CATEGORY games:

Card image cap

গৌতির আবদার মেনে ‘নিয়মবিরুদ্ধ’ পদক্ষেপ!

হেড কোচের যাবতীয় দাবি মেনে নিয়েছে বিসিসিআই। সেজন্য রুল বুকের বাইরে গিয়েও পদক্ষেপ করতে হয়েছে। তার পরেও কেন লাগাতার ব্যর্থতা ভারতীয় দলের? গৌতম গম্ভীরকে এবার সরাসরি এই প্রশ্ন করতে চলেছে বোর্ড। সূত্রের খবর, ঘরের মাঠে পছন্দমতো পিচ বানিয়েও কেন নিউজিল্যান্ডের কাছে লজ্জার হার ভুগতে হল, তার জবাবদিহি চাওয়া হবে গম্ভীরের কাছে।একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের দাবি, দিনকয়েকের মধ্যেই একটি রিভিউ মিটিং ডাকবে বোর্ড। গম্ভীর ছাড়াও সেখানে হাজির থাকবেন ভারতীয় অধিনায়ক রোহিত শর্মা এবং নির্বাচক প্রধান অজিত আগরকর। ওই মিটিংয়েই কঠিন প্রশ্নের মুখে পড়বেন গুরু গম্ভীর। তাঁকে জিজ্ঞাসা করা হবে, চলতি বছরের শুরুতেই তো স্পোর্টিং উইকেটে খেলে ইংল্যান্ডকে ৪-১ হারিয়েছে ভারত। কিন্তু বেঙ্গালুরুতে পেস সহায়ক উইকেটে রোহিতদের আত্মসমর্পণের পরই টিম ম্যানেজমেন্টের তরফে ঘূর্ণি পিচের দাবি করা হয়। কেন হঠাৎ এইভাবে বদলে গেল পিচ নীতি?গম্ভীর আচমকা পিচ বদলের দাবি জানানোয় বোর্ড কর্তারা অনেকেই অবাক হয়েছিলেন বলে সূত্রের খবর। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিসিসিআইয়ের এক সূত্রের মতে, গম্ভীরের সমস্ত দাবি মেনে নিয়েছে বোর্ড। সাধারণত এনসিএর দায়িত্বে থাকা কোচদেরই নিয়োগ করা হয় জাতীয় দলে। কিন্তু গম্ভীরের দাবি মেনে সহকারী কোচ অভিষেক নায়ার এবং বোলিং কোচ মর্নি মর্কেলকে নিয়োগ করেছে বোর্ড। এমনকি রুল বুকের বাইরে গিয়ে অস্ট্রেলিয়া সফরের দল নির্বাচনী বৈঠকেও জায়গা দেওয়া হয় কোচ গম্ভীরকে।এত সুবিধা সত্ত্বেও কেন একের পর এক সিরিজ হারতে হচ্ছে? কেবল সিরিজ হার নয়, একাধিক লজ্জার নজির গড়েছে টিম ইন্ডিয়া। সমালোচনার ঝড় উঠেছে ক্রিকেটপ্রেমীদের মধ্যে। এহেন পরিস্থিতিতে সরাসরি গম্ভীরকেই প্রশ্ন করতে চলেছে বোর্ড। সূত্রের খবর, গম্ভীরের দাবি মেনে যেসমস্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল সেগুলো এবার পালটানোর কথা ভাবছে বিসিসিআই। আগামী দিনে ভারতীয় দল নিয়ে কী পরিকল্পনা রয়েছে গম্ভীরের, সেটাও স্পষ্টভাবে জিজ্ঞাসা করবে বোর্ড।

Card image cap

‘এখন তো পাকিস্তানও ভারতকে হারিয়ে দেবে’: আক্রম

কিছুদিন আগেও ছবিটা সম্পূর্ণ আলাদা ছিল দুদেশে। বাংলাদেশকে চুনকাম করে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনাল একপ্রকার নিশ্চিত ছিল ভারতের। অন্যদিকে তার কিছুদিন আগে সেই বাংলাদেশের কাছেই টেস্ট সিরিজে হেরে অন্ধকারে ছিল পাকিস্তান। কিন্তু বর্তমানে ছবিটা সম্পূর্ণ বদলে গিয়েছে। নিউজিল্যান্ডের কাছে হোয়াইটওয়াশ হয়েছেন রোহিত শর্মারা। এই ভারতকে পাকিস্তানও হারিয়ে দিতে পারে, কাটা ঘায়ে নুনের ছিটে দিলেন ওয়াসিম আক্রম।নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ঘরের মাঠে হারতে হয়েছে ভারতকে। স্পিন খেলার ব্যর্থতাও চোখে পড়েছে। আবার ইংল্যান্ডের কাছে প্রথম টেস্ট হেরেছিল পাকিস্তান। কিন্তু পরের দুটি টেস্টে জয় ছিনিয়ে এনেছে। যার নেপথ্যে ছিল সাজিদ খান-নোমান আলির স্পিন জুটি। এবার যদি দুদলের মধ্যে খেলা হয়, তাহলে পাল্লা ভারী কার দিকে?সেই প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন পাক কিংবদন্তি ওয়াসিম আক্রম। তার আগে ইংল্যান্ডের প্রাক্তন ক্রিকেটার মাইকেল ভনের বক্তব্য ছিল, তিনি ফের ভারত-পাকিস্তানের টেস্ট দেখতে চান। সেই কথার সূত্র ধরে আক্রম বলেন, “সেটা হলে বিরাট ব্যাপার হবে। দুটো ক্রিকেটপাগল দেশের মধ্যে ফের টেস্ট হলে, সেটা ক্রিকেটের জন্যও ভালো।”তার পরই ভন দাবি করেন, “পাকিস্তান এখন স্পিন সহায়ক পিচে ভারতকে হারিয়ে দেবে।” সেই কথায় সায় দেন আক্রমও। তিনি বলেন, “স্পিনের উইকেটে পাকিস্তান এখন ভারতকে হারিয়ে দিতে পারে। সদ্য ঘরের মাঠেই ওরা নিউজিল্যান্ডের কাছে ৩-০ ব্যবধানে সিরিজ হেরেছে।” ফলে শুধু দেশের মধ্যেই নয়, বিদেশেও সমালোচিত হচ্ছেন রোহিত-বিরাটরা।

