CATEGORY state:

Card image cap

বিধাননগর পুরসভার সিদ্ধান্ত খারিজ হাই কোর্টে

ফ্ল্যাট বা বাড়ির মিউটেশনে দিতে হবে সার্ভিস চার্জ! বিধাননগর পুরসভার এই সিদ্ধান্ত খারিজ করে দিল কলকাতা হাই কোর্ট। পুরসভার সার্ভিস চার্জের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে মামলা করেন পুরনিগমের এক বাসিন্দা ও হাই কোর্টের এক আইনজীবী। সেই মামলা ওঠে বিচারপতি কৌশিক চন্দের এজলাসে। সেই মামলায় আদালতের রায়, আইন মোতাবেক পুরসভা সার্ভিস চার্জ বাবদ কোনও টাকা নিতে পারে না।


সম্প্রতি, বিধাননগর পুরসভার  পক্ষ থেকে বলা হয়, পুরবাসিন্দারা জমির মিউটেশন  করতে গেলে তাঁদের অতিরিক্ত সার্ভিস চার্জ দিতে হবে। কয়েকদিন আগে এক মামলাকারী মিউটেশনের আগে আরটিআই করেন। তাঁর দাবি, সেই সময় পুরসভা সার্ভিস চার্জ চায়। সেই প্রেক্ষিতেই কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেন তিনি। সেই মামলার, শুনানিতে পুরসভার সিদ্ধান্ত খারিজ করে, মামলাকারীদের ফের পুরকমিশনারের কাছে মিউটেশনের জন্য আবেদন করার সুযোগ দিয়েছে আদালত।


এই মামলার আইনজীবী আর্যক দত্ত যুক্তি দেন, পুর আইনে এমনভাবে সার্ভিস চার্জ নেওয়ার কোনও বিধি নেই। তিনি নথি দেখিয়ে বলেন, “এই মামলার এক আবেদনকারী যদি মিউটেশন পাওয়ার জন্য পুরসভার ওই সার্ভিস চার্জ বাবদ টাকা দিতে সম্মত হন, তাহলে তাঁকে প্রায় দেড় লক্ষ টাকা বাড়তি দিতে হবে। যা একেবারে বেআইনিভাবে। আরেক মামলাকারী তথা কলকাতা হাইকোর্টের আইনজীবী বলেন, “আমরা মিউটেশন করার আগে আরটিআই  করেছিলাম। তার জবাবে বিধাননগর পুরসভা সার্ভিস চার্জ হিসেবে টাকা দিতে হবে বলে জানায়। তার পরেই আমরা হাইকোর্টের মামলা করতে বাধ্য হই।”

Card image cap

লোকসভায় বিরোধী দলনেতা হচ্ছেন রাহুল গান্ধীই

লোকসভার বিরোধী দলনেতা পদে বসছেন রাহুল গান্ধী। মঙ্গলবার ইন্ডিয়া জোটের বৈঠক চলাকালীন সরকারিভাবে সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দিল কংগ্রেস। প্রায় ৩ দশকের রাজনৈতিক কেরিয়ারে এই প্রথম কোনও সাংবিধানিক পদে বসলেন রাহুল।
১০ বছর বাদে লোকসভায় বিরোধী দলনেতার পদ পাচ্ছে কংগ্রেস। বিরোধী দলনেতার পদ পেতে হলে লোকসভায় মোট আসনের ১০ শতাংশ পেতে হয়। অর্থাৎ ৫৫ জন সাংসদ প্রয়োজন পড়ে। ২০১৪ সালে এবং ২০১৯ সালে ন্যূনতম সেই সংখ্যাও জোগাড় করতে পারেনি কংগ্রেস। এবার পরিস্থিতি অন্য। এবার কংগ্রেসের হাতে ৯৯ জন সাংসদ। সঙ্গে রয়েছে ইন্ডিয়া জোটের শরিকদের সমর্থন। ফলে কংগ্রেসের হাতে সরকারকে কোণঠাসা করার ভালো সুযোগ রয়েছে।
সেকারণেই এবার বিরোধী দলনেতা পদে রাহুলকে বসাতে চাইছিল কংগ্রেস। গত ৯ জুন কংগ্রেস কর্মসমিতর বৈঠকে বিরোধী দলনেতা পদে রাহুলকে বসাতে চেয়ে প্রস্তাব পাশ করায় কংগ্রেস। সেই প্রস্তাব এতদিন ঝুলিয়ে রেখেছিলেন রাহুল। তবে স্পিকার নির্বাচনের আগেই কংগ্রেসের সাংগঠনিক সাধারণ সম্পাদক কে সি বেণুগোপাল জানিয়ে দিলেন, রাহুলই বিরোধী দলনেতা হবেন। মঙ্গলবারই প্রোটেম স্পিকারকে চিঠি লিখে দলের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন কংগ্রেসের সংসদীয় দলের চেয়ারপার্সন সোনিয়া গান্ধী। প্রায় ৩ দশক সক্রিয় রাজনীতি করছেন কংগ্রেসের রাজপুত্র। এর আগে দলের সভাপতিও হয়েছেন। কিন্তু কোনও সাংবিধানিক পদে কোনওদিন বসেননি। এই প্রথম রাহুলকে সাংবিধানিক পদে বসালো কংগ্রেস।

Card image cap

স্পিকার নির্বাচন নিয়ে মমতা-রাহুল ফোনে কথা

বরফ গললেও জট পুরোপুরি কাটল না। লোকসভার স্পিকার নির্বাচন নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাল না তৃণমূল কংগ্রেস। বুধবার সকালে সেই সিদ্ধান্ত কংগ্রেসকে জানিয়ে দেওয়া হবে বলে তৃণমূল সূত্রের খবর। 
লোকসভার স্পিকার পদে প্রার্থী দিয়েছে শাসক-বিরোধী দুপক্ষই। তবে প্রার্থী দেওয়া নিয়ে তৃণমূলের সঙ্গে কংগ্রেস কোনও আলোচনা করেনি বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তার পরই লোকসভার সামনের সারিতে পাশাপাশি বসে রাহুল গান্ধী এবং অভিষেককে কথা বলতে দেখা যায়। বেশ কিছুক্ষণ কথা হয় দুজনের। সূত্রের খবর, তৃণমূলের সঙ্গে কোনওরকম আলোচনা না করে প্রার্থী দেওয়া নিয়ে দুঃখপ্রকাশ করেছেন রাহুল গান্ধী। এভাবে একপাক্ষিক সিদ্ধান্ত নেওয়া যে ভুল ছিল, সেটাও মেনেছেন তিনি।এর পর বিকাল পাঁচটা নাগাদ তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে ফোনে কথা হয় রাহুল গান্ধীর। স্পিকার নির্বাচনে মমতার সমর্থন প্রার্থনা করেন কংগ্রেস নেতা। প্রায় মিনিট ২০ মমতা-রাহুল কথার পরই বরফ গলার ইঙ্গিত মেলে। এদিন রাতে ইন্ডিয়া জোট যে বৈঠক ডেকেছিল, তাতেও যোগ দেয় তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূলের তরফে ডেরেক ও ব্রায়েন এবং কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বৈঠকে যান।ওই বৈঠকে তৃণমূল ছাড়াও একাধিক শরিক দল কংগ্রেসের একপাক্ষিক সিদ্ধান্তে আপত্তি জানিয়েছে। আগামী দিনে কাউকে না জানিয়ে এভাবে সিদ্ধান্ত নিলে সেটা মেনে নেওয়া হবে না বলেও কংগ্রেসকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে শেষ পর্যন্ত সবদলই ঐক্যমত, ইন্ডিয়া জোটের স্বার্থ অক্ষুন্ন রেখেই স্পিকার নির্বাচনে অংশ নেওয়া হবে। শোনা যাচ্ছে, এদিনের বৈঠকে জোটের সব শরিকই কংগ্রেসকে সমর্থনের ব্যাপারে রাজি হয়েছেন। তবে কংগ্রেস প্রার্থীকে সমর্থন করা হবে কিনা, সেটা নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত তৃণমূল জানায়নি। এরাজ্যের শাসকদলের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে বুধবার সকাল সাড়ে ৯টার মধ্যে স্পিকার নির্বাচন নিয়ে সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেওয়া হবে।

