CATEGORY state:

Card image cap

ধর্ষণ রোধে আগামী মাসেই বিল আসছে বিধানসভায়

বুধবার তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসের সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, ধর্ষণের বিরুদ্ধে কঠিন আইন আনবে রাজ্য। সেই কথা বলার পরই কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই, সেই সংক্রান্ত বিল আনার ক্ষেত্রে অনুমোদন দিল রাজ্য মন্ত্রিসভা।৩ সেপ্টেম্বর বিধানসভায় বিল পেশ করা হবে। ধর্ষণের মতো পাশবিক ঘটনার বিচারের জন্য সময়সীমা বেঁধে দিতে চায় রাজ্য। বিলের খসড়া তৈরির জন্যে কমিটি গঠন করা হয়েছে। সেই মোতাবেক কাজও শুরু করে দিয়েছেন মুখ্যসচিব ও আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক।আগামী মাসের দুই ও তিন তারিখ বিধানসভার বিশেষ অধিবেশন বসতে চলেছে। সেই অধিবেশনের দ্বিতীয় দিনে বিল আনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।  বিলের বিষয়বস্তু কী? রাজ্যে কোনও ধর্ষণ বা ধর্ষণ করে খুনের ঘটনা ঘটলে দোষীর দ্রুত চরমতম শাস্তির কথা থাকবে বিলে।  এই বিষয়ে মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় বলেন, “সেপ্টেম্বরের ২ ও ৩ তারিখ বিশেষ অধিবেশন বসবে বিধানসভায়। ৩ তারিখ এই বিলটি বিধানসভায় পেশ করা হবে। আর জি করের ঘটনার পর মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন দ্রুত বিচার চায়। এখন কেসটা পুলিশের থেকে সিবিআইয়ের হাতে গিয়েছে। দেখা যাচ্ছে অনেক সময় লাগাচ্ছে সিবিআই। তাই মুখ্যমন্ত্রী এই বিল আনতে চাইছেন। যাতে কোনও মহিলার উপর অত্যাচার হলে যেন দোষীর দ্রুত সাজা হয়।” জানা গিয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী চেয়েছেন যেন প্রত্যেকদল বিরোধীতা ভুলে এই বিলে সর্মথন দেয়।
আর জি কর কাণ্ড নিয়ে তোলপাড় বাংলা। সবমহল থেকে দোষীর শাস্তির দাবি উঠছে। তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসের অনুষ্ঠান থেকে দোষীর ফাঁসির শাস্তির দাবিতে আরও একবার গর্জে ওঠেন মুখ্যমন্ত্রী। ১০ দিনের মধ্যে আর জি কর কাণ্ডে দোষীকে ফাঁসি দিতে হবে বলে দাবি তোলেন তিনি। এদিন ধর্ষণ বিরোধী আইন পাশের কথা জানিয়ে বলেন, “ধর্ষণের মামলায় দোষীর ফাঁসির বিল আনব বিধানসভায়।” আজ মন্ত্রিসভার বৈঠকে বিল আনার অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। 

Card image cap

বিজেপির বন্‌ধে বিক্ষিপ্ত অশান্তি

আর জি কর ইস্যুতে ‘পশ্চিমবঙ্গ ছাত্রসমাজে’র ডাকে মঙ্গলবারের নবান্ন অভিযানের পুলিশি অত্যাচারের অভিযোগ। তার প্রতিবাদে আজ, বুধবার বিজেপি রাজ্যে ১২ ঘন্টা ধর্মঘট পালন করছে। সকাল থেকে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে এর প্রভাব পড়েছে। ট্রেন, বাস চলছে না অনেক জায়গায়। কাজে বেরিয়ে বিপাকে নিত্যযাত্রীরা।অশান্তিতে উসকানি দেওয়ার অভিযোগে এবার মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে চিঠি সুকান্ত মজুমদারের। বুধবার তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসের অনুষ্ঠানে নবান্ন অভিযান নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “বাংলায় থাকবেন, আর বাংলাকে বদনাম করবেন, এটা আমি মেনে নেব না। কখনও কখনও মানুষকে সহ্য করতে হয়। কিন্তু আমার সহ্যের সীমা ছাড়িয়ে গেলে, আমি কী করতে পারি আপনারা জানেন না। আমাকে ছোঁয়া অত সহজ নয়।” আইন নিজের হাতে না তুলে নিলেও কর্মীরা যাতে বিজেপির বিরুদ্ধে সরব হওয়ার বার্তাও দেন। এর পরিপ্রেক্ষিতেই পদক্ষেপের আর্জি জানান সুকান্ত। বনধের বিকেলে সাংবাদিক বৈঠকে রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। বললেেন, “বাংলার জনগণকে নত মস্তকে প্রণাম জানাই। মানুষ বনধ সফল করেছে। এটা মানুষের বনধ। অনেকের হয়তো ক্ষতি হয়েছে তার জন্য ক্ষমা চাইছি। ধরনার অনুমতির জন্য আদালতকে ধন্যবাদ জানাতে চাই।” পুলিশকে নিশানাও করেছেন তিনি।সুতির নিমতিতা স্টেশনে রেললাইনে শুয়ে বিক্ষোভ ধর্মঘটীদের। প্রবল উত্তেজনা। রঘুনাথগঞ্জের দাদাঠাকুর মোড়ে লালগোলা-রঘুনাথগঞ্জ রাজ্য সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ বিজেপির।পরিকল্পনামাফিক আজকে বনধ ডেকেছে বিজেপি। তৃণমূলের ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসের অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে তোপ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।  ‘আগামী দিনে ছাত্র সংসদ নির্বাচন যখন হবে সেখানে ৫৫ শতাংশ আসনে মেয়েরা যাতে লড়াই করতে পারে তা নিশ্চিত করব’, প্রতিশ্রুতি অভিষেকের।‘যারা এই ঘটনায় যুক্ত তাদের কঠোর শাস্তি হোক। ৪ মাসের মধ্যে আইন না আনলে দিল্লিতে বৃহত্তর আন্দোলন করব। মানুষ রাস্তায় নামলে কেউ আটকাতে পারবে না। আমরা দলগতভাবে চিঠি লিখব কেন্দ্রকে’,  চ্যালেঞ্জ অভিষেকের। কেন্দ্রের সরকার আইন না আনলে প্রাইভেট মেম্বার বিলের মাধ্যমে এই বিল আনব সংসদে।‘দাবি এক দফা এক, ধর্ষণ বিরোধী আইন আনুক কেন্দ্রীয় সরকার। রাতারাতি লকডাউন, নোটবন্দি হলে ধর্ষণ বিরোধী আইন নয় কেন?’ প্রশ্ন অভিষেকের।‘আমরা ২০১১ সাল থেকে বলে আসছি, আমরা বন্‌ধের রাজনীতির বিরুদ্ধে। এই কর্মনাশা, সর্বনাশা বন্‌ধের বিরুদ্ধে আমরা। আমি বিজেপির বাংলার নেতৃত্বকে অনুরোধ করব, প্রতি ২৮ অগস্ট একটি করে বন্‌ধ ডাকুন। তা কী ভাবে প্রতিহত করতে হয়, বাংলার মানু‌ষ জানে।‘দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা নিয়ে লাশের রাজনীতি। মহিলাদের উপর অত্যাচার উত্তরপ্রদেশে বেশি। বাংলায় পদত্যাগের দাবি উঠলে সেখানে পদত্যাগের দাবি উঠছে না কেন?’ ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসের অনুষ্ঠানে তোপ অভিষেকের।বিজেপির ডাকা ১২ বন্‌ধ সকাল থেকেই উত্তেজনা কোচবিহারে। কোচবিহার বাস টার্মিনাসে বিজেপির দুই বিধায়ক এবং বিজেপি কর্মীরা সরকারি বাস আটকে দিলে পুলিশ তাদের আটক করে। বেসরকারি কিছু বাস রাস্তায় থাকলে বেশিরভাগ বেসরকারি বাস বন্ধ রয়েছে। রাস্তায় মোতায়ন রয়েছে বিশাল পুলিশ বাহিনী।

