CATEGORY state:

Card image cap

আরজি কর চত্বরে জমায়েতে না

আরজি কর হাসপাতাল সংলগ্ন এলাকায় কোনও রকম বড় জমায়েতে নিষেধাজ্ঞা জারি করল কলকাতা পুলিশ। শনিবার এই মর্মে বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানানো হয়েছে, ২৫ আগস্ট থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত হাসপাতাল চত্বরে নির্দিষ্ট এলাকায় জারি থাকবে ১৪৪ ধারা (ভারতীয় ন্যায় সংহিতা অনুযায়ী ১৬৩ ধারা)। নির্দেশিকা অমান্য করলে নেওয়া হবে কড়া পদক্ষেপ।মহিলা চিকিৎসক ধর্ষণ ও খুনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে আর জি কর হাসপাতাল ও সংলগ্ন এলাকায় বার বার অশান্তি ছড়িয়েছে। শহর জুড়ে প্রতিদিন কোথাও না কোথাও চলছে বিক্ষোভ মিছিল। রাজনৈতিক দলের পাশাপাশি সমাজের বিশিষ্টজনেরাও যোগ দিচ্ছেন আন্দোলনে। এই পরিস্থিতিতে হাসপাতাল চত্বরে শান্তি বজায় রাখতে বড় জমায়েতে আগেই নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল কলকাতা পুলিশ। ২৪ আগস্ট অর্থাৎ শনিবার পর্যন্ত ছিল সেই নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ। এবার আরও ৭ দিনের জন্য বাড়ানো হল নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ।শনিবার রাতে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে কলকাতা পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল জানিয়েছেন, উল্টোডাঙা ও টালা পুলিশ স্টেশনের অধীনে বেলগাছিয়া রোড, জে কে মিত্র রোড ক্রসিং, শ্যামবাজার পাঁচ মাথার মোড়ে জারি থাকবে ১৪৪ ধারা। বেলগাছিয়া রোডের উত্তর ও দক্ষিণ অংশেও পাঁচজনের বেশি মানুষ জমায়েত করতে পারবেন না। ফলে হাসপাতাল চত্বরে আন্দোলনে অনেকটাই রাশ টানা যাবে বলে মনে করছে পুলিশ।তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ, খুনের ঘটনায় উত্তাল গোটা রাজ্য। হাসপাতালে কর্মবিরতি চলছে। সুবিচার চেয়ে পথে নেমেছে রাজনৈতিক দল থেকে নাগরিক সমাজ। হাসপাতাল চত্বরে আন্দোলনে শামিল হচ্ছে একাধিক সংগঠন। যার ফলে যান চলাচলে সমস্যার পাশাপাশি হাসপাতালে ভর্তি থাকা রোগীদেরও সমস্যা হচ্ছে বলে অভিযোগ। পরিস্থিতি সামাল দিতে এবার ১৪৪ ধারা জারি করল কলকাতা পুলিশ।

Card image cap

সাতসকালে সন্দীপের বাড়িতে সিবিআই

সাতসকালে আর জি করের পদত্যাগী অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের বাড়িতে সিবিআই হানা। এদিন সাড়ে ৬ টা নাগাদ নাগাদ আধিকারিকরা তাঁর বেলেঘাটার বাড়িতে যান। দীর্ঘক্ষণ ডাকাডাকি করার পর বের হন সন্দীপ। ঘড়ির কাঁটায় ৮ টা বেজে ৬ মিনিট নাগাদ দরজা খোলেন। ভিতরে প্রবেশ করেন আধিকারিকরা। পাশাপাশি আর জি করের প্রাক্তন সুপার সঞ্জয় বশিষ্ঠ ও আরেক চিকিৎসক দেবাশিস সোমের কেষ্টপুরের বাবাড়িতেও হানা দিয়েছে সিবিআই।আর জি কর হাসপাতালে চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার পর থেকেই নজরে প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ ভুরিভুরি। ইতিমধ্যেই তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতির অভিযোগের তদন্তভার হাতে পেয়েছে সিবিআই। এর পরই রবিবার সকাল সাড়ে ৬ টা নাগাদ সন্দীপের বেলেঘাটার বাড়িতে যান সিবিআই আধিকারিকরা। সঙ্গে কেন্দ্রীয় বাহিনী। দীর্ঘ ডাকাডাকির পর সন্দীপ বের হন। প্রথমেই বাইরের দরজার ফাঁক থেকে আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলে ভিতরে চলে যান। এর পর দীর্ঘক্ষণ বাইরে অপেক্ষা করেন আধিকারিকরা। এর পর এক পর্যায়ে স্থানীয় থানায় যায় সিবিআই। দরজা না খুললে কীভাবে প্রবেশ করা হবে, তা নিয়ে ভাবনাচিন্তা শুরু হয়।এরই মাঝে ৮ টা বেজে ৬ নাগাদ সন্দীপ ঘোষ দরজা খোলেন। প্রথমে ৭ জন সিবিআই আধিকারিক ভিতরে যান। পরে ঢোকেন আরও একজন। এদিন মোট ১৫ জায়গায় হানা দেয় সিবিআই। তার মধ্যে রয়েছে আর জি করের প্রাক্তন সুপার সঞ্জয় বশিষ্ঠের দুটি বাড়ি, ফরেন্সিক মেডিসিনের অধ্যাপক দেবাশিস সোম। এই হানায় কী তথ্য উঠে আসছে সেদিকেই নজর সকলের।

