CATEGORY state:

Card image cap

বিধায়সভায় প্রথমদিন কেমন গেল?জানালেন বিধায়ক মধুপর্ণা

বয়স মাত্র ২৫। মায়ের হাত ধরে বিধানসভার অলিন্দে ঢুকলেন রাজ্যের সর্বকনিষ্ঠা বিধায়ক মধুপর্ণা ঠাকুর। বাগদা কেন্দ্র থেকে সদ্য নির্বাচিত হয়েছেন তিনি। যদিও, বিধায়ক হিসেবে তিনি এখনও শপথগ্রহণ করেননি। মঙ্গলবার শপথগ্রহণ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে বিধানসভা সূত্রে খবর। তবে, বিধায়সভায় প্রথমদিন কেমন গেল?


নার্ভাস ছিলেন কি তিনি? জানালেন মধুপর্ণা নিজেই।সোমবার সকালে তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ মা মমতাবালা ঠাকুরকে হাত ধরেই বিধানসভায় প্রবেশ করেন তিনি। মা দীর্ঘদিনের রাজনীতিবিদ। বলা যেতে পারে, বনগাঁয় বিজেপির বিরুদ্ধে মতুয়া সম্প্রদায়ের মুখ হিসেবে বিজেপির বিরুদ্ধে তৃণমূল কংগ্রেসের লড়াইয়ের অন্যতম সৈনিক মমতা বালা।


সেই তালিকায় যুক্ত হল আরও এক নাম। যিনি, প্রথমবার জিতেই তৃণমূলের সর্ব বৃহৎ সমাবেশ ২১ জুলাইয়ের মঞ্চে বক্তৃতা দেওয়ার সুযোগ পেয়েছেন।


প্রথমদিন কেমন লাগল বিধানসভায়? মধুপর্ণা বলেন, 'প্রথমদিন একটু নার্ভাসনেস তো ছিলই। তবে বিধানসভায় সবাই আমাকে নিজের ছোট বোনের মতো দেখছে।


আশা করি, এই নার্ভাসনেসটা বেশিদিন থাকবে না।'বাগদা উপনির্বাচনে বিজেপির প্রার্থীর থেকেও লড়াইটা আসলে ছিল তাঁর দাদা এবং বিজেপির সাংসদ শান্তনু ঠাকুরের সঙ্গে। লড়াইটা সহজ ছিল না। উপনির্বাচনে বড় ব্যবধানে জয় এনে দিয়েছেন তিনি। উপহারস্বরূপ, রবিবার ২১ জুলাইয়ের মঞ্চে প্রবীণ রাজনীতিবিদদের পাশাপশি তাঁকেও লক্ষ লক্ষ মানুষের সামনে বক্তৃতা দেওয়ার সুযোগ করে দেওয়া হয়।


মধুপর্ণা বলেন, 'প্রথমবার এতগুলো লোকের সামনে বক্তৃতা দিয়েছি, একটু ভয় ছিল। একটু নার্ভাস হয়ে গিয়েছিলাম, সবাই জানে। তবে, আগামীতে এটা আর হবে না। অভিজ্ঞতা যখন হয়ে যাবে, তখন বক্তৃতা দিতে অভ্যাস হয়ে যাবে।'

Card image cap

রাজ্য বিধানসভায় NEET বিরোধী প্রস্তাব আনছে শাসকদল

নিটে বেনিয়মের প্রতিবাদ এবং রাজ্যের হাতে মেডিক্যালের প্রবেশিকা পরীক্ষার ভার ফেরানোর দাবিতে রাজ্য বিধানসভায় প্রস্তাব আনতে চলেছে শাসকদল। বিধানসভা সূত্রের খবর, মঙ্গলবার বিধানসভার অধিবেশনের প্রথম দিনই নিট বিরোধী প্রস্তাব আনা হতে পারে। সূত্রের খবর, বাংলার পথেই হাঁটতে চলেছে কংগ্রেস শাসিত কর্নাটকও।

উল্লেখ্য, নিট নিয়ে দেশজোড়া আন্দোলনের মধ্যেই রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু দাবি তোলেন, আগের মতো মেডিক্যালের প্রবেশিকা পরীক্ষার ভার ছাড়া হোক রাজ্য সরকারগুলির হাতে। পরে শিক্ষামন্ত্রীর বক্তব্যকে সমর্থন করে রাজ্যের হাতে মেডিক্যাল প্রবেশিকা ফেরানোর দাবিতে প্রধামন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি লেখেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের আগে পর্যন্ত রাজ্যগুলি আলাদা আলাদা ভাবে মেডিক্যালের প্রবেশিকা পরীক্ষার আয়োজন করত। এই পদ্ধতি বড়সড় কোনও সমস্যা ছাড়া স্বাভাবিকভাবেই চলছিল। তবে হঠাৎ সেই নিয়ম বাতিল করে প্রবেশিকা পরীক্ষা নিজেদের হাতে নিয়ে নেয় কেন্দ্র। সূত্রের খবর, মঙ্গলবার রাজ্য বিধানসভায় যে প্রস্তাব আনা হচ্ছে তাতে নিট রাজ্যের হাতে ফেরানোর দাবি জানানো হবে। একই সঙ্গে দেশজুড়ে নিটের প্রশ্নফাঁস এবং বেনিয়মের যে অভিযোগ উঠছে সেটার নিন্দাও করা হবে। সূত্রের খবর, বুধবার ওই প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হতে পারে।
রাজ্যের তৃণমূল সরকারের পথে হেঁটে নিজেদের দখলে থাকা কর্নাটকে একই ধরনের প্রস্তাব আনতে চলেছ কংগ্রেস । সূত্রের দাবি, কর্নাটক বিধানসভাতেও একই রকম নিট বিরোধী প্রস্তাব আনা হচ্ছে। সেখানেও বলা হচ্ছে, মেডিক্যাল প্রবেশিকার ভার ফেরানো হোক রাজ্যের হাতে। নিট চালুর আগে কর্নাটকে মেডিক্যালে ভর্তি হত উচ্চমাধ্যমিকের নম্বরের ভিত্তিতে। বলে রাখা দরকার, তামিলনাড়ুর ডিএমকে সরকার ইতিমধ্যেই এই ধরনের প্রস্তাব পাশ করিয়েছে।

Card image cap

মাও নেতা অর্ণব কি বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে পিএইডির ক্লাস করতে পারবেন?

যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত অর্ণব দামের এবার পিএইচডির ক্লাস করা নিয়ে জটিলতা। রাজ্যের কারা দপ্তরের পক্ষ থেকে অর্ণবের ক্লাস করার বিষয়ে পাঠানো চিঠি সোমবার বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের কাছে পৌঁছেছে। সেই চিঠির বয়ানেই স্পষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের গিয়ে ক্লাস করা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইব্রেরি ব্যবহার করার মতো বিষয়গুলি নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে। এমনটি ওই চিঠিতে বর্ধমান কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারের ভিতরেই কোর্স করানোর বিষয়টিও বলা হয়েছে। প্রয়োজনে গাইড সংশোধনাগারে এসে বা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ক্লাস করাতে পারেন বলেও উল্লেখ রয়েছে চিঠিতে। ফলে, আজ মঙ্গলবার অর্ণব বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে ক্লাস করতে পারবেন না বলেই মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল।


