CATEGORY state:

Card image cap

সরকারি অফিসে কর্মীদের কাজে ফাঁকি রুখতে কড়া কেন্দ্র

অফিসে দেরি করে ঢোকা কিছুতেই আটকানো যাচ্ছে না। ম্যানেজাররা একাধিকবার কর্মীদের সতর্ক করলেও কে কার কথা শোনে! কোনও না কোনও অজুহাত লেগেই রয়েছে। অফিসে দেরি করে ঢোকা বন্ধ করতে এবার কড়া পদক্ষেপ কেন্দ্রের। নয়া সার্কুলার জারি করা হয়েছে কেন্দ্রের তরফে। কেন্দ্রের কর্মী ও প্রশিক্ষণ বিভাগের  সিদ্ধান্ত নিয়েছে অফিসে ঢুকতে ১৫ মিনিট দেরি হলে তা গ্রাহ্য করা হবে। তবে তার বেশি দেরি হলেও কাটা যাবে মাইনে। দেশজুড়ে কেন্দ্রীয় সরকারের অফিসগুলিতে কর্মীদের সকাল ৯টা থেকে ৯টা ১৫-এর মধ্য়ে ঢুকে গিয়ে হাজিরা দিতে হবে। সব কর্মী এমনকী সিনিয়র অফিসারদেরও বায়োমেট্রিকের মাধ্যমে হাজিরা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। করোনা মহামারী কেটে গিয়েছে কয়েক বছর হল। সেই সময় বায়োমেট্রিকের মাধ্য়মে হাজিরা দেওয়ার নিয়ম বন্ধ রাখা হয়েছিল। তবে কোভিড মহামারী কেটে যাওয়ার পর ফের বায়োমেট্রিকের মাধ্যমে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল অফিসগুলিতে। তবে অনেক কর্মীরই এখনও পর্যন্ত বায়োমেট্রিকের মাধ্যমে হাজিরা দিতে ঢিলেমি লক্ষ্য করা গিয়েছে। অনেকের নিজের ইচ্ছা মতো অনেকটাই দেরি করে অফিসে ঢুকছেন। একাধিক অভিযোগ আসার পরই নড়েচড়ে বসেছে কেন্দ্র।


সার্কুলারে কর্মীদের সতর্ক করে বলা হয়েছে, সকালে ৯টা ১৫-এর বেশি দেরি করে অফিসে ঢুকলে ক্য়াসুয়াল লিভ থেকে অর্ধ দিনের ছুটি কাটা যাবে। নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, 'কোনও কারণে যদি কোনও কর্মী নিরিষ্ট দিনে অফিসে হাজিরা দিতে না পারেন তবে আগে থেকে ঊর্ধ্বতন অফিসারকে আগে থেকে জানাতে হবে। ক্যাসুয়াল লিভের আবেদন জানাতে হবে।' সার্কুলারে আরও বলা হয়েছে, কর্মকর্তারা তাঁদের বিভাগ অনুযায়ী কর্মচারীদের উপস্থিতি ও সমানুবর্তিতার উপর নজর রাখবে।


কেন্দ্রীয় সরকারি অফিসগুলি সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত খোলা থাকে। তবে সময় অফিসে প্রবেশে বেশির ভাগ কর্মীরই ঢিলেমি লক্ষ্য করা গিয়েছে। অনেকেই নির্দিষ্ট সময়ের অনেক পরে অফিসে ঢুকছেন। আবার তাড়াতাড়ি অফিস থেকে বেরিয়ে যাচ্ছেন। বারবার সতর্ক করা সত্ত্বেও তাঁদের দেরি করে আসার অভ্য়াস পালটানো যাচ্ছে না। আর এরফলে সমস্যায় পড়ছেন সাধারণ মানুষ। কর্মীদের দেরিতে আসা ও তাড়াতাড়ি বেরিয়ে যাওয়া অভ্যাসে সমস্য়ার মুখোমুখি হতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। অনেক কাজও বাকি রয়ে যাচ্ছে।


