CATEGORY state:

Card image cap

যত তাড়াতাড়ি সম্ভব পদত্যাগ'- জানিয়ে দিলেন- রাতের সবথেকে বড় খবর

মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জিকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব পদত্যাগ করতে বললেন শুভেন্দু অধিকারী।


তিনি একটি দীর্ঘ ট্যুইট করেছেন এবং দাবি করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি ভয় পেয়েছেন।


তিনি মুখ্যমন্ত্রীকে হীরক রানী বলে চরম নিশানা করেছেন। তিনি বলেছেন, "হীরক রানী ভয়ে কাঁপছে।


স্বতঃস্ফূর্ত জনরোষ তার সরকারকে কোণঠাসা করেছে এবং তার পুরো প্রশাসনকে নাড়িয়ে দিয়েছে। পাবলিক আন্দোলন রাজ্য জুড়ে ছড়িয়ে পড়ছে এবং আরও বেশি সংখ্যক মানুষ রাস্তায় নেমে আসছে। অরাজনৈতিক ছাত্র গোষ্ঠীর দ্বারা 'নবান্ন আভিজান'-এর জন্য একটি নির্দিষ্ট আহ্বান তার ম্যাজেস্টির মধ্যে এতটাই ভয় জাগিয়েছে যে প্রথমে তিনি তার আইনজীবীকে মাননীয় সুপ্রিম কোর্টে শুনানির সময় বিষয়টি উত্থাপন করতে বলেছিলেন। তারপরে তার অসচেতন প্রশাসন এই বিষয়ে মাননীয় কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়। সবশেষে স্কুল শিক্ষা দফতরের এই নির্দেশ জারি করা হয়েছে যাতে দফতরের অনুমতি ছাড়া অন্য কোনও কর্মসূচিতে ছাত্রছাত্রীদের অংশগ্রহণ বন্ধ করা হয়। আমি মুখ্যমন্ত্রীকে মনে করিয়ে দিই যে এটি একটি স্বাধীন দেশ এবং এই ধরনের হুকুমের কোনো প্রভাব নেই। তাছাড়া এটি একটি পাবলিক মুভমেন্ট, আপনি লোকেদের তাদের স্বাধীন ইচ্ছার বাইরে যা করতে ইচ্ছুক তা থেকে ধারণ করতে পারবেন না। মাননীয় সুপ্রিম কোর্ট বলেছে যে রাজ্যের শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভকারীদের বাধা দেওয়ার কোনও অধিকার নেই। আমরা সবাই জানি যে জনগণের শক্তি আপনাকে বিচলিত করেছে এবং আপনি ভয় পাচ্ছেন যে কেউ আর আপনাকে ভয় পায় না। আপনি যা পারেন চেষ্টা করুন কিন্তু আমরা ন্যায়বিচার চাই এর ক্ল্যারিয়ন কলকে আপনি দমন করতে পারবেন না। আপনি মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ার দখল করার নৈতিক কর্তৃত্ব হারিয়ে ফেলেছেন, সেটা উপলব্ধি করে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব পদত্যাগ করলে ভালো হয়"।


মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জিকে নিয়ে শুভেন্দু অধিকারীর ট্যুইট ঘিরে শোরগোল শুরু হয়েছে।


Card image cap

নির্যাতিতার চার সহকর্মী-সহ ৬ জনের পলিগ্রাফ টেস্টের আবেদন মঞ্জুর

আর জি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ-খুন মামলায় এবার প্রাক্তন অধ্যক্ষের গোপন জবানবন্দি নিল আদালত। বৃহস্পতিবার দুপুরে শিয়ালদহ আদালতে নিয়ে আসা হয় আর জি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ ডাঃ সন্দীপ ঘোষকে। কড়া নিরাপত্তা ছিল তাঁর জন্য। এর পর আদালতে গোপন জবানবন্দি দেন সন্দীপবাবু। সেদিনের ঘটনা নিয়ে কী জানেন প্রাক্তন অধ্যক্ষ, তা আদালতকে জানিয়েছেন তিনি। এছাড়া তাঁর পলিগ্রাফ টেস্টের আবেদন জানায় সিবিআই। কবে তা হবে, সে বিষয়ে এখনও জানা যায়নি। ঘটনার রাতে তরুণী চিকিৎসকের সঙ্গে রাতে তাঁর যে সহকর্মীরা খাওয়াদাওয়া করেছিলেন, তাঁদেরও ডেকে পাঠানো হয়েছে। তাঁদেরও জবানবন্দি নেওয়া হয় এদিন। সিবিআইয়ের তরফে ওই চারজনেরও পলিগ্রাফ টেস্টের আবেদন জানিয়েছে। তা মঞ্জুর করেছে আদালত। পলিগ্রাফ টেস্ট হবে ধৃত সঞ্জয়ের সঙ্গী সৌরভের। তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ ও হত্যামামলার তদন্তভার সিবিআইয়ের হাতে যাওয়ার পর গত সাতদিন ধরে প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে টানা জিজ্ঞাসাবাদ করে চলেছেন তদন্তরকারীরা। রোজ সকালে সিজিও কমপ্লেক্সে তাঁকে ডেকে পাঠানো হয়, দিনভর জিজ্ঞাসাবাদের পর রাতে তিনি বাড়ি ফেরেন। সেই তদন্তেরই অংশ হিসেবে সিবিআই ডাঃ সন্দীপ ঘোষের গোপন জবানবন্দি গ্রহণের জন্য আদালতে আবেদন জানায়। সেই আবেদন মঞ্জুরের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার তাঁর গোপন জবানবন্দি  নেওয়া হয় আদালতে। এদিকে, টালা থানায় সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া এক মামলায় তাঁকে লালবাজারও তলব করেছিল। বুধবার হাজিরার কথা থাকলেও তিনি লালবাজারে যাননি।অন্যদিকে, এই ঘটনায় একমাত্র গ্রেপ্তার হওয়া সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়ের পলিগ্রাফ টেস্টের জন্য আবেদন জানায় সিবিআই। তাতে সম্মতি দিয়েছে আদালত। তবে সঞ্জয় নিজে পলিগ্রাফ টেস্টে রাজি আছে কি না, তা জানাতে হবে শিয়ালদহ আদালতের বিচারকের সামনে। সূত্রের খবর, আইনি প্রক্রিয়া মিটে গেলে সঞ্জয়কে শুক্রবার নিউটাউনের ফরেনসিক পরীক্ষাগারে নিয়ে যাওয়া হতে পারে। সেখানেই তার পলিগ্রাফ টেস্ট হবে।

