CATEGORY entertain:

Card image cap

১৯৯৪-এর প্রতিশোধ নিতেই শাহরুখকে খুনের হুমকি?

বৃহস্পতিবার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বলিউডের দুই মেগাস্টার শাহরুখ খান এবং সলমন খানকে খুনের হুমকি দেওয়া হয়েছে। যে বিষয়ে ইতিমধ্যেই তৎপরতার সঙ্গে তদন্তে নেমেছে পুলিশ। আর দুই বলিউড তারকার নেপথ্যেই তাড়া করে বেড়াচ্ছে অতীত ছায়া! ঘটনা সেই নয়ের দশকের। ১৯৯৮ সালে রাজস্থানের কঙ্কানি গ্রামে ‘হাম সাথ সাথ হ্যায়’ সিনেমার শুটিংয়ের সময়ে সলমন খানের বিরুদ্ধে কৃষ্ণসার হরিণ হত্যার অভিযোগ ওঠে। সেই থেকে বিষ্ণোই গ্যাংয়ের নিশানায় ভাইজান। কিন্তু সেই নয়ের দশকেই শাহরুখ এমন কী করেছিলেন, যার সঙ্গে এই খুনের হুমকির যোগ খুঁজে পেল পুলিশ?কী ঘটেছিল? জানা গিয়েছে, ১৯৯৪ সালে ‘আঞ্জাম’ সিনেমায় শাহরুখের একটি সংলাপ ছিল। অনেকেই দাবি করেছিলেন, সেই সংলাপ ছিল হরিণ শিকারের ক্ষেত্রে উসকানিমূলক। সেই মর্মে একটি অভিযোগও দায়ের হয়েছিল মুম্বই পুলিশে। কে ছিলেন সেই অভিযোগ দায়েরকারী? নাম জানলেই চমকে উঠবেন! ফয়জান খান। বৃহস্পতিবার শাহরুখ খানকে খুনের হুমকি দেওয়া ফোন নম্বরের মালিক যিনি। আজ্ঞে! এদিন কড়া পুলিশি জেরার মুখে পড়ে ফয়জান নিজেই জানিয়েছেন যে, তিনি নয়ের দশকে ‘আঞ্জাম’ সিনেমার ওই সংলাপের জন্যই শাহরুখের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। কিন্তু কেন? এখানেই টুইস্ট! পুলিশি বয়ানে ফয়জানের মন্তব্য, “আমি রাজস্থানের লোক। বিষ্ণোই সম্প্রদায় আমার বন্ধু। আর হরিণ রক্ষা করা ওদের ধর্ম। তাই কোনও মুসসিম ধর্মাবলম্বী (শাহরুখ) কেউ যদি হরিণ হত্যায় উসকানি দেয়, সেটা অপরাধ। এইজন্যই আমি আপত্তি তুলেছিলাম।” ১৯৯৪ সালের সেই প্রতিশোধ নিতেই কি তাই এবার বলিউড বাদশাকে খুনের হুমকি দিলেন ফয়জান খান?ছত্তিশগড়ের এই ব্যক্তির দাবি, গত ২ নভেম্বর শাহরুখের জন্মদিনে তাঁর মোবাইল ফোন চুরি হয়। তাঁর কথায়, “আমার চুরি করা ফোন থেকেই কেউ হুমকি দিয়েছে। কারণ, ফোন খোয়া যাওয়ার পর থানায় অভিযোগ জানিয়েছি আমি।” এবার ফয়জান খানকে জেরার পর ধন্দে পুলিশ। ৫০ লক্ষ টাকা দাবি করে শাহরুখ খানকে আসলে খুনের হুমকি তাহলে দিল কে? ফয়জানের দাবি, শাহরুখ খানের বিরুদ্ধে তাঁর দায়ের করা অভিযোগের কথা নিশ্চয়ই কেউ জানতেন। তাই তাঁর ফোন চুরি করে বাদশাকে খুনের হুমকি দিয়ে তাঁকে ফাঁসানোর ষড়যন্ত্র কষেছে। এদিকে কৃষ্ণসার হরিণহত্যার অভিযোগে সলমনকে লাগাতার প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে যাচ্ছে বিষ্ণোই গ্যাংয়ের মাথা লরেন্স বিষ্ণোই। বৃহস্পতিবার একইদিনে আবার খুনের হুমকি শাহরুখ-সলমনকে। তাহলে কি এক্ষেত্রেও বিষ্ণোই গ্যাংয়ের যোগসূত্র?সলমন খানের পর এবার শাহরুখ খানকে খুনের হুমকির নেপথ্যে কি বিষ্ণোই গ্যাং? এমন প্রশ্ন ওঠা অস্বাভাবিক নয়! কারণ বাবা সিদ্দিকির খুনের দায় স্বীকার করে নিয়ে বিষ্ণোইরা আগেভাগেই শাসানি দিয়েছে যে, “সলমন ঘনিষ্ঠদের এমন পরিণতিই হবে!” নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে এবার তাই জন্মদিনে মন্নতের ছাদে ‘চাঁদ’ও দেখা যায়নি! এবার ফোন নম্বর ট্র্যাক করে ওই ব্যক্তিকে বাগে পাওয়ার পর জেরা করে যে তথ্য এল পুলিশের কাছে, তা রীতিমতো চাঞ্চল্যকর।

Card image cap

কাঞ্চনকে প্রেমের চিঠি শ্রীময়ীর

সদ্য ফুটফুটে কন্য়া সন্তানের মা হয়েছেন শ্রীময়ী। কালীপুজোর আবহেই কাঞ্চনের ঘরে এসেছে লক্ষ্মী। সংসারে নতুন সদস্য আসায় স্বাভাবিকভাবেই খুব খুশি কাঞ্চন ও শ্রীময়ী। তবে এখনও শ্রীময়ী ও সন্তান রয়েছেন নার্সিংহোমে। আর নার্সিংহোমেও স্ত্রীকে এক মুহূর্তেও চোখের সামনে থেকে দূরে রাখছেন না কাঞ্চন। নিজের হাতেই করছেন স্ত্রীয়ের দেখভাল। কাঞ্চনের মতো এমন জীবনসঙ্গী পেয়ে স্বাভাবিকভাবেই আপ্লুত শ্রীময়ী। আর তাই তো নার্সিহোম থেকে নতুন ছবি পোস্ট করে কাঞ্চনকে নিয়ে লিখে ফেললেন নতুন লাভ লেটার।শ্রীময়ী যে ছবিটি পোস্ট করেছেন, সেখানে দেখা গিয়েছে, কাঞ্চন শ্রীময়ীকে নিজে হাতে খাইয়ে দিচ্ছেন। শ্রীময়ী লিখলেন, ‘ভালো কিংবা খারাপ সব পরিস্থিতিতেই যে মানুষটা পাশে থেকেছে, বিয়ের অনেক আগে থেকেই সে সবচেয়ে প্রিয় বন্ধু। আমার অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার প্রথম দিন থেকে যে মানুষটা আমার খেয়াল রেখেছে, আমার শরীরের যত্ন নিয়েছে। আমার সব রকম আবদার মিটিয়েছে, আমার মুড সুইংস হাসি মুখে সহ্য করেছে। আমাকে ভালোবাসায় আগলে রেখেছে এবং রেখেই চলেছে। মেয়ের যত্ন নিচ্ছে, রাতে আমার সঙ্গে বারবার উঠছে কেবিনে। শুধু তোমার জন্য়ই আমি একটা নতুন জীবন এই পৃথিবীতে আনতে পারলাম সুস্থভাবে। পৃথিবীর সেরা উপহার দিয়েছে এই মানুষটি। খুব ভালোবাসি তোমাকে’।অন্নকূটের দিনই কাঞ্চন-শ্রীময়ীর সংসারে লক্ষ্মীর আগমন। ঈশ্বরে বিশ্বাসী দুজনেই। কন্যাসন্তান জন্মের পরই হাসপাতালে দাঁড়িয়ে কাঞ্চন মল্লিক বলেছিলেন, “সবই মায়ের আশীর্বাদ।” শুভ দিনে ঘরে নতুন সদস্যের আগমন, এ যেন একেবারে ঈশ্বরের বরদান। তাই কৃষ্ণভক্ত মা-বাবা মেয়ের নামও রেখেছেন- ‘কৃষভি’। হাসপাতাল থেকে কবে মেয়েকে নিয়ে বাড়ি ফিরছেন? এক্ষেত্রেও কি বিশেষ দিনেই কন্যার গৃহপ্রবেশ হবে?বাবা কাঞ্চনের কণ্ঠে একরাশ উচ্ছ্বাস। তিনি জানালেন, “শ্রীময়ী এবং সন্তান দুজনেই সুস্থ রয়েছে। কোনও অসুবিধে নেই।” একরত্তিকে নিয়ে কবে গৃহপ্রবেশ হচ্ছে? কাঞ্চন জানালেন, “ডাক্তার এখনও কোনও ডেট দেননি যদিও, তবে আজ-কালের মধ্যেই জানাবেন। আশা করছি, এই সপ্তাহেই মেয়েকে নিয়ে বাড়ি ফিরতে পারব।” শোনা যাচ্ছে, সম্ভবত বৃহস্পতিবার বা শুক্রবারই হাসপাতাল থেকে স্ত্রী-কন্যাকে নিয়ে বাড়িতে ফিরবেন তারকা বিধায়ক।
মঙ্গলবারই ইনস্টা স্টোরিতে ছবি শেয়ার করে জানান দিয়েছেন তিনি। বিয়ের ৯ মাস পূর্তিতে মা হয়েছেন অভিনেত্রী। হাসপাতালের বিছানায় দিনভর আগলে রাখছেন একরত্তিকে। কাঞ্চনও স্ত্রীয়ের ক্যাবিনেই কাটাচ্ছেন বেশিরভাগ সময়টা। কৃষভিকে প্রথমবার কোলে নেওয়ার অনুভূতি কেমন? মা অভিনেত্রী জানিয়েছেন, মনে হচ্ছে চোখের সামনে একটা তুলোর পুতুল শুয়ে আছে। মেয়ের যাতে ঘুম না ভাঙে, তার জন্য আস্তে আস্তে কথা বলছেন তাঁরা। সারাক্ষণ নিষ্পলকভাবে মেয়ের দিকে তাকিয়ে রয়েছেন। প্রথমবার মেয়েকে দেখে, হ্যালো বলে সম্বোধন করেছিলেন শ্রীময়ী। স্ত্রীর এহেন কাণ্ডে নাকি হেসে খুন হন কাঞ্চন মল্লিক! শ্বশুরবাড়ির গুরুজনদের নির্দেশেই আসলে অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার খবরটা গোপন রেখেছিলেন। সাত মাস পর্যন্ত শুটিংও করেছেন, সেটেও কাউকে ঘুণাক্ষরে টের পেতে দেননি নাকি অভিনেত্রী।