Card image cap

উচ্চ প্রাথমিকে ১৪ হাজার পদে শিক্ষক নিয়োগে সবুজ সংকেত

দীর্ঘ আট বছর পর উচ্চ প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে জট কাটল। ১৪ হাজার ৫২ টি পদে নিয়োগের নির্দেশ কলকাতা হাই কোর্টের। পাশাপাশি, প্রথম মেধাতালিকা থেকে বাদ যাওয়া ১ হাজার ৪৬৩ জনকে যুক্ত করে নতুন মেধাতালিকা প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। সঙ্গে চার সপ্তাহের মধ্যে প্রয়োজনীয় কাউন্সেলিং করে এসএসসিকে রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে হাই কোর্ট। ২০১৬ সালে উচ্চ প্রাথমিকে ১৪ হাজার ৩৩৯টি শূন্যপদে শিক্ষক নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে রাজ্য সরকার। প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার পর মেধাতালিকা প্রকাশ হলে দেখা যায় তাতে রয়েছে ১৪ হাজার ৫২ জনের নাম।সেই থেকে নিয়োগে জট। এর পর ২০২১ সালে এসএসসি জানায় ১৪৬৩ জনকে মেধা তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। এই বাদ পড়া পরীক্ষার্থীরা একাধিক মামলা করেন হাই কোর্টে। বুধবার সেই মামলার শুনানিতে কলকাতা হাই কোর্ট   জানিয়েছে, ওই ১৪৬৩ জনকে যে প্রক্রিয়ায় বাদ দেওয়া হয়েছিল, তা ঠিক ছিল না।এদিন উচ্চ আদালত জানিয়েছে, বাদ দেওয়া ১৪৬৩ জনকে নিয়ে ১৪ হাজার ৫২ জনের তালিকা প্রকাশ করতে হবে। শুধু তাই নয় সময় সীমাও বেধে দিয়েছে কলতাকা হাই কোর্ট। এসএসসিকে বিচারপতিদের নির্দেশ আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে এই কাজ সম্পূর্ণ করতে হবে। এমনই নির্দেশ দিয়েছে, তপোব্রত চক্রবর্তীর ডিভিশন বেঞ্চ।   

Card image cap

সন্দীপ ঘোষকে সাসপেন্ড করল IMA

আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসকের হত্যাকাণ্ডের জের। সন্দীপ ঘোষকে সাসপেন্ড করল ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন। এর আগে ন্যাশনাল অর্থোপেডিক অ্যাসোসিয়েশনও সাসপেন্ড করে সন্দীপকে।ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের নির্দেশিকায় উল্লেখ করা হয়েছে, তরুণী চিকিৎসকের হত্যাকাণ্ডের পর স্বতঃপ্রণোদিত পদক্ষেপ করে আইএমএ। আরভি অশোকানের নেতৃত্বে একটি কমিট গঠন করা হয়। ওই কমিটির সদস্যরা নির্যাতিতার বাড়িতে যান। তাঁর বাবা-মায়ের সঙ্গে কথাও বলেন। এই কমিটি মনে করছে, সন্দীপ ঘোষের ভূমিকা মোটেও সন্তোষজনক নয়। এমন হৃদয়বিদারক ঘটনা সামাল দেওয়ার ক্ষেত্রে তাঁর সহানুভূতিরও যথেষ্ট অভাব ছিল।এছাড়া প্রাক্তন অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে ভুরি ভুরি অভিযোগ রয়েছে। সন্দীপের বিরুদ্ধে এই পেশাকে কলঙ্কিত করার অভিযোগে শাস্তির দাবিও উঠেছে। তাই আইএমএ-র বাংলা শাখার আধিকারিকদের সঙ্গে আলোচনার পর সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সন্দীপকে সাসপেন্ড করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কারণ, বলে রাখা ভালো, সন্দীপ আইএমএ-র কলকাতা শাখার ভাইস প্রেসিডেন্ট ছিলেন।উল্লেখ্য, গত ৮ আগস্ট, নাইট শিফট করছিলেন তরুণী চিকিৎসক। পরদিন সেমিনার হল থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার করা হয়। সেই সময় আর জি কর মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ ছিলেন সন্দীপ ঘোষ। তার পর থেকেই তাঁর পদত্যাগের দাবি ওঠে। চাপের মুখে পড়ে এই ঘটনার ‘নৈতিক দায়’ কাঁধে নিয়ে ‘স্বেচ্ছা’য় পদত্যাগও করেন সন্দীপ। বর্তমানে সিবিআই ও ইডি স্ক্যানারে প্রাক্তন অধ্যক্ষ। দফায় দফায় তাঁকে চলছে জিজ্ঞাসাবাদ। তাঁর বাড়িতেও গত রবিবার তল্লাশি চালিয়েছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। কেন তাঁকে এখনও গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না, উঠেছে সেই দাবিও।

Card image cap

অনুপ দত্তের এবার পলিগ্রাফ টেস্ট

ক্যামেরা দেখেই রীতিমতো দৌড়েছিলেন। এবার সেই এএসআই অনুপ দত্তের পলিগ্রাফ টেস্টের অনুমতি পেল সিবিআই। সম্ভবত আগামিকালই হতে পারে টেস্ট।কলকাতা পুলিশের অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব ইনস্পেক্টর অনুপ দত্ত। কলকাতা পুলিশ কর্মীদের সংগঠন ‘ওয়েলফেয়ার কমিটি’র সদস্য ছিলেন তিনি। সিবিআই সূত্রে খবর, এএসআই অনুপ দত্ত সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায় ‘ঘনিষ্ঠ’। এএসআই কর্মসূত্রে কলকাতায় থাকেন। তবে তিনি বালুরঘাটের বাদামাইলের বাসিন্দা। আর জি কর কাণ্ডে সঞ্জয় রায়কে গ্রেপ্তারের পর উঠে আসে অনুপ দত্তের নাম। তদন্তভার হাতে নিয়ে অনুপকে তলব করে সিবিআই। প্রথমদিন হাজিরা দিতে যাওয়ার সময় সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরা দেখে কার্যত দৌড়েছিলেন তিনি। যা সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়। পরবর্তীতে শনিবার নথি নিয়ে সিবিআই দপ্তরে যান। টানা জেরায় বক্তব্যে অসংগতি মেলে বলেই খবর।এর পরই কলকাতা পুলিশের এএসআই অনুপ দত্তের পলিগ্রাফ টেস্টের সিদ্ধান্ত নেয় সিবিআই। মঙ্গলবার শিয়ালদহ আদালতে অনুমতির আবেদন করা হয়। জানা গিয়েছে, আদালত অনুপ দত্তের পলিগ্রাফ টেস্টের অনুমতি দিয়েছে। আগামিকাল এই টেস্ট হতে পারে বলে খবর। এর আগে আর জি কর মেডিক্যালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ ও চিকিৎসক হত্যাকাণ্ডে ধৃত সঞ্জয় রায়ের পলিগ্রাফ টেস্ট হয়েছে। প্রসঙ্গত, আর জি কর কাণ্ডের রহস্যভেদে মরিয়া সিবিআই। তদন্তভার হাতে পাওয়ার পর থেকেই একাধিক ব্যক্তিকে তলব করে জেরা করেছে। 

Card image cap

‘শান্তিপূর্ণ’ আন্দোলনে অশান্তির ছক?

