CATEGORY country:

Card image cap

নেপাল বাস দুর্ঘটনায় মৃতদের পরিবারকে আর্থিক সাহায্য

নেপালে ভারতীয় পর্যটকবোঝাই বাস দুর্ঘটনায় এখনও পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৪১ জনের। এই দুর্ঘটনার মৃতদের বেশিরভাগ মহারাষ্ট্রের বাসিন্দা। ভয়াবহ সেই ঘটনায় এবার মৃতদের পরিবারকে আর্থিক সাহায্য ঘোষণা করল সরকার। শনিবার প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের তরফে জানানো হয়েছে মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনায় মৃতদের পরিবারকে ২ লক্ষ টাকা করে আর্থিক সাহায্য দেবে সরকার, পাশাপাশি আহতদের দেওয়া হবে ৫০ হাজার টাকা করে।৫৯ জন যাত্রী-সহ শুক্রবার পোখরা থেকে কাঠমাণ্ডু যাচ্ছিল বাসটি। পথে তানাহুন জেলার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ১৫০ ফুট নিচে মারসিংডি নদীতে পড়ে যায় সেটি। ভয়াবহ সেই দুর্ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ৪১ জনের দেহ উদ্ধার করা গিয়েছে। আহত ১২ জনকে বিমানে উড়িয়ে এনে ভর্তি করা হয় কাঠমাণ্ডু হাসপাতালে। মর্মান্তিক সেই দুর্ঘটনায় সম্ভাব্য সবরকম সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছিলেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে। শোক প্রকাশ করেছিলেন খোদ প্রধানমন্ত্রীও। শনিবার সেই দুর্ঘটনায় মৃতদের পরিবারকে অর্থসাহায্যের ঘোষণা করল প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর।প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের তরফে শনিবার এক্স হ্যান্ডেলে এ বিষয়ে জানানো হয়েছে, নেপালের তানাহুন জেলায় মর্মান্তিক বাস দুর্ঘটনায় মৃতদের পরিবারকে অর্থসাহায্য ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী। জাতীয় ত্রাণ তহবিল থেকে মৃতদের পরিবারকে ২ লক্ষ টাকা করে আর্থিক সাহায্য দেওয়া হবে। পাশাপাশি আহতদের ৫০ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে।এর পাশাপাশি জানা গিয়েছে অভিশপ্ত ওই বাসে অধিকাংশ যাত্রীই ছিলেন মহারাষ্ট্রের জলগাঁও জেলার বাসিন্দা। ইতিমধ্যেই নিহতদের দেহ দেশে ফেরানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে সরকারের তরফে। জানা যাচ্ছে, ভারতীয় বায়ুসেনা দেহগুলি কপ্টারে উড়িয়ে আনবে। দেহগুলি প্রথমে মহারাষ্ট্রের নাসিকে নিয়ে আসা হবে। সেখান থেকে পরিবারের সদস্যদের হাতে তুলে দেওয়া হবে দেহ।

Card image cap

১৫৬টি ‘ককটেল’ ওষুধ নিষিদ্ধ করল কেন্দ্র

ফের বাজার চলতি বহু ওষুধ নিষিদ্ধ ঘোষণা করল কেন্দ্র। এবার সংখ্যাটা ১৫৬। গুণমান পরীক্ষায় ব্যর্থ হওয়ায় এই ১৫৬টি ‘ককটেল ওষুধ’ নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে মোদি সরকার। বৃহস্পতিবার থেকে ওষুধগুলি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে, এই ওষুধগুলি শরীরের জন্য বিপজ্জনকও হতে পারে।কেন্দ্র যে ওষুধগুলি নিষিদ্ধ করেছে সেগুলি হল, ডোজ কম্বিনেশন তথা ‘ককটেল ওষুধ’। সাধারণ ভাবে ককটেল ওষুধ বলতে বোঝায়, একটি ওষুধের মধ্যে অনেকগুলি ওষুধের সংমিশ্রণ রয়েছে। কিন্তু বিশেষজ্ঞ কমিটি পরীক্ষা করে দেখে যে ওই ওষুধ রোগীদের পক্ষে বিপজ্জনক। সেই রিপোর্ট আসার পর মোদি সরকার ওই ওষুধ নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয়। অভিযোগ, উপযুক্ত বৈজ্ঞানিক তথ্য ছাড়াই অনেক ওষুধ কোম্পানি এই ওষুধ তৈরি করছে।সব মিলিয়ে তালিকাটি ১৫৬টি ওষুধের। এর মধ্যে বাজার চলতি অ্যান্টিবায়োটিক এবং পেইন কিলার সংমিশ্রণ। কেন্দ্রের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, মেফেনামিক অ্যাসিড + প্যারাসিটামল ইনজেকশন, লিভোসেট্রিজাইন + ফেনিলেফ্রিন এইচসিএল + প্যারাসিটামল, ক্যামিলোফিন ডাইহাইড্রোক্লোরাইড ২৫ এমজি + প্যারাসিটামল ৩০০ এমজি, প্যারাসিটামল + ক্লোরফেনির্মাইন মালেট + ফেনিল প্রোপানোলামিন সহ একাধিক ওষুধ নিষিদ্ধ করে দেওয়া হয়েছে।প্রসঙ্গত, গত বছরও ১৪টি ককটেল ওষুধকে গুণমানের জন্য নিষিদ্ধ ঘোষণা করে কেন্দ্র। তাতে ছিল, এতে রয়েছে সাধারণ সংক্রমণ, সর্দিকাশি ও জ্বর নিরাময়ের ওষুধ। নিমেসুলাইড+ প্যারাসিটামল ডিসপারসিবেল ট্যাবলেট, অ্যামোক্সিসিলিন+ব্রোমহেক্সিনের মতো ককটেল। এর আগে গত বছর গুণমানের পরীক্ষায় ডাহা ফেল করেছিল এদেশে বহুল ব্যবহৃত ৪৮ ওষুধ। যার মধ্যে হার্টের ওষুধ, ডায়াবেটিস, প্রেশার থেকে শুরু করে মাল্টিভিটামিন ইত্যাদি ওষুধ ছিল। পরীক্ষা করে দেখা যায়, ওষুধগুলির উপাদানে গোলমাল রয়েছে।