Card image cap

মুখ খুললেন ‘অভিমানী’ স্টার্ক

গত আইপিএলের আগে প্রায় ২৫ কোটি টাকা দিয়ে কেকেআর তুলে নিয়েছিল মিচেল স্টার্ককে। কিন্তু প্রাথমিক পর্বে ভালো ফর্মে ছিলেন না অজি পেসার। প্রথম দুম্যাচে দিয়েছিলেন ১০০ রান। ছিল না কোনও উইকেট। তবে সময় যত এগিয়েছে, তত জ্বলে উঠেছেন তিনি। ফাইনালে দুরন্ত পারফর্ম করেছিলেন। কিন্তু তার পরও কেকেআরের আইপিএল রিটেনশন তালিকায় নেই তাঁর নাম।নাইটরা এবার রিটেন করেছে রিঙ্কু সিং, সুনীল নারিন, আন্দ্রে রাসেল, বরুণ চক্রবর্তী, হর্ষিত রানা ও রমনদীপ সিংকে। গতবারের চ্যাম্পিয়ন দল থেকে ফিল সল্ট, শ্রেয়স আইয়ারের ছাঁটাই হয়েছেন স্টার্কও। কেকেআরের হাতে আছে ৫১ কোটি টাকা। সেই অর্থের বড় অংশ যে অজি পেসারের জন্য ব্যবহার করা হবে, এমন খবরও নেই। কিন্তু গত ফাইনাল ম্যাচের সেরা প্লেয়ার হওয়া সত্ত্বেও দলে নেই। তাতে কি কিছুটা অভিমান জমেছে?স্টার্কের বক্তব্য, “আমার সঙ্গে এই বিষয়ে কেকেআরের কেউ কথা বলেনি। ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট বোধহয় এরকমই হয়। হায়দরাবাদের প্যাট কামিন্স ও ট্র্যাভিস হেড ছাড়া আমাদের সবাই নিলাম টেবিলে উঠব।” এটা যদি স্টার্কের বক্তব্য হয়, তাহলে সম্পূর্ণ অন্যদিকে দাঁড়িয়ে আছেন জস বাটলার। তাঁকে রিটেন করেনি রাজস্থান রয়্যালস। তবু তিনি আবেগঘন বার্তা পাঠিয়েছেন।রাজস্থানের ভক্তদের জন্য তাঁর বার্তা, “তাহলে এটাই শেষ। রাজস্থান রয়্যালস ও গত ৭ বছর ধরে যারা ফ্র্যাঞ্চাইজির সঙ্গে যুক্ত ছিল, সকলকে ধন্যবাদ। ২০১৮ আমার কেরিয়ারের সেরা বছর। তার মধ্যে একটা হল রাজস্থানের গোলাপী জার্সি গায়ে দেওয়া। ধন্যবাদ, আমাকে সাদর আমন্ত্রণ জানানোর জন্য। অনেক কিছুই লিখতে পারতাম। কিন্তু এটুকুই থাক।”

Card image cap

দ্বিতীয় দিনের শেষে অ্যাডভান্টেজে ভারত

পুণে টেস্টে হার ভারতীয় দল নিয়ে গোটা দুয়েক প্রশ্ন তুলে দিয়েছিল। এক, ব্যাটাররা কি স্পিন খেলতে ভুলে গেলেন? দুই, ভারতের স্পিনাররা কি রাতারাতি ধারহীন হয়ে গেলেন? মুম্বই টেস্টের দ্বিতীয় দিন এই দ্বিতীয় প্রশ্নটির সপাট জবাব দিয়ে দিলেন অশ্বিন, জাদেজারা। টিম ইন্ডিয়ার স্পিনাররা মোটামুটি বেঁধে ফেললেন কিউয়ি ব্যাটারদের। দিনের শেষে তাঁদের স্কোর ১৭১-৯। দ্বিতীয় ইনিংসে নিউজিল্যান্ডের লিড ১৪৩ রানের। পিচের কথা মাথায় রেখেও এই মুহূর্তে বলতে হয়, খানিকটা হলেও মুম্বই টেস্টে এগিয়ে টিম ইন্ডিয়া।মুম্বই টেস্টে নিউজিল্যান্ডের প্রথম ইনিংস থেমে গিয়েছিল ২৩৫। লক্ষ্য খুব একটা বড় নয়। ব্যাটিং ব্যর্থতা না ভোগালে সহজেই বড় রানের লিড নেওয়া যেত। সেই রাস্তাটা করেও দিয়েছিলেন শুভমান গিল ও ঋষভ পন্থ। ৯৬ রানের জুটি বেঁধে টিম ইন্ডিয়াকে একসময় চালকের আসনে পৌঁছে দিয়েছিলেন তাঁরা। লাঞ্চের সামান্য আগেই আউট হয়ে যান পন্থ। তিনি করেন ৬০ রান। তার আগে ৩৬ বলে ঝোড়ো হাফসেঞ্চুরি করেন। যা নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে টেস্টে ভারতীয় ব্যাটারদের মধ্যে দ্রুততম হাফসেঞ্চুরি। মুম্বইয়ের প্রবল গরমে ভারতকে বড় রানের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন গিল। কিন্তু তাঁকে সঙ্গত করতে পারলেন না জাদেজা, সরফরাজ, অশ্বিনরা। গিল ৯০ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেললেন, শেষ দিকে ওয়াশিংটন সুন্দরও ৩৮ রানের একটা ঝোড়ো ইনিংস খেলেন। কিন্তু সরফরাজ, জাদেজা, অশ্বিনদের ব্যর্থতায় বড় লিড পেল না ভারত। টিম ইন্ডিয়ার প্রথম ইনিংস শেষ হল ২৬৩ রানের। লিড ছিল মাত্র ২৮ রানের।ভারত যখন অলআউট হল, ততক্ষণে পিচ মারাত্মক হয়ে উঠেছে। ঘূর্ণি সামলানো কঠিন হয়ে উঠেছে। ভারতীয় বোলাররা সেই ঘূর্ণিকে কাজে লাগালেন। দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষ হওয়ার পর্যন্ত নটি উইকেট তুলে নিল টিম ইন্ডিয়া। খরচ করতে হল রান ১৭১। গোটা সিরিজে ভালো ফর্মে না থাকা অশ্বিন এই ইনিংসে খানিক ছন্দ ফিরে পেলেন। তিনটি উইকেট তুললেন তিনি। রবীন্দ্র জাদেজা চার উইকেট পেলেন। এই মুহূর্তে নিউজিল্যান্ডের লিড ১৪৩ রানের। তৃতীয় দিন বড় কোনও অঘটন না ঘটলে বিরাট লিড পাওয়ার কথা নয় কিউয়িদের।

Card image cap

ফের আরসিবির অধিনায়ক পদে ফিরছেন বিরাট?

আগামী আইপিএলে নয়া চমক। ফের অধিনায়ক হিসাবে ফিরতে পারেন বিরাট কোহলি! এমনই জল্পনা ক্রিকেট মহলে। শোনা যাচ্ছে, নিলাম থেকে ‘যোগ্য’ কাউকে না পেলে ফের বিরাটের ঘাড়েই অধিনায়কত্বের ব্যাটন তুলে দিতে পারে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু কর্তৃপক্ষ। তবে কোহলি নিজে তাতে রাজি হবেন কিনা, সেটা এখনও স্পষ্ট নয়।এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের দাবি অনুযায়ী, ট্রফির খরা কাটাতে মেগা নিলামে দল ঢেলে সাজাতে চাইছে আরসিবি। গত তিন মরশুমের অধিনায়ক ফ্যাফ ডু’প্লেসিসের বয়স হচ্ছে। তাঁকে সম্ভবত আর রিটেন করা হবে না। নিলামের আগে আরসিবি কর্তৃপক্ষ যোগাযোগ করেছিল শুভমান গিলের সঙ্গে। তাঁকে নিলামে কিনে নিয়ে অধিনায়কত্ব তুলে দেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছিল। কিন্তু শেষমেশ গিল গুজরাট টাইটান্স ছাড়তে চাইছেন না বলেই খবর। সেক্ষেত্রে আরসিবি তাঁকে পাচ্ছে না।অধিনায়ক হিসাবে গিলই ছিল আরসিবির প্রথম পছন্দ। আরও কয়েকজনের নাম রয়েছে তাদের পছন্দের তালিকায়। যদিও তাঁদের মধ্যে কতজন নিলামে উঠবেন, উঠলেও তাঁদের পাওয়া যাবে কিনা, সেসব নিয়ে বিস্তর প্রশ্ন রয়েছে ম্যানেজমেন্টের মনে। শেষমেশ পছন্দসই কাউকে না পাওয়া গেলে বিরাটকেই ফের অধিনায়ক হওয়ার জন্য অনুরোধ করা হতে পারে বলে আরসিবি সূত্রের খবর।২০২১ সাল পর্যন্ত ফ্র্যাঞ্চাইজির অধিনায়কত্ব করছেন বিরাট। কিন্তু টানা ব্যর্থতার জেরে আচমকাই অধিনায়কত্ব ছাড়েন তিনি। ঘটনাচক্রে তার পরের তিন বছরেও আরসিবির পারফরম্যান্সে বিশেষ উন্নতি হয়নি। ম্যানেজমেন্ট মনে করছে, ২০২১ সালের আগে বিরাটের উপর অনেক রকমের চাপ ছিল। তখন ভারতের জাতীয় ফলের অধিনায়ক ছিলেন তিনি। নিয়মিত খেলতেন তিন ফরম্যাটে। কিন্তু এখন তিনি অনেকটাই চাপমুক্ত। কোনও ফরম্যাটেই আর ভারতের অধিনায়ক নন বিরাট। টি-টোয়েন্টিতে আর খেলেন না। ফলে অনেকটাই চাপমুক্ত তিনি। তাই নতুন করে আরসিবির অধিনায়ক হিসাবে দায়িত্ব দেওয়া হলে তিনি রাজি হলেও হয়ে যেতে পারেন। তবে সবটাই নির্ভর করছে নিলামে আরসিবি তেমন কাউকে তুলে নিতে পারছে কিনা, সেটার উপর।