আরজি করের হামলার ঘটনায় ছবি দিয়ে দোষীদের চিহ্নিত করার জন্য সমাজমাধ্যমে সাহায্য চেয়েছিল কলকাতা পুলিশ। নবান্ন অভিযানের সময় পুলিশের উপর হামলাকারীদের ছবি দিয়ে সমাজমাধ্যমে পোস্ট করা হল। পুলিশের উপর ইটবৃষ্টি, আক্রমণ করার বেশ কিছু ছবি দেওয়া হল সমাজমাধ্যমে।সমাজমাধ্যমে ছবিগুলি শেয়ার করে লেখা হয়েছে, ‘নীচের ছবিতে যাদের চেহারা চিহ্নিত করা হয়েছে তাদের সন্ধান জানা থাকলে অনুরোধ, জানান আমাদের, সরাসরি বা আপনার সংশ্লিষ্ট থানার মাধ্যমে।’ কলকাতা পুলিশ সূত্রে খবর, পুলিশের উপর আক্রমণের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ১০০ জনকে আটক করা হয়েছে। পুলিশের তরফে মোট ১০টি ‘সুয়োমোটো’ মামলা রুজু করা হয়েছে। এর মধ্যে আলিপুর, ময়দান, হেয়ার স্ট্রিট, মুচিপাড়া, আমহার্স্ট স্ট্রিট, বড়বাজার, নর্থ পোর্ট থানা, জোড়াসাঁকো থানা এবং হেস্টিংস থানায় দুটি মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। কলকাতা পুলিশের অধীনে মোট ২৫ জন পুলিশ কর্মী আহত হয়েছেন। এর মধ্যে বেশ কয়েকজন গুরুতর আহত হয়েছেন বলেও জানানো হয়েছে কলকাতা পুলিশের তরফে।কলকাতা পুলিশের তরফে যে ছবিগুলি শেয়ার করা হয়েছে, সেখানে দেখা যাচ্ছে বেশ কিছু আক্রমণাত্মক আন্দোলনকারী রাস্তা থেকে ইট কুড়িয়ে পুলিশের ব্যারিকেডের দিকে ছুড়ছেন। এমনকী, কয়েকজন হাতে লাঠি নিয়ে তেড়েও যাচ্ছেন। পুলিশ কর্মীদের উপর আক্রমণের ছবিও ধরা পড়েছে। আক্রমণকারীদের চিহ্নিত করতে পারলে সংশ্লিষ্ট থানায় যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।
নবান্ন অভিযানের পরেই দক্ষিণবঙ্গ এডিজি সুপ্রতিম সরকার আগেই বলেছেন, ‘সাধারণ মানুষের আবেগকে কাজে লাগিয়ে প্ররোচনা দেওয়া হবে, যাতে পুলিশ বলপ্রয়োগ করতে বাধ্য হয়। এদিন আমাদের সেই আশঙ্কা অনেকটাই সত্যি হয়েছে।’ এটা কোনওভাবেই ছাত্রদের আন্দোলন ছিল না, বরঞ্চ এটা ‘দুষ্কৃতী’দের আন্দোলন ছিল বলেই জানিয়েছেন তিনি। এই আন্দোলনের পেছনে কোনও 'বড় শক্তি'র হাত রয়েছে বলেও ইঙ্গিত দেন তিনি।এদিন মিছিল শুরু হওয়ার পর থেকেই বেশ কিছু জায়গায় অশান্তির সৃষ্টি হয়। একাধিক জায়গায় পুলিশের সঙ্গে খণ্ডযুদ্ধে জড়িয়ে পড়েন আন্দোলনকারীরা। পুলিশের দিকে ছোড়া হয় ইট-পাটকেল, বোতল। পাল্টা পুলিশের তরফে জলকামান দিয়ে বিভিন্ন জায়গায় আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করা হয়। বেশ কিছু জায়গায় লাঠিচার্জ করা হয়। ফাটানো হয় কাঁদানে গ্যাসের শেল। উল্লেখ্য, এই আন্দোলনের পেছনে বিজেপি ও আরএসএসের স্পষ্ট মদত রয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে। এমনকী, ছাত্র সমাজ নামে সংগঠনের প্রথম সারির এক প্রতিনিধি শুভঙ্কর হালদার নিজে আরএসএস-এর সদস্য বলেও মেনে নেন গতকালের সাংবাদিক বৈঠকে।

Card image cap

নবান্ন অভিযান থেকে গ্রেপ্তার ২২০ জন, আহত ১৫

নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছিল ‘পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজ’ নামে একটি সংগঠন। অভিযানকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় সাঁতরাগাছি, ফোরশোর রোড, হাওড়া সেতু, হেস্টিংস এলাকা। পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টির অভিযোগ। পাল্টা পুলিশের তরফে আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিচার্জ, কাঁদানে গ্যাস, জলকামান প্রয়োগ করা হয়েছে। এদিনের নবান্ন অভিযানে মোট ১৫ জন পুলিশ কর্মী আহত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।নবান্ন অভিযানকে ‘বেআইনি’ বলে আগেই জানিয়েছিল পুলিশ। নির্দিষ্ট নিয়ম অনুযায়ী এই অভিযানের পুলিশ সূত্রে খবর, এদিনের নবান্ন অভিযান থেকে মোট ২২০ জন জনকে গ্রেপ্তার করেছে। এর মধ্যে কলকাতা পুলিশ ১২৬জনকে গ্রেপ্তার করেছে। যার মধ্যে ১০৩ জন পুরুষ ও ২৩ জন মহিলা আন্দোলনকারী। এছাড়াও রাজ্য পুলিশের হাতে ধৃতের সংখ্যা ৯৪ জন। আন্দোলনকারীদের ইটের আঘাতে মোট ১৫ জন পুলিশ কর্মীর আহত হওয়ার খবর পাওয়া গিয়েছে। যার মধ্যে ছিলেন চণ্ডীতলা থানা সিআই সন্দীপ গঙ্গোপাধ্যায়। মাথায় গুরুতর চোট পেয়েছেন তিনি।দক্ষিণবঙ্গ ডিজি সুপ্রতীম সরকার মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এক সাংবাদিক বৈঠক করে জানান, ছাত্র আন্দোলনের নামে ৩ ঘণ্টা ধরে টানা আক্রমণ চালানো হল। এই অভিযানের নামে জনজীবন ব্যাহত করা হয়েছে, একাধিক পুলিশ কর্মী আহত হয়েছেন বলে জানান তিনি। এমনকী, এই অভিযানের নেপথ্যে নিশ্চয়ই কোনও শক্তির ইন্ধন রয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।দক্ষিণবঙ্গ ডিজি জানান, শান্তিপূর্ণ ভাবে এই আন্দোলন করা হবে বলে জানানো হয়েছিল। এরপরেও একাধিক জায়গায় ব্যারিকেড ভেঙে ঢোকার চেষ্টা, পুলিশের উপর আক্রমণের ঘটনা ঘটেছে বলে তিনি দাবি করেন। ডিজি বলেন, ‘আন্দোলনকারীরা প্রথম থেকে বলে আসছিলেন শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের কথা। অথচ এদিন সকাল থেকেই তাঁরা যেভাবে একের পর এক পুলিশের ব্যারিকেড ভাঙল, পরিকল্পিতভাবে পুলিশকে রক্তাক্ত করল, তাতে স্পষ্ট ওরা বড় ধরনের কোনও অশান্তি তৈরি করতে চেয়েছিল।’ তবে পুলিশ ওই প্ররোচনায় পা না দিয়ে ধৈর্য্যের পরীক্ষা দিয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি। কিছু জায়গায় উন্মত্ত আন্দোলনকারীদের ঠেকাতে বলপ্রয়োগ করা হয়েছে বলে পুলিশের তরফে দাবি করা হয়েছে।

