CATEGORY entertain:

Card image cap

৮ বছরের বাচ্চা বরকে মনে ধরছে না নেহার?

তারকা মানেই তাঁদের ব্যক্তিগত জীবন সবসময় আসে উঠে লাইমলাইটে। অনেকদিন ধরেই শোনা যাচ্ছিল গায়িকা নেহা কক্কর এবং রোহনপ্রীত সিংয়ের বিবাহিত জীবন নাকি একেবারেই ঠিক চলছে না। সম্প্রতি, অনেক সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে দাবি করা হচ্ছে যে নেহা এবং রোহানের মধ্যে আর মোটেও সব ঠিকঠাক নেই। দম্পতির বিবাহ বিচ্ছেদের গুজব দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়ে।


এবার অবশেষে নীরবতা ভাঙলেন নেহা কক্করের স্বামী রোহনপ্রীত সিং।


নেহা কক্করের সঙ্গে ডিভোর্সের গুঞ্জনে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন রোহনপ্রীত সিং। তার বক্তব্য সোশ্যাল মিডিয়ায় খুব দ্রুত ভাইরাল হচ্ছে। চলুন দেখা যাক কী বললেন তিনি। 


রোহনপ্রীত সিং ইনস্ট্যান্ট বলিউডকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, 'দেখুন, গুজব মানে গুজবই, সেগুলি সত্য নয়। এগুলো বানানো জিনিস। আগামীকাল কেউ কিছু বলবে, পরশু কেউ কিছু বলবে... তবে এই জিনিসগুলি আপনার ব্যক্তিগত সম্পর্কের উপর প্রভাব ফেলবে না। আপনার এক কানে শোনা উচিত এবং অন্য কান দিয়ে বের করে দেওয়া উচিত। ... অথবা আপনার শোনাও উচিত নয়।


সঙ্গে রোহনপ্রীত আরও যোগ করেন, 'আলোচনা তাকে নিয়েই হয়, মানুষ যার ব্যাপারে কথা বলতে বেশি ভালোবাসে। তাই বলুক কথা লোকে আমাদের নিয়ে। মানুষের মনে তো আছি।' তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, নেহা কক্করের সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদের খবরে কোনও সত্যতা নেই।


একবার কপিল শর্মার শো'তে এসে নেহা জানিয়েছিলেন, রোহনপ্রীত শুরুতে বিয়ের জন্য রাজি ছিলেন না। কারণ মাত্র ২৫ বছরেই বিয়ের বাঁধনে বাঁধা পড়তে মন থেকে তৈরি ছিলেন না রোহন। আবার ৩৩ বছরের নেহা এই বয়সে প্রেম করতে রাজি ছিলেন না। শুরুতেই তিনি বলে দিয়েছিলেন, 'এবার প্রেম সম্পর্ক নয়, আমি বিয়ে করব'। এরপর নাকি ব্রেক আপ হয়ে যায় 'নেহুপ্রীত'-এর। কিন্তু কয়েকদিনের ব্যাবধানেই রোহন বুঝতে পারেন নেহাকে ছাড়া তাঁর জীবন অচল। এরপর মদ্যপ অবস্থায় ফোন করে নেহাকে সোজাসুজি বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিলেন রোহনপ্রীত।


২০২১ সালের অগস্ট মাসে 'নেহু দা বিহা' মিউজিক ভিডিয়োর সেটে প্রথম পরিচয় এই জুটির। তিন মাসের মধ্যেই বিয়ের পর্ব সেরে ফেলেছিলেন রোহন-নেহা। তবে হ্যাঁ, বিয়ের পর যেভাবে সোশ্যাল মিডিয়া রাঙাতেন তাঁরা প্রেমের রঙে, এখন তাতে অনেকটাই ভাঁটা এসেছে। যা থেকেই হয়তোআলোচনার সূত্রপাত! নেহা শেষ দেখা গিয়েছে সুপারস্টার সিঙ্গারে বিচারক হিসেবে।

Card image cap

মা হওয়ার পর বড় সিদ্ধান্ত দীপিকার

মিষ্টি মেয়ের মা হয়েছেন। মেয়েকে আগলে আগলে রাখছেন দীপিকা পাড়ুকোণ ও রণবীর সিং। শোনা যাচ্ছে, সদ্যোজাত সন্তানের জন্য বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলিউডের ‘মস্তানি’। ঐশ্বর্য রাই বচ্চন, অনুষ্কা শর্মার মতো নাকি তিনিও সন্তানের জন্য কোনও ন্যানি রাখবেন না। সন্তানের সমস্ত কিছুর খেয়াল নিজে রাখবেন বলেই খবর।গত ফেব্রুয়ারি মাসেই অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার কথা জানান দীপিকা। সেই সময়ই জানিয়েছিলেন, সেপ্টেম্বরে ভূমিষ্ঠ হবে তাঁর ও রণবীর সিংয়ের সন্তান। প্রথমে শোনা গিয়েছিল, ২৮ সেপ্টেম্বর দীপবীরের সন্তানের জন্ম হবে। কিন্তু গত শনিবার বিকেলে আচমকাই দীপিকাকে নিয়ে হাসপাতালে যান রণবীর সিং। সেই ক্যামেরাবন্দি মুহূর্ত নেটপাড়ায় প্রকাশ্যে আসতেই দাবানল গতিতে ভাইরাল হয় ভিডিও। অনুরাগীদের প্রার্থনা ছিল, গণেশ চতুর্থীর দিনই যেন সন্তানলাভ করেন রণবীর-দীপিকা। কিন্তু সুখবর পাওয়া গেল রবিবার অর্থাৎ ৮ সেপ্টেম্বর ।জন্মের তারিখ লেখা ছবি পোস্ট করে সুখবর জানান দীপবীর। তাতেই শুভেচ্ছার বন্যা বয়ে যায়। মেয়ের জন্মের প্রায় এক সপ্তাহ হল। দীপিকা হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন কি না, সেই সম্পর্কে এখনও পর্যন্ত নিশ্চিতভাবে কিছু জানা যায়নি। তবে সূত্রের খবর মানলে, স্ত্রী ও সন্তানের জন্য বাড়িতে গ্র্যান্ড ওয়েলকাম প্ল্যান করে রেখেছেন রণবীর সিং। মেয়ের জন্মে উচ্ছ্বসিত তারকা।শোনা এও যাচ্ছে, বিরাট-অনুষ্কা, রণবীর-আলিয়ার মতো দীপবীরও সন্তানের জন্য ‘নো ফটো পলিসি’তে হাঁটবেন। এখন সদ্যোজাতকে ভীষণভাবে আগলে রাখার পালা। বিরুষ্কা এখনও পর্যন্ত মেয়ে ভামিকা ও ছেলে অকায়ের মুখ দেখাননি। তবে রণবীর-আলিয়া ইতিমধ্যেই রাহাকে প্রকাশ্যে এনেছেন। আর তাকে মিষ্টি মুখ সকলেই দেখে ফেলেছেন।