Card image cap

দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় মুখ্যমন্ত্রী যোগী

বিতর্ক যতই থাক জনপ্রিয়তায় কম যান না উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। লাগাতার তৃতীয়বার দেশের জনপ্রিয় মুখ্যমন্ত্রীর তকমা পেলেন তিনি। সম্প্রতি সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডের ‘মুড অফ দ্য নেশন’-এর সমীক্ষা অনুযায়ী দেশের ৩৩ শতাংশের বেশি মানুষ যোগীকে দেশের সেরা মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে মনে করেন। তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল।সেরা মুখ্যমন্ত্রী কে তা জানতে দেশজুড়ে ৩০ টি রাজ্যের ১.৩৬ লক্ষ মানুষের উপর সমীক্ষা চালিয়েছিল ‘মুড অফ দ্য নেশন’। যেখানে দেশের ৩৩ শতাংশের বেশি মানুষ মনে করছেন যোগী আদিত্যনাথই সেরা। তবে তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে থাকলেও দেশের মাত্র ১৩.৮ শতাংশ মানুষ অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে পছন্দ করেন। এই তালিকায় তৃতীয় স্থানে রয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দেশের ৯.১ শতাংশ মানুষ মমতাকে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে পছন্দ করেন। চতুর্থ স্থানে রয়েছেন তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্ট্যালিন। ৪.৭ শতাংশ মানুষ তাঁকে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে চান। এবং পঞ্চম স্থানে জায়গা পেয়েছেন সদ্য মুখ্যমন্ত্রী হওয়া অন্ধ্রপ্রদেশের চন্দ্রবাবু নাইডু। ৪.৬ শতাংশ মানুষ তাঁর পক্ষে ভোট দিয়েছেন। এছাড়াও এই তালিকায় যথাক্রমে রয়েছেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার, মহারাষ্ট্রের একনাথ শিন্ডে, কর্নাটকের সিদ্দারামাইয়া, অসমের হিমন্ত বিশ্বশর্মা, উত্তরাখণ্ডের পুষ্কর সিং ধামী।তালিকায় যোগী আদিত্যনাথকে শীর্ষে রাখার পিছনে মানুষের দাবি, যোগী আদিত্যনাথ আসার পর গত সাড়ে সাত বছরে উত্তরপ্রদেশের আইনশৃঙ্খলার ব্যাপক উন্নতি হয়েছে। অপরাধীদের বিরুদ্ধে কড়া হাতে পদক্ষেপ নিয়েছেন তিনি। যদিও আইনের চোখে এই কড়া পদক্ষেপ বার বার বিতর্কের কেন্দ্রে উঠে এসেছে। বেলাগাম এনকাউন্টার, অপরাধীর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা, অভিযুক্তের বাড়িতে বুলডোজার চালানোর মতো একাধিক নীতির কড়া সমালোচনা করেছে সুপ্রিম কোর্ট। তবে বাস্তবে সেই নীতিতেই জনপ্রিয়তার শিখরে উঠেছেন যোগী।পাশাপাশি নরেন্দ্র মোদির পর কে হতে পারেন প্রধানমন্ত্রীর উত্তরসূরি? সে রিপোর্টও প্রকাশ্যে এনেছে ইন্ডিয়া টু-ডে মুড অফ দ্য নেশন সমীক্ষা। যেখানে দেখা যাচ্ছে, বিজেপির অন্দরে মোদির উত্তরসূরি হিসাবে সবার চেয়ে এগিয়ে বর্তমান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এই মুহূর্তে বিজেপি সমর্থকদের মধ্যে ২৫ শতাংশ মানুষ মনে করছেন মোদির উত্তরসূরি হিসাবে শাহই শ্রেষ্ঠ। শাহর পর মোদির উত্তরসূরি হিসাবে বিজেপি সমর্থকদের দ্বিতীয় পছন্দ উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। ১৯ শতাংশ বিজেপি সমর্থক মনে করছেন, মোদির উত্তরসূরি হতে পারেন যোগী আদিত্যনাথ। ১৩ শতাংশ মানুষ মনে করছেন, নরেন্দ্র মোদির উত্তরসূরি হতে পারেন সড়ক ও পরিবহণ মন্ত্রী নীতীন গড়করি। মোদির উত্তরসূরি হিসাবে শিবরাজ সিং চৌহান এবং রাজনাথ সিংকে পছন্দ করছেন প্রায় ৫ শতাংশ করে মানুষ।

Card image cap

বড় ষড়যন্ত্রের হদিশ পেল দিল্লি পুলিশ

ভারতে জেহাদের স্বপ্ন দেখছিল ইসলামিক স্টেট। এবার এদেশে ‘খিলাফতে’র নীল নকশা জঙ্গি সংগঠন আল কায়দার অনুপ্রেরণায়। বড় ষড়যন্ত্রের খোঁজ পেয়ে তৎপর হয়েছে দিল্লি পুলিশ। ইতিমধ্যে ঝাড়খণ্ড, রাজস্থান এবং উত্তরপ্রদেশ থেকে ১৪ সন্দেহভাজনকে জঙ্গিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁদের জেরা করে ভবিষ্যৎ নাশকতার রোখার চেষ্টায় পুলিশ। তদন্তকারীরা প্রাথমিক ভাবে জানতে পেরেছেন যে একাধিক বড় হামলার ছক কষেছিল জঙ্গিরা।এক বিবৃতিতে দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে, রাঁচির ড. ইসতিয়াক নামের এক ব্যক্তি ভারতে ‘খিলাফত ঘোষণা করে। কুখ্যাত জঙ্গি গোষ্ঠী আল কায়দার অনুপ্রেরণায় ধারাবাহিক জঙ্গি হামলার ছক কষা হয়েছিল। পুলিশ জানিয়েছে, সন্ত্রাসী মডিউলের সদস্যদের বিভিন্ন স্থানে অস্ত্র প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছিল। গোয়েন্দা রিপোর্ট পেয়ে এই বিষয়ে খোঁজ-খবর শুরু করে দিল্লি পুলিশ। তদন্তে সাহায্য করে একাধিক পড়শি রাজ্যের পুলিশ বাহিনীও। এর পরেই ধরপাকড় শুরু করেন তদন্তকারীরা।দিল্লি পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজস্থানের ভিওয়াড়ি থেকে ৬ জঙ্গিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সেখানে তাদের অস্ত্র প্রশিক্ষণ চলছিল। আরও ৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ঝাড়খণ্ড এবং উত্তরপ্রদেশ থেকে। ইতিমধ্যে অভিযুক্তদের জেরা করে বিভিন্ন ধরনের অস্ত্র, গোলাবারুদ এবং জঙ্গিবাদে উসকানি দেওয়া বইপত্র উদ্ধার করা হয়েছে। দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে, আল কায়দায় অনুপ্রাণিত জঙ্গিদের ষড়যন্ত্র ভেস্তে দিতে দেশজুড়ে অভিযান চালানো হচ্ছে। একাধিক সন্দেহভাজনকে নজরে রাখা হচ্ছে। ভবিষ্যতে তাদের গ্রেপ্তার করা হবে।

Card image cap

আগামী মাসেই দেশজুড়ে শুরু হচ্ছে জনগণনা!

