CATEGORY entertain:

Card image cap

আচমকাই বুকে অসহ্য যন্ত্রণা সলমনের

সম্প্রতি শিশুদের এক অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে হাজির হয়েছিলেন সলমন খান। সেখানেই তাঁকে দেখা গেল চরম অস্বস্তিতে! বুকে অসহ্য যন্ত্রণা। নড়া-চড়াও ঠিক করে করতে পারছেন না। এমনকী সোফা থেকে উঠতে গিয়েও বুকের তীব্র যন্ত্রণার বহিঃপ্রকাশ ফুটে উঠছে সলমনের চেহারায়। সেই ভিডিও ভাইরাল হতেই ভাইজান অনুরাগীরা বেশ উদ্বিগ্ন। আচমকাই কী হল সলমন খানের?জানা গিয়েছে, পাঁজরে চোট পেয়েছেন সলমন খান। তবে শারীরিক পরিস্থিতি যেমনই হোক না কেন, কর্তব্যে অবিচল তিনি। তাই তো মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিসের স্ত্রী তথা স্বনামধন্যা সমাজকর্মী আম্রুতা ফড়নবিসের আমন্ত্রণ পেয়েই সেই অনুষ্ঠানে যোগ দেন সলমন খান। ভাইরাল ভিডিওতে দেখা যায়, পরনে ধূসর টিশার্ট। চোখেমুখে যন্ত্রণার ছাপ স্পষ্ট। সোফা থেকে উঠতে গিয়ে বেগ পেতে হচ্ছে ভাইজানকে। সেই একই অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন সোনালি বেন্দ্রেও। অভিনেত্রীকে অভিবাদন জানাতে যে-ই উঠতে যাবেন, ঠিক তখনই আবার বিপত্তি! বুকের ব্যথায় নড়তে পারছেন না সলমন।সেই অনুষ্ঠানের সঞ্চালকই জানালেন যে ভাইজান পাঁজরের হাড়ে চোট পেয়েছেন। কিন্তু তবুও অনুষ্ঠানে হাজির হয়েছেন। যার জন্য সলমনকে ধন্যবাদ জানাতে ভুললেন না আম্রুতা ফড়নবিস। বলিউড সুপারস্টারের এহেন অবস্থা দেখেই চিন্তার ভাঁজ অনুরাগীদের কপালে। সলমন খানের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেছেন তাঁরা সকলে। তবে সেই অনুষ্ঠান থেকেই আরেকটি ভিডিও প্রকাশ্যে এসেছে, যেখানে সলমনকে নাচতে দেখা গিয়েছে এত যন্ত্রণার মধ্যেও। যা দেখে অনুরাগীরা ভাইজানকে ‘আহত বাঘ’ বলেও সম্বোধন করেছেন। 

Card image cap

কঙ্গনাকে ধর্ষণের হুমকি!

ঘরে-বাইরে কিংবা কর্মস্থলে, নারীরা নিরাপদ কোথায়? আর জি কর কাণ্ডের আবহে গোটা দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ঘটে যাওয়া ধর্ষণ, নির্যাতনের খবর প্রকাশ্যে আসায় আবারও এই প্রশ্ন প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছে। এবার কঙ্গনা রানাউত অভিযোগ তুললেন, তাঁকে ধর্ষণের হুমকি দেওয়া হচ্ছে।সম্প্রতি পাঞ্জাবের প্রাক্তন সাংসদ তথা প্রবীণ নেতা সিমরঞ্জিত সিং মানের এক মন্তব্যকে ঘিরেই এমন বিস্ফোরক অভিযোগ তুলেছেন কঙ্গনা। যেখানে ওই প্রবীণ নেতাকে বলতে শোনা যায়, “কঙ্গনার ধর্ষণের অনেক অভিজ্ঞতা রয়েছে।” সেই প্রেক্ষিতেইতারকা সাংসদের দাবি, “এটা তো ধর্ষণের হুমকি দেওয়ার মতোই কথা। সংবাদ সংস্থার সঙ্গে কথাপ্রসঙ্গে কঙ্গনা জানান, এভাবে শিল্পীদের কণ্ঠরোধ করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে। একটা সিনেমাকে আটকানো হচ্ছে। আবার কেউ কেউ তো মনে হচ্ছে আমার কপালে বন্দুক ঠেকিয়ে রেখেছে। আজকাল আমাকে ধর্ষণের হুমকিও দেওয়া হচ্ছে। আমি বলে দিচ্ছি, এভাবে আমাকে থামানো যাবে না।”সিমরঞ্জিত সিং মানের এক ভিডিও শেয়ার করে এক্স হ্যান্জেলে কঙ্গনা লিখেছেন, “এই দেশে ধর্ষণের ঘটনাকে তুচ্ছ করে দেখানোর বিষয়টা মনে হয় কোনওদিনই ঘুচবে না। আজ এই প্রবীণ রাজনীতিবিদ ধর্ষণের ঘটনাকে সাইকেল চালানোর সঙ্গে যখন তুলনা করছেন, তখন মেয়েদের সঙ্গে হওয়া নির্যাতনের নানা ঘটনা এদের কাছে মজা লোটা আর কিছুই নয়। এই পুরুষতান্ত্রিক দেশের মজ্জায় ঢুকে গিয়েছে এহেন মানসিকতা। একজন হাইপ্রোফাইল ফিল্মমেকার কিংবা রাজনীতিবিদ নারীকেও তাই উপহাস করতে আটকায় না এদের।”
ঠিক কোথা থেকে এই বাকবিতণ্ডার সূত্রপাত? কঙ্গনা দাবি করেছিলেন, “কৃষক আন্দোলন চলার সময়ে অনেক ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে।” সেই প্রেক্ষিতেই প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে প্রবীণ নেতা সিমরঞ্জিত সিং মান একটি কুরুচিকর মন্তব্য করে বসেন। তিনি বলেন, “হ্যাঁ, কঙ্গনার ধর্ষণের অনেক অভিজ্ঞতা রয়েছে। ওঁকে জিজ্ঞেস করতে পারেন কীভাবে ধর্ষণ হয়? কীভাবে এমন ঘটনা ঘটে, এই বিষয়ে মানুষকে শিক্ষিত করা উচিত।” এরপরই কঙ্গনা ধর্ষণের হুমকি আসার অভিযোগ তোলেন।