Card image cap

মমতার ‘মাস্টারস্ট্রোকে’ আপ্লুত দেব

তিলোত্তমার ন্যায়বিচার চেয়ে বিগত ৩৪ দিন ধরে আন্দোলনরত জুনিয়র চিকিৎসকরা। ঝড়-বাদলও টলাতে পারেনি তাঁদের। আর শনিবার অচলাবস্থা কাটাতে বৃষ্টি মাথায় করেই নজিরবিহীন পদক্ষেপ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। স্বাস্থ্যভবনের সামনে জুনিয়র ডাক্তারদের ধরনা মঞ্চে গিয়ে সাফ বললেন, “মুখ্যমন্ত্রী নয়, বড় দিদির মতো এসেছি।” বলাই বাহুল্য, মমতার এহেন নজিরবিহীন পদক্ষেপকে ‘রাজনৈতিক মাস্টারস্ট্রোক’ বলে আখ্যা দিচ্ছে রাজনীতিকমহলের একাংশ। এবার তৃণমূল সুপ্রিমোর এই পদক্ষেপকে কুর্নিশ জানালেন ‘সুপারস্টার সাংসদ’ দেব।দেবের মন্তব্য, “দিদি, আপনাকে কুর্নিশ জানাই এই উদ্যোগের জন্য। আগেও আপনাকে দেখেছি আপনি কীভাবে মানুষের পাশে দাড়িয়েছেন, আজ আবার দেখলাম নিজের লোকের পাশে গিয়ে দাড়ালেন। আশা করছি শান্তি, ন্যায় আর সম্মান, সব ফিরে আসবে।” উল্লেখ্য, দেব নিজেও আর জি কর নির্যাতিতার বিচার চেয়ে আর্টিস্ট ফোরামের গণঅবস্থানে হাজির ছিলেন। গোটা দেশে যেভাবে নারী নির্যাতন হচ্ছে, তার বিরুদ্ধেও আওয়াজ তুলেছেন তিনি। একযোগে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন রাজ্য সরকার, কেন্দ্রীয় সরকারের নারীপ্রকল্পগুলিকে। তিনি বলেছিলেন, “কন্যাশ্রী বা বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও প্রকল্পগুলো অর্থহীন, যদি নারীসুরক্ষাই না থাকে।” তবে শনিবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন ধরনা মঞ্চে দাঁড়িয়ে ডাক্তারদের আন্দোলনকে সমর্থন করার কথা বললেন, তখন সেই প্রেক্ষিতে দলনেত্রীকে কুর্নিশ জানিয়েছেন দেব।মমতা বলেন, “আমি আপনাদের আন্দোলনকে কুর্নিশ জানাই। আমি ছাত্র আন্দোলন থেকে উঠে আসা লোক। আমি জানি আমার পদটা বড় কথা নয়। কাল সারারাত ঝড়-জল হয়েছে, আপনাদের যেমন কষ্ট হয়েছে। আমারও কষ্ট হয়েছে। এই ঝড়জলের মধ্যে আপনারা যেভাবে বসে আছেন আমারও কষ্ট হয়েছে। রাতের পর রাত আমিও ঘুমাইনি। কষ্ট না করে যদি আপনারা কাজে ফিরতে চান, প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি আপনাদের দাবিগুলো সহানুভূতির সঙ্গে খতিয়ে দেখব। ভাবব, চিন্তা করব। যদি কেউ দোষী হয়, সে শাস্তি পাবেই। আমি চাই তিলোত্তমার বিচার হোক। ডাক্তারদের কাছে আবেদন জানাব, আমাকে একটু সময় দিন। যদি আপনাদের আমার উপর আস্থা, ভরসা থাকে।” মুখ্যমন্ত্রীর এহেন মানবিক পদক্ষেপে খুশি তারকা সাংসদ দেব। কারণ তিনিও বরাবর সৌজন্যের বার্তাই দিয়ে এসেছেন।

Card image cap

উধাও লম্বা চুল, নতুন হেয়ার কাটের সঙ্গে টুপি পরে শাহরুখ

লম্বা চুল উধাও হয়ে গেছে! মাথায় এখন ছোট ছোট চুল। আসন্ন আইফা অ্যাওয়ার্ডসের জন্য মঙ্গলবার মুম্বইয়ে অনুষ্ঠিত সাংবাদিক সম্মেলনে নতুন চেহারাতেই ধরা দিলেন কিং খান। শুধু আইফাতে থাকছেনই না শাহরুখ, করণ জোহরের সঙ্গে শোয়ের পরিচালনাও করছেন। করণ ও শাহরুখ দুজনেই অংশ নেন সাংবাদিক সম্মলেনে।


শাহরুখের সাজ


এই অনুষ্ঠানে শাহরুখ খানকে একটি অল ব্ল্যাক লুকে দেখা গেছে। তিনি ডি'ইয়াভোল লাক্সারি কালেক্টিভ ব্র্যান্ডের একটি কালো টুপি পরেছিলেন, যেখানে তাঁর বড় ছেলে আরিয়ান খানের সহ-প্রতিষ্ঠাতা। একটি পাপারাজ্জো অ্যাকাউন্ট ইভেন্টের একটি ভিডিয়ো শেয়ার করেছে, যেখানে শাহরুখকে অনুষ্ঠানে আসতে এবং সামনের সারির আসনের দিকে এগিয়ে যেতে দেখা যায়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত রাণা ডাগ্গুবতীকে জড়িয়ে ধরেন তিনি।


সেই অনুষ্ঠানে করণ জোহরকেও দেখা গিয়েছিল। করণ এবং শাহরুখ দুজনেই মঞ্চে উঠে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন। আবুধাবিতে ইন্টারন্যাশনাল ইন্ডিয়ান ফিল্ম অ্যাকাডেমি অ্যাওয়ার্ডস (আইফা) ২০২৪-এর ২৪তম আসর বসতে চলেছে। 


২৭ সেপ্টেম্বর থেকে ২৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত, তিন দিনব্যাপী চলবে আইফা ২০২৪। প্রথম দিন (২৭ সেপ্টেম্বর) আইফা উৎবোধনের দিন, যা চারটি দক্ষিণ ভারতীয় সিনেমাকে উদযাপন করবে। দ্বিতীয় দিন (২৮ সেপ্টেম্বর) আইফা অ্যাওয়ার্ডের রাত। উৎসবের শেষ দিন, ২৯ সেপ্টেম্বর মিউজিক ইন্ডাস্ট্রির জন্য আইফা রক্স-কে উৎসর্গ করা হয়েছে। শাহরুখ ও করণের সঙ্গে এই অনুষ্ঠানের সহ-সঞ্চালনা করবেন ভিকি কৌশল।


আইফার সঞ্চালনার দায়িত্ব নিয়ে শাহরুখ খানকে বলতে শোনা গেল, 'IIFA ভারতীয় সিনেমার একটি উদযাপন, যা বিশ্বজুড়ে অনুরণিত হয় এবং বছরের পর বছর ধরে এই যাত্রার অংশ হওয়া নিঃসন্দেহে আনন্দের। আমি আইফার শক্তি, আবেগ এবং মহিমাকে আবারও জীবন্ত করে তোলার অপেক্ষায় রয়েছি, কারণ আমরা এই সেপ্টেম্বরে ভারতীয় সিনেমার একটি অবিস্মরণীয় উদযাপনের জন্য প্রস্তুত হচ্ছি!'


শাহরুখের কাজ:


শাহরুখকে শেষ দেখা গিয়েছিল ডাঙ্কি ছবিতে। ভক্তরা তাকে আগামীতে সুজয় ঘোষ পরিচালিত 'কিং' ছবিতে দেখতে পাবেন। এতে তার মেয়ে সুহানা খানও অভিনয় করবেন। ইতিমধ্যেই এই সিনেমার প্রি প্রোডাকশনের কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে।

Card image cap

জন্মের পরই দীপিকার মেয়ের সঙ্গে জড়াল রণবীর কাপুরের নাম

এক সময় একে অন্যের প্রেমে হাবুডুবু খেতেন। শোনা যায়, প্রায় বছর এক বছরের সম্পর্ক ছিল দুজনের। তার পরই বিচ্ছেদ। কিছু সময়ের তিক্ততা। আবারও বন্ধুত্ব। বলিউডের অন্যতম সফল অনস্ক্রিন জুটি দীপিকা পাড়ুকোণ ও রণবীর কাপুর। রণবীরের জীবনে সন্তানসুখ আগেই এসেছে। রবিবার মিষ্টি মেয়ের মা হয়েছেন দীপিকা।



এখানেই ট্যুইস্ট! দীপিকার সদ্যোজাতর সঙ্গে জড়িয়ে গেল তাঁর প্রাক্তন রণবীর কাপুরের নাম।




 কীভাবে? জন্মের তারিখের সূত্র ধরে। দীপিকা পাড়ুকোণ ও রণবীর সিংয়ের সন্তানের জন্ম হয়েছে ৮ সেপ্টেম্বর। এই ৮ নম্বর আবার রণবীর কাপুরের অত্যন্ত প্রিয়। অভিনেতা এই নম্বরটিকে ভীষণভাবে শুভ মনে করেন। একাধিকবার সেকথা সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন। এমনকী, তাঁর কাছে আট নম্বর দেওয়া টুপি ও টি-শার্টও নাকি রয়েছে। আলিয়ার পোশাকেও আট নম্বর দেখা গিয়েছে। আর তাই এই সংখ্যার যোগসূত্র ধরেই দীপিকা মেয়ে ও রণবীর কাপুরের নাম জুড়ে দিয়েছেন নেটিজেনরা।


