CATEGORY state:

Card image cap

চাকরিহারাদের ফের নিয়োগের নজিরবিহীন নির্দেশ আদালতের

গত দু'বছর ধরে কলকাতা হাইকোর্টের রায়ে বহু নিয়োগ বাতিল হয়েছে। গত ২২ এপ্রিল কলকাতা হাইকোর্ট নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় রায় ঘোষণা করে। তাতে ২০১৬ সালের এসএসসির পুরো প্যানেলই বাতিল করে দিয়েছিল আদালত। চাকরি হারা হয়েছিলেন ২৫ হাজার ৭৫৩ জন। ইতিমধ্যেই এই রায়কে পাল্টা চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের করেছে এসএসসি, রাজ্য সরকার ও মধ্যশিক্ষা পর্ষদ।


এর আগে জন আদালতের অন্তর্বর্তীকালীন নির্দেশে এই আট জন প্রাথমিক শিক্ষক এবং শিক্ষিকার নিয়োগ বাতিল হয়েছিল ২০২১ সালে। ২০১৪ টেট পাশ করে স্পেশাল বি.এড ডিগ্রি নিয়ে বিভিন্ন ডিপিএসসি-র অন্তর্গত প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চাকরি হয় এদের। তবে তার কিছু মাসের মধ্যেই প্রাইমারী বোর্ড যোগদানপত্র বাতিল করার নির্দেশ দেয়।


দীর্ঘ শুনানি হয় বিচারপতি মান্থার একক বেঞ্চে। গোটা দেশের বিভিন্ন রাজ্যের প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের নিয়মাবলী ও বিভিন্ন রাজ্যের উচ্চ আদালতের নির্দেশের নিরিখে এবং কেন্দ্রীয় আইনের বিশ্লেষণের পর বোর্ডের নির্দেশে ডি পিএসসি-র দ্বারা খারিজ নিয়োগ নির্দেশের উপর স্থগিতাদেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। সমস্ত কিছু বিবেচনা করে ওই ৮ চাকরিহারাকে পুনরায় কাজে ফেরানোর নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট।


জানা গিয়েছে এই আট জনই স্পেশাল বি.এড ডিগ্রিধারী। আর আদালতের নির্দেশে এই চাকরি ফেরার ঘটনার পর এবার তাদের অনেকের মনেই চাকরি ফিরে পাওয়া নিয়ে ফের আশা জাগছে। যেখানে দুর্নীতির অভিযোগে নিয়োগ বন্ধ, আদালতের রায়ে আজ চাকরিহারা বহু, সেই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে নতুন করে নিয়োগের নির্দেশে অন্তত স্বস্তি ফিরল কিছু জনের।


বলা হয়েছিল, স্পেশাল বি.এড ডিগ্রি প্রাথমিক শিক্ষাতে মান্যতা দেওয়া হবে না। তবে স্পেশ্যাল বি.এড এবং বি.এড জেনারেল ডিগ্রি সমতুল্য, এই দাবি নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন চাকরিহীন শিক্ষক-শিক্ষিকারা। দায়ের হয় মামলা। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাসে মামলা উঠলে অবশেষে হয় সুরাহা।

Card image cap

লেক গার্ডেন্স গুলি কাণ্ডে রহস্য

সাত বছরের প্রেম। মাঝেমধ্যেই গেস্ট হাউসে একান্তে সময় কাটাতেও যেতেন রাকেশ ও নিক্কু। বিয়ের প্রাথমিক কথাবার্তাও হয়ে গিয়েছিল। তা সত্ত্বেও সম্প্রতি সম্পর্ক ছাড়তে কার্যত মরিয়া হয়ে গিয়েছিলেন তরুণী? ঠিক কী কারণে বিচ্ছেদের কথা ভাবছিলেন নিক্কু? তা এখনও স্পষ্ট নয়। লেক গার্ডেন্স গুলি কাণ্ডের নেপথ্যে সম্পর্কের টানাপোড়েনই মূল কারণ বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা বজবজ থানার ২ নম্বর বিদ্যাসাগর রোডের বাসিন্দা রাজগীর শাহের তিন ছেলে ও চার মেয়ে। তাঁদের মধ্যে নিহত রাকেশই ছোট ছেলে। প্রেমিকা নিক্কু কুমারী দুবে তাঁর বাড়ি থেকে ২ মিনিটের দূরত্বে থাকেন। নিক্কুর বাবা বজবজ মিলে কাজ করতেন। মিল বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর দিনমজুরের কাজও করেন। বর্তমানে স্ত্রীকে নিয়ে বিহারের আদি বাড়িতে থাকেন তিনি। কলকাতায় নিক্কু ও তাঁর ভাই থাকতেন। প্রতিদিনই নাকি কাজের নাম করে বাড়ি থেকে বেরতেন নিক্কু। তবে কোথায় কাজ করেন তিনি, সে বিষয়ে তাঁর পরিবারের কেউ কিছুই জানেন না।তরুণের মায়ের দাবি, সাত বছরের প্রেম দুজনের। দুই পরিবারের সকলেই মোটামুটি তাঁদের সম্পর্কের কথা জানতেন। প্রাথমিকভাবে বিয়ের কথাবার্তাও হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু নিক্কু সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে চাইছিলেন। তা নিয়ে দুজনের মধ্যে ঝগড়াঝাটিও প্রায় লেগেই থাকত। বুধবার দুপুরে বাড়ির লোকজনকে জানিয়েই কলকাতায় আসেন তাঁরা। লেক গার্ডেন্সের গেস্ট হাউসের কেয়ারটেকার জানান, দুপুর দুটো নাগাদ সেখানে আসেন তাঁরা। ৩০১ নম্বর ঘরে ওঠেন। ওই গেস্ট হাউসে আর কোনও অতিথি ছিলেন না সেই সময়। এর পরই দুজনের অশান্তি হয়।

পুলিশ সূত্রে খবর, ওই গেস্ট হাউস থেকে চলে যাবেন বলেই জানিয়েছিলেন তরুণী। তাতেই রেগে যান রাকেশ। তাঁর কাছে থাকা নাইন এমএম পিস্তল থেকে তরুণীকে লক্ষ্য করে গুলি চালান। তাঁর পায়ে গুলি লাগে। এর পর গুলি চালিয়ে আত্মঘাতী হন। কেয়ারটেকারের দাবি, এই প্রথমবার নয়। মাঝে মাঝেই তাঁরা আসতেন দুজনে। পুলিশ সূত্রে খবর, দেহ উদ্ধারের সময় রাকেশের পরনে ছিল শার্ট-প্যান্ট। তবে রাকেশ মদ্যপান করেছিল। কী কারণে দীর্ঘ প্রেমের সম্পর্কে বিচ্ছেদ চাইছিলেন তরুণী, তা এখনও স্পষ্ট নয়। পুলিশ পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখছে।

