CATEGORY country:

Card image cap

মৃত্যুপুরী ওয়ানড়ে চোরের উৎপাত

প্রকৃতির রুদ্ররোষে কেরলের ওয়ানড় মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছে। বেসরকারি মতে মৃতের সংখ্যা তিনশো ছাড়িয়েছে। বিপর্যয়ের সম্মুখীন হয়ে নিজেদের বাড়ি ছেড়ে পালাতে হয়েছিল অনেককেই। তাঁদের অনেকেই দাবি করলেন, বাড়ি ফাঁকা থাকার সুযোগে সেখানে হানা দিয়েছে চোররা! এহেন পরিস্থিতিতে রাতের টহলদারি বাড়ানোর আর্জি প্রশাসনের কাছে।

স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, বহু বাড়ি খালি পড়ে রয়েছে। কার্যত পরিত্যক্ত অবস্থায় রয়েছে অনেক গ্রামই। আর সেই সুযোগে রাতে সেখানে ঢুকে পড়ে বাড়ি থেকে জিনিসপত্র লুঠ করছে দুষ্কৃতীরা। এক ভুক্তভোগী বলছেন, ''আমরা ধসের কারণে নিরাপদ স্থানে চলে যাই বাড়ি ছেড়ে। কিন্তু যখন আমরা ফিরলাম, দেখলাম দরজা-জানলা ভাঙা।'' জামাকাপড় চুরি করে নিয়ে যাচ্ছে দুষ্কৃতীরা। উঠছে অভিযোগ।

এহেন পরিস্থিতিতে শনিবার সন্ধ্যায় প্রশাসনের তরফে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, উপদ্রুত এলাকায় বিনা অনুমতিতে যারা প্রবেশ করার চেষ্টা করবে কিংবা আক্রান্তদের বাড়িতে ঢোকার চেষ্টা করবে তাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পুলিশ পারমিশন ছাড়া রাতে ওই সমস্ত এলাকায় এমনকী বিপর্যয় মোকাবিলার নামেও ঢোকা যাবে না।

প্রসঙ্গত, এই ভূমিধসের ঘটনায় ওয়ানড়ের অন্তত ৩৫০টি বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। প্রতিকূল আবহাওয়ায় বার বার বিঘ্নিত হয়েছে উদ্ধারকাজ। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় চুরামালা ও মুন্ডাক্কাই গ্রামের মধ্যে বেইলি ব্রিজটি বানিয়ে ফেলতে সক্ষম হয়েছে। যার পর থেকে ওই পথে প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম নিয়ে যেতে পারছে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। গত পাঁচদিন ধরে চলছে উদ্ধারকাজ। সরকারি মতে, মৃতের সংখ্যা ২১৫। নিখোঁজ ২০৬ জন। যদিও বেসরকারি মতে সংখ্য়াটা অনেক বেশি।

Card image cap

শ্লীলতাহানির অভিযোগ করতেই প্রশ্ন যোগীর পুলিশের

শ্লীলতাহানির অভিযোগ জানাতে গিয়েছিলেন তরুণী। পালটা শুনতে হল প্রশ্ন। সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার সময় তিনি বাইরে ছিলেন কেন। অভিযোগ দায়ের করতেই রাজি হননি পুলিশ অফিসার। দাবি নির্যাতিতার। এমনই এক ঘটনার সাক্ষী হল উত্তরপ্রদেশ।

ঠিক কী অভিযোগ? নয়ডার সেক্টর ৪৮-এর বাসিন্দা এক তরুণীর অভিযোগ, তিনি বৃষ্টির মধ্যে ভিডিও শুট করতে বাইরে বেরিয়েছিলেন। তখন সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা বাজে। সেই সময়ই সেখানে এক আগন্তুক হাজির হয়। সে এসে তাঁর জামা ছিঁড়ে দেয়। এর পরই সেখানে উপস্থিত হয়ে তরুণীকে শ্লীলতাহানির হাত থেকে বাঁচান দুই মহিলা। অভিযুক্তও পালিয়ে যায়। পরে থানায় অভিযোগ জানাতে গিয়েছিলেন ওই তরুণী। সেই সময়ই তাঁকে থানার পুলিশ অফিসার প্রশ্ন করেন, কেন তিনি সাড়ে সাতটার সময় বৃষ্টিতে বাইরে বেরিয়ছিলেন। অভিযোগ দায়ের করতেও অস্বীকার করেন তিনি। এমনই অভিযোগ নির্যাতিতার।

তরুণীর দাবি, পরে তিনি সিসিটিভি ফুটেজ থেকে ঘটনার ভিডিও সংগ্রহ করতে চাইলে দেখেন অধিকাংশ ক্যামেরাই বন্ধ। অবশেষে তিনি একটি ভিডিওয় নিজের অভিযোগ জানিয়ে তা সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করে দেন। সেখানে তাঁর শ্লীলতাহানির অভিযোগের পাশাপাশি থানার অভিজ্ঞতাও শেয়ার করেন তরুণী। ভিডিওটি ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। বহু নেটিজেনই ক্ষোভ উগরে দেন।

এর পরই নড়েচড়ে বসে পুলিশ। নয়ডা পুলিশের তরফে এক বিবৃতি জারি করে জানানো হয়, তরুণীর অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। সিসিটিভি ফুটেজ ইত্যাদি সংগ্রহ করে সবদিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সেই সঙ্গে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করার।

Card image cap

ভারতীয় বিমান বাহিনীর বাধা হয়ে দাঁড়াল আমেরিকা

ভারতীয় বায়ুসেনার জন্য বড় বাধা হয়ে উঠছে আমেরিকা। ভারতীয় বায়ুসেনার এই সময়ে ফাইটার জেটের খুব প্রয়োজন, কিন্তু আমেরিকার স্বেচ্ছাচারিতার কারণে এটি অনেক সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে। আসলে, ভারত দ্রুততর তেজস Mk-1A ফাইটার জেট তৈরি করছে, এই আমেরিকান ইঞ্জিনের জন্য F404-IN20 বসাতে হবে।



আমেরিকা তা দিচ্ছে না। এ কারণে তেজসের উৎপাদন অনেকটাই কমে গেছে। আমেরিকা বারবার সাপ্লাই চেইনে সমস্যার অজুহাত দিলেও বিশেষজ্ঞরা বলছেন অন্য কথা। আসলে, রাশিয়ার সঙ্গে ভারতের ঘনিষ্ঠতা বাড়ায় আমেরিকা তার নিজের কাজ করতে শুরু করেছে। সম্প্রতি এ বিষয়ে স্পুটনিকের একটি প্রতিবেদনও প্রকাশিত হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সরবরাহে দেরি হলে ভারতও আমেরিকার সঙ্গে চুক্তি শেষ করতে পারে।


হিন্দুস্তান অ্যারোনটিক্স কে এখনও ১৬টি তেজস যুদ্ধবিমান তৈরি করতে হবে, কিন্তু তাদের জন্য ইঞ্জিন উপলব্ধ নেই। এ কারণে উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। এখন HAL জানিয়েছে যে তারা নভেম্বরে প্রথম বিমান সরবরাহ করবে। বায়ুসেনা মনে করছে যে তারা আর্থিক বছরে ৮ টি তেজস পাবে। এয়ার মার্শাল (অব.) এম. মাথেশ্বরন বলেছেন যে আমেরিকান F404 ইঞ্জিন সরবরাহে বিলম্ব ভারতীয় বায়ুসেনার উপর অবিলম্বে প্রভাব ফেলবে, কারণ তেজস Mk1 এবং Tejas Mk1A-এর ৬ টি স্কোয়াড্রন শীঘ্রই পরিষেবাতে অন্তর্ভুক্ত হতে চলেছে।


