন।

Card image cap

রাতের ঘুম উড়ল ডাক্তারদের! আরজি কর কাণ্ডের মাঝেই বড় খবর

আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে বর্তমানে উত্তাল রাজ্য। মহিলা চিকিৎসকের ধর্ষণ, খুনের ঘটনার পর থেকে পথে নেমে প্রতিবাদ করছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। ন্যায়বিচার এবং অপরাধীর শাস্তির দাবিতে চলছে টানা আন্দোলন। এই আবহে স্বাস্থ্য ভবনের তরফ থেকে জারি করা হল নয়া নির্দেশিকা। এবার তা নিয়ে শুরু হয়েছে জোর চর্চা।


নির্দেশিকায় কী বলা হয়েছে ?

সম্প্রতি রাজ্যের প্রত্যেকটি মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালে স্বাস্থ্য ভবনের এই নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, আরএমও তথা রেসিডেন্ট মেডিক্যাল অফিসার এবং এসআর তথা সিনিয়র রেসিডেন্ট চিকিৎসকদের সম্বন্ধে তথ্য দিতে হবে। আরজি কর কাণ্ডের আবহে যখন জুনিয়র চিকিৎসকরা আন্দোলনের পথ বেছে নিয়েছেন, সেই পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্য ভবনের এই নির্দেশিকা নিয়ে শুরু হয়েছে জোর চর্চা।

স্বাস্থ্য ভবনের নির্দেশিকা ঘিরে শোরগোল!
রেসিডেন্ট মেডিক্যাল অফিসার এবং সিনিয়র রেসিডেন্ট চিকিৎসকদের এই পদ হল নন প্র্যাকটিসিং পদ। অর্থাৎ তাঁরা প্রাইভেট প্র্যাকটিস করতে পারবেন না। সম্প্রতি স্বাস্থ্য ভবনের তরফ থেকে প্রত্যেকটি মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালের থেকে এই পদে থাকা চিকিৎসকদের সম্পর্কে তথ্য চাওয়া হয়েছে।

নয়া নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, আরএমও ও এসআর ডাক্তারদের নাম, ফোন নম্বর, রেজিস্ট্রেশন নম্বর, আধার কার্ড, প্যান কার্ড নম্বর দিতে হবে। একইসঙ্গে স্বাস্থ্য ভবনের তরফ থেকে তাঁদের উচ্চশিক্ষা সম্বন্ধিত নথিও চাওয়া হয়েছে। রাজ্যের সকল মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালের পাশাপাশি এই নির্দেশিকার কপি স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পের ফিনান্স আধিকারিকের কাছেও পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ৯ আগস্ট আরজি কর হাসপাতালের চারতলার সেমিনার রুম থেকে উদ্ধার হয়েছিল মহিলা চিকিৎসকের মৃতদেহ। পরবর্তীতে জানা যায়, ধর্ষিতা হয়ে খুন হয়েছেন তিনি। এই ঘটনায় অপরাধীর শাস্তি এবং ন্যায়বিচারের দাবিতে পথে নেমে আন্দোলন করছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। সম্প্রতি কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলের পদত্যাগের দাবিতে লালবাজার অভিযানও করেছেন তাঁরা।

এই নিয়ে যখন সরগরম রাজ্য রাজনীতি, ঠিক তখনই স্বাস্থ্য ভবনের তরফ থেকে জারি করা হল নয়া নির্দেশিকা। ইতিমধ্যেই এই নিয়ে ডাক্তারদের সংগঠনের তরফ থেকে এই নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। জুনিয়র ডক্টর্স ফ্রন্টের ডাক্তার অনিকেত মাহাত বলেন, আন্দোলন দমানোর উদ্দেশেই স্বাস্থ্য ভবনের তরফ থেকে এই নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে।

