CATEGORY games:

Card image cap

সোনা অবনী লেখারার, ব্রোঞ্জ পেলেন মোনা

অলিম্পিকে অধরা সোনার সাধ পূরণ করলেন প্যারা অ্যাথলিটরা। প্যারালিম্পিক শুটিংয়ের শুরুতেই সোনা ফলালেন অবনী লেখারা। ১০ মিটার এয়ার রাইফেলের SH1 ইভেন্টে সোনা জিতলেন অবনী। ওই একই ইভেন্টে ব্রোঞ্জ পেলেন ভারতের মোনা আগরওয়াল। এদিকে ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ড থেকেও এদিন পদক এসেছে ভারতের ঝুলিতে। T35 বিভাগের ১০০ মিটার স্প্রিন্টে ব্রোঞ্জ জিতলেন ভারতের প্রীতি পাল। ফাইনালে তিনি দৌড় শেষ করলেন মাত্র ১৪.২১ সেকেন্ডে। এটা তাঁর ব্যক্তিগত রেকর্ডও বটে।  টোকিও প্যারালিম্পিকে SH1 ক্যাটাগরিতে ১০ মিটার এয়ার রাইফেলে সোনা জিতেছিলেন অবনী। তার পর ৫০ মিটার থ্রি পজিশন রাইফেলে ব্রোঞ্জ জেতেন তিনি। ভারতের প্রথম মহিলা অ্যাথলিট হিসেবে একটি প্যারালিম্পিকে জোড়া পদকজয়ের রেকর্ড গড়েছিলেন অবনী। প্যারিসেও সোনা জিতবেন অবনী, প্রত্যাশা ছিল দেশের ক্রীড়া মহলের। সেই প্রত্যাশায় লেটার মার্কসের সঙ্গে উতরে গেলেন তিনি।১০ মিটার এয়ার রাইফেলসের SH1 ইভেন্টের ফাইনালে টানটান লড়াইয়ে কোরিয়ার প্রতিদ্বন্দ্বীকে হারালেন অবনী। একেবারে শেষ শট পর্যন্ত টানটান লড়াই চলে দুই প্রতিদ্বন্দ্বীর মধ্যে। শেষ শটের আগেও পিছিয়ে ছিলেন তিনি। কিন্তু শেষ বেলায় দুর্দান্ত শটে সোনা জয় নিশ্চিত করলেন ভারতের তারকা শুটার। ফাইনালে অবনীর স্কোর ২৪৯.৭। কোরিয়ার ওয়াই লি ২৪৬.৮ পয়েন্ট নিয়ে রূপো পেলেন। ভারতেরই মোনা আগরওয়াল ২২৮.৭ পয়েন্ট নিয়ে ব্রোঞ্জ পেলেন। ফলে একই ইভেন্টে জোড়া পদক এল ভারতের দখলে।
দিন কয়েক আগে এই প্যারিসেই অলিম্পিক থেকে জোড়া পদক এনেছেন ভারতের মনু ভাকের। অলিম্পিক থেকে সোনা না এলেও সবচেয়ে বেশি পদক এসেছিল শুটিং থেকেই। প্যারালিম্পিকেও শুটিং থেকে প্রত্যাশা বেশি ভারতের। অবনী এবং মোনার দৌলতে শুরুটাই দুর্দান্ত হল টিম ইন্ডিয়ার।

Card image cap

শুভমানকে যাচ্ছেতাই ভাষায় অপমান বিরাটের!

ভারতীয় ক্রিকেটের কিংবদন্তি বিরাট কোহলি। বিশ্বকাপ জয়ের পর টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট থেকে রোহিত শর্মার সঙ্গে অবসর নিয়েছেন বিরাটও। ভবিষ্যতে তাঁর উচ্চতায় উঠবেন কোন তরুণ তুর্কি? অনেকেই তালিকার শুরুতে রাখছেন শুভমান গিলকে। কিন্তু গিলকে নিয়ে একটি ভিডিও আচমকাই ভাইরাল সোশাল মিডিয়ায়। যেখানে বিরাটের গলায় গিলের প্রশংসা নয়, শোনা যাচ্ছে ‘দুর্নাম’! যা দেখে নেটিজেনদের বক্তব্য, এআই ক্রমশ বিপজ্জনক হয়ে উঠছে।সেখানে ঠিক কী রয়েছে সেই ভিডিওয়? বিরাটের গলায় শোনা যাচ্ছে, “অস্ট্রেলিয়া সফর থেকে ফিরে আসার পর আমি বুঝতে পারি, সফল হওয়ার জন্য কী করতে হয়। যখন আমি গিলকে দেখি তখন বুঝি প্রতিভাবান হিসেবে সফল হওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া আর কিংবদন্তি হওয়ার তফাৎ কোথায়? গিলের টেকনিক খুবই ভালো। কিন্তু আমাদের মতো হতে পারবে না। ও কোনও দিন বিরাট কোহলি হতে পারবে না। একটা জিনিস পরিষ্কার করে দিতে চাই। বিরাট কোহলি একজনই হয়।”এখানেই থামেনি সেই ভিডিও। বিরাটের গলায় আরও শোনা যায়, “আমি কঠিন পরিস্থিতিতে বিশ্বের সেরা বোলারদের মুখোমুখি হয়েছি। এক যুগ ধরে সেখানে সাফল্য পেয়েছি। মাত্র কয়েকটা ভালো ইনিংস খেললেই সেখানে যাওয়া যায় না। আমি যদি কোনওদিন ভুল সিদ্ধান্ত নিই, তাহলে বাইরে বসে সারাদিন অন্যের জন্য হাততালি দিতে রাজি। ভারতীয় ক্রিকেটে একজনই ভগবান। আর তার পরই আমি। গিলকে সেই জায়গায় যাওয়ার জন্য অনেক পথ যেতে হবে।”স্বাভাবিকভাবেই এই ভিডিও দেখে চমকে উঠেছেন ক্রিকেটভক্তরা। কারণ, কখনই অন্য ক্রিকেটারকে প্রকাশ্যে এভাবে সমালোচনা করেননি বিরাট। শুভমান গিলের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক বেশ ভালো। তাছাড়া সমর্থকরা তাঁকে ‘কিং’ বললেও, বিরাটের কাছে ক্রিকেটের ‘ভগবান’ শচীন। তার পরই ভক্তদের বক্তব্য, এই ভিডিওয় বিরাটের কথা এআই দিয়ে বানানো। সেটা নিয়েই চাঞ্চল্য পড়ে যায় নেটদুনিয়ায়।

