CATEGORY entertain:

Card image cap

বিতর্ক পেরিয়ে ‘এমার্জেন্সি’র মুক্তির তারিখ জানালেন কঙ্গনা

ছবি নিষিদ্ধ করার ডাক, তথ্য বিকৃতির অভিযোগ, প্রাণনাশের হুমকি-সহ একাধিক বিতর্কের জাল পেরিয়ে অবশেষে ‘এমার্জেন্সি’ সিনেমার মুক্তির তারিখ ঘোষণা করলেন কঙ্গনা রানাউত। নতুন বছরেই মুক্তি পাচ্ছে ছবিটি। নতুন পোস্টার শেয়ার করে জানিয়ে দিলেন অভিনেত্রী-প্রযোজক।সাতের দশকের প্রেক্ষাপটে তৈরি কঙ্গনার ‘এমার্জেন্সি’। ছবিতে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর চরিত্রে অভিনয় করছেন অভিনেত্রী। প্রথমে ২০২৩ সালের অক্টোবর বা নভেম্বরে ছবিটির মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল। তা পিছিয়ে রিলিজ ডেট হিসেবে চলতি বছরের ১৪ জুন তারিখটি নিশ্চিত করা হয়েছিল। কিন্তু লোকসভা নির্বাচনের কারণে ফের ছবির মুক্তির তারিখ পিছিয়ে দেওয়া হয়। ৬ সেপ্টেম্বর নতুন মুক্তির তারিখ হিসেবে ধার্য করা হয়।কিন্তু ৬ সেপ্টেম্বর কঙ্গনার ছবি মুক্তি পায়নি। কঙ্গনা সে সময় দাবি করেছিলেন সেন্সর সার্টিফিকেট না পাওয়ার জন্য ছবিটি রিলিজ করা গেল না। প্রসঙ্গত, ‘এমার্জেন্সি’ সিনেমা নিয়ে প্রবল আপত্তি ছিল ‘শিরোমনি গুরুদ্বারা প্রবন্ধক কমিটি’র। ছবিটিকে নিষিদ্ধ করার দাবি জানানো হয়েছিল। সেই রেশ কাটতে না কাটতেই শিরোমণি অকালি দলের তরফ থেকেও আপত্তি ওঠে। সোজা সেন্সর বোর্ডের কাছে চিঠি পাঠিয়ে কঙ্গনা রানাউতের ছবি নিষিদ্ধ করার দাবি জানানো হয়।
কঙ্গনার ‘এমার্জেন্সি’ ছবি শিখ সম্প্রদায়ের জন্য অপমানজনক। এই সম্প্রদায় সম্পর্কে ভুল তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। এই অভিযোগে চণ্ডীগড়ের জেলা আদালতে মামলা নথিভূক্ত করার আর্জি জানিয়েছিলেন আইনজীবী রবিন্দর সিং বাসসি। তার জেরে অভিনেত্রী তথা সাংসদকে নোটিসও পাঠানো হয়েছিল। আগস্ট মাসে প্রাণনাশের হুমকিও পেয়েছিলেন তারকা সাংসদ। তবে এবারে সেন্সরের ছাড়পত্র নিয়েই এমার্জেন্সি মুক্তি পাচ্ছে। আগামী বছরের শুরুতেই, ১৭ জানুয়ারি থেকে সিনেমা হলে দেখা যাবে ‘এমার্জেন্সি’।

Card image cap

৩ সেকেন্ডের ভিডিওর জন্য ১০ কোটির আইনি নোটিস!

১০ কোটি টাকার আইনি নোটিসকে কেন্দ্র করে তামিল সিনেমা জগতে তুলকালাম কাণ্ড। প্রকাশ্যে অভিনেতা-প্রযোজক ধনুষকে একহাত নিয়েছেন ‘জওয়ান’ নায়িকা নয়নতারা। অভিনেত্রীর অভিযোগ, মাত্র ‘নানুম রাউডি ধান’ সিনেমার মাত্র ৩ সেকেন্ডের ঝলক ‘নয়নতারা: বিয়ন্ড দ্য ফেয়ারি টেল’ সিনেমায় ব্যবসার করার জন্য ধনুষ তাঁকে ১০ কোটি টাকার আইনি নোটিসটি পাঠিয়েছেন। এর জেরেই সোশাল মিডিয়ায় তিন পাতার খোলা চিঠি পোস্ট করেছেন নয়নতারা। আর সেখানে তিনি ধনুষের ‘চরিত্র’ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।নয়নতারা: বিয়ন্ড দ্য ফেয়ারি টেল’ আসলে নয়নতারার জীবনের কিছু মুহূর্ত নিয়ে তৈরি তথ্যচিত্র। যা ১৮ নভেম্বর থেকে নেটফ্লিক্সে দেখা যাবে। অভিনেত্রীর অভিযোগ, এই তথ্যচিত্রের জন্য ২০১৫ সালে মুক্তি পাওয়া তামিল সিনেমা ‘নানুম রাউডি ধান’-এর ৩ সেকেন্ডের ঝলক ব্যবহার করার অনুমতি তিনি চেয়েছিলেন। কারণ ধনুষ ছবিটির প্রযোজক। কিন্তু দিনের পর দিন এই প্রসঙ্গ এড়িয়ে গিয়েছেন ধনুষ। কিন্তু আচমকাই ১০ কোটি টাকার আইনি নোটিস পাঠিয়ে দিয়েছেন।নিজের খোলা চিঠিতে নয়নতারা দাবি করেছেন, তিনি এমন ফুটেজ ব্যবহার করতে চেয়েছিলেন যা ইতিমধ্যেই সোশাল মিডিয়ায় রয়েছে। কিন্তু ধনুষ যে তার জন্য এত টাকা চেয়ে বসবেন তা ভাবতে পারেননি অভিনেত্রী। নিজের চিঠিতে তিনি লেখেন, ‘এটা অত্যন্ত খারাপ আর আপনার চরিত্র ফাঁস করে দেয়। যে ব্যক্তিত্ব আপনি পর্দায় তুলে ধরেন যদি তার অর্ধেকও আপনার মধ্যে থাকত। কিন্তু স্পষ্টতই, যা বলেন তা নিজে অনুশীলন করেন না। অন্তত আমার আর আমার সঙ্গীর সাথে তো না।’নয়নতারার বক্তব্য, কিছু মানুষ অন্যকে ছোট দেখাতে পারলে আনন্দ পায়। ধনুষ এমন মানুষদের দলেই পড়েন। এর আগেও নাকি নায়িকার সাফল্য তিনি সহ্য করতে পারেননি। যদিও নয়নতারা চান ধনুষ তাঁর তথ্যচিত্রটি যেন দেখেন এবং যেমন ভালো মানুষ নিজেকে দেখাতে চান তেমনটাই যেন হয়ে ওঠেন ভবিষ্যতে। স্ত্রীর এই বক্তব্যকে সমর্থন করেছেন পরিচালক ভিগনেশও। অভিনেত্রীর পোস্টে লাইক গিয়েছেন শ্রুতি হাসান, নাজরিয়া, পার্বতী, ঐশ্বর্য রাজেশের মতো দক্ষিণী অভিনেত্রীরা। যদিও ধনুষের তরফ থেকে এখনও পর্যন্ত নয়নতারার খোলা চিঠি নিয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

