CATEGORY country:

Card image cap

দৈর্ঘ্য মাত্র ৪ ইঞ্চি, উপত্যকায় জঙ্গি দমনে সেনার মারণাস্ত্র ‘কালো ভ্রমর’

নীহার রঞ্জন গুপ্তের উপন্যাসে ‘কালো ভ্রমর’ ছিল এক ভয়ংকর সিরিয়াল কিলার। অদৃশ্য সেই খুনির হদিশ পেতে যথেষ্ট কাঠখড় পোড়াতে হয়েছিল গোয়েন্দা কিরিটি রায়কে। তবে বাস্তবে উপত্যকার মাটিতে জঙ্গিদের ঘুম ছোটাচ্ছে আর এক ‘কালো ভ্রমর’। এ অবশ্য কোন মানুষ নয়, মাত্র ৪ ইঞ্চি দৈর্ঘ্যের এক যন্ত্র। যার কাজ সকলের চোখ এড়িয়ে শত্রুর ঠিকানা খুঁজে বের করা। কার্যত অদৃশ্য এই মারণাস্ত্রই এখন জম্মু ও কাশ্মীরে সন্ত্রাস দমনে সেনার ব্রহ্মাস্ত্র হয়ে উঠেছে।মাত্র ৩৩ গ্রাম ওজনের হাতের মুঠোয় চলে আসা এই যন্ত্র আসলে একটি ড্রোন। যার আসন নাম ‘ব্ল্যাক হরনেট’। তবে দেখতে ছোট হলেও এর কাজ কিন্তু বিরাট। সেনা অভিযানে শত্রুর ঠিকানা খুঁজে বের করতে অপরিহার্য এই ছোট্ট ড্রোন। রিমোর্টের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রিত এই ড্রোন দেখতে অনেকটা হেলিকপ্টারের মতো। যার রেঞ্জ দু কিলোমিটার। মূলত জঙ্গলের মধ্যে শত্রুর অস্তিত্ব খুঁজে বের করতে এর জুড়ি মেলা ভার। কার্যত অদৃশ্য থেকে শত্রুর উপস্থিতির লাইভ ভিডিও দেখাতে থাকে এই ‘কালো ভ্রমর’। কাজ করে অটো পাইলট মোডেও।সম্প্রতি জম্মু ও কাশ্মীরে একের পর এক অভিযানে এই ড্রোন ব্যবহার করছে সেনাবাহিনীকে। মিলেছে সাফল্যও। ড্রোনের দেখানো পথে অভিযান চালিয়ে নিকেশ হয়েছে একের পর এক জঙ্গি। তবে শুধু জম্মু ও কাশ্মীরে সেনা অভিযান নয়, দুর্যোগ প্রভাবিত এলাকায় সাধারণ মানুষকে উদ্ধার, কিংবা কোনও সন্ত্রাসবাদী হামলায় কাউকে পণবন্দী করে রাখার মতো ঘটনায় বিরাট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারে এই ড্রোন।উল্লেখ্য, এই ড্রোনের নির্মাণ করেছে নরওয়ের প্রক্সি ডায়নামিক নামে এক সংস্থা। যার দৈর্ঘ্য মাত্র ১০ সেন্টিমিটার অর্থাৎ ৩.৯৩ ইঞ্চি। এবং প্রস্থ মাত্র ২.৫ সেন্টিমিটার। একটানা ২০ মিনিট পর্যন্ত ওড়ানো যেতে পারে যন্ত্রটি। সর্বোচ্চ গতি ঘণ্টায় ২১ কিলোমিটার। তবে দেখতে ছোটখাট হলেও এর দাম সাধারণের ধরাছোঁয়ার বাইরে। এক একটি ড্রোনের দাম ভারতীয় মুদ্রায় এক কোটি টাকা।

Card image cap

বউয়ের পরকীয়ায় স্বামী আত্মঘাতী হলে দায় স্ত্রীর নয়

পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়েছে স্ত্রী। এই কারণে যদি স্বামী আত্মঘাতী হন, তার দায় কোনওভাবেই বর্তায় না স্ত্রীর উপরে। এমনটাই জানাল কর্নাটক হাই কোর্ট। এক মহিলার বিরুদ্ধে স্বামীকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। সেই মামলার রায়েই এমন মন্তব্য উচ্চ আদালতের। যদিও নিম্ন আদালত ওই মহিলাকে দোষী সাব্যস্ত করেছিল। সেই রায় খারিজ করে দিয়েছে বিচারপতি শিবশংকর অমরান্নভরের সিঙ্গল বেঞ্চ।অভিযোগ, পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ার পর স্বামীকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেন অভিযুক্ত মহিলা। তাঁকে ভর্ৎসনা করে মরতে বলেন তিনি। এর পরই আত্মহননের পথ বেছে নেন ওই ব্যক্তি। মৃতের পরিবারের সদস্যরা থানায় অভিযোগ দায়ের করলে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০৬ ধারায় মামলাও রুজু করে পুলিশ। গ্রেপ্তারও হতে হয় অভিযুক্ত মহিলা ও তাঁর পুরুষ সঙ্গীকে। নিম্ন আদালত তাঁকে দোষী সাব্যস্তও করে। কিন্তু সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করেন তিনি। অবশেষে সেই রায় খারিজ করে অভিযুক্ত মহিলাকে বেকসুর খালাসের রায় দিয়েছে হাই কোর্ট।এদিন সিঙ্গল বেঞ্চের তরফে জানানো হয়, ওই মহিলা তাঁর স্বামীকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেন এমন কোনও প্রমাণ আদালতে পেশ করতে পারেনি অভিযোগকারী পক্ষ। কেবলমাত্র ”যাও, গিয়ে মরো” বলায় এটা প্রমাণিক হয় না যে অভিযুক্ত সত্যিই আত্মহত্যায় প্ররোচনা দিয়েছেন। এই যুক্তি গ্রহণযোগ্য নয় বলেই জানানো হয় আদালতের তরফে।