Card image cap

স্ত্রীর চরিত্র নিয়ে সন্দেহ! গোটা ঘরে বিদ্যুতের খোলা তারের বেড়ি দিল স্বামী

স্ত্রীকে গৃহবন্দি করতে ইলেকট্রিক তারের বেড়া দিয়ে গোটা ঘরে সুরক্ষা চক্র করে রেখেছিল স্বামী। গত একমাস ধরে এভাবেই রামপুরহাটের চাকলামাঠ এলাকায় স্ত্রী ও মেয়েকে বন্দি করে রাখার অভিযোগ উঠল স্বামীর বিরুদ্ধে। বুধবার দুপুরে রামপুরহাট থানার পুলিশ বিদ্যুৎবাহী তারের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে বিপন্মুক্ত করে তাঁদের। স্বামী নাজির হোসেন জানান, "ঘর বাঁচাতে আমি এটা করতে বাধ্য হয়েছি।" রামপুরহাট থানার পক্ষ থেকে তাকে ডেকে পাঠানো হলেও সন্ধ্যে পর্যন্ত তিনি যাননি। গৃহবন্দি স্ত্রী মাজমা খাতুন জানান, "এমনিতে স্বামী ভালো। তবে মাঝে মাঝে বলে মাথার ডাক্তার দেখাব। আমার কিন্তু মানসিক ভারসাম্যহীন মনে হয় না।"

স্ত্রীকে আটকাতে সুরক্ষা চক্র রামায়ণের যুগ থেকে চলে আসছে। বনবাসে গণ্ডি দিয়ে সীতাকে আটকে রেখে গিয়েছিলেন রাম। বন্যপ্রাণীদের লোকালয়ে ঢুকে পরা আটকাতে রাতেরবেলা বিদ্যুৎবাহী তারের বেড়া দেওয়া হয় কিছু এলাকায়। কিন্তু জনবহুল এলাকায় পাড়ার মধ্যে স্ত্রীর প্রতি সন্দেহে তাঁকে বিদ্যুতের তার দিয়ে আটকে রাখা এমন ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে রামপুরহাটে। ১৩ বছর আগে নলহাটিতে মাজমার সঙ্গে নাজির হোসেনের বিয়ে হয়। ১৬ নম্বর ওয়ার্ডে চাকলামাঠে দীর্ঘদিন ধরে থাকেন তাঁরা। বাবা সরকারি দপ্তরের ইঞ্জিনিয়ার ছিলেন। তাঁরই জমানো টাকায় সংসার চলে নাজিরের। তবু তিনি জানান,"মাঝে মাঝে ইলেকট্রিকের কাজ করি, গাড়িও চালাই।"

Card image cap

রাজ্যপালের বিরুদ্ধে এবার সুপ্রিম কোর্টে 'নির্যাতিতা'

রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছিল আগেই। এবার ওই ইস্যুতে তাঁর বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হলেন 'নির্যাতিতা'। রাজ্যপালের বিরুদ্ধে রিট পিটিশন দাখিল করেছেন তিনি।রাজ্যে লোকসভা নির্বাচনী আবহে গত ২ মে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ ওঠে। রাজভবনের এক অস্থায়ী মহিলা কর্মী দাবি করেন, রাজ্যপাল বোস তাঁর শ্লীলতাহানি করেছেন। প্রথমে রাজভবনে থাকা পুলিশের কাছে একথা জানান তিনি। পরে থানায় গিয়ে একই দাবি করেন ওই মহিলা। তবে সাংবিধানিক রক্ষাকবচ থাকায় রাজ্যপালের বিরুদ্ধে ওঠা এই ধরনের বিস্ফোরক অভিযোগের ক্ষেত্রে কোনও আইনি পদক্ষেপ করতে পারেনি কলকাতা পুলিশ। তবে অনুসন্ধান চালানো হয়। রাজভবনের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করার চেষ্টা করে পুলিশ। এছাড়া ওই মহিলাকে পুলিশের দ্বারস্থ হতে বাধা দেওয়ার অভিযোগে রাজভবনেরই বেশ কয়েকজন কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা রুজু করে পুলিশ। কিন্তু কলকাতা হাই কোর্ট ওই তদন্তে স্থগিতাদেশ জারি করে। তার ফলে শেষমেশ বন্ধই হয়ে যায় তদন্ত।রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের সঙ্গে এমনিই রাজ্যের সম্পর্ক তেমন মধুর নয়! এই অভিযোগ ওঠার পর থেকে সম্পর্কের আরও অবনতি হয়েছে বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। কখনও জনসভার মঞ্চ আবার কখনও নবান্নের প্রশাসনিক বৈঠকে এই ইস্যুতে মুখ খোলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জোরাল সমালোচনা করেন। এমনকী সম্প্রতি সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় ও রেয়াত হোসেন সরকারের শপথ জট নিয়ে উষ্মাপ্রকাশ করতে গিয়েও মুখ্যমন্ত্রী দাবি করেন, "রাজভবনে যা কীর্তি-কেলেঙ্কারি চলছে, তাতে মেয়েরা যেতে ভয় পাচ্ছেন বলে আমার কাছে অভিযোগ করেছেন।" মুখ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্যের জলও গড়িয়েছে আদালতে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে কলকাতা হাই কোর্টে মামলা রুজু করেছেন রাজ্যপাল। এই মামলায় তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ, দুই সদ্য জয়ী বিধায়ক সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রেয়াত হোসেন সরকারের নামও যুক্ত করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার এই মামলার পরবর্তী শুনানি।

Card image cap

মেঘাচ্ছন্ন আকাশ সপ্তাহ জুড়ে বৃষ্টি, কোনও কোনও অঞ্চলে প্রবল বৃষ্টির সম্ভাবনা!

উত্তরবঙ্গের মতো না হলেও দক্ষিনবঙ্গেও ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। চলতি সপ্তাহে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা নদীয়া মুর্শিদাবাদ এবং বীরভূম জেলাতে। বজ্রবিদ্যুৎসহ বৃষ্টির সম্ভাবনা বেশি থাকবে পূর্ব-পশ্চিম মেদিনীপুর পূর্ব পশ্চিম বর্ধমান দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং বাঁকুড়া জেলাতে।


কলকাতা সহ সংলগ্ন অঞ্চলে বজ্রবিদ্যুৎ সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।


আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের অধিকর্তা হাবিবুর রহমান বিশ্বাস জানিয়েছেন, মৌসুমী অক্ষরেখা বিহার থেকে আসাম পর্যন্ত। উত্তরবঙ্গের ওপর দিয়ে এই অক্ষরেখা অবস্থান করায় সেখানে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ বেশি। এছাড়াও বাংলাদেশ ও সংলগ্ন এলাকায় আরও একটি ঘূর্ণাবর্ত রয়েছে। এর প্রভাবেই মেঘাচ্ছন্ন আকাশ সপ্তাহ জুড়ে বৃষ্টি। উত্তরবঙ্গে বৃষ্টির কারনে দূর্যোগ অব্যাহত। গত চব্বিশ ঘণ্টায় অতিভারী বৃষ্টি হয়েছে উত্তরবঙ্গের ওপরের পাঁচটি জেলায়। বিশেষ করে দার্জিলিং এর সেবকে ২৯০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে।আলিপুরদুয়ার ২১০ মিলিমিটার হয়েছে। দার্জিলিং ও গজলডোবাতে ১২০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। নদীয়া জেলার দেবগ্রামে ৩২.১ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে।


