CATEGORY country:

Card image cap

গুচ্ছের 5G প্ল্যান আনল এয়ারটেল





গত এক বছরে প্রচুর মানুষ 5G ফোন কিনেছেন এই আশায়, যে তাঁরা সস্তায় 5G ইন্টারনেট উপভোগ করবেন। কিন্তু, সেই পরিকল্পনায় কিছুটা আশাহত হয়েছেন অনেকেই। কারণ সম্প্রতি রিচার্জ প্ল্যানের দাম বাড়িয়েছে জিও এবং এয়ারটেল। এই মুহূর্তে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম টেলিকম অপারেটর এয়ারটেল। রিচার্জের দাম বেড়ে যাওয়া ফলে 5G প্ল্যানেও এসেছে বদল। এখন হাই-স্পিড 5G অফার পেতে কত টাকা খরচ করতে হবে জেনে নিন।



এয়ারটেল 5G প্রিপেইড প্ল্যানে

ভালো বিষয় হল, জিও’র মতো এয়ারটেল 5G রিচার্জের জন্য আলাদা কোনও ক্যাটাগরি নিয়ে আসেনি। তবে কয়েকটি নির্দিষ্ট প্রিপেইড প্ল্যান রয়েছে, যেগুলো রিচার্জ করলে তবেই আনলিমিটেড 5G অফার পাওয়া যাবে।



প্ল্যানের দাম সুবিধা

3999 টাকা এই রিচার্জ ক্রিকেট প্যাক ক্যাটাগরির অধীনে পাওয়া যাবে, ভ্যালিডিটি 365 দিন, আনলিমিটেড কল, দৈনিক 3 জিবি ডেটা সঙ্গে আনলিমিটেড 5G, দৈনিক 100টি SMS এবং 84 দিনের নেটফ্লিক্স সাবস্ক্রিপশন

1798 টাকা ট্রুলি আনলিমিটেড ক্যাটাগরির অধীনে পাবেন, ভ্যালিডিটি 84 দিন, আনলিমিটেড কলিং, প্রতিদিন 100টি SMS, দৈনিক 3 জিবি 4G ডেটা, সঙ্গে আনলিমিটেড 5G এবং 84 দিনের নেটফ্লিক্স সাবস্ক্রিপশন

1199 টাকা ভ্যালিডিটি 84 দিন, দৈনিক 2.5 জিবি 4G ডেটা, আনলিমিটেড 5G, দৈনিক 100টি SMS, আনলিমিটেড কলিং

1029 টাকা ক্রিকেট প্যাক ক্যাটাগরির অধীনে পাবেন, ভ্যালিডিটি 84 দিন, আনলিমিটেড কলিং, দৈনিক 2 জিবি 4G ডেটা, আনলিমিটেড 5G , দৈনিক 100টি SMS, 3 মাসের ডিজনি+হটস্টার সাবস্ক্রিপশন

838 টাকা ট্রুলি আনলিমিটেড ক্যাটাগরির অধীনে মিলবে, 56 দিন ভ্যালিডিটি, দৈনিক 3 জিবি 4G ডেটা, আনলিমিটেড 5G, দিনিক 100টি SMS, 56 দিনী অ্যামাজন প্রাইম সাবস্ক্রিপশন

3599 টাকা ট্রুলি আনলিমিটেড ক্যাটাগরির অধীনে পাবেন, ভ্যালিডিটি 365 দিন, দৈনিক 2 জিবি 4G ডেটা, আনলিমিটেড 5G, আনলিমিটেড ভয়েস কলিং, দৈনিক 100টি SMS

429 টাকা 30 দিন ভ্যালিডিটি, আনলিমিটেড কলিং, দৈনিক 2.5 জিবি 4G ডেটা, আনলিমিটেড 5G, প্রতিদিন 100টি SMS

409 টাকা 28 দিন ভ্যালিডিটি, আনলিমিটেড কলিং, দৈনিক 2.5 জিবি ডেটা, আনলিমিটেড 5G এবং প্রতিদিন 100টি করে SMS

379 টাকা 30 দিন ভ্যালিডিটি, দৈনিক 2 জিবি 4G ডেটা, আনলিমিটেড 5G, প্রতিদিন 100টি করে SMS


Card image cap

পতঞ্জলির ১৪টি পণ্যের বিজ্ঞাপনে নিষেধাজ্ঞা সুপ্রিম কোর্টের

বিভ্রান্তিকর বিজ্ঞাপনের অভিযোগে রামদেবের সংস্থা পতঞ্জলি ইতিমধ্যেই বার কয়েক ভর্ৎসিত হয়েছেন সুপ্রিম কোর্টে । এবার ওই সংস্থার বিরুদ্ধে আরও কড়া শীর্ষ আদালত। রামদেবের সংস্থার ১৪টি পণ্যের বিজ্ঞাপন সম্প্রচারে নিষেধাজ্ঞা জারি করল সুপ্রিম কোর্ট। অবিলম্বে ডিজিটাল সংবাদমাধ্যম, সমাজমাধ্যম অন্যান্য মাধ্যম থেকে সেগুলির বিজ্ঞাপন মুছে ফেলতে হবে।গত এপ্রিলে উত্তরাখণ্ড সরকারের লাইসেন্সিং বিভাগ পতঞ্জলির ১৪টি পণ্যের লাইসেন্স বাতিল করে। এদিন হিমা কোহলি এবং বিচারপতি সন্দীপ মেহতার বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছে ওই ১৪টি পণ্যের সমস্তরকম বিজ্ঞাপন সম্প্রচার বন্ধ করতে হবে। ডিজিটাল সংবাদমাধ্যম, সমাজমাধ্যম অন্যান্য মাধ্যমেও রাখা যাবে না বিজ্ঞাপনগুলি। পতঞ্জলি যে বিজ্ঞাপনগুলি বন্ধ করছে, সেটা নিশ্চিত করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে আইএমএ অর্থাৎ ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনকে।এই ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনই পতঞ্জলির বিরুদ্ধে বিভ্রান্তিকর বিজ্ঞাপন দেওয়ার অভিযোগ করেছিল। শুনানিতে অবশ্য পতঞ্জলির আইনজীবী মুকুল রোহাতগি মঙ্গলবার শীর্ষ আদালতকে জানিয়েছেন, ইতিমধ্যেই বিজ্ঞাপনগুলি ডিজিটাল মাধ্যম থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, যে ১৪টি পণ্যের লাইসেন্স উত্তরাখণ্ড সরকার বাতিল করেছিল, সেই পণ্যগুলি বিক্রিও বন্ধ করেছে সংস্থা। পতঞ্জলির পাঁচ হাজারের বেশি স্টোর থেকে পণ্যগুলি ইতিমধ্যেই সরানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই মামলার পরবর্তী শুনানি ৩০ জুলাই।উল্লেখ্য, গত ১৫ এপ্রিল রাজ্যের লাইসেন্সিং অথরিটি পতঞ্জলির ১৪টি পণ্য উৎপাদন বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে। সেই সঙ্গে হরিদ্বারের আয়ুর্বেদিক ও ইউনানি আধিকারিক ফৌজদারি মামলা দায়ের করেছেন যোগগুরু রামদেব  ও তাঁর সহকারী আচার্য বালকৃষ্ণর বিরুদ্ধে। পতঞ্জলির বিরুদ্ধেও আলাদাভাবে মামলা দায়ের করা হয়েছে। সেই মামলাও চলছে।

