CATEGORY state:

Card image cap

রাজ্যপালের বিরুদ্ধে সরব কুণাল

রাজ্যপালের বিরুদ্ধে মানহানিকর মন্তব্য করা যাবে না। সি ভি আনন্দ বোসের করা একটি মামলায় মুখ্যমন্ত্রী-সহ তৃণমূলের প্রাক্তন সাংসদ ও বিধায়কদের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাই কোর্ট। রাজ্যপালের আবেদন মঞ্জুর করে বিচারপতি কৃষ্ণা রাও তাঁর অন্তবর্তী নির্দেশে জানিয়েছেন, রাজ্যপাল সাংবিধানিক পদে রয়েছেন। এই অবস্তায় কোনো অন্তবর্তী নির্দেশ না দিলে যাঁদের বিরুদ্ধে মানহানির অভিযোগ, তাঁদেরকে আরও আপত্তিজনক মন্তব্য করতে প্রশ্রয় দেওয়া হবে। আদালতের সেই সিদ্ধান্ত নিয়ে পালটা ব্যাখ্যা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আইনজীবী সঞ্জয় বসু।

তাঁর বক্তব্য, এই মামলায় চ্যালেঞ্জ করা বিবৃতিগুলি মানহানিকর বা ভুল ছিল এমন কোনও সিদ্ধান্তে পৌঁছায়নি। মামলা এখনও বিচারাধীন রয়েছে। তবে আদালতের এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করা হবে বলেও জানান তিনি। এক প্রেস বিবৃতিতে সঞ্জয় বসু বলেন, "মুখ্যমন্ত্রী যা বলেছেন, তা রাজভবনে ঘটে যাওয়া ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে। তিনি তাঁর কাছে আসা অসংখ্য মহিলার আশঙ্কার কথাই উল্লেখ করেছেন মাত্র। যে দু’টি অভিযোগ প্রকাশ্যে এসেছে। রাজভবনের এক মহিলা কর্মী এবং এক জন নৃত্যশিল্পী অভিযোগ করেছিলেন। সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতেই মুখ্যমন্ত্রী ওই মন্তব্য করেছিলেন। তাঁর ওই মন্তব্য মানহানিকর নয়। সাধারণের স্বার্থে এমন কথা তিনি বলেছিলেন।"
তিনি উল্লেখ করেছেন, "একজন জনপ্রতিনিধি হিসেবে এবং একজন নারী হিসেবে তিনি চোখ বন্ধ করে নারীদের অনুভূত দুঃখ-কষ্টের প্রতি অমনোযোগী থাকতে পারেন না। তাঁর বাক স্বাধীনতার অধিকার রয়েছে, যা ভারতের সংবিধানের ১৯ অনুচ্ছেদের অধীনে নিশ্চিত করা হয়েছে।" সঞ্জয় বসু জানান, "মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যের মহিলাদের সুরক্ষা এবং নিরাপত্তার জন্য দায়বদ্ধ। এর আগেও যে কোনও ক্ষেত্রে, তিনি জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে অবিচারের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছেন।" আদালতেও তাঁর দাবি ছিল, "এই ঘটনা জনসমক্ষে এসেছে অনেক আগেই। মিডিয়াতে যে সমস্ত মন্তব্য করা হয়েছে তার পরিপ্রেক্ষিতে মানহানির মামলায় সংবাদমাধ্যমকে যুক্ত না করলে সেই মামলা গ্রহণযোগ্য হতে পারে না।"
তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রও আদালতের সিদ্ধান্ত নিয়ে মুখ খুলেছেন। মহুয়ার বক্তব্য, "অবিশ্বাস্য! রাজ্যপাল রাজভবনে মহিলাদের যৌন হেনস্থা করবেন তারপর সাংবিধানিক রক্ষাকবচ ব্যবহার করে মুখ্যমন্ত্রীকে বলবেন এ বিষয়ে চুপ থাকতে? দুঃখিত আমরা রোজ সংবিধান দিবস উদ্‌যাপন করি এবং এটা বলেই যাব।"

Card image cap

বৃহস্পতিবার থেকে কি বাংলায় মিলবে না মুরগির মাংস?

এবার কি মুরগির মাংস মিলবে না? নাকি অধিক দাম দিয়ে কিনতে হবে? কারণ অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ মুরগি পরিবহন। সাংবাদিক সম্মেলন করে নির্দেশিকা জারি করল ওয়েস্ট বেঙ্গল পোল্ট্রি ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশন।


কেন এমন সিদ্ধান্ত?


গত ১১ই জুলাই বৃহস্পতিবার মধ্যরাত্রে একটি মুরগির গাড়ি যাচ্ছিল।


অভিযোগ, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার বেলদা থানা এলাকায় পুলিশের দ্বারা আক্রান্ত হয় গাড়ির চালক। তাঁর নাম সমীর ঘোষ। বাড়ি শালবনীতে। ঘটনার পর তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে বেলদা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় মেদিনীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বেলদা থানার আইসি পরে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার পুলিশ সুপার এবং নবান্নে মেল মারফত জানান অ্যাসোসিয়েশনের কর্মকর্তারা। তার এখনো উত্তর মেলেনি বলে দাবি অ্যাসোসিয়েশনের।


এ প্রসঙ্গে সংগঠনের এক কর্তা বলেন, “একটি মুরগি বোঝাই গাড়ি পুলিশ আটক করে। বৈধ নথি থাকা সত্বেও পুলিশ গাড়ি আটকে রাখে। হেনস্থা করা হয় চালককে। টাকা চাওয়া হয়। পুলিশ যে টাকা চেয়েছিল সেই টাকা চালকের কাছে না থাকায় উনি দিতে অস্বীকার করেন। চালক নিজের সাধ্য মতো পঞ্চাশ টাকা দিতে চেয়েছিলেন। আর তার জন্য কর্তব্যরত পুলিশ আধিকারিকরা ওই চালককে টর্চের পিছন দিক দিয়ে মাথায় জোরাল আঘাত করেন। রক্তাক্ত হন চালক। গালিগালাজ করা হয়।”


এরপর সোমবার সন্ধ্যায় পাঁশকুড়ার মেছোগ্রামে একটি আবাসনে বেশ কয়েকটি জেলার প্রতিনিধিদের নিয়ে একটি বৈঠক হয়। সেই বৈঠক শেষে সাংবাদিক সম্মেলন করে ওয়েস্ট বেঙ্গল পোল্ট্রি ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশনের কর্মকর্তারা। তাঁরা ঘোষণা করেন, আগামী ১৮ জুলাই বৃহস্পতিবার মধ্যরাত্র থেকে রাজ্য জুড়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য মুরগি পরিবহন বন্ধ থাকবে।

Card image cap

তারিখ পে তারিখ! কেন DA মামলার শুনানি হল না সুপ্রিম কোর্টে?

