CATEGORY politics:

Card image cap

মহিলা কমিশনের প্রধানকে টিপ্পনী, আবার বিতর্কে মহুয়া

বেলাগাম মন্তব্যে ফের বিতর্কের কেন্দ্রে কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র। জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন রেখা শর্মার বিরুদ্ধে তাঁর টিপ্পনী সাংবিধানিক ওই পদের মর্যাদা হানি করেছে অভিযোগ করে দিল্লি পুলিশের কাছে এফআইআর দায়ের হয়েছে। এফআইআর-টি করেছে মহিলা কমিশনই। এর পরে সমাজমাধ্যমে রেখা শর্মার বিভিন্ন পোস্ট তুলে ধরে মহুয়া বলেছেন, ‘এমন এক জন মানুষ বারে বারে অন্যের বিরুদ্ধে মানহানিকর ও অশালীন মন্তব্য করে গিয়েছেন। কমিশন তা হলে তাদের চেয়ারপার্সনের বিরুদ্ধেও এফআইআর করুক।’ মহুয়া তাঁর এক্স হ্যান্ডলে লিখেছেন, তিনি দিল্লি পুলিশকে ভয় পান না। আপাতত নদিয়ায় রয়েছেন তিনি। পারলে সেখান থেকে তাঁকে গ্রেফতার করে নিয়ে যাক দিল্লি পুলিশ।

লোকসভায় আদানি শিল্পগোষ্ঠীর সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নিবিড় সম্পর্ক নিয়ে বরাবর সরব ছিলেন মহুয়া। নির্বাচনের আগে মন্ত্রগুপ্তি ভঙ্গের অভিযোগ তুলে বেনজির প্রক্রিয়ায় তাঁর সদস্যপদ খারিজ হয়ে গিয়েছিল। তার পরে ফের কৃষ্ণনগর থেকে জয়ী হয়ে সংসদে গিয়েছেন মহুয়া। নতুন বিতর্কটিকে হাতিয়ার করে মহুয়ার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে ফের তৎপর হয়েছে বিজেপি। মহুয়ার সাংসদ পদ কেড়ে নেওয়ার দাবিতে বিজেপি নেতারা এ দিন সরব হয়েছেন।

উত্তরপ্রদেশের হাথরসে পদপিষ্ট হয়ে জখম মহিলাদের দেখতে হাসপাতালে গিয়েছিলেন জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন রেখা। ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, কোনও এক জন রেখার মাথায় ছাতা ধরে রয়েছেন। রেখা কেন নিজের ছাতা নিজে ধরেননি, তা নিয়ে নেটিজেনরা সরব হয়েছিলেন। সেখানেই মহুয়া মন্তব্য করেছেন, ‘ছাতা ধরবেন কী করে, উনি তো ওঁর প্রভুর পাজামা ধরেছিলেন!’ এই মন্তব্যকে রেখা অশালীন এবং তাঁর পদের মর্যাদাহানিকর বলে নিন্দা করেন। ক্রোধে ফেটে পড়তে দেখা যায় তাঁকে। রেখা দাবি করেন, ভিড়ের মধ্যে পিছন থেকে কে তাঁর মাথায় ছাতা ধরেছিলেন, বা আদৌ ধরেছিলেন কি না— তিনি বুঝতেই পারেননি।কিন্তু মহুয়া এক্স-এ রেখার একের পর এক পুরনো পোস্ট তুলে ধরে দেখিয়েছেন, কী ভাবে বিজেপির ওই নেত্রী বিরোধী নেতাদের বিরুদ্ধে, এমনকি মোহনদাস গান্ধীর নামেও আপত্তিকর ও কুরুচিকর মন্তব্য করে গিয়েছেন। সনিয়া গান্ধী অসুস্থ হয়ে পড়ার পরে নরেন্দ্র মোদী এক্স-এ পোস্ট দিয়ে উদ্বেগ জানিয়ে তাঁকে কোনও হাসপাতালে ভর্তি করার পরামর্শ দেন। তার নীচে রেখা শর্মা লেখেন, ‘অসুস্থতাটা ওঁর মাথায়, কোনও পাগলাগারদে ওঁকে নিয়ে যেতে বলুন।’ মোহনদাস গান্ধী সম্পর্কে রেখার পোস্ট— ‘যিনি নিজের ছেলের ভাল বাবা হতে পারেননি, তাকে কেমন করে আমরা জাতির জনক বলে ডাকি?’ আপ নেতা কুমার বিশ্বাস প্রিয়ঙ্কা গান্ধীকে বোন সম্বোধন করার পরে মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন এক্স-এর পোস্টে দু’জনের পিতৃপরিচয় নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। মহুয়ার প্রশ্ন, জাতীয় মহিলা কমিশন কি রেখা শর্মার বিরুদ্ধে এফআইআর করছেন?

Card image cap

একদিনের মধ্যে তৃণমূল নেতাদের ‘দখল’ করা জমি ফেরানোর নির্দেশ বিধায়কের

তৃণমূলের যেসব নেতা বা জনপ্রতিনিধিরা সরকারি জমি দখল করেছেন একদিনের মধ্যে সকলকে জমি ফেরানোর নির্দেশ নারায়ণ গোস্বামীর। নির্দেশ না মানলে কড়া পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি। বিধায়ক তথা জেলা সভাধিপতির এই মন্তব্যের পালটা দিয়েছেন বনগাঁ বিজেপির সভাপতি দেবদাস মণ্ডল। তিনি বলেন, “ক্ষমতা থাকলে পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন।” উত্তর ২৪ পরগনার বাগদার একটি লজে এবং দেহালদহে কর্মিসভা করেন বিধায়ক তথা জেলা সভাধিপতি নারায়ণ গোস্বামী। সেখানে তিনি বলেন, “তৃণমূলের যেসব নেতা-কর্মী বা জনপ্রতিনিধিরা সরকারি জমি দখল করে রেখেছেন, বৃহস্পতিবারের মধ্যে তা দখলমুক্ত করতে হবে। না হলে পরশু থেকে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” নারায়ণবাবু বলেন, আমার কাছে নির্দিষ্ট কিছু অভিযোগ এসেছে তার ভিত্তিতেই আমি এই কথা বলেছি।” নারায়ণ গোস্বামীর এই মন্তব্যের পর বাগদার রাজনৈতিক মহলে প্রবল শোরগোল। এ বিষয়ে বিজেপির বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি দেবদাস মণ্ডল বলেন, “নারায়ণ গোস্বামীর যদি ক্ষমতা থাকে সবার আগে বাগদা পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন। কারণ, তিনি সরকারি জমি দখল করেছেন।”এদিনই ভোটের প্রচারে বাগদার সিন্দ্রানিতে যান স্বাস্থ্যদপ্তরের প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। তিনি নাগরিকত্ব নিয়ে বিজেপি সরকারকে কটাক্ষ করেন। বলেন, “নাগরিকত্ব শংসাপত্র কি বড় মেডেল? এটা কি সোনা ও রুপো দিয়ে মোড়া? যারা ভোট দেন তারা ভারতবর্ষের নাগরিক। তাদেরকে ডেকে বলছেন নাগরিকত্ব দেব!” এর পরিপ্রেক্ষিতে দেবদাসবাবু বলেন, “ওরা চায়না উদ্বাস্তু মানুষেরা নাগরিকত্ব পাক।”

