CATEGORY games:

Card image cap

ভারতের নিশ্চিত পদক হাতছাড়া!

অলিম্পিক হোক বা কমনওয়েলথ গেমস- প্রতিটি প্রতিযোগিতাতেই একটি খেলায় ভারতের পদক কার্যত নিশ্চিত থাকে। সেই খেলা হল হকি। পুরুষ এবং মহিলা- হকির দুই দলই একাধিকবার পদক জিতে দেশে ফিরেছে সাম্প্রতিক অতীতে। কিন্তু আগামী কমনওয়েলথ গেমস থেকে বাদ পড়তে চলেছে হকি। একাধিক সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, গ্লাসগো কমনওয়েলথ গেমসে হকি প্রতিযোগিতা থাকবে না। তার অন্যতম কারণ হল খরচ কমানো।২০২৬ কমনওয়েলথ গেমস আয়োজন নিয়ে গত বছর থেকেই চলছে বিতর্ক। বিপুল খরচের কারণে কমনওয়েলথ গেমস আয়োজনের দায়িত্ব ছেড়ে দেয় অস্ট্রেলিয়ার ভিক্টোরিয়া প্রদেশ। যদিও ১৪ মাস আগেই ভিক্টোরিয়াকে কমনওয়েলথ গেমস আয়োজনের ভার দেওয়া হয়। তার পরেও ভিক্টোরিয়া প্রদেশের এই সিদ্ধান্তে রীতিমতো ক্ষুব্ধ হন কমনওয়েলথের আয়োজকরা। শেষ পর্যন্ত ২০২৬ কমনওয়েলথ গেমস আয়োজনের দায়িত্ব দেওয়া হয় গ্লাসগোকে। উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে এখানেই আয়োজিত হয়েছিল কমনওয়েলথ গেমস।তবে প্রতিযোগিতা আয়োজনের দায়িত্ব নিলেও প্রথম থেকেই বাজেটে কাঁচি চালানোর পথে হাঁটতে চাইছে গ্লাসগো। সূত্রের খবর, তিনটি খেলাকে একেবারে প্রতিযোগিতা থেকেই বাদ দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে আয়োজকদের। তার মধ্যে হকি ছাড়াও রয়েছে নেট বল এবং রোড রেসিং। এই প্রতিযোগিতাগুলো বাদ দিলে গোটা প্রতিযোগিতা আয়োজনের সময় কমবে, খরচও বাঁচবে। তবে সরকারিভাবে এই বিষয়টি জানানো হয়নি। মঙ্গলবার গ্লাসগো কমনওয়েলথ গেমসের সূচি প্রকাশিত হবে। তখনই জানা যাবে, তিনটি খেলা বাদ দেওয়া হচ্ছে কিনা।এই খবর ছড়িয়ে পড়লেও আন্তর্জাতিক হকি ফেডারেশন এবং কমনওয়েলথ গেমস কর্তৃপক্ষ মুখে কুলুপ এঁটেছে। উল্লেখ্য, খরচ কমাতে ইতিমধ্যেই গতবারের তালিকা থেকে ১০টি খেলা ছেঁটে ফেলা হয়েছে গ্লাসগো কমনওয়েলথ গেমসে। মাত্র ৪টি ভেন্যুতে গোটা টুর্নামেন্ট আয়োজন করা হবে। সেগুলোর কোথাও হকির মাঠ নেই। ফলে হকি যে কমনওয়েলথ গেমসে থাকবে না, সেটা কার্যত নিশ্চিত। ২০২২ কমনওয়েলথ গেমসের হকি থেকে রুপো জিতেছিল ভারতের পুরুষ দল। মহিলা দল জিতেছিল ব্রোঞ্জ। কিন্তু আগামী কমনওয়েলথ গেমসে হকি না থাকলে ভারতের নিশ্চিত দুটি পদক হাতছাড়া হবে, আশঙ্কা ক্রীড়ামহলে।

Card image cap

নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রথম টেস্টে হার ভারতের

সব গল্পের শেষটা হয়তো রূপকথার মতো হয় না। নাহলে ২৬ বছর বয়সি তরুণের কেরিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি, খোঁড়াতে খোঁড়াতে দাঁতে দাঁত চেপে এক মৃত্যুঞ্জয়ীর লড়াই এভাবে ব্যর্থ হবে কেন! আসলে টেস্ট ক্রিকেট যতই রোম্যান্টিসিজমে ভরা হোক, কোথাও না কোথাও বাস্তবের রুক্ষ মাটিতে তাকে আছড়ে পড়তেই হয়। নাহলে হয়তো যাবতীয় ক্রিকেটীয় ব্যাকরণ অর্থহীন হয়ে যেত।বলতে গেলে, বেঙ্গালুরুতে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ভারত হেরে গিয়েছিল প্রথম ইনিংসেই। ‘হেরে যাওয়া’ ‘মৃত’ সেই টেস্টে প্রাণ সঞ্চার করেছিল দ্বিতীয় ইনিংসে ঋষভ পন্থ এবং সরফরাজ খানের অদম্য লড়াই। অতি বিশ্বাসী ক্রিকেটভক্তদের অসাধ্যসাধনের স্বপ্নও দেখাতে শুরু করেছিল সরফরাজের ১৫০ এবং পন্থের ৯৯ রানের ইনিংস। হয়তো কারও কারও মনে হয়েছিল প্রথম ইনিংসে মাত্র ৪৬ রানে অল-আউট হওয়ার পরও টেস্ট জেতা যায়। কিন্তু শেষমেশ স্নায়ুর চাপ ধরে রেখে অনায়াসেই ম্যাচটি জিতে নিলেন কিউয়িরা। আসলে পন্থদের লড়াইয়ের পর দ্বিতীয় পর্যায়ে আরও একটি মিনি বিপর্যয়ের মুখে পড়ে ভারত। দ্বিতীয় ইনিংসে ভারতের শেষ ৭ উইকেট পড়ে ৬২ রানে। একই ম্যাচে জোড়া বিপর্যয়ের পর জয়ের স্বপ্ন দেখা যে বাস্তবসম্মত নয়, সেটাই শেষমেশ প্রমাণিত হল। শেষমেশ নিউজিল্যান্ড বেঙ্গালুরু টেস্ট জিতল ৮ উইকেটে।আসলে দ্বিতীয় ইনিংস ভারতের পুঁজি ছিল মোটে ১০৬ রান। সেই রান নিয়ে যে কিইয়িদের বিশেষ বেগ দেওয়া যাবে না, সেটা প্রত্যাশিতই ছিল। কিন্তু তাও পন্থ-সরফরাজদের দেখানো স্বপ্নে নতুন গতি দিয়েছিলেন জসপ্রীত বুমরাহ। পঞ্চম দিনের দ্বিতীয় বলেই নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক টম লেথামের উইকেট তুলে নিয়ে। মাথার উপর মেঘ, হাতে নতুন বল, দুই ভারতীয় পেসার প্রথম কয়েকটি ওভার যেন আগুন ঝরালেন। কিন্তু ভাগ্যদেবতা সহায় ছিল না। একাধিকবার ‘একটুর জন্য’ ব্যাটের কানা ছোঁয়াল না বল, আবার কখনও ‘একটুর জন্য’ মিস হয়ে গেল স্ট্যাম্প। আসলে গোটা টেস্টেই এমন বহু ‘একটুর জন্য’ মুহূর্ত ভারতের বিপক্ষে গিয়েছে। নাহলে হয়তো ফলাফলে অন্যরকম হতেই পারত। যাই হোক, শেষমেশ তেমন কিছু হয়নি। প্রাথমিক ধাক্কা সামলে ক্রিজে পড়ে থেকেছেন কিউয়ি ব্যাটাররা। বল পুরনো হতেই প্রভাব কমেছে ভারতীয় বোলারদের। যার অবধারিত ফল, অনায়াসে ভারতের দেওয়া লক্ষ্যমাত্রায় নিউজিল্যান্ডের পৌঁছে যাওয়া। ধৈর্য ধরে নিউজিল্যান্ডকে জিতিয়ে দিলেন ইয়ং (৪৮) এবং রাচীন রবীন্দ্র (৩৯)। ৩ ম্যাচের সিরিজে কিউয়িরা এগিয়ে গেল ১-০ ব্যবধানে।তবে হারলেও বেঙ্গালুরু টেস্টে ভারতের ‘কামব্যাক’ অনেকদিন মনে থেকে যাবে ক্রিকেটপ্রেমীদের। প্রথম ইনিংসে ৪৬ রানে অলআউট, ৩৫৬ রানে পিছিয়ে থাকা, তার পরও যে ম্যাচে ফিরে আসা যায়, প্রতিপক্ষকে কঠিন লড়াইয়ের মুখে ফেলা যায়, সেটা এই ভারতীয় দলের হার না মানা মানসিকতারই পরিচয় দেয়।

