CATEGORY state:

Card image cap

এক রাতেই ক্ষতি হয়ে গেল কোটি কোটি টাকার

২-৩ কিলোমিটার দূর থেকেও দুর্গন্ধ আসছে। আশেপাশে তো টেকা দায়! যে পুকুর থেকে কোটি কোটি টাকা আয় হয়, সেখানেই আজ শুধু লাশ ভর্তি। মরা মাছে ভরে গেল পুকুর। শয়ে শয়ে নয়, হাজার হাজার মাছের মৃত্যু। রাতারাতি কীভাবে এত মাছ মরে গেল, তা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন।



তেলঙ্গানার পাটনচেরুর ছিটকুল গ্রামে একটি বড় পুকুরে মাছের মড়ক শুরু হয়েছে।


প্রায় ১০ টন মাছ মারা গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। পুকুরে ক্রমাগত মরা মাছ ভেসে উঠতে দেখেই স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়ায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় মৎস দফতরের কর্মীরাও। জলের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।


জানা গিয়েছে, ওই পুকুরে মাছ চাষ হত। গত বছরের শেষভাগেই মৎস দফতরের তরফে দেড় লক্ষ পোনা মাছ ছাড়া হয়েছিল। গ্রামের শতাধিক পরিবারের জীবনযাপন এই মাছ চাষ করেই। ১০ টনের কাছাকাছি মাছের মৃত্যুতে কয়েক কোটি টাকার ক্ষতি হয়ে গিয়েছে।


প্রাথমিক অনুমান, পুকুরে রাসায়নিক বর্জ্য পদার্থ ফেলা হয়েছিল। এর জেরেই মাছের মৃত্যু হয়েছে। পিসিবির কর্মকর্তারা পরীক্ষা করে দেখেছেন, জলে দ্রবীভূত অক্সিজেনের মাত্রা স্বাভাবিকের তুলনায় অনেক কম ছিল। তবে মাছের মৃত্যুর সঠিক কারণ ল্যাব রিপোর্ট পাওয়ার পরই জানা যাবে।


Card image cap

৪ ব্যবসায়ীর বাড়িতে ইডির তল্লাশি

চিটফান্ডের টাকা সিঙ্গাপুরে পাচারের অভিযোগে চার ব্যবসায়ীর বাড়িতে তল্লাশি চালাল ইডি। শনিবার সকালেই আলিপুর, যাদবপুর লেকটাউন সহ আটটি জায়গায় হানা দেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী এজেন্সির অফিসাররা। ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কয়েক শো কোটি টাকা বিদেশে পাঠানোর অভিযোগ রয়েছে।


চিটফান্ড কেলেঙ্কারির তদন্তে নেমে ইডি জানতে পারে বিপুল পরিমাণ টাকা বিদেশে পাচার হয়েছে।


পশ্চিমবঙ্গ, বিহার, ওড়িশা, দিল্লি সহ বিভিন্ন রাজ্যে বেআইনি অর্থলগ্নি সংস্থাগুলির অফিস ছিল। এই সংস্থারগুলির মালিকদের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল চার ব্যবসায়ীর। শুধু তাই নয়, এই ব্যবসায়ীরাও বেশকিছু. চিটফান্ড কো ম্পা নির ডিরেক্টর পদেও ছিলেন। জানা যায়, তাঁদের একাধিক ব্যবসা রয়েছে কলকাতা সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। তদন্তে উঠে আসে তাঁদের কো ম্পা নির সঙ্গে বিপুল পরিমাণ লেনদেন হয়েছে একাধিক চিটফান্ড সংস্থার। উদ্ধার হয় জাল ইনভয়েস। ইডি জানতে পারে, যে সমস্ত জিনিস কেনাবেচার কথা বলা হয়েছে, তার কিছুই হয়নি। সবটাই কাগজে কলমে। আসলে এই টাকা বিদেশে পাচার করা হয়েছে। 


তদন্তে নেমে ইডি কয়েকজন হাওলা ব্যবসায়ীর খোঁজ পায়। তাঁদের জেরা করতেই আসল তথ্য বেরিয়ে আসে। জানা যায়, তাঁদের মাধ্যমে টাকা গিয়েছে সিঙ্গাপুরে। সেখানে বিভিন্ন ব্যবসায় এই টাকা বিনিয়োগ করা আছে। হাওলা ব্যবসায়ীরা এজেন্সি কর্তাদের কলকাতার চার ব্যবসায়ীর নাম জানান, যাঁরা তাঁদের মাধ্যমে টাকা পাঠিয়েছেন বলে উল্লেখ করেন। তদন্তে উঠে আসে এই ব্যবসায়ীদের আবার সিঙ্গাপুরে একাধিক ব্যবসা রয়েছে। সেখানকার ব্যবসায়ীদের ব্যবসাতেও তাঁরা টাকা খাটাচ্ছেন। তার ভিত্তিতে শনিবার ওই চার ব্যবসায়ীর বাড়িতে যান তদন্তকারীরা। তাঁদের কাছ থেকে লেনদেন সংক্রান্ত বিভিন্ন কাগজ মিলেছে বলে খবর। পাশাপাশি মিলেছে টাকা পাঠানোর একাধিক চিরকুট। যার থেকে তদন্তকারীরা নিশ্চিত টাকা বিদেশে পাচার হয়েছে।

Card image cap

নিখোঁজ একই স্কুলের ৫ ছাত্রী

স্কুলে যাওয়ার নাম করে বাড়ি থেকে বেরিয়ে নিখোঁজ ৫ ছাত্রী। তারা প্রত্যেকেই একই স্কুলের ছাত্রী। এমনকী তারা একই শ্রেণির পড়ুয়া। বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা পেরিয়ে গেলেও মেয়েরা বাড়িতে না ফেরায় খোঁজাখুজি শুরু করে পরিবার। রাতে মগরা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন প্রত্যেকের অভিভাবক। 
পুলিশ ও নিখোঁজ ছাত্রীদের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, নিখোঁজ ছাত্রীরা মগড়া প্রভাবতী বালিকা বিদ্যালয়ের পড়ুয়া। তারা প্রত্যেকেই অষ্টম শ্রেণির পড়ুয়া। সকলেরই বাড়ি মগরা ১ নম্বর গ্রামপঞ্চায়েত এলাকায়। শনিবার সকালে তারা প্রত্যেকেই স্কুলে যাওয়ার নাম করেই বাড়ি থেকে বেরোয়। তবে ফিরে আসার সময় পেরিয়ে যাওয়ার পরও না আসায় খোঁজাখুজি শুরু হয়। যাওয়া হয় স্কুলেও। সেখানে গিয়ে অভিভাবকরা জানতে পারেন, পাঁচ নিখোঁজ ছাত্রীর কেউই স্কুলে আসেনি।স্থানীয় মগড়া থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। অভিযোগ পেয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। এক অভিভাবক বলেন, “নিখোঁজ প্রত্যেকেই একই এলাকার মেয়ে। একসঙ্গেই স্কুলে যাতাওয়াত করে। আজ স্কুলে যাওয়ার পর আর বাড়ি ফিরে আসেনি। খোঁজাখুজির পর না পেয়ে থানায় অভিযোগ করেছি।” ৫ বান্ধবীর এক সঙ্গে নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।