Card image cap

টলিপাড়ার অন্দরের কথা ফাঁস করলেন দেবলীনা দত্ত

আর জি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে প্রথম থেকেই সরব টলিউড অভিনেত্রী দেবলীনা দত্ত। প্রতিবাদী মিছিলেও দেখা গিয়েছিল তাঁকে। তবে আর জি কাণ্ডকে সঙ্গে নিয়েই এবার টলিপাড়া যৌন হেনস্তার বিরুদ্ধে সরব। কাস্টিং কাউচের প্রসঙ্গে ইতিমধ্য়েই শোরগোল টলিউডে। এই বিষয় নিয়েই প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে, সম্প্রতি অভিনেত্রী দেবলীনা দত্ত জানালেন, ”আমি তো চিরকালই সরব এই ব্য়াপারে। আমি তো যতবার এই বিষয় নিয়ে কথা বলেছি, ততবার বলেছি, আমাদের বাংলা ইন্ডাস্ট্রিতে হেনস্তার জায়গা রয়েছে। কাস্টিং কাউচ রয়েছে। আর আমি যদি কাস্টিং কাউচের কথা বলি, তাহলে ভাগাভাগির কথা বলব। দ্বিমতের কথা বলব। শুধু পুরুষরা নয়, বহু মহিলা আছে যাঁরা কাস্টিং কাউচের অংশ। এটা নিয়ে একটা বিতর্কের জায়গা তৈরি হতেই পারে। তবে হেনস্তার জায়গা তো রয়েইছে এখানে। যাঁরা ইন্ডাস্ট্রিতে নতুন কাজ করতে এসেছে, তাঁদের মানসিক দিক থেকে নির্যাতন করা হয়। এমন একটা মানসিক চাপ, পরিবেশের সৃষ্টি করা হয় যে, সে বাধ্য হয় কাস্টিং কাউচের অংশ হতে। এটাও কিন্তু একরকমের নির্যাতন। তবে শুধুই আমাদের ইন্ডাস্ট্রি নয়। সব ইন্ডাস্ট্রিতেই এমন হয়। এমনকী, পরিবারের মধ্যেই এমন বিকৃত মানসিকতার লোক রয়েছে।”হেমা কমিটির রিপোর্ট ঘিরে মালয়ালম চলচ্চিত্র জগতের উত্তাল পরিস্থিতি। এমন পরিস্থিতিই বাংলা ইন্ডাস্ট্রির যৌন হেনস্তার বিরুদ্ধে সোচ্চার হন ঋতাভরী চক্রবর্তী। রূপাঞ্জনা মিত্র, অনীক দত্ত, পিঙ্কি বন্দ্যোপাধ্যায়, সুজয় প্রসাদ চট্টোপাধ্যায়রাও তাঁকে সমর্থন করেন। এমন অবস্থায়, টলিউডে কাজের পরিবেশ ঠিক রাখা তথা টলিউডের অন্দরে ঘটে চলা নারী নিগ্রহের বিরুদ্ধে দাবি জানিয়ে চিঠি দিয়েছে উইমেনস’ ফোরাম ফর স্ক্রিন ওয়ার্কাস।ইম্পা, আর্টিস্ট ফোরাম, ফেডারেশন ও টেলি অ্যাকাডেমির চেয়ারম্যানকে উদ্দেশ্য করে এই চিঠি দেওয়া হয়েছে। আর সেখানে আর জি কর প্রসঙ্গ উল্লেখ করে বাংলা ইন্ডাস্ট্রির সিনেমা, সিরিয়াল ও ওয়েব প্ল্যাটফর্মে কাজ করা মহিলাদের যৌন হেনস্তার অভিযোগ কথা জানানো হয়েছে। চিঠিতে লেখা, “প্রত্যেকদিন আমাদের নানা ভাবে যৌন হেনস্তার শিকার হতে হয়। পাশাপাশি নিয়মিতভাবে নারী, শিশু এবং প্রান্তিক পরিচয়ের মানুষদের নির্যাতনের কথাও শোনা যায়। তবুও, আমাদের কাছে এমন কোনও কার্যকরী সহায়তা ব্যবস্থা নেই যেখানে ভারতীয় আইন অনুযায়ী যৌন হয়রানি প্রতিরোধ, নিষেধাজ্ঞা এবং প্রতিকারের দাবি জানাতে পারি।”এই সমস্ত বিষয়ের প্রতিকারের দাবিই জানানো হয়েছে চিঠিতে। প্রশ্ন করা হয়েছে, ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে যৌন হেনস্তার অভিযোগ জানানোর জন্য কোনও প্রতিষ্ঠান কি রয়েছে? পকসো আইনের শর্তগুলো কি মেনে চলা হচ্ছে? ঘনিষ্ঠ দৃশ্যের জন্য যথাযথ ভাবে ইন্টিমেসি কোর্ডিনেটর বা ডিরেক্টর নিয়োগের দাবি জানানো হয়েছে।
এই চিঠি নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে ইম্পার সভাপতি পিয়া সেনগুপ্ত জানিয়েছেন, ”প্রতিষ্ঠানের সভাপতির পাশাপাশি একজন মেয়ে হিসেবে চাইছি, অন্যায়ের প্রতিবাদ অবশ্যই হওয়া উচিত। আর এই নিয়ে যদি কমিটি তৈরির প্রস্তাব বাংলা বিনোদন দুনিয়ার সঙ্গে যুক্ত নারীদের তরফ থেকে আসে, অবশ্যই বাকি সংগঠনের সঙ্গে আলোচনায় বসব।”
অন্যদিকে, আর্টিস্ট ফোরামের সম্পাদক শান্তিলাল মুখোপাধ্যায়ের কথায়, ”প্রথমে আনুষ্ঠানিক ভাবে চিঠিটি আমাদের হাতে বা দফতরে আসুক। তা হলে কথা বলতে সুবিধে হবে।”
চিঠিতে অপর্ণা সেন, শাশ্বতী গুহঠাকুরতা, অনুরাধা রায়, শকুন্তলা বড়ুয়া, চৈতালী দাশগুপ্তর মতো বর্ষীয়ান অভিনেত্রীর নাম যেমন রয়েছে, তেমনই রয়েছে ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত, রূপা গঙ্গোপাধ্যায়, অনন্যা চট্টোপাধ্যায়, দামিনী বেণী বসু, সোহিনী সরকার, স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়, দেবলীনা দত্ত, প্রিয়াঙ্কা সরকারদের নাম। এই প্রসঙ্গে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে দামিনী জানান, খুবই সাধারণ কয়েকটি দাবি জানানো হয়েছে এবং বাস্তব অভিজ্ঞতার ভিত্তিতেই কয়েকটি প্রশ্ন করা হয়েছে। গোটা দেশে যা পরিস্থিতি। তার উপরে হেমা কমিটির রিপোর্ট। এমন পরিস্থিতিতে সকলের সচেতন হওয়া প্রয়োজন। একজন ডাক্তার খুন হওয়ার পর তাঁকে ভিক্টিম ব্লেম করতে ছাড়ছে না লোকজন। এমন অবস্থায় স্টুডিওতে কোনও অভিনেত্রী খুন হলে, তাঁকে যে স্লাট শেমিং করা হবে না, সেটা নিশ্চিত করে বলা তো যায় না। তাই কথাগুলো বলা প্রয়োজন।

Card image cap

ইন্ডাস্ট্রিতে নারী নিগ্রহে একজোট টলিপাড়া

একদিকে আর জি কর কাণ্ডের প্রতিবাদের ঝড়, অন্যদিকে হেমা কমিটির রিপোর্ট ঘিরে মালয়ালম চলচ্চিত্র জগতের উত্তাল পরিস্থিতি। এমন পরিস্থিতিই বাংলা ইন্ডাস্ট্রির যৌন হেনস্তার বিরুদ্ধে সোচ্চার হন ঋতাভরী চক্রবর্তী। রূপাঞ্জনা মিত্র, অনীক দত্ত, পিঙ্কি বন্দ্যোপাধ্যায়, সুজয় প্রসাদ চট্টোপাধ্যায়রাও তাঁকে সমর্থন করেন। এমন অবস্থায়, টলিউডে কাজের পরিবেশ ঠিক রাখা তথা টলিউডের অন্দরে ঘটে চলা নারী নিগ্রহের বিরুদ্ধে দাবি জানিয়ে চিঠি দিয়েছে উইমেনস’ ফোরাম ফর স্ক্রিন ওয়ার্কাস।ইম্পা, আর্টিস্ট ফোরাম, ফেডারেশন ও টেলি অ্যাকাডেমির চেয়ারম্যানকে উদ্দেশ্য করে এই চিঠি দেওয়া হয়েছে। আর সেখানে আর জি কর প্রসঙ্গ উল্লেখ করে বাংলা ইন্ডাস্ট্রির সিনেমা, সিরিয়াল ও ওয়েব প্ল্যাটফর্মে কাজ করা মহিলাদের যৌন হেনস্তার অভিযোগ কথা জানানো হয়েছে। চিঠিতে লেখা, “প্রত্যেকদিন আমাদের নানা ভাবে যৌন হেনস্তার শিকার হতে হয়। পাশাপাশি নিয়মিতভাবে নারী, শিশু এবং প্রান্তিক পরিচয়ের মানুষদের নির্যাতনের কথাও শোনা যায়। তবুও, আমাদের কাছে এমন কোনও কার্যকরী সহায়তা ব্যবস্থা নেই যেখানে ভারতীয় আইন অনুযায়ী যৌন হয়রানি প্রতিরোধ, নিষেধাজ্ঞা এবং প্রতিকারের দাবি জানাতে পারি।”এই সমস্ত বিষয়ের প্রতিকারের দাবিই জানানো হয়েছে চিঠিতে। প্রশ্ন করা হয়েছে, ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে যৌন হেনস্তার অভিযোগ জানানোর জন্য কোনও প্রতিষ্ঠান কি রয়েছে? পকসো আইনের শর্তগুলো কি মেনে চলা হচ্ছে? ঘনিষ্ঠ দৃশ্যের জন্য যথাযথ ভাবে ইন্টিমেসি কোর্ডিনেটর বা ডিরেক্টর নিয়োগের দাবি জানানো হয়েছে।এই চিঠি নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে ইম্পার সভাপতি পিয়া সেনগুপ্ত জানিয়েছেন, ”প্রতিষ্ঠানের সভাপতির পাশাপাশি একজন মেয়ে হিসেবে চাইছি, অন্যায়ের প্রতিবাদ অবশ্যই হওয়া উচিত। আর এই নিয়ে যদি কমিটি তৈরির প্রস্তাব বাংলা বিনোদন দুনিয়ার সঙ্গে যুক্ত নারীদের তরফ থেকে আসে, অবশ্যই বাকি সংগঠনের সঙ্গে আলোচনায় বসব।”
অন্যদিকে, আর্টিস্ট ফোরামের সম্পাদক শান্তিলাল মুখোপাধ্যায়ের কথায়, ”প্রথমে আনুষ্ঠানিক ভাবে চিঠিটি আমাদের হাতে বা দফতরে আসুক। তা হলে কথা বলতে সুবিধে হবে।”
চিঠিতে অপর্ণা সেন, শাশ্বতী গুহঠাকুরতা, অনুরাধা রায়, শকুন্তলা বড়ুয়া, চৈতালী দাশগুপ্তর মতো বর্ষীয়ান অভিনেত্রীর নাম যেমন রয়েছে, তেমনই রয়েছে ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত, রূপা গঙ্গোপাধ্যায়, অনন্যা চট্টোপাধ্যায়, দামিনী বেণী বসু, সোহিনী সরকার, স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়, দেবলীনা দত্ত, প্রিয়াঙ্কা সরকারদের নাম। এই প্রসঙ্গে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে দামিনী জানান, খুবই সাধারণ কয়েকটি দাবি জানানো হয়েছে এবং বাস্তব অভিজ্ঞতার ভিত্তিতেই কয়েকটি প্রশ্ন করা হয়েছে। গোটা দেশে যা পরিস্থিতি। তার উপরে হেমা কমিটির রিপোর্ট। এমন পরিস্থিতিতে সকলের সচেতন হওয়া প্রয়োজন। একজন ডাক্তার খুন হওয়ার পর তাঁকে ভিক্টিম ব্লেম করতে ছাড়ছে না লোকজন। এমন অবস্থায় স্টুডিওতে কোনও অভিনেত্রী খুন হলে, তাঁকে যে স্লাট শেমিং করা হবে না, সেটা নিশ্চিত করে বলা তো যায় না। তাই কথাগুলো বলা প্রয়োজন।

