CATEGORY state:

Card image cap

গুলি করে খুন ব্যবসায়ীকে, চাঞ্চল্য নিউটাউনে

শনিবার রাতে নিউটাউনে খুন এক ব্যবসায়ী। পয়েন্ট ব্ল্যাক রেঞ্জ থেকে গুলি চালিয়ে পালিয়ে যায় দুই দুষ্কৃতী। আহত ব্যক্তিকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। ঘটনাস্থল ঘিরে রেখে তদন্তে নেমেছে নিকো পার্ক থানার পুলিশ। ঘটনায় এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য।পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত ব্যক্তির নাম নাসিরউদ্দিন খান। তিনি ভাঙড়ের বাসিন্দা। তিনি ইটের ব্যবসা করতেন। রাতে ওই ব্যবসায়ী নিউটাউন রামমন্দির আইল্যান্ডের কাছে চায়ের দোকানে বসেছিলেন। সেই সময় বাইকে করে এসে দুই দুষ্কৃতি গুলি চালিয়ে পালিয়ে যায়।গুলির শব্দ শুনে ছুটে আসেন স্থানীয়রা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় ইকোপার্ক থানার পুলিশ। তাঁকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই চিকিৎসা চলাকালীন মৃত্য়ু হয় তাঁর।স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, “চায়ের দোকানে এক ভদ্রলোক বসেছিলেন। বাইকে করে দুইজন গুলি চালিয়ে পালিয়ে যায়। পুলিশ এসে তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। এখানে সব সময় লোক থাকে। কেন এমন হল কিছু বোঝা যাচ্ছে না।”
কী কারণে খুন? ব্যবসার কারণে কারও সঙ্গে শত্রুতা ছিল কিনা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ দেখছেন তদন্তকারীরা। ঘটনায় মৃত ব্যক্তির এক ব্যবসায়ী বন্ধুকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ধৃত ব্যক্তির নাম কাজী রফিকুল ইসলাম ওরফে পরাগ। তিনি হাড়োয়ার বাসিন্দা। তবে তাকে ফাঁসানো হচ্ছে বলে দাবি করেছেন তিনি। 
ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।  শনিবার রাতে সামাজিক মাধ্যমে তিনি লেখেন, ‘ এটা পশ্চিমবঙ্গ নাকি মিনি পাকিস্তান! নিউটাউনে এক ব্যক্তিকে গুলি করে খুন করা হয়েছে। পুলিশ এখনও কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।’

Card image cap

বুধে মানববন্ধনের ডাক জুনিয়র চিকিৎসকদের

আর জি কর কাণ্ডে তোলপাড় তিলোত্তমা। এখনও বিচারের দাবিতে পথে নেমে চলছে প্রতিবাদ। এবার লালবাজার অভিযানের ডাক দিলেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। বুধবার মানববন্ধনের ডাক দিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ জুনিয়র ডাক্তার ফ্রন্ট। ঘরের আলো নিভিয়ে মোমবাতি জ্বালিয়ে মানববন্ধনের ডাক দেওয়া হয়েছে।সোমবার দুপুর ২টোয় কলেজ স্কোয়ার থেকে মিছিল শুরু করবেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। সেখান থেকে লালবাজারে যাবেন তাঁরা। জুনিয়র চিকিৎসকরা আগামী বুধবার রাত ৯টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত সকলকে ঘরের আলো নিভিয়ে রাখার অনুরোধ করেছেন। ওই সময়ে মানববন্ধন করবেন তাঁরা।উল্লেখ্য, গত ৮ আগস্ট, নাইট শিফট ছিল তরুণী চিকিৎসকের। গত ৯ আগস্ট আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সেমিনার হলে তাঁর দেহ উদ্ধার হয়। অভিযোগ, চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। এই ঘটনার পর থেকেই কর্মবিরতির ডাক দিয়েছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। এখনও হাসপাতালের আউটডোরে কাজে যোগ দেননি তাঁরা। একাধিকবার সুপ্রিম কোর্ট তাঁদের কাজে ফেরার আর্জি জানিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও তাঁদের কাজে ফেরার কথা বলেছেন। তবে সমস্ত দাবিপূরণ না হওয়া পর্যন্ত নিজেদের অবস্থানে অনড় জুনিয়র চিকিৎসকরা।তবে টেলি মেডিসিন পরিষেবা চালু করেছেন তাঁরা। এছাড়া রবিবার কলকাতার মেডিক্যাল কলেজ, আর জি কর, ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ-সহ একাধিক মেডিক্যাল কলেজের জুনিয়র ডাক্তাররা অস্থায়ী ক্যাম্প চালু করেন। নাম দেওয়া হয়,’অভয়া ক্লিনিক’। কুমোরটুলি, এসপ্ল্যানেড ক্রসিং, রানুছায়া মঞ্চ, ন্যাশনাল মেডিক্যালের ২ নম্বর গেট, এন আর এস মেডিক্যালের ১ নম্বর গেটে ক্যাম্প করা হয়। এছাড়া কেপিসি মেডিক্যাল কলেজের পড়ুয়ারা রোগী দেখেন যাদবপুরের এইট বি বাসস্ট্যান্ডে। ই এস আই হাসপাতাল থেকে বেহালায় ক্যাম্প করা হয়। সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টো পর্যন্ত চলে রোগী দেখা। প্রেসক্রিপশনে লেখা হয়, ‘আর জি করের বিচার চাই, অপরাধচক্রের বিনাশ চাই।’