Card image cap

মেয়েদের শরীরের মাপ নিতে পারবেন না পুরুষ দর্জি

পোশাকের মাপ নেওয়ার নামে মহিলাদের শ্লীলতাহানির ঘটনা ঘটছে উত্তরপ্রদেশে। এই ঘটনা রুখতে এবার নয়া প্রস্তাব উত্তরপ্রদেশের মহিলা কমিশনের। প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, কোনও পুরুষ দর্জি মহিলাদের পোশাকের মাপ নিতে পারবেন না। শুধু তাই নয়, সেলুনে মহিলাদের চুলও কাটতে পারবেন না পুরুষরা।গত ২৮ অক্টোবর রাজ্যের মহিলাদের সুরক্ষা ও নিরাপত্তা নিয়ে মহিলা কমিশনের তরফে এক বৈঠকের আয়োজন করা হয়। সেখানেই হেনস্থা রুখতে এই প্রস্তাব দেয় কমিশন। এ প্রসঙ্গে কমিশনের সদস্য হিমানী আগরওয়াল বলেন, ‘বৈঠকে প্রস্তাব উঠেছে এখন থেকে মহিলাদের পোশাকের মাপ শুধুমাত্র মহিলারাই নিতে পারবেন। পাশাপাশি দোকানে লাগাতে হবে সিসিটিভি ক্যামেরা।’ এছাড়া সেলুনের ক্ষেত্রে আগরওয়াল বলেন, “দর্জির দোকানের পাশাপাশি সেলুন বা পার্লারেও মহিলা গ্রাহকদের পরিষেবা দেবেন মহিলারা। কোনও পুরুষ কর্মীকে মহিলাদের জন্য নিয়োগ করা যাবে না। বৈঠকে এই প্রস্তাব উঠলে সকলে এই প্রস্তাবকে সমর্থন করেন।”মহিলা কমিশনের বৈঠকে এও প্রস্তাব রাখেন কমিশনের চেয়ারপার্সন ববিতা চৌহান। এই প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে যুক্তি দেওয়া হয়, পর্যবেক্ষণে দেখা গিয়েছে এই ধরনের পেশায় মহিলা গ্রাহকরা হেনস্থার শিকার হন। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে আপত্তিকরভাবে স্পর্শ করা হয় মহিলাদের। অসৎ উদ্দেশ্য নিয়ে এই কাজ করে দর্জি ও সেলুনের কর্মীরা। তাই কমিশনের দাবি, রাজ্য সরকার শীঘ্র এই ঘটনা রুখতে আইন আনুক। আগরওয়াল বলেন, গোটা বিষয়টা প্রস্তাবের আকারে রয়েছে। রাজ্যসরকারকে এই প্রস্তাব পাঠিয়ে আইন আনার আমাদের তরফে অনুরোধ করা হবে।

Card image cap

কানাডাকে কড়া বার্তা ভারতের

 মন্দিরে খলিস্তানি হামলা নিয়ে কানাডাকে কড়া বার্তা দিল ভারতীয় বিদেশমন্ত্রক। সেদেশে যেন আইনের শাসন কায়েম হয়, সাফ এই কথা জানিয়ে দিলেন বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল। উল্লেখ্য, ব্রাম্পটনের হিন্দু মন্দিরে খলিস্তানিদের তাণ্ডব নিয়ে উত্তপ্ত গোটা কানাডা। ইতিমধ্যেই খলিস্তানি হামলার তীব্র নিন্দা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর।গত ৩ নভেম্বর সোশাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে টরন্টোর কাছে ব্রাম্পটনের হিন্দু সভা মন্দিরে খলিস্তানি তাণ্ডবের ভিডিও। উল্লেখ্য, ওই মন্দির চত্বরেই একটি ক্যাম্পের আয়োজন করেছিল স্থানীয় ভারতীয় দূতাবাস। সেই ক্যাম্প চলাকালীন ব্যাপক তাণ্ডব শুরু করে খলিস্তানিরা। ভাইরাল হওয়া ওই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, মন্দিরে আসা পুণ্যার্থীদের বেধড়ক মারধর করছে হলুদ পতাকাধারী খলিস্তানি জঙ্গিরা। স্থানীয়দের দাবি, ঘটনাস্থলে পুলিশ থাকলেও তারা হামলাকারীদের বাধা দেয়নি। মন্দির চত্বরে তাণ্ডব চালায় খলিস্তানি জঙ্গিরা। মহিলা এবং শিশু-সহ হিন্দু পুণ্যার্থীদের বেধড়ক মারধরও করে তারা।দীর্ঘদিন ধরেই খলিস্তানিদের মদত দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর বিরুদ্ধে। রবিবারের হামলার পর তিনি বলেন, মন্দিরে এমন হামলা মোটেই বরদাস্ত করা হবে না। কিন্তু হামলার পরে দীর্ঘ সময় কেটে গেলেও কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। খলিস্তানিরা হামলা চালিয়েছে, সেকথাও মানতে চায়নি স্থানীয় পুলিশ। গোটা ঘটনাকে ‘কাপুরুষোচিত হামলা’ বলে কড়া ভাষায় নিন্দা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও। ভারতীয় দূতাবাসের অনুষ্ঠানে কীভাবে নিরাপত্তা ভঙ্গ হল, উঠছে সেই প্রশ্নও।এহেন পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন ভারতীয় বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল। তিনি বলেন, “ব্রাম্পটনের মন্দিরে যেভাবে হামলা হয়েছে তার তীব্র নিন্দা করছি। সেই সঙ্গে কানাডার সরকারকে বার্তা, দেশে আইনের শাসন কায়েম করুন। হিংসার জেরে যেসমস্ত মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তাঁদের জন্য দ্রুত ন্যায়বিচার দিন।” রণধীরের আশা, ব্রাম্পটনের মন্দিরে খলিস্তানি হামলার ঘটনায় দ্রুত পদক্ষেপ করবে কানাডা সরকার। তবে হামলার পর বেশ কয়েকদিন কেটে গেলেও কাউকে গ্রেপ্তার করার খবর মেলেনি।

Card image cap

জিতেই ‘সোনার আমেরিকা’র স্বপ্ন দেখালেন ট্রাম্প

ফের মার্কিন মসনদে বসলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। ‘বিজয়ী ভাষণে’ ‘সোনার আমেরিকা’র স্বপ্ন দেখালেন বর্ষীয়ান রিপাবলিকান নেতা। দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়ে ট্রাম্প বলেন, “এই জয় ঐতিহাসিক। সর্বকালের সেরা রাজনৈতিক লড়াই দেখল আমেরিকা। আমেরিকাবাসীকে ধন্যবাদ।” ট্রাম্প দাবি করেন, অনুপ্রবেশ সমস্যা থেকে ইউএফও রহস্য, যাবতীয় বিষয়ে সমাধান করবে তাঁর সরকার। মার্কিন নির্বাচনের গণনা সম্পূর্ণ না হলেও ইতিমধ্যে রিপাবলিকান প্রার্থীর জয় নিশ্চিত হয়ে গিয়েছে। ম্যাজিক ফিগার ২৭০ ছুঁয়ে ফেলেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এখনও পর্যন্ত ২২৪টি আসন দখল করছেন কমলা হ্যারিস। দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসতেই শুভেচ্ছা বন্যায় ভাসছেন ট্রাম্প। বুধবার ফ্লরিডার পাম বিচে প্রথম বিজয়-ভাষণ দিলেন তিনি। বর্ষীয়ান নেতা বলেন, “এই জয় ঐতিহাসিক। ধন্যবাদ জানাই আমেরিকাবাসীকে। আপনাদের ভবিষ্যতের জন্য আমি লড়াই করব। ফের আমেরিকাকে সোনার দেশে পরিণত করব।”৭টি সুইং স্টেটের ৬টিতে এবং ২৪টি প্রদেশে ট্রাম্প জয় পেতেই স্থির হয়ে যায় সাদা বাড়ির ভবিষ্যৎ। এর পরেই আমেরিকার সম্ভাব্য হবু ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভান্সকে নিয়ে মঞ্চে ওঠেন ট্রাম্প। দলীয় সমর্থকদের ‘আমেরিক আমেরিকা’ জয়ধ্বনির মধ্যেই তিনি দাবি করলেন, “সর্বকালের সেরা রাজনৈতিক লড়াই দেখল আমেরিকা।” ভোটপ্রচারে আমেরিকায় অনুপ্রবেশ বন্ধের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। জয়ের গন্ধ পেয়ে জানালেন—আমরা অনুপ্রবেশ বন্ধ করব। UFO রহস্য সমাধানেরও অঙ্গিকার করেন ট্রাম্প। নিজের রাজনৈতিক সাফল্যের জন্য স্ত্রী মেলানিয়াকে ধন্যবাদ জানান রিপাবলিকান নেতা।