Card image cap

বিদ্বজনদের সঙ্গে বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী

লোকসভা ভোট পরবর্তী সময়ে রাজ্যের বিশিষ্টজনদের আবেদন ছিল, মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার। সেইমতো বৃহস্পতিবার বিকেলে সৌজন্যে তাঁদের আলোচনায় ডাকলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের বর্তমান সাংস্কৃতিক পরিবেশ, পরিস্থিতি নিয়ে কথা হয়েছে বলে খবর। যদিও বৈঠকে হাজির বিদ্বজনেরা জানিয়েছেন, এটা একেবারেই সৌজন্য সাক্ষাৎ ছিল, কোনও রাজনৈতিক আলোচনা হয়নি। তবে সূত্রের খবর, রাজ্যে সম্প্রতি যে সাংবিধানিক সংকট তৈরি হয়েছে ২ নবনির্বাচিত বিধায়কের শপথ নিয়ে, তাতে বিদ্বজনেরা নিজেদের মতো করে প্রতিবাদ করুন, তা চান মুখ্যমন্ত্রী। গণমঞ্চের নেতৃত্বে তা হতে পারে। যদিও এ বিষয়ে বৈঠকে উপস্থিত সদস্যরা কেউ স্পষ্টভাবে কিছু বলেননি।

জানা গিয়েছে, রাজ্যের একাধিক বিষয় নিয়ে কথা বলার জন্য মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানিয়েছিলেন গণমঞ্চের বিশিষ্ট সদস্যরা। আবেদন মেনে বৃহস্পতিবার তাঁদের সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য সময় দেন মমতা । প্রায় ঘণ্টা দেড়েক ধরে আলোচনা হয়। মুখ্যমন্ত্রীর ডাকে সাড়া দিয়ে বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ অভীক মজুমদার , সঙ্গীত জগতের ব্যক্তিত্ব – নচিকেতা চক্রবর্তী, কুমার বোস-সহ অনেকে। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে অভীকবাবু জানান, ”একেবারেই ঘরোয়া সাংস্কৃতিক আড্ডা হয়েছে। যেমন হয় নানা সময়। সংস্কৃতির বিষয় কথা, খাওয়াদাওয়া, আড্ডা হয়েছে। এটা একেবারেই সৌজন্য সাক্ষাৎ। রাজনীতির কোনও কথা হয়নি।” রাজ্যের কৃষ্টি, সংস্কৃতি বাঁচাতে মুখ্যমন্ত্রী কি বিশেষ কর্মসূচি বেঁধে দিয়েছেন? অভীকবাবু জানান, তেমন কিছু বলেননি রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান।

Card image cap

হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেলেন লালকৃষ্ণ আডবাণী

হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেলেন লালকৃষ্ণ আডবাণী। বুধবার রাত থেকে দিল্লির অ্যাপোলো হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন দেশের প্রাক্তন উপপ্রধানমন্ত্রী। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন বর্ষীয়ান নেতার শারীরিক অবস্থা এখন স্থিতিশীল।গত বুধবার রাতেও আচমকা অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন প্রবীণ নেতা। তাঁকে ভর্তি করা হয় দিল্লির এইমস হাসপাতালে। সেখানে জেরিয়াট্রিকস বিভাগে ভর্তি ছিলেন তিনি। চিকিৎসকরা প্রাথমিকভাবে বলতে পারেননি, প্রাক্তন উপপ্রধানমন্ত্রীর শরীরে ঠিক কী ধরনের সমস্যা ছিল। তবে পরের দিন তাঁর অবস্থার উন্নতি ঘটে। ৯৬ বছর বয়সি নেতাকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়। সপ্তাহ ঘুরতেই গতকাল, বুধবার ফের অসুস্থ হয়ে পড়েন আডবাণী। রাত নটা নাগাদ তাঁকে ভর্তি করানো হয় অ্যাপলো হাসপাতালে। ড. বিনীত সুরির অধীনে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। কিন্তু ঠিক কী ধরনের অসুস্থতায় ভুগছেন তিনি, তা হাসপাতাল সূত্রে জানানো হয়নি।

Card image cap

জোরকদমে চলছে ২১-এ জুলাইয়ের প্রস্তুতি! এবারে কী বার্তা দিতে চলেছেন মুখ্যমন্ত্রী?