Card image cap

অধরা জয়ের খোঁজে ইস্টবেঙ্গল

 টানা হারের ধাক্কা কাটিয়ে একটা পয়েন্ট এসেছে। তবে এখনও জয়ের মুখ দেখেনি ইস্টবেঙ্গল। মঙ্গলবার রাতে বসুন্ধরা কিংসের বিরুদ্ধে সেই অধরা জয়ের খোঁজেই নামছেন অস্কার ব্রুজোরা।
এমনিতে এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগের এই ম্যাচে বহু পুরনো ‘যুদ্ধ’ লুকিয়ে রয়েছে। ইস্টবেঙ্গলের দায়িত্ব নেওয়ার আগে টানা ছয় মরশুম বসুন্ধরার হেড স্যর ছিলেন অস্কার। সেই অভিজ্ঞতা কতটা সাহায্য করবে তাঁকে? ম্যাচের আগে সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি অবশ্য শুনিয়ে গেলেন, “আমি বসুন্ধরা কিংস সম্পর্কে সব জানি, এমন নয়। কিছু প্লেয়ার সম্পর্কে জানি। কারণ আমি ছাড়ার পর দলে পরিবর্তন হয়েছে। শেষ ম্যাচে বসুন্ধরার খেলা দেখেছি। ওদের সম্পর্কে এখন সেটুকুই আমার কাছে তথ্য আছে। তার ভিত্তিতেই পরিকল্পনা তৈরি করছি।” প্রাক্তন ক্লাব নিয়ে মাঠে কোনও আবেগ নেই স্প্যানিশ কোচের মননে। বরং পুরোটাই দর্শনের লড়াই বলে জানিয়েছেন তিনি। গত কয়েক বছরে বসুন্ধরাকে ভরসা দেওয়া ফরোয়ার্ড রবসন রবিনহো এবার দলের সঙ্গে আসেননি। প্রাক্তন ছাত্রের অনুপস্থিতিতেও প্রতিপক্ষকে গুরুত্ব দিচ্ছেন অস্কার।
শুধু অস্কারই নয়, লাল-হলুদ শিবিরের আরও একজনের ‘স্মৃতি’ জড়িয়ে রয়েছে বসুন্ধরার সঙ্গে। গত মরশুমে এএফসি কাপের গ্রুপ পর্বে দুই সাক্ষাতে বাংলাদেশের এই ক্লাবের বিরুদ্ধে জয়ের মুখ দেখেননি হেক্টর ইউস্তে। তখন অবশ্য লাল-হলুদ নয়, স্প্যানিশ ডিফেন্ডারের কাজ ছিল মোহনবাগানের গড় আগলানো। এবার সেই প্রতিপক্ষকে হারাতে মরিয়া হেক্টর বলছেন, “গতবার ওদের কাছে একটা ম্যাচ হারি, একটা ড্র হয়। এবার আমাদের জেতা ছাড়া আর কোনও পথ নেই।” হেক্টর জেতার কথা বললেন বটে। তবে শেষ ম্যাচেও ভুলভ্রান্তিতে বিবর্ণ হয়ে উঠেছিল লাল-হলুদ ডিফেন্স। যা পরিস্থিতি, এই ম্যাচে শুরু থেকে খেলতে পারেন নিশু কুমার। এছাড়া প্রথম একাদশে পরিবর্তনের বিশেষ সম্ভাবনা নেই।
টানা নয় ম্যাচে জয়ের দেখা পায়নি ইস্টবেঙ্গল। তবে বসুন্ধরা ম্যাচ দিয়েই সেই খরা কাটাতে চাইছেন অস্কার। বলছিলেন, “দলের সবাই পরিস্থিতি সম্পর্কে ওয়াকিবহাল। ওরা নিজেদের মধ্যে আলোচনাও করছে। আমরাও ফুটবলারদের মানসিকভাবে চাঙা করতে পদক্ষেপ করছি।” বিকালের নেজমেহ এসসি বনাম পারো এফসি ম্যাচের উপর গ্রুপের ভাগ্য অনেকটাই নির্ভর করছে। তবে শেষ ম্যাচ পর্যন্ত নিজেদের পরের পর্বে যাওয়ার দৌড়ে রাখাই প্রাথমিক লক্ষ্য অস্কারের। আর সেজন্য জেতা ছাড়া যে পথ নেই, জানেন তিনি।

Card image cap

বিরাটের নাম নিয়ে বার্তা ডি’ভিলিয়ার্সের

ভারতীয়রাই সবচেয়ে ভালো স্পিন খেলতে পারে, সেসব দিন এখন অতীত। নিউজিল্যান্ডের কাছে রোহিত শর্মাদের আত্মসমর্পণের পরে এমনটাই বলছেন এবি ডি’ভিলিয়ার্স। প্রোটিয়া কিংবদন্তির মতে, ঘূর্ণি পিচে ভালো বোলার থাকলে যেকোনও ব্যাটারই চাপে পড়ে যাবেন। আর ব্যাটারের যদি দক্ষতা থাকে তাহলে বিশ্বের যেকোনও পরিস্থিতিতেই রান করতে পারবেন।পুণে টেস্টে জিতে কিউয়িদের বিরুদ্ধে সিরিজে সমতা ফেরাতে মরিয়া ছিল ভারত। তাই স্পিন সহায়ক ধীরগতির পিচ তৈরি করা হয় পুণেতে। সেখানে ভারতের স্পিনাররা দারুণ বোলিং করলেও, মুখ থুবড়ে পড়েন ব্যাটাররা। কিউয়িদের ঘূর্ণিতে মাত্র তিনদিনেই টেস্ট শেষ হয়ে যায়। ১১৩ রানের বিরাট ব্যবধানে জেতে ব্ল্যাক ক্যাপস। এক ম্যাচ বাকি থাকতেই জিতে নেয় সিরিজও।তার পর থেকেই সমালোচনার ঝড় উঠেছে ভারতীয় ব্যাটারদের স্পিন খেলার ‘অক্ষমতা’ নিয়ে। সেই প্রসঙ্গ টেনেই নিজের ইউটিউব চ্যানেলে এবি বলেন, “যখন ভারতে যেতাম সবসময় বলা হতো ভারতীয়রাই সবচেয়ে ভালো স্পিন খেলতে পারে। কিন্তু তার মানে এই নয় ভারতের সব ব্যাটাররাই স্পিনের বিরুদ্ধে বিশ্বসেরা। ঘূর্ণি পিচে যদি ভালো স্পিনারের মোকাবিলা করতে হয় তাহলে দুনিয়ার সব ব্যাটারই চাপে পড়বে। আর ব্যাটারের যদি দক্ষতা আর রান করার মানসিকতা থাকে তাহলে দুনিয়ার যেকোনও প্রান্তে রান করতে পারবে।”
সফরকারী দলকে ঘূর্ণি পিচে ফেলে ম্যাচ জেতার পুরনো ফর্মুলা ভারতে এখন অকেজো হয়ে গিয়েছে বলেই মত প্রোটিয়া তারকার। এবির কথায়, “ভারতীয় ব্যাটাররা সকলেই খুব ভালো। সকলেই স্পিন খেলতে পারে। কিন্তু আগে সকলে যেমন ভাবত ভারতে গিয়ে স্পিনের বিরুদ্ধে সাংঘাতিক সমস্যা হবে, ৯০ দশকের সেই আতঙ্ক এখন অতীত।” বন্ধু বিরাটের সমর্থনে এবি মনে করিয়ে দেন, ভারতে স্পিন খেলে সেঞ্চুরির পাশাপাশি দক্ষিণ আফ্রিকাতেও শতরান হাঁকিয়েছেন কিং কোহলি।

