CATEGORY games:

Card image cap

বলের পর ব্যাট হাতেও কামাল শামির

মহম্মদ শামির প্রত্যাবর্তনে আমূল বদলে গিয়েছে বাংলা দল। রনজিতে প্রথম ৪ ম্যাচে সম্বল মাত্র ৮ পয়েন্ট। পরের রাউন্ডে ওঠার রাস্তা ক্রমশ মুশকিল হচ্ছিল। সেখান থেকে মধ্যপ্রদেশের বিরুদ্ধে ম্যাচ থেকে পুরো পয়েন্ট তোলার স্বপ্ন দেখছেন অনুষ্টুপ মজুমদাররা। যার নেপথ্যে ‘কামব্যাক কিং’ মহম্মদ শামি। শুধু বল হাতে নয়, পরে ব্যাট হাতেও কামাল দেখালেন তিনি।৩৬০ দিন পর ক্রিকেট মাঠে প্রত্যাবর্তন করেছেন শামি। মধ্যপ্রদেশের বিরুদ্ধে প্রথম ইনিংসে তুলে নিয়েছেন ৪ উইকেট। তাঁর আগুনে বোলিংয়েই প্রথম ইনিংসে লিড পায় বাংলা। যেখানে বাংলার ২২৮ রানের জবাবে মধ্যপ্রদেশ থেমে যায় ১৬৭ রানে। ৬১ রানের লিড নিয়ে দ্বিতীয় দিনের শেষে বাংলার স্কোর ছিল ১৭০ রানে ৫ উইকেট। তৃতীয় দিনে ঋত্বিক চ্যাটার্জি অর্ধশতরান করেন। অন্যদিকে ঋদ্ধিমান সাহা ৪৪ রান করেন। তাতেও মনে হচ্ছিল বড় রানের লিড পাবে না বাংলা। তখনই জ্বলে উঠলেন শামি।তিনি ৩৬ বলে করেন ৩৭ রান। মারেন ২টি ছয়, ২টি চার। বাংলার ইনিংস থামে ২৭৬ রানে। মধ্যপ্রদেশের জন্য ৩৩৮ রানের পাহাড়প্রমাণ লক্ষ্য রাখেন অনুষ্টুপরা। জবাবে তৃতীয় দিনের শেষে মধ্যপ্রদেশের রান ৩ উইকেট হারিয়ে ১৫০ রান। ৩২ রানে অপরাজিত আছেন রজত পাতিদার। শুভ্রাংশু সেনাপতি করেন ৫০ রান। চতুর্থ দিনে জয়ের জন্য এখনও ১৮৮ রান তুলতে হবে। সেখানে অবশ্যই মোকাবিলা করতে হবে শামির বিধ্বংসী বোলিংয়ের। এদিন তিনি তুলে নিয়েছেন ১টি উইকেট। মরশুমে প্রথমবার পুরো পয়েন্ট তোলার জন্য শামির সঙ্গে যৌথ আক্রমণ চালাবেন সূরয সিন্ধু, মহম্মদ কাইফ, শাহবাজ আহমেদরা। কিন্তু এদিনের ইনিংসে শামি এটাও পরিষ্কার করে দিয়েছেন, যদি বর্ডার গাভাসকর ট্রফিতে তিনি দলে ঢুকতে পারেন, তাহলে বলের পাশাপাশি ব্যাট হাতেও ভরসা দেবেন।

Card image cap

বর্ডার-গাভাসকর ট্রফিতে শামির খেলার সম্ভাবনা প্রবল

যদি ফিটনেস নতুন করে অস্বস্তিতে না ফেলে, যদি হাঁটু আবার না ফুলে যায়, তা হলে দ্রুতই অস্ট্রেলিয়ার বিমান ধরার সম্ভাবনা রয়েছে মহম্মদ শামির। তবে সেক্ষেত্রে ইন্দোরে বাংলা বনাম মধ‌্যপ্রদেশ চলতি রনজি ম‌্যাচের দ্বিতীয় ইনিংসে তিনি কী করেন, সেটা গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে।মধ‌্যপ্রদেশের বিরুদ্ধে প্রথম দিন বল হাতে উইকেটহীন থাকলেও বৃহস্পতিবার খেলার দ্বিতীয় দিন ভালো বোলিং করেছেন শামি। চার-চারটে উইকেট নিয়েছেন। সব মিলিয়ে উনিশ ওভার বোলিং করেছেন। শামির আগুনে বোলিংয়ে ম‌্যাচে ফিরেও এসেছে বাংলা। মধ‌্যপ্রদেশকে তাদের ঘরের মাঠেই চাপে ফেলে দিয়েছেন অনুষ্টুপ মজুমদাররা। সবচেয়ে বড় কথা, মাঠে উপস্থিত বাংলা ক্রিকেটারদের কথা অনুযায়ী, প্রায় পুরনো শামিকেই এ দিন দেখা গিয়েছে। যাঁর বোলিংয়ের কোনও হদিশই পাননি মধ‌্যপ্রদেশ ব‌্যাটাররা। বিশেষ করে বলা হচ্ছে, মধ‌্যপ্রদেশ অধিনায়ক শুভম শর্মাকে করা শামির ডেলিভারিটা। যার কোনও ধারণাই করতে পারেননি শুভম। অসহায় ভাবে শুধু দেখেন যে, তাঁর স্টাম্প উড়ে গিয়েছে!ভারতীয় টিম ম‌্যানেজমেন্টও চাইছে, সম্ভব হলে দ্রুত শামিকে অস্ট্রেলিয়ায় ভারতীয় স্কোয়াডের সঙ্গে জুড়ে দিতে। তবে তার আগে দু’টো জিনিস দেখতে চান জাতীয় নির্বাচকরা। প্রথমত, দ্বিতীয় ইনিংসেও সামি আঠারো-উনিশ ওভার বোলিং করেন কি না? দ্বিতীয়ত, খেলা শেষের দিন তিনেকের মধ‌্যে তাঁর হাঁটু নতুন করে ফলে ওঠে কি না?এখানে লিখে রাখা যাক, জাতীয় ক্রিকেট সার্কিটকে চমকে দিয়ে নিজের প্রত‌্যাবর্তন মাহেন্দ্রক্ষণ এগিয়ে এনেছেন শামি। প্রথমে ঠিক ছিল যে, আগামী ২৩ নভেম্বর থেকে শুরু হতে চলা সৈয়দ মুস্তাক আলি টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট দিয়ে ক্রিকেটে ফিরবেন তিনি। গত বছর দেশের মাটিতে ওয়ান ডে বিশ্বকাপ ফাইনালের পর আবার। কিন্তু হঠাৎই শেষ মুহূর্তে ঠিক করেন, বাংলার হয়ে রনজি ম‌্যাচে নামবেন। সেই মতো জাতীয় ক্রিকেট অ‌্যাকাডেমির ট্রেনার নীতীন প‌্যাটেলকে নিয়ে তড়িঘড়ি চলে যান ইন্দোর। শামি কেমন করছেন দেখতে এক জাতীয় নির্বাচকও পৌঁছে যান ইন্দোর। শোনা গেল, শামি ক’টা উইকেট পেলেন বা পাবেন, সেটা তাঁর অস্ট্রেলিয়ার ফ্লাইট ধরার ক্ষেত্রে গুরুত্ব পাবে না। পাবে, তিনি দিনে কত ওভার করে বল করতে পারছেন। আর খেলা শেষে কোনও রকম অস্বস্তি তিনি টের পাচ্ছেন কি না। আগামী ৬ ডিসেম্বর থেকে অ‌্যাডিলেডে গোলাপি বলের টেস্ট। যদি সব ঠিকঠাক থাকে, তা হলে তার আগে অস্ট্রেলিয়া পাঠিয়ে দেওয়া হতে পারে শামিকে। অ‌্যাডিলেড টেস্টে তিনি নেমেও পড়তে পারেন।

Card image cap

প্রথম টেস্টে কি খেলবেন রোহিত?

