CATEGORY country:

Card image cap

নতুন করে NEET-UG নয়

নিট-ইউজি পরীক্ষা বাতিল করল না সুপ্রিম কোর্ট৷ ফলে নতুন করে নিট পরীক্ষা আর নেওয়া হবে না। মঙ্গলবার এমনটাই জানিয়ে দিল শীর্ষ আদালত। সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, নতুন করে এবছরের NEET-UG পরীক্ষা নেওয়া হলে তা ২৪ লক্ষ পরীক্ষার্থীর জন্য তা ভয়ংকর ক্ষতিকর হবে।  

এদিন প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের ডিভিশন বেঞ্চ নতুন করে পরীক্ষা নেওয়ার দাবি খারিজ করে দেয়। শীর্ষ আদালত জানিয়ে দেয়, পরীক্ষা নেওয়ার ক্ষেত্রে পদ্ধতিগত এমন কোনও ত্রুটির প্রমাণ নেই যার ভিত্তিতে বলা যায় যে পরীক্ষায় বিরাট মাপের কারচুপি হয়েছে।

সেই সঙ্গেই সুপ্রিম কোর্ট জানায়,  প্রায় ২৪ লক্ষ পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় বসেছিলেন। এঁদের মধ্যে অনেকেই কয়েকশো কিলোমিটার দূরত্ব অতিক্রম করে এসে পরীক্ষা দেন। সেদিকে লক্ষ্য রেখেই শীর্ষ আদালতের পর্যবেক্ষণ, কয়েক জায়গায় প্রশ্নফাঁসের অভিযোগের কারণে পুরো পরীক্ষাটাই বাতিল করে দেওয়া হলে তা ওই পরীক্ষার্থীদের জন্য ভয়ংকর হবে।

প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবারই সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছিল বিরাট মাত্রায় কারচুপি হলে তবেই নতুন করে নিট পরীক্ষা নেওয়া হবে। সেই সঙ্গে শীর্ষ আদালতের পর্যবেক্ষণ ছিল, যারা টাকার বিনিময়ে প্রশ্ন ফাঁস করছে তারা খুব বড় পরিসরে কাজ করে না। যদি বিরাট মাত্রায় প্রশ্ন ফাঁসের প্রমাণ মেলে, তবে আগের পরীক্ষা বাতিল করে নতুনভাবে পরীক্ষা নিতে নির্দেশ দেবে শীর্ষ আদালত।

গত ৫ মে NEET-UG পরীক্ষা হয়। ফল প্রকাশের পরে দেখা যায়, প্রথম স্থান অধিকার করেছে ৬৭ জন। এর পর থেকে এই প্রবেশিকা পরীক্ষা নিয়ে উঠেছে বিস্তর অভিযোগ। পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগের পাশাপাশি অনেককে গ্রেস মার্কস দেওয়ারও অভিযোগ তোলেন পরীক্ষার্থীরা। পরে গ্রেস মার্কস দেওয়ার ব্যাপারটি স্বীকার করে নেয় পরীক্ষার নিয়ামক সংস্থা ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সি। তবে প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ মানতে নারাজ তারা।

Card image cap

'আজকের বাজেট ৫ বছরের কার্যের দিশা ঠিক করবে'

সদে বাদল অধিবেশন শুরু হচ্ছে আজ থেকে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বাজেট অধিবেশনের আগে বললেন, 'আজ শ্রাবণের প্রথম সোমবার। এই পবিত্র দিবসে একটু গুরুত্বপূর্ণ অধিবেশনের শুরু হচ্ছে। আজ দেশবাসীকে অনেক শুভকামনা জানাচ্ছি। আজ সংসদে বাদল অধিবেশনেরও শুরু হচ্ছে। সংসদের এই অধিবেশন ইতিবাচক হোক ও দেশবাসীর স্বপ্নকে সিদ্ধ করার জন্য হোক।


৬০ বছর পর কোনও সরকার তৃতীয়বার সরকারে এসেছে ও বাজেট পেশ করছে। ভারতের গণতন্ত্রে অত্যন্ত গরিমার ঘটনা। আমি দেশবাসীকে যে সব গ্যারান্টি দিয়ে এসেছি, সেই সব গ্যারান্টিগুলিকে বাস্তব করার লক্ষ্যে আমরা এগোচ্ছি। এই বাজেট অমৃতকালের একটি গুরুত্বপূর্ণ বাজেট। আমাদের ৫ বছরের যে সুযোগ এসেছে, আজকের বাজেট ওই ৫ বছরের কার্যের দিশা ঠিক করবে ও এই বাজেট ২০৪৭ সাল, স্বাধীনতার ১০০ বছর পূর্তি হবে, সেই বছরের মধ্যে আমাদের বিকশিত ভারতের যে স্বপ্ন তা পূরণের দিশা দেখাবে।

Card image cap

কোনও অবস্থাতেই দেশ ছেড়ে যাব না, হামলাবাজদের শেষ দেখে ছাড়ব

রবিবার বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট সরকারি চাকরিতে আগের কোটা বাতিল করার পর সেমবার বাংলাদেশের পরিস্থিতি মোটের উপর শান্ত ছিল। ইন্টারনেট সার্ভিস বন্ধ এবং মোবাইল পরিষেবা অনিয়মিত থাকায় আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থাগুলি স্যাটেলাইট ফোন মারফত যে তথ্য পেয়েছে তাতে সোমবার বড় ধরনের গোলমালের খবর নেই।


রবিবারও মোটের উপর শান্ত ছিল পড়শি দেশ। 


এদিকে, আন্দোলন চলাকালে সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে হামলা, আগুন দেওয়া, ভাঙচুর, পুলিশকে আক্রমণের ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত করে মামলা দায়ের করা হচ্ছে বলে বিবিসি'কে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার হারুন অর রশিদ। 


ব্যবসায়ী, শিল্পপতিদের কাছে দেশের পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করছেন তথ্যমন্ত্রী মহম্মদ আলি আরাফত


বাংলাদেশের চলতি আন্দোলনে ক্ষয়ক্ষতির আংশিক তালিকা সরকার ঘোষণা করেছে। সবচেয়ে আক্রান্ত ভবনগুলির মধ্যে আছে বাংলাদেশ টেলিভিশন, দুর্যোগ মোকাবিলা ভবন, পুলিশ ও সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর গাড়ি, আউটপোস্ট ইত্যাদি। বাংলাদেশ পুলিশের প্রধান জানিয়েছেন, অভিযুক্তদের ধরিয়ে দিলে পুরস্কার দেওয়া হবে। 


এদিকে, চলতি ঘটনাবলী নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সোমবার ফের মুখ খুলেছেন। তিনি স্পষ্ট হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, কাউকে ছাড়া হবে না। তাঁর অভিযোগ বিরোধী দল বিএনপি এবং জামাত- ই-ইসলাম ছাত্রদের ঢাল করে চলতি হিংসাত্মক ঘটনা ঘটিয়েছে। তাঁর কথায়, কার্ফু জারি, সেনা মোতায়েন ছাত্র আন্দোলন দমনে করা হয়নি। দেশবাসীর নিরাপত্তা ও দেশের সম্পদ রক্ষায় ওই সিদ্ধান্ত নিতে হয়। এদিকে, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এক বিবৃতিতে বাংলাদেশে সরকার পতনের ডাক দিয়েছেন। 


