CATEGORY country:

Card image cap

বাংলার সমস্ত অডিট রিপোর্ট হাতে এসেছে, মানল দিল্লি

অবশেষে বাংলার বকেয়া প্রাপ্তির রাস্তা প্রশস্ত হতে চলেছে। শনিবার দিল্লিতে জিএসটি পরিষদের বৈঠকে যোগ দিয়ে এমন ইতিবাচক কথাই শোনালেন রাজ্যের অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। কেন্দ্র-রাজ্য যৌথ প্রকল্প এবং জিএসটি ক্ষতিপূরণ সংক্রান্ত সমস্ত অডিট রিপোর্ট হাতে এসেছে দিল্লির। সেকথা মেনে নিয়েছে কেন্দ্র। সেইমতো সোমবার রাজ্যের হাতে সমস্ত সার্টিফিকেট তুলে দেওয়ার কথা জানানো হয়েছে। আর তাতেই বকেয়া প্রাপ্তির রাস্তা খুলছে বলে আশার আলো দেখছেন অর্থমন্ত্রী। বৈঠক থেকে বেরিয়ে একথা জানালেন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য।
মোদি ৩.০ সরকারের প্রথম সংসদ অধিবেশন শুরু হবে ২৪ জুন থেকে। এই অধিবেশনের শেষেই নতুন সরকারের বাজেট পেশের সম্ভাবনা। তার আগে শনিবার প্রস্তুতি বৈঠক হয়ে গেল দিল্লিতে। এছাড়া প্রতি ত্রৈমাসিকে জিএসটি পরিষদের নিয়মিত বৈঠকে যোগ দিতেই এদিন দিল্লি গিয়েছিলেন অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য । দুটি বৈঠকেই ছিলেন তিনি। সূত্রের খবর, প্রাক বাজেট বৈঠকে বাংলার বকেয়া নিয়ে রীতিমতো সুর চড়ান বাংলার অর্থমন্ত্রী। তাঁর সাফ বক্তব্য, শুধু অর্থ বরাদ্দ করলেই চলবে না। সেই অর্থ রাজ্যগুলির হাতে পৌঁছনো দরকার। বাংলার ক্ষেত্রে এই অর্থ দিতে উদাসীনতা রয়েছে কেন্দ্রের। তাই দীর্ঘদিন ধরেই বাংলা  নিজস্ব অর্থ প্রাপ্তিতে বঞ্চনার শিকার। তিনি আরও জানান, বৈঠকে কেন্দ্র মেনে নিয়েছে যে বাংলার সমস্ত অডিট রিপোর্ট হাতে এসেছে। এতদিন যা নিয়ে অভিযোগ ছিল কেন্দ্রের।
চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, ”জিএসটি বৈঠক আনুষ্ঠানিক ছিল। তেমন কিছু হয়নি। আমি বাংলার বকেয়া নিয়ে বক্তব্য পেশ করেছি। বলেছি যে শুধু বরাদ্দ করলে চলবে না, টাকা হাতে আসবে কবে? তা নিয়ে সদর্থক ভূমিকা কাম্য। তাতে কেন্দ্র মেনে নিয়েছে যে বাংলার সমস্ত অডিট রিপোর্ট   হাতে পেয়েছে। কিছু বাকি নেই। সেইমতো সোমবার আমাদের সমস্ত সার্টিফিকেট দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।” মনে করা হচ্ছে, অডিট রিপোর্ট এবং সার্টিফিকেটের ভিত্তিতে বকেয়া প্রাপ্তির রাস্তা আরও সহজ হল বলে মনে করা হচ্ছে। এমনিতে বাংলার বকেয়া প্রাপ্তি নিয়ে টানাপোড়েন চলছিলই। তৃতীয় মোদি সরকারের কাছে সেই বকেয়া মেটানোর আবেদন রেখেছে রাজ্য সরকার। শনিবারের বৈঠকে চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যর বক্তব্যের পর তা নিয়ে আশাবাদী রাজ্য।

Card image cap

বায়ু দুষণের কারণে মৃত্যু লক্ষ লক্ষ শিশুর- ২০২১ সালের রিপোর্ট চমকে দেওয়ার মত

বাতাসে ছড়িয়ে পড়েছে বিষ। তার থেকে রেহাই নেই ছোট্ট ছোট্ট একরত্তি শিশুর। প্রকাশ্যে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। ২০২১ সালে ১ লক্ষের বেশি পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুর মৃত্যু হয়েছে।


বাতাসে বিষ বাড়ছে। তারই বলি হচ্ছে দেশের ক্ষুদে নাগরিক বা ভবিষ্যৎ প্রজন্ম। ভয়ঙ্কর একটি রিপোর্ট প্রকাশ্যে এসেছে।


স্টেট অফ গ্লোবাল এয়ার ২০২৪ -এর রিপোর্ট সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, ভারতে বায়ু দুষণে দৈনিক ৪৬৪ জন শিশুর মৃত্যু হয়েছে।


মূলত ইউনিসেফের সহযোগিতায় আমেরিকার গবেষণা প্রতিষ্ঠান হেলথ এফেক্ট ইনস্টিটিউট এর রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে। রিপোর্টে বলা হয়েছে লক্ষ লক্ষ মানুষ বায়ুদূষণের কারণে তৈরি হওয়া দীর্ঘস্থায়ী রোগের সঙ্গে লড়াই করছে।


হেলথ এফেক্টস ইনস্টিটিউটের  প্রকাশিত রিপোর্ট থেকে জানা গিয়েছে বায়ু দূষণের কারণে বিশেষ করে পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুরা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে।


রিপোর্টে বলা হয়েছে, ২০২১ সালে পাঁচ বছরের কম বয়সী প্রায় পাঁচ লক্ষের বেশি শিশুর মৃত্যু হয়েছে।


প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পিএম ২.৫ নামক ক্ষুদ্র কণাই বিশ্বব্যাপী বায়ু দুষণের ভয়ঙ্কর কারণ। বিশ্বব্যাপী দুষণের কারণে ৯০ শতাংশেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয় এই ক্ষতিকারক কণার কারণেই।


পিএম ২,৫ কণা রক্তপ্রবাহে প্রবেশ করে সারা শরীর জুড়ে অঙ্গপ্রত্যঙ্গে প্রবাহিত হয়। এই কণাগুলি ফুসফুস, হৃদরোগ, স্ট্রোক, ডায়াবেটিস , ডিমেনশিয়ার কারণ হতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে বায়ু দুষণের কারণে গর্ভবতী মহিলারা অসুস্থ হয়ে পড়তে পারে। অনেক সময় গর্ভপাতও হতে পারে।


রিপোর্টে বলা হয়েছে, ২০২১ সালে ভরতে যখন লক্ষের বেশি শিশুর মৃত্যু হয়েছে সেখানে বিশ্ব শিশুমৃত্যের সংখ্যা ৭ লক্ষের বেশি।