রোহিত শর্মা কি আদৌ বর্ডার-গাভাসকর ট্রফির প্রথম ম্যাচে খেলতে পারবেন? গোটা ভারতীয় দল অস্ট্রেলিয়ায় পৌঁছে গেলেও এই প্রশ্নের জবাব নেই কারোওর কাছে। এহেন পরিস্থিতিতে বুধবার মুম্বইয়ে প্র্যাকটিসে নেমে পড়লেন ভারত অধিনায়ক। তাঁর ঘনিষ্ঠমহলের দাবি, পরিস্থিতি যাই হোক না কেন প্রথম টেস্টের জন্য নিজের সেরা প্রস্তুতি সেরে রাখতে চাইছেন রোহিত।আগামী ২২ নভেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে বর্ডার-গাভাসকর ট্রফি । পাঁচ টেস্টের সিরিজ খেলবে ভারত এবং অস্ট্রেলিয়া। সেই সিরিজের প্রথম টেস্টে রোহিত খেলবেন কিনা, সেটা নিয়ে রীতিমতো ধোঁয়াশা রয়েছে। যা খবর তাতে ভারত অধিনায়ক দ্বিতীয়বার বাবা হতে চলেছেন। পারথ টেস্টের সময়ই পৃথিবীর আলো দেখার কথা রোহিতের দ্বিতীয় সন্তানের। সেকারণেই নাকি ভারত অধিনায়ক আগেভাগে বোর্ডের কাছে ছুটিও চেয়ে রেখেছিলেন। কিন্তু বোর্ড বা রোহিত কোনও তরফেই ছুটি নেওয়ার বিষয়টি প্রকাশ করা হয়নি।সোমবারই অস্ট্রেলিয়ায় পৌঁছে গিয়েছে ভারতীয় দল। কিন্তু অজিভূমে রওনা দেওয়ার আগে পর্যন্তও হেড কোচ গৌতম গম্ভীর জানতেন না, পারথে প্রথম টেস্টে আদৌ রোহিত খেলবেন কিনা। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি স্রেফ বলেন, “এই মুহূর্তে কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানা যায়নি। পরিস্থিতি অনুযায়ী সকলকে জানানো হবে। আশা করি রোহিতকে প্রথম টেস্টে পাওয়া যাবে। তবে সেটা সিরিজ শুরুর আগে জানিয়ে দেওয়া হবে।”এহেন পরিস্থিতিতে বুধবার মুম্বইয়ে অনুশীলন করতে দেখা যায় রোহিতকে। রিলায়্যান্স কর্পোরেট পার্কে ব্যাট করতে নেমে পড়েন তিনি। রোহিতের ঘনিষ্ঠমহলের মতে, ভারত অধিনায়ক আদৌ অস্ট্রেলিয়া যাবেন কিনা সেই নিয়ে এখনও কিছুই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। পুরোটাই ব্যক্তিগত বিষয়। একজন বাবা হিসাবে এই সময়ে স্ত্রী এবং পরিবারের সঙ্গে থাকা উচিত বলেই মনে করছেন রোহিত। কিন্তু একইসঙ্গে তিনি টেস্ট সিরিজের প্রস্তুতিতেও তিনি কোনও ফাঁক রাখতে চান না। সুযোগ পেলেই মুম্বইয়ে ব্যাট করতে নেমে পড়বেন রোহিত, এমনটাই বলছে তাঁর ঘনিষ্ঠমহল।

Card image cap

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি নিয়ে হুঙ্কার পাক সরকারের

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির একটাও ম্যাচ দেশ থেকে সরাতে দেওয়া হবে না। সাফ জানিয়ে দিল পাকিস্তান সরকার। ভারতীয় দল চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলতে পাকিস্তানে যাবে না বলে ঘোষণা করার পরেই সরকারের দ্বারস্থ হয়েছিল পিসিবি। আগামী দিনে কী সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত, সেই বিষয়ে শাহবাজ শরিফ সরকারের পরামর্শ চেয়েছিল পাক বোর্ড। পরামর্শ দিতে গিয়েই সরকার স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, কোনওভাবেই দেশের মাটি থেকে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ম্যাচ সরানো যাবে না।দীর্ঘ জল্পনার পরে রবিবার পাক বোর্ডের তরফে জানানো হয়, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলতে পাকিস্তানে যেতে চায় না ভারত। তার পরেই শোনা যায়, ভারতের সিদ্ধান্ত নিয়ে আইনি পরামর্শ নিতে পারে পিসিবি। এমনকী চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি থেকে নামও প্রত্যাহার করতে পারে পাকিস্তান। এহেন পরিস্থিতিতে সরকারের দ্বারস্থ হয় পাক বোর্ড। পিসিবি মুখপাত্র সামি উল হাসান বলেন, “আইসিসি থেকে একটি ইমেল পেয়েছে পাক বোর্ড। আপাতত ওই ইমেল ফরোয়ার্ড করে দেওয়া হয়েছে সরকারের কাছে। আগামী দিনে কী পদক্ষেপ করা উচিত সেই নিয়ে সরকারের পরামর্শ চাইবে পিসিবি।”শাহবাজ সরকার স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির কোনও ম্যাচ পাকিস্তান থেকে সরানো হবে না। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পিসিবি কর্তা বলেন, “চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি আয়োজনের অধিকার রয়েছে আমাদের হাতে। তাই কোনওমতেই ম্যাচগুলো পাকিস্তানের বাইরে সরানো যাবে না। আগামী দিনেও আমরা এই কথাই বলব। সরকারের তরফে আমাদের এমনটাই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।”উল্লেখ্য, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি পিসিবির জন্য শুধু সম্মানের বিষয় নয়, পিসিবির আর্থিক ভবিষ্যৎও নির্ভর করছে এই টুর্নামেন্টের উপর। হিসাবে বলছে, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি পাকিস্তানে না হলে প্রায় সাড়ে ৬ কোটি মার্কিন ডলার লোকসান হতে পারে পাক বোর্ডের। টিকিটের দাম, স্পনসরশিপ, সম্প্রচার স্বত্ত্ব সব মিলিয়ে এই বিপুল অর্থ লাভের আশায় পাক বোর্ড। যদি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি হাইব্রিড মডেলেও হয়, তাহলেও একটা বড় অঙ্কের লাভ কমে যাবে। তাই কোনও অবস্থাতেই পাকিস্তান চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিকে হাতছাড়া করতে চায় না।

Card image cap

রনজিতেই মাঠে ফিরছেন শামি

দীর্ঘদিন ধরে তাঁকে ভারতীয় দলের জার্সি গায়ে মাঠে নামতে দেখা যায়নি। মহাগুরুত্বপূর্ণ বর্ডার-গাভাসকর ট্রফিতেও দলে রাখা হয়নি তাঁকে। দেশের মাটিতে গত নভেম্বরে ওয়ানডে বিশ্বকাপ ফাইনালের পর আর মাঠে নামা হয়নি মহম্মদ শামির। একের পর এক চোটআঘাত ধাওয়া করেছে ভারতীয় পেসারকে। অবশেষে অপেক্ষার অবসান। ৩৫৯ দিন পর মাঠে ফিরতে চলেছেন মহম্মদ শামি । আর সেটা বাংলার জার্সিতেই। সেই বিষয়ে নিশ্চিত করেছে সিএবি।নাটকের পর নাটক চলেছে শামিকে নিয়ে। চোট, ফিরে আসার মরিয়া চেষ্টা। ফের চোটের জন্য কামব্যাক পিছিয়ে যাওয়া। বর্ডার গাভাসকর দলে সুযোগ না পাওয়া। সবকিছুর শেষে সুখবর ক্রিকেটভক্তদের জন্য। বুধবার রনজি ট্রফিতে বাংলার ম্যাচ রয়েছে মধ্যপ্রদেশের সঙ্গে। সেখানে ফের শামিকে চেনা রান আপে ছুটে আসতে দেখা যাবে। মঙ্গলবার রাত সাড়ে আটটায় ইন্দোর পৌঁছচ্ছেন শামি। জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমি থেকে ইতিমধ্যেই ছাড়পত্র চলে এসেছে। সূত্রের খবর ছিল আসন্ন সৈয়দ মুস্তাক আলি টি-টোয়েন্টিতে নামতে পারেন শামি। কিন্তু নাটকীয় পালাবদলে অতদিন অপেক্ষা করার প্রয়োজন পড়বে না ক্রিকেটভক্তদের। সিএবি থেকে জানানো হয়েছে, “তারকা পেসার মহম্মদ শামি বুধবার রনজির এলিট সি গ্রুপে মধ্যপ্রদেশের সঙ্গে বাংলার ম্যাচে প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে প্রত্যাবর্তন করতে চলেছেন। যা বাংলা রনজি দল ও ভারতীয় ক্রিকেটের জন্য বিরাট সুখবর। বাংলা দলে শামির অন্তর্ভুক্তি দলের তাগিদ আরও বাড়িয়ে দেবে।”সুবিধা পাবে বাংলা দলও। কারণ মধ্যপ্রদেশ ম্যাচের আগে বাংলা চিন্তায় পড়ে গিয়েছে। দু’জন পেসারের চোট রয়েছে। ঈশান পোড়েলের হ্যামস্ট্রিংয়ে চোট। কর্নাটকের বিরুদ্ধে রনজি অভিষেক ম্যাচে দুরন্ত বোলিং করা ঋষভ বিবেক ভুগছেন সাইড স্ট্রেন সমস্যায়। ঈশান আর ঋষভ, দু’জনকেই এই ম্যাচে পাওয়া যাবে কি না, তা নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। আর সেটা যে শামির প্রত্যাবর্তনের জন্য আদর্শ মঞ্চ হয়ে উঠবে, সে কথা বলাই বাহুল্য।