আমেরিকা থেকে বিমানের ইঞ্জিন সরবরাহে বিলম্বের কারণে, HAL বিকল্প খুঁজতে শুরু করেছে। যখন তেজস প্রকল্প শুরু হয়েছিল, রাশিয়া কাবেরি ইঞ্জিনের প্রস্তাব করেছিল, কিন্তু তা হয়নি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে এই ক্ষেত্রে রাশিয়ার সাথে অংশীদারিত্ব অবশ্যই ভারতের জন্য উপকারী হবে, কারণ Tejas Mk1, Mk1A এবং Mk2 ভেরিয়েন্টগুলি ভবিষ্যতে ভারতীয় বায়ুসেনার MiG-21, MiG-29 এবং Jaguar-কে প্রতিস্থাপন করবে। এই বিমানগুলি হিন্দুস্তান অ্যারোনটিক্স লিমিটেড  দ্বারা তৈরি করা হচ্ছে।

Card image cap

ধ্বংসস্তূপ সরাতেই মিলছে দেহ, ওয়ানড়ে মৃতের সংখ্যা ৩০০ পার!

ওয়ানড়ে মৃতের সংখ্যা ৩০০ পেরিয়ে গেল। জানা গিয়েছে, ধ্বংসস্তূপের মধ্যে কেউ জীবিত আছেন কিনা সেটা খুঁজে দেখার জন্য ব্যবহার করা হবে বিশেষ রাডার। এই রাডারে রয়েছে ড্রোন। যদিও বৃহস্পতিবার কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নের দাবি, ধ্বংসস্তূপে আর কারোর বেঁচে থাকার সম্ভাবনা নেই। তবুও উদ্ধারকাজ চালিয়ে যাচ্ছে যৌথ বাহিনী। তার মধ্যে চিন্তা বাড়াচ্ছে বৃষ্টি।

আপাতত ৩০৮ জনের মৃত্যু হয়েছে ভয়াবহ ভূমিধসে। গত মঙ্গলবারের এই ঘটনার পর টানা চারদিন ধরে চলছে উদ্ধারকাজ। কিন্তু লাগাতার বৃষ্টির কারণে কাজ করতে পারছেন না উদ্ধারকারীরা। নৌসেনার সঙ্গে মিলিতভাবে উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে উপকূলরক্ষা বাহিনী, জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। উদ্ধারকাজে নেমেছে সেনা এবং বায়ুসেনাও। কিন্তু লাগাতার বৃষ্টি এবং ধসের কারণে ওয়ানড়ের একাধিক সেতু এবং রাস্তা ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। ফলে বিপদগ্রস্ত এলাকাগুলোতে পৌঁছতেই পারছেন না উদ্ধারকারীরা।
এহেন পরিস্থিতিতে কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বৃহস্পতিবার দাবি করেন, ধ্বংসস্তূপ থেকে জীবিত কাউকেই আর উদ্ধার করা বাকি নেই। এখন কাজ কেবলই দেহ উদ্ধার। তবে এরই মধ্যে স্বস্তির খবর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় চুরামালা ও মুন্ডাক্কাই গ্রামের মধ্যে বেইলি ব্রিজটি বানিয়ে ফেলেছে সেনা। এবার ওই পথে প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম নিয়ে যেতে পারবে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী।

Card image cap

বললেন কঙ্গনা দাদু মুসলিম, ঠাকুমা পার্সি, মা খ্রিস্টান.! রাহুল গান্ধী 'কারিপাতা দিয়ে পাস্তা',

লোকসভায় জাতপাত নিয়ে তর্কে জড়িয়েছলেন রাহুল গান্ধি। আর তাতেই নতুন নিশানা কঙ্গনা রানাওয়াতের। লোকসভায় অনুরাগ ঠাকুর 'অপমান' ও 'গালিগালাজ' করেছেন বলে, রাহুল দাবি করার একদিন পরেই, সরব হলেন কুইন নায়িকা। রাহুলের একটি পুরনো ভিডিয়ো শেয়ার করলেন তিনি। যেখানে সোনিয়া-পুত্রকেও দেখা যায়, লোকের জাত নিয়ে কথা বলতে।


রাহুল গান্ধীকে নিয়ে কী লিখলেন কঙ্গনা


কঙ্গনা রানাওয়াত তাঁর ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে জনসভায় রাহুলের লোকের জাত নিয়ে বক্তব্য রাখার একটি পুরনো ভিডিয়ো শেয়ার করলেন। তিনি লেখেন, 'আপনি নিজের জাত সম্পর্কে কিছুই জানেন না, আপনার দাদু মুসলিম, ঠাকুমা পার্সি, মা খ্রিস্টান। মনে হয় কেউ ভাত এবং ডাল বানানোর জন্য কারি পাতা দিয়ে পাস্তা মেখেছেন। এদিকে উনি সবার জাত জানতে চান।'


'কী করে তিনি প্রকাশ্যে মানুষকে তাঁদের জাত সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করতে পারেন, এমন অভদ্রভাবে, ছিঃ, লজ্জা রাহুল গান্ধী', নিজের কথায় জোড়েন কঙ্গনা।


কী ঘটেছিল


বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় বাজেট নিয়ে আলোচনার সময়, লোকসভায় বিজেপি সাংসদ অনুরাগ ঠাকুর তাঁকে 'অপমান ও গালিগালাজ' করেছেন, এমন অভিযোগ এনেছেন। বিজেপি সাংসদ অনুরাগ কারও নাম না নিয়ে এদিন বলেন, 'যাঁদের নিজেদের জাতের ঠিক নেই, তারা জাতের আদমশুমারি নিয়ে কথা বলেন!' এরপর বিতর্ক বাড়তেই অনুরাগ বলেন, 'আমি শুধু বলেছিলাম যে, নিজের জাতপাত সম্পর্কে জানে না, এমন কেউ আদমশুমারির কথা বলেন। আমি কারও নাম বলিনি।'


রাহুল প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, ভারতীয় ব্লক ক্ষমতায় এলে দেশব্যাপী জনগণনা করা হবে। জবাবে রাহুল বলেন, 'আপনি আমাকে যত খুশি অপমান করতে পারেন, তবে আমরা সংসদে জাতিগত জনগণনা অনুমোদন করাব। অনুরাগ ঠাকুর আমাকে গালিগালাজ করেছেন, অপমান করেছেন। কিন্তু আমি তার কাছ থেকে কোনওরকম ক্ষমা প্রত্যাশা করি না।'


কঙ্গনা রানাওয়াতের রাজনৈতিক জীবন


চলতি বছর লোকসভা নির্বাচনে জয়ী হন এবং হিমাচল প্রদেশের মান্ডির সাংসদ নির্বাচিত হন কঙ্গনা কানাওয়াত। গত সপ্তাহে পার্লামেন্টে প্রথম ভাষণ দেন তিনি। তিনি হিন্দিতে বলেন, 'আমাদের বাড়ি তৈরির কাঠকুনি স্টাইল বা ভেড়া-চমরী গাইয়ের পশম থেকে পোশাক তৈরির ঐতিহ্য বা স্পিতি, কিন্নর এবং ভারমৌরের সংগীতের ঐতিহ্য রয়েছে। তবে সবই বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে।'

Card image cap

বিমায় জিএসটি প্রত্যাহার করুন', নির্মলাকে কড়া চিঠি গাদকারির, নেপথ্যে সঙ্ঘ?

