CATEGORY country:

Card image cap

ভেঙে ফেলা হবে বাংলাদেশ!

শেখ হাসিনা জমানার অবসানের পরে বাংলাদেশের শাসন ক্ষমতা সামলানোর দায়িত্ব পেয়েছেন পাকিস্তান ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের 'ভৃত্য' হিসেবে পরিচিত অন্তর্বর্তী সরকার। ক্ষমতা দখলের এক মাস পূর্ণ হতে না হতেই বাংলাদেশকে পাঁচ টুকরো করার দাবি তুললেন মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা তথা প্রাক্তন সেনা আধিকারিক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাখাওয়াত হোসেন।


আর তাঁর দাবি ঘিরে নতুন করে উত্তপ্ত বাংলাদেশের পরিবেশ।

যা জানা যাচ্ছে, খুলনা, ফরিদপুর, যশোর, কুষ্টিয়া, বরিশাল এবং পটুয়াখালী এই ছয়টি জেলা নিয়ে একটি নতুন স্বাধীন হিন্দু দেশ গঠনের কথাও ভাবা হচ্ছে এবার। বাংলাদেশকে এই বিভক্ত করার দাবি জানিয়েছে বঙ্গসেনা বলে জানা যাচ্ছে।

Card image cap

আর ফ্রি নয় অনলাইন পেমেন্ট

ভারতে দিন দিন অনলাইন পেমেন্ট এবং ডিজিটাল লেনদেন ব্যাপকভাবে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। বিশেষ করে, করোনাকালীন সময়ে ক্যাশ-লেস লেনদেন কমে যাওয়ার কারণে এই পেমেন্ট পদ্ধতি জনপ্রিয় হয়েছিল। গত কয়েক বছরে বিভিন্ন ডেবিট কার্ড, ক্রেডিট কার্ড এবং অন্যান্য ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের ব্যবহার বেড়েছে।


তবে আগামী ৯ ই সেপ্টেম্বর একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে পারে GST কাউন্সিল। এবার থেকে কাউন্সিল অনলাইন পেমেন্টের ক্ষেত্রে ১৮ শতাংশ GST বসানোর প্রস্তাবটি সামনে আনতে পারে। এর ফলে বিভিন্ন অনলাইন পেমেন্ট মোড যেমন ডেবিট কার্ড, ক্রেডিট কার্ড এবং অন্যান্য প্ল্যাটফর্মে লেনদেনের খরচ বৃদ্ধি পেতে পারে। আপনিও যদি অনলাইন পেমেন্ট করে থাকেন, তাহলে বিষয়টি সম্পর্কে জেনে নিন।


অনলাইন পেমেন্টে GST বসানো হলে খরচ বাড়বে আমজনতার


বর্তমানে ডিজিটাল লেনদেনের জন্য কোনও আলাদা GST নেই। সাধারণত ব্যাঙ্ক এবং অন্যান্য ফিনটেক কোম্পানিগুলো একটি প্রসেসিং ফি অথবা সার্ভিস ট্যাক্স জন্য চার্জ করে থাকে। এই প্রসেসিং ফি-এর ওপর GST প্রযোজ্য হয়। কিন্তু লেনদেনের ওপর সরাসরি কোনও কর বসানো হয় না। কিন্তু নতুন প্রস্তাবিত GST নিয়ম লাগু হলে অনলাইন পেমেন্টের ওপর সরাসরি কর আরোপ হবে। এর ফলে গ্রাহকদের জন্য পেমেন্টের খরচ বৃদ্ধি পাবে।


ক্রেডিট কার্ড, ডেবিট কার্ড ও UPI-তে পেমেন্ট করলে কত খরচ বাড়বে?


(১) ক্রেডিট কার্ড: সাধারণত ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে কোনও লেনদেন করলে একটি প্রসেসিং ফি নেওয়া হয়, যেটি প্রায় ২ থেকে ৩ শতাংশ হয়। এর ওপর ১৮ শতাংশ GST বসলে, এই ফি বৃদ্ধি পাবে।


(২) ডেবিট কার্ড: ডেবিট কার্ডের লেনদেনের ক্ষেত্রে সাধারণত প্রসেসিং ফি কম থাকে। এটি প্রায় ০.৫ থেকে ১ শতাংশের মধ্যেই হয়। কিন্তু এর উপরও GST প্রযোজ্য হবে। একইভাবে ডেবিট কার্ডে পেমেন্ট করলেও খরচ বাড়বে।


(৩) অন্যান্য অনলাইন পেমেন্ট মাধ্যম: UPI, মোবাইল ওয়ালেট এবং অন্যান্য ফিনটেক প্ল্যাটফর্মগুলির মাধ্যমে লেনদেনের ক্ষেত্রেও এই কর প্রযোজ্য হবে। যদিও কিছু প্ল্যাটফর্মে লেনদেন ফি কম থাকে, তবুও GST আরোপের ফলে খরচ বৃদ্ধি পাবে।


Card image cap

হরিয়ানায় আপ-কংগ্রেস জোট নিয়ে কাটছে না সংশয়

কথাবার্তা অনেকটাই এগিয়েছে। আগ্রহও দেখিয়েছে দুই দল। তবু, হরিয়ানায় আপ ও কংগ্রেসের জোটে জট কাটছে না। শেষ মুহূর্তে দুটি আসন নিয়ে বিবাদ দুই শিবিরের। ফলে আদৌ জোট হবে নাকি ‘গোল্ডেন হ্যান্ডশেক’ তাই নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে।গত লোকসভা নির্বাচনে দিল্লি, হরিয়ানা-সহ পাঁচ রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে জোট বেঁধেছিল কংগ্রেস এবং আপ। হরিয়ানায় ১০ আসনের মধ্যে আপকে একটি আসন ছাড়ে কংগ্রেস। হাত শিবির যে ৯ আসনে লড়েছিল, তার মধ্যে পাঁচটিতে জেতে তাঁরা। আপ একমাত্র আসনটি বিজেপির কাছে হেরে যায়। পরে স্থানীয় কংগ্রেস নেতারা দাবি করেন, কুরুক্ষেত্র আসনটিতে কংগ্রেসের প্রার্থী থাকলে বিজেপিকে হারানো যেত।বস্তুত স্থানীয় কংগ্রেস নেতারা আপের সঙ্গে জোটের পক্ষে ছিলেন না। মূলত রাহুল গান্ধী এবং মল্লিকার্জুন খাড়গের ইচ্ছাতেই এই জোটবার্তা এগিয়েছে। শুরুতে আসন সংখ্যা নিয়ে জটিলতা ছিল। সেটা অনেকটা কেটেছে। কিন্তু কংগ্রেস আপের জন্য যে আসনগুলি ছাড়তে চাইছে, সেগুলিতে আপত্তি রয়েছে আপের। তাঁরা কালায়াত এবং কুরুক্ষেত্র এলাকায় অন্তত একটি আসন না পেলে কোনওভাবেই জোটে যেতে রাজি নয়। আপের সাফ কথা, ওই দুটি আসন না ছাড়লে, অন্তত ৫০ আসনে লড়বে তারা। তাতে আখেরে ক্ষতি দুই শিবিরেরই।তবে কংগ্রেসও আপস করতে নারাজ। বিধানসভায় ভুপিন্দর সিং হুডা, কুমারী শৈলজার মতো হরিয়ানার কংগ্রেস নেতারা আপের সঙ্গে জোটের ঘোর বিরোধী। হরিয়ানার কংগ্রেস কর্মীদের দাবি, কংগ্রেস সে রাজ্যে একাই বিজেপিকে হারানোর ক্ষমতা রাখে। সেখানে আপকে আসন ছাড়া অযৌক্তিক।