Card image cap

বেঙ্গালুরু টেস্টে হারের আশঙ্কায় ভারত

সরফরাজ খানের অসামান্য সেঞ্চুরি। চোট নিয়েও ঋষভ পন্থের লড়াই। তার পরও বেঙ্গালুরু টেস্টে হারের আশঙ্কা ভারতের মাথায়। রাহুল-জাদেজাদের ব্যর্থতায় মাত্র ১০৬ রানের লিড নিতে পারল ভারত। খারাপ আলোর জন্য এদিন ম্যাচ আগে শেষ হয়ে গেলেও, পঞ্চম দিনে হার এড়ানো মুশকিল। নিউজিল্যান্ডের জন্য লক্ষ্য মাত্র ১০৭ রান। কিন্তু দ্রুত ম্যাচ শেষ করে দেওয়ায় রীতিমতো ক্ষুব্ধ রোহিত-বিরাটরা। প্রথম ইনিংসে মাত্র ৪৬ রানে থেমে যায় ভারতের ইনিংস। পালটা জবাবে নিউজিল্যান্ড তুলেছিল ৪০২ রান। মাথায় বিরাট রানের বোঝা। লক্ষ্য পাহাড়-প্রমাণ। এখান থেকে ভারত যে লড়াই ফিরিয়ে দিতে পারবে, সেটা হয়তো ভাবেননি ক্রিকেটভক্তরা। কিন্তু সেটাই করল টিম ইন্ডিয়া। শুরুটা করেছিলেন রোহিত-যশস্বীরা। তার পর গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলেছিলেন বিরাট কোহলি। অবশেষে চতুর্থ দিন জুড়ে দাপট দেখালেন সরফরাজ খান ও ঋষভ পন্থ।দুজনের পার্টনারশিপে উঠল ১৭৭ রান। প্রথম ইনিংসে শূন্য রানে আউট হয়েছিলেন সরফরাজ। দ্বিতীয় ইনিংসে তিনি করলেন ১৫০ রান। অন্যদিকে চোট পেয়ে মাঠ ছাড়তে বাধ্য হয়েছিলেন ঋষভ। তিনিও ফিরে এসে অদম্য মানসিকতা দেখালেন। ৯৯ রান করে আউট হয়ে যান। সেঞ্চুরি হাতছাড়া হলেও দুজনের জুটিতে নিউজিল্যান্ডকে টপকে গিয়েছিল ভারত। এমনকী জয়ের আভাসও দেখতে পাচ্ছিলেন ভক্তরা।কিন্তু শেষবেলায় ডোবালেন টেল-এন্ডাররা। পন্থের আউটের পর পরই ফিরে গেলেন কেএল রাহুল। অথচ নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে বড় রানের লক্ষ্য দিতে ভরসার মুখ হয়ে উঠতে পারতেন তিনি। কিন্তু যে ভঙ্গিতে রাহুল আউট হলেন, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠবেই। তার পর শুধুই যাওয়া-আসা। জাদেজা, অশ্বিনও বেশিক্ষণ ক্রিজে টিকলেন না। ৪৩৩ রানে ৫ উইকেট থেকে ভারতের ইনিংস শেষ হয়ে গেল ৪৬২ রানে। জয়ের জন্য নিউজিল্যান্ডের দরকার মাত্র ১০৭ রান।দিনের শেষে যদিও ব্যাট করতে নেমেছিল নিউজিল্যান্ড। কিন্তু খারাপ আলোর জন্য এদিনের মতো খেলা শেষ করে দেন আম্পায়াররা। যা নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই ক্ষুব্ধ দেখা গেল রোহিত-বিরাটদের। শেষবেলায় একাধিক উইকেট তুলে নিতে পারলে পঞ্চম দিনের খেলা আরও আকর্ষণীয় হয়ে উঠত। আপাতত কিউয়িদের হাতে পঞ্চম দিনের পুরোটা। রবিবার বুমরাহ-অশ্বিন-কুলদীপদের ম্যাজিকের দিকে তাকিয়ে দেশের ক্রিকেটভক্তরা।

Card image cap

প্রথম আফগান হিসেবে ইতিহাস গুরবাজের

সোনার সময় চলছে আফগান ক্রিকেটে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সবাইকে চমকে দিয়ে সেমিফাইনালে উঠেছিলেন রশিদ খানরা। দিন কয়েক আগে তারা ওয়ানডে সিরিজে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে ইতিহাস গড়েছে। এবার নতুন কৃতিত্ব গড়লেন তাঁদের তারকা ব্যাটার রহমানুল্লাহ গুরবাজের।দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে সিরিজে আগুনে ফর্মে ছিলেন গুরবাজ। তিন ম্যাচে তিনি করেন ১৯৪ রান। তার মধ্যে দ্বিতীয় ম্যাচে সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছিলেন। দলকে প্রথমবার দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে সিরিজ জিততে সাহায্য করেছেন। এবার যেন তারই পুরস্কার পেলেন কেকেআর ব্যাটার। সদ্য প্রকাশিত আইসিসি র‍্যাঙ্কিংয়ে প্রথম দশে ঢুকে পড়লেন। তিনি আছেন অষ্টম স্থানে। প্রথম আফগান ক্রিকেটার হিসেবে আইসিসি ওয়ানডে ব্যাটিং র‍্যাঙ্কিংয়ে দশজনের মধ্যে ঢুকে পড়লেন তিনি।এই মুহূর্তে তাঁর পয়েন্ট ৬৯২। আফগান ক্রিকেটার একলাফে ১০ ধাপ টপকে ঢুকে পড়েছেন অষ্টম স্থানে। এই তালিকায় সবার উপরে আছেন পাকিস্তানের বাবর আজম। তার পরের তিনজনই ভারতীয়। রোহিত শর্মা, শুভমান গিল ও বিরাট কোহলি রয়েছেন দ্বিতীয় থেকে চতুর্থ স্থানে। অন্যদিকে ওয়ানডে বোলিংয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছেন রশিদ খান। টি-টোয়েন্টিতেও একই র‍্যাঙ্কিং তাঁর। সেখানে ৮ নম্বরে আছেন আফগানিস্তানের ফজলহক ফারুকি।শুধু দ্বিতীয় ম্যাচে নয়, তৃতীয় ম্যাচেও দুরন্ত পারফর্ম করেছিলেন গুরবাজ। আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে ৯৪ বলে ৮৯ রান করেন আফগান ব্যাটার। যদিও সেই ম্যাচ জয় পায়নি আফগানিস্তান। কিন্তু আগের দুটি ম্যাচ জিতে থাকায় সিরিজ জিততে কোনও অসুবিধাই হয়নি মহম্মদ নবিদের। সব মিলিয়ে বিশ্বক্রিকেটে দাপটের নয়া উদাহরণ নিয়ে হাজির আফগানরা।