প্রসঙ্গত, ফেব্রুয়ারি মাসেই অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার কথা জানান দীপিকা। সেই সময়ই জানিয়েছিলেন, সেপ্টেম্বরে ভূমিষ্ঠ হবে তাঁর ও রণবীর সিংয়ের সন্তান। প্রথমে শোনা গিয়েছিল, ২৮ সেপ্টেম্বর দীপবীরের সন্তানের জন্ম হবে। কিন্তু শনিবার বিকেলে আচমকাই দীপিকাকে নিয়ে হাসপাতালে যান রণবীর সিং। সেই ক্যামেরাবন্দি মুহূর্ত নেটপাড়ায় প্রকাশ্যে আসতেই দাবানল গতিতে ভাইরাল হয় ভিডিও। অনুরাগীদের প্রার্থনা ছিল, গণেশ চতুর্থীর দিনই যেন সন্তানলাভ করেন রণবীর-দীপিকা। কিন্তু সুখবর পাওয়া গেল রবিবার। জন্মের তারিখ লেখা ছবি পোস্ট করে সুখবর জানান দীপবীর।



অতীতে রণবীর সিং ও দীপিকা পাড়ুকোণের সম্পর্ক নিয়ে কথা বলতে গিয়ে রণবীর কাপুর জানিয়েছিলেন, তিনি এই দুজনের ভালোবাসায় মুগ্ধ। এক নয়, দীপিকা ও রণবীর সিং যেন একাধিক সন্তানের সুখ পান সেই কামনাও করেন। এর পরই অভিনেতা বলেন, “আমার আশা, ওদের (দীপবীর) সন্তানের আমার অভিনয় ভালো লাগবে। আমি তাদের সবচেয়ে পছন্দের অভিনেতা হতে চাই।”

Card image cap

জীবনে একাধিক নারী থাকার পরও কেন এই হাল সলমনের?

৫৮-তে পা দিয়েও আইবুড়ো সলমন খান! কবে বিয়ে করবেন সলমন, বছরের পর বছর এ প্রশ্ন করে যাচ্ছেন চিবিশিকারিরা। তবে, এখন হয়তো এই প্রশ্ন করা আগের তুলনায় কমিয়ে দেবেন তাঁরা। অভিনেতার বিয়ে হওয়া বেশ মুশকিল বলেই জানালেন এক জ্যোতিষী। বলে দিলেন এমন নিয়তির কারণ।



অভিনেতার সঙ্গে নাম জড়িয়েছে বি-টাউনের বহু অভিনেত্রীর।


কিন্তু ছাঁদনাতলায় তিনি কবে যাবেন, তা এখনও কেউ জানেন না। বলিউডে সঙ্গীতা বিজলানি, ঐশ্বর্যা রাই বচ্চন থেকে ক্যাটরিনা কইফের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন সলমন। কিন্তু কোনও সম্পর্কই স্থায়ী হয়নি ভাইজানের। ছেলের বিবাহ পরিকল্পনা নিয়ে এক সাক্ষাৎকারে মুখ খুলেছিলেন সলমনের বাবা সেলিম খান। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে জ্যোতিষী সন্দীপ কোচর দাবি করেছেন অভিনেতার জন্মপঞ্জী নাকি তাঁর হাতে এসেছে। সেই কোষ্টি দেখেই তিনি বলেন, ''সলমনের জীবনে একাধিক নারী সঙ্গ হয়েছে। অনেকেই তাঁকে বিয়ে করতে চেয়েছেন কিন্তু সলমন নিজের মর্জির মালিক। তাঁর মতিগতির সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া মুখের কথা নয়।''


যদিও বন্ধু সংসারী হোক, চেয়েছিলেন শাহরুখ খান। তাই মুম্বইয়ের এক নামকরা অভিনেত্রীর কাছে সলমনের জন্য বিয়ের প্রস্তাব রাখেন বাদশাহ। তবে তা বাস্তবায়িত হয়নি। সলমনের সঙ্গে ঐশ্বর্যার প্রেম তাঁর জীবনের অন্যতম চর্চিত অধ্যায়। তাঁদের প্রেমের থেকে বেশি প্রচারের আলোয় আসে তাঁদের বিচ্ছেদ পর্ব। তবে, এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই নেটাগরিকদের একাংশের ধারণা, ওই অভিনেত্রী ঐশ্বর্যা। বলিপাড়ার গুঞ্জন বলছে, শাহরুখের বাড়িতে নাকি এক বার মাকে নিয়ে গিয়েছিলেন ঐশ্বর্যা। যদিও এর সত্যতা নিয়ে সন্দিহান অনেকেই। এরই মাঝে সংসারী হয়েছেন ঐশ্বর্যা। স্বামী অভিষেক বচ্চন ও মেয়ে আরাধ্যাকে নিয়ে সংসার তাঁর। অন্য দিকে, ইউলিয়া ভন্তুর নামের এক বিদেশিনী মডেলের সঙ্গে নাম জড়িয়ে রয়েছে সলমনের। কিন্তু, ইউলিয়াকে 'বন্ধু'র তকমাই দিয়ে এসেছেন ভাইজান। 'পদোন্নতি' ঘটাননি।

Card image cap

ফের জুটিতে অনিন্দ্য-শ্রুতি!

সৃজিত মুখোপাধ্যায় পরিচালিত 'X= প্রেম'-এ প্রথমবার জুটি বাঁধতে দেখা গিয়েছিল অভিনেত্রী শ্রুতি দাস ও অভিনেতা অনিন্দ্য সেনগুপ্তকে। ছবিতে তাঁদের জুটি হিট হলেও এরপর আর একসঙ্গে দেখা যায়নি তাঁদের। তবে এবার এল সুখবর। ফের জুটিতে দেখা যেতে চলেছে অনিন্দ্য-শ্রুতিকে।


কিন্তু কোনও ছবিতে নয়, কালার্স বাংলায় শুরু হতে চলা ১০০ দিনের টেলি সিরিজে দেখা যাবে এই জুটিকে। অনিন্দ্য ও শ্রুতি অভিনীত এই টেলি সিরিজের নাম 'বিপত্তারিণী ট্রাস্ট'। কমেডির মোড়কে এই গল্পে ফুটে উঠবে তিন প্রজন্মের কথা। গল্প এগোবে একটা পরিবারকে কেন্দ্র করে। সেই 

পরিবারের ছেলের চরিত্রে অনিন্দ্য। শ্রুতি কীভাবে তাঁর সঙ্গে জুটি বেঁধে এই পরিবারের অংশ হন সেটাই দেখানো হবে এই টেলি সিরিজে। ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে শুটিং। নির্দিষ্ট কোনও স্টুডিওয় নয়, বরং বিভিন্ন জায়গায় শুটিং হবে এই সিরিজের। ১০০ দিনের এই টেলি সিরিজে বিভিন্ন ধরনের গল্পে, বিভিন্ন তারকাদের দেখা মিলবে। বহু ধারাবাহিকই অল্প দিনেই বন্ধ হয়ে যাচ্ছে এখন। তাই টেলি সিরিজকেই টেলিভিশনের ভবিষ্যৎ হিসেবে দেখছেন সমালোচকরা। 

