CATEGORY state:

Card image cap

‘ভোর দখলে’র ডাক টেবিল টেনিস তারকা মান্তুর

আর জি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে ফের ‘রাত দখল’। আগামী রবিবার ফের ‘রাত দখলে’র ডাক দিলেন রিমঝিম সিংহরা। ওইদিন রাত ১১টা থেকে শুরু হবে কর্মসূচি। মূলত ব্যান্ডের সঙ্গে যাঁরা যুক্ত তাঁদের এই কর্মসূচিতে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। এর আগে গত ১৪ আগস্ট এই রিমঝিমের ডাকেই পথে নেমেছিলেন অগণিত মহিলা। শামিল হন পুরুষরাও। এদিকে, সোমবার চারটে থেকে শিলিগুড়ির হাসমিচকে ‘ভোর দখলে’র ভাবনা। তাতে অংশ নেবেন টেবিল টেনিস তারকা মান্তু ঘোষেরা। “শাসকের ঘুম ভাঙাতে নতুন ভোরের গান”- এই ব্যানারে এবার ‘রাত দখলে’র ডাক দিয়েছেন প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের রিমঝিম। আগামী ৮ সেপ্টেম্বর সকলকে পথে নামার আহ্বান জানিয়েছেন তাঁরা। শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠকে রিমঝিম ‘গুপী গাইন বাঘা বাইন’ ছবির কথা উল্লেখ করেন। দাবি করেন, গুপী বাঘাদের মতো শাসকদের ঘুম ভাঙাতে চান তিনিও।উল্লেখ্য, গত ৮ আগস্ট, নাইট শিফট ছিল তরুণী চিকিৎসকের। পরদিন আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের সেমিনার হল থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার হয়। অভিযোগ, ধর্ষণ ও খুন করা হয়েছে তাঁকে। এই ঘটনার সুবিচারের দাবিতে ১৪ আগস্ট স্বাধীনতার মধ্যরাতে ‘রাত দখল’ কর্মসূচির ডাক দিয়েছিলেন রিমঝিম। অ্যাকাডেমি অফ ফাইন আর্টস, যাদবপুর এইট বি বাসস্ট্যান্ড এবং কলেজ স্কোয়্যার – এই তিন জায়গায় মহিলাদের জমায়েতের কথা বলেছিলেন। তাঁকে ব্যাপক সাড়া পান রিমঝিম। প্রায় গোটা রাজ্যে প্ল্যাকার্ড, মোমবাতি হাতে পথে নামেন অগণিত মহিলা। তাতে শামিল হন পুরুষরাও। এর পর গত বুধবারও ‘রাত দখল’ হয়। এবার সেই একই দাবিতে সুপ্রিম কোর্টে শুনানির আগে ‘রাত দখলে’র ডাক রিমঝিমের।

Card image cap

হাহাকার আর জি করের নির্যাতিতার মায়ের

মাসখানেক হতে চলেছে একমাত্র সন্তানকে হারিয়েছেন তিনি। সন্তান হারানোর ক্ষত এখনও দগদগে। মেয়ের নৃশংস হত্যাকাণ্ডে সঞ্জয় রায় ছাড়া এখনও গ্রেপ্তার হয়নি কেউ। এবার সিবিআইয়ের ভূমিকা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন। সুপ্রিম কোর্টে শুনানি পিছিয়ে যাওয়ায় বাড়ছে হতাশা। এই পরিস্থিতিতে সুবিচারের দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার হুঁশিয়ারি নির্যাতিতার বাবা-মায়ের। সন্তানহারা মায়ের ভেজা চোখে একটাই আর্জি, “আমি চাই, অপরাধীরাও আমার মতো ঘুমহারা হোক।”এদিন নির্যাতিতার বাবা একাধিক প্রশ্ন তোলেন। তাঁর প্রশ্ন, “ময়নাতদন্ত করতে কেন দেরি করা হল? কেন অস্বাভাবিক মৃত্যু মামলা রুজু করা হল? কারা বিনামূল্যে দেহ দাহর ব্যবস্থা করল? ময়নাতদন্তের আগে কেন বলা হল আত্মহত্যা করেছে? আমাদের উত্তর কে দেবে পুলিশ নাকি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ?” পুলিশের বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করেছেন তিনি। নির্যাতিতার বাবার দাবি, পুলিশের পক্ষ থেকে তাঁদের টাকার প্রস্তাব দেওয়া হয়। ডিসি সেন্ট্রাল ইন্দিরা মুখোপাধ্যায় বার বার মিথ্যা কথা বলছেন বলেও অভিযোগ তাঁর। শুধু বাবা-মা-ই নন। নির্যাতিতার কাকিমাও ক্ষোভ উগরে দেন। তিনি জানান, “ওইদিন (৯ আগস্ট) সকাল ১০ টা ৫৫ মিনিট নাগাদ খবর পাই। ঘণ্টাখানেকের মধ্যে গাড়ি নিয়ে আমরা আসি। চারজন একসঙ্গে এসেছিলাম। দেহ দাহ না হওয়া পর্যন্ত পুলিশ ঘিরে রেখেছিল আমাদের। অন্তত তিন থেকে চারশো পুলিশ আমাদের পরিবারকে আটকে রেখেছিল।”উল্লেখ্য, গত ৮ আগস্ট, নাইট শিফট ছিল তরুণী চিকিৎসকের। পরদিন সকালে আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে তাঁর দেহ উদ্ধার হয়। অভিযোগ, ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে তাঁকে। কলকাতা পুলিশের সিট এই ঘটনায় সঞ্জয় রায় নামে এক সিভিক ভলান্টিয়ারকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তদন্তভার নেওয়ার পর পুলিশের কাছ থেকে সিবিআই সঞ্জয়কে হেফাজতে নেয়। তবে তরুণী চিকিৎসক হত্যাকাণ্ডে এখনও নতুন করে কাউকে গ্রেপ্তার বা আটক করা হয়নি। বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টে এই মামলার শুনানি ছিল। তার আগের রাতে এক ঘণ্টা আলো নিভিয়ে অভিনব প্রতিবাদের ডাক দেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। তাঁদের ডাকে সাড়া দিয়ে এদিন রাত ৯টায় আলো নিভিয়ে দেওয়া হয় রাজভবনে। আঁধারে ঢাকে ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল, আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল চত্বর-সহ শহরের প্রায় বিভিন্ন প্রান্ত।

