CATEGORY entertain:

Card image cap

কলকাতায় ক্ষোভ উগরে দিলেন কঙ্গনা

এবার বাংলাদেশের উত্তপ্ত পরিস্থিতি নিয়ে মুখ খুললেন বলিউড অভিনেত্রী তথা বিজেপি সাংসদ কঙ্গনা রানাউত। শুক্রবার কলকাতায় এসে বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে রীতিমতো ক্ষোভ উগরে দিলেন বলিউড কুইন।কঙ্গনা জানালেন, বাংলাদেশে পরিস্থিতি খুবই দুশ্চিন্তার। বিশেষ করে হিন্দুদের জন্য খুবই চিন্তার বিষয়। ওদেশে হিন্দুদের হত্যা করা হচ্ছে। সাধুসন্তদের যে দুর্দশা তা খুবই উদ্বেগের, ভয়ানক। কিন্তু তার থেকেও বড় কথা হল, এনিয়ে এদেশে কোনওরকম আন্দোলন চোখে পড়ছে না। কেউ সোশাল মিডিয়ায় লিখছেন না, অল আইজ অন বাংলাদেশ। অবাক লাগছে।এখানেই শেষ করেননি কঙ্গনা। তাঁর কথায়, ”বাংলাদেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী যখন থেকে ক্ষমতায় এসেছেন তখন থেকেই অশান্তি ছড়াচ্ছেন। এই কঠিন সময়ে বাংলাদেশের পাশে রয়েছি। বিশেষ করে ওই দেশে যে হিন্দুরা রয়েছেন তাদের সঙ্গে রয়েছি। শ্রীকৃষ্ণ সবাইকে রক্ষা করুন।”
বেশ কয়েকদিন ধরেই বাংলাদেশে ইসকনকে নিষিদ্ধ করার দাবি তুলছিল মৌলবাদীরা। এই দাবিতে মামলাও দায়ের হয় আদালতে। কিন্তু সেই মামলা খারিজ হয়ে গিয়েছে। এর মাঝেই বিপাকে পড়লেন ইসকনের বেশ কয়েকজন সন্ন্যাসী। জানা গিয়েছে, বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের আর্থিক গোয়েন্দা বিভাগ বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) বৃহস্পতিবার ইসকনের ১৭ জনের আর্থিক লেনদেন স্থগিতের নির্দেশ দেশের বিভিন্ন ব্যাঙ্ক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কাছে পাঠিয়েছে। এই নির্দেশের বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় প্রভু-সহ ১৭ জনের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ৩০ দিনের জন্য ফ্রিজ করে দেওয়া হয়েছে। চিন্ময় প্রভু-সহ তালিকায় রয়েছেন কার্ত্তিকচন্দ্র দে, অনিক পাল, সরোজ রায়, সুশান্ত দাস, বিশ্বকুমার সিংহ, চণ্ডীদাস বালা, জয়দেব কর্মকার, লিপি রানী কর্মকার, সুধামা গৌর দাস, লক্ষণ কান্তি দাশ, প্রিয়তোষ দাশ, রূপন দাস, রূপন কুমার ধর, আশীষ পুরোহিত, জগদীশচন্দ্র অধিকারী ও সজল দাস।

Card image cap

অগ্রিম বুকিংয়েই ‘পুষ্পা’রাজ

অগ্রিম বুকিংয়েই বক্স অফিসে ঝড় তুলল ‘পুষ্পা ২’ । ‘পুষ্পা’র থেকে যে ‘পুষ্পা ২’ আরও বেশি ঝাঁঝালো, তার প্রমাণ রয়েছে ট্রেলারেই। আর সেই ঝাঁঝেই যে কাবু হতে চলেছে দর্শক, তার ইঙ্গিত পাওয়া যাবে অগ্রিম বুকিংয়েই। হ্য়াঁ, এমনটাই মনে করছেন ট্রেড অ্য়ানালিসিস্টরা।ব্য়াপারটা একটু বিশদে বলা যাক। ৩০ নভেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে ‘পুষ্পা ২’র অ্য়াডভান্স বুকিং। ইতিমধ্য়েই এই ছবি ঘিরে যা আগ্রাহ, তা দেখে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অগ্রিম বুকিংয়েই প্রথম সপ্তাহে ৪৫ কোটির অঙ্ক ছাড়াবে পুষ্পা ২। হিসেব বলছে, শাহরুখের ‘জওয়ান’ প্রথম সপ্তাহে অগ্রিম বুকিংয়ে ৩৫ কোটির ব্যবসা করেছিল। অন্যদিকে দক্ষিণী ছবি ‘কেজিএফ’ ৪০ কোটির টাকার ব্যবসা করেছিল। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই দুই ছবির রেকর্ডই এবার ভাঙবে ‘পুষ্পা ২’।প্রসঙ্গত, ‘পুষ্পা ২’ বিশ্বের ৩ হাজার লোকেশনে বাংলা, হিন্দি-সহ তামিল, তেলুগু, মালয়লম, কন্নড়ের মতো আরও চারটি ভাষায় মুক্তি পাবে ‘পুষ্পা ২: দ্য রুল’। যা মুক্তির আগেই ৪০০ কোটির বেশি ব্যবসা করে ফেলেছে। দক্ষিণী সিনে ইন্ডাস্ট্রির সিনে বিশেষজ্ঞদের মতে, এই ছবি ওপেনিং ডে-তেই কেজিএফ ২-এর ব্যবসার রেকর্ড ভেঙে চুরমার করবে। ‘পুষ্পা’ ছবির দ্বিতীয়ভাগে চিত্রনাট্যে বড়সড় বদল রয়েছে। ক্লাইম্যাক্স নাকি একেবারে চমকে দেবে দর্শকদের। পরিচালক সুকুমার সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ‘পুষ্পা’ ছবিটি যেভাবে গোটা দেশে দারুণ সাফল্য পায়, সে কথা মাথায় রেখেই এই ছবির দ্বিতীয়ভাগ সাজানো হয়েছে। মাসখানেক আগে মুক্তি পাওয়া ‘পুষ্পা ২- দ্য় রুল’ ছবির টিজার। প্রথম ঝলকেই চমকে দিয়েছেন আল্লু অর্জুন, রশ্মিকারা। টিজার দেখার পর থেকেই এই ছবির জন্য মুখিয়ে রয়েছেন দর্শক। এবার শীতকালীন বক্স অফিসে ঝোড়ো হাওয়া দেখার পালা।