২০২১ সালে গোটা বিশ্বে বায়ুদূষণের কারণে মৃত্য়ু হয়েছে ৮১ লাখ মানুষের। তালিকায় শীর্ষে রেছে চিন। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ভারত। ২০২১ সালে বায়ুদূষণ জনিত কারণে ভারতে পাঁচ বছরের কম বয়সী ১,৬৯,৪০০ শিশুর মৃত্যু হয়েছে। তালিকায় এর পরেই আছে নাইজেরিয়া এবং পাকিস্তানের নাম।


রিপোর্টে বলা হয়েছে, অপুষ্টির পরেই ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে রয়েছে বায়ু দুষণ। অপুষ্টির পরেই বিশ্বজুড়ে সবথেকে বেশি শিশুর মৃত্যু হয়েছে বায়ু দুষণের কারণে।

Card image cap

কেজরিওয়ালের মুক্তি রুখল দিল্লি হাইকোর্ট

অরবিন্দ কেজরিওয়ালের জামিন মামলায় নয়া মোড়। বৃহস্পতিবার রাতে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর জামিন মঞ্জুর করেছিল ট্রায়াল কোর্ট। সেই নির্দেশ মতো শুক্রবার বেলাতেই তিহাড় জেল থেকে মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল তাঁর। কিন্তু, দিল্লি হাইকোর্টের সিদ্ধান্তে এখনই মিলছে না মুক্তি। আচমকাই এই মামলায় জরুরি শুনানি ডাকা হয়েছে। বিষয়টি ঠিক কী?


অরবিন্দ কেজরিওয়ালের জামিন মঞ্জুরের রায়ের বিরোধিতা করে জরুরি শুনানির আবেদন জানিয়েছিল ইডি। সেই আবেদনে সাড়া দিল দিল্লি হাইকোর্ট। শুনানি না হওয়া পর্যন্ত ট্রায়াল কোর্টের রায় কার্যকর হবে না বলে জানিয়েছে দিল্লির শীর্ষ আদালত। ফলে আপাতত তিহাড় জেল থেকে মুক্তি হচ্ছে না দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর।


ট্রায়াল কোর্ট অরবিন্দ কেজরিওয়ালের জামিন মঞ্জুর করার পরই দিল্লি হাইকোর্টে এর বিরোধিতা করে আর্জি জানিয়েছিল ইডি। ট্রায়াল কোর্টের রায়ের পর শুক্রবার বেলাতেই তিহাড় জেল থেকে মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল কেজিরওয়ালের। তাঁর আইনজীবীর দাবি ছিল, ইডি-র কাছে দিল্লি আবগারি দুর্নীতি মামলায় কেজরিওয়ালের বিরুদ্ধে কোনও তথ্যপ্রমাণ নেই। এই মর্মেই তাঁর জামিন মঞ্জুর করেছিল ট্রায়াল কোর্ট। কিন্তু, সেই জামিনের নথিতে স্বাক্ষর করার জন্য ৪৮ ঘণ্টায় সময় চেয়েছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। তাদের দাবি ছিল, উচ্চ আদালতে না যাওয়া পর্যন্ত যেন এই রায় স্থগিত রাখা হয়। যদিও এই দাবি মানেনি ট্রায়াল কোর্ট। রাতেই জামিন দেওয়া হয় দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। এক লাখ টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে জামিন মঞ্জুর হয় তাঁর। যদিও রাত গড়িয়ে সকাল হতে না হতেই স্থগিত হয়ে গেল কেজরিওয়ালের জামিন।


রাতেই দিল্লি হাইকোর্টে বিচারপতি সুধীর তুমার জৈন এঊং রবিন্দর দুদেজার অবকাশকালীন বেঞ্চের শরণাপন্ন হয় ইডি। কেন্দ্রীয় সংস্থার আইনজীবীর দাবি ছিল, নিম্ন আদালতে যুক্তি পেশ করার জন্য যথেষ্ঠ সময় দেওয়া হয়নি। অ্যাডিশনাল সলিসিটর জেনারেল এসভি রাজু জানান, লিখিত জবাব দাখিলের জন্য সময় দেওয়া হয়নি ট্রায়াল কোর্টে। যা ন্যায্য নয়। আর্থিক তছরুপ আইনের ৪৫ নম্বর ধারা উদৃত করে তিনি বলেন, 'আমাদের মামলা খুবই পোক্ত।'


Card image cap

মেরে ফেলা হবে ১০ লক্ষ কাক! কেন নেওয়া হল এমন ভয়াবহ সিদ্ধান্ত

মেরে ফেলা হবে ১০ লক্ষ কাক! কেন নেওয়া হল এমন ভয়াবহ সিদ্ধান্ত, জানলে শিউরে উঠবেন



ভারতে কাকের অভাব নেই। একে ঝাড়ুদার পাখি বলা হলেও পরিবেশের উপর নাকি মারাত্মক প্রভাব ফেলে এই পাখি।



কেনিয়া নাকি কাকের তাণ্ডবে অতিষ্ঠ। তাই আগামী ৬ মাসে প্রায় ১২ লক্ষ কাককে হত্য করা হবে এই দেশে।


এমনই জানিয়েছে কেনিয়া সরকার।


কাকের অত্যাচারে কেনিয়ার উপকূলবর্তী এলাকায় দেখা যাচ্ছে না আর অন্যান্য পাখিদের।


 

ভীষণ ভাবে বাড়ছে বংশবিস্তার। যার জেরে ভয়ে আর কেনিয়াতে থাকতে পারছে না অন্যান্য পাখির দল।


অন্যান্য পাখির ডিমও খেয়ে নিচ্ছে কাক। তাই শেষমেশ এমন সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছে কেনিয়ার সরকার।


এ ছাড়াও মারাত্মক ভাবে পরিবেশ দূষণ ঘটাচ্ছে এই পাখি। তাই পর্যটন কেন্দ্রেও অত্যন্ত প্রভাব পড়েছে।


পর্যটকদের বিরক্ত করার কারণে হোটেল ব্যবসাতেও ক্ষতি হয়েছে।


 

তাই বিষ প্রয়োগ করে মেরে ফেলা হবে ১০ লক্ষ কাকেদের। তবে এই বিষে অন্য পাখিদের কোনও ক্ষতি হবে না।


 

ভারতেও কাকের অভাব নেই, তাই আগামী দিনে ভারতের একই হাল হবে কি না তা নিয়ে চিন্তিত পরিবেশবীদরা।

Card image cap

পদত্যাগ প্রধানমন্ত্রী, অর্থমন্ত্রী এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর!

তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ সাগরিকা ঘোষ বলেন, "আমরা এটাও বলতে চাই যে ১৩ মে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছিলেন শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করুন এবং ৪ জুন আপনারা লাভবান হবেন। ২৩ মে প্রধানমন্ত্রী মোদী শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করার কথা বলেছিলেন। আপনি কি প্রধানমন্ত্রী নাকি শেয়ার বাজারের উপদেষ্টা, আপনি কি স্টক ব্রোকার?