Card image cap

‘অনুপমা’ সিরিয়ালের সেটে বড় দুর্ঘটনা

হিন্দি টেলিভিশনের জনপ্রিয় সিরিয়াল ‘অনুপমা’র সেটে বড়সড় দুর্ঘটনা। বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে এক সহকারী চিত্রগ্রাহকের মৃত্যু হয়েছে বলেই খবর। শোনা গিয়েছে, গুরগাওয়ের ফিল্ম সিটিতে সিরিয়ালের শুটিং চলছিল। সেখানেই এই ঘটনা ঘটে।রূপালি গঙ্গোপাধ্যায় অভিনীত ‘অনুপমা’ সিরিয়াল গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই টিআরপি তালিকায় শীর্ষ স্থানে ছিল। গত সপ্তাহে এর স্থান বদল হয়। ‘অনুপমা’কে পিছনে ফেলে এগিয়ে যায় ‘ইয়ে রিশতা ক্যায়া কহেলাতা হ্যায়’ ধারাবাহিক। শোনা গিয়েছে, অন্যান্য দিনের মতোই গুরগাওয়ের ফিল্ম সিটিতে শুটিং শুরু হয়েছিল। আচমকাই চিৎকার করে জ্ঞান হারান ওই চিত্রগ্রাহক। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।চিকিৎসকরা আপ্রাণ চেষ্টা করেছিলেন, তবে চিত্রগ্রাহককে বাঁচাতে পারেননি। মৃতের নাম এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি। তবে শোনা গিয়েছে তিনি বিহারের বাসিন্দা ছিলেন। কর্মসূত্রে মুম্বইয়ে থাকতেন। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, শর্ট সার্কিটের জেরে এই ঘটনা ঘটেছে। যদি শর্ট সার্কিট হয়ে থাকে তাহলে তা কী কারণে হয়েছে সেই বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলেই খবর।প্রসঙ্গত, ‘অনুপমা’ সিরিয়ালের নায়িকা রূপালির ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে গত কয়েকদিন ধরেই নানা খবর প্রকাশিত হচ্ছে। রূপালির সৎ মেয়ে এষা বর্মা তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ এনেছিলেন। সোশাল মিডিয়ার মাধ্যমে এষার অভিযোগ, রূপালি তাঁর বর্তমান স্বামীর সঙ্গে বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কে ছিলেন। তাঁর মায়ের গয়নাও চুরি করেছিলেন। এষার এমন অভিযোগে সোশাল মিডিয়ায় একটিও শব্দ খরচ করেননি অভিনেত্রী। তবে সৎ মেয়ের বিরুদ্ধে ৫০ কোটি টাকার মানহানির মামলা করেন। এর পরই এষা নিজের সোশাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট প্রাইভেট করে দেন।

Card image cap

ডেঙ্গু-টাইফয়েডে আক্রান্ত অন্বেষা

‘আনন্দী’ ধারাবাহিক থেকে আচমকাই উধাও অন্বেষা হাজরা ! চিন্তায় পড়ে গিয়েছিলেন অনুরাগীরা। টেলিপর্দায় অভিনেত্রী দারুণ জনপ্রিয়। দর্শক-অনুরাগীদের অন্দরমহলেও প্রিয় ‘আনন্দী’র কদর কম নয়। তাই দিন কয়েক সিরিয়ালে অন্বেষার দেখা না পেয়েই তাঁদের মনে কৌতূহলের উদ্রেক! কেন সিরিয়ালে অনুপস্থিত অভিনেত্রী? সোশাল মিডিয়ায় নানা জল্পনার মাঝেই আসল কারণ ফাঁস করলেন অন্বেষা হাজরা।অভিনেত্রী ডেঙ্গুতে আক্রান্ত। বতর্মানে ডেঙ্গুর উপদ্রব যে বেজায় বেড়েছে, তা আর আলাদা করে বলার প্রয়োজন নেই। অন্বেষা আবার ডেঙ্গুর পাশাপাশি টাইফয়েডে আক্রান্ত। যার জেরে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছে অভিনেত্রীকে। গায়ে জ্বর নিয়েই পাঁচ দিন আগে শেষ সিরিয়ালের শুটিং করতে গিয়েছিলেন। তবে শারীরিক পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় ডেঙ্গু পরীক্ষা করাতে হয় অন্বেষাকে। শেষমেশ রিপোর্টেই ধরা পড়ে যে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত তিনি। হাসপাতালের শয্যা থেকেই ফেসবুক পোস্টে নিজের খবর জানালেন তিনি। অন্বেষা লিখেছেন, “ডেঙ্গু এবং টাইফয়েডের কারণে আমি হাসপাতালে রয়েছি। শেষ আমি ১১ই নভেম্বর শুটিং করেছিলাম। তাও জ্বর গায়ে। টেম্পারেচার অ্যান্টিবায়োটিকস চলার পরেও না কমার কারণে আমি ভর্তি হই।”এখন কেমন ‘আনন্দী’র শারীরিক পরিস্থিতি? অন্বেষা জানালেন, “এই মুহূর্তে আমি ভালো আছি। সব কিছুই নরমাল আছে। আশা করি, আগামী সপ্তাহ থেকে তোমাদের সঙ্গে দেখা হবে। আমাদের সবটাই তোমাদের জন্য। আমাদের পাশে থেকো, নিজেরাও ভালো থেকো, সুস্থ থেকো।” অভিনেত্রীর ফেসবুক পোস্ট দেখে তাঁর আরোগ্য কামনা করেছেন অনুরাগীরা। টেলিপর্দার সহকর্মীরাও সাবধানে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন অন্বেষা হাজরাকে।

Card image cap

গুরুদ্বারে প্রসাদ বিলি নিমরতের

অভিষেক-ঐশ্বর্যর দাম্পত্যে চিড় ধরার নেপথ্যে নাকি নিমরত কৌর ! এমন গুঞ্জন বিগত দু মাস ধরেই। যদিও অভিনেত্রী নিজেকে সাম্প্রতিক এক সাক্ষাৎকারে ‘সিঙ্গল’ বলে দাবি করেছেন, তবে নিন্দুকদের ফোড়ন, ‘যাহা রটে তার কিছুটা হলেও বটে!’ যার জেরে লাগাতার সংবাদের শিরোনামে নিমরত কৌর। জুনিয়র বচ্চনের সঙ্গে অভিনেত্রীর নাম জড়ানোর পর থেকেই তাঁর গতিবিধির উপর দিবারাত্র নজর রেখেছেন ফটোশিকারিরা। এবার গুরুনানক জয়ন্তীতে তাঁকে দেখা গেল গুরুদ্বারে ‘সেবিকা’ হিসেবে।আদ্যোপান্ত ঘরোয়া মেয়ের মতোই আর পাঁচজনের মাঝে গুরুদ্বারে প্রসাদ বিলি করলেন নিমরত। পরনে প্যাস্টেল শেডের সালোয়ার। গোটা পোশাকজুড়ে পাঞ্জাবের জনপ্রিয় কারুশিল্প ফুলকারির কাজ করা। গুরুদ্বারের রীতি মেনে মাথায় ওড়না দিয়েই পূণ্যার্থীদের মধ্যে ‘কাড়া প্রসাদ’ বিতরণ করতে দেখা গেল নিমরত কৌরকে। ফটোশিকারিদের দেখে বিরক্তির লেশমাত্র নেই! একগাল হাসি নিয়েই ক্যামেরার সামনে পোজ দিলেন অভিনেত্রী। শুধু কি তাই? পাপারাজ্জিদের চাও খাওয়ালেন। গুরুনানক জয়ন্তীতে নিমরতের এহেন মহৎ উদ্যোগে খুশি অনুরাগীরা।অভিষেক বচ্চনের আগে অভিনেত্রীর নাম জড়িয়েছিল রবি শাস্ত্রীর সঙ্গে। নেটপাড়াতে সম্প্রতি ঐশ্বর্য রাই এবং নিমরত কৌরের মধ্যে তুলনা টেনে ট্রোল-মিমের পাহাড়। অভিষেক-ঐশ্বর্যর সংসার ভাঙার জন্যে অনেকেই নিমরতকে দায়ী করেছেন! শোনা যায়, ‘দশভি’ সিনেমায় অভিনয় করার সময়ে নায়িকা নিমরত কৌরের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন অভিষেক। সময়টা ২০২২ সাল। আর তার জেরেই ঐশ্বর্যর সঙ্গে অশান্তি চরমে। যার জেরে মেয়েকে নিয়ে বাপের বাড়ি চলে যান প্রাক্তন বিশ্বসুন্দরী। যদিও পরে নিজের ভুল বুঝতে পেরে সেই সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসেন অভিষেক। তবে তাতেও ঐশ্বর্যর সঙ্গে অমিতাভপুত্রর দূরত্ব কমেনি! শোনা যায়, নিমরত কৌরের সঙ্গে ছেলের নাম জড়ানোয় নাকি বেজায় বিরক্ত বচ্চন পরিবার। সম্পর্কের গুঞ্জন নিয়ে সম্প্রতি মুখ খোলেন নিমরত কৌর। কী বলেন?সদ্য, ‘সিটাডেল হানি বানি’ সিরিজের স্পেশাল স্ক্রিনিংয়ে উপস্থিত হয়েছিলেন নিমরত। সেখানে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে সরাসরি জুনিয়র বচ্চনের সঙ্গে সম্পর্কের কথা মুখে না আনলেও, নিজের প্রেমজীবন নিয়ে কথা বলেন অভিনেত্রী। তিনি জানিয়েছেন, “আমি সিঙ্গেল। কোনও সম্পর্কে নেই।”