Card image cap

মা পুনমের বিতর্কিত কথায় স্বামী জাহিরের হয়ে জবাব সোনাক্ষীর

চলতি বছর ২৩ জুন আইনি মতে বিয়ে সেরেছেন। সোনাক্ষী-জাহিরের ভিনধর্মী বিয়ে পরবর্তী একমাস জুড়ে চর্চার শিরোনামে বিরাজ করেছে। মুসলিম পরিবারে বিয়ে করায় সোনাক্ষী সিনহাও নেটপাড়ার রোষানলে পড়েছিলেন। তবে নিন্দুক, নেটপাড়ার নীতিপুলিশদের বুড়ো আঙুল দেখিয়ে ‘মিঞা-বিবি’ দিব্যি সুখের ঘরকন্না পেতেছেন। তাঁদের সোশাল মিডিয়ায় উঁকি দিলেই যখন সংসার সুখের ঝলক মেলে, এর মাঝেই সোনাক্ষীর মা জামাই জাহিরকে নিয়ে বেফাঁস মন্তব্য করে ফেললেন।একটা সময়ে শোনা গিয়েছিল, সোনাক্ষীর পাত্র হিসেবে জাহিরকে নাকি পছন্দ নয় শত্রুঘ্ন সিনহার। এমনকী অভিনেত্রীর বিয়েতে দুই ভাই লব-কুশের অনুপস্থিতি নিয়েও কম কথা হয়নি। গুঞ্জন, বোনজামাই হিসেবে জাহিরকে একেবারে নাপসন্দ তাঁদের। তবে এসবে আটকায়নি সোনাক্ষীর বিয়ে। পরে অবশ্য বাবা শত্রুঘ্ন নিজে বলেছেন, সোনাক্ষী-জাহির একেবারে রাজযোটক। এবার ‘দ্য গ্রেট ইন্ডিয়ান কপিল’ শোয়ে উপস্থিত হয়ে মেয়ে-জামাইকে নিয়ে মুখ খুললেন পুনম সিনহা। সোনাক্ষীর মাকে সেখানেই বলতে শোনা যায়, “আমার মা বলেছিলেন, যে তোমাকে বেশি ভালোবাসে তাঁকেই বিয়েটা কোরো। সেই আদেশ আমি পালন করেছি। শত্রুঘ্নর সঙ্গে বিয়েও হয়েছে। কিন্তু আমার মেয়ে কী করল? ও এমন একটা ছেলের সঙ্গে বিয়ে করল যাঁকে ও বেশি ভালোবাসে।…” মায়ের মুখে বিতর্কিত কথা শুনে অবশ্য চুপ থাকেননি সোনাক্ষী সিনহা। হাসিমুখেই স্বামী জাহির ইকবালের হয়ে ব্যাটিং চালিয়ে গিয়েছেন। তৎক্ষণাৎ সোনাক্ষী বলেন, “এই কথাগুলো খানিক বিতর্কিত। জাহির মনে করে, ও আমাকে বেশি ভালোবাসে, আর আমি আমার মনে হয় আমি ওকে বেশি ভালোবাসি। এবার এই মামলার নিষ্পত্তি কে করবে?”‘দ্য গ্রেট ইন্ডিয়ান কপিল’ শোয়ের সেই পর্বে অবশ্য শত্রুঘ্ন সিনহা, পুনম সিনহা এবং মেয়ে-জামাই সোনাক্ষী-জাহির দুজনেই হাজির ছিলেন। পারিবারিক এহেন কথোপকথন খোলা মঞ্চে বলায়, নেটপাড়ার একাংশ আবার অভিনেত্রীর মাকে কাঠগড়ায় তুলেছেন। কারও মন্তব্য, ‘উফফ! অস্বস্তিকর পরিস্থিতি জামাইটার (জাহির ইকবাল ) জন্যে।’ কেউ বলছেন, ‘গোটা পর্বটাই অস্বস্তিকর।’ কেউ বা আবার সোনাক্ষীর পিঠ চাপড়ে বলছেন, ‘খুব ভালো সামাল দিয়েছেন উনি।’

Card image cap

তিরুপতির দরবারে যশ-নুসরত

শুভ কাজের আগে তারকাদের তিরুপতি দর্শনের প্রথা নতুন নয়। এবার নতুন শুরুর আগে যশ-নুসরত ছুটলেন বালাজি দর্শনে। সোমবারই তিরুপতিতে পৌঁছেছেন তারকাজুটি। বুধবার সেখান থেকেই সকলকে চমকে দিলেন নতুন খবর দিয়ে। দক্ষিণী সাজে ধরা দিলেন তারকাজুটি।যশ-নুসরত বর্তমানে তাঁদের প্রযোজানা সংস্থা YD ফিল্মস-এর কাজে ব্যস্ত। সেই সংস্থার ব্যানারেই তৈরি হচ্ছে তাঁদের নতুন সিনেমা ‘আড়ি’। যে ছবির প্রস্তুতি আপাতত তুঙ্গে। হাতে আর মাত্র কয়েকটা দিন। ডিসেম্বর মাসেই ‘আড়ি’র শুটিং শুরু করতে চলেছেন নুসরত জাহান এবং যশ দাশগুপ্ত। আর তার প্রাক্কালেই পৌঁছে গিয়েছেন অন্ধপ্রদেশের তিরুপতি মন্দিরে বালাজি দর্শনে। মনোবাঞ্ছা পূরণের জন্য একসঙ্গে পুজো দিয়ে মন্দির চত্বরেই ক্যামেরার সামনে ধরা দিয়েছেন যুগলে। বুধবার যশ এবং নুসরত সেসব ছবি পোস্ট করতেই সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল।যশ-নুসরতকে দেখা গেল তিরুপতি মন্দিরের সামনে। অভিনেত্রীর পরনে ঐতিহ্যবাহী সোনালি পাড়ের দক্ষিণী শাড়ি। সিঁথিতে সিঁদুর। সঙ্গে মানানসই দক্ষিণী ধাঁচের গয়নায় সেজেছিলেন নুসরত। অন্যদিকে যশ দাশগুপ্তকেও দেখা গেল দক্ষিণী স্টাইলে সাদা ধুতি-পাঞ্জাবি পরনে। গলায় উত্তরীয়ও দেখা গেল। হাতে ‘আড়ি’ ছবির চিত্রনাট্য। দুজনে একসঙ্গে তিরুপতি মন্দিরে প্রার্থনা সেরে প্রদীপ জ্বালালেন। সেই মুহূর্তও ক্যামেরাবন্দি হয়েছে। সংবাদমাধ্যমের কাছে নুসরত জানিয়েছেন, নতুন সিনেমার কাজ শুরু মানেই আরেকটা নতুন যাত্রা শুরু। তাই তার আগে তাঁরা দুজনেই বালাজি দর্শন করে আশীর্বাদ চান।‘আড়ি’ ছবিটি এক মা-ছেলের সম্পর্কের প্রেক্ষাপটে তৈরি হচ্ছে। কাস্টিংয়েও চমক! প্রবীণ অভিনেত্রী মৌসুমী চট্টোপাধ্যায়কে এই সিনেমার সুবাদেই দীর্ঘদিন বাদে টলিউডের পর্দায় দেখা যাবে। পাশাপাশি অভিনেতা হিসেবে যশ-নুসরতকে ভিন্নস্বাদের চরিত্রে আবিষ্কার করবেন দর্শকরা। ‘সেন্টিমেন্টাল’-এর মতো বাণিজ্যিক সিনেমা দিয়েই YD ফিল্মস পথ চলা শুরু করেছিল। এবার ভিন্নস্বাদের গল্প, তাই প্রযোজক হিসেবে কোনওরকম ফাঁক রাখতে চাইছেন না যশ-নুসরত।

Card image cap

সলমনের ভিডিও ঘিরে চাঞ্চল্য

কথায় আছে, পুরনো চাল ভাতে বাড়ে। কিন্তু সলমনের ক্ষেত্রে তা বিতর্ক! হ্যাঁ, ঠিক এমনটাই ঘটল। সলমনের এক পুরনো ভিডিও নিয়ে সোশাল মিডিয়ায় তোলপাড়। যেখানে সলমন এক পাকিস্তানের চ্যানেলে ২৬/১১- মুম্বই হামলা নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিয়েছিলেন। ২০১০ সালে সলমনের সেই মন্তব্য নিয়ে ফের শোরগোল নেটপাড়ায়।
তা ঠিক কী বলেছিলেন সলমন?
সলমনের যে ভিডিওটি ভাইরাল হয়েছে, সেখানে সলমন বলেছেন, “২৬/১১-র ঘটনা নিয়ে খুব বেশি হইচই তৈরি হয়েছে, কারণ সমাজের উঁচু স্তরের মানুষদের উপর হামলা হয়েছিল। কিন্তু দেখুন, লোকাল ট্রেন বা ছোট শহরেও কত হামলা হয়, সেটা নিয়ে এত শোরগোল হয় না।” এখানেই শেষ করেননি সলমন। তাঁর কথায়, “একথা সবার কাছে স্পষ্ট, যে এই হামলায় পাকিস্তানের সরকার ছিল না। এটা একটা জঙ্গি হামলা ছিল। তবে সবচেয়ে বড় বিষয় হল, আমাদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা ব্যর্থ হয়েছে। এর আগেও আমাদের দেশে বহু হামলার ঘটনা ঘটেছে। সব কিন্তু পাকিস্তান থেকে হয়নি। দেশের মধ্যে থেকেই হামলা করা হয়েছে। এই ঘটনায় যেহেতু তাজ, ওবেরয়ের মতো বড় হোটেলের উপর হামলা হয় তাই সবাই রুখে দাঁড়িয়েছিল। আমাদের দেশে এর আগেও বাসে-ট্রেনেও বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে।”প্রসঙ্গত, ২০০৮ সালের এই ২৬ নভেম্বর পাকিস্তান থেকে জঙ্গিরা সমুদ্রপথে মুম্বইয়ে এসে চালিয়েছিল নারকীয় হত্যালীলা। ১৮ জন নিরাপত্তা কর্মীসহ ১৬৬ জন নিহত এবং ৩০০ জনের বেশি আহত হন। রক্তাক্ত সেই দিন স্মরণ করে মঙ্গলবার শহিদদের উদ্দেশে শ্রদ্ধা জানালেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং, বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী-সহ আরও অনেকে।

Card image cap

বাদশাই ছিলেন টার্গেট!