Card image cap

ঘুলঘুলি থেকে ঘুমন্ত তরুণীর উপর অ্যাসিড হামলা

বেলুড়ে বছর পঁচিশের তরুণীর উপর অ্যাসিড হামলার অভিযোগ। বুধবার গভীর রাতে নিজের ঘরে ঘুমোচ্ছিলেন তিনি। তখনই ঘরের ঘুলঘুলি দিয়ে কেউ বা কারা আচমকা অ্যাসিড ছুঁড়ে পালিয়ে যায় বলে অভিযোগ। ঘুমন্ত অবস্থায় আচমকা অ্যাসিড হামলায় তরুণীর মুখ কোনওক্রমে বাঁচলেও গলা থেকে শরীরের নিচে ৬০ শতাংশ পুড়ে গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। পাশে শুয়ে থাকা তরুণীর মায়ের শরীরেও সামান্য অ্যাসিড লেগেছে। তরুণীর পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে বেলুড় থানা। কিন্তু কেন এই হামলা? তা নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। এই ঘটনার পর বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই বেলুড়ের জয় বিবি রোডে তীব্র আতঙ্ক। তরুণীর মা জানালেন, বুধবার রাত ১টা নাগাদ তাঁরা যখন গভীর ঘুমে তখন আচমকা তাঁর মেয়ে ‘জ্বলে গেলো জ্বলে গেলো’ বলে চিৎকার করে ওঠেন। আচমকা তিনিও অনুভব করেন তাঁর শরীরেও জ্বলছে। গোটা ঘর ধোঁয়ায় ঢেকে গিয়েছে। তাঁদের সঙ্গে শুয়ে থাকা দুই শিশু কাশছে। ধোঁয়ায় ঘরে থাকা অন্যরাও প্রচণ্ড শ্বাসকষ্ট অনুভব করেন। এর পরই তাঁরা তড়িঘড়ি উঠে ঘরের দরজা-জানলা খুলে দেন। তাঁদের চিৎকার চেঁচামেচিতে প্রতিবেশীরা ছুটে আসেন। দেখা যায়, তাঁর এক মেয়ে অর্থাৎ ওই তরুণীর শরীর পুড়ে গিয়েছে। তখনই তাঁরা বুঝতে পারেন তরুণীর উপর অ্যাসিড হামলা হয়েছে। গুরুতর আহত অবস্থায় প্রথমে তরুণীকে উত্তর হাওড়ার টি এল জয়সওয়াল হাসপাতাল ও সেখান থেকে হাওড়া জেলা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। বৃহস্পতিবার সকালে বাঙুর হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে তাঁকে।ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার সকালেও পুলিশ কর্তারা তরুণীর বাড়িতে গিয়ে পরিবারের সদস্য ও তাঁদের প্রতিবেশীদের সঙ্গে কথা বলেন। একই সঙ্গে ঘটনাস্থল থেকে একটি পাত্র উদ্ধার করে। ওই তরুণীর বাড়ির সামনে পুলিশ মোতায়েনও করা হয়েছে। হাওড়া সিটি পুলিশের ডিসি নর্থ বিশপ সরকার বলেন, ‘‘বাড়ির সামনে থেকে একটি পাত্র উদ্ধার করা হয়েছে। তরুণীর পরিবারের দাবি, ওই পাত্র থেকেই অ্যাসিড ছোঁড়া হয়েছে। আমরা পাত্রটি ফরেনসিকে পাঠিয়ে তদন্ত শুরু করেছি। পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।’’

Card image cap

‘সুপ্রিম’ আর্জির পরেও আন্দোলনে অনড় আর জি করের চিকিৎসকরা

সুপ্রিম কোর্টের আর্জিতেও গলল না বরফ। কর্মবিরতির সিদ্ধান্তে অনড় আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের আন্দোলনকারী চিকিৎসকরা। হাসপাতালের নন এমার্জেন্সি সার্ভিস অর্থাৎ বহির্বিভাগে এখনও কাজ বন্ধ থাকবে বলেই সাফ জানান বিক্ষোভকারীরা।গত ৮ আগস্ট, নাইট শিফট করেন আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের তরুণী চিকিৎসক। ওই রাতে তাঁকে ধর্ষণ করে খুন করা হয় বলে অভিযোগ। পরদিন সকালে হাসপাতালের সেমিনার হল থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার হয়। সেই সময় প্রায় বিবস্ত্র অবস্থায় দেহ উদ্ধার হয়। গোটা শরীরে একাধিক ক্ষতচিহ্ন। এই ঘটনার পর থেকে প্রতিবাদ সরব গোটা দেশ। চিকিৎসা পরিষেবা বন্ধ রেখে কর্মবিরতিতে শামিল চিকিৎসকরা। হাসপাতালের জরুরি বিভাগ ছাড়া বন্ধ সবই। তার ফলে বহির্বিভাগে চিকিৎসা করাতে আসা রোগীরা চূড়ান্ত ভোগান্তির শিকার।বৃহস্পতিবার আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের মামলার দ্বিতীয় শুনানিতে আরও একবার চিকিৎসকদের কাজে ফেরার আর্জি জানান প্রধান বিচারপতি। তিনি বলেন, “১৩ দিন ধরে এইমসের চিকিৎসকেরা কাজ করছেন না। তাঁদের বলব, দয়া করে কাজে ফিরুন। আপনাদের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করা হবে না আমরা তা নিশ্চিত করব।” সুপ্রিম কোর্ট কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রককে একটি পোর্টাল খুলতে বলা হয়েছে। সেখানে পরামর্শ জানানো যাবে। বিভিন্ন হাসপাতালের চিকিৎসক, পড়ুয়াদের পরামর্শ শুনবে ন্যাশনাল টাস্ক ফোর্স। গত মঙ্গলবারের শুনানিতে হাসপাতালগুলির নিরাপত্তা কাঠামো ঢেলে সাজানোর নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। চিকিৎসক ও চিকিৎসা কর্মীদের নিরাপত্তায় টাস্ক ফোর্স গঠন করার প্রস্তাব দেয় শীর্ষ আদালত। তার পরই আন্দোলন প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেন দিল্লির এইমসের চিকিৎসকরা। তবে সুপ্রিম কোর্টের আর্জির পরেও নিজেদের সিদ্ধান্তে অনড় আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের চিকিৎসকরা। আন্দোলন জারি থাকবে বলেই সাফ জানান তাঁরা।

Card image cap

দ্রুত বিচার ও শাস্তির দাবিতে মোদিকে চিঠি মমতার

আর জি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ-হত্যাকাণ্ডের আবহে গোটা দেশজুড়েই এ ধরনের ঘটনার ভয়াবহতা উসকে উঠেছে। গোটা দেশেই এ ধরনের ঘটনা ক্রমবর্ধমান। সামাজিক ব্যাধি হিসেবে তা জনজীবনকে কুরে কুরে খাচ্ছে। তাই এসব মামলায় ১৫ দিনের মধ্যে বিচার প্রক্রিয়া শেষ করে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক সাজার ব্যবস্থা করা হোক। এই আবেদন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি পাঠালেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। বৃহস্পতিবার বিকেলে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এই চিঠির বিষয়টি জানালেন মুখ্যমন্ত্রীর মুখ্য উপদেষ্টা আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। চিঠির বয়ানও শোনালেন তিনি। পরে নবান্নের তরফে চিঠির কপিও দাবি দেওয়া হয়েছে। চিঠির শুরুতেই মুখ্য়মন্ত্রী দেশে ক্রমবর্ধমান নারী নির্যাতনের কথা উল্লেখ করেছেন। সেইসঙ্গে তুলে ধরেছেন পরিসংখ্যান। মুখ্যমন্ত্রীর দেওয়া তথ্য় অনুযায়ী, ”দেশে রোজ প্রায় ৯০ টি  এ ধরনের ঘটনা ঘটছে।  এই পরিসংখ্য়ান যথেষ্ট উদ্বেগজনক।” চিঠিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য, ”এমন ন্যক্কারজনক ঘটনায় ইতি টানা আমাদের সকলের দায়িত্ব। এসব ঘটনাকে চিহ্নিত করে দ্রুত বিচারপ্রক্রিয়া শেষ করতে হবে। আমার প্রস্তাব, দেশের প্রতিটি জায়গায় ফাস্ট ট্র্যাক স্পেশাল কোর্ট তৈরি করা হোক। তার মাধ্যমে ১৫ দিনের মধ্যে বিচারপ্রক্রিয়া শেষ করে দোষীদের শাস্তি দেওয়ার বিষয়টি ত্বরান্বিত হোক।” এ বিষয়ে তিনি কেন্দ্রকে নির্দিষ্ট নীতি নির্ধারণ করারও আবেদন জানিয়েছেন।উল্লেখ্য, আর জি কর হাসপাতালের ঘটনায় কলকাতা পুলিশের তদন্তের মাঝেই মামলা সিবিআই-কে হস্তান্তরের নির্দেশ দেয় কলকাতা হাই কোর্ট। কিন্তু এখনও নতুন করে কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তা নিয়ে শাসকদলের তরফে ক্ষোভপ্রকাশও করা হয়েছে। বর্ষীয়ান তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায় নারী নিরাপত্তা নিয়ে আলাদা আইন প্রণয়নের জন্য অমিত শাহকে চিঠিও লিখেছিলেন। এবার ধর্ষণ-খুনের মতো ঘৃণ্য অপরাধের দ্রুত কিনারা করার দাবিতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চেয়ে চিঠি পাঠালেন মুখ্যমন্ত্রী। 