বনের অনিশ্চয়তার উপরও ট্যাক্স! প্রশ্ন তুললেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নীতিন গাদকারি। তাও মন্ত্রিসভার বৈঠকে নয়। দলে নয়। একটি কড়া চিঠিতে। আর গাদকারির এই চিঠির সরাসরি লক্ষ্য কে? তাঁরই সহকর্মী অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। 


একক গরিষ্ঠতা হারানো নরেন্দ্র মোদির এখন ঘরে-বাইরে সঙ্কট। একদিকে মহাজোট 'ইন্ডিয়া'র দাপুটে উপস্থিতি।


অন্যদিকে সরকারের মধ্যেই খোলা হাওয়া। মাত্র দু'মাস আগেও যা ভাবা যেত না, এখন সেটাই হচ্ছে। এক মন্ত্রী অন্য মন্ত্রীকে খোলাখুলি পরামর্শ দিচ্ছেন-আম জনতাকে সুরাহা দিন। অর্থমন্ত্রীকে সড়ক পরিবহণমন্ত্রী নীতিন গাদকারি চিঠি লিখে বলেছেন, জীবন বিমা এবং স্বাস্থ্য঩বিমার প্রিমিয়ামের উপর বলবৎ থাকা ১৮ শতাংশ জিএসটি প্রত্যাহার করা হোক। নাগপুরের বিমাকর্মীদের সংগঠন ইতিমধ্যেই দেখা করেছেন গাদকারির সঙ্গে। তাঁদের ক্ষোভ একমুখী-বিমা ক্ষেত্রে আম জনতার উপর ট্যাক্সের বোঝা। গাদকারি নাগপুরের এমপি। তাঁদের সঙ্গে বৈঠকের পরই তিনি সরাসরি অর্থমন্ত্রীকে চিঠি লিখেছেন। তাঁর সাফ কথা, 'এই অভিযোগ এবং দাবির সঙ্গে আমি সহমত। জীবন ও চিকিৎসা বিমার প্রিমিয়ামের উপর ১৮ শতাংশ জিএসটি এখন সবচেয়ে বড় সমস্যা। জীবন বিমার প্রিমিয়ামের উপর জিএসটি আদায় করার অর্থ, জীবনের অনিশ্চয়তার উপর ট্যাক্স চাপানো। সেটাই হচ্ছে। যে সাধারণ মানুষ জীবনের অনিশ্চয়তার কথা চিন্তা করে স্বজন-পরিজনকে কিছুটা সুরক্ষা দিতে বিমা করেছেন, তার উপর সরকারের ট্যাক্স চাপানো উচিত নয়।

একইভাবে সামাজিক দায়বদ্ধতার কথাও মাথায় রেখে চিকিৎসা বিমার প্রিমিয়ামের উপর জিএসটি বসানোও মেনে নেওয়া যায় না। এই ১৮ শতাংশ জিএসটি প্রত্যাহার করা উচিত।'


গাদকারির এই চিঠিতে সরকারের অন্দর তো ব঩টেই, বিজেপির অন্দরেও তোলপাড় শুরু হয়েছে। গাদকারি এবং নির্মলা, দু'জনই সরকারের সিনিয়র মন্ত্রী। প্রতি সপ্তাহে তাঁদের মধ্যে দেখা হয় কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে। গাদকারি বৈঠকের মধ্যে, বা আলাদাভাবেও অর্থমন্ত্রীকে এই সমস্যার কথা জানাতে পারতেন। কিন্তু তিনি সেটা করেননি। চিঠিতে সরাসরি আম জনতাকে ট্যাক্স-সন্ত্রাস থেকে রেহাই দেওয়ার আর্জি জানিয়েছেন। এবং সবচেয়ে বড় কথা, সেই চিঠি ফাঁসও হয়ে গিয়েছে মিডিয়ায়। একে কিন্তু কেউই স্বাভাবিক প্রবণতা বলে মনে করছে না। বরং মনে করা হচ্ছে, এই সবই সরকারের অন্দরে নরেন্দ্র মোদির অথরিটি খর্বের পূর্বাভাস। সরকারের কোনও মন্ত্রী আর এক মন্ত্রীকে চিঠি লিখে আম জনতার জন্য সুবিচার চাইছেন, তিন মাস আগেও এ কল্পনা করা যেত না। কারণ, তেমন কিছু হলে সেই মন্ত্রীর ডানা ছাঁটতে সময় লাগত না মোদির। এবার তা হচ্ছে না। রাজনাথ সিং এবং নীতিন গাদকারির ছায়া সরকারের অন্দরে ক্রমেই দীর্ঘ হচ্ছে। মনে করা হচ্ছে, এর নেপথ্যে রয়েছে সঙ্ঘ। নীতিন গাদকারির সঙ্গে দেখা করেছে নাগপুরের বিমা কর্মী সংগঠন।


নাগপুরেই আরএসএসের সদর দপ্তর। সুতরাং, তারা যে সঙ্ঘের কাছেও আর্জি জানিয়েছে, তা নিয়ে সংশয় নেই। অর্থাৎ আর আড়াল আবডাল নয়, সঙ্ঘেরই অঙ্গুলিহেলনে গাদকারি সরাসরি অর্থমন্ত্রীকে চিঠি লিখে বিমার উপর জিএসটি প্রত্যাহারের দাবি তুলেছেন। একই সঙ্গে মানুষের আরও একঝাঁক দাবি নিয়ে অর্থমন্ত্রীকে ভাবনাচিন্তা করতে বলেছেন তিনি। তার অন্যতম হল, চিকিৎসা বিমার প্রিমিয়ামের উপর করছাড়ের ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনা। 


গাদকারি-সঙ্ঘ ফর্মুলা কার্যত প্রতিষ্ঠিত হলে স্বাভাবিকভাবেই অর্থমন্ত্রীর পক্ষে নীরব থাকা সম্ভব হবে না। আগামী দিনে জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠকে এ নিয়ে প্রস্তাব আনতেই হবে। সরাসরি সরকারি নীতি নির্ধারণে তথা সংশোধনে অমিত শাহ এবং নরেন্দ্র মোদি ছাড়া অন্য এক মন্ত্রীর হস্তক্ষেপ যুক্ত হচ্ছে। এটাই নতুন মোদির তৃতীয় টার্ম!