Card image cap

ছটে বন্ধ রবীন্দ্র ও সুভাষ সরোবর

এবারও ছটপুজোয় বন্ধ রাখা হচ্ছে রবীন্দ্র সরোবর ও সুভাষ সরোবর। বুধবার রাত আটটা থেকে শুক্রবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত বন্ধ থাকবে দুই সরোবরের দরজা। পাশাপাশি সেখানে জোরদার করা হচ্ছে নিরাপত্তাও। রবীন্দ্র সরোবরে মোতায়েন থাকছে ২৫০ জন পুলিশ। সুভাষ সরোবরেও থাকছে সমসংখ‌্যক পুলিশ বাহিনী।কাল, বৃহস্পতিবার ছটপুজো। অতীতে ছটপুজো ঘিরে রবীন্দ্র সরোবরে ধুন্ধমার কাণ্ড ঘটেছিল। সেই ঘটনার পর থেকে ছটের সময় লেকের নিরাপত্তা আরও আঁটসাঁট করা হয়। ছটের সময় যাতে কোনওভাবে ওই দুই সরোবরে কেউ ঢুকে না পড়ে সেজন‌্য সেখানে বাড়তি পুলিশ মোতায়েন করা হচ্ছে। প্রতিটি সরোবরে ডিসি পদমর্যাদার একজন করে অফিসার দায়িত্বে থাকবেন। তাঁর অধীনে থাকবে ২৫০ পুলিশ কর্মী।ছটপুজোর সময় রাস্তায় পাঁচ হাজার পুলিশ মোতায়েন করা হচ্ছে। থাকছেন ৩৫ জন ডিসি পদমর্যাদার অফিসার। বিপর্যয় মোকাবিলা করতে থাকছে ৭৭টি দল। ছটে অপ্রীতিকর পরিস্থিতির যাতে তৈরি না হয় সেজন‌্য ঘাট ও জলাশয়গুলিতে কড়া নজরদারি থাকবে পুলিশের। ঘাট ও জলাশয়ে পুলিশ পিকেটিং থাকছে। হেভি রেডিও ফ্লাইং স্কোয়াড, কুইক রেসপন্স টিম এবং মোবাইল পেট্রলিং ভ্যান শহরে টহল দেবে।

Card image cap

শরদের গলায় রাজনৈতিক সন্ন্যাসের ইঙ্গিত

সামনেই মহারাষ্ট্রে বিধানসভা ভোট। তার পরেই কি রাজনৈতিক সন্ন্যাস নিতে চলেছেন বর্ষীয়ান শরদ পওয়ার? মঙ্গলবার এমনই ইঙ্গিত দিয়েছেন ৮৩ বছরের এনসিপি নেতা। এদিন তিনি জানান, ভবিষ্যতে আর কোনও ভোটে প্রার্থী হবেন না। রাজ্যসভার সাংসদ হিসেবে ১৮ মাসের মেয়াদ শেষ হলেই পুরোপুরি রাজনৈতিক সন্ন্যাস নেবেন।ছত্রপতি শিবাজীর দেশে রাজনৈতিক আঙিনায় ভীষ্ম পিতামহ হিসেবে পরিচিত শরদ পওয়ার। ১৯৯৯ সালে গঠন করেন নয়া দল এনসিপি। পশ্চিম মহারাষ্ট্রের বারামতিকে পওয়ার পরিবারের গড় হিসেবে মনে করা হয়। সেই বারমতির জনসভায় দাঁড়িয়েই শরদ বলেন, “আমি ক্ষমতায় নেই…রাজ্যসভার সাংসদ হিসেবে মেয়াদ আর বছর দেড়েক রয়েছে। ভবিষ্যতে কোনও ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করব না। একটা সময় তো থামতেই হয়!” এইসঙ্গে তাঁকে মোট ১৪ বার বিধায়ক হিসেবে নির্বাচিত করার জন্য বারামতির নাগরিকদের ধন্যবাদ জানান তিনি।শরদের ছয় দশকের রাজনৈতিক জীবনের সমাপ্তি এমন সময় হচ্ছে, যখন এনসিপি-কংগ্রেস এবং উদ্ধব ঠাকরের শিব সেনা লড়াইয়ে নামছে বিজেপি, শিণ্ডে সেনা এবং ভাইপো অজিত পওয়ার গোষ্ঠীর এনসিপির সঙ্গে। এই অবস্থায় পওয়ার বনাম পওয়ার লড়াই দেখতে চলেছে বারামতি। অজিত পওয়ারের সঙ্গে কাঁটায় কাঁটায় লড়াই শরদ সমর্থিত আরেক ভাইপো যুগেন্দ্র পওয়ারের সঙ্গে। মনে করা হয় এই কেন্দ্রের জনতা ভীষ্ম পিতামহের কথায় ভোট দেয়। সেখানে জনসভায় ‘শেষবারের মতো’ পছন্দের প্রার্থীর জন্য ভোট চাইলেন বর্ষীয়ান নেতা।