Card image cap

পাকিস্তানের অনড় মনোভাবে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি নিয়ে জট অ‌ব‌্যাহত

 চ‌্যাম্পিয়ন্স ট্রফি নিয়ে মহাসমস‌্যায় পড়ে গিয়েছে আইসিসি। বিসিসিআইয়ের তরফ থেকে ইতিমধ্যেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে ভারতীয় টিম কোনও অবস্থাতেই পাকিস্তানে গিয়ে চ‌্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলবে না। ভাবা হচ্ছিল গতবার এশিয়া কাপ যেমন হাইব্রিড মডেলে হয়েছিল, সেভাবেই চ‌্যাম্পিয়ন্স ট্রফি হয়তো হবে। এশিয়া কাপে গ্রুপ পর্যায়ে পাাকিস্তান নিজেদের মাঠে নিজেদের ম‌্যাচগুলো খেলেছিল। আর ভারত খেলেছিল শ্রীলঙ্কাতে। সেক্ষেত্রে চ‌্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতেও ভারতের সব ম‌্যাচ দুবাইয়ে আয়োজনের ব‌্যবস্থা হবে, সেরকমই ভেবে রাখা হয়েছিল কিন্তু সেখানেও বেঁকে বসেছে পাকিস্তান।পিসিবির তরফ থেকে পরিষ্কার বলে দেওয়া হয়েছে, যেহেতু আয়োজকের দায়িত্ব তাদের দেওয়া হয়েছে, তাই তারা কোনওভাবেই হাইব্রিড মডেলে সম্মতি দেবে না। অন‌্যথা তারা চ‌্যাম্পিয়ন্স ট্রফি থেকে নাম প্রত‌্যাহার করে নেবে। ঠিক এখানেই সমস‌্যায় পড়েছে আইসিসি। এদিন সকাল থেকে একটা খবর ছড়িয়ে যায় যে হাইব্রিড মডেলে যদি পিসিবি রাজি না হয়, তাহলে পুরো টুর্নামেন্টটাই দক্ষিণ আফ্রিকায় সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হতে পারে। তবে আইসিসির অন্দরমহলে খবর নিয়ে জানা গেল যে এরকম কোনও সম্ভাবনা এদিন পর্যন্ত তৈরি হয়নি। যে কোনও আইসিসি ইভেন্টের জন‌্যই বিকল্প পরিকল্পনা তৈরি করে রাখে ইন্টারন‌্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল। পরিস্থিতি অনুযায়ী প্ল‌্যানিং বদলানোই যায়। ঠিক যেভাবে বাংলাদেশ থেকে মহিলাদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ সরিয়ে সংযুক্ত আরবআমিরশাহীতে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। আইসিসির কারও কারও মতে, নতুন ভেনু চূড়ান্ত করার ব‌্যাপারটা আইসিসির কাছে সমস‌্যা নয়। সেটা টুর্নামেন্টের এক মাস আগেও করা যেতে পারে। আইসিসির সমস‌্যাটা অন‌্য জায়গায়।আইসিসির অন্দরমহলে খবর নিয়ে জানা গেল যে, পাকিস্তান বোর্ডের তরফ থেকে যেরকম কড়া মনোভাব পেশ করা হয়েছে, তাতে জটিলতা আরও বেড়ে গিয়েছে। শুধু পিসিবি নয়, এই ব‌্যাপারটায় মধ্যে ঢুকে পড়েছে পাকিস্তান সরকারও। পিসিবির থেকে স্পষ্টভাবে আইসিসিকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে, চ‌্যাম্পিয়ন্স ট্রফির জন‌্য তিনটে স্টেডিয়ামের আমূল সংস্কার করা হয়েছে। যার জন‌্য বিপুল অর্থ খরচ হয়েছে। এখন যদি হাইব্রিড মডেলে এই টুর্নামেন্ট হয়, তাহলে তাদের ক্ষতির মুখে পড়তে হবে। তাছাড়া বহুবছর পর পাকিস্তান আবার আইসিসি ট্রফি আয়োজনের দায়িত্ব পেয়েছে। কোনও অবস্থাতেই তারা সেটা হাতছাড়া করতে চায় না। পাকিস্তানের তরফ থেকে নাকি আইসিসিকে পাল্টা হুমকি দেওয়া হচ্ছে। কারও কারও মনে হয়েছে, চ‌্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ক্ষেত্রে ভারতকে যেমন দরকার। তেমনই আইসিসির পাকিস্তানকেও দরকার। সেটা নিয়ে সবচেয়ে বেশি চাপে পড়ে গিয়েছেন আইসিসি কর্তারা। শোনা গেল, পাকিস্তানের তরফ থেকে যুক্তি দেওয়া হয়েছে যে ইংল‌্যান্ড, অস্ট্রেলিয়ার মতো টিম তাদের দেশে এসে সিরিজ খেলে গিয়েছে। ফলে নিরাপত্তাজনিত কোনও সমস‌্যা হওয়ার কথা নয়। তবে ভারতীয় দল পাকিস্তানে খেলতে যাবে না কি না, সেটা বিসিসিআইয়ের হাতে নেই। সরকারি ছাড়পত্রের দরকার।

Card image cap

বর্ডার-গাভাসকর ট্রফি খেলতে সবার আগে অস্ট্রেলিয়ায় বিরাট

বর্ডার-গাভাসকর ট্রফি খেলতে অস্ট্রেলিয়ায় পৌঁছলেন বিরাট কোহলি। ভারতীয় ক্রিকেটারদের মধ্যে তিনিই প্রথম অজিভূমে পা রাখলেন। উল্লেখ্য, সাম্প্রতিক অতীতে একেবারেই নিজের নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি কিং কোহলি। তার জেরে সমালোচনাও ধেয়ে এসেছে তাঁর দিকে। এহেন পরিস্থিতিতে বিরাট অজি সফরে কেমন খেলেন, সেদিকে তাকিয়ে ক্রিকেটমহল।অজি সংবাদমাধ্যম ‘দ্য ওয়েস্ট অস্ট্রেলিয়ান’ সূত্রে খবর, রবিবার বিকেলেই পারথে পৌঁছে গিয়েছেন বিরাট। দলের বাকি ক্রিকেটাররা রবিবার রাতে অস্ট্রেলিয়ার বিমান ধরেছেন। কোচ গৌতম গম্ভীরের সঙ্গে কয়েকজন ক্রিকেটার রওনা দেবেন সোমবার। বেসরকারি টেস্ট খেলার জন্য আগে থেকেই অস্ট্রেলিয়ায় চলে গিয়েছিলেন অভিমন্যু ঈশ্বরণ, কে এল রাহুল এবং ধ্রুব জুরেল। জানা গিয়েছে, মঙ্গলবারের মধ্যেই গোটা দল পৌঁছে যাবে অস্ট্রেলিয়া। সেদিন থেকেই শুরু হবে মেন ইন ব্লুর অনুশীলন।তবে একেবারে রুদ্ধদ্বার অনুশীলন করতে চাইছে ভারতীয় শিবির। ‘দ্য ওয়েস্ট অস্ট্রেলিয়ান’ রিপোর্টে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার থেকেই ওয়াকা মাঠে অনুশীলনে নেমে পড়বে ভারত। কিন্তু স্টেডিয়াম সংলগ্ন এলাকায় যেন অঘোষিত লকডাউন জারি হয়েছে। কারণ ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্টের তরফে সাফ জানানো হয়েছে, অনুশীলনে বাইরের কাউকেই থাকার অনুমতি দেওয়া যাবে না। উল্লেখ্য, ২২ নভেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে বর্ডার-গাভাসকর ট্রফি। পারথেই খেলা হবে প্রথম টেস্ট।উল্লেখ্য, বেশ কয়েকদিন ধরেই ফর্মে নেই বিরাট। তাঁকে খোঁচা দিয়ে রিকি পন্টিং বলেছেন, গত পাঁচ বছরে মাত্র দুটো সেঞ্চুরি করলে অন্য কোনও ক্রিকেটারকেই দলে রাখা হত না। তবে পালটা দিয়ে গম্ভীরের দাবি, এখনও আগের মতোই রানের জন্য ক্ষুধার্ত বিরাট। সেটাই খুব দরকার গোটা ড্রেসিংরুমের পক্ষে। অজি সফরে গিয়ে কি হারানো ফর্ম ফিরে পাবেন কোহলি? 

