CATEGORY country:

Card image cap

সিআরপিএফ স্কুলের সামনে বিস্ফোরণ!

রবিবার সকালে বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল দিল্লির প্রশান্ত বিহার এলাকা। সিআরপিএফ স্কুলের সামনে ফাটে বোমা। খবর পেয়ে এলাকায় পৌঁছয় বম্ব স্কোয়াড ও পুলিশের দল। তীব্র চাঞ্চল্য এলাকায়। ঘটনায় এখনও পর্যন্ত জখম বা হতাহতের খবর নেই। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন সকাল ৭টা ৫০ নাগাদ পিসিআর কলে তাঁদের কাছে বোমা বিস্ফোরণের খবর আসে। সঙ্গে সঙ্গে দমকলের দুটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে রওনা দেয়। স্কুলের পিছনের দেওয়ালের দিকে বিস্ফোরণ ঘটে। এলাকায় পোড়া গন্ধ ছড়িয়ে পড়া ও দেওয়ালের ক্ষতি ছাড়া কোনও প্রাণহানি হয়নি বলেই খবর। তবে বিস্ফোরণের তীব্রতায় স্কুলের পাশে থাকা দোকান ও দাঁড়িয়ে থাকা গাড়ির কাচ ভেঙেছে বলে জানা গিয়েছে।দিল্লি পুলিশের এক কর্তা বলেন, “খবর পাওয়া মাত্রই আমাদের দল ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। বিস্ফোরণে স্কুলের দেওয়াল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। স্কুলের পাশের দোকান ও দাঁড়িয়ে থাকা গাড়িগুলোর কাচ ভেঙেছে। কেউ জখম হয়নি। বম্ব স্কোয়াডকে ডাকা হয়েছে। দমকলের দলও রয়েছে। ঘটনাস্থল ঘিরে তদন্ত শুরু হয়েছে।”
ঘটনার পর এলাকার নিরাপত্তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। রবিবারে স্কুল বন্ধ থাকায় কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা এড়ানো গিয়েছে। কিন্তু কর্মব্যস্ত দিনে এই ঘটনা ঘটলে কী হত? সেই নিয়েও প্রশ্ন উঠছে।

Card image cap

ঝাড়খণ্ডে চূড়ান্ত কংগ্রেস-জেএমএম আসন সমঝোতা

হরিয়ানার হার থেকে শিক্ষা! ঝাড়খণ্ডের আসন সমঝোতার ক্ষেত্রে অনেক নমনীয় মনোভাব দেখাচ্ছে কংগ্রেস। নিজেদের দাবি থেকে খানিকটা পিছিয়ে এসে ছোট দলগুলিকে জায়গা করে দিচ্ছে হাত শিবির। তবে তাতেও সন্তুষ্ট নয় লালুপ্রসাদ যাদবের দল আরজেডি। তবে জোটের অন্দরে কোনও বিবাদ নেই বলেই দাবি জেএমএম এবং কংগ্রেস নেতৃত্বের।২০১৯ সালের মতোই জেএমএমের নেতৃত্বে ঝাড়খণ্ডে লড়াই করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কংগ্রেস। আগেরবার জেএমএম ৪৩, কংগ্রেস ৩১ এবং আরজেডি ৭ আসনে লড়েছিল। এবারও তেমনই আসনরফার চেষ্টা করা হচ্ছে। তবে বাম দলগুলিকে কোনওভাবে জোটে জায়গা দেওয়া যায় কিনা, সেই চেষ্টাও করা হচ্ছে। সূত্রের খবর, এ বছর জেএমএম এবং কংগ্রেস মিলিয়ে ৮১টির মধ্যে ৭০টি আসনে লড়বে। জেএমএম লড়বে ৪১ আসনে এবং কংগ্রেস লড়তে পারে ২৯ আসনে। বাকি ১১টি আসন ছাড়া হবে জোটসঙ্গীদের জন্য। এর মধ্যে লালুপ্রসাদ যাদবের আরজেডির জন্য ছাড়া হতে পারে ৫-৬টি আসনে। ৪-৫টি আসন যেতে পারে সিপিআইএমএল-লিবারেশনের শিবিরে।কংগ্রেস আগেরবার লড়েছিল ৩১ আসনে। এবার তাঁরা অন্তত ৩৩ আসনে লড়াই করার দাবিতে অনড় ছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ছোট সঙ্গীদের জন্য আসন ছাড়ার জন্য দাবির থেকে অনেকটাই নামতে হল হাত শিবিরকে। তাতেও অবশ্য অখুশি আরজেডি। তারাও অন্তত ১০ আসনের দাবিতে অনড়। সেকারণেই চূড়ান্ত ঘোষণা এখনও বাকি।বিজেপি ইতিমধ্যেই ঝাড়খণ্ডের আসনরফার সূত্র ঘোষণা করে ফেলেছে। ৮১ আসনের মধ্যে বিজেপি প্রার্থী দেবে ৬৮টিতে। ১০টি আসন ছাড়া হচ্ছে জোটসঙ্গী অল ঝাড়খণ্ড স্টুডেন্ট ইউনিয়ন অর্থাৎ আজসুর জন্য। বিহার লাগোয়া ঝাড়খণ্ডে বিহারের দুই জোটসঙ্গী জেডিইউ এবং এলজেপি রামবিলাসকেও জায়গা দিয়েছে গেরুয়া শিবির। নীতীশ কুমারের দল লড়বে দুই আসনে। একটি আসনে লড়বে চিরাগ পাসওয়ানের এলজেপি (রামবিলাস)।

Card image cap

ভারতে কবে থেকে চালু হবে 6G পরিষেবা?

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেছেন, ২০১৪ সালে ভারতে মাত্র দুটি মোবাইল উৎপাদন কেন্দ্র ছিল এবং আজ ২০০টিরও বেশি রয়েছে। আগে আমরা বেশিরভাগ ফোন  বিদেশ থেকে আমদানি করতাম, আজ আমরা ভারতে আগের তুলনায় ৬ গুণ বেশি মোবাইল ফোন তৈরি করছি। আমরা মোবাইল রপ্তানিকারক দেশ হিসেবে পরিচিত এবং এখানেই থেমে থাকিনি।


এখন আমরা চিপস থেকে শুরু করে সমাপ্ত পণ্য পর্যন্ত সম্পূর্ণরূপে ভারতে তৈরি ফোন সরবরাহের কাজে নিযুক্ত রয়েছি। আমরা ভারতে সেমিকন্ডাক্টরগুলিতেও প্রচুর বিনিয়োগ করছি। ইন্টারন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়ন এবং ওয়ার্ল্ড টেলিকমিউনিকেশন স্ট্যান্ডার্ডাইজেশন অ্যাসেম্বলি (ডব্লিউটিএসএ) একসঙ্গে থাকাও গুরুত্বপূর্ণ। ডব্লিউটিএসএ-র লক্ষ্য হল গোবল মান নিয়ে কাজ করা। একই সঙ্গে ইন্ডিয়া মোবাইল কংগ্রেসের  একটি বড় ভূমিকা পরিষেবাগুলির সঙ্গে যুক্ত। বর্তমানে ভারতে গুণগত মানের পরিষেবাগুলির ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। আমরা মানগুলির প্রতিও বিশেষ মনোযোগ দিচ্ছি।