সোমবার ঢাকায় তাঁর সরকারি আবাসে দেশের ব্যবসায়ী ও শিল্পপতিদের সঙ্গে বৈঠক করেন হাসিনা। ইন্টারনেট বন্ধ থাকায় শিল্প ব্যবসার ক্ষতি হচ্ছে মেনে নিয়ে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বলেন, দ্রুত পরিস্থিতি পরিবর্তনের চেষ্টা হচ্ছে। 


রবিবার কয়েকটি মহল থেকে প্রচার করা হয়, আন্দোলনের চাপে ভয়ে হাসিনা তাঁর সরকারি অফিস তথা বাড়ি গণ ভবন থেকে পালিয়েছেন। হেলিকপ্টারে চেপে অজ্ঞাত স্থানে চলে গিয়েছেন। 


সেই প্রসঙ্গে সোমবারের বৈঠকে ক্ষোভ প্রকাশ করে হাসিনা বলেন, আমি কোথাও যাব না। বঙ্গবন্ধু সপরিবারে নিহত হওয়ার পর ছয় বছর দেশে ফিরতে দেয়নি। শেষ পর্যন্ত আমি দেশে ফিরে আসি। পরবর্তীকালেও আমাকে বিদেশ থেকে দেশে ফিরতে বাধা দেওয়া হয়। কিন্তু আমি দেশে ফিরে আসি।

Card image cap

কানোয়ার যাত্রায় ‘নাম’ নির্দেশিকায় স্থগিতাদেশ

কানোয়ার যাত্রার রুটের প্রত্যেক দোকানে উল্লেখ করতে হবে দোকান মালিকের নাম। উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ এবং উত্তরাখণ্ড সরকারের এই বিতর্কিত সিদ্ধান্তে এবার স্থগিতাদেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। সোমবার কানোয়ার ইস্যুতে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত। সেই সঙ্গে রাজ্যগুলোকে নোটিস পাঠানো হয়েছে। চারদিন পরে এই মামলায় পরবর্তী শুনানি হবে। উল্লেখ্য, কানোয়ার নির্দেশিকার বিরোধিতা করে সুপ্রিম কোর্টে দায়ের হয়েছিল বেশ কয়েকটি পিটিশন। আবেদনকারীদের তালিকায় ছিলেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রও। 

চলতি মাসে শুরু হতে চলেছে কানোয়ার যাত্রা । তার আগে উত্তরপ্রদেশ সরকার নির্দেশ দিয়েছে, কানোয়ার যাত্রার প্রতিটি রুটে যত খাবারের দোকান রয়েছে, তার সবকটিতেই বড় বড় ব্যানার দিয়ে লিখতে হবে দোকান মালিকের নাম। যার মূল উদ্দেশ্য, পুণ্যার্থীরা যাতে আলাদাভাবে চিনতে পারেন হিন্দু ও মুসলিম দোকানগুলিকে। কেবল উত্তরপ্রদেশ নয়, একই নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে মধ্যপ্রদেশ  এবং উত্তরাখণ্ডেও । এই নির্দেশের মূল উদ্দেশ্য ধর্মীয় বিভাজন আরও স্পষ্ট করে তোলা, তেমনটাই অভিযোগ বিরোধীদের। 
তিন রাজ্যের এই নির্দেশিকার বিরোধিতা করে একগুচ্ছ মামলা দায়ের হয় সুপ্রিম কোর্টে । যোগীরাজ্যের তীব্র নিন্দা করে পিটিশন দায়ের করেন কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র।  তিনি আবেদনে জানিয়েছেন, দোকান মালিকের ধর্মীয় পরিচয় তীর্থযাত্রীদের কাছে স্পষ্ট করার উদ্দেশে যে নির্দেশিকা জারি হয়েছে, তা নীতিবিরুদ্ধ। এধরনের বিষয় একাধিক মৌলিক অধিকার খর্ব করে। সমাজের সবচেয়ে স্পর্শকাতর সম্প্রদায়ের উপর অবিচার। এতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি আরও ভেঙে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।সোমবার একাধিক পিটিশন একত্রিত করে শুনানি শুরু হয় বিচারপতি ঋষিকেশ রায় এবং এসভিএন ভাটির এজলাসে। দুই বিচারপতির বেঞ্চ জানায়,  এই নির্দেশের ফলে অনেক দোকানের কর্মচারী চাকরিহারা হয়েছেন। আপাতত সরকারি নির্দেশে স্থগিতাদেশ দিয়ে তিন রাজ্যকে নোটিস পাঠিয়েছে শীর্ষ আদালত। জানা গিয়েছে, ২৬ জুলাই এই ইস্যুতে ফের শুনানি হবে। 

Card image cap

পরপর দুদিন সেনাকে লক্ষ্য করে জঙ্গি হামলা

২৪ ঘণ্টার মধ্যে ফের সেনার উপরে জঙ্গি হামলা কাশ্মীরে। গত রবিবার কাশ্মীরে গিয়ে সন্ত্রাসদমনের নানা স্ট্র্যাটেজি আলোচনা করেছিলেন সেনাপ্রধান উপেন্দ্র দ্বিবেদী। তার পরদিন থেকেই লাগাতার সেনাকে লক্ষ্য করে আক্রমণ শানাচ্ছে জঙ্গিরা। সোমবার রাজৌরির সেনা পিকেটের পর মঙ্গলবার ভোরে বাট্টাল সেক্টরে হামলা হয়েছে জওয়ানদের উপর। জানা গিয়েছে, গুলির লড়াইয়ে গুরুতর আহত হয়েছেন এক জওয়ান।


সূত্রের খবর, মঙ্গলবার ভোর তিনটে নাগাদ সীমান্তে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করে কয়েকজন জঙ্গি। জম্মুর বাট্টাল সেক্টর পেরিয়ে ভারতে ঢোকার চেষ্টা করছিল সন্ত্রাসবাদীরা। তাতে বাধা দেয় সেনা। শুরু হয় দুপক্ষের গুলির লড়াই। ইতিমধ্যেই এক জওয়ান আহত হয়েছেন বলে সেনা সূত্রে খবর। জঙ্গিদের হতাহতের কোনও খবর মেলেনি। তবে গোটা এলাকায় জঙ্গিদের খোঁজে চিরুনি তল্লাশি চলছে। উল্লেখ্য, জম্মুর এই এলাকাগুলোতে আগে জঙ্গি কার্যকলাপ প্রায় ছিল না বলেই মনে করেন স্থানীয় বিশেষজ্ঞরা। 
প্রসঙ্গত, সোমবার রাজৌরির গুন্ধা এলাকার একটি সেনা ঘাঁটি লক্ষ্য করে গুলি চালায় জঙ্গিরা। ভোর চারটে নাগাদ এই হামলার পরেই পালটা গুলি চালাতে শুরু করে সেনা। প্রায় এক ঘণ্টা ধরে গুলির লড়াই চলেছে দুপক্ষের মধ্যে। পরে জানা যায়, জঙ্গি হামলায় আহত হয়েছেন এক জওয়ান। হামলার পরে তল্লাশি অভিযান শুরু করে সেনা। যদিও কোনও জঙ্গির খোঁজ মেলেনি।
পরিসংখ্যান বলছে, ১ জানুয়ারি থেকে কাশ্মীরে জঙ্গি হামলায় সেনার এক মেজর-সহ ১২ জন নিরাপত্তারক্ষী এবং ১০ জন সাধারণ নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে, জম্মু অঞ্চলে, বিশেষ করে তার সীমান্তবর্তী জেলাগুলিতে পাঁচ জঙ্গিকে হত্যা করা হয়েছে। এসবকিছুই দেখে গোয়েন্দাদের অনুমান, সাম্প্রতিক হামলায় জড়িত সন্ত্রাসবাদীরা পাকিস্তানে স্পেশাল সার্ভিস গ্রুপের অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্যও হতে পারে অথবা সন্ত্রাসবাদীদের গেরিলা যুদ্ধে প্রশিক্ষণ দিচ্ছে তারা। 