Card image cap

শাহরুখকে খুনের হুমকি?

সলমন খানের পর এবার খুনের হুমকি শাহরুখ খানকে। নেপথ্যে কি বিষ্ণোই গ্যাং? এমন প্রশ্ন ওঠা অস্বাভাবিক নয়! কারণ বাবা সিদ্দিকির খুনের দায় স্বীকার করে নিয়ে বিষ্ণোইরা আগেভাগেই শাসানি দিয়েছে যে, “সলমন ঘনিষ্ঠদের এমন পরিণতিই হবে!” নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে এবার তাই জন্মদিনে মন্নতের ছাদে ‘চাঁদ’ও দেখা যায়নি! তবে বৃহস্পতিবার সাতসকাল থেকে ফের সরগরম বলিপাড়া। কারণ এবার খুনের হুমকি বাদশাকে। ফোন নম্বর ট্র্যাক করে ওই ব্যক্তিকে বাগে পাওয়ার পর জেরা করে যে তথ্য এল পুলিশের কাছে, তা রীতিমতো চাঞ্চল্যকর।বৃহস্পতিবার ছত্তিশগড় থেকে একটি উড়োফোন আসে মুম্বই পুলিশের কাছে। সেই ফোনেই শাহরুখ খানকে প্রাণে মারার হুমকি দেওয়া হয়। ফোনের লোকেশন যাচাই করে ছত্তিশগড়ে পৌঁছে যায় মুম্বই পুলিশ। ফয়জান খান নামের এক ব্যক্তির নম্বর থেকেই ওই হুমকি ফোন গিয়েছিল পুলিশের কাছে। এর পর ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ৩০৮ এবং ৩৫১ ধারায় অভিযোগ দায়ের করে তৎক্ষণাৎ ঘটনার তদন্ত শুরু করে দেয় মুম্বই পুলিশ। এদিকে অভিযুক্তকে জেরায় যে তথ্য উঠে আসছে, তা শুনে রীতিমতো হতচকিত পুলিশ।হুমকি ফোনে দাবি করা হয়, বান্দ্রায় মন্নতের বাইরে দাঁড়িয়ে সেই ব্যক্তি। ৫০ লক্ষ টাকা না দিলে খুন হবেন শাহরুখ খান। এদিকে এদিন সাতসকালে ফয়জান খানের বাড়িতে পৌঁছে যায় পুলিশের একটি টিম। সেখানে গিয়ে যা জানতে পারেন, তাতে চক্ষু ছানাবড়া! ফয়জান নামের ওই ব্যক্তি পেশায় উকিল। গত ২ নভেম্বর শাহরুখের জন্মদিনে তাঁর মোবাইল ফোন চুরি হয়। সেই মর্মে স্থানীয় থানায় একটি অভিযোগও দায়ের করা রয়েছে বলে জানান তিনি। পুলিশি জেরার মুখে পড়ে ফয়জান জানিয়েছেন, “আমার চুরি করা ফোন থেকেই কেউ হমকি দিয়েছে। কারণ, ফোন খোয়া যাওয়ার পর থানায় অভিযোগ জানিয়েছি আমি।” এবার ফয়জান খানকে জেরার পর ধন্দে পুলিশ। ৫০ লক্ষ টাকা দাবি করে শাহরুখ খানকে আসলে তাহলে খুনের হুমকি দিল কে? এমন ছকের নেপথ্যে চক্রান্তই বা কার? তদন্তে পুলিশ।

Card image cap

ট্রাম্প জিততেই ফ্ল্যাশব্যাকে হেঁটে খোঁচা মীরের!

মার্কিন মসনদে ফের একবার ডোনাল্ড ট্রাম্প। সেই প্রেক্ষিতেই ফ্ল্যাশব্যাকের সরণিতে হাঁটা দিলেন মীর আফসার আলি। প্রেসিডেন্টের দৌড়ে কমলা হ্যারিসকে হারিয়ে রিপাবলিকান নেতা জয়ের নিশান উড়িয়েছেন। এদিকে হোয়াইট হাউসের রং লাল হতেই বাঙালি মশগুল ট্রাম্পের অতীত ‘উচ্চারণ স্খলন’ নিয়ে।ডোনাল্ড ট্রাম্পই ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্টের গদিতে বসতে চলেছেন। একথা বাংলা বাজারে ছড়িয়ে পড়তেই অন্দরমহল থেকে চায়ের ঠেক, সর্বত্র ‘বিবেকামুন্নন’ নিয়ে জোর আলোচনা। সেই প্রেক্ষিতেই অভিনেতা তথা সঞ্চালক মীর আফসার আলি লিখেছেন, “জিতেছেন ভালো কথা কিন্তু ফের ভারতে এসে বিবেকামুন্নন বললে রাগ করবো!” মীরের পোস্টেও হাসির রোল! সিংহভাগ নেটিজেন তাঁকে সমর্থন করেছেন। কারও মন্তব্য, ‘অসুবিধে হবে না, বাংলার মানুষ আবোল তাবোল শুনতে অভ্যস্ত। রাগ হয় না।’ কারও মন্তব্য, ‘একদম ঠিক বলেছো।’ বছর চারেক আগে ভারত সফরে এসে স্বামী বিবেকানন্দ বলতে গিয়ে হোঁচট খান ট্রাম্প। পরিবর্তে ‘বিবেকামুন্নন’ বলে ফেলেন। বেদ বলতে গিয়ে ‘ভেস্টাস’ উচ্চারণ করেন। মণীষীর নামের এহেন হেলাফেলা উচ্চারণ মেনে নিতে পারেনি বাঙালি। বেজায় চটে গিয়ে সোশাল মিডিয়াতেও খোরাক করেন ট্রাম্পকে। এবার তাঁর নির্বাচনী জয়ে আবারও ‘বিবেকামুন্নন’ প্রসঙ্গ প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছে তাই।২০২০ সালের শীত। ফেব্রুয়ারি মাস। ভারত সফরে তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। মোতেরা স্টেডিয়ামে ‘বন্ধু’কে সংবর্ধনার ব্যবস্থা করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেখানে বক্তব্য রাখতে গিয়েই ব্যাপক জিভ-বিভ্রাট। মার্কিন জিভ একাধিক ভারতীয় শব্দ উচ্চারণ করতে গিয়ে ল্যাজে-গোবরে হয়। এর ফলে একদিকে যেমন হাসির ঢেউ ওঠে, অন্য দিকে বিরক্ত হন নেটিজেনদের একাংশ। স্বামী ‘বিবেকানন্দ’, ‘বেদ’ এবং ‘শচীন তেণ্ডুলকরে’র মতো শব্দ ভুল উচ্চারণ করেন ট্রাম্প। এবার মার্কিন মসনদে ফের একবার তিনি বসতেই মীর আফসার আলির রসিক পোস্ট।