সিনিয়র অফিসারদের অভিযোগ, তাঁদের জন্য অফিসের কোনও নির্দিষ্ট সময় নেই। অনেক সময় সন্ধ্যা সাতটার পরও তাঁর অফিস থেকে বেরোন। পাশাপাশি তাঁদের আরও অভিযোগ, কোভিড পরবর্তী সময় ইলেক্ট্রনিক ফাইলের অ্যাক্সেস হওয়ার তাঁদের কখনও কখনও বাড়ি থেকেও কাজ করতে হয়। এমন কী তাঁদের ছুটির দিন বা সপ্তাহান্তেও কাজ করতে হয় বলে অভিযোগ। ২০১৪ সালে ক্ষমতায় আসার পর মোদী সরকার অফিসের টাইম নিয়ে কড়াকড়ি নিয়ম চালু করতে চায়। তবে সেই সময় অনেক কর্মচারীই বিষয়টির বিরোধিতা করেছিলেন। তাঁদের মধ্যে অনেকেই যুক্তি দেখিয়েছিলেন অনেক দূর থেকে অফিস আসতে হয় তাঁদের।


কোভিড মহামারী আগে পর্যন্তও আধার এনাবেল্ড বায়োমেট্রিক অ্যাটেনডেন্স সিস্টেম চালু ছিল। এই সিস্টমের মাধ্যমে দেখা যেত কর্মীরা সঠিক সময়ে অফিসে প্রবেশ করছেন কিনা। তবে বায়োমেট্রিকের মাধ্যমে উপস্থিতি চিহ্নিত করার সময় লাইন পড়ে যেত কর্মীদের। সেই কারণে অনেক অফিসার নিজেদের টেবিলেই বায়োমেট্রিক ডিভাইস বসিয়ে নিয়েছিলেন অফিসে উপস্থিতি চিহ্নিত করতে।


কোভিড কালে বায়োমেট্রিক সিস্টেমের মাধ্যমে হাজিরা দেওয়ার প্রক্রিয়া বন্ধ করা হয়। তবে গত বছর সর্বশেষ নির্দেশিকায় বলা হয় কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের বায়োমেট্রিকের মাধ্য়মেই অফিসে হাজিরা হাজিরা দিতে হবে। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাস থেকে ফের চালু হয়েছিল এই প্রক্রিয়া। সার্কুলারে বলা হয়েছে, 'সাম্প্রতিক সময় অনেক কর্মীর মধ্য়ে দেরি করে অফিসে আসা তাড়াতাড়ি বেরিয়ে যাওয়ার অভ্যাস লক্ষ্য করা হয়েছে। বিষয়টি কোনও ভাবেই বরদাস্ত করা হবে না। অফিসে দেরি করে আসা ও তাড়াতাড়ি বেরিয়ে গেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।' সরকারি অফিসের একাধিক কর্মী প্রায়ই অফিস কামাই করেন কিংবা কিছুক্ষণের জন্য অফিসের এসেই আবার বেরিয়ে যান। কর্মীদের কাজে ফাঁকি রুখতেই নয়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আশা করা হচ্ছে এই নয়া নিয়মের জাঁতাকলে পড়ে কর্মীদের মধ্যে কাজের প্রতি দায়বদ্ধতা আসবে ও যাঁরা ১০টা কিংবা তারও পরে অফিসে ঢোকেন তাঁদের অভ্যাসও পরিবর্তন হবে।