Card image cap

সপ্তম বার বাজেট পেশ করে কার রেকর্ড ভাঙবেন নির্মলা সীতারামন

সপ্তমবার বাজেট পেশ করতে চলেছেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। অর্থমন্ত্রী হিসেবে সাতবার  বাজেট পেশ করলে রেকর্ড গড়বেন তিনি। এর আগে মোরারজি দেসাই ৬ বার বাজেট পেশ করেছেন। সেই রেকর্ড আগেই ছুঁয়ে ফেলেছেন নির্মলা। ২২ জুলাই থেকে শুরু হবে সংসদের বাদল অধিবেশন। এই অধিবেশনে ২৩ জুলাই বাজেট পেশ করে নির্মলা সীতারামন  প্রথম অর্থমন্ত্রী হবেন যিনি সাত বারের জন্য বাজেট পেশ করবেন।


৬ বার বাজেট পেশ করেছেন মোরারজি দেসাই 


১৯৫৯ থেকে ১৯৬৪ সাল অবধি মোরারজি দেসাই ভারতের অর্থমন্ত্রী ছিলেন তিনি ছটি বাজেট প্রস্তাব পেশ করেছিলেন। এর মধ্যে পাঁচটি পূর্ণ প্রস্তাব এবং একটি অন্তর্বর্তী বাজেট ছিল। এবারের বাজেট  প্রস্তাব আগের বারের মতোই কাগজবিহীন বাজেট হবে। চলতি বছর ১ ফেব্রুয়ারি অন্তর্বর্তী বাজেট পেশ করা হয়েছিল। নির্বাচনের পর ফের ক্ষমতায় এসেছে বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট সরকার। এবারের বাজেট পেশ করার আগে অর্থ মন্ত্রকের আধিকারিক সহ দেশের বিভিন্ন অর্থনীতি বিশেষজ্ঞের সঙ্গে কথা বলেছিলেন অর্থমন্ত্রী । ২০ জুন তিনি বিভিন্ন ট্রেড ইউনিয়ন, শিক্ষা স্বাস্থ্য দপ্তরের প্রতিনিধি, লঘু ও ভারী শিল্প উদ্যোগ সহ বিভিন্ন প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক করেন। কথা হয় বাজির ঘাটতি এবং সরকারের খরচ কমানোর নিয়েও।


বাড়বে সরকারের খরচ 


যদিও কনফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ান ইন্ডাস্ট্রি আশা প্রকাশ করেছে, সরকারের খরচ বৃদ্ধি হবে এবারের বাজেটে। ক্যাপিটাল এক্সপেন্ডিচার বৃদ্ধি করা প্রয়োজন বলে মনে করে তাঁরা। এবার বিভিন্ন কৃষি সংগঠন অর্থমন্ত্রীর  কাছে বরাদ্দ বৃদ্ধির দাবি জানিয়েছে। ১২ আগস্ট পর্যন্ত বাদল অধিবেশনে ১৯ দিন সংসদ খোলা থাকবে। আশা করা হচ্ছে এবার সরকার কেন্দ্র সরকার সাতটি বিল পেশ করতে চলেছে। তার মধ্যে অন্যতম এয়ারক্রাফট বিল।

Card image cap

কাশ্মীরের সেনাঘাঁটিতে হানা জঙ্গিদের, আহত জওয়ান

দিনকয়েকের মধ্যেই কাশ্মীরের বিধানসভা নির্বাচনের দিন ঘোষণার সম্ভাবনা। তার আগে লাগাতার নাশকতায় রক্তাক্ত হচ্ছে ভূস্বর্গ। এবার সেনার পিকেটে হামলা চালাল সন্ত্রাসবাদীরা। সোমবার ভোরবেলা রাজৌরির একটি সেনা পিকেটে জঙ্গি হামলার খবর মেলে। ইতিমধ্যেই সেখানে আহত হয়েছেন এক জওয়ান। পালটা জঙ্গিদের সঙ্গে গুলির লড়াই শুরু করেছে সেনাও। 

সংবাদসংস্থা পিটিআই সূত্রে খবর, সোমবার রাজৌরির গুন্ধা এলাকার একটি সেনা ঘাঁটি লক্ষ্য করে গুলি চালায় জঙ্গিরা। তাদের কাছে বিপুল পরিমাণে অস্ত্র রয়েছে বলেই প্রাথমিকভাবে অনুমান। ভোর চারটে নাগাদ এই হামলার পরেই পালটা গুলি চালাতে শুরু করেছে সেনা। প্রায় এক ঘণ্টা ধরে গুলির লড়াই চলেছে দুপক্ষের মধ্যে। ইতিমধ্যেই গোটা এলাকা ঘিরে ফেলে জঙ্গিদের খোঁজে তল্লাশি চলছে। পরে জানা যায়, জঙ্গি হামলায় আহত হয়েছেন এক জওয়ান। 

উল্লেখ্য, ১ জানুয়ারি থেকে জঙ্গি হামলায় সেনার এক মেজর-সহ ১২ জন নিরাপত্তারক্ষী এবং ১০ জন সাধারণ নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে, জম্মু অঞ্চলে, বিশেষ করে তার সীমান্তবর্তী জেলাগুলিতে পাঁচ জঙ্গিকে হত্যা করা হয়েছে। এসবকিছুই দেখে গোয়েন্দাদের অনুমান, সাম্প্রতিক হামলায় জড়িত সন্ত্রাসবাদীরা পাকিস্তানে স্পেশাল সার্ভিস গ্রুপের অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্যও হতে পারে অথবা সন্ত্রাসবাদীদের গেরিলা যুদ্ধে প্রশিক্ষণ দিচ্ছে তারা। 

ভূস্বর্গে শান্তি বজায় রাখতে এবং সন্ত্রাসবাদীদের নিকেশ করতে ইতিমধ্যেই পিএসএফ কমান্ডো নামিয়েছে সেনা। 

Card image cap

চমকের পর চমক দিতে চলেছে মোদী সরকার!