প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজ টেলিকম এবং সংশ্লিষ্ট প্রযুক্তির ক্ষেত্রে ভারত বিশ্বের অন্যতম সুখী দেশ। ভারতে যেখানে ১২০ কোটি মোবাইল ফোন ব্যবহারকারী, ৯৫ কোটি ইন্টারনেট ব্যবহারকারী, যেখানে বিশ্বের ৪০% এরও বেশি ডিজিটাল লেনদেন রিয়েল টাইমে হয়, সেখানে ডিজিটাল সংযোগকে একটি কার্যকর শেষ মাইল বিতরণ সরঞ্জাম হিসাবে দেখানো হয়েছে। একবিংশ শতাব্দীতে ভারতের মোবাইল এবং টেলিকম যাত্রা সমগ্র বিশ্বের জন্য একটি অধ্যয়নের বিষয়। মোবাইল এবং টেলিকমকে  বিশ্বে একটি সুবিধা হিসাবে দেখা হত, কিন্তু ভারতের মডেল কিছুটা আলাদা ছিল। ভারতে আমরা টেলিকমকে শুধু সংযোগের মাধ্যম হিসেবে নয়, সমতা ও সুযোগের মাধ্যম হিসেবে গড়ে তুলেছি। আজ এই মাধ্যম গ্রাম ও শহর, ধনী ও দরিদ্রের মধ্যে ব্যবধান কমাতে সাহায্য করছে।সেখানে বিশ্ব টেলিযোগাযোগের অবস্থা নিয়ে আলোচনা এবং ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনা বিশ্ব কল্যাণের মাধ্যম হয়ে উঠবে।





গত ১০ বছরে ভারত যে অপটিক্যাল ফাইবার  বসিয়েছে, তার দৈর্ঘ্য পৃথিবী ও চাঁদের মধ্যে দূরত্বের ৮ গুণেরও বেশি। দুই বছর আগে মোবাইল কংগ্রেসে আমরা ৫G চালু করেছিলাম, আজ ভারতের প্রায় প্রতিটি জেলা 5G পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। আজ ভারত বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম 5G বাজারে পরিণত হয়েছে এবং এখন আমরা 6G প্রযুক্তি নিয়েও দ্রুত কাজ করছি।

Card image cap

আগামিকাল থেকে কার্যকর হচ্ছে ডিমের নতুন দাম

দেশজুড়ে ডিমের প্রবল আকালের মধ্যে ভারত-সহ অন্যান্য দেশ থেকেও ডিম এসেছে বাংলাদেশে। ফলে কিছুটা থিতু হয়েছে দাম। এবার সেই ডিমের দাম ঠিক করে দিল বাংলাদেশ সরকার। আগামিকাল বুধবার থেকে চালু হবে ডিমের নতুন দাম।



বেজে গেল ভোটের বাজনা, কালীপুজো মিটলেই ৬ বিধানসভায় তৃণমূলের অগ্নিপরীক্ষা


মঙ্গলবার দুপুরে ডিম উৎপাদক এবং সরবরাহকারীদের সঙ্গে বৈঠক শেষে ভোক্তা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ আলীম আখতার খান নতুন ওই মূল্য নির্ধারণের কথা ঘোষণা করেন।


আলীম আখতার জানান, উৎপাদক পর্যায়ে ১০ টাকা ৯১ পয়সা; পাইকারিতে ১১ টাকা ১ পয়সা ও খুচরায় ১১ টাকা ৮৭ পয়সায় ডিম বিক্রির সিদ্ধান্ত হয়েছে। বুধবার থেকে ওই মূল্য কার্যকর হবে। নতুন মূল্য কার্যকরের পর ভোক্তা পর্যায়ে প্রতি ডজন কিনতে খরচ হবে ১৪২ টাকা ৪৪ পয়সা। নির্ধারিত দামের চেয়ে যাতে বেশি মূল্যে ডিম বিক্রি না করা হয় সেজন্য জনসচেতনতা সৃষ্টি করা হবে। তারপরেও বেশি দামে ডিম বিক্রি হলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


ডিমের দাম বাড়ার কারণ হিসেবে মনে করা হচ্ছে উত্পাদক ও বিক্রেতার মধ্যে অন্য অনেকের ঢুকে যাওয়া। কথা বলে উৎপাদনকারী, পাইকারি বিক্রেতা ও খুচরা পর্যায় বাদে অন্যান্য স্তরগুলো বিলুপ্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন মোহাম্মদ আলীম আখতার খান।


প্রসঙ্গত রাজধানী ঢাকার বেশ কয়েকটি বাজারে লাল ও সাদা ডিম ডজনপ্রতি ১৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এলাকার দোকানগুলোয় ১৯০ টাকা পর্যন্ত দামে ডিম বিক্রি হচ্ছে। এরপরেই এই ব্য়বস্থা নিল সরকার।

Card image cap

অমিত শাহের পদত্যাগ- বেলা গড়াতেই জানিয়ে দেওয়া হল


অমিত শাহের পদত্যাগ নিয়ে এবার বড় দাবি করলেন শিবসেনা  সাংসদ সঞ্জয় রাউত। বেলা গড়াতেই তিনি সংবাদ সম্মেলন করে এই বিষয়ে জানিয়ে দিলেন। তিনি দাবি করেছেন, অজিত পাওয়ারের উচিত অমিত শাহের পদত্যাগ দাবি করা।


তিনি বলেছেন, "আমি আগেও বলেছিলাম যে এই সরকারের পরে মুম্বাইয়ে গ্যাং ওয়ার এবং আন্ডারওয়ার্ল্ডের শক্তি বাড়তে পারে।


এই সরকারেরও আন্ডার ওয়ার্ল্ডের সমর্থন রয়েছে এবং সেই আন্ডারওয়ার্ল্ড গুজরাট থেকে পরিচালিত হচ্ছে। আজ গুজরাটে ৫ হাজার কোটি টাকার ওষুধ বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এর অর্থ হল ৫০ হাজার কোটি টাকার ওষুধ ইতিমধ্যেই দেশে বিতরণ করা হয়েছে। গুজরাটের সবরমতি জেলে বন্দী এবং গুজরাট এটিএস-এর হেফাজতে থাকা এক গ্যাংস্টার বাবা সিদ্দিকের হত্যার দায় নেয়। গুজরাটের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর জন্য এটি একটি চ্যালেঞ্জ। অজিত পাওয়ারের উচিত অমিত শাহের পদত্যাগ দাবি করা। তিনি  অক্ষয় শিন্ডেকে  গুলি করার পর নিজেকে সিংহম ঘোষণা করেছিলেন। এখন এই 'সিংহমগিরি' এখানে দেখান। যদি আপনার সাহস থাকে এবং আপনি একজন মানুষ হন, তাহলে বাবা সিদ্দিকী হত্যা মামলার ষড়যন্ত্রকারীদের মুখোমুখি হোন।” তার এই বক্তব্যে চরম শোরগোল শুরু হয়েছে।



Card image cap

কোন রোগে মৃত্যু হল রতন টাটার, জানেন?


  স্বাস্থ্য সংক্রান্ত আলোচনায় বেশিরভাগ সময়েই প্রাধান্য পায় উচ্চ রক্তচাপ জনিত সমস্যা। এর সঙ্গে একই ভাবে নিম্ন রক্তচাপ বা লো ব্লাড প্রেশারের ফলেও কিন্তু মানবদেহে বিভিন্ন সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে। চিকিৎসা বিজ্ঞানের পরিভাষায় লো ব্লাড প্রেশার বা নিম্ন রক্তচাপকে বলা হয় হাইপোটেনশন। ফের হাইপোটেনশন নিয়ে আলোচনা হল রতন টাটার মৃত্যুকে কেন্দ্র করে।


  হৃদ্‌রোগ চিকিৎসক শাহরুখ আসপি গোলওয়ালা রতন টাটার চিকিৎসার দায়িত্বে ছিলেন। তিনি জানান, রতন টাটা নিম্ন রক্তচাপ বা হাইপোটেনশনের সমস্যায় ভুগছিলেন বেশ কিছু দিন ধরে। এই রোগের কারণেই তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। হাইপোটেনশনের কারণে তাঁর শরীরের অন্য অঙ্গগুলির কার্যকারিতাও নষ্ট হতে শুরু করে। এর পাশাপাশি শেষের দিকে তাঁর শরীরে জলের মাত্রাও কমতে শুরু করেছিল বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।