Card image cap

দেখা হতেই কোলাকুলি মোদি-পুতিনের

রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের বাসভবনে একান্ত নৈশভোজে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। প্রবাসী ভারতীয়দের সঙ্গে বৈঠক সেরেই রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বাসভবনে পৌঁছে যান তিনি। দেখা হওয়া মাত্রই, দুজন দুজনকে জড়িয়ে ধরেন। হাসিমুখে করমর্দন করেই চলে যান নৈশভোজে।এ প্রসঙ্গে ভারতীয় বিদেশমন্ত্রক তাদের এক্স হ্যান্ডলে লেখে, 'দুই বিশ্বস্ত বন্ধু ও পার্টনারের সাক্ষাৎ। ব্যক্তিগত নৈশভোজে রাশিয়ার রাষ্ট্রপতি ভবনে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানিয়েছেন ভ্লাদিমির পুতিন। বন্ধুত্ব উদযাপনের সময়।" দুজনের বেশকিছু ছবিও পোস্ট করেছে তারা। দুদিনের রাশিয়া সফরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। মস্কো পৌঁছতেই রাজকীয় অভ্যর্থনা পেলেন তিনি। তাঁকে স্বাগত জানাতে বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন রাশিয়ার প্রথম উপ প্রধানমন্ত্রী ডেনিস মনতুরভ। মোদিকে শুধু স্বাগত জানানোই নয়, হোটেল পর্যন্ত পৌঁছেও দেন তিনি। এর পর প্রবাসী ভারতীয়দের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন প্রধানমন্ত্রী। সেখান থেকে রওনা দেন পুতিনের সরকারি বাসভবনের উদ্দেশে।ক্রেমলিনে মুখপাত্র দিমিত্রি পেশকভ জানিয়েছেন, মঙ্গলবার দুপুরে দুই রাষ্ট্রপ্রধানের একান্ত বৈঠক হবে। তার পর দুই দেশের প্রতিনিধি দলের  সঙ্গে বৈঠক করবেন তাঁরা। তার আগে অবশ্য প্রাতঃরাশেও এক দফা আলোচনা হতে পারে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের মাঝেই মোদির মস্কো সফর নিঃসন্দেহে কূটনৈতিকভাবে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। যুদ্ধ আবহে দু দেশের মধ্যে কী আলোচনা হয়, ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে রাশিয়ার মাটি থেকে মোদি কী বার্তা দেন, তার দিকে তাকিয়ে গোটা বিশ্ব। 

Card image cap

দাম বাড়িয়ে ফ্যাসাদে জিও! পায়ে হাতে ধরতে গ্রাহকদের করছে এই একটি মেসেজ

ভারতে প্রথম সস্তায় টেলিকম পরিষেবা দেওয়া শুরু করেছিল মুকেশ আম্বানির জিও। একেবারে লঞ্চিংয়ের সময়ে যদি ফিরে যাওয়া যায় তাহলে দেখা যাবে, সেই সময় তারা পুরোপুরি বিনামূল্যে গ্রাহকদের পরিষেবা দিত। পরবর্তীতে ধীরে ধীরে নতুন নতুন প্ল্যান লঞ্চ করে আর এখন দফায় দফায় দাম বাড়াচ্ছে।


জিও ২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাসে একলাফে নিজেদের ট্যারিফ প্ল্যানের দাম ২০ শতাংশের বেশি বৃদ্ধি করেছিল। এরপর সব ঠিকঠাক চললেও আবার ২০২৪ সালের ৩ জুলাই নতুন করে ট্যারিফ প্ল্যানের দাম বৃদ্ধি করল। নতুন করে জিও তাদের যে ট্যারিফ প্ল্যানের দাম বৃদ্ধি করেছে তাতে দেখা যাচ্ছে গ্রাহকদের মোবাইল রিচার্জ খরচ ১২.৫% থেকে ২৫ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে। আর এতেই তারা রীতিমতো ফ্যাসাদে পড়েছে।


দাম বৃদ্ধির পর জিওর সবচেয়ে কম দামি রিচার্জ ১৫৫ টাকা বেড়ে হয়েছে ১৮৯ টাকা। এদিকে ২৩৯ টাকার রিচার্জ প্ল্যানের দাম বেড়ে হয়েছে ২৯৯ টাকা। ৬৬৬ টাকার রিচার্জ প্ল্যান এখন বেড়ে হয়েছে ৭৯৯ টাকা। ৭১৯ টাকার রিচার্জ প্ল্যান বেড়ে হয়েছে ৮৫৯ টাকা। এই রিচার্জ প্ল্যানগুলি জিওর অত্যন্ত জনপ্রিয় রিচার্জ প্ল্যান এবং অধিকাংশ গ্রাহকরা এই সকল রিচার্জ প্ল্যানগুলি রিচার্জ করে থাকেন। কিন্তু এখন এই সকল রিচার্জ প্ল্যান রিচার্জ করার সময় গ্রাহকদের ৩৪ টাকা থেকে ১৪০ টাকা পর্যন্ত বেশি খরচ করতে হচ্ছে।


জিও তাদের ট্যারিফ প্ল্যানের দাম একলাফে এতটা বৃদ্ধি করার ফলে গ্রাহকরা রীতিমত ক্ষুব্ধ এবং বহু গ্রাহক রয়েছেন যারা হয় জিও ছেড়ে দিচ্ছেন অথবা অন্য কোন নেটওয়ার্কে পোর্ট করছেন। পোর্ট করার ক্ষেত্রে অধিকাংশ গ্রাহকরাই বেছে নিচ্ছেন বিএসএনএল। কেননা একমাত্র টেলিকম সংস্থা হিসেবে বিএসএনএলই কোনরকম রিচার্জ প্ল্যানের দাম বৃদ্ধি করেনি। এমত অবস্থায় পরিস্থিতি বেগতিক দেখে জিও তাদের গ্রাহকদের রীতিমতো হাতে পায়ে ধরা  শুরু করল।