অবশেষে বহু প্রতীক্ষিত জনগণনা অর্থাৎ আদমশুমারির প্রক্রিয়া করতে চলেছে কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি সরকার। সব ঠিক থাকলে, প্রায় ১৩ বছর পর আগামী মাস থেকেই জনগণনা প্রক্রিয়া শুরু হতে চলেছে। গোটা প্রক্রিয়া চলবে প্রায় দেড় বছর। ২০২৬ সালের মার্চ মাসের মধ্যে জনগণনার রিপোর্ট প্রকাশ করার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে সরকার।রীতি অনুযায়ী, প্রতি ১০ বছর অন্তর আদমশুমারি হয়ে থাকে। কিন্তু ২০১১-র পর এ দেশে আর জনগণনা হয়নি। ২০২১ সালে জনগণনা হওয়ার থাকলেও করোনা অতিমারীর জেরে সেটা পিছিয়ে দেওয়া হয়। শোনা গিয়েছিল, ২০২৩ সালে জনগণনা হতে পারে। কিন্তু ভোটের আগে সে পথে হাঁটেনি মোদি সরকার। সব মিলিয়ে মোদি জমানায় একবারও জনগণনা হয়নি। তাতে সরকারের অন্দরে নানা ধরনের প্রশ্নও উঠছিল। ১৮৭২ সালে শুরু হওয়া আদমশুমারি রীতি মেনে প্রতি প্রতি ১০ বছর অন্তর হয়। কিন্তু মোদি সরকার আসার পর এখনও পর্যন্ত জনগণনা হয়নি। আর এতেই রাজনীতির গন্ধ পাচ্ছে বিরোধীরা।অর্থনীতিবিদদের একটা অংশ বলছে, এখনও পর্যন্ত মোদি সরকার যাবতীয় যা যা কর্মসূচি নিচ্ছে বা পরিকল্পনা করছে সবটাই সেই ২০১১ সালের তথ্যের উপর ভর করে। ফলে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে সরকারি আধিকারিকদেরও। তাছাড়া সরকারের ব্যয় বরাদ্দের ক্ষেত্রেও সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। বস্তুত জনগণনার দাবিতে সরকারের অন্দরেও চাপ বাড়ছিল। অবশেষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক জনগণনার প্রক্রিয়া শুরু করতে চলেছে। এমনটাই দাবি করেছে সংবাদসংস্থা রয়টার্স। সরকারি সূত্রের খবর, মোটামুটিভাবে দেড় বছরের মধ্যে বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহ এবং বিশ্লেষণের কাজ শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। সেই তথ্য প্রকাশ করা হবে ২০২৬ সালের মার্চে। অর্থাৎ সব মিলিয়ে প্রায় ১৫ বছর বাদে জনগণনার তথ্য প্রকাশ্যে আসতে চলেছে।উল্লেখ্য, গত লোকসভা নির্বাচনে জাতিগত জনগণনার দাবি তুলেছিলেন রাহুল গান্ধী। যার প্রভাব পড়েছে হিন্দি বলয়ে। বিশেষ করে উত্তরপ্রদেশে ভালোমতো ধাক্কা খেয়েছে বিজেপি। রাহুল এখনও জাতিগত জনগণনার দাবি জোরালভাবে জানিয়ে যাচ্ছেন। সরকার জনগণনার সময় জাতির উল্লেখ করে কিনা সেটাই দেখার।

Card image cap

মোদি-সাক্ষাতে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী

৩ দিনের সফরে ভারতে এসেছেন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম। আজ, মঙ্গলবার তিনি পৌঁছন রাষ্ট্রপতি ভবনে। সেখানে তাঁকে স্বাগত জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ইব্রাহিমকে দেখেই আলিঙ্গন করেন নমো। সৌজন্য বিনিময় করেন দুই রাষ্ট্রনেতা। দুদেশের এই বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বহু পুরনো। নিজেদের বায়ুসেনার শক্তি আরও বাড়াতে ভারতের কাছে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির যুদ্ধবিমান কিনতেও আগ্রহী মালয়েশিয়া। এছাড়া নয়াদিল্লির ‘অ্যাক্ট ইস্ট পলিসি’র গুরুত্বপূর্ণ সহযোগী মালয়। দক্ষিণ চিন সাগরে চিনের ‘দাদাগিরি’ রুখতে একজোট দুদেশই। চৈনিক চাল ভেস্তে দিতে এবার ভারতের ‘হাতিয়ার’ মালয়েশিয়া। মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীকে ভারতে আসার আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন মোদি। সেই আমন্ত্রণে সাড়া দিয়েই সোমবার রাতে দিল্লিতে পা রাখেন আনোয়ার ইব্রাহিম। বেশ কিছু কর্মসূচি রয়েছে তাঁর। মঙ্গলবার রাষ্ট্রপতি ভবনে তাঁকে প্রথাগত ভাবে স্বাগত হয়। ইব্রাহিমকে স্বাগত জানিয়ে আলিঙ্গন করেন মোদি। এদিন রাজঘাটে গিয়েও মহাত্মা গান্ধীকে শ্রদ্ধা জানান মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী। রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গেও সাক্ষাৎ করার কথা রয়েছে তাঁর। এর পর দিল্লির হায়দরাবাদ হাউসে ইব্রাহিম বৈঠক করেন মোদির সঙ্গে। দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক থেকে ব্যবসা-বাণিজ্য, বিভিন্ন আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক বিষয়ে আলোচনা হয়েছে তাঁদের মধ্যে। কথা হয়েছে দক্ষিণ চিন সাগরের সুরক্ষা নিয়েও।মোদি-ইব্রাহিম সাক্ষাতের কথা এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল। তিনি লেখেন, ‘মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের এই সফর আমাদের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। রাষ্ট্রপতি ভবনে তাঁকে স্বাগত জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ভারতের অ্যাক্ট ইস্ট পলিসির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ ও সহযোগী মালয়েশিয়া।’ ভারতে এসে উচ্ছ্বসিত আনোয়ার ইব্রাহিমও। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি জানিয়েছেন,”আগামিদিনে ভারত-মালয়েশিয়া সম্পর্ক আরও মজবুত হবে। পারস্পরিক সহযোগিতার ক্ষেত্র আরও সম্প্রসারণ করতে আমাদের মধ্যে মত বিনিময় হয়েছে।”উল্লেখ্য, গোটা দক্ষিণ চিন সাগর নিজের বলে দাবি করে চিন। এনিয়ে আমেরিকা, ভারত ছাড়াও চিনের লড়াই সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, ফিলিপিন্স, জাপান, ভিয়েতনাম এবং সুদূর ইন্দোনেশিয়ার সঙ্গেও। তাদের ভূখণ্ড থেকে দেড় হাজার কিলোমিটার দূরে অবস্থিত ইন্দোনেশিয়ার একটি দ্বীপেও মাছ ধরার অধিকার চাইছে চিন। দক্ষিণ চিন সাগরে একাধিক দ্বীপে সামরিক ঘাঁটি তৈরি করেছে বেজিং। পালটা বেজিংকে শায়েস্তা করতে সেখানে নিয়মিত যুদ্ধবিমানবাহী রণতরী পাঠাচ্ছে আমেরিকা। সব মিলিয়ে দক্ষিণ চিন সাগর ক্রমেই উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। ‘ড্রাগন’কে রুখতে দক্ষিণ চিন সাগরের দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক মজবুত করছে ভারত। 

Card image cap

অন্ধ্রপ্রদেশে অনাথাশ্রমে খাদ্যে বিষক্রিয়ায় মৃত ৪ শিশু

অন্ধ্রপ্রদেশের একটি অনাথাশ্রমে খাদ্যে বিষক্রিয়ায় মৃত্যু ৪ শিশুর। অসুস্থ হয়ে চিকিৎসাধীন আরও ৩৩ জন। রবিবার সকালে জলখাবারের পরেই পেটে ব্যথা, বমির উপসর্গ দেখা দেয় শিশুদের মধ্যে। তড়িঘড়ি তাদের হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেখানেই ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে, আশঙ্কা প্রশাসনের।অন্ধ্রপ্রদেশের আনাকাপল্লি জেলায় একটি গির্জা পরিচালিত ওই অনাথাশ্রমে ৮৬ জন শিশুর বাস। রবিবার সকালে প্রাতরাশের পরেই হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ে ওই শিশুদের একাংশ। কারও পেটে ব্যথা, কারও বমির মতো উপসর্গ দেখা দেয়। একের পর এক পড়ুয়ার মধ্যে একই উপসর্গ ধরা পড়ায় আতঙ্ক ছড়ায় গোটা অনাথাশ্রমে। একসঙ্গে এত পড়ুয়া অসুস্থ হয়ে পড়ায় উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন কর্তৃপক্ষও। তড়িঘড়ি অসুস্থ শিশুদেরকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। পৌঁছন রাজ্যের উপ-শিক্ষা কর্মকর্তাও।
রবিবারই চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়েছে তিন শিশুর। তাদের তিনজনেরই বয়স ন’বছরের কম। বাকি শিশুদের চিকিৎসা চলছে আনাকাপল্লি এবং বিশাখাপত্তনম জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে। মৃত শিশুদের পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছে সে রাজ্যের সরকার। কীভাবে বিষক্রিয়া ছড়াল তা খতিয়ে দেখতে ওই খাবারের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। উপ-শিক্ষা কর্মকর্তার তত্ত্বাবধানে চলছে তদন্ত।