Card image cap

NEET কেলেঙ্কারির মাঝেই গুরুতর অভিযোগ নিয়ে হাই কোর্টে পরীক্ষার্থী

অভিযোগ গুরুতর। সর্বভারতীয় মেডিক্যাল প্রবেশিকা পরীক্ষা NEET-এ এক পরীক্ষার্থীকে ছেঁড়া ওএমআর শিট দেওয়া হয়েছে! শুধু তাই নয়, ওএমআর শিট বদলে দেওয়ার নামে তাঁকে দেড় ঘণ্টা বসিয়ে রাখা হয় বলেও অভিযোগ তুলেছেন ওই পরীক্ষার্থী। পরে ওই উত্তরপত্র বদল তো করাই হয়নি, উপরন্তু সময় নষ্ট করে ছেঁড়া উত্তরপত্রেই তাঁকে পরীক্ষা দিতে বাধ্য করা হয়। এমনই গুরুতর অভিযোগ তুলে পুনরায় পরীক্ষায় বসতে চেয়ে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ উত্তর ২৪ পরগনার পানিহাটির বাসিন্দা পরীক্ষার্থী ফিয়োনা মজুমদার।
শুক্রবার পরীক্ষার্থীর আবেদন গ্রহণ করলেও তাঁর পরীক্ষায় বসতে চূড়ান্ত অনুমোদন দেননি কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। এক বছরের জন্য ওই পরীক্ষার অরিজিনাল ওএমআর শিট এবং পরীক্ষা হলের সিসিটিভি ফুটেজ সংরক্ষণ রাখতে নির্দেশ দিয়েছে উচ্চ আদালত। যদিও এদিন আদালতের পর্যবেক্ষণে বিচারপতি জানিয়েছেন, পুনরায় ওই পরীক্ষা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ রয়েছে। এই অবস্থায় এখনই হাই কোর্ট কোনও নির্দেশ দেবে না। মামলাকারী প্রয়োজন মনে করলে শনিবার শীর্ষ আদালতে যেতে পারবেন।
সুপ্রিম কোর্টের  নির্দেশে  NEET-এ গ্রেস নম্বর পাওয়া ১৫৬৩ জনের পরীক্ষা বাতিল হয়েছে। রবিবার পরীক্ষার্থীর পুনরায় পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে। এই পরিস্থিতির পানিহাটির ফিয়োনার মামলায় আদালতের পর্যবেক্ষণ, পরীক্ষাকেন্দ্রে মামলাকারী তথা পরীক্ষার্থীর সময় নষ্ট করা হয়েছে – এ নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। এতে তিনি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে আদালত মনে করছে।NTA-র দাবি, ওই ওএমআর শিট স্ক্যান করে দেওয়া হয়েছিল। ছেঁড়া ওএমআর শিট দেওয়া হয়নি। উপরের অংশটি ক্ষতিগ্রস্ত ছিল। পরীক্ষার্থী অভিযোগ জানালে তাঁকে ওই ওএমআর শিটেই পরীক্ষা দিতে বলা হয়েছে। কয়েক মিনিট নষ্ট হয়েছে। একজন পরীক্ষার্থী দেড় ঘণ্টা না লিখে শুধুমাত্র ছেঁড়া ওএমআর শিটের অজুহাতে বসে ছিল – এই যুক্তি ভিত্তিহীন। তবে সওয়াল-জবাব যাই হোক না কেন, NEET কেলেঙ্কারির মাঝে এই পরীক্ষার্থীর অভিযোগ যে বিষয়টিকে আরও জটিল করে তুলল, তা বলাই বাহুল্য।