Card image cap

ভাঙল ব্যারিকেড, পালটা জলকামান

নবান্ন অভিযান ঘিরে তুলকালাম। পুলিশ ও মিছিলকারীদের মধ্যে খণ্ডযুদ্ধ। পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট ও পাথর ছোড়া হয়। অভিযোগ, সাঁতরাগাছিতে ব্যারিকেড ভাঙতেই পালটা লাঠিচার্জ পুলিশের। ফাটানো হয়েছে টিয়ার গ্যাসের শেল। জাতীয় পতাকা হাতে কোণা এক্সপ্রেসওয়েতে বসে পড়েন মিছিলকারীরা।এদিকে, হাওড়া ব্রিজেও চলছে তুমুল অশান্তি। বিক্ষোভকারীদের হঠাতে পুলিশের জলকামান। ফোরশোর রোডেও ধরা পড়ে একই অশান্তির ছবি। মিছিলকারীদের ছোড়া ইটের ঘায়ে হাওড়ায় জখম হয়েছেন ব়্যাফের এক জওয়ানের। মাথা ফেটে গিয়েছে চণ্ডীতলা থানার সিআইয়ের। আহত পুলিশকর্মীকে উদ্ধার করলেন আন্দোলনকারীরাই। তবে বেলা বাড়তেই বদলে যায় সাঁতরাগাছি, ফোরশোর রোড, হাওড়া ব্রিজের চেহারা। প্রথমে সাঁতরাছিতে ব্যারিকেড ভাঙতে শুরু করেন আন্দোলনকারীরা। বেশ কয়েকটি ব্যারিকেড ভেঙেও ফেলেন তাঁরা। মিছিলকারীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট, পাথর ছোড়ে। পরিস্থিতি সামাল দিতে পালটা লাঠিচার্জ করে পুলিশ। কাঁদানে গ্যাসের শেলও ফাটানো হয়। হাওড়া ব্রিজে আন্দোলনকারীদের হঠাতে জলকামান কাজে লাগানো হয়।ইতিমধ্যে হাওড়া ও সাঁতরাগাছি স্টেশন চত্বরেও বাড়তে থাকে জমায়েত। আন্দোলনকারীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাথর ছুঁড়তে শুরু করে। পরিস্থিতি সামাল দিতে ফের কাঁদানে গ্যাস ছোঁড়ে পুলিশ। ইটবৃষ্টিতে এক পুলিশকর্মীর মাথা ফেটে যায়। তবে জাতীয় পতাকা হাতে অনড় আন্দোলনকারীরা। বিভিন্ন জায়গায় জাতীয় পতাকা হাতে রাস্তায় বসে পড়েন মিছিলকারীরা। আবার কোথাও কোথাও ব্যারিকেডের উপর জাতীয় পতাকা হাতেও দাঁড়িয়ে স্লোগান দিতে দেখা গিয়েছে তাঁদের। উল্লেখ্য, ‘পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজে’র ডাকে সোশাল মিডিয়ায় নবান্ন অভিযানের ডাক দেওয়া হয়। সেই মতো মঙ্গলবার সকাল থেকেই বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ জড়ো হতে থাকেন। কেউ নদীপথে, কেউ বা ট্রেনে আবার কেউ সড়কপথে মিছিল নিয়ে নবান্নের উদ্দেশে মিছিল করতে থাকেন। এদিকে, আন্দোলনকারীদের আটকাতেও কোমর বেঁধে প্রস্তুত ছিল পুলিশও।  

Card image cap

যথাসময়ে প্রমাণ দেব’, বলছে কলকাতা পুলিশ

আন্দোলনের আড়ালে ছিল চক্রান্ত। ছিল বাইরের মদত। লাশের রাজনীতির ছক কষে রাজ্য়কে অশান্ত করে তোলার চেষ্টা করা হয় গণতান্ত্রিক অধিকারের নামে। আন্দোলনের নেপথ্যে ছিল দুষ্কৃতীরা। পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজের ডাকে নবান্ন অভিযান নিয়ে সাংবাদিক সম্মেলনে সাফ জানালেন এডিজি (দক্ষিণবঙ্গ) সুপ্রতিম সরকার। একইসঙ্গে তাঁর দাবি, বড়সড় গন্ডগোলের ছক ছিল। সেই পরিস্থিতি এড়াতেই গতকাল থেকে অন্তত ২৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের অনেকের কাছ থেকেই বোমা-গুলি উদ্ধার হয়েছে। একই কথা শোনা গিয়েছে এডিজি (আইনশৃঙ্খলা) মনোজ ভার্মার গলাতেও।নবান্ন অভিযান ঘিরে কলকাতা ও হাওড়ায় ধুন্ধুমার বাঁধে। পুলিশের অনুমতির তোয়াক্কা না করে জমায়েত হয়। আন্দোলনকারীরা ব্যারিকেড ভাঙেন। পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট ছোড়া হয়। জলকামান ও কাঁদানে গ্যাস ছুড়ে পরিস্থিতির মোকাবিলা করেন। পরিস্থিতি মোকাবিলায় পুলিশ ধৈর্যের পরিচয় দিয়েছে বলে মত পুলিশ কর্তাদের। এ প্রসঙ্গে এডিজি (দক্ষিণবঙ্গ) সুপ্রতিম বলেন, “পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজ ও যৌথ সংগ্রামী মঞ্চের কর্মসূচি ছিল। আমরা অনুমতি দিইনি। আমাদের কাছে নির্দিষ্ট খবর ছিল, সাধারণ মানুষের আবেগকে কাজে লাগিয়ে কিছু দুষ্কৃতী অশান্তি পাকানোর চেষ্টা করবে। আজকে সেই আশঙ্কা সত্যি হয়েছে।” তিনি আরও জানান, “গতকাল থেকে আজ সকাল পর্যন্ত ২৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছি। আরও অনেককে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করেছি। গতকাল রাতে হাওড়া স্টেশন গ্রেপ্তার ৪। তারা খুনের পরিকল্পনা করেছিল। অস্ত্র, বোমা, গুলি নিয়ে অশান্তি পাকানোর ছক ছিল।” এর পরই তাঁর দাবি, ধৃতদের বিরুদ্ধে যথেষ্ট তথ্যপ্রমাণ রয়েছে। যথাসময়ে সেই প্রমাণ দেওয়া হবে। সুপ্রতিম আরও দাবি করেন, “কাল লাশ ফেলতে হবে। বডি ফেলতে হবে। এই ধরনের আলোচনা হোয়াটসঅ্যাপ ও ফেসবুক গ্রুপে পেয়েছি।”আন্দোলনের নামে নবান্ন অভিযানে তাণ্ডবের অভিযোগ এডিজি দক্ষিণবঙ্গের। তিনি বলেন, “আন্দোলনকারীরা সাঁতরাগাছি, হাওড়া ময়দানে পুলিশের অনুরোধ না শুনে ব্যারিকেড ভাঙা, গার্ডরেল ওলটানো, ইট-পাথরবৃষ্টি, পুলিশকে মারধর করা, গাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাণ্ডব করেছে। বাংলায় শান্তি বজায় রাখতে চূড়ান্ত সংযমের পরিচয় দিয়েছে পুলিশ।” তিনি দাবি করেছেন, সোমবার রাত থেকে এদিন ভোর পর্যন্ত ২৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। তার মধ্যে চারজনকে গ্রেপ্তা করা হয় আগ্নেয়াস্ত্র-সহ। এডিজি আইনশৃঙ্খলা মনোজ বর্মা দাবি করেছেন, এ দিনের গোলমালে ৯৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে রাজ্য পুলিশ। কলকাতা পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে ১২৬ জনকে। তাঁদের মধ্যে ২৩ জন মহিলা।পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে নেমে অন্তত ১১  পুলিশকর্মী আহত হয়েছেন।এডিজি আইনশৃঙ্খলা মনোজ ভার্মা বলেন, “যারা চক্রান্ত করেছে, দলমত নির্বিশেষে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সাধারণ মানুষ ফাঁদে পা দেননি। আমি তাঁদের ধন্যবাদ জানাই।”  বুধবার ধর্মঘটের নামে যারা অশান্তি পাকানোর চেষ্টা করবে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি এডিজি আইনশৃঙ্খলার। 

Card image cap

প্রশাসনকে লাথি মারতে পারছ না?মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ি ঘেরাও করো'

রোদ্দুর রায় আবারও আরজি কর কাণ্ড নিয়ে সরব হয়েছেন। সেখানে তিনি সোজাসুজি প্রশ্ন তুলেছেন যে কেন রাত দখল করা হল। এতে সমাধান হবে না বলেই তাঁর মত। আর কী জানালেন তিনি?



কী বলেছেন রোদ্দুর রায়?


