CATEGORY entertain:

Card image cap

আর জি কর কাণ্ডে বড় পদক্ষেপ অরিজিতের!

আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের ধর্ষণ-খুন কাণ্ডে উত্তাল রাজ্য। দেশজুড়ে উঠেছে প্রতিবাদের ঝড়। ১৪ আগস্ট রাতজুড়ে প্রতিবাদ মিছিলের পরই সামনে এল এক ভিডিও। সেখানে সঙ্গীতশিল্পী অরিজিৎ সিংকে একটি ঘোষণা করতে দেখা যাচ্ছে। মুর্শিদাবাদের জিয়াগঞ্জেরই ছেলে তিনি। সেখানেই একটি অনুষ্ঠানে তাঁর বক্তব্যের ভিডিও হল ভাইরাল।ওই ভিডিওয় তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছে, ‘ফেসবুকে আপডেট করলে হবে না কিন্তু কাকা। হ্যাঁ। ফেসবুক, টুইটার করে কিন্তু হবে না। আমি এসব ব্যাপারে আপডেট দিতে পছন্দ করি না। আমি আজ থেকে কাজ শুরু করলাম। তোমরা কে কে কাজ করছ? (উত্তরে ”সবাই, সবাই” শুনে) থ্যাঙ্ক ইউ ভেরি মাচ। আমাদের ইভেন্ট কোম্পানি অ্যামিগোজ আর আমাদের ট্রাস্ট লেট দেয়ার বি লাইট। প্রচুর সহযোগিতা চাই আপনাদের। আমরা আজ থেকে আমাদের লোগো লঞ্চ করলাম। অ্যান্টি-রেপ। থ্যাঙ্ক ইউ সো মাচ।’তবে এই ভিডিওটি অরিজিৎ তাঁর নিজস্ব সোশাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টে শেয়ার করেনি। ‘টলিঅনলাইন’ এটি শেয়ার করেছে। তার পরই তা কার্যত ভাইরাল হয়ে যায়। কিন্তু এই ভিডিওটির সত্যতা কিংবা তা পুরনো ভিডিও কিনা তা যাচাই করেনি সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল।

প্রসঙ্গত, উত্তর ২৪ পরগনার সোদপুরের নাটাগড়ের বাসিন্দা ওই তরুণী চিকিৎসক। গত ৮ আগস্ট নাইট ডিউটি করছিলেন তিনি। সেই রাতে নৃশংস অত্যাচারের পর খুন করা হয় তরুণী চিকিৎসককে। পরদিন সকালে জরুরি বিভাগের সেমিনার হল থেকে তাঁর প্রায় বিবস্ত্র দেহ উদ্ধার করা হয়। এই ঘটনায় সঞ্জয় রায় নামে এক অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত প্রাক্তন এমএসভিপি সঞ্জয় বশিষ্ঠ-সহ ফরেনসিক বিভাগে চারজনকে তলব করেছে সিবিআই। এই পরিস্থিতিতে উত্তাল গোটা রাজ্য। প্রতিবাদের আগুন জ্বলে উঠেছে মশালের মতো। এই কাণ্ডে বিচার চেয়ে আজ রাজ্যজুড়ে কর্মবিরতি পালন করেছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। বিচারের দাবিতে রাতের বেলা রাজ্যজুড়ে পথে নেমেছেন মহিলারাও। এহেন পরিস্থিতিতে চর্চায় অরিজিৎ সিংয়ের ভিডিওটিও।

Card image cap

বিশ্বস্ত জীবনচিত্র 'পদাতিক', মৃণাল 'ভুবন'কে কীভাবে সাজালেন সৃজিত?

বাংলা সিনেমার দুই কিংবদন্তি ব্যক্তিত্ব উত্তমকুমার এবং মৃণাল সেন। একজন অভিনয় জগতের প্রবাদপ্রতিম শিল্পী। অন্যজন শুধু বাংলার নন, সর্বভারতীয় ক্ষেত্রেও ফিল্ম নির্দেশক হিসেবে এক ব্যতিক্রমী শিল্পী। এঁদের দুজনকে নিয়ে একই সময়ে দুটি ছবি করলেন সৃজিত মুখোপাধ্যায় ।


এর তাঁর প্রশংসা অবশ্যই প্রাপ্য। বাণিজ্যিক ভবিষ্যতের পরোয়া না করে এমন দুটি কনসেপ্ট নিয়ে ছবির ভাবনাটাই তো যথেষ্ট। ‘অতি উত্তম’ তৈরির সময় ব্যবসায়িক সাফল্যের কথা হয়তো সৃজিত ভাবেননি। নিজের সিনেমার মাধ্যমকে মহানায়ককে সম্মান জানাতে চেয়েছিলেন পরিচালক। এবার ‘পদাতিক’-এর  পালা। মৃণাল সেনের জীবনকাহিনি।


ব্যক্তি মৃণাল সেন, পিতা মৃণাল সেন, স্বামী মৃণাল সেন, পরিচালক মৃণাল সেন- এই মানুষটার পরিসর তো একে সীমাবদ্ধ নয়, একাধিক মৃণাল সেন! যিনি কখনও গল্প বলতে চেয়েছেন (নীল আকাশের নিচে বা বাইশে শ্রাবণ), কখনও গল্প ভাঙতে চেয়েছেন (ভুবন সোম), রাজনীতিক মৃণাল সেন (‘ইন্টারভিউ’, ‘পদাতিক’), বাঙালি মধ্যবিত্তের প্রতিনিধি মৃণাল সেন (‘একদিন প্রতিদিন’, ‘চালচিত্র’) বাস্তবকে পকেটস্থ করার মৃণাল সেন (‘আকালের সন্ধানে’, ‘মহাপৃথিবী’) বা এক সিনেমার প্রচলিত ব্যকরণ ভেঙে নতুন ভাষা তৈরির কারিগর মৃণাল সেন। সুতরাং সৃজিতের কাছে কাজটা এক ধরনের চ্যালেঞ্জই ছিল বলতে পারি। চ্যালেঞ্জের প্রথম ধাপ চিত্রনাট্য লেখা।


ইন্টারভিউ’ ছবিতে ট্রামের ভেতর অভিনেতা রঞ্জিত মল্লিককে দিয়ে যেভাবে দর্শকের সঙ্গে আলাপচারিতায় ঘটিয়ে সিনেমার ন্যারেটিভ ভাঙার প্রথম ধাপটি মৃণাল সেন তৈরি করেছিলেন, সৃজিতও প্রায় একই দৃশ্যের পুনরাবৃত্তি করলেন অল্পবয়সী মৃণাল সেন চরিত্রের অভিনেতা কোরক দাশগুপ্তকে দিয়ে। এবং যতক্ষণ না চঞ্চল চৌধুরীর চেহারায় মৃণাল সেন পর্দায় না এলেন, ততক্ষণ চিত্রনাট্য কেমন আগোছালো রইল। এরই মধ্যে রবীন্দ্রনাথের মরদেহ নিয়ে বিশৃংখলা, শেষ যাত্রার সময় “কহো কানে কানে/ শোনাও প্রাণে প্রাণে /মঙ্গল বারতা” গানটির ব্যবহার ছবির কেন্দ্রীয় বক্তব্যের ইঙ্গিত দিয়ে যায়।


তবে মৃণাল সেন হিসেবে চঞ্চল চৌধুরী এবং পরিচালকপত্নী গীতা সেনের চেহারায় মনামী ঘোষ ক্যামেরার সামনে আসার পর ধারাবাহিক ভাবে মৃণাল সেনের জীবনের ট্র্যাকে ছবিটি ফিরে আসে। একের পর এক তাঁদের দাম্পত্য জীবনের খুঁটিনাটির সঙ্গে জড়িয়ে যায় উত্তমকুমারকে নিয়ে প্রথম ছবি ‘রাতভোর’ বানানোর তিক্ত অভিজ্ঞতা থেকে নিজের মতো করে ‘বাইশে শ্রাবণ’ তৈরির কিঞ্চিৎ আনন্দপ্রাপ্তির মুহূর্তও। একদিকে তাঁদের ক্ষুন্নিবৃত্তির জন্য লড়াই, অন্যদিকে নিজের মনের মতো সিনেমা বানানোর সংগ্রাম চলতে থাকে। এই পর্বে সৃজিতের চিত্রনাট্য অনেক বেশি সুগ্রন্থিত। চিত্রায়নেও আনতে পেরেছেন মৃণাল সেন ঘরানার ন্যারেটিভ ভাঙার ভঙ্গি। এসেছে ছেলে কুণালের সঙ্গে খোলামেলা আড্ডা, অনুপকুমারের নাম উল্লেখ হল শুধু, ওঁকে একবার দেখালে ভালো হতো।