আমাদের ৫ জন সাংসদের প্রতিনিধি দল সেবির সঙ্গে দেখা করেছিল তবে আমরা এখনও পর্যন্ত সেবির কাছ থেকে কোনও লিখিত জবাব পাইনি। ইনসাইডার ট্রেডিংয়ের এই বিশাল কেলেঙ্কারির তদন্ত করা এবং ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের ক্ষতির জন্য কে দায়ী তা তদন্ত করার দায়িত্ব সেবির। এর জন্য কি প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বা অর্থমন্ত্রী দায়ী? যদি তদন্তে দেখা যায় যে এক্সিট পোলের তথ্য দিয়ে বড় বিনিয়োগকারীরা লাভবান হয়েছেন এবং ছোট বিনিয়োগকারীদের ৩০ লক্ষ কোটি টাকা ক্ষতি করেছেন, তাহলে প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং অর্থমন্ত্রীর পদত্যাগ করা উচিত।"


Card image cap

বাতিল ইউজিসি-নেট, তদন্ত করবে সিবিআই

নিট নিয়ে দেশজুড়ে তোলপাড়ের মাঝে বাতিল ইউজিসি-নেট।  অস্বচ্ছতার কারণ দেখিয়ে এই পরীক্ষা বাতিল করল কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রক। অনিয়ম সংক্রান্ত অভিযোগের তদন্তভার দেওয়া হয়েছে সিবিআইকে। আবার নতুন করে ইউজিসি-নেট পরীক্ষা নেওয়া হবে। তবে চূড়ান্ত দিনক্ষণ এখনও জানানো হয়নি।  
গত মঙ্গলবার ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সি ইউজিসি-নেট পরীক্ষা নেয়। প্রায় ৯ লক্ষের উপর পরীক্ষার্থী তাতে অংশ নেয়। মাত্র একদিন পরই বুধবার কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রকের তরফে একটি বিবৃতি জারি করে পরীক্ষা বাতিলের সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়। ওই বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের ন্যাশনাল সাইবার ক্রাইম থ্রেট অ্যানালিসিস ইউনিটের তরফে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের কাছে গরমিলের অভিযোগ এসেছে। আর ওই অভিযোগের ভিত্তিতে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, পরীক্ষায় বেনিয়ম হয়েছে। সে কারণেই পরীক্ষা বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ইউজিসি-নেট সংক্রান্ত গরমিলের অভিযোগের তদন্ত করবে সিবিআই। নতুন করে ইউজিসি-নেট পরীক্ষা নেওয়া হবে। তবে কবে আবার পরীক্ষা নেওয়া হবে, সে বিষয়ে এখনও কিছু জানানো হয়নি। পরবর্তীকালে দিনক্ষণ জানানো হবে।
উল্লেখ্য, NEET পরীক্ষা নিয়ে গোটা দেশজুড়ে চলছে জোর বিতর্ক। পরীক্ষায় প্রথম স্থান অধিকার করেছেন ৬৭ জন। তাদের মধ্যেও নাকি গ্রেস মার্কস পেয়েছিলেন অন্তত ৬ জন। সেই গ্রেস মার্কস বাতিল হলে ৬০-৭০ পয়েন্ট কম পাবেন পরীক্ষার্থীরা। ১,৫৬৩ জন পরীক্ষার্থী ‘ভুল’ প্রশ্নের জন্য গ্রেস মার্কস পেয়েছিলেন। তাঁদের সেই বাড়তি গ্রেস মার্কস বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। নিট পরীক্ষায় ব্যাপক অসঙ্গতির অভিযোগ তুলে পরীক্ষা বাতিল ও কাউন্সেলিং বন্ধের আর্জি জানিয়ে দায়ের হয় একাধিক মামলাও। সেই মামলায় ইতিমধ্যে প্রশ্নের মুখে পড়েছে ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সি।

Card image cap

প্রাক্তন প্রেমিকের হাতে নৃশংস খুন তরুণীর

প্রকাশ্যে দিবালোকে প্রাক্তন প্রেমিকের হাতে খুন হলেন তরুণী। মঙ্গলবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে মুম্বইয়ের ভাসাই এলাকায়। দু বছরের প্রেম ভেঙে যাওয়ার ক্ষোভ থেকেই যুবক এমন কাণ্ড ঘটিয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। ব্যস্ত রাস্তার ধারে প্রাক্তন প্রেমিকাকে লোহার দণ্ড দিয়ে পিটিয়ে নৃশংস খুনের দৃশ্য উঠে এসেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।


ভাইরাল ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে, রক্তাক্ত অবস্থায় রাস্তায় লুটিয়ে পড়ে রয়েছেন তরুণী। হাতে লোহার দণ্ডটি নিয়ে পাশে বসে যুবক বলে চলেছে, 'কেন করলে, কেন করলে'। ভিড় জমিয়ে দর্শকের মত দাঁড়িয়ে গোটা ঘটনা প্রত্যক্ষ করছেন পথ চলতিরা।

Card image cap

কাশ্মীরে রাতভর অভিযানে খতম এক জঙ্গি

উপত্যকায় জঙ্গিদের বাড়বাড়ন্ত ঘুম ছুটিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের। এই পরিস্থিতিতে ভূস্বর্গে সন্ত্রাস বিরোধী অভিযানে বড় সাফল্য পেল নিরাপত্তাবাহিনী। জঙ্গিদের সঙ্গে নিরাপত্তাবাহিনীর গুলিতে লড়াইয়ে খতম হল এক জঙ্গি। রবিবার রাতে এই অভিযান চলে উত্তর কাশ্মীরের বান্দিপোরা জেলার অরগাম এলাকায়। গুলির লড়াইয়ে এক জঙ্গির মৃত্যু হলেও আরও এক জঙ্গি ওই এলাকায় লুকিয়ে রয়েছে বলে খবর। তার খোঁজে চলছে তল্লাশি।
পুলিশ সূত্রে খবর, রবিবার পুলিশের কাছে গোপন সূত্রে খবর আসে বান্দিপোরা জেলার অরগাম এলাকায় একাধিক জঙ্গি লুকিয়ে রয়েছে। গোপন খবরের ভিত্তিতে রাতেই আটঘাট বেঁধে তল্লাশি অভিযানে নামে ১৩ রাষ্ট্রীয় রাইফেলস ও বান্দিপোরা পুলিশ বাহিনী। গোটা গ্রাম ঘিরে ফেলে শুরু হয় চিরুনি তল্লাশি। তল্লাশি অভিযান চলাকালীন পিছু হঠবার জায়গা না পেয়ে নিরাপত্তাবাহিনীকে লক্ষ্য করে গুলি চালাতে শুরু করে এক জঙ্গি। পালটা জবাব দেয় সেনাও। দীর্ঘক্ষণ দুপক্ষের মধ্যে গুলির লড়াই চলার পর বাহিনীর গুলিতে মৃত্যু হয় ওই জঙ্গির। আরও এক জঙ্গি ওই গ্রামে লুকিয়ে রয়েছে বলে খবর। তার খোঁজেও চলছে তল্লাশি অভিযান।
গত কয়েকদিনে একাধিক সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের ঘটনায় যথেষ্ট চিন্তায় ভারত সরকার। সম্প্রতি কাশ্মীরের রিয়াসিতে পুণ্যার্থীদের বাসে জঙ্গি হামলায় মৃত্যু হয় ১০ জনের। সেই ঘটনার পর পর আরও ২ জঙ্গি হামলা চলে জম্মু ও কাশ্মীরের কাঠুয়া, তার পর ডোডা জেলায়। পর পর হামলায় শহিদ হয়েছেন ১ জওয়ান। পাশাপাশি আহত হয়েছেন ৫ জওয়ান-সহ ৬ জন। নিরাপত্তাবাহিনীর পালটা গুলিতে খতম হয়েছে এক জঙ্গিও।
গোটা পরিস্থিতি সামাল দিতে রবিবার দিল্লিতে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করেন অমিত শাহ। যেখানে উপস্থিত ছিলেন জম্মু ও কাশ্মীরের লেফটেন্যান্ট গভর্নর মনোজ সিনহা, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল, সেনা প্রধান-সহ নিরাপত্তা বিভাগের শীর্ষ আধিকারিকরা। আসন্ন অমরনাথ যাত্রাকে মাথায় রেখে সেই বৈঠক থেকে কাশ্মীরের জন্য ‘জিরো টেরর প্ল্যান’ তৈরি করতে নির্দেশ দিয়েছেন শাহ।