Card image cap

উত্তরাখণ্ডে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩৬

উত্তরাখণ্ডের পাহাড়ি পথে বাস দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। খাদে পড়ে যাওয়া বাস থেকে উদ্ধারকারী দল একের পর এক নিথর দেহ বের করে আনছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত, ৪০ জন যাত্রীর মধ্যে ৩৬ জনেরই মৃত্যু হয়েছে। বাকিদের আঘাত গুরুতর। তাঁদের আকাশপথে নিয়ে যাওয়া হয়েছে এইমসে। সেখানে চিকিৎসাধীন তাঁরা। নিহতদের পরিবার এবং আহতদের আর্থিক সাহায্য ঘোষণা করেছে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার। কিন্তু কীভাবে দুর্ঘটনা ঘটল? তার তদন্তে নেমেছে পুলিশ। রাতভর পাহাড়ি পথে বাসযাত্রার পর ক্লান্ত চালকের ভুলেই কি গন্তব্যের কাছাকাছি গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারাল বাসটি? এই প্রশ্ন উঠছে।গাড়োয়াল মোটর ওনার্স ইউনিয়নের একটি বাস ৪০ জন যাত্রী নিয়ে গাড়োয়ালের পৌরি থেকে কুমায়ুনের রামনগর, প্রায় ২৫০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়েছিল। সারারাত চলে যাত্রা। সকাল ৮টা ২৫ নাগাদ আলমোড়ার কাছে বাসটি আচমকা নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ২০০ মিটার গভীর খাদে পড়ে যায়। গন্তব্য থেকে তখন দূরত্ব মাত্র ৩৫ কিলোমিটার। খরস্রোতা খাদে বাসটি প্রায় তলিয়ে দুমড়েমুচড়ে যায়। বাসে কোনও যান্ত্রিক ত্রুটি হয়েছিল নাকি অন্য কোনও কারণে তা নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছে? এসব প্রশ্ন উঠছেই। তবে অনেকের ধারণা, রাতভর চড়াই-উতরাই পথে বাস চালাতে গিয়ে ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলেন চালক। মুহূর্তের অন্যমনস্কতা থেকেই কি এত বড় দুর্ঘটনা ঘটল? তদন্তেই তার উত্তর মিলবে।দুর্ঘটনার খবর পেয়ে রাজ্যের বিপর্যয় মোকাবিলা দল যুদ্ধকালীন তৎপরতায় পৌঁছে উদ্ধারকাজ শুরু করে। একে একে যাত্রীদের নিথর দেহ উদ্ধার হতে থাকে। প্রথম ধাপে ২০ জনের দেহ উদ্ধার করা হয়। ধীরে ধীরে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৩৬-এ। আহতদের ভর্তি করা হয় হাসপাতালে। খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পরিস্থিতির খোঁজখবর নেন মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি। আর্থিক সাহায্যও ঘোষণা করেন তিনি। উত্তরাখণ্ড সরকারের তরফে মৃতদের পরিবার পিছু ৪ লক্ষ টাকা করে এবং আহতদের ১ লক্ষ টাকা করে সাহায্য করা হবে। এদিকে, দুর্ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। প্রধানমন্ত্রীর তহবিল থেকেও মৃতদের পরিবারকে ২ লক্ষ টাকা ও আহতদের ৫০ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে।

Card image cap

৩৭০ ধারা বাতিল নিয়ে উত্তেজনা চরমে

প্রায় ১০ বছর পরে বিধানসভা নির্বাচন হয়েছে জম্মু ও কাশ্মীরে। ভোটযুদ্ধে জয় পেয়ে সরকার গঠন করেছে ন্যাশনাল কনফারেন্স। মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন ওমর আবদুল্লা। যার পর সোমবার ৬ বছর পরে জম্মু ও কাশ্মীর বিধানসভায় অধিবেশন বসেছিল। প্রথম দিনের অধিবেশনেই ৩৭০ ধারা বাতিল নিয়ে তীব্র উত্তেজনার সৃষ্টি হল। এদিন মেহবুবা মুফতির দল পিপলস ডেমোক্রেটিক পার্টি (পিডিপি)-র বিধায়ক ওয়াহিদ পাররা ৩৭০ ধারা বাতিলের বিরুদ্ধে প্রস্তাব পেশ করেন। এর বিরোধিতা শরু করে বিজেপি বিধায়কেরা। বিধানসভার স্পিকারও এমন প্রস্তাবের বিরোধিতা করেন। সব মিলিয়ে উত্তেজনা চরমে পৌঁছায়।সোমবারের গোটা অধিবেশনই ছিল ৩৭০ ধারা বাতিল সংক্রান্ত। শুরুতে জম্মু ও কাশ্মীরের উপরাজ্যপাল মনোজ সিন‌হা লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন। অঙ্গিকার করেন, রাজ্যের তকমা ফেরাতে সব ধরনের চেষ্টা চালাবে তাঁর সরকার। উল্লেখ্য, কাশ্মীরের সদ্য গঠিত মন্ত্রিসভাও ৩৭০ বাতিল করে রাজ্যের মর্যাদা পুনরুদ্ধারের প্রস্তাব পাশ করে। রাজ্যপালের বক্তব্যেও সেই প্রসঙ্গ উঠে এল। মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাও বলেন, ২০১৯ সালে ৫ অগস্ট ৩৭০ ধারা বাতিলের যে সিদ্ধন্ত নেওয়া হয়েছিল, তা জম্মু ও কাশ্মীরের মানুষ পছন্দ করেনি।এদিকে অধিবেশনের শুরুতেই এদিন ধ্বনিভোটে স্পিকার মনোনিত হন ন্যাশনাল কনফারেন্স বিধায়ক রহিম রাঠেদার। স্পিকার নির্বাচিত হওয়ার পর তাঁকে শুভেচ্ছা জানান জম্মু ও কাশ্মীর বিধানসভার বিরোধী দলনেতা তথা বিজেপি বিধায়ক সুনীল শর্মা। উল্লেখ্য, ৯০ আসনের জম্মু ও কাশ্মীর বিধানসভায় ন্যাশনাল কনফারেন্স জিতেছে ৪২টি আসনে। বিজেপি জয়ী হয় ২৯টি আসনে। মাত্র ৩টি আসনে জয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে মেহবুবা মুফতির পিডিপিকে।

Card image cap

সীমান্ত থেকে সম্পূর্ণ সেনা প্রত্যাহার ভারত-চিনের!