তবে ছবির আকর্ষণীয় দৃশ্যগুলো হল মৃণাল সেনের সঙ্গে সত্যজিৎ রায়ের ছবি নিয়ে দীর্ঘ ও বন্ধুত্বপূর্ণ অথচ তার্কিক আলোচনা। মৃণাল সেনের বাড়িতে ঢুকে ক্ষুধার্ত ঋত্বিকের খেতে চাওয়া এবং খাওয়ার দৃশ্যটি। তবে হাসপাতালে ঋত্বিকের শয্যার পাশে কখনও মৃণাল-সত্যজিৎ একসঙ্গে দাঁড়িয়েছিলেন, এমনটা শুনিনি। মৃণাল সেনের প্রিয় শহর কলকাতা, বলতেন ‘এল ডোরাডো!’ সেই শহরের দুটি প্রধান রাজপথের ওপর মৃণাল সেনকে নিয়ে সৃজিত দুটি দৃষ্টিনন্দনতো বটেই, স্মৃতিতে বাঁধিয়ে রাখার মতো শট নিয়েছেন। এর জন্য কৃতিত্ব আলোকচিত্রী ইন্দ্রনাথ মারিককেও দিতে হবে।


ইন্দ্রদীপ দাশগুপ্ত সুচিন্তিত ভাবেই ব্যবহার করেছেন কিছু গণসঙ্গীতের লাইন এবং বিখ্যাত হিন্দি গান “জিন্দা হ্যায় তো জিন্দগি/ স্বর্গ উতার লা জমিন পর!” অভিনয়ে চঞ্চল চৌধুরী  ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছেন। তবে তাঁর মেকআপে সেটি বজায় থাকেনি। সত্যজিতের চরিত্রে জীতু কমল ‘অপরাজিত’ ছবির মতোই। গীতা সেনের চরিত্রে মনামী ঘোষ  মধ্যবিত্ত গৃহবধূর মেজাজটি ফুটিয়েছেন। আসলে সৃজিতের ‘পদাতিক’ মৃণাল সেনের সিনেমা যাত্রার এক প্রকৃত যাত্রিক।

Card image cap

RG Kar কাণ্ডে প্রতিবাদী ‘আগুনপাখি’ নচিকেতা

আর জি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে উত্তাল গোটা রাজ্য। বাংলার আন্দোলন ছড়িয়ে পড়েছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। সমাজে নিজেদের সম্মান, অধিকার, স্বাধীনতার অবস্থান বুঝে নিতে স্বাধীনতা দিবসের মাঝরাতে ১৪ আগস্ট প্রতিবাদী মিছিলে শামিল হচ্ছেন নারীরা। সেই আন্দোলনকেই অনেকে প্রতীকীভাবে বলছেন, “দূর্গাপুজোর অনেক আগেই এবার মহালয়া। মহিষাসুর বধের পালা।” সেই আবহেই কবিতা প্রতিবাদী বাঁধলেন নচিকেতা চক্রবর্তী । কবিতা পাঠেই নচিকেতা বুঝিয়ে দিলেন, জ্যান্ত উমাদেরই যেখানে রক্ষা করতে পারছি না, সেখানে মৃন্ময়ী মায়ের না আসাই ভালো। মঙ্গলবারই গায়ক অনিন্দ্য বোস লিখেছিলেন, “‘বুদ্ধিজীবিরা’ চুপ, ‘বিদ্রোহী’ গায়করা? কিংবা ভীষণ সহানুভূতিশীল কবি/কবিনী? বাদবাকি ‘শিল্পী’রা? আপনারা মৃত…জানেন?” সেই পোস্ট ভাইরাল হওয়ার পরদিনই আগুনপাখি নিজের মতো করে কবিতা লিখলেন আর জি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে। নচিকেতা নিজেও একজন কন্যাসন্তানের পিতা। তাঁর কবিতায় ফুটে উঠল, মৃন্ময়ী, চিন্ময়ীর কথা। সদ্য রাজ্য সরকারের তরফে ‘মহানায়ক’ সম্মান পাওয়া নচিকেতার কলমে যেন আরও একবার আগুন ঝরে পড়ল। তিনি লিখলেন এবং পাঠ করলেন, “মা তুমি এসো না, মা দুর্গা তুমি এসো না। এই পৃথিবী আমাদেরই বাসযোগ্য নেই, তোমার হবে কী করে? এখানে ধর্ষিত হয় মানবতা, মানুষ হারিয়েছে গভীরতা, নারী সম্মান পথের ধুলোয়, প্রহসন নারী স্বাধীনতা!… মা তুমি এসো না… পারব না দিতে সম্মান। মেয়েকেই দিতে পারিনি। লক্ষ টাকা খরচ করে তোমায় সাজাই, আরও কত লক্ষ টাকার বসন-ভূষণ। এদিকে আমার মেয়ে বসনহীন হাসপাতালে, আকাশ-বাতাস কালো করে ঘৃণার দূষণ। মা তুমি এসো না এই বিচারহীন পৃথিবীতে। তুমি এসোই না…।” সেই কবিতা পাঠের ভিডিও শেয়ার করে নচিকেতা লিখেছেন, “আমার প্রতিবাদ।

Card image cap

রাতের শহর ঘিরে নেবে মেয়েরা, টলিউডের কে কে থাকছেন

আর হাত গুণে কিছু সময়ের অপেক্ষা। তারপরই শহর ঘিরতে নামবে মেয়েরা। তাঁদের সঙ্গ দেবেন তারকারাও। টলিপাড়ার অনেকেই থাকবেন সেই দলে। কানাঘুষো শোনা যাচ্ছে, সেই দলে রয়েছেন অনেক অভিনেতাও।



মেয়েদের পাশে, মেয়েদের সঙ্গে থাকতে সামিল হচ্ছেন তারাও। প্রথম দিন থেকেই যারা এই আন্দোলনের ডাক দিয়েছেন, তাদের মধ্যে অন্যতম হলেন স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়, শ্রীলেখা মিত্ররা।


কিন্তু, যত সময় পার হচ্ছে, ততই যেন তাতে জুড়ছেন একের পর এক তারকারা। টলিউডের কারা কারা থাকছেন এই মহা কর্মসূচিতে?


মহা কর্মসূচিতে আজ রাতের কলকাতা অবরুদ্ধ। মহিলাদের জোরালো কন্ঠে কেঁপে উঠবে দেশের নানা প্রান্তও। কারণ, শুধু বাংলা নয়, হায়দ্রাবাদ থেকে ব্যাঙ্গালোর, অন্ধেরি ইস্ট মুম্বাই - সর্বত্রই ডাক দিয়েছেন মহিলারা। আর টলিপাড়ার কারা কারা থাকছেন আজকের এই কর্মসূচিতে? টলিপাড়ার অন্দরে কান পাতলেই শোনা যাচ্ছে কয়েকটি নাম, যারা থাকছেন এই মহাযজ্ঞে।


শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায় থাকছেন। জানা যাচ্ছে মধুমিতা সরকার, ইমন চক্রবর্তী, সুদীপ্তা এবং বিদীপ্তা চক্রবর্তীও থাকবেন। । এছাড়াও, খবর এমনই থাকছেন রূপঞ্জনা মিত্র। সোহিনী সরকার থাকতে পারেন সেখানে। দেবলীনা দত্ত থাকছেন এই কর্মসূচিতে। এছাড়াও থাকতে পারেন মিমি চক্রবর্তী এবং অন্যান্যরা। বেহালা থেকে থাকছেন অপরাজিতা আধ্য।


