CATEGORY entertain:

Card image cap

এবার সাবস্ক্রিপশন প্ল্যানের দাম বাড়াল নেটফ্লিক্স

ওটিটি স্ট্রিমিংয়ের ক্ষেত্রে বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম নেটফ্লিক্স। মনোরঞ্জনের জন্য প্রচুর ইউজার চেয়ে থাকেন এই প্ল্যাটফর্মের দিকেই। তবে সম্প্রতি অ্যাড-ফ্রি স্ট্রিমিং প্ল্যানের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে এই অ্যাপ। যার ফলে চিন্তা বেড়েছে ইউজারদের। নেটফ্লিক্স জানিয়েছে, এটি তাদের বিজনেস স্ট্র্যাটেজি প্ল্যানের অংশ।


বেশ কিছু দেশে অ্যাড-ফ্রি প্ল্যানও বন্ধ করে দিয়েছে এই সংস্থা। স্ট্রিমিং প্ল্যানগুলির মধ্যে অ্যাড-ফ্রি প্ল্যান বেশ জনপ্রিয়। কারণ এতে কোনও বিজ্ঞাপন ছাড়াই নির্বিঘ্নে সিনেমা ও ওয়েব-সিরিজ উপভোগ করা যায়। তবে এই অভিজ্ঞতা পাওয়ার জন্য এবার অতিরিক্ত গ্যাটের কড়ি খরচ করতে হবে ইউজারদের।


2023 সালে সস্তায় অ্যাড-ফ্রি প্ল্যান লঞ্চ করে নেটফ্লিক্স। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ব্রিটেনে নেটফ্লিক্স অ্যাড-ফ্রি সাবস্ক্রিপশন প্ল্যানের খরচ প্রতি মাসে 11.99 ডলার (ভারতীয় মুদ্রায় 1000 টাকা)। যা বাড়িয়ে করা হয়েছে 15.49 ডলার (ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় 1,300 টাকা)। বিজ্ঞাপন ছাড়া নেটফ্লিক্স উপভোগ করতে চাইলে এই টাকা খরচ করতে হবে ইউজারদের।


এই পদক্ষেপ বহু ইউজারদের চিন্তা বাড়াতে পারে। কারণ অনেকেই কম দামি অ্যাড-ফ্রি স্ট্রিমিং প্ল্যানের উপর ভরসা করতেন। নেটফ্লিক্সের দাম বাড়ানোর পরই সোশ্যাল মিডিয়া ইউজারদের পক্ষ থেকে নানা প্রতিক্রিয়া শোনা গিয়েছে।


এই মুহূর্তে অ্যাড-সহ নেটফ্লিক্সের স্ট্যান্ডার্ড সাবস্ক্রিপশনের খরচ প্রতি মাসে 6.99 ডলার (ভারতীয় মুদ্রায় 583 টাকা)। সংস্থার বিজ্ঞাপন হেড রেইনহার্ড জানিয়েছেন, বিশ্বব্যাপী 4 কোটি ইউজার নেটফ্লিক্সের এই প্ল্যানটি ব্যবহার করেন। যা ইঙ্গিত করে অ্যাড-সহ ওটিটি কন্টেন্ট দেখায় কোনও আপত্তি নেই ইউজারদের।


অ্যাড-ফ্রি প্ল্যানের দাম বাড়লেও, অ্যাড-সাপোর্টেড প্ল্যানের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। যাঁরা আগামী দিনে সাবস্ক্রিপশন রিনিউ করার কথা ভাবছেন, তাঁদের নতুন খরচ সম্পর্কে অবগত থাকা উচিত।


ভারতে নেটফ্লিক্স প্ল্যানের দাম


ভারতে প্রতি মাসে নেটফ্লিক্সের চার রকম সাবস্ক্রিপশন প্ল্যান রয়েছে, এগুলি হল -


মোবাইল সাবস্ক্রিপশন : 480p ভিডিয়ো কোয়ালিটি পাওয়া যাবে। শুধু স্মার্টফোন ও ট্যাবই দেখা যাবে, কেবল একটি ডিভাইস সাপোর্ট করবে। এই প্ল্যানের দাম 149 টাকা


বেসিক সাবস্ক্রিপশন : এতে 720p ভিডিয়ো কোয়ালিটি পাবেন। টিভি, কম্পিউটার, স্মার্টফোন এবং ট্যাবে সাপোর্ট করবে। কেবল একটি ডিভাইসেই ডাউনলোড করা যাবে। খরচ 199 টাকা


স্ট্যান্ডার্ড সাবস্ক্রিপশন : এতে 1080p ভিডিয়ো কোয়ালিটি রয়েছে। টিভি, কম্পিউটার, স্মার্টফোন এবং ট্যাবে সাপোর্ট করবে। দুটি ডিভাইসে ডাউনলোড করা যাবে। খরচ 499 টাকা।


প্রিমিয়াম সাবস্ক্রিপশন : 4K+HDR ভিডিয়ো কোয়ালিটি মিলবে। টিভি, কম্পিউটার, স্মার্টফোন এবং ট্যাব সবেতে সাপোর্ট করবে। 6টি ডিভাইসে ডাউনলোড করা যাবে। খরচ 649 টাকা।

Card image cap

তৃপ্তির সঙ্গে শার্টহীন ছবি ভাগ ভিকির, ক্যাটরিনার জন্য কষ্টে ভক্তেরা

ভিকি কৌশল বর্তমানে তাঁর পরবর্তী ছবি 'ব্যাড নিউজ'-এর মুক্তির জন্য প্রস্তুত। যে ছবিটি প্রযোজনার দায়িত্বে করণ জোহর এবং তৃপ্তি দিমরি৷ ট্রেলারটি দেখেই সকলে বেশ প্রশংসা করছেন। কারণ, ভিকি এবং অ্যামি দু’জনেই তৃপ্তির সন্তানের পিতা। 'তবা-তবা' ছবির ট্রেলার ও গান সোশ্যাল মিডিয়ায় তোলপাড় করছে। ভিকি তৃপ্তির আরও একটি নতুন গান প্রকাশ পেতে চলেছে। ৯ জুলাই একটি নতুন গান 'জানম' আসবে। এই নতুন গানে, তৃপ্তিকে ভিকির সঙ্গে অন্তরঙ্গ মুহূর্ত কাটাতেও দেখা গিয়েছে। তৃপ্তিকে নীল বিকিনিতে চোখধাঁধানো দেখাচ্ছে বলা চলে।


ভিকি কৌশল এই ছবিটি পোস্ট করার সঙ্গে সঙ্গে নেটিজেনরা ক্যাটরিনার নাম নিয়ে তাঁকে নানা মন্তব্য করেছেন। একজন বলেছেন, 'আমি হলে এটা কিছুতেই সহ্য করতাম না ক্যাটরিনা বোন। তুমি প্রতিাদ করো প্লিজ।' কেউ আবার মন্তব্য করেছেন, 'ক্যাটরিনাকে একটু তো ভয় পান ভাই।' কেউবা লিখেছেন, 'ভাই, আপনার স্ত্রী কি আপনাকে মারধর করে না? এগুলো করো কী করে?' এক ভক্ত বলেছেন, 'ক্যাটরিনা- তুমি যেমন আছ, আমি চাইব তুমি তেমনটাই থাক।'


আনন্দ তিওয়ারি পরিচালিত, ব্যাড নিউজ হল একটি রম-কম ছবি। যেখানে নতুন তিনজন প্রতিভা রয়েছে। ভিকি কৌশল, তৃপ্তি দিমরি এবং অ্যামি ভির্ক৷ ট্রেলারে তৃপ্তি দিমরিকে যে চরিত্রে দেখানো হয়েছে, তা সকলে সেভাবে ভাবতেও পারবে না বলে মত বিশেষজ্ঞদের। দর্শকদের কৌতূহল যেমন বাড়িয়ে তুলেছে, তেমনই সিনেমার প্লট সম্পর্কেও কৌতূহল সৃষ্টি করেছে।


সম্প্রতি, ভিকি আসন্ন চলচ্চিত্র সম্পর্কে কথা বলেছিলেন। তিনি বলেন, ‘আমার জন্য, এই সিনেমাটির শ্যুটিং বাড়ির মতো ছিল। কারণ, আনন্দ তিওয়ারি এবং করণ জোহর, যাদের সঙ্গে আমি কাজ করেছি, তারা স্ক্রিপ্টটি খুব ভালো তৈরি করেছিল। আমি সিনেমাটির একেবারে অন্যরকম ধারণা তৈরি করেছি। এবং একজন অভিনেতা হিসেবে কমেডি ধারার ঘরানার একেবারে অন্যরকম বিষয় এটি।’


Card image cap

সলমন আর ‘সিঙ্গল’ নন!