  কী এই হাইপোটেনশন? এক ধাক্কায় রক্তচাপের মাত্রা অনেকটা নেমে গেলেই শুরু হয় সমস্যা। এমনকি বাড়াবাড়ি হলে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। জিনগত কারণের পাশাপাশি ডিহাইড্রেশন অর্থাৎ শরীরে জল কমে যাওয়া এবং অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় মহিলাদের নিম্ন রক্তচাপের সমস্যা হতে পারে।


  নিম্ন রক্তচাপের সমস্যায় কী কী লক্ষণ দেখা যায়? হঠাৎ করে রক্তচাপ কমে গেলে শরীরে অসম্ভব দুর্বলতা দেখা দেবে। মাথা ঘোরানো, ঝিম ধরা ভাব, কোনও কিছুর সাপোর্ট ছাড়া ২-৩ স্টেপ হাঁটতেও সমস্যা হতে পারে। সবসময়ই মনে হতে পারে শরীরে কোনও শক্তি নেই, যখন তখন আপনি পড়ে যেতে পারেন।


  প্রেশার আচমকা কমে গেলে কিংবা যাঁরা হাইপোটেনশনের রোগী, তাঁরা যখন তখন মাথা ঘুরে পড়ে যেতে পারেন। সবসময়ই মাথায় একটা ঝিম ধরা ভাব থাকতে পারে। মাথা ঘোরাতে পারে।


  রক্তচাপ কমে গেলে আপনি জল তেষ্টা অনুভব করবেন। অর্থাৎ মনে হবে আপনার ভীষণ জল তেষ্টা বা জল পিপাসা পেয়েছে, যেন অনেকক্ষণ জল খাননি। ঠোঁট শুকিয়ে যেতে পারে। অর্থাৎ রক্তচাপ কমে গেলে শরীরে জলের ঘাটতি হতে পারে।


  নিম্ন রক্তচাপের কারণে চোখে ঝাপসা দেখতে পারেন। সামনের সবকিছুই কেমন যেন অন্ধকার, ঝাপসা, ধোঁয়াশা মতো লাগতে পারে। অর্থাৎ চোখের ক্লিয়ার ফোকাসের ক্ষেত্রে সমস্যা দেখা দিতে পারে।


  এই সমস্যা এড়াতে কী কী করবেন? বেশি করে জল খান। শরীরে জলের ঘাটতি হতে দেবেন না। অ্যালকোহল অর্থাৎ মদ্যপান এড়িয়ে চলুন। সোডিয়াম যুক্ত খাবান খান। টোম্যাটোর রস খেতে পারেন রোজ। বিছানা থেকে ওঠার আগে পা মাটিতে দিন। একটু অপেক্ষা করে তারপর উঠুন।

Card image cap

প্রয়াত কিংবদন্তি শিল্পপতি রতন টাটা, ৮৬ বছর বয়সে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ

কিংবদন্তি শিল্পপতি রতন টাটা শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন। প্রয়াণকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৬ বছর। দেশের বৃহত্তম ব্যবসায়িক ট্রাস্ট টাটা সন্সের অনারারি চেয়ারম্যান রতন টাটা মুম্বাইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে ভর্তি হন। বয়স বাড়ার কারণে, তার অনেক সমস্যা ছিল। দেশজুড়ে মানুষের মধ্যে শোকের ছায়া।


রতন টাটার নেতৃত্বে টাটা গ্রুপ একের পর এক সাফল্যের শিখরে ওঠে। রতন টাটা ১৯৯১ সালে টাটা গ্রুপের চেয়ারম্যান হন এবং তখন থেকে তিনি আর পিছনে ফিরে তাকাতে পারেননি। তিনি ২০১২ সাল পর্যন্ত এই পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন। তিনি ১৯৯৬ সালে টাটা পরিষেবাদি এবং ২০০৪ সালে টাটা কনসালটেন্সি সার্ভিসেসের মতো সংস্থাগুলি প্রতিষ্ঠা করেন।


নম্র আচরণের জন্য বিখ্যাত রতন টাটা বর্তমানে স্যার রতন টাটা ট্রাস্ট এবং অ্যালাইড ট্রাস্টের পাশাপাশি স্যার দোরবজি টাটা ট্রাস্ট এবং অ্যালাইড ট্রাস্ট সহ টাটা ট্রাস্টের চেয়ারম্যান।


ভারতের ব্যবসায়িক জগতে রতন টাটার খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ও অবদান রয়েছে। তাকে ভারতের দুটি সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরষ্কার পদ্ম বিভূষণ ২০০৮ এবং পদ্ম ভূষণ ২০০০ ভূষিত করা হয়েছে। তিনি মর্যাদাপূর্ণ ক্যাথেড্রাল এবং জন কানন স্কুল, বিশপ কটন স্কুল (শিমলা), কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয় এবং হার্ভার্ডের প্রাক্তন শিক্ষার্থী।


রতন টাটা জন্মগ্রহণ করেছিলেন ১৯৩৭ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর। কোটিপতি হলেও তাঁর ব্যবহার ও জীবনযাত্রা ছিল মাটির কাছাকাছি। তাঁর সঙ্গে সম্পর্কিত এমন অনেক গল্প রয়েছে, যা প্রমাণ দেয় যে প্রচারের আড়ালে হাজার হাজার লোককে সহায়তা করেছিলেন তিনি। এছাড়াও, দেশের অগ্রগতিতে রতন টাটার অবদান কখনই ভোলা যাবে না।

Card image cap

রতন টাটার অবস্থা 'ক্রিটিকাল' বলে সূত্রর দাবি

 রতন টাটার শারীরিক অবস্থার অবনতি। গুরুতর অসুস্থ টাটা সন্সের চেয়ারম্যান এমেরিটাস। মুম্বইয়ের এক হাসপাতালে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র অর্থাৎ, আইসিইউ-তে আছেন তিনি। বুধবার (৯ অক্টোবর) সন্ধ্যায়, ওয়াকিবহাল সূত্রকে উল্লেখ করে এমনটাই বলা হয়েছে টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে।




গত সোমবার, মুম্বইয়ের বিচ ক্যান্ডি এলাকার এক হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন ৮৬ বছরের এই প্রবীণ শিল্পপতি।


সেই সময়ই তাঁর শারীরিক অবস্থা নিয়ে আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল তাঁর অনুরাগী মহলে। প্রাথমিকভাবে শোনা গিয়েছিল, আচমকা অতি দ্রুত তাঁর রক্তচাপ নেমে যাওয়ার কারণে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছে।


পরে অবশ্য নিজেই সেই আশঙ্কা দূর করেছিলেন রতন টাটা। সকলকে আশ্বস্ত করে তিনি জানিয়েছিলেন, বয়সজনিত কারণে ও বিভিন্ন অসুস্থতার কারণে, তাঁকে নিয়মিত চিকিৎসগত পরীক্ষা-নিরীক্ষা করাতে হয়। সেই ‘রুটিন চেকআপে’র জন্যই তিনি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। টাটা গোষ্ঠীর পক্ষ থেকে বা রতন টাটার নিজের কার্যালয় থেকে অবশ্য এখনও পর্যন্ত রতন টাটার শারীরিক অবস্থার সম্পর্কে কিছু জানানো হয়নি।


খবরটি সদ্য এসে পৌঁছেছে। বিস্তারিত বিবরণ আসছে কিছুক্ষণের মধ্যেই। আপনার কাছে দ্রুততার সঙ্গে খবর পৌঁছে দেওয়াই আমাদের প্রয়াস। তাই সব খবরের লেটেস্ট আপডেট পেতে এই পেজটি রিফ্রেশ করতে থাকুন। পাশাপাশি অন্যান্য খবরের জন্য ক্লিক করুন এখানে।