Card image cap

এবার ১২ শতাংশ বেতন বৃদ্ধি অস্থায়ী কর্মীদের, বড় সিদ্ধান্ত পশ্চিমবঙ্গ সরকারের

এবার বেতন বৃদ্ধি ঘটল উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের  অস্থায়ী কর্মীদের। এই প্রসঙ্গে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, বিশেষ কমিটির তরফে অস্থায়ী কর্মীদের বেতন  ১২ শতাংশ বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। জানা গিয়েছে, গত শুক্রবার উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী রেজিস্ট্রার দেবাশিস তত্ত্বের দপ্তরে একটি বৈঠক সম্পন্ন হয়।


আর সেখানেই অস্থায়ী কর্মীদের বেতন বৃদ্ধির বিষয়ে নেওয়া হয় সিদ্ধান্ত।


পাশাপাশি, অস্থায়ী শিক্ষক-শিক্ষিকাদের ন্যূনতম বেতন এবার হতে চলেছে ৫৭,৭০০ টাকা। যদিও, যেহেতু উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নেই সেক্ষেত্রে এই বেতন বৃদ্ধির বিষয়টি লাগু করার ক্ষেত্রে কোনো আইনি সমস্যা থাকবে কিনা সেই বিষয়ে আইনজীবীদের কাছ থেকে পরামর্শ নেওয়ার জন্য দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে রেজিস্ট্রারকে।


এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, শনি এবং রবিবার বিশ্ববিদ্যালয় ছুটি থাকার কারণে ইতিমধ্যেই জুলাই মাসের বেতনের নথিপত্র তৈরি হয়ে গিয়েছে। তাই, আগামী মাসের শুরুতে পূর্ব নির্ধারিত বেতন হবে। তবে, বেতন বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়ে গেলে গত কয়েক মাসের বর্ধিত বেতনের টাকা কর্মীরা পেয়ে যাবেন।


এদিকে, "সারা বাংলা তৃণমূল শিক্ষাবন্ধু সমিতি"-র তরফে বেতন বৃদ্ধির দাবিতে যে লাগাতার আন্দোলন শুরু হয়েছিল তা এই ঘোষণার পরে প্রত্যাহার করা হয়েছে বলেও জানা গিয়েছে। এই প্রসঙ্গে "সারা বাংলা তৃণমূল শিক্ষাবন্ধু সমিতি"-র যুগ্ম সম্পাদক রঞ্জিত রায় জানিয়েছেন, "অস্থায়ী কর্মীদের ১৪ শতাংশ বেতন বৃদ্ধির দাবি আমরা জানিয়েছিলাম। যদিও, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের তরফে ১২ শতাংশ বেতন বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নেওয়ায় আমরা খুশি। তাই, আমাদের এই আন্দোলন প্রত্যাহার করা হল।"


এদিকে, বেতন বৃদ্ধির সিদ্ধান্তের প্রসঙ্গে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী রেজিস্ট্রার দেবাশিস দত্ত জানিয়েছেন যে, ''আপাতত অস্থায়ী কর্মীদের বেতন ১২ শতাংশ বৃদ্ধি করা হচ্ছে। এর ফলে অস্থায়ী শিক্ষক-শিক্ষিকারাও ন্যূনতম ৫৭,৭০০ টাকা পাবেন। কর্ম সমিতির সদস্যদের নিয়ে তৈরি করা বিশেষ কমিটির সাথে বৈঠকে এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যদিও, উপাচার্য না থাকায় তা লাগু করার ক্ষেত্রে কোনো সমস্যা থাকবে কি না, সেই বিষয়ে আইনি পরামর্শ নেওয়ার মাধ্যমে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।''

Card image cap

ইউজিসি-নেটের নয়া দিন জানাল NTA

স্থগিত হওয়া ইউজিসি-নেট এবং সিএসআইআর ইউজিসি নেটের দিনক্ষণ ঘোষণা করল এনটিএ। সিএসআইআর ইউজিসি নেট হবে আগামী ২৫-২৭ জুলাই। ইউজিসি-নেটের ২০২৪ সালের জুন মাসের সাইকেলের পরীক্ষা গ্রহণ করা হবে ২১ আগস্ট থেকে ৪ সেপ্টেম্বরের মধ্যে। এনসিইটি ২০২৪-এর পরীক্ষা হবে আগামী ১০ জুলাই।
২৮ জুন তারিখের বিজ্ঞপ্তিতে ইউজিসি নেটের নয়া দিনক্ষণ স্পষ্টভাবে জানানো হয়নি। সাধারণ একটি নির্দিষ্ট তারিখে এই পরীক্ষা নেওয়া হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ২১ অগাস্ট থেকে ৪ সেপ্টেম্বরের মধ্যে একটি তারিখে এই পরীক্ষা নেওয়া হবে। কোন তারিখে পরীক্ষাটি হবে তা এখনও জানা যায়নি। অন্যদিকে এনসিইটি ২০২৪ সালের পরীক্ষার আগামী ১০ জুলাই হবে বলে জানিয়েছে ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সি। এর পর জয়েন্ট সিএসআইআর ইউজিসি নেট পরীক্ষাটি ২৫-২৭ জুলাইয়ের মধ্যে অনুষ্ঠিত হবে‌। তৃতীয় পরীক্ষা অর্থাৎ ইউজিসি ষেট জুনের পরীক্ষাটি ২১ অগাস্ট থেকে ৪ সেপ্টেম্বরের মধ্যে হবে বলে জানিয়েছে এনটিএ।
জুন মাসের ইউজিসি নেট ২০২৪ পরীক্ষাটি কাগজে কলমে ওএমআর শিটে নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এবারের পরীক্ষা আর ওএমআর শিটে নেওয়া হবে। বিতর্ক এড়াতে এবার আগামী সব পরীক্ষাই কম্পিউটার বেসড টেস্ট হবে বলে জানিয়েছে ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সি। অর্থাৎ কম্পিউটারে বসে পুরোপুরি অনলাইন মোডেই পরীক্ষা নেওয়া হবে। প্রসঙ্গত, পরীক্ষা দুর্নীতির পিছনে একাধিক সময়ে এই ওএমআর শিট জড়িয়ে গিয়েছে। এবারেও সেই একই ঘটনা ঘটে। তাই কোনওরকম বিতর্ক এড়াতেই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।

Card image cap

বিহারে কনস্টেবল পরীক্ষার প্রশ্নফাঁসে বাংলা যোগ!