Card image cap

সায়ানাইড খাইয়ে পর পর খুন!

মিষ্টি কথার জালে ফাঁসিয়ে প্রথমে বন্ধুত্ব, তার পর অপরিচিতকে প্রস্তাব দেওয়া হত পানীয়ের। মারণ বিষ সায়ানাইড মেশানো সেই পানীয় খাওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়তেন ব্যক্তি। এর পর টাকা-পয়সা, গয়না লুট করে চম্পট দিত আততায়ীরা। নারী-পুরুষ নির্বিশেষে একের পর এক শিকার বেছে নিত হত্যাকারীরা। অবশেষে পুলিশের জালে ধরা পড়ল ৩ মহিলা সিরিয়াল কিলার।অন্ধ্রপ্রদেশের তেনালি জেলায় গত কয়েকদিন ধরে উদ্ধার হচ্ছিল একের পর এক মৃতদেহ। এর পরই তদন্তে নেমে পুলিশের হাতে এল ভয়াবহ তথ্য। এই ঘটনায় ৩ মহিলাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। যারা হলেন, মুনাগাপ্পা রজিনি, মাদিয়ালা বেঙ্কেটেশ্বরী এবং গুলরা রামনম্মা। গত বৃহস্পতিবার এই ৩ সিরিয়াল কিলারকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। জানা গিয়েছে, মূলত সোনা ব্যবসায়ী ও সঙ্গে প্রচুর টাকা রয়েছে এমন ব্যক্তিদের টার্গেট করত হত্যাকারীরা। এর পর পরিকল্পিত ছকে চলত বাকি কাজ। জেরায় অভিযুক্তরা স্বীকার করে নিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত তাদের হাতে ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতদের মধ্যে রয়েছেন এক মহিলাও। পাশাপাশি আরও ২ জন কোনও মতে এদের হাত থেকে বেঁচে যান।প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে এই গোটা পরিকল্পনার মাস্টার মাইন্ড মাদিয়ালা বেঙ্কেটেশ্বরী। গত ৪ বছর ধরে স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে কাজ করেছিলেন তিনি। তখনও ছোটখাট নানা অপরাধের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন তিনি। এর পর কম্বোডিয়া গিয়ে সাইবার অপরাধ চালাতে থাকেন। সম্প্রতি দেশে ফিরে শাগরেদ জুটিয়ে শুরু করেন একের পর এক হত্যাকাণ্ড। মাদিয়ালার কাছ থেকে সায়ানাইড-সহ আরও নানা জিনিসপত্র উদ্ধার করেছে পুলিশ। এছাড়া যার কাছ থেকে অভিযুক্ত সায়ানাইড জোগাড় করত তাকেও গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।একের পর এক হত্যা রহস্যের কিনারা করার পর রেনালির পুলিশ সুপার সতীশ কুমার বলেন, অভিযুক্তদের জিজ্ঞাসাবাদে তাঁরা তাঁদের অপরাধ স্বীকার করেছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে খুন, চুরি, প্রমাণ লোপাট, অপরাধের ষড়যন্ত্র-সহ আরও একাধিক ধারায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। পাশাপাশি এই ধরনের ঘটনা থেকে বাঁচতে সাধারণ মানুষকে সতর্ক করে পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, অপরিচিত কারও সঙ্গে প্রথম পরিচয়ে বন্ধুত্ব করবেন না। এবং অপরিচিতের কাছ থেকে কিছু খাবেন না।

Card image cap

জম্মু ও কাশ্মীরে গর্জে উঠলেন শাহ

৩৭০ ধারা ইতিহাস হয়ে গিয়েছে। তা আর কখনওই ফিরবে না। দুদিনের জন্য কাশ্মীর সফরে গিয়ে এক অনুষ্ঠানে এমনটাই জানিয়ে দিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু জম্মু-কাশ্মীরের বিধানসভা নির্বাচন। তিন দফায় ভোট হবে উপত্যকায়। তার আগেই এমন কথা শোনা গেল শাহর মুখে। তিনি দাবি করলেন, স্বাধীনতার পর থেকেই গেরুয়া শিবিরের কাছে কাশ্মীরের গুরুত্ব ছিল অপরিসীম। এবং একে ভারতের সঙ্গে যুক্ত করে রাখতে বিজেপি বরাবরই দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।ঠিক কী বলেছেন অমিত শাহ? তাঁর কথায়, ”আমি গোটা দেশের কাছেই এটা পরিষ্কার করে দিতে চাই ৩৭০ ধারা ইতিহাস হয়ে গিয়েছে। এটা আর কখনওই ফেরত আসবে না। এবং আমরা ফেরাতে দেবও না। কেননা ৩৭০ ধারাই কাশ্মীরের তরুণদের হাতে বন্দুক ও পাথর তুলে দিয়েছিল।” সেই সঙ্গেই ন্যাশনাল কনফারেন্সের ইস্তেহারের প্রসঙ্গও উঠে আসে তাঁর মুখে। কাশ্মীরের নির্বাচনে জয়লাভ করলে তারা ৩৭০ ধারা ফেরাবে বলে দাবি করেছে ন্যাশনাল কনফারেন্স। এপ্রসঙ্গে শাহ বলেন, তিনিও ওই ইস্তেহার পড়েছেন। এর পিছনে কংগ্রেসের প্রচ্ছন্ন মদত রয়েছে বলেও দাবি করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।এদিন শাহ আরও বলেন, ”একটা সময় ছিল যখন আমরা দেখেছি ৩৭০ ধারার ছায়া সরকার বাধ্য হত বিচ্ছিন্নতাবাদী ও হুরিয়তের মতো সংগঠনের দাবি মেনে নিতে। কিন্তু ৩৭০ ধারা ও ৩৫এ ধারা এখন অতীত। সেগুলি আর সংবিধানের অংশ নয়।” তাঁর দাবি, ২০১৪ থেকে ২০২৪- অর্থাৎ মোদি সরকারের আমলে ভারতের ইতিহাস লিখতে হলে জম্মু ও কাশ্মীরের নাম স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে।প্রসঙ্গত, দ্বিতীয় দফায় ক্ষমতায় আসার পর জম্মু-কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা প্রত্যাহার মোদি সরকারের অন্যতম বিতর্কিত সিদ্ধান্ত। উপত্যকার রাজনৈতিক দলগুলি যা মেনে নিতে পারেনি। যদিও হাজার বিরোধিতার পরেও ওই ঘটনাকে সাফল্য হিসেবেই তুলে ধরেছে বিজেপি। এদিনও ভোটমুখী জম্মু ও কাশ্মীরে সেই সুরই বজায় রাখলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