Card image cap

দিল্লি থেকে কলকাতায় সিবিআইয়ের বিশেষ টিম

অনুমতি পাওয়া গিয়েছে আগেই। আর সময় নষ্ট করতে চান না সিবিআই আধিকারিকরা। সূত্রের খবর, শনিবারই সিজিও কমপ্লেক্সে চলছে সন্দীপ ঘোষের পলিগ্রাফ টেস্ট। বাকিদেরও পলিগ্রাফ পরীক্ষা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ইতিমধ্যে নাকি দিল্লি থেকে কলকাতায় এসে পৌঁছেছেন সিবিআইয়ের বিশেষ টিম। তাঁদের উপস্থিতিতে চলছে পলিগ্রাফ পরীক্ষা। এই পরীক্ষার রিপোর্ট হাতে আসার পর খুলবে রহস্যের জট, উঠছে প্রশ্ন।গত ৮ আগস্ট, নাইট শিফটে ছিলেন তরুণী চিকিৎসক। তার পরদিন সেমিনার হল থেকে দেহ উদ্ধার হয়। সেই সময় প্রায় বিবস্ত্র অবস্থায় ছিলেন তরুণী। গায়ে ছিল ক্ষতচিহ্ন। অভিযোগ, তাঁকে ধর্ষণ ও খুন করা হয়েছে। ওই ঘটনার সময় আর জি কর হাসপাতাল ও মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ ছিলেন সন্দীপ। তাঁর পদত্যাগের দাবিতে সোচ্চার হয়ে ওঠেন পড়ুয়া চিকিৎসকরা। তৎকালীন অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে ভুরি ভুরি অভিযোগে সরব হন আন্দোলনকারীরা। অবশেষে এই ঘটনার ‘নৈতিক দায়’ নিয়ে ‘স্বেচ্ছা’য় পদত্যাগ করেন সন্দীপ।সিবিআই আধিকারিকরা মনে করছেন, এই ঘটনার কিনারায় সন্দীপের থেকে পাওয়া তথ্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সে কারণেই তদন্তভার নেওয়ার পরই তাঁকে নোটিস পাঠায় সিবিআই। গত ১৬ আগস্ট থেকে টানা ৯ দিন ধরে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদও করা হচ্ছে সন্দীপকে। শুক্রবারই শিয়ালদহ আদালতে তাঁর পলিগ্রাফ টেস্টের অনুমতি চায় সিবিআই। অনুমতিও মেলে। তার পর শনিবারই শুরু হয়েছে পলিগ্রাফ টেস্টের প্রক্রিয়া। এদিকে, সন্দীপ ঘোষ ছাড়া আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের চার পড়ুয়া এবং মূল অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়ের পলিগ্রাফ টেস্টও করানোর কথা।উল্লেখ্য, পলিগ্রাফ আদতে লাই ডিটেক্টর মেশিন। যাঁর পলিগ্রাফ করা হচ্ছে তাঁর শ্বাস-প্রশাসের পদ্ধতি বলে দেবে কোন তথ্য ঠিক আর কোনটা ভুল। রক্তচাপ, হৃদস্পন্দন বাড়া-কমাতেও স্পষ্ট হয় সত্যি-মিথ্যের ফারাক। শরীর মস্তিষ্ক প্রশ্নের উত্তরে কীভাবে সাড়া দিচ্ছেন তা পলিগ্রাফে প্রকাশিক হয়। সঠিক উত্তর পেতে একাধিক অপশন দিয়ে অভিযুক্তের শরীর ভাষার বদল খেয়াল করলেই মেলে উত্তর। তবে পলিগ্রাফ টেস্টের রিপোর্ট একশো শতাংশ ভরসাযোগ্য কিনা, তা নিয়ে মতানৈক্য রয়েছে।

Card image cap

আর্থিক দুর্নীতিতে সন্দীপের বিরুদ্ধে FIR

আরও বিপাকে আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ। এবার আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগে তাঁর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করে দুর্নীতির তদন্ত শুরু করল সিবিআই। তবে কি এবার তাঁর গ্রেপ্তারি সময়ের অপেক্ষা? উঠছে প্রশ্ন।কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে শনিবার সকালে নিজাম প্যালেসের সিবিআই দপ্তরে গিয়ে যাবতীয় নথি হস্তান্তর করে SIT। নথি হাতে পাওয়ার পরেই এফআইআর দায়ের করে সিবিআই। আলিপুর আদালতে নথিপত্রও জমা দিয়েছে তারা। এবার এই তদন্তে কোনও তথ্য উঠে আসে সেটাই এখন দেখার। তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ, খুনের মামলায় বিপাকে আর জি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ। টানা ৯ দিন ধরে সিবিআই তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। এর মাঝেই তাঁর আমলে আর জি করে হওয়া আর্থিক দুর্নীতির তদন্তে সিট গড়ে রাজ্য। তদন্তও শুরু করে। এর মাঝেই সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে ইডি তদন্ত চেয়ে গত ২১ আগস্ট কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন তাঁরই প্রাক্তন সহকর্মী আখতার আলি। তিনি ওই হাসপাতালের প্রাক্তন ডেপুটি সুপার। সন্দীপের বিরুদ্ধে ইডি তদন্ত চেয়ে মামলা দায়ের করেন তিনি। হাই কোর্টের বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজ সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেন। শনিবার সকাল ১০টার মধ্যে সমস্ত নথি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাটির হাতে তুলে দিতে হবে কলকাতা পুলিশের স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিমকে (সিট) তথা বিশেষ তদন্তকারী দলকে। সেই মতো এদিন নথি হস্তান্তরিত হয়। এফআইআর দায়ের করে তদন্তও শুরু হয়েছে। 