Card image cap

সন্দীপের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা স্বাস্থ্য দফতরের

আর জি কর কাণ্ডে, রাজ্যের তো বটেই দেশের মানুষের কাছেও বহু প্রশ্নের মুখে পড়েছেন সেখানকার প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ। সিবিআই তাঁকে লাগাতার জিজ্ঞসাবাদ করে চলেছে। তাঁর বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টে নতুন করে মামলা দায়ের হয়েছে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে।


সেই মামলা যাতে কেন্দ্রের তদন্তকারী সংস্থা Enforcement Directorate বা ED তদন্ত করে সেই আর্জি জানানো হয়েছে। এরই মধ্যে ২টি ঘটনা ঘটে গিয়েছে। এক, গতকাল কলকাতা হাইকোর্ট সন্দীপ ও তাঁর পরিবারকে পুলিশি নিরাপত্তা প্রদানের নির্দেশ দিয়েছে। আর দুই, গতকালই সন্দীপকে স্বাস্থ্য ভবনে Officer on Special Duty বা OSD'র দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। ঘটনা হচ্ছে, সাধারণভাবে স্বাস্থ্য দফতরের কোনও অফিসারকে নিয়ে বিতর্ক হলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা হিসেবে তাঁকে OSD'র পদে সরিয়ে দেওয়া হয়। 


আর জি কর কাণ্ডে প্রথম থেকেই সন্দীপের ভূমিকা নিয়ে বার বার প্রশ্ন উঠেছে। এমনকি আর জি করে দুর্নীতির অভিযোগে নবান্নের তরফে তাঁর বিরুদ্ধে সিট পর্যন্ত গঠন করা হয়েছে। তার পরেও কেন এই পদপ্রাতির ঘটনা? বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই নিন্দায় সরব হয়েছে আন্দোলনকারী ডাক্তারি পড়ুয়া থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ। যদিও এব্যাপারে স্বাস্থ্য দফতরের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে আগেই প্রভাবশালী তত্ত্বের অভিযোগ এনেছিল বিরোধীরা। এমনকী গত ৮ অগস্ট মধ্যরাতে আর জি করে ডাক্তারি পড়ুয়া নৃশংসভাবে খুন হওয়ার পরও বিষয়টি ধামাচাপা দিতে পরিবারকে আত্মহত্যার কথা তাঁর নির্দেশেই বলা হয়েছিল বলে অভিযোগ। এ ব্যাপারে সিবিআইয়ের কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন নির্যাতিতার বাবা-মাও। ছাত্রদের আন্দোলনের মুখে পড়ে সন্দীপ যেদিন আর জি করের অধ্যক্ষ পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন সেদিনই তাঁকে ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ পদে বসানোর অভিযোগ উঠেছিল রাজ্যের বিরুদ্ধে। যা নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের প্রশ্নবানের মুখেও পড়তে হয়েছিল রাজ্যকে। আদালতের নির্দেশে সন্দীপ ঘোষকে ১৫ দিনের ছুটিতেও পাঠিয়েছে রাজ্য। সূত্রের খবর, ছুটি থেকে ফিরলে তিনি স্বাস্থ্য ভবনে 'Officer on Special Duty' পদেদায়িত্বভার গ্রহণ করবেন। যদিও গতকালই সন্দীপকে ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ পদ থেকে সরিয়ে দিয়েছে রাজ্য। সেই পদের পরিবর্তেই তাঁকে স্বাস্থ্য দফতরের OSD'র পদ দেওয়া হয়েছে।


ঘটনাচক্রে গতকাল রাতে সন্দীপের একটি মামলার শুনানি ছিল কলকাতা হাইকোর্টে। সেই মামলায় সন্দীপের আর্জি ছিল, আর জি কর কাণ্ডে তাঁকে নিয়ে সংবাদমাধ্যম যে সব খবর করছে তাতে নিষেধাজ্ঞা চাপানো হোক। তিনি এখনও দোষী সাব্যস্ত হননি কোনও ঘটনায়। অথচ তাঁকে নিয়ে এমন ভাবে খবর পরিবেশিত হচ্ছে, যে দেখলে, শুনলে বা পড়লে মনে হবে তিনি আর জি কর কাণ্ডের অন্যতম অভিযুক্ত। তাই সংবাদমাধ্যম যে সংবাদ প্রকাশ করছে তার ওপরে সার্বিক নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হোক। কিন্তু আদালত তাঁর সেই আর্জি খারিজ করে দেয়। এই মামলাটি শুনানির জন্য উঠেছিল কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি শম্পা সরকারের এজলাসে। বিচারপতি জানিয়ে দেন, এই পর্যায়ে সংবাদমাধ্যমের ওপরে সার্বিক নিষেধাজ্ঞা জারির প্রয়োজন বোধ করছে না আদালত। কোনও নির্দিষ্ট সংবাদ নিয়ে আপত্তি থাকলে মামলাকারী প্রেস কাউন্সিলের দ্বারস্থ হতে পারেন বা মানহানির মামলা করতে পারেন। তবে আদালত এটাও জানিয়ে দেয় যে, জিজ্ঞাসাবাদ সংক্রান্ত খবরে সন্দীপের 'ভূমিকা' নিয়ে কোনও আগাম সিদ্ধান্ত বা মন্তব্য প্রকাশ করা যাবে না। জিজ্ঞাসাবাদ পর্বের কোনও 'অ্যানিমেশন' নাট্যরূপও প্রকাশ করা যাবে না। বস্তুগত সংবাদ পরিবেশন করতে হবে এবং সংবাদমাধ্যমের নিজস্ব মতামত প্রকাশ করা যাবে না।


আদালত সংবাদমাধ্যমকে 'তদন্তকারী সংস্থার' ভূমিকা নিতেও কার্যত নিষেধ করেছে। কোনও বিতর্ক বা আলোচনাসভার ক্ষেত্রে বক্তার মন্তব্য যে সংবাদমাধ্যমের মতামত নয়, সে ব্যাপারেও বিধিবদ্ধ সতর্কীকরণ দিতে হবে। বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, মামলাকারী এমন কোনও তথ্য দেখাতে পারেননি যা থেকে বোঝা যায় যে তাঁকে নিয়ে Media Trail হচ্ছে। মামলাকারী কোনও অভিযুক্ত নন, তাই এখন Media Trail প্রাসঙ্গিক নয়। জিজ্ঞাসাবাদ প্রক্রিয়া নিয়েও সংবাদমাধ্যমে এখনও কোনও 'উস্কানিমূলক' প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়নি। গণতন্ত্রে সংবাদমাধ্যম যে 'চতুর্থ স্তম্ভের' ভূমিকা এবং মানুষকে সংবাদ পরিবেশনের কর্তব্য পালন করে তাও আদালতের পর্যবেক্ষণে উঠে এসেছে। আর জি কর কাণ্ড বিশ্বের নজরে এসেছে, তাই এ ক্ষেত্রে মানুষের সংবাদমাধ্যমের কাছে তথ্য জানার অধিকার আছে বলেও আদালত জানিয়েছে।

Card image cap

সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করতে রাজি হল না কলকাতা হাই কোর্ট

আ র জি কর কাণ্ডে সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করল না কলকাতা হাই কোর্ট। এই ঘটনায় সংবাদমাধ্যম যে সংবাদ প্রকাশ করছে তার উপরে সার্বিক নিষেধাজ্ঞা জারির আর্জি জানিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন আর জি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ। বুধবার সেই মামলায় বিচারপতি শম্পা সরকার মামলাকারীর আর্জি খারিজ করে দিয়ে জানান, এই পর্যায়ে সংবাদমাধ্যমের উপরে সার্বিক নিষেধাজ্ঞা জারির প্রয়োজন বোধ করছে না কোর্ট।