Card image cap

সিকিমের পথে ভয়াবহ দুর্ঘটনা

বাংলা থেকে সিকিম যাওয়ার পথে ভয়াবহ দুর্ঘটনার কবলে সেনার বাস। সিকিমের পেকিয়াং জেলায় খাদে বাস পড়ে মৃত্যু হল ৪ জওয়ানের। জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার সিকিমের জুলুকে যাচ্ছিল বাসটি। মৃত জওয়ানরা পশ্চিমবঙ্গের বিনাগুড়ি ইউনিটের সদস্য।গত কয়েকদিন ধরে বৃষ্টির জেরে এবড়ো-খেবড়ো পিচ্ছিল রাস্তা যাচ্ছিল সেনা জওয়ানদের ওই বাসটি। পথে দালাপচাঁদ ফটকের কাছে রেনক-রংলি রাজ্য সড়কে (যা সিল্ক রুট নামে পরিচিত) নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে প্রায় ৭০০ থেকে ৮০০ ফুট নিচে পড়ে বাসটি। ভয়াবহ দুর্ঘটনার খবর পেয়ে প্রায় সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় উদ্ধারকারী দল। উদ্ধার করা হয় মৃত ৪ জওয়ানের দেহ।সেনা সূত্রে জানা গিয়েছে মৃত জওয়ানরা হলেন, মধ্যপ্রদেশের বাসিন্দা বাস চালক প্রদীপ প্যাটেল, মণিপুরের বাসিন্দা ক্রাফটম্যান ডব্লু পিটার, হরিয়ানার নাইক গুরসেব সিং এবং তামিলনাড়ুর সুবেদার কে থাঙ্গাপান্ডি। জানা গিয়েছে, জলপাইগুড়ির বিনাগুড়ি থেকে সিকিম যাচ্ছিলেন ওই জওয়ানরা। পথেই ঘটে এই ভয়াবহ দুর্ঘটনা।উল্লেখ্য, সিকিমের ওই অঞ্চল অত্যন্ত দুর্ঘটনাপ্রবণ এলাকা হিসেবে পরিচিত। এর আগে সিংটামের কাছে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে এক পর্যটক বোঝাই গাড়ি। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে নদীতে গিয়ে পড়ে সেটি। সেই দুর্ঘটনায় গাড়ির চালক-সহ এক ৭২ বয়সি বৃদ্ধের মৃত্যু হয়। পাশাপাশি আহত হন আরও ৩ জন। তাঁরও আগে ২০২২ সালে দুর্ঘটনার কবলে পড়েছিল সেনার গাড়ি। যার জেরে প্রাণ হারান ১৬ জন জওয়ান।

Card image cap

উত্তর-পূর্বে শান্তিস্থাপনে বড় পদক্ষেপ!

ত্রিপুরায় স্থায়ী শান্তিস্থাপনে বড় পদক্ষেপ কেন্দ্রের। নয়াদিল্লিতে সে রাজ্যের দুই বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীর সঙ্গে শান্তিচুক্তি স্বাক্ষর করল কেন্দ্রের মোদি সরকার। এটিটিএফ ও এনএলএফটি নামের ওই দুই জঙ্গি গোষ্ঠীর সঙ্গে ত্রিপাক্ষিক চুক্তিতে স্বাক্ষর করলেন কেন্দ্রীয় সরকারের স্বরাষ্ট্রসচিব, ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা, এবং মুখ্যসচিব জে কে সিনহা।স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের পৌরহিত্যে এই শান্তিচুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। উপস্থিত ছিলেন সাংসদ বিপ্লব দেব, মহারাজ প্রদ্যোৎ কিশোর দেববর্মন-সহ কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের পদস্থ আধিকারিকরা। শান্তিচুক্তি স্বাক্ষরের পর শাহ বলেন, “এই চুক্তির ফলে গোটা উত্তর-পূর্বাঞ্চলে স্থায়ী শান্তির পথ সুগম হবে। ইতিমধ্যেই উত্তর-পূর্বে দশটি শান্তিচুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। শুধু ত্রিপুরাতেই হয়েছে তিনটি শান্তিচুক্তি।” ত্রিপুরার উন্নয়নের জন্য এই চুক্তি একটি মাইলফলক বলেও দাবি করেছেন তিনি।উল্লেখ্য, দীর্ঘ ৩৫ বছর জঙ্গি কার্যকলাপ এবং সন্ত্রাসবাদ সমস্যায় ভুগেছে ত্রিপুরা। আটের দশকে এনএলএফটির তীব্র সন্ত্রাসে কার্যত অসহায় হয়ে পড়ে রাজ্যবাসী। এক সময় ত্রিপুরার জঙ্গি সন্ত্রাস চালিয়েছে টিএনভি গোষ্ঠী। টিএনভি প্রধান বিজয় রঙ্খলের সঙ্গে শান্তিচুক্তি করেছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধী। যা ‘বিজয় রাজীব’ চুক্তি হিসেবে খ্যত।ত্রিপুরার জঙ্গি আন্দোলনের ইতিহাস দীর্ঘ। তবে ইদানিং সেই সন্ত্রাস অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে। আগের থেকে দুর্বল এটিটিএফ ও এনএলএফটি। অমিত শাহ বলেছেন, “উত্তর-পূর্বে এ পর্যন্ত মোট ১০ হাজার জঙ্গি আত্মসমর্পণ করেছেন।” ইতিমধ্যে এটিটিএফের প্রাক্তন প্রধান রঞ্জিত দেববর্মা আত্মসমর্পণ করে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে এসেছেন। তিনি তিপ্রামথা দলের বিধায়ক হিসাবেও নির্বাচিত হয়েছেন। এদিনের শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরের সময় তিনিও উপস্থিত ছিলেন। এই চুক্তির ফলে স্থায়ী শান্তির পথ সুগম হবে বলে মনে করা হচ্ছে।