Card image cap

কর্মবিরতি চালিয়ে যাবেন জুনিয়র চিকিৎসকরা

টানা প্রায় দু সপ্তাহ ধরে রাজ্যের বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালের জুনিয়র চিকিৎসকরা কর্মবিরতি করছেন। আর জি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ-খুনের ঘটনার সুবিচারের দাবিতে তাঁদের এই আন্দোলন। যদিও হাই কোর্ট থেকে সুপ্রিম কোর্ট, রাজ্য সরকারের তরফে দফায় দফায় কর্মবিরতি প্রত্যাহারের আবেদন জানানো হয়েছে। কিন্তু তদন্তের অগ্রগতি না জানা পর্যন্ত তাঁরা কাজে যোগ দেবেন না বলে সিদ্ধান্তে অনড়। শনিবার স্বাস্থ্যভবনের কর্তাদের সঙ্গে জুনিয়র চিকিৎসকরা বৈঠক করেন। কিন্তু সেই বৈঠকেও গলল না বরফ। সূত্রের খবর, এবারও তাঁরা কর্মবিরতি প্রত্যাহারে নারাজ।আর জি কর হাসপাতালের ঘটনার তদন্তভার সিবিআইয়ের হাতে।  দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকে কতটা অগ্রগতি হল, তা জানতে শুক্রবার আন্দোলনরত চিকিৎসকরা গিয়েছিলেন সিজিও কমপ্লেক্সে। কিন্তু তাদের তরফে কোনও সদুত্তর না পেয়ে সেখান থেকে বেরিয়েই তাঁরা জানিয়েছিলেন,  এখনই কর্মবিরতি তুলছেন না তাঁরা। যদিও স্বাস্থ্যভবনের কর্তারা বার বার আবেদন করেছেন, কর্মবিরতি তুলে কাজে যোগ দিতে। তাতে নারাজ জুনিয়র চিকিৎসকরা।শনিবার সেই জট কাটাতে স্বাস্থ্যভবনেই বৈঠকে ডাকা হয়েছি জুনিয়র চিকিৎসকদের। কিন্তু সেই বৈঠকেও কাটল না জট। আন্দোলনকারীদের দাবি, কে খুনি, মোটিভ কী ছিল, আরও কারা জড়িত – এসব মৌলিক প্রশ্নের উত্তর না পাওয়া পর্যন্ত জুনিয়র ডাক্তাররা কর্মবিরতি চালিয়ে যাবেন। তবে সূত্রের খবর, সন্ধের পর বেসরকারি হাসপাতালগুলির তরফে বৈঠকে বসা হবে। চার হাসপাতালের কর্তৃপক্ষ আলোচনায় যোগ দেবে। সেখানে কোনও চিকিৎসা পরিষেবা স্বাভাবিক করতে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে। 

Card image cap

২৭-এ ‘নিশ্ছিদ্র দুর্গ’ নবান্ন

ছাত্র সমাজের ডাকে ২৭ তারিখ নবান্ন অভিযান। আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের প্রতিবাদে মঙ্গলবার ফের উত্তাল হবে কলকাতা। গোয়েন্দাদের আশঙ্কা, এই মিছিলের আড়ালে বড়সড় অশান্তি পাকানোর ছক কষা হয়েছে। সে কথা মাথায় রেখেই নবান্ন অভিযানের দিন কার্যত ‘দুর্গে’ পরিণত করা হচ্ছে নবান্ন এবং তার চারপাশের এলাকাকে। নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকছেন পুলিশের উচ্চপদস্থ কর্তারা। ইতিমধ্যে এলাকা পরিদর্শন শুরু হয়ে গিয়েছে।সূত্রের খবর, ওই দিন নবান্ন ও ওই চত্বরের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকছেন ২১ জন আইজি এবং ডিআইজি পদমর্যাদার অফিসার। থাকছেন ১৩ জন এসপি ও ডিসি পদমর্যাদার অফিসার। এডিসিপি বা এসিপি পদমর্যাদার অফিসার থাকছেন ১৫ জন। নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবেন ২২ জন এসি/ ডেপুটি এসপি পদমর্যাদার পুলিশ আধিকারিকও। এছাড়া ২৬ জন ইনস্পেক্টর পদমর্যাদার অফিসার-সহ দুই হাজারের বেশি পুলিশ মোতায়েন করা হবে বলে সূত্রের খবর। আজ অর্থাৎ শনিবার থেকেই উচ্চপদস্থ কর্তারা এলাকা পরিদর্শন করতে শুরু করেছেন। বিশেষত নবান্নের আশপাশের এলাকা পরিদর্শন করছেন তাঁরা।গোয়েন্দা পুলিশের শীর্ষস্তরের এক সূত্র জানাচ্ছে, আর জি কর ইস্যুতে আগামী ২৭ আগস্ট ছাত্র সমাজের নাম করে ডাকা নবান্ন অভিযানের দিন বড়সড় অশান্তি পাকানোর ছক করা হয়েছে। ঘষেমেজে এই পরিকল্পনাকে নিখুঁত রূপ দিতে মাঠে নেমেছে বিরোধী পক্ষ। ছাত্র সমাজের নামে এই আন্দোলনের পিছনে রয়েছে, বিজেপি তা পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে। বামেদের একাংশও যোগ দিতে পারে গেরুয়া শিবিরের এই কর্মসূচিতে। বামেদের বিভিন্ন ফেসবুক পেজ থেকে শুরু করে এবিভিপি ও আরএসএসের ছদ্মনামের প্রোফাইল থেকে পোস্ট করা হচ্ছে এই কর্মসূচির। ওই আন্দোলন থেকে যাতে অপ্রীতিকর কোনও ঘটনা না ঘটে তাই বিশাল নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।