Card image cap

রণবীর সিংকে ৩ ঘণ্টা বসিয়েও না বললেন মুকেশ

রণবীর সিংকে শক্তিমান হিসেবে নাপসন্দ টেলিপর্দার জনপ্রিয় ‘শক্তিমান’ মুকেশ খান্নার। নয়ের দশকের প্রজন্মের কাছে মুকেশ খান্না মানেই সুপারহিরো ‘শক্তিমান’ কিংবা গঙ্গাধর। টিআরপি চার্টে একচেটিয়া রাজত্ব করা সেই দাপুটে সিরিয়াল বড়পর্দায় আসার কথা রণবীর সিংয়ের  হাত ধরে। ২০২৫ সালের মাঝামাঝি সময় থেকে ‘শক্তিমান’-এর শুটিং শুরুর পরিকল্পনাও ছিল। তবে তার আগেই রুখে দাঁড়ালেন মুকেশ খান্না । রণবীর সিংকে তিন ঘণ্টা নিজের অফিসে বসিয়ে রেখেও ছাড়পত্র দিলেন না প্রবীণ অভিনেতা! তাহলে কি বিশ বাঁও জলে ‘শক্তিমান’ সিনেমা?মুকেশের মন্তব্য, “আমি তো জোর করে ওঁকে অপেক্ষা করাইনি। ওঁর ইচ্ছে হয়েছে, তাই তিন ঘণ্টা ধরে আমার অফিসে বসেছিলেন। রণবীর সিং আমার অফিসে আসেন। আমরা একে-অপরের সঙ্গ উপভোগ করি। ও নিঃসন্দেহে দারুণ একজন অভিনেতা। অসম্ভব এনার্জি রণবীরের মধ্যে। তবে আমি সিদ্ধান্ত নিয়ে নিয়েছি কে শক্তিমান-এর চরিত্রে অভিনয় করবেন। প্রযোজকরা অভিনেতাদের নির্বাচন করেন। সেটাই পদ্ধতি। একজন অভিনেতা কখনও প্রযোজককে বেছে নেন না। এখন আমার অফিসে যে কেউ এসে যদি বলেন, তিনি শক্তিমান হতে চান, আমি কখনোই অনুমতি দেব না।”পর্দার ‘শক্তিমান’ মুকেশ খান্নার কথায়, “শক্তিমান-এর চরিত্রে অভিনয় কররা জন্য যে বড় কোনও তারকাকেই কাস্ট করতে হবে, এমন নয়। আসলে এই চরিত্রের জন্য যথাযথ মুখের গড়ন প্রয়োজন। আমাকে বলুন, অক্ষয় কুমারকে কেন পৃথ্বীরাজ চৌহানের চরিত্রে মানায়নি? পরচুলা পরে, নকল গোফ-দাড়ি পরেছিলেন বলেই দর্শক অক্ষয়কে পৃথ্বীরাজের ভূমিকায় নিতে পারেনি।” এরপরই জল্পনা শুরু হয়, তাহলে শক্তিমান-এর চরিত্রে বড়পর্দায় নিজেকেই দেখতে চাইছেন মুকেশ খান্না? প্রশ্ন উঠতেই ফের মাঠে প্রবীণ অভিনেতা।

Card image cap

অনলাইনে পিৎজা অর্ডার করে মহাফ্যাসাদে অঙ্কুশ!

অনলাইন অ্যাপে খাবার অর্ডার করে সমস্য়ায় পড়তে হয়েছে এমন ঘটনা নতুন নয়! বহু তারকাই এর আগে সমস্যায় পড়ে অভিযোগ করেছেন। এবার সেরকমই এক কাণ্ড ঘটল অঙ্কুশ হাজরার সঙ্গে। অনলাইনে পিৎজা অর্ডার করে মহাফ্যাসাদে পড়েছেন অভিনেতা। আর মনের মতো জিনিস না পেয়েই ক্ষোভ উগড়ে দিলেন।ঠিক কী ঘটেছে? অঙ্কুশের পোস্টেই জানা গেল বিষয়টা। অভিনেতা জানিয়েছেন, তিনি অনলাইনে ভলক্যানো পিৎজা অর্ডার করেছিলেন। পিৎজার ঠিক মাঝে থাকে চিজে ভরপুর সেই ভলক্যানো। কিন্তু পিৎজা হাতে পেয়ে বক্স খুলেই অঙ্কুশের চোখে যা পড়ল, তাতে চক্ষু চড়কগাছ অভিনেতার! নামী পিৎজা প্রস্তুতকারক এক সংস্থার বেহালার শাখা থেকে এই খাবার অর্ডার করেছিলেন অঙ্কুশ। তবে পিৎজা হাতে পেয়েই দেখেন, মাঝখানের আসল অংশ অর্থাৎ ভলক্যানোটাই উধাও! আর তাতেই বেজায় বিরক্ত হন অভিনেতা। সেই ছবি ইনস্টা স্টোরিতে পোস্ট করে তিনি লিখেছেন, “বেহালার ব্রাঞ্চ থেকে পিৎজা অর্ডার করেছিলাম অনলাইন অ্যাপের মাধ্যমে, এটা পেলাম। মাঝখান থেকে ভলক্যানোটাই গায়েব।”অভিনেতা সোশাল মিডিয়ায় বেশ সক্রিয়। প্রায়শই পোস্ট করে অনুরাগীদের সঙ্গে ভাগ করে নেন নানা কথা। এবার অনলাইনের মাধ্যমে খাবার অর্ডার করে ফ্যাসাদে পড়ায় সেই ঘটনাও ছবি দিয়ে ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন অঙ্কুশ। পিৎজা প্রস্তুতকারক সংস্থা এবং ডেলিভারি সংস্থার নাম করেই অভিযোগ করেন তিনি।