Card image cap

আর জি কর ইস্যুতে সুপ্রিম কোর্টে কেন্দ্র

আর জি কর ইস্যুতে এবার সুপ্রিম কোর্টে রাজ্যের বিরুদ্ধে নালিশ করল কেন্দ্র। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের অভিযোগ, আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের নিরাপত্তার দায়িত্বে যে সিআইএসএফ জওয়ানদের মোতায়েন করা হয়েছিল, তাঁদের উপযুক্ত থাকা-খাওয়ার বন্দোবস্ত করেনি রাজ্য সরকার। কেন্দ্রের দাবি, যদি দ্রুত সেই ব্যবস্থা না করা হয়, তাহলে রাজ্যের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা করা হোক।আর জি কর ইস্যুতে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করেছে সুপ্রিম কোর্ট। সেই মামলাতেই অংশ হতে চেয়ে আবেদন জানিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। অমিত শাহের মন্ত্রকের বক্তব্য, আর জি করে সিআইএসএফ জওয়ানদের উপযুক্ত থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়নি। ন্যূনতম সুযোগ-সুবিধাও দেওয়া হচ্ছে না। রাজ্য যদি এগুলো নিশ্চিত না করে, তাহলে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা হোক।উল্লেখ্য, আর জি করে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুন এবং তার পর বহিরাগত দুষ্কৃতীদের হাসপাতালের বাইরে তাণ্ডবের জেরে নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে সুপ্রিম কোর্ট। হাসপাতালের নিরাপত্তায় তাই কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ দেয় সর্বোচ্চ আদালত। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের নিরাপত্তার দায়িত্ব নেয় সিআইএসএফ।হাসপাতাল চত্বরে আপাতত মোতায়েন করা হয়েছে মোট ১৮৫ জন জওয়ানকে। ক্যাম্পাসের কে বি বয়েজ এবং মেন বয়েজ হোস্টেলে তিন শিফটে ২ জন করে মোট ১২ জন জওয়ানকে মোতায়েন করা হচ্ছে। লেডিজ কমন রুম হোস্টেল, ভেরি নিউ লেডিজ হোস্টেল, ইন্টার্ন হোস্টেল, ওল্ড হাউস স্টাফ অ্যান্ড পিজি হোস্টেল, ডরমেটরি-সহ এসজিপিজি হোস্টেল, রাত্রিনিবাস হোস্টেল এবং ওল্ড অ্যান্ড নিউ নার্সিংয় হোস্টেলের মতো মোট ৭ হোস্টেলেও তিন শিফটে ২ জন করে মোট ৪২ জনকে মোতায়েন করা হয়েছে। শুধু হোস্টেল নয়, হাসপাতালের একাধিক বিল্ডিং ও মেন গেটেও আধাসেনা মোতায়েন করা হয়। কেন্দ্রের অভিযোগ সেই জওয়ানদের জন্য ন্যূনতম সুযোগ-সুবিধার ব্যবস্থাও করেনি রাজ্য।

Card image cap

বৈষ্ণোদেবীর পথে বড়সড় ধস

বৈষ্ণোদেবীতে ভয়াবহ দুর্ঘটনা। পুণ্যার্থীদের যাত্রাপথে নামল বড়সড় ধস। তাতেই মৃত্যু হয়েছে দুই ব্যক্তির। দুমড়মুচড়ে গিয়েছে লোহার কাঠামো। ধসের কারণে নির্দিষ্ট রাস্তাটি সাময়িক ভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। অনেকের আটকে পড়ার খবরও মিলেছে। প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, উদ্ধারকাজের পাশাপাশি রাস্তা মেরামত করাও শুরু হয়েছে। তা সম্পূর্ণ হওয়ার পরেই নতুন করে ওই পথে তীর্থযাত্রার অনুমতি দেওয়া হবে।প্রতি বছরই বৈষ্ণোদেবী মন্দিরে যাত্রা করেন পুণ্যার্থীরা। সোমবারও তীর্থযাত্রা অব্যাহত ছিল। এর মধ্যেই বড়সড় ধস নামে জম্মু ও কাশ্মীরের কাটরায়। এর ফলে যাত্রার জন্য তৈরি অস্থায়ী ইস্পাতের কাঠামো দুমড়েমুচড়ে যায়। রাস্তার একাংশ ধসে নেমে যায় গভীর খাদে। তাতেই মৃত্যু হয়েছে দুই পুণ্যার্থীর। এছাড়াও আহত হয়েছেন বেশ কয়েক জন পুণ্যার্থী। আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। হাসপাতাল সূত্রে খবর, আঘাত ততটা গুরুতর নয়।বৈষ্ণোদেবী দেশের অন্যতম জনপ্রিয় তীর্থস্থান। প্রতি বছরই লাখ লাখ মানুষ ভিড় করেন মন্দিরে। সাধারণত পুণ্যার্জনে পায়ে হেঁটেই বৈষ্ণোদেবী মন্দিরে পৌঁছন তীর্থযাত্রীরা। তবে ইদানীং কপ্টারের ব্যবস্থাও করেছে স্থানীয় প্রশাসন। উল্লেখ্য, সেপ্টেম্বরেই ভোট জম্মু ও কাশ্মীরে। তার আগে একের পর এক জঙ্গি হামলায় অস্থীর ভূস্বর্গ। বৈষ্ণোদেবীতেও আঁটসাঁট নিরাপত্তা। এর মধ্যেই ধসের ঘটনায় উত্তেজনা বাড়ল।