Card image cap

রেকর্ড গড়ার লক্ষ্য নিয়ে প্যারিসে ভারত

প্যারিস অলিম্পিকে ভারতের পদক-ঝুলি প্রত্যাশা মতো পূর্ণ হয়নি। নীরজ চোপড়া সোনা জিততে পারেননি। ভিনেশ ফোগাটও ফিরেছেন খালি হাতে। মনু ভাকের, আমন শেরাওয়াত বা হকি দলের পারফরম্যান্স মানরক্ষা করলেও মন ভরাতে পারেনি।এবার সেই শহরেই নামতে চলেছেন আরও ৮৪ জন ভারতীয় খেলোয়াড়। এঁদের কারও একটা হাত নেই। কারও আবার দু’টো হাতই নেই! কেউ পা হারিয়েছেন দুর্ঘটনায়। কারও আবার ছোটবেলা থেকেই সঙ্গী হয়েছে ‘পোলিও’। তবে এঁরাও মনে প্রাণে অ‌্যাথলিট এক-এক জন। যাঁদের পোশাকি নাম-প‌্যারা অ‌্যাথলিট। যাঁরা মানসিক কাঠিন্যে নীরজ বা মনুদের থেকে বিন্দুমাত্র কম যান না। সেই মানসিক কাঠিন্যের প্রমাণ দিতেই প্যারিস প্যারা অলিম্পিকে নামছেন সুমিত আন্টিল-কৃষ্ণ নাগর-অবনী লেখারা-রা। সব মিলিয়ে, প‌্যারা অলিম্পিকে ৮৪ জন প্রতিনিধি থাকছে ভারতের। যার উদ্বোধনী অনুষ্ঠান আজ বুধবার।অলিম্পিকে পদকের বিচারে ভারত সবচেয়ে বেশি সাফল্য এসেছে টোকিওয়। প্যারা অলিম্পিকের ক্ষেত্রেও তাই। সবমিলিয়ে ১৯ পদক জিতেছিলেন মনোজ সরকার, ভাবিনা প্যাটেলরা। যার মধ্যে ছিল ৫ সোনা, ৮ রুপো এবং ৬ ব্রোঞ্জ। প্যারিসে নিজেদের কীর্তি ছাপিয়ে যেতে পারেননি পি আর শ্রীজেশ, নীরজরা। কিন্তু সুমিত-প্রমোদরা যে পদকের বিচারে অতীতকে পিছনে ফেলবেন, নিশ্চিত জাতীয় প্যারা অলিম্পিক কমিটির সভাপতি দেবেন্দ্র ঝাঝারিয়া। প্যারা অলিম্পিকে জোড়া সোনার মালিক এই জ্যাভলিন থ্রোয়ার প্যারিস দাঁড়িয়ে বলেছেন, “আশা করছি এবার আমাদের ফল আরও ভালো হবে।’’

Card image cap

ডুরান্ড ফাইনালে মোহনবাগান

ম্যাচের ৬৮ মিনিট পর্যন্ত ২-০ গোলে পিছিয়ে। সেখান থেকে মাত্র ১৯ মিনিটের মধ্যে দুরন্ত কামব্যাক। ডুরান্ডের সেমিফাইনালে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই মোহনবাগানের। সমতা ফেরানোর পরে ম্যাচ গড়াল পেনাল্টি শুট আউটে। টানটান উত্তেজনার ম্যাচে শেষ হাসি হাসল মোহনবাগান। কোয়ার্টার ফাইনালের মতো ফের সবুজ-মেরুন শিবিরের ত্রাতা হয়ে উঠলেন বিশাল কাইথ। পরপর দুটি শট বাঁচিয়ে দলকে তুললেন ডুরান্ডের ফাইনালে।ম্যাচের আগের দিন সবুজ-মেরুন কোচ মোলিনা জানিয়েছিলেন, দিমিত্রি পেত্রাতোস বা জেসন কামিংস পুরো ৯০ মিনিট খেলার মতো অবস্থায় নেই। কিন্তু বেঙ্গালুরু এফসির মতো শক্তিশালী প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে দুই অস্ত্রকেই শুরু থেকে নামান মোলিনা। ম্যাচের প্রথম মিনিটেই এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ ছিল বেঙ্গালুরুর কাছে। তার পর থেকে বেশ কয়েকটি সুযোগ এসেছিল মোহনবাগানের কাছেও। ২৭ মিনিটে চোট পেয়ে মাঠ ছাড়েন মোহনবাগান অধিনায়ক শুভাশিস বসু। ম্যাচের প্রথম গোল এল পেনাল্টি থেকে। লিস্টন কোলাসোর ফাউলে পেনাল্টি বক্সে পড়ে যান ভিনিথ। সেই পেনাল্টি থেকে গোল করতে ভুল করেননি সুনীল ছেত্রী। এক গোলে এগিয়ে থেকে হাফটাইমে যায় বেঙ্গালুরু। বিরতির পরে দুরন্ত গোল করে দলকে আরও এগিয়ে দেন ভিনিথ। ২-০ এগিয়ে থেকে ফাইনালের টিকিট কার্যত নিশ্চিত করে ফেলেছিল বেঙ্গালুরু। ৬৮ মিনিট পরে এটাই ছিল ম্যাচের স্কোর।তার পর থেকেই পালটাতে থাকে ম্যাচের রং। ৬৮ মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল শোধ করেন দিমি। ৮৪ মিনিটে দূরপাল্লার শটে গোল করে সমতা ফেরালেন অনিরুদ্ধ থাপা। নির্ধারিত সময়ের পরে পেনাল্টি শুট আউটে প্রথম চারটি শটে গোল করেন সবুজ-মেরুন ফুটবলাররা। প্রথম তিন শটে পরাস্ত হন পালতোলা নৌকার শেষ প্রহরী বিশালও। তবে বেঙ্গালুরু হয়ে চতুর্থ পেনাল্টি নিতে আসা নার্জারির শট বাঁচিয়ে দেন। ম্যাচের উত্তেজনা বাড়িয়ে দলের পঞ্চম শট মিস করেন গ্রেগ স্টুয়ার্ট। শেষ মুহূর্তে ইভানোভিচের শট বাঁচিয়ে দলকে ফাইনালে তুললেন বিশাল। 

Card image cap

আবার আরজি কর-কাণ্ডের বিচারের দাবি মোহনবাগান ভক্তদের

আরজি কর-কাণ্ডের বিচারের দাবিতে টিফো দেখা গেল যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে। মঙ্গলবার ডুরান্ড কাপের সেমিফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল মোহনবাগান এবং বেঙ্গালুরু এফসি। কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশ মেনে ম্যাচের শেষে টিফো প্রদর্শন করেন মোহনবাগান সমর্থকেরা।


আদালতের নির্দেশ মেনে মোহনবাগান-বেঙ্গালুরু সেমিফাইনাল শেষ হওয়ার পর সবুজ-মেরুন সমর্থকেরা গ্যালারিতে টিফো প্রদর্শন করেন।


তাতে লেখা ছিল, 'হাতে হাত রেখে এ লড়াই, আমাদের বোনের বিচার চাই!' এ দিনের টিফোতেও দেখা গিয়েছে কলকাতার দুই প্রধানের সমর্থকদের মধ্যে তৈরি হওয়া সম্প্রীতির ছবি। খেলায় ব্যবহার করা হয়েছে সবুজ-মেরুন এবং লাল-হলুদ রং। দু'দিকে দু'টি মেয়ের ছবিতেও ছিল দুই প্রধানের জার্সির রং।


আইনশৃঙ্খলা বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কায় গত ১৮ অগস্ট যুবভারতীতে ডুরান্ড কাপের ডার্বি আয়োজনের অনুমতি দেয়নি বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেট। ডার্বি বাতিলের প্রতিবাদ এবং আরজি কর-কাণ্ডের বিচারের দাবিতে পথে নেমেছিলেন কলকাতার তিন প্রধান ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগান এবং মহমেডানের সদস্য-সমর্থকেরা। পরে ডুরান্ডের ম্যাচ আয়োজনের অনুমতি দেওয়া হলেও অশান্তির আশঙ্কায় মঙ্গলবার সেমিফাইনালে টিফো নিষিদ্ধ করেছিল বিধাননগর পুলিশ।