 বিহারে কনস্টেবল পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় গ্রেপ্তার বাংলার বাসিন্দা। পাটনা পুলিশের হাতে ধৃত মধ্যমগ্রামের বাসিন্দা কৌশিক কর। তিনি একটি ছাপাখানার মালিক বলে জানা গিয়েছে। তাকে গ্রেপ্তারির পর জিজ্ঞাসাবাদ করে পাটনা পুলিশ জানতে পেরেছে, কলকাতায় তাঁর একটি ছাপাখানা রয়েছে। সেখান থেকেই বিহার পুলিশের কনস্টেবল নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ছাপা হয়েছিল। এখান থেকেই তা সরবরাহের বরাত পেয়েছিল কৌশিক। শুক্রবার তার গ্রেপ্তারির খবর প্রকাশ্যে আসার পর মধ্যমগ্রামের বাড়ি ও অফিসের নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে।
মধ্যমগ্রাম পুরসভার ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের গঙ্গানগর এলাকার বাসিন্দা কৌশিক কর। গত কয়েক বছর ধরে তাঁর ‘ব্লাসিং সিকিওর প্রেস’ নামে একটি ছাপাখানা রয়েছে। তারই দোতলায় পরিবার নিয়ে থাকে কৌশিক। এছাড়াও মূল গেটের ভিতরে আরও কয়েকটি অফিস রয়েছে। ২৪ ঘণ্টাই মূল গেট বন্ধ থাকে ছাপাখানার। কর্মী বা অন্য কেউ কোনও কাজে এলেই শুধুমাত্র গেট খোলা হয়। ছাপাখানার কাজে কোনও গাড়ি এলেও একই নিয়ম। সবমিলিয়ে এই ছাপাখানা কড়া নিরাপত্তায় মোড়া থাকে। এমনই জানাচ্ছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
তবে গঙ্গানগরের এই ছাপাখানা ছাড়াও কলকাতায়  কৌশিকের আরও একটি ছাপাখানা রয়েছে। সেই ছাপাখানাতেই বিহার পুলিশের কনেস্টবল নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ছাপা এবং সরবরাহ করার বরাত পেয়েছিল বলেই পুলিশ সূত্রে খবর। কৌশিক করের গ্রেপ্তারের পর শুক্রবার তাঁর গঙ্গনগরের ছাপাখানাও এখন পুলিশের নজরে। কিন্তু সেখানে কড়া নিরাপত্তা। কাউকেই ঢুকতে দেওয়া হয়নি। এদিন দুপুরে মধ্যমগ্রাম থানার দুজন পুলিশকর্মী সেখানে গিয়েছিলেন। তাঁদেরকেও ঢুকতে দেওয়া হয়নি বলেই খবর। তবে তদন্তকারীদের অনুমান, কৌশিকের সঙ্গে এই প্রশ্নফাঁসের ঘটনায় আরও অনেকেই জড়িত। তারা কারা, কীভাবেই বা এই চক্র চলছে, বাংলার এই যুবককে কে প্রশ্নপত্র ছাপা ও সরবরাহের বরাত দিল, সেসব খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। কৌশিককে জেরা করে এসব উত্তর পাওয়ার অপেক্ষায় পাটনা পুলিশ।

Card image cap

মুখ্যমন্ত্রী ও তৃণমূলের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা দায়েরের পথে রাজ্যপাল

উপনির্বাচনে নবনির্বাচিত দুই বিধায়কের শপথ নিয়ে রাজভবন-বিধানসভার টানাপোড়েন অব্যাহত। রাজ্যের শাসকদল ও বিধানসভার স্পিকার জটিলতা কাটাতে নানাভাবে সক্রিয় ভূমিকা পালন করছেন। কিন্তু নিজের সিদ্ধান্তে অটল রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। তাঁর দাবি, রাজভবনে  গিয়েই শপথ নিতে হবে বিধায়ক সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় ও রেয়াত হোসেন সরকারকে। আর দুই বিধায়ক চান, রাজভবনে নয়, রাজ্যপাল বিধানসভায় এসে শপথ পড়ান। এসবের মাঝে শাসকদল ও মুখ্যমন্ত্রীর ভূমিকায় ক্ষুব্ধ রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান। তিনি মানহানির মামলা দায়ের করতে চান। শুক্রবার দিল্লিতে কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের পর নিজেই তা জানালেন সিভি আনন্দ বোস।
দুই বিধায়কের শপথগ্রহণ নিয়ে কার্যত নজিরবিহীন দ্বন্দ্ব তৈরি হয়েছে আইনসভা ও রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধানের কার্যালয়ের মধ্যে। এই টানাপোড়েনের জেরে নিজেদের কাজ শুরু করতে পারছেন না বলে অভিযোগ সায়ন্তিকা ও রেয়াতের। বিধানসভায় শপথ নেওয়ার দাবিতে অনড় থেকে দুজনেই রোজ ধরনায় বসছেন। পাশে পেয়েছেন তৃণমূল নেতৃত্বকেও। রোজই প্রায় দলের কোনও না কোনও শীর্ষ নেতা এই ধরনায় যোগ দিচ্ছেন। জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হয়েও রাজ্যপালের কারণেই কাজে নামতে দেরি হচ্ছে, এই অভিযোগে সুর চড়ছে। এরই মাঝে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিষয়টি নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে বলেন, ”রাজভবনের যা কীর্তিকলাপ, মেয়েরা ওখানে যেতে ভয় পাচ্ছে, আমাকে বলেছে।”

Card image cap

ব্যাঙ্ক লোন নিয়ে ফ্ল্যাট! 'বেআইনি' জানতে পেরে দিশাহারা আবাসিকরা

বেআইনি নির্মাণ ভাঙার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। সেই মোতাবেক ফ্ল্যাটের বেআইনি নির্মাণ ভাঙার কাজ শুরু হল বৃহস্পতিবার। হাইকোর্টের নির্দেশে উত্তরপাড়া পুরসভার ৭ ও ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের দু'টি ফ্ল্যাটের অবৈধ অংশ ভাঙার কাজ শুরু হয় এদিন। এই অবৈধ ফ্ল্যাটে মিউটেশন করে ট্যাক্স দিয়ে বসবাস করছিলেন অনেকেই।


৫৬ নম্বর অমরেন্দ্র সরণিতে গঙ্গার পারে একটি বেআইনি ফ্ল্যাটের একাংশ পুলিশের উপস্থিতিতে ভেঙে ফেলার কাজ শুরু হয় বৃহস্পতিবার। আবাসিকরা জানান, ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নিয়ে ফ্ল্যাট কিনেছিলেন। পুরসভা সমস্ত মিউটেশনের কাজও করে দেয়। তাঁদের ট্যাক্সও দিতে হয় নিয়ম মেনে। অথচ এখন জানতে পারছে এই ফ্ল্যাটেরই একটা অংশ বেআইনি। তাঁরা বলছেন, আগে জানলে এমন ফ্ল্যাট কিনতেনই না।


২ বছর ধরে এই আবাসনে আছেন শ্যামলী ঘোষ। তিনি বলেন, “বাচ্চা, বয়স্ক মানুষদের নিয়ে ফ্ল্যাটে থাকছি। হঠাৎ করে এসে যদি এরকম বলা হয় আমরা কোথায় যাব। ট্যাক্স মিউটেশন হয়েছে, লোন করা প্রপার্টি। কী করে এটা অবৈধ হয়, আর রাতারাতি কী করে ভাঙা হয় জানি না। পুরসভা তো অনুমতি দিয়েছিল। আজ পুলিশ এসে বলছে এটা বেআইনি প্রপার্টি, ভাঙতে হবে। আর এভাবে হঠাৎ করে কিছু হয় না।”