সীমান্ত সংঘাত মেটানোর পথে আরও একধাপ এগোল ভারত-চিন। সূত্রের খবর, সীমান্ত সংলগ্ন এলাকা থেকে পুরোপুরি সেনা প্রত্যাহার করে নিয়েছে দুই দেশ। দীপাবলি উপলক্ষে বৃহস্পতিবার সীমান্তে মিষ্টি বিলি করবে ভারতীয় সেনা। দিনকয়েক পরেই স্বাভাবিক নজরদারি শুরু হবে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা সংলগ্ন এলাকায়।প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ব্রিকস সামিটে যোগ দেওয়ার ঠিক আগেই সেনা সরানো এবং ২০২০ সাল থেকে তৈরি হওয়া সমস্যাগুলো সমাধান করতে দুই দেশ একমত হয়। মোদির সফরের আগে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন বিদেশসচিব বিক্রম মিস্রি। সেখানেই তিনি বলেন, ”গত কয়েক সপ্তাহ ধরে ভারত এবং চিনের মধ্যস্থতাকারীরা লাগাতার আলোচনা করেছেন। তার পরে বেশ কয়েকটি বিষয় নিয়ে একমত হয়েছে দুই দেশ।” তিনি আরও জানান, সামরিক তৎপরতা কমিয়ে কেবলমাত্র টহলদারির সেই পুরনো ব্যবস্থায় ফিরে যাবে দুই দেশ। চিনের তরফেও একই কথা জানানো হয় বিবৃতি জারি করে।তার পরেই গত সপ্তাহ থেকে শুরু হয় সেনা সরানোর প্রক্রিয়া। উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ৩১ অক্টোবরের আগে পর্যন্ত সীমান্তে স্রেফ টহলদারি চালাত দুই দেশ। গালওয়ান সংঘর্ষের পর থেকে সীমান্তে বাড়তে থাকে। সেনা মোতায়েন করে ভারত-চিন। এমনকি অস্থায়ী ছাউনি-সহ নানা নির্মাণও দেখা যায় সীমান্ত সংলগ্ন এলাকাজুড়ে। তবে সেই সমস্ত কিছুই সরিয়ে নিতে একমত হয়েছে দুই দেশ।সেনা সূত্রে খবর, সীমান্ত থেকে সেনা প্রত্যাহার সম্পূর্ণ হয়েছে। খুব শীঘ্রই ডেমচক এবং দেপসাংয়ে শুরু হবে স্বাভাবিক টহলদারি। বুধবারই দুপক্ষের তরফে গোটা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখা হয়েছে। কীভাবে কোন এলাকায় নজরদারি চলবে সেই নীল নকশাও তৈরি করছেন গ্রাউন্ড কমান্ডাররা। সামরিক তৎপরতা কমিয়ে বৃহস্পতিবার দীপাবলি উদযাপনে মেতে উঠবেন সীমান্তের সেনা জওয়ানরা। মিষ্টি বিতরণ করা হবে চিনা সেনার কাছেও।

Card image cap

৯৫ কেজি মাদক-সহ গ্রেপ্তার তিহাড় জেলের কর্মী

এ যেন নেটফ্লিক্সের জনপ্রিয় টিভি-শো ‘ব্রেকিং ব্যাড’। শুধু চরিত্রগুলি ভিন্ন। এখানে ওয়াল্টার হোয়াইট বা হাইজেনবার্গের ভূমিকা পালন করছিলেন মুম্বইয়ের এক কেমিস্ট। কাঁচামাল জোগাড়ে স্কিনি পেটের দায়িত্ব নিয়েছিলেন তিহাড় জেলের এক কর্মী। দীর্ঘদিন ধরে কারবার চালানোর পর অবশেষে বামাল সমেত পুলিশের জালে অভিযুক্তরা। উদ্ধার হয়েছে ৯৫ কেজি নিষিদ্ধ মাদক। পুলিশের দাবি, এই মাদক কারবারের সঙ্গে মেক্সিকোর সরাসরি যোগ পেয়েছেন তদন্তকারীরা।পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ২৫ অক্টোবর গ্রেটার নয়ডায় তল্লাশি অভিযান চালায় দিল্লি পুলিশ ও এনসিবি। পুলিশের কাছে খবর আসে মেক্সিকোর এক মাদক পাচার চক্র এই কাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত। তল্লাশি অভিযানে ল্যাবে তৈরি ৯৫ কেজি মেথামফেটামিন নামক মাদক উদ্ধার হয়। যা ক্রিস্টাল ও লিকুইড দুই আলাদা রকম ফরম্যাটে পাওয়া গিয়েছে। পুলিশের দাবি মুম্বইয়ের এক কেমিস্ট তৈরি করত এই মাদক। এবং এর কাঁচামাল জোগাড় করে আনত তিহাড় জেলের এক কর্মী। তল্লাশি অভিযান চলাকালীন সেখানে উপস্থিত ছিলেন দিল্লির এক ব্যবসায়ী। তাঁকেও গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের দাবি, ভারতের পাশাপাশি বিদেশেও পাচার করা হত এই অবৈধ মাদক। মাদকের মান কেমন তা পরীক্ষা করতেন দিল্লির এক ব্যক্তি। সব গুণমানের পরীক্ষায় পাশ করার পর তা বিদেশে পাচার করত অভিযুক্তরা। সব মিলিয়ে গ্রেপ্তার হয়েছেন মোট ৪ জন। পুলিশের দাবি, গ্রেপ্তারের পর গত ২৭ অক্টোবর অভিযুক্তদের আদালতে তোলা হলে ৩ দিনের পুলিশ হেফাজত দিয়েছেন বিচারক।উল্লেখ্য, সম্প্রতি রাজধানী দিল্লির দুই জায়গায় অভিযান চালিয়ে ৭ হাজার ৬০০ কোটি বিপুল পরিমাণ মাদক উদ্ধার করে পুলিশ। তালিকায় ছিল ৫৬২ কেজি কোকেন ও ৪০ কেজি হাইড্রোফোনিক মারিজুয়ানা। সেই ঘটনায় গ্রেপ্তার করা হয় একাধিক অভিযুক্তকে। পুলিশের তদন্তে জানা যায়, এই বিরাট মাদক পাচার চক্রের মাস্টারমান্ড বিরেন্দ্র বরোসা নামে এক ব্যক্তি। যিনি বিদেশের মাটিতে বসে ভারতে এই বিশাল মাদক চক্র চালান। সেই সূত্র ধরে গুজরাট, পাঞ্জাব-সহ দেশের নানা প্রান্তে উদ্ধার হয় মাদকের ভাণ্ডার। সম্প্রতি পাঞ্জাবে ৯৮ কেজি হেরোইন ৩২ কেজি ক্যাফিন অ্যানহাইড্রাস ও ১৭ কেজি ডেক্সট্রোমেথরফিন বাজেয়াপ্ত করা হয়। এই মাদকের সঙ্গে পাক যোগ পাওয়া গিয়েছে। এবার নয়ডায় মিলল ৯৫ কেজি মেথামফেটামিন বা ক্রিস্টাল মেথ।