Card image cap

উধমপুরে জঙ্গি হামলায় শহিদ CRPF আধিকারিক

ফের রক্তাক্ত উপত্যকা। এবার জম্মু ও কাশ্মীরের উধমপুরে জঙ্গিদের সঙ্গে সংঘর্ষে শহিদ হলেন এক CRPF আধিকারিক। সোমবার উধমপুরের পাহাড়ি এলাকায় CRPF জওয়ানদের একটি চেক পোস্টে আচমকা হামলা চালায় জঙ্গিরা। সেই সময় গুলিবিদ্ধ হন ওই CRPF আধিকারিক। তাতেই মৃত্যু হয়েছে তাঁর। এই ঘটনার পরেই এলাকা ঘিরে ফেলে জঙ্গিদের খোঁজে তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে সেনা।CRPF সূত্রে জানা গিয়েছে, উধমপুরের দাদু এলাকার পুলিশ চৌকি থেকে ৮ কিলোমিটার দূরে পাহাড়ি এলাকায় ছিল ওই CRPF চেকপোস্ট। সম্প্রতি জঙ্গি তৎপরতা রুখতে ওই চেক পোস্টটি তৈরি করা হয়েছিল। সেখানেই সোমবার হামলা চালায় জঙ্গিরা। তাতেই গুলিবিদ্ধ হয়ে শহিদ হন ওই আধিকারিক। ঘটনাস্থলে বাড়তি বাহিনী পাঠিয়েছে আধাসেনা। জঙ্গিদের খোঁজে এলাকায় চিরুনি তল্লাশি চালাচ্ছেন CRPF জওয়ানরা।উল্লেখ্য, গত কয়েকমাস ধরে একের পর এক জঙ্গি হামলায় রক্তাক্ত উপত্যকা। তবে শুধু জম্মু ও কাশ্মীর নয়, দেশের একাধিক জায়গায় আত্মঘাতী জঙ্গি হামলার ছক কষছে জঙ্গিরা। গত ১৪ আগস্ট জম্মু ও কাশ্মীরে জঙ্গি দমন অভিযানে মৃত্যু হয়েছে এক সেনা আধিকারিকের। ডোডা জেলার আসসর এলাকায় চার জঙ্গির খোঁজে গিয়েছিল সেনা ও পুলিশের যৌথ বাহিনী। সেই সময় সেনা-জঙ্গি গুলির লড়াইয়ে মৃত্যু হয় ওই ক্যাপ্টেন পদ মর্যাদার সেনা আধিকারিকের।

Card image cap

RG Kar কাণ্ডে মোদিকে চিঠি IMA-র

আর জি কর হাসপাতালে মহিলা চিকিৎসককে যৌন নির্যাতন ও খুনের ঘটনায় উত্তাল গোটা দেশ। জরুরি পরিষেবা প্রদান ছাড়া কর্মবিরতিতে নেমেছেন দেশের চিকিৎসকরা। এহেন পরিস্থিতির মাঝেই এবার চিকিৎসকদের পর্যাপ্ত নিরাপত্তার আবেদন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি লিখল ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন। প্রধানমন্ত্রীর কাছে একাধিক দাবি জানানো হয়েছে চিকিৎসকদের তরফে। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল, বিমানবন্দরের ধাঁচে নিরাপত্তা প্রদান করা হোক হাসপাতালগুলিতে।আর জি কর কাণ্ডে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চেয়ে চিঠিতে আইএমএ লিখেছে, ‘গত ৯ আগস্ট কলকাতার আর জি কর হাসপাতালে চেস্ট মেডিসিন বিভাগের এক মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ ও নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। এই নৃশংস ঘটনা চিকিৎসা জগতের পাশাপাশি গোটা দেশের আত্মাকে নাড়িয়ে দিয়েছে। এর পর ১৫ আগস্ট রাতে বিশাল ভিড় হামলা চালায় হাসপাতালে। যেখানে চিকিৎসকের দেহ উদ্ধার হয়েছিল সেই জায়গার পাশাপাশি হাসপাতালের একাধিক জায়গায় ভাঙচুর চালানো হয়। পেশার দায়বদ্ধতার কারণে চিকিৎসকদের পাশাপাশি হামলার শিকার হচ্ছেন মহিলা চিকিৎসকরা। ফলে হাসপাতালে চিকিৎসকদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা হোক।’এই মর্মেই প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চেয়ে দাবি জানানো হয়েছে ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের তরফে যেগুলি হল, ১. দেশের সব হাসপাতালের নিরাপত্তা বিমানবন্দরের ধাঁচে গড়ে তোলা হোক। ২. চিকিৎসকদের নিরাপত্তা অধিকারকে গুরুত্ব দিয়ে বাধ্যতামূলকভাবে হাসপাতালগুলিকে নিরাপদ অঞ্চল হিসেবে গড়ে তোলা হোক। হাসপাতালে সিসিটিভি ক্যামেরা, নিরাপত্তা কর্মী মোতায়েনের পাশাপাশি সকলকে নিরাপত্তাবিধি মেনে চলার ব্যবস্থা করতে হবে। ৩. কোনও রকম অবসর ছাড়া টানা ৩৬ ঘণ্টা পর্যন্ত কাজ করতে হয় চিকিৎসকদের। আবাসিক চিকিৎসকদের হাসপাতালে থাকার জন্য উপযুক্ত ব্যবস্থার করা হোক। ৪. কোনও অপরাধ ঘটলে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তদন্তের মাধ্যমে ন্যায়বিচার দিতে হবে। ৫. নির্যাতিতার শোকাহত পরিবারকে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।পাশাপাশি চিঠিতে আরও লেখা হয়েছে, এই বিষয়গুলিকে গুরুত্ব দিয়ে হাসপাতালে তা বাস্তবায়িত করলে মহিলা চিকিৎসকরা তাঁদের কর্মস্থলে আত্মবিশ্বাস ফিরে পাবেন। কারণ সারা দেশে ৬০ শতাংশ চিকিৎসক মহিলা। দন্ত চিকিৎসায় ৬৮ শতাংশ, ফিজিও থেরাপিতে ৭৫ শতাংশ এবং নার্সিংয়ে ৮৫ শতাংশ মহিলা কর্মরত। স্বাস্থ্যপরিষেবায় যারা কর্মরত তাঁদের জন্য কর্মক্ষেত্রে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ এবং নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা একান্ত প্রয়োজন। আমাদের দাবি পূরণের জন্য যথাযথ ব্যবস্থা নিয়ে আমরা আপনার হস্তক্ষেপের আবেদন জানাচ্ছি।

Card image cap

বাংলাদেশকে বড় খেল দেখাতে প্রস্তুত ভারত!