উত্তরপাড়া পুরসভার চেয়ারম্যান দিলীপ যাদবের বক্তব্য়, “কোর্ট নির্দেশ দিলে আমাদের তা মানতেই হয়। সেই নির্দেশ মানতে গিয়েই আজ উত্তরপাড়া ও ভদ্রকালীতে ১৭ ও ৭ নম্বর ওয়ার্ড দু’টি বেআইনি অংশ ভাঙতে হয়।” তিনি বলেন, যাঁরা নির্মাণ করেন, তাঁরা অনেক সময় নিয়ম মানেন না। আদালত যখন নির্দেশ দেয় তখন সময় বেঁধে দেয়।পুরসভার ইঞ্জিনিয়ররা এদিন শুধু নির্দেশ পালন করতে গিয়েছেন।


চেয়ারম্যানের বক্তব্য, তাঁরা বারবার সতর্ক করেন, কোনও সম্পত্তি কেনার আগে পুরসভায় খোঁজ নিতে বলেন। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, এই আবাসনের বাসিন্দারা বলছেন, পুরসভা থেকে ট্যাক্স মিউটেশনের কাজ করিয়েছেন। তাহলে পুরসভা সে কাজ কীভাবে করল? প্রসঙ্গত, একটি মামলার প্রেক্ষিতে হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা ২৭ জুনের মধ্যে এই আবাসনের বেআইনি অংশ ভাঙার নির্দেশ দিয়েছিলেন।

Card image cap

জমি উচ্ছেদ মামলায় বিরাট মন্তব্য, কী বলল হাই কোর্ট?

সোমবার নবান্নে একটি বিশেষ বৈঠক ডেকেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বেআইনি জমি দখল, সরকারি জমি বেহাত হওয়া, হকার সমস্যা সহ বেশ কিছু বিষয় নিয়ে সেখানে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি। পুলিশ থেকে শুরু করে আমলা কেউ বাদ যাননি সেদিন। এরপর থেকেই চোখে পড়ছে প্রশাসনিক তৎপরতা।


দিন কয়েক আগে যেমন মাঝেরহাটে পোর্ট ট্রাস্টের জমি মুক্ত করা নিয়ে ধুন্ধুমার কাণ্ড বেঁধেছিল। সেই জল গড়ায় কলকাতা হাই কোর্ট অবধি।


মাঝেরহাট  স্টেশনের বিপরীতে ২ নং হেলেন কেলার সরণিতে পোর্ট ট্রাস্টের বেশ কিছু জমি রয়েছে। সেগুলি দখলের অভিযোগ আনা হয়। দিন কয়েক আগে আদালতের নির্দেশ মতো সেগুলি দখলমুক্ত করতে গেলে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। পুলিশ এবং আইনজীবীর উপস্থিতিতে দোকান ভাঙা শুরু হতেই সুর চড়ান এলাকাবাসীরা।


নোটিশ ছাড়া সরানো যাবে বলে দাবি করতে থাকেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এদিকে আগেই মাঝেরহাটে পোর্ট ট্রাস্টের জমি খালি করার দাবি জানিয়ে হাই কোর্টে মামলা হয়েছিল। সিঙ্গেল বেঞ্চ সেই জমি খালি করার নির্দেশও দিয়েছিল। তবে খালি করতে গেলেই বাঁধে বিপত্তি।


সিঙ্গেল বেঞ্চের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হন ওই এলাকার বাসিন্দারা। বৃহস্পতিবার হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে ওই মামলার শুনানি ছিল। আপাতত জমি দখল মুক্ত করার কাজে কোনও রকম স্থগিতাদেশ দেয়নি উচ্চ আদালত। শুক্রবার ফের ডিভিশন বেঞ্চ এই মামলা শুনবে।

অভিযোগ উঠেছে, বন্দরের জমিতে একাধিক দোকান থেকে শুরু করে পার্টি অফিস তৈরি হয়েছে। তাদের দাবি, সেখানে হাসপাতাল তৈরি করা হবে। এই আর্জির ভিত্তিতে হাই কোর্টের তরফ থেকে জমি খালি করার নির্দেশ দেওয়া হয়। এদিকে স্থানীয় বাসিন্দাদের প্রশ্ন, সব পক্ষের কথা না শুনে কীভাবে উচ্চ আদালত নির্দেশ দিল? বাসিন্দারা বলেন, আমরা ৩৫ বছর ধরে এখানে থাকছি। সেকথা শুনে প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানম পাল্টা বলেন, '১০০ বছরের বাসিন্দা হলেও কোনও বিষয় নয়'।

Card image cap

মমতার মন্তব্যে কড়া প্রতিক্রিয়া জানাল বোসের রাজভবন

রাজ্যের দুই বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচনে জয়ী হয়েছে তৃণমূলের দুই প্রার্থী। কিন্তু তাঁদের শপথ নিয়ে শুরু হয়েছে টানাপোড়েন। সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রায়াত হোসেন সরকারের শপথগ্রহণ ঘিরে স্নায়ুযুদ্ধ চলছে রাজভবন-বিধানসভার মধ্যে। দুই বিধায়ক বিধানসভার স্পিকারের কাছে শপথ বাক্য পাঠ করার ইচ্ছা প্রকাশ করে চিঠি পাঠিয়েছিল রাজভবনে।


কিন্তু রাজ্যপাল তাঁদের আর্জি মানতে নারাজ। তাঁর বক্তব্য, রাজভবনে গিয়েই শপথ নিতে হবে। এরই মধ্যে বিতর্ক উস্কে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'রাজভবনে যে সহ কীর্তি হচ্ছে, তাতে মেয়েরা সেখানে যেতে ভয় পাচ্ছে।' মুখ্যমন্ত্রীর সেই মন্তব্য নিয়ে কড়া প্রতিক্রিয়া দিল রাজভবন।


রাজভবনের তরফে একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, নবনির্বাচিত বিধায়কেরা রাজ্যপালকে জানিয়েছিলেন যে, তাঁরা বিধানসভাতেই শপথ গ্রহণ করতে চান। সেই আবেদনের প্রেক্ষিতে তাঁদের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান বিধানসভায় স্থানান্তরিত করার ব্যাপারে ভাবনা চিন্তা করছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। কিন্তু সেই আবহে মুখ্যমন্ত্রী দাবি করলেন, মহিলারা নাকি রাজভবনে যেতে নিরাপদ বোধ করছেন না! যদিও রাজভবনের বিবৃতিতে দাবি, নতুন বিধায়কেরা রাজভবনে যে চিঠি পাঠিয়েছিলেন, তাতে তাঁদের রাজভবনে না আসতে চাওয়ার মতো কোনও বক্তব্য ছিল না।


Card image cap

সপ্তাহান্তে শিয়ালদা ডিভিশনে ফের পাওয়ার ব্লক

শিয়ালদা ডিভিশনে আবারও ট্রাফিক ও পাওয়ার ব্লকের কারণে হতে চলেছে ট্রেন নিয়ন্ত্রণ। রেলের তরফে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে বিষয়টি জানিয়েও দেওয়া হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে জানান হয়েছে ১০ নম্বর ব্রিজে গার্ডারিং সংক্রান্ত কাজের জন্য শিয়ালদা ডিভিশনের দমদম জংশন-বারাসত সেকশনে মধ্যমগ্রাম ও বিরাটি স্টেশনের মাঝে ২৯/৩০ তারিখ রাতের দিকে ট্রাফিক ও পাওয়ার ব্লকের প্রয়োজন হবে।


বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, এদিন রাত সাড়ে ১০টা থেকে সকাল সাড়ে ১০টা, অর্থাৎ ১২ ঘণ্টা ডাউন লাইনে এবং রাত সাড়ে ১০টা থেকে সকাল সাড়ে ৮টা অর্থাৎ ১০ ঘণ্টা আপ লাইনে ট্রাফিক ও পাওয়ার ব্লকের প্রয়োজন থাকছে। এর ফলে ওই নির্দষ্ট সময়ে ওই লাইনে ট্রেন চলাচল নিয়ন্ত্রিত হবে। সেহেতু শনিবার যাত্রা সংক্ষিপ্ত হতে চলেছে একাধিক ট্রেনের। তার মধ্যে থাকছে বনগাঁ-শিয়ালদা লোকাল ও শিয়ালদা-বনগাঁ লোকাল। এই ট্রেনগুলি বারাসত পর্যন্ত আসবে ও সেখান থেকেই ছাড়বে। এছাড়া শনিবার বাতিল থাকছে একটি করে আপ ও ডাউন বনগাঁ-শিয়ালদা লোকাল ও হাসনাবাদ-শিয়ালদা লোকাল।


রবিবার বারাসতে সংক্ষিপ্ত যাত্রা শেষ হচ্ছে কিছু ট্রেনের। তার মধ্যে থাকছে বনগাঁ-শিয়ালদা, হাসনাবাদ-শিয়ালদা, হাবড়া-শিয়ালদা, বনগাঁ-মাঝেহাট এবং হাসনাবাদ-বিবাদী বাগ লোকাল। আবার এদিন বারাসত থেকে সংক্ষিপ্ত যাত্রা শুরু হচ্ছে বেশকিছু শিয়ালদা-বনগাঁ, শিয়ালদা-হাসনাবাদ , শিয়ালদা-হাবড়া, শিয়ালদা-গোবরডাঙা, মাঝেরহাট-দত্তপুকুর, শিয়ালদা-দত্তপুকুর ও মাঝেরহাট-হাসনাবাদ লোকালের। আবার রানাঘাটে সংক্ষিপ্ত যাত্রা শেষ হচ্ছে গেদে-মাঝেরহাট লোকালের।


এছাড়া রবিবার বাতিল থাকছে হাসনাবাদ-শিয়ালদা, বনগাঁ-শিয়ালদা, দত্তপুকুর-শিয়ালদা, লক্ষ্মীকান্তপুর-নামখানা, মাঝেরহাট-লক্ষ্মীকান্তপুর, বনগাঁ-মাঝেরহাট, হাবড়া-শিয়ালদা, বিবাদী বাগ-কৃষ্ণনগর সিটি, মাঝেরহাট-বারাসত, মাঝেরহাট-মধ্যমগ্রাম, বরাসত-বনগাঁর মতো কিছু লোকাল ট্রেনও। পাশাপাশি ৩০ তারিখ বন্ধন এক্সপ্রেস ও একটি ডাউন বনগাঁ শিয়ালদা লোকালের সময়সূচিতেও পরিবর্তন আনা হচ্ছে।


এদিকে রেলের কাজের জন্য বেশকিছু ট্রেন বাতিল থাকতে চলেছে দক্ষিণ পূর্ব রেলেও। বাতিল হতে চলেছে একগুচ্ছ লোকাল এবং দূরপাল্লার ট্রেন। একইসঙ্গে বেশকিছু ট্রেনের সময়সূচিতেও পরিবর্তন করা হচ্ছে। কিছু কিছু ট্রেন চলবে ঘুরপথেও। একইসঙ্গে কিছু ট্রেনের যাত্রাপথও সংক্ষিপ্ত করা হচ্ছে। দক্ষিণ পূর্ব রেলের আন্দুল স্টেশনে রেলের কাজের জন্যই ট্রেন চলাচলে এই পরিবর্তন আসতে চলেছে বলে জানা যাচ্ছে। এক্ষেত্রে আগামী ২৯ তারিখ শনিবার বাতিল থাকছে ২টি লোকাল ট্রেন। পরের দিন ৩০ তারিখ রবিবার বাতিল থাকছে ৬টি লোকাল ট্রেন। তারপর ১ জুলাই বাতিল করা হচ্ছে মোট ১৪টি লোকাল। ১৫টি লোকাল ট্রেন বাতিল থাকছে পরের দিন ২ জুলাই। ৩ জুলাই বাতিল করা হচ্ছে মোট ১৬টি লোকাল ট্রেন। ৪ জুলাইও লোকাল ট্রেন বাতিলের সংখ্যা মোট ১৬। ৫ জুলাই ৬২টি লোকাল ট্রেন বাতিল করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আর ৫/৬ জুলাই তারিখ বাতিল করা হচ্ছে ৭১টি লোকাল।


Card image cap

মুখ্যমন্ত্রীর কড়া বার্তার পরই তৎপর কলকাতা পুলিশ

সরকারি জমি জবরদখল রুখতে তৎপর খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্য জুড়ে সমীক্ষার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পরই তৎপর কলকাতা পুলিশ। হাতিবাগান, মানিকতলা, গড়িয়াহাট, নিউ মার্কেট, বড়বাজারে সমীক্ষা শুরু হয়েছে। এবং পার্কিংয়ের ক্ষেত্রেও সার্ভে শুরু হয়েছে। সমীক্ষার দায়িত্ব স্থানীয় থানার। পুরো প্রক্রিয়ার ভিডিওগ্রাফি করা হবে বলেই খবর।
সরকারি জমি দখল করে হকার বসেছে। বৃহস্পতিবার ফের একবার তা নিয়ে বৈঠকে বসেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই বৈঠক থেকেই হকারদের জন্য বিকল্প ভাবনার কথা জানান মুখ্যমন্ত্রী। মমতার নির্দেশ, ফুটপাথের একদিকে হকার বসতে পারে। কোন দিকে বা কোথায় হকার বসবে, তা সার্ভে করে ঠিক করে নিতে হবে। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে সার্ভে করতে হবে। এই জন্য একটা কমিটিও গড়ে দিয়েছেন। যেখানে রয়েছেন ফিরহাদ হাকিম, অরূপ বিশ্বাস, দেবাশিস কুমার, অতীন ঘোষ এবং মলয় ঘটক। পুলিশ থেকে কমিশনারদেরও এই কমিটিতে রাখা হবে। তাঁদের সার্ভের পাশাপাশি সমান্তরাল সার্ভে করবে হকার কমিটিগুলিও। তার পর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। সার্ভে হবে মূলত হাতিবাগান, কলকাতা কর্পোরেশনের সামনে, গ্র্যান্ড হোটেল চত্বর, নিউ মার্কেট-সহ মোট পাঁচটি এলাকায়। ওই নির্দেশিকার পরই সার্ভে শুরু করেছেন পুলিশ আধিকারিকরা।
হকার উচ্ছেদ চান না মুখ্যমন্ত্রী। হকারদের নিয়ে এদিন বিকল্প ভাবনার কথাই জানিয়েছেন তিনি। মমতা জানান, হকার জোন চিহ্নিত হওয়ার পর একটি বিল্ডিং তৈরি করা হবে সরকারের পক্ষ থেকে। যেখানে হকাররা মালপত্র রাখবেন। তাঁদের ইনসিওরেন্স করে দেবে সরকার। সেখানে দু-চারটে কাঠের ভ্যান রাখা হবে। যাতে স্টলে মালপত্র আনা নেওয়া করবেন হকাররা। তবে ফুটপাথে মালপত্র রাখা যাবে না। এমনকী, কয়েকটি এলাকায় বহুতল বানিয়ে সেখানে হকারদের জন্য সুব্যবস্থা করার কথাও জানান তিনি।