Card image cap

মিঠুনের বিরুদ্ধে বউবাজার থানায় দায়ের অভিযোগ

অমিত শাহর সাম্প্রতিক বঙ্গ সফর ঘিরে নতুন করে চাঙ্গা হওয়ার চেষ্টা করেছিল বিজেপি। অক্টোবরের শেষে পশ্চিমবঙ্গে সদস্য সংগ্রহ অভিযান কর্মসূচিতে এসেছিলেন অমিত শাহ। সল্টলেকের প্রেক্ষাগৃহে সেই অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন ‘মহাগুরু’ মিঠুন চক্রবর্তী। সেখানে তাঁর মুখে রীতিমতো অতীতের নকশালপন্থীদের মতো কথা শোনা গিয়েছিল। আর তা ‘উসকানিমূলক’ বলে উল্লেখ করে এবার থানায় অভিযোগ দায়ের হল মিঠুনের বিরুদ্ধে। সূত্রের খবর, সম্প্রতি বিধাননগর দক্ষিণ থানায় এনিয়ে অভিযোগ দায়ের করে তাঁর বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন জানিয়েছেন জনৈক ব্যক্তি।গত ২৭ অক্টোবর অমিত শাহ এসেছিলেন কলকাতায়। পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির সদস্য সংখ্যা বৃদ্ধির উদ্দেশে চালু হওয়া নয়া কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে সংগঠনকে উজ্জীবিত করার লক্ষ্যে তাঁর আগমন। সল্টলেকে দলের মূল দপ্তরের সেই অনুষ্ঠানে ছিলেন বিজেপি নেতা, সদ্য ‘দাদাসাহেব ফালকে’ পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী। ওইদিন তাঁর বক্তব্য ছিল সম্পূ্র্ণ রাজনৈতিক। মিশে ছিল প্রচ্ছন্ন হুঁশিয়ারিও। তিনি বলেছিলেন, “আজ অভিনেতা হিসেবে নয়, আমি সেই ষাটের দশকের মিঠুন চক্রবর্তী বলছি। আমি রক্তের রাজনীতি করেছি। তাই রাজনীতির মারপ্যাঁচ আমার কাছে নতুন নয়। জানি, কোন পদক্ষেপে কোন কাজ হবে। আমি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর সামনেই বলছি, এর জন্য যা দরকার, সব করব। কুছ ভি, মানে কুছ ভি…। আর এই কথাটার একটা অন্তর্নিহিত অর্থ রয়েছে।”শাসকদল তৃণমূলকে বিঁধতে গিয়ে মিঠুনের মুখে এও শোনা গিয়েছিল, “ এখানকার এক নেতা বলেছিলেন, হিন্দুদের কেটে ভাগীরথীতে ভাসিয়ে দেব। ভেবেছিলাম, মুখ্যমন্ত্রী তাঁকে কিছু বলবেন, বলেননি। কিন্তু আমি বলছি, তোমাকে তোমার মাটিতেই পুঁতে দেব। ” আর তাঁর এসব মন্তব্যে যথেষ্ট উসকানি রয়েছে বলে অভিযোগ জানিয়ে সরাসরি  পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন এক নাগরিক। বিধাননগর দক্ষিণ থানায় দায়ের হয়েছে অভিযোগ। পুলিশ সূত্রে খবর, নিরাপত্তার স্বার্থে তাঁর নাম-পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি। অনেকেই বলছেন, সিনেমার পর্দায় ‘জাতগোখরো’ সুলভ সংলাপ বলা ‘মহাগুরু’ রাজনীতির আঙিনায় নেমেও সেসব সংলাপই বলছেন এবং বার বার বিতর্কে জড়াচ্ছেন। বউবাজার থানায় মামলা দায়ের তারই অংশ।এনিয়ে তৃণমূলের মিডিয়া কমিটির সদস্য কুণাল ঘোষের প্রতিক্রিয়া, ”যদি কোনও দায়িত্বশীল নাগরিকের মনে হয় যে তিনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর মঞ্চে বসে আপত্তিকর সাম্প্রদায়িক উসকানিমূলক কিছু বলেছেন, তাতে সেটা তো নিন্দাজনক তো বটেই। তাতে কারও এফআইআর করবেন বলে মনে করলে তিনি করেছেন। এটা নিয়ে আইনের দ্বারস্থ কেউ হলে আইন আইনের পথে চলবে।”

Card image cap

বারাণসীতে ছুটলেন ‘রুহ বাবা’ কার্তিক

দিওয়ালির মরশুমে ‘ভুলভুলাইয়া ৩’র রিলিজ কার্তিক আরিয়ানের ফিল্মি কেরিয়ারে নতুন মাইলস্টোন যোগ করেছে। অভিনেতার কেরিয়ারে সবথেকে দ্রত গতিতে একশো কোটির ক্লাবে প্রবেশ করা সিনেমা এটি। প্রথম তিন দিনেই ক্যাশবাক্সে উপচে পড়েছে লক্ষ্মীর কৃপা। একশো কোটির গণ্ডি ছুঁয়ে বিগ বাজেট ছবির মোট মূলধনের ৭০ শতাংশই প্রযোজকের ঘরে ফিরিয়েছে ‘ভুলভুলাইয়া ৩’। অন্যদিকে ‘রুহ বাবা’র রসিকতাতে মন মজেছে দর্শকদের। কার্তিককে ভালোবাসায় ভরিয়ে দিয়েছেন দর্শকরা। আর সিনেমা ব্লকবাস্টার হতেই ধর্মে-কর্মে মন অভিনেতার।পয়লা সপ্তাহান্তের পর সোমবারও অপ্রতিরোধ্য ‘ভুলভুলাইয়া ৩’র বিজয়রথ। সবমিলিয়ে গত চারদিনে এই ছবি আয় করতে পেরেছে ১২৫ কোটির। আশা করা হচ্ছে, ব্যবসার গ্রাফ এরকম থাকলে মঙ্গলবারই দেড়শো কোটির দোরগোড়া টপকে যাবে ‘ভুলভুলাইয়া ৩’। পয়লা দিনে ‘ভুলভুলাইয়া ৩’ যেখানে ৩৫.৫ কোটি আয় করেছিল, সেখানে দ্বিতীয় দিনের আয় আরও বেড়ে ৩৭ কোটি হয়েছে। রবিবারও প্রেক্ষাগৃহ উপচে পড়েছে। এদিনের ব্যবসা ৩৩.৫ কোটি টাকা। তবে সোমবার সপ্তাহের ব্যস্ততম দিনেও ১৭ কোটি টাকার ব্যবসা করেছে।সিনেবিশেষজ্ঞদের কথায়, একটা সিনেমাকে ব্লকবাস্টার ঘোষণা করতে হলে, সেই সিনেমার যা বাজেট, তার তুলনায় ২০০ শতাংশ লাভ করতে হবে। আর সেটা কার্তিক আরিয়ানের ‘ভুলভুলাইয়া ৩’র জন্য খুব একটা কঠিন নয়! খুব সহজেই দ্বিতীয় সপ্তাহান্তে ২০০ কোটির গণ্ডি ছুঁয়ে ফেলতে পারে বলে আশাবাদী তাঁরা। এই ছবি নিয়ে এমন পরিস্থিতি যে, মুম্বইয়ের চতুর্দিকে হাউজফুল শো থাকায় কার্তিক আরিয়ানের মা নিজেই ছেলের ছবি দেখতে পারছেন না। ‘ভুলভুলাইয়া ২’ দর্শকদের মন ছুঁয়ে ছিল বটে! তবে তৃতীয় ফ্র্যাঞ্চাইজি তাঁদের মন জিতে নিয়েছে।‘ভুলভুলাইয়া ৩’র এমন গগনচুম্বী সাফল্যে বেজায় উচ্ছ্বসিত কার্তিক আরিয়ান নিজেও। ‘রুহ বাবা’ যেখানেই যাচ্ছেন, ছেঁকে ধরছেন ভক্তরা। তাঁকে উন্মাদনা তুঙ্গে। তিনি যে বলিউডের নতুন প্রজন্মের ‘হার্টথ্রব’, সেটা আর আলাদা করে উল্লেখের প্রয়োজন হয় না। মঙ্গলবার মুম্বই বিমানবন্দর থেকে বারাণসীর উদ্দেশে উড়ে গেলেন তিনি। জানা গিয়েছে, এদিন সেখানে তাঁর গঙ্গাআরতি করার কথা রয়েছে। পুজো দেবেন কাশীর বিভিন্ন মন্দিরেও। ‘ভুলভুলাইয়া ২’র সাফল্যের পরও বারাণসী গিয়ে গঙ্গা আরতি করেছিলেন কার্তিক আরিয়ান। সেই ছেদ পড়েনি এবারও। 