Card image cap

বিনীত গোয়েলকে নিয়ে রাষ্ট্রপতি-শাহকে চিঠি শুভেন্দুর

আর জি কর কাণ্ডের পরিপ্রেক্ষিতে কলকাতা পুলিশ কমিশনারের ভূমিকা নিয়ে আগেই প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধীরা। এমনকী আন্দোলনরত চিকিৎসকরাও সিপি-র ভূমিকায় ক্ষুব্ধ। তাঁর ইস্তফার দাবিতে গত দুদিন ধরে লালবাজার অভিযান করেছেন আর জি করের জুনিয়র চিকিৎসকরা। এবার বিনীত গোয়েলের পুলিশ পদক ফেরানোর আবেদনে রাষ্ট্রপতি এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে চিঠি লিখলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। স্পষ্ট দাবি, রাষ্ট্রপতি যে পুলিশ পদক দিয়েছিলেন তা ফেরত নিয়ে নেওয়া হোক।আইপিএস হিসেবে দক্ষতা, কৃতিত্বের জন্য ২০১৩ সালে এবং ২০২৩ সালে বিনীত গোয়েল সর্বভারতীয় স্তরে জোড়া সম্মানে ভূষিত হন। ‘রাষ্ট্রপতি পুলিশ পদক’ এবং ‘পুলিশ পদক’ পান তিনি। পদকের পাশাপাশি এর সঙ্গে কিছু সুবিধা এবং আর্থিক পুরস্কার পাওয়া যায়। বিনীত গোয়েলও সেসব পেয়েছিলেন। কিন্তু বিরোধী দলনেতার দাবি, পুলিশ আধিকারিক হিসেবে এই মুহূর্তে তিনি যে গুরুত্বপূর্ণ পদে রয়েছেন, তার মর্যাদা রাখতে পারছেন না। পুলিশ পদক পাওয়ার যোগ্যতা হারিয়েছেন তিনি। আর তাই তাঁকে দেওয়া সমস্ত পদক ফেরত নেওয়া হোক।বৃহস্পতিবার এই মর্মে শুভেন্দু চিঠি পাঠিয়েছেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে। আইনের নির্দিষ্ট ধারা উল্লেখ করে তাঁর যুক্তি, ‘‘ওই পদকের যে নির্দেশিকা, তাতে বলা আছে, পদকের প্রাপক অসততার অভিযোগে দোষী হলে অথবা কাজের ক্ষেত্রে কাপুরুষতার পরিচয় দিলে তাঁর কাছ থেকে ওই পদক প্রত্যাহার করে নেওয়া হতে পারে।’’ সম্প্রতি আর জি কর আবহে কলকাতার পুলিশ কমিশনার যে ভূমিকা নিয়েছেন, তা নিন্দনীয় বলে উল্লেখ করেছেন শুভেন্দু। আর সেই কারণেই বিনীত গোয়েলের জোড়া পদক ফিরিয়ে নেওয়ার দাবি তুলেছেন তিনি। যদিও এনিয়ে তৃণমূলের প্রতিক্রিয়া, শুভেন্দুর এসব বলা মানায় না। ব্রিজভূষণ, বিলকিস বানো ধর্ষণকাণ্ডে দোষীদের সঙ্গে বিজেপি যা সৌজন্য দেখিয়েছে, সেসব আগে দেখুন বিরোধী দলনেতা।

Card image cap

‘রাত দখল’ কর্মসূচিতে পুলিশকে হেনস্তা!

‘রাত দখল’ কর্মসূচিতে পুলিশকে হেনস্তা! গড়িয়ার বিক্ষুব্ধ জনতার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হল নেতাজি নগর থানায়। কর্মসূচিতে যোগ দিতে আসা মহিলাকে উত্যক্ত করার অভিযোগে এক মদ্যপ ব্য়ক্তিকে আটক করেন আন্দোলনকারীরা। অভিযোগ, অভিযুক্তর উপর চড়াও হয়েছিল তারা। অভিযুক্তকে উদ্ধার করে থানায় পাঠানোর সময় উন্মত্ত জনতা পুলিশকেই কিল-চড়-ঘুষি মারে বলে অভিযোগ। কয়েকজন পুলিশ কর্মীও জখম হয়েছেন।‘অভয়া’র সুবিচারের দাবিতে বুধবার রাতে শহরজুড়ে ‘রাত দখল’ কর্মসূচি নেওয়া হয়েছিল। যাদবপুর এইট বি বাসস্ট্যান্ডে কয়েক হাজার মানুষের জমায়েত হয়েছিল। অভিযোগ, সেই সময় গড়িয়ার নূতন হাট অটো স্ট্যান্ড থেকে এক মহিলার পিছু নেয় এক ব্যক্তি। লাগাতার কুকথা, নোংরা ইঙ্গিত করছিল বলে অভিযোগ। অভিযুক্ত রাজুকুমার নন্দীর বিরুদ্ধে নেতাজি নগর থানায় অভিযোগ দায়ের হয়।এদিকে ওই মহিলা আন্দোলনকারীদের জানায় রাজুর কথা। সঙ্গে সঙ্গে বিক্ষুব্ধ জনতা রাজুর উপর চড়াও হয়। প্রায় ৩০০-৪০০ জন তাকে ঘিরে ধরেছিল। পরিস্থিতি দেখে এগিয়ে আসেন নেতাজি নগর থানার অতিরিক্ত ওসি। তাঁর সঙ্গে আরও কয়েকজন আধিকারিক ছিলেন। রাজুকুমারকে উদ্ধার করতে গেলে উন্মত্ত জনতা পুলিশের উপর চড়াও হয়। কিল-ঘুষি-লাথি-চড় মারতে শুরু করে। কয়েকজন পুলিশকর্মী জখম হলেও অভিযুক্তকে উদ্ধার করে নিয়ে যেতে সক্ষম হয়। অতিরিক্ত পুলিশ বাহিনী এলেও তাদের মারধর করে উন্মত্ত জনতা। অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। সরকারি কাজে বাধা দেওয়া, উর্দিধারীদের মারধর-সহ একাধিক অভিযোগ এনে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে FIR দায়ের করেছে পুলিশ।

Card image cap

এবার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ সন্দীপ

এবার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ। তাঁর দাবি, কলকাতা হাই কোর্ট এই মামলার তদন্তভার সিবিআইকে দেওয়ার আগে শুনানিতে তাঁর কোনও বক্তব্যই শুনতে চায়নি। অথচ হাসপাতালের তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার সঙ্গে অযথা দুর্নীতি কাণ্ডকে যুক্ত করা হয়েছে বলেও অভিযোগ তাঁর। আগামী ৬ সেপ্টেম্বর সর্বোচ্চ আদালতে এই মামলার শুনানির সম্ভাবনা।তাঁর দাবি, কলকাতা হাইকোর্ট এই মামলার তদন্তভার সিবিআইকে দেওয়ার আগে শুনানিতে তাঁর কোনও বক্তব্য শুনতে চায়নি। অথচ তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার সঙ্গে অযথা দুর্নীতি কাণ্ডকে যুক্ত করা হয়েছে বলে অভিযোগ তাঁর। ৬ সেপ্টেম্বর শীর্ষ আদালতে এই মামলার শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে।
সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে অভিযোগ নতুন নয়। দীর্ঘদিন ধরে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। গত ৯ অগাস্ট আরজি করে তরুণী চিকিৎসকের মৃতদেহ উদ্ধারের পর নতুন করে সেইসব অভিযোগ সামনে আসে। ঘটনার দায় মাথায় নিয়ে পদত্যাগ করলেও বিতর্ক কিছু ছাড়েনি সন্দীপ ঘোষের। নতুন করে তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলা হয়। সেই মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয় আদালত। এবার সুপ্রিম কোর্টের কাছে করা আবেদনে সন্দীপ ঘোষ দাবি করেন, সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেওয়ার আগে তার কোনও কথা শোনা হয়নি।
প্রসঙ্গত, টানা ১৫ দিন ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করার পর কত সোমবার গ্রেপ্তার করা হয়েছে সন্দীপ ঘোষকে। সন্দীপ ঘনিষ্ঠ আরও তিন ব্যক্তিকেও গ্রেপ্তার করেছে সিবিআই। বর্তমানে সিবিআই হেপাজতে রয়েছে।

Card image cap

মডেলিং করতে আসা মহিলার শ্লীলতাহানি!