জিও এখন তাদের অধিকাংশ গ্রাহকদের একটি করে মেসেজ পাঠাচ্ছে। সংস্থার তরফ থেকে গ্রাহকদের কাছে মূলত তাদের নেটওয়ার্কে থাকার জন্যই আবেদন জানানো হচ্ছে। আবেদন জানানোর জন্য যে মেসেজ করা হচ্ছে তাতে বলা হচ্ছে, "Jio-এর সাথে সংযুক্ত থাকুন এবং Jio-এর বিশ্বমানের পরিষেবাগুলি উপভোগ করতে থাকুন যা সবচেয়ে সাশ্রয়ী মূল্যের আজও"। আর এই নিয়ে এখন সোশ্যাল মিডিয়াতেও নানান টিপ্পনি শুরু হয়েছে।

Card image cap

এবার ২ দিন চলবে পুরীর রথ, রশিতে টান পড়বে বিকালে

ভারতবর্ষ উৎসব প্রধান দেশ। বছরভর নানা অনুষ্ঠান উদযাপন পালন করেন ভারতবাসীরা। কিছুদিন আগেই পালিত হয়েছে জগন্নাথ মহাপ্রভুর স্নানযাত্রা উৎসব। সেরকমই একটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উৎসব হল রথযাত্রা। যার আর হাতে গোনা দিন বাকী। ভারতের ওড়িশা ও পশ্চিমবঙ্গে মূলত এই উৎসব বিশেষ উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে পালন করা হয়। বিশেষ তিথিতে ধুমধাম করে রথযাত্রার উৎসব পালিত হয় পুরী, মাহেশ, ইস্কনের মন্দিরে। শুরু তাই নয়, যে সমস্ত মন্দিরে ও বনেদি বাড়িতে জগন্নাথ দেব আছে, সেখানেও ঘটা করে পালন করা হয় এই উৎসব। পুরীতে ২ দিন রথযাত্রা এবছরের পুরীর রথযাত্রা খুব বিশেষ হতে চলেছে। কারণ দু’দিন ধরে পালিত হবে রথযাত্রা উৎসব। ৫৩ বছর পর বিরল কাকতালীয় ঘটনা ঘটতে চলেছে রথযাত্রায় দিন। এবার সকালের পরিবর্তে সন্ধ্যায় শুরু হবে রথযাত্রা উৎসব। রথযাত্রার পর রথ চালানো আর হয় না। সেক্ষেত্রে পরের দিন, অর্থাৎ ৮ জুলাই ভোর থেকে আবার যাত্রা শুরু হবে। ধর্মীয় রীতি অনুসারে, স্নানযাত্রার পর জ্বর আসে প্রভু জগন্নাথ ও তাঁর ভাই- বোনের। সেই সময় আলাদা ঘরে রাখা হয় তাঁদের। অসুস্থতা থেকে সেরে ওঠার পর, বিগ্রহে রূপটানের অনুষ্ঠান নেত্র উৎসব ও নব যৌবন উৎসব পালিত হয়। মন্দিরেই এই উৎসব পালন করা হয়। তবে এবার তিথির ফেরে নেত্র উৎসব, নব যৌবন উৎসব, রথযাত্রা একই দিনে পড়েছে। সব রীতি পালন করার পর রথযাত্রা শুরু হবে। রথের দড়িতে টান পড়তে বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা হয়ে যাবে বলে মনে করছেন জগন্নাথদেবের সেবায়েতরা। অন্ধকার নেমে এলে, রথ কিছুটা এগিয়ে রাস্তাতেই অপেক্ষা করবে সারা রাত এবং পরের দিন, ফের যাত্রা শুরু হবে। এর আগে ১৯০৯ এবং ১৯৭১ সালে এই তিথি একই দিনে হয়েছিল বলে জানা যাচ্ছে। জগন্নাথ মন্দির থেকে মাসির বাড়ির দূরত্ব প্রায় তিন কিলোমিটার। তাই রথের দড়িতে টান পড়লেও, তিনটি রথ মাসির বাড়ি গুন্ডিচা মন্দিরে পৌঁছাতে কত সময় লাগে, সেটাই এখন দেখার বিষয়।

Card image cap

সেনা অভিযানে খতম ৪ জঙ্গি

সকাল থেকে ভূস্বর্গে চলতে থাকা সেনা অভিযানে অবশেষে ৪ জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। পাশাপাশি অভিযান চলাকালীন শহিদ হয়েছেন এক সেনা জওয়ান। শনিবার ঘটনাটি ঘটেছে জম্মু ও কাশ্মীরের কুলগাম জেলায়। ওই এলাকায় আরও জঙ্গি লুকিয়ে রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। ফলে গোটা এলাকায় চিরুনি তল্লাশি জারি রেখেছে সেনাবাহিনী। জম্মু ও কাশ্মীরে অমরনাথ যাত্রা চলাকালীন সেনা অভিযানে ৪ জঙ্গির মৃত্যু বড় সাফল্য হিসেবে দেখছে নিরাপত্তাবাহিনী।
জানা গিয়েছে, কুলগামের ফ্রিজল চিন্নিগাম এলাকায় লস্কর জঙ্গিদের লুকিয়ে থাকার খবর পেয়ে শনিবার সকালে গোটা এলাকা ঘিরে ফেলে তল্লাশি অভিযান শুরু করে সিআরপিএস, সেনা ও পুলিশের যৌথ বাহিনী। তল্লাশি অভিযান চলাকালীন পিছু হঠবার জায়গা না পেয়ে নিরাপত্তাবাহিনীকে লক্ষ্য করে গুলি চালাতে শুরু করে জঙ্গিরা। পালটা জবাব দেয় সেনাও। দীর্ঘক্ষণ ধরে দুপক্ষের গুলির লড়াই চলার পর ৪ জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। প্রাথমিক ভাবে জানা যাচ্ছে, মৃত ৪ জঙ্গি লস্কর-ই-তৈবার সদস্য।কুলগামের মদেরগাম গ্রামেও এদিন সকাল থেকে শুরু হয়েছিল সেনা অভিযান। জঙ্গিদের লুকিয়ে থাকার খবর পেয়ে এখানে সিআরপিএফ জওয়ান এবং স্থানীয় পুলিশের যৌথবাহিনী অভিযান চালায়। সেনার আশঙ্কা সত্যি করে মদেরগামে ঢুকতেই যৌথবাহিনীকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে লুকিয়ে থাকা জঙ্গিরা। শুরু ধুন্ধুমার গুলির লড়াই। তখনই এক সেনা জওয়ান গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর জখম হন। পরে তাঁর মৃত্যু হয়। ওই এলাকায় অন্তত ৩ জঙ্গি লুকিয়ে রয়েছে বলে অনুমান করছে নিরাপত্তাবাহিনী। জারি রয়েছে গুলির লড়াই।কড়া নিরাপত্তায় গত ২৯ জুন থেকে শুরু হয়েছে অমরনাথ যাত্রা। প্রতিবারই জঙ্গিদের নিশানায় থাকে হিন্দুদের পবিত্র এই তীর্থযাত্রা। কোনওরকম অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে এবার কড়া নিরাপত্তায় শুরু হয়েছে অমরনাথ যাত্রা। একইসঙ্গে গোটা উপত্যকা জুড়ে চলছে জঙ্গিদের বিরুদ্ধে অলআউট অভিযান।

Card image cap

তৃতীয় মোদি সরকারের প্রথম পূর্ণাঙ্গ বাজেট কবে?