Card image cap

হাসপাতালে বাবা, আবেগঘন পোস্ট সায়নীর

হাসপাতালে ভর্তি অভিনেত্রী তথা তৃণমূল সাংসদ সায়নী ঘোষের বাবা সমর ঘোষ। তারকা নিজেই ছবি পোস্ট করেছেন। আর ছবির ক্যাপশনে দিয়েছেন আবেগঘন বার্তা। শোনা গিয়েছে, সপ্তাহ খানেক ধরেই দক্ষিণ কলকাতার এক হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন সায়নীর বাবা।
কী হয়েছে সায়নীর বাবার? এখনও পর্যন্ত নিশ্চিতভাবে কিছু জানা যায়নি। তবে শোনা গিয়েছে, সপ্তাহ খানেক আগে বাড়িতে জ্ঞান হারান তিনি। সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। বিশিষ্ট পালমোনোলজিস্ট ডা. দেবরাজ যশের তত্ত্বাবধানে আছেন তিনি। ফুসফুসে সংক্রমণ রয়েছে। এমনটাই খবর। শোনা এও গিয়েছে, খুব শিগগিরিই সায়নীর বাবাকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হবে।উল্লেখ্য, বছরের শুরুতেই মাকে হারিয়েছেন সায়নী। কখনওই প্রকাশ্যে মায়ের শরীর খারাপ নিয়ে কোনও কিছুই বলতে শোনা যায়নি সায়নীকে। তবে গত বছর জুলাই মাসে পঞ্চায়েত ভোট প্রচারের কর্মসূচি বাতিল করেছিলেন মায়ের অসুস্থতার কারণে।
বাইপাসের এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন সায়নীর মা। সেখানেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। ২৭ জানুয়ারি নিজের জন্মদিনে মায়ের শ্রাদ্ধকর্ম করেছিলেন তারকা সাংসদ। তবে সায়নীর বাবার শারীরিক অবস্থা এখন আগের থেকে ভালো বলেই খবর। হয়তো মঙ্গলবারই তিনি হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাবেন। বাবার সঙ্গে হাসপাতাল থেকে ছবি শেয়ার করে ক্যাপশনে তারকা লিখেছেন, ‘কারণে অকারণে, নিষেধে বা বারণে / তোমার নামেই যতো জোছনা নিলাম।/ ভেতরে বাহিরে, দহণে বা ধারণে, / আমায় নিখোঁজ ভাবো বা পাশেই ছিলাম।’

Card image cap

প্রয়াত মিঠুন চক্রবর্তীর প্রথম স্ত্রী হেলেনা

প্রয়াত মিঠুন চক্রবর্তীর প্রথম স্ত্রী হেলেনা লিউক। জানা গিয়েছে, রবিবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী হেলেনা। সোশাল মিডিয়ায় হেলেনার মৃত্যু সংবাদ নিশ্চিত করেছেন নৃত্যশিল্পী তথা অভিনেত্রী কল্পনা আইয়ার। সঙ্গে গভীর শোক প্রকাশও করেছেন তিনি। তবে কী কারণে হেলেনার মৃত্যু হয়েছে, তা জানা যায়নি।দীর্ঘদিন ধরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে থাকলেও, তাঁর কেরিয়ার শুরু বলিউডেই। ১৯৮৫ সালে অমিতাভ বচ্চনের বিপরীতে ‘মর্দ’ ছবিতে দেখা গিয়েছিল হেলেনাকে। অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তীর সঙ্গে হেলেনার বিবাহিত সম্পর্ক ছিল মাত্র চার মাসের ৷ বিয়ের চারমাসের মধ্যেই তাঁদের ডিভোর্স হয় ৷মৃত্যুর দিন অর্থাৎ রবিবার রাত ৯.২০ নাগাদ ফেসবুকে হেলেনা শেষবারের জন্য লেখেন, কীরকম একটা অস্বস্তি অনূভূতি হচ্ছে, জানি না হঠাৎ এমন কেন লাগছে। খুবই ভারাক্রান্ত ও কনফিউজড লাগছে। তার পরই খবরে আসে হেলেনা শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেছেন।বহু বছর আগে এক ম্যাগাজিনে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে মিঠুনের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক নিয়ে মুখ খুলেছিলেন হেলেনা। তিনি জানিয়ে ছিলেন, ”মিঠুনের সঙ্গে আমার চার মাসের বিয়ের স্মৃতি আমার কাছে আবছা। তবে এখনও মনে করি, এই বিয়েটা না হলেই ভালো হতো। আমাকে মিঠুন ব্রেনওয়াশ করেছিল। আমিই নাকি তাঁর জন্য পারফেক্ট। দুর্ভাগ্যবশত, অনেক পরে সব কিছু বুঝতে পারি।”

Card image cap

ফের বিয়ে করলেন সানি লিওনি!

ফের বিয়ে করলেন জনপ্রিয় প্রাক্তন পর্ন তারকা এবং অভিনেত্রী সানি লিওনি। মালদ্বীপে উড়ে গিয়ে সমুদ্র সৈকতে সাজানো বিয়ের আসরে সঙ্গীকে সঙ্গে নিয়ে ফের বললেন আই ডু! সানির এই বিয়েতে তাঁর পাশে ছিল তিন সন্তান নিশা, নোয়া ও আশের। তা কাকে বিয়ে করলেন সানি?ব্য়াপারটা একটু খোলসা করে বলা যাক। নাহ, নতুন কোনও পুরুষ মানুষ সানির জীবনে আসেনি। নতুন কোনও পুরুষকেও সানি বিয়ে করেননি। উলটে স্বামী ড্য়ানিয়েল ওয়েবারের সঙ্গেই ফের বিয়ের বন্ধনে নিজেকে বেঁধে নিলেন সানি।তা হঠাৎ এমনটা করলেন কেন?
সূত্র থেকে পাওয়া খবর অনুযায়ী, সানি ও ড্যানিয়েল দুজনেই চাইছিলেন তাঁদের সন্তানরা একটু বড় হলে, নতুন করে বিয়ে করবেন। সন্তানদের বিয়ে নামক প্রতিষ্ঠানের সম্পর্কে এবং গুরুত্ব বোঝানোর কারণেই এমনটা করার ইচ্ছে ছিল তাঁদের। সেই কারণেই প্রথম বিয়ের ১৩ বছর পর, ফের বিয়ে করলেন সানি ও ড্যানিয়েল। মালদ্বীপের সৈকতে সেজে উঠেছিল তাঁদের বিয়ে আসর।
ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে খুব একটা মুখ খোলেন না অভিনেত্রী সানি লিওনি। মূলত, পর্ন দুনিয়া থেকে সরে এসে এখনও কেন, তাঁকে দর্শক সিরিয়াসলি নিচ্ছেন না, তা নিয়ে সানির মনের দুঃখ প্রচুর। নানা সাক্ষাৎকারে বার বার একথা বলেন সানি। তবে এবার প্রথম, নিজের পুরনো প্রেম নিয়ে মুখ খুললেন সানি।ড্যানিয়েলের সঙ্গে বিয়ের আগে জনপ্রিয় স্ট্যান্ড আপ কমেডিয়ান রাসেল পিটার্সের সঙ্গে প্রেম করতেন সানি। ব্রেক আপেরও পরেও, সানিকে নিয়ে নিজের শোয়ে নানারকম ঠাট্টা করতেন রাসেল। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে সানি জানালেন, ”আমাদের দিনগুলো খুবই সুন্দর ছিল। সুখেই ছিলাম আমরা। কিন্তু হঠাৎ বুঝতে পারি, রাসেল আমাকে খুব একটা গুরুত্ব দেয় না। তাই এই সম্পর্ক থেকে সরে দাঁড়াই।”
সানি আরও বলেন, ”আমাকে নিয়ে শোয়ে যে ঠাট্টা করে, তাতে যদি ওর উন্নতি হয়, তাহলে ভাল। সবাই যদি হাসে তাও ভাল। আমার এসবে কিছু যায় আসে না।”
বহু বছর আগেই পর্ন দুনিয়া থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছেন অভিনেত্রী সানি লিওনি। তবুও নীল ছবির ট্যাগ যেন তাঁর শরীর থেকে সরছে না। মাঝে মধ্য়েই অতীত যেন তাড়া করছে অভিনেত্রীকে। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে সানির গলায় যেন মিশে গেল একরাশ অভিমান। তিনি স্পষ্ট জানালেন, তাঁর মা এখনও তাঁকে ঘেন্না করেন!
সম্প্রতি মার্কিন এক সংবাদমাধ্যমকে একটি সাক্ষাৎকার দিয়েছেন সানি। সেখানে সানি জানান, ”আমার আসল নাম করণজিৎ কউর। কিন্তু যখন পর্ন দুনিয়াতে পা রাখি তখন আমাকে একটা আকর্ষণীয় নাম রাখতে বলা হয়। আমি আমার ভাইয়ের নাম ধার নিই। তারপরই আমার নাম হয়ে যায় সানি লিওনি। তারপর থেকেই আমার মা আমাকে সহ্য করতে পারেন না। বলা ভাল আমাকে একপ্রকার ঘেন্না করে।”
প্রসঙ্গত, অতীত ভুলে এগিয়ে চলাটা খুব কঠিন। যাঁরা পারেন, তাঁরা জীবনের সর্বত্র এগিয়ে থাকেন। তবে সমাজ অনেক সময় অতীতকে মনে করিয়ে পা টেনে ধরতে চায়। ঠিক যেমনটি ঘটেছে সানি লিওনির সঙ্গে। পর্ন দুনিয়া থেকে এসেছিলেন বিগ বস রিয়্য়ালিটি শোয়ে। তারপর পরিচালক মহেশ ভাটের নজরে পড়ে ‘জিসম ২’ ছবি থেকে বলিউডে পা। একের পর এক সিনেমা করলেও, সানির শরীর থেকে পর্ন তকমা কিন্তু যায়নি। বরং তাঁর সিনেমা মুক্তি পেলেও, তাঁকে অভিনেত্রী কম, শুনতে হত পর্নস্টার। সানি চেষ্টা করেছিলেন এই ইমেজ ভাঙতে। তবুও বেশিরভাগ লোকজন বার বার ফিরিয়ে নিয়ে গিয়েছেন তাঁকে পুরনো জগতে। নিজেকে প্রমাণ করার লড়াইয়ে যখন ক্লান্ত সানি, ঠিক তখনই অনুরাগ কাশ্যপের ‘কেনেডি’ ছবিতে যেন নতুন রূপ পেলেন তিনি। আর অনুরাগের হাতে পরে সিনেপর্দায় একেবারে ছক্কা হাঁকালেন!