গত ১৬ জুলাই কারা দপ্তরের পক্ষ থেকে বর্ধমান কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারের সুপারকে অর্ণবের পিএইচডি করা সংক্রান্ত বিষয়ে একটি চিঠি দেওয়া হয়। সেই চিঠির কপি দেওয়া হয়েছে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারকেও। সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ফ্যাকাল্টি কাউন্সিল অফ আর্টসের আধিকারিকের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগে সেই চিঠি গিয়েছে। এই বিভাগের বিভাগীয় প্রধান সৈয়দ তনভীর নাসরিন অর্ণবের বিষয়ে কারা দপ্তরের পাঠানো চিঠি পাওয়ার কথা জানিয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ফ্যাকাল্টি অফ আর্টসের সচিব তথা ডেভেলপমেন্ট অফিসার ইন্দ্রজিৎ রায় বলেন, “অর্ণবের ভর্তির বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে সমস্ত প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করা হয়েছে। পরবর্তী ক্ষেত্রে অর্ণব কীভাবে ক্লাস করবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগ তা ঠিক করবে। কারা দপ্তরের পক্ষ থেকে সমস্ত ধরনের সুযোগই রাখা হয়েছে। অর্ণবের গাইড যিনি থাকবেন তিনি এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।”
একসময়ের মাওবাদী নেতা অর্ণবের বিরুদ্ধে শিলদা ইএফআর ক্যাম্পে হামলার অভিযোগ ওঠে। সেই মামলায় যাবজ্জীবন সাজাও হয়েছে। সংশোধনাগারে থেকেই অর্ণব ইতিহাসে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর করেন। বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি করার জন্য আবেদন করেন। ইন্টারভিউয়ের পর মেরিট লিস্টে প্রথম স্থান দখল করেন তিনি। কাউন্সেলিং এর দিন আচমকাই স্থগিত করে দেয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। উপাচার্য গৌতম চন্দ্র কারা দপ্তরের চিঠি দিয়ে জানতে চান অর্ণব কীভাবে ক্লাস করবে। নিরাপত্তা ব্যবস্থা কী হবে সেই সব বিষয়ে। জট কাটাতে প্রাক্তন সাংসদ কুণাল ঘোষ উপাচার্যের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন। তার পরই জট কাটে। অর্ণব পিএইচডিতে ভর্তি হন। এবার কারা দপ্তরের চিঠিতে ফের জটিলতা তৈরি হয়েছে।
কারা দপ্তরের চিঠিতে বলা হয়েছে, কোর্সটি সংশোধনাগারের ভিতরে করানো যেতে পারে। গাইড সংশোধনাগারে এসে বা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অর্ণবকে কোর্স করাতে পারেন। দ্বিতীয়ত নিয়মিত বিশ্ববিদ্যালয়ে যেতে পুলিশ এসকর্ট নাও মিলতে পারে। খুব জরুরি প্রয়োজনে এসকর্ট দিয়ে সংশোধনাগারের বাইরে নিয়ে গিয়ে অর্ণব ক্লাস করতে পারে। এই কোর্স করতে প্রয়োজনীয় বইপত্রের ব্যবস্থা অর্ণব নিজেই করবেন। লাইব্রেরি ব্যবহারের ক্ষেত্রে অর্ণব অনলাইনে ডিজিটাল লাইব্রেরি ব্যবহারের সুযোগ নিতে পারেন।

Card image cap

ছাত্রছাত্রীদের অ্যাকাউন্টে এবার প্রতি মাসে ঢুকবে ৮০০ টাকা

কন্যাশ্রী, যুবশ্রী, লক্ষ্মীর ভান্ডার নয়, এবার পড়ুয়াদের টাকা দিয়ে সাহায্য করবে রাজ্য সরকার। গত বছর আলিপুরদুয়ারে একটি জনসভায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেন যে এখন থেকে রাজ্যের মেধাবী পড়ুয়ারা বৃত্তি হিসাবে একটি টাকা পাবে। এই প্রকল্পটির নাম হল মেধাশ্রী প্রকল্প।


নির্দিষ্ট সম্প্রদায়ের পড়ুয়ারা এই প্রকল্পের কারণে অনেকটাই লাভবান হবে।


যোগ্য শিক্ষার্থীরা মাথাপিছু ৮০০ টাকা করে পাবে এই প্রকল্পের  দ্বারা। যারা আগে আবেদন করেছিল তারা চলতি বছরে ইতিমধ্যে টাকা পাওয়া শুরু করে দিয়েছে। যে সমস্ত পড়ুয়ারা এই প্রকল্পের মাধ্যমে টাকা পেয়েছেন, তাঁদের মোবাইল নাম্বারে একটি মেসেজও আসছে এখন।



যোগ্য শিক্ষার্থীরা অনলাইনে আবেদনের মাধ্যমে এই বৃত্তি লাভ করতে পারবে। এর জন্য প্রথমে যেতে হবে অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে। মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী রাজ্যের প্রায় ২ লক্ষ ৬৫ হাজার ছাত্রছাত্রী এই বৃত্তির মাধ্যমে টাকা পাবে। যারা এই বৃত্তি পাবার জন্য সঠিকভাবে আবেদন করবে তারা অবশ্যই টাকা পাবে রাজ্য সরকারের কাছ থেকে।


শিক্ষার্থীকে অবশ্যই বৃত্তির অফিসিয়াল ওয়েবসাইট ভিজিট করতে হবে।স্কলারশিপ পোর্টালের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটের হোমপেজে নেভিগেট করতে হবে। তারপর মেনু থেকে 'Track Application' নির্বাচন করুন। ড্রপ-ডাউন মেনু ব্যবহার করে জেলা নির্বাচন করুন। যাবতীয় প্রয়োজনীয় তথ্য সাবমিট করতে হবে এবং "Submit" বাটনে ক্লিক করতে হবে। অবশেষে স্ক্রিনটি অ্যাপ্লিকেশনটির স্ট্যাটাস দেখাবে।


কিভাবে আবেদন করতে হবে এই প্রকল্পের জন্য?


ধাপ 1: একেবারে প্রথমেই আপনাকে যেতে হবে অফিসিয়াল স্কলারশিপ ওয়েবসাইটে।


ধাপ 2: তারপর, হোম পেজে পুনঃনির্দেশিত করা হবে।


ধাপ 3: তারপর স্টুডেন্ট এরিয়া বিকল্পে ক্লিক করতে হবে।


ধাপ 4: শিক্ষার্থীদের নতুন নিবন্ধন বিকল্পে ক্লিক করতে হবে।


ধাপ 5: শিক্ষার্থীকে নিজ জেলা অনুযায়ী লগ ইন করতে হবে, তারপর "Application Form" খুলবে।


ধাপ 6: সমস্ত আবেদনকারীদের প্রাথমিক তথ্য সম্পূর্ণ করার পর "Submit" বাটনে ক্লিক করতে হবে।


যেসব প্রার্থীরা এই বৃত্তি নিতে চায় তাদের অফিসিয়াল আপডেটের জন্য প্রতিদিন অফিসিয়াল ওয়েবসাইট চেক করার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে।


আবেদন করার জন্য প্রয়োজনীয় নথি


পশ্চিমবঙ্গের আবাসিক সার্টিফিকেট


বর্তমানের পাসপোর্ট সাইজের ছবি


শেষ পরীক্ষার মার্কশিট


আধার কার্ডের জেরক্স


অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ একটি নথি হল সংখ্যালঘু সার্টিফিকেট (কোনও সরকারী কর্তৃপক্ষ দ্বারা ইস্যু করা)