 তৃতীয় মোদি সরকারের প্রথম পূর্ণাঙ্গ বাজেট পেশ আগামী ২৩ জুলাই। কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্তে সিলমোহর দিলেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। শনিবার বাজেট অধিবেশনের দিনক্ষণ জানিয়েছেন সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী কিরেণ রিজিজু।
শনিবার এক্স হ্যান্ডেলে রিজিজু জানান, অষ্টাদশ লোকসভার প্রথম বাজেট অধিবেশন শুরু হবে আগামী ২২ জুলাই। ওইদিনই দুই কক্ষের অধিবেশন বসবে। ২৩ জুলাই লোকসভায় বাজেট পেশ করবেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ। বাজেট নিয়ে আলোচনার জন্য অধিবেশন চলবে ১২ আগস্ট পর্যন্ত। নির্বাচনের বছর হওয়ার গত ফেব্রুয়ারিতে অর্থমন্ত্রী অন্তর্বর্তী বাজেট পেশ করেন। এবার গোটা বছরের পূর্ণাঙ্গ বাজেট পেশ করবেন তিনি। এই নিয়ে টানা সাতবার বাজেট পেশ করবেন নির্মলা। প্রথম অর্থমন্ত্রী হিসাবে এই বিরল কীর্তি গড়তে চলেছেন তিনি। এর আগে মোরারজি দেশাই টানা ৬বার বাজেট পেশ করেছিলেন।এ পর্যন্ত কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি সরকার মূলত সংস্কারমুখী বাজেট পেশ করে এসেছে। ভোটের আগের বছরগুলিতে খয়রাতির পথেও হেঁটেছে কেন্দ্র। তৃতীয় মোদি সরকারের প্রথম বাজেট কেমন হতে পারে, আপাতত নজর সেদিকেই। আগামী বাজেটে সরকার নির্দিষ্ট কিছু ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত আয়কর হার কমানোর কথা বিবেচনা করছে বলে সূত্রের খবর। এবার ভোগ‌-ব‌্যয় বাড়াতে নিম্ন আয়ের ব‌্যক্তিদের জন‌্য আয়কর কমানোর পথে হাঁটতে পারে কেন্দ্র।

Card image cap

গুজরাটে তাসের ঘরের মতো হুড়মুড়িয়ে ভাঙল বহুতল

গুজরাটের সুরাট শহরে তাসের ঘরের মতো হুড়মুড় করে ভেঙে পড়ল একটি বহুতল। এই ঘটনায় আহতের সংখ্যে কমপক্ষে ১৫ জন। ভিতরে অনেকের আটকে থাকার আশঙ্কা করছে প্রশাসন। বিপর্যয়ের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে পুলিশ ও দমকল বাহিনী। শুরু হয়েছে উদ্ধারকাজ।গত কয়েক দিন ধরেই ভারী বৃষ্টি চলছে সুরাটে। এর জেরেই সচিন পালি গ্রামের বহুতলটি ভেঙে পড়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। জেলাশাসক ড. সৌরভ পারধি জানান, ছয় তলা বাড়িটি আচমকাই ভেঙে পড়ে শনিবার। ভিতরে ৪-৫ জন আটকে থাকতে পারে। ইতিমধ্যে এক মহিলাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এনডিআরএফ, দমকল এবং পুলিশ যৌথভাবে কাজ করছে।
সুরাটের পুলিশ কমিশনার অনুপম সিং গেহলট জানান, শনিবার দুপুর ৩টে নাগাদ ভেঙে ছয় তলা বাড়িটি ভেঙে পড়ে। ৩০টি ফ্ল্যাট ছিল সেখানে। পাঁচ থেকে ছ’টি পরিবার থাকত। তিনি আরও জানান, বহুতল ধসে পড়ার পাঁচ মিনিট পরে থানায় খবর পায়। জেলাশাসকের সুরে অনুপম বলেন, ভিতরে ৪-৫ জন আটকে থাকতে পারে।

Card image cap

Jio, Airtel এর দাদাগিরি শেষ!

ক্রমশ নিজেদের জমি শক্ত করছে সরকারি টেলিকম সংস্থা বিএসএনএল । রাষ্ট্রায়ত্ত এই টেলিকম সংস্থা 4G নেটওয়ার্ক ইনস্টলেশন নিয়ে অগ্রগতি দেখিয়েছে। তবে ফাইভ-জি পরিষেবা কবে থেকে শুরু হবে তা নিয়ে জল্পনা অব্যাহত রয়েছে। গত ৩ জুলাই থেকে সমস্ত রিচার্জ প্যাকের দাম বৃদ্ধি করেছে জিও, এয়ারটেল এবং ভোডাফোন আইডিয়া।


Jio, Airtel কে পথে বসাতে তৈরি BSNL


এই আবহে রিচার্জ প্যাকের দাম একই রেখেছে বিএসএনএল। সূত্রের পাওয়া খবর অনুযায়ী, 4G পরিষেবা আরো বিস্তৃত করতে বিএসএনএল গোটা দেশজুড়ে ১০০০০ ফোরজি টাওয়ার বসিয়েছে। বিএসএনএল এই নেটওয়ার্ক পরিকাঠামো গড়ে তুলছে আত্মনির্ভর ভারত অভিযানের অধীনে। গোটা দেশে নতুন দশ হাজার টাওয়ার ইনস্টলেশনের ফলে ফোরজি পরিষেবা আরো উন্নত হবে।


গত এপ্রিল মাস পর্যন্ত গোটা দেশ জুড়ে বিএসএনএলের  4জি টাওয়ারের সংখ্যা ছিল ৩৫০০ টি মতো। সেই টাওয়ার ক্যাপাসিটি বৃদ্ধি করে দশ হাজার করা হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরেই বিএসএনএল চাইছে 4G পরিষেবা শুরু করার। তবে উপযুক্ত পরিকাঠামো অভাবে সেই কল্পনা বাস্তবায়িত হচ্ছিল না।