Card image cap

সন্দীপ ‘ঘনিষ্ঠ’ ব্যবসায়ীর বাড়িতে ইডি তল্লাশি

আর জি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের ‘ঘনিষ্ঠ’ ব্যবসায়ীর বাড়িতে হানা দিয়েছিল ইডি। সূত্রের দাবি, সল্টলেক নিবাসী ব্যবসায়ীর বাড়িতে ম্যারাথন তল্লাশি চালিয়ে বিপুল নগদ ও প্রায় ৭ কেজি সোনা উদ্ধার করেন তদন্তকারীরা। সেই বিপুল সম্পদ কি ব্যবসায়ীর আয় বর্হিভূত? খুঁজে দেখছেন ইডি আধিকারিকরা।শুক্রবার সন্ধেয় সল্টলেকের বি ই ব্লকের বাসিন্দা স্বপন সাহার বাড়িতে অভিযান চালায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। সূত্রের খবর, ওই ব্যবসায়ী সন্দীপ ঘনিষ্ঠ। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করেই স্বপন সাহার হদিশ পান তদন্তকারীরা। চলে ম্যারাথন তল্লাশি। সূত্রের খবর, বিপুল নগদ উদ্ধার হয়েছে। মিলেছে সোনাও। উদ্ধার হওয়া সাত কেজি সোনার বাজারমূল্য অন্তত ৫ কোটি টাকা। এই সমস্ত স্বপন সাহার আয় বহির্ভূত কি না তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। বিপুল অঙ্কের টাকা ও কোটি-কোটি টাকার সোনা কেন একজন ব্যবসায়ীর বাড়িতে রাখা ছিল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তাঁর পরিবারের সদস্যদেরও জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।উল্লেখ্য, আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে দুর্নীতির হদিশ মিলতেই তদন্তে নেমেছে ইডি ও সিবিআই। সন্দীপ ঘোষ ঘনিষ্ঠ একের পর এক ব্যবসায়ীর বাড়িতে হানা দিয়েছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা। এর মধ্যে দুই ভেন্ডার সুমন হাজরা এবং বিপ্লব সিংকে গ্রেপ্তার করেছে সিবিআই। আরও চারজনকে গ্রেপ্তার করা হতে পারে বলে আদালতে জানিয়েছে সিবিআই। এর পর সল্টলেকের ব্যবসায়ীর বাড়িতে হানা দিল ইডি।

Card image cap

রাজপথ দখল মৃৎশিল্পীদের

আর জি করের তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ-খুনের সুবিচার চেয়ে পথে নেমেছে আমজনতা। মিছিল মিছিলে ছয়লাপ শহর কলকাতা। বিচার চেয়ে শ্রমিক থেকে শিল্পী, পড়ুয়া থেকে পটুয়ারাও এবার রাস্তায়। রবিবার কুমোরটুলিতে মিছিল করছেন মৃৎশিল্পীরা। স্লোগান তুলেছেন, ‘কুমোরটুলি দিচ্ছে হাঁক, আমার দুর্গা বিচার পাক।’আজ থেকে ঠিক একমাস আগে, ৯ আগস্ট আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নৃশংসভাবে প্রাণ গিয়েছে চিন্ময়ী ‘অভয়া’র। আর আজ থেকে এক মাস পর মর্ত্যে মৃন্ময়ী উমার আবির্ভাব। যাঁদের হাতে প্রাণ পায় দশভুজা, যাঁদের হাতে সেজে ওঠে মা দুর্গা, সেই শিল্পীরাই এবার পথে। ঘরের মেয়ের সঙ্গে ঘটে যাওয়া নৃশংসতার বিচার চেয়ে রাস্তায় নেমেছেন সনাতন দিন্দার মতো একঝাঁক মৃৎশিল্পী। কুমোরটুলিতে বসে সনাতন দিন্দা ক্যানভাসে রং-তুলিতে ফুটিয়ে তুলেছেন প্রতিবাদের ভাষা। কেউ কেউ আবার দুর্গার চোখে কালো কাপড় বেঁধে দিয়েছেন। কারও গায়ে আলতা পায়ের ছাপ, সঙ্গে লেখা রয়েছে, ‘কুমোরটুলি দিচ্ছে হাঁক, আমার দুর্গা বিচার পাক।’ আর মিছিল থেকে সমস্বরে কুমোরটুলি বলছে, ‘চাইছে পুজোর আঁতুড়ঘর, বিচার চাইছে আরজি কর।’ প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছিল, আর জি কর প্রতিবাদের প্রভাব পড়বে দুর্গাপুজোয়। কমতে পারে আড়ম্বর। সেই আশঙ্কা উড়িয়ে কুমোরটুলির শিল্পী বাবু পাল জানালেন, “মনে করা হয়েছিল আর জি কর কাণ্ডের প্রভাব পড়বে কুমোরটুলিতে। কিন্তু এখনও তেমন কিছু হয়নি। পুজোর কাজ জোরকদমে চলছে।” তবে এবারের পুজোয়, প্রতিমার আঙ্গিকে প্রতিবাদের ছাপ পড়বে বলে দাবি করছে শিল্পীমহল। 

Card image cap

দক্ষিণবঙ্গে ঘনিয়ে আসছে বিপদ !

দক্ষিণবঙ্গে ঘনিয়ে আসছে বিপদ ! পূর্বাভাস জানিয়ে দিল আবহাওয়া দফতর। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে যে, আর মাত্র দিন দুই পর থেকেই দক্ষিণবঙ্গে ক্রমশ বাড়বে বৃষ্টির পরিমাণ। আরও জানা গিয়েছে যে, অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূল ও সংলগ্ন এলাকায় ঘনীভূত হয়ে শক্তি বাড়াচ্ছে নিম্নচাপ। নিম্নচাপের অভিমুখ ওড়িশার দিকে।


এরপর তা ক্রমশ অগ্রসর হবে পশ্চিমবঙ্গের দিকে। যার ফলে দক্ষিণবঙ্গে আগামী ৯ এবং ১০ সেপ্টেম্বর বাড়বে বৃষ্টির পরিমাণ। 