পরিবারের বার্ষিক আয় সার্টিফিকেটও প্রয়োজনীয়।


অ্যাকাউন্ট নম্বর/ IFSC কোড সহ ব্যাঙ্কের বিবরণ

Card image cap

কানোয়ার যাত্রা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে মহুয়া

কানোয়ার যাত্রাপথে দোকান মালিকদের নাম-ঠিকানা উল্লেখ সংক্রান্ত যোগীরাজ্যের ‘নিদান’ নিয়ে ইতিমধ্যে বিস্তর জলঘোলা হয়েছে। শুরু হয়েছে বিতর্ক, সমালোচনা। এবার তা পৌঁছল শীর্ষ আদালতের দোরগোড়ায়। নামোল্লেখের বিরোধিতায় এক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন মামলা দায়ের করেছে আগেই। এবার নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করলেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র। আবেদনে বলা হয়েছে, এধরনের নির্দেশে বেশ কিছু সাংবিধানিক অধিকার খর্ব করা হচ্ছে। এতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির আশঙ্কাও থাকছে।

চলতি মাসে শুরু হতে চলেছে কানোয়ার যাত্রা । আর তার আগে উত্তরপ্রদেশের যোগী সরকার নির্দেশ দিয়েছে, কানোয়ার যাত্রার প্রতিটি রুটে যত খাবারের দোকান রয়েছে, তার সবকটিতেই বড় বড় ব্যানার দিয়ে লিখতে হবে দোকান মালিকের নাম। যার মূল উদ্দেশ্য, পুণ্যার্থীরা যাতে আলাদাভাবে চিনতে পারেন হিন্দু ও মুসলিম দোকানগুলিকে। এই নির্দেশের মূল উদ্দেশ্য ধর্মীয় বিভাজন আরও স্পষ্ট করে তোলা, তেমনটাই অভিযোগ বিরোধীদের। এনিয়ে ইতিমধ্যে সমালোচিত যোগী আদিত্যনাথের সরকার। একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন জনস্বার্থ মামলাও দায়ের করেছে। সোমবার সেই মামলার শুনানি।এবার কানোয়ার যাত্রা নিয়ে সরব হল তৃণমূলও । যোগীরাজ্যের এই নির্দেশের তীব্র নিন্দার পাশাপাশি সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হলেন সাংসদ মহুয়া মৈত্র। তিনি আবেদনে জানিয়েছেন, দোকান মালিকের ধর্মীয় পরিচয় তীর্থযাত্রীদের কাছে স্পষ্ট করার উদ্দেশে যে নির্দেশিকা জারি হয়েছে, তা নীতিবিরুদ্ধ। এধরনের বিষয় একাধিক মৌলিক অধিকার খর্ব করে। সমাজের সবচেয়ে স্পর্শকাতর সম্প্রদায়ের উপর অবিচার। এতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি আরও ভেঙে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। তবে মহুয়ার আবেদনের শুনানি কবে হবে, কার এজলাসে হবে, সে বিষয়ে এখনও কিছু জানা যায়নি।

Card image cap

কপিলমুনির মন্দিরের অদূরে ধসে আতঙ্ক

পূর্ণিমার কোটাল আর নিম্নচাপের জোড়া ফলায় ভয়াবহ ধস গঙ্গাসাগরে। কপিলমুনির মন্দির সংলগ্ন এলাকা জুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে আতঙ্ক। দিনদশেক আগেই ধসের কবলে পড়ে গঙ্গাসাগর ২ নম্বর থেকে ৫ নম্বর যাওয়ার রাস্তা। ৪ নম্বর রাস্তায় পূর্ত দপ্তরের কংক্রিটের প্রায় ১০ ফুট রাস্তা বিলীন হয়েছিল সমুদ্রগর্ভে। রবিবার কোটালের জলে ফের ভাসে ওই এলাকা। ফের ধসের কবলে পড়ল ৪ নম্বর রাস্তায় পূর্তদপ্তরের প্রায় ৩০ থেকে ৪০ ফুট কংক্রিটের রাস্তা।

উপড়ে পড়েছে বিদ্যুতের খুঁটি, ভেঙেচুরে একাকার ট্যাপ কল, পানীয় জলের পাইপ। ঝুঁকি কমাতে সাগরমেলার সময় ব্যবহৃত একটি বিদ্যুতের খুঁটি ও ট্রান্সফর্মার ওই এলাকা থেকে সরিয়ে নেয় বিদ্যুৎ দপ্তর। সরিয়ে দেওয়া হয়েছে অস্থায়ী দোকানঘর গুলিকেও। দিনভর সতর্ক দৃষ্টি রাখা হয় ধস কবলিত ওই এলাকার আশপাশে যাতে কোন পুন্যার্থী সমুদ্রস্নানে না নামেন তার উপর। স্থানীয় পঞ্চায়েত উপপ্রধান হরিপদ মণ্ডল জানান, কেন্দ্রীয় সরকার এখনই গঙ্গাসাগরকে রক্ষা করতে প্রয়োজনীয় অর্থসাহায্য না করলে সমূহ বিপদ।
তাঁর আশঙ্কা, আগের তিনটি মন্দিরের মতো বর্তমানের কপিলমুনির মন্দিরও ভাঙনে অচিরেই বিলীন হয়ে যেতে পারে সমুদ্রগর্ভে। কেন্দ্রের অর্থসাহায্য ছাড়া রাজ্য সরকারের একার পক্ষে এই ভয়াবহ ভাঙন রোখা অসম্ভব। সাগরের বিডিও কানহাইয়া কুমার রায় বলেন, “৪ নম্বর রাস্তায় বেশ বড়সড় ভাঙনই হয়েছে। জেলা ও ব্লক প্রশাসনের তরফে ইতিমধ্যেই বিষয়টি সেচ দপ্তর ও পূর্ত দপ্তরে জানানো হয়েছে।” দুর্ঘটনা রুখতে সমুদ্র সৈকতে চলছে মাইকিং। সতর্ক করা হয়েছে অস্থায়ী দোকানদার ও পুণ্যার্থীদের।

Card image cap

নিম্নচাপের রেশ কতটা পড়ছে বাংলায়?

আজ সারাদিন বঙ্গে বৃষ্টি! নিম্নচাপের রেশ কতটা পড়ছে বাংলায়? জেনে নিন


নিম্নচাপের পরিস্থিতি তৈরি হলেও দক্ষিণবঙ্গে তেমন বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস নেই।


ওড়িশা উপকূলে প্রবেশ করেছে নিম্নচাপ। এর প্রভাবে ওড়িশা ও ছত্রিশগড়ে বৃষ্টিপাত দেখা দিতে পারে।


পূর্ব বিহার ও উত্তর বঙ্গের উপরেও একটি ঘূর্ণাবর্তের খবর পাওয়া গিয়েছে।


তবে আজ সারা দিনই হালকা বৃষ্টিপাত দেখা দিতে পারে বঙ্গে।


বেশ কিছুদিন ধরেই ভ্যাপসা গরমে অস্থির বঙ্গ। এখনই কাটছে না গরম।


২১ জুলাই দক্ষিণবঙ্গের সব জেলাতেই হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত দেখা যাবে।


দুই ২৪ পরগনা ও মেদিনীপুরে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস।


 

এ ছাড়া হাওড়া, হুগলি, পুরুলিয়া, বাঁকুড়াতেও ঝড় বৃষ্টির পূর্বাভাস।

Card image cap

রাজ্যজুড়ে আলুর জোগানে টান

রাজ্যজুড়ে টান পড়তে পারে আলুর জোগানে। অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘটের ডাক দিয়েছেন আলু ব্যবসায়ীরা। যার জেরে আমজনতার মাথায় হাত। ব্য়বসায়ীদের অভিযোগ, আলুর দাম কমাতে ক্রমাগত সরকারি চাপে জেরবার তাঁরা। ভিনরাজ্যে রপ্তানিতেও নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে রাজ্য সরকার। এসবের প্রতিবাদেই অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘটের ডাক দিলেন আলু ব্যবসায়ী সমিতি।

গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই সপ্তমে চড়েছে আলুর দাম। রাজ্য় সরকারের একাধিক নির্দেশিকা জারি, কড় পদক্ষেপের পরও খুব বেশি লাভ হয়নি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়ের সাফ নির্দেশ ছিল, রাজ্যের চাহিদা পূরণ ও দাম নিয়ন্ত্রণ না হওয়া পর্যন্ত ভিনরাজ্যে আলু রপ্তানি চলবে না। রপ্তানি বন্ধে কড়া নজর রাখতে বিভিন্ন সীমানায় কড়া পাহারা বসেছে। যা নিয়ে ঘোর আপত্তি আলু ব্যবসায়ীদের। 
বাঁকুড়ার জয়পুরের এক বেসরকারি হোটেলে বৈঠকে বসেছিলেন আলু ব্যবসায়ীরা। সেখানেই অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘটের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এ প্রসঙ্গে আলু ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি বিদ্যুৎবরণ প্রতিহার জানান, রাজ্য সরকার রপ্তানির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। ফলে ব্য়বসার ক্ষতি হচ্ছে। তাঁর দাবি, হিমঘরের সামনে প্রতি কুইন্টাল আলু বিক্রি হচ্ছে ২৩০০ টাকায়। সেই হিসেবে এক কেজি আলুর দাম দাঁড়ায় ২৩ টাকা। অথচ খোলা বাজারে আলু বিকোচ্ছে ৩৫ টাকা কেজি দরে। হিমঘর থেকে বেরনোর পর বাজারে কীভাবে আলুর দাম বেড়ে যাচ্ছে, তা রাজ্য সরকারের দেখা উচিত বলে দাবি করেছেন আলু ব্যবসায়ীরা। বিদ্যুৎবরণ প্রতিহার আরও জানান, এবার আলু চাষের মরশুমে বৃষ্টি হয়। যার ফলে প্রথম দফার ফলন নষ্ট হয়ে যায়। দ্বিতীয়বার চাষের সময় ফলন কম হয়েছে। ফলে জোগানে ঘাটকতি রয়েছে। এর মধ্যে ব্যবসায়ীরা ধর্মঘট ঘোষণা করায় বাজারে জোগানে টান পড়বে। যার জেরে রবিবার থেকেই  মধ্যবিত্তের মাথায় হাত। 

Card image cap

সাদ্দামের কাণ্ড দেখে হতবাক পুলিশও

লতলি:বাড়ির নীচে সুড়ঙ্গ। সেই সুড়ঙ্গ এসে মিশেছে পাশের নদীতে। আর নদীপথে সোজা বাংলাদেশ। অভিযোগ, এভাবেই মূর্তি পাচার করতেন দক্ষিণ ২৪ পরগণার কুলতলির বাসিন্দা সাদ্দাম সর্দার। সেই ঘটনার তদন্তে নেমেই সাদ্দামের বাড়িতে হানা দেয় পুলিশ। খোঁজ মেলে সুড়ঙ্গের। তবে সেই সময় সাদ্দামের হদিশ পাওয়া যায়নি।


পুলিশ জানিয়েছে, মাটির নীচের একটি ঘরে সুড়ঙ্গ খুঁড়েছিল সাদ্দাম সর্দার। পুরোটাই কংক্রিটের তৈরি। সুড়ঙ্গর একদিক খুলত ঘরে। অন্য দিক পাশের খালের সঙ্গে যুক্ত। অভিযোগ, নকল সোনার মূর্তি দিয়ে নদিয়ার এক ব্যক্তির কাছ থেকে ১২ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেন সাদ্দাম। সেই ঘটনাতেই সোমবার তাঁকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।


তবে সাদ্দামের গ্রেফতারি সহজ হয়নি মোটেই। কুলতলিতে পৌঁছতেই পুলিশকে ঘিরে ফেলে উত্তেজিত জনতা। লাঠিসোঁটা নিয়ে হামলা চালায়। শুধু তাই নয়, পুলিশের হাত থেকে সাদ্দামকে ছাড়িয়ে নেয় তারা। ভয় দেখাতে কয়েক রাউন্ড গুলিও ছোঁড়ে দুর্বৃত্ত দল। এসবের মাঝেই পালান সাদ্দাম।


স্ত্রী, ভাই গ্রেফতার: পুলিশ জানিয়েছে, এই ঘটনার পর সন্ধ্যায় সাদ্দামের বাড়িতে তল্লাশি চালাতে পৌঁছয় বিশাল পুলিশ বাহিনী। প্রতিটা ঘরে শুরু হয় চিরুনি তল্লাশি। তখনই সুড়ঙ্গের হদিশ মেলে। হতবাক হয়ে যায় পুলিশ। অনুমান করা হয়, এই পথ দিয়েই বাংলাদেশে পালিয়েছে সাদ্দাম। পুলিশের উপর হামলার অভিযোগে সাদ্দামের স্ত্রী ও তাঁর ভাইয়ের স্ত্রীকে গ্রেফতার করা হয়। এই প্রসঙ্গে রাজ্যের ডিজিপি রাজীব কুমার বলেন, "কেউ রেহাই পাবে না।''


বারুইপুর থানার এক আধিকারিক বলেন, "সাদ্দাম ও তাঁর ভাই সাইরুল বেশ কয়েকটি মামলায় অভিযুক্ত। পুলিশ বাড়িতে অভিযান চালালে পালানোর জন্যই সুড়ঙ্গ খুঁড়েছিল তাঁরা।'' সঙ্গে সাদ্দামের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ নিয়ে তিনি বলেন, "সোনার বার আর মূর্তি সস্তায় বিক্রি করবে বলে লোভ দেখাত ক্রেতাদের। কিন্তু সবই নকল। ক্রেতারা এলে সাদ্দাম তাঁদের নির্জন জায়গায় নিয়ে যেত। তারপর তাঁদের উপর হামলা করে সর্বস্ব লুঠপাট করে পালাত।'' প্রসঙ্গত, সাদ্দামের বিরুদ্ধে প্রতারণার একাধিক অভিযোগ রয়েছে।

Card image cap

একুশে জুলাই কেমন থাকবে বৃষ্টি-পরিস্থিতি? বড় আপডেট হাওয়া অফিসের

বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ আরও শক্তিশালী হয়েছে, তবে তা পুরীর স্থলভাগে ঢুকে, চলে যাবে ছত্তীসগড়ের দিকে। ফলে আপাতত ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই বঙ্গে। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাসে সামান্য স্বস্তি মিলেছে, একুশে জুলাইয়ের কথা ভেবে।


এই সমাবেশের দিনে দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টি হলেও, ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা প্রায় নেই। 


আলিপুর হাওয়া অফিসের অধিকর্তা হাবিবুর রহমান বিশ্বাস শুক্রবার বিকেলে জানান, বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ আরও শক্তি বাড়িয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়ে ক্রমশ ওড়িশার দিকে এগিয়ে আসছে। বঙ্গোপসাগরের এই নিম্নচাপ উত্তর-পশ্চিম ও পশ্চিম মধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থান করছে। এটি মূলত উত্তর অন্ধ্রপ্রদেশ ও দক্ষিণ ওড়িশা সংলগ্ন উপকূলে অবস্থান করবে, ক্রমশ উত্তর-পশ্চিম দিকে এগোবে। শনিবার সকালে এটি পুরীর কাছাকাছি ওড়িশা উপকূলে স্থলভাগে প্রবেশ করবে। পরবর্তী ২৪ ঘন্টায় এটি শক্তি ক্ষয় করে পশ্চিমবঙ্গ উত্তর-পশ্চিম দিকে এগিয়ে ছত্রিশগড়ের দিকে অবস্থান করবে। এখন নিম্নচাপটির অবস্থান পুরী থেকে ৭০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্ব দিকে ও গোপালপুর থেকে পূর্ব দিকে ১৩০ কিলোমিটার দূরে। 