Card image cap

NEET বিতর্কের মাঝে বাতিল কেন্দ্রীয় স্তরের আরেক পরীক্ষা

NEET, NET-এ প্রশ্নফাঁস বিতর্ক নিয়ে তোলপাড়ের মাঝে কেন্দ্রীয় স্তরের আরও এক পরীক্ষা পিছিয়ে গেল। শুক্রবার ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সির তরফে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানানো হয়েছে, জয়েন্ট CSIR-UGC-NET পরীক্ষা, যা ২৫ থেকে ২৭ জুনের মধ্যে হওয়ার কথা ছিল, তা আপাতত স্থগিত রাখা হল। পরে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে নতুন দিনক্ষণ জানাবে এনটিএ। মনে করা হচ্ছে, সর্বভারতীয় মেডিক্যাল প্রবেশিকার মতো গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা প্রশ্নফাঁস বিতর্কে জড়ানোর জেরেই উচ্চশিক্ষায় আরও এক যোগ্যতা নির্ণায়ক পরীক্ষা জয়েন্ট CSIR-UGC-NET পিছিয়ে দেওয়া হল। 
UCG বা বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী, দেশের বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজগুলিতে জুনিয়র রিসার্চ ফেলোশিপ , লেকচারারশিপ এবং সহকারী অধ্যাপকের হিসেবে কাজ করার যোগ্যতা নির্ধারণের জন্য জয়েন্ট CSIR-UGC-NET পরীক্ষা নেওয়া হয়। এই পরীক্ষার দায়িত্ব থাকে ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সির উপর।
এবছর সেই তিনটি গুরুত্বপূর্ণ  পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল ২৫ থেকে ২৭ জুনের মধ্যে। কিন্তু শুক্রবার অর্থাৎ ২১ জুন NTA-এর তরফে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানানো হয়েছে, অনিবার্য কারণ বশত পরীক্ষা আপাতত স্থগিত করা হল। নতুন দিনক্ষণ পরে জানানো হবে। আর এই ‘অনিবার্য কারণ’ নিয়েই তৈরি হয়েছে যত ধোঁয়াশা। শিক্ষামহলে গুঞ্জন, তবে কি এই পরীক্ষাতেও প্রশ্ন ফাঁস কিংবা বেআইনি কোনও চক্র জড়িয়ে? তা জানতে পেরেই বিতর্ক এড়াতে আগেভাগে পরীক্ষা স্থগিতের সিদ্ধান্ত নিল আয়োজক সংস্থা?
উল্লেখ্য, লোকসভা ভোটের ফলপ্রকশের সময়েই NEET-এর ফলাফলে কারচুপির অভিযোগে তোলপাড় পড়েছিল দেশে। সর্বোচ্চ নম্বর প্রাপ্তদের মধ্যে অধিকাংশ একই প্রতিষ্ঠানের হওয়ায় তা নিয়ে সংশয় দেখা দেয়। পরে জানা যায়, প্রশ্নপত্র পরীক্ষাকেন্দ্রে দেরিতে পৌঁছনোর কারণে তাঁদের ‘গ্রেস মার্কস’ দেওয়ায় এই ফলাফল। স্বচ্ছতার অভাব রয়েছে পরীক্ষা পদ্ধতিতে, এই অভিযোগ তুলে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন অন্যান্য পরীক্ষার্থীরা। এবছরের NEET বাতিলের নির্দেশ দেয় শীর্ষ আদালত। পরে ফের পরীক্ষা নেওয়া হবে। অন্যদিকে, এই ঘটনার পর UGC-NET পরীক্ষা নেওয়ার একদিনের মধ্যেই তা বাতিল ঘোষণা করে ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সি। আর এবার জয়েন্ট CSIR-UGC-NET পরীক্ষাও স্থগিত করা হল।

Card image cap

কলকাতায় ফের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড

ফের কলকাতায় আগুন। শনিবার ভোরে ব্য়াঙ্কশাল কোর্টের পাশে গার্স্টিন প্লেসে বহুতলে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড। ঘটনাস্থলে দমকলের ৮টি ইঞ্জিন। অভিযোগ, খবর পাওয়ার প্রায় ৩০-৪০ মিনিট পর ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকল।  শহরে একের পর এক অগ্নিকাণ্ড। পার্ক স্ট্রিট, কসবার শপিং মলের পর এবার গার্স্টিন প্লেসে আগুন। এ দিন ভোর ৪টে নাগাদ গার্স্টিন স্ট্রিটে, ব্যাঙ্কশাল কোর্টের পাশে একটি পুরনো বাড়িতে আগুন লাগে। স্থানীয় বাসিন্দারাই ধোঁয়া ও পরে আগুন দেখতে পেয়ে দমকলে খবর দেন। ওই বাড়িতে জনবসতি ছিল না বলেই জানা গিয়েছে। ওই বাড়িতে আইনজীবীদের চেম্বার ছিল। বাড়ির উপরের তলটি সম্পূর্ণ ভস্মীভূত হয়ে গিয়েছে। সিলিন্ডার ফাটার শব্দও পাওয়া গিয়েছে।

দমকলের প্রাথমিক অনুমান, এসি থেকে শর্ট সার্কিট হয়েই আগুন লেগেছে। তিনতলার একটি এসি ইউনিট থেকে আগুন লেগেছে বলে সন্দেহ। তবে শনিবার, ছুটির দিনে কীভাবে এসি চলছিল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

Card image cap

পশ্চিমবঙ্গে ১৪টা বিশ্ববিদ্যালয় ডিফল্টার! বাতিল হতে পারে অনুমোদন?

