CATEGORY state:

Card image cap

কালীঘাটে এসে পৌঁছল অম্বানিদের বিয়ের কার্ড

রিল্যায়েন্স কর্তার ছোট ছেলের বিয়ে উপলক্ষ্যে এই মুহূর্তে সেজে উঠেছে মায়ানগরী মুম্বই। দেশ বিদেশের একাধিক তারকা যোগ দিয়েছেন সেই অনুষ্ঠানে। জানা যাচ্ছে, অনন্ত-রাধিকার রিসেপশনে উপস্থিত থাকতে পারেন খোদ প্রধানমন্ত্রী। এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ার ও শিবসেনা প্রধান উদ্ভব ঠাকরেও সহ দেশের নানান প্রান্তের একাধিক রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বর সেখানে উপস্থিত থাকার কথা।


সেই তালিকায় রয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামও।


জানা যাচ্ছে, মমতার সঙ্গে বেশ কয়েকজনের বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। শরদ-উদ্ভবের পাশাপাশি সমাজবাদী পার্টির নেতা অখিলেশ যাদবের সঙ্গেও মমতার বৈঠক নিয়ে আলোচনা চলছে বলে খবর। মুম্বই গিয়ে উদ্ভব ঠাকরের পাশাপাশি শরদ পাওয়ারের সঙ্গেও দেখা করতে পারেন তৃণমূল সুপ্রিমো। নবান্ন সূত্রে জানা যাচ্ছে, আগামী ১১ তারিখ সন্ধ্যাবেলাতেই উদ্ভব ঠাকরের সঙ্গে দেখা করতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী। 


অর্থাৎ শুধুমাত্র অম্বানির ছেলের বিয়েতে যোগ দেওয়াই নয়, রাজনৈতিকভাবেও মমতার এই মুম্বই সফর তাৎপর্যপূর্ণ হতে চলেছে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।


আগামী ১১ জুলাই দুপুরে মুম্বইয়ের উদ্দেশে রওনা দেবেন মমতা। ১২ তারিখ মুকেশ-পুত্রের বিয়ের অনুষ্ঠানে উপস্থিত হবেন তৃণমূল সুপ্রিমো। সেদিন বিকেলেই বান্দ্রা-কুরলা কমপ্লেক্স স্থিত জিও সেন্টারে অনন্ত-আধিকার বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার কথা আছে মমতার। সেদিনই বিয়ের অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার কথা আছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীরও। 


নবান্ন সূত্রে জানা যাচ্ছে, সফরসূচি অনুযায়ী, আগামী ১১ তারিখ মুম্বই পৌঁছে বান্দ্রা-কুরলা কমপ্লেক্সের টাইডেন্ট হোটেলে উঠবেন মুখ্যমন্ত্রী। পরের দিন অর্থাৎ ১২ তারিখ একাধিক বৈঠক করার কথা রয়েছে তাঁর। এরপর ১৩ তারিখ সন্ধ্যাবেলায় কলকাতা ফিরে আসবেন।

Card image cap

মিছিলে তখন হাঁটছেন শুভেন্দু-সুকান্ত, অভিযোেগ হঠাৎ এসে পড়ল ডিম

আগামী ১০ তারিখ রয়েছে উপনির্বাচন। আর উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জের শেষ দিনের প্রচারে গিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ও বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। অভিযোগ, বিজেপির সেই মিছিলে কেউ বা কারা ছুঁড়েছে ডিম। সুকান্ত-শুভেন্দুদের দাবি, তৃণমূলেরই লোকজন এই কাণ্ড ঘটিয়েছে।


যদিও, গোটা অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছে তৃণমূল।


এ দিন, দুপুরে শুরু হয় শিলিগুড়ি মোড় থেকে শুরু হয় বিজেপি-র মিছিল। রায়গঞ্জের বিজেপি প্রার্থী মানস ঘোষের সমর্থনে সেই মিছিলে উপস্থিত ছিলেন সুকান্ত-শুভেন্দুরা। অভিযোগ, মিছিলটি শিলিগুড়ি মোড়ে যেতেই একটি বাড়ির ছাদ থেকে তাঁদের লক্ষ্য় করে ডিম ছোড়া হয়।


এ প্রসঙ্গে সুকান্ত মজুমদার বলেন, “ভাইপো বাহিনীর কাজ। পিসির লোকেদের কাজ। কাপুরুষের মতো আচরণ। লড়াই করার ইচ্ছা থাকলে সামনে এসে লড়াই করুন। ছাদ থেকে লুকিয়ে ডিম মারা হচ্ছে আমাদের নেতৃত্বের দিকে। এটা রায়গঞ্জের সংস্কৃতি নয়। আমি তো এখানকার মানুষ। কোনও দিন এই সংস্কৃতি দেখিনি। এই জঘন্য সংস্কৃতি ভাইপোর লোকেরা আমদানি করেছে।” অপরদিকে, শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “এই রায়গঞ্জ ভোটের মিছিলে এর জবাব দেবে। এটা কোনও আক্রমণ নয়। দেউলিয়া রাজনীতির নিকৃষ্ট পরিচয়। এটা তৃণমূলের মতো নোংরা দলের পক্ষেই সম্ভব।”


জেলা তৃণমূলের মুখপাত্র সন্দীপ বিশ্বাস বলেন, “এটা ষড়যন্ত্র। এর তদন্ত করতে বলব পুলিশ ও নির্বাচন কমিশনকে। যখন ওরা দেখছে এই আসনে জয়ী হবেন কৃষ্ণ কল্যাণী, সেই সময় নির্বাচন প্রক্রিয়ায় বিঘ্ন ঘটাতে ওরা এই ষড়যন্ত্র করছে।”

Card image cap

নতুন বিচারপতিরা আসছেন কলকাতা হাইকোর্টে

নতুন বিচারপতি যোগ দিচ্ছেন কলকাতা হাইকোর্টে? এই জল্পনাই এখন তুঙ্গে। বর্তমানে কলকাতা হাইকোর্টে হাইকোর্টে  অনুমোদিত ৭২টি বিচারপতি পদের মধ্যে বর্তমানে ২৭টি ফাঁকা রয়েছে। ছ'বছর পর এবার সম্প্রতি বিচারপতি পদে ৮ আইনজীবীর নাম দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্টে পাঠিয়েছে কলেজিয়াম।


নতুন বিচারপতিরা আসছেন কলকাতা হাইকোর্টে ?