এই নিম্নচাপের প্রভাবে সমুদ্র উত্তাল থাকবে। সমুদ্রে ৪৫ থেকে ৫৫ এমনকি সর্বোচ্চ ৬৫ কিলোমিটার পর্যন্ত গতিবেগে দমকা ঝড়ো হাওয়া বইছে। পশ্চিমবঙ্গ উপকূল-সহ উত্তর-পশ্চিম ও পশ্চিম মধ্য বঙ্গোপসাগরে আগামী রবিবার পর্যন্ত মৎস্যজীবীদের যেতে নিষেধ করেছে আবহাওয়া দফতর।


আজ শুক্রবার দক্ষিণবঙ্গের সব জেলাতেই পাসিং শাওয়ার বৃষ্টি পড়েছে। উত্তর ও দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া, হাওড়া, হুগলি-সহ কলকাতাতেও বজ্রবিদ্যুৎসহ বৃষ্টির সম্ভাবনা। বাকি জেলাতে ফেয়ারলি ওয়াইড স্প্রেইড রেইন।


আগামীকাল, শনিবার সব জেলাতেই বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হবে। পশ্চিম মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রামে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা। বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকবে দক্ষিণ ২৪ পরগনা পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর ঝাড়গ্রাম বাঁকুড়া পুরুলিয়া এবং পশ্চিম বর্ধমান জেলাতে।


একুশে জুলাই রবিবার ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। দক্ষিণবঙ্গের সব জেলাতেই হাল্কা বৃষ্টির সম্ভাবনা। মূলত মেঘলা আকাশ এবং কয়েক পশলা বৃষ্টি হতে পারে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ। কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের বেশিরভাগ জেলাতেই ফেয়ারলি ওয়াইড স্প্রেইড রেইনের পূর্বাভাস। বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা বেশি থাকবে উত্তর ও দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, পশ্চিম বর্ধমানে।


আজ, শুক্রবার থেকে বৃষ্টির সম্ভাবনা কম উত্তরবঙ্গেও। বিক্ষিপ্তভাবে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা বৃষ্টি দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার এবং উত্তর দিনাজপুরে। শনিবার ভারী বৃষ্টি হবে জলপাইগুড়ি এবং আলিপুরদুয়ার জেলাতে। বাকি জেলাতেও বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা। রবিবার উত্তরবঙ্গে বৃষ্টি বাড়বে। বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ভারী বৃষ্টি জলপাইগুড়ি, কালিম্পং এবং আলিপুরদুয়ার জেলায়।

Card image cap

নবান্নের নির্দেশ আসতেই মাথায় হাত সরকারি কর্মীদের

নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে তোলপাড় রাজ্য। ওদিকে হাইকোর্টের একাধিক রায়ের জেরে আটকে রয়েছে বহু নিয়োগ। এরই মাঝে এবার নতুন নিয়োগ নিয়ে কড়া নির্দেশ রাজ্যে। যা নিয়ে রীতিমতো রাতের ঘুম উড়েছে সকলের।


নয়া নিয়োগ নিয়ে কড়া রাজ্য


সূত্রের খবর খাদ্য, শিক্ষা সহ রাজ্যের বেশ কিছু দফতরে ইতিমধ্যেই প্রচুর পরিমানণে শূন্যপদ তৈরি হয়েছে। সেই সকল শূন্যপদগুলিতে নিয়োগের জন্য আবেদন গিয়েছিল সরকারের কাছে। পরিসংখ্যান অনুযায়ী ১৯০টি শূন্যপদ পূরণের দাবি জানায় স্কুল শিক্ষা দফতর। যার জন্য বছরে ব্যয় হবে ১১.৬০ কোটি টাকা।


২৮ জন নিরাপত্তারক্ষী ও ১৪২ জন উদ্যান পালন প্রযুক্তি সহায়ক নিয়োগের প্রস্তাব পাঠিয়েছে খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ দফতর। যার জন্য বছরে ৫.৭৪ কোটি টাকার প্রয়োজন পড়বে। পাশাপাশি শিলিগুড়ি কমিশনারেটের আটটি থানা ও ট্রাফিক গার্ডের জন্য সিভিক ভলান্টিয়ার, পূর্ত, শ্রম, স্বাস্থ্য, কৃষি দফতর কর্মী নিয়োগের প্রস্তাব এসেছে। এই শূন্যপদ নিয়েই এবার বড় নির্দেশ দিলেন রাজ্যের মুখ্য সচিব ভগবতী প্রসাদ গোপালিকা।


গত সোমবার শূন্যপদে নিয়োগ সংক্রান্ত একটি বৈঠক আয়োজিত হয় নবান্নে। উপস্থিত ছিলেন মুখ্য সচিব ভগবতী প্রসাদ গোপালিকা সহ সরকারের মুখ্য কিছু দফতরের সচিব। সেখানেই মুখ্য সচিবের নির্দেশ, বিপুল নিয়োগ একেবারেই নয়। শূন্যপদ থাকলেও এক সঙ্গে এক গুচ্ছ নিয়োগে 'না' মুখ্য সচিবের।


মুখ্য সচিব আরও জানান, রাজ্যে বেশ কয়েকটি উন্নয়ন পর্ষদ বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সেই সকল স্থানে কর্মরত সরকারি কর্মীদের প্রয়োজনে অন্য দফতরে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করা হবে। ফলে নিয়োগ সংখ্যার হার কমবে। এদিকে উক্ত বৈঠকে কোনও সরকারি দফতরে নয়া নির্মাণের এই মুহূর্তে প্রস্তাব না পাঠানোর জন্য বলেছেন অর্থ সচিব মনোজ পন্থ।


তার কথায়, এইমুহুর্তে আপাতত আর কোনও নতুন নির্মাণের প্রস্তাবে অনুমোদন দেওয়া হবে না। প্রসঙ্গত, সম্প্রতি শীর্ষ আমলাদের নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । সেখানেই সরকারি কর্মীদের কাজ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। অসন্তোষ প্রকাশ করে তিনি বলেছিলেন, এমন বহু সরকারি দফতর রয়েছে যেখানে কর্মীদের কোনও কাজ নেই। তারপরও মাস গেলে মোটা মাইনে দিয়ে তাদের রাখা হচ্ছে। গুনতে হচ্ছে আনুষঙ্গিক খরচও।


মুখ্যমন্ত্রীর কড়াকড়ির পরই তড়িঘড়ি বৈঠক ডেকেছিলেন মুখ্য সচিব ভগবতী প্রসাদ গোপালিকা।সেখানেই নিয়োগের বিষয়টি নির্দিষ্ট করেন তিনি। গোটা এই পক্রিয়া পরিচালনার জন্য স্টেট লেবেল কমিটি অন রাশানালাইজেশন অ্যান্ড অপটিমাল ইউটিলাইজেশন অফ হিউম্যান রিসোর্সেস নামে একটা সরকারি কমিটি গঠন করা হয়েছে ইতিমধ্যেই।