মঙ্গলবার কলকাতা এবং তৎপ্বার্শবর্তী অঞ্চলে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৯দশমিক চার ডিগ্রী সেলসিয়াস যা স্বাভাবিকের চেয়ে তিন দশমিক দুই ডিগ্রী নিচে। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৭দশমিক এক ডিগ্রী সেলসিয়াস যা স্বাভাবিকের চেয়ে শূন্য দশমিক চার ডিগ্রী বেশি। বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতা ছিল সর্বোচ্চ ৯৮ শতাংশ সর্বনিম্ন ৮৭ শতাংশ। গত চব্বিশ ঘণ্টায় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ৩২দশমিক সাত মিলিমিটার। আজ বুধবার দিনের আকাশ মেঘলা। বজ্রবিদ্যুত সহ বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা। সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৩০ডিগ্রী এবং ২৬ ডিগ্রীর আশেপাশে থাকবে।


আজ উত্তরবঙ্গের ওপরের পাঁচ জেলায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস । কোনও কোনও অঞ্চলে প্রবল বৃষ্টির সম্ভাবনা। দার্জিলিং কালিম্পংএ আলিপুরদুয়ার কোচবিহার জলপাইগুড়ি এই পাঁচ জেলাতে আজ বুধবার ২০০ মিলিমিটার বা তার বেশি বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। মালদা উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর এই তিন জেলাতেও বিক্ষিপ্তভাবে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা। শনিবার পর্যন্ত এই ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টি চলবে।


Card image cap

ইডি-কে কত টাকা ফেরাতে চান ঋতুপর্ণা?

রেশন বণ্টন দুর্নীতি মামলায় ইডি-র জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হতে হয়েছিল। সেই সূত্রেই এবার ইডি-কে ৭০ লক্ষ টাকা ফেরত দেওয়ার প্রস্তাব দিলেন অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত।


গত ১৯ জুন সিজিও কমপ্লেক্সে এসে ইডি-র জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হন ঋতুপর্ণা। বেশ কয়েক ঘণ্টা ধরে তাঁর সঙ্গে কথা বলেন ইডির তদন্তকারী আধিকারিকরা।


ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট লেনদেনের সূত্র ধরেই রেশন দুর্নীতি মামলায় জাতীয় পুরস্কার জয়ী অভিনেত্রীকে তলব করা হয় বলে ইডি সূত্রে খবর। রেশন দুর্নীতি কাণ্ডে এক অভিযুক্ত অভিনেত্রীর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠিয়েছিলেন বলেই তাঁকে তলব করা হয়েছিল বলেই প্রাথমিক ভাবে ইডি সূত্রে জানা গিয়েছিল।


জিজ্ঞাসাবাদ শেষে অবশ্য ঋতুপর্ণা জানিয়েছিলেন, তদন্তে তিনি সবরকম সহযোগিতা করবেন। ইডি যা যা নথি চেয়েছে তা তিনি দিয়েছেন বলেও জানিয়েছিলেন অভিনেত্রী।


সূত্রের খবর, জিজ্ঞাসাবাদের পরেই ইডি আধিকারিকদের ৭০ লক্ষ টাকা ফিরিয়ে দেওয়ার প্রস্তাব দেন ঋতুপর্ণা। যদিও এ বিষয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত জানায়নি ইডি।

Card image cap

৩১ জুলাইয়ের মধ্যে ITR ফাইল না করলে মোটা অঙ্কের জরিমানা;

আয়কর রিটার্ন দাখিলের সময়সীমা ৩১ জুলাই ২০২৪ হিসাবে নির্ধারণ করা হয়েছে। আয়কর এমন একটি নথি যার অধীনে আর্থিক বছরে করদাতাদের আয় জানা যায়। যদি কোনও করদাতা আইটিআর ফাইল করতে অক্ষম হন তবে তাকে জরিমানা দিতে হবে। আয়কর বিভাগের বিভিন্ন আয়ের স্ল্যাবের জন্য অনেক করের হার রয়েছে।


এছাড়াও, আয়কর বিভাগ বারবার ব্যক্তিদের সময়মতো আয়কর রিটার্ন (আইটিআর ফাইলিং) ফাইল করার জন্য স্মরণ করায়। এক্ষেত্রে, আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে ভুলে যাওয়াকে অ-সম্মতি হিসাবে বিবেচনা করা যেতে পারে, যেমন দায় নিষ্পত্তিতে ব্যর্থতা বা আইটিআর ফাইলে অবহেলা করলে জরিমানা হতে পারে।


আয়কর রিটার্ন (ITR) জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ৩১ মার্চ, ২০২৪-এ শেষ হওয়া আর্থিক বছরের জন্য ৩১ জুলাই, ২০২৪। আইটিআর ফাইল করার প্রক্রিয়াটি কিছুটা কঠিন হতে পারে, বিশেষ করে স্বতন্ত্র করদাতাদের জন্য যারা তাদের আইটিআর ফাইল করার জন্য প্রয়োজনীয় বিভিন্ন বিভাগ এবং জিনিসগুলি বোঝা কঠিন বলে মনে করেন।


যারা ৩১ জুলাই মিস করেন, তারা আরও একটি সুযোগ পাবেন

সমস্ত প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ করা এবং পূর্ববর্তী বছরে খরচের রেকর্ড বজায় রাখা কঠিন হতে পারে, যে কারণে ব্যক্তি ফাইল করার সময়সীমা মিস করতে পারে। ফলস্বরূপ, অনেক ব্যক্তির আয়কর কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে কোনও প্রতিকূল পদক্ষেপ এড়াতে তাদের ট্যাক্স রিটার্ন পূরণ করতে অতিরিক্ত সময় প্রয়োজন হতে পারে। আইটি বিভাগ এই ধরনের করদাতাদের ৩১ ডিসেম্বরের আগে 'বিলেটেড' রিটার্ন দাখিল করার সুযোগ দেয়।


'বিলেটেড' আইটিআর-এর জন্য জরিমানা

করদাতারা দেরিতে আয়কর রিটার্ন দাখিল করলে, তাদের আয়ের স্তরের উপর নির্ভর করে জরিমানা দিতে হতে পারে। বিশেষ করে যদি আয় ৫ লক্ষ টাকার কম হলে তবে ১,০০০ টাকা জরিমানা করা হয়। আয় ৫ লক্ষ টাকার বেশি হলে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। উপরন্তু, দেরীতে রিটার্ন দাখিলকারীদের সুদের চার্জ এবং সময়মত রিটার্ন দাখিল করলে তাদের জন্য উপলব্ধ কিছু সুবিধা হারানোর আকারে জরিমানা হতে পারে।