১১৯ দিন পর সোমবার ডিএ  মামলা শুনানির জন্য ওঠার কথা ছিল সুপ্রিম কোর্টে । তবে এবারও শুনানি হল না। প্রতিবারের মতো গতকালও বিশেষ 'চালেই' সুপ্রিম কোর্টে মহার্ঘ ভাতা মামলায় আরও কিছুটা চেয়ে নেয় রাজ্য সরকার। আর তার জেরে সেই ঝুলেই রইল ভাগ্য।


কেন এবার ডিএ  মামলার সুনানি হল না সুপ্রিম কোর্টে?


এর আগ ১২বার ডিএ মামলার শুনানি পিছিয়েছে সর্বোচ্চ আদালতে। এবারও সুপ্রিম কোর্টে পিছিয়ে গেল বাংলার সরকারি কর্মচারীদের DA মামলার শুনানি। আদালত ৪টা পর্যন্ত বসে। সোমবার দুপুর তিনটের পরে সর্বোচ্চ আদালতে যখন বাংলার ডিএ মামলা ওঠে, তখন শুনানির জন্য আরও সময় চেয়ে নেন রাজ্য সরকারের আইনজীবী অভিষেক মনু সিংঘভি। পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের বকেয়া ডিএ মামলার শুনানির জন্য আরও সময়ের প্রয়োজন রয়েছে বলে সওয়াল করেন তিনি।


কনফেডারেশন অফ স্টেট গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজের আইনজীবী ফিরদৌস শামিম জানান, ৬০ নম্বরে নথিভুক্ত ছিল পশ্চিমবঙ্গ সরকারি কর্মচারীদের বকেয়া ডিএ মামলা। সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ নম্বর আদালতকক্ষে বিচারপতি হৃষিকেশ রায় এবং বিচারপতি এসভিএন ভাট্টির বেঞ্চে এই মামলা ওঠে। মোট ৬০টি মামলাই নথিভুক্ত করা হয়েছিল আর সব শেষে ছিল সরকারি কর্মচারীদের ডিএ মামলা।


রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের আইনজীবীরা DA মামলার  দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য সওয়াল করেন। ওদিকে রাজ্যের আইনজীবী আরও কিছুটা সময় চান। সওয়াল-জবাবের শেষে বিচারপতি রায় এবং বিচারপতি ভাট্টির ডিভিশন বেঞ্চ জানায় যে পরে একদিন এই মামলার শুনানি হবে।


এরপর মামলার পরবর্তী শুনানি কবে রয়েছে সেই বিষয়ে কিছু জানায় নি সুপ্রিম কোর্ট। তবে সর্বোচ্চ আদালত তরফে জানানো হয়েছে মামলাটির বিস্তারে শুনানির প্রয়োজন রয়েছে। ওদিকে মামলাটির দ্রুত শুনানির আর্জি জানানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন কনফেডারেশনের আইনজীবী। মামলাটির শুনানির দিন কবে ঠিক হবে তা জানা যাবে ২ সপ্তাহ পর। জানা গিয়েছে এদিন শুনানির জন্য আরও কিছুটা সময় চেয়ে নেয় রাজ্য। এরপরই শুনানি স্থগিত রাখে সুপ্রিম কোর্ট।

Card image cap

পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে ডিএ দিতে হবে', সুপ্রিম শুনানিতে বললেন আইনজীবী!

ডিএ মামলা নিয়ে বড় আপডেট। শুনানিতে মামলাকারী সংগঠনের তরফে আইনজীবী হৃষিকেশ রায়ের ডিভিশন বেঞ্চকে জানায়, এই মামলার মধ্যে কিছু নেই। রাজ্য সরকারকে তাদের কর্মচারীদের ডিএ দিতেই হবে। ২ টো কোর্ট আগেই তা বলে দিয়েছে। কিন্তু এখনও মামলাটির হেয়ারিং হচ্ছে না। রাজ্য সরকারের দায়ের করা এসএলপি-র কোনও মেরিট নেই।


নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী, সোমবার সুপ্রিম কোর্টে ওঠে মামলাটি। এই মামলার দিকে তাকিয়ে ছিলেন রাজ্যের লাখ লাখ সরকারি কর্মী। এই নিয়ে ১২ বার ওঠে মামলাটি। এর আগে এতবার মামলা উঠলেও শুনানি হয়নি। সময়ের অভাবে কথা বলার সুযোগও পাননি সরকারি কর্মচারী সংগঠনগুলোর আইনজীবীরা। তবে এদিন প্রায় ১০ মিনিট শুনানি হয়।


এসএলপি-র কোনও মেরিট নেই এই মর্মে জোর সওয়াল করেন সরকারি কর্মচারী পরিষদের তরফে উপস্থিত আইনজীবী পাটোয়ালিয়া। রাজ্য সরকারের তরফে আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি আদালতে জানান, এই মামলার শুনানির প্রয়োজন রয়েছে। এর আগেও তিনি দাবি করেছেন, শুনানি সম্ভব এমন দিনে যেন আদালত মামলাটির দিন ধার্য করে। তখন আইনজীবী পাটোয়ালিয়া ডিভিশন বেঞ্চকে জানান, ‘রাজ্য সরকার যে এসএলপি দায়ের করেছে তা ভিত্তিহীন। এই মামলার কোনও মেরিট নেই। পশ্চিমবঙ্গের লাখ লাখ সরকারি কর্মী এই মামলার দিকে তাকিয়ে রয়েছেন। তবে বারবার মামলা উঠছে আর শুনানি হচ্ছে না।’


পাটোয়ালিয়া আরও বলেন, ‘AICPI অনুযায়ী পঞ্চম বেতন কমিশনের আওতায় ডিএ দিতে হবে। এর আগে দুটো কোর্ট এই নির্দেশ দিয়েছে। অথচ পশ্চিমবঙ্গ সরকার তা মানছে না। এতে বঞ্চিত হচ্ছেন সরকারি কর্মীরা।’