কোনও নির্দিষ্ট সংবাদ নিয়ে আপত্তি থাকলে প্রেস কাউন্সিলের দ্বারস্থ হতে পারেন বা মানহানির মামলা করতে পারেন। 


এ দিন বিচারপতি এ-ও জানান যে জিজ্ঞাসাবাদ সংক্রান্ত খবরে সন্দীপের 'ভূমিকা' নিয়ে কোনও আগাম সিদ্ধান্ত বা মন্তব্য প্রকাশ করা যাবে না। জিজ্ঞাসাবাদ পর্বের কোনও 'অ্যানিমেশন' নাট্যরূপও প্রকাশ করা যাবে না। বস্তুগত সংবাদ পরিবেশন করতে হবে এবং সংবাদমাধ্যমের নিজস্ব মতামত প্রকাশ করা যাবে না। সংবাদমাধ্যমকে 'তদন্তকারী সংস্থার' ভূমিকা নিতেও কার্যত নিষেধ করেছে কোর্ট। কোনও বিতর্ক বা আলোচনাসভার ক্ষেত্রে বক্তার মন্তব্য যে সংবাদমাধ্যমের মতামত নয়, সে ব্যাপারেও বিধিবদ্ধ সতর্কীকরণ দিতে হবে।


এ দিন শুনানিতে সন্দীপের আইনজীবী বিশ্বরূপ ভট্টাচার্যের বক্তব্য ছিল, সংবাদমাধ্যম তাঁর মক্কেল সম্পর্কে 'অসত্য' এবং অবমাননাকর খবর প্রকাশ করছে। তার ফলে তদন্ত যেমন প্রভাবিত হচ্ছে তেমনই সন্দীপের সম্মানহানি হচ্ছে। তাঁর বিরুদ্ধে জনরোষও তৈরি হচ্ছে। এবিপি প্রাইভেট লিমিটেড-এর আইনজীবী রত্নাঙ্ক বন্দ্যোপাধ্যায় কোর্টে জানান, এই ধরনের কোনও অভিযোগ থাকলে মামলাকারী প্রেস কাউন্সিলের দ্বারস্থ হতে পারেন। কিন্তু সংবাদমাধ্যমের সার্বিক নিষেধাজ্ঞা সংবিধান স্বীকৃত বাক-স্বাধীনতার পরিপন্থী। উপরন্ত, মামলার নথিতে এমন কোনও ইঙ্গিত নেই যে এবিপি সংস্থা কোনও 'বিচারসভা' (মিডিয়া ট্রায়াল) আয়োজন করেছে। 


বিচারপতি সরকারের পর্যবেক্ষণ, মামলাকারী এমন কোনও তথ্য দেখাতে পারেননি যা থেকে 'মিডিয়া ট্রায়াল' বোঝা যায়। মামলাকারী কোনও অভিযুক্ত নন, তাই বর্তমান 'মিডিয়া ট্রায়াল' প্রাসঙ্গিক নয়। জিজ্ঞাসাবাদ প্রক্রিয়া নিয়েও সংবাদমাধ্যমে এখনও কোনও 'উস্কানিমূলক' প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়নি। গণতন্ত্রে সংবাদমাধ্যম যে 'চতুর্থ স্তম্ভের' ভূমিকা এবং মানুষকে সংবাদ পরিবেশনের কর্তব্য পালন করে তাও কোর্টের পর্যবেক্ষণে উঠে এসেছে। আর জি কর কাণ্ড বিশ্বের নজরে এসেছে, তাই এ ক্ষেত্রে মানুষের সংবাদমাধ্যমের কাছে তথ্য জানার অধিকার আছে বলেও কোর্ট এ দিন জানিয়েছে।

Card image cap

আরজি কর নিয়ে অবশেষে মুখ খুললেন অভিষেক

আরজি করের ঘটনা নিয়ে আবার মুখ খুললেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এ বিষয়ে তাঁর 'নীরবতা' নিয়ে জল্পনার মধ্যেই বৃহস্পতিবার সকালে সমাজমাধ্যমে একটি পোস্ট করেন অভিষেক। সেখানে তিনি পশ্চিমবঙ্গ-সহ দেশের সমস্ত রাজ্যের সরকারকে অনুরোধ করেছেন ধর্ষণ বিরোধী কঠোর আইন বলবৎ করার বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে 'চাপ' দিতে।


অভিষেক বলেছেন, ''এমন কঠোর ধর্ষণ বিরোধী আইন আনতে হবে, যা ঘটনার ৫০ দিনের মধ্যে অপরাধীকে চিহ্নিত করে দোষী সাব্যস্ত করা নিশ্চিত করবে এবং তাতে দোষীকে কঠোরতম সাজা দেওয়ার নিদান থাকবে।'' 


আরজি করের ঘটনার পর এই নিয়ে দ্বিতীয় বার মুখ খুললেন অভিষেক। গত ৯ অগস্ট ভোরে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালে এক মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ ওঠে। সেই ঘটনার পাঁচ দিন পরে ১৪ অগস্ট মাঝরাতে অভিষেক প্রথম ওই বিষয়ে মন্তব্য করেন। তার সাত দিন পরে আবার বৃহস্পতিবার সকালে অভিষেক লিখলেন। তবে এ বার আরজি করের ঘটনার থেকেও বেশি তিনি জোর দিয়েছেন গোটা দেশে নিরন্তর ঘটে চলা ধর্ষণের ঘটনা নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে।


অভিষেক লিখেছেন, ''গত ১০ দিনে যখন আরজি করে মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় দেশ জুড়ে প্রতিবাদ হচ্ছে, মানুষ সুবিচারের দাবি জানাচ্ছেন, সেই সময়েও, দেশের বিভিন্ন প্রান্তে একের পর এক ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। গত ১০ দিনে দেশে ৯০০টি ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। প্রতি দিন ৯০টি ধর্ষণের ঘটনার রিপোর্ট লেখানো হয়েছে। অর্থাৎ প্রতি ঘণ্টায় চারটি এবং প্রতি ১৫ মিনিটে একটি ধর্ষণের ঘটনার অভিযোগ দায়ের হয়েছে। অথচ এত কিছু সত্ত্বেও এই অপরাধের কোনও দীর্ঘমেয়াদি সমাধান বার করা গেল না।''


বৃহস্পতিবার অভিষেক আরও লিখেছেন, ''দেশের ধর্ষণের অভিযোগের পরিসংখ্যানই বলছে, এই মুহূর্তে ধর্ষণ বিরোধী কঠোর আইন কতটা জরুরি হয়ে পড়েছে। এমন আইন, যা অপরাধের ৫০ দিনের মধ্যে ধর্ষণকারীকে চিহ্নিত করে দোষী সাব্যস্ত করা নিশ্চিত করবে। নিশ্চিত করবে তার দ্রুত এবং কঠোর শাস্তি। কোনও সারবত্তাহীন প্রতিশ্রুতি দেবে না।'' এ বিষয়ে রাজ্য সরকারকে কেন্দ্রের উপর 'চাপ সৃষ্টি করে' ধর্ষণ বিরোধী কঠোর আইন তৈরি করার পরামর্শও দিয়েছেন অভিষেক। তিনি লিখেছেন, ''সমস্ত রাজ্যগুলির সরকারের উচিত কেন্দ্রীয় সরকারের উপর চাপ সৃষ্টি করে কঠোর ধর্ষণ বিরোধী আইন প্রণয়নের ব্যবস্থা করা। এর থেকে বিন্দুমাত্র কম কিছু হলে, তা হবে নেহাৎই প্রতীকী এবং আদতে তাতে কোনও কাজ হবে না।'' 