বিএসএনএল এই সংক্রান্ত একটি পোস্ট করেছে এক্স হ্যান্ডেলে। সেখানে সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে দশ হাজার 4G টাওয়ার বসানোর বিষয়টি নিয়ে। পাশাপাশি এই পরিকাঠামো যে আত্মনির্ভর ভারত অভিযানের অধীনে গড়ে তোলা হয়েছে সেটিও বলা হয়েছে এই পোস্টে। বিএসএনএল লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে প্রত্যন্ত গ্রাম অঞ্চলে 4G পরিষেবা পৌঁছে দেওয়ার।


একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রাথমিক পর্যায়ে ফোরজি পরিষেবার জন্য উপযুক্ত পরিকাঠামো গড়ে তোলা হয়েছে হরিয়ানা, পঞ্জাব, উত্তরাখণ্ড, হিমাচল প্রদেশ এবং পূর্ব উত্তর প্রদেশের মতো রাজ্যগুলিতে। সেই লক্ষ্যেই বিএসএনএল  উন্নত পরিকাঠামো তৈরি করে তাদের 3G গ্রাহকদের 4G পরিষেবায় আনতে চাইছে। সেই সঙ্গে জিও আর এয়ারটেলকেও টেক্কা দিতে চাইছে।

Card image cap

মোবাইল রিচার্জের দাম বাড়ার পর আরো এক নতুন ঝটকা দেশবাসীর

জুলাই মাস থেকে মোবাইল রিচার্জের  দাম বাড়িয়ে দেওয়ার পর এমনিতেই আঁতকে উঠেছেন মোবাইল ব্যবহারকারীরা।তবে এখন শুধু মোবাইল রিচার্জের খরচই বাড়লো না পাশাপাশি এবার আরও বেশি জটিল হয়ে উঠলো মোবাইলের সিম পোর্ট  করার পদ্ধতিও। সম্প্রতি সিম কার্ড কেনা এবং মোবাইল নম্বর পোর্ট সংক্রান্ত নতুন নিয়ম কার্যকর করা হয়েছে।


গত সপ্তাহেই সরকারের তরফ থেকে কার্যকর করা হয়েছে টেলিকম অ্যাক্ট ২০২৩। এই নতুন নিয়ম সম্পর্কে সামান্য অসাবধান হলেই বিরাট মাসুল দিতে হতে পারে। তাই যারা এখনও পর্যন্ত ওই মোবাইলের সিম পোর্ট  করার নতুন নিয়ম সম্পর্কে জানেন না তাদের এখনই তা জেনে নেওয়া জরুরী। প্রথমেই বলে রাখি এতদিন পর্যন্ত একজন গ্রাহক নিজের নামে একাধিক সিম কার্ড তুলতে পারতেন।


কিন্তু এবার থেকে তা আর হচ্ছে না এখন একজন ব্যবহারকারীর সর্বোচ্চ ৯ টির সিমকার্ড সক্রিয় রাখতে পারবেন। এর বেশি সিম কার্ড সক্রিয় থাকলে যেতে হবে জেলে। সেইসাথে জরিমানাও হবে মোটা অংকের। পাশাপাশি মোবাইল নম্বার পোর্ট  করার ক্ষেত্রেও এবার চালু হয়েছে নতুন নিয়ম।


এতদিন মোবাইল নম্বর পোর্ট করা অনেক বেশি সহজ ছিল। তাই একটি টেলিকম কোম্পানি থেকে অন্য টেলিকম কোম্পানিতে নম্বর পোর্ট করতে কোনো সমস্যায় হত না গ্রাহকদের। কিন্তু এখন সে ক্ষেত্রেও তালা ঝুলিয়েছে সরকার। তবে এই মুহূর্তে নম্বর পোর্ট করতে চাইলে আগে থেকেই আবেদন করতে হবে। আর আবেদন করার পর বেশ কিছু সময় অপেক্ষাও করতে হবে। পরিচয় ছাড়াও আরও বেশ কিছু বিবরণ যাচাই করতে হবে।


TRAI এর নিয়ম অনুসারে, ব্যবহারকারীরা মোবাইল নম্বর পোর্টেবিলিটি MNP সুবিধাও বেছে নিতে পারবেন। যার ফলে ব্যবহারকারীদের আগের মোবাইল নম্বর বজায় থাকবে। জানা যাচ্ছে এই যাচাই করণের জন্য, আগের মতো, ব্যবহারকারীদের মোবাইল নম্বর পোর্ট করার ক্ষেত্রে একটি ওয়ান-টাইম-পাসওয়ার্ড OTP দেওয়া হবে।


এখানেই শেষ নয় জানা যাচ্ছে একটি নতুন সিম কার্ড পেতে, প্রয়োজনীয় শনাক্তকরণ ছাড়াও, এখন থেকে ঠিকানা সংক্রান্ত প্রমাণও জমা দিতে হবে। জানা যাচ্ছে, মোবাইল নম্বর পোর্টেবিলিটির সময় বায়োমেট্রিক যাচাইকরণেরও প্রয়োজন হয়ে থাকে। এতদিন চুরি যাওয়া বা নষ্ট হয়ে যাওয়া সিম কার্ড পেতে গেলে সংশ্লিষ্ট টেলিকম কোম্পানির দোকানে যোগাযোগ করলেই নতুন সিম কার্ড পাওয়া যেত। কিন্তু এখন ব্যবহারকারীরা ৭ দিন অপেক্ষা করার পরেই একটি নতুন সিম কার্ড পাবেন।