সোমবার বিধাননগর কমিশনারেটের তরফে নির্দেশিকা জারি করা হয়েছিল, মঙ্গলবার যুবভারতীতে কোনও টিফো (ব্যানার, পোস্টার) নিয়ে প্রবেশ নিষিদ্ধ। পুলিশের সেই নির্দেশিকা চ্যালেঞ্জ করে মঙ্গলবার কলকাতা হাই কোর্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছিল। হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন ময়ূখ বিশ্বাস। বিচারপতি হরিশ টন্ডন এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ রায় দিয়ে জানায়, টিফো নিয়ে মাঠে ঢোকা যাবে। কিন্তু সেই টিফো ভারী কোনও বস্তু দিয়ে তৈরি করা যাবে না। আরও বলা হয়, শুধু খেলা শুরুর আগে বা বিরতির সময় টিফো দেখানো যাবে। যাতে কোনও দর্শকের খেলা দেখতে অসুবিধা না হয়। সেই মতো খেলা শেষ হওয়ার পর টিফো প্রদর্শন করেন সবুজ-মেরুন সমর্থকেরা।

Card image cap

মোহনবাগান ম্যাচে ঘিরে তৎপর পুলিশ

রাত পোহালেই মহারণ। ডুরান্ডের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে মুখোমুখি হবে মোহনবাগান ও বেঙ্গালুরু এফসি। যুবভারতীতে সেই ম্যাচ নিয়ে সবুজ-মেরুন সমর্থকদের মধ্যে উন্মাদনা তুঙ্গে। কিন্তু সেখানে টিফো নিয়ে প্রবেশ নিষেধ। সেই সঙ্গে স্মোক ক্যান্ডেলস ও কিংবা অন্যান্য দাহ্যপদার্থ নিয়ে ঢোকে যাবে না। পুলিশের তরফ থেকে সেই বিষয়ে বিবৃতি দেওয়া হয়েছে।তাদের তরফ থেকে মোহনবাগান ও বেঙ্গালুরু দুটি দলকেই সেই বিষয়ে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। ডুরান্ড কমিটিকেও সেটা জানানো হয়েছে। সমর্থকদেরও এই জিনিসগুলো না আনার ব্যাপারে সচেতন করা হয়েছে। ২৭ নভেম্বর সন্ধ্যা সাড়ে পাঁচটায় মুখোমুখি হবে দুই দল। কোয়ার্টার ফাইনালের রুদ্ধশ্বাস লড়াইয়ে পাঞ্জাব এফসিকে হারিয়ে সেমির যোগ্যতা অর্জন করেছে মোহনবাগান। অন্য কোয়ার্টার ফাইনালে বেঙ্গালুরু শেষ মুহূর্তের গোলে হারিয়েছিল কেরালা ব্লাস্টার্সকে। ডুরান্ডের গ্রুপ পর্বে যুবভারতীতে ডার্বি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তা বাতিল হয়ে যায়। ঘরের মাঠে সেমিফাইনালে বেঙ্গালুরুর সঙ্গে মোকাবিলা নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই উন্মাদনা সবুজ-মেরুন ভক্তদের মধ্যে। গতবারের ডুরান্ড চ্যাম্পিয়ন মোহনবাগান। ফাইনালে তারা হারিয়েছিল ইস্টবেঙ্গলকে। যদিও এবার ডুরান্ডে লাল-হলুদের সঙ্গে ম্যাচ হওয়ার আর কোনো সম্ভাবনা নেই। শিলং লাজংয়ের কাছে হেরে কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে বিদায় নিয়েছে তারা।কিন্তু মোহনবাগানের কাছে ফের ডুরান্ডজয়ের সুযোগ। টিফো থাকুক বা না থাকুক, সমর্থকরা যে উজ্জীবিত থাকবেন সেই কথাই বলাই বাহুল্য। ফাইনালও যুবভারতীতে। সেই লড়াইয়ে নামতে হলে বেঙ্গালুরুর সঙ্গে মহড়া জিততেই হবে মোলিনার দলকে।

Card image cap

কেকেআরের অধিনায়ক হওয়ার পথে সূর্যকুমার

আগামী মরশুমের আইপিএলের নিলামের দিনক্ষণ এখনও প্রকাশ্যে আসেনি। ক্রিকেটারদের রিটেনশন কীভাবে হবে, তাই নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে। তার মধ্যেই সরগরম দলবদলের বাজার। সূত্রের খবর, পরের আইপিএলে কেকেআর অধিনায়ক হিসেবে দেখা যেতে পারে সূর্যকুমার যাদবকে। যা নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে উঠেছে ক্রিকেটমহলে।গত মরশুমে আইপিএলে একেবারেই ভালো খেলতে পারেনি মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। লিগ তালিকায় সবার শেষে ছিল পাঁচবারের আইপিএল জয়ী দল। মরশুমের শুরু থেকেই অধিনায়ক বিতর্কে জেরবার ছিল মুম্বই। রোহিত শর্মাকে সরিয়ে হার্দিক পাণ্ডিয়াকে নেতা করায় মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের অনেকেই অসন্তুষ্ট ছিল বলে জানা গিয়েছিল। রোহিতের জায়গায় সূর্যকুমার যাদব, জশপ্রীত বুমরাহ নেতৃত্ব পাওয়া উচিত ছিল বলে মনে করেছিলেন অনেকে।এমনকী শোনা গিয়েছিল, সামনের আইপিএলে দলে থাকতে চান না অনেক তারকাই। এবার সেই তালিকায় নাম উঠে এল সূর্যকুমার যাদবের। রিপোর্টে দাবি করা হচ্ছে সূর্যকে নাকি কেকেআরের তরফে অধিনায়কত্বের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। তবে কোনও পক্ষই এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানাননি বলেই দাবি। তার পরই সোশাল মিডিয়ায় ঝড় ওঠে এই নতুন জল্পনা নিয়ে। উল্লেখ্য এর আগে ২০১৪-১৭ মরশুমে কেকেআরে খেলে গিয়েছেন সূর্য। সম্প্রতি তিনি জাতীয় দলের টি-টোয়েন্টি অধিনায়কও হয়েছেন।গত মরশুমে আইপিএল চ্যাম্পিয়ন হয়েছে কেকেআর। মেন্টর গৌতম গম্ভীরের অধীনে ও শ্রেয়স আইয়ারের নেতৃত্ব দুরন্ত ক্রিকেট উপহার দিয়েছিল শাহরুখ খানের দল। যদিও তার পরই গম্ভীর জাতীয় দলের কোচ হয়েছেন। শ্রীলঙ্কা সফরে টি-টোয়েন্টিতে একসঙ্গে কাজও করেছেন গম্ভীর ও সূর্যকুমার। আবার ওয়ানডে দলে ফিরে এসেছেন শ্রেয়স। কিন্তু রিপোর্ট অনুযায়ী, অধিনায়কের পদে সূর্যকুমারকে ভাবা হচ্ছে। সেক্ষেত্রে শ্রেয়সের ভূমিকা কী হবে, সেই প্রশ্নও তুলছেন অনেকে। যদিও পুরো বিষয়টিই রয়েছে জল্পনার স্তরে। শেষ পর্যন্ত কী দাঁড়ায়, সেটা সময়ই বলবে।