গত ১৪ অগস্ট রাতে আরজি করের ঘটনার প্রতিবাদে 'রাত দখলের' ডাক দিয়েছিলেন আন্দোলনকারীরা। প্রতিবাদ চলাকালীনই আচমকা আরজি কর হাসপাতালে ঢুকে ভাঙচুর চালায় একদল দুষ্কৃতী। অভিষেক সেই ঘটনার পরেই প্রথম সমাজমাধ্যমে মুখ খোলেন। তিনি জানান, তাঁর সঙ্গে কলকাতা পুলিশের কমিশনারের সঙ্গে কথা হয়েছে। একজন জনপ্রতিনিধি হিসাবে কথা বলেছেন তিনি। তাঁকে অনুরোধ করেছেন, আরজি করে ভাঙচুরের ঘটনায় যাঁরা দায়ী, তাঁরা যে রাজনৈতিক দলের কর্মী সমর্থকই হোন না কেন, তাদের চিহ্নিত করে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে যেন আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়। একই সঙ্গে আরজি করের প্রতিবাদী চিকিৎসকদের দাবিকে 'যথার্থ' বলে মন্তব্য করে অভিষেক বলেছিলেন, সরকারের কাছে তাঁরা এটুকু তো আশা করতেই পারেন যে, তাঁদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে।


কিন্তু সেই শেষ। তার পরে আর অভিষেককে প্রকাশ্যে বা সমাজমাধ্যমে আরজি করের আন্দোলন বা আন্দোলনকারীদের নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে দেখা যায়নি। তাঁর ওই 'নীরবতা' স্বাভাবিক ভাবেই জল্পনা বাড়িয়েছিল তাঁর 'নিস্পৃহতা' নিয়ে। কারণ, লোকসভা ভোটের ফলপ্রকাশের কিছু দিন পর থেকেই তিনি নবান্নের সঙ্গে 'শীতল সম্পর্ক' বজায় রাখছিলেন বলে কানাঘুষো চলছিল দলের অভ্যন্তরেই। লোকসভা ভোটের ফলপ্রকাশের পর অভিষেকের চোখের চিকিৎসার জন্য কিছু দিনের জন্য বিদেশে যাওয়া পরে ২১ জুলাইয়ে তৃণমূলের ধর্মতলার সভার আয়োজন থেকে নিজেকে 'দূরে রাখা' সেই জল্পনায় আরও ইন্ধন দিয়েছিল। আরজি কর নিয়ে অভিষেকের 'নীরবতা' নিয়েও তাই রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছিল জল্পনা। এই পরিস্থিতিতেই বৃহস্পতিবার আবার মুখ খুললেন অভিষেক।

Card image cap

রাজ্যবাসীর জন্য বিরাট সিদ্ধান্ত মমতার

নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম আকাশ ছোঁয়া। বাজারে সবই অগ্নিমূল্য। আলু, শাক-সবজির পাশাপাশি দিন দিন হুড়মুড়িয়ে দাম বাড়ছে পেঁয়াজের । যার জেরে চরম ভোগান্তির মুখে পড়তে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। এই ইস্যুতেই বড় সিদ্ধান্ত নবান্নের । পেঁয়াজের যোগান জনিত সমস্যা দূরীকরণে এবার বড় উদ্যোগ রাজ্য সরকারের ।


রাজ্যবাসীর কথা চিন্তা করে বড় সিদ্ধান্ত নবান্নের 



বর্তমান সময়ে বাজারে প্রায় ৫০ টাকা কিলো দরে বিকোচ্ছে পেঁয়াজ। পেঁয়াজের এই মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে ভিন রাজ্যের ওপর নির্ভরতা কম করতে এবার জেলায় জেলায় উৎপাদন এবং সংরক্ষণের উপর জোর দিচ্ছে রাজ্য।


সূত্রের খবর, রাজ্যে পেঁয়াজের উৎপাদন ও সংরক্ষণের জন্য পশ্চিমাঞ্চলের ৬ জেলার ৭ হাজার বিঘা জমিকে চিহ্নিত করা হয়েছে। সেই জমিতে অর্থকরী ফসল হিসেবে আগামী খরিফ মরশুম থেকে শুরু হয়ে যাবে পেঁয়াজের চাষ। আর তা সংরক্ষণ করতে তৈরী হবে গোলা।


ইতিমধ্যেই এই বিষয়ে বড় পদক্ষেপ করেছে রাজ্য সরকার। দশ জেলায় ৯১৭ টি গোলা তৈরি করার জন্য ভর্তুকি হিসেবে ৬ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। বাংলায় পেঁয়াজের উৎপাদন আগের তুলনায় বহু অংশে বৃদ্ধি পেয়েছে তবে উপযুক্ত সংরক্ষণের ব্যবস্থা না থাকাটাই সমস্যার হয়ে দাঁড়াচ্ছে।


খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ ও উদ্যান পালন দফতর সূত্রে খবর, রাজ্যে বর্তমানে বছরে প্রায় ১৩ লক্ষ মেট্রিক টন পেঁয়াজের চাহিদা রয়েছে। গত কয়েক বছরে প্রচুর পরিমাণে পেঁয়াজের উৎপাদন বেড়েছে রাজ্যে। বর্তমানে বাংলাতেই প্রায় ৮ লক্ষ মেট্রিক টন সুখসাগর প্রজাতির কালচে লাল রঙের পেঁয়াজ উৎপাদন হয়েছে। কিন্তু সংরক্ষণের সুব্যবস্থা নেই। তাই উপযুক্ত দাম পায় না চাষিরা।


এই অবস্থায় জোগানে ঘাটতি থাকায় রাজ্যকে নাসিক, কর্ণাটক, অন্ধ্রপ্রদেশ ও বিহার থেকে পেঁয়াজ আমদানির উপর নির্ভর করতে হয়। তবে এবার মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে বিশেষজ্ঞের পরমার্শ মেনে পেঁয়াজ সংরক্ষণে গোলা তৈরী করছে রাজ্য। প্রথম দফায় দশ জেলায় ৯১৭ পেঁয়াজ গোলা তৈরির লক্ষ্যমাত্রা স্থির করা হয়েছে। মালদহ, পূর্ব বর্ধমান, নদিয়া, হুগলি , উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা সহ এই গোলা তৈরী হবে বলে জানা গিয়েছে। ইতিমধ্যেই মালদহ এবং পূর্ব বর্ধমানে গোলা তৈরির কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে।

Card image cap

বাড়ল সিভিক ভলান্টিয়ারদের পুজো বোনাস

সিভিক ভলান্টিয়ার এবং ভিলেজ পুলিশদের জন্য সুখবর। বাড়ল পুজোর বোনাস। আগে ৫ হাজার ৩০০ টাকা পেতেন তাঁরা। চলতি অর্থবর্ষে ৬ হাজার টাকা করে পাবেন তাঁরা। বুধবার এই মর্মে নবান্নের তরফে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়।মার্চ মাসেই রাজ্যের অর্থ দফতর জানিয়ে দিয়েছিল সিভিক ভলান্টিয়ার ও ভিলেজ পুলিশ ভলান্টিয়ারদের অ্যাডহক বোনাস বাড়ানো হবে। সেই ঘোষণা অনুযায়ী বাড়ল সিভিক ভলান্টিয়ারদের বোনাস।নবান্ন সূত্রের খবর, ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষের জন্য সিভিক ভলেন্টিয়ারদের বোনাসের অর্থ ৫,৩০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৬ হাজার টাকা হয়েছে।বুধবার সেই বোনাস বাড়ানোর বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে রাজ্যের স্বরাষ্ট্র দফতর। কলকাতা পুলিশ ও রাজ্য পুলিশের সিভিক ভলান্টিয়ার ও ভিলেজ পুলিশ ভলেন্টিয়াররা চলতি অর্থবর্ষের জন্য এই ৬০০০ টাকা অ্যাডহক বোনাস পাবেন।প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসেই সিভিক ভলান্টিয়ারদে জন্য একগুচ্ছ সুবিধা বাড়ানোর কথা ঘোষণা করেছিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার৷ অর্থ দফতরের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য রাজ্য বাজেট পেশের সময় জানিয়েছিলেন, আগে যা বেতন বাবদ পেতেন একজন সিভিক ভলান্টিয়ার এবার তার থেকে ১ হাজার টাকা বেশি পাবেন। তার জন্য ১৮০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হবে। রাজ্য পুলিশের ২০ শতাংশ চাকরি সংরক্ষিত থাকবে সিভিক ভলান্টিয়ারদের জন্য।সিভিক পুলিশ এবং ভিলেজ পুলিশ থেকে রাজ্য পুলিশে কর্মী নিয়োগের সংখ্যাও বৃদ্ধি করা হবে বলে জানানো হয়েছিল তখন। রাজ্য পুলিশে যদি নতুন করে ১ হাজার জনকে নিয়োগ করা হয় সেক্ষেত্রে কাজের নিরিখে সিভিক পুলিশ এবং ভিলেজ পুলিশ থেকে ২০০ জন চাকরি পাওয়ার কথা বলা হয়েছিল।