Card image cap

দিল্লি বিধানসভায় ‘অবনমন’ কেজরির

নতুন মুখ্যমন্ত্রী পেয়েছে দিল্লি। তার পরেই বদলে গেল দিল্লি বিধানসভার আসন বিন্যাস। দীর্ঘ ৯ বছর ধরে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী থাকা অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আসন অনেকখানি পিছিয়ে দেওয়া হল। দিল্লি বিধানসভার নাম্বার ওয়ান হলেন মুখ্যমন্ত্রী অতিশী মারলেনা। বিরোধী দলনেতা-সহ আরও বেশ কয়েকজন বিধায়কের আসন রদবদল করা হয়েছে দিল্লি বিধানসভায়। উল্লেখ্য, গত শনিবার দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিয়েছিলেন অতিশী।আবগারি দুর্নীতি মামলায় মার্চ মাসে গ্রেপ্তার হন কেজরিওয়াল। তার পর জেল থেকেই মুখ্যমন্ত্রীত্ব সামলেছিলেন আপ সুপ্রিমো। তবে জামিনে মুক্তি পাওয়ার পরে মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন তিনি। ফলে দীর্ঘ ৯ বছরের পুরনো কুর্সিও ছাড়তে হয়েছে কেজরিকে। এতদিন বিধানসভার এক নম্বর আসনটি বরাদ্দ ছিল তাঁর জন্য। এবার থেকে কেজরি বসবেন ৪১ নম্বর আসনে। প্রথম আসনে বসবেন নতুন মুখ্যমন্ত্রী অতিশী। দ্বিতীয় স্থান বরাদ্দ করা হয়েছে মন্ত্রী সৌরভ ভরদ্বাজের জন্য।সদ্য মন্ত্রিসভায় জায়গা পাওয়া মুকেশ অহল্যাতকে ১৪ নম্বর আসন দেওয়া হয়েছে। আবগারি মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া দিল্লির তৎকালীন উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়া বসবেন কেজরির পাশেই, অর্থাৎ ৪০ নম্বর আসনে। ২ নম্বর থেকে ৮ নম্বর আসনে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে কৈলাস গেহলটকে। তাৎপর্যপূর্ণভাবে, ৯৪ নম্বর আসন থেকে ১০০ নম্বর আসনে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে বিরোধী দলনেতা বিজেন্দর গুপ্তাকে।দিল্লি বিধানসভায় কেজরির আসনে বসলেও মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তরে অবশ্য আপ সুপ্রিমোর চেয়ারে বসতে রাজি হননি অতিশী। গত সোমবার দপ্তরে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব নেন অতিশী। আপ নেত্রীর কথায়, “ভরতের মতো আজ আমিও একটা দায়িত্বভার বহন করছি। যেভাবে তিনি রামের পাদুকা সিংহাসনে রেখে রাজ্যশাসন করতেন, আমিও সেভাবেই আগামী চার মাস দিল্লিকে পরিচালনা করব।” অতিশীর বিশ্বাস, মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সি কেবলই কেজরিওয়ালের।

Card image cap

প্যান ডি, প্যারাসিটামল ছাড়া ৫০ টিরও বেশি ওষুধকে নিম্নমানের তকমা

rugs Failing Quality Tests: গ্য়াস হলেই প্যান ডি  খান ? মাথা ধরলে বা সামান্য জ্বরেই প্যারাসিটামল  হাতরান, তাহলে আপনার জন্য রয়েছে খারাপ খবর। দেশের ওষুধের Medicines গুণমান নিরীক্ষণ সংস্থা জানিয়েছে, দেশের বাজারে চলছে এরকম ৫০ টিরও বেশি নিম্নমানের ওষুধ।


কোন-কোন পরিচিত ওষুধ নিন্মমানের ধরা পড়েছে

ভিটামিন সি এবং ডি 3 ট্যাবলেট শেলকাল, ভিটামিন বি কমপ্লেক্স, ভিটামিন সি সফটজেল, অ্যান্টিঅ্যাসিড প্যান-ডি, প্যারাসিটামল ট্যাবলেট আইপি 500 মিলিগ্রাম, অ্যান্টি-ডায়াবেটিক ড্রাগ গ্লিমিপিরাইড, উচ্চ রক্তচাপের ওষুধ টেলমিসার্টান এবং আরও মোট 53 টি সর্বাধিক বিক্রিত ওষুধ নিম্নমানের ধরা পড়েছে। সম্প্রতি ওষুধ নিয়ন্ত্রকের গুণমান পরীক্ষায় উথরোতে ব্যর্থ হয়েছে এই মেডিসিনগুলি।


এই নামী কোম্পানিগুলির ওষুধও নিম্নমানের বেরিয়েছে

এই ওষুধগুলি Hetero Drugs, Alkem Laboratories, Hindustan Antibiotics Limited , Karnataka Antibiotics & Pharmaceuticals Ltd, Meg Lifesciences, Pure & Cure Healthcare এবং আরও অনেক কোম্পানি তৈরি করে। দেশের ড্রাগ রেগুলেশন ওয়াচডগ সেন্ট্রাল ড্রাগস স্ট্যান্ডার্ডস কন্ট্রোল অর্গানাইজেশন  প্রকাশিত আগস্টের "নট অফ স্ট্যান্ডার্ড কোয়ালিটি  সতর্কতা" অনুসারে 50 টিরও বেশি ওষুধকে NSQ বা নিম্নমানের ঘোষণা করা হয়েছে। NSQ-র মাসিক ভিত্তিতে অগোছাল নমুনা পরীক্ষার ফলস্বরূপ এই রিপোর্ট পাওয়া গেছে।


এই নিয়ে কী বলছে কোম্পানি

দেশের নামী কোম্পানিগুলির ওষুধ নিম্নমানের হওয়ায় ইতিমধ্যেই মুখ খুলেছে কর্তৃপক্ষ। Hetero Drugs, Alkem Laboratories, Hindustan Antibiotics Limited  এবং কর্ণাটক অ্যান্টিবায়োটিকস অ্যান্ড ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড সহ বেশ কয়েকটি শীর্ষস্থানীয় ফার্মা কোম্পানি ওই ব্যাচের ওষুধগুলিকে জাল বলেছে। তাদের দাবি, এগুলি তারা তৈরি করেনি। 


জনপ্রিয় ওষুধ গুণমান পরীক্ষায় ব্যর্থ হচ্ছে

সুপরিচিত উচ্চ রক্তচাপের ওষুধ তেলমিসার্টনের একাধিক ব্যাচ মান পরীক্ষায় ব্যর্থ হয়েছে। এই ওষুধগুলি হরিদ্বার-ভিত্তিক ওষুধ প্রস্তুতকারী লাইফ ম্যাক্স ক্যান্সার ল্যাবরেটরি তৈরি করেছিল। 

পাকস্থলীর সংক্রমণের চিকিৎসার জন্য একটি জনপ্রিয় ওষুধ, মেট্রোনিডাজল, PSU হিন্দুস্তান অ্যান্টিবায়োটিক লিমিটেড  দ্বারা উত্পাদিত, পরীক্ষায় ব্যর্থ হওয়া ওষুধের অংশ। একইভাবে, শেলকাল, টরেন্ট ফার্মাসিউটিক্যালস দ্বারা বিক্রি করা এবং উত্তরাখণ্ড-ভিত্তিক পিওর অ্যান্ড কিউর হেলথকেয়ার দ্বারা উত্পাদিত, পরীক্ষায় ব্যর্থ হয়েছে।


কোন-কোন ওষুধের নাম রয়েছে

অ্যালকেম হেলথ সায়েন্সের অ্যান্টিবায়োটিক ড্রাগ ক্লাভাম 625 এবং প্যান ডি কলকাতার একটি ওষুধ-পরীক্ষা ল্যাবরেটরিতে জাল পাওয়া গেছে। একই ল্যাবে হায়দ্রাবাদ-ভিত্তিক হেটেরোর সেপোডেম এক্সপি 50 ড্রাই সাসপেনশনটি জাল পাওয়া গেছে। ওষুধটি শিশুদের গলা, ফুসফুস, মূত্রনালীর বা আরও কিছু গুরুতর ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের চিকিত্সার জন্য ব্যবহার করা হয়। কর্ণাটক অ্যান্টিবায়োটিকস অ্যান্ড ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের প্যারাসিটামল ট্যাবলেটগুলিও নিম্নমানের তালিকায় রয়েছে।