Card image cap

বলিউড নিয়ে বিস্ফোরক কার্তিক, আর কোন প্রসঙ্গে মুখ খুললেন পর্দার 'চন্দু চ্যাম্পিয়ন'?

 বিটাউনে তাঁর তেমন কোনও গডফাদার নেই। তবুও বেশ কয়েক বছরে ইন্ডাস্ট্রিতে নিজেকে প্রমাণ করেছেন। শুরুর দিকে বলিউডে তাঁর সফর খুব একটা সহজ ছিল না। সম্প্রতি এই প্রসঙ্গে মুখ খুললেন কার্তিক আরিয়ান।



বলিপাড়ার অন্দরে 'বহিরাগত' একটি আলোচিত শব্দ। ২০২০ সালের জুন মাসে সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর পর 'নেপোটিজম' শব্দটি নিয়ে বিস্তর চর্চা শুরু হয়েছিল।


স্টারকিডরা অনায়াসে যেভাবে সুযোগ পান, বহিরাগতদের ক্ষেত্রে বিবিধ সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়, এই নিয়ে বলিউডে সেসময় রীতিমতো তোলপাড় শুরু হয়েছিল। কার্তিক আরিয়ানেরও বলিউডে প্রথম দিনগুলি খুব একটা সহজ ছিল না, সে কথাই জানিয়েছেন অভিনেতা। তিনি বলেন, " একজন বহিরাগতর জন্য ইন্ডাস্ট্রিতে সুযোগ পাওয়া এবং নিজের জায়গা তৈরি করা বেশ কঠিন। ইন্ডাস্ট্রির বাইরে থেকে এসে সুযোগ পাওয়া এবং নিজের কাজের জন্য প্রশংসা আদায় করে নেওয়া মোটেও সহজ হয়। সেই পরিস্থিতি মনের উপর প্রভাব ফেলে। কিন্তু আপনাকে লড়াই করে নিজের রাস্তা নিজেকেই করে নিতে হবে।"


সরাসরি নেপোটিসম নিয়ে কথা না বললেও কার্তিকের মন্তব্যে যে সেই ইঙ্গিতই রয়েছে তা বলাই বাহুল্য। পর্দার 'চন্দু চ্যাম্পিয়ন'-এর কথায়, "চলচ্চিত্র জগতের বাইরে থেকে কেউ এলে, তাঁকে অনেক ধৈর্য ধরতে হয়। তবে ইন্ডাস্ট্রিতে বাইরে থেকে আসাটা যে দুর্বলতা নয়, তা বুঝতে আমাকে অনেক পরিশ্রম করতে হয়েছে। এখনও পর্যন্ত আমি পরিশ্রমেই সবটা করে চলেছি।"


২০১১ সালে মুক্তি পেয়েছিল কার্তিকের প্রথম ছবি 'পেয়ার কা পঞ্চনমা'। কিন্তু সেই ছবি মুক্তির আগে কার্তিকের মনে অনেক ধন্দ ছিল। আসলে সেসময় অভিনেতা টিনসেল টাউনের কাউকেই চিনতেন না। তাই বলিউডে কেরিয়ারের ভবিষ্যৎ নিয়ে তাঁর মনে আশঙ্কা ছিল। এমনকী পরিবার ছাড়া তাঁর ছবির শুটিং নিয়ে কাউকেই তিনি বলেননি। ছবির ট্রেলার মুক্তির পরই কার্তিক সকলকে জানিয়েছিলেন। প্রথম ছবির পর পরই যে তিনি আরও সুযোগ পেয়েছিলেন তেমনটা নয়। তবে ধীরে ধীরে বলিপাড়ার প্রথম সারির নায়কদের মধ্যে জায়গা করে নিয়েছেন কার্তিক আরিয়ান। এরপর 'ভুলভুলাইয়া ২' ছবিতে কার্তিককে দেখতে পাবেন দর্শকেরা।

Card image cap

টলিউড ‘সুগার কোটেড ব্রথেল’!

একদিকে আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের ঘটনা নিয়ে উত্তাল গোটা দেশ, অন্যদিকে হেমা কমিটির রিপোর্টকে কেন্দ্র করে তোলপাড় মালয়ালম সিনেমা জগৎ। এমন পরিস্থিতিতে বাংলা ইন্ডাস্ট্রির যৌন হেনস্তা নিয়ে বিস্ফোরক ঋতাভরী চক্রবর্তী । টলিউডকে ‘সুগার কোটেড ব্রথেল’ বলেও উল্লেখ করেন তিনি।সোমবার সোশাল মিডিয়ায় দীর্ঘ বিবৃতি দেন ঋতাভরী। তাতে অভিনেত্রী লেখেন, “হেমা কমিশনের রিপোর্ট মালয়ালম চলচ্চিত্র জগতের যৌন হেনস্তার ঘটনাগুলোর পর্দা ফাঁস করে দিয়েছে। এই ঘটনা আমাকে ভাবতে বাধ্য করেছে আমাদের ইন্ডাস্ট্রিতে এমন কোনও পদক্ষেপ কেন নেওয়া হয় না?”এর পরই অভিনেত্রী লেখেন, “একাধিক অভিযোগ প্রকাশ্যে আসছে। আমার সঙ্গে আমার চেনা পরিচিতর সঙ্গেও এমনটা হয়েছে। নোংরা মন ও ব্যবহার নিয়ে নায়ক/প্রযোজক/পরিচালক দিনের পর দিন কাজ করে চলেছে। কোনও সমস্যাও হচ্ছে না। আবার আর জি করের নির্যাতিতার বিচার চেয়ে তাঁদের মোমবাতি হাতেও দেখা যাচ্ছে।”নিজের পোস্টের শেষের দিকে মুখ্যমন্ত্রীকে ট্যাগ করেন ঋতাভরী। লেখেন, “এই সমস্ত নোংরা মানসিকতার মানুষদের মুখোশ টেনে খুলুন। আমি আমার সহ-অভিনেত্রীদের কাছে আবেদন করছি, এই শয়তানদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান। জানি আপনারা হয়তো চরিত্র হারানোর বা ইন্ডাস্ট্রিতে কোনওদিন কাজ না পাওয়ার ভয় পাচ্ছেন। কিন্তু আর কতদিন আমাদের চুপ থাকা উচিত? যে সমস্ত তরুণ অভিনেত্রীরা চোখে স্বপ্ন নিয়ে এই কাজে আসেন তাঁদের প্রতি কি আমাদের কোনও দায়িত্ব নেই। এই জায়গাটাকে কি তাঁরা সুগার কোটেড ব্রথেল (যৌনপল্লি) ভাববে! মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (দিদি) আমরা এই ধরনের (হেমা কমিটির মতো) তদন্ত চাই, অভিযোগ আর পরিবর্তনের জন্য।”