হাইকোর্ট মারফত পাঠানো নাম নিয়ে সুপ্রিম কোর্ট কী সিদ্ধান্ত নেয়, আট জনার মধ্যে কত জনকে ছাড়পত্র দেওয়া হয় সেই নিয়েই এখন জল্পনা প্রবল।

নিয়ম মতো, তিন রকম ভাবে হাইকোর্টে বিচারপতি পদে নিয়োগ হয়। প্রথমত লোয়ার জুডিশিয়ারি ও হায়ার জুডিশিয়ারি থেকে প্রোমোশন পেয়ে হাইকোর্টের বিচারপতি পদে আসা যায়। সেক্ষেত্রে নিয়োগ করা হতে পারে ২৪ জনকে। ৭২টির মধ্যে বাকি ৪৮টি পদে সরাসরি বার থেকে আইনজীবীদের নাম সুপারিশের মাধ্যমে নিয়োগ হয়। সেই নিয়োগ করে কলেজিয়াম।


সূত্রের খবর অনুযায়ী, বর্তমানে নিম্ন আদালত থেকে পদোন্নতি হয়ে হওয়ার সব পদই প্রায় ফুল রয়েছে। খালি রয়েছে আইনজীবীদের নাম সুপারিশের মাধ্যমে নিয়োগ। গত ছ'বছর ধরে এই নিয়ে টালবাহানা চলছেই। আইনজীবী থেকে বিচারপতি পদের জন্যে নাম পাঠানোর ক্ষেত্রে হাইকোর্টের ভূমিকায় কার্যত বিরক্ত প্রবীণ আইনজীবীরাও।


ওদিকে শেষ বার হাইকোর্ট ৯ জন আইনজীবীদের নাম পাঠালেও তাদের মধ্যে মাত্র দু'টিতে সুপ্রিম কোর্টের কলেজিয়াম শীলমোহর দিয়েছিল। তবে ২০১৮-র ডিসেম্বরে পাঠানো সেই দুই নামও এখনও ফাইলবন্দি হয়ে পড়ে রয়েছে কেন্দ্রের আইন মন্ত্রকে। আবার কিছু ক্ষেত্রে হাইকোর্ট  বারংবার একই নাম সুপারিশ করলেও কেন্দ্র প্ৰতিবারই ফিরিয়ে দিয়েছে।


জানা গিয়েছে সম্প্রতি যে ৮ আইনজীবীদের নাম সর্বোচ্চ আদালতে পাঠানো হয়েছে, তারা ১৯৯৩ সাল থেকে ২০০৩ সালের মধ্যে আইনজীবী হিসেবে কাজে নিযুক্ত হয়েছিলেন। হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম, বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায় এবং অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি চিত্তরঞ্জন দাসকে নিয়ে গড়া তিন সদস্যের কলেজিয়াম এই ৮ নাম পাঠিয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। যদিও কার কার নাম পাঠানো হয়েছে সেই বিষয়ে কিছু জানা যায়নি। এবার এদের মধ্যে কারা চূড়ান্ত হন সেটাই দেখার।

Card image cap

NEET-UG কাণ্ডে সুপ্রিম ভর্ৎসনা কেন্দ্রকে

প্রশ্নফাঁসের জেরে বাতিল হবে নিট-ইউজি? সোমবার তা নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়নি সুপ্রিম কোর্ট। তবে প্রশ্নফাঁস নিয়ে কেন্দ্র এবং এনটিএ-র কাছে বিস্তারিত তথ্য় তলব করল শীর্ষ আদালত। কেন্দ্রের অস্বস্তি বাড়িয়ে প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের প্রশ্নবাণ, প্রশ্নফাঁস হয়েছে তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। এর ব্যপ্তি কতটা তা জানতে হবে? কতজন পরীক্ষার্থী এর সুবিধা পেয়েছে? তাঁদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে? একইসঙ্গে কেন্দ্রকে ভর্ৎসনা করে তাঁর পর্যবেক্ষণ, "আগে থেকেই বলবেন না যে কিছু হয়নি।"NEET-UG অর্থাৎ সর্বভারতীয় অভিন্ন মেডিক্যাল প্রবেশিকা পরীক্ষা। ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে প্রতি বছর কয়েক লক্ষ পরীক্ষার্থী নিজেদের সেরাটা উজাড় করে দেন এই পরীক্ষার পিছনে। অথচ সেই পরীক্ষাতেই বিরাট কেলেঙ্কারি অভিযোগ উঠেছে। প্রশ্নফাঁস হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে পরীক্ষা বাতিল করে পুনরায় পরীক্ষার দাবিতে সুপ্রিম কোর্টে একাধিক আবেদন জমা পড়েছে। এদিন সেই সমস্ত আবেদনের শুনানি ছিল। প্রশ্নফাঁস মেনে নিয়েও শীর্ষ আদালতে কেন্দ্র জানিয়েছিল, খুব ব্যাপক আকারে প্রশ্নফাঁস হয়নি। এদিন কেন্দ্রের সেই দাবিকে কার্যত উড়িয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট। সাফ জানিয়ে দিল, "আগে থেকেই বলবেন না যে কিছু হয়নি।"পরীক্ষার আয়োজক ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সির কাছে পরীক্ষা সংক্রান্ত সমস্ত খুঁটিনাটি তথ্য তলব করেছে সুপ্রিম কোর্ট। মূলত তিনটি বিষয় তাদের কাছে জানতে চেয়েছে আদালত। এক, কীভাবে প্রশ্নফাঁস হল? দুই. কোন এলাকায় প্রশ্নফাঁস হয়েছে? তিন, প্রশ্নফাঁস ও পরীক্ষার মাঝের সময়ের ব্যবধান কত? বুধবার বিকেল পাঁচটার মধ্যে কেন্দ্র, এনটিএ ও হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি। পরবর্তী শুনানি ১১ জুলাই। এদিন আদালতে কেন্দ্র জানিয়েছে, ইতিমধ্যে প্রশ্নফাঁসের তদন্ত শুরু করেছে সিবিআই। ৬টি এফআইআর হয়েছে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই কেন্দ্রীয় তদন্তকারীদের হলফনামা জমা করতে হবে।এদিনের শুনানি চলাকালীন প্রধান বিচারপতি জানতে চান, কোথায় প্রশ্নপত্র তৈরি হয়েছিল? এনটিএ জানায়, দিল্লিতে প্রশ্নপত্র তৈরি হয়েছিল। গত ৫ মে অর্থাৎ পরীক্ষার দিন সকাল সাড়ে দশটা থেকে ১১টার মধ্যে প্রশ্নপত্র খোলা হয়েছিল। আবেদনকারীদের আইনজীবীর দাবি, টেলিগ্রাম অ্য়াপ মারফত প্রশ্নফাঁস হয়েছিল। প্রধান বিচারপতির আশঙ্কা, সত্যিই যদি তাই হয়ে থাকে, তাহলে বড় আকারে প্রশ্নফাঁসের ঘটনা ঘটেছে।  