Card image cap

এশিয়ার প্রথম মহিলা সাঁতারু হিসাবে পঞ্চম সিন্ধু জয় বঙ্গতনয়ার

প্রায় ৩৫ কিলোমিটার জলপথ। জলের তীব্র স্রোত। সপ্ত চ্যানেলের মধ্যে সবচেয়ে শীতলতম চ্যানেল। প্রতিপদে জেলিফিশ ও অন্যান্য সামুদ্রিক প্রাণীর বাধা। সাঁতরে পার করতে সময় লাগে ১৩ ঘণ্টা ২২ মিনিট। পরিস্থিতি এমনও দাঁড়ায় তিন ঘণ্টায় মাত্র ১ কিলোমিটার পথই মাত্র এগনো গিয়েছে। কখনও কখনও মনে হয়েছে, আর হল না। তবু দাঁতে দাঁত কামড়ে পড়ে থাকা। আর তারই ফলশ্রুতি, এশিয়ার প্রথম সাঁতারু হিসাবে পঞ্চম চ্যানেল জয়। ইতিহাস গড়লেন বঙ্গতনয়া সায়নী দাস। সঙ্গে প্রথম ভারতীয় মহিলা হিসাবে নর্থ চ্যানেল জয়ের রেকর্ডও গড়লেন তিনি।উত্তর আয়ারল্যান্ড ও স্কটল্যান্ডের মাঝামাঝি অবস্থিত শীতলতম চ্যানেল নর্থ চ্যানেল। চলতি বছরের এপ্রিল মাসেই নিউজিল্যান্ডের কুক স্ট্রেইট চ্যানেল জয় করার পরই এই চ্যানেল জয়ের লক্ষ্যে ঝাঁপান সায়নী। ব্রিটেনের সময় অনুযায়ী ৩০ তারিখ সকাল ৭:৪৫ মিনিটে জলে নামেন তিনি। ভারতীয় সময় শনিবার ভোর ৩টে নাগাদ নর্থ চ্যানেল জয় করেন কালনার মেয়ে। এই জয়ের পরই তাঁকে শুভেচ্ছা জানিয়ে সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করেছে নর্থ চ্যানেল সুইমিং অ্যাসোসিয়েশন। কতটা কঠিন ছিল নর্থ চ্যানেল জয়? সায়নীর বাবা সংবাদ প্রতিদিনের প্রতিনিধিকে জানিয়েছেন, ”এই চ্যানেল জয়ের ক্ষেত্রে ব্যাপক প্রতিকূলতার মধ্যে পড়তে হয়েছে ওকে। আগের চারটি চ্যানেলের ক্ষেত্রে এই সমস্যায় পড়তে হয়নি। এমন সময়ও আসে যখন ওকে এক জায়গায় দীর্ঘক্ষণ ভেসে থাকতে হয়েছে। এখন ও খুব ক্লান্ত। জেলিফিশ খুব সমস্যা তৈরি করছিল। এক সময় মনে হচ্ছিল হাল ছেড়ে দেবে। তবে আগের অভিজ্ঞতাগুলো কাজে লাগিয়েই এই জয় এসেছে।’  এদিকে এই জয়ের পরই দানা বাঁধতে শুরু করেছে নতুন স্বপ্নও। সায়নীর সামনে যে বাকি আর মাত্র দুটি চ্যানেল। সুগারু ও জিব্রাল্টার প্রণালী জয় করতে পারলেই তার মুকুটে উঠবে ‘ওশেন সেভেন’ মুকুট। আপাতত সেই স্বপ্নেই বুদ বঙ্গতনয়া।

Card image cap

নিম্নচাপ ও ঘূর্ণিঝড় ‘আসনা’র জোড়া ফলা!

বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ ও আবর সাগরে তৈরি হয়েছে ঘূর্ণিঝড় ‘আসনা’। যার ফলে উত্তাল থাকবে সমুদ্র। তবে বাংলায় বৃষ্টির প্রভাব কতটা? আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, এই জোড়া ফলার বিশেষ প্রভাব পড়বে না বাংলায়। তবে রবিবার পর্যন্ত মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। সমুদ্রে ৫০ থেকে ৬০ কিলোমিটার গতিবেগে দমকা ঝোড়ো হাওয়া বইবে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস।ঘূর্ণিঝড় ও নিম্নচাপের বিশেষ প্রভাব না পরলেও আজ শনিবার দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা বৃষ্টি দু-এক পশলা চলবে। বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা বেশি থাকবে উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব-পশ্চিম মেদিনীপুর এবং ঝাড়গ্রামে।উত্তরবঙ্গেও হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। শনিবার বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা বেশি থাকবে দার্জিলিং,কালিম্পং, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহারে । কালিম্পং জেলার পার্বত্য এলাকায় দু-এক পশলা ভারী বৃষ্টি হতে পারে।এদিকে, কলকাতায় আগামী কয়েকদিন ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। চড়া রোদ ও সঙ্গে আর্দ্রতা জনিত অস্বস্তি বাড়বে। শনিবার আকাশ পরিষ্কার থাকবে। বেলার দিকে আংশিক মেঘলা আকাশ হতে পারে। দু এক পশলা হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।ভারী বৃষ্টির কোনো সম্ভাবনা নেই আগামী কয়েক দিন। চড়া রোদ ও সঙ্গে আর্দ্রতা জনিত অস্বস্তি বাড়বে। আজ রোদ ঝলমলে পরিষ্কার আকাশ। পরে কখনও আংশিক মেঘলা আকাশ হতে পারে। দু এক পশলা হালকা বৃষ্টির সামান্য সম্ভাবনা।
এদিকে আসনা ঘূর্ণিঝড়ের বিশেষ প্রভাব পড়বে না ভারতে বলেই জানিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর। এই ঘূর্ণিঝড়ের অভিমুখ ওমানের দিকে। সৌরাষ্ট্র ও কচ্ছ থেকে এই ঘূর্ণিঝড় প্রথমে পশ্চিম উত্তর-পশ্চিম দিকে। তার পর পশ্চিম ও দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে যাবে।

Card image cap

ডিএনএ রিপোর্টেও অভিযুক্ত একা সঞ্জয়ই!