Card image cap

কৃষক আন্দোলন নিয়ে কঙ্গনার বিতর্কিত মন্তব্যের পাশে নেই BJP

কৃষক আন্দোলনে বাংলাদেশের মতো অরাজক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। লাগাতার খুন, ধর্ষণের মতো ঘটনা ঘটে আন্দোলন চলাকালীন। গতকাল এই ভাষাতেই কৃষক আন্দোলন নিয়ে সমালোচনা করেন বলি অভিনেত্রী তথা বিজেপি সাংসদ কঙ্গনা রানাউত। যার পর দেশজুড়ে কঙ্গনাকে নিয়ে নিন্দার ঝড় ওঠে। শনিবার গেরুয়া শিবিরও বুঝয়ে দিল, মাণ্ডির সাংসদের মন্তব্যকে সমর্থন করছে না তারা। বিবৃতি দিয়ে বিজেপি জানাল, কৃষক আন্দোলন নিয়ে কঙ্গনার মন্তব্য একান্তই তাঁর ব্যক্তিগত। এর সঙ্গে দলের কোনও যোগ নেই।সোমবার বিজেপির তরফে বিবৃতিতে বলা হয়, “কৃষকদের বিক্ষোভের প্রেক্ষাপটে বিজেপি সাংসদ কঙ্গনা রানাউত যে বিবৃতি দিয়েছেন তা দলের অবস্থানকে প্রতিফলিত করে না। ভারতীয় জনতা পার্টি ওই মন্তব্যের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করে।” দলের তরফে আরও বলা হয়, “কঙ্গনা রানাউত দলীয় নীতির বিষয়ে বলার লোক নন, তাঁকে এই বিষয়ে অনুমতিও দেওয়া হয়নি। কঙ্গনাকে ভবিষ্যতে এই ধরনের বিবৃতি দেওয়া থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দিয়েছে বিজেপি।”প্রসঙ্গত, মোদি সরকারের পাশ করা তিন কৃষি আইনের বিরুদ্ধে ২০২০ সালে বড়সড় আন্দোলনে নেমেছিলেন দেশের কৃষকরা। চাপের মুখে পড়ে বাধ্য হয়েই সেই আইন প্রত্যাহার করে সরকার। রবিবার সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অতীতের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, “সরকার আইন প্রত্যাহার করে নেওয়ার পর কৃষকরা ভাবতেই পারেনি এত সহজে বিষয়টা মিটে যাবে। ওই উগ্রপন্থীরা বড়সড় ষড়যন্ত্র করেছিল। যেমনটা বাংলাদেশে হয়েছে। আইন প্রত্যাহারের পর এখনও ওরা ওখানে বসে রয়েছে।” এর পরই কঙ্গনা বলেন, “কৃষকদের নামে আসলে বিদেশি শক্তি ভারতে কাজ করছিল। দেশ চুলোয় যাক, কিছু মানুষ এই আন্দোলনকে হাতিয়ার করে ফায়দা তুলতে চাইছিল। কিন্তু ওদের বোঝা উচিত, দেশ চুলোয় গেলে দেশবাসীও চুলোয় যাবে।”

Card image cap

নেটপাড়ায় ‘দিদি নম্বর ১’ বয়কটের ডাক! কমল TRP

আর জি কর কাণ্ডের পর কেন কুলুপ এঁটেছিলেন? ক্রমাগত এহেন প্রশ্নবাণে বিদ্ধ হতে হয়েছে শাসকদলের তারকা সাংসদ, বিধায়কদের। সোশাল মিডিয়ায় তাঁদের ছবি ভাইরাল করে অশ্লীল আক্রমণও করা হয়। শেষমেশ গত ১৫ আগস্ট একটি ভিডিও বার্তা শেয়ার করেন রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। যা কিনা নেটপাড়ার একাংশের কাছে ‘যান্ত্রিক’ শোকপ্রকাশ বলেই মনে হয়েছে। অতঃপর ‘দিদি নম্বর ১’ বয়কটের ডাকও তোলেন তাঁরা। সেই প্রভাবই কি পড়ল তবে এবারের টিআরপিতে?‘দিদি নম্বর ১’ শোয়ের গত তিন সপ্তাহের টিআরপি চার্টে চোখ রাখলেই সেটা স্পষ্ট হবে। আর জি কর কাণ্ডের ঠিক আগে, গত ৮ আগস্ট প্রকাশিত টিআরপি চার্টে ‘সানডে ধামাকা’ পর্বে রচনার শোয়ের প্রাপ্ত নম্বর ছিল ৫.৩। সপ্তাহের বাকি দিনে গড়ে ২.৪। পরের সপ্তাহে ১৬ আগস্ট সেই নম্বর হয় ৫.৭, কিন্তু চলতি সপ্তাহে একলাফে ‘দিদি নম্বর ১’-এর টিআরপি কমে হয় ৪.৭। সোশাল মিডিয়ায় যেভাবে রচনার শো বয়কটের যে রব উঠেছিল, তার প্রভাবই কি পড়ল TRP-তে?আর জি কর কাণ্ডের পর থেকেই অযাচিতভাবে নেটপাড়ার রোষানলে সিনেপাড়ার শিল্পীরা। তরুণী ডাক্তারের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে সোচ্চার হয়ে আমজনতার মতো সেলেবরাও রাস্তায় নেমেছেন। তবে তাতেও কটাক্ষের হাত থেকে রেহাই পাননি তাঁরা। পান থেকে চুন খসলেই রে-রে করে ধেয়ে আসে কটাক্ষবাণ! এমন আবহেই নির্যাতিতার বিচার চেয়ে কান্নার ভিডিও পোস্ট করেছিলেন ঘটনার দিন কয়েক বাদে। সেই ভিডিও দেখেই নিন্দুকরা ‘কুম্ভীরাশ্রু’ বলে কটাক্ষ করেন! এমনকী নেটপাড়ায় ওঠে ‘দিদি নম্বর ১’ বয়কটের ডাকও। এর মাঝেই শোনা যায়, রায়গঞ্জে নাকি রিয়ালিটি শোয়ের অডিশন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কান্নার ভিডিও পোস্ট করার পর। যদিও সেই খবর আদৌ সত্যি কিনা, সেই নিয়েও ধন্দ রয়েছে। তবে এবার চলতি সপ্তাহের টিআরপি লিস্ট প্রকাশ্যে আসতেই দেখা গেল, ‘দিদি নম্বর ১’-এর টিআরপি কমে গিয়েছে।