নিম্নচাপের জেরে সমুদ্রে ঢেউয়ের পরিমাণও বাড়বে। তাই আগামী কয়েকদিন মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। তবে যারা এর আগেই চলে গিয়েছেন সমুদ্রে। তাদের কাল ৮ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ফিরে আসার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। 


ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম বর্ধমান, পশ্চিম মেদিনীপুর, উত্তর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও হাওড়াসহ ৫ টি জেলায় বেশি বৃষ্টি হবে বলেও জানা গিয়েছে। তবে শুধু দক্ষিণবঙ্গেই নয়, আজকে সারাদিন উত্তরবঙ্গের বেশ কিছু জেলায় ভারী থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। উত্তরে দার্জিলিং সহ পার্বত্য এলাকায় বৃষ্টি চলবে। তবে সোমবারের পর থেকে আবহাওয়ার পরিবর্তন ঘটতে পারে বলে জানা গিয়েছে। 


আরও জানা গিয়েছে যে, ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে অন্ধ্রপ্রদেশ ইয়ানাম এবং তেলেঙ্গানাতে। ভারী বৃষ্টি হবে উত্তরাখন্ড উত্তর প্রদেশ রাজস্থান মধ্যপ্রদেশ ছত্রিশগড় সিকিম বিহার উড়িষ্যা অরুনাচল প্রদেশ আসাম মেঘালয় মনিপুর মিজোরাম নাগাল্যান্ড ত্রিপুরা কঙ্কন ও গোয়া গুজরাট এবং কর্ণাটক রাজ্যে। এছাড়াও উত্তরের রাজ্য গুলিতেও ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে।

Card image cap

ফের নবান্ন অভিযানে নামছে ছাত্র সমাজ!

তথাকথিত ছাত্র সমাজের নামে কয়েকদিন আগেই নবান্ন অভিযানে বড়সড় অশান্তির ঘটনা ঘটেছিল। আর জি কর ইস্যুকে সামনে রেখে বিজেপি ও আরএসএস মদত দিয়ে ছাত্র সমাজের ব‌্যানারে নবান্ন অভিযান করেছিল। ফের সেই ধরণের উগ্র আন্দোলনের ছক কষতে চলেছে তারা। দলের ব‌্যানার ছাড়াই তথাকথিত ছাত্র সমাজের প্রতিনিধিদের সামনে রেখে চলতি সেপ্টেম্বর মাসেই ফের নবান্ন অভিযানে যেতে পারে গেরুয়া শিবিরের একটা বড় অংশ। এ প্রসঙ্গে সংবাদ মাধ‌্যমকে ছাত্র সমাজের প্রতিনিধি শুভঙ্কর হালদার জানিয়েছেন, “আর জি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে আমাদের আন্দোলন চলবে। তবে এখনও কোনও কর্মসূচি চূড়ান্ত হয়নি। কিন্তু বড়সড় আন্দোলন হবে।”পুজোর অনেক আগেই এই আন্দোলন হবে বলে আভাস মিলেছে। ফলে আর জি কর ইস্যুকে সামনে রেখে দলের ব‌্যানার সরিয়ে আন্দোলন করে ফের অশান্তির আবহ তৈরি করার পরিকল্পনা নিয়েছে গেরুয়া শিবিরের একটা বড় অংশ। এবার কোনও অভিযান হলে সেখানে উত্তরবঙ্গ থেকেও লোক আসবে বলে দাবি করা হয়েছে ছাত্র সমাজের পক্ষে।গত মাসে নবান্ন অভিযান ঘিরে সংঘর্ষের আবহ তৈরি হয় কলকাতা ও হাওড়ায়। কলেজ স্কোয়্যার এবং সাঁতরাগাছি থেকে দুটি মিছিল বার হয়ে নবান্নের দিকে যাবে জানালেও সে দিন বেশ কয়েকটি ছোট ছোট মিছিল হয়। তা আটকাতে যুদ্ধকালীন প্রস্তুতি নিয়েছিল পুলিশ। ইট ছোড়ার অভিযোগ ওঠে মিছিল থেকে। কয়েক জন পুলিশকর্মী আহতও হন। পুলিশ কর্মসূচির আগে থেকেই অভিযান আহ্বায়কদের কয়েক জনকে গ্রেপ্তার করে।ছাত্র সমাজের পরবর্তী আন্দোলনকেও সমর্থন জানিয়ে সমস্তরকম সহযোগিতা করবেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। একথা আগেই বলে রেখেছেন তিনি। তবে ফের আন্দোলনের লক্ষ‌্য নবান্ন নাকি লালবাজার তা অবশ‌্য স্পষ্ট করতে চায়নি ছাত্র সমাজের প্রতিনিধিরা।
এদিকে, আর জি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে আবার রাত দখল করবে মেয়েরা। গত ১৪ আগস্ট রিমঝিম সিংহ প্রথম ডাক দেন। তার পর বাকিরা সেই ডাকে সুর মেলান। রাত দখলের ডাক দেওয়া হয়েছিল। মহিলাদের পাশাপাশি পুরুষেরাও পথে নেমেছিলেন। এবার অবশ‌্য মূলত সংস্কৃতি জগতের মানুষদেরই মূলত এই কর্মসূচিতে যোগ দেওয়ার ডাক দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠক করে প্রেসিডেন্সির প্রাক্তণী রিমঝিম সিংহ জানান, “আগামী ৮ সেপ্টেম্বর রাতে সকলে পথে নামবেন আবার। কর্মসূচির নাম দেওয়া হয়েছে ‘শাসকের ঘুম ভাঙাতে নতুন গানের ভোর’।