Card image cap

গণপিটুনিতে কড়া রাজ্য

কখনও বাচ্চা চুরির গুজব তো কখনও মোবাইল চুরির অভিযোগ। কখনও স্রেফ সন্দেহের বশে রাজ্যে একের পর এক গণপিটুনির ঘটনা ঘটছে। যার জেরে ইতিমধ্যে প্রাণও হারিয়েছেন কয়েকজন। এবার সেই ঘটনা কড়া হাতে মোকাবিলার বার্তা দিল রাজ্য প্রশাসন। একইসঙ্গে গণপ্রহারের ঘটনায় স্বজনহারাদের পাশে থাকার বার্তাও দিল রাজ্য। মৃত ব্যক্তির পরিবারের এক সদস্যকে হোম গার্ডের চাকরি ও ২ লক্ষ টাকা আর্থিক সাহায্য করা হবে। মঙ্গলবার নবান্নে সাংবাদিক সম্মেলন করে জানালেন মুখ্যমন্ত্রীর ব্যক্তিগত উপদেষ্টা আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় এবং এডিজি  মনোজ ভার্মা।নবান্নে আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, সাম্প্রতিক বেশ কিছু ঘটনায় পুলিশ আইনানুগ ব্যবস্থা নিচ্ছে। ভিজিল্যান্স বসানো হচ্ছে। পুলিশকে সর্বাধিক সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে স্পেশাল হোম গার্ডের চাকরি এবং দু লক্ষ টাকা দেওয়া হচ্ছে। তাঁর কথায়, "যে কোনও মৃত্যুই দুঃখজনক। অর্থ বা চাকরি দিয়ে সেই ক্ষতি পূরণ করা সম্ভব নয়। তবে সরকারের তরফে পরিবারগুলির পাশে থাকার জন্য এই সিদ্ধান্ত।"কড়া বার্তা দিয়েছেন মনোজ ভার্মা। আমজনতার উদ্দেশে তাঁর বার্তা, "আইন নিজেদের হাতে তুলে নেবেন না। কোনও সমস্যা থাকলে পুলিশকে জানান। কিন্তু তা না করে, আইন নিজের হাতে তুলে নিলে আমরা তা বরদাস্ত করব না।" এর পাশাপাশি সতর্ক করতে বিশেষ নির্দেশিকাও জারি করা হয়েছে।

Card image cap

দুষ্কৃতীদের হাতে সেলেব কাউন্সিলর শ্রীতমাকে শারীরিক নিগ্রহের অভিযোগ, কী বলছেন মদন মিত্র?

কাউন্সিলর হয়েও ছাড় পেলেন না। নিজের এলাকা কামারহাটিতেই দুষ্কৃতীদের হাতে শারীরিক হেনস্থার শিকার হলেন অভিনেত্রী, কাউন্সিলর শ্রীতমা ভট্টাচার্য। ঘটনায় প্রতিবাদে মুখর হয়েছেন কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্র। জানা যাচ্ছে শারীরিক হেনস্থার ঘটনায় বেলঘরিয়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন শ্রীতমা।


ঠিক কী ঘটেছে, কোথায় ঘটেছে?


ঘটনাটি ঘটে রবিবার সন্ধ্যেয় আগরপাড়া মিলন সমিতি ক্লাবের সামনে। ওই এলাকায় বেশকিছুদিন ধরেই নাকি অসামাজিক কাজকর্ম ও জমি বেদখলের অভিযোগ পাচ্ছিলেন কাউন্সিলর শ্রীতমা। সেই অভিযোগের সুরহা করতেই রবিবার এলাকায় গিয়েছিলেন তিনি। 


জানা যাচ্ছেন শ্রীপল্লি কমিটির কাজের খোঁজ খবর নিতে গিয়েছিলেন অভিনেত্রী, কাউন্সিলর। অভিযোগ, পল্লী কমিটির প্রেসিডেন্ট ও তাঁর দলবল কাউন্সিলর শ্রীতমাকে দেখা মাত্রই তাঁর উপর এবং তাঁর সঙ্গীদের উপর চড়াও হম। তাঁরা শ্রীতমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করছিলেন বলে অভিযোগ। পরবর্তী পর্যায়ে বিষয়টি ধাক্কাধাক্কিতে চলে যায়। এমনকি শ্রীতমার পা মারিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। প্রতিবাদ করলে অভিনেত্রীকে ওই লোকজন মারতে গিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। ঘটনার পর রবিবার রাতেই বেলঘরিয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেন কামারহাটির ২৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর।


এদিকে সূত্র বলছে, যে লাল মোহনের বিরুদ্ধে মূল অভিযোগ তিনিই নাকি আবার নির্বাতনের জন্য শ্রীতমা ভট্টাচার্যের ইলেকশন এজেন্ট ছিলেন। শ্রীতমার কথায়, 'লালমোহনই পুরো ঘটনায় উস্কানি দিয়েছেন, আমি শুধু সরকারি জমি বেদখল হওয়া নিয়ে কথা বলতে গিয়েছিলাম। এটা নাকি আমার অপরাধ!'


এদিকে শ্রীতমাকে হেনস্থার খবর কানে গিয়েছে কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্রর কানে। তিনি বলেন, 'খবর পেয়েছি, অনেকে জানিয়েছে। কাউন্সিলরও জানিয়েছে। আমরা নজর রাখছি, ঘটনার পুনরাবৃত্তি যাতে না হয়, সেই চেষ্টা চলছে। একজন মহিলা কাউন্সিলরকে যদি শারীরিকভাবে হেনস্থা করা হয়, সেটা গর্হিত অপরাধ। পুলিশ তদন্ত করছে। আমি চাই তদন্তে পুরো ঘটনা উঠে আসুক। আমিও দলীয়ভাবে সকলকে জানিয়েছি। সৌগত রায়ের কাছেও অভিযোগ জমা পড়েছে। উপরমহলেও।'

Card image cap

চোপড়ার ঘটনার তীব্র নিন্দা ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রীর

বাংলায় মহিলাদের মর্যাদা এককথায় মাটিতে মিশে গিয়েছে! গোটা রাজ্য জুড়ে তালিবানী শাসন চালাচ্ছে তৃণমূল! চোপড়ার যুগলকে মারধরের ঘটনায় এভাবেই একরাশ ক্ষোভ প্রকাশ করলেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা। সোমবার নিজের এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে মানিসক সাহা লেখেন, 'আজ বাংলায় নারীদের মর্যাদা সম্পূর্ণ হারিয়ে গিয়েছে।


তালিবানী রাজ চলছে তৃণমূল সরকারের অধীনে।


সে রাজ্যের প্রতিটা অঞ্চল সন্দেশখালিতে পরিণত হয়েছে'. একই সঙ্গে তাঁর আরও সংযোজযন, একজন নারীকে যেভাবে নির্যাতন করেছেন এক তৃণমূল নেতা তা অত্যন্ত নিন্দনীয়। যে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নিজে একজন মহিলা! সেখানে এমন হয় কীকরে? প্রশ্ন মানিক সাহার।


পাশাপাশি এদিন তিনি চোপড়ার ঘটনার নিন্দা করে অভিযুক্তর কঠোর শাস্তির দাবিও করেছেন। পাশাপাশি এবিষয়ে বিজেপি মুখপাত্র নব্যেন্দু ভট্টাচার্য বলেন, বাংলার সাধারণ মানুষ, বিশেষত মহিলাদের ওপর এরকম অত্যাচার বাংলায় প্রায় প্রতিদিনই ঘটে চলেছে।