Card image cap

ক্রিকেট থেকে অবসর ঘোষণা শিখর ধাওয়ানের

এক যুগের কেরিয়ারে ইতি। ক্রিকেট থেকে অবসর ঘোষণা করলেন ভারতীয় দলের ‘গব্বর’ শিখর ধাওয়ান। শনিবাসরীয় সকালে সোশাল মিডিয়ায় এক আবেগঘন বার্তায় ক্রিকেট ছাড়ার কথা জানান ধাওয়ান।২০১৩ সালে অভিষেক করা ধাওয়ান দেশের হয়ে ১৬৭টি ওয়ানডে, ৩৪টি টেস্ট এবং ৬৮টি টি-২০ খেলেছেন। ওয়ানডেতে প্রায় ৪৪ গড়ে ৬৭৯৩ রান করেছেন ধাওয়ান। একদিনের ক্রিকেটে ১৭টি সেঞ্চুরি এবং ৩৯টি অর্ধশত রানের মালিক তিনি। টেস্টে ৪০.৬১ গড়ে গব্বরের সংগ্রহ ২৩১৫ রান। টি-২০ ক্রিকেটে ১৭৫৯ রান করেছেন ধাওয়ান।কয়েক বছর আগেও জাতীয় দলের নিয়মিত সদস্য ছিলেন ধাওয়ান। রোহিত শর্মার সঙ্গে জুটি বেঁধে দেশকে বহু ম্যাচ জিতিয়েছেন। ২০১৩ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জয়ী দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ছিলেন তিনি। একার দমে ম্যাচ জেতানোর ক্ষমতা ছিল শিখরের। তবে শুভমান গিল, যশস্বী জয়সওয়ালদের আগমনের পর নিজের জায়গা খুইয়েছেন ‘গব্বর’। ২০২২ সালে শেষবার জাতীয় দলের জার্সিতে খেলেছেন তিনি। সেই শেষবার। মেন ইন ব্লুর জার্সিতে আর দেখা যাবে না গব্বরকে। ঘরোয়া ক্রিকেট থেকেও অবসর নিয়েছেন তিনি। গত আইপিএলে পাঞ্জাব কিংসের হয়ে খেললেও ফিটনেসের সমস্যা ভুগিয়েছে গব্বরকে।শনিবার সকালে সোশাল মিডিয়া পোস্টে ধাওয়ান বললেন, “আমার একটাই স্বপ্ন ছিল, দেশের হয়ে খেলা। সেই স্বপ্নপূরণের জন্য, সমর্থকদের আনন্দ দেওয়ার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য বিসিসিআই, ডিডিসিএকে ধন্যবাদ জানাতে চাই।” গব্বর বলছিলেন, “আজ যখন নিজের সঙ্গে কথা বলি, তখন ভাবি আর জাতীয় দলের হয়ে খেলব না, সেটার জন্য দুঃখ পাব না। বরং এটা ভেবে আনন্দ পাব যে আমি দেশের হয়ে এতগুলো ম্যাচ খেলেছি।”

Card image cap

ডুরান্ডের সেমিফাইনালে মোহনবাগান

ডুরান্ডের সেমিফাইনালে উঠে গেল মোহনবাগান। নির্ধারিত সময়ের ম্যাচ শেষ হয় ৩-৩ গোলে। শেষ পর্যন্ত টাইব্রেকারে গড়ায় ম্যাচ। সেখানেই বাজিমাত সবুজ-মেরুনের। বিশাল কাইথের হাতে থেমে গেল পাঞ্জাব এফসির দৌড়। টাইব্রেকারে ম্যাচ জিতে ডুরান্ডের সেমিফাইনালে উঠে গেল মোহনবাগান। এদিন জামশেদপুরে যে প্রথম একাদশ নামিয়েছিল মোহনবাগান, সেখানে অধিকাংশ তারকাই উপস্থিত ছিলেন না। রিজার্ভ বেঞ্চে ছিলেন শুভাশিস, কামিন্স, পেত্রাতোসরা। স্ট্রাইকার হিসেবে ছিলেন সুহেল ও স্টুয়ার্ট। প্রথমার্ধের খেলা দানা বেঁধে ওঠার আগেই আক্রমণ শানান পাঞ্জাবের বিনীত রাই। বক্সের মধ্যে তাঁকে আলবার্তো ট্যাকেল করলে পেনাল্টি দেন রেফারি। সেখান থেকে জোরালো শটে গোল করে যান পাঞ্জাব অধিনায়ক লুকা মাইচেন। গোল খাওয়ার পর যদিও কিছুটা ছন্দে ফেরার চেষ্টা করে মোলিনার দল। বল পজিশনেও এগিয়ে যায় তারা। কিন্তু সমতা ফেরানোর গোলের জন্য অপেক্ষা করতে হল ৪৪ মিনিট পর্যন্ত। স্টূয়ার্টের শট সুহেলের পায়ে রিফ্লেক্ট হয়ে পাঞ্জাবের জালে জড়িয়ে যায়। তবে প্রথমার্ধে বিশাল কাইথ নিশ্চিত গোল না বাঁচালে বিপদ আরও বাড়ত মোহনবাগানের জন্য।দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই শুভাশিস, মনবীর ও কামিন্সকে নামিয়ে দলকে শক্তিশালী করার চেষ্টা করেন মোলিনা। ঠিক তিন মিনিটের মাথাতেই সবুজ-মেরুনকে এগিয়ে দেন মনবীর। গোলপোস্টের ঠিক কোণায় বল জড়িয়ে দিয়ে চেনা সেলিব্রেশনে মেতে ওঠেন। কিন্তু সেই আনন্দ বেশিক্ষণ রইল না। ৬৩ মিনিটে পাঞ্জাবের হয়ে সমতা ফেরান ফিলিপ। অথচ বক্সের দিকে তিনি যখন বল নিয়ে তীব্র গতিতে ঢুকছিলেন, তখন তাঁকে কোনও বাগান ডিফেন্ডার বাধাই দিলেন না। তাঁর শক্তিশালী শট কাইথকে টপকে গোলে জড়িয়ে যায়। ৭১ মিনিটে ফের আঘাত ভিদালের। এবার আশিস রাইয়ের সামনে থেকে ফের জোরালো শট। বিশাল কাইথ হাতের নাগাল পেয়েও যা আটকাতে পারেননি। অবস্থা বেগতিক বুঝতে পেরে তার খানিক আগেই পেত্রাতোসকে নামাতে বাধ্য হন মোলিনা। ৭৯ মিনিটে সমতা ফেরায় মোহনবাগান। মনবীরের থেকে বল পেয়ে গোল করে যান কামিন্স।ছয় গোলের মহাথ্রিলারের পরও নাটক বাকি ছিল। ডুরান্ডে অতিরিক্ত সময়ের বদলে ম্যাচ গড়ায় সরাসরি টাইব্রেকারে। সেখানে নায়ক হয়ে উঠলেন বিশাল কাইথ। পাঞ্জাবের ইভান ও ধনচন্দ্রের শট আটকে মোহনবাগানকে সেমিফাইনালে তুললেন তিনি। প্রথমে মোহনবাগানের হয়ে শুট আউট মিস করেন কামিন্স। তার পর একের পর এক গোল। ম্যাচ যখন প্রায় পাঞ্জাবের হাতের মুঠোয় বলেই ধরা নেওয়া হচ্ছিল, তখনই জ্বলে উঠলেন বিশাল। মোহনবাগানের হয়ে গোল করেন মনবীর, লিস্টন, দিমিত্রি, গ্রেগ স্টুয়ার্ট, শুভাশিস ও অলড্রেড। কিন্তু শেষ পর্যন্ত নায়কই। তাঁর বিশাল-হাতে ভর করে ডুরান্ডের সেমিফাইনালে উঠে গেল গতবারের চ্যাম্পিয়নরা।