Card image cap

তৃণমূলী নেতার দাপটে ৬ বছর স্কুলছাড়া শিক্ষক!

তৃণমূল নেতাদের বাধায় ৬ বছর স্কুলেই ঢুকতে পারেননি সহকারী প্রধান শিক্ষক। অবশেষে আদালতের নির্দেশে শাপমোচন। কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতির নির্দেশ, শিক্ষককে অবিলম্বে স্কুলে যোগদান করাতে হবে। ২০১৭ সাল থেকে সমস্ত বকেয়া সুদ সমেত শিক্ষককে মিটিয়ে দিতে হবে।
২০১২ সালে বীরভূমের তেঁতুলবেড়িয়া জুনিয়র হাই স্কুলে ইতিহাসের শিক্ষক হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন সৌমেন্দ্রনাথ মিয়া। ২০১৬ সালে ওই স্কুলেরই টিচার ইনচার্জের দায়িত্ব পান তিনি। সৌমেন্দ্রনাথবাবুর অভিযোগ, তৃণমূল পরিচালিত পরিচালন কমিটির সঙ্গে ২০১৬ সাল থেকেই তাঁর মতানৈক্য শুরু হয়। স্থানীয় তৃণমূল নেতা রাজারাম ঘোষ ওই স্কুলের পরিচালন কমিটির সভাপতি ছিলেন। কমিটির কয়েকজন সদস্য মিলে স্কুলের খেলার মাঠে অবৈধ নির্মাণ শুরু করেন বলে অভিযোগ টিচার ইনচার্জের। তিনি বলেন, “আমি বাধা দেওয়ায় আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করে। শুধু তাই নয়, থানাতেও প্রভাব খাটায়। পুলিশ শাসানি দেয় স্কুলে ঢুকলে গ্রেপ্তার করতে বাধ্য হবে।”
দিনের পর দিন স্কুলে এই ধরনের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে রাজারাম ঘোষ রাজ্য স্কুল শিক্ষা দপ্তরকে বিষয়টি জানিয়েছিলেন। তবে শিক্ষাদপ্তরও কোনওরকম পদক্ষেপ করেনি বলে দাবি। স্থানীয় পুলিশও তাঁকে স্কুলে ঢুকতে সাহায্য করেনি। ওই শিক্ষকের অভিযোগ, পরবর্তী সময়ে পদত্যাগ করার জন্য তাঁর উপর চাপ তৈরি করা হয়। শেষমেষ তিনি স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দেন। যদিও সেই ইস্তাফাপত্র নিয়ে স্কুল কোনও সিদ্ধান্তের কথা না জানানোয় তিনি পদত্যাগপত্র প্রত্যাহার করে নেন। শিক্ষাদপ্তরের কাছে আবেদন করেন তাঁকে যেন স্কুলে যোগদান করানো হয়।

Card image cap

বারাসতে নাবালক খুনের পুনর্নির্মাণ আঞ্জিবের

বারাসতে নাবালক খুন ও ঘটনা পরবর্তী বাচ্চাচুরি গুজবের পর্দাফাঁস ইতিমধ্যেই করেছে পুলিশ। এবার ধৃত আঞ্জিব নবিকে নিয়ে ঘটনার পুনর্নির্মাণ করা হল। ঘটনার পুনর্নির্মাণ করতে সোমবার বারাসাত থানার পুলিশ আঞ্জিব নবিকে নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। ১১ বছরের ওই শিশুকে প্রতিহিংসার বশে খুন করে কীভাবে প্রতিবেশীর বাড়ির বাথরুমে ঝুলিয়ে দিয়েছিল, তা পুনর্নির্মাণ করে দেখায় অঞ্জিব। ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, এসডিপিও ও বারাসাত এবং মধ্যমগ্রাম থানার আধিকারিকরা। তাঁদের সামনেই গোটা ঘটনার পুননির্মাণ করে দেখায় নিহত শিশুর জেঠু।


অভিযুক্তকে নিয়ে পুলিশ এদিন এলাকায় পৌঁছতেই ভিড় জমায় উৎসাহী জনতা। পুলিশ ইতিমধ্যেই জানিয়েছে পারিবারিক একটি সম্পত্তি নিয়ে বিবাদ এবং তাল বিক্রির টাকা নিয়ে বচসার জেরে ওই নাবালককে খুন করেছে আঞ্জিব। আর খুনের পর পুলিশকে ভুল পথে পরিচালনা করতে ও নিজেকে সন্দেহের তালিকার বাইরে রাখতে শিশুচুরির গুজব ছড়ায় সে। এমনকী ধর্মীয় স্থানকে কেন্দ্র করে মানুষকে উস্কানিও দেয় আঞ্জিব। সেক্ষেত্রে এদিন অভিযুক্তকে নিয়ে ঘটনার পুনর্নির্মাণ করে শিশুচুরির গুজবে পুলিশ পুরোপুরি জল ঢেলে দিল বলেই মনে করা হচ্ছে। যদিও বারাসত পুলিশ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জানাচ্ছেন, আরও বেশ কিছুদিন বিভিন্ন থানা এলাকায় সচেতনতামূলক প্রচার ও মাইকিং চলবে। পুলিশ সূত্রে খবর, রবিবারে পর থেকে এখনও পর্যন্ত আর বাচ্চাচুরির গুজবকে কেন্দ্র করে কোনওরকম উত্তেজনা সৃষ্টি হয়নি।