এছাড়া, থাকছেন অভিনেতাদের অনেকেই। অভিনেতা রণজয় জানিয়েছেন তিনি থাকতে চান। এর পাশাপাশি তথাগত মুখোপাধ্যায় থাকবেন এই নাগরিক সভায়। তাঁর সঙ্গে জানা গেল অঞ্জন দত্তর নামও। অঞ্জন দত্ত জানিয়েছেন, 'তিনি বাবা হিসেবে, শ্বশুর হিসেবে চিন্তিত। এই রকম অবস্থা আমি ভাবতে পারছি না।'


যদিও, আরও অনেক তারকার প্রত্যাশায় থাকছেন অনেকেই। শহর জুড়ে আজ শুধুই তাঁরা। এমনকি, বার্তা দিয়েছেন অনেকেই যে এই শহরের রাত শুধু ছেলেদের না। বরং, মেয়েদেরও।

Card image cap

সুন্দরী শ্রাবন্তী, ছবি দেখে মদন মিত্র লিখলেন…

এমনিতে তাঁর মন ভোলানো হাসি। আর দুষ্টু-মিষ্টি চাহনির মায়া। তার উপরে যদি ছোট টিপ, লিপস্টিকে সেজে গোলাপি শাড়ি পরেন তাহলে আর কথাই নেই। শ্রাবণের ধারায় শ্রাবন্তীর এমন রূপের সাক্ষী থাকল নেটপাড়া। অভিনেত্রী নিজেই পোস্ট করেছেন একাধিক ছবি। তা দেখে আবার মন্তব্যও করেছেন মদন মিত্র।
বাংলা রাজনীতির ‘ওহ! লাভলি ম্যান’ মদন মিত্র। রঙিন তাঁর মেজাজ। রাজনীতির পাশাপাশি সোশাল মিডিয়াতেও বেশ সক্রিয়। সিনেমায় অভিনয় করেছেন। আবার মিউজিক ভিডিও-ও তৈরি করেছেন। শ্রাবন্তীর এই সাজ দেখে পুজোর কথা মনে পড়েছে কামারহাটির বিধায়কের। তাই তো অভিনেত্রীর পোস্টের কমেন্টবক্সে তিনি লিখেছেন, “হাই, পূজা তো আসছে।”
জীবনে অনেক ঝড়-ঝাপটা পেরিয়েছেন শ্রাবন্তী। সামলেছেন ব্যঙ্গ, বিদ্রুপ, কটাক্ষ। কিন্তু নিজের এগিয়ে চলা থামাননি। আগামীতে বাংলার দৌর্দণ্ডপ্রতাপ ডাকাত-সম্রাজ্ঞী দেবী চৌধুরানীর ভূমিকায় দেখা যাবে অভিনেত্রীকে। শুভ্রজিৎ মিত্র পরিচালিত এই ছবিতে ভবানী পাঠকের চরিত্রে অভিনয় করছেন টলিউডের ‘মিস্টার ইন্ডাস্ট্রি’ প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়।
শিবপ্রসাদ মুখোপাধ‌্যায়ের ‘আমার বস’ ছবির কাজও শেষ করেছেন অভিনেত্রী। এই সিনেমার সৌজন্যেই বহুদিন বাদে বাংলা ছবিতে পাওয়া যাচ্ছে রাখি গুলজারকে। তাঁর সঙ্গে কাজ করে মুগ্ধ শ্রাবন্তী। এর আগে এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে অভিনেত্রী বলেন, “ভীষণ ভালো অভিজ্ঞতা। এত সুন্দরী, আমি তো ওঁর দিকে ‘হাঁ’ করে তাকিয়েই ছিলাম। আমার বাবার বিশাল ক্রাশ উনি। বাবা-মা দুজনেই খুব এক্সাইটেড। ওঁরা নন্দিতাদি আর শিবুদার খুব অনুরাগী। রাখি গুলজারকে দেখলাম শট শুরু হওয়ার আগে মজা করছেন, কিন্তু শট শুরু হতেই সিরিয়াস। ওই সুইচ অন-অফটা দারুণ পারেন। উনি কিংবদন্তি, ওঁকে দেখতেই থাকতাম আমি।”

Card image cap

জানেন লক্ষ, নিযুত, কোটির পর কী আসে?

ছোট থেকেই আমরা লক্ষ, নিযুত, কোটির কথা জেনে আসছি, কিন্তু কখনো ভেবেছেন যে কোটির পর কী আসে? এই প্রশ্নের উত্তর যদি না জানা থাকে, তাহলে এই প্রতিবেদনে এমনই কিছু অজানা প্রশ্নের উত্তর নিয়ে আসা হলো এবার এক নজরে দেখে নিন।



১) প্রশ্নঃ কোন রক্তের গ্রুপের মানুষেরা বেশি মোটা হয়?

উত্তরঃ O+ রক্তের গ্রুপের মানুষেরা সবথেকে বেশি মোটা হয়।


২) প্রশ্নঃ বিশ্বের কোন দেশে সব থেকে বেশি শীত পড়ে?

উত্তরঃ পৃথিবীর অন্যান্য দেশে তুলনায় রাশিয়ায় সবথেকে বেশি শীত পড়ে।


৩) প্রশ্নঃ সাপের বিষের মধ্যে কোন দুটি ধাতু পাওয়া যায়?

উত্তরঃ সাপের বিষের মধ্যে কপার ও জিঙ্ক পাওয়া যায়।


৪) প্রশ্নঃ ভারতে একমাত্র লাল চন্দন পাওয়া যায় কোন রাজ্যে?

উত্তরঃ তামিলনাড়ু রাজ্যে একমাত্র লাল চন্দন পাওয়া যায়।


৫) প্রশ্নঃ বাতাসে কার্বন ডাই অক্সাইডের স্বাভাবিক পরিমাণ কত?

উত্তরঃ ০.০৩%।


৬) প্রশ্নঃ পৃথিবীতে এত রঙের মধ্যে আমরা কোন রংটিকে সবথেকে দেখতে পাই?

উত্তরঃ হলুদ রংটিকে আমরা সবথেকে ভালো দেখতে পাই।


৭) প্রশ্নঃ ভারতের ক্যামেরার শহর কাকে বলা হয়?

উত্তরঃ ভারতের ক্যামেরার শহর বলা হয় দিল্লিকে।


৮) প্রশ্নঃ বিরিয়ানির জন্ম হয়েছে ভারতের কোন শহরে?

উত্তরঃ বিরিয়ানির জন্ম হয়েছে ভারতের হায়দ্রাবাদ শহরে।


৯) প্রশ্নঃ মানুষ সবথেকে শেষে কোন ফলটি খাওয়া শিখেছিল?

উত্তরঃ নারকেল।


১০) প্রশ্নঃ জানেন লক্ষ, নিযুত, কোটির পর কী আসে?

উত্তরঃ লক্ষ, নিযুত, কোটির পর আসে অর্বুদ।

Card image cap

লোকার্নো চলচ্চিত্র উৎসবে কোন গান গাইলেন কিং খান

বলিউড সুপারস্টার শাহরুখ খান আবারও তার ভক্তদের মন জয় করেছেন ৭৭তম লোকার্নো চলচ্চিত্র উৎসবে। উৎসবে অভিনেতার আইকনিক গান কুছ কুছ হোতা হ্যায় গাওয়ার একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে। যেখানে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে থাকা ভক্ত এবং শ্রোতারা তাদের উত্তেজনা ভাগ করে নিয়েছে। [লোকার্নো ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে শাহরুখের 'গুগল মি' মন্তব্যের জবাব দিল গুগল]


ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে, মঞ্চে জওয়ান অভিনেতা, সামনে বিপুল সংখ্যক জনতা। সকলের সঙ্গে হেসে কথা বলছেন কিং খান। এরকমই একটি হৃদয়গ্রাহী মুহূর্তে, দর্শকরা সকলে মিলে কুছ কুছ হোতা হ্যায় গাইতে শুরু করেন এবং শাহরুখ খানও তাতে গলা মেলান, যা উপস্থিত সকলের উত্তেজনা আরও কয়েক গুণ বাড়িয়ে দেয়। সুপারস্টার কোরাসে তার কণ্ঠ যুক্ত করার সঙ্গে সঙ্গে জনতা উল্লাসে ফেটে পড়ে, যা গোটা মুহূর্তটাকে স্মরণীয় করে তোলে।