Card image cap

ভারতেই তৈরি হবে সি-২৯৫ বিমান

স্পেনের সংস্থার বিমান সি-২৯৫ ভারতে তৈরি হবে গুজরাটের ভদোদরায়, টাটা গোষ্ঠীর এয়ারক্রাফ্ট কমপ্লেক্সে। এদিন সেই কমপ্লেক্সের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সঙ্গে ছিলেন প্রথমবার ভারত সফরে আসা স্পেনের প্রেসিডেন্ট পেদ্রো সানচেজও। অনুষ্ঠানে প্রয়াত শিল্পপতি রতন টাটার প্রতি শ্রদ্ধা জানান মোদি।ভারতীয় বায়ুসেনার ব্যবহারের জন্য গত ২০ সেপ্টেম্বর স্পেন থেকে ১৬টি সি-২৯৫ বিমান দেশে পৌঁছেছে। পরবর্তী ধাপে আরও ৪০টি বিমান স্পেনের সংস্থা এবং টাটা গোষ্ঠীর সহযোগিতায় ভদোদরার টাটা এয়ারক্রাফ্ট কমপ্লেক্সে তৈরি হবে। টাটা ছাড়াও ভারত ইলেকট্রনিক্স লিমিটেড এবং ভারত ডায়নামিক্স লিমিটেড এবং কয়েকটি বেসরকারি ছোট এবং মাঝারি সংস্থা বায়ুসেনার এই প্রকল্পে যুক্ত। এদিন টাটা এয়ারক্রাফ্ট কমপ্লেক্স উদ্বোধনে প্রয়াত শিল্পপতি রতন টাটার প্রতি শ্রদ্ধা জানান প্রধানমন্ত্রী মোদি। তিনি বলেন, “এই প্রোজেক্ট রতন টাটার মস্তিষ্কপ্রসূত। উনি কিছুদিন আগেই মারা গিয়েছেন। আজ তিনি আমাদের মধ্যে থাকলে খুশি হতেন। অবশ্য তিনি যেখানেই থাকুন নিশ্চয়ই খুশি হবেন।”প্রসঙ্গত, সি-২৯৫ মূলত পণ্যবাহী বিমান। মাঝারি শক্তির ওই পরিবহণ বিমান ছোট রানওয়েতে ওঠানামা করতে সক্ষম। ফলে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা লাগোয়া অ্যাডভান্সড ল্যান্ডিং গ্রাউন্ডগুলি ব্যবহার করতে পারবে সহজে। এর ফলে ভারতীয় সেনার সুবিধা হবে লাদাখ, সিকিম কিংবা অরুণাচলের মতো দুর্গম তথা কঠিন প্রাকৃতিক এলাকায়।

Card image cap

কবে স্বাভাবিক টহলদারি শুরু ভারত-চিন সীমান্তে?

সীমান্তে সেনা সরানো এবং সমস্যা সমাধান করতে একমত হয়েছে ভার‍ত এবং চিন। মউ সই করেছে দুই দেশ। শুরু হয়েছে সেনা সরানোর প্রক্রিয়াও। কিন্তু কবে সীমান্তে শান্তি ফিরবে? সামরিক তৎপরতা শেষে কবে স্বাভাবিক টহলদারি শুরু হবে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায়? সমস্ত প্রশ্নের জবাব দিতে মুখ খুলেছেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর।প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ব্রিকস সামিটে যোগ দেওয়ার ঠিক আগেই সেনা সরানো এবং ২০২০ সাল থেকে তৈরি হওয়া সমস্যাগুলো সমাধান করতে দুই দেশ একমত হয়। মোদির সফরের আগে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন বিদেশসচিব বিক্রম মিস্রি। সেখানেই তিনি বলেন, ”গত কয়েক সপ্তাহ ধরে ভারত এবং চিনের মধ্যস্থতাকারীরা লাগাতার আলোচনা করেছেন। তার পরে বেশ কয়েকটি বিষয় নিয়ে একমত হয়েছে দুই দেশ।” তিনি আরও জানান, সামরিক তৎপরতা কমিয়ে কেবলমাত্র টহলদারির সেই পুরনো ব্যবস্থায় ফিরে যাবে দুই দেশ। চিনের তরফেও একই কথা জানানো হয় বিবৃতি জারি করে।তার পরেই বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হয় সেনা সরানোর প্রক্রিয়া। সূত্রের খবর, ১০-১২টি অস্থায়ী নির্মাণ এবং ১২টি তাঁবু রয়েছে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার দুই পাশে। তার মধ্যে আপাতত একটি তাঁবু সরানো হয়েছে। আগামী কয়েকদিন সময় লাগবে সীমান্ত থেকে সমস্ত কিছু সরিয়ে ফেলতে। ইতিমধ্যেই চারদিং নালা থেকে পশ্চিমে সরেছে ভারতীয় সেনা। পূর্বদিকে সরে গিয়েছে চিনা সেনাও। চলতি সপ্তাহের শেষেই হয়তো সেনা সরানোর প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে বলে সূত্রের খবর।কিন্তু সীমান্তে পুরোপুরি সামরিক তৎপরতা কমবে কবে? জয়শংকরের জবাব, “২০২০ সালের ৩১ অক্টোবরের আগে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় যেমন পরিস্থিতি ছিল, সেটাই আবার ফেরানো হবে। ডেমচক এবং দেপসাংয়ে শুরু হবে স্বাভাবিক টহলদারি। তবে সমস্ত প্রক্রিয়া শেষ হতে কিছুটা সময় লাগবে। সেনা সরিয়ে টহলদারি শুরু করার ক্ষেত্রে এখনও কিছু সমস্যা রয়ে গিয়েছে। সেই নিয়ে এখনও আলোচনা চলছে।” তবে চিনের মোকাবিলা করতে যেভাবে বীরত্বের পরিচয় দিয়েছে সেনা, তার ভূয়সী প্রশংসা করেছেন জয়শংকর।

Card image cap

নবীনের দেখানো পথেই ‘ডানা’ বিজয় ওড়িশার

আশঙ্কা ছিলই। ১৯৯৯ সালে ‘সুপার সাইক্লোনে’ দশহাজার মানুষের মৃত্যু হয় ওড়িশায়। দেখতে দেখতে অনেকগুলো বছর কেটে গেলেও প্রতিটি ঘূর্ণিঝড় ফিরিয়ে আনে সেই স্মৃতি। কিন্তু এবার ‘ডানা’র তাণ্ডবেও ‘মৃত্যুশূন্য’ ওড়িশা। ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী মোহন মাঝি জানিয়েছেন, ‘‘মিশন সফল। ‘ডানা’র তাণ্ডবে রাজ্যে কোনও প্রাণহানি ঘটেনি।’’ কিন্তু এই বিপর্যয় মোকাবিলায় সাফল্যের কৃতিত্ব বিজেপি নিতে চাইলেও ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এসবই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েকের সরকারের পরিকল্পনার সুফল। ২০২১ সালে ‘যশ’ নামের ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় তৎকালীন ওড়িশা সরকারের সাফল্যকে কুর্নিশ করেছিল রাষ্ট্রসংঘও। সেই স্মৃতি ফিরে এল ডানার তাণ্ডবের মধ্যেই।২০০০ সালে ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী হন নবীন। তার আগের বছরই সুপার সাইক্লোনে বিপর্যস্ত হয়েছে ওড়িশা। আর সেই সময় থেকেই পরিকাঠামোর শক্তি বাড়িয়ে বিপর্যয় মোকাবিলায় কোমর বেঁধে নামে নবীন প্রশাসন। ২০০৫ সালে বিপর্যয় মোকাবিলা আইন এবং ২০০১ সালে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী তৈরির বহু আগে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ওড়িশা ডিজাস্টার অথোরিটি তথা ওএসডিএমএ।অচিরেই বিশ্বমানের বিপর্যয় মোকাবিলা ম্যানেজমেন্ট তৈরি হয়ে যায় ওড়িশায়। তার সুফল পেয়েছে রাজ্যবাসী। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, ২০২১ সালে ‘যশে’র তাণ্ডবের মোকাবিলায় ৭ লক্ষ মানুষকে আগেই নিরাপদে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। সেবারের বিপর্যয়ে মৃত্যু হয় ৩ জনের। যা ১৯৯৯ সালের বিপর্যয়ের তুলনায় অনেকাংশে কম। আর এবার ‘ডানা’র ঝাপটে কোনও প্রাণহানিরই খবর মেলেনি। ২০২১ ও ২০১৩ সালে রাষ্ট্রসংঘ প্রশংসা করেছিল ওড়িশা সরকারের প্রয়াসের।রাজনৈতিক মহলের দাবি, ক্ষমতা বদলের পর মাঝির হাত দিয়ে বাস্তবায়িত হয়েছে নবীন পট্টনায়েকের স্বপ্ন। তা যতই মাঝি এই কৃতিত্ব নিজের বলে দাবি করুন, এর পিছনে নবীন পট্টনায়েকের অবদান কোনওভাবেই অস্বীকার করা যায় না। উল্লেখ্য, নবীন বুধবারই রাজ্যবাসীর কাছে আবেদন করেছিলেন ঘুর্ণিঝড়ের সামনে না ঘাবড়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করতে। সব মিলিয়ে ক্ষমতায় না থেকেও, ওড়িশার বিপর্যয়ের মোকাবিলায় না থেকেও রইলেন তিনি, দুই যুগ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী থাকা জনপ্রিয় নেতা নবীন পট্টনায়েক।