Card image cap

সিরিজ হারতেই বিরাট-রোহিতদের ‘বিশেষ সুবিধা’য় কোপ!

১২ বছর পরে ঘরের মাঠে টেস্ট সিরিজ হার। ঘরের মাঠে এক ইনিংসে সর্বনিম্ন স্কোর। নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে একের পর এক লজ্জার নজির গড়েছে মেন ইন ব্লু। তার পরেই ক্রিকেটারদের জন্য কড়া পদক্ষেপ গৌতম গম্ভীরের। একগুচ্ছ নির্দেশিকা জারি হয়েছে টিমের সকলের জন্য। তারকা ক্রিকেটারদের জন্য অলিখিত ‘সুবিধা’গুলোও ছেঁটে ফেলা হয়েছে বলে সূত্রের খবর।ভারতীয় দলের প্রথা অনুযায়ী, মাঝে মাঝেই ‘ঐচ্ছিক’ অনুশীলনের ব্যবস্থা থাকে। দলের অধিকাংশ সিনিয়র ক্রিকেটাররাই সেই অনুশীলনে যান না। হোটেলে থেকে হালকা গা ঘামান তাঁরা। বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মা, জশপ্রীত বুমরাহর মতো তারকারা সাধারণত অপশনাল প্র্যাকটিসে হাজির থাকেন না। কিন্তু গুরু গম্ভীরের নির্দেশ, এবার থেকে সেই সুবিধা মিলবে না। দলের অনুশীলনে হাজির থাকতে হবে প্রত্যেক ক্রিকেটারকে।একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, পুণেতে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে তিনদিনে টেস্ট হারের পর ছুটি দেওয়া হয়েছে শুভমান গিলদের। দুদিনের জন্য জাতীয় দল থেকে ছুটি পেয়েছেন সকলে। জানা গিয়েছে, ছুটি পাওয়ার পরেই পুণে থেকে সড়কপথে মুম্বই রওনা দিয়েছেন রোহিত এবং বিরাট। তবে দলের বাকিরা হয়তো রবিবার মুম্বইয়ে পৌঁছবেন। আগামী ১ নভেম্বর থেকে মুম্বইয়ে শুরু হবে সিরিজের তৃতীয় টেস্ট।তার আগে ৩০ এবং ৩১ অক্টোবর অনুশীলনে নামবে মেন ইন ব্লু। সেই অনুশীলনে প্রত্যেক ক্রিকেটারকে হাজির থাকতে হবে বলে নির্দেশ দিয়েছেন কোচ গম্ভীর। উল্লেখ্য, সিরিজ হাতছাড়া হলেও তৃতীয় টেস্ট জেতা ভারতের পক্ষে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই টেস্টেও পয়েন্ট না পেলে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে খেলাও অনিশ্চিত হয়ে পড়বে। মরণবাঁচন ম্যাচের আগে অনুশীলনে কোনও খামতি রাখতে চাইছেন না গম্ভীর।

Card image cap

পুণে টেস্টে মেজাজ হারানো বিরাটকে কটাক্ষ নেটিজেনদের

সময়টা ভালো যাচ্ছে না বিরাট কোহলির। টেস্টে সেঞ্চুরি নেই বহুদিন। নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে দুটি টেস্টেই মোক্ষম সময়ে আউট হয়েছেন। নেটদুনিয়ায় ধেয়ে আসছে সমালোচনা। তিনি নিজেও যে মেজাজ হারাচ্ছেন, তার প্রমাণ পাওয়া গেল পুণে টেস্টে আউট হওয়ার পর। যা নিয়েও প্রবল কটাক্ষ সোশাল মিডিয়ায়।বেঙ্গালুরুতে প্রথম ইনিংসে শূন্য করেছিলেন। দ্বিতীয় ইনিংসে ৭০ রান করে কামব্যাকের ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। তবু সেঞ্চুরি আসেনি। ভারতও ম্যাচ হারে। দ্বিতীয় টেস্টেও একই ফল করেছে ভারত। পুণেতে প্রথম ইনিংসে বোল্ড হয়েছিলেন। তাঁর আউট হওয়ার ভঙ্গি দেখে অনেকেই হতাশ। দ্বিতীয় ইনিংসের আউট আরও দুর্ভাগ্যজনক। এলবিডব্লু হলেও তা আসলে ছিল ‘আম্পায়ারস কল’। অর্থাৎ, আম্পায়ার আউট না দিলে ক্রিজেই থাকতেন কোহলি। ডিআরএস নিয়েও লাভ হয়নি।বেঙ্গালুরুতে প্রথম ইনিংসে শূন্য করেছিলেন। দ্বিতীয় ইনিংসে ৭০ রান করে কামব্যাকের ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। তবু সেঞ্চুরি আসেনি। ভারতও ম্যাচ হারে। দ্বিতীয় টেস্টেও একই ফল করেছে ভারত। পুণেতে প্রথম ইনিংসে বোল্ড হয়েছিলেন। তাঁর আউট হওয়ার ভঙ্গি দেখে অনেকেই হতাশ। দ্বিতীয় ইনিংসের আউট আরও দুর্ভাগ্যজনক। এলবিডব্লু হলেও তা আসলে ছিল ‘আম্পায়ারস কল’। অর্থাৎ, আম্পায়ার আউট না দিলে ক্রিজেই থাকতেন কোহলি। ডিআরএস নিয়েও লাভ হয়নি।এমনিতে তাঁর ফর্ম নিয়ে চিন্তায় প্রাক্তনরাও। শেষ টেস্ট সেঞ্চুরি এসেছে গত বছরের ডিসেম্বরে। নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে আরেকটি টেস্টের পর সামনে বর্ডার গাভাসকর ট্রফি। সেখানে শুধু বিরাট কোহলি নন, চর্চায় রোহিত শর্মাও। কারণ তিনিও চেনা ছন্দে নেই। সেখানে কিন্তু রোহিত-বিরাটের ব্যাটের উপর ভারতের সাফল্যের অনেকটা নির্ভর করবে।