নিয়ে টানা সাত বার কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী হিসেবে বাজেট পেশ করতে চলেছেন নির্মলা সীতারমণ। তিনি এই দেশে প্রথম টানা সাতবারের অর্থমন্ত্রী। অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞদের ধারণা এই বাজেটে বেশ কিছু বড় ঘোষণা থাকতে পারে।


মোদী সরকার ৩.০ এর বাজেট পেশ হবে আগামী ২৩ জুলাই। শনিবার সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী কিরেন রিজিজু এই কথা জানিয়েছেন।


২২ জুলাই শুরু হবে বাজেট অধিবেশন। চলবে ১২ অগাস্ট মাস পর্যন্ত। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন ২০২৪-২৫ সালের পূর্ণাঙ্গ বাজেট পেশ করবেন ২৩ জুলাই।


করদাতারা কর হারে সম্ভাব্য হ্রাস এবং ছাড়ের সীমা বৃদ্ধির জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন ২০২৪ সালের বাজেটের জন্য, বিজেপি-নেতৃত্বাধীন সরকার কর নীতিতে বেশ কয়েকটি সংশোধন করেছে। এবারের বাজেটে বিশেষ কিছু ঘোষণা আশা করা হচ্ছে।


বেসিক ডিসকাউন্ট ৩ লক্ষ টাকা থেকে ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বাড়তে পারে, ২৩ জুলাই বাজেট পেশের আগে, অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন কর ত্রাণ ব্যবস্থা চালু করার কথা বিবেচনা করছেন।


 

নতুন কর ব্যবস্থায় ১৫ লক্ষ থেকে ২০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বার্ষিক আয়ের জন্য আয়কর স্ল্যাব বাড়ানো হতে পারে। এছাড়াও, বলা হচ্ছে যে ট্যাক্স স্ল্যাবের অধীনে বেসিক আয়কর ছাড় ৩ লক্ষ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫ লক্ষ টাকা করা যেতে পারে।


সরকার নতুন কর ব্যবস্থার অধীনে স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশন সীমা ৫০ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ১ লক্ষ টাকা করতে পারে। তাছাড়া, এটি অসম্ভাব্য যে পুরনো আয়কর ব্যবস্থায় কোনও বড় পরিবর্তন হবে, কারণ সরকার আরও বেশি ব্যক্তিকে নতুন কর ব্যবস্থায় যোগদানের জন্য উত্সাহিত করার লক্ষ্য রাখে।


 

যদি নতুন ট্যাক্স স্ল্যাবের অধীনে ছাড়ের সীমা হয় ৩ লক্ষ টাকা। এর পরে, সমস্ত করদাতারা ৫০ হাজার টাকার স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশন পাবেন। এই ট্যাক্স স্ল্যাব যাদের আয় ৭ লক্ষ টাকার বেশি তাদের জন্য প্রযোজ্য।


ট্যাক্স স্ল্যাব হার- ৩ লক্ষ টাকা থেকে ৬ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ৫% (ধারা ৮৭এ- এর অধীনে কর ছাড়), ৬ লক্ষ টাকা থেকে ৯ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ১০% (ধারা ৮৭এ- এর অধীনে ৭ লক্ষ টাকা পর্যন্ত কর ছাড়), ৯ লক্ষ থেকে ১২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ১৫%,


 

১২ লক্ষ টাকা থেকে ১৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ২০%, ১৫ লক্ষ টাকার উপরে ৩০%


যদি মূল ছাড়টি ৫ লক্ষ টাকার ট্যাক্স স্ল্যাবে থাকে, তাহলে ৫ লক্ষ টাকার বর্ধিত ছাড়ের সীমার পরে কর অব্যাহতি আয়ের সীমা বাড়বে এবং তারপরে স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশন ৫০ হাজার টাকা হবে।

Card image cap

২৮ দিনের বৈধতা এখন অতীত, BSNL দিচ্ছে পুরো ৩৫ দিনের ভ্যালিডিটি, নামমাত্র মূল্যে

রিচার্জে বিস্ফোরণ! ২৮ দিনের বৈধতা এখন অতীত। মিলবে পুরো ৩৫ দিনের ভ্যালিডিটি সহ দুরন্ত প্ল্যান লঞ্চ করল BSNL


Airtel, Jio এবং Vi চলতি মাসেই তাদের রিচার্জের মাসুল বাড়িয়েছেন। অন্যদিকে BSNL তার কোটি ব্যবহারকারীদের স্বস্তি দিয়ে একটি দুর্দান্ত রিচার্জ প্ল্যান চালু করেছে । কোম্পানি এখন এমন একটি প্ল্যান নিয়ে এসেছে যেখানে গ্রাহকদের কম দামে ২৮ দিনের এর পরিবর্তে মিলবে ৩৫ দিনের বৈধতা।


BSNL-এর এই রিচার্জ প্ল্যান লক্ষাধিক ব্যবহারকারীর টেনশন দূর করেছে।


যখন থেকে Airtel, Jio এবং Vi তাদের রিচার্জ প্ল্যানের দাম বাড়িয়েছে, তখন থেকে মানুষ সস্তার প্ল্যানের সন্ধান করছেন। বর্ধিত দাম থেকে স্বস্তি দিতে, BSNL ক্রমাগত তার গ্রাহকদের জন্য সস্তা প্ল্যান অফার করছে। BSNL একটি প্ল্যান নিয়ে এসেছে যেখানে আপনি ২৮ দিনের পরিবর্তে ৩৫ দিনের দীর্ঘ মেয়াদ পাবেন।


আমরা আপনাকে বলি যে BSNL এর স্বল্পমেয়াদী থেকে দীর্ঘমেয়াদী পর্যন্ত অনেক সস্তা এবং ব্যয়বহুল প্ল্যান রয়েছে। BSNL-এর তালিকায় ২৮ দিন, ৩০ দিন, ৩৫ দিন, ৭০ দিন, ৪৫ দিন, ১৫০দিন, ১০৫ দিন, ১৩০ দিনের পাশাপাশি ৩৬৫ দিন এবং ৩৯৫ দিনের বৈধতা সহ অনেকগুলি প্ল্যান।


BSNL তার কোটি কোটি গ্রাহকদের জন্য ৩৫ দিনের বৈধতার সাথে একটি সস্তা রিচার্জ প্ল্যান নিয়ে এসেছে। এই প্ল্যানের বিশেষ বিষয় হল যেখানে Jio এবং Airtel-এর মতো সংস্থাগুলি ২৮ দিনের জন্য ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা চার্জ করছে, সেখানে BSNL শুধুমাত্র ১০০ টাকার জন্য ৩৫ দিনের বৈধতা দিচ্ছে।


সস্তা প্ল্যানে দীর্ঘ দিনের বৈধতা 

সারা দেশে 8 কোটিরও বেশি মানুষ BSNL সিম ব্যবহার করেন। বেসরকারি কোম্পানিগুলোর দাম বৃদ্ধির পর তাদের গ্রাহক সংখ্যাও দ্রুত বাড়ছে। এখন BSNL তার ব্যবহারকারীদের আকৃষ্ট করতে ১০৭ টাকার একটি শক্তিশালী রিচার্জ প্ল্যান চালু করেছে। মাত্র ১০৭ টাকার একটি প্ল্যানে আপনি ৩৫ দিনের ভ্যালিডিটি পাবেন।