সলমনের জীবনে প্রেম যে আসেনি, তেমনটা নয়! একবার তো বিয়ের আমন্ত্রণপত্র ছাপাও হয়েগিয়েছিল। শেষমুহূর্তে ভেস্তে যায় সব! তার পরও একাধিক নায়িকার সঙ্গে নাম জড়িয়েছে। কখনও সৌমি আলি, কখনও বা ঐশ্বর্য রাই আবার পরে ক্যাটরিনা কাইফের সঙ্গেও তাঁর প্রেমের খবরে মশগুল হয়েছে বিটাউন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত খান পরিবারের বউমা হওয়ার সাহস আর কেউ দেখাননি! নেপথ্যে শোনা যায়, ভাইজানের বদমেজাজই দায়ী। বহুবার বিয়ের প্রস্তাব এলেও ফিরিয়েছেন। তবে আটান্নতে পৌঁছে হয়তো থিতু হলেন সলমন খান। তিনি যে ‘সিঙ্গল’ নন, শুক্রবার রাতে অনন্ত-রাধিকার সঙ্গীতের অনুষ্ঠানেই তার প্রমাণ পাওয়া গেল।
কার হাত ধরে নীতা মুকেশ আম্বানি কালচারাল সেন্টারে পৌঁছলেন ভাইজান? তাঁকে দেখা গেল ইউলিয়া ভান্তুরের সঙ্গে। দীর্ঘ কয়েক বছর থেকেই রোমানিয়ান এই মডেল-অভিনেত্রীর সঙ্গে সলমনের প্রেমের সম্পর্কের গুঞ্জন। একবার তো এও রটে যায়, নিজের জন্মদিনেই ইউলিয়াকে বিয়ে করছেন সলমন। যদিও সেই ঘটনা সত্যিই ঘটেনি। তবে বারবার রোমান সুন্দরীর সঙ্গে ফ্রেমে ধরা দিয়েছেন বলিউড সুপারস্টার। মাঝখানে শোনা গিয়েছিল, সলমন-ইউলিয়ার সম্পর্কে নাকি ভাঙন ধরেছে! যদিও বন্ধুত্ব বজায় রেখেছেন তাঁরা। তবে এরপরও ভাইজানের পারিবারিক অনুষ্ঠানে ইউলিয়ার উজ্জ্বল উপস্থিতি লক্ষ করা গিয়েছে।অনন্ত-রাধিকার সঙ্গীতের অনুষ্ঠানেও দিব্যি দীর্ঘদিনের প্রেমিকার সঙ্গে নাচতে দেখা গেল সলমনকে। নেপথ্যে বাজছে, তাঁরই ছবির ব্লকবাস্টার গান ‘ও ও জানে জানা’। ডান্সফ্লোরে ইউলিয়ার সঙ্গে সিগনেচার স্টেপে নেচে বাজিমাত করলেন বলিউড সুপারস্টার। সেই ক্যামেরাবন্দি মুহূর্ত নেটপাড়ায় ফাঁস হওয়ার পর দাবানল গতিতে ছড়িয়ে পড়েছে। আর সেটা দেখেই প্রশ্ন উঠেছে, তাহলে কি আবারও সিঙ্গল লাইফ ঘুচেছে সলমনের? ফিরে এসেছে তাঁর পুরনো প্রেমিকা? যদিও সেসব উত্তর অধরাই। কিন্তু আপাতত সলমন-ইউলিয়ার নাচের ভিডিওতে মজে নেটপাড়া।

Card image cap

শাহরুখ খান পুরস্কৃত হবেন সুইৎজ়ারল্যান্ডে

লোকার্নো ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে প্রথম ভারতীয় অভিনেতার পদার্পণ। শাহরুখ খান। আগামী ১০ অগস্ট এই ফেস্টিভ্যালে পিয়াজ়া গ্রান্দে বিভাগে অভিনয়জীবনে কৃতিত্বের জন্য পুরস্কারে (পার্দো আলা ক্যারিয়েরা) ভূষিত হবেন শাহরুখ খান। একশোটিরও বেশি ছবিতে নানা ধরনের চরিত্রে অভিনয় করার জন্য মনোনীত হয়েছেন বলিউড বাদশা। পুরস্কার গ্রহণের পরে উপস্থিত দর্শকের সঙ্গে আলোচনায় অংশ নেবেন শাহরুখ। তার পরে শাহরুখ অভিনীত বিখ্যাত ছবি ‘দেবদাস’ প্রদর্শন করা হবে। সঞ্জয় লীলা ভন্সালী পরিচালিত ছবিটি ২০০২ সালে মুক্তি পায়, শাহরুখের বিপরীতে ঐশ্বর্যা রাই বচ্চন ও মাধুরী দীক্ষিত অভিনয় করেছিলেন।লোকার্নো ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের শৈল্পিক পরিচালক জিওনা এ নাজ়ারো বলেন, “লোকার্নোতে শাহরুখের মতো জীবন্ত কিংবদন্তির উপস্থিত হওয়া আমাদের কাছে স্বপ্ন সত্যি হওয়ার মতো। ভারতীয় সিনেমায় তাঁর অবদান অনস্বীকার্য। যাঁদের জন্য শাহরুখ খেতাব পেয়েছেন, অর্থাৎ দর্শকের সঙ্গে কখনওই যোগাযোগ হারাননি অভিনেতা।” তিনি আরও বলেছেন, “প্রকৃতপক্ষেই শাহরুখ একজন সাহসী অভিনেতা। তাঁর ছবি থেকে দর্শক যা আশা করেন তার প্রতি সব সময় সৎ থেকেছেন অভিনেতা। তিনি ‘জনগণের নায়ক’, অথচ মাটির কাছাকাছি। আমাদের সময়ের কিংবদন্তি তিনি।”

Card image cap

কল্কি'র শুটিংয়ে অন্তঃসত্ত্বা দীপিকাকে নিয়ে দুশ্চিন্তাগ্রস্থ থাকতেন রণবীর

 'কল্কি ২৮৯৮ এডি' ছবিতে গর্ভবতী অবস্থায় দেখা গিয়েছে দীপিকা পাডুকোন অভিনীত চরিত্র 'সুমতি'কে। তবে জানেন কি ছবির শুটিং চলাকালীনই বাস্তবে অন্ত্বঃসত্ত্বা হয়েছিলেন তিনি! সদ্য সেই কথা ফাঁস করেছেন 'কল্কি'র 'কম্যান্ডার মানস' অর্থাৎ অভিনেতা শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়।