Card image cap

শহরের অলিগলিতে রাজের হিন্দি ‘পরিণীতা’

উত্তর কলকাতার অলিগলিতে জোর কদমে চলছে রাজ চক্রবর্তীর হিন্দি সিরিজ পরিণীতার শুটিং। মেহুল অদিতি পোহানকর এবং বাবাইদা পরমব্রতকে নিয়ে এখন ব্যস্ত পরিচালক রাজ। কয়েক সপ্তাহ আগে দক্ষিণ কলকাতায় শুটিং সেরে, মঙ্গলবার অনেক রাত পর্যন্তই উত্তর কলকাতার শ্রীমাণি বাড়ির দালানে চলল এই সিরিজের শুটিং। সোশাল মিডিয়া ফাঁস হল সেই ছবিই। তবে পরমব্রতর দেখা না মিললেও, শুটিংয়ে ছিলেন অদিতি পোহাঙ্কর ও প্রিয়াংশু পেইনুলি। যাকে দেখা যাবে মেহুলের নীরব প্রেমিকের চরিত্রে।রাজ চক্রবর্তীর হিন্দি ওয়েব সিরিজ নিয়ে দর্শকদের মধ্যে বরাবরই একটা কৌতূহল রয়েছে। কারণ পরিচালকের এই সিরিজের প্রেক্ষাপট তাঁর বহুল প্রশংসিত বাংলা ছবি ‘পরিণীতা’। যে ছবির হাত ধরে দক্ষ অভিনেত্রী শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়কে আবিষ্কার করেছিল বাংলা সিনেইন্ডাস্ট্রি। তবে এটা রিমেক ঠিক নয়। বরং সিরিজের গল্প শুরু হয়েছে সেখান থেকে, যেখানে বাবাইদার মৃত্যুর প্রতিশোধ নেবে মেহুল। অর্থাৎ, ছবিটা যেখানে শেষ হয়েছিল, সেখান থেকেই হিন্দি সিরিজের গল্প শুরু হয়েছে।সম্প্রতি হিন্দি সিরিজ ‘পরিণীতা’র কাজ শুরু করেছেন রাজ চক্রবর্তী। বর্তমানে যার শুটিং হচ্ছে দক্ষিণ কলকাতার এক বনেদি বাড়িতে। কোন তারকারা রয়েছেন সেটে? জানা গিয়েছে, লাবণী সরকার, অনন্যা সেন, প্রীতি সরকারদের নিয়ে ‘পরিণীতা’র শুটিং শুরু করেছেন রাজ। সেটে পরিচালক একেবারে শশব্যস্ত। হাজার হোক, প্রথম হিন্দি ওয়েব সিরিজের শুটিং বলে কথা, খুঁটিনাটি সবদিকে নজর রয়েছে তাঁর। রাজ চক্রবর্তীর হিন্দি সিরিজে মেহুল কিংবা বাবাইদা কে হচ্ছেন? আগেভাগেই সেটা জানা গিয়েছিল এখানে মেহুলের ভূমিকায় অর্থাৎ শুভশ্রীর জুতোতে পা গলাচ্ছেন অদিতি পোহাঙ্কর। তিনিও এইমুহূর্তে কলকাতাতেই রয়েছেন ‘পরিণীতা’র শুটের জন্য। বাবাইদার ভূমিকায় ঋত্বিক চক্রবর্তীর পরিবর্তে দেখা যাবে পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়কে। মেহুলের দুই বান্ধবী হিসেবে রয়েছেন প্রীতি এবং অনন্যা। এছাড়াও বিশেষ চরিত্রে থাকছেন সুমিত ব্যস। তুলিকা বসুর পরিবর্তে মেহুলের মায়ের ভূমিকায় দেখা যাবে লাবণী সরকারকে।লোকেশন হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে শৈলশহর দার্জিলিংকেও। গত জুলাই মাসেই গঙ্গার ঘাটে ‘পরিণীতা’র ফার্স্ট লুকের শুটিংও হয়েছে।

Card image cap

পুরনো কর্মস্থলে গিয়ে কেঁদে ফেললেন পঙ্কজ ত্রিপাঠি

রাতভর হোটেলে কাজ। আর দিনে থিয়েটারে অভিনয়। বলিউডে পা রাখার আগে জীবনের দুটো বছর ঠিক এভাবেই কাটিয়েছেন। সেই ‘বিহার কা লালা’ বর্তমানে বলিউডে নাম-যশ সবই পেয়েছেন। কিন্তু নিজের শিকড়কে ভুলে যাননি। সম্প্রতি পাটনার সেই প্রাক্তন কর্মস্থলে গিয়েই আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন পঙ্কজ ত্রিপাঠি।পাটনার সেই হোটেলে যখন কাজ করতেন, তখন কর্মীদের জন্য বরাদ্দ পিছনের গেট দিয়ে প্রবেশ করতে হত। কোম্পানির নিয়ম মেনে পঙ্কজকেও তাই করতে হত। কিন্তু অভিনেতা হওয়ার পরই যখন সেই হোটেলে পা রাখেন, তখন সামনের প্রবেশপথ দিয়ে ঢুকে বিশেষ অতিথির মতো আপ্যায়ণ পান। খোদ হোটেলের ম্যানেজার তাঁকে স্বাগত জানাতে ছুটে আসেন। যিনি কিনা একসময়ে তাঁর বস ছিলেন। হোটেলে আজও তাঁর প্রাক্তন সহকর্মীরা রয়েছেন। পঙ্কজ জানান, “আমার সঙ্গে বিক্রান্ত মাসেও ছিলেন। আমার ১৫ জন প্রাক্তন সহকর্মী ওঁকে তখন বলতে ব্যস্ত, কীভাবে আমি ওঁদের সঙ্গে কাজ ভাগ করে নিতাম। পুরনো কর্মস্থলে গিয়ে যখন এমন আপ্যায়ণ পেলাম, তখন চোখে জল চলে এসেছিল।” সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে অভিনেতা নিজেই জানিয়েছেন সেকথা।পঙ্কজের সংযোজন, “একটা সময় ছিল যখন রাত ১১টা থেকে সকাল ৭টা অবধি হোটেলে কাজ করতাম। বাড়ি ফিরে পাঁচ ঘণ্টা ঘুমিয়ে দুপুর ২টো থেকে সন্ধে ৭টা অবধি থিয়েটারে কাজ করতাম। তারপর আবার হোটেলে। টানা দু বছর এভাবেই কাটিয়েছি। আজও যখন পাটনায় যাই, তখন পুরনো স্মৃতিগুলো মনে ভিড় করে। আমি ভাবি, কঠোর পরিশ্রম আর লক্ষ্য সৎ হলে জীবনের সব স্বপ্নপূরণ হয়।” একবার এই হোটেলেই মনোজ বাজপেয়ীর সঙ্গে এক কাণ্ড ঘটিয়েছিলেন পঙ্কজ। তখনও তিনি বলিউডে পা রাখেননি। মনোজ ততদিনে স্টার হয়ে উঠেছেন। প্রিয় অভিনেতা তাঁরই হোটেলে থাকতে এসেছে জেনে তক্কে-তক্কে ছিলেন পঙ্কজ ত্রিপাঠী। সুযোগ বুঝে মনোজ বাজপেয়ীর জুতোজোড়া চুরি করে নেন তিনি। সেকথা একবার কপিল শর্মার শোয়ে ফাঁস করেছিলেন অভিনেতা। পরবর্তীতে বহুবার মনোজের সঙ্গেও একথা আলোচনা করে হেসে গড়িয়ে পড়েছেন দুজনে। আর বর্তমানে বলিউডে পঙ্কজ ত্রিপাঠীর সেই প্রিয় অভিনেতা মনোজ বাজপেয়ীর সঙ্গেই তাঁর নাম উচ্চারিত হয়।