চণ্ডীগড়ে র‌্যাপার বাদশার নাইটক্লাবে বিস্ফোরণের দায় স্বীকার করল লরেন্স বিষ্ণোই গ্য়াং। শুধু তাই নয়, তাঁরা জানিয়েছে আসলে তাঁদের টার্গেটে ছিলেন বাদশা। গায়ককে ভয় পাওয়াতে এবং প্রাণনাশের হুমকি দিতেই এই বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে।খবর অনুযায়ী, লরেন্স বিষ্ণোই, যিনি গুজরাটের একটি জেলে বন্দি রয়েছেন। তার নেটওয়ার্কের মাধ্যমে এই বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে।বাদশার আসল নাম আদিত্য প্রতীক সিং সিসোদিয়া। দিল্লিতে জন্ম। তবে তাঁর পাঞ্জাবের বাসিন্দা ছিলেন। ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে পড়তেই র‌্যাপের প্রতি বাদশার আকর্ষণ। শুরু করেন গান লেখা। তার পর মিউজিক অ্যালবামের মাধ্যমে তুমুল জনপ্রিয়তা পান। বলিউডে বাদশার সফর শুরু ‘হাম্পটি শর্মা কি দুলহনিয়া’ সিনেমার ‘স্যাটার্ডে স্যাটার্ডে’ গান থেকে। এর পর আর পিছনে ফিরে তাকাননি শিল্পী। একাধিক সুপারহিট গান রয়েছে তাঁর ঝুলিতে। বর্তমানে শ্রেয়া ঘোষাল ও বিশাল দদলানির সঙ্গে ‘ইন্ডিয়ান আইডল’ শোয়ের বিচারকের দায়িত্ব সামলাচ্ছেন।গানের পাশাপাশি খাবারের ব্যবসার সঙ্গেও যুক্ত বাদশা। জানা গিয়েছে, চণ্ডীগড়ে তাঁর এই ‘ডি’ওরা’ নামের রেস্তরাঁ তথা পানশালা বেশ পরিচিত। সাত-আটজন কর্মী সেখানে কাজ করেন। কিন্তু ভোররাতে যখন বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে, তখন কেউ রেস্তরাঁয় ছিলেন না। ফলে কোনও হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। তবে বিস্ফোরণের তীব্রতায় রেস্তরাঁ-পানশালার জানলার কাচ ভেঙে চুরমার হয়ে যায়। সংবাদসংস্থা এএনআইয়ের পক্ষ থেকে সেই ভিডিও শেয়ার করা হয়েছে।খবর পেয়েই ঘটনা স্থলে যান তদন্তকারী অফিসাররা। প্রত্যক্ষদর্শীরাই বাইক আরোহীদের কথা জানান বলে খবর। এর পরই ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ ও বম্ব স্কোয়াডকে খবর দেওয়া হয়। থানায় একটি অভিযোগও দায়ের করা হয়েছে। তার ভিত্তিতেই তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। এখনও পর্যন্ত বিষয়টি নিয়ে বাদশার পক্ষ থেকে কোনও অফিশিয়াল বিবৃতি দেওয়া হয়নি।

Card image cap

‘উইঙ্কল টুইঙ্কল’ নিয়ে সৃজিতকে কটাক্ষ রুদ্রনীলের

ব্রাত্য বসুর বিখ্যাত নাটক ‘উইঙ্কল টুইঙ্কল’ নিয়ে সিনেমা তৈরি করছেন সৃজিত মুখোপাধ্যায়। এই খবর আগেই জানা গিয়েছিল। সোমবার পরিচালক শেয়ার করলেন ছবির প্রথম পোস্টার। যাতে লেনিনের ভাঙা মূর্তির সামনে বসে দুই ব্যক্তি। নিচে লেখা ‘উইঙ্কল টুইঙ্কল’। আর তার পাশে রয়েছে কাস্তে-হাতুড়ি। তা থেকে যেন রক্তের মতো লাল রং চুঁইয়ে পড়ছে। সৃজিতের নতুন ছবির এই পোস্টার দেখে ইতিমধ্য়েই টলিউডে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। টলিপাড়ার বহু মানুষই সৃজিতকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন সোশাল মিডিয়ায়। তবে অভিনেতা ও বিজেপি নেতা রুদ্রনীল ঘোষ হাঁটলেন অন্যপথে। বরং শুভেচ্ছার পরিবর্তে কটাক্ষই করলেন সৃজিতকে। প্রোপাগান্ডা ছবির প্রসঙ্গ তুলে শুধু সৃজিত নয়, কনিনীকা বন্দ্যোপাধ্য়ায় অভিনীত ছবি সুকন্যারও সমালোচনা করলেন রুদ্রনীল।সোশাল মিডিয়ায় রুদ্রনীল লিখলেন, ‘না না ধুস…প্রোপাগান্ডা ফিল্ম তো শুধু বিজেপি বানায়”- বিরোধীরা বলে!!এগুলো তো “ঠাকুমার ঝুলি।’ সঙ্গে রুদ্রনীল শেয়ার করলেন দুই ছবিরই পোস্টার।২০২৩ সালের মাঝামাঝিই শোনা গিয়েছিল যে, ব্রাত্য বসুর লেখা এই মঞ্চ কাঁপানো নাটকের রাইটস নিতে পারেন সৃজিত মুখোপাধ্যায় এবং তা নিয়ে পরিচালকের ছবি তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে। সেই ছবির পরিকল্পনা এবার বাস্তবায়িত হতে চলেছে। খুব শিগগিরিই ‘উইঙ্কল টুইঙ্কল’ সিনেমার শুটিং শুরু হয়ে যাবে। এই আশ্বাস দিয়েই পোস্টারটি শেয়ার করেছেন পরিচালক সৃজিত।
পলিটিক‌্যাল ফ‌্যান্টাসি ড্রামা ঘরানার ‘উইঙ্কল টুইঙ্কল’ নাটকে দেবেশ চট্টোপাধ্যায়ের নির্দেশনায় মুখ্য চরিত্র সব্যসাচী হিসেবে দেখা গিয়েছে দেবশংকর হালদারের মতো অভিনেতাকে। শোনা গিয়েছে, সিনেমায় এই চরিত্রে দেখা যাবে ঋত্বিক চক্রবর্তীকে। সব্যসাচীর ছেলে ইন্দ্রর চরিত্র মঞ্চে ফুটিয়ে তুলেছেন রজতাভ দত্ত। সেই চরিত্রে সিনেমায় দেখা যেতে পারে পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়কে।
বছরখানেক আগে শোনা গিয়েছিল, সৃজিতের এই সিনেমায় অনির্বাণ ভট্টাচার্যকে দেখা যেতে পারে। কিন্তু এখন হয়তো ঋত্বিক-পরমব্রতকেই পোস্টারের এই দুই চরিত্র হিসেবে দেখা যাবে। দুজনই বলিষ্ঠ অভিনেতা। তার উপরে এমন গল্প যাতে সাতের দশকের অতীত আছে, আবার ২০০২ সালের বর্তমানও রয়েছে। সিনেমায় ইন্দ্র অর্থাৎ পরমব্রতর বোনের ভূমিকায় দেখা যেতে পারে অঙ্গনা রায়কে। সেক্ষেত্রে ‘পারিয়া’-র পর তাঁর এটা বড় ব্রেক হতে পারে। মায়ের চরিত্রে অনসূয়া মজুমদারের নাম শোনা যাচ্ছে। চলতি বছরে ‘অতি উত্তম’, ‘পদাতিক’, ‘টেক্কা’র মতো সিনেমা দর্শকদের উপহার দিয়েছেন পরিচালক সৃজিত। নতুন বছরের জন্য থাকছে ‘উইঙ্কল টুইঙ্কল’, ‘সত্যি বলে সত্যিই কিছু নেই’ এবং ‘লহ গৌরাঙ্গের নাম রে’র মতো তিন তিনটি সিনেমা।