Card image cap

মা হলেন দীপিকা

মা হলেন দীপিকা পাড়ুকোণ। ফুটফুটে সন্তানের জন্ম দিয়েছেন অভিনেত্রী। রণবীর সিংয়ের সংসারে এল নতুন সদস্য। কন্যা সন্তানের বাবা হয়েছেন তারকা। মা ও সন্তান সুস্থ আছেন বলেই খবর। উচ্ছ্বসিত তারকা দম্পতির অনুরাগীরা। শনিবার বিকেলে দীপিকাকে নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করাতে যান রণবীর সিং। সেই ক্যামেরাবন্দি মুহূর্ত নেটপাড়ায় প্রকাশ্যে আসতেই দাবানল গতিতে ভাইরাল ভিডিও। অনুরাগীদের প্রার্থনা ছিল, ঈশ্বরের আশীর্বাদে গণেশ চতুর্থীর দিনই যেন সন্তানলাভ করেন রণবীর-দীপিকা। তবে রবিবার পাওয়া গেল সুখবর। আর এদিনই দীপবীরের সংসারে এল লক্ষ্মী। তাতেই উচ্ছ্বসিত অনুরাগীরা। প্রসঙ্গত, ফেব্রুয়ারি মাসেই অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার কথা জানান দীপিকা। সেই সময়ই জানিয়েছিলেন, সেপ্টেম্বরে ভূমিষ্ঠ হবে তাঁর রণবীরের সন্তান। সঞ্জয় লীলা বনশালি পরিচালিত ‘গোলিও কি রাসলীলা – রামলীলা’র সেটে দীপিকা ও রণবীরের প্রেম শুরু হয়। ২০১৮ সালের ১৪ ও ১৫ নভেম্বর ইটালির লেক কোমোতে গিয়ে বিয়ে করেন তারকা যুগল। কোঙ্কনি ও সিন্ধ্রি, দুই মতেই বিয়ে করেন দীপিকা-রণবীর। এর পর কেরিয়ারেই মন দেন দুই তারকা। বিয়ের এতদিন বাদে মা হলেন দীপিকা। হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার আগে সিদ্ধিবিনায়কের দরবারে গিয়েছিলেন তারকা দম্পতি। সেদিন সবুজ রঙের কাঞ্জিভরম শাড়ি পরেছিলেন দীপিকা। রণবীরের পরনে ছিল অফহোয়াইট কালারের পাঞ্জাবি। অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে আগলে নিয়েই মন্দিরের ভিতরে যান অভিনেতা। বিঘ্নহর্তার কাছে হবু সন্তানের জন্য করেন প্রার্থনা। তার আগে নাকি আবার  মুম্বইয়ের মাউন্ট মেরি চার্চেও গিয়েছিলেন তারকা দম্পতি। যেন ঈশ্বরের আশীর্বাদ নিয়েই জীবনের এই নতুন অধ্যায় শুরু করতে চেয়েছিলেন। এখনও পর্যন্ত রণবীর বা দীপিকার অফিশিয়াল সোশাল মিডিয়া পেজে এবিষয়ে কিছু লেখা হয়নি। তবে শুভেচ্ছার পালা শুরু হয়ে গিয়েছে। 

Card image cap

দেব-কুণাল তরজার জের

উদ্বোধন বিতর্কের জের। দেব-কুণাল তরজার মাঝে বিতর্কিত নামফলক সরিয়ে দিল ঘাটাল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। আগের লেখা থেকে ‘উদ্বোধক’ হিসেবে তৃণমূলের তারকা সাংসদ দীপক অধিকারী তথা দেবের নাম মুছে নতুন করে লেখা হল – ‘উপস্থিত থাকবেন’। আর এভাবেই যাবতীয় বিতর্কে জল ঢেলে দেওয়ার প্রয়াস দেখা গেল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে। যদিও এনিয়ে হাসপাতাল সুপারের সাদামাটা যুক্তি – ”লেখায় ভুল হয়েছিল, সংশোধন করা হয়েছে।”বিতর্কের সূত্রপাত শনিবার। একই স্বাস্থ্য পরিষেবার দু-দুবার উদ্বোধন। মার্চ মাসে ঘাটাল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের ডায়ালিসিস ইউনিট চালুর ছাড়পত্র পাওয়ার পরই প্রকল্পের ভারচুয়াল উদ্বোধন করে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। লোকসভা ভোটের শেষে যন্ত্রপাতি আসার পর গত ৪ সেপ্টেম্বর ঘাটালের সেই ডায়ালিসিস সেন্টারের উদ্বোধন করেছেন দেব। একই প্রকল্পের দুবার উদ্বোধন এবং উদ্বোধকের জায়গায় মুখ্যমন্ত্রীর বদলে সাংসদের নাম কী করে হয়? এসব প্রশ্ন তুলে শনিবার সোশাল মিডিয়ায় প্রথম তোপ দেগেছিলেন তৃণমূলের মিডিয়া কমিটির সদস্য কুণাল ঘোষ। দেবও তার জবাব দেন। এনিয়ে সোশাল মিডিয়ায় উভয়ের পোস্ট-লড়াই চলে কিছুক্ষণ।এসব দেখে ঘাটাল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ নড়েচড়ে বসে। মাস খানেক আগেই এই হাসপাতালের সুপার হয়ে এসেছেন মহেশ্বর মাণ্ডি। তিনি আগের ঘটনার কিছুই জানতেন না। তবে বিতর্ক শুরু হওয়ায় তিনি সমস্ত বিষয়টি সম্পর্কে বিশদে খোঁজখবর নেন। নামফলকে উদ্বোধন সংক্রান্ত যা লেখা, তা ভুল বলে স্বীকার করে নেন। শনিবার সন্ধেবেলাই বিতর্কিত নামফলকটি সরিয়ে লেখা সংশোধন করা হয়েছে। তাতে সাংসদ দেবের নামের আগে ‘উদ্বোধক’ শব্দটি সরিয়ে লেখা হয়েছে- ‘উপস্থিত থাকবেন’। উল্লেখ্য, যৌথভাবে এই নামফলক তৈরি করেছিল জেলা পরিষদ ও জেলা স্বাস্থ্যদপ্তর। এনিয়ে কিছুই জানতেন না স্বয়ং দেবও। তা নিয়ে যে বিতর্কের জল এতদূর গড়াবে, কেউ আন্দাজ করতে পারেননি। কুণাল ঘোষ সোশাল মিডিয়া পোস্টে ‘ভুল’ ধরানোয় এবার তা সংশোধন করে দেওয়া হল।

Card image cap

নেটপাড়ার রোষানলে সোহিনী!

তিলোত্তমার ন্যায়বিচায় চেয়ে প্রথম থেকে সরব সোহিনী সরকার। গত ১৪ আগস্ট থেকে প্রায় বিনিদ্র রজনী কাটছে অভিনেত্রীর। নিত্যদিন প্রতিবাদী মিছিলে শামিল হওয়ার পাশাপাশি নাগরিক মিছিলের দিন রাতভর ধর্মতলায় ধরণায় বসেছিলেন সোহিনী। আর জি কর কাণ্ডে আক্ষেপ করে বলেছিলেন, “এদেশে থেকে মা হতে চাই না!” দুর্গাপুজোর আনন্দ উল্লাসে গা না ভাসিয়ে সকলকে বিচারের জন্য দাবি তোলার আর্জি জানিয়েছিলেন। আর জি কর হাসপাতালে দাঁড়িয়ে, ‘দিন কয়েক বাদে সংবাদমাধ্যমের পুজোর খবরে ঢোকার’ কথাও উল্লেখ করেছিলেন সোহিনী। এবার পুজোর বিজ্ঞাপনে তাঁরই মুখ দেখে রেগে কাঁই নেটপাড়া।আর জি কর কাণ্ডের পর মাস ঘুরলেও বিচার অধরা। সিবিআই তদন্ত নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই। কাঠগড়ায় তুলেছেন প্রশাসনকেও। তারকাদের একাংশ দুর্গাপুজো না করার ডাকও দেন। চাঁদা চাইলে অশৌচ পালন করার নিদানও দেন। যদিও স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায় শিল্পীদের পেটের কথা চিন্তা করে  সেরকম প্রতিবাদ থেকে বিরত থেকেছেন। তবে পেশার খাতিরে এবার পুজো কালেকশনের বিজ্ঞাপনে মুখ দেখিয়ে নেটপাড়ার রোষানলে পড়তে হল সোহিনী সরকারকে। খ্যাতনামা শাড়ি সংস্থার বিজ্ঞাপনে দেখা গিয়েছে তাঁকে। আর সেই বিজ্ঞাপনী ভিডিও প্রকাশ্যে আসতেই নিন্দুকদের প্রশ্ন, “পুজো উদযাপন কোরো না এবছর, অশৌচ পালন হোক, শপিং বন্ধ থাকুক, এদেশে মা হতে না চাওয়ার ক্ষোভ, এসমস্ত যাবতীয় দাবি তোলার পর এখন কী হল ম্যাম? অশৌচ পালনের পরিবর্তে পুজো কালেকশনের প্রচার করছেন কেন?” নেটপাড়ার অনেকেই ‘নাটক’ বলে আক্রমণাত্মক পোস্ট করেছেন অভিনেত্রীর উদ্দেশে।সম্প্রতি মহামিছিল থেকে সোহিনী প্রতিবাদে সোচ্চার হয়ে বলেছিলেন, “আমরা রাস্তায় থাকব, যতদিন না থ্রেট কালচার বন্ধ হয়। রাজনৈতিক নেতার এবং তাদের ঘনিষ্ঠরা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে নানাভাবে হুমকি দিয়ে একটা দুর্নীতির রাজত্ব করে তুলেছে। আমরা সেগুলো থেকে মুক্ত একটা সমাজ চাই। আমরা এই থ্রেট কালচার, রেপ কালচারের বিরুদ্ধে আজকে পথে নেমেছি। যতদিন কণ্ঠস্বর থাকবে, প্রতিবাদ করব। একটা হাসপাতালে যদি এরকম ঘৃণ্য ঘটনা হতে পারে, তাহলে ভারতবর্ষের যে কোনও জায়গায় এই ঘটনা হতে পারে। সব রাজ্যের মহিলারা আওয়াজ তুলুন, তাদের সরকারের বিরুদ্ধে। রাষ্ট্রকে প্রশ্ন করতে হবে। সাধারণ মানুষ যখন একজোট হয়, তখন অনেক সরকার, প্রশাসন নড়ে গিয়েছে।” এবার সেই ছবির সঙ্গে মিলিয়েই তুলনা টেনে অভিনেত্রীকে কটাক্ষ করা শুরু করেছেন নেটপাড়ার একাংশ।