Card image cap

চিরশান্তির দেশে ‘বাঞ্ছারাম’

না ফেরার দেশে থিয়েটার ও চলচ্চিত্র জগতের কিংবদন্তি শিল্পী মনোজ মিত্র। বাঙালিকে নস্ট্যালজিয়ায় ভাসিয়ে চিরশান্তির দেশে বাঞ্ছারাম। মঙ্গলবার দুপুর ৩ টে নাগাদ শিল্পীর মরদেহ শায়িত থাকে রবীন্দ্রসদনে। প্রিয়শিল্পীকে শেষ দেখা দেখতে সেখানে হাজির হয়েছিলেন অসংখ্য অনুরাগী। সন্ধ্যায় নিমতলা মহাশ্মশানে শেষকৃত্য সম্পন্ন হয় মনোজ মিত্রর।৮৫ বছর বয়সে প্রয়াত হলেন ‘বাঞ্ছারামার বাগান’, ‘আদর্শ হিন্দু হোটেল’ খ্যাত অভিনেতা। সঙ্গীত নাটক আকাদেমি পুরস্কার জয়ী নট ও নাট্যকারের প্রয়াণে বাংলা সংস্কৃতি জগতে বিরাট শূন্যতা তৈরি হল। সল্টলেকের ক্যালকাটা হার্ট ইন্সিটিউটে ভর্তি ছিলেন থিয়েটার, টেলিভিশন, সিনেমা জগতের দাপুটে শিল্পী। ভর্তির সময় হাসপাতাল জানিয়েছিল, তাঁর হৃদযন্ত্র ঠিক মতো কাজ করছে না। হার্ট পাম্পের সমস্যা রয়েছে। এছাড়াও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে নেই। ক্রিয়েটিনিনও বিপজ্জনক মাত্রায় বেড়ে গিয়েছে। সোডিয়াম-পটাসিয়ামেরও সমস্যা দেখা দিয়েছে। প্রবীণ অভিনেতার চিকিৎসার জন্য মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করা হয়েছিল। যদিও চিকিৎসকদের সমস্ত চেষ্টা বৃথা গেল!মনোজ মিত্রের জন্ম ১৯৩৮ সালের ২২ ডিসেম্বর ব্রিটিশ ভারতের সাতক্ষিরা জেলার ধূলিহর গ্রামে। ১৯৫৮ সালে স্কটিশ চার্চ কলেজ থেকে দর্শনে অনার্স-সহ স্নাতক হন তিনি। এই কলেজেই থিয়েটারে দীক্ষিত হন। সঙ্গী হিসেবে পান বাদল সরকার, রুদ্রপ্রসাদ সেনগুপ্তের মতো ব্যক্তিত্বদের। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দর্শনে এমএ করেন। ডক্টরেটের জন্য গবেষণা শুরু করেছিলেন।
১৯৫৭ সালে কলকাতায় মঞ্চনাটকে অভিনয় শুরু মনোজ মিত্রর। ১৯৭৯ সালে তিনি চলচ্চিত্রে অভিনয় শুরু করেন। রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে নাট্যকলা বিভাগের অধ্যক্ষ হিসেবে যোগ দেওয়ার আগে বিভিন্ন কলেজে দর্শন বিষয়েও শিক্ষকতা করেন। যদিও প্রথম নাটক ‘মৃত্যুর চোখে জল’ লেখেন ১৯৫৯ সালে কিন্তু ১৯৭২-এ ‘চাক ভাঙা মধু’ নাটকের মাধ্যমে তিনি পরিচিতি তৈরি হন। ওই নাটকটির মঞ্চ নির্দেশনা করেন বিভাস চক্রবর্তী। নাট্যগোষ্ঠী ‘সুন্দরম’ প্রতিষ্ঠাতাও মনোজ মিত্র। থিয়েটারের মতোই চলচ্চিত্রে অভিনয় করেও খ্যাতি অর্জন করেন কিংবদন্তি শিল্পী। সারা জীবনে বহু পুরস্কার, সম্মান পেয়েছেন এই শিল্পী। বলা বাহুল্য, মনোজ মিত্রের মৃত্যু একটি যুগের অবসান।

Card image cap

বিজেপির মঞ্চেই ‘চুরি’ মিঠুনের মানিব্যাগ!

ঝাড়খণ্ডে নির্বাচনী প্রচারে এসে ম্যানিব্যাগ খোয়ালেন বিজেপি নেতা তথা অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী। মঞ্চ থেকে মাইকে প্রচার করে ম্যানিব্যাগ ফেরানোর আবেদন করে বিজেপি নেতৃত্ব। তবে সেই আর্জিতে সাড়া মেলেনি। মঙ্গলবার ঝাড়খণ্ডের ধানবাদ জেলার নিরসার ঘটনা।জানা গিয়েছে, এদিন নিরসায় বিজেপি প্রার্থীর সমর্থনে নির্বাচনী প্রচার এসেছিলেন মিঠুন চক্রবর্তী। অভিযোগ, প্রচারে এসে মিঠুন চক্রবর্তীর ম্যানিব্যাগ খোয়া যায়। এই খবর চাউর হতেই বিজেপি নেতৃত্ব মঞ্চ থেকেই মাইকিং করে বিষয়টি জানায়। এই ঘটনায় শোরগোল ছড়িয়েছে। মঞ্চ থেকে ঘোষণা করা হয়, “যো ভি মিঠুনদা কা মানিব্যাগ লিয়া হ্যায়, ওহ আকে লওটা দিজিয়ে। উস মে মিঠুনদা কা জরুরি কাগজ হ্যায়।” তবে শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, ‘মহাগুরু’র মানিব্যাগ ফেরত পাওয়া যায়নি। প্রসঙ্গত,  ঝাড়খণ্ডে মোট ৮২ আসনে বিধানসভা নির্বাচন। মোট ভোটার প্রায় আড়াই কোটি। তাঁদের মধ্যে ৬৬.৪ শতাংশ তরুণ। ২০১৯ সালের বিধানসভা নির্বাচনে ৪৭টি আসনে জয়লাভ করেছিল হেমন্ত সোরেনের ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা। এবার সেই রাজ্যে ক্ষমতায় আসতে মরিয়া বিজেপি। জনসমর্থন টানতে প্রচারের শেষবেলায় হাজির হন ‘ডিসকো ডান্সার’ মিঠুন চক্রবর্তী। তাঁকে দেখতে ভিড়ও জমেছিল। সেই ভিড়ের মাঝেই মানিব্যাগ খোয়া গেল তাঁর।