এসব শুনে আদালতের তরফে জানানো হয়, আজ অল্প সময়ের মধ্যে এই মামলার শুনানি সম্ভব হয়। পরবর্তী সময় একটি দিন ধার্য করা হবে। সেই মর্মে আদালত অফিসারকেও নির্দেশ দেওয়া হয়। মামলাকারী সংগঠন সরকারি কর্মচারী পরিষদের অনুমান, দুর্গাপুজোর পরে শুনানি হবে।


Card image cap

ভোট মিটতেই রাজ্য পুলিশের ডিজি পদে রদবদল

লোকসভা নির্বাচন মিটতেই রাজ্য পুলিশে ফের রদবদল। ডিজি পদে ফিরলেন রাজীব কুমার। সোমবার এই মর্মে বিজ্ঞপ্তি জারি করলেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। বর্তমান ডিজি সঞ্জয় মুখোপাধ্যায় হলেন দমকলের ডিজি। 

লোকসভা ভোট ঘোষণা হতেই রাজ্য পুলিশের ডিজি পদ থেকে রাজীব কুমারকে সরিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। ভোটের আদর্শ আচরণবিধি কার্যকর হওয়ার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই প্রশাসনিক রদবদল ঘটায় জাতীয় তারা। নির্দেশ ছিল তাঁকে ভোটের কাজে ব্যবহার করা যাবে না। রাজ্য সরকারের তথ্য প্রযুক্তি দপ্তরের অতিরিক্ত সচিব পদে নিযুক্ত ছিলেন। অন্যদিকে রাজীব কুমারের পদে নিয়োগ করা হয়েছিল সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়কে। তাঁকে দমকলের ডিজি পদে বসানো হল।
ভোটের মাত্র মাস তিনেক আগে রাজ্য পুলিশের ডিজি পদে রাজীবকে নিয়োগ করে রাজ্য সরকার। তবে এই নিয়োগ নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। উল্লেখ্য, এই আইপিএসের গ্রেপ্তারি আটকাতে রাস্তায় বসে রীতিমতো ধরনা দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। যদিও তার পরেও সিবিআইয়ের হাতে গ্রেপ্তার হন রাজীব কুমার। এই ঘটনার বেশ কয়েক বছর ডিসেম্বর মাসে রাজ্য় পুলিশের সর্বোচ্চ পদে আসীন হন তিনি। 

Card image cap

রাজ্যসভায় 'জয় হিন্দ', 'বন্দেমাতরম'-এ 'না'!

রাজ্যসভায় 'জয় হিন্দ', 'বন্দেমাতরম'-এ 'না'! নয়া বিজ্ঞপ্তি ঘিরে তুঙ্গে বিতর্ক। সংসদের মর্যাদা রক্ষায় ময়া আচরণবিধি জারি হয়েছে। যেখানে সাফ জানানো হয়েছে রাজ্যসভায় জয় হিন্দ', 'বন্দেমাতরম'-এর মতো একাধিক স্লোগান দেওয়া যাবে না। চেয়ারম্যানের মন্তব্যের সমালোচনা করা যাবে না। এর পরই বিরোধীদের প্রশ্ন, সংবিধানের আঁতুরঘর সংসদে কেন 'জয় হিন্দ', 'বন্দেমাতরম'-এর মতো স্লোগান দেওয়া যাবে না? এই স্লোগানেরা তালিকায় কেন 'জয় শ্রী রাম'-এর উল্লেখ নেই?সমালোচনা গণতন্ত্রের অন্যতম বৈশিষ্ট্য। সংসদের উচ্চকক্ষে সেই সমালোচনার অধিকার কেন নিষিদ্ধ করা হচ্ছে? প্রশ্ন তুলছে বিরোধীরা।রাজ্যসভার সাংসদদের জন্য নয়া আচরণবিধি কার্যকর করা হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, রাজ্যসভায় 'জয় হিন্দ', 'বন্দেমাতরম', 'ধন্যবাদ'-সহ কোনও ধরনের স্লোগান দেওয়া চলবে না। রাজ্যসভার চেয়ারম্যান যা সিদ্ধান্ত নেবেন প্রত্য়ক্ষ বা পরোক্ষভাবে, সংসদের অন্দরে বা বাইরে সমালোচনা করা যাবে না। কোনওরকম ছবি, প্রতীক রাজ্যসভায় প্রদর্শন করা চলবে না। এধরনের একাধিক সিদ্ধান্ত নিয়ে বিতর্ক দানা বেঁধেছে।বিরোধীদের কটাক্ষ, কেন্দ্রের শাসকদল বিজেপি বিরোধী কণ্ঠকে হত্যা করতে চাইছে। তাই সংসদের উচ্চকক্ষে সমালোচনা নিষিদ্ধ করছে। রাজ্যসভায় দেশাত্মবোধক স্লোগান 'জয় হিন্দ', 'বন্দেমাতরম'-এ না করছে শাসকদল। অথচ সংসদে বিজেপি সাংসদেরা 'জয় শ্রীরাম' ধ্বনি দেন। তা নিষিদ্ধ করা হল না কেন, প্রশ্ন তুলেছে বিরোধী দলগুলি। তাদের আরও দাবি, রাজ্যসভার সাংসদ সোনিয়া গান্ধী। তাঁর ভাষণে লাগাম পরাতেই নয়া এই বিজ্ঞপ্তি জারি করা হল। 

Card image cap

গুদামে ১৮০, বাজারে আদা ৩০০ পার

ভিযানের পরও কেন দাম কমছে না, সেই রহস্য ফাঁস হল শুক্রবার। অভিযানে গিয়ে প্রশাসনের আধিকারিকরা দেখলেন ১৮০ টাকা কেজি আদা গুদাম থেকে বের হওয়ার পর বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকায়। শুক্রবার মালদহের বাজারে অভিযান চালাতে গিয়ে 'টাস্ক ফোর্সে'র আধিকারিকদের চক্ষু চড়কগাছ হওয়ার মতো অবস্থা।


এদিন সকালে মালদহের নিয়ন্ত্রিত বাজার সমিতির এক ব্যবসায়ী আধিকারিকদের কাছে বিষয়টি স্বীকার করে নেন। ওই বিক্রেতা আদার দাম এভাবে বৃদ্ধির ব্যাপারে আধিকারিকদের প্রশ্নের কোনও সদুত্তর দিতে পারেননি। আদার মতোই অন্যান্য আনাজপাতির দামও দেড়-দ্বিগুণ করে দেওয়া হচ্ছে। পাইকারি ও খুচরো বাজারের মধ্যে এই বিস্তর ফারাক প্রশাসনকে ভাবিয়ে তুলেছে। জেলাজুড়ে একশ্রেণির ব্যবসায়ী কালোবাজারি করছে বলে ক্রেতারা অভিযোগ তুলেছেন। আদার পাশাপাশি আলু ও পেঁয়াজ আকাশছোঁয়া দরে বিক্রি হচ্ছে। 