Card image cap

শাহরুখের জন্মদিনের পার্টিতে থাকছেন না সলমন

আপদে বিপদে সবসময়ে একে অপরের পাশে থেকেছেন শাহরুখ-সলমন। রিল লাইফে যেমন করণ-অর্জুনের ‘ভাইচারা’ সুপারহিট। তেমনই রিয়েল লাইফেও তাঁদের বন্ধুত্ব অটুট। মাদককাণ্ডে আরিয়ান খানের গ্রেপ্তারির পর মধ্যরাতে মন্নতে ছুটেছিলেন সলমন খান। সেই সময়ে শাহরুখ-গৌরীর পাশে থেকেছে সলমনের পরিবারও। কিন্তু বিষ্ণোইদের উৎপাতে ভাইজান বর্তমানে যখন কঠিন সময়ের মধ্যে রয়েছেন, তখন কিং খান চুপ! এমনকী শনিবার শাহরুখের জন্মদিনের পার্টিতেও থাকছেন না সলমন। নিরাপত্তার অভাবেই?আসলে, বাবা সিদ্দিকির মৃত্যুর পর থেকেই আতঙ্কের পরিবেশ মুম্বইয়ে। বিশেষ করে বলিউডে। কারণ এনসিপি নেতাকে খুন করার দায় স্বীকার করেছে লরেন্স বিষ্ণোইয়ের গ্যাং। উপরন্তু মুহুর্মুহু সলমন খানকে প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে। সাবধান করে দেওয়া হয়েছে, ভাইজান ঘনিষ্ঠদেরও। কারণ সিদ্দিকির মৃত্যুর পর বিষ্ণোই গ্যাংয়ের তরফে সাফ জানানো হয়েছে যে, সলমনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার জেরেই এমন করুণ পরিণতি হয়েছে তাঁর। অতঃপর বর্তমানে চব্বিশ ঘণ্টা কড়া নিরাপত্তায় মুড়ে থাকতে হচ্ছে সলমন খানকে। নিরাপত্তার অভাবের জেরেই কি শাহরুখ খানের বার্থডে পার্টিতে থাকছেন না বন্ধু ভাইজান? নাকি শাহরুখের কোনওরকম ক্ষতি হোক চান না। সেইজন্যই সুপারস্টারের জন্মদিনের উদযাপন এড়িয়ে যাচ্ছেন?জানা গেল, শনিবার দুপুরেই সলমন কড়া নিরাপত্তায় মুড়ে মুম্বই ছেড়ে অন্যত্র উড়ে গিয়েছেন। এদিন মুম্বই বিমানবন্দর থেকে ভাইরাল হয়েছে তাঁর ভিডিও। প্রাণনাশের হুমকির মাঝেই কোথায় গেলেন তিনি? জানা গিয়েছে, ভাইজান তাঁর নতুন ছবি ‘সিকান্দার’-এর আউটডোর শুটিংয়ের জন্যই শহর ছেড়েছেন। লাগাতার প্রাণনাশের হুমকি, তবুও কর্তব্যে অবিচল সলমন খান। বিষ্ণোই গ্যাংয়ের নিত্য হুমকিতেও দমে না গিয়ে কাজ জারি রেখেছেন তিনি। শনিবার তাই শাহরুখের জন্মদিনেও থাকা হচ্ছে না তাঁর।

Card image cap

২৭০০ টাকায় বিকোচ্ছে ‘ভুল ভুলাইয়া ৩’র টিকিট

‘ভুল ভুলাইয়া ৩’ সিনেমার টিকিটের চাহিদা তুঙ্গে। মুক্তির পয়লা দিনেই যে প্রেক্ষাগৃহ উপচে পড়বে, তা হলফ করে বলা যাচ্ছে। আর দর্শকদের মধ্যে ‘রুহ বাবা, মঞ্জুলিকা’র ভৌতিক রসায়ন দেখার এহেন চাহিদা দেখে মেট্রো সিটিগুলিতে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে ‘ভুল ভুলাইয়া ৩’র টিকিট।দেশের বিভিন্ন শহরে অ্যাডভান্স বুকিং ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে। হালের হাঁড়ির খবর নিয়ে জানা গেল, ‘ভুল ভুলাইয়া ৩’ সিনেমার টিকিটের দাম শুরু হয়েছে ১০০ টাকা থেকে। তবে সর্বোচ্চ কতটা চড়া দামে বিকোচ্ছে টিকিট? জানলে ‘থ’ হবেন! মুম্বইতে দর্শক-অনুরাগীদের উত্তেজনার পারদ এতটাই তুঙ্গে যে ২৭০০ টাকাতেও টিকিট কিনতে দ্বিধাবোধ করছেন না। সেরকমই চিত্র দিল্লিতেও। রাজধানীর বিভিন্ন প্রেক্ষাগৃহে টিকিট বিক্রি হচ্ছে ২৪০০ টাকায়। কোথাও বা আবার ২৬০০ টাকায়।প্রসঙ্গত, অগ্রিম বুকিংয়েই বাজিমাত ‘ভুলভুলাইয়া ৩’ ছবির। বক্স অফিসের হিসেব বলছে, কার্তিক আরিয়ান, বিদ্যা বালান, মাধুরী দীক্ষিত ও তৃপ্তি দিমরি অভিনীত এই ছবি ইতিমধ্যেই এক কোটি টাকার ব্যবসা করে ফেলেছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ট্রেন্ড যা বলছে, দিওয়ালির সপ্তাহেই কামাল দেখাবে এই ছবি। অন্যদিকে অগ্রিম বুকিংয়ে ‘সিংহম এগেইন’ অনেকটাই পিছিয়ে। অজয় দেবগণের এই ছবি ব্যবসা করেছে ২৫ লক্ষ টাকার উপর। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছে, দিওয়ালি যত কাছে আসবে ততই বাড়বে ‘সিংহম এগেইন’ ছবির ব্যবসা।দিওয়ালির মরশুমে এবার দু দুটি বিগ বাজেট বলিউড সিনেমা। দুটি ছবিতেই তাক লাগানো স্টার কাস্ট। একে, রোহিত শেট্টির মারকাটারি অ্যাকশনের ‘পুলিশি ব্রহ্মাণ্ড’। অভিনয়ে কে নেই? বলিউডের তাবড় সব নাম। অজয় দেবগণ, রণবীর সিং, দীপিকা পাড়ুকোন, করিনা কাপুর, অক্ষয় কুমার, অর্জুন কাপুর-সহ আরও অনেকে। উপরন্তু, চুলবুল পাণ্ডের ভূমিকায় সলমন খানের স্পেশাল এন্ট্রি। একফ্রেমে পর্দায় এত তারকা সমাহারের লোভ সংবরণ করা দর্শকদের পক্ষে অসম্ভব। অন্যদিকে, ‘ভুলভুলাইয়া ৩’ সিনেমার বিশেষ আকর্ষণ মাধুরী দীক্ষিত, বিদ্যা বালন- দুই মঞ্জুলিকা রহস্য। সঙ্গী ‘রুহ বাবা’ কার্তিক আরিয়ান তো রয়েইছেন। এই সিনেমাতেই আবার বিশেষ চরিত্রে দেখা যাবে বাংলার কাঞ্চন মল্লিককে।