এমন ঘটনা বিশ্বের আর কোথাও হয়না বলেও ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি। একই সঙ্গে তৃণমূল নেতা যখন এক মহিলার ওপর প্রকাশ্যে নির্যাতন করছিলেন তখন কার্যত নির্বাক দর্শকের ভূমিকা পালন করেছে পুলিশ বলেও অভিযোগ করেন নব্যেন্দু। 



উল্লেখ্য, রবিবার চোপড়ায় এক তৃণমূল নেতার হাতে এক তরুণী এবং তরুণের নিগ্রহের ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসে। ভিডিয়োয় দেখা যায়, কঞ্চির ছড়া দিয়ে এক তরুণীকে এলোপাথাড়ি মারছেন স্থানীয় তৃণমূল নেতা তাজেমুল ইসলাম ওরফে জেসিবি। তবে এই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি ওয়ান ইন্ডিয়া বাংলা।


ভিডিয়োটি স্যোশাল মিডিয়ায় প্রথম পোস্ট করেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। জেসিবি চোপড়ার তৃণমূল বিধায়ক হামিদুল রহমানের ঘনিষ্ঠ বলেই এলাকায় পরিচিত। তারপর ভিডিওটি নিয়ে তুঙ্গে ওঠে রাজনৈতিক তরজা। বিজেপির অফিশিয়াল পেজ থেকেও ভিডিওটি পোস্ট করা হয়।


এরপর এই ঘটনায় নিন্দায় সরব হয়েছেন প্রায় সব বিজেপি নেতৃত্ব। আর সেই মতোই এ হেন ঘটনার বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করলেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রীও। যদিও ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে অভিযুক্ত জেসিবিকে। এরপর সোমবার তাঁকে তোলা হয় আদালতে।

Card image cap

চোপড়া নিয়ে বড় পদক্ষেপ রাজ্যপালের, চরম বিপাকে মমতা!

চোপড়ায় যে ঘটনা ঘটে গিয়েছে, তা মধ্যযুগীয় বর্বরতাকেও হার মানায়। ইতিমধ্যেই সেই ঘটনায় একজন তৃণমূল কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে এবার রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান হিসেবে বড় পদক্ষেপ গ্রহণ করলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস।


সূত্রের খবর, এদিন চোপড়ার ঘটনা নিয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করেন রাজ্যপাল।


যেখানে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে দ্রুত এই ব্যাপারে রিপোর্ট তলব করেছেন তিনি। বলা বাহুল্য, দুইজন তরুন তরুনীর বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক নিয়ে চোপড়ার লক্ষীপুর গ্রামে একটি সালিশি সভা ডাকা হয়। আর তারপরেই সেখানে সেই দুই তরুণ তরুণীকে বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ।


আর এই ঘটনায় এক তৃণমূল কর্মীর নাম জড়ায়। পাশাপাশি তৃণমূল বিধায়কের মন্তব্যকে কেন্দ্র করে তীব্র বিতর্কের সৃষ্টি হয়। যার ফলে বিরোধীরা দোষীদের চরম শাস্তির দাবি করছে। আর এই পরিস্থিতিতে এবার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর কাছে রিপোর্ট তলব করলেন রাজ্যপাল।

Card image cap

অষ্টম পাশেই চাকরি! এই ভাবে করুন আবেদন

চাকরিপ্রার্থীদের জন্য বিরাট সুখবর। প্রচুর পরিমাণে গ্রুপ সি ও ডি পদে নিয়োগ করছে রাজ্য সরকার । শিক্ষাগত যোগ্যতা অষ্টম পাশ বা মাধ্যমিক পাশ হয়ে থাকেই আবেদন করা যাবে। রাজ্য সরকারের এই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় মহিলা ও পুরুষ উভয়ই আবেদন জানাতে পারবেন।


পিয়ন, নাইট গার্ড, লোয়ার ডিভিশন ক্লার্ক, আপার ডিভিশন ক্লার্ক সহ একাধিক পদে আবেদন গ্রহণ করা হচ্ছে। জানুন বিস্তারে।


গ্রুপ ডি (পিয়ন, নাইট গার্ড, ফারাস) পদের জন্য আবেদনপত্র গ্রহণ করা হচ্ছে। আবেদন জানাতে হলে অবশ্যই অষ্টম পাশ যোগ্যতা থাকতে হবে। অসংরক্ষিত ও ওবিসিদের জন্য ২০০ টাকা এবং অন্যান্য সংরক্ষিত প্রার্থীদের ১৫০ টাকা আবেদনমূল্য দিতে হবে। মাসিক বেতন ১৭০০০ থেকে ৪৩৬০০ টাকা।


পাশাপাশি Process Server পদের জন্য আবেদনের আহ্বান জানানো হয়েছে। অষ্টম পাশ হলেই আবেদন করা যাবে। তবে কম্পিউটার নলেজ বা সার্টিফিকেট থাকতে হবে। অসংরক্ষিত ও ওবিসিদের জন্য ২০০ টাকা এবং অন্যান্য সংরক্ষিত প্রার্থীদের ১৫০ টাকা আবেদনমূল্য জমা করতে হবে। মাসিক বেতন ২১০০০ থেকে ৫৪০০০ টাকা।


লোয়ার ডিভিশন ক্লার্ক (LDC) ও Seal Bailiff এই পদ গুলির জন্য আবেদন জানাতে হলে মাধ্যমিক পাশ করতে হবে প্রার্থীদের। পাশাপাশি কম্পিউটার নলেজ ও টাইপিং এ দক্ষ হতে হবে। আবেদনের জন্য অসংরক্ষিত ও ওবিসিদের জন্য ৩০০ টাকা এবং অন্যান্য সংরক্ষিতদের জন্য ২০০ টাকা করে দিতে হবে। মাসিক বেতন হবে ২২৭০০ থেকে ৫৮৫০০ টাকা।

আপার ডিভিশন ক্লার্ক পদে আবেদন জানাতে হলে শিক্ষাগত যোগ্যতা স্নাতক অর্থাৎ গ্রেজুয়েট হতে হবে। যে কোনো শাখায় স্নাতক হলেই আবেদন করা যাবে। পাশাপাশি কম্পিউটার নলেজ বা সার্টফিকেট সহ MS Word ও Excel এর যাবতীয় কাজ জানতে হবে এবং টাইপিং এ দক্ষতা থাকা অবশ্যক। অসংরক্ষিত ও ওবিসি প্রার্থীদের জন্য আবেদন মূল্য ৫০০ টাকা এবং অন্যান্য সংরক্ষিতদের জন্য ৩০০ টাকা। মাসিক বেতন ২৭৯০০-৭৪৫০০ টাকা।


উপরিক্ত পদ গুলিতে আবেদনের জন্য চাকরি প্রার্থীদের বয়স সর্বনিন্ম ১৮ থেকে সর্বাধিক ৪০ বছরের মধ্যে হতে হবে। তবে সরকারি নিয়ম অনুযায়ী সংরক্ষিতরা বয়সের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত ছাড় পাবেন। আগামী ১০ জুলাই পর্যন্ত আবেদন পক্রিয়া চলবে।


Card image cap

গরমের লম্বা ছুটি শেষ, এবার জুলাই মাসে কোন কোন দিন বন্ধ থাকবে স্কুল?