Card image cap

সন্দীপের আরও সম্পত্তির হদিশ

ক্যানিং, বেলেঘাটার পর আর জি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের আরও এক বাড়ির হদিশ। নিউটাউন সংলগ্ন হাতিয়ারায় নোয়াপাড়া মল্লিক বাগানে তিনতলা একটি বাড়ির মালিক তিনি। সেখানে থাকতেন সন্দীপের বাবা-মা। তবে ছেলের ‘কুকীর্তি’ প্রকাশ্যে আসতে শুরু করার পর থেকেই বাড়ি খালি। সূত্রের দাবি, সন্দীপের বাবা-মা আপাতত শিলিগুড়িতে মেয়ের বাড়িতে রয়েছেন।হাতিয়ারায় নোয়াপাড়ার মল্লিক বাগানে তিনতলা একটি বিলাসবহুল বাড়ি রয়েছে। নাম ‘ঘোষ ভিলা’। সম্প্রতি তাতে লিফটও লাগানো হয়েছে। স্থানীয় সূত্রে খবর, সেইসময় সন্দীপও এসেছিলেন বাড়িতে। তবে এই মুহূর্তে তালা বন্ধ রয়েছে বাড়িটি। বাড়ির দেওয়ালে ১৫ আগস্ট তারিখ দেওয়া সিবিআইয়ের নোটিস লাগানো রয়েছে, যে নোটিসে সন্দীপ ঘোষের নাম রয়েছে।স্থানীয় সূত্রে খবর, ‘ঘোষ ভিলা’র বাসিন্দা ছিলেন সন্দীপের বাবা-মা। মাঝেমধ্যেই নতুন-নতুন গাড়ি নিয়ে বাড়িতে আসতেন আর জি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ। সঙ্গে থাকত প্রচুর ছেলে। এলাকাবাসীর অভিযোগ, সন্দীপের মতোই তাঁর বাবা-মায়েরও মারাত্মক ঔদ্ধত্য ছিল। চাঁদা চাইতে গেলে দোতলার উপর থেকে ছুড়ে দিতেন টাকা। এলাকার কারও সঙ্গে মিশতেন না। আর জি করের ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই বাড়ি ছেড়েছেন তাঁরা।প্রসঙ্গত, ইতিমধ্যে ক্যানিংয়ে সন্দীপের বিলাসবহুল বাংলোর হদিশ মিলেছে। নাম ‘সঙ্গীতাসন্দীপ’ ভিলা। তার পর বেলেঘাটায় আরও দুটি ফ্ল্যাটের সন্ধান মিলল। সেখানকার যে চারতলা বাড়িতে সন্দীপ থাকেন, তার কিছুটা রয়েছে আরও দুটি ফ্ল্যাট রয়েছে তাঁর নামে। এর মধ্য়ে একতলার ফ্ল্যাটটি অফিস হিসেবে ব্যবহার করতেন তিনি। তিনতলার ফ্ল্যাটটিও তাঁর নামে রেজিস্ট্রি করা। গ্যারাজে রয়েছে দামি গাড়িও। আবাসনের কেয়ার টেকার জানিয়েছেন, মাস তিন-চারেক আগেই কেনা হয়েছি এসইউভি-টি।