১০ আগস্ট, জওয়ান অভিনেতা লোকার্নো চলচ্চিত্র উৎসবের ৭৭তম সংস্করণে লাইফটাইম অ্যাটিভমেন্ট পুরস্কারে ভূষিত হন, যা পার্দো আল্লা ক্যারিয়ারা বা ক্যারিয়ার চিতাবাঘ নামেও পরিচিত।


কিং খান বারবরের মতো এবারেও নিজের চার্মিং পার্সোনালিটি দিয়ে উপস্থিত সকলকে বশ করে নেন। উৎসবের বেশ কয়েকটি দৃশ্য ভাইরাল অনলাইনে, যাতে দেখা যাচ্ছে জনতা রীতিমতো পাগল সামনে কিং খানকে দেখে।


মসৃণ কালো ব্লেজার এবং ম্যাচিং ট্রাউজারে এদিন দেখা যায় শাহরুখকে। চুল লম্বাই। তবে আসল আকর্ষণ ছিল তাঁর বক্তৃতা। যা সকলের মুখে ফোটায় হাসি, ভারত থেকে অত দূরেও। লোকার্নো ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের ইনস্টাগ্রাম হ্যান্ডেল থেকে একগুচ্ছ ছবি আর ভিডিয়ো জোয়ার তুলেছে।


'আমি বিশ্বাস করি, সিনেমা আমাদের যুগের সবচেয়ে গভীর ও প্রভাবশালী শৈল্পিক মাধ্যম। অনেক বছর ধরে এর অংশ হওয়ার সৌভাগ্য আমার হয়েছে এবং এই যাত্রা আমাকে কিছু শিক্ষা দিয়েছে।', এদিন বলতে শোনা যায় শাহরুখ খানকে।


ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে তাঁর ৩৫ বছরের কেরিয়ারে শাহরুখ তাঁর অভিনীত বিভিন্ন চরিত্রে সম্পর্কেও কথা বলেন। 'আমি একজন খলনায়ক ছিলাম, আমি একজন চ্যাম্প ছিলাম, আমি একজন সুপারহিরো ছিলাম, আমি জিরো ছিলাম'। প্রসঙ্গত, পরিচালক সঞ্জয় লীলা বানসালির ২০০২ সালের হিট সিনেমা দেবদাস, যাতে মুখ্য চরিত্রে দেখা গিয়েছিল শাহরুখ খানকে, দেখানো হয় লোকার্নো চলচ্চিত্র উৎসবে।

Card image cap

বাংলাদেশের হিন্দু-সংখ্যালঘুদের হয়ে সরব ক্যানসার আক্রান্ত অভিনেত্রী হিনা খান

শেখ হাসিনা দেশ ছাড়ার পর থেকেই নৈরাজ্য, অরাজকতা বহাল। অশান্তির আগুন এখনও থামেনি। আক্রান্ত সংখ্যালঘুরা। এবার পালটা পথে নেমেছেন বাংলাদেশের হিন্দু এবং সংখ্যালঘুরা। অন্তবর্তী সরকার গঠনের পরও ছাই চাপা আগুনের মতো বিশৃঙ্খলা এখনও জিইয়ে রয়েছে। এবার পদ্মাপারের হিন্দুদের উপর হওয়া আক্রমণ নিয়ে প্রতিবাদে সোচ্চার হিনা খান।
বাংলাদেশে হিন্দু, সংখ্যালঘুদের ঘরে আগুন লাগিয়ে দিয়ে উন্মত্ত জনতা মেতে উঠছে বিশ্রী উল্লাসে! বঙ্গবন্ধুর মূর্তিতে হাতুড়ির ঘা! জুতোর মালা, মুখে কালি…। বিভিন্ন প্রান্তে মহিলারা নিগৃহীত। দিকে দিকে আক্রান্ত হচ্ছেন সংখ্যালঘুরা। বাংলাদশের বিভিন্ন প্রান্তের খণ্ডচিত্র দেখে শিউড়ে উঠছে গোটা বিশ্ব। প্রশ্ন উঠছে, দেশের উন্মত্ত জনতার বিবেকবোধ নিয়ে। আদৌ কি তা জাগ্রত হবে? বন্ধ হবে এই সহিংস পথ? উদ্বিগ্ন সভ্য সমাজ। এই কঠিন সময়ে পদ্মাপারের সংখ্যালঘুদের হয়ে প্রতিবাদী আওয়াজ তুললেন হিনা খান।
সম্প্রতি হিনা খানের ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার খবর প্রকাশ্যে এসেছে। কেমোথেরাপির পর অভিনেত্রী নিজের লড়াকু অভিজ্ঞতার কথা নিরন্তর শেয়ার করে চলেছেন সোশাল মিডিয়ায়। কিন্তু ব্যক্তিগত কঠিন সময়েও প্রতিবেশী দেশের উত্তাল, অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি তাঁর চোখ এড়ায়নি। বাংলাদেশে সংখ্যালঘু এবং হিন্দুদের উপর হওয়া অত্যাচার, নির্যাতনের ছবি দেখে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে তাঁর কপালেও। ছিল ছাত্র আন্দোলন। হল গণ অভ্যুত্থান। বাংলাদেশে হাসিনা সরকারের পতনের পর আন্দোলনকারী ছাত্রদের দাবি মেনে সেদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান হয়েছেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মহম্মদ ইউনুস। এদিকে ওপার বাংলার সংখ্যালঘু, হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর একের পর এক হামলার অভিযোগ উঠছে। এতেই মন কাঁদছে অভিনেত্রীর। হিনার মন্তব্য, “এটা খুব অন্যায়।”
ঠিক কী বলছেন হিনা খান? অভিনেত্রী মন্তব্য, “জাত-ধর্ম নির্বিশেষে প্রতিটা নিরাপরাধ মানুষের মৃত্যু আসলে মানবতার মৃত্যু। এহেন ভয়ানক জঘন্য ঘটনার শিকার হওয়া যে কোনও সম্প্রদায়ের পক্ষেই কাম্য নয়। যে কোনও দেশেই তাদের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সংরক্ষণ আদতে তাদের সৌজন্যবোধ, একতার প্রতীক। গোটা বিশ্বে যে বা যারা এহেন কষ্ট পাচ্ছেন, তাদের সকলের জন্য আমি ব্যথিত। কারণ আমার কাছে মানবতাই পরম ধর্ম। প্রার্থনা করছি, নিজের দেশ বাংলাদেশে যেন সমস্ত হিন্দু এবং সংখ্যালঘু সম্প্রদায়রা সুরক্ষিত থাকেন।”