সান ফার্মার উত্পাদিত ওষুধের মধ্যে রয়েছে অ্যাসিড রিফ্লাক্স ড্রাগ প্যান্টোসিড, ইরেক্টাইল ডিসফাংশন ড্রাগ পুলমোসিল এবং পিত্তথলি দ্রবীভূতকারী ওষুধ উরসোকল 300। অন্যান্য ওষুধগুলি হল গ্লেনমার্কের টেলমা এইচ, একটি জনপ্রিয় উচ্চ রক্তচাপের ওষুধ এবং ম্যাক্লিওডস ফার্মার আর্থারাইটিসের ওষুধ ডিফকোর্ট 6।


ওইসব ওষুধ নকল বলছে নির্মাতারা

ওষুধ নিয়ন্ত্রক দ্বারা প্রকাশিত NSQ সতর্কতা তালিকার দ্বিতীয় অংশে দেশের শীর্ষ ওষুধ প্রস্তুতকারকদের দ্বারা উত্পাদিত পাঁচটি ওষুধের তালিকা রয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে সান ফার্মাসিউটিক্যালসের তিনটি ওষুধ, একটি গ্লেনমার্কের এবং অন্যটি ম্যাক্লিওডস ফার্মার। এই মাসে, CDSCO দুটি ভিন্ন তালিকা পোস্ট করেছে। 


সান ফার্মার একজন মুখপাত্রও একই প্রসঙ্গ উত্থাপন করেছেন। “আমরা বিষয়টি তদন্ত করে দেখেছি যে Pulmosil , ব্যাচ নং KFA0300; প্যান্টোসিড প্যান্টোপ্রাজল ট্যাবলেট আইপি, ব্যাচ নম্বর SID2041A, এবং Ursocol 300 Ursodeoxycholic অ্যাসিড ট্যাবলেট আইপি, ব্যাচ নম্বর GTE1350A নকল। নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ দ্বারা পরীক্ষিত উল্লিখিত ব্যাচগুলি সান ফার্মা দ্বারা তৈরি করা হয়নি।"

Card image cap

পুজোর মুখে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের উপহার

পুজোর মুখে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের জন্য সুখবর। জম্মু-কাশ্মীর, লাদাখ, আন্দামান-নিকোবর ও উত্তর পূর্ব ভারতে বেড়াতে যাওয়ার ক্ষেত্রে লিভ ট্র্যাভেল কনসেশন বা এলটিসির মেয়াদ দু'বছর বৃদ্ধি করল নরেন্দ্র মোদী সরকার। চলতি বছরের ২৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এই প্রকল্পের সুবিধা পাওয়ার কথা ছিল।


যা ২০২৬ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পাবেন কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীরা। 


সম্প্রতি এলটিসি নিয়ে কর্মিবর্গ মন্ত্রকের তরফে একটি নির্দেশিকা জারি করা হয়। সেখানে বলা হয়েছে, জম্মু-কাশ্মীর, লাদাখ, আন্দামান-নিকোবর ও উত্তর-পূর্বের যে কোনও জায়গায় ভ্রমণের ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীরা এলটিসির সুবিধা পাবেন। চার বছরের যে ব্লক পিরিয়ড থাকে তার মধ্যেই এই জায়গাগুলিকে ভ্রমণের জন্য বেছে নিলে এলটিসির সুবিধা মিলবে। 


এ ছাড়া যে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীরা এলটিসিতে বিমানে ভ্রমণের সুবিধা পান না, তাঁদের জন্যে পুজোর মুখে বড় ঘোষণা করেছে মোদী সরকার। এই চারটি জায়গায় বেড়াতে গেলে যে কোনও উড়ান সংস্থার ইকোনমি ক্লাসের টিকিটের ভাড়া তাঁদের দেওয়া হবে। নির্দেশিকায় যা উল্লেখ করেছে কর্মিবর্গ মন্ত্রক। 


অন্য দিকে যে কর্মচারীরা এলটিসিতে বিমান ভ্রমণের সুবিধা পান, তাঁরা সদর দফতর থেকেই উড়ান টিকিট বুকিং করতে পারবেন। পদ অনুযায়ী যে ক্লাসের কথা বলা রয়েছে, সেই মতো টিকিট বুকিং করতে হবে। 


যাঁরা বিমানে ভ্রমণের সুবিধা পান না, তাঁদের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট কয়েকটি রুটের উল্লেখ করেছে কেন্দ্র। সেগুলি হল, কলকাতা/গুয়াহাটি থেকে উত্তর-পূর্বের যে কোনও জায়গা, কলকাতা/চেন্নাই/বিখাশাপত্তনম থেকে পোর্ট ব্লেয়ার, দিল্লি/অমৃতসর থেকে জম্মু-কাশ্মীর ও লাদাখের যে কোনও জায়গা।

Card image cap

বন্ধ হয়ে গেল পুরীর জগন্নাথ মন্দির!

  *কিছুক্ষণেই বন্ধ হয়ে যাচ্ছে পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের দরজা। আজ শনিবার ২১ সেপ্টেম্বর থেকে আগামী তিনদিন বন্ধ থাকবে পুরীর জগন্নাথ মন্দির। সংগৃহীত ছবি।


  *২১, ২২ ও ২৩ সেপ্টেম্বর অর্থাৎ আগামী শনিবার, রবিবার ও সোমবার দুপুর থেকে জগন্নাথের মন্দির বন্ধ থাকবে। সংগৃহীত ছবি।


  *জানা গিয়েছে, ১৮ সেপ্টেম্বর পুরী জগন্নাথ মন্দির কর্তৃপক্ষ এএসআইয়ের ডিরেক্টর জেনারেলকে একটি চিঠি দেয়।


তাতে মন্দিরের রত্নভাণ্ডারের সমীক্ষার কাজ সেপ্টেম্বরের ২৪ তারিখের মধ্যে শেষ করার অনুরোধ জানায়। কারণ সেপ্টেম্বর শেষ হলেই কার্তিক মাস। তার আগে জগন্নাথদেবের পুজো থাকে। তাই ওই সময়ের মধ্যে সমীক্ষা শেষ করার অনুরোধ করা হয়েছিল। সংগৃহীত ছবি।


  *ফলে আজ শনিবার থেকে আগামী তিনদিন বন্ধ থাকবে পুরীর জগন্নাথ মন্দির। শনিবার থেকে এএসআই জগন্নাথ মন্দিরের রত্নভাণ্ডারের সমীক্ষার কাজ শুরু করবে। সংগৃহীত ছবি।


  *মন্দির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এই তিনদিন দুপুর থেকে সন্ধে পর্যন্ত বন্ধ থাকবে পুরীর জগন্নাথ মন্দির পুরাতাত্ত্বিক সর্বেক্ষণের জন্য। এএসআই দুপুর ১'টা থেকে সন্ধে ৬'টা পর্যন্ত জগন্নাথ মন্দিরের রত্নভাণ্ডারের সমীক্ষার কাজ করবে। সংগৃহীত ছবি।


  *কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এই তিনদিন নির্দিষ্ট সময়ে মন্দিরে ভক্তদের যাতায়াত নিয়ন্ত্রণ করা হবে। বন্ধ থাকবে মন্দিরের সব দ্বারই।

Card image cap

আপনার বাচ্চার জন্য পেনশন প্রকল্প

বয়স বাড়লে টাকার টেনশন শেষ। বাবা মায়েরা বাচ্চাদের জন্য আগেভাগেই করে রাখতে পারবেন পেনশন পরিকল্পনা। সামান্য কিছু টাকা দিয়ে বিনিয়োগ শুরু করলেই যথেষ্ট। এই সবটা নিশ্চিত করেই নির্মলা সীতারামন চালু করেছেন ন্যাশনাল পেনশন সিস্টেম বাৎসল্য প্রকল্প। পেনশন ফান্ড রেগুলেটরি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অথরিটির অধীনে সহায়তা করবে ছোটদের পেনশন প্প্রকল্প। একইসঙ্গে লোকসভা ও বিধানসভা ভোট! 'এক দেশ, এক নির্বাচন'-র রিপোর্টে অনুমোদন সরকারের


অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন বুধবার এই প্রকল্প চালু করেছেন। ছোটদের জন্মদিনের পার্টিতে তাদের উপহারের সঙ্গে এনপিএস বাৎসল্য উপহার দেওয়ার কথা বলেছেন অর্থমন্ত্রী। তিনি এদিন আরও বলেন, আগে যদি এমন সুবিধা থাকত, তাহলে আজ প্রত্যেক প্রবীণ নাগরিকই পেনশন পেতেন।


১০০০ টাকা অনুদান দিয়ে অ্যাকাউন্ট খোলা যাবে


এখন থেকে প্রত্যেক বাবা মা বার্ষিক মাত্র ১০০০ টাকা জমা করে দিয়ে এনপিএস বাৎসল্য প্রকল্পের অ্যাকাউন্ট খুলতে পারেন।১৮ বছরের কম বয়সী শিশুদের জন্য এই অ্যাকাউন্ট খোলা যাবে। এরপর ওই বাচ্চার বয়স ১৮ বছর পূর্ণ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই অ্যাকাউন্টটি নিজে একটি সাধারণ ন্যাশনাল পেনশন অ্যাকাউন্টে রূপান্তরিত হয়ে যাবে। তারপর ঠিক ৬০ বছর বয়সের পরে তাঁরা পেনশন আকারে এই ন্যাশনাল পেনশন সিস্টেম তহবিলের সুবিধা পেতে থাকবেন।



ন্যাশনাল পেনশন সিস্টেম বাৎসল্য প্রকল্পের কিছু বিশেষ বৈশিষ্ট্য


১৮ বছর বয়স পর্যন্ত প্রত্যেক নাবালক নাগরিক এই প্রকল্পের যোগ্য।

এই প্রকল্পের একটি অ্যাকাউন্ট খুলতে, বার্ষিক মাত্র ১০০০ টাকা বিনিয়োগ করলেই হবে। এর কোনও সর্বোচ্চ সীমা নেই।

অ্যাকাউন্টটি যে কোনও ব্যাঙ্ক, পোস্ট অফিসে বা ই-এনপিএস-এর মাধ্যমে খোলা যেতে পারে।

অ্যাকাউন্টটি খুলতে প্রয়োজনীয় নথি হিসাবে নাবালকের জন্ম তারিখ, অভিভাবকের কেওয়াইসি-র জন্য আধার, ড্রাইভিং লাইসেন্স ইত্যাদির সঙ্গে রাখবেন।

নাবালকের এই অ্যাকাউন্টটি অভিভাবকরা চালাবেন।

১৮ বছর বয়স হলে সমস্ত নাগরিকদের জন্য এই স্কিম সরাসরি এনপিএস-এ স্থানান্তর করা হবে।



বর্তমানে, দেশের জনসংখ্যার ৩১ শতাংশের বয়স ১৮ বছরের কম। চলতি অর্থবছর ২০২৪-২৫-এর বাজেটে এনপিএস বাৎসল্য প্রকল্প চালু করাইর ঘোষণা করা হয়েছিল। অর্থ প্রতিমন্ত্রী পঙ্কজ চৌধুরী এই অনুষ্ঠানে বলেছিলেন যে নতুন প্রজন্মের আর্থিক ও অর্থনৈতিক সুরক্ষা সহ একটি উন্নত ভারত তৈরির কথা মাথায় রেখে, ন্যাশনাল পেনশন সিস্টেম বাৎসল্য প্রকল্প শুরু করা হয়েছে।

Card image cap

কাশ্মীরে দাঁড়িয়ে বিরোধীদের তোপ মোদির

কংগ্রেস-ন্যাশনাল কনফারেন্সের নির্বাচনী ইস্তেহারকে ‘সমর্থন’ করেছে পাকিস্তান। এবার সেই বিষয়টিকে হাতিয়ার করে বিরোধীদের তোপ দাগলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। কাশ্মীরে দাঁড়িয়ে মোদির দাবি, ভারতে কেউ কংগ্রেস ও তার জোটসঙ্গীদের পাত্তা দেয় না। কিন্তু পাকিস্তানে তাদের নিয়ে রীতিমতো ‘বল্লে বল্লে’ শুরু হয়ে গিয়েছে। কারণ পাকিস্তান আর কংগ্রেসের অ্যাজেন্ডা একই।১০ বছর বাদে বিধানসভা নির্বাচন হচ্ছে কাশ্মীরে। ৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের পর প্রথমবার। ইতিমধ্যেই প্রথম পর্বের ভোট মিটেছে। ন্যাশনাল কনফারেন্স নিজেদের ইস্তেহারেই স্পষ্ট বলেছে রাজ্যে তারা ক্ষমতায় এলে ৩৭০ ধারা ফেরানোর প্রক্রিয়া শুরু করা হবে। একই প্রতিশ্রুতি দিয়েছে তাদের প্রতিদ্বন্দ্বী পিডিপিও। কংগ্রেস সরাসরি ৩৭০ ধারা ফেরানোর কথা না বললেও এই ইস্যুতে রাহুল গান্ধীরা নীরব। কংগ্রেস অবশ্য কাশ্মীরকে পূর্ণরাজ্যের মর্যাদা ফিরিয়ে দেওয়ার কথা নিজেদের ইস্তেহারে জানিয়েছেন।একটি সাক্ষাৎকারে সেই ইস্তেহার নিয়ে মুখ খুলেছেন পাক সরকারের বিদেশমন্ত্রী খোয়াজা আসিফ। তিনি বলেন, সংবিধানের ৩৭০ ধারা এবং ৩৫-এ অনুচ্ছেদ ফেরানো নিয়ে কংগ্রেস এবং ন্যাশনাল কনফারেন্সের জোটের সঙ্গে পাকিস্তানের ভাবনা মিলে যায়। তিনি বলেন, “আমার মনে হয় কাশ্মীরে কংগ্রেস-ন্যাশনাল কনফারেন্স জোটের ক্ষমতায় ফেরার সম্ভাবনা প্রবল। ওই জোট ৩৭০ ধারাকে ভোটের ইস্যু হিসাবে তুলে ধরেছে। আমাদের ভাবনাও ওই জোটের ভাবনার সঙ্গে মিলে যায়।”পাক বিদেশমন্ত্রীর এই মন্তব্য প্রকাশ্যে আসতেই কংগ্রেস-ন্যাশনাল কনফারেন্সের জোটকে একহাত নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। কাশ্মীরের কাটরায় নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে তিনি বলেন, “জোটের নির্বাচনী ইস্তেহারের ভূয়সী প্রশংসা করছে পাকিস্তান। তারা এই ইস্তেহার দেখে খুব খুশি। পাকিস্তানের মন্ত্রী পর্যন্ত এই ইস্তেহারের সমর্থন করছেন। তিনি বলছেন পাকিস্তান এবং এই জোটের অ্যাজেন্ডা একই। আসলে পাকিস্তানের অ্যাজেন্ডাকে কাশ্মীরে বাস্তবায়িত করতে চাইছে কংগ্রেসের জোট।” মোদির মতে, ভারতে কেউ কংগ্রেসের জোটকে গুরুত্ব দেয় না। কিন্তু পাকিস্তানে এই জোটের যথেষ্ট কদর রয়েছে।

Card image cap

খড়গপুরবাসীর জন্য সুখবর!