Card image cap

নয়া রেকর্ডও গড়লেন অশ্বিন

সকালে রোহিত-বিরাটদের ফেরানোর পর ফ্রন্টফুটে ছিলেন শান্তরা। কিন্তু দিনের শেষটা হল রবিচন্দ্রন অশ্বিনের সেঞ্চুরি দিয়ে। শতরানের দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে আছেন রবীন্দ্র জাদেজাও।দিনের শুরুতেই ধাক্কা দিয়েছিলেন বাংলাদেশের তরুণ বোলার হাসান মাহমুদ। রোহিত-বিরাটের পাশাপাশি ফিরিয়ে দিয়েছিলেন শুভমান ও ঋষভ পন্থকেও। কেএল রাহুলও দ্রুত আউট হয়ে যান। ভারতের রান তখন ৬ উইকেটে ১৪৪। আদৌ ২০০ রানের গণ্ডি টপকাতে পারবেন কিনা, সেই প্রশ্নও উঠে গিয়েছিল। সেখান থেকে যে ৩৩৯ রান হয়ে গেল তাঁর নেপথ্যে রবিচন্দ্রন অশ্বিন ও রবীন্দ্র জাদেজা জুটি।শুরু হল উলটো মার। বিশেষ করে অশ্বিনের ব্যাটিং যেন টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের মতো। জাদেজা যখন ধীরেসুস্থে উইকেট বাঁচাচ্ছিলেন, তখন বিধ্বংসী ব্যাটিং শুরু করেন অশ্বিন। দর্শনীয় কভার ড্রাইভ, সাহসী আপার কাট, এমনকী এগিয়ে এসে বলকে বাউন্ডারির বাইরেও পাঠিয়ে দিলেন। শতরান এল মাত্র ১০৮ বলে। চার-ছয়ের বন্যায় ভেসে গেল বাংলাদেশ। ঘরের মাঠে সেঞ্চুরির পথে মারলেন ১০টি চার, ২টি ছয়। স্ট্রাইক রেট ৯০-র উপর। প্রথম দিনের শেষে অশ্বিনের রান ১০২। জাদেজা ব্যাট করছেন ৮৬ রানে। এই নিয়ে টেস্টে ছটি সেঞ্চুরি হয়ে গেল অশ্বিনের। তাঁর আগের টেস্টটিও এসেছিল এই চেন্নাইয়ের মাঠে, ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে। অর্থাৎ ঘরের মাঠে পর পর দুই ইনিংসে সেঞ্চুরি হাঁকালেন। বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে ভারতের হয়ে ১০০০-র বেশি রানও হয়ে গেল অশ্বিনের। সেই সঙ্গে জাদেজা-অশ্বিন জুটি গড়লেন নতুন কীর্তিও। ১৯৫ রানের পার্টনারশিপে ভারতের হয়ে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে সপ্তম উইকেটে সবচেয়ে বেশি রানের পার্টনারশিপ গড়লেন তাঁরা।

Card image cap

ডায়মন্ড লিগে দ্বিতীয় নীরজ

ভাগ্যের ফের! চলতি মরশুমে দ্বিতীয় স্থান যেন পিছু ছাড়ছে না নীরজ চোপড়ার। প্যারিস অলিম্পিকের পর ব্রাসেলসে ডায়মন্ড লিগের ফাইনালেও দ্বিতীয় স্থান পেলেন ভারতের সোনার ছেলে। মাত্র ১ সেমির জন্য সেরা হতে পারলেন না নীরজ।শনিবার রাতে ব্রাসেলসে ফাইনালে নামার আগে নীরজ পয়েন্ট তালিকায় ছিলেন তৃতীয় স্থানে। ব্রাসেলসের ফাইনালে ধারাবাহিকভাবে কয়েকটি ভালো থ্রো করেন তিনি। শেষে সামান্য এক সেন্টিমিটারের ব্যবধানে সেরার খেতাব হাতছাড়া হল অলিম্পিকে জোড়া পদকজয়ী অ্যাথলিটের। কিং বৌদোইন স্টেডিয়ামে নীরজ প্রথম সুযোগেই জ্যাভলিন ছোঁড়েন ৮৭.৮৬ মিটার। যা কিনা শীর্ষস্থানে থাকা অ্যান্ডারসন পিটারসের থেকে মাত্র ১ সেন্টিমিটার ফল। সেটাই এদিনের ফাইনালের চূড়ান্ত ফলাফল হয়ে দাঁড়ায়। সার্বিকভাবে চলতি বছর ডায়মন্ড লিগে দ্বিতীয় হলেন নীরজ।২০২২ সালে শেষবার ডায়মন্ড লিগ জিতেছিলেন নীরজ। ২০২৩ সালেও তিনি দ্বিতীয় হন। গতবার খেতাব জিতেছিলেন চেক প্রজাতন্ত্রের জ্যাকুব ভালদেচ। এ বছরও ফের দ্বিতীয় স্থানই পেলেন ভারতীয় অ্যাথলিট। এবার শীর্ষ স্থান পেলেন অলিম্পিকে ব্রোঞ্জজয়ী অ্যান্ডারসন পিটারস। এবারে ডায়মন্ড লিগে জ্যাকুব ভালদেচ এবং অলিম্পিকে সোনাজয়ী আর্শাদ নাদিম অংশ নেননি।তবে এক সেমির জন্য দ্বিতীয় স্থানে শেষ করায় নীরজের যতটা আক্ষেপ হয়েছে, তার চেয়েও বেশি আক্ষেপ থেকে যাবে ৯০ মিটারের গণ্ডি পেরোতে না পারায়। আসলে নীরজ দীর্ঘদিন ধরেই কুঁচকির সমস্যায় ভুগছেন। যেটা অলিম্পিকেও ভুগিয়েছে তাঁকে। ডায়মন্ড লিগেও তাঁর দৌড়ের সময় অস্বস্তি ভালোমতোই বোঝা গিয়েছে।