Card image cap

চন্দ্রবাবু নাইডুর বিরুদ্ধে আপত্তিকর পোস্ট, পরিচালককে গ্রেপ্তার

অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডুর বিরুদ্ধে সোশ্যাল মিডিয়ার আপত্তিকর পোস্ট করে বিপাকে জড়িয়েছেন বলিউড পরিচালক রাম গোপাল ভর্মা। পরিচালকের নামে দায়ের হয়েছিল এফআইআরও। এই মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সোমবার থানায় দেখা করার কথা ছিল রাম গোপালের। তবে তিনি থানায় না যাওয়ায়, হায়দরাবাদ অঙ্গোল রুলার পুলিশ পরিচালকের বাড়িতে গিয়ে হাজির হয়। তবে জানা যায়, সেই সময় রাম গোপাল বাড়িতে ছিলেন না। সূত্রের খবর অনুযায়ী, হায়দরাবাদ ছেড়ে কোয়েম্বটরে রয়েছেন পরিচালক।অন্ধ্রপ্রদেশের প্রকাশম জেলার মদ্দিপাদু থানায় রামগোপাল বার্মার বিরুদ্ধে তথ্য-প্রযুক্তি আইনে অভিযোগ দায়ের করেছেন টিডিপি নেতা রামালিঙ্গম। তাঁর দাবি, মুখ্যমন্ত্রী ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে সোশ্যাল মিডিয়ায় চিত্র পরিচালক যে ছবি পোস্ট করেছেন তা অত্যন্ত আপত্তিকর। এর জেরে মুখ্যমন্ত্রী উপমুখ্যমন্ত্রী ও তাদের পরিবারের সম্মানহানি হয়েছে। এই ঘটনা প্রসঙ্গে জেলা পুলিশ সুপার দামোদর বলেন, মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডু, তাঁর পুত্র তথা রাজ্যের মন্ত্রী লোকেশ, পুত্রবধূ ব্রাহ্মণী ও উপমুখ্যমন্ত্রী পবন কল্যাণের বিকৃত ছিবি সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করার অভিযোগ উঠেছে। যার জেরে রবিবার রামগোপালের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দায়ের হয়। ইতিমধ্যেই তথ্য প্রযুক্তি আইনে ওই চিত্র পরিচালকের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়েছে।ওয়াইএসআর কংগ্রেসের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত রামগোপাল, পাশাপাশি চন্দ্রবাবু নাইডুর তীব্র সমালোচক তিনি। এর আগে ‘লক্ষ্মীর এনটিআর’ নামে একটি সিনেমা তৈরি করেছিলেন রামগোপাল। গত বছরের শেষদিকে মুক্তি পায় সিনেমাটি। যেখানে তুলে ধরা হয়েছিল, ২০০৯ সালে হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী ওয়াইএস রাজশেখর রেড্ডির মর্মান্তিক মৃত্যু এবং তার ছেলে ওয়াইএস জগন মোহন রেড্ডি দ্বারা ওয়াইএসআর কংগ্রেস পার্টি গঠনের ঘটনাগুলি। অন্ধ্রপ্রদেশ বিধানসভা ও লোকসভার ভোটের সময় মুক্তি পায় সিনেমাটি। অভিযোগ, এই সিনেমায় চন্দ্রবাবু নাইডুকে ‘খলনায়কের’ ভূমিকায় তুলে ধরা হয়।

Card image cap

আইনি পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি রহমানের


দীর্ঘ ২৯ বছরের দাম্পত্য শেষ করার কথা সোশাল মিডিয়ায় জানিয়েছিলেন এ আর রহমান। তা নিয়েই নানা জল্পনা-কল্পনা শুরু হয়ে যায়। কেন অস্কারজয়ী শিল্পীর ডিভোর্স ঘোষণার মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যে তাঁর সহশিল্পী মোহিনী দে বিচ্ছেদ ঘোষণা করেছেন? এই প্রশ্নে তোলপাড় হয় নেটদুনিয়া। আরও নানা রটনা রটতে থাকে। মোহিনী ও রহমানের সন্তানেরা আগেই এর বিরুদ্ধে সরব হয়েছে। এবার আইনি পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি দিলেন খোদ সুরকার।এক্স হ্যান্ডেলে নিজের লিগাল টিমের পক্ষ থেকে তৈরি করা একটি নোটিস শেয়ার করেন রহমান। কয়েক পাতার সেই নোটিসের মাধ্যমেই হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে, রহমান ও সায়রা বানুর ডিভোর্স নিয়ে যে বা যাঁরা আপত্তিকর পোস্ট, ভিডিও বা ইন্টারভিউ পোস্ট করেছেন তাঁরা অবিলম্বে বা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে যেন সেই সমস্ত পোস্ট সোশাল মিডিয়া থেকে সরিয়ে ফেলেন, তা নাহলে ভারতীয় ন্যায়সংহিতার আইন অনুযায়ী মানহানির মামলার মুখে পড়তে হবে।১৯৯৫ সালে রহমান ও সায়রা বানুর বিয়ে হয়েছিল। দেখাশোনা করেই নাকি এই বিয়ে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু দীর্ঘ ২৯ বছর তাঁরা একসঙ্গে কাটিয়েছেন। খাতিজা, রহিমা ও আমিন, তিন সন্তানের জন্ম হয়েছে। মেয়ে খাতিজার বিয়েও হয়ে গিয়েছে। গত বুধবার সোশাল মিডিয়ায় আচমকাই ডিভোর্স ঘোষণা করেন অস্কারজয়ী শিল্পী। এর কিছুক্ষণ পরই মোহিনী দের বিচ্ছেদ ঘোষণার খবর ছড়িয়ে পড়ে। দুই ঘটনার যোগসূত্র খুঁড়ে নানা রটনা রটে নেটপাড়ায়।
রহমান-মোহিনীকে নিয়ে নানা চটুল, রসাল খবর চাউর হতেই শেষমেশ মুখ খুললেন বড়কন্যা রহিমা রহমান। সোশাল মিডিয়ায় ইঙ্গিতপূর্ণ পোস্টে নিন্দুকদের একহাত নিয়ে লেখেন, ‘সবসময়ে মনে রাখবেন গুঞ্জন তারাই ছড়ায় যারা হিংসে করে বা আপনাকে ঘৃণা করে। মূর্খরা সেগুলো রটায়। আর বোকারা সেই ভুয়ো খবর, রটনাগুলোকে গিলতে থাকে। সত্যিই বলছি, নিজের চরকায় তেল দিন।’ দিদির সেই পোস্ট শেয়ার করেই ক্ষোভ উগড়ে দেন বোন খাতিজা রহমানও।
রহমানের প্রাক্তন স্ত্রী সায়রা বানুর আইনজীবী বন্দনা শাহ সংবাদমাধ্যমকে বলেন, “এসব বিতর্কের কোনও অর্থ নেই। মোহিনীর ডিভোর্সের সঙ্গে রহমানে ও সায়রার ডিভোর্সের কোনও সূত্র নেই। এটা তাঁদের একেবারে নিজস্ব সিদ্ধান্ত। তাই অযথা বিতর্ক না করাই ভালো। প্রত্যেকটি দীর্ঘ বিবাহিত জীবনই ওঠাপড়ার মধ্যে দিয়ে এগিয়ে চলে। আমি খুবই খুশি তাঁরা খুব সচেতনভাবে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এই বিচ্ছেদ একেবারেই খারাপ বৈবাহিক জীবনের ফল নয়। সায়রা ও রহমান দুজনেই দুজনকে সম্মান করেন।” এবার রহমান নিলেন কড়া পদক্ষেপ।