মালদহের জেলাশাসক নীতিন সিঙ্ঘানিয়া বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী ও আনাজপাতির ইচ্ছামতো দাম বৃদ্ধি করা যায় না। খুচরো বিক্রেতাদের সতর্ক করে দেওয়া হচ্ছে। একই কাজ করলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। টাস্ক ফোর্স গড়ে জেলাজুড়ে অভিযান চালানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অতিরিক্ত জেলাশাসক পদমর্যাদার এক আধিকারিক নজরদারি চালাচ্ছেন। দ্রুত দাম নাগালের মধ্যে চলে আসবে বলে আমরা আশাবাদী। 



নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সব্জি বিক্রেতা বলেন, আমরা খুচরো বাজারে সামগ্রী বিক্রি করি। মহাজনরা যে দামে আমাদের দেন, তার থেকে কেজিতে দু-দশ টাকা বেশি দাম নেওয়া হয়। গত কয়েকদিন জেলায় বৃষ্টি হচ্ছে। তার ফলে জোগানে কিছুটা ভাটা পড়েছে। সেই কারণে দাম বাড়ছে। তবে আদার দাম এক লাফে কেজিতে ১২০ টাকা বৃদ্ধির বিষয়টি শুনে আমরাও অবাক হয়েছি। 


মালদহের ছোট হাট ও বাজারগুলিতে গত কয়েকদিন ধরেই শাকসব্জির দাম লাগাতার বৃদ্ধি পাচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে জেলা প্রশাসন টাস্ক ফোর্স গড়ে অভিযান শুরু করেছে। এদিন, আধিকারিকরা প্রথমে ইংলিশবাজার শহরের নিয়ন্ত্রিত বাজার সমিতিতে যান। সেখানেই জেলার সবচেয়ে বড় পাইকারি বাজার ও বেশ কয়েকটি বড় গুদাম রয়েছে। সেখানে আলু সহ অন্যান্য আনাজ মজুত করে জেলার খুচরো বাজারগুলিতে পাঠানো হয়। মজুতদাররাই বর্তমানে দাম নিয়ন্ত্রণ করছে বলে ক্রেতাদের অভিযোগ। এদিন ইংলিশবাজার ব্লকের অমৃতি বাজারেও অভিযান চলে। 


এদিকে, মালদহে বৃহস্পতিবারের মতো শুক্রবারেও বাজারে আনাজের দাম চড়া ছিল। প্রশাসনের ধারাবাহিক অভিযানেও দাম নিয়ন্ত্রণে আসছে না। এদিন প্রতি কেজি আলু ৩০-৩৫ টাকা, পেঁয়াজ ৪৫ টাকা, আদা ৩০০, রসুন ২৫০-৩০০, কাঁচা লঙ্কা ৮০, পটল ৫০ টাকা, বেগুন ৬০-৭০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। শশার দাম গত কয়েকদিনে ৪০ থেকে বেড়ে ৮০ টাকা হয়ে গিয়েছে। এভাবে মূল্যবৃদ্ধি হলে শাকসব্জি ক্রমশ সাধারণের নাগালের বাইরে চলে যাবে বলে বাসিন্দাদের আশঙ্কা। 


ইংলিশবাজার শহরের তমাল সেন, ছায়া চৌধুরী বলেন, গত ষাট-সত্তরের দশকে কালোবাজারি হতো বলে বয়স্কদের মুখে শুনেছি। এখন পরিস্থিতি অনেকটা সেদিকেই গড়াচ্ছে। এভাবে চললে আর বাজার যাওয়া হবে না।

Card image cap

নবনির্বাচিত ৪ বিধায়কের শপথে জট চাইছেন না অধ্যক্ষ

চার বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে চারটিতেই জয় পেয়েছে তৃণমূল। তবে এই জয়ের সঙ্গে সঙ্গেই আরও একবার উসকে গিয়েছে চার নব‌্য বিধায়কের শপথ নিয়ে জটিলতার প্রশ্ন। এবার যাতে কোনওভাবেই এ নিয়ে আর গড়িমসি না হয় তার জন‌্য সবরকম প্রস্তুতি রাখছে বিধানসভা। জানা যাচ্ছে, চার নতুন বিধায়কের জয়ের বিজ্ঞপ্তি নির্বাচন কমিশন থেকে প্রকাশের পর আগামী সপ্তাহেই তাঁদের শপথ পড়ানোর প্রক্রিয়া শুরুর আবেদন জানিয়ে রাজ‌্যপাল সি ভি আনন্দ বোসকে চিঠি দেবে পরিষদীয় দপ্তর।

চিঠিতে রাজ‌্যপালকে অনুরোধ করা হবে বিধানসভায় এসে তিনি নিজে শপথ পড়ান, অথবা অধ‌্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ‌্যায়কে সেই দায়িত্ব দিন। রাজ‌্যপাল সে ক্ষেত্রে কোনও ইতিবাচক সাড়া না দিলে বিধানসভায় অধিবেশন ডেকে সেই শপথ পড়িয়ে দেবেন অধ‌্যক্ষই। অধ‌্যক্ষই যে এক্ষেত্রে শেষ কথা তা উল্লেখ করে পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ‌্যায় বলেছেন, "গোটা দেশে এটাই রীতি। রাজ‌্যপাল অধ‌্যক্ষকেই নতুন বিধায়কদের শপথ পড়ানোর দায়িত্ব দেন।" পরে অধ‌্যক্ষ বলেন, "পরিষদীয় দপ্তরের চিঠির পর রাজ‌্যপাল কী জানান, তার উপরই নির্ভর করছে এই চারজনের শপথ। তবে বিধানসভার অধিবেশন শুরু হলে নির্বাচিত বিধায়কদের শপথগ্রহণ করানোই যায়।
আগামী ২২ জুলাই বিধানসভার বাদল অধিবেশন বসতে পারে। তার জন‌্য শনিবারই তৃণমূল পরিষদীয় দলের নেত্রী মুখ‌্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ‌্যায়ের কাছে অধিবেশন বসানোর অনুমতি চেয়ে চিঠি দিয়েছেন পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ‌্যায়। এর মধ্যে রাজ‌ভবনের অবস্থান স্পষ্ট হয়ে গেলে এই বাদল অধিবেশনেই চার বিধায়কের শপথ পর্ব সেরে ফেলতে পারেন অধ‌্যক্ষ। সেক্ষেত্রে কড়া অবস্থানই বজায় রাখবে বিধানসভা। দস্তুর হল, সংবিধানের ১৮৮ ধারা অনুযায়ী হয় রাজ‌্যপাল বিধানসভায় এসে শপথ পড়াবেন, অথবা পরিষদীয় রীতি মেনে অধ‌্যক্ষকে সেই দায়িত্ব দেবেন। নজর থাকবে রাজ্যপাালের পদক্ষেপে।