জোরকদমে চলছে ২১ জুলাইয়ের প্রস্তুতি। প্রতি বছরের মতোই ২১ জুলাইয়ের জন্য তৈরি হচ্ছে তৃণমূল। ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে ধর্মতলায় মঞ্চ তৈরির কাজ। এদিন ভিক্টোরিয়া হাউজের সামনে হাজির ছিলেন দলের সভাপতি সুব্রত বক্সি-সহ একাধিক তৃণমূল নেতা। মঞ্চ তৈরির কাজ ও অন্যান্য কাজ পর্যবেক্ষণের জন্যই এদিন উপস্থিত ছিলেন তাঁরা।

এদিন ধর্মতলায় মঞ্চ তৈরির কাজ-সহ, সমাবেশের বিভিন্ন প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে ভিক্টোরিয়া হাউজের সামনে হাজির ছিলেন দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী-সহ একাধিক নেতা। ছিলেন কলকাতা পুলিশের আধিকারিকরাও।


প্রতিবারের মতোই এইবারও ধর্মতলার ভিক্টোরিয়া হাউজের সামনে ম়ঞ্চ হবে বলে জানা গিয়েছে। মূল মঞ্চ ছাড়াও পাশে আরও একটি মঞ্চ থাকবে বলে জানা গিয়েছে।


এই বছর মঞ্চ থেকে ২৬-এর বার্তা দেবেন মমতা বলে জানা গিয়েছে। এই বছর লোকসভায় জয়জয়কার তৃণমূলের ৪২ -এ ২৯ আসন পেয়েছে তৃণমূল। তাই এই বছর অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ ২১ জুলাই।

Card image cap

পড়ে গিয়ে গুরুতর জখম মুকুল রায়

বাড়িতে পড়ে গিয়ে গুরুতর আহত মুকুল রায়। বুধবার রাত সাড়ে নটা নাগাদ আচমকা তিনি তাঁর ঘরের মধ্যেই পড়ে যান। সঙ্গে সঙ্গে জ্ঞান হারান। পরিবারের লোকজন কিছুটা দেরিতে জানতে পারেন। তবে পড়ে যাওয়ার কথা জানতে পারার পরই আর সময় নষ্ট করেননি। ছেলে শুভ্রাংশু রায় এবং পরিজনেরা দ্রুত কলকাতার বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে আসেন মুকুল রায়কে। রাত সোয়া এগারোটা নাগাদ সংজ্ঞাহীন অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাঁকে। মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করা হয়েছে। বর্ষীয়ান নেতার শারীরিক অবস্থা সংকটজনক। তবে তাঁর অবস্থা স্থিতিশীল বলেই জানা গিয়েছে।

গুরুতর জখম অবস্থায় কলকাতার হাসপাতালে মুকুল রায়

চলতি বছরের এপ্রিল মাসে ব্যক্তিগত কাজে কলকাতায় আসার পথে অসুস্থ হয়ে পড়েন মুকুল রায়। সূত্রের খবর, মাঝপথে গাড়িতেই অসুস্থ বোধ করতে থাকেন।

গাড়িচালক তড়িঘড়ি তাঁকে বাইপাসের ধারে হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে সঙ্গে সঙ্গে ভর্তি করে নেন চিকিৎসকরা। প্রাথমিক পরীক্ষার পর চিকিৎসকরা জানান, মুকুল রায়ের রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে গিয়েছিল। শ্বাসকষ্টও ছিল। এছাড়া অন্যান্য সমস্যাও ছিল। সেবারও মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করে চিকিৎসা হয় তাঁর। সুস্থ হয়ে ওঠার পরই হাসপাতাল থেকে ছাড়া পান মুকুল রায়। তার পর মাসদুয়েক কাটতে না কাটতেই ফের পড়ে গিয়ে গুরুতর জখম মুকুল রায়। এবারও মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করে তাঁর চিকিৎসা শুরু হয়েছে। 

Card image cap

লোকসভায় তৃণমূলকে কাঁদিয়ে ছাড়লেন সৌমিত্র খাঁ!

লোকসভা নির্বাচনের পর বিষ্ণুপুরের জয়ী বিজেপির সৌমিত্র খাঁয়ের বক্তব্য অনেকের মনেই আশা তৈরি করেছিল। তৃণমূলের একটা অংশ ভেবে নিয়েছিল যে, তিনি দলবদল করছেন‌। কিন্তু সৌমিত্রবাবু বিজেপিতে থেকেই এবার ভরা লোকসভায় তৃণমূলকে যেভাবে নাকানি চোবানি খাওয়ালেন, তাতে রীতিমত প্রেস্টিজ পামচার হয়ে গেল তৃণমূলের সাংসদদের।সূত্রের খবর, এদিন লোকসভায় বাংলার একের পর এক অরাজক পরিস্থিতি নিয়ে সোচ্চার হন বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ।


আর সেখানেই সম্প্রতি বাংলায় ঘটে যাওয়া কোচবিহারের মাথাভাঙ্গা এবং চোপড়ার ঘটনা নিয়ে সোচ্চার হন তিনি।


সৌমিত্র খাঁ বলেন, "কোচবিহারের মাথাভাঙ্গায় এক মহিলাকে নগ্ন করে রাস্তায় ফেলে রেখেছে তৃণমূল।" আর সৌমিত্র বাবুর সংসদে এই সোচ্চার কণ্ঠ স্পষ্ট করে দিল যে, দলবদল তো পরের কথা, তিনি অতীতে যেভাবে তৃণমূলের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছিলেন, এবার তার থেকেও বেশি শক্তি লাগিয়ে শাসকের চোখে চোখ রেখে লড়াই করতে চলেছেন। যার ফলে আজ বিজেপির বিরুদ্ধে গলা ছাড়তে গিয়ে একেবারে ভরা সংসদে তৃণমূল সাংসদরাই প্রেস্টিজে পড়ে গেলেন। তাদের একেবারে কাঁদিয়ে ছাড়লেন বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

Card image cap

মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে হাই কোর্টে মানহানির মামলা রাজ্যপালের

বেনজির প্রশাসনিক সংঘাত বাংলায়। এবার মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে কলকাতা হাই কোর্টে মানহানির মামলা করলেন খোদ রাজ্যপাল। আগামীকাল অর্থাৎ বুধবার বিচারপতি কৃষ্ণা রাও-এর এজলাসে শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে। একাধিক ইস্যুতে রাজ্য-রাজভবনের সংঘাত চলছে। তবে সম্প্রতি উপনির্বাচনে নবনির্বাচিত দুই বিধায়কের শপথ নিয়ে রাজভবন-বিধানসভার জটিলতা আরও বেড়েছে। রাজ্যের শাসকদল ও বিধানসভার স্পিকার জটিলতা কাটাতে নানাভাবে সক্রিয় ভূমিকা পালন করছেন। কিন্তু নিজের সিদ্ধান্তে অটল রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। তাঁর দাবি, রাজভবনে গিয়েই শপথ নিতে হবে বিধায়ক সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় ও রেয়াত হোসেন সরকারকে। আর দুই বিধায়ক চান, রাজভবনে নয়, রাজ্যপাল বিধানসভায় এসে শপথ পড়ান। এসবের মাঝে শাসকদল ও মুখ্যমন্ত্রীর ভূমিকায় ক্ষুব্ধ রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান। এই ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে মানহানির মামলা দায়ের করতে চান বলে আগেই জানিয়েছিলেন সি ভি আনন্দ বোস। শুক্রবার দিল্লিতে  কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের পর নিজেই তা জানিয়েছিলেন তিনি। মঙ্গলবার হাই কোর্টে সেই মামলা দায়ের করলেন বোস। বুধবার মামলার শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে। 