Card image cap

নয়া কর্মসূচি ঘোষণা আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের

আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের তরুণী চিকিৎসক হত্যাকাণ্ডের প্রায় মাস পার। একমাস কাটতে চললেও এখনও এই ঘটনা নিয়ে একাধিক প্রশ্নের ভিড়। সঞ্জয় রায় ছাড়া গ্রেপ্তার হয়নি কেউই। সুবিচারের দাবিতে এখনও পথে নেমে জারি আন্দোলন। কর্মবিরতি চালিয়ে যাচ্ছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। এবার নয়া কর্মসূচির কথা ঘোষণা করলেন তাঁরা।জুনিয়র চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, রবিবার সকাল ১০টা ‘অভয়া ক্লিনিক’ করবেন তাঁরা। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে নিখরচায় স্বাস্থ্য পরিষেবা দেওয়া হবে। এর পর বিকেল ৫টায় মানবন্ধন করবেন তাঁরা। জাতীয় সঙ্গীতের সুরে সুরে সুবিচারের দাবি জানাবেন মিছিলকারীরা। মধ্যরাতে ফের সকলকে পথে নামার আহ্বান জানান জুনিয়র চিকিৎসকরা। বলে রাখা ভালো, ওইদিন ফের ‘রাত দখলে’র ডাক দিয়েছেন প্রেসিডেন্সির প্রাক্তনী রিমঝিমও। এর আগে গত ১৪ আগস্ট মধ্যরাতে ‘রাত দখলে’র ডাক দিয়েছিলেন তিনিই।সোমবার সুপ্রিম কোর্টে আর জি করের তরুণী চিকিৎসক হত্যা মামলার শুনানি। ওইদিন আদালতে কী হয়, সেদিকে নজর সকলের। সকাল ১০টা থেকে আধঘণ্টা কর্মবিরতির ডাক দিয়ে সকলকে পথে নামার আহ্বান জুনিয়র চিকিৎসকদের। সুবিচারের দাবিতে ৩০ দিনের মাথায় মিছিলকারীরা পথে নেমে প্রশ্ন তুলবেন, “আর কবে?” ওইদিনই ‘জনতার মতামত, রাজপথে আদালত’ কর্মসূচির ডাকও দিয়েছেন আন্দোলনকারী চিকিৎসকেরা।‘অভয়া ক্লিনিকে’র আশেপাশের কোনও এলাকায় কর্মসূচির আয়োজন করা হবে। সেদিন সাধারণ মানুষ এই হত্যাকাণ্ড সম্পর্কিত নিজস্ব মতামত জানাতে পারবেন। এর পর রাত ৯টায় হবে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদে। সমাজের সকল স্তরের মানুষকে পথে পথে নেমে মিছিল করার আহ্বান জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। সুপ্রিম কোর্টের শুনানিতে কী হয়, তার উপর ভিত্তি করে পরবর্তী পদক্ষেপ স্থির করবেন বলেই জানিয়েছেন আন্দোলনকারী চিকিৎসকরা।

Card image cap

দেবকে বেনজির আক্রমণ কুণালের! কী উত্তর সুপারস্টারের?

এমনিতেই আরজি কর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কাণ্ড নিয়ে যথেষ্ট অস্বস্তিতে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল। এবার ঠিক এই আবহেই দলের অন্দরি কাজিয়ায় জড়ালেন দলের সাংসদ-অভিনেতা দেব ও কুণাল ঘোষ। ঘাটাল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের ডায়ালিসিস ইউনিটের উদ্বোধন নিয়ে তৃণমূল সাংসদ দেবকে খোঁচা কুণালের।


দাপুটে শাসকনেতাকে জবাব দিতেও দেরি করেননি দেব।


ঘাটাল হাসপাতালের একটি ছবি সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট করেছেন কুণাল ঘোষ। কুণালের দাবি হাসপাতালের ডায়ালিসিস ইউনিটের উদ্বোধন আগেই করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। পরে দেব গিয়ে সেই একই ইউনিটের উদ্বোধন করেছেন বলে দাবি করেছেন কুণাল। এমনকী দেবকে খোঁচা দিতে 'চৈতণ্যদেব' বলে কটাক্ষও ছুঁড়ে দিয়েছেন তৃণমূল নেতা।


দেবকে কটাক্ষ করে এক্স হ্যান্ডলে কী লিখেছেন কুণাল?


এক্স হ্যান্ডলে ঘাটাল হাসপাতালের ছবি পোস্ট করে কুণাল ঘোষ লিখেছেন, "দিদির উদ্বোধন ছবিতেই স্পষ্ট। যত যন্ত্র আসুক, উদ্বোধন দু'বার হতে পারে না। উদ্বোধক বদলায় না। এসব টুপি সিনেমায় দিও। আর পরিস্থিতি? আমরা, শ্রমজীবী সৈনিকরা বিষপান করে লড়ে অপ্রিয় হচ্ছি। তুমি চৈতন্যদেব সাজছো। পেশা, সৌজন্যের নামে কুৎসাকারীদের সঙ্গে আদিখ্যেতা করছ।"


অপর একটি পোস্টে দেবকে বিঁধে কুণাল আরও লিখেছেন, "দেব, দিদি যে ভার্চুয়ালি উদ্বোধন করেছিলেন, সেটা ছবিতেই স্পষ্ট। উদ্বোধন দু'বার হয় না। দুটো যন্ত্র এলেও হয় না। আর চলতি পরিস্থিতির কথা যদি বলো, আমরা সৈনিকরা বিষপান করেও লড়ছি, অপ্রিয় হচ্ছি। যারা দল, সরকারকে গালমন্দ করছে, পেশা ও সৌজন্যের নামে তাদের সঙ্গে আদিখ্যেতা করি না।"




কুণালকেও পাল্টা জবাব দেবের...