Card image cap

প্রথমবার লর্ডসে মহিলাদের টেস্ট

ঐতিহাসিক লর্ডস স্টেডিয়ামে ফের তৈরি হতে চলেছে নতুন ইতিহাস। সেখানে প্রথমবারের জন্য অনুষ্ঠিত হতে চলেছে মহিলাদের টেস্ট ম্যাচ। ২০২৬-র এই ম্যাচে মুখোমুখি হবে ভারত ও ইংল্যান্ডের মহিলা দল। বৃহস্পতিবার আনূষ্ঠানিকভাবে সেই বার্তা জানিয়ে দিল ইংল্যান্ড ও ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড।ইতিমধ্যেই ভারতের পুরুষদের ইংল্যান্ড সফরের সূচি ঘোষিত হয়েছে। পাঁচ ম্যাচের টেস্ট সিরিজের একটি ম্যাচ হবে লর্ডসে। সেটা যদিও হবে ২০২৫-এ। চতুর্থ টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের সূচনা হবে এই সিরিজের মাধ্যমেই। তার মধ্যেই জানিয়ে দেওয়া হল মহিলাদের একমাত্র টেস্টের কথা। ২০২৬-এ দুই দল মুখোমুখি হলে নতুন ইতিহাস তৈরি হবে। কারণ ‘হোম অফ ক্রিকেট’-এ এই প্রথম মহিলাদের টেস্ট অনুষ্ঠিত হতে চলেছে।ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ডের আনুষ্ঠানিক ঘোষণায় জানানো হয়েছে, “ভারতের মেয়েদের সঙ্গে ২০২৬-এ লর্ডসে একটি টেস্ট ম্যাচের আয়োজন নিশ্চিত করা হচ্ছে। এই প্রথম লর্ডসে মহিলাদের টেস্ট হবে। ইংল্যান্ড মহিলা দল গত তিন বছর ধরে লর্ডসে সাদা বলের ক্রিকেট খেলছে। আগামী বছরও সেটাই চলবে। কিন্তু এই প্রথম লর্ডস মহিলাদের টেস্ট আয়োজন করতে চলেছে।”ভারত ও ইংল্যান্ডের মহিলাদের মধ্যে ১৬টি টেস্ট ম্যাচ হয়েছে এখনও পর্যন্ত। তার মধ্যে ভারত জিতেছে তিনটি টেস্ট। ইংল্যান্ড একটি। ১১টি ম্যাচ ড্র হয়েছে। ২০২৩-র ডিসেম্বরে শেষবার মুখোমুখি হয়েছিল দুই দল। নবি মুম্বইয়ের ডিওয়াই পাটিল স্টেডিয়ামে হরমনপ্রীতরা ৩৪৭ রানে ম্যাচ জিতেছিল। কিন্তু লর্ডসের ঐতিহাসিক ম্যাচে কী হবে? তার জন্য অপেক্ষা করতে হবে ক্রিকেটভক্তদের।

Card image cap

৩ গুণ বাড়ল ভিনেশের বিজ্ঞাপনী আয়

অলিম্পিকে স্বপ্নভঙ্গ হয়েছে! পদক নিশ্চিত হওয়ার পরও বিতর্কিত আইনে হাতছাড়া হয়েছে। মন ভেঙেছে ভিনেশ ফোগাটের। কিন্তু তাতে কী! দেশবাসী হতাশ করেননি ভিনেশকে। দেশে ফিরে নায়িকার সম্মান পেয়েছেন তিনি। সেই সঙ্গে বেড়েছে তাঁর জনপ্রিয়তা। যার সুফল মিলছে আর্থিকভাবেও। ৩ গুণ বেড়েছে ভিনেশের বিজ্ঞাপনী আয়।অলিম্পিকে যাওয়ার আগেও যথেষ্ট জনপ্রিয় ছিলেন ভিনেশ। প্রতিটি বিজ্ঞাপনের জন্য তিনি কমবেশি ২৫ লক্ষ টাকা করে পারিশ্রমিক নিতেন। অলিম্পিকের সাফল্যের পর ৩ গুণ পারিশ্রমিক বাড়িয়েছেন তিনি। এখন প্রতিটি বিজ্ঞাপনের জন্য ভিনেশ নাকি ৭৫ লক্ষ টাকা পারিশ্রমিক চাইছেন। এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের দাবি, অলিম্পিকের পর ভিনেশের জনপ্রিয়তা হু হু করে বাড়ছে। সেটার প্রভাব বাড়ছে বাজারেও।শুধু ভিনেশ নন, একই ভাবে অলিম্পিকের পর ব্র্যান্ড ভ্যালু হু হু করে বাড়ছে মনু ভাকের, নীরজ চোপড়াদেরও। মনুর ব্র্যান্ড ভ্যালু যেমন একধাক্কায় ছ’গুণ বেড়ে গিয়েছে। আগে একটি বিজ্ঞাপনের জন্য তিনি যেখানে ২০-২৫ লক্ষ টাকা পেতেন, সেটাই এখন দেড় কোটি! শুধু তাই নয়, মনুকে নিজেদের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর বানানোর জন্য হুড়োহুড়ি পড়ে গিয়েছে বহু সংস্থার মধ্যে। ইতিমধ্যেই পেপসির সঙ্গে দেড় কোটি টাকার চুক্তি সেরেছেন তিনি।নীরজ চোপড়া টোকিও অলিম্পিকে সোনা জেতার পর থেকেই দেশের প্রথম সারির অ্যাথলিটদের মধ্যে পরিগণিত হন। তখন থেকেই হু হু করে বাড়ছিল তাঁর ব্র্যান্ড ভ্যালু। প্যারিসে সোনা জিততে না পারলেও রূপো এনেছেন ভারতের সোনার ছেলে। ফলে এখনও তুঙ্গে তাঁর জনপ্রিয়তা। নীরজের বর্তমান ব্র্যান্ড ভ্যালু প্রায় ৩৩০ কোটি টাকা।