স্কুল ছুটির কথা বললেই পড়ুয়াদের মধ্যে আলাদা আনন্দ নজরে আসতে দেখা যায়। আসলে প্রতিদিন স্কুলে যাওয়া আর পড়াশুনা করার একঘেয়েমি থেকে তারাও মুক্তি পেতে চায়। একইভাবে মুক্তি পেতে চান স্কুল কলেজের শিক্ষক-শিক্ষিকারাও। সেই মত প্রত্যেক স্কুল পড়ুয়া থেকে শুরু করে শিক্ষক-শিক্ষিকারা তাকিয়ে থাকেন প্রত্যেক মাসের ছুটির তালিকার দিকে।


সেই মতো চলুন দেখে নেওয়া যাক জুলাই মাসে কোন কোন দিন বন্ধ থাকবে স্কুল?


চলতি বছর স্কুল সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষিকারা থেকে শুরু করে পড়ুয়ারা যেভাবে টানা ছুটি পেয়েছেন তা অন্যান্য বছর পেয়েছেন কিনা সন্দেহ আছে। এই বছর ২২ এপ্রিল থেকে শুরু হয় গরমের ছুটি এবং সেই টানা গরমের ছুটি শেষ হয় জুন মাসে। জুন মাসের ৩ তারিখ শিক্ষক-শিক্ষিকাদের জন্য স্কুল খুলে যায় আর ১০ তারিখ খোলে পড়ুয়াদের জন্য। তবে এমন টানা ছুটির স্বাদ আপাতত আর নেই।


জুলাই মাসে স্কুল সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পড়ুয়ারা ও শিক্ষক-শিক্ষিকারা ছুটি পাবেন কেবলমাত্র সাড়ে পাঁচ দিন। কেননা জুলাই মাসে বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠান থাকলেও বেশ কিছু ছুটি বাতিল হয়েছে রবিবার পড়ে যাওয়ার কারণে। এক্ষেত্রে সাধারণ ছুটি বাদ দিয়ে জুলাই মাসে বাংলার স্কুল-কলেজে ছুটি নেই বললেই চলে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে এপ্রিল মাসের শেষ থেকে জুন মাস পর্যন্ত টানা গরমের ছুটি কাটানোর পর এখন টানা পড়াশুনোর পালা।


জুলাই মাসের প্রথম দিন স্কুল ছুটি হয় টিফিনের সময় অর্থাৎ চতুর্থ পিরিয়ডের পর। এই বছর প্রথম পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের তরফ থেকে ১ জুলাই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ডক্টর বিধান চন্দ্র রায়ের জন্মদিনে হাফ ছুটির ঘোষণা করেছে। সেই মতো সরকারি এবং সরকার পোষিত স্কুলগুলি চতুর্থ পিরিয়ডের পর ছুটি হয়ে যায়। এরপর পরবর্তী ছুটি রয়েছে একমাত্র মহরমের দিন। এই বছর মহরম পড়েছে ১৭ জুলাই বুধবার। ঐদিন দেশের সমস্ত স্কুল কলেজ অফিস কাছারির মতো পশ্চিমবঙ্গেও সব বন্ধ থাকবে।


অন্যদিকে ৭ জুলাই এই বছর রথযাত্রা পড়লেও ওই দিনটি রবিবার পড়ে যাওয়ার কারণে ছুটি পাবেন না স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকারা থেকে শুরু করে পড়ুয়ারা। বাকি জুলাই মাসের আর কোনদিন ছুটি নেই। বাকি ছুটি রয়েছে বলতে কেবলমাত্র রবিবার সাধারণ ছুটি। চারটি রবিবারের সাধারণ ছুটি এবং মহরম উপলক্ষে একটি ও প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিধানচন্দ্র রায়ের জন্মদিন উপলক্ষে হাত ছুটি মিলিয়ে জুলাই মাসে মোট সাড়ে পাঁচটি ছুটি পাচ্ছেন কোন কলেজের শিক্ষক-শিক্ষিকা থেকে পড়ুয়ারা।

Card image cap

এবার বিরাট পদক্ষেপ নিল পশ্চিমবঙ্গ সরকার

দুর্নীতি কাঁটায় একাধিকবার বিদ্ধ হতে হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে। মাঝেমধ্যেই দুর্নীতি ইস্যুতে রাজ্য সরকারকে নিশানা করতে দেখা যায় বিরোধীদের। বহুবার পঞ্চায়েত ব্যবস্থায়  দুর্নীতির অভিযোগ উঠতেও দেখা গিয়েছে। এবার সেই সকল দুর্নীতি রুখতে বিরাট পদক্ষেপ নেওয়া হল।


পঞ্চায়েত ব্যবস্থাকে দুর্নীতিমুক্ত করতে চালু হতে চলেছে বদলি নীতি।


সম্প্রতি মুর্শিদাবাদে পঞ্চায়েত সমিতির একজন আধিকারিককে বেনিয়মের অভিযোগে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অতীতে নানান সময়ে নানান পঞ্চায়েতের একাধিক কর্মীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠতে দেখা গিয়েছে। এবার এই 'দুর্নীতি সমস্যা' একেবারে মূল থেকে উপড়ে ফেলতে বিরাট সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য।


জানা যাচ্ছে, এবার থেকে পঞ্চায়েত দফতরে কর্মরত  কোনও কর্মী তিন বছরের অধিক একই পঞ্চায়েত সমিতি অথবা গ্রাম পঞ্চায়েতে থাকতে পারবেন না। তিন বছরের বেশি হয়ে গেলেই তাঁদের বদলি করে দিতে হবে। সূত্র মারফৎ জানা যাচ্ছে, ইতিমধ্যেই পঞ্চায়েত দফতর থেকে রাজ্যের প্রত্যেক জেলাশাসকের কাছে এই মর্মে একটি নির্দেশ পৌঁছে গিয়েছে।


তিন বছরের অধিক সময় ধরে যারা একই পঞ্চায়েত সমিতি অথবা গ্রাম পঞ্চায়েতে কাজ করছেন, তাঁদের একটি তালিকা তৈরি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গেই তাঁদের বদলির নির্দেশ কার্যকর করার কথাও বলা হয়েছে বলে খবর।


এদিকে বছরের পর বছর ধরে যদি একই জায়গায় পোস্টিং থাকে তাহলে অনেকের বিরুদ্ধে নিয়মিত অফিসে না যাওয়ার অভিযোগ ওঠে। সেই সঙ্গেই প্রশাসন মনে করছে, বহু ক্ষেত্রে দীর্ঘদিন একই জায়গায় থাকার ফলে স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য এবং পঞ্চায়েত কর্মীদের মধ্যে একপ্রকার 'আঁতাত' গড়ে ওঠে, যা অনেক সময় ভালো হয় না। এর ফলে বহুক্ষেত্রে সরকারি পরিষেবা থেকে আমজনতাকে বঞ্চিত হতে হয়।