Card image cap

অন্ধ্রেও ঘূর্ণিঝড় ‘আসনা’র প্রভাব

গুজরাট উপকূলে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘আসনা’। তার আগেই মোদি-শাহর রাজ্য দুর্যোগের বলি ৪৫ জন। একই সময় অন্ধ্রপ্রদেশ এবং তেলেঙ্গানায় শুরু হয়েছে ব্যাপক বৃষ্টিপাতে। অন্ধ্রের একাধিক জেলার বিস্তীর্ণ এলাকা জলমগ্ন। একই অবস্থা তেলেঙ্গানারও। বর্তমান পরিস্থিতিতে শুধু অন্ধ্রেই মৃত্যু হয়েছে ৯ জনের। লাগাতার দুর্যোগের জেরে দক্ষিণ-মধ্য রেল এখনও পর্যন্ত ২০টি দূরপাল্লার ট্রেন বাতিল করেছে। আরও ৩০টি ট্রেনকে অন্য পথে ঘোরানো হয়েছে বলে খবর।ভারী বর্ষণে সবচেয়ে খারাপ অবস্থা বিজয়ওয়াড়া জেলার গ্রামীণ অংশে। এখানকার আম্বাপুরম, নয়নাভরম, নুন্না এবং পাথাপাডু ভেসে গিয়েছে। পুলিশ এবং এনডিআরএফ উদ্ধারকাজ শুরু করেছে। বহু মানুষ ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় নিয়েছেন। স্থানীয়দের অন্যত্র সরাচ্ছে প্রশাসন। এর মধ্যেই আশঙ্কার কথা জানিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর। এখনই বৃষ্টি থামবে না, বরং ‘আসনা’র প্রভাবে আগামী ২৪ ঘণ্টাতেও ভারী বৃষ্টি চলবে অন্ধ্র এবং তেলেঙ্গানায়।অন্ধ্রের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডু নিজে পরিস্থিতির উপর নজর রাখছেন। রাজ্য প্রশাসনকে যাবতীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। ত্রাণ বিলি করতে আধুনিক প্রযুক্তি, ড্রোন ব্যবহার করতে বলেছেন তিনি। এদিকে রাজ্যের স্বরাষ্ট্র দপ্তর বিবৃতি দিয়েছে, এখনও পর্যন্ত দুর্যোগগ্রস্ত পাঁচটি জেলার ২৯৪টি গ্রামের ১৩, ২২৭ জনকে নিরাপদ স্থানে সরানো হয়েছে। যদিও এর মধ্যেই বন্যার বলি হয়েছেন ৯ জন।তেলেঙ্গানার অবস্থাও তথৈবচ। জলে ভাসছে হায়দরাবাদ-সহ রাজ্যের বহু অংশ। একাধিক সড়ক জলের তলায় চলে গিয়েছে। যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন প্রান্তিক জেলাগুলির বহু গ্রাম। জরুরি বৈঠকের পর মুখ্যমন্ত্রী রেবন্ত রেড্ডি নির্দেশ দিয়েছেন, যে পরিস্থিতিই হোক, মন্ত্রী, বিধায়ক, সাংসদরা নিজের এলাকা ছাড়তে পারবেন না। নিয়মিত রিপোর্ট দেবেন সরকারকে। ইতিমধ্যে জলে ভেসে মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে মেহবুবাবাদের বাসিন্দা তরুণ বৈজ্ঞানিকের। সব মিলিয়ে অচল অবস্থা তৈরি হয়েছে অন্ধ্র-তেলেঙ্গানা দুই রাজ্যে।

Card image cap

কেদারনাথে বড় দুর্ঘটনা

কেদারনাথে বড় দুর্ঘটনা। এমআই-১৭ চপার থেকে ছিঁড়ে পড়ল বিকল হেলিকপ্টার। শনিবার সকালে কেদারনাথ ধামে অবতরণের সময় যান্ত্রিক গোলযোগের কারণে বিকল হয়েছিল ওই হেলিকপ্টারটি। সেটিকে এদিন এয়ারলিফ্‌ট করে ফিরিয়ে আনছিল উদ্ধারকারী এমআই-১৭ চপার। আচমকা লোহার চেনের বাঁধন ছিঁড়ে যায়। এর ফলেই বিকল কপ্টারটি মন্দাকিনী নদীর তীরে আছড়ে পড়ে। তবে এই ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি বলেই জানা গিয়েছে। কপ্টার ছিঁড়ে পড়ার ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সোশাল মিডিয়ায়। ভাইরাল ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, মাঝ আকাশে এমআই-১৭ চপার। সেটির সঙ্গে চেন দিয়ে বাঁধা বিকল কপ্টার। আকাশেই এক সময় বাঁধন খুলে যায়। এর পরই বিকল কপ্টারটি আছড়ে পড়ে মন্দাকিনী নদীর ধারে। নদী তীরবর্তী বড় বড় পাথরের উপর আছড়ে পড়ায় টুকরো টুকরো হয়ে যায় বেসরকারি সংস্থা পরিচালিত ওই কপ্টারটি। প্রাথমিক ভাবে জানা যাচ্ছে, কেদারনাথ ও গৌচরের মাঝে ভীমবালির কাছে লিঞ্চোলিতে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে।এই ঘটনায় আতঙ্কিত কেদারনাথের তীর্থযাত্রীরা। আগস্ট মাসে উত্তরাখণ্ডে ভারী বৃষ্টি এবং অন্য দুর্যোগের কারণে পায়ে হেঁটে কেদার যাত্রা বন্ধ ছিল। পরিবর্তে তীর্থযাত্রীদের একটি অংশ চলতি মাসে হেলিকপ্টার চেপে কেদার ধামে পৌঁছোচ্ছিল। এমন আবহে শনিবার মাঝ আকাশ থেকে বিকল হয়ে যাওয়া হেলিকপ্টার ছিঁড়ে পড়ায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।

Card image cap

‘আলোচনা নয়, এবার অ্যাকশন’, বার্তা জয়শংকরের

‘সীমান্তপারে সন্ত্রাস চালিয়ে ভারতকে আলোচনার টেবিলে আনার নীতি আর বরদাস্ত করা হবে না। এক্ষেত্রে মারের বদলা মারই মিলবে’, নতুন ভারতে পাকিস্তানের সঙ্গে বৈদেশিক নীতি এভাবেই স্পষ্ট করে দিলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর। শুক্রবার পাকিস্তানকে কার্যত ‘আল্টিমেটাম’ দিয়ে জয়শংকর জানালেন, ‘সন্ত্রাস ও আলোচনা একসঙ্গে চলতে পারে না। এবার দিল্লির অবস্থান, আলোচনা নয়, অ্যাকশন।’ভারতের ‘শত্রু প্রতিবেশী’ তালিকায় সর্বদা সবার উপরে জায়গা নিয়ে এসেছে পাকিস্তান। একাধিকবার দেশটির সঙ্গে সম্পর্ক উন্নত করতে নিজের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিল ভারত। তবে বন্ধুত্বের আড়ালে মিলেছে শুধু বিষ। এই পরিস্থিতিতে পাক নীতিতে পুরোপুরি বদল আনার বার্তা দিলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর। দিল্লিতে এক বই প্রকাশ অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে ভারত-পাক সম্পর্ক প্রসঙ্গে জয়শংকর বলেন, “অতীতে পাকিস্তানের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের যে নীতি ভারতের ছিল যে যুগের অবসান ঘটেছে। জম্মু ও কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারাও অবলুপ্ত হয়েছে। এখন বিষয় হল পাকিস্তানের সঙ্গে আমরা কেমন সম্পর্ক রাখতে চাই। এ বিষয়ে ভারতের স্পষ্ট নীতি হল, আপসের কোনও প্রশ্নই নেই। ইতিবাচক হোক বা নেতিবাচক, আমরা পালটা প্রতিক্রিয়া দেব।”পাকিস্তানের রণনীতি স্পষ্ট করে বিদেশমন্ত্রী আরও বলেন, “পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্কের উন্নতির জন্য আমরা কোনওভাবে সন্ত্রাসকে উপেক্ষা করব না। ওদের রণনীতি হল, সীমান্তপারে সন্ত্রাস করে ভারতকে আলোচনার টেবিলে আনা। কিন্তু ভারত এই নীতিকে বরদাস্ত করবে না।” শুধু তাই নয়, জয়শংকর আরও জানান, প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে সম্পর্ক রাখা সবসময়ই কিছুটা চ্যালেঞ্জিং। কিছু সমস্যা মেটানোও যায় না। তবে সেই তালিকায় পাকিস্তান যে মাত্রা ছাড়া তা বুঝিয়ে দিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘২০১৯ সালের পর ইমরান খান এমন কিছু পদক্ষেপ করেছেন যাতে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কে প্রভাব পড়েছে।’পাশাপাশি বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক কোন পথে এগোচ্ছে সে বিষয়ে বার্তা দিয়ে মন্ত্রী জানান, বাংলাদেশ তৈরির সময় থেকে সে দেশের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক চড়াই উতরাইয়ের মধ্যে দিয়ে গিয়েছে। সেখানে রাজনৈতিক পালাবদল ঘটেছে। তা আমাদের স্বীকার করতেই হবে। এবং বর্তমান সরকারের সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখার ক্ষেত্রে জোর দিতে হবে আমাদের।

