CATEGORY country:

Card image cap

পুলিশ-শিক্ষার্থী সংঘর্ষ, রাতের ঢাকা যেন যুদ্ধক্ষেত্র!

রাতের ঢাকায় ফের নতুন করে অশান্তি। মেয়র হানিফ ফ্লাইওভারের টোল প্লাজায় আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। কাঠ ও টায়ার জ্বালিয়ে তুমুল বিক্ষোভ দেখান আন্দোলনকারীরা। এদিকে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসেও পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটায় পুলিশ। পালটা পুলিশকে লক্ষ্য ইটবৃষ্টিও হয়।

ঘড়ির কাঁটায় রাত পৌনে দশটা হবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিববাড়ি মোড় এলাকায় বঙ্গবন্ধু টাওয়ারের সামনে তখন বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন শিক্ষার্থীরা। অভিযোগ, শিক্ষার্থীদের হঠাতে কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটায় পুলিশ। পালটা আন্দোলনকারীরা ইট-পাটকেল ছুঁড়তে শুরু করেন। এর পর কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ও চানখারপুল মোড় পর্যন্ত দফায় দফায় পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। প্রায় তিরিশ মিনিট ধরে গোটা এলাকায় চরম উত্তেজনার পরিস্থিতি তৈরি হয়।উল্লেখ্য, গত ১ জুলাই থেকে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন শুরু হয়। মঙ্গলবার তা চরম আকার ধারণ করে। প্রাণ যায় অন্তত ৬ জনের। রাজধানী ঢাকা-সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে গুলি ও মারধরে জখম হয়েছেন ৪০০-র উপর মানুষ। আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কোথাও শাসকদলের ছাত্রলিগ-যুবলিগ, কোথাও পুলিশ সংঘর্ষে জড়িয়েছে। এই অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার কথা ভেবে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শুরু করে মাধ্যমিক বিদ্যালয়, কলেজ ও মাদ্রাসা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রাখার কথা ঘোষণা করা হয়েছে। পড়ুয়াদের হস্টেল থেকে চলে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।এদিকে, কোটা পদ্ধতি বহাল রাখতে হাই কোর্টের দেওয়া রায়ের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল করেছে রাষ্ট্রপক্ষ। সেই আপিলের রায়ের জন্য আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের অপেক্ষা করতে বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সারা দেশে সংঘর্ষের ফলে  প্রাণহানির ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্ত হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

Card image cap

এনটিএর ট্রাঙ্ক থেকে NEET-এর প্রশ্নপত্র চুরি!

ডাক্তারির অভিন্ন প্রবেশিকা পরীক্ষা নিটে দুর্নীতি মামলায় ফের গ্রেপ্তারি। এনটিএর ট্রাঙ্ক থেকে প্রশ্নপত্র চুরি করার অভিযোগে অভিযুক্ত এক ইঞ্জিনিয়ার-সহ দুজনকে গ্রেপ্তার করল সিবিআই। পঙ্কজ কুমার নামের ওই ইঞ্জিনিয়ারকে পাটনা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পাশাপাশি তাঁর শাগরেদ রাজু সিংকেও আটক করা হয়েছে জামশেদপুর থেকে।

নিট প্রশ্ন ফাঁসের মামলায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই আগেই আবিষ্কার করেছিল হাজারিবাগ থেকেই প্রথম প্রশ্ন ফাঁস হয়েছিল। সেখানকার ওয়েসিস স্কুলে রাখা এক সেট প্রশ্নপত্র সিল ভেঙে চুরি করা হয়েছিল। এবং সেটা সেখানকার কর্মীরাও জানতে পেরে গিয়েছিলেন। কিন্তু কেউই মুখ খোলেননি। সিবিআইয়ের এক সিনিয়র আধিকারিকের দাবি, মোট ৯ সেট প্রশ্নপত্র বিভিন্ন কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছিল এসবিআই হাজারিবাগ থেকে। ওয়েসিস স্কুলে যেটি এসেছিল সেটিরই সিল ভাঙা হয়েছিল।
উল্লেখ্য, নিটে বেনিয়মের অভিযোগে ইতিমধ্যেই দেশজুড়ে আন্দোলনে নেমেছে বিরোধী শিবির। একাধিক রাজ্যে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন পড়ুয়ারাও। সরকারও একপ্রকার মেনে নিয়েছিল নিয়ম বহির্ভূতভাবে কিছু পড়ুয়াকে গ্রেস মার্কস দেওয়া হয়েছে। পরে সেটা বাতিলও করা হয়। ইতিমধ্যেই অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করে দেওয়া হয়েছে কাউন্সিলিং। কিন্তু তা সত্ত্বেও সরকারের দাবি ডাক্তারি প্রবেশিকা পরীক্ষায় বড় কোনও গোলমাল হয়নি।

Card image cap

শ্বশুর-শাশুড়ির অভিযোগ নিয়ে মুখ খুললেন শহিদ পত্নী, যা বললেন... -

শহিদ ক্যাপটেন অংশুমান সিংয়ের বাবা-মায়ের অভিযোগ নিয়ে এবার মুখ খুললেন তাঁর স্ত্রী। শ্বশুর, শাশুড়ির অভিযোগ চিন্তাভাবনা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন তিনি।সম্প্রতি সিয়াচেনে শহিদ ক্যাপটেন অংশুমান সিংকে মরণোত্তর কীর্তি চক্র সম্মানে ভূষিত করা হয়। রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর হাত থেকে সেই পুরস্কার গ্রহণ করেন তাঁর স্ত্রী স্মৃতি।