শাশ্বতর কথা থেকেই জানা যায়, গর্ভবতী অবস্থায় দীপিকার শুটিং করা নিয়ে খানিক চিন্তিতও ছিলেন তাঁর স্বামী তথা বলি-অভিনেতা রণবীর সিং। শুটিং সেটে স্ত্রীয়ের সঙ্গে হাজির থাকতেন তিনি। সেই সময় তাঁকে নিশ্চিন্ত করেন এই বাঙালি অভিনেতা। এ প্রসঙ্গে 'বব বিশ্বাস' বলেন, "ছবির ক্লাইম্যাক্সের শুটিং মুম্বইতে করা হয়েছিল। কারণ দীপিকা ততদিনে গর্ভবতী। আর ওই দৃশ্যে দীপিকাকে মাটিতে ফেলে, চুল টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যাওয়ার অভিনয় করতে হবে আমাকে। সেটে দাঁড়িয়ে থাকা রণবীরের কাছে গিয়ে আশ্বাস দিয়েছিলাম। জানিয়েছিলাম, দুঃশ্চিন্তা করতে না কারণ এই দৃশ্যায়নের বেশিরভাগ অংশটুকুই সারা হবে দীপিকার বডি-ডাবলের সঙ্গে। মিষ্টি হেসে রণবীরের জবাব ছিল, 'হ্যাঁ দাদা। আমি জানি।' ওই রকম চিন্তাগ্রস্থ অবস্থাতেও রণবীরের নম্র স্বভাব মুগ্ধ করেছিল।"


প্রসঙ্গত, 'কল্কি'তে অমিতাভ বচ্চন,কমল হাসন, প্রভাসের মতো তাবড় অভিনেতাদের পাশে সমালোচকদের নজর কেড়েছেন শাশ্বত। একইসঙ্গে দর্শকমহলেও শাশ্বত অভিনীত এই খলনায়ক চরিত্রটি নিয়ে যথেষ্ট চর্চা চলছে।

Card image cap

সোনুর কাণ্ড দেখে নিজের চোখকে বিশ্বাস করতে পারছেন না অনেকে

তিনিসোনু সুদ। বলিউড তথা দক্ষিণী ছবিতে সকলের নজর কেড়েছেন তিনি। মূলত তিনি খলনায়ক। পর্দায় দাপটের সঙ্গে যিনি এই চরিত্রকে ফুটিয়ে তুলে থাকেন, বাস্তাবের মাটিতে সেই সোনু সুদই ভগবান। পর্দার শয়তান আজ বহু মানুষের ঘরে ঘরে পূজিত হন। ২০২০, সোনু সুদের জীবনের গ্রাফটা এক পলকে পাল্টে যায়। একটা সময় মানুষ বিপদে পড়লে ভগবানকে না ডেকে সোনু সুদের দরজায় কড়া নাড়তেন।


কারণ তাঁকে ডাকলে যে সত্যি পাওয়া যায় ততদিনে তা প্রমাণ হয়ে গিয়েছে। করোনা, অতিমারী, যা গোটা বিশ্বকে ঘরবন্দি করে তুলেছিল, হাজার হাজার মানুষ পথেই ছিলেন আটকে, পরিবারের কাছে পৌঁছতে পারছিলেন না, সাহায্যের হাত বাড়াতে চেয়েও অনেকেই পৌঁছতে পারছিলেন না সাধারণ মানুষের কাছে, সেই সকল পরিযায়ী শ্রমিক, সাধারণের পাশে ঠিক তখনই ভগবানের মতো দাঁড়িয়েছিলেন সোনু।


না, কেবল রাস্তায় আটকে থাকা মানুষকে বাড়ি ফেরানোই নয়, কারও জন্য ওষুধের ব্যবস্থা করা, কারও জন্য অক্সিজেনের ব্যবস্থা করা, কেউ আবার চাকরি হারিয়ে পথে বসেছেন, তাঁদের পাশে দাঁড়িয়েছেন তিনি। কিনে দিয়েছেন সেলাই মেশিন, মানুষের রুজি রুটির ব্যবস্থা করেছেন। না, এক কিংবা দুইদিন নয়, দিনের পর দিন এভাবেই সকলের পাশে থেকেছেন তিনি। আর তবে থেকেই পাল্টে গিয়েছেন তাঁর সংজ্ঞা। হয়ে উঠেছেন রিয়েল হিরো।


করোনা চলে গেলেও, মানুষ স্বাভাবিক জীবনে ফিরে এলেও তাঁর সাহায্য বন্ধ হয়নি। আজও তাঁকে ডাকলেই পাওয়া যায়। এবার তিনি পৌঁছে গেলেন মুম্বইয়ের এক মহিলার স্পাইস হোলেটে। রাস্তার ধারে ঝুপড়ি, সেখানেই হাজির সোনু। সেখানে আমিষ নিরামিষ দুই খাবারই পাওয়া যায়। সেই ভাতের হোলেটে খেলেও সোনু। ৮০ টাকায় নিরামিষ ভাত, আর ১২০ টাকায় আমিষ ভাত পাওয়া যায়। সোনু সুদ নিরামিষ খাবার খান। তাই বললেন, তিনি ৮০ টাকার ক্রেতা। হাসতে হাসতে মহিলা জানালেন তাঁর জন্য খাবার বিনামূল্যে। ভিডিয়ো ভাইরাল হতেই আবারও নেটদুনিয়ায় সাধু-সাধু।

Card image cap

পা ফুলে ঢোল সায়ন্তিকার! আচমকাই কী হল বিধায়ক-নায়িকার?

লোকসভা ভোটের ফল ঘোষণার সঙ্গেই বরানগর উপনির্বাচনের। তৃণমূলের টিকিটে জিতে বিধায়ক হয়েছেন সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়। টলিউডের থেকেও বর্তমানে রাজনৈতিক লাইমলাইটে বেশি থাকেন তিনি। তবে রাজভবনের সঙ্গে শপথগ্রহণ প্রক্রিয়া নিয়ে দ্বন্দ্বের কারণেই দীর্ঘ এক মাস কেটে গেলেও শপথ নেওয়া হয়নি সায়ন্তিকার। এর মাঝেই বৃহস্পতিবার সোশাল মিডিয়ায় ফোলা পায়ের ছবি শেয়ার করেছেন তিনি। যা দেখে অনুরাগীরাও উদ্বিগ্ন!আচমকাই কী হল সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়ের? প্রশ্ন অনুরাগীদের। এই ছবি আসলে তাঁর ভোটপ্রচার পর্বের স্মৃতিচারণ। দীর্ঘ দু মাস ধরে বরানগরে আদা-জল খেয়ে প্রচারের ময়দানে পড়েছিলেন সায়ন্তিকা। গত ৪ জুন তার ফল পেয়েছেন। নিষ্ঠা এবং কঠোর পরিশ্রমই যে তাঁর কাছে জয় এনে দিয়েছে, সেকথাই জয়ের মাসপূর্তির দিনে মনে করিয়ে দিলেন তৃণমূলের তারকা বিধায়ক। তাঁর শেয়ার করা ছবিতে দেখা গেল বীভৎসভাবে পায়ের পাতা ফুলে গিয়েছে। ভোটপ্রচারের সময় যে হাড় ভাঙা খাটুনি তিনি খেটেছিলেন, এটা তারই জেরে ঘটেছে। কষ্ট করলেই যে কেষ্ট মেলে, ছবি দিয়ে সেই বার্তাই দিলেন সায়ন্তিকা। তাঁর কথায়, “প্রচুর হেঁটে হেঁটে পা ফুলে গিয়েছিল। কষ্ট করেছি বলেই কেষ্ট মিলেছে। অনেকেই ভাবেন অভিনেত্রী বলে মানুষের কাজ করতে অপারগ। কিন্তু বরানগরের মেয়ে হয়ে উঠতে লড়াই করতে হয়েছে আমাকেও।”