আর জি কর কাণ্ডে মূল অভিযুক্তর সংখ্যা কি এক? হাসপাতালে মহিলা চিকিৎসক ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় ডিএনএ পরীক্ষার সূত্র ধরে সে রকম ইঙ্গিত মিলেছে বলে সূত্রের খবর। যদিও এই ব্যাপারে সিবিআই মুখ খোলেনি। এই রিপোর্ট চূড়ান্ত কি না, সিবিআইয়ের পক্ষে এমনও কিছু জানানো হয়নি। তবে সিবিআইয়ের একটি সূত্রের দাবি, ডিএনএ রিপোর্টে একজনের কথা উল্লেখ করা থাকলে, তার অর্থ ধর্ষণের অভিযুক্ত একজন।ইতিমধ্যেই মূল অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়কে প্রথমে কলকাতা পুলিশ ও পরের সিবিআই গ্রেপ্তার করে। ফলে, ডিএনএ রিপোর্টের ভিত্তিতে সঞ্জয় রায় একাই ধর্ষণের অভিযুক্ত হতে পারে। কিন্তু খুন ওই অভিযুক্ত একাই করেছিল কি না, তা এখনও তদন্ত সাপেক্ষ। ডিএনএ পরীক্ষার ফল দেখে এই অপরাধের মোটিভ সহজে বোঝাও সম্ভব নয়। এমনকী, এই অপরাধ, অপরাধের পিছনে থাকা কোনও ষড়যন্ত্রে আরও ব্যক্তি জড়িত কি না, সিবিআই এখনও তার তদন্ত চালাচ্ছে। এই ব্যাপারে নিশ্চিত হতে মূল অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়, আরজিকর হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ-সহ এখনও পর্যন্ত সিবিআই মোট নজনকে লাই ডিটেক্টর যন্ত্রের সামনে বসিয়ে পলিগ্রাফ পরীক্ষা করিয়েছে। টানা জেরা ও পলিগ্রাফ পরীক্ষায়ও বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উঠে এসেছে বলে সিবিআইয়ের দাবি।সূত্রের খবর অনুযায়ী, গত ৯ আগস্ট সকালে আর জি কর হাসপাতালে সেমিনার হলে তরুণী চিকিৎসকের দেহ উদ্ধারের পর ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা ঘটনাস্থলে যান। যেহেতু প্রথমে তদন্তের ভার ছিল কলকাতা পুলিশের উপর, তাই কলকাতা পুলিশের আধিকারিকরাই নির্যাতিতার দেহের নখ থেকে টিস্যু, দেহাংশ থেকে শুক্রাণু ও আরও কিছু নমুনা সংগ্রহ করেন। এমনকী, চতুর্থ ব্যাটালিয়নের বারাক থেকে অভিযুক্ত সঞ্জয় রায় গ্রেপ্তার হওয়ার পর তার জামা ও জুতো থেকেও কিছু নমুনা সংগ্রহ করা হয়। সেগুলি ফরেনসিক বিশেষজ্ঞদের কাছে পাঠানোর আগেই আদালতে নির্দেশে তদন্ত শুরু করে সিবিআই। তখন কলকাতা পুলিশের পক্ষ থেকে যাবতীয় নমুনা সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেওয়া হয়। সিবিআই আধিকারিকরা ওই নমুনাগুলো কেন্দ্রীয় ফরেনসিক ল্যাবরেটরিতে পাঠান বলে জানা গিয়েছে। সিবিআইয়ের সূত্র জানিয়েছে, কেন্দ্রীয় ফরেনসিকের ডিএনএ রিপোর্ট এজেন্সির কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ফলে ওই রিপোর্টের ভিত্তিতেই প্রশ্ন উঠেছে ধর্ষণকারী কি একজনই? কারণ সেই ক্ষেত্রে আর জি করে গণধর্ষণ না হয়ে থাকলেও ষড়যন্ত্রে জড়িয়ে থাকতে পারে আরও অনেকে। সেই বিষয়গুলির উপর গুরুত্ব দিয়েই টানা তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছে সিবিআই।

Card image cap

ছাত্রসমাজের নেতা সায়নের বিরুদ্ধে শীর্ষ আদালতে রাজ্য

নবান্ন অভিযানের দিন টিভি চ্যানেলের টক শো শেষ করে বেরনো মাত্রই পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করেছিল। পুলিশের অভিযোগ ছিল, প্রতিবাদ মিছিল ঘিরে অশান্তিতে উসকানি দিয়েছিলেন ‘পশ্চিমবঙ্গ ছাত্রসমাজে’র অন্যতম আহ্বায়ক সায়ন লাহিড়ী। তাঁকে বাইরে রাখা বিপজ্জনক। তবে কলকাতা হাই কোর্টে এই মামলা টেকেনি। উচ্চ আদালত স্পষ্ট জানিয়েছে, সায়ন লাহিড়ী এমন কোনও প্রভাবশালী নন, তাঁকে মুক্তি দিতে হবে। শুক্রবার এই নির্দেশের পর শনিবার সায়ন মুক্তি পেলেন। তবে তাঁর জামিনের বিরোধিতায় এবার সুপ্রিম কোর্টের  দ্বারস্থ হল রাজ্য সরকার।গত ২৭ আগস্ট, আর জি কর কাণ্ডে সুবিচারের দাবিতে নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছিল ‘পশ্চিমবঙ্গ ছাত্রসমাজ’ নামে তথাকথিত অরাজনৈতিক সংগঠন। তাদের নেপথ্যে বিজেপি-আরএসএস যোগ স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল আগেই। পুলিশের অনুমতি ছাড়া এই কর্মসূচির আড়ালে রাজ্যকে অশান্ত করার ছক রয়েছে বলে গোয়েন্দা সূত্রে খবর ছিল। তাই তা আটকাতে পুলিশের ‘অতিসক্রিয়’তা লক্ষ্য করা গিয়েছিল। তা সত্ত্বেও সেদিন দিকে দিকে অশান্তির ঘটনা ঘটে। সাঁতরাগাছি, হাওড়া ব্রিজ তো বটেই। কলকাতার বেশ কিছু জায়গাও হয়ে উঠেছিল রণক্ষেত্র।এসবের পর ওইদিন সন্ধেবেলা ‘পশ্চিমবঙ্গ ছাত্রসমাজে’র তরফে এই নবান্ন অভিযানে আহ্বায়ক সায়ন লাহিড়ীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। জেল হেফাজতে রাখা হয়েছিল তাঁকে। গ্রেপ্তারির বিরোধিতায় সায়ন শুক্রবার উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হলে বিচারপতি অমৃতা সিনহা তাঁকে জেলমুক্তির নির্দেশ দেন। শনিবার সেই নির্দেশ অনুযায়ী সায়ন মুক্তি পেয়েছে। তবে তাঁর এই মুক্তির বিরোধিতা করে হাই কোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছে রাজ্য। এনিয়ে শীর্ষ আদালতে শুনানি কবে, তা জানা যায়নি।

Card image cap

আন্দোলনের ফাঁকে চিকিৎসা

আন্দোলনের রাস্তা থেকে একচুলও সরে যাওয়ার প্রশ্নই নেই। সুবিচারের দাবিতে তা জারি থাকবেই। কিন্তু কাজেও ফেরা হবে। টানা কর্মবিরতি থেকে সরে শনিবার থেকে আর জি কর হাসপাতালের জুনিয়র চিকিৎসকরা চালু করেছেন টেলিমেডিসিন পরিষেবা। সকাল ১০ টা থেকে দুপুর ২টো পর্যন্ত হাসপাতালের জিএলটি বিল্ডিং থেকে চলল এই ভারচুয়াল পরিষেবা। আর প্রথম দিন তাতে ভালোই সাড়া পড়ল। তথ্য বলছে, ৫০০ জনের বেশি রোগী নিজেদের সমস্যার কথা জানিয়েছেন। হোয়াটসঅ্যাপে অডিও, ভিডিও কলের মাধ্যমে তাঁদের সমস্যা বিশদে জেনে ওষুধ দিয়েছেন জুনিয়র ডাক্তাররা।সময় ছিল সকাল ১০ টা। কিন্তু তার আধঘণ্টা আগেই টেলিমেডিসিন পরিষেবা চালু করে দিয়েছিলেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। শুভ্র, দেবদূত, রিয়াদের প্রেসক্রিপশনও ছিল অভিনব। ‘অভয়া ক্লিনিক’ ছাপ দেওয়া সেই প্রেসক্রিপশনে রীতিমতো স্লোগান লেখা – ‘আর জি করের বিচার চাই/ অপরাধ চক্রের বিনাশ চাই’। মাঝে ইংরাজিতে লেখা – We Want Justice. তাতেই রোগীর নাম, বয়স, রোগের লক্ষ্ণণ লিখে প্রয়োজনীয় ওষুধ দেওয়া হয়েছে।কীভাবে সারাদিন টেলিমেডিসিন পরিষেবা দিলেন ডাক্তাররা? জুনিয়র চিকিৎসক শুভ্র, দেবদূতরা জানাচ্ছেন, শুধুমাত্র এই পরিষেবা চালু করার জন্যই শুক্রবার চারটি নতুন সিম নেওয়া হয়েছিল। সেই নম্বরগুলি আগেই সকলকে দিয়ে দেওয়া হয়। সাড়ে ৯টা নাগাদ ভারচুয়াল ‘অভয়া ক্লিনিক’ চালু হতেই সেসব নম্বরে রোগীরা ফোন, হোয়াটসঅ্যাপ , ভিডিও কল করতে থাকেন। নিজেদের সমস্যা জানান তাঁরা। চিকিৎসকরাও সব শুনে প্রেসক্রিপশনে ওষুধ লিখে তার ছবি পাঠিয়ে দেন হোয়াটসঅ্যাপে। এভাবেই কেউ ৫০, কেউ আবার ৮০ জন রোগীর সুরাহা করেছেন চার ঘণ্টায়। আগামী দিনেও এভাবে তাঁরা কাজ চালিয়ে যাবেন বলে জানান।