Card image cap

কুণালের পোস্টের পরই সিদ্ধান্ত বদল রেলের

আগামী রবিবার একুশে জুলাই। ধর্মতলায় তৃণমূলের শহিদ সমাবেশ। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা ওইদিন কলকাতায় ভিড় জমাবেন। ঠিক সেদিনই শিয়ালদহ ডিভিশনে একাধিক লোকাল ট্রেন বাতিলের সিদ্ধান্তের খবর ছড়িয়ে পড়ে। রেলের এই সিদ্ধান্তকে ‘চক্রান্ত’ বলে উল্লেখ করে X হ্যান্ডেলে তীব্র সমালোচনা করেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ। আর তার পরই সিদ্ধান্ত বদল রেলের। শনি এবং রবিবার শিয়ালদহ ডিভিশনে কোনও লোকাল বাতিল হচ্ছে না বলেই জানান পূর্ব রেলের সিপিআরও।

শুক্রবার একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ্যে আসে যাতে একাধিক লোকাল ট্রেন বাতিলের কথা উল্লেখ করা হয়। ওই বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, শনিবার একজোড়া করে নৈহাটি-ব্যান্ডেল, শিয়ালদহ-শান্তিপুর, শিয়ালদহ-রানাঘাট লোকাল এবং কল্যাণী সীমান্ত-নৈহাটি লোকাল বাতিলের কথা জানানো হয়। রবিবার নৈহাটি-ব্যান্ডেল লোকাল, শিয়ালদহ-কৃষ্ণনগর লোকাল, শিয়ালদহ-শান্তিপুর লোকাল, শিয়ালদহ-রানাঘাট লোকাল, নৈহাটি-কল্যাণী সীমান্ত লোকাল, শিয়ালদহ-কল্যাণী সীমান্ত লোকাল, রানাঘাট-নৈহাটি লোকাল বাতিলের সিদ্ধান্ত জানানো হয়। এছাড়া ৫টি দূরপাল্লার ট্রেনের যাত্রাপথ এবং ৪টি এক্সপ্রেসের সময় বদলের কথাও রেলের তরফে জানানো হয়।
রবিবার একুশে জুলাই। তৃণমূলের শহিদ সমাবেশ। ওইদিন লোকাল বাতিলের সিদ্ধান্তের খবরে স্বাভাবিকভাবেই জোর শোরগোল পড়ে যায়। আমজনতার পাশাপাশি তৃণমূলের অন্দরে তা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়। রেলের এই সিদ্ধান্তের তীব্র সমালোচনা করেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ। লোকাল ট্রেন বাতিল করে তৃণমূলের সমাবেশে বিঘ্ন ঘটানোর চক্রান্ত করা হচ্ছে বলে দাবি করেন তিনি। তীব্র নিন্দা করে X হ্যান্ডেলে তিনি লেখেন, “এভাবে তৃণমূলকে থামানো যাবে না।”
এই পোস্টের কিছুক্ষণের মধ্যেই নড়েচড়ে বসে রেল। সপ্তাহান্তে ট্রেন বাতিলের খবর ‘রটে গেলেও’ তা ‘সত্যি নয়’ বলেই দাবি করেন পূর্ব রেলের জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র। তাঁর কথায়, “আমরা কিছু কিছু জায়গা থেকে খবর পাচ্ছি, ২০ এবং ২১ জুলাই শিয়ালদহ ডিভিশনে কিছু কিছু ট্রেন বাতিল হয়েছে বলে খবর রটেছিল। এটা একেবারেই সত্যি নয়। শিয়ালদহ ডিভিশনে ২০ এবং ২১ জুলাই কোনও ট্রেন বাতিল হচ্ছে না। শনি এবং রবিবার যেমন ট্রেন চলে, তেমনই চলবে।”

Card image cap

কলকাতা লেদার কমপ্লেক্সে আরও বিনিয়োগ

ফের রাজ্যে বিপুল কর্মসংস্থানের সুযোগ। বৃহস্পতিবার নবান্নে শিল্প সংক্রান্ত বৈঠকের পর সুখবর শোনালেন মুখ্যমন্ত্রীর প্রধান উপদেষ্টা আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানান, কলকাতা লেদার কমপ্লেক্সে আরও বিনিয়োগ হতে চলেছে। অন্তত ১০ হাজার কোটি টাকা লগ্নি করা হবে সেখানে। আরও শতাধিক ট্যানারি ও জুতো তৈরির কারখানা হবে সেখানে।  ১৪৭ টি ট্যানারি ও ১৩৯ টি জুতো তৈরির কারখানা তৈরি হবে। এছাড়া রপ্তানিও বাড়বে।  সবমিলিয়ে আরও অন্তত সাড়ে ৭ লক্ষ কাজের সুযোগ রয়েছে কলকাতা লেদার কমপ্লেক্সে। পাশাপাশি পরিকাঠামো উন্নয়নে আরও কাজ হচ্ছে বলে জানিয়েছেন আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। স্বভাবতই রাজ্যে আরও কর্মসংস্থানের খবরে উচ্ছ্বসিত কর্মপ্রার্থীরা।

বৃহস্পতিবার নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের নেতৃত্বে শিল্প সংক্রান্ত পর্যালোচনা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের একাধিক শিল্পপতি। তাঁদের সকলের সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে কলকাতা লেদার কমপ্লেক্সের  ‘কর্মদিগন্ত’কে আরও উন্নতির পথে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। বিশেষত এখানে উৎপাদিত সামগ্রীর রপ্তানিতে আরও নজর দেওয়া হচ্ছে। একইসঙ্গে চর্মজাত পণ্য আরও ভালোভাবে বিক্রির জন্য আলিপুরে  হিডকো একটি মল তৈরি করবে, এই সিদ্ধান্ত হয়েছে নবান্নের বৈঠকে।এদিনের বৈঠকে আরও গুরুত্বপূর্ণ একটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কর্মদিগন্তে তৈরি হবে পানীয় জল সরবরাহ কেন্দ্র। সাংবাদিক বৈঠকে আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ৪৭৫ কোটি টাকা ব্যয়ে বিপুল ক্ষমতাসম্পন্ন পানীয় জল  সরবরাহের কেন্দ্র তৈরি করবে সরকার। তা শুধু ট্যানারির কাজের জন্যই নয়, আশেপাশের মানুষের জলের চাহিদা মিটবে এই প্রকল্পের মধ্যে দিয়ে। এছাড়া তিনি আরও জানান, কর্মদিগন্তে যেসব সামগ্রী উৎপাদন হয়, সেসবের প্রচুর চাহিদা। আর সেই কারণে আলিপুর মিউজিয়ামের সামনে হিডকো একটি লেদার ও কটেজ ইন্ডাস্ট্রি মল তৈরি করবে। এই মলে ৫০ শতাংশ সামগ্রী থাকবে শুধু লেদার কমপ্লেক্সের। বাকি ৫০ শতাংশ পণ্য বাংলার শাড়ি-সহ ক্ষুদ্র ও কুটিরশিল্প থেকে উৎপাদিত সামগ্রী। 

Card image cap

দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে কাঁপানো বৃষ্টি কবে থেকে?