Card image cap

'কল্কি ২৮৯৮ এডি' ছবিতে অশ্বত্থামা লুকে চমক অমিতাভের

বক্স অফিসে ঝড় তুলছে নাগ আশ্বিনের 'কল্কি ২৮৯৮ এডি' ছবি। ইতিমধ্য়েই বক্স অফিসে ছশো কোটি পার করেছে এই ছবিটি। তবে বক্স অফিসের অঙ্কের বাইরেও, কল্কির আসল ম্যাজিক কিন্তু বিগবি। ৮১ বছর বয়সেও, অমিতাভ পর্দায় এসে এমন হইচই ফেলে দিয়েছেন, যে তাঁর কাছে এই প্রজন্মের প্রভাস একেবারে ফিকে। অশ্বত্থামা লুকে একেবারে তাক লাগিয়েছেন অমিতাভ। কিন্তু জানেন, এই মেকআপ নিতে অনেক কাঠখড় পোড়াতে হয়েছে অমিতাভকে। প্রায় ১০ ঘণ্টা এক টানা বসে থেকে এই মেকআপ সেরেছেন অমিতাভ।সম্প্রতি অমিতাভের অশ্বত্থামা লুকের ছবি শেয়ার করে মেকআপ আর্টিস্ট করণদীপ সিং লিখলেন, ''কল্কির পুরো টিমকে শুভেচ্ছা। বক্স অফিসে যেভাবে ঝড় তুলেছে এই ছবি। তা দেখে বোঝা যাচ্ছে, কল্কি গোটা বিশ্বে রেকর্ড করবে। আর রেকর্ডের নেপথ্যে রয়েছে অমিতাভের অশ্বত্থামা লুক। অনেক ঘণ্টা ধরে এই মেকআপ চলেছে। এত বড়মাপের স্টার হয়েও, এতক্ষণ ধরে বসে মেকআপ করেছেন তিনি, তা অনুপ্রেরণা জোগায়।''ইতিমধ্যেই নাগ অশ্বিনের নতুন ছবি ‘কল্কি ২৮৯৮ এডি’ হইচই ফেলে দিয়েছে গোটা দেশে। অমিতাভ বচ্চন, প্রভাস, দীপিকা পাড়ুকোন অভিনীত এই ছবিতে আলাদা করে নজর কেড়েছেন টলিউডের জনপ্রিয় অভিনেতা শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়। ২৭ জুন রিলিজের প্রথম দিন বিভিন্ন ভাষায় 2D এবং 3D ভার্সনে আয়ের নিরিখে ২০০ কোটির দুয়ারে দাঁড়িয়েছিল এই ছবি। যাকে বলে বাম্পার ওপেনিং। মাত্র চার দিনেই ‘কল্কি’ ছুঁয়ে ফেলে পাঁচশো কোটির মাইলস্টোন। শেষ হিসেবে পাওয়া পর্যন্ত ছবির আয় প্রায় ছশো কোটি। এবার হাজার কোটির মাইলস্টোন ছোঁয়ার অপেক্ষা।

Card image cap

ভারতীয়রা সারা জীবনের পড়াশোনার চেয়ে বিয়েতে দ্বিগুণ টাকা ওড়ায়

বিয়ে মানেই এলাহি কাণ্ড। বিশেষ করে ভারতীয়দের বিয়েতে অনেক দিন আগে থেকেই শুরু হয়ে যায় তোড়জোর। বর-কনের সাজসজ্জা থেকে অতিথি আপ্যায়ন, বিয়ের আয়োজনের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে যা জড়িত তা হল খরচ।


সাধ্যের মধ্যে সকলেই কম-বেশি ধুমধাম করে বিয়ের আয়োজনের চেষ্টা করেন। কিন্তু জানেন কি ভারতীয়রা বিয়েতে যে পরিমাণ টাকা খরচ করেন তা তাঁদের সারা জীবনের শিক্ষার খরচের প্রায় দ্বিগুণ! খানিকটা অবাক লাগলেও সম্প্রতি একটি রিপোর্টে এমনই তথ্য উঠে এসেছে।


গ্লোবাল ইনভেস্টমেন্ট ফার্ম জেফারিজও এ বিষয়ে একটি সমীক্ষা চালিয়েছে। সেই সমীক্ষারই রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারতে বিয়েকে কেন্দ্র করে ১৩০ বিলিয়ন ডলার অর্থাৎ ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ১০ লক্ষ কোটি টাকার বাজার রয়েছে, যা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিয়ের বাজারের প্রায় দ্বিগুণ। 


রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, এক একটি বিয়েতে ভারতীয়রা গড়ে প্রায় সাড়ে ১২ লক্ষ টাকা খরচ করেন। যা ওই দম্পতির প্রাক-বিদ্যালয় থেকে স্নাতক স্তরের শিক্ষার খরচের প্রায় দ্বিগুণ। অর্থাৎ ভারতীয় যুগলেরা প্রাক-প্রাথমিক থেকে স্নাতক পর্যন্ত পড়াশোনা শেষ করতে যত টাকা খরচ করেন তার চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ টাকা শুধু বিয়ের সময়ই খরচ করেন তাঁরা। শুধু তাই নয়, ভারতে মাথাপিছু আয় আড়াই লক্ষ টাকা। অর্থাৎ এক একটি বিয়েতে খরচ করা হয় মাথাপিছু আয়ের পাঁচগুণ।


যদিও ভারতে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে অত্যাধিক জাঁকজমক করে বিয়ে করেন ধনীরাই। আর বিলাসবহুল বিবাহগুলির গড় খরচ থাকে ২০ লক্ষ থেকে ৩০ লক্ষ টাকা। এর মধ্যে রয়েছে বিয়ের বিলাসবহুল বিয়েবাড়ি, একাধিক অনুষ্ঠান, অতিথিদের থাকার বিলাসবহুল জায়গা, ক্যাটারিং, বিয়েবাড়ির ডেকরেশন, বিনোদনের খরচ। তবে বিয়ের গয়না, পোশাক ও যাতায়াত ভাড়া নিয়ে কিন্তু খরচের পরিমাণ আরও বেশি।

সমীক্ষায় এও ধরা পড়েছে, বিয়ের মোট খরচের ২০ শতাংশ ক্যাটারিংয়ে ও ১৫ শতাংশ বিভিন্ন অনুষ্ঠান আয়োজনে খরচ হয়। ভারতে যে পরিমাণ গয়না বিক্রি হয় তার অর্ধেকেরও বেশি কনের গয়না। পোশাকের ক্ষেত্রে ১০ শতাংশেরও বেশি খরচ হয় বিয়ের জন্য।

Card image cap

কবে আসছে 'পদাতিক'?

মুক্তির আগেই সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের ‘পদাতিক’ সিনেমার ঝুলিতে বিশেষ সম্মান। নিউ ইয়র্ক চলচ্চিত্র উৎসবে এই ছবি জিতে নিয়েছে সেরার সম্মান। সৃজিতের হাতে উঠে এসেছে সেরা স্ক্রিনপ্লের পুরস্কার। ট্রেলারও দেখেও আপ্লুত সিনেপ্রেমিরা। তবে অধীর আগ্রহে সবাই বসে ছিল এই ছবির মুক্তির তারিখ জানার জন্য। অবশেষে অপেক্ষার অবসান। প্রকাশ্যে এল 'পদাতিক' ছবির মুক্তির তারিখ। আগামী ১৫ আগস্ট মুক্তি চলেছে সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের তৈরি মৃণাল সেনের বায়োপিক 'পদাতিক'। এই ছবিতে মৃণাল সেনের চরিত্রে দেখা যাবে চঞ্চল চৌধুরীকে।এই ছবি প্রসঙ্গে অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরীর জানিয়ে ছিলেন , ''মৃণাল সেনের চরিত্রে অভিনয় করাটা একটা দুঃসাহসিক ব্যাপার। এই চরিত্রে অভিনয় করার জন্য সাহস থাকতে হয়। সেই সাহসটি আমার আছে কিনা এবং সেই সঙ্গে যোগ্যতা, আমার আছে কিনা সেটা বলার আগে, একজন তৃতীয় ব্যক্তি হয়ে বিষয়টা চিন্তা করলে আমার তো অবিশ্বাস্য লাগছে। তবুও দুঃসাহস নিয়ে, কাজের প্রতি একটা লোভ, স্বপ্ন থাকার কারণে এই কাজটি করা। তার উপর সৃজিত মুখোপাধ্য়ায়ের সঙ্গে কাজ করা। ওর যতগুলো কাজ দেখেছি। তা দেখে সৃজিতের সঙ্গে কাজ করার ইচ্ছা ছিল।”