প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগে বারাসতের কাজিপাড়ায় একটি নাবালকের দেহ উদ্ধার হয়। সেই ঘটনাকে ঘিরে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় গোটা এলাকায়। আর তারপরেই এলাকায় ছড়ায় শিশুচুরির গুজব। ঘটে যায় একাধিক গণপ্রহারের ঘটনা। এই বিষয়ে রবিবার বারাসত পুলিশ জেলার এসপি প্রতীক্ষা ঝাড়খাড়িয়া জানান, আঞ্জিব নবি ধর্মীয় স্থানকে ব্যবহার করে পুলিশ ও যাঁরা বাইরে থেকে আসছেন তাঁদের সবাইকে আক্রমণ করার জন্য উস্কানি দিত। আর সেই কথা অভিযুক্ত স্বীকার করেছে। খুনের বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার জন্য গুজব ছড়ানোর যাবতীয় প্ল্যানও ওই ব্যক্তিই করেছে।


পুলিশ সুপার আরও জানান, আঞ্জিবের উপরে প্রথমে পুলিশের সন্দেহ ছিল না। কিন্তু যখনই পুলিশ ওই এলাকায় ঢুকতে যেত আঞ্জিব চলে আসত। এমনকী পুলিশের স্পেশ্যাল টিমের সঙ্গেও সে ঢুকে যেতে চাইত। আর আঞ্জিবের এই সমস্ত আচরণ দেখেই সন্দেহ তৈরি হয় পুলিশের। পরবর্তীতে তাকে গ্রেফতার করে লাগাতার জিজ্ঞাসাবাদ করতেই উঠে আসে আসল সত্য।

Card image cap

গরিবের পার্টির' তকমা খুইয়েছে সিপিএম?

একসময় 'গরিবের পার্টি' বলে পরিচিত সিপিএমের উপরে আর আস্থা নেই দরিদ্র এবং নিম্নবিত্তদেরই! লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যে আবার বড়সড় ধাক্কা খেয়েছে সিপিএম। এবারেও একটি আসনেও জয়লাভ করতে পারেনি দল। মুর্শিদাবাদ আসনে দাড়িয়ে পরাজিত হয়েছেন রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। দমদমে হেরেছেন দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী।


বাকি আসনগুলির অধিকাংশেই জামানত জব্দ হয়েছে।


এরকম বিপর্যয়ের পর্যলোচনা করতে বুধবার দু'দিনের বৈঠকে বসেছিল সিপিএমের রাজ্য কমিটি। সেখানেই আলোচনায় উঠে আসে যে গরিব মানুষ ভোট না দেওয়ায় এই শোচনীয় ফল হয়েছে। গরিব মানুষের কাছে এখনও বিশ্বাসযোগ্য হয়ে উঠতে পারেনি দল। সে কারণেই এবারের নির্বাচনেও বিপর্যয় আটকানো যায়নি। লোকসভা নির্বাচনের পর রাজ্য কমিটির বৈঠকের প্রথম দিন এটাই ছিল মূল নির্যাস।


একই সঙ্গে রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিমের রিপোর্টের স্বীকার করা হয়েছে, তৃণমূলের বিকল্প বিজেপি এবং বিজেপির বিকল্প তৃণমূল- এই বিশ্বাস থেকে এখনও মানুষকে বের করে আনা যায়নি। আর সে কারণেই এবারের নির্বাচনে বিজেপি অনেক বেশি নিষ্ক্রিয় থাকলেও ভোটের বাক্সে তার প্রতিফলন দেখা যায়নি। বেশ কিছু কেন্দ্রে বিজেপি এতটা ভোট পাবে তা ধারণার বাইরে ছিল। বেশ কিছু জেলায় সাংগঠনিক দুর্বলতার বিষয়টিও সামনে উঠে এসেছে।


রাজ্যে লোকসভা ভোটের ফল নিয়ে আলোচনার জন্য বুধবার থেকে আলিমুদ্দিন স্ট্রিটে হয়েছে সিপিএমের দু'দিনের রাজ্য কমিটির বৈঠক শুরু হয়। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি। সিপিএম সূত্রের খবর, রাজ্য সম্পাদক স্বীকার করেছেন কংগ্রেসের সঙ্গে আসন সমঝোতা করতে বেশ কিছুটা দেরি হয়েছে। আইএসএফ ও শেষ মুহূর্তে পিছিয়ে গিয়েছে। ফলে প্রার্থী ঘোষণা করতে অনেকটা সময় লেগেছে। শরিক দলের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে বৈঠকে।


ফলাফলে বিপর্যয়ের কারণ হিসেবে মূলত যে বিষয়গুলি আলোচনায় উঠে এসেছে তা হল, সরকারি সামাজিক প্রকল্পে উপকৃত মানুষ তৃণমূলের উপর আস্থা রেখেছেন।গ্রামবাংলায় সংগঠন এখনও ভোটে জেতার মতো জায়গায় নিজেদের তুলে ধরতে পারেনি। তৃণমূলের বিকল্প বিজেপি এবং বিজেপির বিকল্প তৃণমূল, এই তত্ত্বেই সিলমোহর দিয়েছেন ভোটাররা। কিছু জেলার নেতৃত্বের ভূমিকাও যথেষ্ট ইতিবাচক ছিল না। গরিব মানুষের কাছে এখনও দলকে বিশ্বাসযোগ্য করে তুলে ধরা যাচ্ছে না। ইন্ডিয়া জোটে একই মঞ্চে তৃণমূলের সঙ্গে থাকা নিয়েও ভোটারদের মধ্যে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে। বৃহস্পতিবার বৈঠকে বক্তব্য রাখেন সীতারাম ইয়েচুরি। শাখা স্তর থেকে আলোচনা তুলে নিয়ে আসার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে রাজ্য কমিটি।

Card image cap

ঋণে জর্জরিত বাংলা! কেরলের থেকেও খারাপ অবস্থা

সরকারি অফিসে ইলেকট্রিক অপচয় বন্ধের বিষয়ে সম্প্রতি নবান্নের বৈঠকে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপরই স্কুল শিক্ষা দফতরের তরফে রাজ্যের প্রতিটি স্কুলকে বিদ্যুৎ অপচয় বন্ধের বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছে।


রবিবার ওই প্রসঙ্গ টেনে বড় অভিযোগ করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। নন্দীগ্রামের বিধায়কের অভিযোগ, "কেরলের থেকে খারাপ অবস্থা বাংলার। ঋণের সীমা পার করে গেছে। আর তো ঋণ পাবে না। তাই চিৎকার শুরু করেছে। কতটা দেউলিয়া অবস্থা হলে স্কুলকে বলছে ইলেকট্রিক অপচয় করবেন না!"