প্ল্যানে কলিং এবং ডেটা সুবিধা পাওয়া যাবে

BSNL-এর এই প্ল্যানটি সেই সমস্ত গ্রাহকদের জন্য যাদের খুব বেশি কলিং এবং ডেটার প্রয়োজন নেই। যারা কম খরচে দীর্ঘমেয়াদী কলিং এবং ডেটার সুবিধা চান তারা ১০৭ টাকার প্ল্যানে যেতে পারেন। এতে, কোম্পানি গ্রাহকদের কল করার জন্য ২০০ মিনিট সুবিধা প্রদান করে। যদি আমরা এই প্ল্যানের ডেটা সুবিধার কথা বলি, তাহলে এতে আপনাকে সম্পূর্ণ ৩৫ দিনের জন্য 3GB ডেটা দেওয়া হয়। এই প্ল্যানে আপনি কোনো ধরনের ফ্রি SMS সুবিধা পাবেন না।

Card image cap

উত্তরপ্রদেশে উলটে গেল ৭টি কামরা, বিস্তর ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা

আবারও প্রশ্নের মুখে ভারতীয় রেল। এবার উত্তরপ্রদেশের লাইনচ্যুত হল মালগাড়ি। দুর্ঘটনার জেরে উলটে গিয়েছে ট্রেনের ৭টি কামরা। মালগাড়ি হওয়ার জেরে এই দুর্ঘটনায় প্রাণহানীর ঘটনা না ঘটলেও বিস্তর ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। পাশাপাশি দুর্ঘটনার জেরে ওই রুটে ট্রেন চলাচল বিপর্যস্ত বলে জানা যাচ্ছে।

প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে এদিন সন্ধ্যে নাগাদ আমরোহায় গাজিয়াবাদ ও মোরাদাবাদ স্টেশনের মাঝে বেলাইন হয়ে যায় মালগাড়িটি। ট্রেনের ৭টি কামরা উলটে যায়। মালবাহী গাড়ি উলটে যাওয়ায় একাধিক ভারী কন্টেনার এদিক ওদিকে ছড়িয়ে পড়ে। দুর্ঘটনার জেরে বন্ধ হয়ে যায় দিল্লি থেকে লখনউগামী রেল চলাচল। খবর পেয়ে দ্রুত সেখানে পৌঁছয় রেলের আধিকারিকরা। ক্ষতিগ্রস্ত কামরাগুলিকে লাইন থেকে সরানোর কাজ শুরু হয়েছে। দুর্ঘটনাগ্রস্থ কামরাগুলিকে সরানো ও লাইন মেরামতের পর ফের ওই জায়গা থেকে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক করা সম্ভব হবে বলে জানানো হয়েছে।
যদিও কী কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটল তা এখনও স্পষ্ট নয়। এটি যদি মালগাড়ি না হয়ে যদি যাত্রীবাহী ট্রেন হত তাহলে পরিস্থিতি কতটা মর্মান্তিক হত ভেবেই শিউরে উঠছেন সাধারণ মানুষ। বার বার এমন ঘটনায় প্রশ্ন উঠছে রেলের নিরাপত্তা নিয়ে। এদিকে রেল সূত্রে জানা যাচ্ছে, ওই লাইনে দুর্ঘটনার জেরে ঘুরপথে ট্রেন চলাচল চালু করা হয়েছে। গাজিয়াবাদ মোরাদাবাদের পরিবর্তে ট্রেন চালানো হচ্ছে মোরাদাবাদ-সাহারানপুর-মেরুঠ গাজিয়াবাদ এই রুটে। ফলে এক্সপ্রেস ট্রেনগুলির যাতায়াতে অনেকটাই বাড়তি সময় লাগছে।

Card image cap

মোদির বিরুদ্ধে তদন্তে ‘না’ লোকপালের

লোকসভা ভোটের প্রচার চলাকালীন অকস্মাৎ বিস্ফোরণ ঘটান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। যে আদানিদের সঙ্গে আঁতাঁতের অভিযোগে তাঁকে বারবার বিদ্ধ করে এসেছে কংগ্রেস। সেই আদানিদের সঙ্গেই কংগ্রেসের নাম জুড়ে দেন তিনি। দাবি করেন, “আদানিদের কালো টাকা টেম্পোতে করে গিয়েছে কংগ্রেসের ঘরে।” মোদির সেই মন্তব্যে আলোড়ন পড়ে যায় গোটা দেশে। প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে তদন্তের দাবিতে আর্জি জমা পড়ে লোকপালের কাছে।

দুর্নীতি প্রতিরোধ সংস্থা লোকপালের হাতে দেশের প্রধানমন্ত্রী, ক্যাবিনেট মন্ত্রী, সাংসদ ও শীর্ষ স্তরের আমলাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগের তদন্তের ক্ষমতা রয়েছে। লোকপালে জমা পড়া অভিযোগে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে আম্বানি এবং আদানিদের কালো টাকার ও লেনদেনের খবর থাকা সত্ত্বেও তিনি এ বিষয়ে কোনও ব্যবস্থা নেননি। তাই তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত হোক। একই সঙ্গে আদানি-আম্বানি এবং রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধেও তদন্ত হোক।
লোকপালের প্রধান এখন সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি এ এম খানউইলকর। তিনি রিপোর্ট দিয়ে জানিয়েছেন, “ভোটের প্রচারের সময় মোদি যেটা বলেছেন সেটা নির্বাচনের প্রোপাগান্ডা। অনুমানের ভিত্তিতে মন্তব্য বা কাল্পনিক প্রশ্ন। আন্দাজ করে বিরোধীদের কোণঠাসা করতে ভোটের প্রচারে ওই মন্তব্য করা হয়েছে। এটা নিয়ে অভিযোগ দায়ের করা বাড়াবাড়ি।” যদিও লোকপালের রায়ে প্রধানমন্ত্রীর নাম উল্লেখ করা হয়নি।

Card image cap

দিল্লি কি শান্তিসেনা পাঠাবে বাংলাদেশে?

কোটা-সংস্কার আন্দোলন ঘিরে বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান অস্থিরতার পরিপ্রেক্ষিতে ভারত তার প্রতিবেশী দেশে শান্তিসেনা পাঠানোর সম্ভাবনা নিয়ে কূটনৈতিক মহলে জল্পনা শুরু হয়েছে। ভারত সরকার কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞদের পাশাপাশি, এই সম্ভাব্য হস্তক্ষেপের সমস্ত দিক খতিয়ে দেখতে দফায় দফায় আলোচনা চালাচ্ছে বলে সূত্রের খবর। একইসঙ্গে পরিস্থিতি মোকাবিলায় ভারতীয় ও বাংলাদেশি নেতৃত্বের মধ্যে আলোচনা চলছে। তবে, ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের তরফে এ নিয়ে কোনও মন্তব‌্য করা হয়নি। বরং, বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে নয়াদিল্লি খুব সতর্ক পদক্ষেপ করছে। এখনও পর্যন্ত ভারত এটিকে তাদের ‘অভ‌্যন্তরীণ বিষয়’ হিসাবেই দেখছে।