চঞ্চলের কথায়, ''মৃণাল সেন চলচ্চিত্র জগতের একজন দিকপাল। শ্রেষ্ঠতম একজন পরিচালকের চরিত্রে অভিনয় করা মানে একটা ইতিহাসের অংশ হয়ে থাকা। ভাল-মন্দ এটা পরের বিষয়।''

চঞ্চল চৌধুরী আরও জানান, ''সৃজিতের সঙ্গে আরও আগে কাজ করার কথা ছিল। কোভিড পিরিয়াডে একটা কাজ নিয়ে কথাও এগিয়ে ছিল। সৃজিতের ওয়েব সিরিজ রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনও খেতে আসেননিতে আমার কাজ করার কথা ছিল। কিন্তু করোনাকালে ছবিটির শুটিং বাংলাদেশে না হওয়ায়, তা আর হল না। তবে শেষমেশ পদাতিক ছবির হাত ধরে সৃজিতের সঙ্গে কাজ করা সম্ভব হল।”

চঞ্চল আরও জানালেন, ''কলকাতার দর্শকরা আমার কাজ দেখতে চাইছেন। কলকাতার মানুষ আমাকে ভালবাসেন। সেখানকার কলাকুশলী, শিল্পীরা চাইছেন আমি কলকাতায় কাজ করি। এটা আমার জন্য খুবই সৌভাগ্যের ব্যাপার। সেটা সৃজিতের হাত ধরেই শুরু হচ্ছে। আশা করি ব্যাপারটা খুবই চমৎকার হবে। ”

Card image cap

রোগা টিঙটিঙে.'! শাহরুখ খানকে দেখে নাক সিঁটকে আর কী বলেন জুহি?

কেকেআর-এর সহ-মালিক শাহরুখ খান ও জুহি চাওলার জুটি একসময় বেশ জনপ্রিয় ছিল বলিউডে। রাজু বন গ্যয়া জেন্টলম্যান, ডর, ইয়েস বস, কাভি হা কাভি না, ভূতনাথের মতো একাধিক ছবিতে কাজ করেছেন দুজনে। তবে শুনলে অবাক হবেন, প্রথমদিকে বলিউডের হ্যান্ডসাম হাঙ্ক, রোম্যান্সের বাদশা কিং খানকে দেখেই নাক কুঁচকেছিলেন জুহি।

সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে জুহিকে বলতে শোনা গেল, কীভাবে প্রযোজক বিবেক বাসওয়ানি তাঁকে শাহরুখের ব্যাপারে বর্ণনা করেছিলেন। তখনও তিনি চিনতেন না সদ্য বলিউডে পা রাখা ছেলেটিকে। রাজু বন গ্যয়া জেন্টলম্যান ছিল তাঁদের প্রথম কাজ একত্রে। আর এই সময় বিবেক শাহরুখ খানের বর্ণনা দিতে গিয়ে তুলনা টানেন আমির খানের সঙ্গে। যার সঙ্গে কেয়ামত সে কেয়ামত তক-এ কাজ করে ফেলেছিলেন জুহি। 

জুহির কথায়, 'তখন আমি ইন্ডাস্ট্রিতে নতুন। রাজু বন গ্যয়া জেন্টলম্যানের কথা হচ্ছে। সেই সময় প্রযোজক বিবেক বাসওয়ানি তাঁকে বলেন, তাঁর হিরো খুব বিখ্যাত, কাজ করেছে ফৌজিতে। আর দেখতে অনেকটা আমির খানের মতো। আমিও মনে মনে সুন্দর দেখতে একটা ছেলে, চকোলেট বয় লুক ভেবে রেখেছিলাম ঠিক আমিরের মতো।'


'এরপর সেটা গিয়ে আমি তো অবাক। রোগা, টিঙটিঙে, খয়েরি রং, সাদা রঙের একটা শার্ট পরে আছে। মোটা ঠোঁট, মোটা নাক। আমার মনে হচ্ছিল, এটা কি হল, এটা তো আমার সঙ্গে ধোকা হল। আমি জিজ্ঞেস করেছিলাম, কোন অ্যাঙ্গেল থেকে আপনাদের একে আমির খানের মতো লাগছে!', আরও যোগ করেন জুহি। 


তবে জুহির মনে প্রথমদিকে একটু দ্বিধা তৈরি হলেও, পরে তিনি শাহরুখের সঙ্গে কাজ করার সিদ্ধান্ত নেন। মজা করে অভিনেত্রী এই প্রসঙ্গে বলেছিলেন, 'দেখো ওকেও স্টার বানিয়ে দিলাম আমি'। 


যদিও বর্তমানে শাহরুখ আর জুহি-র সম্পর্ক সহকর্মীর থেকেও বেশি। শুধু যে তাঁরা কেকেআর-এর বিজনেস পার্টনার তাই নয়, বছরখানেক আগে যখন মাদক মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছিল, তখন আরিয়ানকে ছাড়িয়ে আনতে ১ লাখের বন্ড জমা দিয়েছিলেন জুহি-ই।

Card image cap

হেনস্তার শিকার অভিনেত্রী-কাউন্সিলর শ্রীতমা

দুষ্কৃতীদের তাণ্ডবের শিকার অভিনেত্রী তথা কাউন্সিলর শ্রীতমা ভট্টাচার্য । চূড়ান্ত হেনস্তার মুখে পড়তে হয়েছে তাঁকে। এমনই অভিযোগ। বিষয়টি নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্র।শোনা যাচ্ছে, রবিবার সন্ধ্যায় এই ঘটনা ঘটেছে আগরপাড়া মিলন সমিতি ক্লাবের সামনে। অভিযোগ, এলাকার একাধিক দুষ্কৃতী শ্রীতমা ও তাঁর সঙ্গীদের উপর চড়াও হয়। অকথ্য ভাষায় কথা বলা হয়। বিষয়টি ধাক্কাধাক্কির পর্যায়ে চলে যায়। শ্রীতমা নিজে পায়ে চোট পান বলে অভিযোগ। কামারহাটি পুরসভার ২৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শ্রীতমা। এমন ঘটনার পর চুপ করে থাকেননি তিনি। বেলঘরিয়া থানায় গিয়ে অভিযোগ জানিয়েছেন বলে খবর।শোনা গিয়েছে, এলাকায় বেশ কয়েকদিন ধরে অসামাজিক কার্যকলাপ ও সরকারি জমি বেদখলের অভিযোগ রয়েছে। কাউন্সিলর হিসেবে তারই সুরাহা করতে গিয়েছিলেন শ্রীতমা। তাতেই এই কাণ্ড। এবিষয়ে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে তারকা কাউন্সিলর বলেন, “অনেক সময় আমরা দেখতে পাচ্ছি অনেক পুকুর ভরাট হয়ে যাচ্ছে। এই পুকুর ভরাট হতে হতে সেটা একটা জমিতে পরিণত হচ্ছে। সেই জমিটাই হয়তো বেআইনিভাবে দখল হয়ে যাচ্ছে বা বিক্রি হয়ে যাচ্ছে। একজন প্রতিনিধি হিসেবে এগুলোর হিসেব রাখা আমার কাজ।”এর পরই আবার শ্রীতমা বলেন, “এলাকার যে মাঠ রয়েছে সেখানে প্রতিদিন রাতে যে কাজগুলো হয় সেটা একটা সুস্থ সমাজে হওয়া উচিত নয়। পুলিশ বহুবার গিয়েছে। আমার শোনা কথা, পুলিশকেও নাকি হেনস্তা হতে হয়েছে। এটা কোনও ব্যক্তিগত জায়গা নয়। জনগণের, সরকারের জায়গা। সেটার চাবি আটকে রাখা এক্তিয়ারের বাইরে।”

এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্র বলেন, “খবরটা শুনেছি। অনেকে জানিয়েছে। কাউন্সিলারও জানিয়েছে। ২৮ ও ২৯ ওয়ার্ডে বিক্ষিপ্ত ঘটনা ঘটছে। আমরা সতর্কভাবে নজর রাখছি। যাতে এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি যাতে না হয় সেই চেষ্টা চলছে।” তাঁর কথায়, “একজন মহিলা কাউন্সিলার। তাঁকে যদি শারীরিকভাবে হেনস্তা করা হয় সেটা গর্হিত অপরাধ।”

Card image cap

উত্তমকুমারের কপাল পড়ে ভয়ঙ্কর ভবিষ্যদ্বাণী সাধুবাবার

উত্তমকুমারের জন্মকালেই ঘটেছিল এক অবিশ্বাস্য ঘটনা। এমন একটি ঘটনার কথা যদি না চট্টোপাধ্যায় পরিবারের থেকেই প্রকাশ হত, তাহলে বোধ বিশ্বাস করা খুব কঠিনই হত। সেই অকথিত কাহিনীই টিভি নাইন বাংলা ডিজিটাল-কে জানালেন উত্তমের ভাইঝি তথা তরুণ কুমারের কন্যা মনামী বন্দ্যোপাধ্যায়।


জুলাই তাঁর মৃত্যু মাস। বড্ড তাড়াতাড়ি, মাত্র ৫৪ বছর বয়সে না-ফেরার দেশে চলে গিয়েছিলেন তিনি। খুবই অল্প সময়ে, কঠিন অধ্যাবসায়ে মানুষের মনে নির্বিকল্প আসনটি দখল করে নিয়েছিলেন অনায়াস মুগ্ধতার জালে। স্রেফ নায়কের ভাবমূর্তিতেই তিনি নিজেকে বেঁধে রাখেননি, বারে বারে চরিত্রাভিনেতা হিসাবেও প্রমাণ করার চেষ্টা করে গেছেন। তবে শেষ বিচারে তিনি বাঙালির একমেবদ্বিতীয়ম ম্যাটিনি আইডল। বাংলার অকৃত্রিম মহানায়ক। এবং এই পরিচয় তাঁকে দিয়েছেন বাংলার আপামর সাধারণ দর্শক। সমকালীন যুবদের কাছে তিনি ‘গুরু’। তাঁর রূপ, অননুকরণীয় চলন-বলন, ভুবন ভোলানো হাসি, অসামান্য অভিনয় দক্ষতা, দৈব সম্মোহনে আচ্ছন্ন করেছে বাঙালিকে। ঠিক যেন স্বর্গের সিঁড়ি থেকে নেমে আসা এক দেবদূত। তিনি যেন সকলের মধ্যে থেকেও কী ভীষণ অধরা! জানেন কি, মহানায়কের জন্মের সময় সত্যই এক দৈববাণী করেছিলেন এক সাধু। তাঁর ভবিষ্যদ্বাণী অবিশ্বাস্যরকম সত্য প্রমাণিত হয়েছিল। শরীরে শিহরণ জাগানো। সেই ঘটনার কথা টিভি নাইন বাংলা ডিজিটালকে বর্ণনা করেছেন মহানায়কের ভাইঝি তথা তাঁর ছোটভাই আর-এক প্রথিতযশা অভিনেতা তরুণকুমার চট্টোপাধ্যায়ের একমাত্র কন্যা মনামী বন্দ্যোপাধ্যায় (ডাকনাম ঝিমলি)।


বিশ্ব সাহিত্যে (মূলত মহাকাব্য) ওব়্যাকল কিংবা দৈববাণী পরিচিত বিষয়। মহাকাব্যের প্রেক্ষাপটে আবছায়া অবয়বের দৈববাণী মোড় ঘুরিয়ে দিয়ে থাকে গল্পের। বহু পাঠকের মনে হয়, এ তো বাস্তব নয়। এ কল্পনা। সত্য নয়। কিন্তু তেমনই একটি দৈববাণী সত্য হয়েছে বাস্তবে। বিশ্বাস না করতে চাইলেও, এটাই সত্য, মহানায়কের জন্মের সময়ও তেমনই এক দৈববাণী শুনিয়েছিলেন এক সাধু। মনামীদেবী বলেছেন, “জ্যাজানের (উত্তমকে ওই সম্বোধনই করতেন ভাইঝি) জন্মের পরই একটা ঘটনা আপনাদের সঙ্গে আমি শেয়ার করতে চাই আজ। এই মাসেই ওনার মৃত্যু ঘটেছিল। এই মাসটা এলে বারবারই আমার সেই কথাটা খুব মনে পড়ে। ২৪ জুলাই। হাসপাতাল থেকে খবরটা এল, জ্যাজান, অর্থাৎ উত্তমকুমার আর নেই। শুনেই আমার ঠাকুমা চপলা চট্টোপাধ্যায় জ্ঞান হারালেন। চেতনা ফিরতেই, তাঁর শরীর কাঁপছে…”



কথাগুলো বলতে-বলতে গলা ধরে আসে মনামীদেবীরও। উত্তমকুমারের মৃত্যুর ৪৪ বছর কেটে গিয়েছে। কিন্তু সেই অভিশপ্ত দিন তিনি আজও ভুলতে পারেন না। তারকা-সন্তান মনামী বলেন, “সেদিন ঠাকুমার মুখে শোনা, তখন আমার জ্যাজান উত্তমকুমার সবে জন্মেছেন। দোলনায় দুলছেন। ঠাকুমার বাবার এক বন্ধু সাধক হয়ে হিমালয়ে চলে গিয়েছিলেন। কোনও এক কারণে তিনি কলকাতায় ফিরে আসেন। ঠাকুমাকে ‘চোপু’ বলে ডাকতেন তিনি। সদ্যজাত অরুণকুমার (উত্তমকুমারের পিতৃদত্ত নাম সেটাই)কে দেখতে এসেছিলেন সেই সাধু। তারপর তিনি স্তম্ভিত হয়ে যান জ্যাজানের কপাল দেখে। দোলনায় দোল খাওয়া শিশু উত্তমের কপালের দিকে তাকিয়ে বলেছিলেন, ‘জগৎ জোড়া নাম হবে এই ছেলের, কিন্তু ওকে তুই ধরে রাখতে পারবি না’। জ্যাজানের মৃত্যুর পর ঠাকুমা কাঁদতে-কাঁদতে বলেছিলেন, ‘কাকাবাবু থাকলে আমি সাষ্টাঙ্গে প্রণাম করতাম। তীব্র যন্ত্রণায় নাড়ি ছিঁড়ে বাচ্চার জন্ম হয়। আমার সেই নাড়ি পাক খেয়ে গলা দিয়ে উঠছে…।'”