একই সঙ্গে অনুপ্রবেশের প্রশ্নে রাজ্যকে দুষেছেন বিরোধী দলনেতা। রবিবার হুগলির শ্রীরামপুরে দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছিলেন শুভেন্দু। সেখানে তিনি দাবি করেন, "গুজরাটের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বিবৃতিতে বলা হয়েছে, পশ্চিমবঙ্গে রাজ্য সরকার অনুমোদিত মাদ্রাসা মুসলিম ছেলেকে হিন্দুনামে সার্টিফিকেট দিয়েছে। এটা মারাত্মক ঘটনা।"


শুভেন্দু এও বলেন, "আমাদের লড়াইটা কোনও ধর্ম সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে নয়। কিন্তু বাংলায় কঠিন সাম্প্রদায়িক কার্ড খেলা হচ্ছে। অনু্প্রবেশকারীদের মদত দিয়ে পশ্চিমবঙ্গটাকে কার্যত ভারতবর্ষের বাইরে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা হচ্ছে।" 


তবে নন্দীগ্রামের ৭০ শতাংশ হিন্দুকে তিনি একত্রিত করতে পেরেছেন বলে দাবি করে শুভেন্দু বলেন, "আমি ব্যক্তিগতভাবে অত্যন্ত খুশি, নন্দীগ্রাম বিধানসভাতে আমি ৭০ শতাংশ হিন্দুকে একত্রিত করতে পেরেছি। এটা যেদিন গোটা পশ্চিমবঙ্গে যেদিন হবে সেদিনকে রাষ্ট্রবাদী সরকার হবে।"


নিট ও ইউজিসি-নেট দুর্নীতি প্রসঙ্গে বিরোধী দলনেতার দাবি, "রাজ্যে শিক্ষায় দুর্নীতি হলে অভিযুক্তদের বাঁচানোর চেষ্টা করে রাজ্য সরকার। আর কেন্দ্রে দুর্নীতি হলে শাস্তির ব্যবস্থা করে মোদী সরকার। বিজেপি তৃণমূলের তফাত এখানেই।"

Card image cap

ফের নিউটাউনে গতির বলি!

নিউটাউনে ফের গতির বলি। দাঁড়িয়ে থাকা ট্যাক্সিতে ধাক্কা মারে একটি বাইক। শনিবার রাতে ইকো পার্কের কাছে দুর্ঘটনাটি ঘটে। ধাক্কার অভিঘাতে ছিটকে পড়ে মৃত্যু হয় আরোহী তরুণীর। বাইক চালক আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি। নো পার্কিং জোনে দাঁড়িয়ে থাকার অভিযোগে ট্যাক্সির চালককে আটক করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত তরুণীর নাম প্রিয়াসী পাল। বয়স ২২ বছর। তিনি হুগলির চুঁচুড়ার বাসিন্দা। শহরের একটি কলেজের সাংবাদিকতার ছাত্রী ছিলেন প্রিয়াসী। শনিবার বাড়ি থেকে নিউটাউনের উদ্দেশে রওনা দেন তিনি।
মোবাইলের সাহায্যে একটি বাইক ভাড়া করে নারকেল বাগানের দিকে যাচ্ছিলেন। সেই সময় দ্রুত গতিতে চলা বাইকটি ইকো পার্কের ১ নম্বর গেটের কাছে দাঁড়িয়ে থাকা ট্যাক্সিতে সজোরে ধাক্কা মারে। চালক ও প্রিয়াসীকে উদ্ধার করে চিনার পার্কের একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তরুণীকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। রাতেই হাসপাতালে উদ্দেশে রওনা দেন পরিবারের সদস্যরা। তরুণীর মৃত্যুর খবরে শোকের ছায়া পরিবারে।
গত বছরের শুরুতে আলিয়া বিশ্ববিদ্য়ালয়ের সামনে বেপরোয়া গাড়ির ধাক্কায় এক ছাত্রের মৃত্য়ু হয়েছিল। ক্যাম্পাসের গেট থেকে বেরতেই একটি বেপরোয়া গাড়ি ধাক্কা মারে আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোলের স্নাতক স্তরের পড়ুয়া শাকিল আহমেদকে। তাঁকে ধাক্কা মেরেই সেখান থেকে চম্পট দিয়েছিল ঘাতক গাড়িটি। শাকিলকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই তাঁর মৃত হয়েছিল। 

এদিকে দিনকয়েক আগেই রাতের শহরে বেপরোয়া গতির বলি হন এক তরুণ। ঘটনাস্থল পাটুলি থানা এলাকার বাঘাযতীন উড়ালপুল। রাত ১টা নাগাদ দুর্ঘটনা ঘটে। মৃতের নাম সমীর গায়েন। বছর কুড়ির তরুণ শহিদ স্মৃতি কলোনির বাসিন্দা। সেই ঘটনায় রেশ কাটতে না কাটতেই ফের গতির বলি হলেন এই ছাত্রী। 

Card image cap

বন্ধ হচ্ছে বিখ্যাত পুঁটিরাম

দিন তিনেক ধরেই শাটার বন্ধ। ঝুলছে তালা। মিষ্টি কিনতে এসে ফিরে গিয়েছেন ক্রেতারা। এলাকায় কান পাতলেই ফিসফাস। বন্ধ হওয়ার পথে অর্ধশতাব্দীরও বেশি পুরনো পুঁটিরাম। পুরনো কলকাতার নামজাদা মিষ্টির দোকান বলতে যে নামগুলো উঠে আসে তার মধ্যে অন‌্যতম পুঁটিরাম। ৪৬/৪ মহাত্মা গান্ধী রোডে আশি বছরের পুরনো দোকানটি আপাতত বন্ধ। হয়তো খুলবে না কোনওদিন। চিরতরে বন্ধ হয়ে যাওয়ার নেপথ্যে মালিকের অসুস্থতা। সূত্রের খবর, শারীরিক ভাবে অসুস্থ আমহার্স্ট স্ট্রিট এলাকার পুঁটিরামের মালিক পরেশ মোদক। তাঁর একমাত্র পুত্র মুম্বাই নিবাসী। দোকান চালাবে কে? পাকাপাকি ভাবে তাই পুঁটিরাম বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মালিক পরেশ মোদক। আর্মহাস্ট স্ট্রিট এলাকার বাসিন্দাদের মন খারাপ। বিগত পঞ্চাশ বছরেরও বেশি সময় ধরে তাদের রসনা তৃপ্তি করেছে পুঁটিরাম। এলাকার বাসিন্দা অভিজিৎ দে জানিয়েছেন, পুঁটিরাম বন্ধ হয়ে গেলে তার সঙ্গেই হারিয়ে যাবে প্রাণহরা, সরভাজা, সরপুরিয়ার সেই অনবদ‌্য স্বাদ।
সুখবর একটাই। কলেজস্ট্রিটের পুঁটিরাম স্বমহিমায় বিরাজমান। আমহার্স্ট স্ট্রিট এলাকার বাসিন্দারা বাধ‌্য হয়ে একটু বেশি হেঁটে কলেজস্ট্রিটেই আসছেন। শহরে পুঁটিরামের কটা শাখা? কলেজ স্ট্রিট পুঁটিরামের মালিক ইন্দ্রজিৎ মোদক জানিয়েছেন, “দুই দোকানের মালিকানা আলাদা। আলাদা ছিল কারখানাও। কলেজস্ট্রিটের পুঁটিরামের বয়স একশোর ওপর হলেও আমহার্স্ট স্ট্রিট পুঁটিরামও নেহাত কম নয়। এই ২০২৪ সালে ৮০ বছরে পড়েছে ৪৬/৪ মহাত্মা গান্ধী রোডের পুঁটিরাম। তাঁর সংযোজন, ঠাকুরদা জীতেন্দ্রনাথ মোদক ওই দোকান যৌতুক হিসেবে এটাই দিয়েছিলেন মেয়ে-জামাইয়ের বিয়েতে। সেই থেকেই পথ চলা শুরু। দিন তিনেক আগেই যাতে দাঁড়ি পড়েছে।
পুরনো কলকাতার একাধিক ঐতিহ‌্যশালী একাধিক দোকান এখন টিম টিম করছে। এমন হওয়ার কারণ? কলেজস্ট্রিট পুঁটিরামের মালিক ইন্দ্রজিৎ মোদক জানিয়েছেন, এই প্রজন্মকে ব‌্যবসায় আসতে হবে। তারা যদি শুধু চাকরির সন্ধান করে তাহলে মুশকিল। আমাদেরও তো বয়স হচ্ছে।