Card image cap

১০৩টি ভোট পেয়ে নোটার কাছেও হারলেন এজাজ

কথায় কথায় বলেন, ‘আমি এক নম্বর…!’ কিন্তু ভোটে দাঁড়িয়ে নাকানি-চোবানি খাওয়ার জোগাড় হল এজাজ খানের। মাদককাণ্ডে জড়িয়ে ২ বছর জেলে ছিলেন। ২০২৩ সালেই ছাড়া পান। গুনে গুনে ৭০০ দিন হাজতবাসের পর ছাড়া পেয়েই নাম লেখান রাজনীতির ময়দানে। শুধু রাজনীতিতে যোগ দিয়েই থামেননি, নেতা হওয়ার লক্ষ্যে মহারাষ্ট্রের বিধানসভা নির্বাচনে আজাদ সমাজ পার্টির টিকিটে ভারসোভার সিট থেকে ভোটে লড়তে গিয়েছিলেন। কিন্তু রেজাল্ট হাতে ভগ্ন মনেই ফিরতে হল এজাজকে। গোহারা হেরেছেন অভিনেতা।ইনস্টাগ্রামেও এজাজ খানের ফলোয়ার সংখ্যা ৫৬ লাখ। এদিকে ব্যালটে ভাঁড়ে মা ভবানী হাল! টেনেটুনে সেঞ্চুরি করেছেন মোটে। মাত্র ১০৩টি ভোট পেয়ে নোটা প্রার্থীর কাছেও হারলেন ‘বিগ বস’ খ্যাত অভিনেতা। এককথায়, মহারাষ্ট্রের বিধানসভা নির্বাচনে এজাজের সোশাল মিডিয়া জনপ্রিয়তাকে কাজে লাগাতে ব্যর্থ চন্দ্রশেখর আজাদের আজাদ সমাজ পার্টি (কাশী রাম)। ওই কেন্দ্রে এজাজকে হারিয়ে ৫৮ হাজারেরও বেশি ভোটে জিতলেন হারুন খান। এখানেই শেষ নয়! নোটার পারফরম্যান্সও অভিনেতার থেকে ভালো। এজাজ যেখানে মোটে একশোর গণ্ডি পেরিয়েছে, সেখানে নোটায় ভোট পড়েছে ১,০২২টি। ৫৬ লক্ষেরও বেশি ইনস্টাগ্রাম ফলোয়ার থাকা সত্ত্বেও সোশাল মিডিয়া তারকা কীভাবে মোটে ১০৩টি ভোট পেলেন? প্রশ্ন তুলে নেটপাড়ায় ট্রোল-মিমের বন্যা। ‘জেল খাটা’ অভিনেতাকে নিয়ে চলছে হাসি-ঠাট্টাও। কারও মন্তব্য, ‘এজাজের নিজের পরিবারের লোকেরাও সম্ভবত ওকে ভোট দেননি।’ আবার কেউ বলছেন, ”বিগ বস’-এ ভোট দিয়ে আপনাকে বাঁচালেও বিধানসভা নির্বাচনে ভোট দিয়ে জেতাতে পারেনি।’ এককথায়, মহারাষ্ট্র বিধানসভা নির্বাচনে এজাজ খানের হার আপাতত নেটপাড়ায় চর্চায়।প্রসঙ্গত, মাদককাণ্ডে ২০২১ সালের মার্চ মাসে ৮ ঘণ্টা ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদের পর গ্রেপ্তার হন এজাজ খান। মুম্বইয়ের বিমানবন্দর থেকেই তাঁকে আটক করেছিল এনসিবি। তারপরই জিজ্ঞাসাবাদে এজাজের উত্তরে অসংগতি পাওয়ায় গ্রেপ্তার করা হয় তাঁকে। মূলত হিন্দি ধারাবাহিক থেকেই জনপ্রিয়তায় আসেন। কয়েকটি হিন্দি সিনেমাতেও দেখা গিয়েছে তাঁকে। জানা যায়, মুম্বইয়ের আন্ধেরি এলাকায় তল্লাশি অভিযান চালান NCB আধিকারিকরা। বেশ কিছু নিষিদ্ধ মাদক উদ্ধার হয়। সেখান থেকেই এজাজের মাদক যোগের হদিশ পাওয়া যায় বলে খবর। ২০০৩ সাবে ‘পথ’ নামের সিনেমার মাধ্যমে অভিনয় জগতে সফর শুরু করেন এজাজ। কিন্তু কখনই মুম্বইয়ের গ্ল্যামার জগতে তেমন গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র পাননি। ছোটখাটো ভিলেনের চরিত্র করেছেন হিন্দি ও তেলুগু সিনেমা। কয়েকটি হিন্দি ধারাবাহিকেও পার্শ্ব চরিত্রে অভিনয় করেছেন। সলমন খান ‘বিগ বস ৭’-এর প্রতিযোগী হিসেবে সবচেয়ে বেশি পরিচিত হন এজাজ। সেই অভিনেতাই ভোটের ময়দানে ভাগ্য নির্ধারণ করতে এসে গোহারা হারলেন।

Card image cap

মাতৃহারা ঋতুপর্ণা, প্রয়াত নন্দিতা সেনগুপ্ত

টানা ১৫ দিন ছিলেন ভেন্টিলেশনে। তীব্র লড়াই করেছিলেন। সেই লড়াই থামল শনিবার। প্রয়াত ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তর মা নন্দিতা সেনগুপ্ত। শহরের বেসরকারি হাসপাতালে ডা. অনির্বাণ নিয়োগির তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। শনিবার বেলা তিনটে নাগাদ সেখানেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। অনেক দিন ধরেই কিডনির সমস্যায় ভুগছেন ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তর মা। এর আগে অভিনেত্রী জানান, লাগাতার ডায়ালিসিসের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে তাঁর মাকে। ৭৭ বছরের নন্দিতাদেবী আরও একাধিক শারীরিক সমস্যায় ভুগছিলেন। দিন পনেরো আগে তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাঁকে। পরিস্থিতির গুরুত্ব বুঝেই অভিনেত্রীর মাকে ভেন্টিলেশনে রাখা হয়। নন্দিতাদেবীর অসুস্থতার খবর পেয়ে কলকাতা এসেছিলেন ঋতুপর্ণার স্বামী স্বামী সঞ্জয় চক্রবর্তী।  মুম্বই থেকে আসেন মাসতুতো বোন। সকলের আশা ছিল, নন্দিতাদেবী যেন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরেন। তা আর হল না। ৭ নভেম্বর ছিল ঋতুপর্ণার জন্মদিন। কিন্তু মায়ের শারীরিক অবস্থার কারণে সেদিনও অভিনেত্রীর মনখারাপ ছিল। সংবাদমাধ্যমে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে ঋতুপর্ণা জানিয়েছিলেন, ভেন্টিলেশন শব্দটি শুনলেই অনেকে ভয় পেয়ে যান। ভয় তো তাঁরও করছে। তবে নিজের ইতিবাচক ভাবনা ধরে রাখার চেষ্টা করছেন তিনি।
নন্দিতা সেনগুপ্ত অত্যন্ত লড়াকু মনের মানুষ। এই যুদ্ধেও নিশ্চয়ই জয়ী হয়ে ফিরবেন। আশা ছিল ঋতুপর্ণার। কিন্তু এযাত্রায় সেই আশা পূরণ হল না। ৭৭ বছরের নন্দিতাদেবী জীবনের লড়াই থামল শনিবার। মায়ের প্রয়াণে ভেঙে পড়েছেন অভিনেত্রী। নন্দিতাদেবীর প্রয়াণের খবর পেয়েই হাসপাতালে পৌঁছে যান অভিনেত্রীর বন্ধু-শুভাকাঙ্খীরা।  অভিনেত্রীর ভাই-ও রয়েছেন পাশে। মেয়ে ঋষণাকে নিয়ে সিঙ্গাপুর থেকে আসছেন সঞ্জয় চক্রবর্তী।  ছেলে অঙ্কণ পড়াশোনার জন্য বস্টনে থাকার কারণে তার পক্ষে আসা সম্ভব হয়নি। ভিডিও কলেই দিদাকে শেষ দেখা দেখতে হয়েছে তাঁকে।  পরিবারের বন্ধু, আত্মীয়দের কাছে অভিনেত্রীর অনুরোধ, নন্দিতাদেবীকে শ্রদ্ধা জানাতে চাইলে রাত আটটা নাগাদ তাঁরা রবিনসন স্ট্রিটের বাড়িতে যেতে পারেন। 

Card image cap

দেব-যিশুর মাঝে ফাঁসলেন বরখা বিস্ত!