এক্স হ্যান্ডলে দেব লিখেছেন, "নমস্কার কুণাল দা, আমি দিদিকে অনুরোধ করেছিলাম ঘাটাল হাসপাতালে ডায়ালিসিস এবং সিটি স্ক্যান মেশিনের জন্য, সেটা দিদি মার্চ মাসে ভার্চুয়ালি ঘোষণা করেন। এক সপ্তাহ আগে মেশিনগুলো আসে, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অনুরোধে আমি এই মেশিনগুলো উদ্বোধন করি যাতে সাধারণ মানুষ ঘাটাল হাসপাতালের এই ডায়ালিসিস পরিষেবার ব্যাপারে জানতে পারে। আমার মনে হয় এর ফলে কোনো মুখ্যমন্ত্রী, সাংসদ, সুপারস্টার বা মুখপাত্র নয়, সাধারণ মানুষ উপকৃত হবে। ধন্যবাদ তোমাকে, তোমার মাধ্যমে এই পরিষেবার কথা আরও অনেকের কাছে পৌঁছে গেল। শেষে একটাই কথা বলব, আমরা যে পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি, তাতে তথ্য যাচাই না করে সোশ্যাল মিডিয়ায় মন্তব্য না করাই ভালো। আরেকবার সকলকে জানিয়ে রাখি, ঘাটাল সুপারস্পেশিটি হাসপাতালে ডায়ালিসিস এর পরিষেবা আরম্ভ হয়ে গেছে, এখন আর আপনাদের কোনো বেসরকারি হাসপাতাল বা কলকাতার কোনও হাসপাতালে ছুটে যেতে হবেনা এবং সিটি স্ক্যান এর পরিষেবা এই মাসের শেষ থেকেই কার্যকরী হয়ে যাবে। সবার মঙ্গল হোক! "



Card image cap

আরজি কর-কাণ্ডের পর লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নিয়ে বড় আপডেট

আরজি কর-কাণ্ডের পর রাজ্য সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পে পরিবর্তন ও স্থগিতাদেশ এসেছে। এর মধ্যে দুর্গাপুজোর ক্লাবগুলির অনুদান আটকে দেওয়া হয়েছে এবং একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণীর পড়ুয়াদের ট্যাব কেনার জন্য দেওয়া টাকাও স্থগিত করা হয়েছে। কিন্তু, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের ভবিষ্যৎ নিয়ে আশার খবর মিলেছে।


লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের অবস্থা:


প্রকল্পের সাফল্য: লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প তৃণমূল কংগ্রেসকে ভোটে সফল করতে সাহায্য করেছে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে রাজ্যের সাধারণ শ্রেণীর মহিলারা প্রতি মাসে ১ হাজার টাকা এবং তপশিলি জাতি ও উপজাতি শ্রেণীর মহিলারা ১ হাজার ২০০ টাকা করে ভাতা পাচ্ছেন।

ভাতার পরিমাণ বৃদ্ধি: প্রকল্পের আওতায় ভাতার পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে, যা ভোটের ফলাফলের সঙ্গে যুক্ত বলে মনে করা হচ্ছে।

সরকারি সিদ্ধান্ত:


ক্লাবগুলির দুর্গাপুজোর অনুদান: ২৩ জুলাই নেতাজি ইনডোর স্টেডিয়ামে পুজো অনুদান বৃদ্ধির ঘোষণা হলেও, ৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত টাকা ছাড়ার সিদ্ধান্ত স্থগিত রয়েছে। কবে টাকা ছাড়বে তা স্পষ্ট নয়।

পড়ুয়াদের ট্যাবের টাকা: একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণীর পড়ুয়াদের জন্য ট্যাব কেনার টাকা একদম শেষ মুহূর্তে বাতিল করা হয়েছে।

লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের ভবিষ্যৎ:


বিকল্পের কথা: যদিও অন্যান্য প্রকল্পের ক্ষেত্রে পরিবর্তন এসেছে, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প চলবে। জানানো হয়েছে, ডিসেম্বর থেকে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, বাংলার বাড়ি, বিধবা ভাতা এবং অন্যান্য সহায়তা প্রকল্পগুলি নিয়মিতভাবে দেওয়া হবে।

অর্থপ্রদান: ইতিমধ্যেই ২ কোটি ১৫ লক্ষ মহিলাকে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের আওতায় ৪০ হাজার কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে।

উপসংহার:

যদিও সরকারের নানা সিদ্ধান্তের কারণে কিছু প্রকল্পের অগ্রগতি স্থগিত হয়েছে, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের চালু থাকায় রাজ্যের মহিলাদের জন্য আশার আলো রয়েছে।

Card image cap

প্রসূনকে আটক করল ED!