Card image cap

ফের বাজারে Jio ম্যাজিক! ২৮ দিনের জন্য সস্তার রিচার্জ প্ল্যান নিয়ে এল মুকেশ আম্বানি

ভারতের টেলিকম বাজারে রিলায়েন্স জিও  একচ্ছত্র আধিপত্য করছে। সর্বাধিক গ্রাহক নিয়ে এই মুহূর্তে জিও ভারতের সর্ববৃহৎ টেলিকম সংস্থা। গত বছর জিও মাত্র ৯৯৯ টাকায় বাজারে লঞ্চ করে JioBharat V2 ফোন। এই 4G ফিচার ফোনের জন্য জিও লঞ্চ করেছে সস্তার একাধিক রিচার্জ প্ল্যান ।


ফের সস্তার রিচার্জ নিয়ে হাজির Jio 


এই প্ল্যানে জিও  ভারত ফোন ব্যবহারকারীরা পেয়ে থাকেন 4G ডেটা, আনলিমিটেড কলস ও জিওর OTT প্ল্যাটফর্ম সাবস্ক্রিপশন। রিলায়েন্স জিও  ভারতের টেলিকম বাজারের মানচিত্র বদলে দিয়েছিল। একের পর এক সস্তার রিচার্জ প্ল্যান ব্যাপকভাবে টেলিকম গ্রাহকদের আকৃষ্ট করেছিল।


তারপর ধীরে ধীরে অন্যান্য টেলিকম অপারেটরের গ্রাহকরা নিজেদের নম্বর পোর্ট করিয়ে যুক্ত হন জিওর সাথে। তারপর গ্রাহক সংখ্যা বাড়তে থাকলে জিও বারবার বৃদ্ধি করেছে রিচার্জ প্যাকের দাম। এই অবস্থায় অনেক গ্রাহক যখন BSNL-এ নিজেদের নম্বর পোর্ট করার কথা ভাবছেন, তখন জিওর  এই সস্তার রিচার্জ প্ল্যান গেম চেঞ্জার হতে পারে।


আজ আমরা জিওর  একটি রিচার্জ প্ল্যান সম্পর্কে আলোচনা করব যেটিতে জিও গ্রাহকরা অত্যন্ত সস্তায় প্রায় ১ মাসের বৈধতা সহ পেয়ে যাবেন হাইস্পিড ইন্টারনেট। এই প্ল্যানের মূল্য ২৯৯ টাকা। এই রিচার্জ প্ল্যানের বৈধতা ২৮ দিন। এতে গ্রাহকরা পেয়ে যাবেন ৪২ জিবির ডেটা, আনলিমিটেড ফোন কলসের সুযোগ। গ্রাহকরা প্রতিদিন ১.৫ জিবি করে হাইস্পিড ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারবেন।


এছাড়াও থাকছে প্রতিদিন ১০০টি করে বিনামূল্যে এসএমএস পাঠানোর সুবিধা। পাশাপাশি এই প্যাকের সাথে থাকবে Jio TV, Jio Cinema এবং Jio Cloud অ্যাক্সেস করার মতো আকর্ষণীয় সুযোগ। ডেইলি কোটা শেষ হওয়ার পর ইন্টারনেট স্পিড নেমে আসবে 64kbps গতিতে। তবে এই প্যাকে Jio Cinema Premium সাবস্ক্রিপশন থাকবে না।

Card image cap

চিন-ভারত বিবাদে কেউ নাক গলাক, চায় না দিল্লি

গালওয়ান উপত্যকায় সংঘর্ষের পর থেকে ভারত-চিন সম্পর্কের বরফ এখনও গলেনি। বারবার লাদাখ ও অরুণাচল প্রদেশকে নিজেদের বলে দাবি করেছে বেজিং। যা নিয়ে বিরোধ বেড়েছে দিল্লির সঙ্গে। কিন্তু এই সীমান্ত সংঘাত একান্তই দুদেশের বিষয়। এই সমস্যা সমাধানে তৃতীয়পক্ষের হস্তক্ষেপ বা মতামতের প্রয়োজন নেই ভারতের। জাপানে কোয়াড গোষ্ঠীর এক বৈঠক থেকে স্পষ্ট করে দিয়েছেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর।

ভারত, অস্ট্রেলিয়া, জাপান ও আমেরিকা মিলে তৈরি হয়েছে ‘কোয়াড্রিল্যাটারাল সিকিউরিটি ডায়ালগ’বা কোয়াড গোষ্ঠী। সোমবার থেকে জাপানের টোকিওতে শুরু হয়েছে কোয়াড দেশগুলোর বিদেশমন্ত্রীদের বৈঠক। এই সম্মেলনে যোগ দিয়েছেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর, আমেরিকার বিদেশ সচিব অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। রয়েছেন জাপান ও অস্ট্রেলিয়ার বিদেশমন্ত্রী ইয়োকো কামিকাওয়া ও পেনি ওং। সোমবার এই সম্মেলনের ফাঁকেই সাংবাদিকদের মুখমুখী হন জয়শংকর। সেখানেই তাঁকে প্রশ্ন করা হয় ভারত ও চিনের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নিয়ে। উত্তরে জয়শংকর বলেন, "চিনের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক ভালো নয়। এখন ভালো যাচ্ছে নাও।"
ভারতের সঙ্গে চিনের সীমান্ত সংঘাত নিয়ে একাধিকবার মুখ খুলেছে আমেরিকা। মতামত দিয়েছে রাশিয়া-সহ একাধিক দেশ। কিন্তু যেকোনও সমস্যার সমাধান পারস্পরিক আলোচনা ও কূটনৈতিক বৈঠকের মাধ্যমেই করাতে বিশ্বাসী দিল্লি। ভারত যথেষ্ট শক্তিশালী সমস্ত ইস্যু ও চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করার জন্য। এদিন সেকথা মনে দিয়েই জয়শংকর বলেন, "ভারত ও চিনের মধ্যে কোনও ইস্যু বা সমস্যা যাই থাকুক না কেন, আমার মনে হয় সেটা নিয়ে দুটো দেশেরই কথা বলা উচিত। যৌথভাবে তার সমাধানের পথ খুঁজে বের করা হবে আমাদের।" এই বিষয়ে কোনও তৃতীয়পক্ষের না গলানো যে ভারতের একদমই পছন্দ নয় তা পরিষ্কার করে দিয়ে বিদেশমন্ত্রী বলেন, "এই সমস্যা সমাধানের জন্য আমরা অন্য কারও দিকে তাকাচ্ছি না। বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলো এই বিষয়ে আগ্রহী কারণ আমরা দুটি বড় দেশ। আমাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক অবস্থা আন্তর্জাতিক নানা ক্ষেত্রে প্রভাব ফেলে। কিন্তু আমাদের কারও মতামতের প্রয়োজন নেই।"
বলে রাখা ভালো, ২০২০ সালের ১৫ জুন গালওয়ান উপত্যকায় মুখোমুখি হয় ভারত ও চিনের ফৌজ। রক্তক্ষয়ী সেই সংঘর্ষে ২০ জন ভারতীয় জওয়ান শহিদ হন। ১৯৭৫ সালে পর সেবারই প্রথম প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় প্রাণহানির ঘটনা ঘটে। কার্যত যুদ্ধের পরিস্থিতি তৈরি হয়। অবশেষে পরিস্থিতি শান্ত করতে কয়েক দফা আলোচনায় বসে দুই দেশের সেনাবাহিনী। তাতে আঁচ কিছুটা কমলেও উত্তেজনা কমেনি।

Card image cap

সন্ত্রাস রুখতে বড়সড় পরিকল্পনা কেন্দ্রের

উপত্যকায় দফায় দফায় জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘুম ছুটিয়েছে সেনার। পাল্লা দিয়ে বেড়েছে অনুপ্রবেশের চেষ্টা। কাশ্মীর ছাড়িয়ে জঙ্গিরা মূলত টার্গেট করছে জম্মুকে। এহেন অবস্থায় এবার ভূস্বর্গকে সন্ত্রাসমুক্ত করতে বড়সড় পদক্ষেপ নিচ্ছে প্রশাসন। গোটা পরিস্থিতি সামাল দিতে জম্মু ও কাশ্মীরের ডিজিপি আরআর সওয়াইন জানালেন, যে সব এলাকা দিয়ে অনুপ্রবেশ ঘটেছে তা ইতিমধ্যেই চিহ্নিত হয়েছে। অনুপ্রবেশ আটকাতে পাক-জম্মু সীমান্তের প্রতিটি ইঞ্চি সিল করা হবে।