৫ আগস্ট পতন হয়েছে বাংলাদেশের শেখ হাসিনা সরকারের। এখন সেখানে অন্তর্বর্তী সরকার গঠন হয়েছে। প্রধান দায়িত্বে রয়েছেন নোবেলজয়ী মুহাম্মদ ইউনূস। এদিকে ক্ষমতা হারানোর পর এখন ভারতের আশ্রয়ে রয়েছেন আওয়ামী লিগের নেত্রী শেখ হাসিনা। যাইহোক, এই ঘটনার পর থেকে রীতিমতো সবকিছু নিয়ে যেন খেই হারাচ্ছে ভারত।


তারই প্রমাণ মিলল মোদী সরকারের এক বড় সিদ্ধান্তের। কেউ হয়তো ভাবতেও পারেননি যে সরকার এমন করবে।


চরম পদক্ষেপ মোদী সরকারের


বাংলাদেশ নিয়ে এবার বড় সিদ্ধান্তের পথে হাঁটল ভারত সরকার। ইতিমধ্যে বাংলাদেশের নানা ঘটনার পর সে দেশ থেকে ভারতে ইলিশ ঢোকা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। ফলে বেজায় মন খারাপ ইলিশ প্রেমীদের। বিশেষ করে ভরা বর্ষায় ইলিশ না পেয়ে বেজায় মন খারাপ আপামর বাঙালির। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে রফতানি। বাংলাদেশের মৎস্য উপদেষ্টার সাফ বক্তব্য, আগে বাংলাদেশের মানুষ ইলিশ পাবেন তারপর অন্য কোথাও। যাইহোক, এবার এই ঘটনার রীতিমতো বদলা নিতে দেখা গেল ভারতকে। এবার ইলিশের বদলা বিদ্যুতের মাধ্যমে নিতে পারে সরকার বলে কানাঘুষো শোনা যাচ্ছে।


বাংলাদেশকে আর বিদ্যুৎ পাঠাবে না ভারত ?


শেখ হাসিনার পদত্যাগের এক সপ্তাহ পর বিদ্যুৎ-এর চুক্তি নিয়ে সংশোধন করছে ভারত। ইতিমধ্যে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে যে বাংলাদেশকে আর বিদ্যুৎ পাঠাবে না ভারত ? আসলে ভারতের ঝাড়খন্ডে আদানি গ্রুপের তরফে একটি বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করা হয়, যেই বিদ্যুৎ কেন্দ্রের শতভাগ বিদ্যুৎ বাংলাদেশে রপ্তানি করা হয়। আর বর্তমানে ভারতের সাথে বাংলাদেশের যে সম্পর্ক তাতে অবনতি দেখা দিয়েছে। এছাড়াও বাংলাদেশের বিদ্যুতের চাহিদা দিনকে দিন কমে এসেছে। এছাড়াও ভবিষ্যতে বাংলাদেশ সরকারের সাথে ভারত সরকারের কি সম্পর্ক থাকবে তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে।


এছাড়াও ইতিমধ্যেই বাংলাদেশ সরকার ভারতের সাথে বিভিন্ন মতবিরোধ তৈরি করেছে যার মধ্যে ভারতে ইলিশ রপ্তানি বন্ধ করা। ভারত সরকারের কাছে শেখ হাসিনার প্রত্যারপন, ইত্যাদি কারণে ভারত সরকার আদানি গ্রুপের এই বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে আগামী দিনে যাতে ভারতেই বিদ্যুৎ বিক্রি করা যায় তার জন্য একটি রপ্তানি বিল সংশোধন করেছে। যার মাধ্যমে আগামী দিনে দরকার পড়লে আদানি গ্রুপ ভারতেই তাদের উৎপাদিত বিদ্যুৎ বিক্রি করতে পারবে। এতে করে একদিকে যেমন ভারতে বিদ্যুতের চাহিদা পূরণ হবে তেমনি আদানি গ্রুপের তৈরি করা বিদ্যুৎ নষ্ট হবে না।


এছাড়াও আগামী দিনে বাংলাদেশের সাথে ভারতের সম্পর্ক নষ্ট হলে বাংলাদেশ সরকার আদানি গ্রুপের বিদ্যুৎ ক্রয় করার থেকে নিজেকে সরিয়ে নিতে পারে। যাতে করে ভারতের উপর চাপ সৃষ্টি করা যায়। তাই বাংলাদেশ সরকারের কোর্টে যেই বল ছিল, সেই বল ভারত সরকার নিজের কোর্টে নেওয়ার জন্যই এই বিল সংশোধন করেছে। এতে করে আগামী দিনে বাংলাদেশ সরকার এই বিদ্যুৎ ক্রয় না করার ফলে ভারত সরকারের উপরে যেই চাপ সৃষ্টি করতে পারত সেই চাপ সৃষ্টি করতে আর পারবে না।

Card image cap

মোদিকে ফোনে আশ্বাস ইউনুসের

বাংলাদেশে হিন্দু-সংখ্যালঘুদের নিয়ে চিন্তিত ১৪০ কোটি ভারতীয়। বৃহস্পতিবার, স্বাধীনতা দিবসের দিন লালকেল্লা থেকে পড়শি দেশের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে এমনই বার্তা দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এবার হিন্দু-সহ অন্যান্য সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তার বিষয়ে তাঁর সঙ্গে ফোনে কথা বললেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মহম্মদ ইউনুস। বাংলাদেশে সকলের সুরক্ষা সুনিশ্চিত করার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।গত ৫ আগস্ট ব্যাপক গণ আন্দোলনের জেরে পদত্যাগ করতে বাধ্য হন বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দেশে ছেড়ে তিনি আপাতত ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন। হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে সেদেশে হামলার শিকার হচ্ছেন হিন্দু-সহ অন্যান্য সংখ্যালঘুরা। বিশেষ করে হিন্দুদের বাড়ি, সম্পত্তিতে হামলা চালানো হয়। ছাড় পায়নি উপাসনালয়গুলোও। বহু হিন্দুমন্দির ধ্বংস করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। যা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে নয়াদিল্লি। গতকাল লালকেল্লাতেও মোদির কথাতে সেই উদ্বেগ ধরা পড়ে। আর এর মাঝেই আজ শুক্রবার, তাঁর সঙ্গে ফোনে কথা বলেন ইউনুস। নিজেই সেকথা এক্স হ্যান্ডেলে জানিয়ে নমো লেখেন, ‘ড. মহম্মদ ইউনুসের সঙ্গে আমার ফোনে কথা হয়েছে। বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে আমরা মত বিনিময় করেছি। গণতান্ত্রিক, স্থিতিশীল, শান্তিপূর্ণ ও প্রগতিশীল বাংলাদেশের প্রতি ভারতের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছি আমি। ড. ইউনুস বাংলাদেশের হিন্দু ও সকল সংখ্যালঘুদের সুরক্ষা ও নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার আশ্বাস দিয়েছেন।’গতকাল প্রথমবার পড়শি দেশের অশান্ত পরিস্থিতি নিয়ে প্রকাশ্য কথা বলেন মোদি। উদ্বেগ প্রকাশ করে তিনি বলেন, “বাংলাদেশে যা কিছু ঘটেছে তা নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন।বাংলাদেশের হিন্দু-সংখ্যালঘুদের নিয়ে চিন্তিত ১৪০ কোটি ভারতীয়। তাঁরা চাইছেন, সেদেশে হিন্দু ও সংখ্যালঘুদের সুরক্ষা ও নিরাপত্তার দিকটি নিশ্চিত হোক। বাংলাদেশের ‘বিকাশ যাত্রা’র জন্য আমাদের শুভকামনা রয়েছে। মানবজাতির কল্যাণের জন্য আমরা চাই সেদেশের পরিস্থিতি দ্রুত স্বাভাবিক হোক।” কূটনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, বাংলাদেশের জন্য ভারতের সহযোগিতা কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা নতুন অন্তর্বর্তী সরকারও জানে খুব ভালো করে। নয়া এই সরকার গঠন হওয়ার পরও বাংলাদেশে আক্রান্ত হতে হয়েছে হিন্দু-সহ অন্যান্য সংখ্যালঘুদের। যা নিয়ে রীতিমত চাপ বাড়িয়েছে দিল্লি। ফলে হাসিনা চলে গেলেও ভারত যে বাংলাদেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন ইউনুস। 