ক্যাপটেন অংশুমান সম্পর্কে নিজের আবেগঘন বার্তাও শেয়ার করেন তিনি। স্মৃতির সেই ভিডিয়ো নেটিজেনদের মন ছুঁয়ে যায়। কিন্তু, তার ক'দিন পরই ছন্দপতন। ক্যাপটেন অংশুমানের বাবা-মা স্মৃতি বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ তোলেন।


অংশুমানের মৃত্যুর পর শ্বশুরবাড়ি ছেড়ে চলে গিয়েছেন স্মৃতি। ATM কার্ডও ব্লক করে দিয়েছেন বলে অভিযোগ তোলেন শহিদ ক্যাপটেনের বাবা-মা। এই কার্ডটিই অংশুমানের মা ব্যবহার করতেন বলে দাবি করা হয়। নিজের ঠিকানাও বদল করেছেন। এমনকী তাঁরা একটি বারের জন্য ছেলে কীর্তি সম্মান ছুঁয়ে দেখতে পারেনি বলে আক্ষেপ করেন। এরপরই ঘটনা সম্পূর্ণ অন্যদিকে মোড় নেয়।


এই নিয়ে এবার মুখ খুললে স্মৃতি সিং। শহিদ ক্যাপটেনের স্ত্রী বলেন, 'যার যেমন মানসিকতা, সে তো তেমনই ভাববে।' তিনি শ্বশুর-শাশুড়ির বক্তব্যের ভিডিয়ো দেখতে চেয়েছেন। গোটা অভিযোগ শুনে তিনি পরবর্তী পদক্ষেপ নির্ধারণ করবেন বলেও জানান।


স্মৃতি সিং পেশায় একজন ইঞ্জিনিয়র। তিনি বাবা-মা দু'জনেই স্কুলে শিক্ষকতা করেন। অংশুমানের বাবা-মায়ের অভিযোগ নিয়ে তাঁরাও কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি।


কীর্তি চক্র সঙ্গে নিয়ে শ্বশুরবাড়ি ছেড়ে চলে গিয়েছেন পুত্রবধূ, অভিযোগ তুলেছেন শহিদ ক্যাপটেনের বাবা-মা। আর সেনাকর্মীর মৃত্যুর পর নির্ভরশীল হিসেবে যাবতীয় সহায়তা পাচ্ছেন স্মৃতিই, অংশুমানের বাবা-মা নন। এই নিয়ম নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন তাঁরা। অংশুমানের পরিবারের তরফে 'নেক্সট অফ কিন' পলিসি বদল করতে চেয়ে সওয়াল করা হয়েছে।

Card image cap

নাগরাজ' আগলে রেখেছিলেন পুরীর রত্নভাণ্ডার?

সত্যিই কি পুরীর রত্নভাণ্ডার আগলে রেখেছিল সাপ? প্রায় চার দশক ধরে বন্ধ থাকা রত্নভাণ্ডারে কোনও মানুষের প্রবেশ ঘটেনি। তাই কি কুবেরের মতো জগন্নাথ মন্দিরের রত্ন পাহারা দিচ্ছিলেন 'নাগরাজ'? এই প্রশ্নের উত্তরে মুখ খুললেন ওড়িশার বিচারপতি। জানালেন, সাপের পাহারা দেওয়ার খবর নিছকই গুজব। বাস্তবে মোটেই এমনটা ঘটেনি।

গত রবিবার ৪৬ বছর পর পুরীর রত্নভাণ্ডার খোলা হয়। সেখানে প্রবেশ করে ওড়িশা সরকারের তৈরি ১১ জনের একটি প্রতিনিধি দল। ওই দলের সভাপতি ওড়িশা হাই কোর্টের বিচারপতি বিশ্বনাথ রথ। চাবি না পেয়ে তালা ভাঙা হয় রত্নভান্ডারের ভিতরের কক্ষে প্রবেশের দরজার। এর পরই সেখানে ঢোকেন ১১ সদস্যের কমিটি। প্রায় অর্ধশতক যে প্রকোষ্ঠ খোলা হয়নি সেখানে সাপখোপ থাকতে পারে, সেই সতর্কতায় ডাক পড়েছিল সর্প বিশেষজ্ঞদেরও। যদিও সেই বিপদ ঘটেনি।
রত্নভাণ্ডার পর্যবেক্ষণ করে দেখেন ওড়িশা হাইকোর্টের বিচারপতি। রত্নভাণ্ডারে সাপের অস্তিত্ব নিয়ে তিনিই সব প্রশ্নের উত্তর দেন। আমজনতার ধারণা ছিল, হয়তো ৪০ বছর ধরে বহুমূল্য রত্ন পাহারা দিয়েছেন নাগরাজ। কিন্তু বিচারপতি সাংবাদিকদের জানান, ভিতরে সাপ দেখা যায়নি। তাঁর কথায়, ‘‘রত্নভান্ডারে যে দলটি প্রবেশ করেছিল, সেখানে সাত-আট জন মন্দির কমিটির সদস্যও ছিলেন। বহুদা যাত্রা শুরু হয়েছে বলে তাঁরা ব্যস্ত ছিলেন। তাই আমরা ভাল করে খতিয়ে দেখে সব রত্ন সরানোর সময় পাইনি। বিগ্রহের অলঙ্কার, রত্ন সরানোর জন্য অন্য একটি দিন স্থির করা হয়েছে।’’

Card image cap

দেওরকে বিয়ে করুক শহীদ ক্যাপ্টেন অংশুমানের বিধবা স্ত্রী, সন্তানের বাবা হবে অংশুমানই!