সংবাদ মাধ্যম টাইমস অফ ইন্ডিয়াকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ডিজিপি বলেন, জঙ্গিদের বিরুদ্ধে লড়তে এবার 'ভিলেজ ডিফেন্স গ্রুপ'কে আরও শক্তিশালী করা হচ্ছে। আগের তুলনায় আরও অত্যাধুনিক অস্ত্র দেওয়া হচ্ছে তাঁদের। সেনা, পুলিশ ও সেন্ট্রাল ফোর্সের আওতায় প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। যাতে জঙ্গিরা গ্রামে ঢুকলে সঙ্গে সঙ্গে তাদের প্রতিহত করা যায়। পুলিশ কর্তা বলেন, মাত্র ৪-৫ জন জঙ্গি একটা গোটা এলাকাকে প্রভাবিত করছে। যান চলাচলে সমস্যা তৈরি হচ্ছে। এর সুবিধা পাচ্ছে জঙ্গিরা। ভারতে ঢুকে উঁচু জায়গায় ঘাঁটি গেড়ে সেনার উপর হামলা চালাচ্ছে তারা। কাশ্মীরে সেভাবে সুবিধা করতে না পেরে এখন জম্মুকে টার্গেট করছে জঙ্গিরা।

পুলিশ কর্তার দাবি অনুযায়ী, বর্তমানে ৫০-৮০ জন জঙ্গি জম্মুর কাঠুয়া, রিয়াসি, ডোডা, উদমপুরের মত জায়গায় ঘাঁটি গেড়েছে। তবে এদের জন্য বিপদ অপেক্ষা করছে শীতে। শীতকালে পাহাড়ি স্থানীয় বসতি সরবে, ফলে জঙ্গিদের থাকা-খাওয়া নিয়ে সমস্যা হবে। জম্মুতে যেখানে বরফ নেই সেখানে সবুজ ঘেরা এলাকায় লুকিয়ে রয়েছে জঙ্গিরা। তবে ডিসেম্বরে ওই অঞ্চলে কোনও জনবসতি থাকবে না। তখন জঙ্গিদের কাছে তিনটি বিকল্প থাকবে পাকিস্তানে ফিরে যাওয়া, বরফের মধ্যে আশ্রয় নেওয়া, নয় মৃত্যু। নাহলে কাশ্মীরে ফিরতে হবে তাদের। যেখানে ঢুকতে গেলেই জঙ্গিদের নিরাপত্তা বাহিনীর মুখে পড়তে হবে। এদিকে অনুপ্রবেশের সম্ভাব্য এলাকাগুলিতে আরও বেশি করে নিরাপত্তাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের যঙ্গে যোগাযোগ আরও বাড়িয়ে অনুপ্রবেশ সংক্রান্ত খবরাখবর যাতে জোগাড় করা যায় সে চেষ্টাও চলছে।এদিকে সন্ত্রাস মোকাবিলায় উপত্যকায় কোমর বেঁধে মাঠে নেমে পড়েছে সেনা। ২০০০ বাড়তি সেনা মোতায়েন করা হয়েছে জম্মু ও কাশ্মীরে। ১২ বছর পর জম্মুর পাহাড়ের চূড়ায় মোতায়েন রয়েছে সেনা। উদ্দেশ্য, গুলির যুদ্ধ শুরু হলে জঙ্গিদের পাহাড়ের উপর পর্যন্ত নিয়ে আসা। পাশাপাশি লুকিয়ে থাকা জঙ্গিদের খোঁজে জায়গায় জায়গায় শুরু হয়েছে চিরুনি তল্লাশি।


Card image cap

 ৩ পড়ুয়ার মৃত্যুর পরে দিল্লিতে সিল ১৩টি কোচিং সেন্টার

কোচিং সেন্টারের দুর্ঘটনায় তিন পড়ুয়ার মৃত্যুর খবরে তোলপাড় গোটা দেশ। তার পরেই দিল্লিজুড়ে বন্ধ করে দেওয়া হল ১৩টি বেআইনি কোচিং সেন্টার। দিল্লি মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের তরফে জানানো হয়েছে, ওল্ড রাজিন্দর নগরের ওই ১৩টি বেআইনি কোচিং সেন্টার নিয়মবিরুদ্ধভাবে চালানো হচ্ছিল। রবিবার রাতেই সেই কোচিং সেন্টারগুলোর দরজা সিল করে দেওয়া হয়েছে।পশ্চিম দিল্লির রাজেন্দ্র নগরে ‘রাও’স আইএএস স্টাডি সার্কল কোচিং সেন্টার’। সেখানে বহু পড়ুয়া প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার প্রস্তুতি নেন। বেসমেন্টে রয়েছে কোচিং সেন্টারের লাইব্রেরি। সেখানেই পড়াশোনা করছিলেন কয়েকজন। দমকল সূত্রে জানানো হয়েছে, আচমকাই বেসমেন্টে জল ঢুকতে শুরু করলে জলমগ্ন হয়ে পড়েন পড়ুয়ারা। কয়েকজনকে উদ্ধার করা গেলেও শেষপর্যন্ত জলে ডুবে মারা যান তিন পড়ুয়া।এই ঘটনার খবর প্রকাশ্যে আসতেই রবিবার গ্রেপ্তার করা হয়েছে কোচিং সেন্টারের মালিক ও কোঅর্ডিনেটরকে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। মেধাবী পড়ুয়াদের এমন মর্মান্তিক পরিণতির জন্য গোটা সিস্টেমকেই দায়ী করেছেন রাহুল গান্ধী। লোকসভার বিরোধী দলনেতার কথায়, "পরিকাঠামোর এমন ধস আসলে সিস্টেমের যৌথ ব্যর্থতা। নিরাপদ ও সুখকর জীবন প্রতিটি নাগরিকের অধিকার এবং সরকারের দায়িত্ব।”

তার পরেই বেআইনি কোচিং সেন্টারগুলোর বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিতে নড়েচড়ে বসেছে দিল্লির প্রশাসন। শহরের মেয়র শৈলি ওবেরয় বলেন, "আমরা খবর পেয়েছি যে নিয়মবিরুদ্ধভাবে বেসমেন্টে ওই কোচিং সেন্টারগুলো পরিচালনা করা হত। তবে এখন সেগুলো সিল করে দেওয়া হয়েছে। কোচিং সেন্টারগুলোকে আলাদা করে নোটিসও পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।" বন্ধ হয়ে যাওয়া কোচিং সেন্টারগুলোর মধ্যে রয়েছে বেশ কয়েকটি নামী সংস্থা। তাদের বিরুদ্ধে মূলত অভিযোগ, বেসমেন্টে কেবল গাড়ি পার্ক করার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তার বদলে লাইব্রেরি থেকে শুরু করে ক্লাসরুম, সমস্তই তৈরি করা হয়েছিল বেসমেন্টে।

Card image cap

১ অগাস্ট থেকে বদলে যাবে এই ৫টি নিয়ম, গ্যাস সিলিন্ডার থেকে বিদ্যুতের বিল,

 প্রতিমাসের ১ তারিখে সারা ভারতের নিয়ম কানুনে কিছু পরিবর্তন করা হয়। এখানে আমরা আপনাকে সেই পরিবর্তনগুলি সম্পর্কে বলছি যা ১ আগস্ট, ২০২৪ থেকে কার্যকর হতে চলেছে। এই পরিবর্তনগুলি আপনার পকেটে প্রভাব ফেলবে। ১ আগস্ট এলপিজি গ্যাস সিলিন্ডারের দামে পরিবর্তন আসবে। HDFC ক্রেডিট কার্ড চার্জেও পরিবর্তন হতে চলেছে।