Card image cap

হরমনপ্রীতের জোড়া গোলে হকিতে পাক বধ

পর পর চার ম্যাচে জয়। শুধু জয় বললে কম বলা হবে, প্রতিটি ম্যাচই একতরফাভাবে জিতেছে ভারতীয় হকি দল। চিন, জাপান, মালয়েশিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া, সব দলই একপ্রকার উড়ে গিয়েছে হরমনপ্রীতদের দাপটে। এশিয়ান চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির লিগ পর্যায়ে বাকি ছিল একটি ম্যাচই। যার সঙ্গে পয়েন্ট টেবিল বা সেমিফাইনাল নিয়ে সরাসরি যোগাযোগ নেই। বরং চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানকে হারানোর সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে সম্মানের লড়াই। আর সেখানেও জয় পেল ভারত।ইতিমধ্যেই সেমিফাইনালে উঠে গিয়েছেন সুখজিৎরা। লিগে অপরাজিত। ১৯টা গোল করার পাশাপাশি খেয়েছে মাত্র ৩টি গোল। পাকিস্তানের সঙ্গে যদিও লড়াইটা অতটা সহজ হল না। কিন্তু তাতেও জয় আটকাল না। প্যারিস অলিম্পিকে ব্রোঞ্জজয়ী দল ভারত পাকিস্তানকে হারাল ২-১ গোলে। যদিও এদিন শুরুতেই পিছিয়ে পড়েছিলেন অমিত রোহিদাসরা। গোটা টুর্নামেন্টে এই প্রথমবার পিছিয়ে পড়ল ভারত। সার্কেলে বার বার আক্রমণ করে ভারতের ডিফেন্স ভেদ করে ফেলেছিলেন পাকিস্তান নাদিম আহমেদ।কিন্তু পালটা আঘাত ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি। প্রথম কোয়ার্টারেই গোল শোধ করে দিলেন হরমনপ্রীত। এই নিয়ে ২০২টি গোল হয়ে গেল ভারত অধিনায়কের। দ্বিতীয় কোয়ার্টার শুরু হতেই এগিয়ে যায় টিম ইন্ডিয়া। এবারও নায়ক হরমনপ্রীত। ফের পেনাল্টি কর্নার থেকে গোল করলেন তিনি। টুর্নামেন্টের শুরুর দিকে সেভাবে ফর্মে ছিলেন না। কিন্তু যত সময় গড়িয়েছে, তত নিজের পুরনো ফর্মে ফিরেছেন প্যারিস অলিম্পিকের সর্বোচ্চ গোলদাতা।শেষ পর্যন্ত হরমনপ্রীতের দুই গোলই পার্থক্য গড়ে দিল। ১৫ পয়েন্ট নিয়ে লিগশীর্ষে রইল ভারত। অন্যদিকে পাকিস্তান ও দক্ষিণ কোরিয়াও সেমিফাইনালে পৌঁছে গিয়েছে।

Card image cap

প্যারিসে ‘চক দে ইন্ডিয়া’

রেকর্ড গড়ে দেশে ফিরব। প্যারালিম্পিক শুরুর আগে দেশবাসীর কাছে এই প্রতিজ্ঞা করেছিলেন ভারতীয় অ্যাথলিটরা। জাতীয় প্যারা অলিম্পিক কমিটির সভাপতি দেবেন্দ্র ঝাঝারিয়া সাফ জানিয়েছিলেন, পদকের নিরিখে এই প্যারালিম্পিকেই সেরা পারফরম্যান্স করবে ভারত। দেশবাসীকে দেওয়া কথা রেখেছেন সুমিত আন্টিল-অবনী লেখারারা। প্যারিস থেকে মোট ২৯টি পদক নিয়ে ফিরছেন ভারতীয় প্যারাঅ্যাথলিটরা।১৯৬৮ তেল আভিভ প্যারালিম্পিক থেকে ভারত প্যারালিম্পিক অভিযান শুরু করে। সেবারে মাত্র ১০ জন ভারতীয় অ্যাথলিট মূলপর্বে সুযোগ পান। কিন্তু কেউই পদক জিততে পারেননি। ৭২ প্যারালিম্পিকে ভারত প্রথম পদক জেতে। সেবারে একটি সোনা আসে ভারতের ঝুলিতে। এরপর পরপর দুটি প্যারালিম্পিকে ভারতের কোনও অ্যাথলিট সুযোগ পাননি। ৮৪ প্যারালিম্পিকে মাত্র ৫ জন অ্যাথলিট সুযোগ পান। তাতেই চারটি পদক জেতে ভারত। এরপর ৮৮ থেকে ২০০০ পর্যন্ত ভারত প্যারালিম্পিকে অংশ নিলেও কোনও পদক জেতেনি ভারত। টিম ইন্ডিয়া ফের সাফল্যের মুখ দেখে ২০০৪ প্যারালিম্পিকে। এথেন্সে ১২ জন ভারতীয় অ্যাথলিট সুযোগ পান। একটি সোনা ও একটি ব্রোঞ্জ পায় ভারত। ২০০৮ বেজিং প্যারালিম্পিকে আবার পদকশূন্যভাবে শেষ করে টিম ইন্ডিয়া। ২০১২ প্যারালিম্পিকে একটি মাত্র রুপো জেতেন ভারতীয় অ্যাথলিটরা। ২০১৬ রিও অলিম্পিকে ভারত মোট ৪টি পদক জেতে। ২টি সোনা, ১টি রুপো এবং একটি ব্রোঞ্জ জেতে ভারত।২০২১ সালের প্যারালিম্পিকে অবশ্য অতীতের সমস্ত রেকর্ড ছাপিয়ে যান ভারতের অ্যাথলিটরা। সবমিলিয়ে ১৯টি পদক আসে ভারতের ঘরে। ৫ সোনা, ৮ রুপো এবং ৬ ব্রোঞ্জ জেতেন ভারতীয় অ্যাথলিটরা। তবে প্যারিসে এই নজিরও ভেঙে যাবে বলে প্রথম থেকেই আশাবাদী ছিলেন ভারতীয় অ্যাথলিটরা। ২০২৪ প্যারিস প্যারালিম্পিকে নতুন নজির গড়ল ভারতীয় কন্টিনজেন্ট। সর্বকালের সেরা পারফরম্যান্স করে ভারতের ঘরে এল মোট ২৯টি পদক। মোট ৭ জন ভারতীয় অ্যাথলিট সোনা জিতেছেন। ভারতের পদক তালিকায় এসেছে ৯ রুপো এবং ১৩ ব্রোঞ্জও। পদকের ক্রমতালিকাতেও প্রথম ২০র মধ্যে থাকার সম্ভাবনা রয়েছে ভারতের।

Card image cap

ভিনেশ-বজরংদের কংগ্রেসে যোগদান নিয়ে ভিন্ন সুর সাক্ষী মালিকের

কংগ্রেসে যোগ দিয়েই হরিয়ানা নির্বাচনের টিকিট পেয়েছেন কুস্তিগির ভিনেশ ফোগাট। অন্যদিকে হাত শিবিরে এসেই আরেক কুস্তিগির বজরং পুনিয়া সর্বভারতীয় কিষাণ কংগ্রেসে কার্যকরী চেয়ারম্যানের পদ পেয়েছেন। কিন্তু তাঁদের পথে হাঁটতে নারাজ সাক্ষী মালিক। স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন কুস্তি ফেডারেশনের ‘স্বচ্ছতা’র জন্যই তিনি লড়ে যাবেন।মহিলা কুস্তিগিরদের হেনস্তার প্রতিবাদে কুস্তি ফেডারেশনের তৎকালীন প্রধান ব্রিজভূষণ শরণ সিংয়ের বিরুদ্ধে পথে নেমে আন্দোলন করেছিলেন কুস্তিগিররা। সেই লড়াইয়ের প্রধান মুখ ছিলেন ভিনেশ, বজরং ও সাক্ষী। দিল্লির যন্তরমন্তরে ধরনা থেকে শুরু করে নতুন সংসদ ভবন অভিযান, সমস্ত ক্ষেত্রেই অগ্রণী ভূমিকা নিতে দেখা গিয়েছিল তাঁদের। প্যারিস অলিম্পিকে ফাইনালে নামতে না পারায়, ‘হতাশ’ ভিনেশের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন বাকি দুজন। কিন্তু বজরং-ভিনেশ কংগ্রেসে যোগ দিলেও সেই পথে হাঁটেননি সাক্ষী।সামনেই হরিয়ানা নির্বাচন। এদিন দুপুরে সরকারিভাবে কংগ্রেসে যোগদান করেন ভিনেশ ও বজরং। তার আগে রেলের চাকরি থেকে ইস্তফাও দেন ভিনেশ। লড়াইয়ের দুই সঙ্গীর রাজনৈতিক দলে যোগদান নিয়ে সাক্ষী বলেন, “এটা ওদের ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। আমি বিশ্বাস করি, আমাদের আত্মত্যাগ করা দরকার ছিল। তার জন্য মহিলাদের বিক্ষোভকে যেন ভুলভাবে ব্যাখ্যা না করা হয়। আমার তরফ থেকে বিক্ষোভ জারি থাকবে।”সেই সঙ্গে রিও অলিম্পিকের পদকজয়ী আরও জানান, “রাজনৈতিক দলে যুক্ত হওয়ার প্রস্তাব আমার কাছেও এসেছিল। কিন্তু আমি যেটা শুরু করেছি, তার শেষ পর্যন্ত দেখতে চাই। যতদিন না ফেডারেশন স্বচ্ছ হচ্ছে এবং মহিলাদের বিরুদ্ধে অত্যাচার না থামছে, ততদিন আমি লড়াই চালিয়ে যাব।” প্যারিস থেকে ফিরে হরিয়ানার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ভূপিন্দর সিং হুডার সঙ্গে দেখা করেছিলেন ভিনেশ। পরে লোকসভার রাহুল গান্ধীর সঙ্গে দেখাও করেন। তখন থেকেই জল্পনা বাড়তে থাকে। অবশেষে তাতে সিলমোহর পড়ল। কিন্তু সঙ্গীদের রাজনৈতিক দলে যোগ দেওয়া নিয়ে নিজের ভিন্ন অবস্থান জানিয়ে দিলেন সাক্ষী মালিক।