আর জি কর কাণ্ডে উত্তাল বঙ্গ সমাজ। চারিদিকে প্রতিবাদের ঝড়। এই আবহেই খাস কলকাতার এমজি রোডের এক মেকআপ প্রতিষ্ঠানের মালিকের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানীর অভিযোগ তুললেন সেই অ্যাকাডেমির ছাত্রী। অভিযোগ, তিনি প্রতিষ্ঠানে প্রবেশ করার পর তাঁর শ্লীলতাহানি করা হয়। হরিদেবপুর থানায় অভিযোগ জানিয়েছেন নির্যাতিতা। অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।নির্যাতিতা পুলিশের কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন, মঙ্গলবার ১১টা ৪৫-এর দিকে তিনি প্রতিষ্ঠানে মডেলিংয়ের জন্য গেলে ওই অ্যাকাডেমি মালিক পঙ্কজ বিশ্বাস তাঁর শ্লীলতাহানি করেন। তার পরেই সেখান থেকে বেরিয়ে থানায় অভিযোগ জানান তিনি। মহত্মা গান্ধীর রোডের বাসিন্দাকে সঙ্গে সঙ্গে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ৭৪,৭৬, ১২৬(২), ৩৫১(২)-সহ বিভিন্ন ধারায় অভিযোগ দায়ের করে তদন্ত শুরু করেছে হরিদেবপুর থানার পুলিশ। অন্যদিকে, কোচবিহারের মাথাভাঙা ১ ব্লকের পচাগর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় মূক ও বধির গৃহবধূকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে সুশান্ত সিং নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মাথাভাঙার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সন্দীপ গড়াই সাংবাদিক সম্মেলন করে বলেন, ” মূক ও বধির মহিলার স্বামী কাজের সূত্রে বাইরে থাকে। বাবা-মায়ের সঙ্গেই থাকতেন মহিলা। সোমবার সুশান্ত সিং নামে এক ব্যক্তি বাড়িতে একা পেয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করে। নির্যাতিতার পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে বুধবার অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।”

Card image cap

কলকাতা পুলিশের চাকরি প্রত্যাখ্যান

তিলোত্তমার বিচার চাইতে গিয়ে এই শহর সাহসী হয়েছে। মুখর হয়েছে প্রতিবাদে। গণ আন্দোলনের চেহারা নিয়েছে ‘রাত দখল’। প্রতিবাদ অনেকেই করছেন।  এবার সরকারি চাকরি প্রত‌্যাখ‌্যান করে প্রতিবাদ জানালেন এক কবি! কলকাতা পুলিশের দেওয়া ‘সরকারি চাকরি’ চিঠি লিখে প্রত‌্যাখ‌্যান করলেন কবি ঝর্ণা দত্ত।জানা গিয়েছে, ঝর্ণা দত্তের স্বামী কলকাতা পুলিশের ট্রাফিক সার্জেন্ট ছিলেন সৌরভ দত্ত। রহস্যজনকভাবে মৃত্যু হয় তাঁর। সৌরভের মৃত্যুর পর কলকাতা পুলিশে ঝর্ণাকে চাকরির আশ্বাস দেওয়া হয়। কিন্তু ঝর্ণা সেই চাকরি নেবেন না বলে জানিয়ে দেন। তবে অনুরোধ করেন, মেয়ে স্নিগ্ধার জন্য চাকরিটি যদি সংরক্ষিত রাখা যায়। কলকাতা পুলিশের তরফে ঝর্ণাকে আশ্বস্ত করা হয়েছিল। কিন্তু তিলোত্তমার মৃত্যু ঝর্ণা ও তাঁর মেয়ে স্নিগ্ধাকে এতটাই নাড়া দেয় যে তিনি সিদ্ধান্ত বদল করেন। বলেন, ‘‘আমি আগেই চাকরি প্রত্যাখ্যান করেছি। মেয়ের জন্য সংরক্ষিত রাখার অনুরোধ করেছিলাম। ভেবেছিলাম মেয়ে সাবালক হয়ে বাবার চাকরি করবে। কিন্তু চলতি আবহে সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে এলাম। নীতি আদর্শ জলাঞ্জলি দিয়ে মেয়েকে কলকাতা পুলিশে চাকরি করতে পাঠাতে পারব না।’’ঝর্ণার দাবি, আত্মহত্যা বলে সৌরভের মৃত্যুকে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। তাঁর মৃত্যুর পিছনে কে বা কারা ছিল তা আজও জানা যায়নি। আর জি করের ঘটনাও তো ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা হয়েছে। আত্মহত‌্যা বলে চালানোর চেষ্টা হয়েছে।’’ এদিন কথা বলতে বলতে এদিন বারবার ঝাপসা হয়ে আসছিল ঝর্ণার চোখ। বললেন, ‘‘পুলিশের উর্দিকে আমি সম্মান করতাম। এই উর্দি ছিল আমাদের পরিবারের তীর্থস্থান। আমাদের অন্ন জোগাত এই উর্দি। অত্যন্ত যত্ন নিয়ে উর্দি পরিষ্কার করতাম। তাতে এখন কালো দাগ লেগেছে। এখানে মেয়েকে চাকরি করতে পাঠাতে পারব না।’’

Card image cap

স্ত্রীকে বাপের বাড়ি পাঠিয়ে তরুণীকে অপহরণ, দু'দিন ধরে ধর্ষণের অভিযোগ

য়েক দিন আগেই দক্ষিণ দিনাজপুরে এক আদিবাসী নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছিল। এ বার এক আদিবাসী তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল জেলায়। তরুণীকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে দু'দিন ধরে একাধিক বার ধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ। ঘটনাটি ঘটেছিল গত রবিবার। পরে পরিবারের সদস্যরাই খোঁজাখুঁজি করে মঙ্গলবার দুপুরে নির্যাতিতাকে উদ্ধার করেন এবং রাতে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়।


ওই নির্যাতিতার পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে ইতিমধ্যেই এক যুবককে গ্রেফতার করছে পুলিশ।