১ আগস্ট থেকে কী কী পরিবর্তন ঘটবে তা এখানে জেনে নিন।


প্রতি মাসের প্রথম তারিখে গ্যাস সিলিন্ডারের দাম নির্ধারণ করা হয়। বাণিজ্যিক ও গার্হস্থ্য গ্যাস সিলিন্ডারের দাম ১ আগস্ট নির্ধারণ করা হয়। গত মাসে সরকার বাণিজ্যিক গ্যাস সিলিন্ডারের দাম পরিবর্তন করেছিল। এবারও সরকার গ্যাস সিলিন্ডারের দাম নির্ধারণ করবে বলে আশা করা হচ্ছে।


ভাড়া প্রদানের জন্য CRED, Cheq, MobiKwik, Freecharge এবং এই ধরনের অন্যান্য পরিষেবা ব্যবহারকারী গ্রাহকদের লেনদেনের পরিমাণের উপর ১ শতাংশ অতিরিক্ত চার্জ করা হবে, প্রতি লেনদেন ৩০০০-এ সীমিত থাকবে এবং প্রতি ১৫,০০০-এর কম জ্বালানি লেনদেনের জন্য কোনো অতিরিক্ত চার্জ লাগবে না। যাইহোক, ১৫,০০০-এর বেশি লেনদেনের জন্য সম্পূর্ণ পরিমাণের উপর ১ শতাংশ চার্জ করা হবে।


Google Maps ভারতে তার নিয়মগুলিতে গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন করেছে, যা ১ আগস্ট, ২০২৪ থেকে সারা দেশে প্রযোজ্য হবে। সংস্থাটি ভারতে তার পরিষেবাগুলির জন্য ৭০ শতাংশ পর্যন্ত চার্জ কমিয়েছে। এর সাহায্যে গুগল ম্যাপ এখন তার পরিষেবার জন্য ডলারের পরিবর্তে ভারতীয় রুপিতে টাকা নেবে। যাইহোক, এই পরিবর্তন সাধারণ ব্যবহারকারীদের প্রভাবিত করবে না কারণ তাদের জন্য কোন অতিরিক্ত চার্জ আরোপ করা হয়নি।


আগষ্ট মাস আসতে চলেছে। ২০২৪ সালে ব্যাঙ্কগুলি মোট ১৩ দিন বন্ধ থাকবে। এর মধ্যে সব রবিবার, দ্বিতীয় এবং চতুর্থ শনিবার অন্তর্ভুক্ত। সাপ্তাহিক ছুটির কারণে আগস্ট মাসে ছয় দিন ব্যাংক বন্ধ থাকবে। এছাড়া বিভিন্ন উৎসবের কারণে সাত দিনের ছুটি থাকবে। ১৫ আগস্ট স্বাধীনতা দিবস, ১৯ আগস্ট রাখিবন্ধন এবং ২৬ আগস্ট জন্মাষ্টমী উপলক্ষে ব্যাংকগুলি বন্ধ থাকবে।

Card image cap

ছয় রাজ্যে নতুন রাজ্যপাল নিয়োগ রাষ্ট্রপতি মুর্মুর

রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু  ছ’টি রাজ্যে নতুন রাজ্যপাল নিয়োগ করলেন। সেই সঙ্গেই তিনটি রাজ্যের ক্ষেত্রে রাজ্যপাল বদলও করেছেন তিনি। শনিবার রাতে রাষ্ট্রপতি ভবনের তরফে এই খবর জানানো হয়।

জানা গিয়েছে, সিকিমের নতুন রাজ্যপাল করা হয়েছে বর্ষীয়ান বিজেপি নেতা ওমপ্রকাশ মাথুরকে। অন্যদিকে এতদিন সিকিমের রাজ্যপাল থাকা লক্ষ্মণপ্রসাদ আচার্যকে এবার করা হল অসমের রাজ্যপাল। পাশাপাশি তিনিই সামলাবেন মণিপুরের রাজ্যপালের দায়িত্বও। প্রসঙ্গত, এবছরের ফেব্রুয়ারি থেকে মণিপুরের রাজ্যপাল ছিলেন অনুসুইয়া উইকে।
অন্যদিকে এতদিন অসমের রাজ্যপালের দায়িত্বে থাকা গুলাবচাঁদ কাটারিয়াকে এবার করা হল পাঞ্জাবের রাজ্যপাল। পাঞ্জাবের দায়িত্বে থাকা বনওয়ারিলাল পুরোহিত ইস্তফা দেওয়াতেই এই সিদ্ধান্ত। তবে গুলাবচাঁদ কেবল পাঞ্জাবের নয়, সামলাবেন কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল চণ্ডীগড়ের প্রশাসকের দায়িত্বও।
মহারাষ্ট্রের নতুন রাজ্যপাল করা হয়েছে সিপি রাধাকৃষ্ণাণকে। সেরাজ্যের দায়িত্ব থেকে সরানো হল রমেশ বৈসকে। রাধাকৃষ্ণ এতদিন তেলেঙ্গানার রাজ্যপালের অতিরিক্ত দায়িত্বও সামলাচ্ছিলেন। এবার তেলেঙ্গানার প্রশাসকের দায়িত্বে ত্রিপুরার প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী জিষ্ণুদেব বর্মা। পাশাপাশি ঝাড়খণ্ডের নতুন রাজ্যপাল হলেন সন্তোষকুমার গঙ্গওয়ার। এদিকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল পুদুচেরির লেফটেন্য়ান্ট গভর্নর হয়েছেন কে কৈলাসনাথ।
ছত্তিশগড়ের রাজ্যপাল হয়েছেন রেমন ডেকা। মেঘালয়ের প্রশাসকের দায়িত্বে কর্নাটকের প্রাক্তন সাংসদ সিএইচ বিজয়শংকর। রাজস্থানের রাজ্যপাল করা হয়েছে হরিভাউ কিষাণরাও বাগদেকে। তিনি মহারাষ্ট্রের বর্ষীয়ান বিজেপি নেতা। এতদিন মরুরাজ্যের রাজ্যপালের দায়িত্বে ছিলেন কালরাজ মিশ্র।

Card image cap

‘বিবাহিত হয়েও লিভ ইন সম্পর্ক বেআইনি’, মন্তব্য হাই কোর্টের

বিবাহিত হয়েও অন‌্য সঙ্গী বা সঙ্গিনীর সঙ্গে লিভ-ইন সম্পর্কে থাকা বেআইনি। এমন ঘটনায় পরিবারের মানহানি হয়। এমনই কারণ দেখিয়ে বিবাহিত অথচ লিভ-ইন করা যুগলকে পুলিশি রক্ষাকবচ দিতে অস্বীকার করল পাঞ্জাব ও হরিয়ানা হাই কোর্ট। চল্লিশোর্ধ্ব এক মহিলা (এক নম্বর মামলাকারী) ও তঁার লিভ-ইন সঙ্গী ৪৪ বছর বয়সি (দুনম্বর মামলাকারী) এক ব‌্যক্তি আইনি রক্ষাকবচ চেয়ে আদালতে আর্জি জানিয়েছিলেন। দাবি ছিল, তঁাদের পরিবারের সদস‌্যরা তঁাদের লিভ-ইন সম্পর্কে বাধা দিচ্ছেন। এমনকী হুমকি পর্যন্ত দিচ্ছেন। জানা গিয়েছে, সন্তানের মা ওই মহিলা বিবাহবিচ্ছিন্ন হলেও তঁার পুরুষসঙ্গীর স্ত্রী ও সন্তান আছে।