উল্লেখ্য, বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গে ৩,৩৪৩টি গ্রাম পঞ্চায়েত এবং ৩৩২টি পঞ্চায়েত সমিতি রয়েছে। একশো দিনের কাজ থেকে শুরু করে আবাস যোজনা- একাধিক গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প রুপায়নে পঞ্চায়েত দফতরের কর্মীদের ভূমিকা বেশ গুরুত্বপূর্ণ। প্রশাসনের অনুমান, পঞ্চায়েত ব্যবস্থাতেও যদি বদলি নীতি শুরু হয় তাহলে সার্বিকভাবে জনগণের সুবিধা হবে। এর ফলে একদিকে যেমন কাজের গতি বৃদ্ধি পাবে, তেমনই পঞ্চায়েত সদস্যদের সঙ্গে পঞ্চায়েত কর্মীদের 'অশুভ আঁতাত' গড়ে ওঠার সম্ভাবনাও কমবে।

Card image cap

রাজ্যে আর থাকবে না টোটো পরিষেবা! বিরাট পদক্ষেপ রাজ্য প্রশাসনের,

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে দিন কয়েক আগেই রাজ্যজুড়ে শুরু হয়েছিল ফুটপাত দখল মুক্ত করার অভিযান। যদিও ব্যাপক আন্দোলনের জেরে সেই অভিযান বন্ধ হয়ে যায়। অন্যদিকে ফুটপাত দখলমুক্ত করার অভিযান বন্ধ হলেও বিভিন্ন জায়গায় চলছে পাকা দোকানদারদের বাড়িয়ে রাখা অংশ ভেঙে ফেলার কাজ।


এবার নয়া পরিকল্পনা প্রশাসনের। রাজ্যের নাগরিকদের বারবার অভিযোগ তুলতে দেখা যায়, ফুটপাত দখল হওয়ার পাশাপাশি যত্রতত্র টোটো পার্কিং করে রাখা থেকে লাগামছাড়া ভাবে টোটো চলার কারণে রাস্তা দিয়ে পারাপার করা এক প্রকার অসম্ভব হয়ে দাঁড়াচ্ছে। এমনটা হওয়ার পিছনে ফুটপাত তখন থেকে শুরু করে রয়েছে টোটোওয়ালাদের গাজোয়ারি। আর এই নিয়েই এবার গত কয়েকদিন ধরে নড়েচড়ে বসেছে রাজ্য সরকার।


রাজ্য জুড়ে এমনিতেই লাগাম ছাড়া ভাবে টোটোর সংখ্যা বৃদ্ধি পেতে দেখা যাচ্ছে। স্বাভাবিকভাবেই বারাসাত পৌর এলাকাও এমন ঝঞ্ঝাট থেকে মুক্ত নয়। তবে যাতে যানজটমুক্ত থাকে এলাকা এবং লাগামহীন ভাবে টোটো যাতায়াত করতে না পারে তার জন্য প্রশাসনিক তরফ থেকে বিশেষ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।


এবার নিয়ম মেনে টোটো চালানোর জন্য কিউআর কোড টোটোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। কিউআর কোড থাকা টোটোর অর্থ হলো সেগুলি প্রশাসনের অনুমতি নিয়েই নির্দিষ্ট রুটে চলছে। প্রশাসনের তরফ থেকে এমন ব্যবস্থা করা হয়েছে। আর এই ব্যবস্থা না মেনে যে সকল টোটো যাতায়াত করছে সেই সকল টোটো ধরপাকড় করা হয় দিন কয়েক আগে বারাসাতের চাঁপাডালি মোড়ে। মোটর ভেহিকেলস এবং পুলিশ প্রশাসনের যৌথ উদ্যোগে এমন ধরপাকড় করা হয়। অভিযান চালানোর সময় যে সকল টোটোতে কিউআর কোড ছিল না সেগুলিকে বাজেয়াপ্ত করে প্রশাসন।


ওই কিউআর কোড ব্যবস্থা চালু করা হয়। তবে তার পরেও এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে যে বারবার বিভিন্ন মহল থেকে অভিযোগ আসতে শুরু করে। আর এমন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতেই আচমকা প্রশাসনের তরফ থেকে অভিযান চালানো হয়। সূত্র মারফৎ জানা যাচ্ছে, এমন অভিযান আগামী দিনে গোটা রাজ্যে শুরু করা হবে। দিন কয়েক আগে সিউড়ি পৌরসভার চেয়ারম্যান উজ্জ্বল চ্যাটার্জীও এমন আভাস দিয়েছেন।

Card image cap

ফের চোর সন্দেহে গণপিটুনি

ফের চোর সন্দেহে গণপিটুনিতে প্রাণহানি। কলকাতা, সল্টলেকের পর এবার ঘটনাস্থল ঝাড়গ্রাম। স্কুটি নিয়ে বন্ধুর সঙ্গে বেড়াতে গিয়ে গণপিটুনির শিকার হন দুই বন্ধু। গুরুতর জখম অবস্থায় ৯ দিন ভর্তি থাকার পর মৃত্যু যুবকের। আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি ওই যুবকের আরেক বন্ধু। ঝাড়গ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে সকাল সাড়ে ছটা নাগাদ মৃত্যু হয় বছর তেইশের তরুণ সৌরভ সাউ। তাঁর বন্ধু বছর বাইশের অক্ষয় মাহাতো ঝাড়গ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।ঝাড়গ্রাম শহরের বেনাগেড়িয়ার বাসিন্দা সৌরভ এবং অক্ষয় দুই বন্ধু। তাঁরা ২২ জুন একটি স্কুটি নিয়ে জামবনি থানার খাটকুড়াতে ঘুরতে গিয়েছিলেন। খাটকুড়াতে রাস্তা তৈরির কাজ হচ্ছে। সেখানে ঠিকাদার সংস্থার নির্মাণ সমগ্রী বোঝাই একটি গাড়ি ছিল।সেই গাড়ি থেকে নির্মান সামগ্রী চুরি যাওয়ার অভিযোগ ছিল। আর সেই এলাকার কাছাকাছি তারা দুই বন্ধু গিয়েছিল। বিকেলে বাড়ি ফেরার সময় তাদের দেখে এলাকার লোকজন চোর সন্দেহ করে। এবং তাঁদের দুজনকে গণপিটুনি দিতে থাকে। এই ঘটনায় তাঁরা রীতিমতো গুরুতর জখম হন। ঘটনার খবর জামবনি থানার পুলিশ পাওয়া মাত্র তাদের উদ্ধার করে ঝাড়গ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করায়। তাঁদের পরিবারের লোকজন পুলিশ মারফত খবর পেয়ে হাসপাতালে গিয়ে দেখে তাদের ছেলেদের ওই অবস্থা। এর পর ২৭ জুন জামবনি থানায় অভিযোগ দায়ের হয়। এদিন সকালে মৃত্যু হয় সৌরভের।সৌরভের বাবা পেশায় টোটো চালক অবনী সাউ বলেন,”আমার ছেলে তার বন্ধুর সঙ্গে স্কুটি নিয়ে বেড়াতে গিয়েছিল। এলাকার মানুষজন চোর সন্দেহ করে আমার ছেলে ও তার বন্ধুকে মারধর করে। পরে আমরা বিষয়টি জামবনি থানার মারফত জানতে পারি। হাসপাতালে এসে দেখি আমার ছেলে ও তার বন্ধু ভর্তি রয়েছে। আজ সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ছেলের মৃত্যু হয়।” তিনি আরও বলেন, চোর সন্দেহে কাউকে এভাবে মারধর ঠিক না। সেই জন্য পুলিশ প্রশাসন রয়েছে। যারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। এই বিষয়ে ঝাড়গ্রামের পুলিশ সুপার অরিজিৎ সিনহা বলেন, “তদন্ত শুরু হয়ে গিয়েছে। ঘটনায় যারা জড়িত তাদের গ্রেপ্তার করা হবে।ঘটনা ঘটার সঙ্গে সঙ্গে অভিযোগ করা হলে আরও আগে তদন্ত শুরু হতে পারত।”