Card image cap

ফলপ্রকাশের দিনেই ইসলামপুরে শ্যুট আউট

উপনির্বাচনের ফল প্রকাশের দিনই রক্ত ঝরল উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুরে। তৃণমূল নেতাকে লক্ষ্য করে চলল এলোপাথাড়ি গুলি। এই দুষ্কৃতী হামলায় মৃত্যু হয়েছে এক তৃণমূল নেতার। পাশাপাশি গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও একজন। শনিবার রাতে এই হামলা চলে ইসলামপুরের রামগঞ্জ পঞ্চায়েতের (২) এর শ্রীকৃষ্ণপুর এলাকায়।রাতে হোটেলে বসে স্থানীয় পঞ্চায়েতের কয়েকজন তৃণমূল নেতা একসঙ্গে আড্ডা দিচ্ছিলেন। সেই সময় হঠাৎ তাঁদের লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে শুরু করে একদল দুষ্কৃতী। এই অতর্কিত হামলায় গুলিবিদ্ধ হন দুই তৃণমূল নেতা। তাঁদের উদ্ধার করে তড়িঘড়ি নিয়ে যাওয়া হয় ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতালে। সেখানে আহতদের মধ্যে একজনকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। নিহতের নাম বাপি রায় (৩৬)। তিনি রামগঞ্জ (২) পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যা তৃণমূল নেত্রী লাপ্পি রায়ের স্বামী। গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হয়েছে মহম্মদ সাজ্জাত। রামগঞ্জ পঞ্চায়েত প্রধান রাজানুর খাতুনের স্বামী তিনি।এই ঘটনায় ইসলামপুর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সান্দাপ শেরপা বলেন," গুলিতে একজনের মৃত্যু হয়েছে। বাকি একজন জখম। অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে।" স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রাত সাড়ে আটটা নাগাদ শ্রীকৃষ্ণপুরের মাদারিপুর এলাকায় গাড়ি থেকে দশজন দুষ্কৃতী নেমে গুপ্তা হোটেলের বসে থাকা বাপি রায়কে খুব কাছ থেকে গলায় বুকে গুলি করে। অন্যজনে পালাতে গিয়ে পিঠে গুলি লাগে। এ ব্যাপারে তৃণমূলের জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়াল বলেন,"আততায়ীদের গ্রেফতার করতে ঘটনাস্থলের সিসিক্যামেরায় ফুটেজ চিহ্নিত করতে পুলিশকে বলেছিল। খুঁজে বের করতেই হবে দুষ্কৃতীদের।"

Card image cap

বিনা অপারেশনে হাঁটু চিকিৎসা

হাঁটু প্রতিস্থাপন ছাড়া বিনা অপারেশনে দক্ষতার সঙ্গে আর্থ্রাইটিস বা বাত, গাঁটের ব্যথা এবং সন্ধিস্থলে ব্যথা দক্ষতার সঙ্গে সারিয়ে তুলছেন অস্থি ও স্নায়ু চিকিৎসক ডাক্তার সন্তু দে। বহু রোগী কোমর এবং হাঁটু ব্যাথার সমস্যা থেকে মুক্তি পেয়েছেন। বহু রোগী ডাক্তার সন্তু দে'র থেকে পুনরায় অস্থি সংযোগ ও থেরাপি চিকিৎসায় সুস্থ জীবন অতিবাহিত করছেন।


বিনা অপারেশনে হাঁটু চিকিৎসা আশ্চর্যজনক হলেও বাস্তবে সত্যি করে দেখাচ্ছেন এই ডাক্তার। অনেক রোগীর কাছেই ডাক্তার এখন ভগবান। ব্যথার থেকে মুক্তি পেয়ে এখন তাঁরা সম্পূর্ণ সুস্থ ও স্বাভাবিক জীবন অতিবাহিত করছেন।

Card image cap

রাজভবনে দীর্ঘদিন ধরে আটকে বিল, সর্বোচ্চ আদালতে শুনানি শুক্রবার

গণপ্রহার-সহ আটটি বিল রাজভবনে বন্দি দীর্ঘদিন ধরে। রাজ্যের তরফে বারবার অনুরোধ সত্বেও তাতে অনুমোদন দিতে গড়িমসি করছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। এবার সেই মামলা গড়াল সুপ্রিম কোর্টে। রাজ্যের আবেদন মঞ্জুর করলেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়। রাজ্যের আইনজীবী আশা শর্মা এপ্রিল মাসে তিন বিচারপতির বৃহত্তর বেঞ্চে আবেদন করেন। তা গ্রহণ করে শুক্রবার প্রধান বিচারপতি মামলাটি শুনবেন বলে জানান।

২০২২ ও ২০২৩ সালে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য গণপিটুনি রুখতে একটি কড়া আইন পাশ করা হয়। এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয় সংশোধনী আইন, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, রাজ্য স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয় সংশোধনী আইন ও রাজ্য নগরোন্নয়ন সংশোধনী আইন বিধানসভায় পাশ হয়েছে। কিন্তু সবই চূড়ান্ত ছাড়পত্রের অপেক্ষায় রাজভবনে ফাইলবন্দি হয়ে পড়ে রয়েছে। এর বেশিরভাগই অবশ্য প্রাক্তন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের সময়ের। তখন থেকেই বিনা কারণে বিলগুলি রাজভবনে ফাইলবন্দি।কিন্তু এক্ষেত্রে কোনও কারণ না দেখিয়েই বিলগুলি আটকে রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ রাজ্যের। তাই শীর্ষ আদালতের হস্তক্ষেপের আবেদন করা হয়েছে। এবার শুক্রবার সুপ্রিম কোর্ট রাজ্যের আবেদন শুনতে রাজি হওয়ায় এনিয়ে জট কাটবে বলে আশাবাদী ওয়াকিবহাল মহল।