Card image cap

১২ বছর পর ঘরের মাঠে টেস্ট সিরিজ হার

মাত্র ১০ দিন আগেও ছবিটা এরকম ছিল না। বাংলাদেশকে চুনকাম করার পর বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনাল একপ্রকার নিশ্চিত ছিল। কিন্তু নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে পর পর দুটি টেস্ট হারার পর ছবিটা আচমকা বদলে গিয়েছে। পয়েন্ট তালিকায় এখনও শীর্ষেই আছে ভারত। কিন্তু তাতেও আশঙ্কা কমছে না। ঘাড়ের কাছে নিঃশ্বাস ফেলছে অস্ট্রেলিয়া, শ্রীলঙ্কা, নিউজিল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিকা।প্রথমবার নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে সিরিজ হার। ঘরের মাঠে সিরিজ হারল ১২ বছর পর। বোলিং নিয়ে ঠিক যতটা নিশ্চিন্ত হওয়া যায়, তার চেয়েও অনেক বেশি দুশ্চিন্তা ব্যাটিং নিয়ে। নিউজিল্যান্ড যে বাংলাদেশ নয়, তা নিশ্চয়ই হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছেন গম্ভীররা। চাপ বাড়ছে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল খেলা নিয়েও।সিরিজ শুরুর আগে ১১টি টেস্ট খেলে মেন ইন ব্লু জিতেছিল ৮টি। সবমিলিয়ে ৯৮ পয়েন্ট ছিল, অর্থাৎ ৭৪.২৪ শতাংশ। এখনও পয়েন্ট ৯৮-ই। কিন্তু ১৩ ম্যাচের পর পয়েন্ট শতাংশ নেমে গিয়েছে ৬২.৮২। অন্যদিকে দ্বিতীয় স্থানে থাকা অস্ট্রেলিয়ার পয়েন্ট শতাংশ ৬২.৫০। ভারতের এখনও একটি টেস্ট বাকি নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে। সেখানে হারলে হোয়াইটওয়াশের লজ্জার সঙ্গে ধাওয়া করবে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালের দৌড় থেকে ছিটকে যাওয়ার আশঙ্কাও।আর ওয়াংখেড়েতে পরের টেস্টটি জিতলেও রেহাই নেই রোহিতদের। বাকি পাঁচ টেস্টের মধ্যে তার পরও জিততে হবে আরও তিনটি টেস্ট। সেগুলি আবার খেলতে হবে অস্ট্রেলিয়ায় বর্ডার গাভাসকর ট্রফিতে। অর্থাৎ সব মিলিয়ে চারটি টেস্ট জিততে হবে। গত দুবার সেখানে জিতলেও, এবারের ফর্ম অশনি সংকেত দিয়ে রাখছে। তালিকায় তৃতীয় স্থানে আছে শ্রীলঙ্কা। ৯ ম্যাচে তাদের পয়েন্ট শতাংশ ৫৫.৫৬। তাদের বাকি দুটি টেস্ট। নিউজিল্যান্ড ১০ ম্যাচে পয়েন্ট শতাংশ ৫০। তাদের হাতে ভারতের বিরুদ্ধে একটি ছাড়াও রয়েছে ইংল্যান্ডের সঙ্গে তিনটি টেস্ট। বাংলাদেশকে উড়িয়ে দিয়ে লড়াইয়ে এসে গিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকাও। ৭ টেস্টে তাদের পয়েন্ট ৪৭.৬২। কিন্তু তাদের হাতে এখনও পাঁচটি টেস্ট রয়েছে। ফলে চাপ ক্রমশ বাড়ছে ভারতের উপরই।

Card image cap

বিরাট আউট হতেই সমালোচনা

ফের ব্যর্থ বিরাট কোহলি। বেঙ্গালুরুর প্রথম ইনিংসের মতোই পুণেতেও খারাপ শট খেলে আউট হয়ে গেলেন কিং কোহলি। তার পর থেকেই নেটদুনিয়ায় জোর চর্চা, বিরাট কি নিজের কেরিয়ারের সবচেয়ে জঘন্য শটটি খেলে ফেললেন? সেই জল্পনায় ঘি ঢেলে ধারাভাষ্যকার সঞ্জয় মঞ্জরেকরও সহমত পোষণ করেন। গত বছর জুলাই মাসে শেষবার টেস্টে সেঞ্চুরি করেছিলেন বিরাট। তার পর থেকে হাতেগোনা কয়েকটা ভালো ইনিংস এসেছে তাঁর ব্যাট থেকে। চলতি নিউজিল্যান্ড সিরিজের প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসে খাতা না খুলেই প্যাভিলিয়নে ফিরতে হয় তাঁকে। দ্বিতীয় ইনিংসে অবশ্য ৭০ রান করেছিলেন। কিন্তু পুণে টেস্টে ফের ব্যর্থতা তাড়া করল বিরাটকে। প্রথম ইনিংসে কঠিন পরিস্থিতি থেকে দলকে উদ্ধার করার দায়িত্ব ছিল তাঁর কাঁধে। কিন্তু খারাপ শট খেলে মাত্র ১ রান করে আউট হন বিরাট।
দুরন্ত ফর্মে থাকা মিচেল স্যান্টনারের ফুলটস বলে হাঁটু মুড়ে শট মারতে যান বিরাট। সেই বল ব্যাটে না লেগে আছড়ে পড়ে উইকেটে। এমন দৃশ্য দেখে এক্স হ্যান্ডেলে সঞ্জয় মঞ্জরেকর বলেন, “হায় রে! বিরাট নিজেও জানে যে ও নিজের কেরিয়ারের সবচেয়ে খারাপ শটটা খেলে আউট হয়েছে। ওর জন্য খুব খারাপ লাগছে। কারণ বিরাট সবসময়ে রান করার খিদে নিয়ে ক্রিজে আসে।”
মঞ্জরেকরের এই মন্তব্যের সঙ্গে সহমত পোষণ করেন ক্রিকেটপ্রেমীদের অনেকেই। উল্লেখ্য, বিরাটের পাশাপাশি এদিন ব্যর্থ হয়েছে গোটা টিম ইন্ডিয়া। কিউয়ি ঘূর্ণির সামনে আত্মসমর্পণ করেন রোহিত শর্মারা। প্রথম ইনিংসে ১৫৬ রানে গুটিয়ে গিয়েছে ভারত। ইতিমধ্যেই ১৩৭ রানের লিড নিয়ে ফেলেছে নিউজিল্যান্ড।