Card image cap

সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে নিটের পুনর্মূল্যায়ন

গ্রেস মার্কস পেয়ে নিট পাশ করেছিলেন। সেই পরীক্ষার্থীদের নতুন করে পরীক্ষায় বসতে নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। কিন্তু নতুন পরীক্ষা দিতে এলেন মাত্র ৫২ শতাংশ পরীক্ষার্থী! সর্বভারতীয় মেডিক্যাল পরীক্ষায় নতুন করে বসতেই চাইলেন না আগেরবার সফল হওয়া পরীক্ষার্থীদের একটা বড় অংশ।
চলতি বছর নিট পরীক্ষায় প্রথম স্থান অধিকার করেছে ৬৭ জন। এর পর থেকে এই প্রবেশিকা পরীক্ষা নিয়ে উঠেছে বিস্তর অভিযোগ। পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগের পাশাপাশি অনেককে গ্রেস মার্কস দেওয়ারও অভিযোগ তোলেন পরীক্ষার্থীরা। চাপের মুখে কেন্দ্র জানায়, ১,৫৬৩ জন পরীক্ষার্থী ‘ভুল’ প্রশ্নের জন্য গ্রেস মার্কস পেয়েছিলেন তাঁদের সেই বাড়তি গ্রেস মার্কস বাতিল করে দেওয়া হবে। ভুল প্রশ্নের জেরে যে ১৫৬৩ জন গ্রেস মার্কস পেয়েছেন, সেই গ্রেস মার্কস বাতিল করে দেওয়া হবে।
পরে এই দুর্নীতি নিয়ে মামলা দায়ের হয় সুপ্রিম কোর্টে । NEET UG পরীক্ষায় গ্রেস মার্কস পাওয়া পরীক্ষার্থীদের রিটেস্ট দিতে নির্দেশ দেয় শীর্ষ আদালত। রবিবার সাতটি কেন্দ্রে এই পরীক্ষা নেওয়া হয়। কিন্তু দেখা যায়, ১৫৬৩ জনের মধ্যে ৭৫০ জন পরীক্ষা দিতে আসেননি। চণ্ডীগড়ে দুজনের পরীক্ষা দেওয়ার কথা ছিল, কিন্তু কেউই আসেননি।
এনটিএর প্রকাশিত তথ্যে দেখা যাচ্ছে, মোট ৮১৩ জন রবিবার নিট পরীক্ষা দিতে এসেছিলেন। দেশজুড়ে মোট সাতটি পরীক্ষাকেন্দ্রের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। তার মধ্যে ছত্তিশগড়ে ৬০২জনের মধ্যে ২৯১ জন পরীক্ষা দিয়েছেন, অনুপস্থিত ৩১১ জন। হরিয়ানার ৪৯৪ জনের মধ্যে ২০৭ জন অনুপস্থিত ছিলেন, পরীক্ষা দিয়েছেন ২৮৭ জন। মেঘালয়ে ৪৬৪ জনের মধ্যে ২৩০ জন অনুপস্থিত ছিলেন, ২৩৪ জন পরীক্ষা দিয়েছেন। গুজরাটে একজন পরীক্ষার্থী বসেছেন নিটের রিটেস্টে।

Card image cap

বিয়ের পিঁড়িতে বসলেন বিজেপি MLA স্বপন মজুমদার, পাত্রী কে?

লোকসভা ভোটের ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। সেই ভোটে পরাজিত হয়েছেন বারাসত কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী স্বপন মজুমদার। কিন্তু তা নিয়ে দুঃখে ভেঙে পড়ার কোনও ব্যাপারই নয়। ভোটের পরাজিত হয়েই ছাদনাতলায় চলে গেলেন স্বপন মজুমদার। চল্লিশ পেরিয়ে বিয়ের পিঁড়িতে বসলেন তিনি। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে সেই ছবি।


তিনি বনগাঁ দক্ষিণের বিজেপি বিধায়ক। এর আগে তাঁর নানা মন্তব্যকে ঘিরে ভোট পর্বে বিতর্ক দানা বেঁধেছিল। তবে সেসব আজ অতীত। এবার একেবারে ঝলমলে বিয়ের আসর বসল। এলাহি সব আয়োজন ছিল বিয়েতে। স্থানীয় বিজেপির নেতা কর্মীদেরও বিয়েতে নেমন্তন্ন ছিল। 


সূত্রের খবর, বনগাঁ আমলাপাড়ার বাসিন্দা তৃষা মিস্ত্রির সঙ্গে বিয়ে হল স্বপন মজুমদারের। সোশ্য়াল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে সেই বিয়ের ছবি। ফেসবুকে স্বপন মজুমদার নিজেও নববধূর সঙ্গে ছবি পোস্ট করেছেন। সেখানেও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন অনেকেই। তবে একজন লিখেছেন, দাদা আমাদের খাওয়াটা বাকি আছে। কবে খাওয়াবেন বলবেন। 


অপর এক নেটিজেন লিখেছেন, মনটা ভালো হয়ে যেত যদি বারাসতটা বিজেপি পেত। এদিকে বিধায়কের বিয়ে বলে কথা। বিরাট খাওয়ার আয়োজন করা ছিল। একেবারে কবজি ডুবিয়ে খেয়েছেন নিমন্ত্রিতরা। বিয়ের মেনুতে ছিল ভাত, ডাল, মাছ, ফ্রায়েড রাইস, মাংস, চাটনি পাপড়, রসগোল্লা, সন্দেশ। 


এদিকে এবার গোটা ভোটপর্ব জুড়ে বার বার বিতর্কে জড়িয়েছিলেন স্বপন মজুমদার। 


এর আগে তিনি বলেছিলেন,আগামী নির্বাচনে যখন এই টিএমসির নেতারা বা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভোট বাক্সের জন্য় আপনাদের ব্য়বহার করার চেষ্টা করবেন, আপনারা লাঠি, এই ডঙ্কা, কাঁসা নিয়ে সবাই তৈরি থাকবেন। যাঁরা ভোট চাইতে যাবে তাঁদের মুখে তুলে মারবেন। যাতে ওই মুখ দিয়ে আর কুরুচিকর মন্তব্য না বের হয় কোনওদিন। এদিকে বিজেপি বিধায়কের এই মন্তব্যকে ঘিরে ইতিমধ্য়েই রাজনীতির ময়দানে শোরগোল পড়ে গিয়েছিল।