 ব্রেক কষেছে বর্ষা। শুরুটা হয়েছিল গতকাল অর্থাৎ বুধবার থেকে। বৃহস্পতিবারেও গোটা রাজ্যেই বৃষ্টির পরিমাণ কমই থাকবে। তবে এরই মধ্যে বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ তৈরির প্রবল সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। আগামিকাল ১৯ জুলাই থেকেই ফের একবার বাংলায় আবহাওয়ার আমূল পরিবর্তন চোখে পড়তে পারে।


আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ তৈরির সব রকম পরিস্থিতি রয়েছে। এই নিম্নচাপের জেরেই ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে একাধিক জেলায়।

দক্ষিণবঙ্গের আবহাওয়ার খবর

আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী শনিবার থেকে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে ভারী বৃষ্টি শুরু হতে পারে। এই পর্বে শনিবার থেকে সোমবার পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গের অধিকাংশ জেলায় ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। আগামিকাল অর্থাৎ শুক্রবার পূর্ব মেদিনীপুর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। কাল দক্ষিণবঙ্গের বাকি জেলাগুলিতেও বৃষ্টি চলবে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস।

একইভাবে আগামী শনিবার দুই মেদিনীপুর, দুই ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলি ও কলকাতা শহরে ভারী বৃষ্টি হতে পারে।

কেমন থাকবে ২১ জুলাইয়ের আবহাওয়া?

আগামী রবিবার একুশে জুলাই। তৃণমূলের শহিদ সভা হবে কলকাতায়। ওই দিনও কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের অধিকাংশ জেলায় ভালোমতো বৃষ্টি চলবে।

কলকাতার ওয়েদার আপডেট

বৃহস্পতিবার শহর কলকাতায় হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তবে আগামিকাল অর্থাৎ শুক্রবার থেকে কলকাতা শহরে বৃষ্টির পরিমাণ বাড়তে পারে। বৃষ্টির হাত ধরে সাময়িকভাবে কমতে পারে আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তিও।

উত্তরবঙ্গের আবহাওয়ার খবর

বৃহস্পতিবার উত্তরবঙ্গে কমবে বৃষ্টির পরিমাণ। কয়েকটি জেলায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। দক্ষিণবঙ্গের মতোই আগামী শনিবার থেকে উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে বৃষ্টির পরিমাণ বাড়তে শুরু করবে। ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে কালিম্পং এবং জলপাইগুড়ি জেলায়।


Card image cap

নতুন ফৌজদারি আইন পর্যালোচনা করবে মমতার সরকার

পশ্চিমবঙ্গ সরকার এবার ফৌজদারি আইন নিয়ে পর্যালোচনা করবে। এজন্য রাজ্য সরকার সাত সদস্য়ের কমিটি তৈরি করেছে। তার মধ্যে কলকাতা হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতিও রয়েছেন। তাঁরাই এই নতুন ক্রিমিনাল ল পর্যালোচনা করবেন। আগামী তিন সপ্তাহের মধ্য়ে এনিয়ে রিপোর্ট জমা দেওয়া হবে। 


সেই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে ভারতীয় ন্যায় সংহিতা ২০২৩ ভারতীয় ন্যায় সুরক্ষা সংহিতা ২০২৩, ভারতীয় সুরক্ষা অধিনিয়ম ২০২৩ নিয়ে পর্যালোচনা করা হবে।


এনিয়ে নির্দিষ্ট কমিটি তৈরি করা হয়েছে। 


কারা রয়েছেন সেই কমিটিতে? 


সেই কমিটিতে প্রাক্তন বিচারপতি অসীম কুমার রায়, আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক, মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, অ্যাডভোকেট জেনারেল, রাজ্য়ের পক্ষে সিনিয়র স্ট্যান্ডিং কাউন্সেল শ্রী সঞ্জয় বসু, রাজ্য পুলিশের ডিজি ও কলকাতার পুলিশ কমিশনার। এই সাতজনকে নিয়ে কমিটি তৈরি করা হয়েছে। 


তাঁরা এই নতুন আইন নিয়ে পর্যালোচনা করবেন। এরপর তাঁরা বিভিন্ন দিক খতিয়ে দেখবেন। তারপর তাঁরা এনিয়ে রিপোর্ট তৈরি করবেন। সেটা জমা দেওয়া হবে রাজ্য সরকারের কাছে। তাঁরা শিক্ষাবিদ, আইনজীবী, গবেষক সহ অন্যান্য লিগাল এক্সপার্টদের নিয়োগ করতে পারেন। তাঁরা এই কমিটিকে সহায়তা করতে পারেন। এমনকী এই কমিটি প্রয়োজনে পাবলিকের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় মতামতও নিতে পারে। 


প্রসঙ্গত এর আগে বাংলার মুখ্য়মন্ত্রী ভারতীয় ন্যায় সংহিতা নিয়ে পর্যালোচনা করার কথা জানিয়েছিল। সেই অনুসারে এবার তা নিয়ে পর্যালোচনা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হল। 


২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাসে ভারতীয় ন্যায় সংহিতা, ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতা এবং ভারতীয় সাক্ষ্য সংহিতার বিল পাশ করা হয়েছিল। ভারতীয় ন্যায় ( দ্বিতীয়) সংহিতা, ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা( দ্বিতীয়) সংহিতা, ও ভারতীয় সাক্ষ্য(দ্বিতীয়) বিল পাশ করা হল সংসদে। আর এই তিন বিল পাশ হওয়ার জেরে কার্যত উচ্ছসিত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।


এক্স হ্যান্ডেলে এই ফৌজদারি আইন পাশ নিয়ে উচ্ছাস প্রকাশ করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি লিখেছিলেন, ভারতীয় ন্যায় সংহিতা, ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতা এবং ভারতীয় সাক্ষ্য অধিনিয়ম ২০২৩ আমাদের ইতিহাসের সন্ধিক্ষণে দাঁড় করিয়েছে। এই বিল ঔপনিবেশিক আইন ব্যবস্থার অবসান ঘটাচ্ছে। একটা নতুন যুগের সূচনা হচ্ছে।


মোদী জানিয়েছিলেন, এই বিল গরিব, প্রান্তিক মানুষদের সুরক্ষায় সহায়তা করবে। সেই সঙ্গেই মোদী জানিয়েছেন, এই বিল সংগঠিত অপরাধের বিরুদ্ধে কঠোরতম ব্যবস্থা নেবে। সন্ত্রাসবাদ, জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে কঠোরতম ব্যবস্থা নেবে এই বিল। সেই সঙ্গেই রাষ্ট্রদ্রোহিতা রোধে যে মান্ধাতার আমলের ব্যবস্থা ছিল তাকেও বিদায় জানাবে এই ব্যবস্থা।

Card image cap

শিক্ষকদের বেতন বাড়ান..,' সুপ্রিম কোর্টে জোর ধাক্কা খেল রাজ্য সরকার

বহুদিন থেকে সুপ্রিম কোর্টে ঝুলে রয়েছে বাংলার রাজ্য সরকারি কর্মীদের ডিএ মামলা। গত সোমবার চারমাস পর এই মামলার শুনানি হওয়ার কথা থাকলেও তা হয়নি। যা নিয়ে কার্যত হতাশ হয়ে পড়েছেন আন্দোলনকারীদের অধিকাংশ। তবে এবার সর্বোচ্চ আদালতে জয় পেল শিক্ষকেরা।


শিক্ষকদের বেতন সংক্রান্ত মামলায় সুপ্রিম কোর্টে জোর ধাক্কা খেল রাজ্য সরকার। এর আগে কলকাতা হাইকোর্টের একক বেঞ্চ ও ডিভিশন বেঞ্চও শিক্ষকদের পক্ষেই রায় দিয়েছিল। তবে সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে ছোটে রাজ্য সরকার। তবে এবার সেখানেও সুরাহা হল না।


সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ, স্থায়ী শিক্ষকদের যে ন্যূনতম বেসিক পে প্রদান করা হয়, সেটা দিতে হবে উচ্চমাধ্যমিক স্তরে চুক্তিভিত্তিক শিক্ষকদেরও। ২০০২-২০০৩ সাল থেকে চুক্তির ভিত্তিতে এই সমস্ত শিক্ষকদের নিয়োগ শুরু হয়। এদিকে ২০১০ সালে এসে রাজ্যের তরফে জানানো হয় চুক্তিভিত্তিক শিক্ষকদেরও স্থায়ী শিক্ষকদের মতোই কাজ করতে হবে।