Card image cap

নতুন মুখ্যসচিবের নাম ঘোষণা করল নবান্ন

রাজ্যের আবেদনে মিলল না সাড়া। মেয়াদ বাড়ল না রাজ্যের মুখ্যসচিব বিপি গোপালিকার। তাঁর বদলে নতুন মুখ্যসচিব হচ্ছেন সেচদপ্তরের অতিরিক্ত সচিবের মনোজ পন্থ। শনিবার নবান্নের তরফে এই সংক্রান্ত নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। বলা হয়েছে, পরবর্তী নির্দেশ পর্যন্ত মনোজ পন্থই মুখ্যসচিবের দায়িত্ব সামলাবেন। আজই তিনি গোপালিকার কাছ থেকে দায়িত্ব বুঝে নিয়েছেন। তাঁকে পুষ্পস্তবক দিয়ে স্বাগত জানান বিপি গোপালিকা। ভগবতী প্রসাদ গোপালিকা পরবর্তী রাজ্যের  মুখ্যসচিব হিসেবে মনোজ পন্থের নাম নিয়ে একটা জল্পনা ছিলই।  তিনি এতদিন অর্থ দপ্তর সামলেছেন। ওই বিভাগের সচিব ছিলেন পন্থ। শুক্রবার অবশ্য নবান্নের তরফে সচিব পদে রদবদল করা হয়। তাতে দেখা যায়, অর্থ দপ্তরের মনোজ পন্থকে সরানো হয় তুলনায় কম গুরুত্বপূর্ণ সেচ দপ্তরের। তাঁর বদলে রাজ্যের নতুন অর্থসচিব করা হয় প্রভাতকুমার মিশ্রকে।কিন্তু শনিবার নবান্নের নয়া বিজ্ঞপ্তিতে দেখা গেল, সেচদপ্তরের অতিরিক্ত সচিব পদ থেকেই মনোজ পন্থকে সোজা মুখ্যসচিবের দায়িত্ব দেওয়া হল। রাজ্যপালের অনুমোদনক্রমেই তা হয়েছে বলে খবর।  ১ সেপ্টেম্বর রবিবার। তার পরদিন, সোমবার থেকেই নবান্নে নতুন কাজ শুরু করবেন ১৯৯১ ব্যাচের এই আইএএস অফিসার।এদিকে, বিপি গোপালিকার মেয়াদ বাড়িয়ে আরও তিনমাস তাঁকে মুখ্যসচিব পদে রাখার আবেদন জানিয়ে দিল্লিতে আবেদন করেছিল নবান্ন। যদিও লোকসভা ভোটের সময় তাঁর মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছিল। সেসময় রদবদলের টানাপোড়েন এড়াতে কেন্দ্রের তরফে মেয়াদবৃদ্ধি নিয়ে সবুজ সংকেত দেওয়া হয়। কিন্তু এবার আর তা হল না। 

Card image cap

লালবাজার অভিযানের ডাক জুনিয়র ডাক্তারদের

আর জি কর কাণ্ডের প্রতিবাদ চলছে রাজ্যজুড়ে। এই পরিস্থিতিতে এবার লালবাজার অভিযানের ডাক দিলেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। ২ সেপ্টেম্বর কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলের পদত্যাগের দাবিতে ওই অভিযান হবে। পাশাপাশি ৩ সেপ্টেম্বর বাংলার সমস্ত সরকারি-বেসরকারি এবং প্রাইভেট চেম্বারের চিকিৎসকদের পেনডাউন তথা কর্মবিরতির আহ্বানও জানালেন তাঁরা।প্রসঙ্গত, গত বুধবার মেয়ো রোডে তৃণমূলের ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসের অনুষ্ঠান থেকে জুনিয়র চিকিৎসকদের কাজে ফিরতে বলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর পাশাপাশি তিনি বলেন, “জুনিয়র ডাক্তারদের প্রতি আমার সমর্থন আছে। ওরা বন্ধুর জন্য আন্দোলন করছে। আপনাদের ক্ষোভ আছে। অভিমান আছে। আমি সেটা বুঝি। কিন্তু এ বার আস্তে আস্তে কাজে যোগদান করুন। সুপ্রিম কোর্ট রাজ্যগুলোকে বিশেষ ক্ষমতা দিয়েছে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য। কিন্তু আমি আপনাদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেব না। আমরা পদক্ষেপ করলে কেরিয়ার নষ্ট হয়ে যাবে। পাসপোর্ট-ভিসা পেতে সমস্যা হবে।’’ এর পর মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যকে ঘিরেই বিতর্ক দানা বাঁধতেই এক্স হ্যান্ডেলে নিজের মন্তব্যের ব্যাখ্যাও দেন তিনি। লেখেন, ‘আমি ডাক্তারদের হুমকি দিইনি। মন্তব্যের ভুল ব্যাখ্যা করা হচ্ছে।’এই পরিস্থিতিতে শুক্রবার রাজ্যের জুনিয়র ডাক্তারদের সংগঠন WBJDF-এর তরফে এক বিবৃতি পেশা করা হয়। তাতে বলা হয়েছে, ‘আমাদের প্রতিনিধিরা গতকালই মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে তাঁদের বক্তব্য পরিষ্কার করে জানিয়েছেন বিভিন্ন নিউজ চ্যানেলে ও প্রেস বিবৃতিতে। সমস্ত প্রতিকূলতা ও হুমকির বিরুদ্ধে আমাদের আন্দোলনের সারমর্ম প্রতিদিনই বৃদ্ধি পাচ্ছে। আমাদের পাঁচ দফা দাবি না মেটা পর্যন্ত আমরা আমাদের আন্দোলন চালিয়ে যাব।’ 