Card image cap

রাত দখলে ঋতুপর্ণাকে হেনস্তার তীব্র নিন্দা শতাব্দীর

বুধবার আর জি কর কাণ্ডের প্রতিবাদ আন্দোলনে অংশ নিতে গিয়ে তুমুল বিক্ষোভের মুখে পড়েন অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। শ্যামবাজারে তাঁকে লক্ষ্য করে ‘গো ব্যাক’ স্লোগান দিতে থাকেন আন্দোলনকারীরা। তাঁর গাড়িতেও ব্যাপক হামলা চালানো হয়। পরিস্থিতি বেগতিক হওয়ায় কোনওক্রমে গাড়িতে উঠে এলাকা ছাড়েন অভিনেত্রী। ঋতুপর্ণার এই হেনস্তার ঘটনাকে তীব্র নিন্দা করেছেন টলিউডের বহু অভিনেতা-অভিনেত্রীরা। আর এবার সেই ঘটনায় মুখ খুললেন তৃণমূল সাংসদ শতাব্দী রায়।ঋতুপর্ণার হেনস্তার ঘটনায় প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে শতাব্দী রায় জানালেন, ” খুবই অন্যায় হয়েছে। গেলেও দোষ, না গেলেও দোষ। একজন শিল্পী যদি কোনও আন্দোলনে যোগ দেন, তখন তাঁকে হেনস্থা করা হচ্ছে। আর যদি না যান, তাহলে দোষারোপ করা হচ্ছে। এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক। আমাদের বোঝা উচিত, যাঁরা এধরনের আচরণ করছেন তাঁরা আসলে কী চাইছেন!”শতাব্দী আরও জানালেন ‘প্রতিবাদ বা আন্দোলন হল গণতান্ত্রিক অধিকার, তবে সেই অধিকার ব্যবহারে একজন শিল্পী বা কোনো ব্যক্তিকে হেনস্থা করা কোনওভাবেই সমর্থন যোগ্য নয়। আমাদের সকলেরই উচিত, একজন নাগরিক হিসেবে তার মত প্রকাশের অধিকারকে সম্মান করা।’রাত দখলে হেনস্তা নিয়ে সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটালে প্রথম প্রতিক্রিয়া দিয়ে ঋতুপর্ণা জানিয়ে ছিলেন, ”এই আন্দোলনে আমি সেলিব্রিটি হয়ে যাইনি । আমি যখন যাই, তখনও কিছু হয়নি। মোমবাতি জ্বালাই। অভয়ার আত্মার শান্তি কামনা করি। শুনেছিলাম অভয়ার মা-বাবা আসবেন এই রাত দখলে। তখন কিছু লোক আশপাশে আমাকে ঘিরে ধরে। তাঁরা কিন্ত স্লোগান দেয়নি । ওখানে কিছু কলেজের পড়ুয়ারাও ছিল। যাঁরা মাইকে বলছিল ঋতুদিকে কিছু বলতে দিন। তার মাঝেই কয়েকজন সাংবাদিক প্রতিক্রিয়ার জন্য আমার কাছে আসে। সেই মুহূর্তেই হঠাৎ একদল লোক আমার দিকে রীতিমতো তেড়ে আসে। ‘গো ব্য়াক’ স্লোগান দিতে শুরু করে। এমন ধাক্কা দিল যে আমি পড়ে গেলাম। আমারে পাশে রাতাশ্রীও ছিল, সে আমার উপর পড়ে গেল। কিছু সাংবাদিকও পড়ে গেল। এটা কি প্রত্যাশিত ছিল? আমি তো একবুক সমবেদনা এবং বিচারের দাবি জানিয়ে সকলের সঙ্গে শামিল হতে গিয়েছিলাম। আমার নতুন গাড়িতে জোরে মেরেছে ওরা, গাড়ির কিছু জায়গা ভেঙে গিয়েছে। আমি মাঝে বললাম, যে আমার কথা আপনারা শুনুন! কিন্তু কেউ শুনল না। আরও জোরে স্লোগান দিতে শুরু করল। ওই একদল লোক মদ্যপ ছিল!”
ঋতুপর্ণা আরও বলেন, ”আপনারা দেখবেন, গত ১৫ দিন আমি এতটাই মর্মাহত ছিলাম যে, কোনও ব্যক্তিগত ছবি সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করিনি। অ্যাকটিভই ছিলাম না তেমন। আমরা এই আন্দোলন কনস্ট্রাকশনের বদলে ডিকনস্ট্রাকসনের দিকে নিয়ে যাচ্ছি। আমরা ভুলে যাচ্ছি আমাদের এই আন্দোলনের মূল উদ্দেশ্য কি। আমি এবং আমরা সকলেই চাই, দ্রুত অভয়া বিচার পাক। একটা নারীর সম্মানের বিচার চাইতে গিয়ে আরেক নারীকে হেনস্তা করে অসম্মান করায় কী বীরত্ব রয়েছে?”

Card image cap

‘রাত দখলে গিয়ে লাঞ্ছনার শিকার ঋতুপর্ণা

আর জি কর কাণ্ডের প্রতিবাদ আন্দোলনে অংশ নিতে গিয়ে তুমুল বিক্ষোভের মুখে অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। শ্যামবাজারে তাঁকে লক্ষ্য করে ‘গো ব্যাক’ স্লোগান দিতে থাকেন আন্দোলনকারীরা। তাঁর গাড়িতেও ব্যাপক হামলা চালানো হয়। পরিস্থিতি বেগতিক হওয়ায় কোনওক্রমে গাড়িতে উঠে এলাকা ছাড়েন অভিনেত্রী। ইতিমধ্যেই সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটালের কাছে এই ঘটনা নিয়ে প্রথম প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন ঋতুপর্ণা।এবার ঋতুপর্ণাকে হেনস্তার ঘটনার তীব্র নিন্দা করলেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ। এক্স হ্যান্ডেলে কুণাল টুইট করে লেখেন, ”ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত গিয়েছিলেন প্রতিবাদীদের সঙ্গে সামিল হতে।
তাঁকে শ্লোগান দিয়ে, কুকথা বলে, অপমান করে, কার্যত লাঞ্ছনার মধ্যে ফেলে তাড়ানো হল। কারা করল? সাধারণ নাগরিকসমাজ এটা করতে পারেন না। ন্যায্য আবেগের আড়ালে কারা অন্যায্য আচরণে অরাজকতা ছড়াতে চায়? নজর রাখুন। সচেতন থাকুন।”ঋতুপর্ণা জানিয়েছেন, ”এই আন্দোলনে  আমি সেলিব্রিটি হয়ে যাইনি । আমি যখন যাই, তখনও কিছু হয়নি। মোমবাতি জ্বালাই। অভয়ার আত্মার শান্তি কামনা করি। শুনেছিলাম অভয়ার মা-বাবা আসবেন এই রাত দখলে। তখন কিছু লোক আশপাশে আমাকে ঘিরে ধরে। তাঁরা কিন্ত স্লোগান দেয়নি । ওখানে কিছু কলেজের পড়ুয়ারাও ছিল। যাঁরা মাইকে বলছিল ঋতুদিকে কিছু বলতে দিন। তার মাঝেই কয়েকজন সাংবাদিক প্রতিক্রিয়ার জন্য আমার কাছে আসে। সেই মুহূর্তেই হঠাৎ একদল লোক আমার দিকে রীতিমতো তেড়ে আসে। ‘গো ব্য়াক’ স্লোগান দিতে শুরু করে। এমন ধাক্কা দিল যে আমি পড়ে গেলাম। আমারে পাশে রাতাশ্রীও ছিল, সে আমার উপর পড়ে গেল। কিছু সাংবাদিকও পড়ে গেল। এটা কি প্রত্যাশিত ছিল? আমি তো একবুক সমবেদনা এবং বিচারের দাবি জানিয়ে সকলের সঙ্গে শামিল হতে গিয়েছিলাম। আমার নতুন গাড়িতে জোরে মেরেছে ওরা, গাড়ির কিছু জায়গা ভেঙে গিয়েছে। আমি মাঝে বললাম, যে আমার কথা আপনারা শুনুন! কিন্তু কেউ শুনল না। আরও জোরে স্লোগান দিতে শুরু করল। ওই একদল লোক মদ্যপ ছিল!”
ঋতুপর্ণা আরও বলেন, ”আপনারা দেখবেন, গত ১৫ দিন আমি এতটাই মর্মাহত ছিলাম যে, কোনও ব্যক্তিগত ছবি সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করিনি। অ্যাকটিভই ছিলাম না তেমন। আমরা এই আন্দোলন কনস্ট্রাকশনের বদলে ডিকনস্ট্রাকসনের দিকে নিয়ে যাচ্ছি। আমরা ভুলে যাচ্ছি আমাদের এই আন্দোলনের মূল উদ্দেশ্য কি। আমি এবং আমরা সকলেই চাই, দ্রুত অভয়া বিচার পাক। একটা নারীর সম্মানের বিচার চাইতে গিয়ে আরেক নারীকে হেনস্তা করে অসম্মান করায় কী বীরত্ব রয়েছে?”