Card image cap

ম্যাচ জুড়ে ‘জাস্টিস ফর আর জি কর’ বার্তা ইস্টবেঙ্গলের

আর জি কর কাণ্ডে বিচার চেয়ে লাগাতার প্রতিবাদ ফুটবলপ্রেমীদের। গত রবিবার পথে নেমে ঐক্যবদ্ধ হয়ে বিচারের দাবিতে গলা মিলিয়েছিলেন ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগান সমর্থকরা। সোমবার মাঠে নেমে গোল করে জাস্টিস ফর আর জি কর বার্তা দেন মহামেডান ফুটবলার মহীতোষ। মঙ্গলবারও সেই ধারা বজায় থাকল ময়দানে। গোল করে ইস্টবেঙ্গলকে এগিয়ে যাওয়ার পরে আর জি কর কাণ্ডে বিচার চেয়ে বার্তা দেন লাল-হলুদ ফুটবলাররা। ম্যাচ চলাকালীন ইস্টবেঙ্গল মাঠেও আর জি করের পাশে থাকার বার্তা দিয়ে ব্যানার রাখা ছিল।আর জি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে সরব কলকাতা। যার আঁচ পড়েছে খেলার মাঠেও। ‘জাস্টিস ফর আর জি কর’-এর দাবিতে পথে নেমেছেন শুভাশিস বসুর মতো ফুটবলার। ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগান ও মহামেডান সমর্থকদের মিলিত প্রতিবাদও দেখা গিয়েছে। সোমবার কলকাতা লিগের ম্যাচে ‘জাস্টিস ফর আর জি কর’-এর দাবিতে শামিল হন মহামেডানের ফুটবলাররা। জার্সিতে ওই স্লোগান তুলে ধরে নিজেদের প্রতিবাদ জানান।দেশের গণ্ডি পেরিয়েও প্রতিবাদ জানাচ্ছেন ভারতের ফুটবলাররা। সোমবার নেপালের ললিতপুরেও অনূর্ধ্ব-২০ সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের লড়াইয়ে মুখোমুখি হয়েছিল ভারত ও নেপাল। গোল করেন বাংলার ছেলে মনিরুল মোল্লা। তার পরই জার্সি খুলে সেলিব্রেট করেন তিনি। সেখানেও ছিল আর জি করের ঘটনার প্রেক্ষিতে ‘জাস্টিস’-এর দাবি। ফুটবল মাঠে প্রতিবাদের ধারা অব্যাহত রাখল মঙ্গলবারের ইস্টবেঙ্গল। মঙ্গলবার রেনবো এসির বিরুদ্ধে মাঠে নেমেছিল লাল হলুদ ব্রিগেড। ম্যাচের শুরু থেকেই নজর কেড়েছিল সমর্থকদের আনা বিশাল ব্যানার। গ্যালারির একটা বড় অংশ জুড়ে ছিল ‘তোমার শহর, আমার শহর, পাশে আছি আর জি কর’ ব্যানার। ম্যাচের প্রথম ৭৫ মিনিট গোলশূন্য ছিল। ৭৫ মিনিটে গোল করে দলকে এগিয়ে দেন সঞ্জীব ঘোষ। তার পরেই গ্যালারির দিকে ছুটে এসে ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস ফর আর জি কর’ লেখা জার্সি তুলে ধরেন লাল-হলুদ ফুটবলাররা। সবমিলিয়ে, আর জি কর কাণ্ডে বিচার চেয়ে এভাবেই সরব রইল ফুটবলের মাঠ।  

Card image cap

বিরাটের সঙ্গে আরসিবিতে খেলতে চান!

আগামী আইপিএলের আগে নিলামের নিয়ম বদলাতে চলেছে। কতজন ক্রিকেটারকে রিটেনশন করা যাবে, সেই নিয়ে এখনও সব প্রশ্নের উত্তর মেলেনি। সেক্ষেত্রে অনেক প্লেয়ারকেই ছেড়ে দিতে হবে ফ্রাঞ্চাইজিগুলোকে। একই পরিস্থিতি কি হতে চলেছে রিঙ্কু সিংয়ের সঙ্গে? সেক্ষেত্রে পরের গন্তব্যও ঠিক করে রেখেছেন রিঙ্কু।আইপিএলে কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়েই তাঁর উত্থান। একের পর এক ম্যাচ জেতানো ইনিংস খেলে নাইটভক্তদের নয়নমণি হয়ে উঠেছেন তিনি। সুযোগ পেয়েছেন জাতীয় দলেও। কিন্তু গত আইপিএলে কেকেআরে সেভাবে ধারাবাহিক ছিলেন না রিঙ্কু। ‘ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার’ হিসেবে নামলেও সব ম্যাচে চেনা ছন্দে পাওয়া যায়নি। তাহলে কি পরের বছর পরিচিত বেগুনি জার্সিতে দেখা যাবে না তাঁকে?সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে সেই প্রশ্নের উত্তর দেন রিঙ্কু। তাঁর উত্তর, “এখনও তো কিছু জানি না। এখনও আমাকে জানানো হয়নি রিটেইন করা হবে, নাকি নিলামে যেতে হবে। এখন দেখা যাক, ভবিষ্যতে কী হয়?” কিন্তু যদি কেকেআর তাঁকে ছেড়ে দেয়, তাহলে কোন দলে যাবেন ভারতের বাঁহাতি ‘ফিনিশার’? একটু হেসে রিঙ্কুর উত্তর ‘আরসিবি’। সেটা যে মূলত বিরাট কোহলির জন্য, সেটা ইতিমধ্যেই অনুমান করা শুরু করে দিয়েছেন ভক্তরা।গত আইপিএলে বিরাটের থেকে ব্যাট পেয়েছিলেন তিনি। সেই ব্যাট ভেঙে যাওয়ার পর আরও একটি ব্যাট উপহার দেন বিরাট। সেই প্রসঙ্গ তুলে আনেন রিঙ্কু। সেই সঙ্গে কেকেআরের প্রাক্তন মেন্টর গৌতম গম্ভীরকে নিয়ে তিনি বলেন, “উনি খেলা নিয়ে যথেষ্ট সিরিয়াস। কিন্তু ম্যাচ শেষ হওয়ার পর খুব মজা করেন। এমন নয় যে সব সময় সিরিয়াস থাকেন।” কিন্তু গম্ভীরও এখন কেকেআরে নেই। ফলে রিঙ্কু কি আদৌ নাইটদের হয়ে খেলবেন? নাকি আরসিবিতে বিরাটের সঙ্গেই নামতে দেখা যাবে তাঁকে? উত্তরটা সময়ই দেবে।

Card image cap

ভরা মঞ্চে আচমকা জ্ঞান হারালেন ভিনেশ!

প্যারিস অলিম্পিকে মেডেল না জিতেও ‘চ্যাম্পিয়ন’ ভিনেশ ফোগাট। দেশবাসীর কাছে ভালোবাসা ও সম্মানও পাচ্ছেন। শনিবার দিল্লি বিমানবন্দরে ফেরার পর রাজকীয় সংবর্ধনা জানানো হয় তাঁকে। হরিয়ানায় নিজের গ্রাম বলালিতে ফেরার পরও ভালোবাসার কমতি হয়নি। আর সেখানেই বিপত্তি। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের মাঝেই অসুস্থ হয়ে পড়েন ভিনেশ।অলিম্পিকে মাত্র ১০০ গ্রাম ওজন বেশি থাকায় ফাইনালে নামতে পারেননি ভারতীয় কুস্তিগির। ওজন কমানোর জন্য অমানুষিক পরিশ্রমও করেন তিনি। যার জেরে অসুস্থ হয়ে পড়েন ভিনেশ। পরে পদকের জন্য আইনি লড়াইয়েও সাফল্য আসেনি। শারীরিক সমস্যা কমলেও মানসিকভাবে যে ‘দঙ্গল গার্ল’ ভেঙে পড়েছেন, তা একাধিক পোস্টে বুঝিয়ে দিয়েছেন। কখনও নিজের ভেঙে পড়ার মুহূর্তের ছবি দিয়েছেন। কখনও বা দীর্ঘ পোস্টে নিজের লড়াইয়ের কথা তুলে ধরেছেন।অবশেষে গত শনিবার ভারতে ফেরেন ভিনেশ। সেখানে বহু মানুষ ফুলের তোড়া নিয়ে অপেক্ষা করছিলেন তাঁর জন্য। পাশে ছিলেন বজরং পুনিয়া, সাক্ষী মালিকরা। এত মানুষের ভালোবাসায় কেঁদে ফেলেন ভিনেশ। যদিও সেটা ছিল সবে শুরু। তার পর যেখানেই গিয়েছেন, মানুষের ভালোবাসা পেয়েছেন। কিন্তু দীর্ঘ ২০ ঘণ্টার জার্নির পর যেন তাঁর শরীর আর পরিশ্রম সহ্য করতে পারছিল না। সেটাই দেখা গেল বলালিতে। মঞ্চের মধ্যেই অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি।সেখানে ‘খাপ’ পঞ্চায়েতে বিশেষ সংবর্ধনা জানানো হয় ভিনেশকে। এমনকী সোনার পদকও দেওয়ার কথা জানানো হয়। তার পরই চর্চায় উঠে আসে ভারতীয় কুস্তিগিরের একটি ভিডিও। মঞ্চের মধ্যেই অসুস্থ হয়ে শুয়ে পড়েন তিনি। তখন পাশে ছিলেন বজরং পুনিয়া ও মহাবীর ফোগাট। পরে ভিনেশের জ্ঞান ফিরলেও অসুস্থতা বোঝা যাচ্ছিল। যা দেখে ভক্তদের বক্তব্য, দীর্ঘ জার্নির ধকল এখনও কাটাতে পারেননি ভিনেশ। সোশাল মিডিয়ায় ভিনেশের সুস্থ হয়ে ওঠার কামনা করা হয়েছে।