Card image cap

হাথরাস কাণ্ডে ভাষণ থামিয়ে সংসদে শোকপ্রকাশ মোদির

শোকগ্রস্ত গোটা দেশ। উত্তরপ্রদেশের হাথরাসে ধর্মীয় অনুষ্ঠানে পদপিষ্ট মৃত্যু হয়েছে ৮৭ জনের। আহত ১০০ জন। মৃতের সংখ্যা লাফিয়ে বাড়ছে। মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি  রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু, বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। আহতদের চিকিৎসার বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছেন যোগী। পাশাপাশি দুর্ঘটনার তদন্তে উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন করেছেন। তথাপি গাফিলতির অভিযোগ উঠছে। প্রথম প্রশ্ন, নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে না দেখে বিরাট ধর্মীয় অনুষ্ঠানে অনুমতি দেওয়া হল কেন? দ্বিতীয়ত, ভিড় সামলানোর জন্য পর্যাপ্ত পুলিশ এবং স্বেচ্ছাসেবক ছিল কি?২০২০ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর যে হাথরাসের এক দলিত কিশোরীর গণধর্ষণের ঘটনায় উত্তাল হয়েছিল গোটা দেশ। মঙ্গলবার সেই হাথরাসের ছিল আরও একটি শোকের দিন। রতিভানপুরের মুঘলাগড়ি গ্রামে ভোলেবাবা নামের এক স্বঘোষিত ধর্মগুরুর সৎসঙ্গ অনুষ্ঠান ছিল। আনুষ্ঠানিক উদ্যোক্তা- মানব মঙ্গল মিলন সদ্ভাবনা কমিটি। যেখানে মঙ্গলবার কয়েক হাজার ভক্তের জমায়েত হয়েছিল। যে ছবি এবং ভিডিও ফুটেজ প্রকাশ্যে এসেছে তাতে দেখা গিয়েছে, সঙ্কীর্ণ পরিসরে গা ঘেঁষাঘেঁষি করে শয়ে শয়ে মানুষ দাঁড়িয়ে আছেন। মর্মান্তিক দুর্ঘটনার পর প্রথম প্রশ্ন উঠছে, অনুষ্ঠানের অনুমোদন ছিল?হাথরসের জেলাশাসক আশিস কুমার জানিয়েছেন, অনুমোদন দিয়েছিল মহকুমা শাসকের দপ্তর। পরের ধোঁয়াশা, বিরাট ভিড় সামলোনোর মতো পুলিশ এবং স্বেচ্ছাসেবক মোতায়েন ছিল কি না সমাবেশে! এর উত্তর এখনও সামনে না এলেও একটি বিষয় স্পষ্ট, অনুষ্ঠান শেষের হুড়োহুড়ি সামলাতে পারেনি কর্তৃপক্ষ। পর্যাপ্ত পুলিশ না থাকাতেই বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়েছিল। দ্রুত তা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। রাজেশ কুমার নামের এক পুলিশ আধিকারিকের বক্তব্য, অতিরিক্ত ভিড়ের কারণেই পদপিষ্ট হওয়ার ঘটনা ঘটেছে।

Card image cap

রাহুল গান্ধীর বক্তব্যের কড়া সমালোচনা নরেন্দ্র মোদীর

লোকসভা অধিবেশনে নরেন্দ্র মোদী - রাহুল গান্ধী বাকযুদ্ধ দেখা গেল। হিন্দুত্বের প্রশ্নের শাসক - বিরোধী জোর চর্চা চলল ভবনে। রাহুল গান্ধী হিন্দুত্বের প্রসঙ্গে মন্তব্য করেন। আর সেই বক্তব্যকেই কাঠগড়ায় তুলেছেন বিজেপি নেতৃত্ব।


রাহুল গান্ধী হিন্দুদের অপমান করছেন। সেই কথাও জোরালোভাবে লোকসভা অধিবেশনে দাবি করা হয়।


প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সরাসরি এই বিষয়ে আসরে নামেন। রাহুল গান্ধী এভাবে হিন্দু সম্প্রদায়কে দোষারোপ করতে পারেন না। সেই কথাও বলেছেন প্রধানমন্ত্রী।


রাহুল গান্ধী এদিন সংসদ ভবনে নিজের ভাষণ দিচ্ছিলেন। হিন্দুরা কখনওই হিংসা ছড়ায় না। যদিও বিজেপি গোটা দেশে হিংসা ও ঘৃণা ছড়িয়ে চলেছে। আরএসএস ও বিজেপি সম্পূর্ণ হিন্দু সম্প্রদায় নয়। এই কথাও বলেন রাহুল। শাসক দলের পক্ষ থেকে তুমুল প্রতিবাদ, বিক্ষোভ দেখানো হয়। হুলুস্থুল লেগে যায় লোকসভা কক্ষে।


প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের নেতৃত্বে বিজেপি সাংসদরা তীব্র বিক্ষোভ দেখান। বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী হিন্দুদের অপমান করেছেন। এই দাবি তোলেন বিজেপি সাংসদরা।


সংবিধানের একটি অনুলিপি এবং শিব, নবী মোহাম্মদ, যীশু খ্রিস্ট এবং গুরু নানক সিং সহ ধর্মীয় ব্যক্তিত্বের ছবি নিয়ে রাহুল গান্ধী বক্তব্য রাখেন। আরএসএসের উপরও আক্রমণ করেন। তারপরই এই ঘটনা দেখা যেতে থাকে।