Card image cap

ন্যাশনাল মেডিক্যালে কার্যকরী অধ্যক্ষ নিয়োগ স্বাস্থ্যভবনের

সকালে আর জি কর হাসপাতালের অধ্যক্ষ পদ থেকে ইস্তফা। বিকেলে কলকাতারই আরেক সরকারি মেডিক্যাল কলেজে একই পদ প্রাপ্তি। তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ-হত্যাকাণ্ডের পর হাসপাতালের তৎকালীন অধ্যক্ষ ডাক্তার সন্দীপ ঘোষকে নিয়ে ব্যাপক টানাপোড়েন হয়েছিল ক্যালকাটা ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। কোনওভাবেই তাঁকে অধ্যক্ষ হিসেবে মেনে নেননি পড়ুয়ারা। হাসপাতালে যোগই দিতে পারেননি সন্দীপ ঘোষ। পরিবর্তে স্বাস্থ্যভবনের ওএসডি পদে থাকা ডাক্তার অজয়কুমার রায়কে সেই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। এবার তাঁর মেয়াদও শেষ। স্বাস্থ্যভবনের তরফে ন্যাশনাল মেডিক্যালের অধ্যক্ষ পদে নতুন নাম ঘোষণা করা হল শুক্রবার। হাসপাতালেরই চেস্ট মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক ডাক্তার শুভ্র মিত্রকে আপাতত সেই দায়িত্ব দেওয়া হল। স্বাস্থ্যভবনের তরফে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, ডাক্তার শুভ্র মিত্রকে কার্যকরী অধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগ করা হল। পরবর্তী ঘোষণা পর্যন্ত তিনিই ওই পদে থাকবেন।স্বাস্থ্যভবনের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, ৩১  আগস্ট শেষ হচ্ছে ডাক্তার অজয়কুমার রায়ের মেয়াদ। এর পর ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের অধ্য়ক্ষের দায়িত্ব কাকে দেওয়া হবে, তা নিয়ে আলোচনা চলছিল। ওয়েস্ট বেঙ্গল মেডিক্যাল এডুকেশন সার্ভিসের সদস্য এবং ন্যাশনাল মেডিক্যালের চেস্ট মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক ডাঃ শুভ্র মিত্রকে সেই পদে আনা হল।তবে পাকাপাকিভাবে নয়, ন্যাশনাল মেডিক্যালের কার্যকরী অধ্যক্ষ হিসেবে শুভ্র মিত্রকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। পরবর্তী সময়ে স্বাস্থ্যভবনের তরফে নতুন করে কোনও ঘোষণা না হওয়া পর্যন্ত তিনি থাকবেন ওই পদে। তাঁকেই কি স্থায়ী অধ্যক্ষ হিসেবে রাখা হবে নাকি অন্য কারও হাতে সেই দায়িত্ব দেওয়া হবে, তা এখনও অজানা।

Card image cap

এবার স্ক্যানারে সন্দীপের আপ্ত সহায়ক

পদার্থবিদ্যার সূত্র অনুযায়ী, একজন মানুষ একই সময় দু জায়গায় থাকতে পারে না। ধর্ষণ-খুনের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে এই অবস্থানগত সংশয় এখন তোলপাড় আর জি কর হাসপাতাল। এখানেও নেপথ্যে সেই সন্দীপ ঘোষ এবং তাঁর ‘স্নেহভাজন’ প্রসূন চট্টোপাধ্যায়। তিনি নাকি সন্দীপের আপ্ত সহায়ক হিসেবে কাজ করতেন। ঘটনার দিন ঘটনাস্থলে তিনি নাকি উপস্থিত ছিলেন। আবার ন্যাশনাল মেডিক্যালের রেজিস্টার বলছে, প্রসূন চট্টোপাধ্যায়ের স্বাক্ষর রয়েছে। তিনদিন আগে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের যে ঘরটিতে তিনি বসতেন, ঘটনার পর সেই ঘরে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছেন পড়ুয়ারা। ফলত ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজে উপাধ্যক্ষ অর্ঘ্য মৈত্র দৈনন্দিন কাজ করতে পারছেন না। ঘটনা হল, অর্ঘ্য মৈত্রের ঘরেই গত তিন বছর ধরে ডেটা এন্ট্রি অপারেটর হিসেবে কাজ করতেন, মাইনে তুলতেন ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের স্বাস্থ্যকর্মী হিসেবে।সূত্রের খবর, ৯ আগস্ট তরুণী চিকিৎসকের নৃশংস ধর্ষণ-খুনের দিন অন্যান্য আধিকারিকদের সঙ্গে প্রসূনকেও দেখা গিয়েছিল আর জি করের সেই সেমিনার রুমে। সেদিনই ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের রেজিস্টারেও তাঁর উপস্থিতির স্বাক্ষর স্পষ্ট। স্বভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে, এমনটা হয় কীভাবে? একই সময়ে দু জায়গায় কীভাবে একজন ব্যক্তির উপস্থিতি কি সম্ভব? প্রসূন চট্টেপাধ্যায় কিন্তু এনিয়ে চুপ। কোনও মন্তব্য করছেন না। কিন্তু সরব হয়েছেন আর জি কর ও ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের পড়ুয়ারা।তাঁদের অভিযোগ, রোজ সকালে প্রসূন ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজে সই করেই চলে আসতেন আর জি করে। সন্দীপ ঘোষের ঘরে বসে তাঁর নির্দেশেই একের পর এক কাজ করে গিয়েছেন। ফাইল পাঠিয়েছেন। এমনকী স্বাস্থ্যভবনেও গিয়েছেন। এই অভিযোগ শুধু আর জি করে নয়, স্বাস্থ্যভবনেও পৌঁছেছে। এও অভিযোগ উঠেছে, দিনের পর দিন আর জি করে কাজ করেছেন প্রসূন। কিন্তু সরকার থেকে নাকি তাঁকে যে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছিল, সেখানে আদৌ তিনি কাজ করেননি। তা নিয়ে এখন স্বাস্থ্যভবনে তদন্ত শুরু হতে চলেছে। এমনকী শুধু আর জি কর বা ন্যাশনাল মেডিক্যাল নয়, রাজ্যের বিভিন্ন হাসপাতাল এবং মেডিক্যাল কলেজেও এমন অনৈতিক কাজ হয়ে আসছে বলে অভিযোগ তুলেছেন জুনিয়র ডাক্তার, স্বাস্থ্যকর্মীদের একটা বড় অংশ। সেসবও এবার তদন্তের আওতায় আসতে চলেছে।

Card image cap

মুখ্যমন্ত্রীকে মমতা ব্যানার্জিকে অভিন্দন জানালেন শুভেন্দু অধিকারী

ইতিপূর্বে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি অমিত শাহর উদ্দেশ্যে ট্যুইট করেন। তিনি বলেন, "অভিনন্দন, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী!! আপনার ছেলে রাজনীতিবিদ হননি, কিন্তু আইসিসির চেয়ারম্যান হয়েছেন - বেশিরভাগ রাজনীতিবিদদের চেয়ে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ একটি পদ!! আপনার ছেলে সত্যিই খুব শক্তিশালী হয়ে উঠেছে এবং আমি সত্যিই তার এই উচ্চতর কৃতিত্বের জন্য আপনাকে অভিনন্দন জানাই!