Card image cap

ভয়ঙ্কর বিপর্যয়ের মুখে উত্তরের ৫ জেলা

রবিবার রাত থেকে সোমবার দুপুর পর্যন্ত বৃষ্টির ছন্দপতন হয়েছে ঠিকই, স্বস্তি ফেরেনি। উলটে উদ্বেগ সপ্তমে। একদিকে নদীর জলস্তর কমতে বেড়েছে ভাঙনের বিপদ। জলদাপাড়ার তোর্সা এবং শিসামারা উপচে পড়েছে। কোথাও বনের রাস্তা ভেসেছে। অনেক নজর মিনারে খাবার ও জল নৌকায় পৌঁছে দিতে হচ্ছে। অন্যদিকে সক্রিয় মৌসুমি বায়ু এবং ঘূর্ণাবর্তের যুগলবন্দিতে চলতি সপ্তাহে উত্তরের শিয়রে ঘোরতর দুর্যোগের বিপদ অপেক্ষায়। তাই উদ্বেগ কাটবে আপাতত তেমন লক্ষণ নেই।ভয়ঙ্কর বিপর্যের মুখোমুখি হতে পারে উত্তরের পাহাড়-সমতলে পাঁচ জেলা। সোমবার এমনই আভাস মিলেছে ভারত ও ভুটানের আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে। জানা গিয়েছে, বুধবার থেকে দার্জিলিং পাহাড়, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহারে ২০০ মিলিমিটার থেকে তারও বেশি বৃষ্টির সম্ভাবনা প্রবল। 'লাল' এবং 'কমলা' সতর্কতা জারি হয়েছে জেলাগুলোতে। তুমুল বৃষ্টিপাতের জন্য এখানে হতে পারে ব্যাপক হড়পা বান এবং ভূমিধসের বিপর্যয়। বিপদের সম্ভাবনা আরও তীব্র হয়েছে ভুটানের আবহাওয়া দপ্তর 'ন্যাশনাল সেন্টার ফর হাইড্রোলজি অ্যান্ড মেট্রোলজি' থেকেও দক্ষিণ ভুটানে ২০০ মিলিমিটারের বেশি ভারী থেকে অতিভারী বর্ষণ এবং হড়পা বান ও ভূমিধসের সতর্কতা জারি করায়।আবহাওয়া দপ্তরের কর্তারা জানিয়েছেন, দক্ষিণ ভুটানের জলে বিধ্বস্ত হতে পারে ডুয়ার্সের হাসিমারা, কালচিনি, বক্সা ও জলদাপাড়া জঙ্গল এলাকা, আলিপুরদুয়ার শহর এবং কোচবিহার জেলা। একই সময়ে উত্তর সিকিমেও অতিভারী বর্ষণের সম্ভাবনা থাকায় ফের বিধ্বংসী হয়ে উঠতে পারে তিস্তা। সিকিমের পাশাপাশি বিপন্ন হতে পারে জলপাইগুড়ি ও কালিম্পং জেলা। ইতিমধ্যে নদীর জলস্তর নামতে ভাঙনের বিপদের মুখে কোচবিহার জেলার বিস্তীর্ণ এলাকা। ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তুফানগঞ্জ ২ নম্বর ব্লকের লাঙ্গল গ্রাম বেগারখাতায এলাকায়। একমাত্র রাস্তা রায়ডাক নদীর জলস্তরে ভেঙেছে। প্রায় দুই শতাধিক পরিবার আশ্রয় নিয়েছে ত্রাণ শিবিরে। লাগাতার ভাঙনের কবলে প্রস্থ তুফানগঞ্জের কৃষ্ণপুর, দিনহাটার গীতালদহ, ওকরাবাড়ির মতো এলাকা। পরিস্থিতি সামাল দিতে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় ১১টি এলাকায় কাজ শুরু করেছে সেচদপ্তর। কিন্তু সেখানেও বুধবার থেকে কী পরিস্থিতি দাঁড়ায় সেই চিন্তায় ঘুম উড়েছে সেচ দপ্তর এবং জেলা প্রশাসনের কর্তাদের।

কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দপ্তরের সিকিম কেন্দ্রের অধিকর্তা গোপীনাথ রাহা বলেন, "উত্তরের পাহাড়-সমতলের পাঁচ জেলায় ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণের সম্ভাবনা রয়েছে। সেখানে কমলা ও লাল সতর্কতা জারি হয়েছে। মঙ্গলবার রাত থেকে বৃষ্টিপাতের তীব্রতা বাড়বে।" আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, দার্জিলিং পাহাড়ে অতিভারী বর্ষণের 'কমলা' সতর্কতা জারি হয়েছে ১০ এবং ১২ জুলাই। মাঝে ১১ জুলাই রয়েছে অতিরিক্ত ভারী বর্ষণের 'লাল' সতর্কতা। জলপাইগুড়িতে ১০ জুলাই থেকে ১২ জুলাই রয়েছে অতিভারী বর্ষণের 'কমলা' সতর্কতা। আলিপুরদুয়ারে বৃষ্টিপাতের তীব্রতা বেশি থাকতে পারে। এখানে ১০ এবং ১১ জুলাই অতিরিক্ত ভারী বর্ষণের 'লাল' সতর্কতা জারি হয়েছে। ১২ জুলাই থাকবে অতিভারী বর্ষণের 'কমলা' সতর্কতা। 

Card image cap

অবশেষে বাংলায় অমিত শাহের খেলা শুরু!