Card image cap

সলমনকে খুনের হুমকি দিয়ে টাকা হাতানোর ছক!

দীপাবলির মরশুমে গোটা মুম্বই যখন আলোর রোশানাইয়ে মুড়ে, তখন বুধবার সকাল থেকে বলিপাড়ার ফের শোরগোল! নতুন করে সলমন খানকে খুনের হুমকি দেওয়া নিয়ে তোলপাড়। আবারও মুম্বই পুলিশের ট্রাফিক কন্ট্রোলের কাছে হুমকি বার্তা। একপ্রকার বলিউডের খান পরিবারে আতঙ্কের ছায়া। কে বা কারা এর নেপথ্যে? তদন্তে নেমেছিল পুলিশ। এর মধ্যেই নয়ডার এক ট্যাটুশিল্পী পুলিশের জালে।কৃষ্ণসার হরিণ শিকারের পর থেকেই বিষ্ণোই গ্যাংয়ের নিশানায় সলমন। একাধিকবার বলিউডের ভাইজানকে খুনের হুমকি দিয়ে খবরের শিরোনামে জায়গা করে নিয়েছে কুখ্যাত গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোই। চলতি বছর থেকে সেই উপদ্রব আরও বেড়েছে বই কমেনি! মাসখানেক আগে গ্যালাক্সি অ্যাপার্টমেন্টের বাইরে গুলি চালানো। বিদেশে সলমনের বন্ধ-গায়কের বাড়িতে হামলা, তার পর দশেরার দিন সলমন ঘনিষ্ঠ বাবা সিদ্দিকির খুন! একের পর এক ঘটনা ঘটিয়ে ভাইজানকে প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে বিষ্ণোই গ্যাং। সেই আবহকে কাজে লাগিয়েই সুযোগ বুঝে সলমন খানের কাছ থেকে টাকা হাতানোর ছক কষে গুরফান খান নামে নয়ডার বছর কুড়ির এক ট্যাটুশিল্পী। গত শুক্রবার বাবা সিদ্দিকির ছেলে জিশান সিদ্দিকিকেও খুনের হুমকি দেয় ধৃত।হুমকি বার্তায় সাফ বলা হয়েছিল, সলমন কান এবং তাঁর বন্ধু জিশান সিদ্দিকির উপর মৃত্যুর খাঁড়া ঝুলছে। ওঁদের খুন করার জন্য বড় ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। এবং সে সবটাই জানে। এমন ফোনের পরই মুম্বই পুলিশ পোন নম্বর ট্র্যাক কগরা শুরু করে। শেষমেশ নয়ডা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় ওই ট্যাটুশিল্পীকে। পুলিশি জেরার মুখে ধৃত জানিয়েছে, হুমকি বার্তা দিয়ে আদতে টাকা হাতানোর পরিকল্পনা ছিল তার। শুধু তাই নয়, ভাইজান ২ কোটি টাকা দিলেই ষড়যন্ত্রের কথা ফাঁস করবে বলেও জানায় ওই ব্যক্তি। গুরফান ভেবেছিল, আতঙ্কিত হয়ে হয়তো টাকা দিয়ে দেবেন সলমন খান। কিন্তু তার এহেন ছকে জল ঢালে মুম্বই পুলিশ। আপাতত ওই ট্যাটুশিল্পী শ্রীঘরে।

Card image cap

তন্ময় কাণ্ডে প্রশ্ন সায়ন্তিকার

মহিলা সাংবাদিকের শ্লীলতাহানির অভিযোগে সিপিএম থেকে সাসপেন্ড তন্ময় ভট্টাচার্য। বিষয়টি নিয়ে এবার সুর চড়ালেন সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়। অভিনেত্রী তথা বরানগরের বিধায়ক প্রশ্ন তোলেন, যাঁরা অভয়ার বিচারের দাবিতে মানববন্ধন, রাত দখল করেছিলেন, তাঁরা এবারও বিচার চাইবেন তো?গত রবিবার ফেসবুক লাইভে তন্ময় ভট্টাচার্যর বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ আনেন মহিলা সাংবাদিক। এর পরই বাম নেতাকে সিপিএম থেকে সাসপেন্ড করা হয়। বিষয়টি নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে সংবাদমাধ্যমকে সায়ন্তিকা বলেন, “যাঁরা অভয়ার জন্য বিচার চেয়েছিলেন, আমরা সকলেই চেয়েছিলাম অভয়ার জন্য বিচার, এখনও চাইছি… তো তাঁরা এবারও মানববন্ধন করবেন তো? তাঁরা এবারেও রাত দখল করবেন তো? তাঁরা এবারও বিচার চাইবেন তো? কারণ অভয়াকেও কিন্তু তাঁর কর্মক্ষেত্রেই ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছিল। আমরা সরব মণিপুরের বেলাতেও ছিলাম, আমরা সরব অভয়ার বেলাতেও ছিলাম, আছি। এবেলাতেও আমরা প্রত্যেকেই সরব থাকব। কিন্তু যাঁরা অভয়ার বেলাতে সরব ছিলেন এবং মণিপুরের ঘটনার বেলাতে নীরব ছিলেন, তাঁরা এবার মানববন্ধন-রাত দখল এবং বিচার চাইতে রাস্তায় নামবেন তো?”এর পরই আবার সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটালকে প্রতিক্রিয়া দিতে সায়ন্তিকা বলেন, “এখন তিনি (তন্ময় ভট্টাচার্য) যেকোনও জায়গাকে চেয়ার ভেবে বসে পড়তে চাইছেন এটা ৩৪ বছরের অপশাসনের ফল আর কী! ওনাদের নাম ও নিশান নেই। মানুষ এই কারণের জন্যই ওনাদের আগামী দিনেও প্রত্যাখ্যান করবে।”এদিকে সিপিএমের সাসপেনশনের সিদ্ধান্ত নিয়ে ‘ক্ষুব্ধ’ তন্ময় ভট্টাচার্য। তাঁর কথায়, “পার্টির অভ্যন্তরের ইন্টারনাল কমপ্লেন কমিটি আছে। যে কোনও অভিযোগ এই কমিটির কাছে যায়। তার পর কমিটি তদন্ত করে। এক্ষেত্রে মহম্মদ সেলিম প্রথম সাংবাদিক সম্মেলনে এই ঘটনা ইন্টারনাল কমপ্লেন কমিটিতে পাঠানোর কথা বলেন। এই প্রস্তাবে আমি সহমত। তাই আমার প্রত্যাশা ছিল এই কমিটি আমার কাছে জিজ্ঞাসা করা – সহ যা যা প্রক্রিয়া আছে করবে। তার আগেই প্রচার শুরু হয় আমি সাসপেন্ড। এই সাসপেন্ডেড জানাটা আমার কাছে অত্যন্ত বেদনাদায়ক, আমি মর্মাহত। আমি মনে করি ন্যূনতম তদন্ত করা উচিত ছিল, আমার বক্তব্য জানা উচিত ছিল।” এ বিষয়ে পালটা দিয়েছেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ। তাঁর গ্রেপ্তারির দাবি করে তৃণমূল নেতা বলেন, “অন্যসময় তো সিপিএমের এই সমস্ত নেতারা অনেক কথা বলেন। এক্ষেত্রে কেন তাঁকে গ্রেপ্তার করা হবে না? যা বলার আদালতে বলবেন।”

Card image cap

গাইছিলেন সোনু, আচমকাই মঞ্চে উঠে পড়ল এক মদ্যপ!