Card image cap

ডুরান্ড কোয়ার্টার ফাইনালের সূচি ঘোষণা

নিরাপত্তার জন্য ডুরান্ড কাপের গ্রুপ পর্বের ডার্বি বাতিল করতে হয়েছে। এবার কলকাতা থেকে দুই প্রধানের ম্যাচও সরিয়ে দেওয়া হল। ডুরান্ডের কোয়ার্টার ফাইনালে ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগান দুই দলই খেলবে কলকাতার বাইরে। যদিও প্রথমে ঠিক ছিল ডুরান্ডের নক আউটের সব ম্যাচই হবে কলকাতায়। কিন্তু পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে নয়া সূচি ঘোষণা করল ডুরান্ড কমিটি।ডার্বি বাতিল হওয়ায় ইস্টবেঙ্গল এবং মোহনবাগান দুই দলই পেয়েছে এক পয়েন্ট করে। ফলে গ্রুপ থেকে শেষ আটে পৌঁছে গিয়েছে বাংলার দুই প্রধানই। কিন্তু ইস্টবেঙ্গল বা মোহনবাগান কারও ম্যাচই হচ্ছে না যুবভারতীতে। মোহনবাগানের খেলা হবে জামশেদপুরে। ইস্টবেঙ্গলের খেলা হবে শিলংয়ে।২১ অগস্ট থেকে শুরু হবে ডুরান্ডের কোয়ার্টার ফাইনালের খেলা। সেদিনই শিলং লাজং এফসির মুখোমুখি হবে ইস্টবেঙ্গল। সেই খেলা হবে সন্ধ্যা ৭টা থেকে শিলংয়ে। সে দিন দু’টি খেলা হবে। নর্থইস্ট ইউনাইটেড ও ইন্ডিয়ান আর্মি ম্যাচটি হবে বিকাল চারটে থেকে অসমের কোকরাঝাড়ে। ২৩ অগস্ট হবে বাকি দু’টি খেলা। ২৩ অগস্ট মুখোমুখি মোহনবাগান ও পাঞ্জাব। সেই খেলা বিকাল ৪টে থেকে হবে জামেশদপুরে। ওইদিন বেঙ্গালুরু এফসি বনাম কেরলা ব্লাস্টার্স ম্যাচটি হবে যুবভারতীতে।আপাতত দুই প্রধানের ম্যাচ কলকাতায় দেওয়া হচ্ছে না। তবে নক আউট পর্বের একটি ম্যাচ যুবভারতীতে হবে। পরবর্তীকালে সেমিফাইনাল পর্যায় নিয়ে কী সিদ্ধান্ত হয়, সেদিকে তাকিয়ে ফুটবলপ্রেমীরা।

ডুরান্ডের কোয়ার্টার ফাইনালের সূচি:

নর্থইস্ট ইউনাইটেড বনাম ইন্ডিয়ান আর্মি
২১ আগস্ট, বিকাল ৪টে, কোকরাঝাড়

ইস্টবেঙ্গল বনাম শিলং লাজং এফসি
২১ আগস্ট, সন্ধ্যা ৭টা, শিলং

মোহনবাগান বনাম পাঞ্জাব এফসি
২৩ আগস্ট, বিকাল ৪টে, জামেশেদপুর

বেঙ্গালুরু এফসি বনাম কেরলা ব্লাস্টার্স
২৩ আগস্ট, সন্ধ্যা ৭টা, যুবভারতী

Card image cap

RG Kar কাণ্ডের প্রতিবাদে সোশাল মিডিয়ায় সরব মহম্মদ সিরাজ

কর্তব্যরত অবস্থায় কলকাতায় তরুণী চিকিৎসকের যৌন হেনস্তা-হত্যাকাণ্ডের রেশ আছড়ে পড়েছে দেশের প্রতিটি কোণায়। ঘটনার প্রতিবাদে সোচ্চার সব মহল। ভারতীয় ক্রিকেটারদের মধ্যে ইতিমধ্যেই সেই বিষয়ে সরব হয়েছেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় ও জশপ্রীত বুমরাহ। এবার মুখ খুললেন জাতীয় দলের আরেক বোলার মহম্মদ সিরাজ।নিজের ইনস্টাগ্রাম প্রোফাইলে স্টোরি শেয়ার করে আর জি করে ঘটনার প্রতিবাদে সোচ্চার হয়েছেন সিরাজ। শুধু এই ঘটনা নয়, দেশজুড়ে একাধিক যৌন হেনস্তার প্রসঙ্গ তুলে এনেছেন তিনি। সেরকম বেশ কয়েকটি খবরের কোলাজের পাশে রয়েছে ন্যক্বারজনক মন্তব্য। যেখানে প্রতিটি ক্ষেত্রেই হেনস্তার জন্য দায়ী করা হয়েছে সংশ্লিষ্ট মহিলার আচরণ বা পোশাককে। সেটাকেই কটাক্ষ করে তোপ সিরাজের। আর জি করের ঘটনার প্রসঙ্গে এনে তিনি লিখেছেন, “এবার কী অজুহাত দেবে? এখনও সেই মেয়েটিরই দোষ? কারণ পুরুষ তো পুরুষই থাকবে, তাই না?” নিজেদের ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে একই বক্তব্য রেখেছেন অর্শদীপ সিং ও যুজবেন্দ্র চাহাল। এর আগে প্রতিবাদে সরব হয়েছিলেন বুমরাহ। বৃহস্পতিবার তিনি ইনস্টাগ্রামের স্টোরিতে অভিনেত্রী আলিয়া ভাটের পোস্ট শেয়ার করেন। ভারতীয় দলের বোলারের বক্তব্য ছিল, নারীর পথ বদলে নয়, জোর দিতে হবে পরিবেশ বদলে। সোশাল মিডিয়ায় বলিউড অভিনেত্রী আলিয়া ভাট এই ঘটনার সঙ্গে দিল্লির নির্ভয়াকাণ্ডের তুলনা করে তীব্র নিন্দায় মুখর হয়েছিলেন। নিজের পোস্টে ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরোর ২০২২ সালের রিপোর্ট দিয়েছিলেন অভিনেত্রী। তাঁর বক্তব্যের শেষাংশটিই বুমরাহ তুলে দিয়েছেন ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে। তাঁরও বার্তা, নারীকে রাস্তা বদল করতে বলা নয়, বরং তার আশপাশের পরিবেশ বদলেই জোর দিতে হবে। মনে রাখতে হবে, প্রত্যেক নারীর আরও ভালোভাবে বাঁচার অধিকার আছে।এর আগে আর জি কর হাসপাতালে যৌন হেনস্তা ও হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় প্রতিক্রিয়া দিয়েছিলেন ভারতীয় ক্রিকেটের প্রাক্তন অধিনায়ক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। ঘটনার নৃশংসতার কথা উল্লেখ করে কড়া শাস্তির দাবি তুলেছিলেন তিনি। জশপ্রীত বুমরাহর পর এবার প্রতিবাদে সুর চড়ালেন মহম্মদ সিরাজও। ইনস্টাগ্রামে তাঁদের প্রতিক্রিয়া দেখে অনেকেই বলছেন, ঘটনার ভয়াবহতা এতটাই যে প্রত্যেকের মনেই বড়সড় আলোড়ন ফেলেছে।