রোদ্দুর রায় এদিন একটি ভিডিয়ো পোস্ট করে বলেন, 'পুলিশের নামে কিছু চামচা পুষে রেখে তাঁদেরকে ব্যবহার করে এই কর্তৃপক্ষ।


এই প্রিন্সিপালগুলো যেখানে যত আছে তারা সবাই নিজেদের জায়গায় প্রভুত্ব কায়েম করে একটা মাফিয়া রাজ চালাচ্ছে। ডিয়ার ম্যান এই লোকগুলো দেখলে বোঝা যাচ্ছে, তাঁদের ব্যাকগ্রাউন্ড জানলে বোঝা যাচ্ছে। এবার তোমার তাঁদের মুখোশ খুলতে পারছ না। তাঁদের মদত করছে যে প্রশাসন সেই প্রশাসনকে লাথি মারতে পারছ না। You don't have the guts man. তোমরা রাস্তায় ঘেউ ঘেউ করে কয়েকটা পোস্টার লিখবে, রাত দখল করে বলবে সারারাত আমরা এখানে জাগলাম, মেয়েরা রাস্তা দখল করেছে, তাতে কিচ্ছু যায় আসে না প্রশাসনের। তাঁরা দেখে মুচকি হাসছে। পারলে আরজি কর ঘেরাও করো। পারলে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ি ঘেরাও করো।'


কী ঘটেছে ১৪ অগস্ট?


গত ৯ অগস্ট আরজি কর হাসপাতালের সেমিনার হল থেকে অর্ধনগ্ন অবস্থায় উদ্ধার হয় এক মহিলা চিকিৎসকের দেহ। জানা যায় তিনি ধর্ষিত হয়েছেন। আর সেটারই প্রতিবাদ জানিয়ে বাংলার বিভিন্ন প্রান্তে ১৪ অগস্ট 'রাত দখল' করেন মহিলাটা। যোগ দেন পুরুষরাও। বেঙ্গালুরু, মুম্বইতে চলে জমায়েত। আরজি কর হাসপাতালে এদিন প্রবল ভাঙচুর এবং ধস্তাধস্তি চলে।

Card image cap

এখন কোথায় আছেন মমতা? জানলে চমকে যাবেন

আর জি করের  তরুণী চিকিৎসকের খুনের বিচার চাইতে পথে নেমে আহত একাধিক মহিলা আন্দোলনকারী। কারও ফাটাল মাথা, কেউ মার খেয়ে রাজ্য পুলিশকে বলল 'চটিচাটা'। নবান্ন অভিযান  ঘিরে রণক্ষেত্র রাজপথ। আর জি কর নৃশংস হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজ।


আর সেই আন্দোলন ঘিরে রক্তাক্ত তিলোত্তমা।


আর জি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে ফুঁসছে গোটা বাংলা। আজ মঙ্গলবার নবান্ন অভিযানের  ডাক দিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজ। সংগ্রামী যৌথ মঞ্চও নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছে। সেই প্রতিবাদ আন্দোলন ঘিরে পুলিশ-বিক্ষোভকারীদের খণ্ডযুদ্ধ। সাঁতরাগাছি, হাওড়ার ময়দান, হেস্টিংস, মহাত্মা গান্ধী রোড সহ একাধিক জায়গায় তুলকালাম।


নবান্ন অভিযান ভঙ্গ করতে দফায় দফায় লাঠিচার্জ থেকে জলকামান, কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে পুলিশ। সমস্ত বাধা উপেক্ষা করে একজোট হয়েছে সমস্ত আন্দোলনকারীরা। নবান্ন থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরত্বে পৌঁছে গিয়েছেন বিক্ষোভকারীরা। বেশ কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে। তবুও দমে যাননি বিক্ষোভকারীরা। সকলের একটাই দাবি, 'জাস্টিস চাই, মুখ্যমন্ত্রী পদত্যাগ করুক।'


যেখানে রাজ্য আজ উত্তাল, সেখানে মুখ্যমন্ত্রী বর্তমানে কোথায় রয়েছেন সেই প্রশ্নও উঠছে মানুষের মনে। সূত্রের খবর, মঙ্গলবার সকাল ১১টার কিছু আগে নবান্নে ঢোকেন মমতা । 'পশ্চিমবঙ্গ ছাত্রসমাজে'র ডাকে নবান্ন অভিযানের আগেই নবান্নে পৌঁছে যান মুখ্যমন্ত্রী। অন্যান্য দিনের চেয়ে কিছুটা আগেই এদিন নবান্নে পৌঁছন মমতা। কড়া নিরাপত্তার মাঝে নবান্নে ঢোকেন তিনি।


পরিসংখ্যান অনুযায়ী এদিন মোট ৬ হাজার পুলিশকর্মী শহরের রাস্তায় মোতায়েন রয়েছে। রাজপথে ২৬ জন ডেপুটি কমিশনার আধিকারিকও। পুলিশ আগেই জানিয়েছে যে নবান্ন অভিযানের ডাক দেওয়া হয়েছে তা বেআইনি। কোনও নির্দিষ্ট সংগঠনের তরফে এই অভিযানের ডাক দেওয়া হয়নি। পুলিশের কাছে অনুমতি চেয়ে কোনও আবেদনও জানানো হয়নি।

Card image cap

সরবতে মাদক মিশিয়ে নাবালিকাকে ‘ধর্ষণ’

আর জি কর কাণ্ডের তরুণী চিকিৎসকের হত্যাকাণ্ডে উত্তাল গোটা দেশ। তারই মাঝে মালদহে নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ। সরবতে মাদক
মিশিয়ে একাদশ শ্রেণির নাবালিকা ছাত্রীকে ধর্ষণ করার অভিযোগ। সেই মুহূর্তের ছবি মোবাইলে রেকর্ড করে সোশাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে লাগাতার ধর্ষণের অভিযোগ। ইংরেজবাজার থানার পুলিশের বিরুদ্ধে উঠেছে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ। বাধ্য হয়ে সুবিচারের দাবিতে পুলিশ সুপারের দ্বারস্থ নাবালিকার পরিবারের সদস্যরা।নাবালিকার দাবি, প্রতিবেশী এক যুবকের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয় তার। বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল ওই যুবক। ইতিমধ্যে দুজনের মধ্যে শারীরিক সম্পর্ক তৈরি হয়। সমস্ত ঘটনার ভিডিও করে রাখে। এর পর ওই ভিডিও দেখিয়ে নাবালিকাকে বার বার ব্ল্যাকমেল করত বলেও অভিযোগ। এর পর দিনের পর দিন তাঁকে ধর্ষণ করা হয় বলেও অভিযোগ। তবে নাবালিকা তার প্রতিবাদ করে। ওই যুবক এর পর নাবালিকাকে মারধর করে বলেও অভিযোগ।বাধ্য হয়ে এর পর গোটা ঘটনাটি সে তার পরিবারকে জানায়। নির্যাতিতার পরিবারের দাবি, স্থানীয় থানায় ওই যুবকের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানাতে যা তাঁরা। তবে পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি বলেই অভিযোগ। তাই বাধ্য হয়ে পুলিশ সুপারের দ্বারস্থ হয়েছেন নির্যাতিতার পরিবারের লোকজন। যদিও এখনও অভিযুক্ত যুবককে গ্রেপ্তার বা আটক করা যায়নি। এই ঘটনা নিয়ে ইতিমধ্যেই শুরু জোর রাজনৈতিক তরজা। বিজেপির দাবি, “বর্তমান সরকারের আমলে পুলিশ কোন অপরাধীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে না। আর সে কারণেই অপরাধীরা একের পর এক ঘটনা ঘটিয়ে যাচ্ছে। আর জি করে যা হয়েছে, তারই প্রতিচ্ছবি এই ঘটনা।” গেরুয়া শিবিরকে পালটা জবাব দিয়ে অবশ্য তৃণমূলের আশ্বাস, “আইন আইনের পথে চলবে। অভিযুক্তর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

Card image cap

আর জি কর কাণ্ডে বিপাকে সরকার!