Card image cap

আর জি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে জোড়া কর্মসূচি বাতিল সৌরভের

আর জি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে উত্তাল গোটা কলকাতা। পথে নেমে প্রতিবাদ জানিয়েছেন তারকা থেকে আমজনতা সকলেই। সেই প্রতিবাদে শামিল হতে চেয়েছিলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। বুধবার দুটি প্রতিবাদ মিছিলে হাঁটার কথা ছিল তাঁর। কিন্তু পুলিশের অনুমতি না মেলায় আর জি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে পথে নামা হচ্ছে না ভারতীয় দলের প্রাক্তন অধিনায়কের। উল্লেখ্য, প্রথম থেকেই বিষয়টি নিয়ে সোচ্চার ছিলেন ছিলেন সৌরভ।আর জি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে বুধবার দুপুরে পথে নামেন ক্রীড়াবিদরা। ময়দানে গোষ্ঠ পালের মূর্তির পাদদেশে জমায়েত হন অর্ণব মণ্ডল, মাধব দাস, অনীত ঘোষের মতো তারকার। সেখান থেকে মিছিল করে তাঁরা বাবুঘাট পর্যন্ত যান। প্রথমে জানা গিয়েছিল, এই জমায়েতে যোগ দেবেন বিসিসিআইয়ের প্রাক্তন সভাপতি। কিন্তু তাঁকে এই অবস্থান বিক্ষোভ বা মিছিলে যোগ দেওয়ার অনুমতি দেয়নি প্রশাসন।বুধবারই আরও একটি প্রতিবাদ কর্মসূচি ছিল সৌরভের। সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার সময় ডোনা গঙ্গোপাধ্যায়ের নাচের স্কুল থেকে দীক্ষামঞ্জরী থেকে ডাক দেওয়া হয়েছে প্রতিবাদ মিছিলের। বড়িষা প্লেয়ার কর্নারে জমায়েত হবেন সকলে, সেখান থেকে জেমস লং সরণি, বেহালা চৌরাস্তা ব্লাইন্ড স্কুল হয়ে ফের দীক্ষামঞ্জরীর সামনে এসে থামবে এই মিছিল। প্রথমে জানা গিয়েছিল, এই মিছিলেও পা মেলাবেন সৌরভ। কিন্তু বুধবার বিকেল গড়াতে খবর ছড়ায়, ওই মিছিলে হাঁটার জন্যও প্রিন্স অফ ক্যালকাটাকে হাঁটার অনুমতি দেয়নি পুলিশ।

Card image cap

হাসপাতালের বেওয়ারিশ লাশ বেচতেন সন্দীপ ঘোষ!

হাসপাতালের বেওয়ারিশ লাশ বিক্রি করতেন সন্দীপ ঘোষ! পাচারচক্রের শিকড় ছড়িয়ে বাংলাদেশেও! এমন বিস্ফোরক দাবি করলেন আর জি কর হাসপাতালের প্রাক্তন ডেপুটি সুপার আখতার আলি। এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ করেছেন তিনি।আখতার আলির কথায়, “হাসপাতালে বেওয়ারিশ লাশ নিয়ে ব্যবসা করতেন সন্দীপ ঘোষ । তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগও দায়ের হয়েছিল।” এমনকী,হাসপাতালের চিকিৎসা বর্জ্র্য বা বায়ো মেডিক্যাল ওয়েস্টও বাইরে বিক্রি করতেন সন্দীপ! নিজের অতিরিক্ত নিরাপত্তরক্ষীদের কাছে সেই সব সামগ্রী বিক্রি করতেন তিনি! আর সেই শিকড় ছড়িয়ে রয়েছে বাংলাদেশেও! সীমান্তের ওপারে পাচার হত বায়ো মেডিক্যাল ওয়েস্টও। সাক্ষাৎকারে একের পর এক বোমা ফাটিয়েছেন আখতার আলি।উল্লেখ্য, ২০২৩ সাল পর্যন্ত হাসপাতালে কর্মরত ছিলেন আখতার আলি। সেই সমস্ত এই দুর্নীতি নিয়ে সরব হয়েছিলেন তিনি। সেই সময় সন্দীপের বিরুদ্ধে যে তদন্ত কমিটি তৈরি হয়েছিল তাতে আখতার আলিও ছিলেন। তাঁর অভিযোগ, তদন্তে দেখা সন্দীপের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিত হয়। স্বাস্থ্যভবনে তদন্ত রিপোর্ট জমা দেওয়ার পরও সন্দীপের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। উলটে রিপোর্ট জমা দেওয়ার দিনই বদলি করে দেওয়া হয় আখতার আলিকে। এমনই অভিযোগ করেছেন আর জি কর হাসপাতালের প্রাক্তন ডেপুটি সুপার।হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ খুনের ঘটনায় বিপাকে সন্দীপ ঘোষ। তদন্ত করছে রাজ্যও। এর মাঝেই এবার সন্দীপের বিরুদ্ধে ইডি তদন্ত চেয়ে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হলেন তাঁর প্রাক্তন সহকর্মী।