Card image cap

পাকিস্তান থেকে কী কী আমদানি করে ভারত?

ভারত ১৯৪৭ সাল ব্রিটিশ শাসন থেকে স্বাধীনতা লাভ করে। এরপরই দেশ ভেঙে দু টুকরো হয় আর পাকিস্তানের জন্ম হয়। স্বাধীনতার পর থেকেই দুই প্রতিবেশী দেশ নিজেদের মধ্যে বহুবার সংঘর্ষে লিপ্ত হয়েছে। তবে গত কয়েক দশকে, ভারত ও পাকিস্তানের অর্থনৈতিক সম্পর্ক ও বাণিজ্য কিছুটা উন্নত হয়েছে।


যদিও দুই দেশের মধ্যে এখনো রাজনৈতিক ও সামরিক সম্পর্কের জটিলতা রয়েই গেছে। তবে তাতেও দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্ক পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন হয়নি। নির্দিষ্ট কিছু ক্ষেত্রে এখনো দুই দেশ একে অপরের থেকে পণ্য আমদানি-রপ্তানি করে থাকে।


ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে বাণিজ্য দীর্ঘদিন ধরে চলছে। যদিও ২০১৯ সালে পুলওয়ামা হামলার পর থেকে ভারতের সঙ্গে পাকিস্তানের বাণিজ্য সম্পর্ক উল্লেখযোগ্যভাবে কমে গেছে। কিন্তু কিছু ক্ষেত্র এখনো আছে যেখানে দুই দেশ একে অপরের থেকে পণ্য কিনে থাকে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে যে ভারত পাকিস্তানের থেকে কি কি সামগ্রী ও পণ্য কিনে থাকে? চলুন এই সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।


ফল ও অন্যান্য কৃষিজাত পণ্য


ভারত পাকিস্তান থেকে মূলত ফল, বিশেষ করে খেজুর আমদানি করে। পাকিস্তান বিশ্বের অন্যতম বড় খেজুর উৎপাদক দেশ এবং ভারত তার নিকটবর্তী হওয়ায় ভারতীয় বাজারে খেজুরের চাহিদা পূরণে পাকিস্তান একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এছাড়াও, ভারতের পাঞ্জাব ও রাজস্থান রাজ্যে পাকিস্তান থেকে গম ও চালও মাঝে মধ্যে আমদানি করা হয়। তবে তা খুবই সীমিত।


কাপর ও টেক্সটাইল পণ্য


পাকিস্তান বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ টেক্সটাইল উৎপাদক দেশ। পাকিস্তানের বিভিন্ন ধরনের কাপর যেমন সুতির কাপর, শাল ইত্যাদি ভারত কিনে থাকে। পাকিস্তান থেকে সুতো ও অন্যান্য টেক্সটাইল উপকরণ আমদানির ক্ষেত্রেও ভারত নির্দিষ্ট সীমিত পরিস্থিতিতে পাকিস্তানের উপর নির্ভর করে থাকে।


সিমেন্ট ও সিমেন্ট তৈরির সামগ্রী


ভারত পাকিস্তান থেকে অনেক পরিমানে সিমেন্ট আমদানি করে থাকে। পাকিস্তানে প্রচুর সিমেন্ট ফ্যাক্টরি রয়েছে। এছাড়াও সেখানে সিমেন্টের উৎপাদন খরচ কম হওয়ার কারণে কম দামে সিমেন্ট ও সিমেন্ট তৈরির সামগ্রী আমদানি করে থাকে।


চশমা ও চশমা তৈরির সামগ্রী


পাকিস্তানে চশমা ও চশমা তৈরির বিভিন্ন সামগ্রী এবং চশমার বিভিন্ন পার্টস তৈরি হয় ব্যাপকভাবে। আর ভারত খুবই সীমিত পরিসরে এসব সামগ্রী পাকিস্তানের কাছ থেকে কিনে থাকে।








Card image cap

ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতি গুজরাটে

বর্ষায় দেশজুড়ে দুর্ভোগ অব্যাহত। এবার একটানা ভারী বৃষ্টিতে গুজরাটে বন্যা পরিস্থিতি। এখনও পর্যন্ত দুর্যোগের বলি হয়েছেন ২৯ জন। এদিকে আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, বৃহস্পতিবারও মোদি-শাহর রাজ্যের ১১টি জেলায় ভারী বৃষ্টি হবে। এর ফলে সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ বাড়বে বলেই মনে করা হচ্ছে। বাড়তে পারে হতাহতের সংখ্যাও। ইতিমধ্যে বন্যা কবলিত এলাকা থেকে ১৮ হাজার মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরানো হয়েছে।হাওয়া অফিস জানিয়েছে, গত তিন দিনে শুধু দেবভূমি দ্বারকা জেলাতে ১৮৫ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। রবিবার থেকে শুরু হওয়া বৃষ্টিতে প্লাবিত দ্বারকা, জামনগর, রাজকোট এবং পোরবন্দর। কয়েক লক্ষ মানুষ জলমগ্ন হয়ে পড়েছে জেলাগুলিতে। শুরু হয়েছে উদ্ধারকাজ। বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালাচ্ছে সেনা এবং জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। এদিকে গুজরাট সরকার বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, মোর্বি, ভদোদরা, বারুচ, জামনগর, আরাবল্লি, পঞ্চমহল এবং দ্বারকায় ১ জন করে মৃত্যু হয়েছে। ৬ জন মারা গিয়েছে আনন্দে। আমেদাবাদে মৃত্যু হয়েছে ৪ জনের। ২ জন করে মৃত্যু হয়েছে গান্ধীনগর, খেদা, মহিসাগড়, দাহোড় এবং সুরিন্দরনগর জেলায়।পিটিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, মোর্বি জেলার ধাভানা গ্রামে একটি ট্রাক্টর-ট্রলি ভেসে গিয়ে মৃত্যু হয়েছে কমপক্ষে ৭ জনের। উল্লেখ্য, গুজরাটের দুর্ভোগে এখনই ইতি হচ্ছে না। বৃহস্পতিবার রাজ্যের ১১ জেলায় লালা সতর্কতা এবং ২২ রাজ্যের হলুদি সতর্কতা জারি হয়েছে।