সমগ্র হিন্দু সমাজকে হিংসাত্মক বলা একটি গুরুতর বিষয়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তাঁর বক্তব্যে প্রথমে এই কথা বলেন। সংবিধান তাঁকে বিরোধী দলনেতার পদকে সম্মান করতে শিখিয়েছে। সংবিধানকে বিপর্যস্ত করার চেষ্টা করছে বিজেপি। সেই অভিযোগ বিরোধীদের তরফ থেকে করা হচ্ছে।


কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ পর্যন্ত রাহুল গান্ধীর বক্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করেছেন। কোনও দলকে এভাবে দোষারোপ করা যায় না। বলেন তিনি।

Card image cap

ভারতীয় ন্যায় সংহিতা কার্যকর করে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা শাহর

দেশজুড়ে কার্যকর হল ভারতীয় ন্যায় সংহিতা। তার পরেই দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, ন্যায় সংহিতা কার্যকর হওয়ার পরে দেশের ফৌজদারি বিচারব্যবস্থা প্রকৃত অর্থে স্বাধীন হল। দেশ স্বাধীন হওয়ার পরে ৭৭ বছর কেটে গিয়েছে। এবার পুরোপুরি স্বদেশি হল বিচার ব্যবস্থা। সোমবার সংসদের লাইব্রেরি ভবনে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন শাহ। তিনি বলেন, “স্বাধীনতার ৭৭ বছর পরে দেশের ফৌজদারি বিচারব্যবস্থা স্বদেশি হয়েছে। সম্পূর্ণ ভারতীয় নীতির উপর ভিত্তি করে তৈরি হয়েছে এই ন্যায় সংহিতা। আজ যখন নতুন এই নিয়ম কার্যকর হল, সঙ্গে সঙ্গেই বাতিল হয়ে গেল ঔনিবেশিক আইন।” শাহ বলেন, দণ্ড নয় বরং ন্যায়ের প্রতিষ্ঠা করবে নয়া আইন। এই আইন কার্যকর হওয়ার ফলে বিচার ব্যবস্থা আরও দ্রুত হবে। শাহ আরও বলেন, এই নতুন আইনে মহিলা এবং শিশুদের বিরুদ্ধে হওয়া অন্যায়কে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এমন আইন আরও আগে হওয়া উচিত ছিল বলেই মনে করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। ভারতীয় ন্যায় সংহিতার বেশ কিছু অংশও নিজের মন্তব্যে তুলে ধরেন শাহ। গণধর্ষণের জন্য যাবজ্জীবন কারাদণ্ড, নাবালিকাকে ধর্ষণের জন্য মৃত্যুদণ্ডের উল্লেখ রয়েছে নয়া আইনে। উল্লেখ্য, নতুন আইন কার্যকর হওয়ার ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই এই আইনে দায়ের হয়েছে প্রথম এফআইআর। দিল্লির কমলা মার্কেট থানায় এক হকারের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে। অভিযোগ, নয়াদিল্লি রেলস্টেশনের ফুটব্রিজের সামনের জায়গা দখল করে বিক্রিবাটা করছিলেন।

Card image cap

সংসদে রাহুল-মোদি বাকযুদ্ধ

 হিন্দুত্বের প্রশ্নে সংসদে রাহুল-মোদি বাকযুদ্ধ। এদিন নিজের ভাষণে বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী মন্তব্য করেন, হিন্দুরা কখনই হিংসা ছড়ায় না। কিন্তু বিজেপি গোটা দেশে হিংসা এবং ঘৃণা ছড়িয়ে চলেছে। যদিও আমাদের মনে রাখতে হবে যে বিজেপি এবং আরএসএসই সম্পূর্ণ হিন্দু সম্প্রদায় নয়। কংগ্রেস নেতার এই মন্তব্যের পরেই আসরে নামেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। রাহুলকে উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনি এভাবে গোটা হিন্দু সম্প্রদায়কে দোষারোপ করতে পারেন না। সোমবার শুরুতে নিট প্রশ্নফাঁস কাণ্ড এবং কেন্দ্রীয় এজেন্সির অপব্যবহার নিয়ে সংসদে সরব হন রাহুল। তুলোধোনা করেন কেন্দ্রকে। কংগ্রেস নেতা মন্তব্য করেন, সরকারের অন্যায় বা ভুল নিয়ে প্রশ্ন তুললেই প্রতিহিংসার মুখে পড়তে হচ্ছে। বিরোধী নেতাদের জেলে ভরা হচ্ছে। আমার উপরেও আক্রমণ হয়েছে। কেড়ে নেওয়া হয়েছে বাড়ি। ৫৫ ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে ইডি। সোমবারের অধিবেশন রাহুল বুঝিয়ে দিয়েছেন তিনিই বিরোধীপক্ষের সেনাপতি। অন্যদিকে তাঁর একের পর এক বক্তব্যে অস্বস্তিতে পড়ে সরকার পক্ষ।শিবের ছবি নিয়ে সংসদে সুর চড়ান রাহুল। তাঁর হিন্দু মন্তব্যের জেরে সংসদে হট্টোগোল শুরু হয়। বিরোধী দলনেতার বক্তব্যের মাঝেই আসরে নামেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তিনি রাহুলের হিন্দু মন্তব্যের বিরোধিতা করেন। বিজেপির বিরুদ্ধে ঘৃণা ছড়ানোর অভিযোগের প্রতিবাদ করেন তিনি। বলেন, এভাবে কোনও দলকে দোষারোপ করা যায় না। উল্লেখ্য, এদিন রাহুল অযোধ্যায় বিজেপির হার নিয়েও কটাক্ষ করেন। রামজন্মভূমিতে গরিবকে উচ্ছেদ করে বিমানবন্দর হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। বিনিময়ে প্রাপ্য দেওয়া হয়নি সাধারণ মানুষকে। এর পরেই মোদি উঠে দাঁড়ান। রাহুলকে উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনি এভাবে গোটা হিন্দু সম্প্রদায়কে দোষারোপ করতে পারেন না।
এদিকে সংসদের অধিবেশন থেকে বেরিয়ে রাহুলের মন্তব্যের পক্ষে ও বিপক্ষে মত দিলেন বিভিন্ন দলের সাংসদরা। বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লালু প্রসাদ যাদবের মেয়ে আরজেডি নেত্রী মিস ভারতী কংগ্রেস নেত্রীর হয়ে ব্যাটন ধরলেন। তিনি বলেন, “উনি (রাহুল গান্ধী) হিন্দুদের বিরুদ্ধে নয়, বিজেপির বিরুদ্ধে হিংসা এবং ঘৃণা ছড়ানোর অভিযোগ এনেছেন।”