ভারতের বিদেশ মন্ত্রক বাংলাদেশের পরিস্থিতির দিকে নিবিড়ভাবে নজর রেখে চলেছে। তবে প্রতিবেশী দেশটির সংকট ও তার বহুমুখী তাৎপর্য নয়াদিল্লির কাছে যথেষ্ট উদ্বেগের। বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সুদীর্ঘ সীমান্ত রয়েছে। ফলে সেখানকার যে কোনও ধরনের অস্থিতিশীলতা ভারতের নিরাপত্তার জন‌্য একটি সম্ভাব‌্য হুমকি হতে পারে। বিভিন্ন সংবাদমাধ‌্যমের প্রতিবেদনগুলিতে ইঙ্গিত করা হয়েছে যে কোটা-সংস্কার নিয়ে ছাত্র বিক্ষোভে ‘নন-স্টেট অ‌্যাক্টরস’ সক্রিয়ভাবে জড়িত। এটি পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলেছে। ভারতের কাছেও তেমন তথ‌্য রয়েছে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, বাংলাদেশের ওই পরিস্থিতিতে ভারত চুপ করে বসে নেই। বরং, ধীরে চলো নীতি নিলেও, নয়াদিল্লি বৃহত্তর কূটনৈতিক কৌশলের কথা ভাবছে। বরাবরের মতো এবার আর এই অস্থির পরিস্থিতির জন‌্য আইএসআই মদতপুষ্ট জামাতের ঘাড়ে দোষ চাপাতে নারাজ দিল্লি। বরং, তাদের নজর অধুনা চিন-বাংলাদেশ কূটনৈতিক সম্পর্কে। ভারত সরকার তিস্তা প্রকল্পে চিনের আগ্রহ এবং বাংলাদেশি কিছু মন্ত্রীর চিনপন্থী প্রবণতা-সহ চিনের প্রতি শেখ হাসিনার প্রশাসনের সাম্প্রতিক পদক্ষেপের বিষয়ে সতর্ক রয়েছে। অভ‌্যন্তরীণ ক্ষেত্রে এই পরিস্থিতি সামাল দিতে না পারলে ভারতের কাছে সাহায‌্য চাইতে পারে বাংলাদেশ। সে ক্ষত্রে নয়াদিল্লি যদি সেখানে শান্তিবাহিনী পাঠায়, তবে অবশ‌্যই নিজেদের কিছু দাবি-দাওয়া ঢাকার কাছে পেশ করা হবে। তবে এখন ভারত একটি সূক্ষ্ম ভারসাম‌্য রক্ষা করে চলেছে। কারণ, এই সময়ে শেখ হাসিনার সরকারের প্রতি সরাসরি সমর্থন দেখানো বা বাংলাদেশি সামরিক বাহিনীর সঙ্গে প্রকাশ্য সমন্বয় আন্দোলনকারী ছাত্র এবং আমজনতার কাছে ভুল বার্তা দিতে পারে।বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল ভারতের অবস্থান সম্পর্কে বলেছেন, “আমি এটিকে ওই দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় হিসাবে দেখি।” তা সত্ত্বেও, কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞরা জোরের সঙ্গে বলেছেন যে বাংলাদেশে হিংসা এবং আইনশৃঙ্খলার অবনতি ভারতের জন্য উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলেছে। কূটনৈতিক মহলের একটি অংশ বিশ্বাস করে যে শেখ হাসিনা তাঁর সরকারকে রক্ষা করতে এবং পশ্চিমি সমালোচনা মোকাবিলায় ভারতের কাছ থেকে রাজনৈতিক সমর্থন চাইতে বাধ্য হয়েছেন। তার ফলস্বরূপ, সমন্বিত প্রচেষ্টা নিশ্চিত করতে ভারত তার নিরাপত্তা সংস্থা এবং মূল সিদ্ধান্ত গ্রহণকারীদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রাখছে।

Card image cap

বিশ্বজুড়ে ব্যাহত বিমান-তথ্য প্রযুক্তি পরিষেবা

উইন্ডোজ ১০-এ যান্ত্রিক গোলযোগ। বিশ্বজুড়ে ব্যাহত হয়েছে বিমান পরিষেবা, তথ্য প্রযুক্তি পরিষেবাও। ইতিমধ্যেই পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা করা হচ্ছে দ্রুত, জানিয়েছে মাইক্রোসফট। ভারতে বিমান পরিষেবায় সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে, গোলযোগ  দেখা দিয়েছে ওয়েব চেক-ইনেও।


ব্যাঙ্ক এবং লন্ডন স্টক এক্সচেঞ্জেও বড়সড় সমস্যা দেখা দিয়েছে। কাজ বন্ধ সর্বত্র। ঠিক কী সমস্যা হয়েছে উইন্ডোজে ?


মাইক্রোসফটের উইন্ডোজ ১০-এ প্রযুক্তিগত সমস্যা দেখা দিয়েছে আর তাই যে সমস্ত জায়গায় এই সফটওয়্যার ব্যবহার করা হয়, সেখানেও কার্যক্রম ব্যাহত হয়েছে। কলকাতা বিমানবন্দরে এর প্রভাব পড়েছে। তিনটি বিমান পরিষেবা সংস্থা ইন্ডিগো, স্পাইসজেট সহ এগুলি মাইক্রোসফটের সফটওয়্যার ব্যবহার করে। আর তাই ওয়েব চেকিংয়ে সমস্যা দেখা দিয়েছে আজ সকাল থেকেই। তাঁর জন্য চরম ভোগান্তির মুখে সাধারণ যাত্রীরা। কলকাতা বিমানবন্দরে এই তিন এয়ারলাইন্সের যাত্রীরা চেক-ইন করাতে পারছেন না আর তাই ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে চেক-ইন করাতে হচ্ছে। সেই কারণে কলকাতা বিমানবন্দর থেকে যে সমস্ত বিমান গন্তব্যে পৌঁছানোর কথা তা অনেকটাই দেরিতে চলছে।


গোয়া বিমানবন্দরেও দেখা যাচ্ছে প্রযুক্তিগত সমস্যার  কারণে ভোগান্তির মুখে পড়েছেন যাত্রীরা। উদ্বেগের বিষয় যে কখন এই সমস্যার সমাধান হবে তা জানা যাচ্ছে না এখনই। বিমানবন্দরের তরফেও এই সংক্রান্ত বিষয়ে কোনও সদুত্তর পাওয়া যায়নি। মাইক্রোসফটের তরফে জানানো হয়েছে দ্রুত এই ব্যবস্থা স্বাভাবিক করার চেষ্টা করা হচ্ছে। বিশ্বজুড়েই চলছে এই প্রযুক্তিগত বিভ্রাট। দিল্লি, মুম্বই বিমানবন্দরেও এই সমস্যা দেখা দিয়েছে। অন্যদিকে জানা গিয়েছে মূলত মাইক্রোসফট অ্যাজিউর সফটওয়্যারের মাধ্যমেই এই বিমান পরিষেবার সমস্ত কাজকর্ম চলত, সেখানেই সমস্যা দেখা দিয়েছে। স্পেনের সব বিমানবন্দরে উড়ান ব্যাহত। ইন্ডিগো জানিয়েছে যে, ওয়েব চেক-ইন করতে না পারায় ম্যানুয়ালি বোর্ডিং পাসে স্ট্যাম্প মেরে চেক-ইন করাতে হচ্ছে যাত্রীদের, ফলে লম্বা লাইন পড়েছে।

অস্ট্রেলিয়ার সংবাদসংস্থার মাধ্যমে জানা গিয়েছে যে, মিডিয়া পরিষেবা, ব্যাঙ্কিং এবং বিমান পরিষেবা ব্যাহত হয়েছে এই যান্ত্রিক গোলযোগের জন্য। নিউজিল্যান্ডের বেশ কিছু ব্যাঙ্কেও কাজ ব্যাহত হয়েছে। লন্ডনের স্টক এক্সচেঞ্জও ব্যাহত হয়েছে এই মাইক্রোসফটের