ধন্য!!" অনেকেরই মত, মমতা ব্যানার্জি এই ট্যুইটের মধ্যে দিয়ে কটাক্ষই করেছেন অমিত শাহকে।


তবে এবার এর পাল্টা ট্যুইট করে খেলা ঘুরিয়ে দিলেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেছেন, "অভিনন্দন, ব্যর্থ মুখ্যমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং বিশ্বব্যাংকের স্বাস্থ্যমন্ত্রী!!! আপনার ভাইয়েরা রাজনীতিবিদ হননি, তবে নিম্নোক্ত হয়েছেন:- অজিত ব্যানার্জী (সস্থি) - ভারতীয় ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি (বাংলায় ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা)। বাবুন ব্যানার্জী (স্বপন)- সভাপতি - বেঙ্গল অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন, গ্রাউন্ড সেক্রেটারি- মোহনবাগান ফুটবল ক্লাব, সভাপতি - পশ্চিমবঙ্গ হকি অ্যাসোসিয়েশন, সভাপতি - পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য টেবিল টেনিস সমিতি, সভাপতি - পশ্চিমবঙ্গ অপেশাদার বক্সিং সমিতি, সভাপতি - পশ্চিমবঙ্গ কাবাডি অ্যাসোসিয়েশন। ক্রীড়া প্রশাসনের এই লোভনীয় পদ অনেক রাজনীতিবিদই চেয়েছেন!! আপনার ভাইয়েরা সত্যিই খুব শক্তিশালী হয়ে উঠেছে এবং আমি সত্যিই তাদের কৃতিত্বের জন্য আপনাকে অভিনন্দন জানাই! ধন্য!!" শুভেন্দুর এই কটাক্ষের অভিনন্দন বার্তা ঘিরে শোরগোল শুরু হয়েছে।

Card image cap

বড় খবর! আরজি কর কাণ্ডে মামলায় ফাঁসতে চলেছেন মমতা?

বিরাট খবর! এবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে এবার এফআইআর দায়ের করলেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী বিনীত জিন্দাল। ভারতীয় ন্যায় সংহিতা অনুযায়ী, ১৫২, ১৯২, ১৯৬ এবং ৩৫৩ ধারায় মামলা দায়ের করেছেন আইনজীবী বিনীত জিন্দাল। এদিকে, ইতিমধ্যেই আরজি কর কাণ্ডের  পর প্রবল সমালোচনার মুখে পড়েছে রাজ্য সরকার।


মুখ্যমন্ত্রী পদত্যাগের দাবিও তুলেছেন অনেকে। তবে মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে এফআইআরের বিষয়টি বেশ গুরুত্ব সহকারেই দেখা হচ্ছে।


গতকাল তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসের অনুষ্ঠান থেকে মমতা  বলেন, 'কেউ কেউ ভাবছেন, এটা বাংলাদেশ। মনে রাখবেন, বাংলায় যদি আগুন লাগান, অসমও থেমে থাকবে না, বিহারও থেমে থাকবে না না, উত্তর পূর্বও থেমে থাকবে না, উত্তর প্রদেশও থেকে থাকবে না, ঝাড়খণ্ডও থেমে থাকবে না, ওড়িশাও থেমে থাকবে না আর দিল্লিও থেমে থাকবে না'।


বুধবার তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসের অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রীর করা এই মন্তব্য ঘিরেই বিতর্কের সূত্রপাত। 'বাংলা জ্বললে বিহার, অসম, ঝাড়খণ্ড, দিল্লি, ওড়িশা জ্বলবে', গতকাল মমতা এমন একটি মন্তব্য করেন বলে অভিযোগ। এবার সেই মন্তব্যের প্রেক্ষিতেই তৃণমূল নেত্রীর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করলেন বিনীত ।

Card image cap

২ যুবককে লক্ষ্য করে চলল গুলি

ফের শুটআউট মগরায়। গুলিবিদ্ধ দুই যুবক। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁদের চুঁচুড়া হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তাঁদের মধ্যে একজনের অবস্থা আরও খারাপ হওয়ায় কলকাতার হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। অন্যজন চুঁচুড়াতেই চিকিৎসাধীন। দুষ্কৃতীরা গাড়ি চেপে হামলা চালায় বলে জানতে পেরেছে পুলিশ। তাদের প্রাথমিক অনুমান পুরনো শত্রুতার জেরে হামলা চালানো হয়েছে।পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গতকাল রাতে মগরার নকশা মোড় সংলগ্ন এলাকায় গুলি চালানোর ঘটনা ঘটে। বিশ্বজিৎ দে ও মইদুল ইসলাম দুই যুবক বাইক করে মগরার দিকে আসছিলেন। সেই সময় পিছন থেকে আসা একটি গাড়ি থেকে অতর্কিতে দুই যুবককে লক্ষ্য করে গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। গুরুত্বর আহত হন দুজনেই। তড়িঘড়ি তাঁদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে বিশ্বজিতের অবস্থা আরও সংঙ্কটজনক হলে তাঁকে কলকাতায় স্থানান্তর করা হয়েছে। এদিকে বৃহস্পতিবার সকালে মইদুলের অস্ত্রোপচার হয়েছে।কী কারণে গুলি? পুরনো কোনও শত্রুতা রয়েছে কি না। কোনও রাজনৈতিক কারণে গুলি কি না সব দিক খতিয়ে দেখছে মগরা থানার পুলিশ। দুই যুবক সুস্থ হলে তাঁদের সঙ্গে কথা বললে বিষয়টি পরিষ্কার হবে বলে মনে করছে পুলিশেরকর্তারা।আহত বিশ্বজিতের মা জানিয়েছেন, ছেলে মাটির ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত। তাঁর কোনও শত্রু আছে কিনা সেই বিষয়ে জানেন না তিনি। ছেলের সঙ্গে তাঁর বিশেষ যোগাযোগ নেই বলে জানিয়ে তিনি বলেন, “ছেলের কোনও শত্রু আছে বলে আমি জানি না। শুনেছি গুলি লেগেছে কলকাতার হাসপাতালে ভর্তি। আমাকে কিছু জানানো হয়নি। এক বাড়িতে থাকলেও ওর সঙ্গে আমার বিশেষ কথা হয় না।” 