Card image cap

হাই জাম্পে সোনা জিতলেন প্রবীণ কুমার

২০২০ টোকিও প্যারালিম্পিক্সে রুপো জিতে গর্বিত করেন দেশকে। এবার ২০২৪ প্যারিস প্যারালিম্পিক্স থেকেও দেশকে পদক এনে দিলেন প্রবীণ কুমার। ছেলেদের টি-৬৪ হাই জাম্পে পোডিয়াম ফিনিশ করেন ভারতীয় তারকা। ফলে প্যারিস প্যারালিম্পিক্স থেকে ভারতের পদক সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ২৬-এ।প্যারিসে নিজের সেরা পারফর্ম্যান্স তো বটেই, এমনকি এরিয়া রেকর্ড গড়ে সোনা জেতেন প্রবীণ কুমার। অর্থাৎ, এই ইভেন্টে এশিয়ার সর্বকালের সেরা পারফর্ম্যান্স উপহার দেন ভারতীয় তারকা। তিনি সর্বোচ্চ ২.০৮ মিটার উচ্চতা টপকে সোনার পদক গলায় ঝোলান।প্যারিস প্যারালিম্পিক্সে প্রবীণ আসলে টি-৪৪ বিভাগে প্রতিনিধিত্ব করেন। প্যারালিম্পিক্সের হাই জাম্পের এই ইভেন্টে অংশ নিতে পারেন টি-৬২ ও টি-৬৪ বিভাগের প্যারা অ্যাথলিটরাও। প্যারিসের মিলিত এই ইভেন্টে একমাত্র টি-৬৪ হাই-জাম্পার ছিলেন আমেরিকার লসিডেন্ট ডেরেক। তিনি ২.০৬ মিটার উচ্চতা টপকে রুপোর পদক গলায় ঝোলান। উল্লেখ্য, টি-৬৪ বিভাগে ডেরেক নতুন প্যারালিম্পিক্স রেকর্ড গড়েন।প্রবীণ ১.৮৯ মিটার থেকে অভিযান শুরু করেন। তিনি নিজের প্রথম প্রচেষ্টায় যথাক্রমে ১.৯৩, ১.৯৭, ২.০০, ২.০৩, ২.০৬ ও ২.০৮ মিটার উচ্চতা টপকে যান। অর্থাৎ, পরপর সাতটি জাম্পে সফল হন ভারতীয় তারকা। রুপো জয়ী মার্কিন তারকা ২.০৬ মিটারে আটকে যাওয়ায় প্রবীণের সোনা জয় নিশ্চিত হয়ে যায়। তবে তার পরেও ভারতীয় তারকা নিজের পারফর্ম্যান্সে উন্নতি করার চেষ্টা করেন। যদিও তিনবারের প্রচেষ্টাতেও ২.১০ মিটার টপকাতে পারেননি প্রবীণ।প্রবীণের সোনা জয়ের পরেই ভারত সার্বিক পদক তালিকায় ১৪ নম্বরে উঠে আসে। এই নিয়ে প্যারিস প্যারালিম্পিক্সে মোট ৬টি সোনা জেতে ভারত। টিম ইন্ডিয়ার ঝুলিতে রয়েছে ৯টি রুপো ও ১১টি ব্রোঞ্জ পদক। মেডেল সংখ্যার নিরিখে ভারত অবস্থান করছেন যুগ্মভাবে ক্রমতালিকার ১৩ নম্বরে।প্যারিসে প্রবীণের এই ইভেন্টে ব্রোঞ্জ জেতেন উজবেকিস্তানের গিয়াজোভ তেমুরবেক ও পোল্যান্ডের লেপিয়াতো মাসিয়েজ। দুই তারকাই ২.০৩ মিটার উচ্চতা টপকে ব্রোঞ্জ পদক গলায় ঝোলান।

Card image cap

নতুন রূপের মনুকে দেখে মুগ্ধ অমিতাভ বচ্চন

১২৪ বছরের পুরনো ইতিহাস ভেঙে চুরমার করে দিয়েছেন তিনি। স্বাধীন ভারতের ইতিহাসে প্রথম অ্যাথলিট হিসাবে একই অলিম্পিকে জোড়া পদক জয়ের নজির এখন মনু ভাকেরের নামের পাশে। আপাতত সেই অভিযান শেষে বিশ্রামের মুডে আছেন তিনি। সম্প্রতি গিয়েছিলেন অমিতাভ বচ্চনের ‘কৌন বানেগা ক্রোড়পতি’-তে। সেখানে প্রশংসা পেলেন বিগ বি-র থেকেও।প্যারিসে পদকজয়ের পরই জনপ্রিয়তা তুঙ্গে মনুর। শুধু শুটিং স্টাইল নয়, চর্চা হচ্ছে তাঁর রূপ নিয়েও। অলিম্পিকের সময় যেরকম সাদামাটাভাবে পদক এনে দিয়েছেন দেশকে, তেমনই সম্প্রতি ভাইরাল হয়েছে মনুর শাড়ি পরা লুকও। সেখানে যেন নতুন রূপে ধরা দিয়েছেন অলিম্পিক তারকা। গুণমুগ্ধ অসংখ্য ভক্ত প্রশংসা করছেন তাঁর স্টাইল স্টেটমেন্টের। সেই তালিকায় এবার নাম উঠল বিগ বি-রও।‘কৌন বানেগা ক্রোড়পতি’-র মঞ্চে মনুর সঙ্গে উপস্থিত আমন শেহরাওয়াতও। সেখানে মনুকে দেখে যেন কিছুটা স্তম্ভিতই হয়ে যান বচ্চন। তিনি বলেন, “অলিম্পিকের সময় তো আপনার চুল এলোমেলো থাকত। এখন এরকম চুল বাঁধা দেখে আমি ভাবলাম, ইনিই কি মনু?” উত্তরে মনুও জানান, এভাবে চুল বাঁধা বা মেক-আপ করা তাঁরও অভ্যাস করা নয়।যদিও তাতে ‘আপত্তি’ রয়েছে বচ্চনের। তিনি বলেন, “এটাই ভালো, আপনার সুন্দর মুখ তাতে আরও ভালো করে দেখা যায়।” ‘শাহেনশা’র মুখে এই কথা শুনে যেন কিছুটা লজ্জা পান মনু। কিন্তু এই কথা শুনে হেসে ওঠেন দর্শকাসনে বসে থাকা মনুর মা। এই অনুষ্ঠানে অমিতাভের সিনেমার সংলাপ বলে সবাইকে চমকে দিয়েছিলেন মনু। সেখানে যে আরও অনেক গল্প উঠে আসতে পারে, সেই আশা রয়েছেন ভক্তরা।