ওই ব‌্যক্তি ও মহিলার মধে‌্য প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হলে তঁারা নিজেদের পৈতৃক ভিটে ছেড়ে অন‌্যত্র লিভ-ইন সম্পর্কে থাকতে শুরু করেন। আবেদনকারীদের আর্জি খারিজ করে বিচারপতি সন্দীপ মুদগিল বলেন, “এক পবিত্র বন্ধনের আইনি পরিণতি হল বিবাহ। ঐতিহ‌্য ও সংস্কৃতিপূর্ণ আমাদের দেশে নৈতিকতাকে গুরুত্ব দেওয়া হয়। এখন আমরা অনেকেই পশ্চিমি সংস্কৃতিকে গ্রহণ করছি, যা ভারতীয় সংস্কৃতির থেকে অনেকটাই আলাদা। আজকাল আধুনিক জীবনে অভ‌্যস্ত অনেকেই লিভ-ইন রিলেশনশিপে বিশ্বাসী। তবে একজন বিবাহিত পুরুষ ও মহিলা বা একজন বিবাহিত মহিলা ও পুরুষ লিভ-ইন করলে তা ব‌্যভিচার হিসাবে গণ‌্য হবে। স্বামী বা স্ত্রী থাকার পরেও অন‌্য সঙ্গী বা সঙ্গিনীর সঙ্গে থাকা বেআইনি। ডিভি আইনে এমন সম্পর্কে থাকা ব‌্যক্তিদের কোনও আইনি রক্ষাকবচ দেওয়া হবে না।”পাঞ্জাব ও হরিয়ানা আদালতের বক্তব‌্য, বিবাহিত কোনও ব‌্যক্তি নিজের বাড়ি ছেড়ে অন‌‌্যত্র লিভ-ইন সম্পর্কে বসবাস করলে তঁাদের পরিবারের সুনাম নষ্ট হয়। সম্মানের সঙ্গে বাবা-মায়ের বঁাচার অধিকার আইনে তঁারা বাবা-মায়ের সম্মানহানি করতে পারেন না। এই ধরনের সম্পর্কের জন‌্য আইনি রক্ষাকবচ দেওয়ার অর্থ তঁাদের স্ত্রী ও সন্তান যঁারা লিভ-ইন সম্পর্কের বিরোধিতা করেছেন তঁাদের প্রতি অন‌্যায় করা।

Card image cap

ভারি বৃষ্টিতে জলমগ্ন কোচিং সেন্টারের বেসমেন্ট

দিল্লির কোচিং সেন্টারে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। বেসমেন্টের জলে ডুবে মৃত তিন। তিনজনই সেখানে সর্বভারতীয় সিভিল সার্ভিস পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। শনিবার সন্ধে সোয়া সাতটা থেকে শুরু হওয়া ভারি বৃষ্টিতে ওই কোচিং সেন্টারের বেসমেন্টে জল ঢুকতে শুরু করে। তাতেই বিপত্তি।

পশ্চিম দিল্লির রাজেন্দ্র নগরে ‘রাও’স আইএএস স্টাডি সার্কল কোচিং সেন্টার’। সেখানে বহু পড়ুয়া প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার প্রস্তুতি নেন। বেসমেন্টে রয়েছে কোচিং সেন্টারের লাইব্রেরি। সেখানেই পড়াশোনা করছিলেন কয়েকজন। দমকল সূত্রে খবর, সন্ধে সাতটা নাগাদ তাঁরা খবর পান, কোচিং সেন্টারের বেসমেন্টে জল ঢুকতে শুরু করেছে। সেখানে কয়েকজন পড়ুয়া আটকে পড়েছেন। তড়িঘড়ি শুরু হয় উদ্ধারকাজ। জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীও উদ্ধারকাজে হাত লাগায়। কিন্তু জলে আসবাবপত্র ভাসতে থাকায় সমস্যা আরও বাড়ে। দড়ি দিয়ে টেনে কিছু পড়ুয়াকে উদ্ধার করা হয়। কিন্তু এই তিনজনকে উদ্ধার করা যায়নি। প্রায় ৪ ঘণ্টা পর তাঁদের দেহ উদ্ধার হয়। 
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক চাপানউতোর তৈরি হয়েছে। দিল্লি সরকারকে দুষেছে বিজেপি নেতৃত্ব। দিল্লির বিজেপি প্রধান বীরেন্দ্র সচদেব ও নয়াদিল্লির সাংসদ বাঁশুরি স্বরাজের দাবি, দিল্লির আপ সরকারের চরম অবহেলার ফলেই এই ঘটনা। মন্ত্রী অতীশী ও স্থানীয় বিধায়ককে এর দায় নিতে হবে বলেও দাবি তাঁদের। দুর্ঘটনার খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে যান স্থানীয় আপ বিধায়ক। এ প্রসঙ্গে দিল্লির রাজস্ব ও জল বোর্ড মন্ত্রী অতীশী জানান, ম্যাজিস্ট্রের পর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে কোচিং সেন্টারের বেসমেন্টে কেন লাইব্রেরি তৈরি করা হয়েছিল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। পুলিশ ইতিমধ্যে মামলা দায়ের করেছে। কোচিং সেন্টারের বাইরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেছেন পড়ুয়ারা। 

Card image cap

সোনার দাম বাড়তে পারে ১৮,০০০ টাকা!

সম্প্রতি লোকসভায় বাজেট পেশ করা হয়েছে। আর সেই বাজেটেই উল্লেখ করা হয়েছে সোনার দাম কমছে। কিন্তু, সোনার দাম বৃদ্ধি পেতে পারে প্রায় ১৮ হাজার টাকা ? আর এবার এই নিয়েই ক্রেতাদের মনে উঠছে প্রশ্ন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভারতে ২৪-র লোকসভা নির্বাচনের পর এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নির্বাচনের আগে সোনার দাম কমে যাওয়া একটি ইতিবাচক দিক।


ফলে, সোনা কেনার সঠিক সময় এটি।


যদি দিল্লির দিকে লক্ষ্য করা যায়, তাহলে দেখা যাবে, ২৪ ক্যারট সোনার দাম ৯৯৯ ও ৯৯৫ বিশুদ্ধতার জন্য প্রতি ১০ গ্রামে ৬৮,১০০ এবং ৬৭,৮০০ টাকা। তবে, বাজেটের জেরে যেখানে বাজারে সোনার দাম কমেছে, সেখানে দাম বৃদ্ধির আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিশ্ব মার্কেটের এক বিশেষজ্ঞ। সর্বেন্দ্র শ্রীবাস্তব নামক ওই গবেষণকের বক্তব্য- " স্পট মার্কেটে, MCX হার সোনার আসল দাম নয়, কারণ এতে মুদ্রা বিনিময় হার এবং শুল্কও জড়িত। বর্তমানে, লন্ডন বুলিয়ন এক্সচেঞ্জে সোনার দাম, যেখান থেকে পুরোটা দাম নেয়, ৩ হাজার কিন্তু আমরা নিই ২৪০০-এর কাছাকাছি। সুতরাং, এই ৬০০ পয়েন্টের ব্যবধান পূরণ করতে সোনার দাম ১৮,০০০ টাকা বাড়ার সুযোগ রয়েছে। "