Card image cap

নবান্ন অভিযানে অশান্তির অভিযোগে গ্রেপ্তার তরুণী

গলায় গেরুয়া উত্তরীয়, মেজাজ মারমুখী। মঙ্গলবার নবান্ন অভিযানে যোগ দিয়ে অশান্তি ছড়ানোর অভিযোগে মহেশতলা থেকে গ্রেপ্তার এক তরুণী। সোশাল মিডিয়া পোস্ট দেখে তাঁকে শনাক্ত করার পর বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করেছে গুন্ডাদমন শাখা। পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃত তরুণীর নাম রিঙ্কু সিং, বয়স ৩৯ বছর। বিজেপি মহিলা মোর্চার নেত্রী বলে জানা গিয়েছে। ওইদিন নবান্ন অভিযানে রিঙ্কু এবং তাঁর সঙ্গীদের হাতে ইট দেখা গিয়েছিল। সেই ছবি ভাইরাল হয় সোশাল মিডিয়ায়। এসবের ভিত্তিতেই পুলিশ রিঙ্কুকে গ্রেপ্তার করেছে।মঙ্গলবার নবান্ন অভিযান  ঘিরে রণক্ষেত্রের চেহারা নিয়েছিল হাওড়া ও নবান্ন সংলগ্ন কলকাতার একাধিক এলাকা। হেস্টিংস এলাকায় গন্ডগোলে জড়িতদের ছবি সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছিল কলকাতা পুলিশ। এডিজি, দক্ষিণবঙ্গ সুপ্রতিম সরকার জানিয়েছিলেন, গোটা অভিযানের ভিডিও ফুটেজ পুলিশের কাছে আছে। সেসব দেখে হামলাকারীদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তার হবে। সেইমতো তাদের ছবি সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করা হয়।তার ভিত্তিতেই মহেশতলা পুরসভার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের গোপালপুর মালিপাড়া থেকে গ্রেপ্তার করা হয় রিঙ্কু সিং নামে ৩৯ বছরের এক তরুণীকে। পরনে হলুদ সালোয়ার-কামিজ, গলায় গেরুয়া উত্তরীয়, মেজাজ একেবারে মারমুখী। তিনি বিজেপির কর্মী বলে সূত্র মারফত জানা গেলেও বিজেপির পক্ষ থেকে তা এখনও স্বীকার করা হয়নি। গোপালপুর মালিপাড়ার নিজের বাড়ি থেকেই কলকাতা পুলিশের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, মহেশতলা থানার পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে কলকাতা পুলিশের হাতে তুলে দেয়। মেটিয়াব্রুজ ১ নম্বর মণ্ডলের বিজেপির মহিলা মোর্চার প্রাক্তন সভানেত্রী, বর্তমানে মণ্ডলের দায়িত্বপ্রাপ্ত মহিলা মোর্চার সদস্য।

Card image cap

আর জি করের ‘ভিলেন’ অরুণাভকে ঘরবন্দি করলেন মালদহ মেডিক্যালের জুনিয়ররা

অভিযোগ খারিজ না হওয়ার আগে কাজে যোগ নয়। মালদহ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে কাজে যোগ দিতে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে ডাঃ অরুণাভ দত্ত চৌধুরী। আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের চেষ্ট মেডিসিন বিভাগের প্রধান ছিলেন তিনি। আন্দোলনরত জুনিয়র চিকিৎসকদের দাবি মেনে তাঁকে অপসারণ করা হয়। এর পর মালদহ মেডিক্যালে পুনর্বাসন দেওয়া হয় তাঁকে।বৃহস্পতিবার মালদহ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে যোগদান করতে যান অরুণাভ দত্ত চৌধুরী। অধ্যক্ষের ঘরে ঢোকার পরই তাঁকে ঘরবন্দি করেন ওই হাসপাতালের জুনিয়র চিকিৎসকরা। বিক্ষোভের মুখে পড়েন আর জি কর মেডিক্যাল কলেজের চেস্ট মেডিসিনি বিভাগের প্রাক্তন বিভাগীয় প্রধান। জুনিয়র চিকিৎসকদের স্পষ্ট হুঁশিয়ারি, “অভিযোগ খারিজ না হওয়া পর্যন্ত কাজে যোগ দিতে দেব না।” মালদহ মেডিক্যালের অধ্যক্ষ পার্থপ্রতীম মুখোপাধ্যায় বলেন, “জুনিয়র চিকিৎসকদের কথামতো আমরা বৈঠক করব। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”উল্লেখ্য, গত ৮ আগস্ট নাইট শিফট ছিল আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের তরুণী চিকিৎসক। পরদিন সেমিনার হল থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার হয়। সেই সময় প্রায় বিবস্ত্র ছিলেন তিনি। শরীরে ছিল একাধিক ক্ষতচিহ্ন। চেস্ট মেডিসিন বিভাগের পিজিটি ছিলেন তরুণী চিকিৎসক। এই হত্যাকাণ্ডের সময় চেস্ট মেডিসিন বিভাগের প্রধান ছিলেন ডাঃ অরুণাভ দত্ত চৌধুরী। তাঁর বিরুদ্ধে তরুণী চিকিৎসক মৃত্যুর প্রমাণ লোপাটের মতো বিস্ফোরক অভিযোগ ওঠে। সে কারণে অরুণাভর অপসারণের দাবিতে সরব হন আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের জুনিয়র চিকিৎসকরা। অবশেষে রাজ্য স্বাস্থ্যভবনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তাঁকে আর জি করের চেস্ট মেডিসিন বিভাগের প্রধানের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। মালদহ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে পুনর্বাসন দেওয়া হয় তাঁকে। তবে সেখানে গিয়েও বিক্ষোভের মুখেই পড়তে হল অরুণাভকে।