Card image cap

আন্দোলনের সিদ্ধান্তে অনড় জুনিয়র চিকিৎসকরা

স্বাস্থ্যভবনের সঙ্গে বৈঠকে মিলল না রফাসূত্র। ঘটনার রাতে যাঁরা পদে ছিলেন, তাঁদের অপসারণের দাবিতে এককাট্টা আন্দোলনকারীরা। স্বাস্থ্যভবনের সামনে থেকে অবস্থান প্রত্যাহার করেছেন তাঁরা। তবে দাবিপূরণ না হওয়ায় আন্দোলনের সিদ্ধান্তে এখনও অনড় জুনিয়র চিকিৎসকরা।
বুধবার বেলা ১২টা নাগাদ সিজিও কমপ্লেক্সের সামনে থেকে মিছিল শুরু করেন চিকিৎসকেরা। শুরুতেই ছিলেন আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের চিকিৎসকেরা। স্বাস্থ্যভবনে পৌঁছে স্বাস্থ্য অধিকর্তার সঙ্গে দেখা করতে চান আন্দোলনকারীরা। তাঁদের হাতে স্মারকলিপি জমা দিতে চান। এর পর মিছিলকারীদের মধ্যে থাকা ৩০-৩৫ জন স্বাস্থ্যভবনের ভিতরে গিয়ে বৈঠকে যোগ দেন। তবে বৈঠক থেকে বেরিয়ে ‘হতাশ’ মিছিলকারীরা। তিনি বলেন, “তাড়াহুড়ো করে ৪ ঘণ্টার মধ্যে সন্দীপ ঘোষকে অন্যত্র অধ্যক্ষ করা হল। অথচ আমরা যে ছোট ছোট দাবি নিয়ে এসেছি সেগুলো মানতে এত সময় লেগে গেল? বৈঠকে হতাশ। স্বাস্থ্যভবন খুব অসহায়।”আন্দোলনকারী চিকিৎসকরা আরও বলেন, “সুবিচার চাইতে আমরা এখানে আসিনি। আমরা দেখব বৃহস্পতিবার সিবিআই সুপ্রিম কোর্টে কী জানায়, তার পরই কর্মবিরতি নিয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেব। আমাদের দাবি, ঘটনার রাতে থাকা অধ্যক্ষ, এমএসভিপি, ডিনকে প্রশাসনিক ব্যর্থতার দায়ে পদত্যাগ করাতে হবে। তাঁদের যাতে ভবিষ্যতে আর কোনও পদে না রাখা হয়, তা সুনিশ্চিত করতে হবে। বর্তমান অধ্যক্ষ সুহৃতা পাল তাঁর দায়িত্ব এড়িয়ে গিয়েছেন। এসব দাবিগুলির উত্তর চাইতে এসেছিলাম। আমরা বুঝতে পেরেছি স্বাস্থ্যভবন প্রশাসনিক জটিলতায় কাজ করতে পারছে না। প্রশাসনিক চাপে স্বাস্থ্যভবন অসহায়। আমাদের মৌখিক আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। তাতে কোনও লাভ নেই। আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব।”

Card image cap

নিজের অ্যাকাউন্ট দিয়ে এই ১০ কাজ করলে যেতে হবে জেল

রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (RBI) অর্থাৎ কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক দেশের প্রতিটি নাগরিকদের টাকা পয়সা সুরক্ষিত রাখার বিষয়ে সদা সতর্ক থাকে। এক্ষেত্রে কোথাও কোনরকম অসঙ্গতি ধরা পড়লেই তাদের তরফ থেকে কড়া ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। ঠিক সেই রকমই এবার রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (RBI Alert) সতর্ক করে জানিয়ে দিয়েছে, নিজের অ্যাকাউন্ট দিয়ে ১০টি কাজ করলে জেল যেতে হতে পারে।


বর্তমানে ডিজিটাল লেনদেন বৃদ্ধি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে প্রতারণার মতো ঘটনা। ঠিক সেই রকমই প্রতারণার ঘটনা হলো মানি ফুয়েল। যারা এই মানি ফুয়েল হিসাবে কাজ করেন তারা অপরাধী হিসেবে গণ্য হয়ে থাকেন রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার কাছে। স্বাভাবিকভাবেই যারা এমন কাজ করে থাকেন তাদের এবার সতর্ক করলো রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া। সতর্ক করা হয়েছে তাদেরও যারা চিন্তা-ভাবনা ছাড়াই যে কারো অ্যাকাউন্টে টাকা ট্রান্সফার করে প্রতারণার শিকার হন।


রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার তরফ থেকে স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছে, মানি ফুয়েল হিসাবে কাজ করা ব্যক্তিদের জেল যেতে হতে পারে। মানি ফুয়েল হলো কোন এক ব্যক্তির অসৎ উপায়ে রোজগার করা টাকা লেনদেন বা স্থানান্তর করতে সাহায্য করে থাকেন। যারা এমন কাজ করে থাকেন তাদের অবিলম্বে এই ধরনের কাজ বন্ধ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আর তা না হলে এমন কাজ করা ব্যক্তিকে কিন্তু জেলের ভাত খেতে হতে পারে।


রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার তরফ থেকে এই সংক্রান্ত সর্তকতা প্রত্যেকের কাছে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য একটি বিজ্ঞাপন শুরু করা হয়েছে। যে বিজ্ঞাপনে সাধারণ নাগরিকদের সতর্ক করার পাশাপাশি জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, নিজেদের অ্যাকাউন্ট যেন অন্যের টাকা লেনদেনের জন্য ব্যবহৃত না হয়। এমন কাজ করা অনুচিত। এছাড়াও কোন ধরনের প্রতারণার মত ঘটনা ঘটলে সঙ্গে সঙ্গে ১৯৩০ নম্বরে অথবা ন্যাশনাল সাইবার ক্রাইম পোর্টালে অভিযোগ জানাতে হবে।


রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার তরফ থেকে ১০টি কাজ করা থেকে বিরত থাকার কথা বলা হয়েছে। যেমন তহবিলের অপব্যবহার, পাস বইয়ের কারসাজি, সত্য তথ্য গোপন করে প্রতারণা করা, ভুয়ো নথি বা ভুয়ো ইলেকট্রনিক রেকর্ড তৈরি করা, প্রতারণামূলক ঋণ সুবিধা প্রদান করা, বৈদেশিক মুদ্রা সম্পর্কিত জালিয়াতি ইত্যাদি। বহু ক্ষেত্রেই দেখা গিয়েছে, অনেক মানুষ রয়েছেন যারা কিছু না বুঝেই অন্যের থেকে টাকা নিয়ে নিজেদের অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে লেনদেন করতে সাহায্য করেন। এই ধরনের ঘটনায় আমাদের রাজ্যে বহু মানুষকেই বিভিন্ন সময় ফাঁসতে দেখা গিয়েছে। সুতরাং রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার সতর্কবার্তা মনে রেখে নিজেদের কাজ চালিয়ে যেতে হবে।

Card image cap

অবশেষে ধর্ষণকান্ডে কড়া শাস্তির রায় শোনাল আদালত!

আরজি কর কান্ড নিয়ে গোটা দেশ উত্তাল। ধর্ষিতার সুবিচার চেয়ে পথে নেমেছেন লাখো মানুষ। সিবিআই তদন্তে বেরিয়ে আসছে একের পর এক বিস্ফোরক তথ্য। আরজি কর মামলা গিয়ে পৌঁছেছে সুপ্রিম কোর্টেও। এই পরিস্থিতিতে আরেক ধর্ষণকান্ডে কড়া শাস্তির রায় শোনাল আদালত।


আরজি করে কর্মরত তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় উত্তাল গোটা দেশ।


দফায় দফায় রাজ্য জুড়ে চলছে বিক্ষোভ প্রতিবাদ। ইতিমধ্যেই এই ঘটনার সূত্র ধরে সঞ্জয় নামের এক সিভিক ভলেন্টিয়ারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।


 

ওদিকে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে ঘটনার তদন্তভার নিয়েছে সিবিআই। আর তারপরই কোমর বেঁধে ময়দানে নেমেছেন গোয়েন্দারা। এদিকে আরজি কর মামলা গিয়ে পৌঁছেছে সুপ্রিম কোর্টে। এদিন বড় নির্দেশ দিল শীর্ষ আদালত।


 

অন্যদিকে, আজমেরে ব্ল্যাকমেইল ও ধর্ষণ মামলায় ৬ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। ৩২ বছর পর বিচার পেল নির্যাতিতার পরিবার।


 

আদালত বাকি সাত আসামির মধ্যে ৬ জনকে আজমেরের সবথেকে বড় যৌন কেলেঙ্কারি এবং ব্ল্যাকমেলের ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত করেছে।


 

আদালত তাদের প্রত্যেককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য আদালত এর আগে ছয় জনকে দোষী সাব্যস্ত করেছিল।


 

১৯৯২ সালে ১০০ টিরও বেশি কলেজছাত্রীকে গণধর্ষণ করা হয়েছিল এবং তাদের নগ্ন ছবি প্রচার করা হয়েছিল। এই ঘটনায় আলোড়ন পড়ে গিয়েছিল গোটা দেশজুড়ে।


 

মামলায় মোট আসামি ছিলেন ১৮ জন। ৯ আগস্ট বাকি ছয়জনের সাজা ঘোষণা হলেও। মামলার শুনানি কুড়ি আগস্ট পর্যন্ত মুলতবি রাখা হয়।