Card image cap

শহরে পা রাখলেন মাধুরী দীক্ষিত

আর জি কর কাণ্ডে উত্তাল বাংলা। গত ১৪ আগস্ট থেকে বিনিদ্র রজনী কাটাচ্ছে শহর। পথেঘাটে প্রতিবাদী মিছিলে শামিল আট থেকে আশি। আমজনতার সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে মেয়েদের নিরাপত্তা নিয়ে সরব তারকারাও। দিনভর আন্দোলনরত চিকিৎসকদের পাশে দাঁড়িয়েছেন সকলে। কেউ খাবার দিচ্ছেন তো কেউ বা পাণীয় জল, হাতপাখা। শহর তিলোত্তমার এহেন বিদ্রোহী রূপ বা ‘একতা’ শেষ কবে দেখা গিয়েছে? মনে করতে পারছেন না কেউই। এই উত্তাল পরিস্থিতিতেই শহরে পা রাখলেন মাধুরী দীক্ষিত।বুধবার বেলায় মুম্বই থেকে প্রতিবাদে শহরে উড়ে এসেছেন মাধুরী। কলকাতার সরকারি কলেজের ঘটনা নাড়িয়ে দিয়েছে বলিউডকেও। আর জি কর ইস্যু এখন আর বাংলার একার নয়! প্রতিবাদ, নিন্দায় সরব গোটা দেশ। বাংলার আন্দোলন পৌঁছে গিয়েছে আন্তর্জাতিক মহলেও। দেশে নারী নিরাপত্তা কোথায় গিয়ে দাঁড়িয়েছে? কলকাতার ঘটনার প্রতিবাদ করতে গিয়ে বারো বছর আগে দিল্লির নির্ভয়া প্রসঙ্গও টেনেছেন করিনা কাপুর, আলিয়া ভাট, অনুষ্কা শর্মা, আয়ুষ্মান খুরানা থেকে হৃতিক রোশনের মতো তারকারা। এমতাবস্থায় আচমকাই কেন প্রতিবাদী কলকাতায় পা রাখলেন মাধুরী? এমন কৌতূহল অস্বাভাবিক নয়।জানা গিয়েছে, এক অনুষ্ঠানের ‘মুখ’ হিসেবেই কলকাতায় এসেছেন বলিউডের ‘ধক ধক গার্ল’। উল্লেখ্য, প্রতিবাদ শহর কিন্তু সরব হওয়ার পাশাপাশি কাজ থামিয়ে রাখেনি। অফিস সেরে ব্যস্ত শিডিউলেও পথে নামছেন সকলে। পুজোর আগে সেরকমই কোনও এক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে মাধুরী কলকাতায় পা রেখেছেন বলে জানা গিয়েছে। বুধবার কলকাতা বিমানবন্দরের তিন নম্বর গেট থেকে বেরতে দেখা গেল মাধুরী দীক্ষিতকে। ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে মাধুরীকে দেখা গেল হলুদ শার্ট আর সাদা জিন্সে। চোখে রোদচশমা। কড়া নিরাপত্তা বেষ্টনীতেই বিমানবন্দর চত্বর ছাড়লেন বলিউড অভিনেত্রী।

Card image cap

সর্বস্তরীয় প্রতিবাদের কথা স্বস্তিকার মুখে

রবিবার থেকেই প্রতিবাদী মিছিলে শামিল স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়। দিন রাত এক করে শহরের বিভিন্ন প্রান্তের আন্দোলনে থাকছেন অভিনেত্রী। ব্যস্ত শিডিউল সরিয়ে রেখে নিত্যদিন পথেঘাটে নারী নিরাপত্তা নিয়ে সরব হতে দেখা যাচ্ছে তাঁকে। সোম-মঙ্গলের পর বুধবারও বাড়িতে থাকলেন না স্বস্তিকা। পৌঁছে গিয়েছিলেন এসএসকেএম হাসপাতালে। সেখান থেকে জানালেন, আর জি কর কাণ্ডের পর এই আন্দোলন কীভাবে সমাজের সর্বস্তরে ছড়িয়ে পড়েছে।আর জি কর কাণ্ড নিয়ে প্রথম থেকেই সরব স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়। ১৪ আগস্ট নারীদের রাত দখল অভিযানের ডাক দেওয়া থেকে শুরু করে রাজ্য সরকারের প্রস্তাবিত মেয়েদের নাইট ডিউটি থেকে অব্যাহতি নিয়েও প্রশ্ন তুলেছিলেন তিনি। শহরে ফিরেই রবিবার নাগরিক মিছিলে যোগ দিয়ে সুর চড়িয়েছেন স্বস্তিকা। মিছিল শেষে রাতভর ধর্মতলায় ধরনাতেও বসেছিলেন। মঙ্গলবার রাতে ভূপেন্দ্রনাথ বসু অ্যাভিনিউয়ে বামফ্রন্টের ডাকা ধরনামঞ্চেও ছিলেন অনেক রাত পর্যন্ত। কীভাবে এই আন্দোলন সমাজের তৃণমূলস্তরের মজ্জাতেও ঢুকে গিয়েছে, বুধবার বিকেলে এসএসকেএম হাসপাতাল থেকে সেকথাও বললেন অভিনেত্রী।স্বস্তিকা তুলে ধরলেন তাঁর বাড়ির দুই পরিচারিকার কথা। অভিনেত্রীর মন্তব্য, “আমরা যাঁরা বাড়ির পরিচারিকাদের ক্ষেত্রে মনে করি, ওঁরা কোনও কিছু সম্পর্কে ততটা অবগত নন। বা ওঁদের হয়তো কোনও ব্যক্তিগত মতামত নেই। তবে আজ বলছি, আমার বাড়ির দুই দিদির ক্ষেত্রে আমি দেখেছি, ওঁরা বাড়িতে বসে আছেন বলে যে শান্তিতে রাতে ঘুমোচ্ছেন, সেরকম নয়। ওদেরও মতামত যথেষ্ট বলিষ্ঠ। আগে আমি কোথাও বেরলে আমাকে জিজ্ঞেস করতেন- আমি কখন ফিরব। আজকাল আর সেকথা আমায় জিজ্ঞেস করছেন না। শুধু তাই নয়, ওঁরা যে অবাঙালি বাড়িগুলোতে কাজ করেন, সেখানে গিয়েও নিজের মতো করে প্রতিবাদী সত্ত্বার বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছেন। ওঁরা প্রশ্ন তুলেছেন- নিজের বাড়ির মেয়ের সঙ্গে এরকম হলে কি সারাদিন টিভি দেখে, খেয়ে ঘুমোতে পারতেন কেউ? আমরা সকলেই বিচার চাইছি পথে নেমে। আমার দুই পরিচারিকা কিন্তু আমায় বলে দিয়েছেন- ‘দিদি আপনাকে কেউ যদি জিজ্ঞেস করেন কার কাছে এই বিচার চাইছেন, আপনি কিন্তু সরকারের কথা উল্লেখ করবেন।’ ওঁদের এই কথাগুলোই স্পষ্ট করে দেয় যে সমাজের সর্বস্তর থেকে এই আওয়াজ উঠেছে।মঙ্গলবার রাতে বামফ্রন্টের ডাকা প্রতিবাদে শামিল হয়েছিলেন স্বস্তিকা। সেখানে তাঁর প্রতিবাদী সত্ত্বার পাশাপাশি মানবিকতাও ক্যামেরায় ধরা দিল। আন্দোলনে স্লোগান তোলার পাশাপাশি পথপশুদের জল খাইয়ে দিলেন অভিনেত্রী। অভিনেত্রী বরাবরই পশুপ্রেমী। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে অবলা, অসহায় পশুদের প্রতি হওয়া অত্যাচারের বিরুদ্ধে বরাবর তাঁকে সোচ্চার হতে দেখা গিয়েছে। আর জি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে মাঝরাতের কলকাতাতেও আবারও তাঁর মানবিক রূপ প্রত্যক্ষ করা গেল।