এখানেই শেষ নয়। তিনি বলেছিলেন, 'আমি এই মাইকের সামনে হুঁশিয়ারি দিতে চাই। এখানে তৃণমূলের চুনোপুঁটি চোরেরা বেআইনি ব্যবসা করে ফুলে ফেঁপে উঠেছে, সামনে যে নির্বাচন তাতে প্রতিটি বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে। স্ট্রং রুম ও গণনাকেন্দ্রেও কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে। কাউকে ভয় পাবেন না। এই চোর গুন্ডা বদমায়েশগুলো যে ভাবে আপনাদের ভয় দেখানোর চেষ্টা করছে পালটা আপনারা ভয় দেখিয়ে দিন। এই ভোটে বিজেপি ক্ষমতায় আসবে। আর এই চোরেরা বাড়ি ঢোকার সাহস পর্যন্ত দেখাবে না। ধমকানো চমকানো পুলিশ বাবাকে দিয়ে মিথ্যা মামলা দেওয়ার চেষ্টা করছেন, আমি দায়িত্ব নিয়ে বলছি। ওই পুলিশবাবাকে দিয়ে আগামীদিনে এনকাউন্টার করাব'।


তবে সেসব মন্তব্য আজ অতীত। এবার নতুন জীবনের পথে স্বপন মজুমদার।

Card image cap

মমতা ঘনিষ্ঠের ঘুম ওড়ালেন সুকান্ত! দিশেহারা ইন্ডি জোট!

নেট এবং নিট নিয়ে বহু দুর্নীতির অভিযোগ তুলে ময়দানে নেমেছে বিরোধী জোট ইন্ডির নেতা-নেত্রীরা। কিন্তু সর্ষের মধ্যেই যে ভূত লুকিয়ে রয়েছে, সেটা তারা হয়ত কল্পনাও করতে পারেননি। ইতিমধ্যেই বিহারের এক ইঞ্জিনিয়ারকে নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। যাকে এক গেস্ট হাউসে থাকার ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন সেই ইন্ডি জোটের নেতা তেজস্বী যাদবের আপ্ত সহায়ক।


আজকে সেই আপ্ত সহায়ককেও তদন্তের মুখোমুখি হতে হয়েছে। আর সেই বিষয় নিয়ে প্রশ্ন করতেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত তেজস্বী যাদবের শক্তি বাড়িয়ে দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার।


প্রসঙ্গত, এদিন বালুরঘাটে সুকান্তবাবুকে এই বিষয় নিয়ে প্রশ্ন করা হয়। আর সেই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে কেন্দ্রীয় শিক্ষা দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী বলেন, "আজকে তেজস্বী যাদবের আপ্ত সহায়ককে তদন্তের মুখোমুখি হতে হয়েছে। ভবিষ্যতে যদি তদন্তের ক্ষেত্রে প্রয়োজন হয়, তাহলে তেজস্বী যাদবকেও মুখোমুখি হতে হবে।" অর্থাৎ বিরোধী জোটের নেতা নেত্রীরা প্রশ্ন ফাঁস নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে কটাক্ষ করছেন। কিন্তু এই পরিস্থিতিতে তেজস্বী যাদব যেভাবে প্রশ্নের মুখে পড়েছেন, যেভাবে তার আপ্ত সহায়ককে তদন্তের মুখোমুখি পড়তে হয়েছে, তাতে আগামী দিনে যে বিপদ তার ক্ষেত্রেও ধেয়ে আসতে পারে, সেই ইঙ্গিত দিয়ে বিরোধী জোটের ঘুম কেড়ে নিলেন সুকান্ত মজুমদার। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

Card image cap

দক্ষিণবঙ্গে এখনই 'অতি সক্রিয়' নয় বর্ষা

দক্ষিণবঙ্গে বর্ষা এলেও ভারী বৃষ্টিপাত এখনই নয়। ইতিমধ্যেই গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের কিছু অংশে প্রবেশ করেছে মৌসুমী বায়ু। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, বিহার এবং ঝাড়খণ্ডেও নেমেছে বর্ষা। কিন্তু, এখনই দক্ষিণবঙ্গে ভারী বৃষ্টিপাতের কোনও সম্ভাবনা নেই। কারণ মৌসুমী বায়ু খুব একটা সক্রিয় নয়। রবিবারের পর দক্ষিণবঙ্গে কমতে পারে বৃষ্টিপাত। আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি ভোগান্তি বাড়াতে পারে।


রবিবার কেমন থাকবে কলকাতার আবহাওয়া?


শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকতে পারে ৩৩ ডিগ্রি এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকতে পারে ২৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি। আকাশ থাকবে আংশিক মেঘলা। বিক্ষিপ্তভাবে হতে পারে হালকা বৃষ্টিপাত।


গতকাল অর্থাৎ শনিবার শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৩.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে ০.১ ডিগ্রি বেশি এবং রবিবার শহরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৮.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি। এদিন বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ ছিল সর্বাধিক ৯১ শতাংশ এবং সর্বনিম্ন ৬৫ শতাংশ।



কেমন থাকবে দক্ষিণবঙ্গের আবহাওয়া?


মৌসুমী বায়ু প্রবেশের পর দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টিপাত হয়েছে। কিন্তু, তা সন্তোষজনক নয়। ব্যতিক্রমী হিসেবে শনিবার ঝাড়গ্রামের কংসাবতী এলাকা ২৪ মিলিমিটার, পুরুলিয়ার টুসুমা এবং ফুলবেড়িয়া এলাকা ২০ মিলিমিটার বৃষ্টি পেয়েছে। অন্যান্য এলাকাগুলিতে সামান্য বৃষ্টিপাত হয়েছে।


রবিবার দক্ষিণবঙ্গের সর্বত্র হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। স্থানীয়ভাবে কোথাও কোথাও বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। ২৫ জুন মঙ্গলবার থেকে দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ বাড়তে পারে। তবে ভারী বৃষ্টির জন্য শুক্র বা শনিবার পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে দক্ষিণবঙ্গকে। তার আগে শুক্রবার পর্যন্ত আপেক্ষিক আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি থাকবে। রবি এবং সোমবার অস্বস্তি অপেক্ষাকৃত বেশি থাকতে পারে। তবে তাপমাত্রা কমে যাওয়ার কারণে গরম খুব একটা বেশি অনুভূত হবে না।


কেমন থাকবে উত্তরবঙ্গের আবহাওয়া?