নির্যাতিতার দাদা জানিয়েছেন, ঘটনার দিন বাড়িতে তাঁর বোন একাই ছিলেন। সেই সময়েই অভিযুক্ত তাঁর বোনকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করেন। তিনি বলেন, 'বাড়ি থেকে এক কিলোমিটার দূরে একটি খেলার মাঠ আছে। রবিবার সেই মাঠে স্ত্রী এবং ছেলে-মেয়েকে নিয়ে খেলা দেখতে গিয়েছিলাম। বোন তখন বাড়িতে একাই ছিল। ওই সময়েই অভিযুক্ত আমার বাড়ি থেকে বোনকে তুলে নিয়ে যায় এবং বাড়ি থেকে প্রায় তিন কিলোমিটার দূরে একটি জায়গায় তাঁকে ধর্ষণ করে।'


বাড়ি ফেরার পর থেকে বোনকে আর দেখতে পাননি। খোঁজাখুঁজি শুরু করেছিলেন তাঁরা। শেষে মঙ্গলবার দুপুরে বাড়ি থেকে তিন কিলোমিটার দূরে ওই এলাকা থেকে নির্যাতিতাকে উদ্ধার করা হয়েছে। ওই এলাকাতেই বাড়ি অভিযুক্ত যুবকের বলে জানিয়েছেন নির্যাতিতার দাদা।


স্থানীয় সূত্রে খবর, ঘটনার আগে অভিযুক্ত যুবক তাঁর স্ত্রীকে বাপের বাড়ি পাঠিয়ে দিয়েছিলেন। এর পর তরুণীকে তুলে নিয়ে গিয়ে একটি ঘরে আটকে রেখে দু'দিন ধরে ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ। এলাকাবাসীরা সন্দেহজনক কিছু ঠাওর করার পর তরুণীর পরিবারকে খবর দেন। এর পর মঙ্গলবার দুপুরে তাঁকে উদ্ধার করা হয়। 


পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে মঙ্গলবার রাতেই অভিযুক্ত যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এই ঘটনায় অভিযুক্তের ফাঁসির দাবি তুলেছেন নির্যাতিতার দাদা। এ বিষয়ে ডিএসপি সদর বিক্রম প্রসাদ জানিয়েছেন, অভিযোগের ভিত্তিতে এক জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পাশাপাশি পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে বলেও জানিয়েছে তিনি।


উল্লেখ্য, অগস্টের শেষের দিকেই দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় এক আদিবাসী নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছিল। সেই ঘটনার পর তৎপর হয়েছিল রাজ্যের শিশু সুরক্ষা কমিশন। রাজ্যের মন্ত্রী বিরবাহা হাঁসদাও গিয়েছিলেন নাবালিকা ও তাঁর পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে। এরই মধ্যে জেলায় আরও এক আদিবাসী তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগ। পর পর এই অভিযোগগুলি উঠে আসায় অভিযুক্তদের কঠোরতম সাজার দাবি তুলেছে আদিবাসী সেঙ্গেল অভিযানও। সংগঠনের নেতা অমল মার্ডি বলেছেন, 'আরজি করের ঘটনার পর থেকে পূর্ব বর্ধমানে এবং আমাদের জেলায় আদিবাসী মেয়েদের উপর অন্যায় হচ্ছে। এটিকে আমরা ভাল ভাবে নিচ্ছি না।'

Card image cap

লাভলি মৈত্রকে সতর্ক করল দল

আর জি কর কাণ্ডের সুবিচারের দাবিতে অবস্থান বিক্ষোভের মঞ্চ থেকে ‘বদলা’র হুমকি শোনা গিয়েছিল ‘জলনুপূর’ খ্যাত অভিনেত্রী-বিধায়ক লাভলি মৈত্রর গলায়। সিপিএম নেতা সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায়, সুজন চক্রবর্তীদের নাম উল্লেখ করে শুনিয়েছিলেন, এবার বদলা হবে। সেই হুমকির জেরে এবার সোনারপুর দক্ষিণের তৃণমূল বিধায়ককে আইনি জটে পড়তে হল। লাভলি মৈত্রের বিরুদ্ধে সোনারপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করলেন স্থানীয় সিপিএম নেতা সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায়। ভরা সভায় তাঁর নাম তুলে হুমকির অভিযোগ জানিয়েছেন সায়ন।রবিবার সোনারপুর মোড়ে আর জি কর ইস্যুতে অবস্থান বিক্ষোভ চলছিল তৃণমূল। সেখানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বলেন, ”সিপিএম নেতারা – সুজনদা, সায়ন ঘুরে বেড়াচ্ছেন কীভাবে? কারণ, বদলা হয়নি। বদল হয়েছিল। ২০১১-এ আমরা বলেছিলাম, বদল চাই। আর ২০২৪ সালে বলছি, বদলা চাই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিকে কেউ আঙুল তুললে, সেই আঙুল কীভাবে নামাতে হয়, আমরা জানি।” এই মন্তব্যকে ‘বালখিল্য’ বলে কার্যত উড়িয়ে দিয়েছিলেন বর্ষীয়ান সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী। তরুণ নেতা সায়ন অবশ্য কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েই জানিয়েছিলেন, সবার মুখ বন্ধ করা একা বিধায়কের পক্ষে সম্ভব নয়।কিন্তু সায়ন শুধু পালটা প্রতিক্রিয়া দিয়েই থেমে থাকেননি। সোমবার রাতেই তিনি গিয়ে সোনারপুর থানায় লাভলি মৈত্রর বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়েছেন। যদিও এ বিষয়ে এখনও সোনারপুর দক্ষিণের তারকা বিধায়কের কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। সূত্রের খবর, লাভলিকে এ ধরনের বিতর্কিত মন্তব্য থেকে বিরত থাকতে সতর্ক করেছে তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব।

Card image cap

‘চোর’ স্লোগানের পর সন্দীপের উপর হামলা!