Card image cap

ভোট মিটতেই পুরনো ৩ পদে বহাল দেব

ভোটের আগে তিনটি পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন। ঘাটালের বীরসিংহ উন্নয়ন পর্ষদের ভাইস চেয়ারম্যান, ঘাটাল মহকুমা হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান এবং ঘাটাল রবীন্দ্র শতবার্ষিকী মহাবিদ্যালয়ের গভর্নিং বডির সভাপতি পদ থেকে তিনি ইস্তফা দেন। ভোট মিটতেই ফের সেই পুরনো তিন পদে বহাল তারকা সাংসদ দেব। স্বাস্থ্যভবন থেকে এই সংক্রান্ত চিঠি ঘাটাল মহকুমা হাসপাতাল থেকে চিঠি এসে পৌঁছেছে।
লোকসভা নির্বাচনের আগে নিজের সংসদীয় এলাকা ঘাটালের তিন প্রশাসনিক পদ থেকে আচমকা ইস্তফা দেন তৃণমূলের তারকা সাংসদ দেব। ঘাটালের বীরসিংহ উন্নয়ন পর্ষদের ভাইস চেয়ারম্যান, ঘাটাল মহকুমা হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান এবং ঘাটাল রবীন্দ্র শতবার্ষিকী মহাবিদ্যালয়ের গভর্নিং বডির সভাপতি পদ থেকে ইস্তফা দেন তিনি। উল্লেখ্য, বীরসিংহ উন্নয়ন পর্ষদ গঠিত হওয়ার পর থেকে দেবকে ভাইস চেয়ারম‌্যানের দায়িত্ব দিয়েছিলেন স্বয়ং মুখ‌্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ‌্যায়। এছাড়া তাঁকে ঘাটাল রবীন্দ্র শতবার্ষীকি মহাবিদ‌্যালয়ের গভর্নিং বডির চেয়ারম‌্যানও করা হয়। ঘাটাল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের রোগী কল‌্যাণ সমিতির চেয়ারম‌্যানও করা হয় দেবকে। একসময় তাঁকে ঘাটাল কৃষি সমবায় ব‌্যাঙ্কের চেয়ারম‌্যানও করা হয়েছিল।
শোনা যায়, ঘাটাল রবীন্দ্র শতবার্ষিকী মহাবিদ‌্যালয়ে গর্ভনিং বডির চেয়‌ারম‌্যান হিসাবে দেবকে মেনে নিতে পারেননি তৃণমূলের প্রাক্তন বিধায়ক শংকর দোলই ও তাঁর অনুগামীরা। দেবের শিক্ষাগত যোগ‌্যতা নিয়ে আদালতে মামলাও করেন শংকরবাবুর অনুগামীরা। এমনকি ঘাটাল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের চেয়ারম‌্যান পদেও মানতে পারেননি তাঁরা। ফলে দেবের উপর চাপ বাড়ছিলই। তার পরই দেব পদত‌্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন। লোকসভা ভোটের মুখে এই পদত‌্যাগ দলের মধ্যে তীব্র আলোড়ন তৈরি হয়। ভোট মিটতেই ফের পুরনো পদে বহাল ঘাটালের তারকা সাংসদ।

Card image cap

‘ধনঞ্জয়ের ফাঁসির সাজা ভুলিনি’, নাম না করে বুদ্ধদেবকে বিঁধলেন কবীর সুমন!

এই সেই অভিশপ্ত আগস্ট। ২০০৪ সালের ১৪ আগস্ট ধর্ষণ মামলার দায়ে ফাঁসি হয়েছিল ধনঞ্জয় চট্টোপাধ্যায়ের। পারিপার্শ্বিক প্রমাণের ভিত্তিতে সেই ফাঁসি হওয়া কতটা যুক্তিযুক্ত ছিল? প্রশ্ন তুলেছিল ধনঞ্জয়ের পরিবার। সেই ফাঁসি রদ করা যায়নি। তবে সেই ‘সাজা’ নিয়ে পরবর্তীতে নানা বিতর্ক দানা বাঁধে! ঘটনা আবলম্বনে সিনেমা তৈরি করেন পরিচালক অরিন্দম শীলও। ধনঞ্জয়ের ফাঁসির স্মৃতি আজও তাজা কবীর সুমনের স্মৃতিতে। বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের প্রয়াণের দিন স্মৃতির সরণি বেয়ে সেকথাই মনে করিয়ে দিলেন শিল্পী।

বিশ সাল বাদ’! ধনঞ্জয় ঘটনার কুড়ি বছর বাদে এই আগস্ট মাসেই বুদ্ধবাবু চিরকালের জন্য বিদায় নিলেন। বুদ্ধাস্তের পর যখন তারকারা শোকবার্তা জ্ঞাপনে ব্যস্ত, তখন কবীর সুমনের সোশাল ওয়ালে দেখা গেল ধনঞ্জয়ের ফাঁসির ঘটনার কথা। কবীর সুমন লিখেছেন, “ধনঞ্জয় চট্টোপাধ্যায় আপনাকে ভুলিনি, ভুলব না। নিতান্ত পারিপার্শ্বিক প্রমাণের ভিত্তিতে আপনার ফাঁসি হয়েছিল। সেসময়ের রাজ্য সরকার প্রধানের স্ত্রী ফাঁসুড়ে নাটা মল্লিককে নিয়ে পথসভা করেছিলেন- আপনাকে ফাঁসি দেওয়ার পক্ষে জনমত জাগিয়ে তুলতে। আমরা কেউ আপনার ফাঁসি আটকাতে পারিনি, ধনঞ্জয়। আজ খুব মনে পড়ছে আপনাকে। সত্যি বলতে, আমিও তো ৭৫ পেরনো বুড়ো। খেয়াঘাটে অপেক্ষায়।”
উল্লেখ্য, ধনঞ্জয় মামলার সময়ে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। বুদ্ধপ্রয়াণের দিনই শিল্পীর এহেন পোস্টে নেটপাড়ার একাংশ সমর্থনও জানিয়েছেন। এবং তাঁদের নিশানা প্রয়াত প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীরই দিকে। সেই প্রেক্ষিতেই প্রশ্ন উঠেছে- তাহলে কি নাম না করে প্রয়াত বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকেই বিঁধলেন কবীর সুমন?

Card image cap

কঙ্গনার বিরুদ্ধে ৪০ কোটির মানহানি মামলা

রাহুল গান্ধীর বিকৃত ছবি শেয়ার করে বড় অঙ্কের মানহানি মামলায় জড়ালেন কঙ্গনা রানাউত। “দাদু মুসলিম, দিদা পারসি, মা খ্রিস্টান”, দিন কয়েক আগেই রাহুল গান্ধীকে জাত তুলে ‘জগাখিচুড়ি’ বলে কটাক্ষ করেছিলেন কঙ্গনা রানাউত। শুধু তাই নয়, কংগ্রেস নেতাকে উপহাস করতে গিয়ে তাঁর বিকৃত ছবি শেয়ার করেও আক্রমণ করেছিলেন। যেখানে রাহুল গান্ধীর মাথায় ফেজ টুপি, কপালে হলুদ তিলকের সঙ্গে গলায় খ্রিস্টধর্মের ‘ক্রস’ লকেট ঝুলতে দেখা গিয়েছিল। সেই ছবি শেয়ার করেই এবার আইনি বিপাকে পড়লেন কঙ্গনা।

৪০ কোটি টাকার মানহানি মামলা দায়ের হল মাণ্ডির বিজেপি তারকা সাংসদের বিরুদ্ধে। সুপ্রিম কোর্টের প্রবীণ আইনজীবী নরেন্দ্র মিশ্র কঙ্গনার বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ করেছেন। মামলাকারী আইনজীবীর দাবি, একজন সাংসদ হয়েও কারও অনুমিত না নিয়ে রাহুল গান্ধীর বিকৃত ছবি শেয়ার করে কঙ্গনা রানাউত তথ্যপ্রযুক্তি আইন লঙ্ঘন করেছেন। এটা গান্ধী পরিবারের ভাবমূর্তিতে কালিমালিপ্ত করা। সেই জন্যই আবারও মানহানি মামলায় বিপাকে জড়ালেন কঙ্গনা। ইতিমধ্যোই নোটিস পাঠানো হয়েছে তারকা সাংসদকে। 
এর আগে জাভেদ আখতার কঙ্গনার বিরুদ্ধে মানহানির মামলা দায়ের করেছিলেন। টেলিভিশন চ্যানেলে প্রকাশ্যে তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যে দাবি করায়। এবার রাহুল গান্ধীর ভাবমূর্তি নষ্ট করার জেরে ফের মানহানি মামলা দায়ের হল সাংসদ অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে। সম্প্রতি কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর উদ্দেশে করা বিজেপি সাংসদ অনুরাগ ঠাকুরের মন্তব্য ঘিরে মঙ্গলবারই উত্তাল হয়েছিল লোকসভা। যে ‘ঘৃণাভাষণ’কে সমর্থন করেছিলেন খোদ নরেন্দ্র মোদি। প্রধানমন্ত্রীর মতে সায় দিতেই আরও বিস্ফোরক পোস্ট করেন কঙ্গনা রানাউত। কঙ্গনা লেখেন, “নিজের জাত সম্পর্কে কোনও জ্ঞানগম্যি নেই। দাদু মুসলিম। দিদা পারসি, মা খ্রিস্টান আর ও নিজে তো পাস্তার মধ্যে কারিপাতা ফোড়ন হয়ে জগাখিচুড়ি হওয়ার চেষ্টা করছে। এদিকে উনি সবার জাত জানতে চান। 