উত্তরবঙ্গে দু'দিনের জন্য কমবে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ। তবে ফের মঙ্গলবার থেকে উত্তরবঙ্গে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ বাড়বে। গত ২৪ ঘণ্টায় উত্তরবঙ্গে সবথেকে বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে কালিম্পং জেলার ঝালং পাহাড়ে।পাশাপাশি দার্জিলিং জেলার সামসিংও শনিবার ৮০ মিলিমিটার বৃষ্টি পেয়েছে। রবিবার থেকে পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টার জন্য বৃষ্টিতে সবথেকে বেশি বিপর্যস্ত হতে পারে তিনটি জেলা। এই জেলাগুলি হল- জলপাইগুড়ি,আলিপুরদুয়ার এবং কোচবিহার। সোমবার বিকেলের পর থেকে ফের ভারী বৃষ্টির সতর্কতা উত্তরবঙ্গের এই তিনটি জেলায়। উত্তরবঙ্গে সক্রিয় মৌসুমী বায়ু।

Card image cap

নতুন প্রকল্পের ঘোষণা করল মমতা সরকার

বর্তমান শাসকদল বাংলার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই কেন্দ্র সরকারের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ রাজ্য সরকারের। একাধিক কারণ নিয়ে কেন্দ্র-রাজ্য সংঘাত পশ্চিমবঙ্গের পুরনো ঐতিহ্য। বিগত কয়েক বছরে কখনও দেখা গিয়েছে, কেন্দ্রকে নিশানা করছে রাজ্য, কখনও আবার রাজ্যেকে নিশানা করছে কেন্দ্র।


২০২৪ ভোটের আগে যেমন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী অভিযোগ করেন, কেন্দ্র ১০০ দিনের কাজের টাকা আটকে রেখেছে।

অন্যদিকে আবার কেন্দ্রের তরফ থেকে দাবি করা হয়, হিসাব না দেওয়ার কারণেই হয়েছে। এই টানাপোড়েনের মাঝেই একটি নতুন প্রকল্পের ঘোষণা করে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। নাম হল কর্মশ্রী প্রকল্প।

ইতিমধ্যেই এই স্কিমের কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। এই স্কিমের জন্য গত ৭ জুন অবধি ৩৮,০০০ জব কার্ড বানানো হয়েছে। এছাড়া এই অর্থবর্ষে ৭৫ লাখ জন কার্ড তৈরি করার লক্ষ্য স্থির করা হয়েছে। এখান থেকে অন্তত সবাইকে ৫০ দিনের কাজ প্রদান করবে রাজ্য সরকার। মনে করা হচ্ছে, বাংলার জব কার্ড হোল্ডাররা অন্তত ১২,৫০০ টাকা করে পাবেন।

Card image cap

আজ পরীক্ষা গ্রেস মার্কস পাওয়া দেড় হাজার পরীক্ষার্থীর

দেশজুড়ে আন্দোলন ও বিরোধীদের চাপের মুখে কেন্দ্র লক্ষ লক্ষ টাকার নিট-নেট দুর্নীতির দায়ে এনটিএর অধিকর্তা তথা ডিজিকে অপসারণ করল এবং নিট-ইউজি দুর্নীতির সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিল। একইসঙ্গে স্থগিত করা হল নিট-পিজি তথা মেডিক‌্যালের স্নাতকোত্তর স্তরের প্রবেশিকা পরীক্ষাও। শনিবার রাতে অল্প কয়েক ঘণ্টার মধ্যে কেন্দ্রের পরপর এতগুলি সিদ্ধান্ত শোরগোল ফেলে দিয়েছে গোটা দেশে।
পরীক্ষা শুরুর মাত্র কয়েক ঘণ্টা আগে নিট-পিজি তথা মেডিক‌্যালে স্নাতকোত্তর স্তরের প্রবেশিকা পরীক্ষা বাতিল করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। রবিবারই নিট-পিজি হওয়ার কথা ছিল। অ্যাডমিট কার্ডও পেয়ে গিয়েছেন পরিক্ষার্থীরা। এনটিএর বক্তব্য, সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসাবে নিট-পিজি বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। NTA জানিয়েছে, অবিলম্বে পরীক্ষার নতুন দিনক্ষণ জানানো হবে। শনিবার মধ‌্যরাতেই এ নিয়ে সরব হয়েছেন দেশের বিরোধী দলগুলির নেতারা। শুক্রবার রাতে একইরকমভাবে স্থগিত হয়ে গিয়েছে সিএসআইআর-ইউজিসি-নেট। কেন্দ্রের ধারাবাহিকভাবে প্রবেশিকা পরীক্ষাগুলি বাতিল ও স্থগিত করার সিদ্ধান্ত থেকে স্পষ্ট যে এক বিরাট দুর্নীতির চক্র সমগ্র দেশের শিক্ষাব‌্যবস্থাকে নিয়ন্ত্রণ করছে।
এদিকে, নিট পিজি বাতিল হলেও বিতর্কিত NEET-UG-তে যারা গ্রেস মার্কস পেয়েছিলেন সেই ১৫৬৩ জন পরীক্ষার্থীকে আজ পুনরায় পরীক্ষা দিতে হবে। দেশের মোট সাতটি কেন্দ্রে পরীক্ষা হবে। প্রতিটি কেন্দ্রে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এনটিএর পরীক্ষা পদ্ধতি খতিয়ে দেখতে শিক্ষামন্ত্রক যে কমিটি গড়েছে, সেই কমিটির সদস্যরাও থাকবেন পরীক্ষাকেন্দ্রে। ভুল প্রশ্নের জন্য যে সমস্ত পরীক্ষার্থী গ্রেস মার্কস পেয়েছিলেন, তেমন ১৫৬৩ জনকে ফের পরীক্ষা দিতে হবে বলে কিছুদিন আগেই জানিয়েছিল NTA। আজ সাত কেন্দ্রে কড়া নিরাপত্তায় সেই পরীক্ষা হওয়ার কথা।
এদিকে, ইউজিসি-নেট দুর্নীতির তদন্তে আগেই সিবিআই হয়েছিল। শনিবার নিট-ইউজির তদন্তেও সিবিআই নির্দেশ দেওয়া হল। বস্তুত, সিবিআইয়ের এই নির্দেশ যে মোদি সরকারের একটা মুখরক্ষার চেষ্টা, তা নিয়ে সংশয় নেই। এনটিএর ডিজি সুবোধ কুমার সিংকে শনিবার রাতে অপসারণের মধ্যে দিয়েও কেন্দ্র পিট বাঁচানোর একটা চেষ্টা করেছে। নিট-ইউজি দুর্নীতি সামনে আসার পর এই সুবোধ কুমারই সব দায় ঝেড়ে ফেলার চেষ্টা করেছিলেন। প্রশ্ন ফাঁসের বিষয়টিও তিনি অস্বীকার করেছিলেন।