Card image cap

অরুণাচল প্রদেশ ও সিকিমে গেরুয়া শিবিরের জয়জয়কার!

এক্সপ্রেস কলকাতা ডেস্ক: লোকসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশের আগেই উত্তর-পূর্বের দুই রাজ্যে গেরুয়া ঝড়। লোকসভা নির্বাচনের সঙ্গে এই দুটি রাজ্যে বিধানসভা ভোট হয়। রবিবার হয় তার গণনা। অরুণাচলে ৪৬টি আসন পেয়েছে বিজেপি। সিকিমেও ৩৩ টির মধ্যে ৩১ টি আসনে এগিয়ে বিজেপি শিবিরের জোট।

অরুণাচলে মোট ৬০টি আসনে ভোট হয়েছিল। তার মধ্যে ৪৬ টিতেই এগিয়ে ক্ষমতাসীন বিজেপি। এ ছাড়া এনপিপি পেয়েছে ৫টি, কংগ্রেস ১টি এবং অন্যরা পেয়েছে ৮টি আসন। অন্যদিকে, সিকিমের ৩২ টি বিধানসভা আসনের মধ্যে, ক্ষমতাসীন সিকিম ক্রান্তিকারি মোর্চা (এসকেএম) ৩১টি আসন জিতেছে, আর একটি আসন এসডিএফ-এর খাতায় গেছে।
রবিবার ভোটগণনার প্রবণতা বলছে, মুখ্যমন্ত্রী পেমা খান্ডুর নেতৃত্বে আবার অরুণাচল প্রদেশে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে চলেছে গেরুয়া শিবির। অন্য দিকে, পশ্চিমবঙ্গের পড়শি রাজ্য সিকিমে ক্ষমতা দখলের লড়াইয়ে অনেক এগিয়ে মুখ্যমন্ত্রী প্রেম সিংহ তামাং ওরফে পিএস গোলের দল এসকেএম।

Card image cap

‘বাবা নারী নিগ্রহকারী, ছেলে খুনি! এই না হলে ‘মোদির পরিবার’! BJP প্রার্থী ব্রিজভূষণের ছেলের বিরুদ্ধে কটাক্ষ তৃণমূলের

এক্সপ্রেস কলকাতা ডেস্ক: ফের বিতর্কে বিজেপি সাংসদ ব্রিজভূষণ সরণ সিং। এবার তাঁর ছেলে কর্ণভূষণের বিরুদ্ধে মারাত্মক অভিযোগ। জানা গেছে, বিজেপি সাংসদ ব্রিজভূষণ সিংহের ছেলের কনভয়ের গাড়ি চাপা দিল তিন জনকে, যার মধ্যে এক কিশোর এবং এক তরুণের মৃত্যু হয়েছে। গাড়ির ধাক্কায় আহত হয়েছেন এক মহিলাও। উত্তর প্রদেশের গোন্দায় বৈকুণ্ঠ ডিগ্রি কলেজের কাছে কর্নেলগঞ্জ-হুজুরপুর এলাকায় পথ দুর্ঘটনাটি ঘটে।

এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই সরব হয়েছে বিরোধীরা। ঘটনাকে ঘিরে সোশ্যাল মিডিয়ায় তৃণমূলের কটাক্ষ, ‘বাবা নারী নিগ্রহকারী, ছেলে খুনি! এই না হলে ‘মোদির পরিবার’! উত্তরপ্রদেশের গোন্ডায় ব্রিজভূষণ শরণ সিংহের পুত্র তথা বিজেপি প্রার্থী কর্ণভূষণ সিংহের কনভয়ের ধাক্কায় মৃত্যু হল দুই শিশুর। আহত হলেন আরও একজন। নেতা সেজে বসে থাকা এই জনবিরোধীদের অবিলম্বে গণতান্ত্রিক পথে সমূলে উৎখাত করুন। নাহলে সমূহ বিপদ’!
উল্লেখ্য, হুজুরপুরের দিকে এগোচ্ছিল কর্ণভূষণের কনভয়। গোন্দার বৈকুণ্ঠ ডিগ্রি কলেজের সামনে তাঁর কনভয়ের একটি গাড়ি এসে ধাক্কা মারে একটি বাইকে। দুই আরোহীই ছিটকে পড়েন রাস্তায়। দুর্ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় দুইজনের। গাড়ির ধাক্কায় আহত হন আরও কয়েকজন পথচারী। যে ফরচুনার গাড়িটি ধাক্কা মেরেছে, সেই গাড়িটিও ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গাড়িটির সামনের অংশ দুমড়ে-মুচড়ে গিয়েছে।
ঘটনাকে ঘিরে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। এলাকা জুড়ে বিক্ষোভ দেখান সাধারণ মানুষ। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়। তবে কনভয়ে কর্ণভূষণ ছিলেন কি না, তা তদন্ত সাপেক্ষ। ইতিমধ্যেই ফরচুনার গাড়ির চালককে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। তবে পুলিশের প্রাথমিক রিপোর্টে বিজেপি প্রার্থীর নাম উল্লেখ নেই বলেই জানা গিয়েছে।
প্রসঙ্গত, মহিলা কুস্তিগীরদের যৌন নিগ্রহের অভিযোগে এবার ব্রিজভূষণকে টিকিট দেয়নি বিজেপি। তবে উত্তরপ্রদেশের কৈসরগঞ্জ লোকসভা আসনে তাঁর ছেলে কর্ণভূষণকে প্রার্থী করা হয়। ব্রিজভূষণের আরেক ছেলে, প্রতীক ভূষণ গোন্দা সদর আসনের বিজেপি বিধায়ক।

Card image cap

বাংলাদেশের সাংসদ ‘খুন’-এ চাঞ্চল্যকর তথ্য, পাঁচ কোটি টাকা সুপারি দিয়ে আনা হয় কিলার!