কর্তব্যরত অবস্থায় রাজ্যের সরকারি হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ-হত্যাকাণ্ড এই মুহূর্তে সবচেয়ে আলোড়ন ফেলা এবং আলোচিত ঘটনা। এ নিছক এক নারী নির্যাতনের ঘটনাই, তুলে দিয়েছে হাজারও প্রশ্ন। ঘটনার পরেরদিনই অভিযুক্ত সন্দেহে এক সিভিক ভলান্টিয়ারকে গ্রেপ্তার করেছিল কলকাতা পুলিশ। তার পর অবশ্য মামলার তদন্তভার যায় কেন্দ্রীয় সংস্থা সিবিআইয়ের হাতে। কিন্তু তার পর থেকে আর একজনও গ্রেপ্তার হয়নি। বিরোধী দলগুলির অভিযোগ, ঘটনায় মূল অভিযুক্তকে আড়াল করার চেষ্টা করছে স্বয়ং প্রশাসন। এর জেরে মুখ্যমন্ত্রী-স্বাস্থ্যমন্ত্রী-স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগের দাবি তুলেছে বাম-বিজেপি। এই পরিস্থিতি সরকারের উপর চাপ বাড়ছে, সরকার বিপাকে পড়েছে – এমন প্রচারও চলছে। এই পরিস্থিতিতে অধ্যাপক সংগঠন WBCUPA-র তরফে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে।তাদের বক্তব্য, ”আমাদের মধ্যে অনেকেরই মনে হচ্ছে, এই আর জি কর কাণ্ডে রাজ্য সরকার তথা তৃণমূল বিপাকে পড়েছে। এই ধারণা ছড়ানো হচ্ছে। জনমানসে, মধ্যবিত্তের মাঝে তৃণমূল বিশ্বাস হারিয়েছে। এসব কথা ছড়ানো হচ্ছে। আমাদের মনে হয়, আমাদের শহরকেন্দ্রিক, সমাজমাধ্যম সর্বস্ব, উনিশ শতকীয় ভুয়ো ভাঁওতা রেনেসাঁ বিশ্বাসী মনের প্রতিফলন এটি। আমাদের ব্যক্তিগত ধারণার ফসল। মাটি বিচ্যুত সম্পূর্ণ ভারচুয়াল একটি ভাবনা। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে রাজনৈতিকভাবে পর্যুদস্ত কিছু স্বার্থান্বেষী মানুষের মৃত্যু (বীভৎস, নারকীয় ঘটনা ও মৃত্যু) নিয়ে কাঙালপনা আর হাহাকার! যারা সবাই অলস জীবনে, দেরিদার ভাষায় ইভেন্ট খুঁজি বেড়ায় তাদের বেহায়াপনা। গালভরা কথায় resonate করেছে, তাই রাস্তায় এইসব বলেন। আসলে এটাকে মনস্তত্ত্বের ভাষায় ফ্যাড বলে।”ওয়েবকুপার দাবি, বাস্তব অন্য কথা বলছে। গ্রাম বাংলার চিত্র ভিন্ন। এখন চাষের মরশুম। বর্ষার সময়। সবার মুখে ভাত ও সবজি তুলে দেওয়ার কাজে তাঁরা ব্যস্ত। এ বিষয়ে বিবৃতিতে সংগঠনের সদস্যরা বলছেন, ”বিনিময়ে তাঁদের রুজি হয় হয়তো। কিন্তু জীবনদায়ী বস্তুর কোনও বিনিময় মূল্য হয় না। যাঁদের শহরে কাজের লোক আছে, মাস মাইনের নিশ্চিত জীবন আছে, এই ভয়ংকরতম মানবতা বিরোধী ঘটনা নিয়ে তাঁরা মিডিয়ার সঙ্গে নিয়ে বিলাসিতা দেখাতে পারেন। মনে মনে ঘটনার পুনর্নির্মাণ করেন, ড্রয়িং রুমে নিজেদের হোমে বসে বড় বড় হোম হয়ে উঠছেন। আসলে ওটা অবদমিত যৌনতা এবং পাশবিক আনন্দ।”এমনকী ১৪ আগস্ট মধ্যরাতে আর জি করে হামলার ঘটনারও নিন্দায় মুখর ওয়েবকুপা । তা নিয়ে তাদের বক্তব্য, ”ঘটনার তিনদিন পরে স্বাধীনতা দিবসকে কেন্দ্র করে একটি আড়াল থেকে সংগঠিত মুখোশধারী ‘মাকু’ কিছু স্বতঃস্ফূর্ত মানুষকে ভিড়ে ঠেলে নিজেদের ফায়দা লোটার চেষ্টা করেছিলেন মধ্যরাতে। তারপর থেকে পুরোটা রাজনৈতিক খেলা। রামেরা ঘাবড়ে আছে বামেরা বুঝি বেশি স্কোর করলো, আবার মাকুরা ভাবছে শূন্যের মহিমা কীর্তন করতে গিয়ে আমরা পিছিয়ে পড়লাম না তো? এর ফলে একটা অসুস্থ প্রতিযোগিতার আমদানি হয়েছে, আর যার শিকার প্রতিদিন আমজনতা অফিস যাওয়া কিংবা ফেরা, বিশেষত ফেরার সময় হচ্ছেন, যাঁদের বাসে, ট্রেনে যাতায়াত একটু কান পাতলেই শুনতে পাবেন। এখন এই ফেসবুকীয়, হোয়াটসঅ্যাপি মানুষজন একটু জেগে উঠেছেন, বিংশ শতাব্দীর শুরুতে আমাদের বাংলায় যে স্বদেশী আন্দোলনের হুজুগ উঠেছিল, ঠিক ওই একই রকম কায়দায়, মিছিল আয়োজন করছেন। মিছিলে যোগ দিতে হয়, না হলে পিছিয়ে পড়তে হয়, তার ডিপি দিতে হয়, স্ট্যাটাস দিতে হয়, ডিপিতে কখনও প্রতিবাদী আলো মোমবাতি আবার কখনও আলো নিভে গেছে নিস্তেজ অন্ধকার দেখাতে হয়। রাস্তায় না বেরলে ঠিক ঠিক প্রতিবাদী হওয়া যায় না। আপনাকে ভারচুয়াল সমাজে একঘরে করে দেওয়া হবে। তার ভয় আছে। সবই ওই স্বদেশী সময়ের দৃশ্য, ছবি।”এই ঘটনার পর পর বিরোধীরা রাজ্য সরকারের ‘লক্ষ্ণীর ভাণ্ডার’ প্রকল্প নিয়ে কটাক্ষ শুরু হয়েছিল। তা নিয়ে শাসকদলের অনেকেই তোপ দেগেছেন। অধ্যাপক সংগঠনের তরফে বলা হচ্ছে, ”গ্রামবাংলার মেয়েরা লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের সঙ্গে আছে। বাজার গরম করে লাভ নেই। জ্বালা আমরা বুঝি, ভোটের সময় লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বাড়িয়ে দেব, আর হেরে গিয়ে মাস্টার স্ট্রোকের বিরোধিতা করব। এসব পুরোনো খেলা আর খেলবেন না। মানুষের পাশে যান, মানুষকে বুঝুন সঙ্গে থাকুন, তাতেই রাজনৈতিক স্কোর বাড়বে। খুনির কথা, হতভাগ্য মেয়েটির কথা না বলে কলকাতা তথা বাংলাকে হারিয়ে দেওয়ার, বদনাম করার চক্রান্ত ধরা পড়ে গিয়েছে। সরকারি স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উপর সাধারণ মানুষের জীবন বাঁচে। চক্রান্ত করে সেই ব্যবস্থাকে অচল করলে গ্রাম শহরের সাধারণ মানুষ আপনাদের ছাড়বে না। এই ফেকু আন্দোলনের বিসর্জনের দিন ঘনিয়ে এসেছে। শুধু কয়েকটা দিনের অপেক্ষা।”