Card image cap

সরকারি পুরস্কার ফেরালেন সুদীপ্তা চক্রবর্তী

আর জি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে মুখর শহর। এই পরিস্থিতিতে সরকারি পুরস্কার ফেরালেন অভিনেত্রী সুদীপ্তা চক্রবর্তী। এর আগে চন্দন সেন ও বিপ্লব বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারি পুরস্কার ফিরিয়েছিলেন। এবার ফেরালেন ‘বাড়িওয়ালি’র অভিনেত্রীও। আর তাঁর এই সিদ্ধান্তকে স্যালুট জানালেন অভিনেত্রী স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়।স্বস্তিকা ফেসবুকে লেখেন, ‘স্য়ালুট সুদীপ্তা চক্রবর্তী। ২০১৩ সালে উনি রাজ্য় সরকারের থেকে একটি পুরস্কার পেয়েছিলেন সিনেমায় অবদানের জন্য়। আজ আই অ্যান্ড সি মিনিস্ট্রিকে (তথ্য ও সংস্কৃতি বিষয়ক বিভাগ) মেইল করে সেই পুরস্কার ফিরিয়ে দিয়েছেন তিনি। যে যাঁর নিজের মতো করে প্রতিবাদ চালিয়ে যান…’আর জি কর কাণ্ড নিয়ে প্রথম দিন থেকেই সরব স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়। অভিনেত্রীর মন্তব্য, “আমাদের রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী একজন মহিলা। কতটা যন্ত্রণা সহ্য করে মেয়েটিকে মারা যেতে হয়েছে, মেয়ে হিসেবে ভাবলেই আমার গা শিউরে উঠছে। আমি চাইব, আমাদের মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী প্রকৃত অর্থেই একটা বিহিত করুন। যাতে ওঁর প্রতি আমাদের ভরসা থাকে। কারণ এখন ভরসা টলমল হয়ে যাওয়ার জোগাড় হয়েছে।” এদিকে উত্তরপাড়ার বিধায়ক কাঞ্চন মল্লিকের আন্দোলনকারী ডাক্তারদের উদ্দেশে করা মন্তব্যের তীব্র নিন্দা করেছিলেন সুদীপ্তা চক্রবর্তী। বন্ধুর উদ্দেশে চাঁচাছোলা পোস্ট করে তাঁকে ‘ত্যাজ্য’ করেন অভিনেত্রী। এদিকে আর জি কর কাণ্ড নিয়ে প্রতিবাদ চলছে। মঙ্গলবারই জানা যায়, রাজ্য সরকারের দেওয়া দীনবন্ধু মিত্র পুরস্কার ফেরানোর আবেদন জানিয়ে ই-মেল করেন প্রবীণ নাট্যব্যক্তিত্ব চন্দন সেন। এদিকে জানা গিয়েছে, পশ্চিমবঙ্গ নাট্য অকাদেমি পুরস্কার ফেরত পাঠাচ্ছেন অভিনেতা বিপ্লব বন্দ্যোপাধ্যায়ও। এর মধ্যেই সামনে এল সুদীপ্তা চক্রবর্তীর পুরস্কার ফেরানোর সংবাদ।প্রসঙ্গত, ‘জাস্টিস ফর আর জি কর’- শহর কলকাতার বুকে একটাই ধ্বনি। তিন সপ্তাহ পেরলেও ন্যায়বিচারের জন্য আন্দোলন এখনও জারি। ক্রমশই এই আন্দোলন যে বড় আকার নিচ্ছে, তা বোধহয় আলাদা করে উল্লেখ করার প্রয়োজন হয় না। শামিল টলিউড তারকারাও। তিলোত্তমার ন্যায়বিচার চেয়ে সুর চড়িয়েছেন স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়, সুদীপ্তা চক্রবর্তী, চৈতি ঘোষাল, উষসী চক্রবর্তী, অপরাজিতা আঢ্য, বিরসা দাশগুপ্ত, সৃজিত মুখোপাধ্যায়, বিদিপ্তা চক্রবর্তী, লোকনাথ দে, লগ্নজিতা, সত্যম ভট্টাচার্য, উষসী রায়-সহ আরও অনেকেই। 

Card image cap

বাংলার প্রতিবাদী সত্ত্বায় ‘স্বপ্নপূরণ’ মিঠুনের

দিন পনেরো আগেই আর জি কর হাসপাতালে তরুণী ডাক্তারের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের কড়া প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে মিঠুন চক্রবর্তী বলেছিলেন, “বাঙালি হিসেবে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবার ক্ষমতা হারাচ্ছি।” তবে বিগত তিন সপ্তাহে বাংলার প্রতিবাদী সত্ত্বা দেখে এবার মত বদলে নিলেন মহাগুরু। আর জি কর ইস্যুতে রাজ্যজুড়ে আন্দোলনের ঝড় দেখে এবার খুশি তিনি।আর জি কর কাণ্ডে বাংলার শিল্পীমহলের প্রতিবাদ নিয়ে নেটপাড়ার একাংশ যখন নিত্যদিন কটাক্ষ করে যাচ্ছে, তখন নিন্দুক, সমালোচকদের কাঁচকলা দেখিয়ে বারবার সিনেমাপাড়ার সদস্যরা সাধারণ মানুষের ভিড়ে মিশে গিয়ে কলকাতার রাজপথে নেমে তিলোত্তমার বিচার চাইছেন। চোখে আঙুল দিয়ে নিন্দুকদের দেখিয়ে দিচ্ছেন, তাঁরা দমে যাওয়ার পাত্রপাত্রী নন! প্রতিটি প্রতিবাদী মিছিলে সমবেতস্বরে একটা ধ্বনি- ‘জাস্টিস ফর আর জি কর।’ ঘটনার তিন সপ্তাহ পেরিয়ে বিচার অধরা থাকলেও আশাহত নন কেউই। সুপ্রিম রায়ের দিকে চোখ সকলের। আর বাংলার আট থেকে আশির চোখে প্রতিবাদী আগুন দেখে খুশি মিঠুন চক্রবর্তী। মহাগুরু বলছেন, “এই বাংলাটাকেই আমি দেখতে চেয়েছিলাম, এখন দেখতে পাচ্ছি, খুব আনন্দ হচ্ছে।”রাজ্যজুড়ে এই আন্দোলন রাজনৈতিক না অরাজনৈতিক? প্রশ্নে যখন উত্তাল সোশাল মিডিয়া, তখন মিঠুন চক্রবর্তীর মন্তব্য, “রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে সবাই যেন এই আন্দোলনে একসঙ্গে থাকি। আর আমি এটা বলছি মানেই যে বিজেপি বলছে, সেটা নয় আমি ব্যক্তি মিঠুন চক্রবর্তী হিসেবে বলছি।” সোমবারই কলকাতায় পা রেখেই প্রতিবাদী বাংলা নিয়ে গর্ববোধ করলেন মহাগুরু।এর আগে আর জি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে এক ভিডিও বার্তায় বিজেপি নেতা তথা মেগাস্টার মিঠুন বলেছিলেন, “আমি অনেক দিন ধরে, অনেক জায়গায় একই কথা বলে এসেছি যে, আগামী দিনে পশ্চিমবঙ্গের অবস্থা খুবই ভয়াবহ হয়ে উঠবে। বাঙালি হয়ে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলছি। যত দ্রুত সম্ভব তাদের গ্রেপ্তার করে শাস্তি দেওয়া হোক। এটাই আমার কাছে সবথেকে বড় কাম্য।”