Card image cap

পুণে টেস্টে হার বাঁচানোর লড়াই ভারতের

পুণেতে ঘুর্ণির ঘুর্ণিপাকে ভারত! নিউজিল্যান্ডের ২৫৯ রানের জবাবে প্রথম ইনিংস শেষ মাত্র ১৫৬ রানে। প্রথম ইনিংসে ১০৩ রানে পিছিয়ে পড়ার পর ভারতকে ম্যাচে ফেরাতে পারত কোনও বোলারের ‘ম্যাজিক্যাল’ স্পেল। কিন্তু বল হাতে নিউজিল্যান্ডের স্যান্টনার যে ম্যাজিকটা দেখিয়েছিলেন, সেটা ভারতের কোনও বোলার দ্বিতীয় দিনে দেখাতে পারলেন না। ফলস্বরূপ, পুণে টেস্টের দ্বিতীয় দিনের শেষেই অবধারিত হারের মুখে ভারত। বড় কোনও মির‍্যাকেল না হলে, এই টেস্ট বাঁচানোটাই দায় হয়ে যাবে রোহিতদের।নিউজিল্যান্ডের ২৫৯ রানের জবাবে খেলতে নেমে প্রথম দিনই অধিনায়ক রোহিত শর্মার উইকেট খোয়ায় ভারত। শুক্রবার অর্থাৎ ম্যাচের দ্বিতীয় দিন সকালে এক সেশনেই আউট হলেন ভারতের ৬জন ব্যাটার। সবাই স্পিনারদের স্বীকার। বলা ভালো, মিচেল স্যান্টনার নামের এক আপাত নিরীহ বাঁহাতি স্পিনারের শিকার। ফলস্বরূপ প্রথম ইনিংসে টিম ইন্ডিয়া অলআউট হল মাত্র ১৫৬ রানে। একাই সাত উইকেট তুলে নিলেন স্যান্টনার। ভারতীয়্ ব্যাটারদের মধ্যে জয়সওয়াল (৩০), গিল (৩০) এবং জাদেজা (৩৮) ছাড়া উল্লেখ করার মতো পারফরম্যান্স কেউ দেখাতে পারেননি।দ্বিতীয় ইনিংসে নিউজিল্যান্ড ব্যাট করতে নামতেই পিচ যেন বদলে গেল। কিছুক্ষণ আগে যে পিচ দুর্বোধ্য মনে হল, সেখানেই অনায়াসে ব্যাট করে গেলেন কিউয়ি অধিনায়ক টম লেথাম। একাই ৮৬ রানের ইনিংস খেলে গেলেন তিনি। তাঁকে সঙ্গত করলেন ইয়ং, ব্লান্ডেলরা। দিনের শেষে মোটে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৯৮ রানে খেলছে কিউয়িরা। লিড ৩০১ রানের।
দ্বিতীয় ইনিংসেও ভারতের হয়ে যে বোলারটিকে সবচেয়ে প্রভাবশালী মনে হচ্ছিল, তিনি ওয়াশিংটন সুন্দর। এই ইনিংসে ৪ উইকেট তুলেছেন তিনি। অশ্বিন তুলেছেন এক উইকেট। যে পিচে প্রথম ইনিংসেই ১৫৬ রানে অলআউট হয়েছেন রোহিতরা, সেখানে চতুর্থ ইনিংসে এই বিশাল রান তুলতে কোনও মিরাক্যালই করতে হবে টিম ইন্ডিয়াকে।

Card image cap

৭ উইকেট তুললেন ওয়াশিংটন সুন্দর

বেঙ্গালুরু টেস্ট হারের ‘বদলা’ কি পুণেতে হবে? অপেক্ষায় দেশের ক্রিকেটভক্তরা। প্রথম দিনের শেষে অবশ্য বোলারদের পারফরম্যান্স হাসি ফোটাবে কোচ গৌতম গম্ভীরের মুখে। বিশেষ করে ওয়াশিংটন সুন্দরের ফর্ম। নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় টেস্টে সুযোগ পেয়েই ৭ উইকেট তুলে নিলেন তিনি। তাঁর ঘূর্ণিতে বন্দি হয়ে গেলেন রাচিন রবীন্দ্ররা। প্রথম ইনিংসে নিউজিল্যান্ড থেমে গেল ২৫৯ রানে। জবাবে ভারতের রান ১ উইকেট হারিয়ে ১৬।এদিন টসে জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন টম ল্যাথাম। শুরুতে খুব একটা সুবিধা করতে পারেননি ভারতের দুই পেসার জশপ্রীত বুমরাহ ও আকাশ দীপ। অবশেষে রবিচন্দ্রন অশ্বিনকে আক্রমণে আনতেই সাফল্য পায় ভারত। টম ল্যাথাম, ডেভন কনওয়ে, উইল ইয়ংকে ফিরিয়ে দিয়ে প্রথম ধাক্কা দেন তিনি। তার পরই শুরু হয় সুন্দরের ম্যাজিক। সেই সময়ে রাচিন রবীন্দ্র ও ড্যারিল মিচেল মিলে নিউজিল্যান্ডকে ভালো জায়গায় নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন।কিন্তু সেই পরিকল্পনা ভেস্তে দিলেন ওয়াশিংটন সুন্দর। অথচ এই টেস্টে সুযোগ পাওয়ার কথাই ছিল না তাঁর। এমনকী প্রথম টেস্টের মূল স্কোয়াডেও ছিলেন না। আচমকাই তাঁকে দলে নিয়ে আসা হয়। অনেকে মনে করেছিলেন বেঙ্গালুরুতে হেরে ‘প্যানিক’ করে তাঁকে ডাকা হয়েছে। কিন্তু সেটাই মাস্টারস্ট্রোক হয়ে গেল পুণেতে। ৫৯ রান দিয়ে তুলে নিলেন ৭ উইকেট। সঙ্গে ৬৪ রান দিয়ে ৩ উইকেট পেলেন অশ্বিন। নিউজিল্যান্ডের ইনিংস থেমে যায় ২৫৯ রানে। জবাবে ১ উইকেট হারিয়ে ভারতের রান ১৬। বড় রানের লক্ষ্যে ভরসা হতে পারত রোহিত শর্মার চওড়া ব্যাট। বেঙ্গালুরুতে দ্বিতীয় ইনিংসে হাফসেঞ্চুরি করে ফর্মে ফেরার ইঙ্গিতও দিয়েছিলেন। কিন্তু টিম সাউথির বলে বোল্ড হয়ে গেলেন তিনি। দিনের শেষে অপরাজিত শুভমান গিল ও যশস্বী জয়সওয়াল। কাল ব্যাটাররা কত বড় লক্ষ্য দিতে পারেন, তার উপর নির্ভর করছে ভারতের এই টেস্টের ভাগ্য। 

Card image cap

বায়োপিকে পছন্দের অভিনেতা বাছলেন নীরজ

তাঁর হাত ধরে অলিম্পিকে ইতিহাস গড়েছে ভারত। পরপর দুবার অলিম্পিক থেকে পদক এনে দিয়েছেন তিনি। সেই নীরজ চোপড়ার জীবনকাহিনি কোনও সিনেমার চেয়ে কম যায় না। তাই তারকা জ্যাভলিন থ্রোয়ারকে নিয়ে বায়োপিক হওয়ার সম্ভাবনাও প্রবল। কিন্তু বায়োপিকে সোনার ছেলের ভূমিকায় অভিনয় করবেন কে? একটি সাক্ষাৎকারে নিজের পছন্দ ফাঁস করলেন নীরজ। সেই সঙ্গে জানালেন, তাঁর বায়োপিকে অভিনয় করতে গেলে বিশেষ একটি শর্ত মানতে হবে অভিনেতাকে।প্রথম ভারতীয় অ্যাথলিট হিসাবে ২০২০ টোকিও অলিম্পিকে ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ড ইভেন্ট থেকে সোনা জেতেন নীরজ। তার পর থেকেই বারবার নীরজের বায়োপিক বানানোর সম্ভাবনা দেখা গিয়েছে। উল্লেখ্য, ক্রীড়াবিদদের নিয়ে বলিউডে একাধিক বায়োপিক হয়েছে। মহেন্দ্র সিং ধোনি থেকে সাইনা নেহওয়াল-একাধিক তারকার বায়োপিক দেখেছেন দেশবাসী। তাই নীরজের জীবন বড় পর্দায় এলে সেই সিনেমা তুমুল জনপ্রিয় হবে, সেকথা বলাই বাহুল্য।নিজের বায়োপিক নিয়ে অবশ্য বেশ কিছু শর্ত রয়েছে নীরজের। একটি সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “আমার মনে হয় একজন অ্যাথলিটের কেরিয়ার শেষ হয়ে যাওয়ার পরেই তাঁর বায়োপিক তৈরি করা উচিত। দেশের জন্য যতখানি অবদান রাখা যায়, জ্যাভলিন থ্রোকে আরও জনপ্রিয় করে তোলা যায়, তার পরে বায়োপিক হোক। আমি চাই জ্যাভলিন থ্রো আরও জনপ্রিয় হয়ে উঠুক গোটা দেশ।”বায়োপিকের জন্য পছন্দের অভিনেতাও বেছে নিয়েছেন নীরজ। ওই সাক্ষাৎকারেই সোনার ছেলে বলেন, “আমার বায়োপিকে অভিনয়ের জন্য একমাত্র রণদীপ হুডার কথাই মনে হয়। উনি খুব ভালো অভিনেতা। হরিয়ানার মানুষ। আমার ভূমিকায় যিনিই অভিনয় করুন না কেন তাঁকে আমার ভাষাটা সাবলীলভাবে বলতে হবে।” তিনি নিজেও তো বায়োপিকে অভিনয় করতে পারেন? নীরজের জবাব, “আমি বিজ্ঞাপনটুকু করে ফেলতে পারি। কিন্তু বিষয়টা খুব কঠিন, কারণ আমি আগে কখনও অভিনয় করিনি।” তবে সোনার ছেলে সাফ জানিয়ে দেন, অভিনয়টা তাঁর দ্বারা সম্ভব নয়।