এতদিন এই রাজ্যের পুলিশের বিরুদ্ধে বহু অভিযোগ ছিল। কিন্তু সেভাবে কেন্দ্রের কাছে দরবার করলেও, তারা সেরকম কোনো পদক্ষেপ নেয়নি, যার ফলে খুশি হতে পারে বাংলার মানুষ। কিন্তু এবার কি কেন্দ্রের হুঁশ ফিরেছে? এবার কিছুটা হলেও কি তারা রাজ্যপালের অভিযোগের পর পদক্ষেপ নিতে শুরু করেছে এই রাজ্যের ফ্যাসিস্ট পুলিশের বিরুদ্ধে?


বিশেষ সূত্র মারফত কিন্তু তেমনটাই খবর পাওয়া যাচ্ছে।


প্রসঙ্গত, বেশ কিছুদিন আগেই কলকাতা পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল এবং ডেপুটি পুলিশ কমিশনার ইন্দিরা মুখোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে রাজ্যপাল পদকে কলঙ্কিত করার অভিযোগ এনেছিলেন স্বয়ং রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। এমনকি এই ব্যাপারে কেন্দ্রের কাছেও লিখেছিলেন তিনি। আর তার পরিপ্রেক্ষিতেই একটি সূত্র মারফত খবর পাওয়া যাচ্ছে যে, কেন্দ্রীয় সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের পক্ষ থেকে এই দুই পুলিশকর্তার বিরুদ্ধে নেওয়া হচ্ছে অ্যাকশন।


স্বাভাবিকভাবেই যদি এটা বাস্তব হয়, তাহলে কিন্তু তা অত্যন্ত খুশির খবর হতে চলেছে রাজ্যের বিরোধী শিবিরের কাছে। তবে কি সেই অ্যাকশন, আর সেই অ্যাকশনে কতটা কাবু হয় মমতার পুলিশ, সেদিকেই নজর থাকবে গোটা রাজনৈতিক মহলের।

Card image cap

বিদ্যাধরি নদীতে পূর্ণবয়স্ক কুমিরের দেখা মিলল

উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাট মহকুমার হাড়োয়া ব্লকের খাস বালন্দা গ্রাম পঞ্চায়েতের দক্ষিণ রানীগাছির বিদ্যাধরি নদীর চরে কুমিরের দেখা মিলল। প্রায় কুড়ি মিনিট ধরে নদীর পাড়ে কাদামাটি মাখা অবস্থায় কুমির অবস্থান করল ।


সেই সময় নদীতে জোয়ার থাকায় পাড়ে উঠে আসে পাশে সুন্দরবন জঙ্গল সেখান থেকে বেরিয়ে খাবারের সন্ধানে কুমির হয়তো ছোট নদীতে ঢুকে পড়েছে কুমির দেখতে পেয়ে এলাকার মৎস্যজীবী থেকে স্থানীয় বাসিন্দারা আনন্দে মেতে ওঠেন ।


পাশাপাশি এটাও শোনা যায় কি করে এই বিদ্যাধরী শাখা নদীতে কুমির ঢুকে পড়ল তাহলে কি দিক নির্ণয় করতে না পারার জন্য নদীতে ঢুকে পড়ল না খাবারের সন্ধানে? রীতিমতো কুমির দেখা নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে হাড়োয়া গ্রাম ও শহর জুড়ে।

Card image cap

ভাইপোর ওপরে আর ভরসা নেই মমতার?

এবার কি ভাইপোর ওপরে ভরসা হারাতে শুরু করেছেন তৃণমূল নেত্রী? পিসি ভাইপোর কোম্পানি বলে যে তৃণমূল দলকে বিরোধীরা কটাক্ষ করে এবং যে ভাইপোকে তুলে ধরার জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গ ত্যাগ করে একাধিক নেতা বিজেপিতে এক সময় চলে গিয়েছিলেন, তাদের জন্য কি আবার দরজা খুলে দিচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস?


ইতিমধ্যেই একসময় বিজেপিতে যাওয়া রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী এবং প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় আবার তৃণমূলের ফিরতে পারেন বলে জল্পনা ছড়িয়েছে। আর সেই বিষয়ে মন্তব্য করতে গিয়েই খোকাবাবুর ওপর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভরসা হারিয়ে ফেলছেন। তাই পুরনোদের ফেরানোর চেষ্টা করছেন বলেই দাবি করলেন প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী।


প্রসঙ্গত, এদিন এই ব্যাপারে অধীর চৌধুরীকে একটি প্রশ্ন করা হয়। আর সেই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে তিনি বলেন, "মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এখন পুরনোদের ফেরানোর চেষ্টা করছেন। কারণ তিনি বুঝতে পারছেন যে, ২০২৪ এর মত ২০২৬ সালের রেজাল্ট হবে না। তাই তিনি খোকাবাবুকে এখন কম ভরসা করছেন। আর সেই কারণেই ওল্ড মানুষদের ফেরাতে চাইছেন।" স্বাভাবিক ভাবেই অধীর চৌধুরীর এই বক্তব্য যে তৃণমূলকে অত্যন্ত অস্বস্তির মুখে ফেলে দিল, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকতে সকলের।


Card image cap

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সৎমা বানিয়েছেন,

কলকাতার প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্য়ায়ের তৃণমূলে ফেরার জল্পনা যখন তুঙ্গে। তখন এই নিয়ে মুখ খুললেন শোভন-পত্নী রত্না চট্টোপাধ্য়ায়। শোভন-রত্নার বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা চলছে। তাই খাতায় কলমে এখনও তাঁরা স্বামী স্ত্রী। ২১ জুলাইয়ের আগে শোভনের 'ঘরওয়াপসি' জল্পনা যখন জোরাল, বেহালা পূর্বের বিধায়ক তথা কলকাতার ১৩০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রত্নার বক্তব্য, 'ওনাকে কেউ রাজনীতি ছেড়ে যেতে বাধ্য করেনি।

উনি নিজের ইচ্ছায় গিয়েছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সৎমা বানিয়েছেন, অভিষেককে সোনার গোপাল বানিয়েছেন বিজেপিতে যাওয়ার পর। তারপর আবার যদি ওনার মনে হয় তৃণমূল ওনার নিজের পরিবার, সৎ মা আবার মা হয়ে গিয়েছে, সোনার গোপাল অভিষেক এখন আবার ম্যাচিওর হয়ে গিয়েছেন রাজনীতি করবেন।”