এমন অভদ্রভাবে কী করে তিনি প্রকাশ্যে মানুষকে তাঁদের জাত সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করতে পারেন? ছিঃ নির্লজ্জ রাহুল গান্ধী।” এরপরই রাহুলকে বিঁধতে ওই বিকৃত ছবি শেয়ার করেন কঙ্গনা। যার জেরে মানহানি মামলার নোটিস গেল সাংসদ অভিনেত্রীর কাছে।

ঠিক কোন প্রেক্ষিতে এই সংসদে এই ‘জাত বিতর্কের’ সূত্রপাত? অনুরাগ ঠাকুর রাহুলকে কটাক্ষ করে বলেন, “যাঁর জাত জানা নেই, তিনিই জাতগণনার কথা বলছেন!” এমন মন্তব্যে লোকসভা উত্তাল হয়ে ওঠে। বিতর্কের মধ্যেই রাহুল অনুরাগকে বলেন, “আপনি আমাকে যত খুশি অপমান করতে পারেন। কিন্তু আপনার ভুলে যাওয়া উচিত নয় যে আমরা সংসদে জাতগণনা বিল পাশ করব।” এর পরই অনুরাগ বলেন, তিনি তাঁর মন্তব্যে কারও নামোল্লেখ করেননি।

Card image cap

প্রাক্তন স্ত্রীকে খোঁচা দিতে করলেন এই কাজও?

প্রাক্তনকে ভুলে, নতুন সূচনা করলেন নাগার্জুন পুত্র নাগা চৈতন্য। সামান্তার সঙ্গে বিচ্ছেদ হওয়ার পর থেকেই তাঁর নতুন সম্পর্কের গুঞ্জন ছড়িয়েছিল। অভিনেত্রী শোভিতা ধুলিপালার সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক যে নতুন মোড় নিচ্ছে তা মাঝেমধ্যেই উঠে আসছিল ছবি শিকারিদের ক্যামেরায়।


সকাল থেকেই তাঁদের বাগদানের খবরে তোলপাড় নেট পাড়া। 


বেলা গড়াতেই ছেলের বাগদানে সিলমোহর দিলেন বাবা নাগার্জুন। সমাজ মাধ্যমের পাতায় ছেলে এবং বউমাকে নিয়ে পোস্ট করেছেন দক্ষিণী অভিনেতা। তিনি লিখেছেন, "আমরা আন্তরিকভাবে খুব সুখী, এবং ঘোষণা করছি যে আমাদের ছেলে নাগা চৈতন্যর সঙ্গে শোভিতার বাগদান সম্পূর্ণ হয়েছে, সকাল ৯:৪২ মিনিটে। আমরা খুব আনন্দিত শোভিতাকে আমাদের পরিবারের স্বাগত জানাতে পারে। সুখী দম্পতিকে অনেক শুভেচ্ছা। আশা করব ওদের সারাজীবন একসঙ্গে ভাল কাটবে। এক অপরিসীম ভালবাসার নতুন শুরু।"


সামনে এল জুটির বাগদানের ছবিও। এদিন মণীশ মালহোত্রার ডিজাইনে সেজেছিলেন তাঁরা। শোভিতার পরনে হালকা গোলাপি রঙয়ের শাড়ি, এবং নাগা চৈতন্যের পরনে সাদা রঙয়ের কুর্তা পাজামা। নব দম্পতিকে নতুন জীবনের শুভেচ্ছা জানানোর পাশাপাশি নেটিজেনদের মন্তব্যে উঠে এসেছে সামান্থার নামও। তাঁদের মন্তব্য, একইদিনে সামান্থাকে প্রেম নিবেদন করেছিলেন চৈতন্য, সেইদিনই বেছে নিলেন জীবনের নতুন অধ্যায়ের শুরুতে। তাহলে কি প্রাক্তনকে একপ্রকার খোঁচা দিলেন তিনি? যদিও এই বিষয় নিয়ে এখনও পর্যন্ত মুখ খোলেননি সামান্থা। 


অন্যদিকে, বাগদানের আগেই প্রাক্তন স্ত্রী সামান্থার সঙ্গে পুরনো সব ছবি সোশ্যাল মিডিয়া‌ থেকে মুছে ফেললেন নাগা চৈতন্য। যদিও রয়ে গিয়েছে তাঁদের একসঙ্গে কাজের কিছু মুহূর্ত।


Card image cap

মুসলিম বাপের মেয়ে হয়েও কেন বার বার যান মন্দিরে! উত্তর দিলেন সারা আলী খান

বলিউড নায়িকাদের মধ্যে এখন অত্যন্ত জনপ্রিয় একজন নায়িকা হলেন সারা আলি খান। তাকে আমরা প্রায়ই মন্দিরে যেতে দেখেছি। কখনও তিনি দর্শনের জন্য কেদারনাথে পৌঁছান আবার কখনও মহাকাল। সারা কোনো ধর্ম বা বর্ণেই অন্ধবিশ্বাস করেন না। তার মনে হয় যেখানে ভাল শক্তি পাওয়া যায় সেখানে পৌঁছানোই ভালো।


সেটা গুরুদ্বার হোক, মন্দির হোক বা মসজিদ। যদিও সারা আলি খানকেও এই কারণে কিছু লোকের দ্বারা বহুবার টার্গেটও হতে হয়েছিল।



কিন্তু সারা এইসব কিছুকে পাত্তা দেয় না। একান্ত কথোপকথনে, সারা 'কেন সারা আলি খান মন্দিরে যান' বলেছিলেন কেন তিনি মন্দিরে বেশি যান। সারাকে প্রশ্ন করা হয়েছিল যে শাহরুখ খান তার সন্তানদের গীতা, কোরান এবং বাইবেল শিখিয়েছেন। তিনি নিজেই মহাকাল মন্দিরে গেছেন, তাহলে কীভাবে তিনি নিজেকে ধর্মীয়ভাবে সমৃদ্ধ করছেন?


এই প্রশ্নের জবাবে সারা আলি খান বলেন, তিনি ধর্মের কারণে যান না, আধ্যাত্মিকতার কারণে যান। সারা বলেছেন যে তিনি শক্তি পছন্দ করেন। সে মন্দির থেকে দেখা হোক বা গুরুদ্বার থেকে বা ছবির সেটে মানুষের সঙ্গে। সারার মতে, তিনি মানুষের শক্তি পছন্দ করেন এবং কখনও মন্দিরে কখনও কখনও দরগায় তাদের সাথে দেখা করেন। আমরা আপনাকে জানিয়ে রাখি যে সারা আলি খান ঘুরতে খুব ভালোবাসেন।


তিনি ছুটি কাটাতে বিদেশে যেতে পছন্দ করেন, তবে তিনি ধর্মীয় স্থানগুলিতেও যেতে ভোলেন না। সারা কেদারনাথ থেকে দর্শনের জন্য আসামের কামাখ্যা মন্দির, মহাকাল গিয়েছেন। গত বছরের অক্টোবরে, সারা রাজস্থানের মেওয়ারের আরাধ্য শ্রীকলিঙ্গ নাথজি মন্দিরেও গিয়েছিলেন। এরপর উদয়পুরে নিমুচ মাতার মন্দিরে যান তিনি। কিন্তু প্রতিবারই ধর্মের ঠিকাদাররা তাকে নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। কিছু ব্যবহারকারী এমনও বলেছেন যে সারা আলি খানকে তার নাম থেকে 'খান' উপাধি বাদ দেওয়াই উচিত।

Card image cap

আরও এক বছর বাড়ল বন্ধুত্বের বয়স,ফ্রেন্ডশিপ ডে উদযাপন অনন্যা-সুহানার

ড়ি-ভাব, খুনসুটি, দুষ্টু-মিষ্টি সম্পর্কের নামই তো বন্ধুত্ব। স্বার্থহীন সেই নিখাদ সম্পর্ককে উদযাপন করতে প্রতিবছর ৩০ জুলাই পালন করা হয় আন্তর্জাতিক বন্ধু দিবস বা ফ্রেন্ডশিপ ডে (Friendship Day 2024)। তবে ভারতে এই দিনটি পালিত হয় অগাস্ট মাসের প্রথম রবিবার। আজ, রবিবার ৪ অগাস্ট ফ্রেন্ডশিপ ডে উদযাপন করতে গেলেন দুই বলি সুন্দরী।


অনন্যা পাণ্ডে (Ananya Panday) এবং সুহানা খান (Suhana Khan)। সেই ছোটবেলা থেকে অনন্যা এবং সুহানার বন্ধুত্ব। আজও তা অটুট। বান্দ্রার এক ক্যাফেতে নিজেদের দীর্ঘ বছরের বন্ধুত্বের বয়স আরও এক বছর বেড়ে খাওয়ার খুশি উদযাপন করতে গিয়েছিলেন দুই অভিনেত্রী। ক্যাফে থেকে বেরনোর সময়ে ক্যামেরাবন্দি হন তাঁরা।

Card image cap

কোন বিষয়ে পরামর্শ চাইতেন ক্যাটরিনা কইফ?