Card image cap

অনুষ্ঠানের মঞ্চ থেকে হঠাৎ দেবকে ফোন যিশুর

‘খাদান’ সিনেমার বড় চমক সম্মুখ সমরে দেব-যিশু। এই ছবিতে যিশু ভক্তদের জন্য যে বড় চমক অপেক্ষা করছে, তা ইতিমধ্যেই কিছু ঝলকে বোঝা গিয়েছে। কিন্তু এবার মেদিনীপুরের এক অনুষ্ঠানে গিয়ে মঞ্চ থেকে সটান দেবকেই ফোন করলেন অভিনেতা। আচমকাই কেন ঘাটালের তারকা সাংসদের শরণে যিশু সেনগুপ্ত এমন কৌতূহল অস্বাভাবিক নয়! উপরন্তু গত কয়েক মাসে যিশুর ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে চর্চার অন্ত নেই। নীলাঞ্জনার সঙ্গে তাঁর বিবাহ বিচ্ছেদের কথাও প্রকাশ্যে এসেছে। এক ছাদের তলায় আর থাকেন না তাঁরা। এদিকে নীলাঞ্জনা দুই মেয়ে সারা-জারাকে আকড়ে ধরে নিজের মতো করে নিজেকে গুছিয়ে নিয়েছেন। তাঁদের দাম্পত্যে চিড় ধরার জল্পনার মাঝেই এই প্রথমবার জনঅরণ্যের ভিড়ে দেখা গেল যিশুকে। মেদিনীপুরে অনুষ্ঠান করতে গিয়েছিলেন তিনি। তবে সেখান থেকে কেন দেবকে ফোন করলেন? এখানেই টুইস্ট!আসলে মঙ্গলবার প্রকাশ্যে আসতে চলেছে ‘খাদান’ সিনেমার প্রথম গান ‘রাজার রাজা’। সেই গানের পয়লা ঝলকে ইতিমধ্যেই সাড়া ফেলে দিয়েছেন টলিউড সুপারস্টার। একেবারে যেন হৃতিক রোশনের ‘অগ্নিপথ’ সিনেমার স্টাইলে দেখা গেল দেবকে। দেব বলছেন, এই গানের জন্য বছর দশেক বাদে নাচলেন তিনি। অতঃপর ‘খাদান’ সিনেমায় যে ‘পুরনো দেবকে’ দেখা যাবে, সেটা ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছেন তিনি। আর সেই ‘রাজার রাজা’ গানটি রিলিজ করার আগেই মেদিনীপুরে অনুষ্ঠানের মঞ্চ থেকে দেবকে ফোনে ধরেন যিশু। পুরো বিষয়টাই আসলে গানের প্রচারের জন্য।গত সেপ্টেম্বর মাসে যখন ডিভোর্স জল্পনায় জেরবার যিশু, তখন আসানসোলে ধুতি-পাঞ্জাবি পরে ‘খাদান’-এর শুটিংয়ে দেখা গিয়েছিল অভিনেতা। “কৃষ্ণ সুদামার কসম, দোস্ত যখন বলেছি, দোস্তোর জন্য জান দিতেও পারি, লিতেও পারি”, ক্যাপশনে একথা লিখেই যিশুর পোস্টারটি প্রকাশ করা হয়েছিল। পোস্টারে যিশুকে কীর্তনিয়ার বেশে দেখা যায়। তবে চরিত্রের সংলাপে যেন যুদ্ধের আভাস। “শাস্ত্রে কয়েছে পুরুষ মানুষের প্রধান অস্তর (অস্ত্র) ধৈর্য আর বীর্য”, এমন কথা শোনা গিয়েছে যিশুর চরিত্রের মুখে। তার সঙ্গে ‘জয় গুরু’ বলেই হায়নার মতো হাসি। এবার মেদিনীপুরের অনুষ্ঠানের মঞ্চ থেকে সহ-অভিনেতা দেবকে ফোনে ধরলেন গানের প্রচারের জন্য।

Card image cap

মন্তব্য করেই বিপাকে বিক্রান্ত!

‘টুয়েলভফ ফেল’ সিনেমার পর থেকে প্রায় নিত্যদিনই সংবাদের শিরোনামে বিক্রান্ত মাসে। একাধিক সিনেমা এখন তাঁর ঝুলিতে। ধর্মগুরু রবিশংকরের বায়োপিকেও অভিনয় করছন বিক্রান্ত। এবার ধর্ম নিয়েই এক মন্তব্য করার জেরে বিপাকে অভিনেতা! তাঁর কথায়, ভারতের মতো বাসযোগ্য দেশ গোটা বিশ্বে নেই। কিন্তু ঠিক কী এমন বলেন অভিনেতা, যার জেরে তাঁর কপালে ‘বিজেপির বন্ধু’র তকমা জুটেছে?সম্প্রতি শুভঙ্কর মিশ্রর পডকাস্টে বিক্রান্ত মাসে বলেন, “আগে যতটা খারাপ ভাবতাম, পরিস্থিতি কিন্তু ততটাও খারাপ নয় আমার মতে। আমারও চিন্তাধারার পরিবর্তন ঘটেছে। আগে যাঁদের যে জিনিসগুলো ভালো লাগত, এখন দেখি সেগুলো বাস্তবে মোটেই ভালো নয়। এই তো কত লোক বলেন, হিন্দুরা নাকি সংকটে রয়েছেন দেশে, আমার তো সেটা মনে হয় না। আবার কেউ কেউ বলেন, মুসলিমরা বিপদে রয়েছেন, কোথাও কেউ সংকটে নেই। সবাই নিজেদের মতো করে ভালো রয়েছেন। গোটা বিশ্বে আমাদের দেশই বাস করার জন্য সবথেকে ভালো জায়গা। আপনি ইউরোপ, ফ্রান্স, আমেরিকায় যান না, দেখবেন ওখানে কী হচ্ছে…!” এরপরই অভিনেতার সংযোজন, “বর্তমানে ভারতই একমাত্র বাসযোগ্য দেশ। আর আমাদের উপরই বিশ্বের ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে। আমাদের দেশে উন্নতি হচ্ছে। আমিও তো কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে সম্মানিত হচ্ছি। এমনকী শপথ গ্রহণের অনুষ্ঠানেও আমাকে আমন্ত্রণ করা হয়েছিল। আমার সিনেমা সরকারি স্কুলের বাচ্চাদের পর্যন্ত দেখানো হয়েছে। আমি তো গিয়ে বলিনি ‘টুয়েলভফ ফেল’ দেখাতে, কিন্তু ওঁরা দেখিয়েছে যাতে দেশের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম উদ্বুদ্ধ হতে পারে।”এমন মন্তব্যের পরই বিক্রান্তকে ‘বিজেপির বন্ধু’ বলে আক্রমণ করা হয়। শুধু তাই নয়, অভিনেতার দৃষ্টিভঙ্গি নিয়েও জোর চর্চা শুরু হয়। তাই পরিস্থিতি দেখে ফের মাঠে নামতে বাধ্য হলেন বিক্রান্ত মাসে। অভিনেতার কথায়, “মানুষের দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন হয়। গত দশ বছর আগে আমি যেরকম ছিলাম, এখন আর সেরকম মানুষ নেই। ভবিষ্যতে ১০ বছর পরেও হয়তো এখনকার মতো থাকব না। পরিবর্তনই একমাত্র স্থিতিশীল। আমি অনেক জায়গায় কাজ করতে গিয়ে অনেক মানুষের সঙ্গে মিশে দেখেছি। এমনকী গ্রাম-গ্রামান্তরেও শুট করার সময়ে টের পেয়েছি, কতটা বদলে গিয়েছে পরিস্থিতি।”

Card image cap

কবে আসছে ‘খাদান’-এর প্রথম গান?