Card image cap

হাথরাস কাণ্ডে মৃত বেড়ে ১১৬, সৎগুরুর বিরুদ্ধে FIR

উত্তরপ্রদেশের হাথরসের সৎসঙ্গে পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যুর ঘটনায় লাফিয়ে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। শেষ পাওয়া খবরে এই দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১৬। মৃতদের বেশিরভাগই শিশু ও মহিলা। যে ধর্মগুরুর ডাকে এই সৎসঙ্গ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল সেই সুরজ পাল ওরফে ভোলে বাবার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করে গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। পাশাপাশি, এই ঘটনায় কড়া পদক্ষেপের বার্তা দিয়েছেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। মৃতদের পরিবার পিছু ২ লক্ষ টাকা এবং আহতদের চিকিৎসার জন্য মাথাপিছু ৫০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণের ঘোষণা করেছে তিনি।এদিকে ভয়াবহ এই দুর্ঘটনার জন্য সৎসঙ্গের আয়োজক কমিটিকেই দায়ী করছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। তাঁদের একাংশের দাবি, সৎসঙ্গের জন্য যে প্যান্ডেল বাঁধা হয়েছিল, তা ঘেরা ছিল। সেখানে কোনও পাখার ব্যবস্থা ছিল না। প্রচণ্ড গরমের কারণে প্যান্ডেলের ভেতর হাঁসফাঁস করছিলেন ভক্তরা। অনুষ্ঠান শেষের পর ভক্তরা হুড়মুড়িয়ে সেখান থেকে বেরিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। তবে বেরনোর জন্য যে গেটের ব্যবস্থা করা হয়েছিল সেটিও ছিল অত্যন্ত সংকীর্ণ। ফলে বের হওয়ার সময় আগে যাওয়ার জন্য হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। এই অবস্থায় পড়ে যান অনেকেই বাকিরা তাঁদের উপর দিয়ে বাইরে বের হওয়ার চেষ্টা করে।গোটা ঘটনায় ধর্মগুরু সুরজ পাল ওরফে ভোলে বাবার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করে ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। মর্মান্তিক এই ঘটনায় কড়া পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ জানিয়েছেন, যাঁদের গাফিলতির জেরে মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনা তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে। ঘটনার জন্য উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু এবং বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করেছেন এবং আহতদের দ্রুত আরোগ্যের জন্য প্রার্থনা করছেন। মৃতদের পরিবার পিছু ২ লক্ষ টাকা এবং আহতদের চিকিৎসার জন্য মাথাপিছু ৫০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণের ঘোষণা করেছে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী।

Card image cap

চলতি বছর রেকর্ড তাপপ্রবাহ ও মৃত্যুর সাক্ষী থাকল ভারত

এবার ভারতে রেকর্ড গরম পড়েছে। উত্তর থেকে দক্ষিণ, পূর্ব থেকে পশ্চিম তারমাত্রার পারদ চড়েছিল সর্বত্রই। সম্প্রতি গোটা দেশেই সক্রিয় হয়েছে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু। বৃষ্টি শুরু হয়েছে। তাপমাত্রার পারদ কিছুটা হলেও নেমেছে। এই সময়ই মৌসম ভবন জানিয়ে দিল এবার ভারতের ভয়ঙ্কর গরমের খবর। মৌসম ভবন বলেছে, এবার গ্রীষ্মে ভারত ৫৩৬টি তাপপ্রবাহের দিনের সাক্ষী থেকেছে।


গত ১৪ বছরের মধ্যে এটাই ছিল সর্বোচ্চ। ২০১০ সালের পর এটাই ছিল সর্বোচ্চ। মৌসম ভবন আরও বলেছে, উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে ১৯০১ সালের পর থেকে এটাই ছিল উষ্ণতম জুন।


মৌসম ভবন বলেছে, দেশে জুন মাসে ১৮১টি তাপপ্রবাহের দিন রেকর্ড করা হয়েছে। ২০১০ সালে ১৭৭ দিন তাপপ্রবাহ হয়েছিল। আইএমডি মহাপরিচালক মৃত্যুঞ্জয় মহাপাত্র বলেছেন, 'সালের গ্রীষ্মে, ভারতে মোট ৫৩৬টি তাপপ্রবাহের দিন ছিল, যা ২০১০ সালের পর সর্বোচ্চ (৫৭৮ দিন)। ২০১০এর জুন মাসকেও (১৭৭ দিন) অতিক্রম করে ১৮১টি তাপপ্রবাহের দিন রেকর্ড করা হয়েছে দেশে।'


মৌসম ভবন বলেছে, উত্তর-পশ্চিম ভারতে মাসিক গড় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৮.০২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে স্থির হয়েছে, যা স্বাভাবিকের চেয়ে ১.৯৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি। গড় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা দাঁড়িয়েছে ২৫.৪৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, স্বাভাবিকের চেয়ে ১.৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি। উত্তর-পশ্চিম ভারতে জুন মাসে গড় তাপমাত্রা ৩১.৭৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে, যা স্বাভাবিকের থেকে ১.৬৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি এবং ১৯০১ সাল থেকে সর্বোচ্চ।


মৌসম ভবন বলেছে, জুনের শেষের দিকে একটি নিম্নচাপ তৈরি হয়েছে। কিন্তু জুন মাসে ভারত সাধারণত তিনটি নিম্মচাপের সাক্ষী থাকে। ম্যাডেন-জুলিয়ান অসিলেশন অনুকূল ছিল না, তাই নিম্নচাপ তৈরি হয়নি বলেও জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর।


মৌসম ভবন বলেছে, এবার ৪০ হাজার হিটস্ট্রোকের ঘটনা ঘটেছে। তাপপ্রবাহের কারণে ১০০ জনেরও বেশি মানুষের মৃত্যু রেকর্ড করা হয়েছে। প্রবল গরমের জন্য জল সংকট দেখা দিয়েছে। পাওয়ার গ্রিডগুলিতেও সমস্যা তৈরি হয়েছে। এপ্রিল , মে, জুন - তিন মাসে তাপপ্রবাহের ঘটনা ঘটেছে। কয়েকটি জায়গার তাপমাত্রা ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পার করেছে।

Card image cap

মুহূর্তের ভুলে জলপ্রপাতে ভেসে গেলেন একই পরিবারের ৫

আপাত নিরীহ প্রকৃতি কখন ভয়ংকর রূপ ধারণ করবে তার আভাস পাওয়া কঠিন। ছুটি কাটাতে গিয়ে সেই ভয়ংকরের কোপে পড়ে মর্মান্তিক পরিণতি হল একই পরিবারের ৫ সদস্যের। পুনের লোনাভালার শীর্ণ জলধারা মুহূর্তের মধ্যে হয়ে উঠল উন্মত্ত খরস্রোতা নদী। তারই কবলে পড়ে ভেসে গেলেন ৫ জন। তাঁদের মধ্যে ৩ জনের দেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বাকিদের খোঁজে শুরু হয়েছে তল্লাশি অভিযান।মহারাষ্ট্রের অত্যন্ত জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র লোনাভালার ভুসিবাঁধ। রবিবার ছুটির দিনে সেখানেই পিকনিক করতে গিয়েছিল পুনের সায়েদ নগরের আনসারি পরিবার। দুপুর ১.৩০ নাগাদ জল কিছুটা কম থাকায় নিচে নামে ওই পরিবার। কেউ কিছু বুঝে ওঠার আগেই মুহূর্তে খরস্রোতা নদীর আকার নেয় ওই জলপ্রপাত। এই অবস্থায় জলের একেবারে মাঝখানে আটকে পড়েন একই পরিবারের ৫ জন। একে অপরকে আঁকড়ে বাঁচার চেষ্টা করলেও প্রবল জলের তোড়ে মুহূর্তের মধ্যেই ভেসে যান তাঁরা। আশেপাশে লোকজন দাঁড়িয়ে থাকলেও কেউ কিছুই করে উঠতে পারেনি।দুর্ঘটনার খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ। তাঁদের খোঁজে শুরু হয় তল্লাশি অভিযান। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় ৩ জনের দেহ উদ্ধার করা গিয়েছে। তাঁদের একজন ৩৬ বছর বয়সি মহিলা, ১৩ ও ৮ বছর বয়সি ২ নাবালিকা। এই ঘটনায় নিখোঁজ এক বালক (৯) ও বালিকার (৪) খোঁজ চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