Card image cap

ভাইরাল ‘হাসপাতালের প্রথম ফোন

তরুণী চিকিৎসকের দেহ উদ্ধারের দিন ফোন পেয়েছিলেন, তা আগেই জানিয়েছিলেন বাবা-মা। এবার প্রকাশ্যে এল তিনবার ফোনে কথোপকথনের অডিও। সম্ভবত দেহ উদ্ধারের পর এটিই ‘প্রথম ফোন হাসপাতালের’।যদিও অডিওর সত্যতা যাচাই করেনি এক্সপ্রেস কলকাতা। 
ভাইরাল হওয়া প্রথম অডিওটিতে একটি মহিলা এবং পুরুষ কণ্ঠের কথোপকথন শোনা গিয়েছে।
পুরুষ কণ্ঠ: কেন কী বলছেন?
মহিলা কণ্ঠ: আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ থেকে বলছিলাম।
পুরুষ কণ্ঠ: কেন কী হয়েছে?
মহিলা কণ্ঠ: ওর একটু শরীরটা খারাপ হয়েছে। আপনার এক্ষুণি আসতে পারবেন?
পুরুষ কণ্ঠ: কেন কী হয়েছে কী?
মহিলা কণ্ঠ: ওর শরীরটা খারাপ। আমরা ভর্তি করাচ্ছি। আপনারা ইমিডিয়েট আসতে পারবেন?
পুরুষ কণ্ঠ: কেন কী হয়েছে কী?
মহিলা কণ্ঠ: সেটা তো ডাক্তাররা বলবে আপনারা এলে। আপনার নম্বরটা জোগাড় করলাম। করে জানালাম। যে বাড়ির লোক হিসাবে তাড়াতাড়ি আসুন।
পুরুষ কণ্ঠ: কী হয়েছে সেটা বলো না তুমি।
মহিলা কণ্ঠ: পেশেন্ট শরীরটা খারাপ। ভর্তি হয়েছে হাসপাতালে। বাকিটা আপনারা এলে, ডাক্তার বলবেন।
অপর মহিলা কণ্ঠ: ওর কী জ্বর হয়েছে?
মহিলা কণ্ঠ: আপনারা একটু আসুন। জলদি চলে আসুন। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আসবেন।
পুরুষ কণ্ঠ: কেন ওর কী খুব অবস্থা খারাপ?
মহিলা কণ্ঠ: খুব অবস্থা খারাপ। তাড়াতাড়ি চলে আসুন।
ভাইরাল হওয়া দ্বিতীয় অডিওটিতে একটি মহিলা এবং পুরুষ কণ্ঠের কথোপকথন শোনা গিয়েছে।
পুরুষ কণ্ঠ: কী হয়েছে কী সেটা বলো না একটু।
মহিলা কণ্ঠ: ওঁর অবস্থা খুবই খারাপ। যত তাড়াতাড়ি পারেন, চলে আসুন একটু।
পুরুষ কণ্ঠ: কী হয়েছে সেটা বলো না!
মহিলা কণ্ঠ: সেটা তো ডাক্তার বলবে, আপনারা তাড়াতাড়ি একটু চলে আসুন না।
পুরুষ কণ্ঠ: আপনি কে বলছেন বলুন তো?
মহিলা কণ্ঠ: আমি অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপার বলছি। ডাক্তার বলছি না।
পুরুষ কণ্ঠ: ডাক্তার নেই ওখানে কেউ?
মহিলা কণ্ঠ: আপনার মেয়েকে আমরা এমার্জেন্সিতে নিয়ে এসেছি। আপনারা আসুন। এসে যোগাযোগ করুন।
অপর মহিলা কণ্ঠ: কী হয়েছিল কী? ও তো ডিউটিতে ছিল।
মহিলা কণ্ঠ: আপনারা জলদি চলে আসুন। যতটা তাড়াতাড়ি পারবেন। শুনুন আপনাকে তখন বারবার বলছিলাম। ব্যাপারটা হচ্ছে যে আপনার মেয়ে উনি সুইসাইড করেছেন হয়তো। বা মারা গিয়েছে। পুলিশ রয়েছে। আমরা হসপিটালে সবার সামনেই রয়েছি। ফোন করছি। আপনারা যত তাড়াতাড়ি পারবেন চলে আসুন।
ভাইরাল হওয়া তৃতীয় অডিওটিতে একটি পুরুষ এবং মহিলা কণ্ঠের কথোপকথন শোনা গিয়েছে।
পুরুষ কণ্ঠ: হ্যালো।
মহিলা কণ্ঠ: হ্যাঁ বলুন!
পুরুষ কণ্ঠ: আমি আইসি আর জি কর বলছিলাম। আচ্ছা আপনারা আসছেন তো?
মহিলা কণ্ঠ: হ্যাঁ, একদম আসছি। কেমন আছে শরীর?
পুরুষ কণ্ঠ: আপনারা আসুন। আসলে কথা হবে। আর জি কর হাসপাতালে আসুন। চেস্ট ডিপার্টমেন্টের এইচওডি স্যারের কাছে আসুন।
মহিলা কণ্ঠ: হ্যাঁ।
পুরুষ কণ্ঠ: আসুন।
ভাইরাল হওয়া এই ফোনকল সম্পর্কে অবশ্য কিছু জানা নেই বলেই দাবি নির্যাতিতার বাবা-মায়ের।

Card image cap

‘দ্রুত ঘটনার বিহিত করুক CBI’

তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসের মঞ্চ থেকে ধর্ষকের ফাঁসির দাবিতে সুর চড়ান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একই মঞ্চ থেকে সিবিআইয়ের কর্মদক্ষতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সুরেই এবার সিবিআইয়ের উপর চাপ বাড়ানোর দাবি জানালেন নির্যাতিতার মা-বাবা। তাঁরা চান, “দ্রুত ঘটনার বিহিত করুক সিবিআই।”বুধবার সোদপুরের নাটাগড়ের বাড়িতে দাঁড়িয়ে নিহত চিকিৎসকের মা-বাবা বলেন, “অবশ্যই ওঁরা ভালো কথা বলেছেন। আমরাও বলছি সবাই সিবিআইয়ের উপর চাপ বাড়াক।” এদিন সকালে সিবিআইয়ের দুই মহিলা আধিকারিক নির্যাতিতার বাড়িতে গিয়েছেন। প্রায় পৌনে একঘন্টা মৃতার বাবা-মায়ের সঙ্গে কথা বলে বেরিয়ে যান তাঁরা। যদিও সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কোনও কথা বলতে চাননি আধিকারিকেরা। তবে মৃতার বাবা বলেন, “সিবিআই কিছু তথ্য নিতে এসেছিল। সেগুলি জানিয়েছি। ওরা বলেছেন তাদের যা ক্ষমতা আছে, সেই মতো সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে। আমরা তাদের বলেছি, সিবিআই এত বড় সংস্থা, এত সুনাম। সেই সুনাম অনুযায়ী কাজ করে তাড়াতাড়ি এর বিহিত করুন।”এদিনও মেয়ের হত্যাকাণ্ডের ন্যায়বিচারের দাবিতে প্রতিবাদ চালিয়ে যাওয়ার কথা বলেন তাঁরা। তবে মানুষের দুর্ভোগের কথা উল্লেখ করে বিজেপির ধর্মঘটের বিরোধিতা করেন সন্তানহারা মা-বাবা। তাঁরা বলেন, “ধর্মঘট আমরা সমর্থনও করিনি, ব্যর্থ হোক সেটাও চাইনি। আমরা চাই প্রতিবাদ চলুক। কিন্তু তাতে গুলি চলে কেউ আহত হোক, একদমই চাই না। মানুষের দুর্ভোগ হোক এটাও খারাপ লাগে। এগুলো আমরা চাই না।”