‘ফ্যামিলি নিয়ে ব্যস্ত আছি তো কী ভাবিছিস, অ্যাকশনটা ভুলে গেছি?’, দেবের এই সংলাপই ‘খাদান’ ছবি নিয়ে অনুরাগীদের উৎসাহ কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে। এবার ছবির প্রথম গানের পালা। যার আগাম ঝলকেই ধামাকার আভাস দিলেন সুপারস্টার। টিজার প্রকাশ করে জানিয়ে দিলেন কবে আসছেন তিনি ‘রাজার রাজা’ নিয়ে।‘রাজার রাজা’ গানের ছবি আগেই শেয়ার করেছিলেন দেব। রবিবার ছবির দুই প্রযোজনা সংস্থা সুরিন্দর ফিল্মস ও দেব এন্টারটেনমেন্ট ভেঞ্চার্সের পক্ষ থেকে শেয়ার করা হল টিজার। তাতেই বাজিমাত করেছেন দেব। আবার তিনি অনুরাগীদের কাছে ‘মাস হিরো’ হয়ে ফিরে এসেছেন। তাও আবার মহাদেবের আরধনা করে। ‘অনেকদিন পর নাচতে দেখলাম’, ‘পুরনো দিন ফিরেছে’, এমন মন্তব্য করা হয়েছে টিজার ভিডিওর কমেন্ট বক্সে। পুরো গান দেখা যাবে আগামী ১২ নভেম্বর।নতুন বছরের শুরুতেই ‘খাদান’-এর প্রথম ঝলক প্রকাশ করেছিলেন দেব। আর প্রথম সেই ঝলকেই অভিনেতা-প্রযোজক বুঝিয়ে দিয়েছিলেন এবারের বড়দিনে তিনি বড়পর্দায় বিস্ফোরণ ঘটাতে চলেছেন। অ্যাকশন প্যাকড এই ছবিতে দেবের সঙ্গী যিশু সেনগুপ্ত। “কৃষ্ণ সুদামার কসম, দোস্ত যখন বলেছি, দোস্তোর জন্য জান দিতেও পারি, লিতেও পারি”, ক্যাপশনে একথা লিখেই যিশুর পোস্টারটি প্রকাশ করা হয়েছিল।“আমি খাদান-এর মতো কর্মাশিয়াল টিজার, ট্রেলার বাংলাতে তো দেখিনি। আমার মনে হয় যদি বাংলা কর্মাশিয়াল ছবিতে চেঞ্জ আনতে হয়, আবার ফেরত আনতে হয়, তাহলে এই চেঞ্জ গুলো রয়েছে ‘খাদান’-এ। আমি তো এটা ফার্স্ট ডে ফার্স্ট শো দেখব”, ‘খাদান’ ছবির টিজার দেখার পর এমন কথাই বলেছিলেন পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায়। দেব-যিশু ছাড়াও সুজিত দত্ত পরিচালিত এই ছবিতে রয়েছেন বরখা বিস্ত, ইধিকা পাল, অনির্বাণ চক্রবর্তী, স্নেহা বসু, জন ভট্টাচার্য।

Card image cap

হঠাৎ কেন উলটো সুর বিজেপির হিরণের?

কেন্দ্রীয় বাহিনী একেবারে অকর্মণ্য, ভোটে ঠিকমতো কাজ করলে বিজেপির জয় অবশ্যম্ভাবী। শুধু শুধু রাজ্য পুলিশকে দোষ দিয়ে লাভ নেই। এমনই উলটো সুর এবার শোনা গেল খড়গপুরের বিজেপি বিধায়ক হিরণ চট্টোপাধ্যায়ের গলায়। আর তা শুনে বিস্মিত অনেকেই। মেদিনীপুর বিধানসভার উপনির্বাচন উপলক্ষে প্রচারে গিয়েছিলেন হিরণ। লালদিঘি এলাকায় দাঁড়িয়ে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে কার্যত দুষলেন তিনি। তাঁর এই মন্তব্যের পর রাজনৈতিক মহলে জল্পনা, কী কারণে কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে একেবারে তৃণমূলের সুর শোনা গেল বিজেপি বিধায়কের গলায়? তবে কি তিনি দল বদলাতে চান। মেদিনীপুর উপনির্বাচনে বিজেপি প্রার্থী হয়েছেন শুভজিৎ রায়। তাঁর হয়েই মেদিনীপুরের ৯ নং ওয়ার্ড এলাকায় প্রচারে গিয়েছিলেন হিরণ। সেখান থেকে তাঁর সাফ কথা, “কেন্দ্রীয় সরকার যদি সুব্যবস্থা নেয় তাহলে আমরা ছটা আসনের মধ্যে সবকটাতেই জিতব। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার ব্যবস্থা নিচ্ছে না। তাই ভোট লুট হচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গের পুলিশকে দোষ দিয়ে লাভ আছে?” এর পরই কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে তিনি বলেন, “পুলিশ সার্ভিস তো সেন্ট্রাল সার্ভিস। আমার নির্বাচনের সময় কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা দাঁড়িয়ে থেকে তৃণমূলকে দিয়ে ভোট করিয়েছে। আমাদের ভোট করতে দেয়নি। তখনও আপনি বলবেন পশ্চিমবঙ্গের পুলিশ দায়ী?” 
খড়গপুরের বিধায়ক হিরণ ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনে ঘাটাল কেন্দ্র থেকে তৃণমূলের তারকা সাংসদ দেবের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে দাঁড়িয়েছিলেন। কিন্তু কার্যত গো-হারা হেরে যান। সেই সময় থেকে জল্পনা উসকেছিল, হিরণ  তৃণমূলে প্রত্যাবর্তন করছেন কিনা। যদিও সেসব নস্যাৎ করে দেন হিরণ নিজেই। কিন্তু এবার তাঁর সুরে এভাবে কেন্দ্রীয় বাহিনীর কড়া সমালোচনা শুনে ফের সেই জল্পনা ফিরে এল। 

Card image cap

গুটখার বিজ্ঞাপন করে কটাক্ষের শিকার জিৎ!

শাহরুখ খান, অজয় দেবগণের সঙ্গে গুটখার বিজ্ঞাপন করে বিপাকে পড়েছিলেন অক্ষয় কুমার। ভক্তদের কাছ থেকে শুনতে হয়েছিল- “এত নিচে নামলেন?” এবার টলিউড সুপারস্টার জিৎকে পানমশলার বিজ্ঞাপনে দেখে রে রে করে উঠলেন দেব ভক্তরা! টানা হল দুই সুপারস্টারের মধ্যে তুলনাও।জিৎ তাও আবার গুটখার বিজ্ঞাপনে? দেখেই ভ্রু কুঁচকেছেন অনুরাগীরা। বিজ্ঞাপন ভাইরাল হতেই নেটপাড়ায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন একাংশ। এক নামজাদা সংবাদমাধ্যমের প্রথম পাতায় পানমশলার বিজ্ঞাপনে জিতের মুখ দেখে সেই ছবি এক্স হ্যান্ডেলে শেয়ার করেছেন জনৈক। তিনি আবার টলিউড সুপারস্টার দেবের ভক্ত। সেই ছবি শেয়ার করে তারকা সাংসদের সঙ্গে তুলনা টেনে ওই ব্যক্তি লিখেছেন, “আমি গর্বিত আমার পছন্দের সুপারস্টার দেব কোনও দিন গুটখার বিজ্ঞাপনে অংশগ্রহণ করেননি।” পোস্টের শেষ পাতে আবার ‘জয় বাংলা’ও জুড়ে দিয়েছেন। এক্স হ্যান্ডেলের সেই পোস্ট আপাতত চর্চায়!জিতের উদ্দেশে কারও পরামর্শ, “আপনি সুপারস্টার হয়ে যদি পানমশলা বা গুটখার বিজ্ঞাপন করেন, তাহলে আপনার অনুরাগীরাও তো আপনাকে দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে সেই পথে হাঁটবে। আপনি দয়া করে আর এসব বিজ্ঞাপন করবেন না।” আবার জিৎকে কেউ তাঁর বর্তমান ফিল্মি কেরিয়ারের কথা মনে করিয়ে দিয়ে কটাক্ষ করে লিখেছেন, “কেরিয়ার যখন পড়ে যায়, তখন এসবই করেন অনেকে।” কেউ বা আবার গুটখা, পানমশলা নিষিদ্ধ করার দাবিও তুলেছেন। সবমিলিয়ে চর্চার কেন্দ্রবিন্দুতে টলিউড সুপারস্টার।
জিৎ এবং দেব, দুই টলিউড সুপারস্টারের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক থাকলেও ভক্তরা নিজেরাই দুটো শিবিরে ভাগ হয়ে গিয়েছেন। ঠিক যেন, বলিউডের শাহরুখ-সলমনের মতো। দুই তারকার ভাইচারা থাকলেও অনুরাগীরা একে-অপরের সুপারস্টারকে নিয়ে কটাক্ষ করেন! টলিউডেও দেব-জিতের অনুরাগীদের পৃথক শিবির রয়েছে। উপরন্তু ‘দুই পৃথিবী’ স্টারদের মধ্যে কেরিয়ারের সেই গোড়া থেকেই তুলনা টানা শুরু হয়েছে। যদিও দেব বর্তমানে ভিন্ন ঘরানার সিনেমা করেন এবং জিৎ এখনও বাংলা সিনেইন্ডাস্ট্রিতে আদ্যোপান্ত কমার্শিয়াল সিনেমার আমেজ টিকিয়ে রেখেছেন, তবুও প্রায় দেড় দশক ধরে দুই সুপারস্টারের মধ্যে অলিখিতভাবে একটা তুলনা চলেই আসছে।