Card image cap

আন্দোলনে অগ্নিগর্ভ ওপার বাংলা, প্রতিবাদে গর্জে উঠল কলকাতা

মুক্তিযোদ্ধার পরিবারের সদস্যদের জন্য আলাদা সংরক্ষণ চায় না বাংলাদেশের আমশিক্ষার্থী। তুলে দেওয়া হোক তা। এই দাবিতে গত কয়েকদিন ধরে তপ্ত হয়ে উঠেছে বাংলাদেশ। দেশজুড়ে আন্দোলনের আঁচ ক্রমশ বাড়ছে। একের পর এক প্রাণ চলে যাচ্ছে হিংসাত্মক বিক্ষোভে। আন্দোলন থামাতে পুলিশ, সেনার ‘দমনপীড়ন’ নীতি অব্যাহত। তারই ফলস্বরূপ প্রাণহানি, রক্তের স্রোত। প্রতিবেশী দেশের এহেন পরিস্থিতিতে গর্জে উঠল এপার বাংলাও। বাংলাদেশের পীড়িত সাধারণ নাগরিকের পাশ দাঁড়িয়ে, শান্তির বার্তা ছড়িয়ে দিয়ে কলকাতা শামিল হল মিছিলে। শুক্রবার বাংলাদেশের ডেপুটি হাইকমিশনের দপ্তরের সামনে হয়ে গেল প্রতিবাদ মিছিল।

কলকাতা বরাবরই প্রতিবাদের শহর, প্রতিরোধের শহর। নিজের নয়, দূর থেকে সুদূরের জ্বালাও বুকে বহন করে এই কলকাতা। প্যালেস্টাইন হোক কিংবা ইরাক অথবা পাশের বাংলাদেশ – যেখানেই যখন সংকটের মুখে পড়ে মানবাধিকার, গর্জে ওঠে তিলোত্তমা। আর সেই কারণেই এখনও এত প্রাণোচ্ছ্বল, আবেগময় এ শহর। সেই আবেগেরই ফের প্রকাশ ঘটল শুক্রবার, বাংলাদেশের পাশে দাঁড়িয়ে প্রতিবাদ মিছিলে । এখানকার বামমনস্ক ছাত্র সংগঠন ও মানবাধিকার সংগঠনের একদল কর্মী নন্দন চত্বরের সামনে মিছিলে শামিল হন। তাঁদের হাতে ছিল প্ল্যাকার্ড, পোস্টার। তাতে বাংলাদেশের ছাত্র সমাজের উপর পুলিশি অত্যাচারের প্রতিবাদী বার্তা। কলকাতায় বাংলাদেশের উপ হাইকমিশনের কার্যালয়ের সামনে তাঁরা প্রতিবাদ দেখান।
বাংলাদেশের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে আগেই ‘সংহতি মিছিলে’র ডাক দিয়েছিল বাম ছাত্র সংগঠনগুলি। শুক্রবার তাঁদেরই মিছিলে যোগ দিলেন মানবাধিকার সংগঠনের কয়েকজন সদস্য। মিছিলে বার্তা একটাই, সংরক্ষণের নামে আর যেন কোনও প্রাণ না যায়। দেশের সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা চাই। পোস্টারে, প্ল্যাকার্ডেও সেই একই কথা লেখা হয়েছে। শুধু প্রতিবাদ বা মিছিলেই সীমাবদ্ধ নয় কলকাতার সহমর্মিতার বার্তা। দুই বাংলার শিল্পী মহলও এনিয়ে নিজেদের মতো করে প্রতিবাদের বহিঃপ্রকাশ ঘটাচ্ছেন। গানে, কবিতায়, ছবিতে উঠে এসেছে হিংসা বিরোধী বার্তা। এভাবেই দূরত্ব ঘুচে যাচ্ছে। প্রতিবেশীর বিপদ হয়ে উঠছে আমাদেরও আপন সংকট।


Card image cap

আন্দোলনে নিহত ঢাকার সাংবাদিক

সময়ের সঙ্গে সঙ্গে কোটা বিরোধী আন্দোলনের ঝাঁজও বাড়ছে প্রতিবেশী বাংলাদেশে। পরিস্থিতি ক্রমশ ঘোরাল হচ্ছে। বাড়ছে উদ্বেগ। সর্বশেষ খবর পাওয়া অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত হিংসাত্মক আন্দোলনের মাঝে পড়ে প্রাণ হারিয়েছেন ১৯ জন। যার মধ্যে রয়েছেন এক সাংবাদিক । তাঁর নাম হাসান মেহেদি। স্থানীয় এক সংবাদপত্রে কর্মরত। তাঁর শরীরে ছররা গুলির দাগ রয়েছে বলে জানা গিয়েছে হাসপাতাল সূত্রে। এদিকে, কোটা সংস্কার নিয়ে সরকারের আলোচনার প্রস্তাব খারিজ করেছে আন্দোলনকারী দল। তাঁদের সাফ বার্তা, ”লাশের উপর দিয়ে আলোচনায় যাওয়া যায় না।’’কোটা বিরোধী আন্দোলনে অগ্নিগর্ভ বাংলাদেশে দিনভর একাধিক অশান্তির ঘটনা ঘটে চলেছে। আক্রান্ত সংবাদমাধ্যমও। সূত্রের খবর, একটি টেলিভিশন চ্যানেলের সম্প্রচার বন্ধ করা হয়েছে জোর করে। এদিকে, মোবাইলে ইন্টারনেট বন্ধের প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার সন্ধে থেকে একটি সংস্থার মূল কার্যালয়ের সামনে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করেছে আন্দোলনকারীদের একাংশ। তাঁদের দাবি, সংস্থার উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে দেখা করে মোবাইল ইন্টারনেট চালুর বিষয়টি বলতে চান। কথা না বললে রাতভর একই অবস্থানে তাঁরা থাকবেন বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।এদিকে, আন্দোলনের চাপে পড়ে বাংলাদেশ সরকার কোটা সংস্কারে নীতিগতভাবে সম্মত জানিয়ে আলোচনার রাস্তা খুলেছে। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলার প্রস্তাব দিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। দুপুরে সাংবাদিকদের আনিসুল হক বলেন, ‘‘চলমান কোটা আন্দোলন নিয়ে সরকার আজই শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বসতে রাজি আছে। প্রধানমন্ত্রী শিক্ষার্থীদের এ প্রস্তাবকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। তাঁদের এ প্রস্তাবের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী দায়িত্ব দিয়েছেন আইনমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রীকে। তাঁরা যদি আজ রাজি হয় তাহলে আমরা আজই বসতে রাজি আছি।’’

Card image cap

দুর্ঘটনার আগেই বিস্ফোরণের শব্দ!