‘বিয়ের পরে সবাই পস্তায়… হায় রে বিয়ে করলি ক্যানে?’, যিশু সেনগুপ্তকে পাশে নিয়েই বললেন দেব। একেই যিশুর বিয়ে ভাঙার গুঞ্জনে শোরগোল মাসখানেক ধরে। যদিও সেই বিতর্কের ছায়া বর্তমানে অতীত। তবে এর মাঝেই ‘খাদান’-এর দ্বিতীয় গান ‘হায় রে বিয়ে’তে যিশুকে পাশে নিয়ে রসিক দাম্পত্যদর্শন আওড়ালেন দেব।একসময়ে দেবের মুখে শোনা যেত, ‘কবে দিমু গলায় মালা রে’। সেই তরুণ তুর্কী একেবারে তোলপাড় ফেলে দিয়েছিলেন বাংলার নারীমনে। সেই তিনিই এখন অনেক পরিণত। ভক্তদের দেবের মুখে এবার শোনা গেল, ‘হায় রে বিয়ে হলো ক্যানে…’। যদিও টলিউড সুপারস্টার এখনও বিয়ের পিঁড়িতে বসেননি। তবে এবার ‘খাদান’ ছবির গানের জন্যই তাঁর মুখে ‘বিয়েভীতি’র কথা! বৃহস্পতিবার সন্ধেয় একটা পোস্টেই সোশাল মিডিয়ায় প্রায় শোরগোল ফেলে দিয়েছিলেন দেব। টলিউড সুপারস্টারের পোস্টে ‘জোড়ায় শুভারম্ভের’ কথা দিয়েছিলেন! শুক্রবার যে বড় চমক দেবেন দেবে, সেটা এদিনই ইঙ্গিত দেন। কথা রাখলেন টলিউড সুপারস্টার। একেবারে জোড়ায় জোড়ায় ধরা দিলেন ‘খাদান’ তারকারা। ‘হায় রে বিয়ে’র মিউজিক ভিডিওতে আবারও দেবকে পাওয়া গেল একেবারে ‘মাস হিরো’ অবতারে। তিনি যে পুরনো ফর্মে ফিরেছেন, সেটা দিন কয়েক আগেই ‘রাজার রাজা’ গানে বুঝিয়ে দিয়েছিলেন। যদিও তাঁর নাচের স্টেপ, হিরোসুলভ শরীরীভাষা নিয়ে খানিক চর্চা হয়েছিল। তবে দীর্ঘদিন বাদে ‘পুরনো দেব’কে দেখে উচ্ছ্বসিত ভক্তরা।‘হায় রে বিয়ে’ গানে দেব-যিশুর বন্ধুত্বের পাশাপাশি বরখা বিস্ত এবং ছবির আরেক নায়িকা স্নেহাকেও দেখা গেল। খুনসুঁটিতে নজর কাড়ল দেব-বরখার রসায়ন। দেব-ভক্তরা গানের ঝলক দেখে ইতিমধ্যেই উত্তেজনায় ফুটছেন। পর পর দুটো গানের ঝলক দেখেই বেশ বোঝা যাচ্ছে, ‘খাদান’ যে শহর ছাড়িয়ে প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের মনও ছুঁতে পারবে। বৃহস্পতিবার দেবের পোস্ট করা ছবিতে বিয়ের তত্ত্বে সাজানো ছিল মাছ-মিষ্টি, পানসুপারি… এমনকী বর-বধূর হাতে হাত। ২২ নভেম্বর সপরিবারে সকলকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন অভিনেতা। ব্যস! এই পোস্ট দেখেই নেটপাড়ায় টলিউড সুপারস্টারের বিয়ের জল্পনা উসকে দিয়েছিলেন অনুরাগীদের একাংশ। শুক্রবার সেই ধোঁয়াশা সরিয়ে ধরা দিলেন ‘রাওডি’ লুকে ধরা দিলেন দেব।

Card image cap

ক্যানসারের যন্ত্রণা নিয়েই ফের ‘বিগ বস’-এ হিনা

ফের বিগ বিসে পা রাখতে চলেছেন অভিনেত্রী হিনা খান। কেমোর যন্ত্রণার মাঝেই সলমনের সঙ্গে এই শোয়ের মঞ্চ ভাগ করে নেবেন তিনি। উইকএন্ডে কা ভার এপিসোডেই দেখা যাবে হিনাকে।বিগ বসের ১১ সিজনে নজর কেড়েছিলেন হিনা। তবে সেরার মুকুট তাঁর মাথায় ওঠেনি। সেই সিজনে জয়ী হয়েছিলেন শিল্পা শিন্ডে। সেই নস্ট্যালজিয়াকে সঙ্গে নিয়েই বিগ বসে ফিরছেন হিনা। জানা গিয়েছে, বিগ বসে নিজের পূর্ব অভিজ্ঞতা প্রতিযোগীদের সঙ্গে ভাগ করে নেবেন তিনি।মারণ রোগ ক্যানসার থাবা বসিয়েছে শরীরে। চলছে কেমোথেরাপি। কিন্তু এই লড়াই সহজ নয়। ক্যানসারের তৃতীয় ধাপ চলছে হিনা খানের। তবুও অদম্য মনের জোর। মারণ রোগ শরীরে থাবা বসালেও মানসিক শক্তি এতটুকু টলাতে পারেনি। তাই তো এই অসুস্থ শরীরেও কয়েকদি আগে মার্জার সরণিতে কনে সাজে বাজিমাত করেছিলেন হিনা।তাঁর জীবনের গল্প সিনেমাকেও হার মানায়। যেকোনও মুহূর্তে বিপর্যয় ঘটতে পারে। এমনই এক বিপর্যয় হিনা খানের জীবনে নেমে এসেছে। স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত অভিনেত্রী। পুরো পৃথিবীটাই যেন ওলট-পালট হয়ে গিয়েছে হিনার। এক মুহূর্তে সমস্ত গ্ল্যামার শেষ! হিন্দি টেলিভিশনের জনপ্রিয় অভিনেত্রী হিনা। পরে সিনেমা, ওয়েব সিরিজেও কাজ করেন। স্টেজ ৩ স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত ৩৬ বছরের অভিনেত্রী।
ক্যানসারের তৃতীয় ধাপ চলছে। এর মাঝেই মিউকোসাইটিসে আক্রান্ত হিনা খান। বৃহস্পতিবার ইনস্টাগ্রামে সেই দুঃসংবাদ শেয়ার করে সাহায্য প্রার্থনা করেছেন অভিনেত্রী। হিনা জানিয়েছেন, “কেমোথেরাপির আরেকটি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হচ্ছে মিউকোসাইটিস। যদিও প্রতি পদে পদে চিকিৎসকদের পরামর্শ মেনে চলছি সেরে ওঠার জন্য। আপনাদের মধ্যে কেউ যদি এই রোগের সঙ্গে যুঝে থাকেন, তাহলে দয়া করে এর সঠিক সমাধানের উপায় বাতলে দিন আমাকে।” করজোরে বাঁচার আর্তি জানিয়ে ওই পোস্টেই হিনা লিখেছেন, “সত্যিই খুব কষ্ট হচ্ছে, কিচ্ছু খেতে পারছি না। আপনারা কেউ যদি সমাধানের উপায় বলে দেন, তাহলে আমার খুব ভালো হয়।”

Card image cap

উত্তরপ্রদেশ-গুজরাটে করমুক্ত ‘দ্য সবরমতী রিপোর্ট’