Card image cap

মোদিকে বিঁধে লোকসভায় ঝাঁজালো কামব্যাক মহুয়ার

দ্বিতীয়বার সাংসদ হিসেবে লোকসভায় প্রথম ভাষণ থেকেই আক্রমণাত্মক মেজাজে তৃণমূল কংগ্রেসের কৃষ্ণনগরের সাংসদ মহুয়া মৈত্র। সপ্তদশ লোকসভা থেকে যেদিন তাঁকে বহিষ্কার করা হয়েছিল সেদিনই ঘোষণা করেছিলেন তিনি বিজেপির শেষ দেখে ছাড়বেন। সোমবার বিকেলে রাষ্ট্রপতির ভাষণের উপর ধন্যবাদ জ্ঞাপন প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ গ্রহণ করে সেই বিষয়টিকে তুলে ধরে বিজেপিকে তুলোধোনা করেছেন মহুয়া। বাদ দেননি প্রধানমন্ত্রী মোদি-কেও। প্রধানমন্ত্রীকে কটাক্ষ করার পাশাপাশি পরিসংখ্যান তুলে ধরে, ‘এক আকেলা সব পর ভারি পড়া’ স্লোগান দিয়ে ও তীব্র নিশানায় বিঁধেছেন তৃণমূল সাংসদ।এদিন বক্তব্য রাখার জন্য মহুয়ার নাম ঘোষণা হতেই নিজের আসন ছেড়ে উঠে চলে যেতে উদ্যত হন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তা দেখেই মোদিকে কটাক্ষ করে মহুয়ার চিৎকার, “সম্মানীয় প্রধানমন্ত্রী, আপনি এখানে এতক্ষণ ছিলেন, আড়াই ঘণ্টা ছিলেন, এটাও শুনে যান, আমি আপনাকে অনুরোধ করছি। ভয় পাবেন না স্যার, দু-বার আমার কেন্দ্রে গিয়েছেন, প্রচার করতে, আজকে তো শুনে যান।” প্রধানমন্ত্রী অবশ্য মহুয়ার কথায় কর্ণপাত না করেই লোকসভা ছেড়ে বেরিয়ে যান। তাতে কটাক্ষ ছুঁড়ে কৃষ্ণনগরের সাংসদ বলেন, “আমার দুর্ভাগ্য। যার ইচ্ছে চলে যাক। আমাকে দমানো যাবে না, অগ্নিপরীক্ষা পার করে এখানে এসেছি।” তাঁর কথায়, “বিজেপির ঔদ্ধত্যর জবাব গণদেবতা দিয়েছে, বিজেপির রাজতন্ত্রকে ৩০৩ থেকে গণতন্ত্রই ২৪০ এ নামিয়ে এনেছে।” মহুয়ার ভাষণের শেষে লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী নিজের আসন ছেড়ে উঠে এসে করমর্দন করেন যান। অন্যান্য বিরোধী দলের সাংসদরা মহুয়ার কাছে এসে তাঁর ভাষণের প্রশংসা করেন।গতবার সাংসদ পদ খোয়ানোর সময়ে সংসদের এথিক্স কমিটির বৈঠকে দ্রৌপদীর বস্ত্রহরণের মতই তাঁর সঙ্গে আচরণ করা হয়েছিল অভিযোগ করেছিলেন। সেই প্রসঙ্গে টেনেই এদিন বিজেপির দিকে ঝাঁঝালো আক্রমণ করেছেন মহুয়া। বলেছেন,”সাতমাস আগে এই সংসদ একটি কুরুসভায় পরিণত হয়েছিল। অন্ধ ধৃতরাষ্ট্রের সামনে চিরহরণ হয়েছিল দ্রৌপদীর। যারা যারা দ্রৌপদীর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিলেন, তাদের অনেকেই এবার আর সংসদে ফেরেননি। তবে কৃষ্ণের মতো কৃষ্ণনগরের মানুষ আমার রক্ষাকর্তা হয়ে দাঁড়িয়েছে। শেষবার যখন আমি এখানে বলতে দাঁড়িয়েছিলেন, তখন আমাকে মুখ খুলতে দেওয়া হয়নি। তবে একজন সাংসদের কণ্ঠরোধের জন্য ক্ষমতাসীন দল যোগ্য জবাব পেয়েছে। একজন সাংসদকে বলতে না দেওয়ায়, তার বড় মূল্য বিজেপিকে চোকাতে হয়েছে । লোকসভায় আমায় দমনের চেষ্টায় মানুষ বিজেপির ৬৩ জন সদস্যকে একেবারে বসিয়ে দিয়েছেন।” অতি দর্পে হত লঙ্কা বলে কটাক্ষ করেন মহুয়া। তাঁর দাবি, বাংলায় প্রধানমন্ত্রী যেখানে ২৩টা জনসভা করেছিল তার মধ্যে বিজেপি ২০টা হেরেছে। মহারাষ্ট্রে ১৮টি জনসভার জায়গাতে ১৫টিতে হার। একের পর এক পরিসংখ্যান দিয়ে মোদি-র জনসভায় জায়গাতেই যে বিজেপি হেরে গিয়েছে সেই বিষয়টি তুলে ধরে, ”এক আকেলা সব পর ভারি পড়া’ বলে বার বার স্লোগান দেন মহুয়া। তাতে যোগ্য সঙ্গত করেছেন পাশে বসে থাকা তৃণমূলের তরুণ তুর্কি সায়নী ঘোষ। সবমিলিয়ে এদিন সংসদে ঝাঁজালো আক্রমণ শানালেন কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র।