এক্সপ্রেস কলকাতা ডেস্ক: বাংলাদেশের সাংসদ ‘খুন’-এ প্রকাশ্যে চাঞ্চল্যকর তথ্য। তদন্তকারীদের সন্দেহ, আওয়ামী লিগের সাংসদ আনোয়ারুল আজিম-এর খুনের পর তাঁর দেহ টুকরো টুকরো করে কেটে ফেলার জন্য তাকে আনা হয়েছিল নিউ টাউনের ফ্ল্যাটে। সিআইডি সূত্রে খবর, জাহির হাওলাদার নামক এক কসাইকে মুম্বাই থেকে আনা হয়েছিল এই কাজের জন্য। সাংসদ খুনে শাহিন আড়াই কোটি টাকা অগ্রীম দিয়েছিল বলে জানতে পেরেছে তদন্তকারীরা। সিআইডি-র হাতে ধৃত জিহাদ মুম্বাই থেকে আসার পর চিনার পার্ক এলাকায় বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকছিল। শাহীন সেই ব্যবস্থা করে দিয়েছিল।

নিউটাউনের ফ্ল‌্যাটে বাংলাদেশি সুপারি কিলারদের হাতে খুন হয়েছেন আনোয়ারুল আজিম আনোয়ার। খুনের নেপথ্যে মূল চক্রী হিসাবে অভিযোগের তির আজিমের বন্ধু তথা বাংলাদেশের ব‌্যবসায়ী আখতারুজ্জামান শাহিনের দিকে। সে টোপ হিসাবে ব‌্যবহার করে নিজেরই সুন্দরী বান্ধবী শিলাস্তি রহমানকে। বন্ধু সেজে সুপারি কিলাররাই আজিমকে নিউ টাউনের ফ্ল‌্যাটে নিয়ে আসে। বাংলাদেশ পুলিশের কাছ থেকে সিআইডির গোয়েন্দারা জেনেছেন, গত ১৩ মে বিকেল চারটে নাগাদ শ্বাসরোধ করে খুন করা হয় সাংসদ আজিমকে। এর পর শাহিনের নির্দেশেই তাঁর দেহ টুকরো টুকরো করে কেটে ফ্রিজে রেখে দেওয়া হয়।
বৃহস্পতিবার সিআইডি জিহাদ হাওলাদার (২৪) নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে। সিআইডি সূত্রে খবর, জিহাদ একজন কসাই। খুনের পর জিহাদই সাংসদের দেহ টুকরো টুকরো করেছিল। এই কাজের জন্য মুম্বই থেকে তাকে আনা হয়। শুধু তাই নয়, প্রমাণ লোপাটের জন্য শরীর থেকে তুলে ফেলা হয়েছিল চামড়াও। হাড় আলাদা করে টুকরো টুকরো করে ফেলা হয় দেহ। আখতারুজ্জামান দু’মাস আগেই জিহাদকে কলকাতায় নিয়ে এসেছিল। সিআইডি সূত্রে খবর, জিহাদ জেরায় স্বীকার করেছে সে ও আরও চারজন বাংলাদেশি নাগরিক মিলে সাংসদকে নিউ টাউনের ফ্ল্যাটে খুন করে।

Card image cap

চতুর্থ দফায় বাংলা সহ দেশের মোট ৯৬টি আসনে ভোট! নজর থাকবে কাদের দিকে? জেনে নিন

এক্সপ্রেস কলকাতা ডেস্ক: সোমবার চতুর্থ দফায় পশ্চিমবঙ্গের আট আসন ছাড়াও দেশের ৮৮টি লোকসভা কেন্দ্রে ভোট হতে চলেছে। ভোট হবে দেশের ৯টি রাজ্য এবং একটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে। অন্ধ্রপ্রদেশ (২৫) এবং‌ তেলঙ্গানা (১৭)-র সব লোকসভা আসনেই ভোট হয়ে যাচ্ছে সোমবার। এ ছাড়াও উত্তরপ্রদেশের ১৩টি, মহারাষ্ট্রের ১১টি, মধ্যপ্রদেশের ৮টি, ওড়িশার ৪টি, বিহার এবং ঝাড়খণ্ডের ৫টি আসনে ভোটগ্রহণ হবে। কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল জম্মু ও কাশ্মীরের শ্রীনগর আসনেও একই দিনে ভোটগ্রহণ হবে।

সোমবার চতুর্থ দফার ভোটে একঝাঁক তারকা প্রার্থীর ভাগ্য নির্ধারণ করবেন ভোটারেরা। তারকা প্রার্থীদের মধ্যে নজর থাকবে অন্ধ্রপ্রদেশের কাডাপা কেন্দ্রের কংগ্রেস প্রার্থী তথা সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী জগন্মোহন রেড্ডির বোন ওয়াইএস শর্মিলা, ঝাড়খণ্ডের খুঁটি কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী তথা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অর্জুন মুন্ডা, উত্তরপ্রদেশের কনৌজ কেন্দ্রের এসপি প্রার্থী তথা দলের প্রধান অখিলেশ সিংহ যাদব, হায়দরাবাদের মিম প্রার্থী আসাদউদ্দিন ওয়েইসি, বিহারের বেগুসরাই কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী গিরিরাজ সিংহ-র উপরে।
অন্ধ্রের ১৭৫টি বিধানসভা কেন্দ্রেও ভোট হবে শুক্রবার। জগনের বিরুদ্ধে জোরদার লড়াই দিতে এ বার সে রাজ্যে হাত মিলিয়েছে বিজেপি, চন্দ্রবাবু নায়ডুর দল টিডিপি এবং অভিনেতা-রাজনীতিক পবন কল্যাণের দল জনসেনা পার্টি। প্রথম পর্বে ওড়িশার ২৮টি বিধানসভা কেন্দ্রেও ভোট হবে শুক্রবার।
হায়দরাবাদে ওয়েইসির নিরঙ্কুশ আধিপত্য খর্ব করতে বিজেপি এ বার প্রার্থী করেছে মাধবীলতাকে। পদ্মশিবিরের অঙ্ক অনুযায়ী, ভোটের মেরুকরণে নিজামের শহরে এ বার পদ্ম না ফুটলেও ওয়েইসিকে যথেষ্ট বেগ দেবেন মাধবীলতা। ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে কনৌজ কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী সুব্রত পাঠকের কাছে প্রায় ১৩ হাজার ভোটে হেরে গিয়েছিলেন অখিলেশ-পত্নী ডিম্পল যাদব। এ বার কার্যত সকলকেই চমকে দিয়েই এই কেন্দ্রে প্রার্থী হয়েছেন অখিলেশ নিজে। বিজেপি পুনরায় প্রার্থী করেছে শর্মিলাকেই।