রাতহলেই আলিয়ার ফোনে পৌঁছে যায় ক্যাটরিনার বার্তা। বলা ভাল, ঘড়িতে যখন রাত দু'টো অথবা তিনটে, তখনই নাকি বন্ধু আলিয়ার কাছে যায় ক্যাটরিনার মেসেজ। বিষয়টা ঠিক কী? 


একটা সময় খুব ভাল বন্ধু হিসেবে পরিচিত ছিলেন আলিয়া ভট্ট ও ক্যাটরিনা কইফ। প্রিয় বান্ধবী হিসেবে পরস্পরের সঙ্গে নেহা ধুপিয়ার সাক্ষাৎকারেও হাজির হন তাঁরা।


কিন্তু তার কিছু দিন পরেই হয় ছন্দপতন। ক্যাটরিনার প্রাক্তন প্রেমিক রণবীর কপূরের সঙ্গে সম্পর্কে সিলমোহর দেন আলিয়া। সৌজন্যের সম্পর্ক থাকলেও এখন তাঁদের আর 'বেস্ট ফ্রেন্ড' বলা যায় না। যদিও নেহা ধুপিয়ার সাক্ষাৎকারে দুই নায়িকার রসায়নে মুগ্ধ হয়েছিলেন নেটাগরিকেরা। 


ক্যাটরিনা জানিয়েছিলেন রাত বাড়লেই আলিয়াকে তিনি নানা প্রশ্ন করতেন ইনস্টাগ্রামের ইনবক্সে। ক্যাটরিনা বলেছিলেন, 'হয়তো রাত দু'টো অথবা তিনটে বাজে। তখন একটা ছবি পোস্ট করতে পারছি না। সমাধানের জন্য আলিয়ার থেকে পরামর্শ নিই।' ক্যাটরিনা নিজেই স্বীকার করেন, তিনি ঘড়ি না দেখেই মধ্যরাতে এই ধরনের প্রশ্ন করেন আলিয়াকে। 


বহু আগে থেকেই শোনা যাচ্ছে, আলিয়া ও ক্যাটরিনাকে একসঙ্গে দেখা যাবে একটি ছবিতে। 'জি লে জ়রা' নামে সেই ছবিতে অভিনয় করবেন প্রিয়ঙ্কা চোপড়াও। ছবির ঘোষণা করা হয়েছিল ২০২১-এ। কিন্তু এখনও সেই ছবির কাজ এগোয়নি। তবে পরিচালক ফারহান আখতার নিশ্চিত করেছেন, এই ছবি ঠিক এক দিন মুক্তি পাবে। তিন নায়িকাকে এক ছবিতে দেখার অপেক্ষা করে রয়েছেন তাঁদের অনুরাগীরা।

Card image cap

মদন মিত্রর ছায়াসঙ্গী, তৃণমূল বিধায়কের পাশে দাঁড়ানো সুন্দরীকে চেনেন?

তৃণমূলের 'কালারফুল বয়' মদন মিত্র। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভীষণ অ্যাক্টিভ কামারহাটির বিধায়ক। আট থেকে আশি, সবার প্রিয় মদনদা। মদন মিত্র সোশ্য়াল মিডিয়া প্রোফাইলে ঢুঁ মারলে মাঝেমধ্য়েই দেখা মেলে এক সুন্দরীর। সম্প্রতি শিবপুজোয় অংশ নিয়েছিলেন মদন মিত্র, সেখানেও তাঁর ছায়াসঙ্গী এই সুন্দরী।


ভিডিয়োয় সাদা পাঞ্জাবিতে ধরা দিয়েছেন তৃণমূল বিধায়ক। পাশে গোলাপি সালোয়ার কামিজে ঝলমলে সেই সুন্দরী। সঙ্গে সবুজ ওড়না। মদনের পাশে এই সুন্দরীকে দেখে অনেকের মনেই কৌতুহল জেগেছে, কে তিনি? তাঁদের উদ্দেশ্যে জানিয়ে রাখি, এই সুন্দরী আর কেউ নন, মদন মিত্রের আদরের ছোট বউমা মেঘনা মিত্র। তাঁর আরও একটা পরিচয় রয়েছে, কামারহাটি পুরসভার ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর। হ্যাঁ, শ্বশুরমশাইয়ের পথে হেঁটে সক্রিয় রাজনীতিতে এসেছেন মেঘনা।


কন্যাসময় মেঘনার প্রশংসায় হামেশাই পঞ্চমুখ মদন মিত্র। বিধায়কের ছোট ছেলে শুভরূপের স্ত্রী মেঘনা। সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রোফাইলে চোখ রাখলে আপনি ভিরমি খেতে পারেন। ফ্যাশন আর স্টাইলের মামলায় টলি নায়িকাদের টেক্কা দেবেন মদন মিত্র পুত্রবধূ। ইনস্টাগ্রামে তাঁর ফলোয়ার সংখ্যা প্রায় পঞ্চাশ হাজারের কাছাকাছি।


ছাত্রজীবন থেকেই রাজনীতির সঙ্গে সখ্যতা মেঘনার। হীরালাল মজুমদার কলেজের পড়বার সময় ছাত্র পরিষদের অংশ মেঘনা। ২০১৭ সালে মদন পুত্র শুভরূপের সঙ্গে সংসার পাতেন মেঘনা, দেখতে দেখতে তাঁদের দাম্পত্যের বয়স ৬ পার করেছে। সংসার রাজনীতি দুটোই সমান তালে সামলাচ্ছেন মেঘনা মিত্র।


 

ফেসবুকেও তাঁর অনুসরণকারী প্রায় এক লক্ষাধিক মানুষ। তাঁর ছবিতে লাইক-কমেন্টের বন্যা। শ্বশুর মশাইয়ের মতো সোশ্যাল মিডিয়ায় মেঘনার জনপ্রিয়তাও লাগামছাড়া।

Card image cap

আগামীদিনে টাটা সাম্রাজ্যের নেতৃত্ব দেবেন এই মেয়ে!