Card image cap

কেরালা চলচ্চিত্র অ্যাকাডেমি থেকে পদত্যাগ রঞ্জিতের

অন্ধকার ঘরে অশালীনভাবে ছোঁয়ার চেষ্টা করেছিলেন মালয়ালম সিনেমার পরিচালক রঞ্জিত। এমনই অভিযোগ শ্রীলেখা মিত্রর। এক সংবাদমাধ্যমের সূত্রে খবর প্রকাশ্যে আসতেই তুমুল চাঞ্চল্য। এবার গুঞ্জন, শ্রীলেখার অভিযোগের পরই কেরালা চলচ্চিত্র অ্যাকাডেমির চেয়ারম্যানের পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন রঞ্জিত।সংবাদমাধ্যমকে শ্রীলেখা জানান, মামুতি অভিনীত ‘পালেরি মণিক্যম: ওরু পাথিরাকোলাপাথাকাথিনতে কথা’ সিনেমায় তাঁর অভিনয় করার কথা ছিল। এর জন্যই অভিনেত্রীকে কোচিতে ডাকা হয়েছিল। সেখানে থাকার ব্যবস্থাও ছিল। সকালে সেটে গিয়েছিলেন অভিনেত্রী। সেখানে ফটোশুট হয়। কস্টিউম এবং অন্যান্য বিষয়েও আলোচনা হয়। বিকেলে সিনেমা সংক্রান্ত আলোচনার জন্য পরিচালকের বাড়িতে তাঁকে ডাকা হয়েছিল।অভিনেত্রী জানান, তিনি যখন রঞ্জিতের বাড়িতে যান পরিচালক ফোনে কথা বলছিলেন এবং ড্রয়িং রুমে অনেকে ছিলেন। তাঁর অভিযোগ, ইশারায় শ্রীলেখাকে অন্ধকার বেডরুমে ডাকেন রঞ্জিত। ঘরের বারান্দায় দাঁড়িয়ে ছিলেন তিনি। শ্রীলেখা যেতেই তাঁর হাতের চুড়িতে নিয়ে নাড়াচাড়া করতে থাকেন। অভিনেত্রী তখনই সতর্ক হয়ে ওঠেন। কিন্তু তখনও পরিচালকের অভিসন্ধি বুঝে উঠতে পারছিলেন না। কিন্তু এর পর অভিনেত্রীর চুলে আর ঘাড়ে হাত দিতে থাকেন পরিচালক। অভিনেত্রী আর অপেক্ষা করেননি। সঙ্গে সঙ্গে সেখান থেকে বেরিয়ে যান।এই ঘটনার পরই নাকি ছবিতে অভিনয় না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন শ্রীলেখা। এদিকে নিজের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেন রঞ্জিত। তাঁর দাবি, চিত্রনাট্যকার শঙ্কর রামাকৃষ্ণণের উপস্থিতিতেই তিনি শ্রীলেখার সঙ্গে কথা বলেছিলেন। গল্প শোনার পর অভিনেত্রী খুশি হয়েছিলেন, কিন্তু পরিচালক নাকি নিজে সংশয়ে ছিলেন শ্রীলেখাকে নেবেন কিনা। যদিও শেষপর্যন্ত চরিত্রটি আর শ্রীলেখা পাননি। পরিচালকের পালটা অভিযোগ, চরিত্র না পেয়েই অভিনেত্রীর এমন অভিযোগ।
তবে এই ঘটনার পরই রঞ্জিতের কেরালা চলচ্চিত্র অ্যাকাডেমির চেয়ারম্যানের পদ থেকে ইস্তফা দেওয়া নিয়ে নতুন করে জলঘোলা হচ্ছে। এমনিতেই জাস্টিস হেমা কমিটির রিপোর্টকে কেন্দ্র করে তোলপাড় মালয়ালম চলচিত্র জগৎ। শোনা যায়, এই রিপোর্টে সেখানকার বিনোদন জগতের একাধিক কাস্টিং কাউচ, যৌন হেনস্তা ও পারিশ্রমিকের বৈষম্যের কথা লেখা রয়েছে। আর এমন পরিস্থিতিতে শুধু শ্রীলেখা নন, জাতীয় পুরস্কারজয়ী পরিচালক ডক্টর বিজুও রঞ্জিতের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে বলে খবর।

Card image cap

গণ অবস্থানে পাশাপাশি দেব-রূপা

টলিপাড়ার একটাই স্বর, ‘জাস্টিস ফর আর জি কর’। তাই তো একজোট হয়ে অভয়ার মৃত্যুর বিচারের দাবিতে সরব বাংলার তারকারা। আর জি করের নারকীয় ঘটনার প্রতিবাদে এবং দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে শনিবার কিশোর কুমারের মূর্তি সংলগ্ন এলাকায় আর্টিস্ট ফোরামের গণ অবস্থান হয়। তাতেই পাশাপাশি দেখা যায় অভিনেতা তথা তৃণমূল সাংসদ দেব এবং অভিনেত্রী তথা বিজেপি নেত্রী রূপা গঙ্গোপাধ্যায়কে।বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যাতেও টালিগঞ্জের প্রতিবাদ মঞ্চে দেখা যায় একাধিক তারকাকে। একদিকে যেমন সমুন্ত মুখোপাধ্যায়, অলকানন্দা রায়ের মতো বর্ষীয়ান তারকাকে দেখা যায়, অন্যদিকে চৈতি ঘোষাল, দিগন্ত বাগচী, দেবলীনা দত্ত, অর্জুন চক্রবর্তী, গৌরব চক্রবর্তীরা বিচারের দাবিতে সরব হন।ন্যায় না পাওয়া পর্যন্ত প্রতিবাদ চলবে বলেই জানান দেবলীনা দত্ত। ‘এর শেষ দেখে ছাড়ব’, বলেন অভিনেত্রী। নারী, শিশু ও পশু কেউ নিরাপদে নেই বলেই মনে করেন অভিনেত্রী। ঝাড়গ্রামের হাতি হত্যার ঘটনাও ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা চলছে বলে সংবাদমাধ্যমে অভিযোগ জানান তিনি। আরজি করের ঘটনা দেখে এক জন সাধারণ মানুষ ও নাগরিক হিসেবে তিনি লজ্জিত বলেই জানান অর্জুন চক্রবর্তী। অভিনেতা মনে করেন এই ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া প্রয়োজন। এমন অপরাধের জন্য কড়া আইন দরকার বলেও মনে করেন তিনি।

Card image cap

ভরসন্ধ্যায় আক্রান্ত পায়েল, ভাঙা হল গাড়ির কাচ, 'শহরে নারী নিরাপত্তা কোথায়?

ভরসন্ধ্যায় অভিনেত্রী পায়েল মুখোপাধ্যায়ের গাড়িতে ভাঙচুর। সেই সঙ্গে অভিনেত্রীকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠল। গোটা ঘটনাটি ফেসবুক লাইভে জানিয়েছেন অভিনেত্রী। তাঁর দাবি, রাস্তায় একটি বাইকের সঙ্গে তাঁর গাড়ির সামান্য ধাক্কা লাগে। এরপরেই তুমুল হম্বিতম্বি শুরু করেন বাইক আরোহী।


বচসার মাঝেই তাঁর গাড়ির কাচ ভেঙে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ পায়েলের।


শুক্রবার সন্ধ্যার ঘটনা। দক্ষিণ কলকাতার অভিজাত সাউদার্ন অ্যাভিনিউ এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। পায়েলের অভিযোগ, বাইক আরোহী তাঁর গাড়ি থামিয়ে চিৎকার চেঁচামেচি করতে শুরু করেন। এরপরেই তিনি গাড়ির কাচের জানলায় ঘুষি মারেন। পায়েলের দাবি তাতেই ক্ষান্ত হননি আক্রমণকারী। গাড়ির কাচ ভেঙে তাঁকে আক্রমণ করারও চেষ্টা করা হয় বলে অভিযোগ।


কলকাতা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে বাইক আরোহীকে আটক করে। পায়েল মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, তিনি টালিগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। বাইক আরোহীর বিরুদ্ধে তাঁর অশালীন আচরণ, তাঁকে হুমকি দেওয়ার, তাঁর গাড়ির ক্ষতি করা এবং অকথ্য ভাষা ব্যবহার করার অভিযোগ করেছেন তিনি।


অভিযুক্ত বাইক আরোহী, এমআই আরসান, কমান্ড হাসপাতালের একজন জুনিয়র কমিশনড অফিসার বলে জানা গিয়েছে। পায়েল মুখোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোগ তুলেছেন তিনি। তাঁর দাবি, পায়েল মুখোপাধ্যায় বেপরোয়াভাবে গাড়ি চালাচ্ছিলেন। তিনি নিজের মতো রাস্তা গিয়ে বাইক নিয়ে যাচ্ছিলেন। দু’টি অভিযোগই খতিয়ে দেখছে পুলিশ।


ফেসবুক লাইভে, পায়েল মুখোপাধ্যায় শহরে মহিলাদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। একজন ইন্টার্ন চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় ব্যাপক ক্ষোভের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘সব প্রতিবাদ চলা সত্ত্বেও, কলকাতায় মহিলাদের ন্যূনতম নিরাপত্তাও নেই।’


এক বিবৃতিতে, কলকাতার ডেপুটি কমিশনার অফ পুলিশ (দক্ষিণ) প্রিয়ব্রত রায় বলেন, ‘পুলিশ পায়েল মুখোপাধ্যায়ের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং অভিযুক্তদের গ্রেফতার করতে দ্রুত পদক্ষেপ নিয়েছে।’


পায়েল মুখোপাধ্যায় বাংলা সিনেমা এবং টেলিভিশন জগতের পরিচিত নাম। তিনি বিভিন্ন টিভি সিরিয়াল, সিনেমা এবং ওয়েব সিরিজে অভিনয় করেন। বেশ কয়েকটি বিজ্ঞাপনেরও মুখ তিনি।

Card image cap

ভাইরাল অরিজিৎ সিংয়ের অডিওবার্তা!