Card image cap

আন্দোলনকারী ডাক্তারদের প্রশ্ন কাঞ্চনের

আর জি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসকের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে ঘটনার পরদিন থেকেই লাগাতার আন্দোলন, কর্মবিরতি চালিয়ে যাচ্ছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। এখনও হাসপাতালের আউটডোরে কাজে যোগ দেননি তাঁরা। একাধিকবার সুপ্রিম কোর্ট তাঁদের কাজে ফেরার আর্জি জানিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও তাঁদের কাজে ফেরার কথা বলেছেন। তবে সমস্ত দাবিপূরণ না হওয়া পর্যন্ত নিজেদের অবস্থানে অনড় জুনিয়র চিকিৎসকরা। তবে টেলি মেডিসিন পরিষেবা চালু করেছেন তাঁরা। এছাড়াও ‘অভয়া ক্লিনিক’ নামে অস্থায়ী ক্যাম্প চালু হয়েছে। বলাই বাহুল্য, এই আন্দোলন উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে। এবার চিকিৎসকদের কর্মবিরতি নিয়ে তাঁদেরকেই কাঠগড়ায় দাঁড় করালেন কাঞ্চন মল্লিক।রবিবার শহর কলকাতা যখন মহামিছিলে ব্যস্ত, তখন আর জি কর কাণ্ডের অপরাধীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে কোন্নগর শহর ও নবগ্রাম মহিলা তৃণমূলের উদ্যোগে ধর্নামঞ্চ করে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন তৃণমূল কর্মীরা। সেখানেই উপস্থিত ছিলেন উত্তরপাড়ার বিধায়ক কাঞ্চন মল্লিক। তৃণমূলের তারকা বিধায়কের মন্তব্য, “আর জি করের ঘটনা অত্যন্ত নিন্দনীয়। আমিও সচেতন নাগরিক হিসাবে বলছি, আমার বাড়িতেও স্ত্রী, মা, দিদি আছেন। আমিও চাই দোষীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হোক। এই ঘটনায় একজন অভিযুক্ত গ্রেফতার হয়েছে। কলকাতা পুলিশই গ্রেফতার করেছে। এরপর মামলা সিবিআইয়ের হাতে গিয়েছে। এই ঘটনা বর্তমানে সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন।” তবে আন্দোলনের অভিমুখ পাল্টাচ্ছেন বিরোধীরা। তৃণমূল সাংসদ বলেন, “এই মামলার তদন্তভার যদি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সিবিআইয়ের হাতে তুলে না দিতেন, তাহলে বিরোধীরা বলত মমতার মদতপুষ্ট কলকাতা পুলিশ ইচ্ছাকৃতভাবে তদন্ত দীর্ঘায়িত করছে। সেটা হয়নি। সিবিআই তদন্ত করছে।” এরপরই চিকিৎসকদের কর্মবিরতি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন কাঞ্চন মল্লিক।সরকারি হাসপাতালের নিরাপত্তা শিকেয় ওঠার অভিযোগে যখন উত্তাল রাজ্য, তখন কর্মবিরতির মাধ্যমেই প্রতিবাদ চালিয়ে যাচ্ছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। সেই প্রসঙ্গ টেনেই উত্তরপাড়ার তারকা বিধায়ক কাঞ্চনের প্রশ্ন, “অনেক সরকারি কর্মচারি কর্মবিরতিতে রয়েছেন। তারা সরকারের থেকে বেতন নিচ্ছেন তো নাকি? বোনাস নেবেন তো, না সেটা প্রত্যাহার করবেন?”, এটা আমার প্রশ্ন। পাশাপাশি আর জি কর কাণ্ডের তীব্র নিন্দাও করেন তিনি। তবে যাঁরা এই ইস্যুটিতে মুখ্যমন্ত্রীর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগ চাইছেন, তাঁদের উদ্দেশে কাঞ্চনের প্রশ্ন, “আসল উদ্দেশ্য কোনটি- দোষীর শাস্তি নাকি মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ?”

Card image cap

আরজি কর কাণ্ডে শ্রেয়ার প্রতিবাদ

অরিজিৎ সিংয়ের পর এবার শ্রেয়া ঘোষাল। নাহ, আরজি কর কাণ্ডে তিনি কোনও গান লিখলেন না বা গাইলেনও না। বরং প্রতিবাদে কলকাতায় নিজের কনসার্টের তারিখ পিছিয়ে দিলেন শিল্পী। শ্রেয়ার কনসার্টটি হওয়ার কথা ছিল ১৪ সেপ্টেম্বর। শ্রেয়া জানালেন, কনসার্টটি পরিবর্তিত হয়ে অনুষ্ঠিত হবে অক্টোবর মাসে।শনিবার সকালে শ্রেয়া, সোশাল মিডিয়ায় শেয়ার করলেন লম্বা বিবৃতিও। তিনি লিখলেন, ”কলকাতায় সম্প্রতি যে নৃশংস ঘটনা ঘটেছে, আমাকে তা গভীর ভাবে প্রভাবিত করেছে। এক জন মহিলা হিসাবে ঘটনার নৃশংসতায় আমি শিউরে উঠছি। নির্যাতিতাকে কী ধরনের অত্যাচার সহ্য করতে হয়েছিল, তা ভেবেই আমার গায়ে কাঁটা দিচ্ছে। আমি এবং আমার প্রচারক এফএম সংস্থা এই পরিস্থিতিতে কলকাতার কনসার্টটি পিছিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ১৪ সেপ্টেম্বর ওই কনসার্ট হওয়ার কথা ছিল। আগামী অক্টোবরে কনসার্টটি হবে। আমরা সকলেই এই কনসার্টের জন্য অপেক্ষা করেছিলাম। কিন্তু এই পরিস্থিতিতে প্রতিবাদীদের পাশে দাঁড়ানো বেশি গুরুত্বপূর্ণ। শুধু ভারত নয়, সারা বিশ্বের মহিলাদের নিরাপত্তার জন্য প্রার্থনা করছি।”গত ৯ আগস্ট আর জি কর হাসপাতালে তরুণী ডাক্তারের ধর্ষণ, খুনের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত সঞ্জয় রায় পুলিশ হেফাজতে, অন্যদিকে প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ নিত্যদিন সিবিআই জেরার মুখে। ইতিমধ্যেই ইন্ডিয়া মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন-এর তরফে নিষিদ্ধ করা হয়েছে সন্দীপকে। তবে ঘটনার দু সপ্তাহ পেরলেও এখনও পর্যন্ত অন্য কেউ গ্রেপ্তার হয়নি। যেখানে একাধিকবার প্রশ্ন উঠেছে, এমন নৃশংস হত্যাকাণ্ড কারও একার পক্ষে ঘটানো সম্ভব নয়! প্রাথমিক তথ্যপ্রমাণ লোপাটের অভিযোগও উঠেছে। গত বৃহস্পতিবারই সুপ্রিম কোর্ট পুলিশের প্রাথমিক তদন্ত প্রক্রিয়াকেও প্রশ্নের মুখে দাঁড় করিয়েছে। আর জি কর কাণ্ড নিয়ে ‘রাজনীতি করার’ অভিযোগও উঠছে নানা মহলে। সোশাল মিডিয়ায় ট্রোল-মিমের বাজারে আন্দোলনের উদ্দেশ্যই যেন দিশেহারা! এমতাবস্থায় আবারও তদন্তপ্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সৃজিত মুখোপাধ্যায়। পরিচালক মনে করিয়ে দিলেন, ভুলে গেলে চলবে না!