Card image cap

এটি ইউক্রেন-ভারতের সবচেয়ে বড় চুক্তি

শুক্রবার ইউক্রেন সফরে যান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কিভে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে দেখা করেন তিনি। ইউক্রেন-রাশিয়া দ্বন্দ্বের সমাধান নিয়ে আলোচনা করেন তিনি। কূটনীতির মাধ্যমে এর সমাধানে জোর দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। তিনি বলেন, শান্তি প্রতিষ্ঠায় ভারত সক্রিয় ভূমিকা পালন করবে।


উল্লেখযোগ্য বিষয়টি হল, এরই মাঝে দুই দেশের মধ্যে চারটি চুক্তি  স্বাক্ষরিত হয়।


ভারত ও ইউক্রেনের মধ্যে চারটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। উভয় দেশ কৃষি ও খাদ্য শিল্প, চিকিৎসা পণ্য, কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য ভারতীয় মানবিক অনুদান এবং ২০২৪-২০২৮ সালের মধ্যে সাংস্কৃতিক সহযোগিতা কর্মসূচিতে যুক্ত হতে সম্মত হয়েছে।


প্রধানমন্ত্রী মোদী ও জেলেনস্কির বৈঠক


ইউক্রেনের রাষ্ট্রপতির সরকারি বাসভবন মারিনস্কি প্রাসাদ। সেখানেই প্রধানমন্ত্রী মোদী এবং রাষ্ট্রপতি জেলেনস্কি বৈঠক করেন। জেলেনস্কির সঙ্গে দেখা করার পর প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, ‘যুদ্ধের ভয়াবহতা দুঃখজনক। যুদ্ধ শিশুদের জন্য ধ্বংসাত্মক।’ প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আজ ভারত ও ইউক্রেনের জন্য একটি ঐতিহাসিক দিন।’


তিনি বলেন, ‘যুদ্ধ কোনও সমস্যার সমাধান করে না। আলোচনা ও কূটনীতির মাধ্যমে সমস্যার সমাধান হয়। উভয় পক্ষের একে অপরের সঙ্গে কথা বলা শুরু করা উচিত। সময় নষ্ট না করে রাশিয়া-ইউক্রেন আলোচনা করুক। ভারত শান্তি প্রচেষ্টায় সক্রিয় ভূমিকা পালন করবে।’


প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, ‘যুদ্ধে ভারতের অবস্থান কখনই নিরপেক্ষ ছিল না। তবে তারা বরাবরই শান্তির পক্ষে ছিল।’


ইউক্রেনে প্রথম ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী


প্রধানমন্ত্রী মোদী শুক্রবার সকালে পোল্যান্ড থেকে সরাসরি ট্রেনে কিভ পৌঁছান। কিভে পৌঁছানোর পর সেখানকার প্রবাসী ভারতীয়রা তাঁকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানায়।


বৈঠকের আগে কিভের এভি ফোমিন বোটানিক্যাল গার্ডেনে মহাত্মা গান্ধীর ব্রোঞ্জ মূর্তিতে ফুল অর্পণ করেন প্রধানমন্ত্রী। এই মূর্তিটি ২০২০ সালে মহাত্মা গান্ধীর ১৫১তম জন্মবার্ষিকীতে স্থাপন করা হয়েছিল।


উল্লেখ্য, নরেন্দ্র মোদীই ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী যিনি ইউক্রেনে গিয়েছেন। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির আমন্ত্রণে কিভে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।


Card image cap

কে হতে পারেন প্রধানমন্ত্রী মোদীর উত্তরসূরি?

২০১৪ সাল থেকে দেশের প্রধানমন্ত্রীর আসনে নরেন্দ্র মোদি। প্রশ্নাতীত ভাবেই এই মুহূর্তে বিজেপির সবচেয়ে জনপ্রিয় নেতাও তিনি। কিন্তু মোদির বয়স এখন ৭৩। বিজেপিতে অঘোষিত রীতি, ৭৫ বছর বয়সের পর নেতাদের মার্গদর্শকমণ্ডলীতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। সেই হিসাব অনুযায়ী তৃতীয়বার প্রধানমন্ত্রী পদে মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই 'অবসর' নেওয়ার কথা নরেন্দ্র মোদির।


যদিও তেমন কিছু যে হবে না, সেটা আগেই স্পষ্ট করা হয়েছে বিজেপির তরফে।


তবে প্রধানমন্ত্রীর উত্তরসূরি খোঁজা যে জরুরি, সেটা বুঝতে পারছেন বিজেপির শীর্ষ নেতারাও।কে হতে পারেন প্রধানমন্ত্রীর উত্তরসূরি ? সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের সমীক্ষায় তার আভাস মিলেছে।


ইন্ডিয়া টু-ডে মুড অফ দ্য নেশন সমীক্ষা বলছে, বিজেপির অন্দরে মোদির উত্তরসূরি হিসাবে সবার চেয়ে এগিয়ে বর্তমান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এই মুহূর্তে বিজেপি সমর্থকদের মধ্যে ২৫ শতাংশ মানুষ মনে করছেন মোদির উত্তরসূরি হিসাবে শাহই শ্রেষ্ঠ।

Card image cap

আকাশে উঠবে দুটি সূর্য, টানা ৭ দিন অন্ধকারে ডুববে গোটা বিশ্ব!