‘দ্য সবরমতী রিপোর্ট’ ছবির ভূয়সী প্রশংসা করে নরেন্দ্র মোদি এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছিলেন, ‘এই ছবির মাধ্যমেই সত্যিটা উন্মোচিত হল। খুব ভালো।’ এবার প্রধানমন্ত্রীর প্রশংসার পরই বিক্রান্ত মাসে অভিনীত সিনেমার ভাগ্যোদয় হল। পর পর দুটি রাজ্য- উত্তরপ্রদেশ এবং গুজরাটে করমুক্ত হল ‘দ্য সবরমতী রিপোর্ট’।বৃহস্পতিবার লখনউতে সিনেমার স্পেশাল স্ক্রিনিংয়ে হাজির ছিলেন যোগী আদিত্যনাথ। সেখানেই বিক্রান্ত-সহ সিনেমার কলাকুশলীদের সঙ্গে দেখা করে করমুক্ত করার কথা ঘোষণা করেছেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেলও এক্স হ্যান্ডেলে ‘দ্য সবরমতী রিপোর্ট’-এর ভূয়সী প্রশংসা করে করমুক্ত করার কথা ঘোষণা করলেন। ২০০২ সালের গোধরা কাণ্ড অবলম্বনে তৈরি সিনেমা ‘দ্য সবরমতী রিপোর্ট’-এ অভিনয়ের জন্য সম্প্রতি খুনের হুমকি পান বিক্রান্ত মাসে। ঝলক প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই এই ছবির সঙ্গী ছিল বিতর্ক। তবে রিলিজের তিন দিনের মাথাতেই খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির তরফে প্রশংসা আসে। এবার ভূপেন্দ্রর কথায়, গোধরা কাণ্ডের আসল সত্যিটা উন্মোচনের জন্য এই ছবিকে গুজরাটে করমুক্ত ঘোষণা করা হল। যে ছবির জন্য বিতর্ক সঙ্গী হয়েছে, খুনের হুমকি অবধি পেয়েছেন বিক্রান্ত মাসে, এবার সেই ছবি যখন দু দুটো রাজ্য সরকারের তরফে করমুক্ত ঘোষণা করা হল, তখন উচ্ছ্বসিত বিক্রান্ত মাসে। পালটা যোগী আদিত্যনাথকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন অভিনেতা। তাঁর কথায়, “খুব গুরুত্বপূর্ণ একটা সিনেমা, সকলের অবশ্যই দেখা উচিত ‘দ্য সবরমতী রিপোর্ট’।”রবিবার এক্স হ্যান্ডেলে ‘দ্য সবরমতী রিপোর্ট’ ছবির প্রশংসা করে মোদি লেখেন, ‘সত্যিটা এই ছবির মাধ্যমে উন্মোচিত হয়ে খুব ভালো হল। যেখানে সাধারণ মানুষের কাছেও সত্যিটা পৌঁছে যাবে। ভুয়ো তথ্য কিংবা অপপ্রচারের আয়ু খুব বেশিদিন হয় না। স্বাভাবিকভাবেই সত্যিটা বেরিয়ে আসে।’ প্রধানমন্ত্রীর সেই এক্স হ্যান্ডেল পোস্ট শেয়ার করে ধন্যবাদ জানিয়েছেন প্রযোজক একতা কাপুরও। তিনি লেখেন, ‘দ্য সবরমতী রিপোর্ট নিয়ে আপনার এহেন ইতিবাচক মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। আমাদের সাহস জোগালেন আপনি। আপনার এহেন প্রশংসাই প্রমাণ যে, আমরা সঠিক পথেই যাচ্ছি। এতটা সমর্থন এবং ভালোবাসার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।’গোধরা কাণ্ড নিয়ে এই ছবি যে বিতর্কের মুখে পড়বে, তা আগেই আন্দাজ করেছিল ছবির টিম। তবে বিতর্কের সঙ্গে সঙ্গে যে প্রাণনাশের হুমকিও জুটবে, তা স্বপ্নেও ভাবেননি মুখ্য অভিনেতা বিক্রান্ত মাসে। ছবিতে বিক্রান্ত একজন স্থানীয় সাংবাদিকের চরিত্রে অভিনয় করেছেন। তাঁর এক সহকর্মীর ভূমিকায় রাশি খান্না রয়েছেন। সম্প্রতি ‘দ্য সবরমতী রিপোর্ট’ ছবির প্রচারেই বিক্রান্ত জানান, “প্রাণনাশের হুমকিবার্তা পাচ্ছি। আমরা ছবির গোটা টিম বিষয়টি দেখছি এবং সবাই মিলে পরিস্থিতির সামাল দিচ্ছি। আমরা শিল্পী। আমরা গল্প বলি। ছবি পুরোপুরি তথ্য ভিত্তিক। এটা বলতে পারি, ছবি এখনও মুক্তি পায়নি, তাই আগে থেকেই কোনও ভ্রান্ত ধারণা তৈরি করা উচিত নয়।”

Card image cap

গানই নয়, নেচেও মঞ্চ মাতালেন অরিজিৎ সিং

অরিজিৎ সিং যে দারুণ গায়ক, তা আর নতুন করে বলার কিছু নেই। কিন্তু গানের পাশাপাশি অরিজিৎ যে দারুণ নাচতেও পারেন, তার প্রমাণ পাওয়া গেল সম্প্রতি।ব্যাপারটা একটু খোলসা করে বলা যাক বরং। সম্প্রতি সোশাল মিডিয়ায় অরিজিতের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। যেখানে দেখা গিয়েছে, মঞ্চে জওয়ান ছবির ‘ছলিয়া’ গানটি গাইছেন তিনি। তবে হঠাৎ গানের মাঝে শাহরুখের কায়দায় নাচতে শুরু করবেন অরিজিৎ, তা আন্দাজ করতে পারেননি কেউই। মঞ্চে যখন শাহরুখের স্টেপ নকল করলেন অরিজিৎ, হইচই দর্শকমহলে। এই ভিডিওই এখন ভাইরাল নেটপাড়ায়।শুধু এই ভিডিও নয়। এর আগেও অরিজিতের অনেক ভিডিও ভাইরাল হয়। যেমন, সম্প্রতি লন্ডনে একের পর কনসার্ট করেছেন অরিজিৎ সিং। মাঝে মধ্য়েই সেই কনসার্টের ভিডিও ভাইরাল হচ্ছে সোশাল মিডিয়ায়। এবার বার্মিংহামে কনসার্টের অরিজিতের যে ভিডিওটি ভাইরাল হয়েছে, সেখানে দেখা গিয়েছে তার গানের মাঝেই এক ভক্ত দর্শক নানারকম অঙ্গভঙ্গি করতে থাকেন। ভক্তর এমন কীর্তি দেখে প্রথমে বিরক্তই হন অরিজিৎ। তারপর হঠাৎই হাতের ইশারায় অরিজিৎ যেন বলে উঠলেন, চুপচাপ বসে যাও, নাহলে মার খাবে!