Card image cap

রাত থেকেই কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় বৃষ্টি,


পূর্বাভাস ছিলই, আর সেই মতোই দক্ষিণবঙ্গে বাড়তে শুরু করেছে বৃষ্টি। রাত থেকেই বৃষ্টি শুরু হয়েছে শহর কলকাতা ও বিভিন্ন জেলায়। সকালেও অব্যাহত বৃষ্টি। কালো মেঘে ঢেকে রয়েছে আকাশ। বৃষ্টির পরিমাণ আরও বাড়তে পারে বলেই পূর্বাভাস আলিপুর আবহাওয়া দফতরের। যদিও মৌসম ভবন অবশ্য জানাচ্ছে আগামী ২৫ জুলাই পর্যন্ত স্বাভাবিকের চেয়ে কমই হবে বৃষ্টি। তারপরের দুই সপ্তাহে স্বাভাবিক বা তার চেয়েও বেশি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।‌


আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানাচ্ছে, শনিবার পর্যন্ত কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের সব জেলাতেই বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টির পরিমাণ বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে। পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ ও নদিয়া জেলায় অপেক্ষাকৃত বেশি বৃষ্টি হতে পারে। শুক্রবার বেশি বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকছে পুরুলিয়া, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম এবং মুর্শিদাবাদে। হাওয়া অফিস বলছে শুক্র এবং শনিবার ফেয়ারলি ওয়াইড স্প্রেইড রেইন হবে দক্ষিণবঙ্গে। এরপর রবি ও সোমবার বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকছে।


এদিকে শহর কলকাতাতেও চলছে বৃষ্টিপাত। হাওয়া অফিস জানাচ্ছে, এদিন শহরের আকাশ মূলত মেঘলাই থাকবে। সঙ্গে সারাদিনই জারি থাকতে পারে বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টিপাত। শুক্রবার কলকাতায় দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকতে পারে ৩৫.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের চেয়ে ২.৫ ডিগ্রি বেশি। পাশাপাশি দিনের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৩.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের চেয়ে ৩.২ ডিগ্রি কম।


দক্ষিণবঙ্গে যেমন বৃষ্টি বাড়ছে তেমনই উত্তরবঙ্গেও বর্ষণ জারি থাকবে বলে পূর্বাভাস রয়েছে হাওয়া অফিসের। এক্ষেত্রে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি বা বলা ভালো প্রবল বর্ষণের সম্ভাবনা রয়েছে উত্তরবঙ্গের উপরের দিকের পাঁচ জেলায়। আর নিচের দিকের তিন জেলাতেও হতে পারে বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টি। তবে এদিন আগের চেয়ে বৃষ্টি কিছুটা কমতে পারে। যদিও রবিবার পর্যন্ত উত্তরের উপরের দিকের জেলাগুলিতে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস থাকছে বলেই জানা যাচ্ছে। শুক্রবারে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা থাকছে দার্জিলিং, আলিপুরদুয়ার ও জলপাইগুড়ি জেলায়। পাশাপাশি কোচবিহার ও কালিম্পং জেলাতেও রয়েছে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা। এরপর শনিবার ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকছে দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার ও জলপাইগুড়ি জেলায়।


এদিকে এই বৃষ্টির ফলে উত্তরবঙ্গের যোগাযোগ ব্যবস্থায় প্রভাব পড়ার আশঙ্কা থাকছে। পাশাপাশি বাড়তে পারে নদীর জলস্তর। একইসঙ্গে নীচু এলাকাগুলিও জলমগ্ন হয়ে যেতে পারে। সেক্ষেত্রে দুর্যোগপূর্ণ পরিস্থিতিতে মানুষকে নিরাপদ জায়গায় থাকারই পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

Card image cap

আড়িয়াদহর জয়ন্তর 'কীর্তি' জানতই না পুরসভা!

পুকুর বুজিয়ে প্রাসাদোপম বাড়ি! কামারহাটি পুরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডের আড়িয়াদহের মৌসুমী মোড় সংলগ্ন এলাকায় জয়ন্ত সিংয়ের প্রাসাদ ঘিরে দানা বেঁধেছে বিতর্ক। এই বাড়িটিকে বেআইনি বলেই জানান পুরসভার চেয়ারম্যান গোপাল সাহা।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আড়িয়াদহের মৌসুমী মোড় সংলগ্ন প্রতাপ রুদ্র লেনে জয়ন্তর দুটি বাড়ি। একটি পৈতৃক, সেটিতে খাটাল রয়েছে। সম্প্রতি পৈতৃক বাড়ির কাছেই একটি জলাশয়ের পাশে আরেকটি প্রাসাদ তৈরি করেছে জয়ন্ত। অভিযোগ, সেখানে এই প্রাসাদ তৈরি হয়েছে সেই জমিটি একসময় পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে ছিল। বছর দুয়েক আগেই নাকি এই জমিটি নিজের কবজায় নেয় জয়ন্ত। এর পরই রাতারাতি সেখানে নির্মাণ কাজ শুরু হয়। বছরখানেকের মধ্যেই এই জমিতে তৈরি হয় চোখধাঁধানো তিনতলা প্রাসাদ।যে জলাশয়ের পাড়ে এই প্রাসাদ গড়ে উঠেছে, সেই জলাশয়ের অনেকটা অংশ বুজিয়েই বাড়ি তৈরির অভিযোগ উঠেছে। বাড়ি তৈরির বৈধতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে। এ প্রসঙ্গে কামারহাটি পুরসভার চেয়ারম্যান গোপাল সাহা। তিনি জানান, জমিটি কার তা এখনও জানা যায়নি। তবে জমির দাগ নম্বর পাওয়া গিয়েছে। শীঘ্রই জমির মালিকের খোঁজ পাওয়া যাবে। যে বাড়িটি তৈরি হয়েছে তার অনুমোদন পুরসভা দেয়নি, প্ল্যান পাশ করা হয়নি। তার বিরুদ্ধে আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি। আর এর পরই প্রশ্ন উঠেছে, পুরসভার বৈধ ছাড়পত্র না থাকা সত্ত্বেও কোন জাদুবলে জয়ন্ত সিং এই বাড়ি তৈরি করতে পারল? কীভাবে গোটা বিষয় স্থানীয় পুরসভার নজরে এড়িয়ে গেল? নাকি সব কিছু জানার পরেও চোখ বুজে ছিল প্রশাসন?
যদিও এই প্রসঙ্গে চেয়ারম্যানের জবাব, কোথায় কত বড় বাড়ি হচ্ছে সেটা সবসময় পুরসভায় বসে জানা সম্ভব হয় না। তবে কেউ যদি পুরসভায় অভিযোগ করে আমরা ব্যবস্থা নেই। এর আগেও এমন অনেক অভিযোগের ভিত্তিতে পুরসভা ব্যবস্থা নিয়েছে। এদিনও সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশের পরই খোঁজ নেওয়া হয়েছে। জমির মালিকের নাম জানার পরেই আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে ওই বাড়িতে জলের লাইন কীভাবে এসেছে, সেটা আমার জানা নেই। যদি জলাশয় ভরাট হয়ে থাকে তার বিরুদ্ধেও পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