খড়গপুরবাসীর জন্য বিরাট সুখবর। বন্দে ভারতে চেপে ঘুরে আসতে পারবেন রাউরকেল্লা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী 15 সেপ্টেম্বর 6টি নতুন বন্দে ভারত  ট্রেন চাকু করলেন। এর মধ্যেই একটি হল রাউরকেল্লা- হাওড়া বন্দে ভারত ট্রেন। আধুনিক সুবিধা এবং উচ্চ গতিতে এবার রাউরকেল্লা নিয়ে যাবে নতুন রুটের বন্দে ভারত।


যাতায়াত হয়ে উঠবে অনেক সহজ এবং আরামদায়ক।


জেনে নিন Vande Bharat এর টাইম টেবিল


রবিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জনগণকে রাউরকেল্লা-হাওড়া বন্দে ভারত ট্রেন উপহার দেন। এই ট্রেনের নম্বর হবে 20871 এবং 20872। এই ট্রেনটি হাওড়া থেকে ছাড়বে সকাল 6টায় এবং রাউরকেল্লা পৌঁছোবে 11.50 টায়। বিনিময়ে, ট্রেনটি রাউরকেল্লা থেকে দুপুর 1.40 টায় ছাড়বে এবং হাওড়া পৌঁছোবে 7.40 টায়। এই ট্রেনের স্টপেজ থাকবে খড়গপুর, চক্রধরপুর এবং টাটানগরে।


রবিবার, খড়গপুর স্টেশন নতুন হাওড়া - রাউরকেলা - হাওড়া বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ট্রেনগুলিকে স্বাগত জানিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ভার্চুয়ালি উদ্বোধন করেছেন এই স্টেশন। হালকা বৃষ্টিতে প্ল্যাটফর্ম 4-এ পৌঁছেছিল এই নতুন ট্রেন। উচ্চসিত মানুষের ভিড় তাঁদের উষ্ণ অভ্যর্থনা করেছিল।


উদ্বোধনের দিন, বিভাগীয় দল ও বিদ্যালয়ের শিশুদের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিচালনা করেছে কর্তৃপক্ষ। খড়্গপুর ডিভিশনের ডিআরএম শ্রী কে.আর. চৌধুরী, হাওড়া থেকে খড়্গপুর ট্রেনের উদ্বোধনে উপস্থিত ছিলেন। ডিআরএম রেলওয়ে স্কুলে অনুষ্ঠিত বিভিন্ন প্রতিযোগিতার বিজয়ীদেরও সম্মানিত করেছেন।


এদিনের অনুষ্ঠানে আইওও উপস্থিত ছিলেন এডিআরএম শ্রী দেবজিৎ দাস, মনীষা গোয়েল, সিনিয়র ডিসিএম শ্রী অলোক কৃষ্ণ, এবং সিনিয়র ডিপিও শ্রীমতি, শ্রেয়া শাণ্ডিল্য সহ আরও অনেকেই।

Card image cap

চোখের জলের বিদায় ‘ফাইটার’কে

জোট রাজনীতিতে তিনি যে সেতুবন্ধনের কাজটি করতেন শেষ যাত্রাতে তা আরও স্পষ্ট হল। কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন এনডি জোট সরকারের শরিক থেকে বিরোধী ইন্ডিয়া জোটের শরিকদলের শীর্ষ নেতৃত্ব সকলেই হাজির হলেন সীতারাম ইয়েচুরিকে শেষশ্রদ্ধা জানাতে। সোনিয়া গান্ধী থেকে জেপি নাড্ডা, অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডু থেকে ডিএমকের টিআর বালু বা দয়ানিধি মারান। জোড়হাতে ফুল দিয়ে শেষ বিদায় জানালেন ইয়েচুরিকে। শেষে আন্তর্জাতিক গানের মধ্য দিয়ে এইমস হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের হাতে ফাইটারের মরদেহ তুলে দিলেন সতীর্থ কমরেডরা।শনিবার সকাল থেকেই সিপিএমের কেন্দ্রীয় কার্যালয় এ কে গোপালন ভবনের সামনে ছিল থিকথিকে ভিড়। কার্যত তিল ধারণের জায়গা ছিল না। কার্যালয়ের সামনে লাল শালুতে মোড়া কফিনবন্দি সীতারামের দেহ। তাকে ঘিরে দাঁড়িয়ে রয়েছেন প্রকাশ কারাট, বৃন্দা কারাট, পিনারায় বিজয়ন, মানিক সরকার, বিমান বসু, মহম্মদ সেলিম, এম এ বেবিরা। প্রথমেই এসে নামলেন সোনিয়া গান্ধী। শ্রদ্ধা জানালেন সীতারামকে। এর পরই জড়িয়ে ধরলেন ইয়েচুরির স্ত্রী সীমা চিশতীকে। তার আগেই অবশ্য কংগ্রেসের তরফে উপস্থিত ছিলেন পি চিদম্বরম, জয়রাম রমেশ, অজয় মাকেন, রাজীব শুক্লারা। তখনই রাস্তার ধারে ফুল হাতে দাঁড়িয়ে কয়েক হাজার মানুষ। শুক্রবার রাতেই বাড়িতে গিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়ে আসেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা ও অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নায়ডু।এদিন গেরুয়া শিবিরের তরফে হাজির হন প্রাক্তন রেলমন্ত্রী সুরেশ প্রভু। আম আদমি পার্টির তরফে আসেন মনীশ সিসোদিয়া ও জেডিইউ এর সাংসদ মনোজ ঝা। শ্রদ্ধা জানিয়ে যান মহারাষ্ট্রের স্ট্রংম্যান এনসিপি সুপ্রিমো শরদ পওয়ার। আসেন আইনজীবী ও সাংসদ কপিল সিব্বল। শেষশ্রদ্ধা জানাতে হাজির হন বিভিন্ন ধর্মীয় সংগঠনের ধর্মগুরু থেকে বিভিন্ন দূতাবাসের প্রতিনিধিরা। তবে এর মধ্যেও দলের পরবর্তী সাধারণ সম্পাদক কে হতে পারেন তা নিয়েও আলোচনা চলছিল। বৃন্দা কারাত বা এম এ বেবীর পাশাপাশি নাম উঠে এসেছে ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকারের। তিনিও সাধারণ সম্পাদক হওয়ার দৌড়ে রয়েছেন বলে জানান পার্টির এক শীর্ষনেতা।

Card image cap

ইলিশ নিয়ে ভারতের কাছে দুঃখপ্রকাশ বাংলাদেশের!

সবের মরসুমে ভারতে ইলিশ রফতানি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত কি দু'দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কে প্রভাব ফেলতে পারে? বাংলাদেশের অন্তর্বর্তিকালীন সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, ইলিশ রফতানি আপাতত নিষিদ্ধ করার নেপথ্যে অন্য কোনও কারণ নেই। দেশের অভ্যন্তরীণ চাহিদাই একমাত্র কারণ। তবে ভারত থেকে ডিম আমদানির পরে আলু এবং পেঁয়াজ রফতানি স্বাভাবিক রাখার আর্জি জানাল মুহাম্মদ ইউনূস সরকার।


ঢাকা থেকে বাংলাদেশের মৎস্য উপদেষ্টা ফরিদা আখতার আনন্দবাজার অনলাইনকে বলেন, ''পশ্চিমবঙ্গবাসীকে শারদীয়ার শুভেচ্ছা। কিন্তু দেশের মানুষকে বঞ্চিত করে এ বার ও পার বাংলায় ইলিশ পাঠাতে পারব না আমরা।'' 


বাংলাদেশে রাজনৈতিক পালাবদলের পর এ বার পদ্মার ইলিশ ঢুকছে না পশ্চিমবঙ্গে। তবে রাজ্য থেকে বাংলাদেশে মুরগির ডিম রফতানি হয়েছে। তার পর সে দেশে প্রায় অর্ধেক দামে বিক্রি হচ্ছে 'মধ্যবিত্তের প্রোটিন'। অন্য দিকে, অভ্যন্তরীণ চাহিদার কথা মাথায় রেখে বাংলা থেকে ভিন্‌রাজ্যে আলু রফতানি আপাতত বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। যদিও ইলিশ 'ইস্যু'তে ভারতের ক্ষোভের কথা মাথায় রেখেও আগাম দুঃখপ্রকাশ করে আলু-পেঁয়াজ রফতানি স্বাভাবিক রাখার অনুরোধ জানাল ইউনূস সরকার। পাশাপাশি তাদের দাবি, ইলিশের মতো 'ক্ষুদ্র ইস্যু' ভারত-বাংলাদেশের কূটনৈতিক এবং অর্থনৈতিক সম্পর্কে কোনও প্রভাব ফেলবে না। 