Card image cap

এবার ধস রামপথে! বাড়ছে বিতর্ক

প্রথম বর্ষাতেই ছাদ চুঁইয়ে জল পড়তে দেখা গিয়েছে রামলালার গর্ভগৃহে। গত জানুয়ারিতে উদ্বোধন হওয়া মন্দিরের এমন বেহাল অবস্থার জন্য বিজেপি সরকারের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলছেন ভক্তরা। এর মধ্যেই আর এক বিপত্তি। ধস নেমেছে রামপথে। গতকাল, বুধবার রাতের দিকে আচমকাই রামমন্দিরে প্রবেশের মূল পথই কার্যত অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। রাস্তা মেরামতির কাজ শুরু হলেও প্রশ্ন উঠছে রাস্তার মান নিয়ে।
বছরের গোড়াতেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি উদ্বোধন করেছিলেন রামমন্দিরের। মন্দিরের যাওয়ার যে রাস্তা তা ছিল সরু। উদ্বোধনের আগে আশপাশের বাড়ি ও অন্যান্য নির্মাণ সরিয়ে দিয়ে যোগী সরকার বানিয়েছিল চওড়া রাস্তা। কিন্তু সেই রাস্তার মাত্র পাঁচ মাসেই বেহাল অবস্থায় পৌঁছে যাওয়ায় বিতর্ক তৈরি হল। কোটি কোটি টাকায় খরচ হওয়া রামপথের একটা অংশ কী করে ধসে গেল সামান্য বৃষ্টিতে উঠছে প্রশ্ন। প্রসঙ্গত, এর আগে শনিবারও রামপথে ধস নেমেছিল। রিকাবগঞ্জের কাছাকাছি বৃষ্টির প্রকোপে ওই দশা হওয়ার পর দ্রুত বালি-পাথর দিয়ে মেরামত করা হয়। এবার ফের রামপথের অন্য একটি অংশে ধস নেমে গেল।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের ২২ জানুয়ারি মহা আড়ম্ভবরের সঙ্গে রামমন্দিরের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ভিভিআইপি এই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো সারা দেশের বিশিষ্ট ব্যক্তিদের। এই পরিস্থিতিতে এই সপ্তাহেই দেখা যায় ছাদ চুঁইয়ে জল পড়ছে। এহেন পরিস্থিতিতে ক্ষুব্ধ প্রধান পুরোহিত আচার্য সত্যেন্দ্র দাসকে বলতে শোনা গিয়েছে, “যদি দু’একদিনের মধ্যে কোনও ব্যবস্থা না করা হয় তাহলে বাধ্য হয়েই আমাদের বন্ধ করতে হবে পূজাপাঠ। সেক্ষেত্রে ভক্তদের জন্যও বন্ধ করে দেওয়া হবে মন্দিরের দরজা।”
যদিও অযোধ্যায় শ্রীরামজন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্টের মন্দির নির্মাণ কমিটির চেয়ারম্যান নৃপেন্দ্র মিশ্রর সাফাই, মন্দির নির্মাণে প্রযুক্তি, সরঞ্জাম বা অন্য কোনও ত্রুটি নেই। আদতে বিদ্যুতের লাইনগুলি দিয়েই জল পড়ছে। দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এই বিতর্কের মধ্যেই এবার ধস নামল রামপথে।

Card image cap

গুরুতর অসুস্থ আডবাণী

গুরুতর অসুস্থ হলেন প্রাক্তন উপ প্রধানমন্ত্রী লালকৃষ্ণ আডবাণী। সূত্রের খবর, তাঁকে ভর্তি করা হয়েছে দিল্লির এইমস হাসপাতালে। আপাতত চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে রয়েছেন ৯৬ বছর বয়সি বিজেপি নেতা। যদিও তাঁর শারীরিক অবস্থা কেমন, সেই নিয়ে দিল্লি এইমসের চিকিৎসকদের তরফে কিছু জানানো হয়নি।  
সূত্রের খবর, মূলত বার্ধক্যজনিত সমস্যায় ভুগছেন বিজেপি নেতা। সেই কারণেই তাঁকে ভর্তি করতে হয়েছে হাসপাতালে। আপাতত তিনি দিল্লি এইমসে হাসপাতালের জেরিয়াট্রিকস বিভাগে ভর্তি রয়েছেন। যদিও ঠিক কী সমস্যার কারণে প্রবীণ নেতাকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হল তা এখনও বিশদে জানা যায়নি। প্রাক্তন উপ প্রধানমন্ত্রীর অসুস্থতার খবরে উদ্বিগ্ন রাজনৈতিক মহল। কিন্তু প্রবীণ বিজেপি নেতা কেমন আছেন সেই নিয়েও খবর মেলেনি। 
উল্লেখ্য, দিনকয়েক আগেও বর্ষীয়ান বিজেপি নেতার সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। লোকসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণার পরে আডবাণীর বাসভবনে যান মোদি। বিশেষজ্ঞদের অনুমান ছিল, প্রথমবার জোট সরকার সামলাতে হবে মোদিকে। সেই জন্যই প্রবীণ নেতাদের পরামর্শ নিতে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। 

Card image cap

শিক্ষার চেয়ে দ্বিগুণ খরচ বিয়েতে করেন ভারতীয়রা!