 ইডির হাতে আটক আর জি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ ঘনিষ্ঠ প্রসূন চট্টোপাধ্যায়। এদিন সকাল ৭ টা নাগাদ তাঁর সুভাষগ্রামের বাড়িতে হানা দেন ইডি আধিকারিকরা। টানা তল্লাশি ও জিজ্ঞাসাবাদের পর প্রসূনকে সঙ্গে নিয়ে তাঁর বাড়ি থেকে বেরলেন আধিকারিকরা। প্রসঙ্গত, প্রসূন নিজেকে সন্দীপের পিএ বলে দাবি করতেন বলে খবর।দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসিন্দা প্রসূন চট্টোপাধ্যায়। আর জি করে তরুণী চিকিৎসকের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে প্রকাশ্যে আসে তাঁর নাম। সেমিনার হলের ভিডিওতেও দেখা গিয়েছিল প্রসূনকে। এই প্রসূন ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজে ডেটা এন্ট্রি অপারেটর হিসাবে কাজ করতেন। তবে সন্দীপ ‘ঘনিষ্ঠ’ হিসাবে পরিচিত ছিলেন তিনি। সকলের কাছে দাবি করতেন, তিনি নাকি সন্দীপের পিএ। শুক্রবার সকালে সন্দীপের একাধিক ঠিকানার পাশাপাশি আরও একাধিক জায়গায় হানা দেয় ইডি। তার মধ্যে ছিল প্রসূনের সুভাষগ্রামের বাড়ি।ঘড়ির কাঁটায় সকাল ৭ টা নাগাদ প্রসূনের বাড়িতে পৌঁছন ইডি আধিকারিকরা। বেলা ২ টো নাগাদ প্রসূনকে সঙ্গে নিয়ে বের হন অফিসার ও জওয়ানরা। প্রসূনকে বাড়ি থেকে নিয়ে বেরতেই প্রতিবেশীরা মুখ খুলেছেন তাঁর বিরুদ্ধে। তাঁদের সাফ কথা, আর জি কর কাণ্ডে যদি প্রসূন যদি অভিযুক্ত হয়ে থাকে তাহলে তাঁর যেন কঠোরতম শাস্তি হয়।

Card image cap

১০ বছরের কম চাকরি করেও পেনশন পাবেন শিক্ষকরা

শিক্ষকদের পেনশনে জঠিলতা কাটাতে পদক্ষেপ নিল রাজ্য। সরকারি অবসরকালীন ভাতার অন্তর্ভুক্ত হতে গেলে ন্যূনতম টানা ১০ বছর চাকরি করতে হয় শিক্ষক-শিক্ষিকাদের। এবার সেই নিয়মে কিছুটা ছাড় ঘোষণা করল রাজ‌্য সরকার। এ ক্ষেত্রে টানা ৯ বছর ৬ মাস অর্থাৎ দশ বছরের নিচে কর্মজীবন থাকলেও শিক্ষা দপ্তরের ক্ষমতাবলে সংশ্লিষ্ট শিক্ষক-শিক্ষিকাদের পেনশন স্কিমের অধীনে আনা হবে। বৃহস্পতিবার শিক্ষক দিবসের অনুষ্ঠান থেকে একথা ঘোষণা করলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত‌্য বসু।জানানো হয়, এবার থেকে কোনও শিক্ষক যদি ১০ বছর হওয়ার আগে পেনশনের অর্ন্তভুক্ত হতে চাইলে তাঁর আবেদন খতিয়ে দেখে পদক্ষের নেওয়া হবে। অনুষ্ঠান থেকে ব্রাত‌্য বলেন, “বিদ‌্যালয় শিক্ষকদের সুবিধায় মুখ‌্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হল। সরকারি অবসরকালীন ভাতার অন্তর্ভুক্ত হতে গেলে এতদিন কম করে টানা ১০ বছর চাকরি করতে হত শিক্ষক-শিক্ষিকাদের। কিন্তু ৯ বছর ৬ মাস তার বেশি যদি কেউ চাকরি করে থাকেন, তাহলে বিদ‌্যালয় শিক্ষা বিভাগের হাতে ক্ষমতা আছে, ৬ মাস বা তার কম সময় মার্জনা করে তাঁকে পেনশন দেওয়ার। সাধারণভাবে এতদিন এই ক্ষমতার প্রয়োগ করত না বিদ‌্যালয় শিক্ষা বিভাগ। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই শিক্ষক-শিক্ষিকাদের উচ্চ ন‌্যায়ালয়ে গিয়ে বিচার চেয়ে প্রতিবিধান আনতে হত। এই অসুবিধার কথা মাথায় রেখে মানবিক দিকগুলো বিচার করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, কোনও শিক্ষক-শিক্ষিকার কর্মজীবন ১০ বছরের কম, টানা ৯ বছর ৬ মাস হয়ে থাকলেও আবেদনের ভিত্তিতে যোগ‌্য প্রার্থীদের এই ঘাটতিটুকু মার্জনা করে তাঁর পেনশন অনুমোদন করে দেবে বিদ‌্যালয় শিক্ষা বিভাগ। তাঁদের আর উচ্চ ন‌্যায়ালয়ে ছুটতে হবে না।”পাশাপাশি, শিক্ষক, পড়ুয়া ও শিক্ষাকর্মীদের অভাব-অভিযোগ শোনা এবং তা নিষ্পত্তিকরণে একটি হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর চালু করল শিক্ষা দপ্তর৷ সেই নম্বরটি হল ৯০৮৮৮৮৫৫৪৪৷ এটি সারা বছর ২৪ ঘণ্টাই চালু থাকবে। অভিযোগ পাওয়ার পর একটি প্রাপ্তিসূচক পাঠানো হবে। এ নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, “অভিযোগ যাচাই করতে একটি বিশেষ দল গঠন করা হয়েছে। এই দলের প্রতিনিধিরা অভিযোগ খতিয়ে দেখবেন এবং তা দ্রুত সমাধানে উদ্যোগী হবেন।” এছাড়াও এতদিন মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের নথিপত্র সংশোধনের পর, তা ডিজিলকারে আর পুনরায় তালিকাভুক্ত হত না বলে অভিযোগ ছিল। ফলে নথি সংশোধনের পর, ডিজিলকার ব্যবহারে বহু ছাত্র-ছাত্রীকে ব্যাপক হয়রানির শিকার হতে হয়৷ পড়ুয়াদের সুবিধার্থে এবার সেই সমস্যার নিষ্পত্তি করা গেল বলে জানিয়েছেন রাজ্য শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু।আর জি কর ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে এ বছরের শিক্ষক দিবস উদযাপনে সরকারি কর্মসূচিকে কাটছাঁট করা হয়। বৃহস্পতিবার দুপুরে সল্টলেকের বিকাশ ভবনের শিক্ষাদপ্তরে বসে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, “আর জি কর হাসপাতালে আমরা অনভিপ্রেত ঘটনার সাক্ষী হয়েছি। আমাদের বাড়ির একটি মেয়েকে অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনকভাবে হারিয়েছি। তাতে সাড়ম্বরে শিক্ষক দিবস উদযাপন বেমানান। তাই এ বছরে অনাড়ম্বর ভাবেই শিক্ষক দিবস পালন করা হয়েছে।”