সম্প্রতি কুণাল ঘোষ ও অরূপ বিশ্বাস শোভন চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করেন বলে খবর সামনে আসে। এরপর থেকে জল্পনা শুরু হয়, তবে কি আবারও শোভন শিকড়ের টান অনুভব করছেন? টিভিনাইনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এ নিয়ে খোলামেলাভাবেই শোভন বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কোনও সিদ্ধান্ত নিলে, নির্দেশ দিলে, তা অমান্য করার ক্ষমতা তাঁর নেই। এমনও বলেন, ২১ জুলাইয়ের জন্য তাঁর মন কাঁদে। পরিস্থিতি তেমন হলে চলেও যেতে পারেন সেখানে।

তবে রত্না চট্টোপাধ্যায়ের কথায়, শোভনের ঘরওয়াপসি নিয়ে তাঁর কোনও সমস্যা নেই। শোভন চলে যাওয়াতেই তাঁকে সক্রিয় রাজনীতিতেও আসতে হয় বলে জানান রত্না। তবে একইসঙ্গে পুরনো কথাও তুলে আনেন শোভন-পত্নী। তাঁর কথায়, এক সময় শোভন-বৈশাখী বলেছিলেন রত্নার সঙ্গে এক মঞ্চে রাজনীতি করবেন না।

রত্নার কথায়, “এখন যদি মনে হয় রত্না চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে এর মঞ্চ শেয়ার করা যায়, তাহলে আসবেন। রাজনীতি আমি তো ছাড়ছি না। বৈশাখীদেবীকে নিয়ে বিজেপিতে গিয়ে শোভন চট্টোপাধ্যায়ের কী হাল হয়েছিল, উনি খুব ভাল করে জানেন।” রত্নার পরামর্শ, তৃণমূল করতে শোভন যদি একা আসেন, তবেই শোভনের রাজনীতিটা করা হবে। রত্নার সংযোজন, “যদিও শোভনবাবু যেখানে যাবেন বৈশাখীদেবী পিছনে গিয়ে বসে পড়বেন। আমি তো মানব না। আমার পক্ষে মানা সম্ভব নয়। উনি রাজনীতির র বোঝেন না। রাজনীতিতে ওনার কোনও অবদানও নেই।”

বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতিক্রিয়া, “ওনার কথা এতটা প্রাসঙ্গিক নয় যে কোনও প্রতিক্রিয়া দিতে পারি। সুস্থ রুচি সম্পন্ন মানুষের কথা হলে প্রতিক্রিয়া দেওয়া যায়। ওনার কথার উত্তর দিতে যেখানে আমাকে নামতে হবে, আমি নামতে রাজি নই। উনি আমার সম্পর্কে যাই বলুন, আমি এটুকু বুঝতে পারছি শোভন রাজনীতিতে এলে উনি ওনার প্রাসঙ্গিকতা হারাতে পারেন ভেবে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগে এসব বলছেন।”

Card image cap

রথের দিন কেমন থাকবে বঙ্গের আবহাওয়া

রথের দিন রাজ্যজুড়ে বৃষ্টির সম্ভাবনা। আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর বলছে, দক্ষিণবঙ্গে বিক্ষিপ্তভাবে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। উত্তরবঙ্গে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বুধবার থেকে উত্তরবঙ্গে বৃষ্টির পরিমাণ আরও বাড়বে। সপ্তাহের শেষে ফের দুর্যোগের আশঙ্কা পাহাড়ি এলাকায়।পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণাবর্তটি আপাতত অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূলে অবস্থান করছে। এর থেকে নিম্নচাপ সৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে ওড়িশা উপকূলে। মৌসুমী অক্ষরেখা বিস্তৃত রয়েছে রাজস্থান থেকে আসানসোল ও হুগলি হয়ে উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত। ফলে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে ভারী বৃষ্টি না হলেও বৃষ্টি চলবে।
দক্ষিণবঙ্গ আপাতত ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। দিনভর মেঘলা আকাশ। রথের দিন দক্ষিণবঙ্গের বেশিরভাগ জেলাতে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বৃষ্টির সম্ভাবনা বেশি পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পশ্চিম ও পূর্ব বর্ধমান এবং বীরভূম মুর্শিদাবাদ জেলাতে। গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের বাকি জেলাগুলিতে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সামান্য সম্ভাবনা থাকছে। বৃষ্টি না হলে আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি থাকবে। আগামী কয়েকদিনে তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে। বৃহস্পতিবার থেকে বৃষ্টির সম্ভাবনা বাড়বে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে। কলকাতায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা। ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা আপাতত নেই।ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি চলবে উত্তরের পাঁচ জেলাতে। রবিবার, রথের দিন বৃষ্টির পরিমাণ ও ব্যাপকতা কিছুটা কমবে। তবে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, জলপাইগুড়ি উত্তর দিনাজপুরে। সোম ও মঙ্গলবার বৃষ্টির পরিমাণ কমবে। শুধুমাত্র দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, জলপাইগুড়িতে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা। মঙ্গলবার উত্তর দিনাজপুরেও ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা। বুধবার থেকে ফের বৃষ্টির পরিমাণ ও ব্যাপকতা বাড়বে। প্রবল বৃষ্টি হতে পারে জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ারে। সপ্তাহান্তে দুর্যোগে আশঙ্কা।

Card image cap

সাতসকালে সুন্দরী বৌমার ঘরে ঢুকে এ কী কাজ শ্বশুরের!

পাশে দশ বছরের মেয়েকে নিয়ে ঘুমাচ্ছিল মা। আচমকা ঘরে ঢুকে এল শ্বশুর। হাতে কাটারি। রুদ্রমূর্তি দেখে কিছু বুঝে ওঠার আগেই গলায় একের পর এক কোপ। রক্তে ভেসে গেল গোটা বাড়ি। চিৎকার শুনে পালানোর চেষ্টা করেও রেহাই পেল না শ্বশুর। ধরে ফেলল প্রতিবেশীরা। কিন্তু, কেন আচমকা ওই ব্যক্তি এই কাজ করলেন তা নিয়ে রয়েছে ধোঁয়াশা।