ইউজিসি অর্থাৎ কেন্দ্রীয় অনুদান কমিশন মধ্যপ্রদেশের ৭টি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এবং সেইসাথে দেশের ১৫৭টি খেলাপি অর্থাৎ ডিফল্টার বিশ্ববিদ্যালয় ঘোষণা করেছে। ইউজিসি তাদের তালিকাও প্রকাশ করেছে। এর মধ্যে রয়েছে ১০৮টি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, ৪৭টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এবং দুটি ডিমড বিশ্ববিদ্যালয়।


ইউজিসির মতে, এই সব বিশ্ববিদ্যালয়ে ন্যায়পাল নিয়োগ করা হয়নি, তাই তাদের খেলাপি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাটাগরিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।


বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের প্রকাশিত এই তালিকায় মধ্যপ্রদেশের সাতটি বিশ্ববিদ্যালয়কে খেলাপি ঘোষণা করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে মাখনলাল চতুর্বেদী ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অফ জার্নালিজম অ্যান্ড কমিউনিকেশন (ভোপাল), রাজীব গান্ধী টেকনোলজিক্যাল ইউনিভার্সিটি (ভোপাল), জওহরলাল নেহেরু এগ্রিকালচারাল ইউনিভার্সিটি (জবলপুর), মধ্যপ্রদেশ মেডিকেল সায়েন্সেস ইউনিভার্সিটি (জবলপুর), নানাজি দেশমুখ ভেটেরিনারি সায়েন্সেস ইউনিভার্সিটি (জবলপুর), রাজা মানসিং। তোমর মিউজিক অ্যান্ড আর্টস ইউনিভার্সিটি (গোয়ালিয়র) এবং রাজমাতা বিজয়রাজে সিন্ধিয়া এগ্রিকালচারাল ইউনিভার্সিটি (গোয়ালিয়র)। এছাড়াও ইউপির কিং জর্জ ইউনিভার্সিটি অফ ডেন্টাল সায়েন্সেস (কেজিএমইউ) এর নামও রয়েছে।


কোন রাজ্যে কতটি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ডিফল্টার?


অন্ধ্র প্রদেশ থেকে ৪, বিহার থেকে ৩, ছত্তিশগড় থেকে ৫, দিল্লি থেকে ১, গুজরাট থেকে ৪, হরিয়ানা থেকে ২, জম্মু ও কাশ্মীর থেকে ১, ঝাড়খণ্ড থেকে ৪, কর্ণাটক থেকে ১৩, কেরালা থেকে ১, মহারাষ্ট্রের ৭টি, মণিপুরের ২টি, মেঘালয়ে ১টি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, ওডিশায় ১১টি, পাঞ্জাবে ২টি, রাজস্থানে ৭টি, সিকিমে ১টি, তেলেঙ্গানায় ১টি, তামিলনাড়ুতে ৩টি, উত্তর প্রদেশে ১০টি, উত্তরাখন্ডে ৪টি এবং পশ্চিমবঙ্গে ১৪টি বিশ্ববিদ্যালয়কে ডিফল্টার ঘোষণা করা হয়েছে।


কোন রাজ্যে কটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ডিফল্টার?


যেখানে আমরা যদি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের কথা বলি, তবে অন্ধ্রপ্রদেশে ২টি, বিহারে ২টি, গোয়ায় ১টি, গুজরাতে ৬টি, হরিয়ানায় ১টি, হিমাচল প্রদেশে ১টি, ঝাড়খন্ডে ১টি, কর্ণাটকে ৩টি, মধ্যপ্রদেশে ৮টি, মহারাষ্ট্রের ২টি, রাজস্থানের ৭টি, সিকিমের ২টি, তামিলনাড়ুর ১টি, ত্রিপুরার ৩টি, উ্ত্তর প্রদেশের ৪টি, উত্তরাখন্ডের ২টি এবং দিল্লির ২টিকে ডিফল্টার ঘোষণা করা হয়েছে।