Card image cap

টানটান পর্বে ডাকাতির কিনারা

ডাকাতির পর একটিও ‘ক্লু’ অর্থাৎ সূত্র ছেড়ে যায়নি দুষ্কৃতীরা। ভরা ভোটের মরশুমে পুরুলিয়ার নদিয়াড়ায় ডাকাতির ঘটনার তদন্তভার হাতে পেয়ে কিনারা করতে নাকানিচোবানি খেতে হয়েছিল দুঁদে পুলিশ কর্তাদের। কিন্তু ওই, কথায় আছে – অপরাধ সংঘটিত করার পর অপরাধী কোনও না কোনও ক্লু ঠিক ফেলেই যাবে অকুস্থলে, যা তাদের ধরিয়ে দেবেই দেবে। এখানেই ঠিক তেমনই হল। ঘটনাস্থলের অদূরে ডাকাতদের ফেলে যাওয়া দুটি মদের বোতল ছিল সেই ক্লু। যার গায়ে থাকা কিউআর কোড স্ক্যান করে, প্রযুক্তির সাহায্য নিয়ে দেড় মাসের মাথায় তার কিনারা করে ফেলল পুরুলিয়া জেলা পুলিশ। ৬ জনকে গ্রেপ্তার করে তোলা হয় রঘুনাথপুর আদালতে। তাদের ১২ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
গত ৯ মে পুরুলিয়ার নদিয়াড়া গ্রামে এক ব্যবসায়ীর বাড়িতে নগদ, গয়না মিলিয়ে প্রায় ৩৫ লক্ষ টাকা ডাকাতি হয়। ডাকাতদল সিসিটিভির ডিভিআর পর্যন্ত নিয়ে চলে যায়। এই ঘটনার তদন্তে নেমে কোনও সূত্র খুঁজে পাচ্ছিল না পুলিশ। লোকসভা ভোটের মাঝে এমন অপরাধের ঘটনার কিনারা করতে বিশেষ তদন্তকারী দল গঠন করে পুরুলিয়ার পুলিশ। DSP পদমর্যাদার এক অফিসারকে মাথায় রেখে পুলিশ সুপারের নেতৃত্ব তৈরি হয় বিশেষ টিম। ছিলেন-এর সদস্যরাও। নদিয়াড়া গ্রামের অদূরে অর্থাৎ ঘটনাস্থল থেকে কিছুটা দূরে ব্র্যান্ডেড দুটি মদের বোতল উদ্ধার হয়। তাতে কিউআর কোড ছিল। দুঁদে তদন্তকারীরা সেই কিউআর কোডকে হাতিয়ার করেই তদন্তে নামেন।
সিটের প্রধান পুলিশ সুপার অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে পুরো অপারেশনটি হয়। মদের বোতলের কিউআর কোড স্ক্যান করে কিছু সংখ্যা পাওয়া যায়। সেই সংখ্যা খতিয়ে দেখে কোথা থেকে মদের বোতলগুলি বিক্রি হয়েছে, তা বোঝা যায়। এর পর জেলা আবগারি দপ্তরের সঙ্গে যোগাযোগ করে SIT। মদ সরবরাহকারীর খোঁজ শুরু হয়। ডিসট্রিবিউটরের তরফে কোন অফ শপে ওই মদের বোতল পৌঁছেছে। তাতে জানা যায়, পুরুলিয়ার মফস্বল থানার চাষমোড়ের দোকানে দুটি মদের বোতল বিক্রির জন্য আসে। কবে বিক্রি হয়েছিল, সেসব তথ্য সংগ্রহ করেন তদন্তকারীরা। জোগাড় করা হয় ওই দোকানের সিসিটিভি ফুটেজও। তা দেখে ক্রেতা তথা দুষ্কৃতীদের চিহ্নিত করা হয়। প্রযুক্তির সাহায্য নিয়ে আরও বেশ কিছু তথ্য হাতে পায়। সেসবের সূত্র ধরেই নদিয়াড়ায় ডাকাতির ঘটনার কিনারা হয়।

Card image cap

হৃদরোগে মৃত্যু ৩০ বছরের ব্যাঙ্ক ম্যানেজারের!

ফের হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে আকস্মিক মৃত্যুর ঘটনা। এবার ল্যাপটপে কাজ করতে করতে মৃত্যু হল উত্তরপ্রদেশের  এক ব্যাঙ্ক ম্যানেজারের। হঠাৎ নিজের চেয়ারে নেতিয়ে পড়েন তিনি। পাশেই ছিলেন সহকর্মীরা। তাঁরা হঠাৎ খেয়াল করেন, গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছেন ম্যানেজার।


বুক ডলে, মুখেচোখে জল ছিটিয়ে তাঁকে সুস্থ করার চেষ্টা হলেও বাঁচানো যায়নি। ভাইরাল হওয়া ব্যাঙ্কের সিসিটিভি ফুটেজে মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনা ধরা পড়েছে। যে দেখে আঁতকে উঠছে নেটদুনিয়া।


উত্তরপ্রদেশের মাহবার এইচডিএফসি ব্যাঙ্কের জেনারেল ম্যানেজার ৩০ বছরের রাজেশ কুমার শিন্ডে। প্রকাশ্যে আসা ভিডিও ফুটেজটি গত ১৯ জুনের। সেখানে দেখা গিয়েছে, পাশাপাশি চেয়ারে বসে কাজ করছেন ব্যাঙ্কের চার জন কর্মী। তাঁদের মধ্যে রাজেশও রয়েছেন। হঠাৎ বুকে হাত ঘষতে দেখা যায় তাঁকে। কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে চেয়ারে এলিয়ে পড়েন। তখনই রাজেশের ডান দিকে বসা সহকর্মীর নজরে আসে বিষয়টি। তিনি বুক ডলতে শুরু করেন সঙ্গীর। আরেক কর্মী অনভ্যস্ত হাতে সিপিআর দেওয়ার চেষ্টা করেন। অন্যরা চোখেমুখে জলের ছিটে দেন। যদিও এক সময় চেয়ারে একেবারে নেতিয়ে পড়েন রাজেশ। এর পর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। যদিও চিকিৎসকরা জানান, ইতিমধ্যে মৃত্যু হয়েছে ওই ব্যাঙ্ককর্মীর।