Card image cap

ভোটপর্বে বিতর্কিত মন্তব্যে সুর চড়ালেন অমর্ত্য

লোকসভা নির্বাচনের প্রচার পর্বে দেশের মুসলিম সম্প্রদায়কে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তাঁর মন্তব্যের জেরেই এবার প্রধানমন্ত্রীকে ‘অহংকারী’ বলে আক্রমণ শানানোর পাশাপাশি মুসলিমদের কাছে তাঁকে ক্ষমা চাওয়ার দাবি তুললেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন।
লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে গিয়ে মুসলিমদের উদ্দেশ্য করে প্রধানমন্ত্রী মন্তব্য করেছিলেন, কংগ্রেস ক্ষমতায় এলে দেশবাসীর ব্যক্তিগত সম্পত্তি, মা-বোনেদের গয়না ছিনিয়ে মুসলিমদের মধ্যে বিলিয়ে দেবে। এক্ষেত্রে সংখ্যালঘু বোঝাতে তিনি বলেছিলেন, ‘যাঁদের অধিক সন্তান হয়’ এবং ‘বহিরাগত’। প্রধানমন্ত্রীর মুখে এমন মন্তব্যে দেশজুড়ে শুরু হয় বিতর্ক। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের প্রতি নরেন্দ্র মোদির বিদ্বেষমূলক মন্তব্যের প্রসঙ্গে সংবাদমাধ্যম ‘দ্য ওয়ার’কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অমর্ত্য সেন বলেন, “দেশের ২০ কোটি মুসলিম নাগরিককে অসম্মান করে রেহাই পাবেন না প্রধানমন্ত্রী। তিনি আমাদের সকলকে অসম্মান করেছেন। তাঁর মন্তব্যে তাঁর সংকীর্ণ মানসিকতার পরিচয় স্পষ্ট। ভারত সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রীর এমন চিন্তাভাবনা যথেষ্ট উদ্বেগের।শুধু তাই নয়, ভোট প্রচার নিজেকে ‘ঈশ্বরের দূত’ হিসেবে দাবি করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। সে প্রসঙ্গে অমর্ত্য বলেন, “হয় তিনি একজন মেগ্যালোম্যানিয়াক। না হয় সম্পূর্ণ ভ্রমে রয়েছেন।” প্রধানমন্ত্রীকে অহংকারী বলে আক্রমণ শানতে নোবেলজয়ী বলেন, “অত্যন্ত অহংকারী দেশের প্রধানমন্ত্রী। যেভাবে উনি নিজেকে জাহির করেন এবং বিরোধীদের অবহেলা করেন তাতে ওনার অহংকার স্পষ্ট। একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পেয়েও শরিকদের ভরসায় তাঁকে লোকসভায় বসতে হয়েছে।”

Card image cap

আরামবাগ লোকসভায় হারেনি BJP?

লোকসভা ভোটের পর থেকে গুচ্ছ-গুচ্ছ অভিযোগ আসছিল ভোট পরবর্তী হিংসার। কেন্দ্রের বিজেপির প্রতিনিধি দল এলাকা ঘুরেও গিয়েছেন। এবার হুগলির খানাকুলে পৌঁছলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ভোট পরবর্তী হিংসায় আক্রান্ত দলীয় কর্মী সমর্থকদের পাশে দাঁড়াতে আজ একাধিক এলাকা পরিদর্শন করলেন তিনি।


এ দিন, শুভেন্দু অধিকারীকে বৃষ্টির মধ্যেই ছাতা হাতে দলীয় কর্মী সমর্থকদের সঙ্গে কথা বলতে শোনা যায়। পলাশপাই,মুস্তাফাপুর, বলপাই,খুনিয়াচক সহ বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে বেড়ান তিনি। সমর্থকদের অভাব-অভিযোগ সবটাই মনযোগ দিয়ে শোনেন।


আজ শুভেন্দু অধিকারী দাবি করে বলেন, “আরামবাগ লোকসভায় হারিনি আমরা। হারানো হয়েছে। আমাকে এআরও টেবিলে ছিলেন। কাস্টটমস অফিসার তিনি আমায় দশটা বুথের নম্বর দিয়ে দিয়েছে। বিজেপির পাওয়া ভোট তৃণমূলের খাতায় দিয়ে দিয়েছে। আর বিজেপির পাওয়া ভোটে তৃণমূলের খাতায় লেখা হয়েছে।” প্রসঙ্গত, আরামবাগ লোকসভা কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী হয়েছিলেন মিতালী বাগ। এখানে তিনি তাঁর নিকটবর্তী বিজেপি প্রার্থী অরূপকান্তি দিগরকে ৭ লক্ষ ১২৫ হাজার ৮৭ ভোটে পরাজিত করেন তিনি। অরূপের প্রাপ্ত ভোট ৭ লক্ষ ৬১ হাজার ৮৮।

Card image cap

বুথে হারলে উন্নয়ন নয়! ‘হুমকি’ তৃণমূল বিধায়কের

উপনির্বাচনে লিড না পেলে উন্নয়ন হবে না! হুমকি তৃণমূল বিধায়কের। স্বাভাবিকভাবেই শাসক দলের বিধায়কের এহেন মন্তব্যে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। পরে অবশ্য পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন তিনি।
১০ জুলাই বাগদা বিধানসভার উপনির্বাচন। সেই উপলক্ষে শনিবার হেলেঞ্চার নেতাজি শতবার্ষিকী অডিটোরিয়ামে কর্মিসভার আয়োজন করা হয়েছিল তৃণমূলের পক্ষ থেকে। উপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি, খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ এবং অশোকনগরের বিধায়ক তথা জেলা সভাধিপতি নারায়ণ গোস্বামী-সহ আরও অনেকে।সেই কর্মিসভায় তোপ দাগেন নারায়ণ গোস্বামী। তাঁর কথায়,”যে বুথে লস হবে সে বুথে আর উন্নয়ন হবে না।” অর্থাৎ যেসব বুথে তৃণমূল প্রার্থী পরাজিত হবেন সেখানে উন্নয়ন হবে না বলেই দাবি বিধায়কের।বিতর্কের মুখে পড়ে অবশ্য পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন তৃণমূল বিধায়ক। বলেন, “শনিবার দলের বুথস্তরের কর্মীদের নিয়ে সভা ছিল। কর্মীরা যাতে বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রচার করেন। যাতে তাঁরা কাজে গাফিলতি না করেন তাই নেতৃত্বের পক্ষ থেকে তাঁদের চাপে রাখতে এই কথা বলা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী সকলের জন্যই উন্নয়ন করেন।” এবিষয়ে বিজেপির বনগাঁ সাংগঠনিক জেলা সভাপতি দেবদাস মণ্ডলের প্রতিক্রিয়া, “বাগদার সবকটি বুথেই তৃণমূল হারবে।”