বাংলাদেশের বাজারে প্রতি কেজি আলুর বর্তমান মূল্য কমবেশি ৭০ টাকা। পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকা কেজি দরে। পূর্বতন হাসিনা সরকারের সময়ে আলুর দাম ছিল ৪০-৪৫ টাকার আশপাশে। তখনও পেঁয়াজের দাম সেঞ্চুরি পার করেনি। এর মধ্যে বাংলাদেশের আড়তদারদের নিয়ে বৈঠকে দেশীয় বাজারে আলু-পেঁয়াজের দাম সম্পূর্ণ ভাবে ভারত থেকে আমদানি নির্ভর বলে মতপ্রকাশ করে সে দেশের ব্যবসায়ী মহল। আলোচনার পর ভারত থেকে আলু-পেঁয়াজ আমদানির প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলে একটি সূত্রের খবর। তবে ডিম, আলু এবং পেঁয়াজের জন্য ভারতের মুখাপেক্ষী হলেও উৎসবের মরসুমে ভারতে ইলিশ রফতানির সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করেনি বর্তমান ইউনূস সরকার। হাসিনার আমলে দুর্গাপুজোর সময়ে ইলিশ পাঠানোর বিষয়টি তুলে ধরে ভারতের 'ফিশ ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন'-এর পাঠানো চিঠি প্রসঙ্গে বাংলাদেশের মৎস্য উপদেষ্টা ফরিদা আখতার দুঃখপ্রকাশ করেছেন। তিনি আনন্দবাজার অনলাইনকে বলেন, ''পদ্মার ইলিশ বিশ্বসেরা। স্বাদে উৎকৃষ্ট একটি মাছ। কিন্তু বর্ধিত দামের কারণে বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে ইলিশ। আমি যখন দায়িত্ব পেলাম, আমার প্রধান লক্ষ্য ছিল বাংলাদেশের প্রত্যেকের কাছে ইলিশকে ক্রয়সাধ্য করে তোলা।'' তাঁর সংযোজন, ''শুধু ভারত নয়, কোনও দেশেই ইলিশ পাঠাচ্ছি না আমরা। এ বার ১২ অক্টোবর থেকে ইলিশ ধরাও নিষিদ্ধ করা হচ্ছে।'' ফরিদা এ-ও জানান, বাংলাদেশে এখন ইলিশের জোগান কম। এখন ইলিশ রফতানি হলে দেশের বাজারে ঘাটতি দেখা যাবে। সেটা তাঁরা চান না। তিনি বলেন, ''সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা করেও এখনও পর্যন্ত এক কেজি ওজনের ইলিশের দাম হাজার টাকার মধ্যে আনতে পারিনি। এই অবস্থায় আমাদের অক্ষমতা স্বীকার করে ভারত এবং বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গবাসীর কাছে ক্ষমা চাইছি।''


এর মধ্যে ভারত থেকে দ্রুত আলু আমদানি করতে মোট দশ জনকে 'ইমপোর্ট পারমিট' (আইপি) দিয়েছে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ সরকার। গত শুক্রবার লিখিত ভাবে এই তথ্য জানিয়েছেন বাংলাদেশের হিলি স্থলবন্দরের উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের উপ-সহকারী কর্মকর্তা ইউসুফ আলি। তিনি জানান, দেশের বাজারে আলুর দাম স্বাভাবিক রাখতে বন্দরের ১০ জন ব্যবসায়ীকে আলু আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে। আগেই ওই ব্যবসায়ীরা আইপি-র আবেদন করেছিলেন। বাংলাদেশের অন্যতম আলু আমদানিকারক সংস্থার এক কর্তা আনন্দবাজার অনলাইনকে জানিয়েছেন, সে দেশের বাজারে আলুর দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে ভারত থেকে আমদানি ছাড়া বিকল্প পথ নেই। তিনি বলেন, ''সরকারের উচিত নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের ব্যাপারে ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখা। ভারত থেকে আলু আমদানি হলে দেশের বাজারে দাম অনেকটাই কমে আসবে, এ নিয়ে আশাবাদী বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা।''

Card image cap

ছাদ ফুটো হয়ে জল থই থই!

টানা বৃষ্টিতে বেহাল অবস্থা বিশ্বের সপ্তম আশ্চর্যের অন্যতম তাজমহলের। গত তিন ধরে আগ্রাতে চলতে থাকা নাগাড় বৃষ্টিতে পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে গিয়েছে যে তাজমহলের ছাদ চুঁইয়ে পড়ছে জল। শুধু তাই নয়, বৃষ্টির জেরে তাজমহল প্রাঙ্গণের বাগানেও জমেছে হাঁটুজল। তাজমহলের এমন বেহাল অবস্থার ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে সোশাল মিডিয়াতেও।প্রবল বৃষ্টির জেরে এমনিতেই আগ্রার বেশিরভাগ জায়গাতেই স্তব্ধ জনজীবন। তাতে অবশ্য পর্যটকদের উৎসাহে কোনও ভটা পড়েনি। এই অবস্থার মাঝেই বৃহস্পতিবার থেকে সোশাল মিডিয়ায় ঘুরে বেড়াচ্ছে এক ভিডিও। ২০ সেকেন্ডের ওই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে তাজমহল চত্ত্বর ডুবে গিয়েছে হাঁটুজলে। এই ঘটনা প্রসঙ্গে ভারতীয় পুরাতাত্ত্বিক সর্বেক্ষণ (এএসআই) আগ্রা বিভাগের এক আধিকারিক স্বীকার করেন নেন বৃষ্টির জেরে তাজমহল কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হলেও চিন্তার কোনও কারণ নেই। পাশাপাশি আইএসআইয়ের মুখ্য সুপারিন্টেন্ডেন্ট রাজকুমার প্যাটেল বলেন, “তাজমহলের মূল গম্বুজ ফুটো হয়ে যাওয়ার বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে।” পাশাপাশি বলেন, “দীর্ঘদিন ধরে ক্ষয়ের ফলে এই ঘটনা ঘটেছে। তবে স্থাপত্যে বড় কোনও ক্ষতি হয়নি। আমরা ড্রোন ব্যবহার করে অবস্থা খতিয়ে দেখেছি। যদিও চিন্তার কোনও কারণ নেই।”এদিকে রিপোর্ট বলছে গত কয়েকদিন যে পরিমাণ বৃষ্টি দিল্লি ও আগ্রাতে হয়েছে তা অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে। গত বৃহস্পতিবার মাত্র ২৪ ঘণ্টায় ১৫১ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। যা বিগত ৮০ বছরের রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে। জলের নিচে চলে গিয়েছে গোটা শহর, মফস্‌সল, গ্রাম। ডুবেছে জাতীয় সড়ক, চাষের জমি। পরিস্থিতির গুরুত্ব বুঝে সমস্ত স্কুল বন্ধ করার ঘোষণা করেছে সরকার। শুধু তাজমহল নয়, বৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত আগ্রা ফোর্ট, ফতেপুর সিক্রি, রামবাগ, মেহতাব বাগ-সহ একাধিক পর্যটন কেন্দ্র।উল্লেখ্য, মুঘল স্থাপত্যের অন্যতম নিদর্শন ১৬৫৩ সালে তৈরি হওয়া তাজমহল। আগ্রা তো বটেই সারা ভারতের পর্যটন মানচিত্রের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতীক ইউনেস্কো দ্বারা অনুমোদিত এই পর্যটন ক্ষেত্র। যা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই উদ্বিগ্ন পর্যটকরা।