ক্যাপ্টেন অংশুমান সিং গত জুলাই মাসে সিয়াচেনে আগুন থেকে তার সহকর্মী সেনাদের বাঁচাতে গিয়ে শহীদ হন। তাঁর বাবা রবি প্রতাপ সিং এবং মা মঞ্জু সিং একটি সাক্ষাৎকারে এরপর দাবি করেন যে তাঁদের পুত্রবধূ ও অংশুমানের বিধবা স্ত্রী স্মৃতি সিং তাঁদের সঙ্গে আর থাকেন না এবং তাদেঁর ছেলের মৃত্যুর পরে প্রাপ্ত সম্মান ও টাকা নিয়ে চলে গেছে।এই তথ্য ছড়িয়ে পড়তেই দাগ লাগে স্মৃতির চরিত্রে।


এবার এল পাল্টা আরো এক বিস্ময়কর তথ্য। আরো এক সাক্ষাৎকারে দাবি করা হয়েছে যে স্মৃতি অংশুমানের ছোট ভাইকে বিয়ে করে আগের মতোই তাদের পুত্রবধূ হিসেবে থাকুক এমন শর্ত দিয়েছে স্মৃতির শ্বশুরবাড়ি। এছাড়া বিয়ের পর অংশুমানের ছোট ভাইয়ের পুত্রসন্তান হলে তার বাবার নামের জায়গায় অংশুমানের নাম লেখা হবে।

Card image cap

তৃতীয়বার নেপালের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন কেপি শর্মা অলি

প্রচন্ডকে সরিয়ে নেপালে চতুর্থবারের মতো প্রধানমন্ত্রী হলেন কে পি শর্মা অলি। নেপালের  প্রেসিডেন্ট রাম চন্দ্র পাউডেল গত রবিবার তাঁকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিযুক্ত করেন। আজ (১৫জুলাই, সোমবার) শপথ গ্রহণ করবেন তিনি। ৭২ বছর বয়সী কে পি শর্মা অলি নেপালের কমিউনিস্ট পার্টির প্রধান। এবার তাঁর দল কমিউনিস্ট পার্টি অব নেপাল (ইউনিফায়েড মার্ক্সিস্ট-লেনিনিস্ট) ও বাম ঘরানার নেপালি কংগ্রেস পার্টির সঙ্গে জোট করে সরকার গঠন করেছে।


অলি প্রথম প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছিলেন ২০১৫ সালে। এরপর ২০১৮ সালে আবার প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন।এরপর ২০২১ সালে দেশের পার্লামেন্টে অস্থিরতা বিরাজ করাকালীন, তখন অল্প সময়ের জন্য তাঁকে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয়। অলির প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর তাঁকে শুভেচ্ছা জানিয়ে এক্স হ্যান্ডেলে বার্তা দেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী

Card image cap

বেসিক স্যালারিই হবে 'এত' হাজার! নয়া প্ল্যানিং মোদি সরকারের

কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন  বাজেট পেশ করতে চলেছেন। আগামী ২৩ জুলাই ২০২৪ তারিখে পেশ করা হবে কেন্দ্রীয় বাজেট। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নরেন্দ্র মোদির শপথ গ্রহণের পর এটাই প্রথম বাজেট পেশ হতে চলেছে।


বাজেটে  এবার কেন্দ্রের সরকারি কর্মীদের জন্য আসছে খুশির খবর।


ফিটমেন্ট ফ্যাক্টর বৃদ্ধির জন্য দীর্ঘদিন ধরেই দাবি করে আসছেন কেন্দ্রের কর্মীরা। এবার কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের ফিটমেন্ট ফ্যাক্টর বৃদ্ধি পেতে চলেছে বলে খবর। আসন্ন বাজেটে মোদি সরকার কেন্দ্রের কর্মীদের উপহার দিতে চলেছেন। তারপরে কেন্দ্রের সরকারি কর্মীদের বেতন বৃদ্ধি হতে চলেছে।


সকল কর্মীদের বেসিক স্যালারি নির্ধারিত করে এই ফিটমেন্ট ফ্যাক্টর। বেসিক স্যালারি সহ ভাতা একত্রিত ভাবে যে টাকা দেওয়া হয় সেটাই দিয়েই হয় ফিটমেন্ট ফ্যাক্টর। ২০১৬ সালের শেষবার কেন্দ্রীয় সরকারের কর্মীদের ফিটমেন্ট ফ্যাক্টার বেড়েছিল। ৬০০০ টাকা স্যালারি থেকে ১৮,০০০ হাজার টাকা স্যালারি করা হয়েছিল।


এবার ফিটমেন্ট ফ্যাক্টর বেড়ে ২৬০০০ হওয়ার কথা রয়েছে। বলাই বাহুল্য বেসিক স্যালারি বাড়াতে পারে ৮ হাজার টাকা। বর্তমানে সরকারি কর্মীদের ফিটমেন্ট ফ্যাক্টর ২.৫৭ গুণ। আগামী বাজেটে ৩.৬৮ গুণ বৃদ্ধি পেতে পারে বলে খবর। কেন্দ্রীয় সরকারের কর্মীদের ন্যূনতম বেতন বৃদ্ধির ফলে ৮ হাজার টাকা বেতন বৃদ্ধি পাবে।