ভারতে আদানি, অম্বানি, মিত্তল, বিড়লা - অনেক শিল্পগোষ্ঠী রয়েছে। তবে, সব শিল্পগোষ্ঠীকে ফেলে সাধারণ মানুষ বাড়তি আস্থা রাখে টাটা গোষ্ঠীর উপর। লবণ থেকে উড়োজাহাজ - প্রায় সব খাতে ছড়িয়ে রয়েছে টাটা গোষ্ঠীর ব্যবসা। জেআরডি টাটার হাতে তৈরি সংস্থাটি শুরু থেকেই একের পর এক যোগ্য নেতা পেয়েছে।


সর্বশেষ উদাহরণ রতন টাটা। তবে, এখন তিনি বয়সের কারণে ধীরে ধীরে টাটার বিভিন্ন দায় দায়িত্ব থেকে নিজেকে গুটিয়ে নিচ্ছেন। টাটা সন্সের নেতৃত্ব দিচ্ছেন এন চন্দ্রশেখরন। তবে, তাঁর ভূমিকা অনেকটাই অন্তর্বর্তীকালীন। এই অবস্থায় আগামী দিনে ভারতের এই অন্যতম সফল শিল্প গোষ্ঠীকে কে নেতৃত্ব দেবে, সেই প্রশ্নটা বড় হয়ে উঠছে। দৌড়ে বেশ কয়েকটি নাম থাকলেও, সবার আগে রয়েছে এক মহিলার নাম। তিনি মায়া টাটা। ৩৪ বছরের এই মহিলা লাইমলাইটের বাইরে থাকতেই বেশি পছন্দ করেন। সাধারণ মানুষরা তো বটেই, টাটা গোষ্ঠীর মধ্যেও অনেকেই তাঁকে চেনেন না। কে এই মায়া টাটা? রতন টাটার সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক কী? আসুন জেনে নেওয়া যাক –


মায়া টাটা হলেন রতন টাটার ভাইঝি। মায়া টাটার বাবা, নোয়েল টাটা, রতন টাটার সৎ ভাই। আর তাঁর মা হলেন আল্লু মিস্ত্রি। টাটা গোষ্ঠীর প্রাক্তন চেয়ারম্যান, প্রয়াত সাইরাস মিস্ত্রির বোন। সাইরাস ইনভেস্টমেন্ট প্রাইভেট লিমিটেড এবং স্টার্লিং ইনভেস্টমেন্ট গ্রুপের মাধ্যমে, টাটা সন্সে মিস্ত্রি পরিবারের ১৮.৪ শতাংশ শেয়ার রয়েছে। টাটা সন্সে এই বিপুল পরিমান অংশীদারিত্ব বিবেচনা করেই ব্যবসায়িক পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন, ভবিষ্যতে টাটা গোষ্ঠীর নেতৃত্ব দিতে চলেছেন মায়া টাটাই।


আর দায়িত্ব পেলে কাউকে নিরাশ করবেন না তিনি, এমনটাই মনে করেন ব্যবসায়িক পর্যবেক্ষকরা। বয়স অল্প হলেও, ইতিমধ্যে টাটা গোষ্ঠীর অনেক গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব সামলেছেন মায়া টাটা। ব্রিটেনের ওয়ারউইক বিশ্ববিদ্যালয় এবং বেইস বিজনেস স্কুলে পড়াশোনা করেছেন এবং ব্যবসায়িক দক্ষতায় প্রয়োজনীয় ধার দিয়েছেন তিনি। কর্মজীবন শুরু করেছিলেন, টাটা ক্যাপিটালের ফ্ল্যাগশিপ প্রাইভেট ইক্যুইটি ফান্ড, টাটা অপর্চুনিটিজ ফান্ডে। টাটা অপর্চুনিটিজে তিনি পোর্টফোলিও ম্যানেজমেন্ট এবং ইনভেস্টর রিলেশনস-এর ক্ষেত্রে তাঁর দক্ষতার পরিচয় দেন। এরপর, তিনি টাটা ডিজিটালে কাজ করা শুরু করেছিলেন। সেই সময়, টাটা গোষ্ঠীর নতুন অ্যাপ চালু করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিলেন মায়া। তাঁর এই সাফল্যকে স্বীকৃতি দিয়েছে টাটা গোষ্ঠীও।


২০১১ সালে কলকাতায় টাটাদের ক্যান্সার হাসপাতালের উদ্বোধন করেছিলেন রতন টাটা। সেই হাসপাতালের পরিচালনা করে টাটা মেডিকেল সেন্টার ট্রাস্ট। সম্প্রতি টাটা মেডিক্যাল সেন্টার ট্রাস্টের বোর্ড সদস্য হিসেবে তাঁর ভাই ও বোন, নেভিল ও লিয়ার সঙ্গে যোগ দিয়েছেন মায়াও। ইকোনমিক টাইমসের সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ধীরে ধীরে বড় দায়িত্ব নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন তিনি। টাটা সন্সের সর্বশেষ বার্ষিক সভাতেও ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছে, অদূর ভবিষ্যতেই মায়া টাটাকে বড় ভূমিকায় দেখা যেতে পারে। সবথেকে বড় করা হয়েছে, মায়াকে নিজের হাতে তৈরি করেছেন খোদ রতন টাটা। কাজেই, আগামীদিনে টাটা গোষ্ঠীর দায়িত্ব, সর্বকনিষ্ঠ উত্তরাধিকারী হিসাবে, মায়া টাটার হাতে চলে গেলে আশ্চর্যের কিছু থাকবে না।

Card image cap

অসুস্থ অরিজিৎ সিং

অরিজিৎ সিং, দর্শক-শ্রোতাদের আবেগের আরেক নাম। যাঁর সুরেলা কণ্ঠে মুগ্ধ আট থেকে আশি, সেই গায়কই বৃহস্পতিবার গভীর রাতে দুঃসংবাদ দিলেন। অসুস্থ অরিজিৎ। যার জেরে বাতিল হয়েছে তাঁর গোটা আগস্ট মাসের সব কনসার্ট। শ্রোতা অনুরাগীদের কাছে ক্ষমাও চেয়ে নিলেন গায়ক।

সোশাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করে অরিজিৎ সিং জানিয়েছেন, তাঁর শরীরটা বিশেষ ভালো যাচ্ছে না। চিকিৎসা চলছে। তাই বাধ্য হয়েই আগে থেকে ঠিক করে রাখা এই মাসের সমস্ত শো বাতিল করতে হচ্ছে তাঁকে। সেই সঙ্গে অনুরাগীদের কাছে ক্ষমা চেয়ে অরিজিৎ লিখেছেন, “সকলকে অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি যে, অসুস্থতার কারণে আগস্টের সমস্ত শো পিছিয়ে দিতে হচ্ছে আমাকে। আমি জানি, আপনারা সবাই এই শোগুলোর জন্যভীষণভাবে অপেক্ষা রয়েছেন। কিন্তু আমি অন্তর থেকে ক্ষমা চাইছি এটার জন্য। আপনাদের এই এত ভালোবাসা এবং সমর্থনই কিন্তু আমার একমাত্র শক্তি।” এর সঙ্গেই গায়কের সংযোজন, “আমাকে বোঝার জন্য, এতটা নিঃশর্ত ভালোবাসা এবং ধৈর্য ধরার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাদের। চলুন, এই থমকে যাওয়াটাকে একটি প্রতিজ্ঞায় পরিণত করি, যেখানে আমাদের দেখা হওয়াটা আরও ম্যাজিক্যাল হয়ে উঠবে।” তবে অরিজিৎ সিংয়ের ঠিক কী হয়েছে? সেটা অবশ্য জানা যায়নি। তিনি নিজেও উল্লেখ করেননি। শুধু এই একটা মাস বিশ্রাম চেয়ে নিয়েছেন অগণিত ভক্তদের কাছ থেকে।
নিজের অসুস্থতার খবরের পাশাপাশি সেপ্টেম্বর মাসে কনসার্টের নতুন ডেটও জানিয়ে দিয়েছেন গায়ক। মুর্শিদাবাদের জিয়াগঞ্জের প্রাণ অরিজিৎ সিং। তবে সেই প্রাণের স্পন্দন গোটা দেশ জয় করে বিদেশের মাটিতেও সমুজ্জ্বল। অরিজিৎ সিং দেশের এক নম্বর গায়ক। তাঁর গানে বুঁদ আট থেকে আশি। নতুন প্রজন্মের প্রেম থেকে ব্রেকআপ, সব মুহূর্তের সঙ্গেই জড়িয়েই অরিজিতের গান। তবে সেই অরিজিৎ কিন্তু একেবারেই মাটির মানুষ। ছিমছাম পোশাকে স্কুটিতেই ঘুরে বেড়ান তিনি। এত বড় মাপের গায়ক হয়েও নিজে হাতে বাজার করেন। সন্তানদের স্কুলে দিয়ে আসেন। মুম্বইতে বিলাসবহুল ফ্ল্যাট থাকলেও শিকড়ের টানেই জিয়াগঞ্জে থাকেন। তাঁর অসুস্থতার খবরে যে অনুরাগীদের মন ভেঙেছে, তা বলাই বাহুল্য।