Card image cap

মাঝ সমুদ্রে ডুবল কলকাতা থেকে আন্দামানগামী জাহাজ

কলকাতা থেকে আন্দামান যাওয়ার পথে মাঝ সমুদ্রে ডুবল পণ্যবাহী জাহাজ। রবিবার রাতে এই দুর্ঘটনা ঘটে দক্ষিণ ২৪ পরগনার সাগর দ্বীপ থেকে ৯০ নটিক্যাল মাইল দক্ষিণে। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে উদ্ধারকাজে নামে উপকূলরক্ষী বাহিনী। তাঁদের তৎপরতায় উদ্ধার করা হয় ১১ জনকে।উপকূলরক্ষী বাহিনীর তরফে জানানো হয়েছে, রবিবার রাতে খবর আগে সাগর দ্বীপ থেকে ৯০ নটিক্যাল মাইল দূরে দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে এমভি আইটিটি পুমা নামের ওই জাহাজ। খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে উদ্ধারকাজে নামে বাহিনী। দু’টি জাহাজ সারাং, অমোঘকে পাঠানো হয় উদ্ধারকাজে। আকাশ পথে তাদের সাহায্য করার জন্য পাঠানো হয় উপকূলরক্ষী বাহিনীর বিমান সিজি ডরিনারকে। ওই রাতেই সমুদ্র ও আকাশ পথে শুরু হয় উদ্ধারকাজ। জাহাজে থাকা সকলে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী সরবরাহের ক্ষেত্রে অন্যতম মাধ্যম জলপথ। প্রতিদিন একাধিক পণ্যবাহী জাহাজ ভারত থেকে রওনা দেয় আন্দামানে। বঙ্গোপসাগরের এই দীর্ঘ যাত্রায় মাঝে মধ্যেই দুর্ঘটনার কবলে পড়তে হয় জাহাজগুলিকে। এর আগে গত ২৪ আগস্ট একই রকম দুর্ঘটনার কবলে পড়েছিল এক জাহাজ। দিউ থেকে ৭০ নটিক্যাল মাইল দক্ষিণে যান্ত্রিক ত্রুটির জেরে সমস্যায় পড়ে জাহজটি। তাকে উদ্ধার করে উপকূলরক্ষী বাহিনী।তবে কী কারণে ওই পণ্যবাহী জাহাজ দুর্ঘটনার কবলে পড়ে তা অবশ্য স্পষ্ট করা হয়নি। অনুমান করা হচ্ছে, সমুদ্রে প্রবল দুর্যোগের জেরে এই ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। উল্লেখ্য, বর্তমানে ঘূর্ণাবর্তের জেরে উত্তাল রয়েছে বঙ্গোপসাগর। আগামী সোমবার পর্যন্ত সমুদ্র উত্তাল থাকবে বলে জানানো হয়েছে আবহাওয়া দপ্তরের তরফে। এহেন পরিস্থিতিতে মৎসজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।

Card image cap

নারী নির্যাতনে কঠোরতম শাস্তি হবেই!

কর্তব্যরত অবস্থায় আর জি কর হাসপাতালের তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ-খুন নিয়ে তোলপাড় গোটা দেশ। তদন্তভার গিয়েছে কেন্দ্রীয় সংস্থা সিবিআইয়ের হাতে। শহর, রাজ্য তো বটেই, দেশের বিভিন্ন প্রান্তের চিকিৎসকরা যথাযথ নিরাপত্তার দাবিতে রীতিমতো কর্মবিরতি পালন করেছেন। এক চিকিৎসকের উপর এমন নারকীয় ঘটনা কাঁপন ধরিয়েছে সর্বস্তরে। নারী নির্যাতন বিশেষত যৌন হেনস্তার মতো স্পর্শকাতর ইস্যুতে আরও কড়া আইন আনার প্রয়োজনীয়তার কথা কেন্দ্রের কাছে তুলে ধরেছেন দলমত নির্বিশেষে রাজনীতিকরা। এমনকী বাংলার মুখ্যমন্ত্রী এনিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠিও পাঠিয়েছেন।এবার সরাসরি আর জি করের নাম না নিয়েও নারীবিরোধী অপরাধে কড়া শাস্তির জন্য প্রয়োজনীয় আইনের কথা বললেন নরেন্দ্র মোদি। মহারাষ্ট্রের জলগাঁও-তে ‘লাখপতি দিদি’দের সম্মেলনে তাঁর মুখে শোনা গেল সেই বার্তা।প্রধানমন্ত্রী মোদির বক্তব্য, নাবালক-নাবালিকাদের উপর যৌন হেনস্তার মতো ঘটনার শাস্তি হিসেবে এখনকার আইনে মৃত্যুদণ্ড বা যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে। কিন্তু এসব ছাড়াও তাদের উপর নানাধরনের হিংসার ঘটনা ঘটে। কোন অপরাধে কী শাস্তি, তা নির্দিষ্ট করা নেই। কিন্তু ভারতীয় ন্যায় সংহিতায় তা স্পষ্টভাবে বলা রয়েছে। আমি আপনাদের নিশ্চিত করছি, মহিলাদের উপর সবরকম অত্যাচার বন্ধ করে রাজ্য সরকারগুলির পদক্ষেপে পাশে আছে কেন্দ্র। আমাদের সরকার অপরাধীদের কঠোর থেকে কঠোরতম শাস্তি দিতে বদ্ধপরিকর।”‘লাখপতি দিদি’ সম্মেলনে নারীর ক্ষমতায়নের পক্ষে সওয়াল করে প্রধানমন্ত্রীর আরও বক্তব্য, ”সমাজ থেকে এ ধরনের মানসিকতা মুছে গেলে তবেই আমরা এই অত্যাচার বন্ধ করতে সফল হব।” ভারতীয় ন্যায় সংহিতার কথা উল্লেখ করে মোদির আরও বক্তব্য,  ”আগে এসব ঘটনার ক্ষেত্রে ঠিক সময়ে এফআইআর-ও হতো না। বিচারপ্রক্রিয়ায় গাফিলত হতো, দেরি হতো। কিন্তু আমরা এসব কাজকে ত্বরান্বিত করার লক্ষ্যে এগিয়েছে। এখন মহিলাদের উপর যে কোনও রকম অত্যাচারের অভিযোগ নিয়ে থানায় না এসেও ই-এফআইআর দায়েরের ব্যবস্থা করা হয়েছে।”