Card image cap

‘ডানা’ আতঙ্কে লক্ষাধিক মানুষকে সুরক্ষিত এলাকায় সরাল ওড়িশা প্রশাসন

সময় যত এগোচ্ছে, বাড়ছে হাওয়ার বেগ। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে বৃষ্টিও। ‘ডানা’র দাপটে দুর্যোগের আশঙ্কায় প্রহর গুনছে ওড়িশার উপকূল অঞ্চলের বাসিন্দারা। ওড়িশা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে,  বৃহস্পতিবার প্রায় ৪ লক্ষ মানুষকে সুরক্ষিত জায়গায় সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম। জেলায় জেলায় প্রস্তুত রাখা হয়েছে বিপর্যয় মোকাবিলা দল, ডাক্তার থেকে অ্যাম্বুল্যান্স।আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, ওড়িশার ভিতরকণিকা ও ধামরা বন্দরের মাঝে বৃহস্পতিবার মাঝরাতে আছড়ে পড়বে ঘূর্ণিঝড় ‘ডানা’। এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ওড়িশার ভদ্রক, বালাসোর, জগৎসিংপুর, কেন্দ্রাপাড়ার মতো জেলাগুলি ঝড়ের প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে জানা গিয়েছে। সঙ্গে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি চলবে। পাশের জেলাগুলোও প্রভাব পড়বে। বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার বৃষ্টি চলবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর।ওড়িশার মন্ত্রী সুরেশ পূজারি বলেন, “১৪টি জেলার মধ্যে ৩০০০টি গ্রাম আমরা চিহ্নিত করেছি। ঝড়ের আগে বিপজ্জনক এলাকায় থাকা ১০ লক্ষ ৬০ হাজার ৩৩৬ জনকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।” ওড়িশা সরকারের পক্ষ থেকে ৯টি জেলার পরিস্থিতির উপর নজর রাখতে ৯জন মন্ত্রীকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। সঙ্গে সিনিয়র আইএস অফিসারদের পরিস্থিতির উপর নজর রাখতে বলা হয়েছে। ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী সংবাদমাধ্যমকে বলেন, “রাজ্য সরকার দুর্যোগ মোকাবিলার জন্য প্রস্তুত। সাধারণ মানুষের কাছে আবেদন ভয় পাবেন না। আমরা ক্রমাগত পরিস্থিতির উপর নজর রাখছি।”যে ভিতরকণিকা এলাকায় ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়বে বলে অনুমান করা হচ্ছে, সেই এলাকায় রয়েছে দ্বিতীয় বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ অভয়ারণ্য। সেক্ষেত্রে জলস্তর বৃদ্ধি পেলে কুমির ও জলজ প্রাণী বসতি এলাকায় প্রবেশ করতে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে। রাজনগরের ডিএফও সুদর্শন গোপীনাথ যাদব বলেন, “যদি জলস্তর বৃদ্ধি পায় তাহলে বসতি এলাকায় কুমির ঢুকে যেতে পারে। আমরা দুটি দল গঠন করেছি। তাদের প্রধান কাজ, কুমিরগুলোকে উদ্ধার করা। বাকি পাঁচটি দল গঠন করা হয়েছে বসতি এলাকা থেকে সাপ উদ্ধার করার জন্য।” সব মিলিয়ে দুর্যোগ মোকাবিলায় সম্পূর্ণভাবে প্রস্তুত ওড়িশা প্রশাসন।

Card image cap

‘ডানা’র ভয়ে বন্ধ পুরীর জগন্নাথ মন্দির

ডানার আতঙ্কে বন্ধ করা হল পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের দরজা। সেই সঙ্গে সাময়িকভাবে বন্ধ করা হল কোনারকের মন্দির-সহ ওড়িশার অধিকাংশ দর্শনীয় স্থান। ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত কোনও পর্যটক যেতে পারবেন না এই জায়গাগুলোতে। উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে ওড়িশার ভিতরকণিকা পার্ক এবং ধামরা বন্দরের মধ্যে স্থলভূমিতে আছড়ে পড়বে ঘূর্ণিঝড় ডানা।ডানার মোকাবিলায় সমস্তরকমভাবে প্রস্তুত থাকতে চাইছে ওড়িশার প্রশাসন। যেসমস্ত এলাকাগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে সেখান থেকে সমস্ত মানুষকে সরিয়ে যাওয়া হচ্ছে। উপকূলবর্তী এলাকাগুলো থেকে অন্তত ১০ লক্ষ মানুষকে সরানো হয়েছে বলে প্রশাসন সূত্রে খবর। গড়ে তোলা হয়েছে প্রচুর অস্থায়ী রিলিফ ক্যাম্প। হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস, ওড়িশার ১৪টি জেলা লন্ডভন্ড হতে পারে ডানার দাপটে। ১১০ কিমি বেগে ঝড় হতে পারে ওই এলাকাগুলোতে। এহেন পরিস্থিতিতে ওড়িশার বিপর্যয় মোকাবিলা মন্ত্রী সুরেশ পূজারী আবেদন করেন, ২৪ এবং ২৫ অক্টোবর যেন কেউ পুরীতে না আসেন।তবে বুধবার আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার তরফে নোটিস দিয়ে জানিয়ে দেওয়া হল, ২৪ এবং ২৫ অক্টোবর বন্ধ থাকবে পুরীর জগন্নাথ মন্দির এবং কোনারকের সূর্য মন্দির। এছাড়াও ওড়িশার সমস্ত মনুমেন্ট, মন্দির এবং মিউজিয়াম বন্ধ রাখা হবে। সিমলিপাল টাইগার রিজার্ভ এবং ভিতরকণিকা ন্যাশনাল পার্কও বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ওড়িশার সরকার। এছাড়াও ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে বুধবার থেকে শুক্রবার পর্যন্ত সমস্ত স্কুল ছুটি দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে সমস্ত সরকারি কর্মীর ছুটি বাতিল করেছে প্রশাসন। কর্মীদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তাঁরা যেন বুধবার থেকে শুক্রবার নিজেদের হেড কোয়ার্টারে হাজির থাকেন।ডানার মোকাবিলার পরিকল্পনা করতে সোমবারই উপকূলবর্তী জেলারগুলোর প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী মোহন চরণ মাঝি। ইতিমধ্যেই সেরাজ্যে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর ১১টি টিম মোতায়েন করা হয়েছে। তৈরি আছে সেনা, নৌসেনা এবং উপকূলরক্ষা বাহিনীও। দক্ষিণ-পূর্ব রেলের অন্তত ১৫০টি ট্রেন বাতিল হয়েছে ডানার আতঙ্কে। বুধবার ওড়িশা সফরে যাওয়ার কথা ছিল রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর। সেই সফরও বাতিল করা হয়েছে।