Card image cap

গম্ভীর মিডিয়ার সঙ্গে কথা বলতে জানেন না

প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটার সঞ্জয় মঞ্জরেকরের সঙ্গে জাতীয় দলের বর্তমান কোচ গৌতম গম্ভীরের গভীর মিত্রতার খবর না থাকলেও ‘শত্রুতা’র খবরও কখনও ছিল না। তা, সেই মঞ্জরেকরই যে গম্ভীরকে এ ভাবে অতর্কিত আক্রমণ করে বসবেন, কে জানত! কে জানত, মঞ্জরেকর সরাসরি গম্ভীরের প্রকাশ‌্য আচার-আচরণ, কথাবার্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দেবেন! বলে দেবেন যে, গম্ভীরকে সাংবাদিক সম্মেলন করতেই পাঠানো উচিত নয়! কারণ, মিডিয়ার সামনে কী ভাবে কথা বলতে, কী রকম আচরণ করতে হয়, তা তিনি জানেন না!আসলে রেখেঢেকে কিংবা ঘুরিয়ে-পেঁচিয়ে কথা বলতে কোনও কালেই পছন্দ করেন না গম্ভীর। খেলতেন যখন, তখনও সোজাসাপ্টা ছিলেন। আজও তাই। যে কারণে প্রায়শই তাঁকে চাঁচাছোলা ভাষায় কথা বলতে দেখা যায়, যা কি না অধুনা পেশাদারি ক্রিকেট পৃথিবীর অভিধান বিরুদ্ধ। সোমবারও অস্ট্রেলিয়া রওনা হওয়ার আগে সাংবাদিক সম্মেলন করতে বসে ঝাঁঝালো জবাব দিতে দেখা গিয়েছে গম্ভীরকে। রিকি পন্টিং সংক্রান্ত প্রশ্নে। যেখানে সম্প্রতি কোহলির পড়তি ফর্ম প্রসঙ্গে পন্টিংয়ের মতামত নিয়ে ভারতীয় কোচকে প্রশ্ন করা হলে তিনি সোজা বলে দেন, ‘‘পন্টিং অস্ট্রেলিয়া নিয়ে ভাবুক! ভারতীয় দল নিয়ে এত তো ওর ভাবার প্রয়োজন নেই।’’ অনেকেরই মনে হচ্ছে, মঞ্জরেকরের মন্তব‌্য গম্ভীরের সেই বিতর্কিত বক্তব‌্যের প্রেক্ষিতে। কারণ, গম্ভীরের সাংবাদিক সম্মেলন শেষের পরই মঞ্জরেকর টুইটারে (বর্তমানে এক্স) লিখে দেন, ‘গম্ভীরের প্রেস কনফারেন্স দেখলাম। আমার মনে হয়, বোর্ডের উচিত গম্ভীরকে প্রেস কনফারেন্সে আসতে না দেওয়া। ও বরং পিছনে থেকে দলের জন‌্য কাজ করুক। মিডিয়ার সামনে রোহিত কিংবা আগরকরকে আনলেই ভালো। কারণ, মিডিয়ার সঙ্গে কী ভাবে কথা বলতে হয়, তা গম্ভীর জানে না। ওর আচার-আচরণও ঠিক নয়।’ঘটনা হল, মঞ্জরেকরের এ ধরনের বিতর্কিত মন্তব‌্য নতুন নয়। ভারতীয় টিমের ক্রিকেটারদের সঙ্গে তাঁর অতীতেও লেগেছে। একবার তিনি রবীন্দ্র জাদেজাকে ‘বিটস অ‌্যান্ড পিসেস ক্রিকেটার’ বলে তীব্র বিতর্ক বাঁধিয়ে দিয়েছিলেন। যার পর জাদেজাও তাঁকে কড়া ভাবে আক্রমণ করেছিলেন। এবার মঞ্জরেকরের নিশানায় ‘গুরু গম্ভীর’। দেখার, জাদেজার মতো তিনিও আগামীতে মঞ্জরেকরকে পাল্টা উত্তর দেন কি না?

Card image cap

লাল-হলুদকে হারাতে ব্যর্থ মহামেডান

ঐতিহ্যের ডার্বি। বহু ইতিহাসের ডার্বি। আইএসএলে প্রথমবার মুখোমুখি ইস্টবেঙ্গল এবং মহামেডান। আর সেই ম্যাচে ফুটবলের লড়াই ছাপিয়ে সঙ্গী রইল বিতর্ক। ৩০ মিনিটের মধ্যে জোড়া লাল কার্ড। কিন্তু পরের ৬০ মিনিটের বেশি লাল-হলুদকে ৯ জনে পেয়েও জয়ের দেখা পেল না মহামেডান। বরং অদম্য লড়াইয়ে আইএসএলের প্রথম পয়েন্ট আদায় করে নিল অস্কার ব্রুজোর ছেলেরা। ম্যাচ শেষ হল গোলশূন্য ড্রয়ে। যার সূত্রপাত ম্যাচের ২৯ মিনিটে। দুদলই ততক্ষণ তুল্যমূল্য লড়াই চালাচ্ছিল। গোলের সুযোগ এসেছিল দুদলের সামনেই। ২৮ মিনিটে মহামেডানের অমরজিৎ সিং কিয়াম বাধা দেন ইস্টবেঙ্গলের নন্দকে। সেই সময় নন্দর হাত সোজা গিয়ে আঘাত করে অমরজিতের মুখে। রেফারি হরিশ কুণ্ডু প্রথমে হলুদ কার্ড দেখান অমরজিতকেই। তার পর সহকারী রেফারির সঙ্গে কথা বলে সোজা লাল কার্ড দেখান নন্দকে।নাটকের তখনও বাকি ছিল। পরের মুহূর্তেই লাল কার্ড দেখেন ইস্টবেঙ্গলের মহেশ সিং। আগের সিদ্ধান্তে ক্রুদ্ধ মহেশ লাথি মারেন মাঠে পড়ে থাকা একটি জলের বোতলে। রেফারি সামনেই ছিলেন। এর আগেই একটি হলুদ কার্ড দেখেছিলেন মহেশ। আরও একটি কার্ড দেখিয়ে তাঁকে বাইরের পথ দেখান হরিশ কুণ্ডু। আইএসএলে এই প্রথমবার কোনও দল প্রথমার্ধেই জোড়া লাল কার্ড দেখল।ম্যাচের গতিপ্রকৃতি ওখানেই ঠিক হয়ে যেতে পারত। কিন্তু ৯ জনেও লড়াই থেকে সরে আসেনি লাল-হলুদ বাহিনী। মহামেডানের একের পর আঘাত রুখে দিতে থাকেন ইস্টবেঙ্গলের মাঝমাঠ-রক্ষণের ফুটবলাররা। কার্যত অপ্রতিরোধ্য হয়ে ওঠেন গোলকিপার প্রভসুখন সিং গিল। অবশ্য গোলের সুযোগ হারিয়ে কাজ আরও সহজ করে দিয়েছিলেন মহামেডান। একের পর এক ছন্নছাড়া আক্রমণ শানিয়ে কাজের কাজটি করতে পারছিলেন না তারা। মহামেডানের কাসিমোভ ও অ্যালেক্সিস গোমেজের মধ্যে খেলা চলাকালীন ঝামেলা বাঁধে। সাদা-কালোর বাকি ফুটবলাররা তাঁদের ছাড়ান।
দ্বিতীয়ার্ধে অ্যালেক্সিসকে তুলে নেন মহামেডান কোচ চেরনিশভ। সেই জায়গায় নামেন মাঞ্জোকি। কিন্তু তিনিও সহজ সুযোগ নষ্ট করেন। বরং এই ফাঁকে গোলের সুযোগ এসে গিয়েছিল ইস্টবেঙ্গলের কাছে। তালাল-দিমি জুটি গোলের কাছে পৌঁছে গিয়েছিল। অবশ্য লাল কার্ডের আগেই তালালের একটা অসাধারণ ফ্রি কিক কোনও রকমে বাঁচিয়ে ছিলেন মহামেডানের গোলকিপার ভাস্কর রায়। আর শেষের দিকে যেন জীবন বাজি রেখে লড়লেন গিল-হিজাজিরা।
৯ জনে লড়েও মহামেডানকে রুখে দিল ইস্টবেঙ্গল। প্রথম পয়েন্ট ছিনিয়ে নিয়ে আইএসএলে খাতাও খুলল। সেই সঙ্গে এই লড়াই ভবিষ্যতের জন্য বাড়তি অক্সিজেন জোগাবে লাল-হলুদ বাহিনীকে। অন্যদিকে আরও চাপ বাড়ল মহামেডান কোচ আন্দ্রে চেরনিশভের উপর। 