Card image cap

ইজরায়েলে ৩২০ রকেট হামলা হেজবোল্লার

 ফের মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধের আগুন। এবার একে অপরকে লক্ষ্য করে লাগাতার মিসাইল হামলা চালাল ইজরায়েল এবং হেজবোল্লা। একটি বিবৃতি জারি করে লেবাননের জঙ্গি সংগঠনটি দাবি করেছে, ইজরায়েলের একাধিক সামরিক ঘাঁটি লক্ষ্য করে অন্তত ৩২০টি কাতইউসা রকেট ছোড়া হয়েছে। তবে লেবাননের হামলার খবর পেয়ে আগে থেকেই সতর্ক ছিল তেল আভিভ। রবিবার ভোর থেকেই হেজবোল্লার ঘাঁটি লক্ষ্য করে আত্মরক্ষামূ্লক রকেট হামলা চালিয়েছে তারা। এই মুহূর্তে মধ্যপ্রাচ্যে পুরোদস্তুর যুদ্ধের আবহ। ইরান ও ইজরায়েলের মধ্যে কোনও ছায়াযুদ্ধ নয়, সরাসরি সংঘর্ষ শুরু হওয়া সময়ের অপেক্ষা বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। মনে করা হচ্ছে, পুরোদস্তুর লড়াই বাঁধল বলে। ইরানের পাশে রয়েছে হামাস ও হেজবোল্লার মতো জঙ্গি গোষ্ঠীও। এহেন পরিস্থিতিতে একটি বিবৃতি জারি করে ইরান সমর্থিত জঙ্গি সংগঠনটি জানায়, ইজরায়েলে বড়সড় হামলার পরিকল্পনা করেছে তারা। ইজরায়েলের একাধিক সামরিক ঘাঁটি লক্ষ্য করে অন্তত ৩২০টি রকেট ছুড়েছে তারা। তবে ইজরায়েলের তরফেও পালটা হামলা হয়েছে লেবাননে। ইজরায়েলি ডিফেন্স ফোর্সের তরফে বলা হয়, রবিবার ভোরবেলা হেজবোল্লার ডেরা লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়েছে। যেহেতু হেজবোল্লার তরফে বড়সড় হামলার প্রস্তুতি লক্ষ্য করা গিয়েছে তাই আত্মরক্ষার জন্যই আকাশপথে হামলা চালিয়েছে তেল আভিভ। তবে ঠিক কী ধরণের হামলা চালিয়েছে ইজরায়েল সেই নিয়ে বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি। হেজবোল্লার ছোড়া রকেট যেন প্রতিহত করা যায়, তার জন্য বায়ুসেনার বিশেষ বিমান মোতায়েন করা হয়েছে। মূলত ইজরায়েলের সাধারণ মানুষকে রক্ষা করার জন্যই এই পদক্ষেপ। এছাড়াও ইজরায়েলের আয়রন ডোম প্রযুক্তির মাধ্যমেও হেজবোল্লার আক্রমণ ঠেকানোর চেষ্টা চলছে।এহেন পরিস্থিতিতে যুদ্ধকালীন ক্যাবিনেট বৈঠক ডেকেছেন ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। দেশজুড়ে ৪৮ ঘণ্টার জরুরি অবস্থা জারি করেছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট। আংশিকভাবে বিমান চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে ইজরায়েলের বেন গুরিয়ান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্টে। 

Card image cap

মোদিকে আমন্ত্রণ পাকিস্তানের

সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনের শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ইসলামাবাদে আমন্ত্রণ জানাল পাকিস্তান। অক্টোবরে ইসলামাবাদে অনুষ্ঠিত হবে SCO দেশগুলির রাষ্ট্রনেতাদের বৈঠক। প্রথামাফিক ওই বৈঠকে যোগ দিতেই মোদিকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ।ভারত এবং পাকিস্তান ছাড়াও চিন, রাশিয়া, তাজাকিস্তান, কাজাখস্তান, উজবেকিস্তান-সহ বেশ কয়েকটি দেশ এই সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনের সদস্য। SCO দেশগুলি ঘুরিয়ে ফিরিয়ে শীর্ষ বৈঠকের আয়োজন করে থাকে। এবার ১৫ এবং ১৬ অক্টোবর ইসলামাবাদে এই সম্মেলন হবে। প্রথমাফিক শাহবাজ শরিফ সব সদস্য দেশের রাষ্ট্রপ্রধানদেরই আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। এখন দেখার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ওই বৈঠকে যোগ দিতে ইসলামাবাদে যান কিনা।সচরাচর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি SCO শীর্ষ সম্মেলনগুলিতে যোগ দেন। তবে এ বছর কাজাখস্থানে ওই বৈঠকে যোগ দেননি মোদি। ওই সময় দেশে সংসদের অধিবেশন চলছিল বলে মোদি নিজে না গিয়ে বৈঠকে পাঠান বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকরকে। যদিও মোদির ওই বৈঠকে যোগ না দেওয়ার নেপথ্যে ভারত-চিন সম্পর্কের টানাপোড়েন কাজ করেছে বলে মনে করা হয়। নয়াদিল্লির কূটনৈতিক মহল মনে করেছে, ভারত-পাক সম্পর্ক বর্তমানে যে পরিস্থিতিতে রয়েছে, তাতে মোদির ইসলামাবাদ সফরে যাওয়ার সম্ভাবনা বিশেষ নেই। তবে বৈঠকে ভারত প্রতিনিধি পাঠাবে। নয়াদিল্লির প্রতিনিধি হিসাবে SCO বৈঠকে যোগ দিতে পারেন বিদেশমন্ত্রী বা বিদেশ সচিব।উল্লেখ্য, গত বছর এই SCO সম্মেলন আয়োজিত হয় গোয়ায়। সেবার পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী বৈঠকে যোগ দেননি। বদলে এসেছিলেন তৎকালীন বিদেশমন্ত্রী বিলাওয়াল ভুট্টো। নয়াদিল্লি বিলাওয়ালকে কূটনৈতিক বাধ্যবাধকতার বাইরে কোনওরকম সৌজন্য দেখায়নি। এবার দেখার ভারতের প্রতিনিধি হিসাবে ইসলামাবাদে কাকে পাঠানো হয়।