Card image cap

সম্পূর্ণ বেআইনি কর্মসূচি’, নবান্ন অভিযান নিয়ে দাবি রাজ্য পুলিশের

আর জি কর কাণ্ডের সুবিচার, মুখ্যমন্ত্রী-স্বাস্থ্যমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবিতে মঙ্গলবার নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছে ‘অরাজনৈতিক’ সংগঠন পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজ। সেই প্রতিবাদ কর্মসূচি ঘিরে যে ব্যাপক অশান্তি ছড়াতে পারে,  আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে, আসলে এটি অশান্তির ষড়যন্ত্র – এমন অভিযোগ বারবার শোনা গিয়েছে শাসকদলের নেতাদের গলায়। এবার রাজ্য পুলিশের এই প্রতিবাদ মিছিলকে ‘বেআইনি’ বলে ঘোষণা করে দিল।সোমবার নবান্ন থেকে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ADG, আইনশৃঙ্খলা মনোজ বর্মা জানালেন, ”কোনও ছাত্র সংগঠনের তরফে আমাদের কাছে ২৭ আগস্টের অভিযান নিয়ে কোনও অনুমতি চায়নি। নবান্ন উচ্চ নিরাপত্তার এলাকা। রাজ্যের প্রশাসনিক ভবন। এখানে কোনও অনুমতি ছাড়া কোনও কর্মসূচি পালন করা যায় না। তাই এই মিছিল বেআইনি।”  তাঁর আরও সতর্কবার্তা,  এর আড়ালে প্রতিবাদীদের সঙ্গে মিশে কেউ বা কারা অশান্তি ছড়াতে পারে। সাধারণ মানুষকে এসব থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দিচ্ছে পুলিশ। যদিও মঙ্গলবার শহরের আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে বাড়তি পুলিশ মোতায়েন থাকবে। রাজ্যের এডিজি, আইনশৃঙ্খলা মনোজ বর্মা বলেন, ”নবান্ন নয়, অন্য কোনও জায়গায় এই মিছিলের অনুমতি চাইলে পুলিশ তা দিতে প্রস্তুত।  আর তাছাড়া ২৭ তারিখ NET আছে। পরীক্ষা দেবেন বহু পরীক্ষার্থী। তাঁদের যাতে পথেঘাটে কোনও সমস্যা না হয়, তার জন্য় পুলিশ সবরকমভাবে তৈরি। রাস্তায় অতিরিক্ত বাস থাকবে।” গোয়েন্দা দপ্তরের রিপোর্টে এই বেআইনি মিছিলের আড়ালে দুষ্কৃতীরা ঢুকে অশান্তি বাঁধাতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে, এমনই জানিয়েছেন মনোজ বর্মা।

Card image cap

আর জি কর আবহে মুখ্যমন্ত্রীকে পালটা চিঠি কেন্দ্রের

আর জি কর কাণ্ডে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ধর্ষণের দ্রুত বিচার চেয়েছিলেন। কড়া আইন কার্যকর করার দাবি জানিয়েছিলেন। এবার মমতাকে পালটা চিঠি লিখলেন কেন্দ্রীয় নারী ও শিশুকল্যাণ মন্ত্রী অন্নপূর্ণা দেবী। তাঁর অভিযোগ, বাংলায় ৪৮ হাজার ৬০০টি ধর্ষণ ও পকসো মামলা ঝুলে রয়েছে। তার পরেও রাজ্য সরকার অনুমোদিত অধিকাংশ ফাস্ট ট্র্যাক কোর্ট গঠন করেনি। পকসো মামলার জন্য মাত্র ৬টি ফাস্ট ট্র্যাক কোর্ট তৈরি হয়েছে।প্রধানমন্ত্রীকে লেখা মুখ্যমন্ত্রীর চিঠিতে দাবি জানানো হয়েছিল, দেশে ধর্ষণ এবং নারী নির্যাতন রুখতে কড়া আইন আনতে হবে। আজকের চিঠিতে এর জবাবে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জানিয়েছেন, ধর্ষণ ও নারী নির্যাতন রুখতে দেশে যথেষ্ট কড়া আইন রয়েছে। ধর্ষণ ও গণধর্ষণের মামলায় কেন্দ্রীয় সরকারের নতুন আইনের শাস্তির ধারাগুলি উল্লেখ করেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। তবে এই আইন কার্যকরের বিষয়টি সম্পূর্ণ রাজ্য সরকারের হাতে রয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।মুখ্যমন্ত্রী নিজের চিঠিতে এই ধরনের মামলার বিচার প্রক্রিয়া দ্রুত করতে আর্জি জানিয়েছিলেন কেন্দ্রকে। জবাবে মন্ত্রী জানিয়েছেন, ধর্ষণের দ্রুত বিচার নিয়ে প্রকল্প চালু করেছে কেন্দ্র। কিন্তু সেই প্রকল্প বাংলায় ঠিকমতো কার্যকর করা হয়নি বলে দাবি তাঁর। মন্ত্রী জানিয়েছেন, ২০১৯ সালে ফাস্ট ট্র্যাক কোর্ট প্রকল্প চালু করেছিল কেন্দ্র। বাংলার জন্য প্রথমে ১২৩টি কোর্টের অনুমোদন করা হয়েছিল। এর মধ্যে ২০টি ছিল পকসো মামলার বিচারের জন্য। কিন্তু ২০২৩ সালের জুন মাস পর্যন্ত একটিও কোর্টও চালু করা হয়নি। এর পর ওই বছরের ৮ জুন কেন্দ্রকে চিঠি দেয় রাজ্য। যেখানে তারা এই প্রকল্পে অংশ নিতে চায়। সেই সময় রাজ্যকে ১৭টি ফাস্ট ট্র্যাক অনুমোদিত হয়। ২০২৪ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত ছটি পকসো ফাস্ট ট্র্যাক কোর্ট চালু হয়েছে। ২০২৪ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত ছটি পকসো ফাস্ট ট্র্যাক কোর্ট চালু হয়েছে। কেন্দ্রের দাবি, এ রাজ্যে ৪৮ হাজার ৬০০টি ধর্ষণ এবং পকসো মামলার বিচার ঝুলে রয়েছে। তা সত্ত্বেও অনুমোদন দেওয়া বাকি ১১টি কোর্ট চালু করতে পারেনি রাজ্য সরকার। 

Card image cap

‘দোষীকে আড়াল করার চেষ্টা চলছে’

তরুণী চিকিৎসকের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের পর আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে বেড়েছে নিরাপত্তা। মোতায়েন হয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। তবে তা সত্ত্বেও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। দোষীকে এখনও আড়াল করার চেষ্টা চলছে বলেই অভিযোগ তাঁর। আর তার জেরে কর্মবিরতির সিদ্ধান্তে এখনও অনড় জুনিয়র চিকিৎসকরা।রবিবার দুপুরে আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল চত্বরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন আন্দোলনকার জুনিয়র চিকিৎসকরা। তাঁদের অভিযোগ,”কেউ নিরাপদ নন। দোষীরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। স্বাস্থ্যভবনের মদতে দোষীকে আড়াল করার চেষ্টা চলছে। চিকিৎসক খুনে অসংবেদনশীল আচরণ স্বাস্থ্যভবনের। মেডিক্যাল কলেজে ভয়ের রাজনীতি বন্ধ করতে হবে। স্বচ্ছ, সুষ্ঠ নির্বাচন করতে হবে। গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে যাতে জুনিয়র চিকিৎসকরা কমিটিতে থাকতে পারেন, তার বন্দোবস্ত করতে হবে। যারা সুবিচার পেতে বাধা তৈরি করছে, তাদের সামনে আনা হোক। তথ্যপ্রমাণ লোপাটে যাঁরা যুক্ত তাদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নিতে হবে। দোষীদের দ্রুত চিহ্নিত করতে হবে।”শনিবার স্বাস্থ্যভবনের শীর্ষকর্তারা বৈঠকে বসেন। তাতে জুনিয়র চিকিৎসকদেরও যোগ দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়। তবে তা প্রত্যাহার করেন আন্দোলনকারীরা। তাঁদের বক্তব্য, “রুদ্ধদ্বার বৈঠকে কোনও সমঝোতা চলবে না। সকলের চোখের আড়ালে মিটমাটের চেষ্টা আন্দোলনকে খাটো করে দেখা।” এদিন আরও একবার সন্দীপ ঘোষের সাসপেনশন এবং পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলের পদত্যাগ দাবি করেন আন্দোলনরত জুনিয়র চিকিৎসকরা।কর্মবিরতির সিদ্ধান্তে যে তাঁরা অনড়, তা সাফ জানিয়ে দেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। পরবর্তী কর্মসূচির কথাও জানিয়ে দেন। রবিবার বিকেলে আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে সংহতি সভার ডাক দেওয়া হয়েছে। তাতে বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজের জুনিয়র চিকিৎসকদের অংশ নেওয়ার কথা। সোমবার বিকেলে কলকাতা মেডিক্যালে গণ কনভেনশন। কেন আর জি করের বদলে কলকাতা মেডিক্যালে গণ কনভেনশন, সে কারণও স্পষ্ট করেন জুনিয়র চিকিৎসকরা।
তাঁরা জানান, “আমরা এর আগে গণ কনভেনশন আয়োজন করতে চেয়েছিলাম। যেহেতু এখানে কেন্দ্রীয় বাহিনী রয়েছে, তাই অনুমতি প্রয়োজন ছিল। তাই কলকাতা মেডিক্যালে করা হবে।” সিবিআই তদন্তে পূর্ণ আস্থা রয়েছে জুনিয়র চিকিৎসকদের। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকদের তদন্তে কোন নতুন তথ্য উঠে আসে, সেদিকেই তাকিয়ে আন্দোলনকারীরা।

Card image cap

আরও ৪৮ ঘণ্টা রাজ্যজুড়ে দুর্যোগ!