‘চোর, চোর’ স্লোগানের পর আলিপুর আদালত চত্বরে সন্দীপ ঘোষের উপর হামলার চেষ্টা। আদালত থেকে বাইরে বেরনোর পর তাঁর উপরে ঝাঁপিয়ে পড়েন কয়েকজন। তবে উপস্থিত পুলিশ তাঁদের আটকে দেয়। কোনও রকমে গাড়িতে তোলা হয় সন্দীপকে।বিশৃঙ্খলা তৈরি হয় আদালত চত্বরে।আর জি কর হাসপাতালের আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগে সোমবার গ্রেপ্তার হয়েছেন প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ। মঙ্গলবার আলিপুরে বিশেষ সিবিআই আদালতে পেশ করা হয় তাঁকে। এদিন দুপুরে তাঁকে নিজাম প্যালেস থেকে বার করে আদালতে নিয়ে যাওয়ার সময় ‘চোর, চোর’ স্লোগান ওঠে। আদালতে পেশ করে নিজেদের হেফাজতে চায় সিবিআই। আদালত থেকে বের করে নিয়ে যাওয়ার সময় ভিড়ের মধ্য থেকে তাঁর উপর হামলার চেষ্টা হয়। হঠাৎ পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। কোনও রকমে তাঁকে গাড়ি তোলা হয়। বিশৃঙ্খলা তৈরি হয় আলিপুর আদালত চত্বরে। ভিড় সরিয়ে সন্দীপের গাড়ি বার করে দেয় পুলিশ।আদালতে সওয়াল জবাবের পর সন্দীপ ঘোষকে আট দিনের সিবিআই হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে আলিপুরের বিশেষ সিবিআই আদালত। তাঁকে ১০ দিনের জন্য হেফাজতে চেয়ে আর্জি জানিয়েছিল সিবিআই।আদালতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আইনজীবীরা দাবি করেন, আর্থিক দুর্নীতির মামলায় তথ্যপ্রমাণ সংগ্রহের জন্য সন্দীপকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন।  সিবিআইয়ের আরও অভিযোগ, আর্থিক দুর্নীতির একটি বড় চক্র রয়েছে। কারা এই চক্রে রয়েছে, তা খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। পালটা সন্দীপের আইনজীবীরা জানান, তাঁর মক্কেল তদন্তে সহযোগিতা করেছেন। তাই  সিবিআই হেফাজতের মেয়াদ কমানো হোক। সওয়াল জবাবের পর সন্দীপকে ৮ দিনের সিবিআই হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিশেষ আদালতের বিচারক। সঙ্গে বিপ্লব সিংহ, সুমন হাজরা এবং আফসার আলির সিবিআই হেফাজত দেওয়া হয়। 

Card image cap

কর্তৃপক্ষ চাইলে ইস্তফায় রাজি সিপি!

আর জি কর নিয়ে উত্তাল বাংলা। সুবিচার-সহ একাধিক দাবি রয়েছে আন্দোলনকারী চিকিৎসক-সহ আমজনতার। তবে বর্তমানে জুনিয়র চিকিৎসকদের অন্যতম দাবি সিপি বিনীত গোয়েলের পদত্যাগ। দীর্ঘ অবস্থান বিক্ষোভের পর সিপির কাছে এই দাবি জানিয়েছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। বৈঠক শেষে বেরিয়ে আন্দোলনকারীরা জানিয়েছেন, উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ চাইলে পদত্যাগে আপত্তি নেই বলেই জানিয়েছেন সিপি।৫ দফা দাবিতে লালবাজার অভিযানের ডাক দিয়েছিলেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। মিছিল রুথতে লৌহকপাট করে লালবাজারকে ঘিরে ফেলে পুলিশ। পরবর্তীতে রাস্তায় বসে পড়েন জুনিয়র চিকিৎসকরা। প্রায় ১৮ ঘণ্টা অবস্থানের পর মেলে পুলিশি অনুমতি। মিছিল করে বেন্টিঙ্ক স্ট্রিটে পৌঁছয় মিছিল। সেখানে রাস্তায় বসে পড়েন চিকিৎসকরা। এদিকে ২২ জন জুনিয়র ডাক্তার পৌঁছন লালবাজারে। প্রায় ১ ঘণ্টা ৪০ মিনিট কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলের সঙ্গে বৈঠক করলেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। বেরিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন তাঁরা। জুনিয়র চিকিৎসদের তরফে অনিকেত মাহাতো বলেন, “সিপির সঙ্গে কথা হয়েছে। সিপি বিনীত গোয়েলের কাছেই সিপির পদত্যাগ-সহ ৫ দফা দাবি জানিয়েছি। কেন পদত্যাগ চাইছি, সেটাও তুলে ধরা হয়েছে।” নিজেদের দাবি জানানোর পর সিপির কাছে তাঁর মতামত জানতে চান আন্দোলনকারীরা।অনিকেত আরও জানান, সিপি বিনীত গোয়েল কোনও প্রশ্নের সদুত্তর দিতে পারেননি। তবে তিনি নাকি নিজের কাজে সন্তুষ্ট। আন্দোলনকারীদের দাবি, পুলিশ কমিশনার বলেছেন তিনি সঠিকভাবে নিজের দায়িত্ব পালন করেছেন। তবে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের যদি মনে হয় তিনি দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ তাহলে তিনি সরে যেতে রাজি। প্রসঙ্গত, লালবাজার থেকে বেরিয়ে বেন্টিঙ্ক স্ট্রিটে আন্দোলনকারীদের গোটা বিষয়টা জানান প্রতিনিধি দলের সদস্যরা। এবার অবস্থান তুলে নিচ্ছেন তাঁরা। তবে কর্মবিরতি জারি থাকবে।

Card image cap

পুলিশ-বিজেপি কর্মীদের সংঘর্ষে উত্তপ্ত কোচবিহার

আর জি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে বিজেপির জেলাশাসকদের দপ্তর ঘেরাও অভিযানে ধুন্ধুমার। কোচবিহারে পুলিশ ও বিজেপি কর্মীদের খণ্ডযুদ্ধ। লাঠিচার্জ করে পুলিশ। ছোড়া হয় কাঁদানে গ্যাস। গ্রেপ্তার হলেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক।আর জি কর কাণ্ডে উত্তাল বাংলা। নিজেদের মতো করে আন্দোলনে শামিল রাজনৈতিক ও অরাজনৈতিক সংগঠনগুলি। তরুণী চিকিৎসকের হত্যার বিচারের দাবিতে সোমবার রাজ্যজুড়ে জেলাশাসকের দপ্তর ঘেরাওয়ের ডাক দিয়েছিল বিজেপি। কোচবিহারের প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের নেতৃত্বে মিছিল এগোচ্ছিল জেলাশাসকের দপ্তরের দিকে। মাঝপথে সেই মিছিল আটকায় পুলিশ। ব্যারিকেড ভেঙে এগোনোর চেষ্টা করে বিজেপি কর্মীরা। এক পর্যায়ে পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন নিশীথ প্রামাণিক।ক্রমশ উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। রীতিমতো ধাক্কাধাক্কা শুরু হয়। পরিস্থিতি আয়ত্তে আনতে লাঠিচার্জ করে পুলিশ। এর পর পালটা ইটবৃষ্টি শুরু করে বিজেপির নেতা-কর্মীরা। পরবর্তীতে কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে পুলিশ। সব মিলিয়ে উত্তাল হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। গ্রেপ্তার করা হয় নিশীথ প্রামাণিক-সহ বেশ কয়েকজনকে। উল্লেখ্য, এছাড়াও এই কর্মসূচি ঘিরে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অশান্তির খবর প্রকাশ্যে এসেছে। ধস্তাধস্তিতে জড়িয়েছে পুলিশ ও বিজেপি।

Card image cap

মনীষা-লক্ষ্মীদের যাতনাই মমতার বিলের অনুপ্রেরণা?