Card image cap

এবার ভোটে বিজেপি জিতলে জেলে থাকবেন মমতা! বিজেপির বিরুদ্ধে বিস্ফোরক দাবি কেজরীর

এক্সপ্রেস কলকাতা ডেস্ক: আবগারি দুর্নীতি মামলায় গত ২১ মার্চ গ্রেফতার করা হয়েছিল কেজরীওয়ালকে। শুক্রবার অন্তর্বর্তী জামিনে মুক্ত হয়েছেন তিনি। তিহাড় জেল থেকে বেরিয়ে শনিবারই প্রথম নির্বাচনী প্রচার করলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী তথা আপ সুপ্রিমো অরবিন্দ কেজরিওয়াল। ‘ভারত মাতা কি জয়’, মুক্তির পর প্রথমবার সাংবাদিক সম্মেলনে এই স্লোগানই শোনা গেল কেজরিওয়ালের গলায়। এদিন সাংবাদিক সম্মেলন করে আরও অনেক বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন তিনি। লোকসভা নির্বাচনে জিতলে নরেন্দ্র মোদী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জেলে ভরবেন বলে দাবি করলেন কেজরিওয়াল। সাথে দাবি করেন, বিজেপি জিতলে অমিত শাহকে প্রধানমন্ত্রী করা হবে।

উল্লেখ্য, শনিবার সকালে হনুমান মন্দিরে পুজো দিয়ে প্রচার কর্মসূচি শুরু করেন তিনি। আগামী ১ জুন পর্যন্ত অন্তর্বতী জামিন পেয়েছেন কেজরী। শনিবার কেজরী তাঁর সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আম আদমি পার্টিকে দুমড়ে-মুচড়ে দিতে চেয়েছেন। চেষ্টার কোনও কসুর রাখেননি তিনি। কিন্তু ভগবানের দয়ায় আজ আমি আপনাদের সামনে আসতে পেরেছি।’’
লোকসভা ভোটের মুখেই দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী কেজরীওয়ালকে গ্রেফতার করেছিল ইডি। তার আগে ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনকেও ইডি গ্রেফতার করে। শনিবার সেই প্রসঙ্গেই কেজরীওয়াল বলেছেন, ‘‘বিজেপি ক্ষমতায় এলে সমস্ত বিরোধী নেতা-নেত্রীকে জেলে ভরে দেশের রাজনীতিকেই খতম করে দেবে।’’ তাঁর দাবি, দেশ জুড়ে এক ভয়ঙ্কর মিশন চালু করেছেন মোদী। “মিশনের নাম ‘ওয়ান নেশন, ওয়ান লিডার’। দেশের সব নেতাকে শেষ করতে চাইছে। মনীশ সিসোদিয়া, কেজরীওয়াল থেকে শুরু করে মমতার মন্ত্রীদের জেলে পাঠানো হয়েছে। লিখে রাখুন, এবার ভোটে জিতলে জেলে থাকবেন মমতা, জেলে থাকবেন তেজস্বী, জেলে থাকবেন স্ট্যালিন, জেলে থাকবেন উদ্ধব, পিনারাই বিজয়ন।”
এ দিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘ওরা প্রশ্ন করে, ইন্ডিয়া জোটের প্রধান মন্ত্রী কে হবে। আমি প্রশ্ন করছি, বিজেপির প্রধানমন্ত্রী কে হবেন? সামনের বছর মোদীর ৭৫ বছর বয়স হয়ে যাবে। বিজেপিতে কারও ৭৫ বছর বয়স হয়ে গেলে তিনি অবসর নেন। আডবাণী, যোশী, সুমিত্রা মহাজন, যশবন্ত সিনহা সবাই অবসর নিয়েছেন। তাহলে আগামী বছর ১৭ সেপ্টেম্বর মোদীও অবসর নেবেন, তাহলে কে হবেন প্রধানমন্ত্রী?’’ কেজরীওয়ালের দাবি, মোদী নিজের জন্য নয়, অমিত শাহের জন্য ভোট চাইছেন। অমিত শাহকেই প্রধানমন্ত্রী করা হবে।

Card image cap

অবশেষে অন্তর্বর্তী জামিন পেলেন কেজরি! কিন্তু কোন কোন শর্তে এই জামিন?

এক্সপ্রেস কলকাতা ডেস্ক: লোকসভা নির্বাচনের মাঝে স্বস্তির খবর পেলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীওয়াল। অবশেষে তিহার জেল থেকে মুক্তি পেতে চলেছেন তিনি। শুক্রবার আবগারি মামলায় আপ সুপ্রিমোর অন্তর্বর্তীকালীন জামিনের আবেদন মঞ্জুর করেছে সুপ্রিম কোর্ট। চলতি লোকসভা নির্বাচনে প্রচারের জন্য তাঁকে আগামী ১ জুন পর্যন্ত অন্তর্বর্তী জামিন দিয়েছে বিচারপতি সঞ্জীব খান্না ও বিচারপতি দীপঙ্কর দত্তের বেঞ্চ। যদিও গণনার আগেই আগামী ২ জুন তাঁকে আদালতে আত্মসমর্পণ করতে হবে।

উল্লেখ্য, এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি), কেজরীওয়ালের জামিনের বিরোধিতা করেছিল। তবে শীর্ষ আদালত বলেছে, ‘২১ দিনে খুব একটা পার্থক্য হবে না।’ কিন্তু এই ২১ দিন জেলের বাইরে থাকার জন্য দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে ঠিক কী কী শর্ত দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট? জেনে নিন।
১) আগামী ২ জুন আত্মসমর্পণ করতে হবে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে।
২) জামিন পেতে জেল সুপারিনটেনডেন্টকে ৫০,০০০ টাকার বন্ড জমা দিতে হবে কেজরিওয়ালকে। সাথে দিতে হবে সম পরিমাণ সিওরিটিও।
৩) জামিনে বাইরে থাকার সময়, তিনি মুখ্যমন্ত্রীর দফতর এবং দিল্লি সচিবালয়ে যেতে পারবেন না।
৪) শুধুমাত্র দিল্লির লেফটেন্যান্ট গভর্নরের ছাড়পত্র বা অনুমোদন পাওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় কোনও নথি ছাড়া অন্য কোনো সরকারি ফাইলে সই করতে পারবেন না অরবিন্দ কেজরিওয়াল। একান্তই তা করতে হলে দিল্লির লেফটেন্যান্ট গভর্নরের অনুমোদন প্রয়োজন পড়বে।
৫) দিল্লির আবগারি দুর্নীতি মামলা সম্পর্কিত কোনও মন্তব্য করতে পারবেন না তিনি।
৬) এই সময়কালে, এই দুর্নীতি মামলার কোনও সাক্ষীর সঙ্গে তিনি যোগাযোগ রাখতে পারবেন না এবং মামলার সঙ্গে যুক্ত কোনও সরকারি ফাইলেও হাত দিতে পারবেন না।
প্রসঙ্গত, গত ২১ মার্চ আবগারি মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছিল কেজরীকে। তাঁর তরফে বর্ষীয়ান আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি আর্জি জানিয়েছিলেন যাতে ৪ জুন পর্যন্ত অন্তর্বর্তী জামিন দেওয়া হয়। কিন্তু সেই আর্জি খারিজ করে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। আইনজীবী শাদান ফারাসত জানিয়েছেন, জামিনে থাকাকালীন কেজরীওয়াল কী বলবেন না বলবেন, তা নিয়ে কোনও বিশেষ নির্দেশ দেয়নি সুপ্রিম কোর্ট। আগামিকাল, শনিবার সকাল থেকে তিনি যাতে প্রচারের কাজ শুরু করতে পারে, সেই সাংগঠনিক প্রস্তুতি শুরু করল আপ।
২৯ এপ্রিল থেকে এই মামলার শুনানি শুরু হয় শীর্ষ আদালতে। ৩ মে পর্যন্ত চলে শুনানি। বারবার গ্রেফতারির সময় নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন অভিষেক মনু সিংভি। তিনি যুক্তি দিয়েছিলেন, ভোটের সময় দলের সুপ্রিমো জেলে থাকলে দল বঞ্চিত হয়। নির্বাচন প্রক্রিয়া থেকে তাঁকে সরিয়ে রেখে গণতান্ত্রিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেছিলেন আইনজীবী।
আপ সুপ্রিমোর জামিনের খবরে খুশি হয়ে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর এক্স হ্যান্ডলে প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন, “I am very happy to see that Shri Arvind Kejriwal @ArvindKejriwal has got interim bail. It will be very helpful in the context of the current elections.” অর্থাৎ তাঁর মতে, নির্বাচনের মাঝে কেজরিওয়ালের জামিন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে চলেছে।