নিম্নচাপের জেরে গত কয়েকদিন ধরে বৃষ্টি চলছে রাজ্যজুড়ে। বিভিন্ন এলাকা রীতিমতো জল থইথই অবস্থা। কবে বৃষ্টি থামবে সেই অপেক্ষায় সকলে। হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, এখনই রেহাই মিলবে না বৃষ্টি থেকে। মঙ্গলবার অবধি দক্ষিণবঙ্গে চলবে বৃষ্টি। উত্তরবঙ্গের পার্বত্য এলাকাতেও ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা। মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যাওয়ার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
নিম্নচাপ ক্রমশ ঝাড়খণ্ডের দিকে যাচ্ছে। বাংলাদেশ থেকে সরে দক্ষিণবঙ্গের উত্তরভাগ এবং ঝাড়খন্ড সংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে এটি। মূলত এই নিম্নচাপ  উত্তর-পূর্ব ঝাড়খণ্ডের অবস্থান করবে আগামী ২৪ ঘন্টায় । তারপর আরো ঝাড়খণ্ডের দিকে সরে যাবে বাংলা থেকে।  এদিকে উত্তর বঙ্গোপসাগরে নতুন করে ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হয়েছে। এছাড়াও মৌসুমী অক্ষরেখার সক্রিয়।  বিকানীর থেকে  রোহতক, হামিরপুর সিদ্ধি হয়ে ঝাড়খন্ড হয়ে  বাংলা সংলগ্ন নিম্নচাপের উপর দিয়ে দিঘা হয়ে দক্ষিণ পূর্ব দিকে এগিয়ে পূর্ব মধ্য বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। হাওয়া অফিস জানাচ্ছে, এর ফলেই আগামী দু’দিন  বৃষ্টি হবে কলকাতা-সহ দক্ষিণের সব ক’টি জেলায়। এদিকে জন্মাষ্টমীতে (সোমবার) একটি নিম্নচাপ তৈরি হতে পারে বঙ্গোপসাগরে। আপাতত আছে ঘূর্ণাবর্ত, নিম্নচাপ অক্ষরেখা । তার ফলে আগামী কয়েকদিন পশ্চিমবঙ্গের একাধিক জেলায় প্রবল বৃষ্টি হবে।
উত্তর বঙ্গোপসাগরের উপরে একটি ঘূর্ণাবর্ত অবস্থান করছে।  যা সোমবারের মধ্যে ওই এলাকার উপরেই নিম্নচাপে পরিণত হবে। যে মৌসুমী অক্ষরেখা আছে, সেটি উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে মিশে যাচ্ছে। একটি অক্ষরেখাও বিস্তৃত আছে। তার ফলে আগামী কয়েকদিন পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় ভারী বৃষ্টি হবে। হাওয়া অফিস জানাচ্ছে, আগামী বৃষ্টি হবে কলকাতা-সহ দক্ষিণের সব ক’টি জেলায়। ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির কমলা সতর্কতা জারি হয়েছে দুই ২৪ পরগনা, দুই মেদিনীপুর, হুগলি, বাঁকুড়া, বীরভূম, পূর্ব বর্ধমান এবং পশ্চিম বর্ধমানে। এই জেলাগুলিতে ৭ থেকে ২০ সেন্টিমিটার বৃষ্টি হতে পারে। ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে কলকাতা, ঝাড়গ্রাম, নদিয়া, মুর্শিদাবাদ ও পুরুলিয়ায়। সেখানে ৭-১১ সেন্টিমিটার বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। রবিবার অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা রয়েছে পুরুলিয়া, পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম জেলায়। ভারী বৃষ্টির সতর্কতা থাকবে দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা,পূর্ব বর্ধমান, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর এবং ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া জেলাতে। সোমবার ভারী বৃষ্টির সতর্কতা পুরুলিয়া, পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম জেলায়। বাকি জেলাতে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সতর্কতা। ২৬ অগাস্টের পর থেকে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে বৃষ্টির পরিমাণ কমবে।উপকূলে ভারী বৃষ্টির কারণে  মৎস্যজীবীদের জন্য সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে।  রবিবার পশ্চিমবঙ্গ ও ওড়িশার মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। 

Card image cap

তৃণমূল করতে চাপ ছাত্রীকে!

আর জি করে তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ-হত্যাকাণ্ডের কিনারা এখনও দূর অস্ত। সিবিআই তদন্তে এখনও তেমন অগ্রগতি দেখা যায়নি। এই আবহেই এবার বিস্ফোরক অভিযোগ উঠল কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে। অশান্তি এত দূর গড়াল যে ডিন অফ স্টুডেন্টসকে বদলি করা হয়েছে। মানব নন্দীর পরিবর্তে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে অরূপ মুখোপাধ্যায়কে। যে চার অধ্যাপকের বিরুদ্ধে এমন বিস্ফোরক অভিযোগ উঠেছে, তাঁদের আপাতত কাজ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত তাঁরা কলেজে আসবেন না, এমনই জানানো হয়েছে।ঘটনা ঠিক কী? কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের এক ছাত্রীর অভিযোগ, তাঁকে শাসকদলের হয়ে কাজ করার জন্য চাপ দিচ্ছেন কলেজেরই চার অধ্যাপক। ভালোভাবে পড়াশোনা করতে হলে তাঁদের শর্ত মেনে চলতে হবে বলে হুমকিও দেওয়া হয়েছে। অন্যথায় ছাত্রীকে পরীক্ষায় ফেল করানো হবে, অধ্যাপকদের বিরুদ্ধে সেই অভিযোগ তোলেন ওই ছাত্রী। প্রথমে তিনি এসব অভিযোগ জানান হস্টেল সুপারকে। সুপার এক অধ্যাপকের কাছে তা জানাতে বলেন। অভিযোগকারী ছাত্রীর দাবি, সেখানেও একই অভিজ্ঞতার শিকার হন তিনি। অর্থাৎ ‘চাপ’ অব্যাহত ছিল। এ বিষয়ে ডিন অফ স্টুডেন্টসও তাঁকে কোনও সাহায্য করেননি বলে অভিযোগ।এর পর ওই ছাত্রী মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ জানান। অধ্যক্ষ অভিযোগকে যথেষ্ট গুরুত্ব সহকারে দেখেন এবং কমিটি গঠন করে তার খোঁজখবর নেন। যে চার অধ্যাপকের বিরুদ্ধে ওই ছাত্রীকে তৃণমূলের হয়ে কাজ করার জন্য চাপ দেওয়া হয় বলে অভিযোগ উঠেছিল, তাঁরা সকলেই কমিটির রিপোর্টে দোষী সাব্যস্ত হন। অধ্যক্ষ জানিয়ে দেন, ওই চারজন আপাতত কলেজের কাজ থেকে বিরত থাকবেন। এদিকে, অভিযোগ পাওয়া সত্ত্বেও ‘নিষ্ক্রিয় ভূমিকা’র কারণে বদলি করা হয়েছে ডিন অফ স্টুডেন্ট মানব নন্দীকে। তাঁর জায়গায় নতুন ডিন অরূপ মুখোপাধ্যায়।