জ্যোতিষ শাস্ত্র অনুসারে এই মহা বিশ্বে চার যুগের উল্লেখ রয়েছে। পুরাণ অনুযায়ী এই চার যুগ হল সত্য, ত্রেতা, দ্বাপর ও কলি। বলা হয় এই কলি যুগের শেষে গোটা পৃথিবী পাপে ছেয়ে যাবে। অর্থাৎ কলি যুগের সময় শেষ হতেই জগতের সকল অন্যায় এবং অধর্মে পরিপূর্ণ হয়ে যাবে বিশ্ব সংসার।



আর ঠিক সেই সময় নাকি আবির্ভূত হবেন কল্কি।


কল্কি আসলে বিষ্ণুর দশম অবতার। তিনিই সমস্ত পাপ এবং অন্যকে বিনাশ করে নতুন করে আবার সবকিছু গড়ে তুলবেন। তবে এই কলিযুগের কথা শুধু বিষ্ণু পুরাণ এই আছে তা কিন্তু নয়। স্কন্দ পুরাণ, ভবিষ্য পুরাণ ও ভাগবত্‍ পুরাণেও কলিযুগের উল্লেখ পাওয়া যায়। শোনা যায় ষোড়শ শতকে অর্থাৎ ৫০০ বছর আগে অচ্যুতানন্দ নামের এক সাধু ভবিষ্য মলিকা নামে একটি গ্রন্থ রচনা করেছিলেন। সেখানে কলিযুগের শেষপর্বে পৃথিবী ধ্বংসের আগে কী কী ঘটনা ঘটবে, সেই বিষয়ে বলা আছে। শুধু তাই নয় তিনি পুরীর জগন্নাথ মন্দির সম্পর্কে কয়েকটি ভবিষ্যদ্বাণীও করেছিলেন যা পরে সত্যি হিসেবে প্রমাণিত হয়েছে। তাহলে কি এবার পৃথিবী ধ্বংস হওয়ার পালা? সম্পূর্ণটা জেনে নিন আজকের প্রতিবেদনের মাধ্যমে।


তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ এবং গৃহ যুদ্ধের আভাস


অচ্যুতানন্দ লিখেছেন যে কলি যুগ শেষ হওয়ার আগে গোটা বিশ্ব জুড়ে হিংসা এক মারাত্মক আকার ধারণ করবে। যার ফলে ধীরে ধীরে বিশ্বে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়বে। এবং উত্তেজনা এতটাই বড় আকার ধারণ করবে যে বিশ্বের অনেক দেশে গৃহযুদ্ধ শুরু হয়ে যাবে। একদিকে যেমন অহরহ প্রাকৃতিক দুর্যোগে মানবজাতি দুর্বিষহ হয়ে উঠবে, তেমনই অন্যদিকে ভয়ংকর গৃহযুদ্ধে ভয়ংকর মৃত্যুলীলা চলবে। এবং গোটা বিশ্বের জনসংখ্যা এসে দাঁড়াবে মাত্র ৬৪ কোটিতে।


দেশে কৃষি ব্যবস্থা ব্যাহত হবে


ভবিষ্য মলিকা থেকে জানা যায় কলি যুগ শেষ হওয়ার মুখে এমন এক পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে যে কৃষকরা দেশে কৃষি কাজ সম্পূর্ণ ছেড়ে দেবে। এবং নতুন কর্মসংস্থানের বিকল্পগুলি খুঁজবে। অর্থাৎ কৃষকদের চাষের প্রতি বিতৃষ্ণা এবং মোহভঙ্গ হবে। কৃষকরা তাদের ক্ষেতে কিছু চাষ করবে ফলে পৃথিবীতে সবজি ও ফলের ঘাটতি দেখা দেবে এবং মূল্যস্ফীতি দিন দিন বাড়বে।


দুটি সূর্যের আবির্ভাব ঘটবে


কয়েক বছর আগে কলম্বিয়ার একটি গ্রামে দুটি সূর্যোদয়ের দৃশ্য নিয়ে গোটা বিশ্বে নানা হৈ হৈ কাণ্ড ঘটে গিয়েছিল। অনেকেই বলেছিলেন যে এটি একটি স্বর্গীয় দেহ বা ধূমকেতু। কিন্তু ভবিষ্য মলিকায় আগেই বলা হয়েছে যে কলি যুগ শেষ হওয়ার আগেই নাকি আকাশে দুটি সূর্য উদিত হবে। এবং সূর্যের মতো উজ্জ্বল একটি অংশ বঙ্গোপসাগরে পড়বে, যার কারণে ওড়িশা পুরো জলমগ্ন হবে।


অন্ধকারে ডুববে গোটা পৃথিবী


ভবিষ্য মলিকা থেকে জানা গিয়েছে ২০২২ থেকে ২০২৯ সালের মধ্যে ভয়ংকর একটি প্রাকৃতিক দুর্যোগ ঘটবে, যার কারণে পৃথিবীতে টানা ১ সপ্তাহ অন্ধকার থাকবে। এই ঘটনা যেকোন সময় ঘটতে পারে। আর ফলে পরিবেশের ব্যাপক ক্ষতি হবে।