লড়াইয়ের পথে দেখিয়েছিলেন মনীষা পৈলান, লক্ষ্মী আগরওয়ালরা। অ্যাসিড হামলায় মুখ পুড়ে গেলেও মন পোড়েনি তাঁদের। বরং নতুন শক্তি নিয়ে উঠে দাঁড়িয়েছিলেন অপরাধীদের শাস্তি দিতে। দীর্ঘ আইনি যুদ্ধ করেছেন তাঁরা। তথাকথিত রূপের ঝলক নয়, দগ্ধ মুখের সাহসী ‘সৌন্দর্য’ নিয়েই এসে দাঁড়িয়েছেন জনসমক্ষে। শাস্তিও পেয়েছে মনীষা পৈলান কিংবা লক্ষ্মী আগরওয়ালদের উপর অ্যাসিড হামলাকারীরা। তাঁদের দীর্ঘ যন্ত্রণার কথা মাথায় রেখেই নতুন ‘অপরাজিতা’ বিলে অপরাধীদের জন্য কড়া শাস্তির বিধান দেওয়া হয়েছে। দোষী সাব্যস্ত হলে আজীবন কারাবাস, সেইসঙ্গে জরিমানার প্রস্তাব রয়েছে ‘অপরাজিতা নারী ও শিশু বিলে’ (পশ্চিমবঙ্গ ফৌজদারি আইন সংশোধনী বিল, ২০২৪)।ভারতীয় ন্যায় সংহিতা অনুযায়ী, অ্যাসিড হামলার মতো অপরাধের ন্যূনতম সাজা ১০ বছরের কারাবাস আর সর্বোচ্চ শাস্তি যাবজ্জীবন কারাবাস ও জরিমানা। এবার নারীদের উপর সংগঠিত অপরাধ রুখতে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের প্রস্তাবিত ‘অপরাজিতা নারী ও শিশু বিলে’ অ্যাসিড হামলার সাজা হিসেবে আজীবন কারাদণ্ডের বিধান দেওয়া হয়েছে। মামলাটি জামিন অযোগ্য। দোষী সাব্যস্ত হলে অ্যাসিড হামলায় যতদিন বাঁচবে, ততদিনই তাদের থাকতে হবে জেলে।আর জি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ-খুনের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্য সরকার ধর্ষণে আরও কড়া আইনের বিধান আনছে। পেশ হতে চলেছে ‘অপরাজিতা নারী ও শিশু বিল’। সোমবার সেই বিলের খসড়া দেওয়া হয়েছে বিধায়কদের হাতে। তাতে শুধু ধর্ষণ বিরোধীই নয়, মহিলাদের উপর ঘটে চলা নানা সংঘটিত অপরাধ রুখতেই কড়া শাস্তির বিধান দেওয়া হয়েছে। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য অ্যাসিড হামলা। এধরনের ঘটনা দোষী সাব্যস্ত হলে তেমন দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হতো না এতদিন। নির্দিষ্ট সময় পর জেল থেকে ছাড়া পেত অপরাধী। কিন্তু এবার আজীবন কারাবাসেই রাখার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের প্রস্তাবিত নয়া আইনে।

Card image cap

প্ল্যানচেটে আর জি করের তরুণীর সঙ্গে কথা!

আরজিকরে ধর্ষিতা তরুণী চিকিৎসককে নিয়ে চলছে সিবিআই তদন্ত। সমান্তরাল ভাবে চলছে চলছে ইয়ারকি, ফাজলামি, রঙ্গ-উপহাস। সামাজিক মাধ‌্যমে হরেক ‘রিল’, মিথ্যে খবর তো আছেই। তালিকায় নয়া সংযোজন মৃত তরুণী চিকিৎসকের আত্মাকে হাজির করিয়ে সাক্ষাৎকার! সম্প্রতি এমনই একটি ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, ‘প্ল‌্যানচেট’ করে নিহত তরুণীর আত্মাকে ডেকে এনেছেন এক ইউটিউবার। মাত্র তিনদিনে ন’লক্ষের কাছাকাছি মানুষ দেখে ফেলেছেন সে ভিডিও। ইউটিউবারের দাবি, ‘‘আরজিকর মেডিক‌্যাল কলেজেই রয়েছে নিহত তরুণী চিকিৎসকের আত্মা। তিনি আমায় বলছেন, ওই রাতে কী হয়েছিল।’’ এই ধরণের ভিডিওতে চূড়ান্ত আপত্তি প্রকাশ করেছে ভারতীয় বিজ্ঞান ও যুক্তিবাদী সমিতি। সমিতির সভাপতি দিলীপ দাস মণ্ডল, কার্যকরি সভাপতি দিনেশ সাহা, সাধারণ সম্পাদক মনীশ রায়চৌধুরী একযোগে জানিয়েছেন, যদি সত্যিই কেউ আত্মা হাজির করাতে পারেন তাহলে এত তদন্তের কি প্রয়োজন? সেই তো সব বলে দেবে। আত্মার সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপনের প্রমাণ দিলে ৫০ লক্ষ টাকা দেওয়ার কথাও ঘোষণা করা হয়!ভারতীয় বিজ্ঞান ও যুক্তিবাদী সমিতির পক্ষ থেকে ইস্তেহার প্রকাশ করে বলা হয়েছে, ‘‘সম্প্রতি আরজিকর মেডিক‌্যাল কলেজে ঘটে যাওয়া চিকিৎসক ধর্ষণ ও খুনের মতো মর্মস্পর্শী একটি ঘটনা নিয়ে ইয়ারকি চলতে দেওয়া যায় না। সমাজে এমন অনেক স্বঘোষিত বাবাজি, মাতাজি, পীর, ফকির আছে যারা নিজেদের অলৌকিক, দৈব ক্ষমতার অধিকারী বলে দাবি করে থাকে। অনেকেই আছেন যারা প‌্যারানরমাল ইনভেস্টিগেটর বলে নিজেকে দাবি করে ইএমএফ ডিটেক্টর, থার্মাল স্ক‌্যানার, ইকোভক্স নিয়ে প্রেতাত্মার সন্ধানে ঘুরে বেরান।’’ এহেন ইউটিউবারদের দাবি, প্ল‌্যানচেট করে এরা মৃত মানুষদের আত্মার সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করেন। যাঁরা এই দাবি করেন তাদের জন‌্য ভারতীয় বিজ্ঞান ও যুক্তিবাদী সমিতি ৫০ লক্ষ টাকার চ‌্যালেঞ্জ দিয়েছে। কি সেই চ‌্যালেঞ্জ?আর জি করের ঘটনাটি এই মুহূর্তে তদন্তাধীন। সেই রাতে কি হয়েছিল তার উত্তর খুঁজছে সিবিআই। বিজ্ঞান ও যুক্তিবাদী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মনীশ রায় চৌধুরীর কথায়, মোবাইলে ভিডিও করে কি লাভ? যদি সত্যিই কেউ তরুণীর আত্মাকে হাজির করতে পারেন তাহলে তো অনেক সমস‌্যার সমাধান হবে। যাঁরা ইউটিউব ভিডিওতে আরজিকর মেডিক‌্যাল কলেজের নিহত চিকিৎসকের আত্মাকে আনার দাবি করছেন, তারা সামনে আসুন। আমাদের সমিতির সদস‌্যদের উপস্থিতিতে তথাকথিত প্রযুক্তির মাধ‌্যমে চিকিৎসকের আত্মার সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করুন। প্রকাশ করুন খুনিদের নাম। যুক্তিবাদী সমিতির কথায়, যদি সত্যিই তারা এমনটা করতে পারেন তাহলে ৫০ লক্ষ টাকা দেওয়া হবে। আর যদি না পারেন? সমিতির যুক্তি, ‘‘তাহলে প্রমাণ হবে তারা নির্লজ্জ প্রতারক। স্রেফ ভিউ বাড়ানোর জন‌্য লোক ঠকাচ্ছেন।’