পাশাপাশি মহার্ঘ ভাতা, হাউজ রেট অ্যালাউন্স বৃদ্ধি পাবে। বেসিক স্যালারি ১৮ হাজার টাকা থেকে বৃদ্ধি পেয়ে যদি ২৬ হাজার টাকা করা হয় তাহলে মহার্ঘ ভাতা ৪৬ শতাংশের সমান হবে। অর্থাৎ বেসিক স্যালারি  বৃদ্ধি পেলে মহার্ঘভাতা  বৃদ্ধি পাবে।

Card image cap

ট্রাম্পের কান ছুঁয়ে বেরিয়ে গেল গুলি! রক্তাক্ত প্রাক্তন আমেরিকান প্রেসিডেন্ট

মেরিকার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট তথা প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের সভায় বন্দুকবাজের হানা। গুলি বেরিয়ে গেল ট্রাম্পের কান ছুঁয়ে। সভায় রক্তাক্ত হলেন ট্রাম্প। তবে বর্তমানে তিনি বিপন্মুক্ত বলেই জানাচ্ছে আমেরিকার সংবাদমাধ্যম। গুলি লাগার পর তাঁর কান থেকে রক্ত পড়ছিল। দ্রুত মঞ্চ থেকে নামিয়ে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাওয়া হয় ট্রাম্পকে।


পরে সভার অভিজ্ঞতার কথা তিনি নিজেও ভাগ করে নিয়েছেন।


শনিবার পেনসিলভেনিয়ার বাটলারের একটি সভায় গিয়েছিলেন ট্রাম্প। তাঁর কথা শোনার জন্য প্রচুর মানুষের জমায়েত হয়েছিল। মঞ্চে উঠে কথা বলতে শুরু করেন ট্রাম্প। তখনই গুলি ছোড়া হয় বলে অভিযোগ। দেখা যায়, ট্রাম্পের ডান দিকের কানের পাশ থেকে রক্ত বেরোচ্ছে। তাঁর মুখেও রক্ত দেখা যায়। তিনি হাত দিয়ে কান চেপে ধরেন। সভায় উপস্থিত বাকিরাও নিচু হয়ে বসে পড়েন। দ্রুত সেখান থেকে ট্রাম্পকে সরিয়ে নিয়ে যান তাঁর নিরাপত্তারক্ষীরা। সভাস্থলে আতঙ্কে হুড়োহুড়ি শুরু হয়ে যায়।


হোয়াইট হাউসের তরফে একটি বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, এই ঘটনার মূল অভিযুক্ত নিহত। সভায় উপস্থিত এক দর্শকেরও মৃত্যু হয়েছে। আরও দু'জন জখম।


ঘটনাপ্রসঙ্গে ট্রাম্প পরে সমাজমাধ্যমে লিখেছেন, ''আমাকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়েছিল। গুলি আমার কান ঘেঁষে বেরিয়ে গিয়েছে। ডান কানের উপরের দিকের চামড়া গুলিতে চিরে গিয়েছে।''


ট্রাম্প আরও লেখেন, ''আমি সঙ্গে সঙ্গে বুঝতে পেরেছিলাম, কিছু একটা গোলমাল হয়েছে। কারণ, আমি একটা অদ্ভুত শব্দ শুনতে পেয়েছিলাম। তার পর কানে ধারালো কিছু অনুভব করেছিলাম। অনেকটা রক্ত বেরিয়ে যাওয়ার পর বুঝলাম, আসলে কী ঘটেছে। আমাদের দেশে যে এমনটা ঘটতে পারে, ভাবতেই পারি না। বন্দুকবাজ সম্পর্কে কিছু জানা যায়নি। তিনি নিহত।''


দলমত নির্বিশেষে ট্রাম্পের সভায় এই হামলার ঘটনার নিন্দা করেছেন আমেরিকার রাজনৈতিক নেতারা। প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, ''আমেরিকায় এই ধরনের হিংসার কোনও জায়গা নেই। আমাদের একজোট হয়ে এই হিংসার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো উচিত এবং এর নিন্দা করা উচিত।''

Card image cap

নাম না করে কাকে উন্নয়নের শত্রু বললেন প্রধানমন্ত্রী?

দেশের যুব প্রজন্মের কর্মসংস্থান নিয়ে বারবার সুর চড়িয়েছে বিরোধীরা। এবার তাদের পাল্টা জবাব দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। শনিবার তিনি বলেন, 'বিগত ৩-৪ বছরে ৮ কোটি নতুন কর্মসংস্থান হয়েছে। যারা বেকারত্ব নিয়ে মিথ্যা প্রচার চালাচ্ছিল, তাদেরও মুখ বন্ধ হয়ে গিয়েছে।'


মহারাষ্ট্রে ২৯,০০০ কোটি টাকার সড়ক, রেলওয়ে ও বন্দর প্রকল্পের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।


সেখান থেকেই তিনি কর্মসংস্থান নিয়ে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়ার সাম্প্রতিক একটি রিপোর্টের তথ্য তুলে ধরেন এবং জনগণকে আশ্বাস দেন যে এনডিএ সরকার স্থিতাবস্থা ও প্রবৃদ্ধিকেই সবথেকে বেশি গুরুত্ব দেয়। ছোট, বড়-সব ধরনের বিনিয়োগকে স্বাগত জানান তিনি।