Card image cap

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলতে পাকিস্তানে যাবে না ভারত

যা আশঙ্কা করা হয়েছিল, সেটাই সত‌্যি হল। চ‌্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলতে পাকিস্তান যাবে না ভারত। সরকারিভাবে আইসিসিকে সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিল বিসিসিআই। ফলে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ভবিষ্যৎ নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়ে গেল।আগামী বছর পাকিস্তানে বসছে চ‌্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আসর। এত দিন বেসরকারি ভাবে শোনা যাচ্ছিল যে, ভারত সম্ভবত যাবে না পাকিস্তানে চ‌্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলতে। উলটে শোনা যাচ্ছিল, হাইব্রিড মডেলের দাবিদাওয়া পেশ করবে ভারত। পাকিস্তান আবার চব্বিশ ঘণ্টা আগে ঘোষণা করেছিল যে, তারা কিছুতেই ‘হাইব্রিড মডেল’-কে মেনে নেবে না। ভারত যদি না আসে চ‌্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলতে, তা হলে ভবিষ‌্যতে ভারতে কোনও আইসিসি টুর্নামেন্ট হলে তারাও যাবে না খেলতে।খবর যা, তাতে ভারত যাচ্ছে না শেষ পর্যন্ত। ইতিমধ‌্যে আইসিসিকে সেই সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, ভারতীয় বোর্ডের পক্ষ থেকে। আইসিসিকে বোর্ডের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যে, ভারত সরকার চ‌্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলতে পাকিস্তান যাওয়ার অনুমতি দেবে না। যার অর্থ হল, হাইব্রিড মডেল ছাড়া আর কোনও রাস্তা খোলা থাকল না আইসিসির সামনে। যেখানে পাকিস্তান ও অন‌্য একটা দেশের মধ‌্যে ভাগাভাগি করে খেলা হবে। কিন্তু সেই পথও সহজ হবে কি না, সন্দেহ রয়েছে। কারণ, গত কাল পাকিস্তান বোর্ডের চেয়ারম‌্যান মহসিন নকভি পরিষ্কার বলে দিয়েছিলেন যে, তাঁরা হাইব্রিড মডেলে কোনও ভাবে সম্মতি দেবেন না। নকভি এটাও বলেন, হাইব্রিড মডেলে চ‌্যাম্পিয়ন্স ট্রফি হবে, এ রকম কোনও খবর তাঁরা শোনেনওনি।যাক গে যাক। হাইব্রিড মডেলে যদি শেষ পর্যন্ত হয় চ‌্যাম্পিয়ন্স ট্রফি, তা হলে দু’টো দেশ রয়েছে সেই তালিকায়। এক, আরব আমিরশাহী। যা দূরত্ব বিচারে পাকিস্তানের বেশ কাছে। দুই, শ্রীলঙ্কা। এখানে বলে রাখা যাক, গত এশিয়া কাপের আয়োজকও পাকিস্তানই ছিল। কিন্তু ভারত যায়নি পাকিস্তানে খেলতে। বরং হাইব্রিড মডেলে খেলা হয় এশিয়া কাপ। চ‌্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ক্ষেত্রেও সে জিনিস শেষ পর্যন্ত হয় কি না, দ্রষ্টব‌্য।

Card image cap

টেস্ট দলের কোচের পদ হারাচ্ছেন গম্ভীর!

বিশ্বচ্যাম্পিয়ন দলের দায়িত্ব নিয়েছিলেন। কিন্তু তার পর থেকে মূলত লজ্জাই সঙ্গী হয়েছে গৌতম গম্ভীরের। গত জুলাই থেকে একাধিক লজ্জার নজির গড়েছে ভারতীয় দল। যার সাম্প্রতিকতম উদাহরণ ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে হোয়াইটওয়াশ। ভারতীয় দলের এমন দুর্দশা শেষবার হয়েছিল ২৪ বছর আগে। শোনা যাচ্ছে, একের পর এক হতাশাজনক ফলে বিসিসিআই বিরক্ত। এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবর সত্যি ধরলে, বোর্ড কর্তারা গম্ভীরের পারফরম্যান্সে এতটাই হতাশ যে লাল বলের ক্রিকেট থেকে তাঁকে অব্যাহতি দেওয়ার কথাও ভাবা শুরু হয়েছে।ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ড সিরিজ হার লাল বলের ক্রিকেটে কোচ হিসাবে গম্ভীরের যোগ্যতাকেই প্রশ্নের মুখে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে। শুক্রবারই এই হারের ময়নাতদন্তে বোর্ড কর্তাদের কড়া প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে গুরু গম্ভীরকে। বোর্ড মনে করছে, নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে হতাশাজনক ফলাফলের জন্য অনেকাংশে দায়ী কোচ গম্ভীরের ‘একগুয়েমি’। সূত্রের খবর, গম্ভীরের নেওয়া বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নিয়ে ওই বৈঠকে প্রশ্ন তুলেছেন বোর্ড কর্তারা। বোর্ড কর্তাদের প্রশ্ন, সিরিজে ২-০ ব্যবধানে পিছিয়ে পড়ার পরও কেন মুম্বই টেস্ট জশপ্রীত বুমরাহকে বিশ্রাম দেওয়া হল? পুণেতে স্পিনের সামনে ধরাশায়ী হওয়ার পরও মুম্বইয়ে স্পিন সহায়ক পিচ তৈরি করা হল কেন? পিচ নিয়ে গম্ভীরের ‘ফরমাইশ’ করার প্রবণতা নিয়েও বোর্ড কর্তারা প্রশ্ন তুলেছেন বলে সূত্রের দাবি।এখানেই শেষ নয়। সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম ‘দৈনিক জাগরণ’-এর দাবি, বোর্ড কর্তারা নাকি ঠিক করে ফেলেছেন, আসন্ন বর্ডার-গাভাসকর ট্রফিই গম্ভীরের আসল ‘টেস্ট’। সেই পরীক্ষায় পাশ করতে না পারলে লাল বলের ক্রিকেটের কোচের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হতে পারে। ইতিমধ্যেই টেস্টে গম্ভীরের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠে গিয়েছে। ‘দৈনিক জাগরণ’-এর দাবি, বর্ডার-গাভাসকর ট্রফিতে ভালো ফল করতে না পারলে গম্ভীরকে সরিয়ে টেস্টের দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে ভিভিএস লক্ষ্মণকে। আর গম্ভীরকে শুধু সীমিত ওভারের ক্রিকেটে কোচিং করানোর কথা বলা হতে পারে।নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ৩-০ ব্যবধানে হার ভারতের বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে খেলা নিয়ে বড়সড় প্রশ্ন তুলে দিয়েছে। যা পরিস্থিতি তাতে অজিভূমিতে অন্তত গোটা তিন-চারেক ম্যাচ জিতে না ফিরতে পারলে টেস্ট ফাইনালে খেলা হবে না রোহিতদের। সেটাই টেস্টে গম্ভীরের চাকরি বাঁচানোর শর্ত।