Card image cap

সোনাক্ষীর বিয়ে দিয়েই হাসপাতালে শত্রুঘ্ন, নেননি শপথও

সোনাক্ষী সিনহার বিয়ের পরই পরিবারে অঘটন! অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি শত্রুঘ্ন সিনহা। দিন দুয়েক আগেই অভিনেতার অসুস্থ হওয়ার খবর শোনা গিয়েছিল। যার জন্য কোকিলাবেন হাসপাতালে বাবাকে দেখতে ছুটে গিয়েছিলেন নবপরিণীতা সোনাক্ষী সিনহা এবং স্বামী জাহির ইকবাল। কিন্তু প্রবীণ অভিনেতার আচমকাই কী হল? সেই কৌতূহল তখন থেকেই।
প্রথমটায় জানা গিয়েছিল, রুটিন চেক-আপের জন্যই হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছে শত্রুঘ্নকে। তবে এবার ছেলে লাভ সিনহা বাবার অসুস্থতা নিয়ে মুখ খুললেন সংবাদমাধ্যমের কাছে। রবিবার সোনাক্ষী সিনহার বিয়ের পরদিনই সোমবার, ২৪ জুন অসুস্থ হয়ে পড়েন শত্রুঘ্ন। ঠিক কী হয়েছে বর্ষীয়াণ অভিনেতার? বাড়িতে নিজের প্রিয় সোফায় বসেছিলেন শত্রুঘ্ন। তখন আচমকাই সেখান থেকে পড়ে যান। সামনেই বসেছিলেন মেয়ে সোনাক্ষী। বাবাকে পড়ে যেতে দেখে তড়িঘড়ি ছুটে গিয়ে ধরে ফেলেন। নইলে আরও বড় রকমের বিপদ ঘটতে পারত সেদিন। সূত্রের খবর, পাঁজরে খানিক চোট পেয়েছেন শত্রুঘ্ন। সোনাক্ষীর কাকা পহেলাজ নিহালনিও এই খবর নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, “হ্যাঁ শত্রুঘ্ন হাসপাতালে ভর্তি, তবে এখন সুস্থ রয়েছে। সব ঠিক থাকলে আগামীকাল ছেড়ে দেওয়া হবে।” ছেলে লাভ সিনহাও সংবাদমাধ্যমের কাছে শত্রুঘ্নর অসুস্থতার খবরে সিলমোহর বসিয়ে জানিয়েছেন, “বিগত কয়েক দিন ধরেই ভাইরাল জ্বরে ভুগছিলেন বাবা। শরীর খুব দুর্বলও ছিল। তাই আমরা সকলে হাসপাতালে ভর্তি করার সিদ্ধান্ত নিই।” দুর্বল শরীরে মেয়ের বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়াতেই কি অসুস্থতা আরও বাড়ে? উঠছে প্রশ্ন।শুক্রবার বিকেলে জাহির-সোনাক্ষী কোকিলাবেন হাসপাতালে গিয়েছিলেন। নবদম্পতির হাসপাতালে প্রবেশ করার ভিডিও ক্যামেরাবন্দি করার সুযোগ হাতছাড়া করেননি পাপারাজ্জিরা। সেই ভাইরাল ভিডিও ঘিরেই জল্পনা শুরু হয়েছিল যে, ‘সোনাক্ষী সিনহা কি অন্তঃসত্ত্বা?’ আজ্ঞে না! আসল সত্যিটা হল, বাবাকে দেখতেই সেদিন কোকিলাবেন হাসপাতালে গিয়েছিলেন সোনাক্ষী। উল্লেখ্য, চব্বিশের লোকসভা ভোটে আসানসোল থেকে তৃণমূল টিকিটে বিপুল ভোটে জয়ী হয়ে সাংসদ হয়েছেন প্রবীণ অভিনেতা। সম্ভবত মেয়ের বিয়ের পর শারীরিক অসুস্থতার জন্যই সংসদে গিয়ে এখনও পর্যন্ত শপথ নিতে পারেননি শত্রুঘ্ন সিনহা।

Card image cap

টিম ইন্ডিয়ার জয়গান করতে গিয়ে কটাক্ষের মুখে নায়িকা

অবশেষে স্বপ্নপূরণ। দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে টি-২০ বিশ্বকাপের চ্যাম্পিয়ন ভারত। সারা দেশে শুভেচ্ছার বন্যা। টলিউড, বলিউডের একাধিক তারকা উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন। কিন্তু গোল বাঁধল আলিয়া ভাটের  পোস্টে। ভারতীয় টিমকে জয়ের শুভেচ্ছা জানিয়ে একাধিক ছবি পোস্ট করেন অভিনেত্রী। তাতেই নেটদুনিয়ার হাসির খোরাক হলেন তিনি।


কোন ভুল করে বসলেন বলিউডের ‘গাঙ্গুবাঈ’? না, বানান বা তথ্যগত ভুল তিনি এবারে করেননি। তবে ভারতীয় ক্রিকেট টিম বিশ্বজয় করেছে শনিবার রাতে। আর অভিনেত্রী “আমরা জিতে গেছি” বলে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন রবিবার সকালে। এতেই ব্যঙ্গ, বিদ্রুপ, কটাক্ষের পালা শুরু হয়ে গিয়েছে।


আলিয়ার পোস্টেরই কমেন্টবক্সে একজন লিখেছেন, “ভালো হয়েছে বলে দিলেন, আমরা তো জানতামই না। এত তাড়াতাড়ি কেন বললেন?” আরেকজন আবার আলিয়াকে প্রশ্ন করেন, “এতক্ষণ কোথায় ছিলেন?” কারও আবার দাবি আলিয়া ঘুমিয়ে পড়েছিলেন। উঠে যখন দেখলেন ভারত ম্যাচ জিতে গেছে। সঙ্গে সঙ্গে ছবি পোস্ট করে দিয়েছেন।

প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালে বলিউড ডেবিউর সময়ে আলিয়া ভাট, বরুণ ধাওয়ান ও সিদ্ধার্থ মালহোত্রা করণ জোহরের শোয়ে অতিথি হয়ে গিয়েছিলেন। শোয়ে রাষ্ট্রপতির নাম ভুল বলেছিলেন আলিয়া। তাতেই সারা দেশে শোরগোল পড়ে গিয়েছিল। যদিও সে সময় দক্ষভাবেই বিষয়টি সামাল দিয়েছিলেন অভিনেত্রী। নিজের ভুল নিয়ে রসিকতা করে নিজেই ভিডিও তৈরি করেছিলেন। এবারেও বিষয়টিকে হালকাভাবেই হয়তো নেবেন আলিয়া। এমনই আশা অনুরাগীদের।