Card image cap

বৃষ্টির কথা ভেবে কল‌্যাণী থেকে ম‌্যাচ সরল যাদবপুরে

সোমবার রাত পর্যন্ত ঠিক ছিল কেরলের বিরুদ্ধে বাংলা খেলবে কল্যাণীতেই। কিন্তু চব্বিশ ঘণ্টায় বাংলার পরের ম্যাচের ভেন্যু নিয়ে রীতিমতো নাটক হয়ে গেল। টিম চাইছিল কল্যাণীতে খেলতে। আসলে বিহার ম্যাচ থেকে মাত্র এক পয়েন্ট পাওয়ার পর বাংলা অলআউট ঝাঁপাতে চাইছে কেরলের বিরুদ্ধে। তাই একেবারে গ্রিন টপ তৈরির কথা ভাবা হচ্ছিল।বঙ্গ টিমের অনেকেরই বক্তব্য ছিল যে, যাদবপুরের মাঠের উইকেট অনেকটা পাটা। সেখানে ম্যাচের রেজাল্ট হওয়ার সম্ভাবনা কম। তবে মঙ্গলবার সকালের পর পুরো চিত্রটা বদলে যায়। বাংলা কোচ লক্ষ্মীরতন শুক্লা, অধিনায়ক অনুষ্টুপ মজুমদাররা আলোচনায় বসেন কিউরেটর সুজন মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে। শোনা গেল, বৃষ্টির কথা ভেবেই কল্যাণী থেকে ম্যাচ সরিয়ে নিয়ে আসার সিদ্ধান্ত হয়েছে।শোনা গেল, সিএবি নাকি কল্যাণীতে ম্যাচ করানো নিয়ে নিশ্চয়তা দিতে পারছে না। বলা হয়েছে, যদি বৃষ্টি হয় সেক্ষেত্রে সমস্যা হতে পারে। বাংলা টিমও তাই কল্যাণীর বদলে যাদবপুরেই খেলার সিদ্ধান্ত নেয়। ঠিক হয়েছে যাদবপুরের মাঠেও যতটা সম্ভব সবুজ উইকেট প্রস্তুত করা হবে। টিমের তরফ থেকে বলা হল, ‘‘চেয়েছিলাম ম্যাচটা কল্যাণীতেই খেলতে। কিন্তু এখন যদি বৃষ্টি হয়, তাহলে আবারও সমস্যা হতে পারে। খেলাই যদি কোনওভাবে না হয়, তাহলে আরও সমস্যা হবে। তার চেয়ে যাদবপুরে ম্যাচটা হোক। উইকেট কীরকম হয়, সেটা দেখা যাক।’’তবে এই ম্যাচ নিয়েও আশঙ্কা থাকছে। কারণ ঘূর্ণিঝড় ডানা নিয়ে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। আবহাওয়ার দপ্তরও বৃষ্টির সম্ভাবনার কথা জানিয়ে রেখেছে। সেটা নিয়ে বাংলাও ভালোরকম চিন্তায় আছে। কারণ এই ম্যাচও যদি বৃষ্টিতে ভেস্তে যায়, তাহলে নকআউটে যাওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়ে যাবে। এই ম্যাচে অবশ্য তিনজনকে পাচ্ছে না বাংলা। অভি‌মন্যু ঈশ্বরণ, মুকেশ কুমার আর অভিষেক পোড়েল ভারতীয় ‘এ’ টিমের হয়ে অস্ট্রেলিয়া সফরে যাচ্ছেন। তবে ঈশান পোড়েল চোট সারিয়ে এখন পুরো ফিট। এদিন নেটে বোলিংও করেন। কেরল ম্যাচের টিমে তাঁকে নিয়ে আসা হচ্ছে। অভিমন্যু না থাকায় ওপেনিংয়েও বদল আসছে। এখনও পর্যন্ত যা খবর, তাতে সুদীপ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে শুভম চট্টোপাধ‌্যায় ওপেন করতে পারেন।

Card image cap

বিস্ফোরক অভিযোগ সাক্ষীর

কুস্তি ফেডারেশনের প্রাক্তন সভাপতি ব্রিজভূষণ সিংয়ের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্তার অভিযোগে আন্দোলন করেছিলেন কুস্তিগিররা। দিল্লিতে সেই আন্দোলনের প্রধান মুখ ছিলেন সাক্ষী মালিক, ভিনেশ ফোগাট ও বজরং পুনিয়া। সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে সাক্ষীর আত্মজীবনী ‘উইটনেস’। সেখানে তিনি নিজের জীবনের একাধিক অধ্যায় নিয়ে মুখ খুলেছেন।সেখানে রয়েছে সাক্ষীর নিজের সঙ্গে হওয়া হেনস্তার কথাও। খোদ ব্রিজভূষণের হাতেই হেনস্তা হতে হয়েছিল তাঁকে। সাক্ষীর বই থেকে জানা যাচ্ছে, সেটা ঘটেছিল ২০১২ সালে। যখন তিনি কাজাকস্থানে এশিয়ান জুনিয়র চ্যাম্পিয়নশিপে খেলতে গিয়েছিলেন। সেখানে উপস্থিত ছিলেন ব্রিজভূষণও। তখন হোটেলের ঘরে সাক্ষীকে যৌন হেনস্তার শিকার হতে হয়।
সেই ঘটনার বিষয়ে সাক্ষী জানাচ্ছেন, “সিং আমার বাবা-মায়ের সঙ্গে ফোনে কথা বলছিল। তার মধ্যে কিছু ক্ষতিকারক ছিল না। আমিও বাবা-মাকে আমার ম্যাচ আর মেডেল নিয়ে গল্প করছিলাম। আমার কখনও মনে হয়নি খারাপ কিছু ঘটতে পারে। কিছু যখন আমি ফোন রাখার পর খাটে গিয়ে বসি, তখন ও আমাকে যৌন হেনস্তা করার চেষ্টা করে। আমি ধাক্কা মেরে ওকে সরিয়ে দিয়ে কাঁদতে শুরু করি।”সেই সঙ্গে সাক্ষীর বক্তব্য, “তার পর ও পিছু হটে। আমার মনে হয়, ব্রিজভূষণ বুঝতে পেরেছিল ও আমাকে যেরকম ভেবেছে, আমি সেরকম নই। ও যা চাইছে, তা ও পাবে না। তখন ব্রিজভূষণ বলে যে, ও আমার গায়ে ‘বাবার মতো’ হাত দিচ্ছিল। কিন্তু আমি জানি, সেটা ছিল না। আমি চোখের জল মুছতে মুছতে ওর ঘর থেকে নিজের ঘরে ফিরে আসি।” শুধু এই ঘটনা নয়, সাক্ষী আরও অনেক ঘটনার উল্লেখ করেছেন। এমনকী ছোটবেলায় শিক্ষকের হাতে হেনস্তা হওয়ার কথাও বলেছেন তিনি।