প্রসঙ্গত, কোভিড পরবর্তী সময়ে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে আকস্মিক মৃত্যুর ঘটনা বাড়ছে। বিয়ে বাড়িতে, মঞ্চে নাচতে নাচতে, জিম করতে করতে, খেলার মাঠে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে একাধিক মৃত্যুর ঘটনা সামনে এসেছে। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের বক্তব্য, কোভিড তো আছেই, এছাড়াও ব্যস্ত জীবনে খাওয়া এবং ঘুম সংক্রান্ত অনিয়ম বিপদ ডেকে আনছে। মানসিক চাপও অন্যতম কারণ। এর সঙ্গে পর্যাপ্ত না ঘুমোনো এবং ক্রমাগত বাইরের ঝাল-মসলাদার খাদ্যগ্রহণের বদভ্যাস প্রাণ কাড়ছে কম বয়সিদের।

Card image cap

আবহাওয়ায় বদল? দক্ষিণবঙ্গের সব জেলায় ঝোড়ো হাওয়া-বৃষ্টির পূর্বাভাস

খাতায় কলমে বর্ষা ঢুকলেও দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির দেখা নেই। এই পরিস্থিতিতে অবশেষে সুখবর শোনালো আলিপুর আবহাওয়া দফতর। দক্ষিণবঙ্গের হলদিয়া পর্যন্ত ঢুকে পড়েছে বর্ষা । জুন মাসের মধ্যে বাকি অংশ ঢুকে পড়বে বলে অনুমান আবহাওয়াবিদদের।


দক্ষিণবঙ্গের উপকূল ও পূর্ব দিকের জেলায় ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস। সপ্তাহের শেষে বৃষ্টির তীব্রতা কমতে পারে উত্তরবঙ্গে। ওপরের পাঁচ জেলাতেই বিক্ষিপ্তভাবে ভারী বৃষ্টি চলবে। আজ থেকে বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা ক্রমশ বাড়বে দক্ষিণবঙ্গে। 


আজ থেকে মেঘলা আকাশ। দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির সম্ভাবনা ক্রমশ বাড়বে। বৃষ্টি না হলে সেখানে আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি থাকবে। শুধুমাত্র জলীয় বাষ্প বেশি থাকার কারণে আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি হবে। কলকাতা ও সংলগ্ন জেলা গুলিতে এই অস্বস্তি বেশি হবে। 


আজ ও কাল দক্ষিণবঙ্গের সব জেলাতেই বৃষ্টি চলবে সপ্তাহ জুড়ে। বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টির সঙ্গে ৩০ থেকে ৫০ কিলোমিটার দমকা ঝড়ো হওয়ার সর্তকতা। সঙ্গে বজ্রপাতের আশঙ্কা থাকবে। শুক্রবার থেকে আবহাওয়ার পরিবর্তন। বৃষ্টির সম্ভাবনা বাড়বে। শনিবার ও রবিবার দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে বৃষ্টির সম্ভাবনা। বিক্ষিপ্তভাবে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা দক্ষিণবঙ্গের বেশ কিছু জেলাতে। ভারী বৃষ্টি হতে পারে উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, নদিয়া ও মুর্শিদাবাদে।


আজ মূলত মেঘলা আকাশ থাকবে। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের তরফে বলা হয়েছে বজ্রবিদ্যুৎ সহ হালকা মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। শনিবার ও রবিবার বৃষ্টির সম্ভাবনা বাড়বে। বাতাসে জলীয়বাষ্পের পরিমাণ বেশি। বৃষ্টি না হলে আর্দ্রতা জনিত অস্বস্তি থাকবে। আজ সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৯.২ ডিগ্রি। গতকাল সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৫.৪ ডিগ্রি। বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ ৫৪ থেকে ৮৭ শতাংশ। 


উত্তরবঙ্গের আবহাওয়া


উত্তরবঙ্গের উপরের দিকের পাঁচ জেলায় ভারী বৃষ্টি চলবে। জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি জেলাতে ভারী বৃষ্টি চলবে। মালদা উত্তর দক্ষিণ দিনাজপুরেও বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টির সতর্কতা। আগামী কয়েক দিন মালদা ও দিনাজপুরে বৃষ্টির সম্ভাবনা কমবে। শনিবার দিনাজপুরে ভারী বৃষ্টি সম্ভাবনা।


Card image cap

শ্রীঘরে ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ির তৃণমূল নেতা

মুখ্যমন্ত্রীর কড়া বার্তার পরই তৎপর প্রশাসন। সরকারি জমি বেচাকেনার সঙ্গে জড়িত থাকার সন্দেহে গ্রেপ্তার তৃণমূল নেতা। ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ি এলাকার তৃণমূলের ব্লক সভাপতি তথা জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদের প্রাক্তন কর্মাধ‌্যক্ষ দেবাশিস প্রামাণিককে গ্রেপ্তার করল পুলিশ। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার ফুলবাড়ির ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় দেবাশিসবাবুর বাড়িতে যায় পুলিশের দুটি দল। তাঁদের মধ্যে একদল সাদা পোশাকের। এছাড়া নিউ জলপাইগুড়ি থানার পুলিশও তাঁর বাড়ি গিয়েছিল।
দেবাশিসবাবুকে জানানো হয়, শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনার সি সুধাকর তাঁকে তলব করেছেন। পুলিশের এই বার্তা পেয়ে এক মুহূর্তও বিলম্ব করেননি তিনি। পুলিশের গাড়িতে চেপেই তিনি যান। জানা গিয়েছে, রাতে শিলিগুড়ি থানায় তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয়।
শিলিগুড়ি থানায় তৃণমূল নেতা দেবাশিস প্রামাণিক
অন‌্যদিকে এই খবর চাউর হতেই ফুলবাড়ি এলাকার তৃণমূলের বিভিন্ন সংগঠনের নেতা-কর্মীরা নিউ জলপাইগুড়ি থানায় জড়ো হন। থানা চত্বরে বাড়তি নিরাপত্তার বন্দোবস্ত করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি বেশ থমথমে।
উল্লেখ্য, সোমবারের বৈঠকে সরকারি জমি জবরদখল নিয়ে কড়া বার্তা দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৈরি করে দেন কমিটি। দখলদারি রুখতে মঙ্গলবার নবান্নের তরফে প্রত্যেক জেলায় পাঠানো হয় নির্দেশিকা। ওই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে,
১. BLRO, DLRO অফিসের সামনে দালাল চক্রের ঘোরাফেরা বন্ধ করতে হবে।
২. সরকারি জমিতে সাইনবোর্ড লাগাতে হবে।
৩. সাইনবোর্ডে লিখতে হবে ‘এই জমির মালিক রাজ্য সরকার।’
৪. কিছুদিন অন্তর অন্তর নিয়মিত সরকারি জমি পরিদর্শন করতে হবে আধিকারিকদের।
৫. পরিদর্শনের সময় প্রতিনিয়ত জমি ও জলাশয়ের ছবি বিভিন্ন অ্যাঙ্গল থেকে তুলে রাখতে হবে।
এই নির্দেশিকার পরই নড়েচড়ে বসল প্রশাসন। গ্রেপ্তার তৃণমূল নেতা। তাঁর বিরুদ্ধে সরকারি জমি দখলের পাশাপাশি জাল নথিপত্র তৈরি এবং খুনের চেষ্টার মতো গুরুতর অভিযোগও রয়েছে। 