উত্তরপ্রদেশের গোন্ডায় ডিব্রুগড় এক্সপ্রেসে ভয়াবহ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে অন্তত ২ জনের। আহত বহু। চলছে উদ্ধারকাজ। এই পরিস্থিতিতে দুর্ঘটনাগ্রস্ত ট্রেনটির লোকো পাইলট দাবি করলেন, তিনি দুর্ঘটনার আগে বিস্ফোরণের আওয়াজ শুনতে পেয়েছেন।

রেল সূত্রে জানা যাচ্ছে ওই লোকো পাইলটের নাম ত্রিভুবন। এহেন দাবি সামনে আসতেই নড়েচড়ে বসেছে রেল। দুর্ঘটনার পিছনে কোনও রকম নাশকতামূলক ষড়যন্ত্র রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এদিকে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে দুর্ঘটনার জন্য কাঠগড়ায় তুলেছেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে । এক্স হ্যান্ডলে তিনি লিখেছেন, ‘উত্তরপ্রদেশে চণ্ডীগড়-ডিব্রুগড় এক্সপ্রেসের লাইনচ্যুত হওয়া আবারও প্রমাণ করে দিল মোদি সরকার কীভাবে রেল নিরাপত্তাকে বিপন্ন করে তুলেছে। শোকাহতদের পরিবারের প্রতি আমাদের গভীর সমবেদনা এবং আহতদের প্রতি আমাদের উদ্বেগ ও প্রার্থনা রয়েছে।’ আর তার পরই তিনি কটাক্ষ করেছেন মোদি-অশ্বিনীকে। তাঁর খোঁচা, ‘প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও রেলমন্ত্রী আত্মপ্রচারের কোনও সুযোগই ছাড়েন না। ওঁদের উচিত ভারতীয় রেলের এই দুর্দশার দায়স্বীকার করা।’

Card image cap

দুর্ঘটনার কবলে ডিব্রুগড় এক্সপ্রেস

রেল যাত্রার বিভীষিকা কাটার নাম নেই। এবার উত্তরপ্রদেশের গোন্ডায় ডিব্রুগড় এক্সপ্রেসে ভয়াবহ দুর্ঘটনা। লাইনচ্যুত চণ্ডীগড় থেকে ডিব্রুগড়গামী ট্রেনটির ১০ থেকে ১২টি কামরা। মৃত্যু হয়েছে ৪ জন যাত্রীর। আহত বহু। মৃতের সংখ্যা বাড়বে বলেই মনে করা হচ্ছে। শুরু হয়েছে উদ্ধারকাজ।১৭ জুন উত্তরবঙ্গের চটেরহাট এবং রাঙাপানি স্টেশনের মাঝে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস। ওই দুর্ঘটনায় কাঞ্চনজঙ্ঘার গার্ড এবং মালগাড়ির চালক-সহ মোট ১০ জনের মৃত্যু হয়। আহত হন প্রায় ৫০ জন। সেই বিভীষিকা ভোলার আগেই দুর্ঘটনাগ্রস্ত হল ডিব্রুগড় এক্সপ্রেস। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, চণ্ডীগড় থেকে ডিব্রুগড় যাচ্ছিল ট্রেনটি। মাঝপথে উত্তরপ্রদেশের গোন্ডায় ঝুলাহি স্টেশনের কাছে এক্সপ্রেস ট্রেনটির ১০-১২টি কামরা লাইনচ্যুত হয়। এর মধ্যে ৩টি কামরা সম্পূর্ণভাবে উলটে যায়। এর ফলে মৃত্যু হয়েছে ৪ জন যাত্রীর। আহত বহু। মৃতের সংখ্যা বাড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। শুরু হয়েছে উদ্ধারকাজ। জুনের পর জুলাই মাসে ফের দুর্ঘটনায় রেলের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ উঠেছে। দুর্ঘটনার কারণ এখনও স্পষ্ট নয়।
ডিব্রুগড় এক্সপ্রেসে দুর্ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা।অসম সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, গোন্ডার দুর্ঘটনার উপরে নজর রাখছেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী। দুর্ঘটনাস্থলের প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে কর্তৃপক্ষ। উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। উত্তরপ্রদেশ সরকারের তরফে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, জেলার আধিকারিকদের দ্রুত উদ্ধারকাজের জন্য প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ১৫টি অ্যাম্বুলেন্স এবং ৪০ সদস্যের মেডিক্যাল টিমকে ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে। এদিকে যাত্রীদের সুবিধার্থে রেলের তরফে বেশ কিছু হেল্পলাইন নম্বর প্রকাশ করা হয়েছে।

Card image cap

ওমানের সমুদ্রে তলিয়ে যাওয়া ৮ ভারতীয়কে উদ্ধার নৌসেনার

ওমানে মাঝ সমুদ্রে তেলের ট্যাঙ্কার উলটে নিখোঁজ ছিলেন ১৩ ভারতীয়-সহ মোট ১৬ নাবিক। খবর পেয়েই উদ্ধারকাজে ঝাঁপিয়ে পড়ে ভারতীয় নৌসেনা। দিনভর চেষ্টার পরে জানা গিয়েছে, ৯ নাবিককে উদ্ধার করা গিয়েছে। বাকিদের খোঁজে এখনও চলছে তল্লাশি। এখনও নিখোঁজ ৫ ভারতীয় নাবিক।

সোমবার তেলের ট্যাঙ্কার নিয়ে এডেনের ইয়েমেনি বন্দরের দিকে যাচ্ছিল জাহাজটি। দুকমের ওমানি বন্দরের কাছে রাস মাদ্রাকা থেকে ২৫ নটিক্যাল মাইল দক্ষিণ-পূর্বে ঘটে দুর্ঘটনাটি। আচমকা উলটে যায় জাহাজটি। ট্যাঙ্কারের পাশাপাশি জাহাজে থাকা ১৬ জন নাবিক সমুদ্রে পড়ে যান। খবর পেয়ে তড়িঘড়ি শুরু হয় উদ্ধার কাজ। সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে পাঠানো হয় ভারতীয় নৌসেনার যুদ্ধজাহাজ আইএনএস তেগকে। যুদ্ধজাহাজকে সাহায্য করতে পাঠানো হয় পি৮আই বিমান।তবে প্রতিকূল পরিবেশের মধ্যে উদ্ধারকাজ চালাতেও প্রবল সমস্যার মুখে পড়েন ভারতীয় নৌসেনার কর্মীরা। ওই এলাকাটিতে সমুদ্র অত্যন্ত বিপজ্জনকভাবে উত্তাল হচ্ছে। সেই সঙ্গে বইছে ঝোড়ো হাওয়া। জোড়া চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করেই ডুবে যাওয়া নাবিকদের খোঁজ শুরু হয় বুধবার সকাল থেকে। সারাদিন লড়াই চালানোর পরে অবশেষে ৯ জনকে উদ্ধার করেছে নৌসেনা। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন শ্রীলঙ্কার এক নাবিক। বাকিরা সকলেই ভারতীয়।এখনও সমুদ্রে তলিয়ে যাওয়া সাত নাবিকের খোঁজ মেলেনি। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন ৫ জন ভারতীয়। তবে এখনও তাঁদের খোঁজে চলছে তল্লাশি। গোটা উদ্ধারকাজের দিকে নজর রাখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে ভারত। কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়, ওমান সরকার এবং উপকূলের নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে অনবরত যোগাযোগ রেখেছে ভারতীয় দূতাবাস। উল্লেখ্য, যে ট্যাঙ্কারটি দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে সেটি তৈরি হয়েছিল ২০০৭ সালে।