ভারতীয়রা সন্তানের বিয়েতে যা খরচ করেন, তা তাদের সারা জীবনের শিক্ষার প্রায় দ্বিগুণ! এমনই দাবি এক নয়া রিপোর্টের। এদেশে বিয়েকে কেন্দ্র করে যে বাজার, তার পরিমাণ অবাক করার মতো। মার্কিন মুলুকের বিয়ের বাজারের প্রায় দ্বিগুণ এদেশের বিয়ের বাজার (১০.৭ লক্ষ কোটি টাকা)। তবে চিনের বাজার ভারতের থেকেও থেকে বড়।
পরিসংখ্যান বলছে, ভারতীয় বিয়েতে গড়ে প্রায় সাড়ে ১২ লক্ষ টাকা খরচ করে পরিবারগুলি। সেখানে সন্তানের শিক্ষার ক্ষেত্রে প্রি-প্রাইমারি থেকে স্নাতক পর্যন্ত খরচ এর অর্ধেক। আবার দেখা যায়, বিলাসবহুল বিয়ের ক্ষেত্রে এই খরচ ২০ থেকে ৩০ লক্ষ টাকা। শীর্ষস্থানীয় হোটেলে অভিজাত কেটারিং, ডেকরেশন, বিনোদনমূলক অনুষ্ঠান বাবদ ওই খরচ হয়। সব মিলিয়ে পাঁচ থেকে ছটি অনুষ্ঠান হয়। এরই পাশাপাশি গয়না ও অন্য়ান্য খরচ তো আছেই।
ভারতীয় বিয়ের বাজার ছোট ব্যবসায়ী ও নিজ উদ্যোগে পরিষেবা প্রদানকারীদের কাছে অত্যন্ত লাভজনক এক ব্যবসা। বিভিন্ন ধর্মের নানা ধরনের প্রথার কারণে স্থানীয় ব্যবসায় তা বিরাট প্রভাব ফেলে। যত গয়না বিক্রি হয়, তার অর্ধেকের বেশিই বিক্রি হয় বিয়ে উপলক্ষে। পোশাকের ১০ শতাংশের বেশিও বিয়ের সময়ই কেনা হয়। একই ভাবে কেটারিং ও ইভেন্টের ২০ শতাংশই বিয়ের। এই পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী মোদিকে বলতে শোনা গিয়েছিল, তরুণ-তরুণীরা যেন ‘ডেস্টিনেশন ওয়েডিং’ অর্থাৎ বিদেশে বিয়ে না করে দেশেই বিয়ের অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন। নিঃসন্দেহে বিয়ের সঙ্গে জড়িত অর্থনীতির সম্পর্কের কথা মাথায় রেখেই এই আর্জি জানিয়েছিলেন মোদি।

Card image cap

এবার থেকে কোন নামে ডাকা হবে কেরালাকে?




নাম বদলাতে চলেছে কেরালা। কেরালার বদলে এবার নতুন নাম হতে চলেছে কেরালাম। সোমবার কেরালা বিধানসভায় এই প্রস্তাব পাশ হয়ে গেল সর্বসম্মতিক্রমে।


কেরালা রাজ্য়ের নাম বদলের প্রস্তাব অবশ্য নতুন নয়। বিষয়টি নিয়ে প্রায় এক বছর আগে থেকেই চর্চা চলছে। রাজ্যের নাম বদলের এই প্রস্তাব আগেই সর্বসম্মতিক্রমে পাশ হয়ে গিয়েছিল কেরালা বিধানসভায়। এরপর সংবিধান বদল করে কেন্দ্রীয় সরকারকে কেরালার নাম বদলের আর্জি জানানো হয়েছিল। সোমবার ফের সেই প্রস্তাব পাশ হয়ে যায়।


প্রথমবারের পর নতুন করে পাশ হওয়া প্রস্তাবে কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশক্রমে সামান্য সংশোধন করা হয়েছে। এবার থেকে দক্ষিণের এই রাজ্য অফিসিয়ালি পরিচিতি পাবে 'কেরালাম' রাজ্য হিসেবে। সোমবার কেরালা বিধানসভায় রাজ্যের নাম বদলের প্রস্তাব পেশ করেন মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন। এই প্রস্তাবে বলা হয়েছে, সংবিধানের তৃতীয় অনুচ্ছেদ অনুসারে রাজ্যের নাম বদলের জন্য সরকারি ভাবে প্রয়োজনীয় ব্য়বস্থা নিতে হবে। সংবিধানের প্রথম তফশিলে কেরালার নাম পরিবর্তন কর 'কেরালাম' করার দাবি জানানো হচ্ছে রাজ্য সরকারের তরফে। রাজ্য়ের নাম বদলের প্রস্তাবে সম্মতি জানিয়েছেন বিধানসভার সদস্যরাও। নাম বদলের প্রস্তাব সংশোধনের দাবি জানান ইন্ডিয়ান ইউনিয়ন মুসলিমলিগের বিধায়ক এন শামমুদ্দিন। তিনি দাবি করেন, রাজ্যের নামে আরও স্বচ্ছতা আনার জন্য শব্দ পরিবর্তন করা উচিত। তবে কেরালা বিধানসভা তাঁর এই প্রস্তাব প্রত্যাখান করে। মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন জোর দিয়ে বলেন, 'কেরালাম' ঐতিহ্যবাহী নাম। মালায়ালাম সংস্কৃতির ঐতিহ্যকে প্রতিফলিত করে।


২০২৩ সালের অগাস্ট মাসে কেরালা বিধানসভায় রাজ্যের নাম পরিবর্তনের প্রস্তাব পেশ করা হয়েছিল। তখন সর্বসম্মতিক্রমেই পাশ হয়েছিল সেই প্রস্তাব। এই প্রস্তাবে তখন বলা হয়েছিল, সংবিধানের প্রথম তফশিলে কেরালার নাম পরিবর্তন করে 'কেরালাম' করা হেক। সংবিধানের অষ্টম তফশিলে সব ভাষাতেই কেরালার নাম বদলে 'কেরালাম' করার দাবি জানানো হয়। কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে এই দাবি জানায় কেরালা সরকার। সেই সময় কেরালার মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন বলেন, 'মালায়লম ভাষায় রাজ্যের নাম কেরালা নয় কেরালাম বলেই উচ্চারিত হয়। ১৯৫৬ সালের ১ নভেম্বর ভাষা সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতেই রাজ্যগুলি গঠিত হয়েছিল। দেশের মালায়ালামভাষীদের জন্য একটি যুক্ত রাজ্য গঠনের প্রয়োজনীয়তা। তখন দক্ষিণ ভারতের এই অংশের নাম রাখা হয় কেরালা। স্বাধীনতা সংগ্রামের সময় থেকেই দৃঢ়ভাবে এই দাবি উঠে এসেছে। মালয়ালমভাষীদের এই রাজ্যের নাম সংবিধানে সেই থেকে কেরালা হিসেবেই নথিভুক্ত হয়। সেই থেকেই এটি কেরালা হিসেবে উচ্চারিত হয়। কিন্তু, আদপে মালায়লম ভাষায় এই রাজ্যের নাম হওয়া উচিত কেরালাম।'