দেখুন কাণ্ড। এমনটা যে হবে, তা আগে থেকে টেরও পাননি সোনু। নিশ্চিন্তে রব নে বনাদি জোড়ি ছবির গান গাইছিলেন, তার পর আচমকা গণ্ডগোল! প্রথমটা একটু ঘাবড়েই গিয়েছিলেন সোনু। পরে সামলে নিলেন নিজেকে।ব্যাপারটা একটু খোলসা করে বলা যাক বরং। সম্প্রতি রাজস্থানের কোটাতে অনুষ্ঠান করছিলেন সোনু নিগম। অনুষ্ঠান একেবারে হাউজফুল। একের পর এক গানে দর্শকদের মুগ্ধ করছিলেন বলিউডের এই জনপ্রিয় গায়ক। কিন্তু হঠাৎই বাঁধল গণ্ডগোল। সোনু যখন গান গাইতে ব্যস্ত ঠিক তখনই এক মদ্যপ এসে হাজির মঞ্চে! ধরতে চাইলেন সোনু নিগমের পা! তখনই সোনুকে এই আজব পরিস্থিতি থেকে বাঁচাতে মাঠে নামলেন নিরাপত্তারক্ষীরা। তবে সোনু কিন্তু গান থামাননি। নানা বাধা এড়িয়েই গেয়ে চলেছিলেন। সোশাল মিডিয়ায় এখন ভাইরাল এই ছবি।ভিডিও দেখে নেটিজেনদের দাবি, এরকম অনুষ্ঠানে আরও নিরাপত্তা বাড়ানো উচিত। না হলে শিল্পীরা বিপদে পড়তে পারেন। অনেকে আবার বলছেন, মদ্যপ ব্যক্তি সোনু নিগমের ফ্যান। ব্যক্তিকে ওভাবে না মারলেও চলত। তবে এই ঘটনা নিয়ে এখনও মুখ খোলেননি সোনু নিজে।

Card image cap

কলকাতায় এসে আর জি কর কাণ্ডে মুখ খুললেন বিদ্যা

কলকাতা তাঁর প্রিয় শহর। কলকাতাতেই তাঁর প্রথম সিনেমার কাজ। বাংলায় একেবারে ঝরঝরে। কারণ বাংলার সঙ্গে তাঁর প্রাণের টান। সেই বিদ্য়াই  হতবাক এবং  আতঙ্কিত। আর জি কর কাণ্ড নিয়ে বলিউডের অনেকেই মুখ খুললেও বিদ্যা সেভাবে সরব ছিলেন না। তবে সোমবার ‘ভুলভুলাইয়া ৩’ ছবির প্রচারে কলকাতায় এসে তিলোত্তমা কাণ্ড নিয়ে মুখ খুললেন। বিদ্য়ার কণ্ঠে যেন হতাশার সুর। বিদ্যা জানালেন, ”আমি সত্যিই খুব অবাক। কলকাতা এমন এক শহর, এই পশ্চিমবঙ্গ এমন এক জায়গা, যেখানে শুধুমাত্র দেখানোর জন্যই মহিলাদের সম্মান করা হয় না। এখানকার মানুষ সত্য়িই নারীদের সম্মান করে। দীর্ঘদিন আমার কলকাতায় আসা যাওয়া, যতবার এসেছি, ভালোবাসাই পেয়েছি। এটা মায়ের শহর, মায়ের শহরে এমন ঘটনার কথা শুনে আমি চমকে উঠেছিলাম। আমার কাছে এ ঘটনা খুব বড় ধাক্কা। কতটা আঘাত পেয়েছি তা বোঝাতে পারব না।”শুক্রবার মুক্তি পেতে চলেছে বিদ্যা বালান ও কার্তিক আরিয়ানের দিওয়ালি রিলিজ ‘ভুলভুলাইয়া ৩’। প্রায় ১৭ বছর পর ফের ‘মঞ্জুলিকা’র চরিত্রে দেখা যাবে বিদ্যা বালানকে। সোমবার সেই ছবির প্রচারে শহরে পা রাখেন অভিনেত্রী। সঙ্গে ছবির নায়ক কার্তিক আরিয়ান। কালো পোশাকে সেজে উঠেছিলেন বিদ্যা ও কার্তিক। এদিন সাংবাদিকদের সঙ্গে বাংলাতেই কথা বললেন বিদ্যা। পাশে বসা কার্তিককেও  শেখালেন বাংলা।এই ছবিতে বিদ্য়া, কার্তিকের পাশাপাশি দেখা যাবে মাধুরী দীক্ষিতকেও। নতুন সুরের ‘আমি যে তোমার’ গানে দেখা যাবে বিদ্যা ও মাধুরীর যুগলবন্দি। সেই যুগলবন্দি নিয়ে বলতে গিয়ে, বিদ্যা জানান, ”মাধুরী দীক্ষিতের সঙ্গে নাচতে হবে, এটা প্রথমবার শুনেই টেনশনে পড়ে গিয়েছিলাম। কিন্তু এটাকে আমি সুবর্ণ সুযোগ হিসেবে নিয়েছি। শুটিং হওয়ার পর দেখলাম, ভালো হয়েছে।”

Card image cap

কলকাতায় সোনু সুদ!

করোনা কাল থেকেই তারকার খোলস ছেড়ে আম জনতার কাছের মানুষ হয়ে উঠেছেন সোনু সুদ। পেয়েছেন ‘মসিহা’ খেতাব। বলিউডের এই ‘মসিহা’কে শনিবার দেখা গেল কলকাতা বিমানবন্দরে। কালীপুজোর ঠিক আগেই শহরে এসেছেন অভিনেতা। কিন্তু কেন?বলিউড তারকারা নানা কারণে কলকাতায় আসেন। কেউ ছবির প্রচার করতে, কেউ শুটিংয়ের কাজে, কেউ আবার কোনও অনুষ্ঠানের জন্য।  জানা গিয়েছে, সোনুর কলকাতায় আগমন এক ক্যাফে লাউঞ্জ তথা গেমস প্যারাডাইসের তৃতীয় বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে। বিমানবন্দরে বেশ খোশমেজাজে ছিলেন তারকা। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে জানান, এই শহরে এসে বরাবর খুব ভালো লাগে তাঁর। গাড়িতে ওঠার আগে সেলফির আবদারও মেটান সোনু।করোনার সময় থেকে বিভিন্নভাবে মানুষের মুশকিল আসান করেছেন সোনু সুদ। পরিযায়ীদের ঘরে ফেরানোর দায়িত্ব পালন করে পরোপকারের এই সফর শুরু করেছিলেন তারকা। তার পর থেকে দিনের পর দিন সর্বহারাদের মুখে হাসি ফুটিয়েছেন। বিভিন্নভাবে মানুষের মুশকিল আসান করেছেন। কারও চিকিৎসার বন্দোবস্ত করে দিয়েছেন, কারওবা মাথা গোঁজার স্থান জুটিয়ে দিয়েছেন। নিজের সম্পত্তি পর্যন্ত বিকিয়ে দিয়েছেন মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য।
সোনুর এই মানসিকতাতেই মুগ্ধ তাঁর অনুরাগীরা। এখনও তাঁর বাড়ির সামনে ভক্তদের ভিড় লেগে থাকে। তার মাঝে আবার অনেকে নিজের সমস্যার সমাধানের জন্যও আসেন। নিজের সাধ্যমতো সকলের উপকার করেন তারকা। তবে ২০২৩ সালে মুক্তি পাওয়া কন্নড় সিনেমা ‘শ্রীমন্ত’র পর অভিনেতাকে আর কোনও সিনেমায় দেখা যায়নি। বর্তমানে ‘ফতেহ’ সিনেমার কাজ নিয়ে ব্যস্ত আছেন তিনি। অভিনয়ের পাশাপাশি এই ছবি পরিচালনাও করছেন সোনু।

Card image cap

বলিউডে দেব?