Card image cap

উড়ো ফোনের জ্বালায় অতিষ্ঠ শ্রীলেখা

সেলেব্রিটিদের ফোন নম্বর ছড়ালে কীরকম বিভ্রান্তিকর পরিস্থিতি সম্মুখীন হতে হয়, তা বোধহয় আর আলাদা করে বলার অপেক্ষা রাখে না। সে বলিউড হোক বা টলিউড! এর আগে ‘দ্য কেরালা স্টোরি’ সিনেমা হিট করার পর আদা শর্মার ফোন নম্বর ছড়ানোয় উড়ো ফোনে জেরবার হতে হয়েছিল অভিনেত্রীকে। এবার টালিগঞ্জের স্টুডিওপাড়ায় একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি! শ্রীলেখা মিত্রর ফোন নম্বর ছড়ানোয় বিরক্তিকর পরিস্থিতির শিকার অভিনেত্রী।
সোশাল মিডিয়ায় নিজেই সেকথা জানিয়ছেন শ্রীলেখা। ঠিক কী ঘটেছে? অভিনেত্রীর কথায়, “অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিরা আমার নাম ব্যবহার করে ফোন নম্বর ছড়িয়ে দিচ্ছে। আর এই পুরো বিষয়টাই ঘটিয়ে টেলিগ্রামে। যার ফলে নিত্যদিন অন্তত দশটা পনেরোটা করে ভুয়ো ফোন আসছে। আর সকলেই দাবি করছে যে, তাদের নাকি আমার সঙ্গে কথা হয়েছে টেলিগ্রামে। কার পাকা ধানে মই দিলাম, ভাবছি…।” শুধু তাই নয়। ওই পোস্টের শেষেই শ্রীলেখা আরেকটি বিস্ফোরক প্রশ্ন রেখেছেন যে, “তুমি যে-ই হও না কেন, আমি কেন এখনও তোমাদের কাছে ভয়ের কারণ?”যদিও কীভাবে এই বিপত্তি ঘটেছে, তা এখনও জানা যায়নি। শ্রীলেখা নিজেও পোস্টের কমেন্ট সেকশন বন্ধ করে রেখেছেন। বরাবরই সোশাল মিডিয়ায় সক্রিয় অভিনেত্রী। স্পষ্ট কথা বলার জেরে একাধিকবার বিতর্কেও জড়িয়েছেন। তবে শ্রীলেখা নিজের রয়েছেন বিন্দাস! কাজের অবসরে সময় পেলেই ব্যগপত্তর গুছিয়ে বেরিয়ে পড়েন ঘুরতে। বাড়িতেও পোষ্যদের সঙ্গে সময় কাটান। পাশাপাশি পরিচালনাতেও হাত পাকাচ্ছেন অভিনেত্রী। টলিউডের পাশাপাশি এখন মুম্বইতেও কাজ করছেন তিনি। সম্প্রতি সুধীর মিশ্রর ওয়েব সিরিজেও অভিনয় করেছেন শ্রীলেখা মিত্র। তবে কলকাতা ছেড়ে সেখানে থিতু হতে চান না তিনি।

Card image cap

মঞ্চে হিজড়ে বলে কটাক্ষ পৌষালীকে, কী করেছিলেন তারপর

বাংলা থেকে দেশের বাইরে সবক্ষেত্রেই পৌষালী বন্দ্যোপাধ্যায়ের জনপ্রিয়তা এখন তুঙ্গে। তাঁর গলায় লোকগান শুনে বিভোর হন হাজার হাজার দর্শক। তবে লাখ লাখ দর্শকের ভালোবাসা যেমন পেয়েছেন, তেমন হেনস্থাও হতে হয়েছে তাঁকে। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে ভাগ করে নিলেন কীভাবে এক বয়ষ্ক ব্যক্তি তাঁকে হিজড়ে বলে সম্বোধন করেছিল, তাঁর গান শেষ হওয়ার পর।


শুধু তাই নয়, একবার তাঁর দিকে ভুট্টাও ছোঁড়া হয়েছিল ভরা মঞ্চে। 


বর্তমান সময়ে অসহিষ্ণুতা কতটা মারাত্মক আকার নিয়েছে, তা স্পষ্ট হয় পৌষালীর কথা থেকেই। যেখানে জনসম্মুখে, মঞ্চে থাকা শিল্পীকে কটাক্ষ করার সুযোগও ছাড়ে না কিছু মানুষ। তেমনই এক ঘটনা আনন্দবাজারকে জানান পৌষালী। তিনি বলেন, 'একটা জায়গায় গান গাইতে গিয়েছি। আমি রাই জাগো গানটা দিয়েই শুরু করি। গানটা শেষ হয়েছে, সবাই হরিবোল হরিবোল করে উঠেছে। সামনে বসা এখ বৃদ্ধলোক, ভদ্রলোক বলতে পারছি না, বলে উঠল হিজড়া কোথাকার। এই ২০২৪-এ দাঁড়িয়ে আমি, এই কথাটা খারাপভাবে কখনো নেই না। কারণ ওটা একটা সম্প্রদায়। ওর মনে হয়েছে এটা বললে আমার খারাপ লাগবে বা আমি প্রতিক্রিয়া দেব। কিন্তু আমি নেইনি। এটা তো আশীর্বাদসূচক কথা। কিন্তু সেটা ওকে কে বোঝাবে। ও তো অশিক্ষিত। সুরাপান করে অন্য জগতে ছিলেন। তাকে ভালোমন্দ বোঝানোর ক্ষমতা তখন কারও নেই।'



এখানেই শেষ নয়, একদিন আধখাওয়া ভুট্টাও ছুড়ে দেওয়া হয়েছিল পৌষালীর দিকে। কী না, এত আনন্দ পেয়েছিল সেই শ্রোতা গান শুনে, যে তেমনটা করেছিলেন তিনি। শাড়ি পরেই মঞ্চে ওঠেন পৌষালী। কখনও পারফর্ম করতে করতে একটু শাড়ির আঁচল সরে গেলেও, কঠাক্ষ শুনতে হয়েছে তাঁকে। ফেসবুক রে গিয়েছে নোংরা মন্তব্য। যাতে পৌষালীর মতামত, 'আগে ৬টা সেফটিপিন লাগাতাম শাড়িতে, এখন ভয়তে ১২টা লাগাই'। 


লোক সংগীত নিয়েই কাজ করেছেন পৌষালী প্রথম থেকেই। সেটা নিয়েই ভবিষ্যতে আরও এগনোর ইচ্ছে আছে বলে জানালেন তিনি। আরও বেশি করে মাটির কাছাকাছি থাকতে চান।

Card image cap

বিতর্কে জড়ালেন মাধুরী দীক্ষিত

জঙ্গি ঘনিষ্ঠ নিষিদ্ধ পাকিস্তানি ব্যবসায়ী আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে অতিথি শিল্পী হিসেবে যোগ দেওয়ার কথা মাধুরী দীক্ষিতের। প্রোমোটার ব্যবসায়ে যুক্ত রেহান সিদ্দিকির আইএসআই যোগ থাকায় ভারতে নিষিদ্ধ তিনি। আর সেই ব্যক্তির সঙ্গেই কাজের সূত্রে জোট বেঁধে বিতর্কে জড়ালেন বলিউডের ‘ধক ধক গার্ল’।
নিষিদ্ধ রেহান বর্তমানে থাকেন হিউস্টনে। সেখানেই এক বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছেন তিনি। চলতি বছরের আগস্টে মাসেই টেক্সাসের হিউস্টন শহরে সেই অনুষ্ঠান রয়েছে। যেখানে যোগ দেওয়ার কথা মাধুরীর। রাজনৈতিক ভাষ্যকার তথা কলামনিস্ট সুনন্দা বশিষ্ঠ সেই খবর শেয়ার করে তীব্র নিন্দা করেছেন। অনুষ্ঠানের পোস্টার পোস্ট করে তিনি লিখেছেন, “দেখে হতবাক হচ্ছি যে পাকিস্তানী প্রোমোটার, ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা যার টিকি খুঁজছে, যে ভারতে নিষিদ্ধ, হিউস্টনের ব্যাবসায়ী যেখানে ব্ল্যাকলিস্টেড। এমনকী বলিউড সেলেবদেরও তার সঙ্গে কাজ করা নিষিদ্ধ ঘোষণা হয়েছে, সেখানে মাধুরী ওই ব্যক্তির সঙ্গে কেন কাজ করছেন? অভিনেত্রী নিজে কিংবা তাঁর পরিবারের কি কেউ এই বিষয়ে আলোকপাত করতে পারবেন? আশা করি তিনি ওই অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন না।”একবাক্যে সকলেই তাঁকে ভারতে নিষিদ্ধ জঙ্গিঘনিষ্ঠ রেহান সিদ্দিকির ওই অনুষ্ঠান বয়কট করার আর্জি জানিয়েছেন। যদিও অভিনেত্রী এই বিষয়ে এখনও কোনওরকম প্রতিক্রিয়া দেননি। সম্প্রতি মাধুরী দীক্ষিত কলকাতায় পা রেখেছিলেন এক ব্র্যান্ড প্রোমোশনের জন্য।