Card image cap

স্বাধীনতা দিবসে দীর্ঘতম ভাষণ

 টানা ১১ বার লালকেল্লায় জাতীয় পতাকা উত্তোলন এবং জাতির উদ্দেশে ভাষণ। দেশের ৭৮তম স্বাধীনতা দিবসের সকালে একাধিক নজির গড়লেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। একদিকে মনোমোহন সিংকে টপকে তৃতীয় প্রধানমন্ত্রী হিসাবে লালকেল্লায় পতাকা উত্তোলন। অন্যদিকে স্বাধীনতা দিবসে প্রধানমন্ত্রী হিসাবে দীর্ঘতম ভাষণ, দুই রেকর্ডই মোদির নামের পাশে।প্রধানমন্ত্রী হিসাবে সবচেয়ে বেশিবার লালকেল্লায় ভাষণ দিয়েছেন জওহরলাল নেহরু। লালকেল্লায় মোট ১৭ বার ভাষণ দিয়েছেন তিনি। স্বাধীন দেশের প্রথম ভাষণও দেন নেহেরুই। ইন্দিরা গান্ধী ১৯৬৬ থেকে ১৯৭৭ এবং পরে ১৯৮০ থেকে ১৯৮৪ পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। তিনি মোট ১৬ বার লালকেল্লায় জাতীয় পতাকা উত্তোলনের পর দেশবাসীর উদ্দেশে ভাষণ দেন। সবচেয়ে বেশিবার ভাষণ দেওয়া প্রধানমন্ত্রীদের নিরিখে মোদি এখন তৃতীয় স্থানে। ২০১৪ সাল থেকে টানা ১১ বার লালকেল্লায় ভাষণ দিলেন মোদি। তিনি টপকে গেলেন মনোমোহন সিংকে। এদিন লালকেল্লায় দাঁড়িয়ে ইতিহাসের দীর্ঘতম ভাষণ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। বুধবার সকালে টানা ৯৮ মিনিট ভাষণ দেন মোদি। প্রধানমন্ত্রীর অবশ্য লম্বা ভাষণ দেওয়ার রেকর্ড রয়েছে। এর আগে ২০১৬ সালে মোদি ৯৪ মিনিট ভাষণ দেন। এবারের আগে সেটাই ছিল দীর্ঘতম ভাষণের রেকর্ড। স্বাধীনতা দিবসে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া ভাষণের গড় সময় ৮২ মিনিট! তাঁর ক্ষুদ্রতম ভাষণ ৫৬ মিনিটের। সেটা ২০১৭ সালে দেওয়া।এবারের স্বাধীনতা দিবসে উদ্দেশে ভাষণে চমকের পথে না হেঁটে তাঁর সরকারের মূল লক্ষ্যগুলিকে নতুন মোড়কে তুলে ধরলেন নরেন্দ্র মোদি। লালকেল্লায় দাঁড়িয়ে ফের স্বপ্ন দেখালেন ‘বিকশিত ভারতে’র। স্বপ্ন দেখালেন ‘বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ’ হিসাবে ভারতকে গড়ে তোলার।

Card image cap

স্বাধীনতা দিবসে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে সৌভ্রাতৃত্বের ছবি

স্বাধীনতা দিবস। দেশজুড়ে উদযাপন। পালন করা হয়েছে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তেও। তবে এই দুই দেশের সীমান্তে পরিস্থিতি কী হবে তা নিয়ে চাপা উত্তেজনা ছিল। স্বাধীনতার দিন সেই ‘চাপ’ কার্যত উবে গেল। ৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস পালন করা হল ঘোজাডাঙ্গা- ভোমরা স্থল বন্দরে। তার পরই মিষ্টি বিতরণ করে শুভেচ্ছা বিনিময় করলেন বিএসএফ ও বিজিবি জাওয়ানরা।বাংলাদেশের রাজনৈতিক অবস্থা স্থিতিশীল নয়। ছাত্র আন্দোলনের জেরে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন শেখ হাসিনা। তার পর থেকে ভারতেই রয়েছেন তিনি। ভারত বন্ধু বলে পরিচিত হাসিনা ক্ষমতায় না থাকার পর দুই দেশের সম্পর্ক কী হবে তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। আন্দোলন চলাকালীনও ভারত সরকার বিরোধী বেশ কিছু স্লোগান শোনা গিয়েছিল। তাই সীমান্তে সম্পর্ক কী থাকবে তা নিয়ে চাপ ছিল। সেই শঙ্কা-আশঙ্কা উড়িয়ে ভারতের স্বাধীনতা দিবসে সৌভ্রাতৃত্বের দৃশ্য দেখল দুই দেশ।এদিন সকালে, সীমান্তরক্ষী বাহিনীর জাওয়ান, ক্লিয়ারিং এন্ড ফরওয়ার্ডিং অ্যাসোসিয়েশনের কর্মকর্তা ও শুল্ক দপ্তরের আধিকারিকেরা জাতীয় পতাকা তুলে স্বাধীনতা দিবস উদযাপন করেন। তার পর বাংলাদেশ সীমান্তে বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী ও বাংলাদেশ পুলিশের হাতে মিষ্টি তুলে দিয়ে শুভেচ্ছা বিনিময় করা হয়।

উপস্থিত ছিলেন বিএসএফের অ্যাসিস্ট্যান্ট কমান্ড্যান্ট ১০২ নম্বর ব্যাটেলিয়ানের নবীন চৌধুরী, শুল্ক দপ্তরের অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার ভবতোষ মিস্ত্রি, এছাড়াও ইমিগ্রেশনের কর্তারা। ছিলেন, ভারতের ঘোজাডাঙ্গা ক্লিয়ারিং এন্ড ফরওয়ার্ডিং (সিএনএফ)-এর সম্পাদক সঞ্জীব মণ্ডল, সভাপতি অচিতকুমার ঘোষ। অপরদিকে, ছিলেন ভোমরা সিএন্ডএফ অ্যাসোসিয়েশনের আহবায়ক হাবিবুবর রহমান হাবিব, ভোমরা শুল্ক দপ্তর ও ইমিগ্রেশন পুলিশের এসআই বিশ্বজিৎ কুমার জুয়েল-সহ অন্যান্যরা।

ভারতের ঘোজাডাঙ্গা ক্লিয়ারিং এন্ড ফরওয়ার্ডিং (সিএনএফ)-এর সম্পাদক সঞ্জীব মণ্ডল বলেন, “প্রতিবছরের মতো এবছরও সিএনএফ-এর বিএসএফ, কাস্টমস, ইমিগ্রেশনের কর্তা ব্যক্তিদের পক্ষ থেকে মিষ্টি-ফুল বিতরণ করা হয়। একইসঙ্গে বন্ধু দেশ বাংলাদেশকেও সৌভ্রাতৃত্ব স্থাপনের ফুল, মিষ্টি দেওয়া হয়।”

ভোমরা ইমিগ্রেশন পুলিশের এসআই বিশ্বজিৎ কুমার বলেন,” আজ ভারতের স্বাধীনতা দিবস।ওদের পক্ষ থেকে শূন্যরেখায় ডেকে মিষ্টি বিতরণ করে শুভেচ্ছা জানানো হয়েছে। আমরাও তাঁদেরকে শুভেচ্ছা জানিয়েছি।”

Card image cap

রামমন্দিরে এবার চোরের উৎপাত!