পুজোর মরশুমে বাংলার বক্স অফিসে বেশ ভালোই ‘টেক্কা’ দিয়েছেন। এখনও সিনেমা হলে রমরমিয়ে চলছে দেব প্রযোজিত ও সৃজিত মুখোপাধ্যায় পরিচালিত ছবি। এর মাঝেই মুম্বই থেকে টিমের সঙ্গে ছবি পোস্ট করলেন সুপারস্টার। তাতেই উঠল প্রশ্ন, এবার কি তাহলে বলিউডে দেবের দাপট?‘হ্যালো মুম্বই’, এই ক্যাপশন দিয়েই ছবিটি শেয়ার করেছেন দেব। ক্যাপশনে একটি ঠান্ডা পানীয়র সংস্থার পেজকেও ট্যাগ করেছেন তিনি। শোনা গিয়েছে, এই ঠান্ডা পানীয় বিজ্ঞাপন করতেই দেব গিয়েছেন মুম্বই। আর তা নিয়েই কৌতূহলের শেষ নেই। অনেকেরই মনে প্রশ্ন, তাহলে কি এবার বলিউডে মন দিচ্ছেন দেব? যদিও তেমন কোনও খবর আপাতত নেই। সুপারস্টার নিজেও এর আগের একাধিক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, বলিউডের অফার তাঁর কাছে ছিল। কিন্তু তাতে তিনি আগ্রহী নন। টলিউডেই দেবের মন।‘টেক্কা’র পর অভিনেতা প্রযোজকের ঝুলিতে রয়েছে ‘খাদান’, ‘রঘু ডাকাত’ এবং ‘প্রতীক্ষা’র মতো সিনেমা। শোনা গিয়েছিল, নভেম্বর মাসের ১৯ তারিখ ‘প্রতীক্ষা’র শুটিং শুরু হতে পারে। কিন্তু পরে জানা যায়, লন্ডনের প্রবল ঠান্ডার জন্য শুটিং পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। আগামী বছরের মার্চ মাসে শুটিং শুরু হতে পারে বলেই খবর। নতুন এই ছবিতে আবারও মিঠুন চক্রবর্তীর সঙ্গে জুটি বাঁধছেন দেব।প্রসঙ্গত, গত তিন বছর ধরে বড়দিনের বক্স অফিস মানেই দেব-অভিজিৎ-অতনু ত্রয়ীর ছবি। ব্যতিক্রম এ বছর। বড়দিনের বক্স অফিসে এবারে দেখা যাবে দেব-যিশু অভিনীত ‘খাদান’। ফলে ‘প্রতীক্ষা’ এবং ‘রঘু ডাকাত’-এর জন্য দর্শকদের আরও কিছুটা অপেক্ষা করতে হবে। অবশ্য, দেব-মিঠুনের জুটি ইতিমধ্যেই সুপারহিট। ‘প্রজাপতি’ সিনেমায় বাবা ও ছেলের চরিত্রে দুজনের অভিনয় দর্শকদের মন ছুঁয়ে গিয়েছিল। আবার পরিচালক অভিজিৎ সেনও বরাবর সম্পর্কের সূক্ষ্ণ দিকগুলো ক্যামেরার সামনে তুলে ধরেন।

Card image cap

মিঠুনের গলায় ষাটের দশকের নকশালপন্থী সুর!

রবিবাসরীয় দুপুরে EZCC, সল্টলেকের পূর্বাঞ্চলীয় সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে বিজেপির সদস্য সংগ্রহ অভিযানের সূচনা করেন অমিত শাহ। সেই অনুষ্ঠানেই উপস্থিত হয়েছিলেন বঙ্গ বিজেপির ‘স্টার সেনাপতি’ মিঠুন চক্রবর্তী। মহাগুরুকে ধুতি-পাঞ্জাবিও উপহার দেন শাহ। সদ্য দাদা সাহেব ফালকে সম্মানে ভূষিত হয়েছেন। এদিনের দলীয় কর্মসূচীতে সেই মুহূর্তের ঝলক দেখানোর পরই মঞ্চে ছাব্বিশে বাংলায় পরিবর্তনের ডাক দিলেন রাজনীতিক মিঠুন। তাঁর গলায় শোনা গেল ষাটের দশকের সেই চড়া নকশালপন্থী সুর!কলকাতার গৌরাঙ্গ চক্রবর্তীর রাজনীতিতে হাতেখড়ি হয়েছিল সেই নকশাল পর্বেই। কালচক্রে পারিবারিক চাপে রাজনীতি থেকে দূরে সরে মুম্বই পাড়ি দেন। তবে বিধির লিখন! আবারও জড়িয়ে পড়েন রাজনীতির সঙ্গে। প্রথমে তৃণমূলের সঙ্গে সখ্যতা, তারপর একুশের বিধানসভার আগেই বড় চমক দেন বিজেপির ‘জাত গোখরো’। রবিবার বিজেপির সদস্য সংগ্রহ অভিযানের অনুষ্ঠানে চুয়াত্তরের মিঠুন স্মরণ করলেন সেই ২৮-এর গৌরাঙ্গকে। মঞ্চে দাঁড়িয়ে গরম সংলাপের মতো একনাগাড়ে বলে ফেললেন, “আজ অভিনেতা হিসেবে নয়, আমি সেই ষাটের দশকের মিঠুন চক্রবর্তী বলছি। আমি রক্তের রাজনীতি করেছি। তাই রাজনীতির মারপ্যাঁচ আমার কাছে নতুন নয়। জানি, কোন পদক্ষেপে কোন কাজ হবে।” প্রেক্ষাগৃহের মতো হাততালি পড়ে অনুষ্ঠানের দর্শকাসন থেকেও।শাহের সামনেই সভায় মন্তব্য রাখতে গিয়ে মিঠুন চক্রবর্তী বলেন, “অনেকেই আমাকে জিজ্ঞেস করেন, আমি কেন প্রথম সারিতে সক্রিয়ভাবে থাকি না? কিন্তু আজ আপনারা যদি আমাকে জোর গলায় বলেন, বিজেপির সদস্য সংখ্যা ১ কোটি হবে, তবেই আমি আপনাদের ইচ্ছেপূরণ করব। আমিও কথা দিলাম, ২৬-এ এই মসনদ আমাদের হবে। তার জন্যে যা করতে হয় করব। আগামী নির্বাচনে এই সিংহাসন আমাদের হবেই। আমি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর সামনে বলছি- ‘কুছ ভি, মানে কুছ ভি…’- আর এই কথাটার একটা অন্তর্নিহিত অর্থ রয়েছে। গত নির্বাচনের সময়ে আমি ২৭ দিন ময়দানে নেমে প্রচার করেছি। কিন্তু বাংলায় বিজেপির ফলাফল দেখে খুব দুঃখ পেয়েছি।”বঙ্গে এবার ১ কোটি প্রাথমিক সদস্য করার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে বিজেপি। সেই কর্মসূচী সভায় যোগ দিয়েই মিঠুন চক্রবর্তীর মন্তব্য, “নভেম্বর, ডিসেম্বর হোক বা আগামী বছরের মার্চ মাস, আমাকে দলের তরফে যেরকম নির্দেশ দেওয়া হবে, তখন থেকে ২০ দিন আমি দলের জন্য রাখব। আর বাকি ১০ দিন কাজের জন্য। কারণ কাজ না করলে খাব কী? প্রতিটা গ্রামে, জেলায় যাব। ১ কোটি সদস্য সংখ্যা হবে তো? তাহলে ২৬-এ আমরাই রাজত্ব করব। এবার শুধু আপনাদের সাহস আর সমর্থন চাই। বাকি ২৬-এর মসনদ আমাদেরই হবে।”
বঙ্গবিজেপির অন্দরমহলে শিথিলতা নিয়ে কম জল্পনা শোনা যায়নি গত নির্বাচনে! এবার বিজেপির সদস্য সংগ্রহ অভিযানে দলের সংগঠন নিয়েও নিজস্ব মতামত পেশ করলেন মহাগুরু। তাঁর মন্তব্য, “আমাদের এরকম একজন কার্যকর্তা চাই, যাঁরা বুক চিতিয়ে সামনে এসে লড়বে। গুলি খেলেও নিজের কর্তব্যে অবিচল থাকবে। যাঁরা টাকার বিনিময়ে কাজ করেন, আমাদের ওরকম কার্যকর্তার দরকার নেই। যদি অর্থের বিনিময়ে রাজনীতি করতেই হয়, তাহলে আমি করজোড়ে অনুরোধ করছি, বিজেপিতে যোগ দেবেন না।” মিঠুনের সংযোজন, “যদি হিন্দু ভোটারদের ওঁরা ভোট না দিতে দেয়, তাহলে পরের বার আমরাও প্রস্তুতি সেরে রাখব যাতে ওঁদের ভোটাররা ভোট না দিতে পারে।”