 

১৯৯২ সালে, আনোয়ার চিশতি, ফারুক চিশতি, পারভেজ আনসারি, মইনুল্লাহ ওরফে পুত্তান এলাহাবাদী, ইশরাত ওরফে লালি, কৈলাশ সোনি, মহেশ লুধানি, শামশু চিশতি ওরফে মেনরাডোনা এবং নাসিম ওরফে টারজানকে অশ্লীল ছবি ব্ল্যাকমেইলের মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।


 

জামিন পাওয়ার পর টারজান পলাতক। এর পরে, এলাহাবাদের একটি মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হলে তার বিরুদ্ধে পৃথক শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে বাকি আসামিদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন দায়রা আদালত ১৯৯৮ সালে।


 

আপিলের পর হাইকোর্ট চার আসামির সাজা কমিয়ে ১০ বছর করেন। অপর চার আসামিকে খালাস দেওয়া হয়েছে। এই আদেশের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আপিল করা হলে আদালত আসামিদের সাজা বহাল রাখার সিদ্ধান্ত নেন।


 

আজমীরে, যুব কংগ্রেসের তৎকালীন সভাপতি ফারুক চিশতি, তার সহযোগী নাফীস চিশতি এবং তাদের দোসররা পার্টির নামে স্কুল ও কলেজের মেয়েদের খামারবাড়ি ও রেস্তোরাঁয় ডেকে নেশা করত, গণধর্ষণ করত এবং তাদের অশ্লীল ছবি তোলা হত। এসব অশ্লীল ছবির ভিত্তিতে মেয়েরা অন্য মেয়েদের নিয়ে আসতে বাধ্য হত।


 

মামলা নথিভুক্ত হওয়ার আগে কিছু মেয়ে সাহস করে পুলিশের কাছে গিয়ে জবানবন্দি দিয়েছিল, কিন্তু পুলিশ শুধু ওই ভিকটিমদের জবানবন্দি নিয়েছে এবং তাদের ছেড়ে দিয়েছে। পরে ওই ভুক্তভোগীরা হুমকি পেতে থাকে।


 

১৯৯২ সালে, আজমিরের একটি রঙের ল্যাব থেকে কিছু অশ্লীল ছবি ফাঁস হয়েছিল এবং শহরে বিখ্যাত হয়েছিল। এরপর পুলিশ মামলা নথিভুক্ত করে অশ্লীল ছবির তদন্ত করে। তখন এই জঘন্য অপরাধ ও ষড়যন্ত্রের বহিঃপ্রকাশ ঘটে।

Card image cap

গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের উপর নিম্নচাপ...! অতি ভারী বৃষ্টি

আগামী ২৪ ঘণ্টায় এটি আরও শক্তিশালী হবে। গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের উপর দিয়ে এটি আগামী দু তিন দিনে ঝাড়খণ্ডের দিকে যাবে।


  এর প্রভাবে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা। বাংলার পর ঝাড়খণ্ড, বিহারেও অতিবৃষ্টির সতর্কতা। যার জেরে নতুন করে নিচু এলাকায় প্লাবনের আশঙ্কা দক্ষিণবঙ্গে।


  নিম্নচাপের জেরে সমুদ্র উত্তাল হবে। ৫৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত গতিবেগে দমকা ঝোড়ো হাওয়া সমুদ্রের ভেতরে। মৎস্যজীবীদের জন্য সতর্কবার্তা। আজ, মঙ্গলবার পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গ ও ওড়িশার মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।


  নিম্নচাপটি দক্ষিণ বাংলাদেশে অবস্থান করছে। আজ বাংলাদেশ ও গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের উপকূলে এই নিম্নচাপ আরও শক্তিশালী হবে। এটি সুস্পষ্ট নিম্নচাপে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা।


  পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় এটি আরও শক্তিশালী হয়ে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ থেকে পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিম দিকে এগোবে। গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ অতিক্রম করে ঝাড়খণ্ডের দিকে এগিয়ে যাবে। তিন দিনের মধ্যে এটি ঝাড়খণ্ড ও সংলগ্ন বিহার ,উত্তর প্রদেশ ও মধ্যপ্রদেশের দিকে অবস্থান করবে।


  এর ফলে দক্ষিণবঙ্গ ও ঝাড়খণ্ড প্রবল বৃষ্টিপাত পেতে চলেছে আগামী কয়েকদিন। অতি ভারি বৃষ্টির সতর্কতা থাকবে বিহার, উত্তরপ্রদেশ মধ্যপ্রদেশের কিছু অংশে।


  সক্রিয় মৌসুমী অক্ষরেখা বাংলাতেই। এই অক্ষরেখা শ্রীগঙ্গানগর, রোহতক, আগ্রা, কানপুর, ডালটনগঞ্জ হয়ে আসানসোলের পর গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ ও সংলগ্ন বাংলাদেশের নিম্নচাপ এলাকা পর্যন্ত বিস্তৃত।


  দক্ষিণবঙ্গ:

মঙ্গলবার ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা থাকবে মুর্শিদাবাদ এবং বীরভূম জেলাতে। ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকবে পুরুলিয়া বাঁকুড়া পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান এবং নদিয়া জেলাতে। বজ্রবিদ্যুৎ- সহ হালকা মাঝারি বৃষ্টির সতর্কতা প্রায় সব জেলাতে।


  বুধবারে ও ভারী বৃষ্টির সতর্কতা থাকবে পুরুলিয়া, পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম জেলাতে। পশ্চিমের দিকের বাকি জেলাতেও বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা মাঝারি বৃষ্টির সর্তকতা।


  বৃহস্পতিবার ভারী বৃষ্টির সতর্কতা থাকবে উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পুরুলিয়া, পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম এবং নদিয়া জেলাতে। শুক্রবারেও ভারী বৃষ্টির সতর্কতা থাকবে উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুরে।


  উত্তরবঙ্গ: মঙ্গলবার সব জেলাতেই বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টির সম্ভাবনা। ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকবে উত্তরবঙ্গের সব জেলাতে। জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর, এবং মালদহ জেলাতেই বিক্ষিপ্তভাবে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস।


  বুধবারেও বজ্রবিদ্যুৎসহ বৃষ্টির পূর্বাভাস। ভারী বৃষ্টির সতর্কতা দার্জিলিং কালিম্পং জলপাইগুড়ি আলিপুরদুয়ার জেলাতে। বৃহস্পতিবার ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা মালদহ এবং উত্তর দিনাজপুর জেলাতে।


  কলকাতা: মঙ্গলবার মূলত মেঘলা আকাশ। বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা। নিম্নচাপের প্রভাবে দু-এক পশলা হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির পূর্বাভাস। ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা আপাতত নেই। বাতাসে জলীয় বাষ্প বেশি থাকায় বৃষ্টি না হলে আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তিও হবে।


  মঙ্গলবার সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিক তাপমাত্রার থেকে ০.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি। গতকাল বিকেলে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৯.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিক তাপমাত্রার থেকে ২.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস কম।


  বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ ৮৫ থেকে ৯৬ শতাংশ। আগামী ২৪ ঘণ্টায় কলকাতা শহরে তাপমাত্রা থাকবে ২৬ থেকে ৩১ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে। গত ২৪ ঘন্টায় বৃষ্টি হয়েছে ২.৪ মিলিমিটার।


  ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা উত্তরাখণ্ড, সিকিম, অসম, মেঘালয়, তামিলনাড়ু, পন্ডিচেরি, করাইকাল, কেরল, মাহে ও লাক্ষাদ্বীপে।আগামী কয়েক দিনে বিহার, ঝাড়খণ্ড, হিমাচল প্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, পঞ্জাব, হরিয়ানা, চন্ডীগড়ে অতিভারী বৃষ্টির সতর্কতা।