আর জি কর কাণ্ডে সরব গোটা দেশ। প্রতিবাদে রাস্তায় মিছিলে নেমেছেন সেলেব থেকে সাধারণ মানুষরা। ঠিক এমন সময়ে সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হচ্ছে, নানা ভিডিও, নানা অডিও। যা নিয়ে বিভ্রান্তিও ছড়িয়েছে।গত ১৭ আগস্ট হঠাৎই সোশাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে অরিজিৎ সিংয়ের একটি ভিডিও। গায়ক তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে জানান, ৭ দিনের মধ্যে কিছু না হলে রাস্তায় নামবেন তিনি। অ্যাকাউন্টটি অরিজিতের কি না, তা নিয়ে অবশ্য ধোঁয়াশা রয়েছে। আর এবার সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হল একটি অডিও বার্তাও। যেটা কিনা অরিজিতের নাম করে ছড়ানো হচ্ছে। এক্স হ্যান্ডেসে হু আই এম নামে এক অ্যাকাউন্ট থেকে যে অডিওবার্তা ভাইরাল হয়েছে, সেখানে এক পুরুষকণ্ঠে শোনা গেল, ‘আমি এখন কিছু বলছি না, শুধু সেট আপ করছি। কিছু বলার আগে আমাকেও জানতে হবে, আমি কী বলব। কারণ আমরা জানি, শব্দ খুব গুরুত্বপূর্ণ। কর্মটাও ততটাই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ শব্দ যদি অর্থহীন হয়, তা হলে কাজের উদ্দেশ্যপূরণ সম্ভব নয়…।’ এই অডিওবার্তার সত্যতা অবশ্য যাচাই করেনি সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল।আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের ধর্ষণ-খুন কাণ্ডে উত্তাল রাজ্য। দেশজুড়ে উঠেছে প্রতিবাদের ঝড়। ১৪ আগস্ট রাতজুড়ে প্রতিবাদ মিছিলের পরই সামনে এসেছিল এক ভিডিও। সেখানে সঙ্গীতশিল্পী অরিজিৎ সিংকে একটি ঘোষণা করতে দেখা যাচ্ছে। মুর্শিদাবাদের জিয়াগঞ্জেরই ছেলে তিনি। সেখানেই একটি অনুষ্ঠানে তাঁর বক্তব্যের ভিডিও হল ভাইরাল।
ওই ভিডিওয় তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছে, ‘ফেসবুকে আপডেট করলে হবে না কিন্তু কাকা। হ্যাঁ। ফেসবুক, টুইটার করে কিন্তু হবে না। আমি এসব ব্যাপারে আপডেট দিতে পছন্দ করি না। আমি আজ থেকে কাজ শুরু করলাম। তোমরা কে কে কাজ করছ? (উত্তরে সবাই, সবাই” শুনে) থ্যাঙ্ক ইউ ভেরি মাচ। আমাদের ইভেন্ট কোম্পানি অ্যামিগোজ আর আমাদের ট্রাস্ট লেট দেয়ার বি লাইট। প্রচুর সহযোগিতা চাই আপনাদের। আমরা আজ থেকে আমাদের লোগো লঞ্চ করলাম। অ্যান্টি-রেপ। থ্যাঙ্ক ইউ সো মাচ।’

Card image cap

কলকাতায় এসে ‘নিখোঁজ’ ‘দ্য ডায়রি অফ ওয়েস্ট বেঙ্গল’ ছবির পরিচালক

২০২৩ সালের মে মাসে মুক্তি পেয়েছিল পরিচালক সানোজ মিশ্রর ‘দ্য ডায়রি অফ ওয়েস্ট বেঙ্গল’ ছবির ট্রেলার। ঝলক মুক্তি পেতেই গোটা বাংলায় বিতর্ক উঠেছিল। এমনকী, বাংলার পুলিশ পরিচালককে বাংলার সম্মানকে ক্ষুন্ন করার অভিযোগে আইনি নোটিসও পাঠিয়েছিল। আমহার্স্ট স্ট্রিট থানায় পরিচালককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকাও হয়েছিল। ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২০বি, ১৫৩এ, ৫০১, ৫০৪, ৫০৫, ২৯৫এ ধারা-সহ আরও বেশ কয়েকটি ধারায় অভিযোগ দায়ের হয়েছিল এই ছবির পরিচালকের বিরুদ্ধে। তবে এবার ছবির মুক্তির তারিখ ঘোষণা হতেই নিঁখোজ পরিচালক!হ্যাঁ, এমনটাই জানা গিয়েছে বলিউড অভিনেত্রী ও বিজেপি সাংসদ কঙ্গনা রানাউতের ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে। যেখানে কঙ্গনা লিখেছেন, “ইনি হলেন সনোজ কুমার মিশ্র। দ্য ডায়েরি অফ ওয়েস্ট বেঙ্গল নামে একটি ছবির পরিচালনা করেছেন। ছবির ট্রেলার মুক্তি পাওয়ার পরে পশ্চিমবঙ্গ সরকার এই পরিচালকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছিল। গত ১৪ অগস্ট সেই মামলার শুনানির জন্য তিনি কলকাতায় গিয়েছিলেন। কিন্তু তার পর থেকে সানোজ নিখোঁজ হয়ে যান।”কঙ্গনা তাঁর ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে আরও জানান,“পরিচালকের স্ত্রী রোজ আমাকে ফোন করে চলেছেন। গত রাতে তিনি খুবই ভেঙে পড়েছিলেন। তিনিও পশ্চিবঙ্গের দিকে রওনা দিচ্ছেন। আমি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে অনুরোধ করছি এই অসহায় মহিলাকে তাঁর স্বামী সানোজকে খুঁজে পেতে সাহায্য করুন। ধন্যবাদ।”

Card image cap

ধর্ষণের হুমকি দিয়ে আমাকে থামানো যাবে না’, কড়া জবাব মিমির

আর জি কর কাণ্ডে বিচার চেয়ে সরব হয়েছিলেন। তাতেই কুরুচিকর মন্তব্যের শিকার মিমি চক্রবর্তী। সোশাল মিডিয়ায় প্রকাশ্যেই ধর্ষণের হুমকি দেওয়া হয়েছে অভিনেত্রী তথা প্রাক্তন সাংসদকে। নারী নিরাপত্তা, সমাজে নারীদের অবস্থান, স্বাধীনতা নিয়ে যখন একুশ শতকের পৃথিবীতেও লড়তে হচ্ছে, রাত দখল অভিযানে নেমেছেন শত সহস্র নারীরা, তখন সেই আবহেই মিমিকে ধর্ষণের হুমকি প্রকাশ্যে। অভিনেত্রী ইতিমধ্যেই আইনি পথে হেঁটেছেন। এবার এক ভিডিও শেয়ার করে আরও একবার কড়া জবাব দিলেন ‘পুরুষতান্ত্রিক’ সমাজের উদ্দেশে।মিমির মন্তব্য, “আমাকে নিয়ে অশ্লীল মন্তব্য করে বা হুমকি দিয়ে দমিয়ে রাখা যাবে না। আমি জন্মগত নির্ভীক। প্রতিটা মেয়েই তাই। আমাদের লড়াই সেইসমস্ত মানুষগুলোর বিরুদ্ধে যাঁরা আমাদের, মেয়েদের বিরুদ্ধে কথা বলে। যারা নিজেদের আমাদের থেকে শক্তিশালী লিঙ্গের মানুষ বলে ভাবে। নির্লজ্জ। ওদের লজ্জা হওয়া উচিত। ওদের অস্তিত্ব, এমন লালনপালনের জন্যেও লজ্জা হওয়া উচিত।”ঠিক কী ঘটেছে? আর জি কর কাণ্ডের পর নির্যাতিতার পরিবারকে ১০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার প্রস্তাব রেখেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু মৃতার পরিবার সেই টাকা নিতে অস্বীকার করেন। সেই প্রসঙ্গ তুলেই এক্স হ্যান্ডেলে মিমি চক্রবর্তীকে ধর্ষণের হুমকি দেয় জনৈক নেটিজেন। হুমকি পোস্টে লেখা, “আজ এই কাণ্ড যদি মিমির সঙ্গে ঘটত তাহলে কী করত? মিমির পরিবারকে ১০ লক্ষ টাকা দেওয়া হত নাকি? তাহলে মিমিকে আমার ঘরে পাঠিয়ে দিলে আমি ওঁর পরিবারকে ১০ লাখ টাকা দিয়ে দেব।” “রেপটা মিমির সাথে হলে খুব ভালো হোতো”, এমন কথাও লেখা হয় এক্স হ্যান্ডেলের এক পোস্টে। সেসব স্ক্রিনশট নিয়েই সাইবার সেলে অভিযোগ জানিয়েছেন মিমি। অভিনেত্রীর পাশে দাঁড়িয়েছেন সৃজিত মুখোপাধ্যায়ও।