Card image cap

নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় টেস্টে খেলবেন শুভমান-পন্থ

দ্বিতীয় টেস্টে খেলতে পারবেন শুভমান গিল। হাঁটুর চোটের সমস্যা কাটিয়ে মাঠে নামবেন ঋষভ পন্থও। সাংবাদিক সম্মেলনে এসে এই কথা জানালেন ভারতের সহকারী কোচ রায়ান টেন দুশখাতে। তবে ইঙ্গিত দিলেন, ১৫০ রানের ইনিংস খেলেও হয়তো প্রথম একাদশ থেকে বাদ পড়বেন সরফরাজ খান। কারণ কে এল রাহুলের অফ ফর্ম নিয়ে প্রশ্ন উঠলেও তাঁর প্রতি আস্থা রাখছে মেন ইন ব্লু।আগামী বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হচ্ছে ভার‍ত বনাম নিউজিল্যান্ড দ্বিতীয় টেস্ট। প্রথম টেস্টে হারের পর ঘুরে দাঁড়াতে মরিয়া মেন ইন ব্লু। গুরুত্বপূর্ণ সেই ম্যাচের আগে সম্পূর্ণ ফিট হয়ে গিয়েছেন শুভমান গিল। ঘাড়ে সমস্যার কারণে প্রথম টেস্টে খেলতে পারেননি। তবে দ্বিতীয় টেস্টে নামবেন গিল। তিন নম্বরেই খেলানো হবে তাঁকে।প্রথম টেস্টে ভারতের চিন্তার অন্যতম কারণ ছিলেন ঋষভ পন্থও। কিউয়ি ইনিংস চলাকালীন আচমকাই হাঁটুতে লাগে তাঁর। সঙ্গে সঙ্গেই খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে মাঠ ছাড়তে হয় পন্থকে। পরিবর্ত উইকেটকিপার হিসাবে মাঠে নামে ধ্রুব জুরেল। গোটা ম্যাচেই আর উইকেটকিপারের দস্তানা দেখা যায়নি পন্থের হাতে। তবে ৯৯ রানের দুরন্ত ইনিংস খেলে দলকে পালটা লড়াইয়ের জায়গায় নিয়ে যান পন্থ। দ্বিতীয় টেস্টের আগে অবশ্য পন্থের হাঁটুর অবস্থার উন্নতি হয়েছে। দুশখাতে জানান, “পুরোপুরি হাঁটুতে চাপ দিতে গেলে এখনও সমস্যা হচ্ছে পন্থের। কিন্তু আমরা আশাবাদী যে পন্থ উইকেটকিপিং করবে।”তবে প্রথম টেস্টে দেড়শো রানের ইনিংস খেলেও হয়তো দ্বিতীয় টেস্টের দলে জায়গা হবে না সরফরাজ খানের। ম্যাচের আগে দুশখাতে জানান, “অবশ্যই দলে জায়গা পাওয়া নিয়ে লড়াই রয়েছে। গত ম্যাচে সরফরাজ দুরন্ত পারফর্ম করেছে। টেস্ট শেষ হওয়ার পরে আমি রাহুলের সঙ্গেও কথা বলেছি। রাহুল যথেষ্ট ভালো ব্যাটিং করছে, ওকে নিয়ে কোনও সংশয় নেই।” যদিও পরের টেস্টে রাহুল বা সরফরাজকে বসানো নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি দুশখাতে। তবে মনে করিয়ে দিয়েছেন, সঞ্জু স্যামসনের মতোই রাহুলকেও লম্বা সময় দিতে চান কোচ গৌতম গম্ভীর।

Card image cap

টেস্ট থেকে বিদায়ের ইঙ্গিত!

বেঙ্গালুরু টেস্টের পর প্রবল সমালোচিত কেএল রাহুল। ব্যাটে রান পাননি, গুরুত্বপূর্ণ সময় আউট হয়েছেন, ক্যাচ মিস করছেন। সব মিলিয়ে বিপাকে পড়েছেন ভারতীয় তারকা। টেস্ট শেষের পর রাহুল এমন একটি কাজ করলেন, যাতে অনেকেরই মনে হচ্ছে, টেস্ট ক্রিকেটকে সম্ভবত বিদায় জানাতে চলেছেন তিনি।বেঙ্গালুরুতে প্রথম ইনিংসে ভারত থেমে যায় মাত্র ৪৬ রানে। ৬ বলে শূন্য করেছিলেন রাহুল। পরে নিউজিল্যান্ডের ব্যাটিংয়ের সময় ক্যাচও হাতছাড়া করেন। দ্বিতীয় ইনিংসে ভারতকে লড়াইয়ের জায়গায় এনে দিয়েছিলেন সরফরাজ ও পন্থ। কিন্তু তাঁদের লড়াইকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারেননি রাহুল। আউট হয়ে যান মাত্র ১২ রানে। ভারতও টেস্ট হেরে যায়। ক্রিকেট মহলের একাংশের বক্তব্য, রাহুল রান পেলে ভারতের টেস্ট জয় অসম্ভব ছিল না। রাহুলের আত্মবিশ্বাস যে তলানিতে, সেটাও মনে করছেন অনেকে।তবে ফর্মের বিচার ছেড়ে এখন একটাই প্রশ্ন নেটিজেনদের। আদৌ রাহুল কি আর টেস্ট খেলবেন? কারণ বেঙ্গালুরু টেস্টের পর দেখে যায় নীচু হয়ে পিচ ছুঁয়ে দেখছেন তিনি। মুহূর্তের মধ্যে ভাইরাল হয়ে যায় রাহুলের এই কাণ্ড। নেটদুনিয়ায় জল্পনা, টেস্ট ক্রিকেট থেকে হয়তো বিদায় নিতে পারেন তিনি। পিচ স্পর্শ করে সেটারই ইঙ্গিত দিলেন। অনেকের মনে পড়ছে শচীন তেণ্ডুলকরের বিদায়ী টেস্টের কথাও। কেরিয়ারের শেষ টেস্টে তিনি পিচকে প্রণাম করেছিলেন।ঘটনাচক্রে বেঙ্গালুরু রাহুলের ঘরের মাঠ। ঘরোয়া ক্রিকেটে কর্ণাটকের হয়ে এই মাঠেই কেরিয়ারের সূত্রপাত। আইপিএলের প্রথম দিকে খেলেছেন রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুতে। ফলে অনেকে এটাও মনে করছেন, ঘরের মাঠে ফিরতে পেরে শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন তিনি। তবে সাম্প্রতিক ফর্মের বিচারে অবসর জল্পনাই তুঙ্গে নেটপাড়ায়।