বিরোধীদের আক্রমণ করে প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, “বিগত ৩-৪ বছরে দেশে ৮ কোটি নতুন কাজ তৈরি হয়েছে। যারা কর্মসংস্থান নিয়ে মিথ্যা প্রচার করত, তাদেরও চুপ করিয়ে দিয়েছে এই পরিসংখ্যান। যারা মিথ্যা প্রচার করে, তারা বিনিয়োগের শত্রু, পরিকাঠামো উন্নয়ন ও দেশের বৃদ্ধির শত্রু। এদের প্রতিটা নীতি যুব প্রজন্মকে ঠকানো ও কর্মসংস্থান আটকে দেওয়ার উদ্দেশে হয়। মানুষ এদের মিথ্যা আর শুনছে না। সব সত্যি সামনে আসছে।”


প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, দেশে কারিগরি শিক্ষা ও কর্মসংস্থানের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। সরকার সেই লক্ষ্যেই কাজ করছে। আমাদের লক্ষ্য হল সকলের জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন করা এবং সেরা জীবন দেওয়া। সেই কারণেই মুম্বইয়ের আশেপাশের এলাকার সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত করা হচ্ছে। মহারাষ্ট্রে গৌরব উজ্জ্বল ইতিহাস রয়েছে, দক্ষতায় ভরপুর বর্তমান এবং সুন্দর ভবিষ্যতের সম্ভাবনা রয়েছে। আমার লক্ষ্য হল মহারাষ্ট্রকে বিশ্বের বড় আর্থিক পাওয়ারহাউসে পরিণত করা এবং মুম্বইকে গ্লোবাল ফিনটেকের রাজধানী করা।”

Card image cap

ট্রাম্পের সভায় বন্দুকবাজের হানা

অল্পের জন্য রক্ষা পেলেন প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাঁর সভায় হামলা চালাল বন্দুকবাজ। গুলি ছুঁয়ে গেল কান। সোশাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে রক্তাক্ত ট্রাম্পের ছবি। তবে জানা গিয়েছে, বিপদমুক্ত রিপাবলিকান নেতা। তবে মারা গিয়েছেন সেখানে উপস্থিত এক ব্যক্তি, যাকে মূল অভিযুক্তর সঙ্গী বলেই মনে করা হচ্ছে। আহত দুজন। খতম বন্দুকবাজও। এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এক্স হ্যান্ডলে তিনি লিখেছেন, 'আমার বন্ধুর উপরে হামলার ঘটনায় অত্যন্ত উদ্বিগ্ন।'জানা গিয়েছে, পেনসিলভ্যানিয়ার বাটলারে নির্বাচনী জনসভা করছিলেন ট্রাম্প । বক্তৃতা চলাকালীন হঠাৎই তাঁকে দেখা যায় কানে হাত দিতে। তার পরই বিপদ বুঝে তিনি নিচু হয়ে যান। শোনা যায় গুলির শব্দ। দেখা যায় ট্রাম্পের কান দিয়ে রক্ত ঝরছে। সভাস্থলে ছড়িয়ে যায় আতঙ্ক। দ্রুত প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী নেতাকে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। পরে তাঁকে ছেড়েও দেওয়া হয়।ট্রাম্প নিজে এই ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন সোশাল মিডিয়ায়। লিখেছেন, 'বুলেট আমার ডান কানের উপরের অংশ ছুঁয়ে বেরিয়ে গিয়েছে।' সেই সঙ্গেই সেই মুহূর্তটির বর্ণনা দিতে গিয়ে ট্রাম্প জানাচ্ছেন, 'আমি সঙ্গে সঙ্গেই বুঝতে পেরেছিলাম কিছু একটা হয়েছে। আমি একটা শব্দও পেয়েছিলাম। বুলেট আমার ত্বক ছুঁয়ে যেতেই বসে পড়ি। খুব রক্ত পড়ছিল। তখন বুঝতে পারছিলাম ঠিক কী ঘটে গিয়েছে।'

Card image cap

সহকর্মীদের বাঁচানোর পরও কেন আগুনে ঝাঁপ দিয়েছিলেন ক্যাপ্টেন অংশুমান?

দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বীরত্ব সম্মান হল কীর্তি চক্র। সম্প্রতিই এই সম্মানে সম্মানিত করা হয়েছে শহিদ ক্যাপ্টেন অংশুমান সিংকে। তাঁর হয়ে এই সম্মান গ্রহণ করেছিলেন বিধবা স্ত্রী স্মৃতি সিং ও মা মঞ্জু সিং। কিন্তু কেন তাঁকে এই সম্মানে সম্মানিত করা হল, জানেন?