Card image cap

১ জুলাই সরকারি কর্মীদের অর্ধদিবস ছুটি ঘোষণা

আগামী ১ জুলাই, সোমবার রাজ্যের সরকারি অফিসগুলিতে অর্ধদিবস ছুটির ঘোষণা। বুধবার অর্ধদিবস ছুটির ব্যাপারে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে নবান্ন। আগামী ১ জুলাই রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিধানচন্দ্র রায়ের জন্মদিবস। প্রত্যেক বছর এই দিনটি রাজ্যে ‘ডক্টর দিবস’ হিসেবে পালন করা হয়। সেই উপলক্ষ্যেই বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে , সোমবার দুপুর ২ টোর পর সমস্ত রাজ্যসরকারি অফিস বন্ধ হয়ে যাবে। তবে, কলকাতা রেজিস্ট্রার অফ অ্যাসিওরেন্স ও কলকাতা কালেক্টর অফ স্ট্যাম্প রেভিনিউ অফিস পুরো দিনই খোলা থাকবে।


ছুটির এই সিদ্ধান্তে স্বাভাবিকভাবেই খুশি সরকারি কর্মীরা। রবিবারের পরেই সোমবার সপ্তাহের শুরুর দিনেই একটি অর্ধদিবস পাচ্ছেন তাঁরা। স্বাভাবিকভাবেই, সোমবার বেশ খানিকটা আগেই বাড়ি ফেরার সুযোগ পাচ্ছেন সরকারি কর্মীরা। অনেকটা সময়েই পরিবার, পরিজনদের সঙ্গে সময় কাটানোর সুযোগ পাবেন তাঁরা।


সরকারের তরফে প্রকাশিত ক্যালেন্ডার অনুসারে, ২০২৪ সালে মোট ৪৫ দিনের পূর্ণ দিবস ছুটি পাচ্ছেন রাজ্য সরকারি কর্মী, স্কুল কালজের ছাত্র- ছাত্রীর। রাজ্য সরকারের ২০২৪ -এর ছুটির তালিকা অনুযায়ী এ বছর পুজোর ছুটি শুরু হয়ে যাবে চতুর্থী থেকেই। ছুটি কাটিয়ে কাজ শুরু হবে ১৯ অক্টোবর থেকে। মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা করা নয়া দুই সরকারি ছুটিও অন্তর্ভুক্ত হয়েছে ক্যালেন্ডারে।


তবে, এই নির্ধারিত ছুটির পাশাপাশি অর্ধদিবস ছুটি থাকছে আগামী ১ জুলাই। জামাইষষ্ঠীর দিনেও অর্ধদিবস ছুটি পান সরকারি কর্মচারীরা। সেইমতো, অন্যান্য বছরেও ১ জুলাই বিধান চন্দ্র রায়ের জন্মবার্ষিকীতে অর্ধ দিবস ছুটির বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়ে থাকে। এবারেও সেই অর্ধ দিবস ছুটির কথা আগে থেকেই জানিয়ে দিল নবান্ন। সরকারি ছুটির ক্যালেন্ডার অনুযায়ী এই জুলাই মাসে আগামী ১৭ জুলাই মহরমের জন্যেও একটি ছুটি পাবেন রাজ্যের সরকারি কর্মচারীরা। জুন-জুলাই মাস সরকারি ছুটির সংখ্যা কম থাকে। সেক্ষেত্রে, সোমবার এই অর্ধ দিবস ছুটি সরকারি কর্মচারীদের বাড়তি পাওনা বলেই মনে করা হচ্ছে।


Card image cap

150 শূন্যপদ পূরণের পথে SBI

স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ায় চাকরি করতে চান? তাহলে আর দেরি না করে জমা দিন দরখাস্ত। চলতি সপ্তাহের বৃহস্পতিবার 27 জুন শেষ হচ্ছে সেই সময়সীমা। কারা করতে পারবেন আবেদন? লাগবে কী কী শিক্ষাগত যোগ্যতা? এই সময় ডিজিটালের এই প্রতিবেদনে রইল তার হদিশ...


বর্তমানে দেশের সবচেয়ে বড় সরকারি ব্যাঙ্ক হল এসবিআই। গত 7 জুন, নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি জারি করে এই আর্থিক প্রতিষ্ঠান। সেখানে বলা হয়েছে, মোট 150 শূন্যপদে হবে দেওয়া হবে চাকরি। পোস্টিং মিলবে মূলত কলকাতা ও হায়দরাবাদে। তবে প্রয়োজনে দেশের অন্যত্র যেতে হতে পারে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।


এসবিআই জানিয়েছে, ট্রেড ফিন্যান্স অফিসার হিসেবে স্পেশালিস্ট ক্যাডারে যোগ্য প্রার্থীদের নিয়োগ করা হবে। মিডল ম্যানেজমেন্ট স্কেলের গ্রেড 2 স্তরে হবে পোস্টিং। 150 শূন্যপদের মধ্যে সংরক্ষিত ও অসংরক্ষিতদের জন্য কতগুলি আসন রয়েছে, তা নীচের চার্টে তুলে দেওয়া হল...


সংশ্লিষ্ট পোস্টে যে কোনও স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক উত্তীর্ণরা আবেদন করতে পারবেন। তবে প্রার্থীর আইআইবিএফের অধীনে ফরেক্স সার্টিফিকেট থাকতে হবে। এছাড়া যাঁদের সিডিসিএস শংসাপত্র রয়েছে, তাঁদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।


এতে আবেদনের জন্য প্রয়োজন পেশাগত দক্ষতার। ফলে বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কে ট্রেড ফিন্যান্স প্রসেসিং বিভাগে ন্যূনতম 2 বছরের কাজের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। উল্লেখ্য, এই পদে স্থায়ীভাবে নিয়োগ করবে না স্টেট ব্যাঙ্ক। 6 মাসের প্রবেশন পিরিয়ডে করতে হবে কাজ।


প্রসঙ্গত, এতে চাকরিপ্রাপক প্রতি মাসে পারিশ্রমিক বাবদ পাবেন 48,170 টাকা। এছাড়া ডিএ, এইচআরএ, সিসিএ, পিএফ ও মেডিক্যাল ইনস্যুরেন্স দেওয়া হবে। এব্যাপারে বিস্তারিত তথ্যের জন্য মূল বিজ্ঞপ্তিতে রাখতে হবে চোখ।


আগ্রহী প্রার্থীদের অনলাইনে আবেদনের জন্য এসবিআইয়ের অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে লগ ইন করতে বলা হয়েছে। সেখানেই মিলবে আবেদনের লিঙ্ক। যাতে ক্লিক করে আবেদনপত্র পূরণ করতে পারবেন তাঁরা। সংশ্লিষ্ট পদের জন্যে কোনও লিখিত পরীক্ষা নেবে না এসবিআই। আবেদনকারী মধ্যে থেকে বেশ কয়েকজনকে ডাকা হবে ইন্টারভিউয়ের জন্য। সেখানেই হবে চূড়ান্ত প্রার্থী নির্বাচন। ইন্টারভিউয়ের দিনক্ষণ এখনও ঘোষণা করেনি স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার কর্তা-ব্যক্তিরা।