Card image cap

লালবাজার অভিযানে ডাক্তাররা

তিলোত্তমা ধর্ষণ-খুনের প্রতিবাদে সোমবার লালবাজার অভিযানে জুনিয়র ডাক্তাররা। কলেজ স্কোয়ার থেকে লালবাজারের দিকে এগিয়ে যায় তাঁদের। আরজি করকাণ্ডের তদন্তে পুলিশি ব্যর্থতার অভিযোগ জুনিয়র চিকিৎসকদের মুখে। এদিকে মিছিল আটকাতে তৈরি লালবাজারও। ফিয়ার্স লেনে তৈরি হয়েছে ব্যারিকেড। শিকলে তালা বেঁধে তৈরি হয়েছে ব্যারিকেড। ডিএ আন্দোলনকারীদের যৌথ সংগ্রামী মঞ্চও যোগ দিয়েছে এই মিছিলে।চিকিৎসকদের প্রতিবাদ মিছিল। প্রতিবাদে দেখা যাচ্ছে অভিনবত্বও। হাতে প্রতীকী শিরদাঁড়া নিয়ে হাঁটছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। হাতে রয়েছে গোলাপ ফুলও, রয়েছে পোস্টার। মিছিল থেকে কলকাতার নগরপাল বিনীত গোয়েলের পদত্যাগের দাবি উঠেছে।এই মিছিলের জেরে কার্যত স্তব্ধ বিবি গাঙ্গুলি স্ট্রিট। বউবাজারে বজ্র আঁটুনি। মিছিল রুখতে লাঠি-ঢাল হাতে পুলিশ। ফিয়ার্স লেনে ৯ ফুটের ব্যারিকেড। লালবাজার কার্যত দুর্গের রূপ নিয়েছে।
আন্দোলনকারীদের বক্তব্য, “শুরু থেকেই আমরা পুলিশের নিষ্ক্রিয়তা দেখেছি। ঘটনাক্রম দেখলেও বোঝা যাবে, পুলিশি কার্যকলাপে বহু গরমিল রয়েছে। রাজ্যই সুপ্রিম কোর্টে সেই ঘটনাক্রম দিয়েছে। ১৪ তারিখ রাতেও আরজি করে যে ভাঙচুর হয়েছে, সেখানেও পুলিশি নিষ্ক্রিয়তা ছিল। তিলোত্তমার পরিবারের প্রতিও পুলিশের ব্য়বহার ঠিক ছিল না।” প্রতিবাদে গোলাপ কেন? আন্দোলনকারীদের দাবি, ভুল ভাঙানোর জন্য। তাঁরা বলছেন, কর্তৃপক্ষ আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের দুষ্কৃতী বা বহিরাগত ভাবছে। তাদের এই ভুল ভাঙাতেই হাতে গোলাপ।
অন্যদিকে আজ বিজেপির জেলাশাসক দফতর ঘেরাও কর্মসূচি চলছে। জেলায় জেলায় এই কর্মসূচি ঘিরে উত্তেজনা ছড়িয়েছে। রায়গঞ্জের কর্ণজোড়া, কোচবিহার, বীরভূম থেকে অশান্তির খবর এসেছে।

Card image cap

১০,০০০ টাকা সোজা ব্যাংক অ্যাকাউন্টে দেবে সরকার

শিক্ষক দিবসে সোনায় সোহাগা রাজ্যের শিক্ষার্থীদের জন্য। পশ্চিমবঙ্গ সরকার সম্প্রতি রাজ্য জুড়ে শিক্ষার্থীদের সরাসরি আর্থিক সহায়তা প্রদানের জন্য একটি নতুন উদ্যোগ ঘোষণা করেছে। এই নতুন স্কিমের অধীনে, যোগ্য শিক্ষার্থীরা তাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সরাসরি ১০,০০০ টাকা পাবে।


বিভিন্ন জন-ভিত্তিক প্রকল্পের মাধ্যমে নাগরিকদের সমর্থন করার জন্য রাষ্ট্রের একটি বৃহত্তর প্রচেষ্টার অংশ এটি।


পশ্চিমবঙ্গে শিশু থেকে বয়স্কদের জন্য বিভিন্ন কার্যকরী পরিকল্পনা বাস্তবায়নের ইতিহাস আগে থেকেই রয়েছে। এই উল্লেখযোগ্য কিছু প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে লক্ষীর ভান্ডার, স্বাস্থ্য সাথী, খাদ্য সাথী, যুবশ্রী, রূপশ্রী, কন্যাশ্রী, সবুজ সাথী এবং তরুণের স্বপ্ন প্রকল্প।


এই প্রোগ্রামগুলির প্রত্যেকটি বিভিন্ন উপায়ে বাসিন্দাদের জীবনযাত্রার মান উন্নত করার লক্ষ্য রাখে। উদাহরণস্বরূপ, লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পে, সাধারণ এবং ওবিসি সুবিধাভোগীদের জন্য আর্থিক সহায়তা 500 থেকে 1000 টাকা এবং অন্যান্য সংরক্ষিত বিভাগের জন্য 1000 থেকে 1200 টাকা পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে।


এবার শিক্ষার্থীদের জন্য আর্থিক সহায়তার নতুন উদ্যোগটি যথেষ্ট প্রভাব ফেলবে বলে আশা করা হচ্ছে, কারণ এটি পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থীকে উপকৃত করবে। এই 10,000 টাকার অনুদানটি কীভাবে পাওয়া যায়, সে সম্পর্কে বিশদ বিবরণ জানতে, সরকারি বা স্থানীয় শিক্ষা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন।


5 সেপ্টেম্বর থেকে 10,000 টাকা ঢুকতে শুরু করবে


পশ্চিমবঙ্গ সরকারের নতুন উদ্যোগ, তরুণের স্বপ্ন প্রকল্প নামে পরিচিত, এর লক্ষ্য শিক্ষা ব্যবস্থাকে ডিজিটাল প্রযুক্তির সঙ্গে সংযুক্ত করা। এই উদ্যোগটি অনলাইন শিক্ষার ক্রমবর্ধমান প্রয়োজনীয়তার দিকে তাকিয়ে নেওয়া হয়েছে। তাই যে সমস্ত পড়ুয়ারা এর জন্য আবেদন করেছে, তাঁদের সবাই 5 সেপ্টেম্বর থেকেই টাকা পেতে শুরু করবে।


মনে রাখবেন, এই প্রকল্পের অধীনে, একাদশ এবং দ্বাদশ শ্রেণীর আনুমানিক 16 লক্ষ শিক্ষার্থী প্রত্যেকে 10,000 টাকার আর্থিক সহায়তা থেকে উপকৃত হবে, যা সরাসরি তাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে জমা করা হবে। এই আর্থিক সহায়তা শিক্ষার্থীদের শেখার অভিজ্ঞতা বাড়ানোর জন্য, প্রয়োজনীয় ডিজিটাল সরঞ্জাম অর্থাৎ মোবাইল বা ট্যাব কেনার জন্য দেওয়া হচ্ছে।


Card image cap

নয়া ইতিহাস বিশ্বভারতীর!