সিয়াচেন হিমবাহের কাছে সেনাবাহিনীর ক্যাম্পে মেডিক্যাল অফিসার হিসাবে মোতায়েন ছিলেন ক্যাপ্টেন অংশুমান সিং।


২৬ পঞ্জাব রেজিমেন্টের সদস্য ছিলেন তিনি। ২০২৩ সালের ১৯ জুলাই ওই সেনা ক্যাম্পে শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লাগে। ভিতরে আটকে পড়েন কয়েকজন। তাঁদের বাঁচাতেই ঝাঁপিয়ে পড়েন ক্যাপ্টেন অংশুমান সিং। ক্যাম্পের ভিতর থেকে পাঁচজন সেনাকর্মীকে উদ্ধার করেন ক্যাপ্টেন অংশুমান।


ক্যাম্প থেকে বেরিয়ে এলেও, তিনি লক্ষ্য করেন মেডিক্যাল রুমে আগুন ছড়িয়ে পড়ছে। ওই রুমে রাখা ছিল জীবনদায়ী ওষুধ। দুর্গম ওই এলাকায় এক একটা ওষুধের মূল্য কত, তা অনুভব করেই ফের আগুনের মধ্যে প্রবেশ করেন ক্যাপ্টেন অংশুমান সিং। কিন্তু এবার আর তিনি বেরিয়ে আসতে পারেননি। অগ্নিদ্বগ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় তাঁর।


সহকর্মীদের প্রাণ বাঁচাতে ক্যাপ্টেন অংশুমান সিংয়ের এই আত্মত্যাগকেই সম্মান জানিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে তাঁকে কীর্তি চক্রে সম্মানিত করা হয়।

Card image cap

উদ্ধব-পওয়ারের সঙ্গে দেখা করে INDIA জোট নিয়ে আত্মবিশ্বাসী মমতা

সংখ্যাগরিষ্ঠতায় নয়, কার্যত জোটসঙ্গীদের হাতেপায়ে ধরে তৃতীয়বারের জন্য দিল্লির কুর্সিতে বসেছেন নরেন্দ্র মোদি। এবার কেন্দ্রের প্রতিপক্ষ বিরোধী জোটও বেশ শক্তিশালী। আর এই সরকার যে খুব স্থায়ী হবে না, প্রথম দিন থেকে তেমন ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার মুম্বইয়ে উদ্ধব ঠাকরে অর্থাৎ বিরোধী এক জোট শরিককে পাশে নিয়ে ফের সেকথাই বললেন তিনি। তাঁর সাফ বক্তব্য, বিরোধী জোট খুবই শক্তিশালী এই মুহূর্তে। সরকারকে পদে পদে চাপে ফেলতে প্রস্তুত বিরোধীরা।আম্বানিপুত্র অনন্তের বিয়ের নিমন্ত্রণ রক্ষা করতে দুদিনের সফরে মুম্বই গিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । আর এই এক সফরে তিনি একাধিক কর্মসূচি রেখেছেন। তারই একটা বিরোধী INDIA জোটের অন্যতম শরিক উদ্ধব সঙ্গে বৈঠক। শুক্রবার বিকেলে মাতোশ্রীতে দুজনের মধ্যে আলোচনার পর সাংবাদিক বৈঠক করেন তাঁরা। ছিলেন উদ্ধবের ছেলে আদিত্যও। সেখানে একাধিক বিষয় কথা বলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। তবে উদ্ধব ঠাকরে বার বারই উল্লেখ করেন, 'দিদি'র সঙ্গে সাক্ষাৎ একেবারেই পারিবারিক, রাজনৈতিক কোনও কথা হবে না। তিনি নিজে কোনও রাজনৈতিক কথা বলেনওনি।

তবে তৃণমূ নেত্রী ন্যায় সংহিতা আইন লাগু নিয়ে কেন্দ্রকে একপ্রস্ত আক্রমণ করেছেন। পাশাপাশি কেন্দ্রের স্থায়িত্ব নিয়ে তাঁর প্রশ্ন, কীভাবে টিকবে সরকার? বিরোধী জোটের শক্তি নিয়ে আত্মবিশ্বাস প্রকাশ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জোটে কংগ্রেসের অংশ নিয়ে প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ''বাংলায় তো কংগ্রেস , সিপিএমের সঙ্গে কোনও জোট নেই। আমরা তো সিপিএমকে হারিয়েই ক্ষমতায় এসেছি। তাই ওদের হাত ধরে চলব না। তবে দিল্লিতে কংগ্রেস-সহ সকলে আমরা একসঙ্গে আছি। আর আমরা যথেষ্ট শক্তিশালী।''
সাংবাদিক বৈঠকে বিরোধী মুখ্যমন্ত্রীদের জেলবন্দি করা নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন উদ্ধব ঠাকরের বাড়ি থেকে তিনি চলে যান শরদ পওয়ারের বাসভবনে। সেখানে পওয়ার ছাড়া এনসিপি সাংসদ সুপ্রিয়া সুলের সঙ্গে দেখা করেন তৃণমূল সুপ্রিমো। 'দিদি'কে একগুচ্ছ উপহার দেন তাঁরা।