Card image cap

১৮ রাজ্যের মুখ্যসচিবকে তলব সুপ্রিম কোর্টের

আর জি কর ইস্যুতে দেশজুড়ে বিক্ষোভ। তারই মধ্যে ১৮টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মুখ্যসচিবদের জরুরি ভিত্তিতে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। তবে আর জি কর সংক্রান্ত মামলায় নয়। অন্য একটি মামলার ভিত্তিতে আগামী ২৭ আগস্ট ওই ১৮ রাজ্যের মুখ্যসচিবকে শীর্ষ আদালত হাজিরার নির্দেশ দিয়েছে।এই ১৮ রাজ্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ, বারবার ডেডলাইন দেওয়া সত্ত্বেও দ্বিতীয় বিচারবিভাগীয় পে কমিশনের নির্দেশিকা কার্যকর করেনি তাঁরা। ওই জুডিশিয়াল পে কমিশনের রাজ্যের বিচারবিভাগের সঙ্গে যুক্তদের বেতন বৃদ্ধি, বকেয়া পেনশন এবং অবসরকালীন বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধির সুপারিশ করেছে। কয়েকটি রাজ্য সেই নিয়ম কার্যকর করলেও ১৮টি রাজ্যে সেই নিয়ম কার্যকর হয়নি। তাতেই ক্ষুব্ধ সুপ্রিম কোর্ট।বৃহস্পতিবার মামলার শুনানিতে প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, আগামী ২৭ আগস্ট এই ১৮টি রাজ্যের মুখ্যসচিবকেই সশরীরে সুপ্রিম কোর্টে হাজিরা দিতে হবে। এর আগে বহুবার তলব করেও সাড়া মেলেনি। মুখ্যসচিবরা ভিডিও কনফারেন্সিংয়ে সুপ্রিম শুনানিতে যোগ দিতে চেয়েছিলেন, কিন্তু সেই অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করা হয়। প্রধান বিচারপতি সাফ জানিয়ে দেন, আগামী শুনানিতে হাজিরা দিতেই হবে। না দেওয়া হলে জামিন অযোগ্য ধারায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হবে।যে ১৮টি রাজ্য ও মুখ্যসচিবদের তলব করা হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে বাংলাও। অন্য রাজ্যগুলি হল তামিলনাড়ু, মধ্যপ্রদেশ, অন্ধ্রপ্রদেশ, ছত্তিশগড়, দিল্লি, অসম, নাগাল্যান্ড, মেঘালয়, হিমাচলপ্রদেশ, জম্মু ও কাশ্মীর, লাদাখ, ঝাড়খণ্ড, কেরল, বিহার, গোয়া, হরিয়ানা এবং ওড়িশা।

Card image cap

সঞ্জয়ের সঙ্গে সন্দীপেরও হবে পলিগ্রাফ টেস্ট

জেল হেফাজতে আর জি কর কাণ্ডে ধৃত সঞ্জয় রায়। সিজিও কমপ্লেক্স থেকে কড়া নিরাপত্তায় শুক্রবার তাকে শিয়ালদহ আদালতে নিয়ে যাওয়া হয়। আগামী ১৪ দিন তাকে জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। আপাতত প্রেসিডেন্সি জেলেই রাখা হবে তাকে। এদিকে, পলিগ্রাফ টেস্টে সঞ্জয় রায় সম্মতি দিয়েছে বলেই খবর। সুতরাং আর কোনও বাধাই থাকল না। জেল হেফাজতে থাকাকালীন তাকে এই পরীক্ষা করানোর জোরাল সম্ভাবনা রয়েছে।গত ৮ আগস্ট, নাইট শিফট ছিল তরুণী চিকিৎসকের। পরদিন সেমিনার হল থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার করা হয়। অভিযোগ, ধর্ষণ করে খুন করা হয় তরুণী চিকিৎসককে। এই ঘটনার তদন্তে নেমে কলকাতা পুলিশ সঞ্জয় রায়কে গ্রেপ্তার করে। গত ১৩ আগস্ট কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে ঘটনার তদন্তভার নেয় সিবিআই। তদন্ত শুরু করার পর সঞ্জয় নিজেদের হেফাজতে নেয় সিবিআই। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, হেফাজতে থাকাকালীন এক এক সময় এক এক রকম তথ্য দিয়ে সিবিআইকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেছে সঞ্জয়। হাসপাতালে ঢোকার কারণ, হাসপাতালে ঢোকার সময়, হাসপাতালের সেমিনার হলে ঢোকার কারণ নিয়েও নাকি সঞ্জয় বার বার বিভ্রান্ত করছে বলেই খবর। সে কারণে তার পলিগ্রাফ টেস্ট করাতে মরিয়া সিবিআই। সূত্রের খবর, পলিগ্রাফ টেস্টে সম্মতি দিয়েছে সঞ্জয় রায়ও।এদিকে, আর জি কর কাণ্ডে প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ-সহ আরও সাতজনের পলিগ্রাফ পরীক্ষার অনুমতি দিয়েছে শিয়ালদহের অতিরিক্ত মুখ্য বিচারবিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট (এসিজেএম) আদালত। সন্দীপ ঘোষ এদিন সিজিও কমপ্লেক্সে ফের হাজিরা দেন। এই নিয়ে অষ্টম দিন সিবিআই দপ্তরে হাজিরা দিলেন তিনি। আবার সন্দীপের বিরুদ্ধে ওঠা আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগের তদন্তভারও সিবিআইকে দিয়েছে কলকাতা হাই কোর্ট। আদালতের রায়ের বিরোধিতায় হাই কোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে সন্দীপ। 

Card image cap

পথে নামছেন তরুণী চিকিৎসকের বাবা-মা!

আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের তরুণী চিকিৎসক মৃত্যুর প্রতিবাদে গর্জে উঠেছে গোটা দেশ। আন্দোলনকারীদের পাশে দাঁড়িয়ে সুবিচারের দাবিতে পথে নামতে পারেন নিহতের বাবা-মা-ও। শুক্রবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সেকথা জানিয়েছেন সদ্য সন্তানহারারা। তাঁরা পথে নামলে আন্দোলনের ঝাঁজ যে নিমেষে আরও কয়েকগুণ বাড়বে, সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই।তরুণী চিকিৎসকের বাবা এদিন বলেন, “ছাত্র আন্দোলনের পাশে আমরা আছি। প্রয়োজন হলে আমরাও যোগ দেব। আমরা বিচার চাই। বিহিত চাই। নিরপেক্ষভাবে যে আমাদের ডাকবে আমরা তাদের সঙ্গে আন্দোলনে যোগ দেব।” তরুণীর মা প্রায় কাঁদো কাঁদো গলায় আরও বলেন, “আমরা ছাত্রদের সঙ্গে থাকতে চাই। আমাদের মেয়ে চলে গিয়েছে। মেডিক্যাল পড়ুয়াদের এখন আমরা ছেলেমেয়ে মনে করছি। আমরা সবসময় ওদের পাশে থাকব।”গত ৮ আগস্ট, নাইট শিফটে ছিলেন তরুণী চিকিৎসক। পরদিন হাসপাতালের সেমিনার হল থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার হয়। সেই সময় প্রায় বিবস্ত্র ছিলেন তিনি। তাঁকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে বলেই দাবি। তবে ঘটনার পর তরুণী চিকিৎসকের পরিবারকে জানানো হয়, আত্মহত্যা করেছেন তিনি। সেকথা উল্লেখ করে আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন নিহতের বাবা। তদন্তভার নেওয়ার পর দিনদশেক কেটে গেলেও সিবিআইয়ের তরফে তদন্তে তেমন কোনও গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি হয়নি। তাতে কিছুটা হলেও ধৈর্য হারাচ্ছেন বলেই দাবি তরুণী চিকিৎসকের বাবার। তবে সিবিআই তদন্তে আস্থা হারাননি তিনি। সদ্য সন্তানহারা বাবা-মায়ের একটাই আর্জি, “যত তাড়াতাড়ি সম্ভব কূলকিনারা করুক।”

Card image cap

সিবিআইয়ের সঙ্গে দেখা করেও কর্মবিরতিতে অনড় জুনিয়র চিকিৎসকরা

আর জি করে তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ-হত্যামামলার তদন্তের অগ্রগতি কী? তা জানতে শুক্রবার সরাসরি সিবিআই দপ্তরে গিয়েছিলেন আন্দোলনকারী চিকিৎসকরা। কেন্দ্রীয় সংস্থার উত্তরের উপর নির্ভর করছিল তাঁদের কর্মবিরতি প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত। কিন্তু সিবিআই-সাক্ষাতেও মিলল না সুরাহা। এদিন সিজিও কমপ্লেক্সে গিয়ে কেন্দ্রীয় তদন্তকারীদের কাছ থেকে এ সংক্রান্ত কোনও তথ্যই পাননি তাঁরা। সেখান থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকিৎসকরা সাফ জানালেন, সুবিচারের প্রশ্নে ‘নো কম্প্রোমাইস’। তদন্তের বিষয়টিও ৯ আগস্ট যেখানে ছিল, আজও সেই তিমিরেই। তাই তাঁরা কর্মবিরতি চালিয়ে যাবেন। রাজ্যের সমস্ত সরকারি হাসপাতালের জুনিয়র চিকিৎসকদের কাছে কর্মবিরতি চালিয়ে যাওয়ার আর্জি জানিয়েছেন তাঁরা।শুক্রবার বিকেলে আর জি কর হাসপাতালের আন্দোলনকারীদের নেতৃত্বে থাকা ডাক্তার অনির্বাণ মাহাতো-সহ বেশ কয়েকজন পৌঁছে যান সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে, সিবিআই দপ্তরে। এখানেই গত ৮ দিন ধরে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের। ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে সেদিনের ঘটনার আশেপাশে থাকা প্রত্যক্ষদর্শী, সহকর্মীদের। কিন্তু তদন্তের অগ্রগতি কী? তা জানতেই সিবিআই দপ্তরে যায় আন্দোলনকারীদের প্রতিনিধিদল। আগেই তাঁরা জানিয়েছিলেন, সিবিআইয়ের উত্তর সন্তোষজনক মনে হলে তাঁরা কর্মবিরতি তুলে কাজে ফিরবেন। অন্যথায় নয়।এদিন প্রায় ঘণ্টাখানেক ধরে সিবিআই আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলেন আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তাররা । তার পর বেরিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জানান, ”তদন্তের অগ্রগতি আমরা জানতে চেয়েছিলাম। তাতে তাঁরা (সিবিআই) জানিয়েছেন যে তদন্তের বিষয় কিছু প্রকাশ করা যাবে না। তাতে আমরা বলি, কিন্তু এর উপর তো নির্ভর করছে আমাদের কর্মবিরতি প্রত্যাহারের বিষয়টি। তাতে সিবিআই জানিয়েছে, তাদের উপর ভরসা রাখতে। সেই ভরসা হয়ত আমাদের আছে। কিন্তু কেন্দ্রীয় তদন্তকারীদের এহেন উত্তরে আমরা মনে করছি, তদন্তের প্রশ্নে ৯ তারিখ যেখানে ছিলাম, আজও সেখানেই আছি। তাই আপাতত আমাদের কর্মবিরতি তোলার প্রশ্ন নেই।” 