Card image cap

এবার প্রত্যেক মাসে হাতে পাবেন ইলেকট্রিক বিল, আপডেট দিল WBSEDCL

আধুনিক সভ্যতা বহু অংশেই নির্ভর বিদ্যুতের উপর। বিদ্যুৎ ছাড়া আমাদের একটা দিনও কল্পনা করা সম্ভব নয়। আধুনিক বিজ্ঞানের সব ফসলের প্রধান উৎস এই বিদ্যুৎ। বিদ্যুৎ আবিষ্কারের পর ক্রমশ অগ্রগতি হয়েছে মানব সভ্যতার। বর্তমানে প্রত্যেকটি মানুষের অধিকারের মধ্যে পড়ে বিদ্যুৎ।


আমাদের দেশে বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা বিদ্যুৎ পরিষেবা দিয়ে থাকে। ইউনিট প্রতি মূল্য হিসাবে বিদ্যুতের বিল পরিশোধ করতে হয় আমাদের। কলকাতা ও সংলগ্ন এলাকায় যেখানে সিইএসসি বিদ্যুৎ সরবরাহ করে সেখানে প্রতি মাসে বিদ্যুতের বিল আসে। তবে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বিদ্যুৎ বন্টন পর্ষদ প্রতি ত্রৈমাসিকে বিদ্যুতের বিল পাঠিয়ে থাকে।


একসাথে তাই বিদ্যুতের বিল পরিশোধ করতে অনেক সময় সমস্যায় পড়তে হয় গ্রাহকদের। WBSEDCL গ্রাহকরা প্রতি তিন মাস অন্তর পেতেন বিদ্যুতের বিল। তিন মাসে খরচ করা বিদ্যুতের উপর ভিত্তি করে সেই বিল পাঠানো হত। তবে দীর্ঘদিন ধরে গ্রাহকদের অভিযোগ ছিল এই পদ্ধতির ফলে তাদের প্রদান করতে হয় অতিরিক্ত চার্জ।


যদি প্রতি মাসে বিদ্যুতের বিল পাঠানো হয় তাহলে অতিরিক্ত হারে ইউনিট চার্জ দিতে হয় না গ্রাহকদের। এবার WBSEDCL গ্রাহকদের কথা চিন্তা করে সেই পথেই হাঁটতে চলেছে। সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে এবার থেকে WBSEDCL প্রতিমাসে গ্রাহকদের বিদ্যুতের বিল পাঠাবে। মাসের প্রথম দিন থেকে শেষ দিন পর্যন্ত যে পরিমাণ বিদ্যুৎ গ্রাহক খরচ করবেন শুধুমাত্র সেই টাকাই মাসের শেষে বিল করে পাঠানো হবে।


সূত্রের খবর, নতুন এই পদ্ধতি শুরু হচ্ছে এই মাস থেকেই। অন্যদিকে, তীব্র গরমের মধ্যেই সিইএসসি বিদ্যুতের ট্যারিফ বৃদ্ধির ভাবনাচিন্তা করছে। যদিও সোমবার নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন এই ব্যাপারে সরকারের কাছে খবর ছিল না। তিনি বিদ্যুৎ মন্ত্রী অরূপ রায়কে বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে বলেছেন সিইএসসির সাথে।

Card image cap

এবার মাধ্যমিক পাশেই সরকারি চাকরি!

ভালো বেতনের সরকারি চাকরির আশা কার না থাকে? অসংখ্য যুবক-যুবতী প্রতিদিন পরিশ্রম করে যাচ্ছেন একটা চাকরির জন্য। এই আবহে মহিলা চাকরি প্রার্থীদের জন্য বড় সুযোগ আনল পশ্চিমবঙ্গ সরকার। ICDS অঙ্গনওয়াড়ি  কর্মী নিয়োগের  বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে শিশু বিকাশ প্রকল্প আধিকারিকের তরফে।


চলুন জেনে নেব এই পদে নিয়োগের  বিস্তারিত।


শিক্ষাগত যোগ্যতা: নূন্যতম মাধ্যমিক উত্তীর্ণ হলে এই পদে আবেদন করা যাবে। ২০২২ সালের ১লা আগস্ট এর আগে যে প্রার্থীরা মাধ্যমিক পাস করেছিলেন তারা আবেদনের যোগ্য। আবার যে প্রার্থীরা ২০২২ সালের ১লা আগস্টের পর উচ্চ মাধ্যমিক পাস করেছেন তারা আবেদন করতে পারবেন এখানে।


আবেদনের জন্য নথি: এই পদে আবেদনের জন্য যে নথিগুলি লাগবে সেগুলি হল- জন্মের প্রমাণপত্র, শিক্ষাগত যোগ্যতার প্রমাণপত্র, স্থায়ী বাসিন্দার প্রমাণপত্র, মাধ্যমিকের অ্যাডমিট কার্ড, ৫ টাকা মূল্যের ডাক টিকিট এবং তিন কপি পাসপোর্ট ফটো।


ভাতা: অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের প্রতি মাসে ভাতা হিসেবে ৪৫০০ টাকা দেওয়া হয়ে থাকে। এছাড়াও সরকার অনুমোদিত সাম্মানিক প্রদান করা হয়ে থাকে।



নিয়োগ পদ্ধতি: যে সকল প্রার্থীরা আবেদন করবেন তাদের লিখিত পরীক্ষা দিতে হবে। লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলে ডাকা হবে ইন্টারভিউতে। সেই ইন্টারভিউ রাউন্ডে উত্তীর্ণ হলে সরাসরি নিয়োগ  করা হবে।