তাড়াহুড়ো করে রামমন্দির উদ্বোধন হলেও, এখনও সম্পন্ন হয়নি নির্মাণ কাজ। পাশাপাশি মন্দির চত্বর সাজিয়ে তুলতে কোনও কার্পণ্য করছে না কর্তৃপক্ষ। তবে সমস্যা বেঁধেছে অন্য জায়গায়। রামমন্দিরকে ঘিরে বিরাট আড়ম্বর ও অর্থযজ্ঞের মাঝে মন্দির কর্তৃপক্ষের মাথা ব্যাথার কারণ হয়ে উঠেছে বেলাগাম চুরি। এবার প্রায় ৫০ লক্ষ টাকার জিনিসপত্র চুরি গেল অযোধ্যার ভক্তিপথ থেকে।জানা গিয়েছে, রামমন্দির যাওয়ার পথে রাস্তার দুধারে বাঁশের কারুকাজ করা বাতিস্তম্ভের সঙ্গে আলো লাগানোর ব্যবস্থা করা হয়েছিল। তবে রাতের অন্ধকারে কে বা কারা সেই বাতিস্তম্ভের প্রায় ৪ হাজার আলো চুরি করে নিয়ে গিয়েছে। এটাই শেষ নয়, রাম পথের পাশাপাশি ভক্তিপথ  থেকে চুরি হয়েছে গোবো প্রজেক্টর। সব মিলিয়ে প্রায় ৫০ লক্ষ টাকার বেশি জিনিসপত্র চুরি গিয়েছে। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পর পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছে মন্দির কর্তৃপক্ষ। শুরু হয়েছে তদন্ত।মন্দির কর্তৃপক্ষের তরফে পুলিশকে জানানো হয়েছে, রাস্তার দুই পাশে ৩৮০০টি বাতিস্তম্ভ থেকে আলো চুরি হয়ে গিয়েছে। এবং ৩৬টি গোবো প্রজেক্টর চুরি গিয়েছে এক রাতের মধ্যে। যার বাজার মূল্য আনুমানিক ৫০ লক্ষ টাকা। ‘অযোধ্যা ডেভেলপমেন্ট অথারিটি’এই লাইট ও প্রজেক্টর লাগানোর বরাত দিয়েছিল ‘যশ এন্টারপ্রাইজ’ ও ‘কৃষ্ণা অটোমোবাইলকে।’ এই দুই সংস্থা মিলিতভাবে রামপথে ৬৪০০টি বাঁশের কারুকাজ করা লাইট এবং ভক্তি পথে ৯৬টি গোবো প্রজেক্টর লাগিয়েছিল। তবে এভাবে তা চুরি হয়ে যাওয়ায় উদ্বিগ্ন মন্দির কর্তৃপক্ষ।উল্লেখ্য, প্রবল বিতর্কের মাঝেও ভোট মাথায় রেখে তড়িঘড়ি রামমন্দির উদ্বোধন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেই তাড়াহুড়োর ফল ভুগতে হয় মন্দিরকে। উদ্বোধনের পর প্রথম বর্ষায় ছাদ চুঁইয়ে জলে ভরে যায় রামলালার গর্ভগৃহ। সম্প্রতি মন্দিরের রাস্তা ভেঙে যাওয়ার ঘটনাতেও কম বিতর্ক হয়নি। বিতর্কে মোড়া রামমন্দির চত্বরে এবার চোরের উৎপাতে উদ্বিগ্ন মন্দির কর্তৃপক্ষ।

Card image cap

ভারত-রাশিয়ার মধ্যে হয়ে গেল বিরাট চুক্তি

র একবার ভারত এমন এক সিদ্ধান্ত নিল যারপরে ঘুম উড়ল চিনের। এমনিতে সীমান্ত সহ নানা ইস্যুকে ঘিরে ভারত ও চিনের মধ্যেকার সম্পর্ক তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। তারপরেও এবার ভারতের তরফে এমন এক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছে যাকে মোটেও ভালো চোখে দেখছে না ড্রাগনের দেশ।


শুধু চিন বললে ভুল হবে, ভারতের এক পদক্ষেপে রাতের ঘুম উড়ে গিয়েছে পাকিস্তানেরও।


প্রসঙ্গত, গত বছর ভারত ও রাশিয়ার মধ্যে পরমাণু শক্তি নিয়ে একটি চুক্তি হয়েছিল। এবার একই চুক্তির আওতায় বড় আপডেট প্রকাশ্যে এসেছে। জানা যাচ্ছে, ভারতের কুডনকুলাম বিদ্যুৎকেন্দ্রে পরমাণু শক্তি ইত্যাদি সরবরাহের জন্য জ্বালানির আরও একটি বড় অংশ শীঘ্রই গ্রহণ করা হবে।


এক রিপোর্টে দাবি করা হচ্ছে,, এই কেন্দ্রের ছয়টি ইউনিটের সবগুলোর কাজ শেষ হলে এর উৎপাদন ক্ষমতা দাঁড়াবে ৬ হাজার মেগাওয়াট। এভাবে এটি হবে দেশের সবচেয়ে বড় পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র। বর্তমানে এখানে ২ গিগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন মাত্র দুটি ইউনিট চালু রয়েছে। ভারতে বর্তমানে ৭ গিগাওয়াট পারমাণবিক বিদ্যুৎ ক্ষমতা রয়েছে, তবে সরকার ২০২৯ সালের মধ্যে এটি দ্বিগুণ করে ১৩ গিগাওয়াট করতে চায়।


গত বছর ভারত ও রাশিয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের নতুন ইউনিটে পারমাণবিক জ্বালানি সরবরাহের জন্য ১০,৫০০ কোটি টাকার চুক্তি স্বাক্ষর করেছিল। এই চুক্তির পর রাশিয়া দুটি ইউনিট তৈরিতে সাহায্য করছে। রাশিয়ার পরমাণু জ্বালানি কোম্পানি টিভিইএল জেএসসি এই কেন্দ্রে পরমাণু শক্তি বিভাগকে জ্বালানি ও অন্যান্য উপকরণ সরবরাহ করবে।


এই প্রকল্প ছাড়াও রাশিয়ার একটি সংস্থার সঙ্গে যৌথ উদ্যোগ গড়ে তোলার দিকেও নজর রয়েছে ভারত সরকারের। এ জন্য আলোচনা চলছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই যৌথ উদ্যোগ স্থলভাগে এলে ভারতের পরমাণু সক্ষমতা বাড়বে এবং এতে চিন ও পাকিস্তান দুই দেশেরই চিন্তা বাড়বে।