Card image cap

অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে ওয়ানডেতে জয় পাকিস্তানের

দুঃসময় কাটছে পাকিস্তান ক্রিকেটের। ঘরের মাঠে ইংল্যান্ডকে টেস্ট সিরিজে পর্যুদস্ত করার পর এবার অস্ট্রেলিয়ায় গিয়ে দেখা গেল মহম্মদ রিজওয়ানদের দাপট। প্রথম ওয়ানডেতে হারার পর দুরন্ত কামব্যাক পাকিস্তানের। অস্ট্রেলিয়াকে ৯ উইকেটে হারিয়ে ৩ ম্যাচের সিরিজে সমতা ফেরালেন হ্যারিস রাউফরা। ৭ বছর পর অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে ওয়ানডেতে জয়ের দেখা পেল পাকিস্তান।অ্যাডিলেডে এদিন টসে জিতে প্রথমে বল করার সিদ্ধান্ত নেন পাকিস্তানের অধিনায়ক রিজওয়ান। অস্ট্রেলিয়াকে প্রথম ধাক্কাটা দেন শাহিন আফ্রিদি। যার সঙ্গে বাবর আজমের সম্পর্ক নিয়ে বিতর্ক চলছে পাক ক্রিকেটে। এদিন অবশ্য কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়লেন। জেক ফ্রেসার ম্যাকগুর্ককে ১৩ রানে আউট করেন আফ্রিদি। ম্যাট শর্টও তাঁর শিকার। আর সেই ক্যাচটি ধরেন বাবর আজম। এর পর শুরু হয় হ্যারিস রউফের দাপট। ৫ উইকেট নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার গর্জন থামালেন পাক পেসার। তিনিই ম্যাচের সেরা। আউট করলেন জস ইংলিশ, মার্নাস লাবুশানে, অ্যারন হার্ডি, গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ও অধিনায়ক প্যাট কামিন্সকে। কিছুটা লড়েছিলেন স্টিভ স্মিথ। কিন্তু ব্যক্তিগত ৩৫ রানের মাথায় মহম্মদ হাসনাইনের বলে আউট হন তিনি। এক ম্যাচে ৬টি ক্যাচ ধরে বিশ্বরেকর্ড গড়লেন উইকেটকিপার-অধিনায়ক রিজওয়ান। যে রেকর্ড আছে অ্যাডাম গিলক্রিস্ট, মার্ক বাউচারদের। শেষ পর্যন্ত ১৬৩ রানে গুঁটিয়ে যায় অস্ট্রেলিয়ার ইনিংস।জবাবে কোনও বাধাই তৈরি করতে পারেননি মিচেল স্টার্ক, জশ হ্যাজেলউড, প্যাট কামিন্সরা। সাইম আয়ুব ও আবদুল্লা শফিকের জুটিতে জয়ের দোরগোড়ায় পৌঁছে যায় পাকিস্তান। সাইম ৮২ রান করে আউট হয়ে গেলেও জয় পেতে অসুবিধা হয়নি। বাবর আজমের সঙ্গে জুটি বেঁধে পাকিস্তানকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন আবদুল্লা। তিনি অপরাজিত থাকেন ৬৪ রানে। ৯ উইকেটে ম্যাচ জেতেন রিজওয়ানরা। ২৮ বছর পর অ্যাডিলেডে ম্যাচ জিতল পাকিস্তান। শেষবার ১৯৯৬ সালে এই মাঠে ম্যাচ জিতেছিল তারা। এবারের জয়ে তিন ওয়ানডের সিরিজে সমতা ফেরাল পাকিস্তান।

Card image cap

আথিয়া-রাহুলের নয়া ইনিংস

বিয়ের দুবছরের মধ্যেই সুখবর দিলেন আথিয়া শেট্টি। অন্তঃসত্ত্বা অভিনেত্রী। তাঁর ও ক্রিকেটার কে এল রাহুলের জীবনের নতুন অধ্যায় শুরু হচ্ছে। পরিবারে আসছে খুদে সদস্য। শুক্রবারই সোশাল মিডিয়ায় খুশির খবর জানালেন তারকা দম্পতি। সন্তানের জন্মের সময়ও জানিয়ে দিলেন তাঁরা।ক্রিকেটের ময়দানে রাহুলের সময়টা ভালো যাচ্ছে না। কিন্তু ব্যক্তিগত জীবনে স্ত্রী আথিয়ার সঙ্গে নতুন ইনিংস শুরু করলেন ভারতীয় ব্যাটার। আথিয়া-রাহুল দুজনই একই পোস্ট শেয়ার করেছেন সোশাল মিডিয়ায়। আর সেই পোস্টেই জানিয়েছেন, তাঁদের জীবনের সুন্দর এক আশীর্বাদ আসছে। আর সন্তানের জন্ম হবে ২০২৫ সালে।নাতি হোক বা নাতনি, দাদু সুনীল শেট্টির আহ্লাদ আর যেন মনের অন্দরে ধরে না। মেয়ে-জামাইকে অভিনন্দন জানিয়েছেন তিনি। মামা হতে চলেছেন আহান শেট্টিও। আথিয়ার পোস্টে ভালোবাসা ভরা চোখের ইমোজি দিয়েছেন তিনি। আর দিয়েছেন হাততালির ইমোজি। কমেন্টবক্সে বাকিদের শুভেচ্ছার পালাও শুরু হয়ে গিয়েছে। হবু মা-বাবাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রত্যেকে।২০১৯ সালে একে অপরকে মন দিয়ে ফেলেছিলেন রাহুল ও আথিয়া। নিজেরা কখনও ভালোবাসার কথা সরাসরি স্বীকার না করলেও তাঁদের ডেটিংয়ের নানা ছবি প্রকাশ্যে আসে। জন্মদিনে সোশাল মিডিয়াতেই একে অপরকে ভালবাসায় মোড়া শুভেচ্ছা জানাতেন তাঁরা। রাহুল-আথিয়ার প্রেম পরিণতি পায় ২০২৩ সালের ২৩ জানুয়ারি। নীল শেট্টির খান্ডালার বাংলো জাঁহাতেই রাহুলের গলায় মালা দিলেন আথিয়া শেট্টি। এর আগে একাধিকবার তাঁদের পরিবারে নতুন অতিথি আসার রটনা রটেছে। এবার তা ঘটনায় পরিণত হল।

Card image cap

রনজিতে দ্বিশতরান শ্রেয়সের

গতবছর তাঁর নেতৃত্বে আইপিএল জিতেছে কেকেআর। তা সত্ত্বেও এবার নাইটদের রিটেনশন তালিকায় নেই শ্রেয়স আইয়ার। মাঝে তাঁর অফফর্ম নিয়েও বিস্তর চর্চা হয়েছে। কিন্তু এবার রনজি ট্রফিতে ওড়িশার বিরুদ্ধে দ্বিশতরানের দুরন্ত ইনিংস দিয়ে সমালোচকদের মুখ বন্ধ করলেন শ্রেয়স। অন্যদিকে অনুষ্টুপের শতরানে কর্ণাটকের বিরুদ্ধে বড় ইনিংস গড়েছিল বাংলা। বোলাররাও দিনের শেষে স্বপ্ন দেখাচ্ছেন।রনজি ট্রফির দ্বিতীয় ম্যাচে মহারাষ্ট্রের বিরুদ্ধেও সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছিলেন শ্রেয়স। এক ম্যাচ বিশ্রাম নিয়ে ফের নামলেন কর্ণাটকের বিরুদ্ধে। আর এদিন ঘরের মাঠে তিনি করলেন ২৩৩ রান। সিদ্ধেশ লাডের সঙ্গে জুটি বেঁধে মুম্বইকে পৌঁছে দেন ৬০২ রানের পাহাড়চূড়ায়। সিদ্ধেশ করেন ১৬৯ রান। রিটেন না হওয়া আরেক নাইট ক্রিকেটার অঙ্গকৃশ রঘুবংশী ৯২ রান করেন। প্রায় ৮ বছর পর রনজিতে দ্বিশতরান হাঁকালেন শ্রেয়স। সেই সঙ্গে নির্বাচকদের জন্য বার্তা দিয়ে রাখলেন। জবাবে ওড়িশার রান ৫ উইকেট হারিয়ে ১৪৬।অন্যদিকে চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে বাংলাকে বড় রানে পৌঁছে দিয়েছিলেন অধিনায়ক অনুষ্টুপ মজুমদার। শেষ পর্যন্ত বাংলা থামে ৩০১ রানে। তবে অনুষ্টুপ ও শাহবাজ আহমেদ ছাড়া কেউই বড় রান পাননি। শাহবাজ করেন ৫৯ রান। মরশুম শেষে অবসরের ঘোষণা করা ঋদ্ধিমান সাহা আউট হয়ে যান মাত্র ৬ রানে। সাড়ে তিনশো রানের লক্ষ্য থাকলেও সেটা পূরণ হয়নি। তার পরও বল হাতে বাংলাকে স্বপ্ন দেখাচ্ছেন সুরজ সিন্ধু, ঋষভ বিবেকরা। দুজনেই তুলে নিয়েছেন ২টি করে উইকেট। এক উইকেট ঈশান পোড়েলের। দ্বিতীয় দিনের শেষে কর্ণাটকের রান ৫ উইকেট হারিয়ে ১৫৫ রান। বাংলা এগিয়ে আছে ১৪৬ রানে।তিন ম্যাচ থেকে বাংলার সংগ্রহ মাত্র ৫ পয়েন্ট। এর মধ্যে বিহারের সঙ্গে ম্যাচটি বৃষ্টির জন্য বাতিল হয়ে যায়। তার পর কেরলের সঙ্গেও বাধ সাঁধে বৃষ্টি। ফলে পরের রাউন্ডে উঠতে এই ম্যাচে জয় প্রয়োজন অনুষ্টুপদের।