Card image cap

সঞ্জয়ের শুনানিতে গরহাজির CBI-এর আইনজীবী

হাই প্রোফাইল মামলা। আর তাতে চূড়ান্ত গাফিলতির অভিযোগ সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে! শুক্রবার আর জি করে ধর্ষণ-খুনের মামলায় ধৃত সঞ্জয় রায়ের জামিন মামলা ছিল। ভারচুয়াল শুনানি ছিল। অথচ সেখানে হাজিরই ছিলেন না সিবিআইয়ের আইনজীবী! এমন স্পর্শকাতর মামলায় আইনজীবী অনুপস্থিত কেন? তা নিয়ে চূড়ান্ত উষ্মাপ্রকাশ করলেন শিয়ালদহ আদালতের আইনজীবী। এমনকী তদন্তকারী অফিসারও হাজির ছিলেন না আদালতে।শুক্রবার শিয়ালদহ আদালতে এই মামলার ভারচুয়াল শুনানি শুরু হয় বিকেল ৪টে ১০ মিনিট নাগাদ। সঞ্জয় কান্নাকাটি করে জামিনের কথা বলেন। তাঁর হয়ে লিগাল এইডের আইনজীবী কবিতা সরকার জামিনের আবেদন করেন বিচারকের কাছে। পালটা সিবিআই-কে সওয়াল করতে বলেন বিচারক। আইনজীবী ও তদন্তকারী অফিসারের খোঁজ করেন। কিন্তু তাঁরা কেউই উপস্থিত ছিলেন না। ছিলেন সহকারী তদন্তকারী অফিসার। তাঁর কাছে বিচারক জানতে চান, ”আপনাদের আইনজীবী কোথায়? ভারচুয়াল শুনানি চলছে, আইনজীবী কোথায়?” তাতে আধিকারিক জানান, তিনি আসছেন। কতক্ষণ লাগবে আসতে, জানতে চান বিচারক। বলেন, ফোন করে জিজ্ঞাসা করতে। তাঁর নির্দেশ পেয়ে এর পর এজলাসের বাইরে বেরিয়ে যান আধিকারিক। একটু পরে ফিরে এসে জানান, আইনজীবী আসছেন, রাস্তায় আছেন।তা শুনে ফের রেগে যান বিচারক পামেলা গুপ্তা। বলেন, ”সাড়ে চারটে বেজে গিয়েছে, এখনও আসছেন? তাহলে কি এই কেসে আমি জামিন দিয়ে দেব? এটা তো সিবিআইয়ের তরফে চরম গাফিলতি!” দীর্ঘ সময় পর অবশেষে সিবিআইয়ের আইনজীবী আদালতে পৌঁছন। তিনি সঞ্জয়ের জামিনের বিরোধিতা করেন। বিচারক সঞ্জয়কে ফের ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন। ২০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সঞ্জয়কে প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে থাকতে হবে।