Card image cap

ভারতীয় অলিম্পিক অ্যাথলিটদের সঙ্গে দেখা করবেন প্রধানমন্ত্রী

প্যারিস অলিম্পিকের পালা শেষ। ভারতের ঝুলিতে এসেছে ৬টি পদক। অ্যাথলিটদের থেকে আরও বেশি মেডেল আশা করেছিল দেশবাসী। তবুও বিদেশের মাটিতে দেশের হয়ে লড়াই করেছেন তাঁরা। যার প্রশংসা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এবার স্বাধীনতা দিবসে অ্যাথলিটদের সঙ্গে দেখা করবেন তিনি।
খেলাধুলোর জগৎ নিয়ে প্রায়শই আগ্রহ দেখান প্রধানমন্ত্রী। গত বছর ওয়ানডে বিশ্বকাপ হারার পর সান্ত্বনা দিতে ড্রেসিংরুমে গিয়েছিলেন তিনি। আবার এবছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিতে রোহিতরা দেশে ফেরার পর ক্রিকেটারদের সঙ্গে আলাদা করে আড্ডা মারেন। এবার অলিম্পিকের অ্যাথলিটদের সঙ্গেও দেখা করবেন মোদি। স্বাধীনতা দিবসের দিন নয়া দিল্লিতে দুপুর একটা নাগাদ তিনি অ্যাথলিটদের সঙ্গে কথা বলবেন বলে জানা যাচ্ছে। স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানেও থাকবেন তাঁরা।
প্যারিস অলিম্পিক শেষের পরও বার্তা দিয়েছিলেন মোদি। তিনি বলেছিলেন, “প্যারিস অলিম্পিক শেষের দিন আমি ভারতের প্রতিনিধিত্ব করা প্রত্যেক অ্যাথলিটের প্রশংসা করছি। প্রত্যেক অ্যাথলিটই নিজের সেরাটা দিয়েছেন এবং তাঁদের নিয়ে দেশের সবাই গর্বিত। আমাদের ক্রীড়াজগতের বীরদের আগামী প্রতিযোগিতার জন্য শুভেচ্ছা জানাই।” পদকজয়ী প্রতিযোগীদের আলাদা করে শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন তিনি। ব্রোঞ্জজয়ী মনু ভাকেরও ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রীকে।
চলতি অলিম্পিক থেকে মোট ৬টি পদক জিতেছেন ভারতীয় অ্যাথলিটরা। যদিও ভিনেশ ফোগাটের রুপো পাওয়ার আবেদন এখনও ক্রীড়া আদালতে বিচারাধীন। প্যারিস অলিম্পিকে মোট পাঁচটি ব্রোঞ্জ এসেছে ভারতের ঘরে। ১০ মিটার এয়ার পিস্তলে মনু ভাকের, ১০ মিটার এয়ার পিস্তল মিক্সড টিম ইভেন্টে মনু এবং সরবজ্যোত সিংয়ের জুটি তৃতীয় স্থান পেয়েছে। এছাড়াও শুটিংয়ে স্বপ্নিল কুসালে, কুস্তিতে আমন শেরাওয়াত ব্রোঞ্জ পেয়েছেন। তৃতীয় স্থান পেয়েছে ভারতের হকি দলও। জ্যাভলিনে রুপো পেয়েছেন নীরজ চোপড়া।

Card image cap

কাজ চলাকালীন শিমলার নির্মীয়মাণ টানেলে ধস

হিমাচল প্রদেশের শিমলায় একটি নির্মীয়মাণ টালেনে কাজ চলার সময় ধস। এই ঘটনায় কোনও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। কিন্তু ঘটনায় চাঞ্চল্য শ্রমিকদের মধ্যে। সামাজিক মাধ্যমে একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে।
শিমলার সানজাউলি এলাকায় একটি চারলেন টানেল তৈরির কাজ চলছে। সেই টানেলের কালকা-সিমলার জাতীয় সড়কের চলন্তি এলাকার দিকে টানেলের মুখে ধস নামে। কাজ করার সময় শ্রমিকরা টানেলের পাশে মাটি ও পাথর পড়ে থাকতে দেখেন। তা দেখেই সব শ্রমিক ও মেশিনগুলোকে বাইরে আনা সম্ভব  হয়। প্রজেক্ট ম্যানেজার আচল জিন্দাল বলেছেন যে যেখানে টানেলের মুখের দিকে ধস নেমেছে সৌভাগ্যবশত, ধসের জেরে হতাহতের বা সম্পত্তির ক্ষয়ক্ষতির কোনও খবর পাওয়া যায়নি।
লাগাতার বর্ষণের জেরে বিপর্যস্ত হিমাচল। বিভিন্ন জায়গায় ধস নেমে কার্যত ধ্বংস হয়ে গিয়েছে এলাকা। চলতি মাসের ৫ তারিখ মেঘভাঙা বৃষ্টির জেরে হড়পা বান ও ভূমিধস নামে হিমাচলপ্রদেশে। গত ৩১ জুলাই রাতে কুল্লুর নির্মান্দ, সাইঞ্জ, মালানা, মান্ডির পাধার এবং সিমলার রামপুর মহকুমায় মেঘভাঙা বৃষ্টির জেরে ভূমিধস ও হড়পা বানের ঘটনা ঘটে।Advertisement
দুর্ঘটনার জেরে ৯ জনের মৃত্যুর পাশাপাশি নিখোঁজ হন একাধিক জন।রিপোর্ট বলছে, গত ২৭ জুন হিমাচলপ্রদেশে বর্ষা ঢুকেছে। ৪ অগাস্ট পর্যন্ত বর্ষার জেরে রাজ্য প্রায় ৬৬২ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। কার্যত বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে একাধিক জায়গা। বন্ধ হয়ে গিয়েছে ৮৭টি রাস্তা।

Card image cap

যুদ্ধবিরতে ইজরায়েলকে চাপ ইউরোপের তিন দেশের

একই সঙ্গে এক বিবৃতি পত্রে ফ্রান্স, জার্মানি, ও ব্রিটেনের রাষ্ট্রপ্রধান এখনই গাজায় যুদ্ধ স্থগিত করতে ইজরায়েলের ওপর চাপ বাড়ল। ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাক্রোঁ, জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ স্কোলজ l ও ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী কিয়ের স্টারমার  বিবৃতি দিয়ে জানালেন, কাতার, ইজিপ্ট ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে গাজা সহ মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন জায়গায় যুদ্ধবিরতি ও সব পণবন্দিদের মুক্তির জন্য তারা চেষ্টা করে চলেছেন।


সম্প্রতি এইচএইচ শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি, প্রেসিডেন্ট সিসি এবং প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এই ইস্যুতে সব পক্ষকে আলোচনায় বসার যে প্রস্তাব দিয়েছেন তাতে আমাদের পূর্ণ সমর্থন রয়েছে। সেখানে সব পক্ষের সঙ্গে কথা বলে শান্তি ও স্থিতিবস্থা ফেরানোর সমস্ত রকম চেষ্টা করা হচ্ছে। যুদ্ধ এখনই থামা দরকার। সমস্ত পণবনন্দিদের মুক্তি দিতে হবে।


গাজার মানুষের দ্রুত সাহায্য দিতেই হবে।" দেখুন তিন দেশের বিবৃতি এরপর ইউরোপের তিন দেশের একসঙ্গে দেওয়া বিবৃতিতে বলা হয়, ইরান যেন কোনওভাবেই ইজরায়েলের ওপর আক্রমণ না করে। সেক্ষেত্রে যুদ্ধবিরতির সব প্রক্রিয়া ভেস্তে যাবে। ইরান যদি আক্রমণ শুরু করে, তাহলে সেখানকার শান্তি নষ্টের জন্য তারাই থাকবে। মধ্য প্রাচ্যের এই উত্তেজনা, যুদ্ধ কোনও দেশেরই আসলে কোনো লাভ হচ্ছে না।