Card image cap

চুনকামের পরও সূর্য দাঁড়াচ্ছেন রোহিতের পাশেই

নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে চুনকামের জ্বালায় এখনও ভালোভাবে প্রলেপ পড়েনি। এর মধ্যেই দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে টি-টোয়েন্টি সিরিজ। সেখানে অবশ্য নেতৃত্ব দেবেন সূর্যকুমার যাদব। মাসকয়েক আগে রোহিত শর্মার অধিনায়কত্বে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিতেছিল ভারত। ফাইনালে প্রতিপক্ষ ছিল প্রোটিয়ারাই। স্বাভাবিকভাবেই ফের দুই দলের মোকাবিলার পারদ চড়ছে। তার মধ্যেই উঠে এল কিউয়িদের বিরুদ্ধে টিম ইন্ডিয়ার ব্যর্থতার কথাও।সূর্যকুমার অবশ্য রোহিতের পাশেই দাঁড়াচ্ছেন। শুক্রবার থেকে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে শুরু হচ্ছে চার ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ। প্রথম ম্যাচ ডারবানে। তার আগে সাংবাদিক সম্মেলনে সূর্য জানালেন, “খেলায় হারজিত থাকেই। সকলেই পরিশ্রম করে। কখনও সেটা কাজে লাগে, কখনও নয়। সেটা আমি রোহিত শর্মার থেকেই শিখেছি। জীবনে ভারসাম্য খুব জরুরি। ভালো ও খারাপ সময়কে ওর মতো গ্রহণ করতে খুব কম লোককেই দেখেছি। ওকে আমি প্লেয়ার ও অধিনায়ক হিসেবে উন্নতি করতে দেখেছি।”সূর্যের নেতৃত্বে শ্রীলঙ্কা সফরে জয় পেয়েছিল ভারত। তাঁর স্পষ্ট বক্তব্য, অধিনায়ক হিসেবে কীভাবে চাপ সামলাতে হয়, সেটা রোহিতের থেকেই শিখেছেন। তিনি বলেন, “আমি রোহিত ভাইয়ের থেকে অনেক কিছু শিখেছি। ওর সঙ্গে ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট খেলেছি। মাঠে থাকলে ওর থেকে শিখি। কীভাবে ও চাপ সামলায়, মাথা ঠান্ডা রাখে এবং বোলারদের সঙ্গে কথা বলে। একজন প্লেয়ার হিসেবে আমিও চাই তোমার নেতা তোমার সঙ্গে সময় কাটাক। আমিও সেটাই চেষ্টা করি। যখন মাঠে থাকি না চেষ্টা করি প্লেয়ারদের সঙ্গে সময় কাটাতে। তাঁদের সঙ্গে খাবার খেতে। আমার মতে এই ছোট ছোট বিষয়গুলো মাঠে প্রভাব ফেলে। যদি তুমি সতীর্থদের সম্মান আদায় করতে চাও, তাহলে এই বিষয়গুলো গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে।”রোহিত-বিরাটের অবসরের পর তরুণ তুর্কিদের হাতেই দেশের টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ। যার নেতৃত্বে সূর্যকুমার যাদব। নিজের নেতৃত্বের ধরন নিয়ে স্কাইয়ের বক্তব্য, “একজন নেতা ঠিক করে কোন ফরম্যাটে তার দল কীভাবে খেলবে। একজন অধিনায়ক জিততে চায়, কিন্তু নেতা ঠিক করে, তার দল কীভাবে খেলবে।”

Card image cap

চ্যাম্পিয়ন্স লিগে একই দিনে বিধ্বস্ত রিয়াল মাদ্রিদ ও ম্যাঞ্চেস্টার সিটি

অঘটনের রাত চ্যাম্পিয়ন্স লিগে। পরাজিত ইউরোপীয় হেভিওয়েট দুই ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদ ও ম্যাঞ্চেস্টার সিটি। এসি মিলান ৩-১ গোলে হারাল রিয়ালকে। অন্য ম্যাচে স্পোর্টিং লিসবন ৪-১ গোলে পর্যুদস্ত করল সিটিকে।গতবারের চ্যাম্পিয়ন রিয়াল হেরেছে এসি মিলানের কাছে। চলতি মরশুমে এই নিয়ে এটা তাদের তিন নম্বর হার। যেখানে গোটা গত মরশুমে তারা হেরেছিল মাত্র দুটো ম্যাচে। এর মধ্যে লাইলের মতো ছোট দলের কাছেও হারতে হয়েছে ১৫ বারের চ্যাম্পিয়নকে। এদিন শুরুতেই দুটি গোল মিস করেন এমবাপে। ১২ মিনিটে প্রথম গোল করে মিলান। ২৩ মিনিটে সেই গোল শোধ দিলেও শেষপর্যন্ত হার বাঁচাতে পারেনি তারা।অন্যদিকে প্রথম গোল পাওয়ার পর মিলান মানসিক দিক থেকে চাঙ্গা হয়। ফলে তাদের মানসিকতা ভাঙার মতো ক্ষমতা ছিল না রিয়ালের কাছে। ৩৮ মিনিটে দ্বিতীয় গোল করে মিলান। আলভারো মোরাতা গোল করেন। শেষ গোলটি করেন তিজানি। মিলানের দাপটে রিয়াল মাদ্রিদের শত চেষ্টা জলে যায়। ম্যাচে শেষ হাসি হাসে মিলান।অন্যদিকে আরলিং হালান্ডের পেনাল্টি মিসের দৌলতে চার মিনিটে এগিয়ে গিয়েও বিশ্রীভাবে হারতে হয়েছে সিটিকে। ২০১৮ সাল থেকে ধরলে এই প্রথম টানা তিন ম্যাচে পরাজয়ের কষাটে স্বাদ পেল সিটি। ঘটনাচক্রে সিটি যে স্পোর্টিং লিসবনের কাছে পরাস্ত হল, সেই স্পোর্টিংয়ের কোচ রুবেন আমোরিম এর পর ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডের কোচ হতে চলেছেন। সিটির মিডফিল্ডার বার্নার্ডো সিলভা বলেছেন, ”ক্লাবে আমার সাড়ে সাত বছরে মনে করতে পারছি না কখনও আমরা টানা তিনটে ম্যাচে হেরেছি বলে।” সেই তুলনায় লিভারপুলের জন্য এদিনটা চমৎকার কাটল। লুইস দিয়াজের হ্যাটট্রিক এবং কোডি গাকপোর গোলে তারা ৪-০ হারাল জার্মান চ্যাম্পিয়ন বেয়ার লেভারকুসেনকে। এর ফলে লিভারপুল চলে গেল লিগের এক নম্বরে। তারা চারটি ম্যাচের চারটিতেই জিতেছে। তাদের পরই রয়েছে স্পোর্টিং ও মোনাকো। দুই দলই একটি জয় ও একটি ড্রয়ের মাধ্যমে ১০ পয়েন্টে রয়েছে। UEFA-র আনা নয়া ৩৬ দলের ফর্ম্যাটে শীর্ষে থাকা আটটি দল চলে যাবে প্রথম আটে। শেষ ১২টি দল ছিটকে যাবে। মাঝের অর্থাৎ ৯ থেকে ২৪ নম্বরে থাকা দলগুলি প্লে অফে খেলবে। 