Card image cap

RG Kar কাণ্ডে শিল্পী বন্ধুদের নীরবতা নিয়ে মুখ খুললেন মীর

‘সিনেমাপাড়ার একটাই স্বর, জাস্টিস ফর আর জি কর’, এই স্লোগান স্টুডিওপাড়ার তারকাদের। দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি চেয়ে পদযাত্রা করেছেন সঙ্গীতশিল্পীরা। সরব হয়েছেন বাচিক শিল্পীরাও। দিকে দিকে ‘We Want Justice’ স্লোগান। এখনও যাঁরা আর জি কর কাণ্ডে নীরব, তাঁদের বাদ দিয়েই ঐক্যবদ্ধ হওয়ার ডাক দিলেন মীর আফসার আলি।সিনেমাপাড়ার আন্দোলনে অনির্বাণ ভট্টাচার্যকে দেখা যাচ্ছে না কেন? এই প্রশ্ন তোলা হচ্ছে সোশাল মিডিয়ায়। ‘খোকা’ নিখোঁজের বিজ্ঞাপন দিয়ে তারকাকে কটাক্ষও করেছেন প্রযোজক রানা সরকার। তাঁকে আবার পালটা দিয়েছেন পরিচালক দেবালয় ভট্টাচার্য। বিষয়টি নিয়ে এবার মুখ খুললেন মীর। আর জি কর প্রসঙ্গে এক সংবাদমাধ্যমে প্রতিক্রিয়া দিয়েছিলেন মীর। সেই খবর শেয়ার করে শিল্পী লেখেন, “এই মুহূর্তে দাঁড়িয়ে পুরো বিষয়টা যেমন বুঝছি… আপনারাও মতামত জানান। সবাই সবার পাশে দাঁড়ান। আমার অনেক শিল্পী বন্ধুরা আজ হয়তো নীরব। নিশ্চয়ই কারণ আছে। তাঁরা থাকুন নিজেদের মতন। আসুন, আমরা ঐক্যবদ্ধ হই।”প্রসঙ্গত, আর জি কর হাসপাতালে কর্তব্যরত অবস্থায় তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ-খুনের ঘটনায় গোটা দেশ উত্তাল। মঙ্গলবার এনিয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলার শুরুতেই ঘটনার ভয়াবহতার কথা উল্লেখ করে প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ। তাঁদের পর্যবেক্ষণ, এটা শুধু কলকাতারই নয়, হায়দরাবাদ, আহমেদাবাদ, বিহার-সহ নানা জায়গায় ডাক্তাররা আক্রান্ত হচ্ছেন। চিকিৎসকদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে জাতীয় টাস্ক ফোর্স গঠনের নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ।“আরও একটা ধর্ষণের জন্য অপেক্ষা করবে দেশ?” মঙ্গলবার আর জি কর কাণ্ডে এই ভাষাতেই তোপ দেগেছে সুপ্রিম কোর্ট। কলকাতা পুলিশ এবং আর জি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে শীর্ষ আদালত। মাঝরাতে হাসপাতাল ভাঙচুরের ঘটনায় বিস্ময় প্রকাশ করে রিপোর্ট তলব করা হয়েছে। সংবাদমাধ্যমকে মীর জানান শীর্ষ আদালতে আস্থা রেখে সবাইকে ধৈর্য ধরতে হবে। তবে আন্দোলন থামালে চলবে না।

Card image cap

‘নাইট ডিউটি থেকে অব্যাহতি’ প্রসঙ্গে মত স্বস্তিকার

আর জি কর কাণ্ড আবারও নতুন করে মেয়েদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছে। বাংলার ঘটনায় সরব গোটা দেশ। রাখি বন্ধনের দিন খোদ বলিউড অভিনেতা অর্জুন কাপুর পর্যন্ত পুরুষদের সংযত হওয়া এবং মন-মানসিকতা বদলানোর পাঠ দিয়েছেন। এদিকে কলকাতার তরুণী ডাক্তারের ধর্ষণ ও খুন ঘটনার জেরে কর্মক্ষেত্রে মেয়েদের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে সম্প্রতি ‘রাত্তিরের সাথী’ প্রকল্পের কথা ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকার। সরকারি-বেসরকারি ক্ষেত্রে একাধিক আচরণবিধি মেনে চলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যার মধ্যে মেয়েদের যথাসম্ভব নাইট ডিউটি থেকে অব্যাহতি দেওয়ার কথাও রয়েছে। এবার সেই প্রসঙ্গেই সরব হলেন স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়। পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়ও এপ্রসঙ্গে মুখ খুলেছেন।স্বস্তিকার মন্তব্য, “নাইট ডিউটি থেকে অব্যহতি নয়, কর্মক্ষেত্রে নারী সুরক্ষা আইন চাই। মেয়েদের জন্য কোনও গণ্ডি বা লক্ষ্মণরেখা টানবেন না। সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছেন আইনসভায় আইন প্রণয়ন করুন।” সোশাল মিডিয়ার দীর্ঘ পোস্টে অভিনেত্রী এও উল্লেখ করেন যে, “আর জি কর প্রসঙ্গে আমি একটি প্রেস রিলিজ দেখলাম পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তরফে। তাতে একটা অবান্তর, আপত্তিজনক বিষয় দেখলাম। এইজন্যই কি মেয়েরা রাতদখল করেছিল? ‘মেয়েদের রাতে ডিউটি না করাই ভালো’… ইত্যাদি। আমরা কি কেউ কোনও দিন সকালে, দিনের আলোয় যৌননিগ্রহের শিকার হইনি? সূর্যালোকে কি যৌন নিপীড়করা রাস্তায় বের হয় না? দিনের বেলায় যদি কোনও মেয়ে এরপর যৌন হেনস্থার শিকার হয়, তবে কি দিনেও ডিউটি ছেড়ে দেব সকলে? আচ্ছা, ধরলাম কাজেই গেলাম না, বাড়িতে চুপটি করে বসে রইলাম, যেমন ছিলাম অনেকে কোভিডকালে, সেখানে সব থেকে বেশি হয়েছে গার্হস্থ্য হিংসা। কোথায় নিরাপদ আমরা? সব থেকে ভয়ানক যা, তা হল সমাজের কিছু মানুষের এই বিকৃত মানসিকতা। প্রতি পলে, প্রতি পদক্ষেপে। কিন্তু একটা সরকার, কীভাবে নারী বিদ্বেষমূলক বিবৃতি দিতে পারে? প্রশ্ন তুললেন স্বস্তিকা।”রবিবার সিনেমাপাড়ার প্রতিবাদী মিছিলে দাঁড়িয়ে পরমব্রত চট্টোপাধ্যায় বললেন, এই নিয়ম যদি চালু হয় তাহলে মেয়েদের রাত দখলের মানে কী? নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সবাই যদি একসঙ্গে কাজ না কর‍তে পারে, তাহলে এত প্রতিবাদের মানে নেই। মেয়েদের রাস্তাঘাটে নিরাপত্তা দেওয়ার দায়িত্ব প্রশাসনের‍। যেখানে তিনি কাজ করবেন সেখানকার কর্তৃপক্ষের। এমন নিয়ম হওয়া মানে রাতের কাজ থেকে মেয়েদের বঞ্চিত করা ৷ তাঁর অধিকার থেকে তাকে বঞ্চিত করা। এপ্রসঙ্গে চুর্ণী গঙ্গোপাধ্যায়ের মত, “মেয়েরা রাতে বেরোবে না সেটা সুরক্ষা নয়। সুরক্ষা দেওয়া দরকার- সেটা নিয়ম এবং কার্যকরী হতে হবে।”প্রসঙ্গত, আর জি করের ঘটনার পরই ‘রাত্তিরের সাথী’ নামে নয়া প্রকল্প রাজ্য সরকারের তরফে চালু করার কথা ঘোষণা করা হয়েছে। এই প্রকল্পের আওতায় মহিলাদের জন্য হাসপাতালগুলিতে শৌচালয়-সহ বিশ্রাম কক্ষ তৈরি হবে। রাতের জন্য বাড়তি মহিলা নিরাপত্তারক্ষী থাকবে। নজরদারির জন্য সিসিটিভির আওতায় তৈরি হবে ‘সেফ জোন’ ‘রাত্তিরের সাথী’ মোবাইল অ্যাপ তৈরি হবে, যা স্থানীয় থানার সঙ্গে সংযুক্ত থাকবে এবং কোনও ঘটনা ঘটলে বিপদঘণ্টি বাজবে। চালু হবে ২৪ ঘণ্টার হেল্প লাইন নং – ১০০/১১২। হাসপাতালে প্রবেশের সময় সকলের নিরাপত্তা পরীক্ষা, শ্বাস পরীক্ষা করা হবে। কোনও মদ্যপ যাতে হাসপাতালে ঢুকতে না পারেন তার জন্য শ্বাস পরীক্ষা রাতের শিফটে মহিলাদের যথাসম্ভব বাদ রাখার পক্ষে সওয়াল রাজ্য সরকারের। যদি কাজ করতে হয়, তাহলে মহিলারা দুজন কিংবা গোষ্ঠীবদ্ধভাবে কাজ করবেন হাসপাতালের সবকটি তলায় পানীয় জলের ব্যবস্থা রাতের শিফটে পুরুষ-মহিলা কর্মীদের সমানুপাতে রাখতে হবে রাতে কাজের সময়ে কর্মক্ষেত্রে পরিচয়পত্র পরে থাকতে হবে। বেসরকারি সংস্থাকেও ‘রাত্তিরের সাথী’ ইনস্টল করতে হবে।