Card image cap

ইলিশ না পেয়ে হতাশায় মৎস্যজীবীরা

 বংশবিস্তার বড় আকারের ইলিশ পাওয়ার লক্ষে খোকা ইলিশ ধরা বন্ধ করতে পদক্ষেপ করা হয়েছিল দুমাসের নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল সরকার কিন্তু তাতে খুব একটা লাভ হল না নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ার পর বড় ইলিশ ধরতে নদীতে নেমেছিলেন মৎস্যজীবীরা কিন্তু প্রত্যাশা মতো মাছ না পেয়ে মন খারাপ তাঁদের তবে আশা ছাড়ছেন না মৎস্যজীবীরা 


জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার মধ্য রাত থেকে উঠে গিয়েছে ইলিশ ধরার নিষেধাজ্ঞা মাছের রাজার রাজধানী হিসেবে খ্যাত দক্ষিণের জেলা চাঁদপুর সেখানকার হাইমচরের চরভৈরবী থেকে মতলবের ষাটনল পর্যন্ত পদ্মা-মেঘনা-যমুনার ৭০ কিলোমিটার নদী এলাকায় ইলিশ ধরতে নেমেছেন প্রায় ৫০ হাজার মৎস্যজীবী দেশের অন্যতম মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র চাঁদপুর মাছ ঘাটে ছিল ইলিশের পাশাপাশি বিভিন্ন মাছের আমদানি পদ্মা মেঘনা নদীর সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে মৎস্যজীবীরা ট্রলারে করে মাছ নিয়ে আসেন সদরের হরিণা ফেরিঘাট থেকেও ইলিশ নিয়ে ঘাটে এসেছেন কয়েকজন পাইকারী মাছ ব্যবসায়ী 

ঘাটে মাছ নিয়ে আসা রাজরাজেশ্বর এলাকার মৎস্যজীবী মহম্মদ জাহাঙ্গীর বলেন, “দুই মাস ধরে মাছ আহরণ থেকে বিরত ছিলাম এখন নদীতে নেমেছি ইলিশ কম কিছু চেওয়া মাছ পেয়েছি ওই মাছ আড়তে বিক্রির জন্য নিয়ে এসেছিওই এলাকার আরেক মৎস্যজীবী মহম্মদ সোলাইমান বলেন, চারজন নদীতে নেমেছিলেন ইলিশ ধরার জন্য যে পরিমাণ ইলিশ পেয়েছেন, তা আকারে ছোট তবে তা বিক্রি করে জ্বালানি নিজেদের খরচ উঠবে হাজীগঞ্জ থেকে মাছ ঘাটে আসা ক্রেতা মহম্মদ মনিরুজ্জামান জানিয়েছেন, “দুই মাস পর আড়তে মাছ আসা শুরু হয়েছে তবে পরিমাণে ইলিশ কম, দাম চড়া যে কারণে ইলিশ কিনতে পারেনি ইলিশের আমদানি বাড়লে তখন আবার আসব

মাছ ঘাটের একাধিক মৎস্যজীবীদের অভিযোগ, অভিযানের সময়ে কিছু অসাধু মৎস্যজীবী গোপনে খোকা ইলিশ-সহ অন্যান্য মাছ ধরেছে যে কারণে মাছের আমদানি কম তারা সরকারি সুযোগ-সুবিধা নিলেও মাছ ধরা থেকে বিরত থাকেনি ব্যবসায়ী জানান, প্রথম দিনে ইলিশের আমদানি কম যে কারণে দামও চড়া এক কেজি ওজনের বেশি ইলিশ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে হাজার থেকে ২২০০ টাকায় ৮০০ থেকে ৯০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ প্রতি কেজি ১৬০০ থেকে ১৭০০ টাকায় ৫০০ থেকে ৬০০ গ্রামের ইলিশ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১২০০ থেকে ১৩০০ টাকায়

Card image cap

কোভিশিল্ডের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার জেরে মৃত্যু! কোভিশিল্ড নিলেই কি হবে TTS? কী এই TTS? জেনে নিন

এক্সপ্রেস কলকাতা ডেস্ক: কোভিড 19-এর মতো অতিমারী থেকে বাঁচার ‘রক্ষাকবচ’ বলে দাবি করা কোভিশিল্ডের (Covishield) ভয়ংকর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া, হতে পারে TTS। অ্যাস্ট্রাজেনেকার কোভিড টিকায় পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছে- সম্প্রতি একটি আইনি প্রক্রিয়ায় এমনটা জানিয়েছেন কোভিড টিকা প্রস্তুতকারক অ্যাস্ট্রাজেনেকা নিজেই। এই বিরল রোগে আক্রান্ত হয়ে যাঁদের মৃত্যু হয়েছে তাঁদের পরিবারের প্রতি সমবেদনাও জানানো হয়েছে সংস্থার তরফে। কিন্তু ভারতীয়দের ক্ষেত্রে ভয় কতটা?