Card image cap

দক্ষিণবঙ্গে প্রবেশ বর্ষার, কমবে তাপমাত্রা

অপেক্ষার অবসান! অবশেষে দক্ষিণবঙ্গে প্রবেশ করেছে বর্ষা। আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, গাঙ্গেয় বঙ্গের মুর্শিদাবাদ, নদিয়া, উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, কলকাতার বেশিরভাগ অংশে বর্ষা প্রবেশ করেছে। পূর্ব মেদিনীপুর, হাওড়া, হুগলি, পূর্ব বর্ধমান, বীরভূম জেলার কিছু অংশও মৌসুমী বায়ু দখল নিয়েছে। অন্যদিকে, উত্তরবঙ্গের যে অংশে বর্ষার প্রবেশের বাকি ছিল, সেই অংশেও ছড়িয়েছে মৌসুমী বায়ু।দীর্ঘ প্রতিক্ষার পরে দক্ষিণবঙ্গে বর্ষার পা পড়লেও এখনই কতটা জোরালো বৃষ্টি হবে তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। আবাহাওয়াবিদরা মনে করছেন বৃষ্টি এখনই জোরালো হবে না। হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি পাবে গাঙ্গেয়ও বঙ্গ। অন্যদিকে, উত্তরবঙ্গে এখন বৃষ্টি কিছুটা কমলেও সোমবার থেকে বৃষ্টির পরিমাণ বাড়বে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস।
আবহাওয়াবিদদের মতে, খুব বেশি বৃষ্টি না হলেও দিনের তাপমাত্রা কম থাকবে। কলকাতা সহ আশেপাশের জেলাগুলিতে আকাশ মেঘাছন্ন থাকবে। রাতের তাপমাত্রাও যে খুব বাড়বে তা না। পাশাপাশি, আদ্রতা ও অস্বস্তিজনক আবহাওয়া থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে। আগামী ২-৩ দিনের মধ্যে পশ্চিমবাংলার পাশাপাশি দেশ জুড়ে পশ্চিম মৌসুমী বায়ু অগ্রসর হওয়ার জন্য পরিস্থিতি অনুকূল তৈরি হয়েছে বলে জানিয়ে আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর।

Card image cap

গাড়ি ভাড়া সংক্রান্ত নির্দিষ্ট নিয়ম রাজ্যের

রাজ্য সরকারি কর্মী ও আধিকারিকদের ভ্রমণ ভাতায় (এলটিসি) গাড়ি ভাড়া বাবদ টাকা পাওয়া নিয়ে নির্দিষ্ট নিয়ম তৈরি হল। অর্থদপ্তর বিজ্ঞপ্তি জারি করে তা জানিয়েছে। কর্মীরা এলটিসি'তে কয়েক বছর অন্তর সপরিবারে বেড়াতে যাওয়ার জন্য ট্রেন বা বিমানের টিকিটের দাম পান। কিন্তু গাড়ি ভাড়া করলে কত টাকা পাওয়া যাবে তা নিয়ে নির্দিষ্ট কোনও নিয়ম ছিল না


ফলে গাড়ি ভাড়ার বিল পেশ করলেও তা অনেক সময় দেওয়া হতো না। 


আবার কোনও কোনও সময় গাড়ির অত্যধিক ভাড়ার বিল পাশ হয়ে যেত এমন অভিযোগও উঠেছে। এবার অর্থদপ্তর জানাল, গাড়ি ভাড়া বাবদ প্রতি কিলোমিটারে সর্বোচ্চ ১৬ টাকা দেওয়া হবে। দপ্তরগুলি এই সংক্রান্ত বিষয় অনুমোদনের জন্য অর্থদপ্তরের কাছে না পাঠিয়ে নিজেরাই যেন সিদ্ধান্ত নেয় তাও জানানো হয়েছে।

Card image cap

এল মরসুমের প্রথম ইলিশ, দাম জানেন?

মাছে ভাতে বাঙালি। আর মাছটা যদি ইলিশ হয় তাহলে তো কথাই নেই। কিন্তু, জামাইষষ্ঠীতেও ইলিশ পাওয়া যাচ্ছিল না বলে হাহাকার পড়ে গিয়েছিল একাধিক জায়গায়। কিন্তু, বৃষ্টি শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ইলিশ নিয়েও এল সুখবর। মরসুমের শুরুতেই ডায়মন্ড হারবার নগেন্দ্র বাজারে ঢুকল তিন টন ইলিশ। দু'মাস মাছ ধরা বন্ধ থাকার পর ১৫ জুন গভীর সমুদ্রে মাছ ধরতে যান মৎস্যজীবীরা। এরপরেই ইলিশ ঢোকে ডায়মন্ড হারবার বাজারে।


শুক্রবার ডায়মন্ড হারবার নগেন্দ্র বাজার মাছ আড়তে প্রায় তিন টন ইলিশ ঢুকেছে বলে জানানো হয় মৎস্য আড়তদার সমিতির পক্ষ থেকে। পাশাপাশি মৎস্য আড়তদার সমিতির সম্পাদক জগন্নাথ সরকার বলেন, 'মরসুমের শুরুতেই জালে ইলিশ উঠেছে। পরিমাণে কম হলেও ইলিশগুলি বেশ বড়। দুই মাস মাছ ধরা বন্ধ থাকার কারণে বড় ইলিশ ধরা পড়েছে। তবে অন্যান্য বছরের তুলনায় এই বছর জালে বেশি ইলিশ পড়বে বলে আশা করছি।'


এদিকে কয়েকদিন আগে পর্যন্তও মধ্যবিত্তের নাগালের বাইরে ছিল ইলিশ। দামের ছ্যাঁকায় হাত পুড়ত মধ্যবিত্তের। কিন্তু, মৎস্যজীবীদের জালে ইলিশ পড়লে দামও মধ্যবিত্তের নাগালের মধ্যে আসবে বলে মনে করা হচ্ছে। এখন বাজারে ১ কেজি ইলিশের দাম ১৪০০ টাকা। এই দাম কমতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। আরও ইলিশ বাজারে এলে দাম কমার একটা সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানাচ্ছেন মৎস্য ব্যবসায়ীরা।


অন্যদিকে, বাজারে ইলিশ আসায় স্বাভাবিকভাবেই খুশি ক্রেতারা। অলোক দাস নামক এক ক্রেতা বলেন, ‘মরসুমের প্রথম ইলিশ। বাঙালি মানেই ইলিশের প্রতি আলাদা দুর্বলতা থাকে। কিন্তু, দামটা এখনও বেশি। যদি একটু কমে সেক্ষেত্রে নাগালের মধ্যে পাওয়া সম্ভব হবে। আমি অত্যন্ত খুশি। আজ পকেটের উপর চাপ পড়লেও বাড়ির সকলের জন্য ইলিশ নিয়ে যাব। আশা করছি ভবিষ্যতে দাম কিছুটা হলেও কমবে।’ মরসুমের প্রথম ইলিশ কেনার জন্য কার্যত হিড়িক পড়ে গিয়েছে ক্রেতাদের।


উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগে পর্যন্ত ইলিশের দাম ছিল মধ্যবিত্তের ধরা ছোঁয়ার বাইরে। এমনকী, জামাইষষ্ঠীর সময়ও ইলিশের দাম ছিল আগুন। দিঘা মাছ বাজারের ব্যবসায়ীরা বলেন, ‘যেহেতু মাছ ধরা বন্ধ ছিল, তাই সেভাবে ইলিশ পাওয়া যাচ্ছিল না বাজারে। যে ইলিশগুলি আসছিল তার দাম অনেকটাই বেশি। সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে। ফলে অনেককেই হতাশ হয়ে ফিরতে হচ্ছিল।’