চাঞ্চল্যকর ঘটনা হুগলির ভদ্রেশ্বর পুরসভার চার নম্বর ওয়ার্ডের পাল পাড়া এলাকায়। 


পাল পাড়াতেই থাকতেন মিঠু মিত্র (২৯)। পরিবার সূত্রে জানা যাচ্ছে, তাঁর স্বামী নীলাংশু এদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে বাড়ির বাইরে গিয়েছিলেন। আর সেই সময়েই কাটারি হাতে ঘরে ঢুকে আসেন শ্বশুর হিমাংশু মিত্র। মিঠুর গলায় এলোপাথারি কোপ মারতে থাকেন বলে অভিযোগ। মুহূর্তেই মাটিতে লুটিয়ে পড়েন তিনি। চিৎকার শুরু করে দেয় তাঁর দশ বছরের মেয়ে। ছুটে আসেন প্রতিবেশীরা। একেবারে হাতেনাতে ধরা পড়ে যান শ্বশুর।


রক্তাক্ত অবস্থায় মিঠুকে চন্দননগর হাসপাতালে নিয়ে গেলেও শেষ রক্ষা হয়নি। চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। খবর যায় পুলিশে। ইতিমধ্যেই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে ভদ্রেশ্বর থানার পুলিশ। তবে কেন আচমকা তিনি এ কাজ করলেন তাঁর কোনও সদুত্তর মেলেনি। জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে পরিবারের সদস্যদেরও। স্থানীয় বাসিন্দাদের অনুমান, পারিবারিক অশান্তির কারণে এমনটা করে থাকতে পারেন হিমাংশু। তাঁর কঠোর শাস্তিরও দাবি উঠেছে। অন্যদিকে মিঠুর দেহ ময়নাতদন্তের জন্য চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে পাঠিয়েছে পুলিশ।

Card image cap

সন্দেশখালির শাহজাহানকে আবার জেলেই পাঠালেন বিচারক

সন্দেশখালির বহিষ্কৃত তৃণমূল নেতা শাহজাহান শেখের জামিনের আর্জি খারিজ হয়ে গেল বসিরহাট মহকুমা আদালতে। জেল হেফাজতের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর শুক্রবার শাহজাহানকে আদালতে হাজির করানো হয়। সেখানেই তাঁর আইনজীবী জামিনের আবেদন করেন। কিন্তু তা খারিজ করে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।

শুক্রবার বসিরহাট আদালতে হাজির করানো হয় শাহজাহানকে। তাঁর জামিনের আবেদনের বিরোধিতা করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। রেশন ‘দুর্নীতি’ মামলায় নাম জড়িয়েছিল শাহজাহানের। এই মামলায় আর্থিক নয়ছয়ের অভিযোগ উঠেছিল। সেই কারণে সিবিআইয়ের পাশাপাশি, এই মামলায় তদন্ত শুরু করে ইডিও। গত ৫ জানুয়ারি শাহজাহানকে খুঁজতে সন্দেশখালি যান ইডি আধিকারিকেরা।

কিন্তু শাহজাহানের বাড়িতে গিয়ে তাঁর খোঁজ পায়নি ইডি। সেখানেই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকদের উপর হামলার ঘটনা ঘটেছিল। অভিযোগ, শাহজাহানের বাড়ির সামনে জড়ো হয়েছিলেন তাঁর অনুগামী। তাঁরাই ইডির উপর চড়াও হন। ইডি আধিকারিকদের হাসপাতালে ভর্তিও করানো হয়েছিল। ইডির উপর হামলার এই ঘটনায় ন্যাজাট থানায় দু’টি এফআইআর হয়েছিল। একটি এফআইআর হয় ইডির অভিযোগের ভিত্তি। অন্য এফআইআরটি স্বতঃপ্রণোদিত ভাবে রুজু করে পুলিশ। ওই দু’টি মামলাতেই মোট ৩৪টি ধারা যুক্ত করা হয়েছিল শাহজাহানের বিরুদ্ধে।

ইডির উপর হামলার ঘটনার পর গা ঢাকা দিয়েছিলেন শাহজাহান। এর পরেই সন্দেশখালির নানা জায়গায় স্থানীয়দের বিক্ষোভ আছড়ে পড়ে। তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে জমি-ভেড়ি দখল, মহিলাদের উপর নির্যাতনের অভিযোগ ওঠে। গ্রেফতার হন তাঁর শাগরেদ উত্তর সর্দার ও শিবপ্রসাদ হাজরা। পরে শাহজাহানও গ্রেফতার হন রাজ্য পুলিশের হাতে। ইডি এবং সিবিআই দফায় দফায় নিজেদের হেফাজতে নেয় তাঁকে। তার পর থেকে জেলেই রয়েছেন শাহজাহান।

Card image cap

কয়লা পাচার মামলায় নয়া মোেড়, তোলপাড় বাংলা!

কয়লা পাচার মামলা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে উত্তাল রাজ্য রাজনীতি। মাঝেমধ্যেই শিরোনামে উঠে আসে এই মামলা। বিগত প্রায় ৩ বছর ধরে এই মামলা নিয়ে টানাপোড়েন চলছে। ইতিমধ্যেই চার্জশিটও জমা দিয়েছে সিবিআই । তবে এখনও চার্জগঠন হল না।


কয়লা পাচার মামলায়  নয়া মোড়!


বুধবার আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালতে  কয়লা পাচার মামলার চার্জগঠনের কথা ছিল। সেই অনুযায়ী এদিন শুনানি শুরু হয়। তবে চার্জগঠনের নিয়ম হল, চার্জশিটে যাদের যাদের নাম থাকবে তাঁদের প্রত্যেককে সেদিন আদালতে হাজির থাকতে হবে। কিন্তু এমনটা হয়নি। চার্জশিটে  নাম রয়েছে এমন ৫০ জনের মধ্যে ২ জন এদিন আদালতে উপস্থিত ছিলেন না। সেই কারণে এদিনও এই মামলার চার্জগঠন সম্ভব হল না।


গত মে মাসে এই মামলার  ট্রায়াল শুরু হওয়ার কথা ছিল। সেবারও ৩ জন অভিযুক্ত হাজির না হওয়ায় চার্জগঠন সম্ভব হয়নি। এরপর চার্জগঠনের দিন পিছিয়ে তা ৩ জুলাই করা হয়। সেই অনুযায়ী এদিন শুনানি শুরু হয়। কিন্তু CBI চার্জশিটে নাম থাকা প্রত্যেককে আদালতে হাজির করতে না পারায় এদিনও চার্জগঠন সম্ভব হয়নি।