Card image cap

পাটনা থেকে ধৃত বিহারে নিটের প্রশ্নফাঁসের মূল পান্ডা

নিট কাণ্ডে বড় সাফল্য সিবিআইয়ের। বিহারে প্রশ্নফাঁস কেলেঙ্কারির মূল পান্ডাকে গ্রেপ্তার করল কেন্দ্রীয় সংস্থা। ধৃতের নাম রাকেশ রঞ্জন ওরফে রকি। তাঁর কাছ থেকে বেশ কিছু নথিও উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এই নিয়ে এই মামলায় বিহার থেকে এপর্যন্ত দশজনকে গ্রেপ্তার করল সিবিআই ।এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের সূত্রানুসারে, অভিযুক্ত রাকেশ রাঁচিতে একটা হোটেল চালাতেন। অভিযোগ, তাঁর হাতেই এসে পড়েছিল স্নাতক স্তরে ডাক্তারির অভিন্ন প্রবেশিকা পরীক্ষার প্রশ্নপত্র। সে জনৈক চিন্টুর মাধ্যমে তা ছড়িয়ে দেয়। কেবল প্রশ্নপত্রই নয়, সেগুলির লিখিত উত্তরও ছাপিয়ে বিক্রি করার অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। রাঁচি ও পাটনা থেকে বহু এমবিবিএস ছাত্রছাত্রীকে দিয়ে ওই প্রশ্নপত্র সলভ করানো হয়েছিল বলেও জানা যাচ্ছে। প্রসঙ্গত, রাকেশের মামা সঞ্জীব মুখিয়াও এই মামলার আর এক অভিযুক্ত। দেশের বিভিন্ন রাজ্য মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত গ্রেপ্তারির সংখ্যা ৩০ ছাপিয়েছে।এদিকে বৃহস্পতিবারই সিবিআই সুপ্রিম কোর্টে নিট তদন্ত নিয়ে হলফনামা পেশ করেছে। সংস্থার দাবি, স্নাতক স্তরে ডাক্তারির অভিন্ন প্রবেশিকা পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁস হয়েছে বটে তবে সেটা স্থানীয় স্তরে। সোশাল মিডিয়ায় ওই প্রশ্নপত্র ছড়িয়ে পড়েনি। ফলে তার প্রভাব ব্যাপক হওয়ার কথা নয়। এই হলফনামায় বিরোধীরা যে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ করছিল, সেটা খানিকটা লঘু করে দেওয়া হল বলে মনে করা হচ্ছে।

Card image cap

CBI অফিসার সেজে ফোন

খ্যাত হিন্দি কবি ও সাহিত্যিক নরেশ সাক্সেনা সম্প্রতি ডিজিটাল প্রতারণার শিকার হয়েছেন। লখনউয়ের গোমতী নগরে বসবাসকারী ৮০ বছর বয়সী এই কবি সিবিআই অফিসার সেজে প্রতারকদের জালে ফেঁসে যান।


৭ই জুলাই: বিকেল ৩ টায়, নরেশ সাক্সেনার হোয়াটসঅ্যাপে ভিডিও কল আসে।ভিডিও কলের অপর প্রান্তে থাকা ব্যক্তি নিজেকে সিবিআই ইন্সপেক্টর রোহণ শর্মা বলে পরিচয় দেয়।প্রতারক নরেশ সাক্সেনাকে জিজ্ঞেস করে তার আধার কার্ড হারিয়েছে কিনা।


নাকার পর, প্রতারক কবিকে জানায় যে তার আধার কার্ড ব্যবহার করে মুম্বাইতে একটি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে এবং সেই অ্যাকাউন্ট থেকে কোটি টাকা পাচার করা হচ্ছে।


প্রতারক নরেশ সাক্সেনাকে জানায় তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে এবং গ্রেফতারি পরোয়ানাও জারি করা হয়েছে। প্রতারকরা কবিকে তার বাড়ির দরজা ভেতর থেকে তালাবদ্ধ করে ডিজিটাল আটকের শিকার করে। প্রতারকরা মুক্তিপণের জন্য মোটা অঙ্কের টাকা দাবি করে।


প্রতারকরা কবিকে প্রায় ছয় ঘণ্টা ধরে হয়রানি করে। এই সময় তারা কবিকে কবিতা পাঠ করতে ও বাঁশি বাজাতেও বাধ্য করে।দীর্ঘক্ষণ বন্ধ থাকায় নরেশ সাক্সেনার পরিবার সন্দেহ করে ঘরে ঢুকে প্রতারকদের হাত থেকে তাকে উদ্ধার করে। প্রতারকরা নরেশ সাক্সেনার মেয়ে ও জামাইকে গ্রেফতারির হুমকি দেয়।নরেশ সাক্সেনা প্রতারকদের কোনো টাকাই দেননি।



এই ঘটনা আমাদের সকলকে সতর্ক করে দেয় যে ডিজিটাল প্রতারণা কতটা ভয়াবহ রূপ নিতে পারে। বিশেষ করে বয়স্কদের এই ধরণের প্রতারণার শিকার হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।


নরেশ সাক্সেনার এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসায় ডিজিটাল প্রতারণা সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা যায়।


আইনি পদক্ষেপ:


নরেশ সাক্সেনা এই ঘটনার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।

Card image cap

দিল্লি মদ কেলেঙ্কারির চার্জশিট আদালতে

অরবিন্দ কেজরিওয়াল ও তাঁর দল আম আদমি পার্টি মদ দুর্নীতি কাণ্ডে মূল অভিযুক্ত হিসাবে দেখাল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। বুধবার তদন্তকারী সংস্থার পক্ষ থেকে আদালতে চার্জশিট পেশ করে হয়। চার্জশিটে দাবি করা হয় যে, ঘুষের টাকা সরাসরি আম আদমি পার্টির তহবিলে জমা পড়েছিল। এছাড়াও দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী পুরো ঘটনা সম্পর্কে ওয়াকিবহাল ছিলেন। বর্তমানে কেজরিওয়াল ও মনীশ সিসোদিয়া তিহার জেলে বন্দি রয়েছেন।দিল্লির মদকাণ্ডে রাজধানীর রাউস অ্যাভিনিউ কোর্টে পূর্ণাঙ্গ চার্জশিট পেশ করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডি । তাতে ৩৭ ও ৩৮ নম্বর আসামী হিসাবে নাম রয়েছে যথাক্রমে অরবিন্দ কেজরিওয়াল ও আম আদমি পার্টির। ভারতে কোনও রাজনৈতিক দলের দুর্নীতির মামলায় অভিযুক্ত হওয়ার নজির নেই। এই প্রথম রাজনৈতিক দলের তহবিলে ঘুষের টাকা জমা হওয়া নিয়ে আদালতে চার্জশিট জমা পড়েছে।ইডি চার্জশিটে বলেছে, জমা হওয়া অর্থের মধ্যে ২৫ কোটি আম আদমি পার্টি ২০২২-এ গোয়ার বিধানসভা ভোটে খরচ করে। ইডির দাবি, সবই দলের সুপ্রিমো কেজরিওয়ালের জ্ঞাতার্থেই হয়েছে। কেন্দ্রীয় এজেন্সি চার্জশিটে নানা তথ্য দিয়ে দাবি করেছে, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীই গোটা দুর্নীতির মাস্টারমাইন্ড ছিলেন। ধৃত মদ ব্যবসায়ী বিজয় নায়ারের পরামর্শ মতো মদনীতি তৈরি হয়। ওই ব্যবসায়ী নিয়মিত কেজরিওয়ালের সঙ্গেও যোগাযোগ রেখে চলতেন।এই মামলায় দুই অভিযুত দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল এবং প্রাক্তন উপ মুখ্যমন্ত্রী মনীশ সিসোদিয়া বর্তমানে তিহাড় জেলে বন্দি। কেজরিওয়ালকে আর এক তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই-ও গ্রেফতার করেছে। বুধবার ইডি চার্জশিট জমা করায় দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর মুক্তি পাওয়া আরও কঠিন হয়ে পড়ল বলে মনে করা হচ্ছে।

Card image cap

মোদি সাক্ষাতের পরে ভূয়সী প্রশংসায় অস্ট্রিয়ার চ্যান্সেলর

দুদিনের রাশিয়া সফর সেরে অস্ট্রিয়া পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। প্রায় ৪১ বছর পর প্রথম ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী হিসাবে সেদেশের রাজধানী ভিয়েনায় পা রেখেছেন নমো। তার পরেই সেদেশের চ্যান্সেলর কার্ল নেহামারের সঙ্গে দেখা করেন তিনি। বেশ কয়েকজন শিল্পপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন দুই দেশের রাষ্ট্রপ্রধান। এর পরে যৌথ সাংবাদিক সম্মেলন করেন তাঁরা।নেহামার বলেন, "ভারত খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং প্রভাবশালী দেশ। বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্র। তাই অস্ট্রিয়ার কাছে ভারতের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। শান্তি স্থাপনের ক্ষেত্রে ভারতের গুরুত্ব অপরিসীম।" অস্ট্রিয়া সফরের আগে রাশিয়ায় গিয়েছিলেন মোদি । সেই বিষয়টি উত্থাপন করে নেহামার বলেন, "প্রধানমন্ত্রী মোদি শান্তি প্রতিষ্ঠা প্রসঙ্গে রাশিয়াকে কী বার্তা দিয়েছেন, সেটাও আমাদের পক্ষে জানা খুব গুরুত্বপূর্ণ। রাষ্ট্রসংঘের সনদ অনুযায়ী শান্তি বজায় রাখা হোক, এটাই দুই দেশের কাছে কাম্য।"এই যৌথ সাংবাদিক বৈঠক থেকেই অস্ট্রিয়ার সংস্থাগুলোকে ভারতে বিনিয়োগ করার আমন্ত্রণ জানান মোদি। সেদেশের বেশ কয়েকজন শিল্পপতির সঙ্গে দেখা করেন মোদি এবং নেহামার। ভারতীয় বিদেশমন্ত্রকের তরফে বিবৃতি জারি করে বলা হয়, পরিকাঠামো, শক্তি-সহ বেশ কয়েকটি ক্ষেত্রে ভারতে বিনিয়োগ করতে পারে অস্ট্রীয় সংস্থাগুলো। হাত মেলাতে পারে ভারতীয় সংস্থাগুলোর সঙ্গেও। শিল্পপতিদের সঙ্গে সাক্ষাতের পর নোবেলজয়ী অ্যান্টন জেইলিঙ্গারের সঙ্গেও দেখা করেন মোদি।দুই দেশের যৌথ সাংবাদিক বৈঠক এবং বিবৃতির পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন ভারতের বিদেশ সচিব বিনয় মোহন কোত্রা। রাশিয়া এবং অস্ট্রিয়া, দুই সফর নিয়েই তিনি কথা বলেন সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ থামাতে ভারত সমস্ত রকম ভূমিকা পালন করতে তৈরি আছে বলে জানান তিনি। তাঁর কথায়, "আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের বার্তা ভারতের তরফে বারবার দেওয়া হয়েছে। রাশিয়া-ইউক্রেন বৈঠকে সর্বোতভাবে ভারত সাহায্য করবে। প্রধানমন্ত্রী সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, যুদ্ধের মাধ্যমে কোনও সমাধান মিলবে না। যেভাবে যুদ্ধের কারণে প্রাণহানি হচ্ছে সেটাও বরদাস্ত করা সম্ভব নয়।" যুদ্ধের ফলে বিশ্বের অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব নিয়েও মোদি উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বলে জানান বিদেশ সচিব।