নয়া ইতিহাস বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে। এই প্রথম ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য হিসেবে দায়িত্বভার নিলেন আদিবাসী সম্প্রদায়ের বিনয়কুমার সোরেন। শনিবার শিক্ষা মন্ত্রকের নির্দেশে বিশ্বভারতী সংবিধানের ৩(৬) ধারা অনুযায়ী বরিষ্ঠ অধ্যাপক ও কর্মসমিতির সম্মানীয় সদস্য তথা পল্লি সংগঠন বিভাগের অধ্যক্ষ বিনয় কুমার সোরেন উপাচার্যের দায়িত্ব পেলেন। তবে কবে মিলবে স্থায়ী উপাচার্য? বিনয়কুমার সোরেনের নিয়োগে এই প্রশ্ন আরও জোরালো হয়ে উঠল। যদিও সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে বিশ্বভারতীর উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা কেন্দ্রের মুখাপেক্ষী।গত বছর ৮ নভেম্বর বিশ্বভারতীর  স্থায়ী উপাচার্য হিসাবে বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর মেয়াদ শেষ হয়। এর পর ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব নেন কলাভবনের অধ্যক্ষ সঞ্জয়কুমার মল্লিক। চলতি বছরের ২৫ মে কর্মসমিতির পদের মেয়াদ শেষ হওয়ার ফলে নিয়ম অনুসারে উপাচার্যের পদ থেকে অবসর নেন তিনি। পরে ২৯ মে ভারপ্রাপ্ত উপাচার্যের দায়িত্ব নেন পল্লি সংগঠন বিভাগের অধ্যক্ষ অরবিন্দ মণ্ডল। তাঁরও কর্মসমিতির সদস্যের মেয়াদ শেষ হয়েছে। তাই সেই পদে এবার আনা হল বিনয়কুমার সোরেন। যতক্ষণ না কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রক স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগ না হয় কর্মসমিতির বর্ষীয়ান সদস্যই উপাচার্যের ভার সামলাবেন বলেই জানা যায়।ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য বিনয়কুমার সোরেন জানান, “দায়িত্বভার নেওয়া আমার কাছে গর্বের। কারণ যে প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা স্বয়ং গুরুদেব রবীন্দ্রনাথ। কিছুটা হলেও আবেগতাড়িত। দীর্ঘদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব সামলেছি। আদিবাসী সমাজের কাছেও অত্যন্ত আনন্দের। ভারপ্রাপ্ত উপাচার্যের যা দায়বদ্ধতা কার্যক্ষমতা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বার্থে স্থায়ী উপাচার্য না আসা পর্যন্ত দায়িত্বভার পালন করব। তবে অবশ্যই ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্য স্বীকৃতির কথা মাথায় রেখেই আশ্রমিক পরিবেশকে শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রেখেই পঠন পাঠনে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হবে। বিশ্বভারতী সকলের, এর গরিমা সকলকেই রক্ষা করতে হবে।”বিশ্বভারতীর কর্মী সমাজের সুব্রত মণ্ডল ও ভ্রমর ভাণ্ডারী জানান, “ভারপ্রাপ্ত উপাচার্যকে স্বাগত জানাচ্ছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে আমরা সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেব।” অধ্যাপক সংগঠনের সম্পাদক কৌশিক ভট্টাচার্যর প্রতিক্রিয়া, “অধ্যাপক বিনয়কুমার সোরেনকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্যের দায়িত্ব গ্রহণ করার জন্য অভিনন্দন। তাঁর মেয়াদকালে আন্তরিকভাবে সহযোগিতা করব।” জানা গিয়েছে, বিশ্বভারতীতে আচার্যের মেয়াদও শেষ হয়েছে। গত ১১ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারক কমিটিতে আচার্য হিসেবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নাম পুনরায় সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়। কিন্তু সময় গড়িয়ে গেলেও আচার্য হিসাবে প্রধানমন্ত্রী নামে এখনও চূড়ান্ত অনুমোদন করেননি রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু।

Card image cap

গুরুতর অসুস্থ সন্দীপ ‘ঘনিষ্ঠ’ দেবাশিস

আর জি কর কাণ্ডে একটানা সিবিআই জিজ্ঞাসাবাদ। তার পরই গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি হাসপাতালের সন্দীপ ঘোষ ‘ঘনিষ্ঠ’ ফরেনসিক ডেমনস্ট্রেটর দেবাশিস সোম। কী হয়েছে তাঁর? কেমন আছেন সিবিআই স্ক্যানারে থাকা এই চিকিৎসক?পরিবার সূত্রে খবর, শনিবার রাতে দেবাশিসবাবুর রক্তে শর্করার মাত্রা আচমকাই কমতে থাকে। পরিস্থিতি এতোটাই খারাপ হয় যে তাঁকে তড়িঘড়ি বাইপাসের ধারের হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়। সেখানে আইসিইউতে রেখে বাইপ্যাপ দেওয়া হচ্ছে সন্দীপ ঘোষ ‘ঘনিষ্ঠ’ চিকিৎসককে। 
প্রসঙ্গত, আর জি কর হাসপাতালে চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার পর থেকেই নজরে প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ ভুরিভুরি। ইতিমধ্যেই তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগে কলকাতা হাই কোর্টে মামলা করেন প্রাক্তন সুপার আখতার আলি। ওই মামলায় নাম ছিল হাসপাতালের ফরেনসিক ডেমনস্ট্রেটর দেবাশিস সোম। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগের অন্ত নেই আখতার আলির। তাঁর দাবি, সন্দীপের ‘ঘনিষ্ঠ’ হওয়ায় দেবাশিসও সমানভাবে আর্থিক দুর্নীতি কাণ্ডে যুক্ত। গত রবিবার তাঁর কেষ্টপুরের বাড়িতে প্রায় টানা ৮ ঘণ্টা তল্লাশি চালান সিবিআই আধিকারিকরা। এর পর বিকেল চারটে নাগাদ নথিপত্র নিয়ে নিজের গাড়ি চড়ে সস্ত্রীকে দেবাশিস পৌঁছন নিজাম প্যালেসে। সেখানে প্রায় ঘণ্টা চারেক তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এর পর আবারও সোমবার সকাল ১০টা নাগাদ নিজাম প্যালেসে পৌঁছন দেবাশিস। এর মধ্যেই গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লেন তিনি।