উল্লেখ্য, এই মামলার  অন্যতম অভিযুক্ত বিনয় মিশ্র এখনও অবধি কেন্দ্রীয় এজেন্সির ধরাছোঁয়ার বাইরে। অনেক আগেই তাঁর নামে লুকআউট নোটিশ জারি করা হয়েছে। এছাড়া গুরুপদ মাঝি নামের অন্য আরেক অভিযুক্ত বর্তমানে ইডির দায়ের করা মামলা তিহাড় জেলে বন্দি। ওই দুই অভিযুক্তকে বাদ দিয়ে বাকি ৪৮ জন অভিযুক্তকে আগামী ৯ আগস্ট আদালতের হাজির করানোর নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি।


এদিকে চার্জশিটে নাম থাকলেও মহম্মদ শাকিল এবং তারকেশ্বর রায়ের নামে এখনও অবধি গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়নি। এমনকি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা CBI তাঁদের গ্রেফতার করার চেষ্টাও করেনি। শুধুমাত্র তাঁদের হাজিরা দেওয়ার নোটিশ দেওয়া হয়। এই জন্যেও চার্জগঠন আটকে যায়। ওই দুই ব্যক্তিকে আগামী ১৭ জুলাই আদালতে হাজির করানোর নির্দেশ দিয়েছে বিশেষ CBI আদালত। সেই সঙ্গেই মঙ্গলবার CBI-র হাতে নতুন ৫ জন অভিযুক্ত গ্রেফতার হন। ওই ৫ জনের সঙ্গে আরও ২ জনের নাম যোগ করে চার্জশিট জমা দেওয়া হয়। আইনজীবীরা চার্জশিটের ওই কপি পাননি। এসব কারণেই কয়লা পাচার মামলার চার্জগঠন প্রক্রিয়া এদিন আটকে যায়।



Card image cap

ব্যাঙ্ক নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্রীয় সরকার!

এবার আবার একত্রীকরণ হতে চলেছে চারটি ছোট ছোট ব্যাঙ্কের। ফের আরও একবার ব্যাঙ্ক একত্রীকরণ করতে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকার। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, পিএসইউ ব্যঙ্কগুলির একত্রীকরণের ভাবনা চিন্তা নিয়েছেন কেন্দ্রীয় সরকার।


কেন্দ্রের সিদ্ধান্তে ৪টি ব্যাঙ্ক এবার এক হয়ে যাচ্ছে। পরিবর্তন আসতে চলেছে ব্যাঙ্কিং সংশোধনী আইনেও।


সরকার যে চারটি পিএসইউ ব্যাঙ্ককে একত্রীকরণের পরিকল্পনা করেছে তার মধ্যে রয়েছে ইউকো ব্যাঙ্ক, ব্যাঙ্ক অফ মহারাষ্ট্র ও পাঞ্জাব অ্যান্ড সিন্ধু ব্যাঙ্ক ও সেন্ট্রাল ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া।


ইউকো, ব্যাঙ্ক অফ মহারাষ্ট্র মার্জ অন্যদিকে পাঞ্জাব অ্যান্ড সিন্ধু ব্যাঙ্ক এবং সেন্ট্রাল ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার মার্জ করতে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকার। এই একত্রীকরণের জন্যই বিশেষ প্রস্তুতি নিতে চলেছে কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক।


যদিও সরকারের এই একীভূতকরণ নিয়ে সমালোচনা করেছেন বিরোধী দলগুলি। ব্যাঙ্কের কর্মচারিদের একাংশও বিরোধিতা করেছে এই নতুন নিয়মের।

Card image cap

বিধানসভার অধ্যক্ষকে এড়িয়ে ডেপুটি স্পিকারকে দায়িত্ব দিল রাজভবন

দীর্ঘ টালবাহানার পর অবশেষে কাটল নবনির্বাচিত বিধায়কদের শপথ জট।বিধানসভার স্পিকারকে এড়িয়েই ডেপুটি স্পিকারকে শপথবাক্য পড়ানোর দায়িত্ব দিল রাজভবন। শুক্রবার বিধানসভার বিশেষ অধিবেশনে সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় ও রেয়াত হোসেন সরকারকে শপথ পাঠ করানোর দায়িত্ব উপাধ্যক্ষ আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়ের। যদিও অধ্যক্ষকে এড়িয়ে কেন এই তাঁকে দায়িত্ব দিল রাজভবন, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। তবে রাজভবনের এই সিদ্ধান্তে শপথ জট কাটল, তা নিশ্চিত। বৃহস্পতিবার রাতে রাজভবনের  তরফে সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করে এই সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়েছে।রাজভবনের এই চিঠি পেয়েই অবশ্য উপাধ্যক্ষ আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দেন, “আমার পক্ষে দায়িত্ব নেওয়া উচিত নয়। কারণ অধ‌্যক্ষ কলকাতায় রয়েছেন। রাজ‌্যপালের কথা শুনে আমি শপথ পড়ালে অধ‌্যক্ষকে অসম্মান করা হবে। এটা কাম‌্য নয়।” কারণ, নিয়ম অনুযায়ী, অধ্যক্ষ অনুপস্থিত থাকলে বা অসুস্থ হলে সেক্ষেত্রে ডেপুটি স্পিকার ওই দায়িত্ব পালন করেন। কিন্তু এখানে পরিস্থিতি তেমনটা নয়। অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের  প্রতিক্রিয়া, “আনুষ্ঠানিকভাবে রাজভবনের তরফে আমায় কিছু জানানো হয়নি। যেমন প্রস্তুতি আছে তেমনই ব‌্যবস্থা হবে।” 

Card image cap

আয়ু ফুরিয়ে এল, জামিন দিন', আদালতে কেঁদেই ফেললেন মানিক ভট্টাচার্য

নিয়োগ 'দুর্নীতি' মামলায় আদালতে জামিন চাইতে গিয়ে কেঁদেই ফেললেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি তথা তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্য। বৃহস্পতিবার কলকাতা হাই কোর্টে নিজের জামিনের পক্ষে সওয়াল করেন তিনি। জানান, তাঁর আয়ু ফুরিয়ে এসেছে। আর বেশি দিন বাঁচবেন না! ২০২৬ সালে তাঁর মৃত্যু হতে পারে বলেও আদালতে জানান মানিক।