Card image cap

দিল্লির আদালতে ২০ বছরের সাজা যুবককে

সাড়ে তিন বছরের শিশুকন্যাকে ধর্ষণে অভিযুক্ত। বছর চুয়াল্লিশের ওই যুবকই নাবালিকাকে স্কুলে নিয়ে যেতেন এবং স্কুল থেকে বাড়ি পৌঁছে দিতেন। তাকেই ২০১৮ সালের আগস্ট এবং অক্টোবরের মধ্যে একাধিক বার ধর্ষণ করেছেন বলে অভিযোগ ওঠে। এই মামলায় দোষী সাব্যস্ত গাড়ি চালক যুবককে ২০ বছর কারাদণ্ডের সাজা শোনাল দিল্লির আদালত। বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, ঘৃণ্য অপরাধ করেছেন ওই যুবক। তাঁর প্রতি সহানুভূতির কোনও জায়গা নেই।শিশুকন্যাকে ধর্ষণের মামলাটি উঠেছিল দিল্লির অতিরিক্ত দায়রা আদালতে। মামলায় সাজা ঘোষণা করেছেন বিচারক বলবিন্দর সিং। তিনি বলেন, অভিযুক্ত বিবাহিত। ঘটনার গুরুত্ব সম্পর্কে তিনি ওয়াকিবহাল। পরিবারের লোকেরা বিশ্বাস করে নিজের সন্তানের দায়িত্ব তাঁর উপর ছেড়ে দিয়েছিলেন। তার পরেও তিনি এই অপরাধ করেছেন নির্দ্বিধায়। ফলে অভিযুক্তের প্রতি সহানুভূতির কোনও জায়গা থাকতে পারে না। যুবক সামাজিক মূল্যবোধের তোয়াক্কা করেননি। কার্যত ওই পরিবারটির সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন তিনি।শুনানি শেষে আসামিকে ২০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের নির্দেশ দেন বিচারক। এইসঙ্গে নির্যাতিতার পরিবারকে ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ারও নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক বলবিন্দর সিং।

Card image cap

মোদির রুশ সফরের আগেই বিরাট সাফল্য

দীর্ঘ চার বছর পর ভারত-চিন সম্পর্কে উন্নতি। জানা গিয়েছে, গত কয়েক সপ্তাহ ধরে সেনা সরানো নিয়ে দুই দেশের মধ্যে দীর্ঘ আলোচনা হয়েছে। অবশেষে একমত হয়েছে দুই দেশ। তার ফলে সেনা সরানো এবং সীমান্ত সমস্যা মেটাতে ইতিবাচক পদক্ষেপ করবে দুপক্ষই। উল্লেখ্য, আগামী কাল ব্রিকস সম্মেলনে যোগ দিতে রাশিয়া যাবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তার আগেই ভারত-চিন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে বড়সড় উন্নতি হল।মোদির সফরের আগে সোমবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন বিদেশসচিব বিক্রম মিস্রি। সেখানেই তিনি বলেন, ” গত কয়েক সপ্তাহ ধরে ভারত এবং চিনের মধ্যস্থতাকারীরা লাগাতার আলোচনা করেছেন। তার পরে বেশ কয়েকটি বিষয় নিয়ে একমত হয়েছে দুই দেশ। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা সংলগ্ন এলাকায় নজরদারি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তার পরে সেনা সরানো এবং ২০২০ সাল থেকে তৈরি হওয়া সমস্যাগুলো সমাধান করতে দুই দেশ পদক্ষেপ করবে।” তবে সীমান্তে নজরদারি চলবে।উল্লেখ্য, ২০২০ সালে গালওয়ান সংঘাতের পর থেকে সীমান্ত এলাকায় কার্যত যুযুধান ছিল দুই দেশ। তার পর থেকে একাধিকবার দুই দেশের সেনা বৈঠকে বসলেও রফাসূত্র মেলেনি। তবে সীমান্তে শান্তি ফেরাতে গত আগস্ট মাসে ইতিবাচক পদক্ষেপ করে ভারত এবং চিন। দুই দেশের মধ্যে বরফ গলার ইঙ্গিত মিলেছিল সেই বৈঠকেই। অবশেষে সীমান্ত সংঘাত মেটাতে কিছুটা অগ্রসর হল দুই দেশ। সূত্রের খবর, সীমান্ত এলাকা থেকে সেনা সরিয়ে সামরিক তৎপরতা কমাবে ভারত এবং চিন। তবে আগের মতোই প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার এলাকায় চলবে দুই দেশের সেনার নজরদারি। তবে দুই দেশের সেনা ঠিক কোন কোন বিষয়ে সহমত হয়েছে, সেই নিয়ে বিস্তারিত কিছু তথ্য দেননি বিদেশ সচিব। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা সংলগ্ন এলাকায় একাধিক সামরিক নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে বেজিংয়ের বিরুদ্ধে। সেই নিয়ে দুই পক্ষ কোনও সিদ্ধান্ত নিয়েছে কিনা জানা যায়নি। বিশ্লেষকদের মতে, ব্রিকস সম্মেলন চলাকালীন মোদির সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বসতে পারেন চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। তার পরে হয়তো প্রকাশ্যে সরকারিভাবে একমত হওয়ার বিষয়টি ঘোষণা করবে দুই দেশ।