Card image cap

দুর্গাপুজোয় সুখবর, কলকাতা রুটে অতিরিক্ত বিমান চালু করছে Air India

এই সময় বাঙালি যেখানেই থাকুক না কেন, ঘরে ফিরবেই। তাঁদের কথা মাথায় রেখেই পুজোর সময় অতিরিক্ত বিমান চালানোর সিদ্ধান্ত নিল এয়ার ইন্ডিয়া। জানানো হয়েছে, দিল্লি, মুম্বই, বেঙ্গালুরু এবং হায়দরাবাদ- এই চারটি বড় শহর থেকে কলকাতায় অতিরিক্ত বিমান চালানো হবে।


এই পরিষেবা চালু হচ্ছে ২০ সেপ্টেম্বর থেকে।


চলবে একমাস। প্রতিদিন বেঙ্গালুরু এবং হায়দরাবাদ থেকে বিমান আসবে কলকাতায়। শুধু তাই নয়, ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে মুম্বই-কলকাতা রুটে অতিরিক্ত বিমান চালানোর ঘোষণাও করেছে এয়ার ইন্ডিয়া। ইতিমধ্যে ১৫ অগাস্ট থেকে দিল্লি-কলকাতা রুটে অতিরিক্ত ফ্লাইট চালাতে শুরু করেছে বিমান সংস্থা।


পুজোর সময় প্রতি বছরই অতিরিক্ত বিমান চালায় এয়ার ইন্ডিয়া। এবারও তার অন্যথা হচ্ছে না। এয়ার ইন্ডিয়ার তরফে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, দিল্লি-কলকাতা রুটে সাপ্তাহিক ২৮টি ফ্লাইটের জায়গায় বাড়িয়ে ৩৫টি ফ্লাইট করা হবে। অন্য দিকে, মুম্বই-কলকাতা রুটে ২১টি সাপ্তাহিক ফ্লাইটের জায়গায় বাড়িয়ে ২৮টি করা হচ্ছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, যাত্রীদের সুবিধা হয় এমন সময়েই বিমান চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।


প্রসঙ্গত, চলতি বছর আন্তর্জাতিক বেশ কয়েকটি রুটেও নতুন বিমান পরিষেবা চালু করেছে এয়ার ইন্ডিয়া। গত ১ মে থেকে দিল্লি-দুবাই রুটে থেকে উড়ছে এয়ার ইন্ডিয়ার নতুন বিমান এ-৩৫০। এরপর এই নতুন এ৩৫০ বিমান লন্ডন এবং নিউ ইয়র্ক রুটেও প্রতিদিন চালানো হবে বলে আগেই ঘোষণা করেছে এয়ার ইন্ডিয়া ।

Card image cap

প্রকাশ্যে রেপ থ্রেট, বেঁধে দেওয়া হচ্ছে 'রেট'!

সোশ্যাল মিডিয়ায় কুরুচিকর পোস্ট! এমনই অভিযোগ তুলে পুলিশের দ্বারস্থ হলেন শাসকদলের ছাত্রনেত্রী রাজন্যা হালদার। তাঁর অভিযোগ, তাঁর ছবি ব্যবহার করে সোশ্যাল মিডিয়ায় অশালীন পোস্ট করা হয়েছে। তিনি বলেন, 'যাঁরা রাত দখলের ডাক দিচ্ছে, তাঁরাই প্রকাশ্যে রেপ থ্রেট দিচ্ছে!' বৃহস্পতিবার রাতেই এই ঘটনায় সোনারপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন তিনি।


এরপর বিষয়টি যাবে সাইবার ক্রাইম বিভাগের হাতে। বারুইপুর পুলিশ জেলার অধীন সাইবার ক্রাইম থানায় এই ঘটনার তদন্ত হবে বলে জানিয়েছেন রাজন্যা।


এই ঘটনায় যাঁর বিরুদ্ধে পোস্ট করার অভিযোগ, তিনি বামমনস্ক বলে দাবি রাজন্যার। তিনি একজন মহিলা বলেও দাবি করেছেন তিনি। তৃণমূল নেত্রীর দাবি, আরজি করের নারী নির্যাতন নিয়ে যাঁর সুবিচার চাইছেন, তাঁদের মধ্যেই কেউ আর এক নারীর প্রতি অশালীন মন্তব্য করছেন। তিনি আরও জানিয়েছেন, শুধু তাঁর সম্পর্কেই নয়, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পর্কেও কুরুচিকর পোস্ট করা হয়েছে।


রাজন্যা বলেন, ধর্ষণের হুমকি দিয়ে কখনও আন্দোলন হয় না। তিনি আরও জানিয়েছেন, পুলিশ যেভাবে তৎপরতার সঙ্গে অভিযোগ নিয়েছে, তাতে পুলিশ প্রশাসনের বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ তোলা উচিত নয়। রাজন্যা বলেন, “আমি তৃণমূল করি, এটাই আমার অপরাধ? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযুক্তের ফাঁসি চাইছেন, এটা তাঁর অপরাধ?”