Card image cap

দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে একান্ত বৈঠকে অনন্ত মহারাজ

অমিত শাহর পর এবার নরেন্দ্র মোদি। শুক্রবার দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করলেন রাজ্যসভার বিজেপি সাংসদ তথা সাম্প্রতিক রাজনৈতিক মহলের অন্যতম আলোচিত চরিত্র অনন্ত মহারাজ ওরফে নগেন রায়। নিজেই এই সাক্ষাতের কথা জানিয়েছেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মিনিট পনেরো কথাবার্তা হয়েছে তাঁর। তবে কী বিষয়ে আলোচনা, তা নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি অনন্ত মহারাজ। গত সপ্তাহে কোচবিহার গিয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর বাড়ি গিয়ে দেখা করেছিলেন। সদ্যসমাপ্ত লোকসভা ভোটে কোচবিহার দখলের পর তৃণমূল নেত্রীর এই সাক্ষাৎ যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ ছিল। কিন্তু তার পরই বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদের দিল্লি গিয়ে দফায় দফায় অমিত শাহ ও মোদির সঙ্গে বৈঠকও বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একটা বড় অংশ।
চব্বিশের লোকসভা ভোটে প্রথম উত্তরবঙ্গের গেরুয়া মাটিতে ঘাসফুল ফুটেছে। কোচবিহারের মতো কেন্দ্র বিজেপির হাত থেকে ছিনিয়ে এনেছেন তৃণমূল প্রার্থী জগদীশ বর্মা বসুনিয়া। ফলাফল প্রকাশের পর পূর্ব নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী গত ১৮ জুন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়  গিয়েছিলেন কোচবিহার। সেদিন সকালেই আবার নিউ জলপাইগুড়ির রাঙাপানির কাছে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস ভয়াবহ দুর্ঘটনার মুখে পড়েছিল। তাতে আহতদের দেখতে মুখ্যমন্ত্রী উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে যান। এর পরের দিন কোচবিহারের মদনমোহন মন্দিরে পুজো দিয়ে চকচকায় যান তিনি, একদা পৃথক রাজ্যের দাবিতে সরব হয়ে ওঠা বিজেপি নেতার সঙ্গে দেখা করতে। বিজেপি সাংসদ রাজবংশী উত্তরীয়, পান-সুপুরি দিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে আহ্বান জানিয়েছিলেন। দুজনের মধ্যে বেশ কিছুক্ষণ কথাও হয়। যদিও উভয়েই তাকে 'সৌজন্য সাক্ষাৎ' বলে নয়া রাজনৈতিক সমীকরণের জল্পনা উড়িয়ে দিয়েছিলেন। তবে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের জেরে দলের অন্দরে সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছিল অনন্ত মহারাজকে।

Card image cap

রাজ্যের ভোট পরবর্তী পরিস্থিতি নিয়ে নাড্ডাকে রিপোর্ট কেন্দ্রীয় দলের

বাংলার আইনশৃঙ্খলা ভেঙে পড়েছে বলে বিজেপি নেতারা চিল-চিৎকার জুড়লেও সহমত পোষণ করল না দলের কেন্দ্রীয় সত্যানুসন্ধান কমিটি। তাই রাজ্যে ৩৫৬ ধারা জারির উল্লেখ করা হয়নি বলে সূত্রের খবর। তবে দলের কর্মীরা ভোট পরবর্তী হিংসার বলি হয়েছেন, তা উল্লেখ করা হয়েছে। সম্প্রতি বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডার নির্দেশে ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ও সাংসদ বিপ্লব দেবের নেতৃত্বে ৪ সদস্যর কেন্দ্রীয় দল ভোট পরবর্তী হিংসা পরিস্থিতি পরিদর্শনে যায় বাংলার বিভিন্ন প্রান্তে। শুক্রবার এই দলের তরফে নাড্ডার কাছে একটি রিপোর্ট পেশ করা হয়।কথায় কথায় কেন্দ্রীয় দল পাঠানো বিজেপি রেওয়াজে পরিণত করেছে, এমনই অভিযোগ রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলের। লোকসভা ভোট মিটতেই দলীয় নেতা-কর্মীদের উপর রাজ্যের শাসকদল অত্যাচার চালাচ্ছে বলে বঙ্গ বিজেপির তরফে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে অভিযোগ জানানো হয়। প্রতিদিন তথ্য সহকারে দিল্লিতে তা পাঠাতে থাকেন এ রাজ্যের বিজেপি নেতারা। এর পরই কেন্দ্রীয় দল পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেন দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা । বিপ্লব দেব, রবিশঙ্কর প্রসাদরা উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখেন। আক্রান্তদের সঙ্গে কথাও বলেন। তবে যাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, সেই তৃণমূলের পক্ষ থেকে কোথাও বাধা দেওয়া না হলেও ডায়মন্ড হারবার কেন্দ্রের ফলতায় দলেরই কর্মীদের বাধার মুখে পড়তে হয় কেন্দ্রীয় দলকে। ওঠে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের অভিযোগ।
কেন্দ্রীয় দলকে ঘুরিয়ে দেখানোর দায়িত্বে থাকা বিধায়ক অগ্নিমাত্রা পাল গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে মদত দিচ্ছেন এই অভিযোগ বিপ্লব দেবদের ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখায় দলেরই কর্মীরা। তার জেরে ডায়মন্ড হারবার কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ দাসকে দল বিরোধী কার্যকলাপের অভিযোগে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়। শোকজ চিঠি দেওয়া হয়। পালটা দলের কয়েকজন নেতার বিরুদ্ধে দল বিরোধী কার্যকলাপের অভিযোগ করেন তিনি।