উল্লেখ্য, অ্যাস্ট্রাজেনেকার কোভিডের টিকায় পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছে এমন দাবি করে ব্রিটেন আদালতে প্রথম মামলা দায়ের করেছিলেন এক মহিলা। দাবি করা হয়, টিকা নেওয়ার পর তাঁর শরীরে অজানা রোগ দেখা দেয়। এরপর ২০২৩ সালে অ্যাস্ট্রাজেনেকার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছিলেন জেমি স্কট নামে এক ব্যক্তি। তিনি অভিযোগ করেন, ২০২১ সালের এপ্রিলে ভ্যাকসিন নেওয়ার পরে তাঁর মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হয় ও তা জমাট বেঁধে যায়। এর ফলে তাঁর মস্তিষ্কে স্থায়ী ক্ষত তৈরি হয়। ব্রিটেনের হাইকোর্টে সংস্থার বিরুদ্ধে প্রায় ১০০ মিলিয়ন পাউন্ড দাবি করে ৫১টি মামলা দায়ের হয়। তবে কোনও অভিযোগ মানতে চায়নি সংস্থা।
TTS কী?
এর পুরো নাম- Thrombosis with Thrombocytopenia Syndrome. এটি এমন একটি শারীরিক অবস্থা যেখানে রক্ত জমাট বেঁধে যেতে পারে, প্লেটলেটের সংখ্যা কমে যায়। এর উপসর্গ একাধিক, যেমন - শ্বাসকষ্ট, বুকে ব্যথা, পা ফুলে যাওয়া, টানা মাথা ধরে থাকা, পেট ব্যথা। আক্রান্ত ব্যক্তির সহজেই চোট আঘাতের দাগ (bruising) হতে পারে।
তবে কী AstraZeneca-এর কোভিড টিকায় সত্যি TTS হয়? উত্তর- হ্যাঁ হতে পারে। কিন্তু তার সম্ভাবনা অতি ক্ষীণ। এটা খুব স্পষ্ট যে সংস্থার তরফে যা জানানো হয়েছে এবং এর আগের গবেষণাগুলি থেকে যা তথ্য উঠে এসেছে তাতে এটা স্পষ্ট যে- যাঁরাই অ্যাস্ট্রাজেনেকার কোভিড টিকা নিয়েছে তাঁরাই TTS-এ আক্রান্ত হবেন এমন নয়। আইনি প্রক্রিয়ায় সংস্থার তরফে নথিতে দাবি করা হয়েছে যে TTS-হওয়ার সম্ভাবনা থাকলেও তা ‘rare’ এবং ‘uncommon’।
অ্যাস্ট্রাজেনেকা-অস্কফোর্ডের এই টিকা ভারতে তৈরি করেছিল পুণের সিরাম ইন্সটিটিউট। কোভিশিল্ড ভ্যাকসিনের সাইড এফেক্ট নিয়ে হইচইয়ের মাঝে বুধবার সুপ্রিম কোর্টে একটি মামলাও দায়ের হয়েছে। যেখানে কোভিশিল্ড টিকা নিয়ে কারও মৃত্যু কিংবা অঙ্গপ্রত্যঙ্গ বিকল হয়ে থাকলে তাঁকে আর্থিক সাহায্য করতে আর্জি জানানো হচ্ছে সরকারকে। এদিকে কোভিশিল্ডের সাইড এফেক্ট নিয়ে এবার মুখ খুললেন ICMR-এর বিজ্ঞানী ডা. রমন গঙ্গাখেদকর। তিনি বলেন, ‘ভয়ের কোনও কারণ নেই। ১০ লাখ মানুষের মধ্যে কেবলমাত্র সাত থেকে আটজন কোভিশিল্ড প্রাপকে থ্রম্বসিসে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। প্রথম ডোজ নেওয়ার পর এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তবে দ্বিতীয় ডোজে আক্রান্ত হওয়ার পর থেকে সেই ঝুঁকি কমতে থাকে। তৃতীয় বা বুস্টার ডোজের পর এই ঝুঁকি থাকে না বললেই চলে। যদি সাইড এফেক্ট হওয়ার থাকেই তবে তা দু’তিন মাসেই হবে।’

Card image cap

‘কেন নির্বাচনের আগেই গ্রেফতার করা হল?’, কেজরী-মামলায় সুপ্রিম কোর্টের প্রশ্নের মুখে ইডি

এক্সপ্রেস কলকাতা ডেস্ক: আপ সুপ্রিমো তথা দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে গ্রেপ্তার করার বিষয়ে আপ এবং ইন্ডিয়া জোট বারবার দাবি করেছেন, ভোটের মুখে রাজনৈতিক স্বার্থে বিজেপির অঙ্গুলি হেলনে এই পরিকল্পনা করা হয়েছে। মঙ্গলবার এই নিয়েই কেন্দ্রীয় সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটকে সুপ্রিম কোর্টের কড়া প্রশ্ন, কেন লোকসভা নির্বাচনের আগেই গ্রেফতার করা হল দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে? তদন্ত ও গ্রেফতারির মধ্যে এত দীর্ঘ ব্যবধান কেন, তাও জানতে চাওয়া হয়েছে।

গত ২১ মার্চ দিল্লির আবগারি দুর্নীতি মামলায় ইডির হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন কেজরীওয়াল। তার পর থেকে তিনি জেলবন্দি। তাঁর গ্রেফতারিকে ‘বেআইনি’ বলে দাবি করে প্রথমে দিল্লি হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন কেজরী। কিন্তু দিল্লি হাই কোর্টের বিচারপতি স্বর্ণকান্তা শর্মা চলতি মাসের গোড়ায় সেই আবেদন খারিজ করে দেওয়ায় শীর্ষ আদালতের শরণাপন্ন হয়েছেন আপ প্রধান।
গত ২১ মার্চ আবগারি মামলায় ইডির হাতে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন আপ প্রধান। তার পর ইডির হেফাজত থেকে তাঁকে তিহাড় জেলে পাঠানো হয়। সেখান থেকেই গ্রেফতারিকে ‘বেআইনি’ বলে দাবি করে প্রথমে দিল্লি হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন কেজরী। কিন্তু চলতি মাসের গোড়ায় সেই আবেদন খারিজ করে দেন দিল্লি হাই কোর্টের বিচারপতি স্বর্ণকান্তা শর্মা। এর পরেই শীর্ষ আদালতের শরণাপন্ন হয়েছেন আপ সুপ্রিমো। এদিন সেই মামলার শুনানিতে বিচারপতি সঞ্জীব খান্না গ্রেপ্তারির সময় নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তিনি বলেন, নির্দিষ্ট বিচারপ্রক্রিয়া ছাড়াই কি ফৌজদারি প্রক্রিয়া চালানো যায়, ব্যাখ্যা করতে হবে ইডিকে।
তবে এবার প্রশ্ন তুলেছে শীর্ষ আদালতও। এখনও পর্যন্ত এই মামলায় কোনও অতিরিক্ত তথ্যপ্রমাণ দিতে পারেনি কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা। আর যদি তা হয়ে থাকে, তবে কীভাবে কেজরিওয়াল জড়িত এই দুর্নীতির সঙ্গে তা দেখানো হোক । সুপ্রিম কোর্ট আরও উল্লেখ করেছে, দিল্লির প্রাক্তন উপ-মুখ্যমন্ত্রী মনীশ সিসোদিয়ার ক্ষেত্র তদন্তকারীরা দাবি করেছে যে তারা তথ্যপ্রমাণ খুঁজে পেয়েছে। কিন্তু কেজরিওয়ালের ক্ষেত্রে এখনও পর্যন্ত কিছুই বলা হয়নি তদন্তকারীদের তরফে। আগামী শুক্রবার এই মামলার পরবর্তী শুনানি। তার মধ্যেই এ বিষয়ে ইডিকে জবাবদিহি করতে হবে বলে জানিয়েছে শীর্ষ আদালত। সব মিলিয়ে সুপ্রিম প্রশ্নে অস্বস্তিতে পড়েছে ইডি।