Card image cap

সালিশি সভায় যুগলকে তালিবানি কায়দায় অত্যাচার!

সালিশি সভায় যুগলকে তালিবানি কায়দায় নির্মম অত্যাচারের ঘটনায় গ্রেপ্তার মূল অভিযুক্ত। পুলিশের জালে জেসিবি ওরফে তাজমুল হক ভোলা। নির্মম অত্যাচারের ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে মহিলাকে বেধড়ক মারধর করতে দেখা গিয়েছে তাকে। যদিও ওই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল। স্থানীয়দের দাবি, ধৃত জেসিবি চোপড়ার বিধায়ক তৃণমূলের হামিদুর রহমানের ‘ডান হাত’ নামে পরিচিত। যদিও জেসিবিকে চেনেন না বলেই দাবি বিধায়কের।
ভাইরাল ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, মাটিতে ফেলে এক যুবক ও যুবতীকে লাগাতার লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারধর করছেন জেসিবি। চারিদিকে ঘিরে দাঁড়িয়ে আছেন মহিলা-সহ অসংখ্য মানুষজন। অথচ কেউ রক্ষা করার জন্য এগিয়ে যেতে দেখা যায়নি। থামাননি কেউ। না। বরং যুগলকে পাশবিকভাবে মারধরের মর্মান্তিক দৃশ্য রীতিমতো তাড়িয়ে তাড়িয়ে উপভোগ করছেন তাঁরা। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বাড়ি থেকে পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করেছিলেন ওই তরুণ-তরুণী। তার পর গ্রামে সালিশি সভার আয়োজন করা হয়।জেসিবি চোপড়ার বিধায়ক তৃণমূলের হামিদুর রহমানের ‘ডান হাত’ নামে পরিচিত হওয়ায় এলাকায় তাঁর আস্ফালন কার্যত ভয়ংকর। সেই ব্যক্তি আইনের পরোয়া না করে তাঁদের দুজনকে মারধর করে বলেই অভিযোগ। চারিদিকে কয়েকশো মানুষ দাঁড়িয়ে থাকলেও কেউ তাঁদের উদ্ধার করেনি। এই ঘটনার পর অবশ্য গা ঢাকা দেয় জেসিবি। তবে কয়েক ঘণ্টার মধ্যে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। পুলিশ প্রশাসনের কাছে না গিয়ে নিজের হাতে আইন তুলে নিয়ে স্বেচ্ছাচারিতার ঘটনায় তীব্র সমালোচনার ঝড় ওঠে জেলাজুড়ে। বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য এক্স হ্যান্ডেলে ভিডিওটি পোস্ট করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশাসনকে নিশানা করেন। ঘটনার প্রতিবাদে সরব সিপিএম নেতা মহম্মদ সেলিমও।

Card image cap

পঞ্চায়েত ব্যবস্থাকে দুর্নীতিমুক্ত করতে বড় পদক্ষেপ রাজ্যের

চালু হচ্ছে বদলি নীতি! এবার পঞ্চায়েত দফতরে কর্মরত কোনও কর্মীই তিন বছরের বেশি একই গ্রাম পঞ্চায়েত বা পঞ্চায়েত সমিতিতে থাকতে পারবেন না। 


যাঁরা তিন বছরের বেশি সময় ধরে একই গ্রাম পঞ্চায়েত বা পঞ্চায়েত সমিতিতে রয়েছেন তাঁদের দ্রুত বদলি করতে হবে।


সূত্রের খবর, পঞ্চায়েত দফতর থেকে রাজ্যের প্রতিটি জেলার জেলাশাসকদের কাছে এই নির্দেশ পৌঁছেছে। কারা তিন বছরের বেশি সময় ধরে একই জায়গায় রয়েছেন তাঁদের তালিকা তৈরি করে দ্রুত বদলির নির্দেশ কার্যকরী করার কথাও বলা হয়েছে।


জানা যাচ্ছে, পঞ্চায়েত ব্যবস্থাকে পুরোপুরি দুর্নীতিমুক্ত করতেই এই সিদ্ধান্ত। সম্প্রতি বেনিয়মের অভিযোগে মুর্শিদাবাদে পঞ্চায়েত সমিতির এক আধিকারিককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এছাড়াও বিভিন্ন সময় বিভিন্ন পঞ্চায়েতের একাংশ কর্মীর বিরুদ্ধে দুর্নীতিতে যুক্ত থাকার অভিযোগ ওঠে। 


বছরের পর বছর একই জায়গায় পোস্টিং থাকায় অনেকে নিয়মিত অফিসেও যান না বলেও অভিযোগ। প্রশাসন মনে করছে, অনেক ক্ষেত্রে আবার দীর্ঘদিন একই জায়গায় থাকার ফলে পঞ্চায়েতের কর্মী এবং স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যদের একাংশের মধ্যে অশুভ আঁতাত গড়ে উঠেছে। যার ফলে সরকারি পরিষেবা থেকে বহুক্ষেত্রে বঞ্চিত হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। 


রাজ্যে এই মুহূর্তে ৩৩২টি পঞ্চায়েত সমিতি এবং ৩ হাজার ৩৪৩টি গ্রাম পঞ্চায়েত রয়েছে। আবাস, একশো দিনের কাজ-সহ নানা প্রকল্পের রূপায়ণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হয় পঞ্চায়েত দফতরের কর্মীদের। বদলি নীতি চালু হলে একদিকে যেমন পঞ্চায়েতের কাজে গতি আসবে তেমনই অশুভ আঁতাত গড়ে ওঠা্র সম্ভাবনাও কমবে বলে মনে করছেন প্রশাসনের শীর্ষ আধিকারিকরা। তাঁদের মতে, এতে আখেরে লাভ হবে সাধারণ মানুষের। তাঁরা আরও বেশি করে পঞ্চায়েতের সুফলগুলি পাবেন।