তবে একই কাজ করতে হলেও স্থায়ী শিক্ষকদের সাথে তাদের বেতনের ফারাক ছিল বিস্তর। তাদের বেতন বৃদ্ধি করে নি রাজ্য সরকার। সেই পরিস্থিতিতে স্থায়ী শিক্ষকদের মতো বেসিক পে-এর দাবি জানিয়ে শেষমেষ হাইকোর্টে মামলা করেছিলেন এই সকল চুক্তিভিত্তিক শিক্ষকেরা। এর আগে তাদের দাবিতে হাইকোর্ট দুবার শীলমোহর দিলেও রাজ্য সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল। এবার শীর্ষ আদালতও সেই একই রায় বহাল রাখল।

Card image cap

সোনারপুরের জামালের বিরুদ্ধে পদক্ষেপের পথে বনদপ্তর

ঠিক যেন সোনারপুরের শাহজাহান। ‘কুকীর্তি’ সামনে আসার পর থেকেই সাম্রাজ্য ছেড়ে ‘পলাতক’ জামাল। বুধবার তাঁর বিরুদ্ধে সোনারপুর থানায় দায়ের হয় নতুন অভিযোগ। জামালের বাড়ির সুইমিং পুলে কচ্ছপ পাওয়া গিয়েছে। তাই তাঁর বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ করছে বনদপ্তর।

এলাকায় জমিজমা কেনাবেচা বা দাম্পত্য কলহ কিংবা পারিবারিক সমস্যা সবকিছুরই সমাধান জামাল ছাড়া হয় না। সোনারপুর থানার পুলিশের সঙ্গেও তার ওঠাবসা রয়েছে বলে অভিযোগ এলাকার লোকজনের। এই ভয় দেখিয়েই এলাকায় দাপিয়ে বেড়াত জামাল। বাড়িতেই বসত সালিশি সভা। সেখানেই চলত বিচার। জামালই বিচারক! যারা তাঁর প্রস্তাবে রাজি হত না তাঁদের উপর অত্যাচার চালানো হত বলে অভিযোগ। ভুরি ভুরি অভিযোগ ওঠায় এখন জামালকে খুঁজছে সোনারপুর থানার পুলিশ।
স্থানীয় বাসিন্দারা কেউই জামালের আয়ের উৎস বলতে পারেননি। তবে একাংশের দাবি, জমি প্রোমোটিং, ফেরাজি জমি বিক্রি করা, বিচার পাইয়ে দেওয়ার নামে তোলাবাজি এবং জমি বিক্রি এসব করেই নাকি পেট চলে তাঁর। তবে প্রাসাদোপম বাড়ির মালিক জামাল। ভিতরে এলাহি ব্যাপার। গৃহস্থের বাড়ি নাকি রিসর্ট, তা বোঝা দায়। বাড়ির ভিতর ও বাইরে মিলিয়ে মোট ৫০ টি সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো রয়েছে। বাড়ির মধ্যে রয়েছে সুইমিং পুলে।
সেই সুইমিং পুলে আবার চড়ে বেড়াচ্ছে কচ্ছপ। বনদপ্তরের নিয়ম বলছে, কচ্ছপ রাখা বেআইনি। তা সত্ত্বেও জামাল সর্দার বাড়িতে কীভাবে কচ্ছপ রাখলেন, উঠছে প্রশ্ন। জামালের পোষ্য ঘোড়াও রয়েছে। তার দেখাশোনা করার জন্য রয়েছে আলাদা লোক। মাসিক ১০ হাজার টাকার বেতন পান তিনি। এছাড়া বাড়িতে কমপক্ষে ৬ জন পরিচারিকা রয়েছে তাঁর। সোনারপুরে পৃথক জগৎ গড়ে তোলা জামালের খোঁজে চলছে জোর তল্লাশি।

Card image cap

মন্ত্রিসভায় রদবদলের সিদ্ধান্ত মমতার

ন্ত্রিসভায় রদবদলের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নবান্ন সূত্রে খবর, দু'-একদিনের মধ্যেই এই সিদ্ধান্ত তিনি কার্যকর করবেন। রদবদলের এই পর্ব আলোচিত হচ্ছে তিন ক্যাবিনেট মন্ত্রীকে ঘিরে। এঁদের মধ্যে একজন উত্তরবঙ্গের, একজন দক্ষিণবঙ্গের এবং শেষজন দক্ষিণ কলকাতার।


এঁরা ছাড়াও সদ্য নির্বাচিত বিধায়কদের মধ্যে কেউ মন্ত্রিসভায় ঠাঁই পান কি না, সেটা নিয়েও চর্চা চলছে রাজনৈতিক মহলে।


রাজনৈতিক মহলের বক্তব্য, রাজভবন-নবান্ন সংঘাত পর্বে নতুন কাউকে মন্ত্রিসভায় নিতে হলে, তাঁকে শপথ নেওয়াবেন রাজ্যপাল। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী ইতিমধ্যেই ঘোষণা করেছেন, যতদিন সি ভি আনন্দ বোস সেখানকার বাসিন্দা থাকবেন, ততদিন তিনি রাজভবনে যাবেন না। তার উপরে আবার মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে রাজ্যপালের মানহানির মামলা পরিস্থিতি আরও বিগড়ে দিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর অনুপস্থিতিতে রাজভবনে শপথ নেওয়াটা 'স্বপ্নেও ভাবেন না' তৃণমূলের কেউ। তাই এই মুহূর্তে নতুন কোনও মুখ মন্ত্রিসভায় না আসার সম্ভাবনাই প্রবল।


বারাকপুরের সাংসদ হওয়ার পর পরিষদীয় রীতি মেনে বিধায়ক পদত্যাগ করেছেন পার্থ ভৌমিক। নৈহাটির বিধায়ক পার্থ ভৌমিক ছিলেন সেচ ও জলপথ দফতরের মন্ত্রী। নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, সেচ ও জলপথ দফতরের মন্ত্রী হিসেবে অভিজ্ঞ মানস ভুঁইয়ার নাম সর্বাধিক বিবেচনায় রেখেছেন মুখ্যমন্ত্রী। কেলেঘাই-কপালেশ্বরী প্রকল্প রূপায়ণ সহ সেচ সংক্রান্ত নানা বিষয়ে অভিজ্ঞতা রয়েছে মানসবাবুর। এমনকী বহু প্রতীক্ষিত ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান, যা রাজ্য নিজের কোষাগার থেকে খরচ করে বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এসব মাথায় রেখেই সেচদপ্তরের জন্য আলোচিত হচ্ছে মানসবাবুর নাম।


রদবদল পর্বে উত্তরবঙ্গের এক ক্যাবিনেট মন্ত্রীর দপ্তর রদবদলও প্রায় চূড়ান্ত। বিপ্লব মিত্রকে ক্রেতা সুরক্ষা থেকে সরিয়ে অচিরাচরিত শক্তির মতো দপ্তরের দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে বলে বলছে সূত্র। এই দু'জন ছাড়াও দক্ষিণ কলকাতা থেকে নির্বাচিত এক মন্ত্রীরও দপ্তর বদল হতে পারে। সূত্রের খবর, তাঁর জন্য অপেক্ষাকৃত কম গুরুত্বপূর্ণ শিল্প পুনর্গঠন দপ্তর দেওয়া নিয়ে চিন্তাভাবনা চলছে।