Card image cap

নাম না করে সৌরভকে কটাক্ষ স্বস্তিকার

আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল নিয়ে প্রাথমিক প্রতিক্রিয়া দিয়েছিলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। এতেই রুষ্ট স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়। নাম না করেই সৌরভকে কটাক্ষ করলেন তিনি। জানালেন, সৌরভ সঞ্চালিত ‘দাদাগিরি’ শোয়ের তিনি কোনওদিন যাননি। আর কখনও যাবেনও না।আর জি করের নৃশংস ঘটনার প্রতিবাদে গত রবিবারই প্রাথমিক প্রতিক্রিয়া দেন সৌরভ। তাঁর বক্তব্য ছিল, “এটা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। তবে ভারত এবং বাংলা মহিলাদের জন্য নিরাপদ।” সৌরভের সেই প্রতিক্রিয়া নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়ে যায়। এতেই ফেসবুকে স্বস্তিকা লেখেন, “আমি কোনওদিন দাদাগিরিতে যাইনি। যাওয়া হয়নি। আর কোনওদিন যাব না। অ্যাক্সিডেন্টালি যাব না সেটা নয়। নিজের ইচ্ছেতেই যাব না।”এর পরই আবার অভিনেত্রী লেখেন, “ধর্ষণ, খুন কোনও অ্যাক্সিডেন্ট নয়। এটা কোনও বিচ্ছিন্ন ঘটনা তো নয়ই। আর আমাদের সুন্দর দেশে কোনও বয়সের মেয়েরাই সেফ নয়। কোনো রাজ্যেই নয়। এই দুই কাজ – রেপ এবং খুন ইচ্ছাকৃত (ইচ্ছাকৃত খুন)। যারা করেছে, যারা করে তারা ইচ্ছে করে করেছে / করে। জেনে বুঝে করেছে /করে! যাদের এখনও ঘুম ভাঙেনি, তাদের আর ভাঙবে না। আমাদের প্রিয় আইকন, আপনি এই হিংসাত্মক ঘটনাকে তুচ্ছ করে না দেখলেই পারতেন।”যদিও মেয়ে সানার অফিসের এক অনুষ্ঠানে গিয়ে আর জি কর কাণ্ডে তীব্র প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন সৌরভ। তিনি বলেন, “আমার আগের মন্তব্য কীভাবে ব্যাখ্যা করা হয়েছে জানি না। কিন্তু এটা একটা নারকীয় ঘটনা। এর কঠোর শাস্তি হওয়া উচিত।” সৌরভের কথায়, “পৃথিবীর যে কোনও প্রান্তে এই ধরনের ঘটনা ঘটলেই তার প্রতিবাদ হবে। আমাদের দেশের মানুষ যেভাবে প্রতিবাদ করছেন, সেটাও প্রত্যাশিত। এই ধরনের নারকীয় অপরাধীর কঠোর শাস্তি হওয়া উচিত।”
তবে আর জি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে চিকিৎসকদের যে কর্মবিরতি চলছে সেটাও পুনর্বিবেচনা করা উচিত বলে মনে করছেন সৌরভ। তিনি বলেন, “এই ধরনের ঘটনার প্রতিবাদ হওয়া উচিত। কিন্তু চিকিৎসকদের পেশা সমাজের জন্য ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। হাজার হাজার মানুষ চিকিৎসা পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। সেটাও ভাবতে হবে।”

Card image cap

জাতীয় পুরস্কার প্রাপ্তির পরও কৌশিক-শ্রাবন্তীর মনে বিষাদ

এ অদ্ভুত পরিস্থিতি। একদিকে জাতীয় পুরস্কার পাওয়ার আনন্দ, অন্যদিকে আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসকের মৃত্যুর ঘটনার বিষাদ। তাই তো ‘কাবেরী অন্তর্ধান’ সেরা বাংলা ছবির জাতীয় পুরস্কার পাওয়ার পরও সেলিব্রেশনের কোনও ইচ্ছে নেই পরিচালক কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায় ও শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়ের মনে।‘কাবেরী অন্তর্ধান’ ছবি নিয়ে অনেক লড়াই করতে কয়েছে পরিচালক কৌশিক ও তাঁর টিমকে। কোভিড কালে ছবির শুটিং পিছিয়ে যাওয়া, মুক্তির সময় হল বন্ধ, এমন বাধা বিপত্তি পেরিয়ে দর্শকের দরবারে আসে ছবিটি। পায় সমালোচকদের প্রশংসা। এবার পেল জাতীয় পুরস্কার। সংবাদমাধ্যমকে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে পরিচালক জানান, জাতীয় পুরস্কার যে কোনও শিল্পীর কাছে অত্যন্ত গর্বের। আনন্দ আঢ্য (অপরাজিত ছবির জন্য সেরা প্রোডাকশন ডিজাইন) এবং সোমনাথ কুণ্ডুর (সেরা মেকআপ) জন্য তিনি ব্যক্তিগতভাবেও খুশি। কিন্তু পরিচালকের এই সাফল্য উদযাপন করার কোনও ইচ্ছে নেই।কৌশিক জানান, একটা অস্থির সময়ের মধ্যে দিয়ে সবাইকে যেতে হচ্ছে। কাবেরী আর নয়নতারার গল্পও অস্থির রাজনৈতিক সময়ের প্রেক্ষাপটে তৈরি। কোথাও যেন সিনেমা ও বাস্তব মিলেমিশে একাকার। এমন সময়ে পুরস্কার পাওয়া সম্মানের, গর্বও হচ্ছে কিন্তু উদযাপন করা হবে না। সেই উৎসাহ ব্যক্তিগতভাবে অনুভব করছেন না তিনি।তাঁর অভিনীত ছবি জাতীয় পুরস্কার পেয়েছে এতে কৃতজ্ঞ শ্রাবন্তী। কিন্তু নায়িকারও সেলিব্রেশনের কোনও ইচ্ছে নেই। সংবাদমাধ্যমকে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে তিনি জানান, মহিলা হিসেবে আর জি কর হাসাপাতালের তরুণী চিকিৎসকের এমন পরিণতি তিনি মেনে নিতে পারছেন না। তাঁকেও নানা সময়ে সোশাল মিডিয়ায় ট্রোল হতে হয়ে। এটাও তো এক ধরনের নির্যাতন। “মেয়েরা যদি মেয়েদের পাশে না দাঁড়ায়, তাহলে কে দাঁড়াবে আর! আমরা ভালভাবে বাঁচব কি করে?” বলেন অভিনেত্রী।