Card image cap

কড়া নিরাপত্তায় মুড়ে বুথে সলমন

কখনও ২ কোটি, কখনও ৫ কোটি চেয়ে লাগাতার খুনের হুমকি সলমন খানকে। তবে প্রাণনাশের হুমকি এলেও দমে যায়নি ভাইজান। বরং সেদিকে কোনও ভ্রুক্ষেপও নেই বলিউড সুপারস্টারের। এমতাবস্থাতেও কর্তব্যে অবিচল সলমন। জারি রেখেছেন কাজ। বিগ বস-এর শুটিং হোক বা সিকন্দর, সর্বত্র দাবাং মেজাজে ভাইজান। বুধবার মহারাষ্ট্রের বিধানসভা ভোটের দিনও কড়া নিরাপত্তায় মুড়ে পোলিং বুথে এলেন সলমন খান।খুনের হুমকির তোয়াক্কা না করেই নিরাপত্তাবেষ্টনীতে ঘিরে দায়িত্ববাণ নাগরিকের মতো পৌঁছে গেলেন বান্দ্রা পশ্চিমের মাউন্ট মেরি হাইস্কুলের বুথে। পরনে ধূসর রঙের টিশার্ট। ডেনিম জিনস। মাথায় কালো টুপি। সলমনকে দেখা গেল চিরাচরিত দাবাং মেজাজে। এদিনে দুপুরেই বাবা সেলিম খান, ভাই আরবাজ খানরা ভোট দিয়েছেন। তবে ভাইজানকে পরিবারের সঙ্গে দেখা যায়নি। চুলবুল পাণ্ডে এলেন একাই। আর সলমনকে দেখে স্বাভাবিকভাবেই ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে জনঅরণ্য। প্রিয় সুপারস্টারের সঙ্গে সেলফি তোলার আবদার করেন অনেকে। খুনের হুমকির পর থেকেই ভাইজান Y ক্যাটাগরির নিপাপত্তাবেষ্টনীতে থাকেন। অতঃপর সেই নিরাপত্তা বলয় ভেঙে তাঁর সামনে ঘেঁষা কারও পক্ষেই সম্ভব নয়! তবে ভোটের দিন দেখা গেল বিরল চিত্র। ছবি তুলে অনুরাগীদের আবদার মেটালেন তিনি।প্রসঙ্গত, মাসখানেক ধরেই নতুন করে বিষ্ণোই গ্যাংয়ের নিশানায় সলমন খান। কেন? সালটা ১৯৯৮। সেই সময়ে রাজস্থানের কঙ্কানি গ্রামে ‘হাম সাথ সাথ হ্যায়’ সিনেমার শুটিং করতে গিয়ে বিতর্কে জড়ান সলমন খান। বলিউড সুপারস্টারের বিরুদ্ধে কৃষ্ণসার হরিণ হত্যার অভিযোগ ওঠে। দু দশক আগের সেই ঘটনার পর থেকেই বিষ্ণোই গ্যাংয়ের নজর সলমনের দিকে। একাধিকবার বলিউডের ভাইজানকে খুনের হুমকি দিয়ে খবরের শিরোনামে জায়গা করে নিয়েছে কুখ্যাত গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোই। চলতি বছর থেকে সেই উপদ্রব আরও বেড়েছে বই কমেনি! মাসখানেক আগে গ্যালাক্সি অ্যাপার্টমেন্টের বাইরে গুলি চালানো। বিদেশে সলমনের বন্ধ-গায়কের বাড়িতে হামলা, তার পর গত সপ্তাহে সলমন ঘনিষ্ঠ বাবা সিদ্দিকির খুন! একের পর এক ঘটনা ঘটিয়ে ভাইজানকে প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে বিষ্ণোই গ্যাং। দুবাই থেকে ২ কোটি টাকা খরচ করে বুলেট প্রুফ গাড়িও আনিয়েছেন ভাইজান। এদিন সেই গাড়িতে করেই বান্দ্রার ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে দেখা গেল সলমন খানকে।

Card image cap

ফের মেজাজ হারালেন তাপসী পান্নু

বলিউড অভিনেত্রী তাপসী পান্নুর ব্যবহারে মাঝে মধ্যে ক্ষুব্ধ হয় নেটপাড়া। এমনকী, বহুবার তাপসীকে এই নিয়ে নানা কথাও প্রকাশ্যে শুনিয়েছেন তাঁরা। কিন্তু তাতে কোনও ফল হয়নি। উলটে তাপসীর দুর্ব্যবহার আরও বেড়েছে। আর তার প্রমাণ ভাইরাল হওয়া নতুন এক ভিডিও।পাপারাজ্জিদের সঙ্গে মাঝে মধ্যেই বচসায় জড়িয়ে পড়েন তাপসী। ঠোঁটকাটা ব্যবহার হওয়ায়। দুমদাম নানা কথাও বলে দেন মুখের উপর। এমনকী, একবার তো এক অনুরাগীর মুখের উপর দরজাও বন্ধ করে দেন তাপসী। তবে এবার ছবি শিকারিদের স্পষ্টই তাপসী বলে দিলেন, ‘আমার সম্পর্কে কিন্তু বাজে বাজে লিখে দিও। আমার ইমেজকে একেবারে নষ্ট করে দাও। না হলে সব কিছু বদলে যাবে। ” তাপসীর এই ভিডিওই এখন ভাইরাল হয়েছে সোশাল মিডিয়ায়।কয়েকমাস আগে গোপনে বিয়ে করেছেন তাপসী। সেই সময়ও সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে তাপসীর ব্যবহার নিয়ে নেটপাড়ায় ঝড় উঠেছিল। তা নিয়ে তাপসী জানিয়ে ছিলেন, ”আসলে আমি ঠিক বুঝতে পারছিলাম না যে, বিয়ের মতো ব্যক্তিগত বিষয়কে চর্চায় আনব কিনা। আসলে প্রথম থেকেই আমি ব্যক্তিগত জীবনটাকে কখনই সবার সামনে তুলে ধরতে চাইনি। আমার বিয়েতে কারা আসছেন, কারা আসছেন না। কিংবা বরের ব্যাপারে কোনও তথ্য লুকোতে চাইনি। আমার একমাত্র উদ্দেশ্যই ছিল ব্যক্তিগত ইভেন্টকে স্পটলাইটে না রাখার।”

Card image cap

স্বামীকে হারালেন মুনমুন সেন

স্বামীকে হারালেন মুনমুন সেন । প্রয়াত রাইমা ও রিয়া সেনের বাবা ভরত দেববর্মা। জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার সকালে অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। সঙ্গে সঙ্গে খবর দেওয়া হয় ঢাকুরিয়ার বেসরকারি হাসপাতালে। সেখান থেকে অ্যাম্বুল্যান্স আসার আগেই সবকিছু শেষ হয়ে যায়। দিল্লি থেকে হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজের মাধ্যমে ভরত দেববর্মার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেন রাইমা সেন।  মনে করা হচ্ছে, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন ভরত দেববর্মা।  তার জেরেই মৃত্যু।ত্রিপুরার রাজ পরিবারের সন্তান ভরত দেববর্মা। ১৯৭৮ সালে মুনমুন সেনের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। এক বছরের মাথাতেই রাইমা সেনের জন্ম হয়। তার বছর দুই পরে মুনমুন-ভরতের জীবনে আসে রিয়া। বিয়ে ও দুই সন্তানের জন্মের পর মুনমুন নিজের অভিনয় সফর শুরু করেন। আটের দশকের হার্টথ্রব হয়ে ওঠেন তিনি। হিন্দির পাশাপাশি বাংলা সিনেমাতেও চুটিয়ে অভিনয় করেন সুচিত্রাকন্যা।২০১৪ সালে মুনমুন সেনের রাজনৈতিক কেরিয়ারের সূত্রপাত। তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে লড়ে লোকসভা ভোটে জেতেন তারকা। সামলান বাঁকুড়ার সাংসদপদ। অভিনয় হোক বা রাজনৈতিক কেরিয়ার, বরাবর স্ত্রীর পাশে থেকেছেন ভরত দেববর্মা। রিয়া-রাইমার কাছে তিনি ‘বেস্ট ড্যাড’। 
গত ২৮ সেপ্টেম্বর ছিল ভরত দেববর্মার জন্মদিন। সেদিন বাবার একাধিক ছবি সোশাল মিডিয়ায় শেয়ার করে রাইমা সেন লিখেছিলেন, ‘শুভ জন্মদিন বাবা, তুমি আমাদের সমস্ত স্বপ্ন সত্যি করে তুলেছো। এখনও এত ফুরফুরে মনের মানুষ ও ভালোবাসায় পূর্ণ বাবা হয়ে থাকার জন্য থ্যাংক ইউ ড্যাড। তোমার এই রসিকতা ও হাসি অটুট থাকুক এই প্রার্থনা রইল।’ এর পরই বাবাকে ভালোবাসা জানিয়ে হ্যাশট্যাগ দিয়ে অভিনেত্রী লেখেন, ‘বেস্ট ড্যাড এভার।’ বাবাকে ‘অরিজিনাল রকস্টার’-এর খেতাবও দিয়েছিলেন রাইমা। ‘ফাদার্স ডে’তেও বাবার একাধিক ছবি সোশাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছিলেন রাইমা।