Card image cap

আইসিসি টেস্ট র‌্যাঙ্কিংয়ে প্রথম কুড়িরও বাইরে কোহলি

২২ গজে ঘোর দুঃসময় যাচ্ছে ভারতীয় ক্রিকেটের পোস্টার বয় বিরাট কোহলির। বিশেষ করে লাল বলের ক্রিকেটে চরম ছন্দহীন তিনি। যার প্রভাব এবার সরাসরি দেখা যাচ্ছে আইসিসির টেস্ট ক্রমতালিকায়। টেস্ট র‍্যাঙ্কিংয়ে প্রথম ২০ জনের মধ্যেও জায়গা ধারে রাখতে পারলেন না বিরাট।আইসিসি প্রকাশিত সর্বশেষ র‌্যাঙ্কিংয়ে ৮ ধাপ পিছিয়ে পড়েছেন বিরাট। আপাতত তাঁর স্থান ২২ নম্বরে। মূলত নিউজিল্যান্ড সিরিজে বিপর্যয়ের জেরেই বিরাটের এই পদস্খলন। নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ৩ ম্যাচের সিরিজে সাকুল্যে ৯৩ রান করেছেন। তার আগে বাংলাদেশ সিরিজেও বিশেষ রান আসেনি বিরাটের ব্যাট থেকে। একই অবস্থা অধিনায়ক রোহিত শর্মারও। রোহিতও টেস্ট ক্রমতালিকায় দুধাপ পিছিয়ে আপাতত রয়েছেন ২৬ নম্বরে। অথচ, দীর্ঘদিন ভারতীয় ক্রিকেটের এই দুই মহারথী আইসিসি র‌্যাঙ্কিংয়ে উপরের সারিতেই থেকেছেন।টেস্ট ব্যাটারদের ক্রমতালিকায় ভারতের মানরক্ষা করেছেন তিন তরুণ তুর্কি। ভারতীয়দের মধ্যে সর্বোচ্চ চতুর্থ স্থানে রয়েছেন যশস্বী জয়সওয়াল। ভারতীয়দের মধ্যে প্রথম দশে রয়েছেন ঋষভ পন্থও। দীর্ঘদিন মাঠের বাইরে থাকার পর প্রত্যাবর্তনেও ফুল ফোটাচ্ছেন তিনি। যার সুবাদে পন্থ রয়েছেন ৬ নম্বরে। প্রথম কুড়ির মধ্যে রয়েছেন আর এক ভারতীয়। তিনি শুভমান গিল। টিম ইন্ডিয়ার তরুণ ডানহাতি ব্যাটার রয়েছেন ১৬তম স্থানে। ব্যাটারদের ক্রমতালিকায় আপাতত শীর্ষে জো রুট। কেন উইলিয়ামসন রয়েছেন দ্বিতীয় স্থানে। ভারতের বিরুদ্ধে ৩ টেস্টের কোনওটিতেই খেলেননি তিনি। ইংল্যান্ডের হ্যারি ব্রুক রয়েছেন তৃতীয় স্থানে।আইসিসির টেস্ট বোলারদের র‌্যাঙ্কিংয়ে এখনও তৃতীয় স্থানে রয়েছেন ভারতের জশপ্রীত বুমরাহ। পঞ্চম স্থানে রবিচন্দ্রন অশ্বিন। নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ভালো ফর্মে ছিলেন না অশ্বিনও। একধাপ নেমে তিনি আপাতত পঞ্চম স্থানে। রবীন্দ্র জাদেজা আপাতত রয়েছেন ষষ্ঠ স্থানে। তিনি অবশ্য দুধাপ উপরে উঠেছেন। টেস্ট অলরাউন্ডারের র‌্যাঙ্কিংয়ে এখনও প্রথম এবং দ্বিতীয় স্থানে অবশ্য রয়েছেন রবীন্দ্র জাদেজা এবং রবিচন্দ্রন অশ্বিনই।

Card image cap

শুভাশিসকে বাদ দিয়েই ঘোষিত ভারতীয় দল

ভারতীয় ফুটবলের দায়িত্ব নেওয়ার পর এখনও জয়ের মুখ দেখেননি মানোলো মার্কেজ। ইগর স্টিমাচ সরে যাওয়ার পর দায়িত্বে আসেন তিনি। একই সঙ্গে তিনি আইএসএলের ক্লাব এফসি গোয়ারও কোচ। সামনেই মালয়েশিয়ার সঙ্গে প্রীতিম্যাচ । সেই ম্যাচের জন্য ২৬ জনের প্রাথমিক দল ঘোষণা করে দিলেন স্প্যানিশ কোচ।ইন্টার কন্টিনেন্টাল কাপে মরিশাসের সঙ্গে ড্র করেছিল ভারত। তার পর সিরিয়ার কাছে ৩-০ গোলে হার হজম করতে হয়েছিল। পরে ভিয়েতনামের সঙ্গে প্রীতিম্যাচও খেলেন গুরপ্রীতরা। কিন্তু সেই ম্যাচও ড্র হয়। এবার ১৮ নভেম্বর মালয়েশিয়ার বিরুদ্ধে ম্যাচ। সেই দলে ঠাঁই হয়নি মোহনবাগানের অধিনায়ক শুভাশিস বোসের। ইস্টবেঙ্গল থেকে দলে নেই নন্দকুমারও। প্রত্যাবর্তন ঘটেছে সন্দেশ ঝিঙ্ঘানের। ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে হায়দরাবাদে।মার্কেজ বলছেন, “আমরা ২৬ প্লেয়ারকে ডেকেছি। প্রতি সুযোগে আমরা আরও একত্রিত হয়ে উঠব। সেখান থেকে আমার প্রয়োজনীয় দলটি পেয়ে যাব। আমাদের কাছে দুটি প্রধান লক্ষ্য। এশিয়ান কাপের যোগ্যতা অর্জন পর্বের ১ নম্বর পটে থাকতে। যেটার খুব কাছে আছি আমরা। দ্বিতীয় কাজ হচ্ছে, মার্চে প্রথম যোগ্যতা অর্জন পর্বের আগে নিজেদের প্রস্তুত করা।”ভারতের ফিফা র‍্যাঙ্কিং ১২৫। ১ নম্বর পটে ভারতের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ১৩৩তম স্থানে থাকা মালয়েশিয়া। কিন্তু দুজনেরই পয়েন্ট ১১৩৩। এশিয়ান কাপের যোগ্যতা অর্জন পর্বের আগে একটাই ম্যাচ খেলবে ভারত। অন্যদিকে মালয়েশিয়ার ভারতের সঙ্গে ছাড়াও লাওসের সঙ্গে একটি ম্যাচ রয়েছে। ফলে এশিয়ান কাপের যোগ্যতা অর্জন পর্বের জন্য মালয়েশিয়াকে হারাতেই হবে।
২৬ জনের প্রাথমিক ভারতীয় দল:
গোলকিপার: গুরপ্রীত সিং সান্ধু, অমরিন্দর সিং, বিশাল কাইথ
ডিফেন্ডার: আকাশ সাঙ্গওয়ান, আনোয়ার আলি, আশিস রাই, চিংলেনসানা সিং, রালতে, মেহতাব সিং, রাহুল বেকে, রোশান সিং, সন্দেশ ঝিঙ্ঘান
মিডফিল্ডার: অনিরুদ্ধ থাপা, ব্র্যান্ডন ফার্নান্দেজ, জিকসন সিং, জিতিন এমএস, আপুইয়া, লিস্টন কোলাসো, সুরেশ সিং, ভিবিন মোহানান
ফরওয়ার্ড: এডমুন্ড লালরিন্ডিকা, ইরফান ইয়াদাদ, ফারুখ চৌধুরী, ছাংতে, মনবীর সিং, বিক্রমপ্রতাপ সিং।