Card image cap

২১তম পদক শচীন খিলারির

প্যারালিম্পিকে ভারতের সাফল্য অব্যাহত। পদক সংখ্যার নিরিখে আগেই টোকিওকে ছাপিয়ে গিয়েছিল প্যারিস প্যারালিম্পিক। বুধবার ফের পদক তালিকায় যোগ হল আরেক ভারতীয়র নাম। শটপাটে রুপো পেলেন ভারতের শচীন খিলারি। তাঁর হাত ধরে চলতি প্যারালিম্পিকে ২১তম পদক পেল ভারত। তবে টেবিল টেনিসে ছিটকে গেলেন ভারতের অন্যতম পদক সম্ভাবনা ভাবিনাবেন প্যাটেল। মহিলাদের শট পাটে নিজের সেরা পারফরম্যান্স করেও পদকের লড়াই থেকে সরে যেতে হল ভারতের আমিশা রাওয়াতকে।এফ ৪৬ বিভাগে পুরুষদের শটপাট ফাইনালে এদিন তিনজন ভারতীয় নেমেছিলেন। শচীন ছাড়াও পদকের লড়াইয়ে ছিলেন মহম্মদ ইয়াসির এবং রোহিত কুমার। তবে প্রথম থ্রোয়ে সেভাবে নজর কাড়তে পারেননি শচীন। অন্যদিকে, ফাউল থ্রো দিয়ে ফাইনাল শুরু করে রোহিত। তবে দ্বিতীয় থ্রো থেকে কামব্যাক করেন বিশ্বচ্যাম্পিয়ন শচীন। ১৬.৩২ মিটার ছুঁড়ে তিনি উঠে আসেন পদকের লড়াইয়ে। তার পর থেকে প্রত্যেকটি থ্রো ১৬ মিটারের বেশি মেরেছেন শচীন। তবে নিজের দ্বিতীয় থ্রোটিই তাঁর এদিনের সেরা। ওই থ্রোতে রুপো নিশ্চিত করেন শট পাট তারকা। পাশাপাশি, ফাইনালে উঠেও খালি হাতে ফিরতে হল শট পাটের অপর দুই প্রতিযোগী মহম্মদ ইয়াসির এবং রোহিত কুমারকে। অন্যদিকে, মহিলাদের শট পাটে এফ ৪৬ বিভাগের ফাইনালে উঠেছিলেন আমিশা রাওয়াত। নিজের কেরিয়ারের সেরা থ্রো করেন এদিনের ফাইনাল। ৯. ২৫ মিটার ছোড়েন তিনি। তবে সেরা পারফরম্যান্স করলেও পদক ছাড়াই প্যারিস থেকে ফিরতে হল আমিশাকে। 
বুধবার শট পাটে একটি পদক এলেও আরও বেশ কয়েকটি খেলায় হতাশ করলেন ভারতীয় অ্যাথলিটরা। টেবিল টেনিসে ভারতের অন্যতম পদক সম্ভাবনা ভাবিনাবেন প্যাটেল দুরন্ত লড়াই করে বিদায় নিলেন কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে। ৪৯ কেজি ভারত্তোলন থেকেও ছিটকে গিয়েছেন পরমজিৎ কুমার। 

Card image cap

প্যারালিম্পিকের ব্যাডমিন্টনে দাপট ভারতের

প্যারিস অলিম্পিকে হতাশ করেছিলেন ভারতের ব্যাডমিন্টন খেলোয়াড়রা। অনেক আশা নিয়ে থাকলেও পদক আসেনি। সেই হতাশা কাটতে পারে প্যারালিম্পিকে শাটলারদের সাফল্যে। নীতেশ, তুলসীমতী, সুহাস, মনীষাদের পদক অভিযানের পর এবার ব্রোঞ্জ পেলেন ভারতের নিত্যশ্রী শিবন। SH6 বিভাগে তিনি রিনা মার্লিনাকে হারালেন ২১-১৪, ২১-৬ ব্যবধানে।শুরু থেকেই ঝড় তুলে দিয়েছিলেন নিত্যশ্রী। প্রথম গেমে তিনি দ্রুত এগিয়ে যান ৭-০ পয়েন্টে। কিন্তু চিন্তা বেড়েছিল যখন পালটা লড়াই দিয়ে রিনা ১০-১০ করে দেন। সেখান থেকে ঠান্ডা মাথায় লড়াই চালিয়ে যান ১৯ বছর বয়সি ভারতীয় শাটলার। ১৩ মিনিটের মধ্যে প্রথম গেম জিতে নেন ২১-১৪ পয়েন্টে। দ্বিতীয় গেমে ইন্দোনেশিয়ার প্রতিপক্ষকে দাঁড়াতেই দেননি নিত্যশ্রী। একতরফা দাপটে এগিয়ে যান ১০-২ পয়েন্টে। ব্রোঞ্জজয় তখন ছিল সময়ের অপেক্ষা। দুই গেমে ২১-১৪, ২১-৬ পয়েন্টে জিতে পদক ছিনিয়ে নেন নিত্যশ্রী।তামিলনাড়ুর এই শাটলার মহিলাদের SH6 বিভাগে বর্তমান র‍্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষে আছেন। যদিও ব্যাডমিন্টন খেলার কথাই ছিল না তাঁর। ইচ্ছে ছিল ক্রিকেটার হওয়ার। কিন্তু ২০১৬-র রিও অলিম্পিকের পর আগ্রহ জন্মায় ব্যাডমিন্টনে। আর ২০২৪-র প্যারিস প্যারালিম্পিকে এসে পদক জিতলেন তিনি। তবে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল আর্থিক সমস্যাও। প্রতিভা ও পরিশ্রমের জোরে সেই সব কাটিয়ে ওঠেন। আলাদাভাবে ট্রেনিংয়ের জন্য চলে আসেন লখনউয়ে। সেখান থেকে নতুন যাত্রা শুরু নিত্যশ্রীর।এর আগেও তিনি আন্তর্জাতিক স্তরে পদক জিতেছেন। ২০২১-র যুব এশিয়ান প্যারা গেমসের সিঙ্গলসে সোনা জিতেছিলেন তিনি। ২০২২-র এশিয়ান গেমসে মহিলাদের ডাবলস ও মিক্সড ডাবলসে ব্রোঞ্জ পান। এবার সাফল্য এল অলিম্পিকেও। তিনি ব্রোঞ্জ পাওয়ার পর ভারতের পদক দাঁড়াল মোট পদক দাঁড়াল ১৫। যার মধ্যে রয়েছে তিনটি সোনা।