Card image cap

প্রয়াত পণ্ডিত রাম নারায়ণ

‘এখনও চেনা চেনা আতরের গন্ধ’, কিন্তু সারেঙ্গির সুর থমকে গিয়েছে। কিংবদন্তি সারেঙ্গিবাদক পণ্ডিত রাম নারায়ণের জীবনাবসান। ৯৬ বছরের শিল্পীর মৃত্যুর কারণ নিশ্চিতভাবে জানা যায়নি। তবে শোনা যায়, বেশ কিছুদিন ধরে বার্ধক্যজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি। শনিবার তাঁর প্রয়াণের খবর জানিয়ে শোকপ্রকাশ করে বিবৃতি দেওয়া হয় সঙ্গীত নাটক অ্যাকাডেমির পক্ষ থেকে।রাজস্থানের উদয়পুরের কাছে জন্ম রাম নারায়ণের। ছোটবেলা থেকেই সারেঙ্গির প্রতি আকর্ষণ ছিল। সেই সময় থেকেই প্রথাগত তালিম শুরু হয়ে যায়। রাজস্থানে আসা সঙ্গীতশিল্পীদের থেকেও শেখার চেষ্টা করতেন রাম নারায়ণ। ১৯৪৪ সালে লাহোরের অল ইন্ডিয়া রেডিওতে সঙ্গীতশিল্পী হিসেবে কাজ শুরু করেছিলেন। কিন্তু দেশভাগের পর শিল্পী চলে আসেন দিল্লিতে।দিল্লিতে তেমন সুযোগ পাননি রাম নারায়ণ। ১৯৪৯ সালে তিনি চলে আসেন মুম্বই। সেখান থেকেই তাঁর খ্যাতির সফর শুরু হয়। পাঁচের দশকের মাঝামাঝি সময় থেকেই একক শিল্পী হিসেবে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সঙ্গীত পরিবেশন করতে শুরু করেন পণ্ডিত রাম নারায়ণ। পণ্ডিত রবি শংকরের যশ তখন পাশ্চাত্যে ছড়িয়ে পড়েছে। সেই আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়েই রাম নারায়ণ সোলো অ্যালবাম তৈরি করেন। ১৯৬৪ সালে তিনি প্রথম আন্তর্জাতিক সফর করেছিলেন দাদা তথা বিশিষ্ট তবলাবাদক চতুর লালের সঙ্গে।
চতুর লাল পণ্ডিত রবি শংকরকেও সঙ্গত দিয়েছিলেন একসময়। ১৯৬৫ সালে চতুর লাল প্রয়াত হন। দাদার মৃত্যুর পর মদের নেশায় আসক্ত হয়ে পড়েছিলেন পণ্ডিত রাম নারায়ণ। কিন্তু দুবছর পরে আবারও সারেঙ্গির সুরেলা সফরে ফেরেন তিনি। সঙ্গীত নাটক অ্যাকাডেমির পাশাপাশি পদ্মশ্রী, পদ্মভূষণ এবং পদ্মবিভূষণ (২০০৫ সাল) সম্মানে ভূষিত করা হয় শিল্পীকে। ২০১৩ সালে রাজস্থান রত্ন সম্মান পান তিনি। শিল্পীর প্রয়াণে শোক প্রকাশ করেছেন মহারাষ্ট্রের রাজ্যপাল সি পি রাধাকৃষ্ণণ।

Card image cap

৩৫-এই না ফেরার দেশে অভিনেতা নীতীন

নীতীন চৌহান। বয়স ৩৫। অল্পসময়েই হিন্দি টেলিপর্দার বেশ পরিচিত মুখ হয়ে উঠেছিলেন সুদর্শন অভিনেতা নীতীন চৌহান। ‘ক্রাইম পেট্রোলস’, ‘এমটিভি স্প্লিটসভিলা ৫’, ‘তেরা ইয়ার হুঁ ম্যায়’, রিয়ালিটি শো ‘দাদাগিরি ২’ বিজেতা মাত্র পয়ত্রিশেই না ফেরার দেশে। মৃত্যুর কারণ জানা না গেলেও প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান, আত্মহত্যাই করেছেন নীতীন।টেলি অভিনেতার দুই সহ-অভিনেতা সুদীপ সাহির, সায়ন্তনী ঘোষ দুজনেই নীতীনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন সোশাল মিডিয়ায়। তে জল্পনা বাড়ে তাঁর আরেক প্রাক্তন সহ-অভিনেত্রী বিভূতি ঠাক্করের পোস্টে। প্রয়াত অভিনেতার সঙ্গে ছবি শেয়ার করে বিভূতি লিখেছেন, “শান্তিতে ঘুমোও। ভীষণ কষ্ট হচ্ছে খবরটা শুনে। জীবনের সমস্যাগুলোর সম্মুখীন হওয়ার মতো শক্তি যদি তোমার থাকত… তোমার শারীরিক শক্তির মতোই যদি তোমার মানসিক শক্তিও থাকত।” তাহলে কি নীতীন চৌহান ব্যক্তিগত জীবনে কোনও সমস্যার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছিলেন, যার জন্যে নিজেকে শেষ করে দিতে বাধ্য হন তিনি? সেটাই ভাবিয়ে তুলেছে। ঠিক যেমনটা ২০২০ সালে সুশান্ত সিং রাজপুতের রহস্যমৃত্যু ভাবিয়ে তুলেছিল গোটা বলিউডকে।অভিনয়ের টানে উত্তরপ্রদেশের আলিগড় থেকে মুম্বইতে পাড়ি দিয়েছিল নীতীন চৌহান। ২০২২ সালে শেষ তাঁকে দেখা যায় ‘তেরা ইয়ার হুঁ ম্যায়’তে। জানা গিয়েছে, এই দুঃসংবাদ শুনেই অভিনেতার বাবা মুম্বইতে ছুটে এসেছেন। এত কম বয়সে না ফেরার দেশে চলে যাওয়ায় নীতীনের সহকর্মীরাও ভেঙে পড়েছেন।