সেই সঙ্গে বলেন, তাঁর কাছে এই সংক্রান্ত চিকিৎসকের নথি রয়েছে। 


মানিকের জামিনের মামলাটি বৃহস্পতিবার হাই কোর্টের বিচারপতি শুভ্রা ঘোষের এজলাসে উঠেছিল। নিজের পক্ষে কোনও আইনজীবী নিয়োগ করেননি মানিক। নিজেই নিজের হয়ে সওয়াল করেন। নিজের স্বাস্থ্যের কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, ''২০১৬ সালে আমার অস্ত্রোপচার করানো হয়েছিল। সেই সময় চিকিৎসকেরা জানিয়েছিলেন, আমি আর ১০ বছর বাঁচব। ওই চিকিৎসা সংক্রান্ত নথি আমার কাছে রয়েছে। অর্থাৎ, ২০২৬ সালে আমি মরে যাব। এর মধ্যে প্রায় দু'বছর আমি জেলে খেটে ফেললাম। এ বার আমাকে জামিন দেওয়া হোক।''


মানিককে কেন জামিন দেওয়া যাচ্ছে না, ইডির কাছে তা জানতে চেয়েছেন বিচারপতি ঘোষ। শুক্রবার আদালতে তাঁর এজলাসে এই সংক্রান্ত সওয়াল করবেন কেন্দ্রীয় সংস্থার আইনজীবী। 


নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় মানিককে গ্রেফতার করেছিল ইডি। জামিনের আবেদন জানিয়ে তিনি সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। শীর্ষ আদালত মানিকের জামিন মঞ্জুর করেনি। বলা হয়েছিল, ওই জামিন মামলার ত্রুটি সংশোধন করে হাই কোর্টে আবেদন করতে হবে মানিককে। সেই মতো উচ্চ আদালতে জামিন চেয়ে মামলা করেন তৃণমূল বিধায়ক। বৃহস্পতিবার এই মামলার শুনানিতে জামিনের পক্ষে সওয়াল করতে গিয়ে বার বার কেঁদেও ফেলেন তিনি। মুক্তির আর্জি জানান। 


উল্লেখ্য, নিয়োগ মামলায় মানিকের পাশাপাশি তাঁর স্ত্রী এবং পুত্রকেও হেফাজতে নেওয়া হয়েছিল। হাই কোর্ট পরে তাঁর স্ত্রী শতরূপা ভট্টাচার্যকে জামিন দেয়। মানিকের পুত্র শৌভিক জামিন পান সুপ্রিম কোর্ট থেকে।


বৃহস্পতিবার মানিকের সওয়াল শোনার পর ইডির কাছে বিচারপতি জানতে চান, কিসের ভিত্তিতে তাঁকে বন্দি করে রাখা হয়েছে? বিচারপতির প্রশ্ন, ''অভিযুক্তকে কেন এখনও আটকে রাখার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে? কেন তাঁকে জামিন দেওয়া হবে না?'' ইডির আইনজীবী ফিরোজ এডুলজি সওয়ালে জানান, মানিকের বিরুদ্ধে বিস্তারিত সওয়াল করতে কমপক্ষে দু'দিন সময় লাগবে। কারণ, নিয়োগ দুর্নীতিতে আর্থিক তছরুপের মামলায় তিনি অন্যতম অভিযুক্ত। তাঁর বিরুদ্ধে বেআইনি লেনদেনের অভিযোগও রয়েছে। এ বিষয়ে নির্দিষ্ট পিএমএলএ আইন মেনেই তাঁকে আটকে রাখা হয়েছে। এর পরে আদালত শুক্রবার মামলাটির পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করে।

Card image cap

চাকরিহারাদের ফের নিয়োগের নজিরবিহীন নির্দেশ আদালতের

ডেডলাইনের পর ডেডলাইন। এবার রাজ্যের মুখ্যসচিব বিপি গোপালিকাকে উত্তর দেওয়ার জন্য তিন সপ্তাহ সময় দিল কলকাতা হাইকোর্ট । নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতার হওয়া সরকারি আধিকারিকদের বিরুদ্ধে বিচারপ্রক্রিয়া শুরু করার রাজ্যের কাছে অনুমোদন চেয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই।


নিয়োগ দুর্নীতিতে জেলবন্দি রয়েছেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় , প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুবিরেশ ভট্টাচার্যদের মতো একাধিক সরকারি আধিকারিক। নিয়ম অনুযায়ী, ধৃত সরকারি আধিকারিকদের বিষয়ে রাজ্যের মুখ্যসচিবের অনুমতি ছাড়া বিচারপ্রক্রিয়া শুরু করা যায় না।

ওদিকে সিবিআই এই নিয়ে অনুমোদন চাইলেও এ ব্যাপারে রাজ্যের গড়িমসিতে বিচারপ্রক্রিয়া শুরু করায় দেরি হচ্ছে। এই নিয়ে আগে একাধিক বার হাইকোর্টে অভিযোগ জানিয়েছিল সিবিআই। হাইকোর্টও সময় দেয় বহুবার। তবে সুরাহা হয়নি।

এদিন এই মামলার শুনানিতে বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর ডিভিশন বেঞ্চ এ ব্যাপারে মুখ্যসচিবকে লিখিত আকারে রাজ্যের মতামত জানানোর নির্দেশ দিয়েছেন। হাইকোর্টের নির্দেশেম, আগামী তিন সপ্তাহের মধ্যে মুখ্যসচিবকে এই কাজ করতে হবে।

প্রসঙ্গত, এর আগে মুখ্যসচিব আদালতকে জানিয়েছিলেন ভোটের কারণে তিনি এই বিষয়ে উত্তর দিতে পারেননি। তবে ভোট মিটেছে বহুদিন। এদিন রাজ্যের ভূমিকায় প্রশ্ন তুলে বিচারপতি বলেন ,"৭ মে থেকে অনেকদিন অতিক্রান্ত। এবার নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে উত্তর না দেওয়া হলে কোনও অজুহাত শোনা হবে না। এরপর সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে। "
ক্ষুব্ধ আদালত জানিয়েছে, আইনজীবীরা চাইলে জামিন মামলা শুরু হতে পারে। রাজ্যের মুখ্যসচিবের অনুমোদনের জন্য ধৃত সরকারি কর্মীদের জামিন মামলা আর আটকে থাকবে না। হাইকোর্টের নির্দেশেম, আগামী ১১ জুলাই থেকে শুরু হবে জামিন মামলার শুনানি।