Card image cap

প্যারালিম্পিক ব্যাডমিন্টনে সোনা জয় নীতেশের

প্যারালিম্পিকে সোনা জিতলেন ভারতের প্যারা শাটলার নীতেশ কুমার। এসএল৩ ক্যাটাগরিতে সোমবার ব্রিটিশ প্যারা শাটলার ড্যানিয়েল বেথেলকে হারিয়ে সোনা ঘরে তুললেন নীতেশ।
ফাইনালে বেশ লড়াই হল দুই খেলোয়াড়ের মধ্যে। ভারতের প্যারা শাটলার প্রথম গেম ২১-১৪-এ জেতেন। দ্বিতীয় গেমে দারুণ ভাবে ফিরে আসেন বেথেল। দ্বিতীয় গেম ড্যানিয়েল বেথেল জিতে নেন ২১-১৮-এ। তৃতীয় গেমেও দারুণ লড়াই হল। শেষমেশ নীতেশ জিতে নেন ২৩-২১-এ। এদিন ব্যাডমিন্টন থেকে সোনা ঘরে তোলায় ভারতের ঝুলিতে এল দ্বিতীয় সোনা। 
দুরন্ত ফর্ম ধরে রেখে ফাইনালে পৌঁছেছিলেন নীতেশ। সেমিফাইনালে জাপানের দাইসুকে ফুজিহারাকে তিনি হারান ২১-১৬, ২১-১২ পয়েন্টে। বিরাট কোহলির বড় ভক্ত নীতেশ। হাল ছাড়ার বান্দা নন তিনি। প্রথম গেম জেতার পরে দ্বিতীয় গেম যখন ব্রিটিশ খেলোয়াড় জিতে ম্যাচে ফিরে আসছেন, তখনও শান্ত ছিলেন নীতেশ। জেতার পরে কোহলির মতোই উদযাপন করেন তিনি। কোহলির ফিটনেস টানে নীতেশকে। তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছিল, ”কোহলি যেভাবে নিজেকে একজন ফিট অ্যাথলিট করে তুলেছেন, তাতে আমি মুগ্ধ। ২০১৩ সালের আগে কোহলি সেরকম ফিট ছিলেন না, কিন্তু এখন নিজেকে ফিট একজন অ্যাথলিট হিসেবে গড়ে তুলেছেন। সেই সঙ্গে অত্যন্ত শৃঙ্খলাপরায়ণ একজন অ্যাথলিট।”
প্যারালিম্পিক থেকে সোনা জয়ের পথে বিদেশের একাধিক তারকা খেলোয়াড়দের মাটি ধরান নীতেশ। কিন্তু তিনি যে শারীরিক প্রতিবন্ধকতাকেও স্ম্যাশ করে হারান।
২০০৯ সালে এক দুর্ঘটনায় পা হারান ভারতের প্যারা শাটলার। ২৯ বছরের প্যারা শাটলার জাপানি প্রতিযোগী ফুজিহারাকে হারাতে সময় নেন মাত্র ৪৮ মিনিট। এর আগে এসএল৩-র সিঙ্গলসে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপ এবং এশিয়ান গেমসে দ্বিতীয় হন নীতেশ। আইআইটি মান্ডি-র এই প্রাক্তনী সোমবার সোনা জিতে নিলেন প্যারিসে। 

Card image cap

কলকাতা লিগের সুপার সিক্সে ইসরাফিলরা

কলকাতা লিগের সুপার সিক্সে উঠে গেল মহামেডান। পয়েন্ট তালিকায় তৃতীয় স্থানে থেকে পরের রাউন্ডে পৌঁছল গতবারের চ্যাম্পিয়নরা। তবে রবিবার বৃষ্টির কারণে সাদাকালো ব্রিগেডের ম্যাচ ভেস্তে গেল। মেসারার্স ক্লাবের বিরুদ্ধে ম্যাচে হাফটাইম পর্যন্ত এগিয়ে ছিল মহামেডান। কিন্তু প্রবল বৃষ্টির কারণে শেষ পর্যন্ত খেলা সম্ভব হয়নি। ১-০ গোলে এগিয়ে থাকা অবস্থায় এই ম্যাচের বাকি অংশ আবার অন্য কোনও দিন খেলতে নামবে মহামেডান। চলতি কলকাতা লিগে একেবারেই ভালো পারফর্ম করতে পারেনি সাদাকালো ব্রিগেড। একটা সময়ে সুপার সিক্সে ওঠা রীতিমতো কঠিন হয়ে পড়েছিল মহামেডানের পক্ষে। গত ম্যাচে সুরুচি সংঘের বিরুদ্ধে ড্র করে সংকট আরও বাড়ে দলের অন্দরে। উল্লেখ্য, গত ২২ আগস্ট সুরুচি সংঘের বিরুদ্ধে ম্যাচ ছিল মহামেডানের। সেদিন দ্বিতীয়ার্ধের খেলা বৃষ্টিতে ভেস্তে যায়। এক সপ্তাহ পরে ম্যাচের বাকি থাকা অংশ খেলতে নামে সাদাকালো ব্রিগেড। দুরন্ত গোল করে সমতা ফেরান লালথাংচুঙ্গা। কিন্তু জয়সূচক গোলটি আর করতে পারেনি মহামেডান শিবির। ২-২ ফলে ম্যাচ শেষ হয়। এহেন পরিস্থিতিতে রবিবার নৈহাটি স্টেডিয়ামে মেসারার্স ক্লাবের বিরুদ্ধে নামেন ইসরাফিল দেওয়ানরা। ম্যাচের মাত্র ৬ মিনিটের মাথায় লালঙ্গাইসাকার গোলে এগিয়ে যায় মহামেডান। হাফটাইম পর্যন্ত এই লিড ধরে রাখে দল। দ্বিতীয়ার্ধের খেলা শুরুর কিছুক্ষণের মধ্যেই শুরু হয় তুমুল বৃষ্টি। ৫৮ মিনিটের পরে রেফারি খেলা বন্ধ করতে বাধ্য হন। পরে আইএফএর তরফে জানিয়ে দেওয়া, এদিনের মতো ম্যাচ পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হল।তবে ম্যাচ ভেস্তে গেলেও সুপার সিক্সের যোগ্যতা অর্জন করে ফেলল গতবারের কলকাতা লিগ চ্যাম্পিয়নরা। রবিবারের অন্য ম্যাচে বিএসএসের মুখোমুখি হয়েছিল ইউনাইটেড স্পোর্টস। কিন্তু সেই  ম্যাচে ১-০ গোলে হারে তারা। ফলে পয়েন্ট তালিকায় মহামেডানকে টপকে যাওয়া সম্ভব নয় ইউনাইটেড স্পোর্টসের পক্ষে। ডায়মন্ড হারবার এবং সুরুচি সংঘের পরে তৃতীয় দল হিসাবে গ্রুপ থেকে সুপার সিক্সের ছাড়পত্র পেয়ে গেল মহামেডান।