আর এই বিষয়ে ওয়াকিবহাল করতে ক্রেতাদের উদ্দেশে তিনি জানিয়েছেন, বর্তমান সময়ে সোনা জমিয়ে রাখা উচিত। বাজার মূল্য ৭২,০০০ টাকায় পৌঁছলে তবেই সোনা বিক্রি করার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।

Card image cap

জম্মু ও কাশ্মীরে ফের সেনা জঙ্গি সংঘর্ষ

জম্মু ও কাশ্মীরে ফের উত্তেজনা। কুপওয়ারায় শুরু হয়েছে সেনা জঙ্গি গুলির লড়াই। ইতিমধ্যেই জঙ্গিদের গুলিতে শহিদ হয়েছেন জখম এক জওয়ান। নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর মাচিল সেক্টরে সেনা জঙ্গি গুলির লড়াই শুরু হয়েছিল। মেজর পদাধিকারীর এক সেনা অফিসারের গুলি লাগে। জানা গিয়েছে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরে মারা যান।


এখনও চলছে গুলির লড়াই। সীমান্ত বরাবর প্রবল উত্তেজনা তৈরি হয়েছে কাশ্মীরে। আরও চার জওয়ান আহত হয়েছেন গুলির লড়াইয়ে। তাঁদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। জানা গিয়েছে শনিবার ভোটে সেনা ছাউনি লক্ষ্য কর গুলি চালায় জঙ্গিরা।

Card image cap

খেলনার মধ্যে ৩০ কোটির মাদক!

ভারতীয় বংশোদ্ভূত এক জার্মান নাগরিককে গ্রেপ্তার করা হল নয়াদিল্লির ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে। অভিযোগ, তাঁর কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে প্রায় ৬ কেজি কোকেন। জানা গিয়েছে, দুটি সফট টয়ের ভিতরে ২৭০টি ক্যাপসুলে রাখা ছিল ওই বহুমূল্য মাদক। যার দাম ৩০ কোটি টাকারও বেশি বলে অনুমান সিবিআইয়ের । জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে অভিযুক্তকে। এই চক্রের পিছনে কারা রয়েছে তা জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা।

জানা গিয়েছে, আগে থেকেই ইন্টারপোল সূত্রে খবর ছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার কাছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দোহা থেকে নয়াদিল্লিগামী বিমানটি বিমানবন্দরে পৌঁছতেই তল্লাশি শুরু করেন তদন্তকারীরা। সেই সময়ই অভিযুক্তের কাছ থেকে মাদক উদ্ধার করা হয় বলে দাবি। সঙ্গে আটক করা হয় তাঁকে। জানা যায়, তিনি ভারতীয় বংশোদ্ভূত জার্মান নাগরিক। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এর সঙ্গে কারা কারা জড়িত খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
এদিকে যে খেলনা দুটিতে মাদক পাচারের চেষ্টা হচ্ছিল, সেগুলোও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। সফট টয়দুটির ছবি ও ভিডিও যা তোলা হয়েছে সেগুলিও সুরক্ষিত অবস্থায় রাখা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা যাচ্ছে, ওই খেলনাদুটিও পরীক্ষা করা দেখা হবে, যদি অন্য কোনও সূত্র মেলে।

Card image cap

অবশেষে চাপে পড়ে চুপি চুপি ২০০ টাকা কমিয়ে দিল রিচার্জের দাম

বিগত কিছু সময়ে ধরেই সংবাদ শিরোনামে রয়েছে রিলায়েন্স কোম্পানি। রিচার্জ মূল্য বাড়ানো থেকে শুরু করে রিলায়েন্স কর্তার মুকেশ আম্বানির ছেলে অনন্ত-র বিয়ে… সবকিছুতেই লাইমলাইট কেড়ে নিয়েছে এই কোম্পানি। এবারও তার ব্যতিক্রম ঘটল না। কয়েকদিন আগেই রিলায়েন্স জিও-র তরফে রিচার্জ মূল্য বাড়িয়ে দেওয়ার কারণে মাথায় হাত পড়েছিল কোটি কোটি গ্রাহকের।


সিংহভাগ লোকজন জিও ছেড়ে বিএসএনএলে সুইচ করছিলেন। তবে ফের আচমকা বড় চমক দিল জিও। কোম্পানি বিরাট সস্তা করে দিল রিচার্জ মূল্য।


বড় চমক Jio-র


আপনিও কি Jio-র গ্রাহক? তাহলে আপনার জন্য রইল একদম সোনায় সোহাগা খবর। চুপিসারে ৯৯৯ টাকার প্রিপেইড প্ল্যান ফিরিয়ে এনেছে রিলায়েন্স জিও। গত ৩ জুলাই এই প্ল্যানের দাম বাড়িয়ে ১১৯৯ টাকা করা হয়েছিল। এখন নতুন প্ল্যানে অনেক সুবিধা পাওয়া যাচ্ছে। সবচেয়ে বড় পরিবর্তন এসেছে এর বৈধতা নিয়ে। আগে এর মেয়াদ ছিল ৮৪ দিন, এখন তা বাড়িয়ে ৯৮ দিন করা হয়েছে। অর্থাৎ এতে আপনি ১৪ দিন বেশি ভ্যালিডিটি পাবেন। তবে আগের চেয়ে একটু কম ডাটা পাবেন।


3GB- র বদলে মিলবে 2GB ডেটা


এখানে জানিয়ে রাখি, আগে প্রতিদিন 3GB ডেটা পাওয়া যেত, এখন তা কমে 2GB হয়ে গেছে। পুরো প্ল্যানে আপনি মোট ১৯২ জিবি ডেটা পাবেন, যা আগে ২৫২ জিবি ছিল। যদিও দৈনিক ডেটা হ্রাস পেয়েছে, তবুও আপনি 999 টাকার প্ল্যানে সীমাহীন 5G ডেটার সুবিধা পাবেন। আপনি যদি এমন কোনও অঞ্চলে থাকেন যেখানে জিওর সত্যিকারের 5G পরিষেবা রয়েছে এবং আপনার কাছে 5G ফোন রয়েছে তবে আপনি এই পরিকল্পনার সাথে আনলিমিটেড 5G ডেটা ব্যবহার করতে পারেন। হ্যাঁ একদম ঠিক শুনেছেন।


এই প্ল্যানের নাম দেওয়া হয়েছে 'Hero 5G' প্ল্যান। এই রিলায়েন্স জিও-র এই প্ল্যানে আগের মতোই প্রতিদিন ১০০টি এসএমএস এবং আনলিমিটেড কলের সুবিধা পাওয়া যাচ্ছে। অর্থাৎ আপনি যত খুশি কথা বলতে পারবেন এবং প্রতিদিন ১০০টি SMS পাঠাতে পারবেন। এক্ষেত্রে এয়ারটেলের ৯৭৯ টাকার প্ল্যানও জিওর থেকে পিছিয়ে নেই, এতে ব্যবহারকারীও একই সুবিধা পাবেন। এয়ারটেলের প্ল্যানে বিশেষ সুবিধা হল আপনি ৫৬ দিন বিনামূল্যে অ্যামাজন প্রাইম মেম্বারশিপ পাবেন। এছাড়া জিও ৩৯৯ টাকার প্লানটিও আবার ফিরিয়ে এনেছে। যার ফলেই মনে করা হচ্ছে চাপে পরেই পিছু পা হচ্ছে জিও।