আবেদন পদ্ধতি: ইচ্ছুক প্রার্থীদের আবেদন করতে হবে অফলাইন মাধ্যমে। প্রথমে সঠিকভাবে পূরণ করে নিতে হবে আবেদন পত্র। তারপর সেই আবেদন পত্রের সাথে প্রয়োজনীয় নথি যুক্ত করে খামে ভরে সরাসরি অফিসে জমা দিতে হবে।


আবেদন শুরু: গত ৯ই জুলাই থেকে এই পদে আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।


আবেদন শেষ: কিছু প্রার্থীরা আগামী ২রা আগস্ট ২০২৪ পর্যন্ত আবেদন জানাতে পারবেন।

Card image cap

সোহম মামলায় নয়া মোড়, এবার চরম নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের

গত মাসে নিউটাউনের একটি রেস্তোরাঁয় শ্যুটিং করতে গিয়ে ঝামেলায় জড়িয়ে পড়েন তৃণমূলের তারকা বিধায়ক সোহম চক্রবর্তী । রেস্তোরাঁর মালিককে মারধর করার অভিযোগে কলকাতা হাইকোর্টে  দায়ের হয় মামলা। সেই ঘটনাতেই এবার নয়া মোড়। নিউটাউনের সেই রেস্তোরাঁয় মারধরের ঘটনার কোনও ফুটেজই নেই থানার কাছে!


এমনটাই আদালতে জানাল টেকনো সিটি থানা।


হাইকোর্টে  সোহম মামলায় নয়া মোড়


থানা তরফে জানানো হয়েছে সিসিটিভি ফুটেজ সংরক্ষিত হয়নি। রাজ্য আদালতে জানিয়েছে সিসিটিভি কাজ করলেও, ঘটনার কিছুদিন আগে থেকেই কোনও রেকর্ড হয়নি। বুধবার বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে মামলা উঠলে বিধাননগরের গোয়েন্দা বিভাগের ডিসি-কে নতুন করে তদন্ত রিপোর্ট পেশ করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।


হাইকোর্টের  আরও নির্দেশ, আগামী ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে তদন্তের অগ্রগতির রিপোর্ট পেশ করতে হবে। টেকনো সিটি থানার ওসির কাছ থেকে গোটা ঘটনার ব্যাখা তলব করেছেন পুলিশ কমিশনার। ওসি-র কাছে ফুটেজ নিয়ে কোনও ব্যাখা থাকলে, তা হাইকোর্টে জানানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।


গত জুন মাসে ঘটে যাওয়া এই ঘটনায় রেস্তোরাঁর মালিক আনিসুর হক, আনিসুরের স্ত্রী সাহিল পারভিন এবং রেস্তোরাঁর ম্যানেজারকে গ্রেফতার করা যাবে না বলে জানিয়েছে হাইকোর্ট। ইতিমধ্যেই তাদের রক্ষাকবচ দেওয়া হয়েছে। আগামী ৩১ জুলাই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে হাইকোর্টে ।


প্রসঙ্গত, গত জুন মাসে নিউ টাউনের এক রেস্তোরাঁয় সিনেমার শ্যুটিং করতে যান সোহম। শ্যুটিং ইউনিটের গাড়ি রাখা নিয়ে TMC বিধায়কের নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে রেস্তোরাঁর মালিকের বচসা হয় বলে অভিযোগ। রেস্তোরাঁর মালিকের দাবি, একটি পার্কিং খালি করতে বলা হলে অভিনেতার নিরাপত্তারক্ষীরা তাঁর ওপর চড়াও হন। সোহমও তাকে থাপ্পড়, লাথি, ঘুষি মারেন বলে অভিযোগ করেন তিনি। প্রকাশ্যে আসে সিসিটিভি ফুটেজও। এমনকী ওই ব্যবসায়ীর ব্যবসা বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। ঘটনার একদিন পর নিজের 'ভুল' শিকার করে সোহম দাবি করেন, রাগের মাথায় হয়ে গিয়েছে।

Card image cap

জমি দখল ইস্যুতে বড় পদক্ষেপ নবান্নের, বদলি ১৮০ BLRO

বেআইনিভাবে সরকারি জমি দখল হওয়ার অভিযোগ পেয়ে নবান্নের বৈঠকে অত্যন্ত কড়া পদক্ষেপের কথা ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । তার সপ্তাহখানেক কাটতে না কাটতেই ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দপ্তরের বহু আধিকারিককে বদলি করা হল নবান্নের তরফে। যা সাম্প্রতিককালে এই দপ্তরের সবচেয়ে বড় বদলি বলে জানা যাচ্ছে। মনে করা হচ্ছে, ভূমি দপ্তরের 'ঘুঘুর বাসা' ভাঙতেই এত কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হল। বুধবার বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জেলায় জেলায় বদলির নির্দেশ পাঠানো হয়েছে নবান্নের তরফে।নবান্ন সূত্রে খবর, ১৮০ জন বিএলআরও-কে বদলি করা হয়েছে। বদলি হয়েছেন বেশ কয়েকজন রেভিনিউ অফিসারও। ১২ জুলাই বদলি হওয়া বিএলআরও-দের কাজ থেকে অব্যাহতি দিতে হবে। তার পর তাঁরা নতুন বিভাগের কাজে যোগ দেবেন। ইতিমধ্যে জেলায় জেলায় এই মর্মে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে বলে খবর। সরকারি জমি দখল হচ্ছে,  ভুরি ভুরি এমন অভিযোগ এসেছিল মুখ্যমন্ত্রীর কাছে। সেসব নিয়ে তিনি চলতি মাসের গোড়ায় নবান্নে প্রশাসনিক কর্তাদের ডেকে বৈঠকে বসেন। কীভাবে সরকারি জমি বেদখল হচ্ছে, কেন নজরদারি নেই জেলা প্রশাসনের? এসব প্রশ্ন তুলে কার্যত ভর্ৎসনা করেন সকলকে। সবমিলিয়ে ভূমি দপ্তর সম্পর্কে অত্যন্ত ক্ষুব্ধ মুুখ্যমন্ত্রী। এসব রুখতে কী কী করণীয়, তাও নেতা-মন্ত্রীদের বুঝিয়ে দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর সেই কড়া বার্তার পরই তড়িঘড়ি 'অ্যাকশনে' নামেন দপ্তরের আধিকারিকরা। দখল করা জমি উদ্ধারে চারদিকে অভিযান, ধরপাকড় শুরু হয়।