Card image cap

ব্রোঞ্জ পেলেন রুবিনা ফ্রান্সিস

প্যারালিম্পিক শুটিংয়ে যে সোনালি সফর শুরু হয়েছিল শুক্রবার। শনিবারও বজায় থাকল সেই সাফল্যের ধারা। এদিন মহিলাদের ১০ মিটার এয়ার পিস্তলের SH1 ইভেন্টে ব্রোঞ্জ পেলেন ভারতের রুবিনা ফ্রান্সিস। ফাইনালে ২১১.১ পয়েন্ট পেলেন তিনি। চলতি প্যারালিম্পিকে শুটিংয়ে এটি ভারতের চতুর্থ পদক।রুবিনা এই ইভেন্টের বাছাই পর্বে ছিলেন ষষ্ট স্থানে। ফাইনালে অবশ্য শুরু থেকেই পদকের দাবিদারদের মধ্যে ছিলেন। একটা সময় উঠে আসেন দ্বিতীয় স্থানে। তবে শেষমেশ ব্রোঞ্জ পেয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয় তাঁকে। এই ইভেন্টে সোনা জিতেছেন ইরানের অ্যাথলিট। রূপো পেয়েছেন তুরস্কের ও ওজগান।চলতি প্যারালিম্পিকে শুটিংয়ে এটি ভারতের চতুর্থ পদক। শুক্রবারই অলিম্পিকে অধরা সোনার সাধ পূরণ করেছেন অবনী লেখারা। ১০ মিটার এয়ার রাইফেলের SH1 ইভেন্টে সোনা জেতেন অবনী। ওই একই ইভেন্টে ব্রোঞ্জ পান ভারতের মোনা আগরওয়াল। পরে ছেলেদের ১০ মিটার এয়ার পিস্তলের SH1 ইভেন্টে মনীশ নারওয়াল রূপো পান। এদিন ব্রোঞ্জ পেলেন রুবিনা।এদিকে প্যারিস প্যারালিম্পিকে ব্যাডমিন্টন থেকে সুখবর এসেছে ভারতের জন্য। পুরুষদের ব্যাডমিন্টনের SL4 বিভাগে পদক নিশ্চিত হয়ে গিয়েছে ভারতের। ওই ইভেন্টে ভারতের সুকান্ত কদম এবং সুহাস যথিরাজ দুজনেই সেমিফাইনালে উঠে গিয়েছেন। সেক্ষেত্রে অন্তত একটি পদকজয় নিশ্চিত ভারতের।

Card image cap

প্রথমবার ডুরান্ড জিতল নর্থ ইস্ট

ডুরান্ড কাপের ফাইনালে মুখোমুখি মোহনবাগান ও নর্থ ইস্ট ইউনাইটেড। যুবভারতীতে ফের চ্যাম্পিয়ন হওয়ার লক্ষ্যে নামছে সবুজ-মেরুন ব্রিগেড। মোলিনার দল কি লক্ষ্যপূরণ করতে পারবে লক্ষ-লক্ষ সমর্থকের? অন্যদিকে নর্থ ইস্ট ইউনাইটেডের কাছে প্রথমবার ট্রফিজয়ের সুযোগ। গোটা টুর্নামেন্ট জুড়েও তারাও দুরন্ত ফুটবল খেলেছে।
শুভাশিসের টাইব্রেকার সেভ করলেন গুরমীত। ডুরান্ড জিতল নর্থ ইস্ট ইউনাইটেড।টাইব্রেকারে দুরন্ত গোল আজারাইয়ের। খেলার ফলাফল নর্থ ইস্টের পক্ষে ৪-৩।  ডুরান্ড চ্যাম্পিয়ন নির্ধারিত পেনাল্টি শুট আউটে। টাইব্রেকারে স্বপ্নভঙ্গ মোহনবাগানের প্রথমবার ডুরান্ড জিতল নর্থ ইস্ট টাইব্রেকারে ৪-৩ ব্যবধানে মোহনবাগানকে হারিয়ে ডুরান্ড চ্যাম্পিয়ন হল নর্থ ইস্ট ইউনাইটেড।কোয়ার্টার ফাইনাল, সেমি ফাইনালে জয় এসেছিল টাইব্রেকারে। শনিবার ডুরান্ড কাপ ফাইনালে নর্থইস্ট ইউনাইটেড এফসি-র বিরুদ্ধেও টাইব্রেকারে জয়ের আশায় ছিল মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট। কিন্তু এবার আর জয় এল না। প্রথমার্ধে ২-০ এগিয়ে থাকার পর দ্বিতীয়ার্ধে ২ গোল হজম করে টাইব্রেকারে হেরে গেল মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট। নর্থইস্ট ইউনাইটেড এফসি এই প্রথম কোনও সর্বভারতীয় ট্রফি জিতল। মোহনবাগান সুপার জায়ান্টের হয়ে টাইব্রেকারে গোল করতে ব্যর্থ হন লিস্টন কোলাসো ও শুভাশিস বসু। এবারের ডুরান্ড কাপে প্রথমবার টাইব্রেকারে কোনও শটই সেভ করতে পারলেন না সবুজ-মেরুন দুর্গের বিশ্বস্ত প্রহরী বিশাল কাইথ। টাইব্রেকারে জোড়া শট সেভ করে নায়ক হয়ে গেলেন নর্থইস্ট ইউনাইটেড এফসি-র গোলকিপার গুরমিত সিং।

Card image cap

প্যারালিম্পিকে নয়া ইতিহাস ভারতের

প্যারালিম্পিকে ইতিহাস গড়লেন ভারতের প্রীতি পাল। মহিলাদের টি-৩৫ বিভাগে ১০০ মিটার স্প্রিন্টে ব্রোঞ্জ জিতলেন তিনি। প্যারালিম্পিকের স্প্রিন্টে এই প্রথম পদক জিতল ভারত। উত্তরপ্রদেশের মেয়ে ফাইনালে দৌড় শেষ করলেন মাত্র ১৪.২১ সেকেন্ডে। এই ইভেন্টে সোনা জেতেন চিনের জিয়া ঝৌ ও রুপো পান চিনের কিয়ানকিয়ান গুয়োর।এদিন শুটিংয়ে সোনা জিতেছেন অবনী লেখারা। ব্রোঞ্জ পেলেন মোনা আগরওয়াল। সেই রেশ কাটতে না কাটতেই ফের পদক ঢুকল ভারতের ঝুলিতে। চলতি প্যারালিম্পিকের ট্র্যাক ও ফিল্ড বিভাগে প্রথম পদক এল প্রীতি পালের হাত ধরে। ২৩ বছরের স্প্রিন্টার ব্যক্তিগত সেরা সময় করলেন প্যারিসে। তিনি সময় নিয়েছেন ১৪.২১ সেকেন্ড। অন্যদিকে ১৩.৫৮ সেকেন্ডে দৌড় শেষ করে সোনা জিতলেন জিয়া ঝৌ। ১৩.৭৪ সেকেন্ডে রুপো পান কিয়ানকিয়ান গুয়ো।১০০ মিটার স্প্রিন্টে ভারতের হয়ে প্রথম পদক পেলেন প্রীতি। কিন্তু সার্বিকভাবে অ্যাথলেটিকসে এটাই ভারতের প্রথম পদক নয়। এর আগে টি৫৩ বিভাগে রুপো পেয়েছিলেন ভারতের দীপা মালিক। ২০১৬-র রিও অলিম্পিকের শট পুটে পদক পেয়েছিলেন তিনি। সেই তালিকায় এবার জুড়ে গেল প্রীতির নামও। জীবনে অনেক সংগ্রামের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে তাঁকে। জন্মানোর ছদিন বাদে তাঁর শরীরের নিম্নাংশ প্লাস্টার করতে হয়। দুর্বল পায়ের জন্য অনেক চিকিৎসা করানোও হয়। কিন্তু প্রীতি দমেননি।১৭ বছর বয়সে প্যারালিম্পিকের ভিডিও দেখে তিনি উদ্বুদ্ধ হন। সোশাল মিডিয়ায় ভিডিও দেখেই তাঁর আগ্রহ বাড়তে থাকে। নতুন স্বপ্ন বাসা বাঁধে তাঁর মনে। কিন্তু আর্থিক বাধাবিপত্তিও ছিল। শেষ পর্যন্ত প্যারালিম্পিক অ্যাথলিট ফাতিমা খাতুনের সঙ্গে সাক্ষাতের পর জীবন বদলে যায়। তাঁর উৎসাহেই জাতীয় স্তরের ইভেন্টে অংশগ্রহণ করেন প্রীতি। আর সেই জেদই তাঁকে টেনে আনল অলিম্পিকের সাফল্যে।