Card image cap

স্বাধীনতা দিবসে অলিম্পিয়ানদের বিশেষ বার্তা প্রধানমন্ত্রী মোদির

প্যারিস অলিম্পিকের পালা শেষ। ভারতের ঝুলিতে এসেছে ৬টি পদক। অ্যাথলিটদের থেকে আরও বেশি মেডেল আশা করেছিল দেশবাসী। তবুও বিদেশের মাটিতে দেশের হয়ে লড়াই করেছেন তাঁরা। অলিম্পিক থেকে পদক না পেলেও সবাই যে চ্যাম্পিয়ন, সে কথা জানিয়ে দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।৭৮তম স্বাধীনতা দিবসে যে তিনি প্যারিস থেকে ফেরা সব অ্যাথলিটদের সঙ্গে দেখা করবেন, তা আগেই ঘোষণা করা হয়েছিল। লালকেল্লায় সেই অনুষ্ঠানে ছিল চাঁদের হাট। জোড়া ব্রোঞ্জ জিতে ইতিহাস গড়া মনু ভাকের থেকে হকি দল ছিল সেখানে। এছাড়াও পদকজয়ী সরবজ্যোত সিং, স্বপ্নীল কুসলে ও আমন শেরাওয়াত ছিলেন স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে। সকলের সঙ্গেই কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।তার পরই সোশাল মিডিয়ায় তিনি লিখেছেন, “প্যারিস অলিম্পিকে দেশের প্রতিনিধিত্ব করা প্রতিযোগীদের সঙ্গে কথাবার্তা বলাটা বিশেষ মুহূর্ত। তাঁদের খেলার অভিজ্ঞতা শুনলাম। সবার যোগদানই প্রশংসাযোগ্য। যাঁরা প্যারিসে অংশগ্রহণ করেছে, তারা সবাই চ্যাম্পিয়ন। ভারত সরকার তাঁদের সমর্থন জুগিয়ে যাবে এবং সেরা মানের পরিকাঠামো নির্মাণ করবে, এই আশা দিচ্ছে।”ব্রোঞ্জজয়ী ভারতীয় হকি দল নরেন্দ্র মোদির হাতে নিজেদের সই করা একটি হকি স্টিক তুলে দেয়। একটি জার্সিও দেওয়া হয় তাঁদের তরফ থেকে। মনু ভাকেরের সঙ্গে আলাদা করে বেশ কিছুক্ষণ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। ব্রোঞ্জজয়ী তারকা নিজের পিস্তলটিও দেখান। কীভাবে সেটা কাজ করে, সেই বিষয়েও আলোচনা হয়। তার আগেই লালকেল্লায় দাঁড়িয়ে প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করেন, “দেশের মাটিতে অলিম্পিক আয়োজন আমাদের স্বপ্ন। আর সেই স্বপ্ন পূরণের লক্ষ্যে এগোচ্ছে দেশ।”

Card image cap

আশা জাগিয়েও নেই বিরাট-রোহিত

দলীপ ট্রফিতে খেলতে দেখা যেতে পারে বিরাট কোহলি আর রোহিত শর্মাকে! গত কয়েকদিন ধরে এই জল্পনা ঘোরাফেরা করছিল দেশের ক্রিকেট মহলে। কিন্তু বুধবার দলীপ ট্রফির দল ঘোষণার পরে দেখা গেল, কোনও দলেই রাখা হয়নি দুই মহাতারকাকে। ফলে ঘরোয়া ক্রিকেটে এক্ষুণি তাঁদের খেলার কোনও সম্ভাবনা নেই। দলীপের পরের রাউন্ডগুলোতে কি দেখা যাবে বিরাট-রোহিতকে? সেই সম্ভাবনাও খুবই কম।বুধবার দলীপ ট্রফির জন্য চারটি দল ঘোষণা করে দিল ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। এই প্রতিযোগিতা দিয়েই ঘরোয়া ক্রিকেটে লাল বলের মরসুম শুরু হচ্ছে। বোর্ডের কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকে বাদ পড়া ঈশান কিষানও খেলবেন দলীপ ট্রফি। বুধবার চারটি দলের অধিনায়ক হিসাবে বেছে নেওয়া হয়েছে যথাক্রমে শুভমন গিল, অভিমন্যু ঈশ্বরণ, ঋতুরাজ গায়কোয়াড় এবং শ্রেয়স আইয়ারকে। তাঁদের অধীনে খেলবেন ভারতীয় দলের একঝাঁক তারকা ক্রিকেটাররা। তবে দলীপ ট্রফিতে খেলার সুযোগ পাননি রিঙ্কু সিং।জানা গিয়েছে, কেএল রাহুল, কুলদীপ যাদব, যশস্বী জয়সওয়াল, মহম্মদ সিরাজ, রবীন্দ্র জাদেজা, সরফরাজ খানের মতো টেস্ট ক্রিকেটাররা খেলবেন দলীপে। ঋষভ পন্থ, রিয়াগ পরাগকেও নেওয়া হয়েছে দলে। কিন্তু চার দলের কোনওটাতেই নেই বিরাট-রোহিতের নাম। অর্থাৎ দলীপের প্রথম রাউন্ডে দুই মহাতারকা খেলবেন না। বোর্ড সূত্রে খবর, দলীপ খেলতেই হবে বলে কোনও নির্দেশিকা দেওয়া হয়নি রোহিতদের। তাঁরা চাইলে তবেই দলে রাখা হত। দলীপের পরের রাউন্ডেও দুই তারকাকে দেখতে পাওয়ার সম্ভাবনা খুব কম।অন্যদিকে, চোট সারিয়ে দলীপে ফিরতে পারেন মহম্মদ শামি এমনটাও শোনা গিয়েছিল। কিন্তু তারকা পেসারকেও রাখা হয়নি কোনও দলে। সূত্রের খবর, এখনও সম্পূর্ণ ফিট হতে পারেননি শামি। তাই দলীপ ট্রফিতে এখনই তাঁকে নামানো হচ্ছে না।