Card image cap

দক্ষিণ কলকাতায় পাইপ লাইনের কাজ, একাধিক বাস রুটে বদল

দক্ষিণ কলকাতায় গুরুত্বপূর্ণ রাস্তায় যান নিয়ন্ত্রণ। অনির্দিষ্টকালের বন্ধ থাকছে বেহালার সন্তোষ রায় রোড। পাইপ লাইনের কাজের জন্য রাস্তা বন্ধ রাখা হচ্ছে বলে খবর। ভোগান্তির আশঙ্কা যাত্রীদের।


কলকাতা ট্রাফিক পুলিশের তরফে একটি বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, বেহালার সন্তোষ রায় রোডে পাইপ লাইনে কাজ করা হবে। সেই কারণে, অনির্দিষ্টকালের জন্য এই রাস্তা সম্পূর্ণভাবে বন্ধ রাখা হচ্ছে। ফলত, যানবাহনকে বিকল্প রুট দিয়ে যাতায়াত করতে হবে।


বেশ কিছু বাসের রুট পরিবর্তন করা হবে। S31, AC31, SD4/1, সারদা পার্ক থেকে আনন্দপুর পর্যন্ত মিনিবাসগুলিকে অন্য রুট দিয়ে যাতায়াত করানো হবে। মতিলাল গুপ্ত সরণি বা জেমস লং সরণি দিয়ে যে সমস্ত গাড়িগুলি ডায়মন্ড হারবার রোডে সখেরবাজার যাবে, যেইসব গাড়িগুলিকে জনকল্যাণ সরণি দিয়ে ঘুরিয়ে ডায়মন্ড হারবার রোডে তোলা হবে।


S31, AC31, SD4/1, সারদা পার্ক থেকে আনন্দপুর পর্যন্ত মিনিবাস ছোট-বড় যে কোনও ধরনের গাড়িগুলিকে এই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করতে হবে। শুক্রবার থেকেই নির্দেশিকা কার্যকরী করা হয়েছে। বর্ষার আগে জল নিকাশি ব্যবস্থা সঠিক রাখতে কলকাতার একাধিক রাস্তায় ভূগর্ভস্থ পাইপ লাইনের কাজ করা হচ্ছে।


বর্ষা এলেই জলমগ্ন হয়ে পড়ে কলকাতার বিভিন্ন অংশ। এই চিত্র নতুন নয়। দক্ষিণ কলকাতার বেশ কিছু রাস্তায় বেশ কিছুদিন ধরে জল জমে থাকতে দেখা যায়। কলকাতার একটা সময় নিকাশি পথে বৃষ্টির জল নেমে যাওয়ার ক্ষমতা ছিল ৬.১০ মিলি মিটার পর্যন্ত। সেই ক্ষমতা অনেকটাই বেড়েছে বর্তমানে।



কলকাতা পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, শহরের ম্যানহোলগুলি নিয়মিত পরিষ্কার করার কলকাতা পুরসভা তৎপর হয়েছে। এর জন্য নিয়মিত পলি তোলা হচ্ছে। এখনও পর্যন্ত প্রায় ৭৫ শতাংশ ম্যানহোল তোলার কাজ শেষ হয়ে গিয়েছে। বাকি কাজ দ্রুত সম্পন্ন হয়ে যাবে বর্ডার আগেই বলেই জানানো হয়। পাইপ লাইনের কাজের জন্য বেশ কিছু রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ি করতে হয়েছে। সন্তোষ রায় রোডে পাইপ লাইনের কাজ হওয়ার জন্য সেই রাস্তায় গাড়ি চলাচল কর সম্বব নয়। সেই কারণেই যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। কাজ মিটে গেলেই যান চলাচল ফের স্বাভাবিক করে দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে। খুব শীঘ্রই এই কাজ শেষ করা হবে বলে জানানো হয়েছে।


Card image cap

নবান্নে মমতার সঙ্গে বৈঠকে চিদম্বরম

বৃহস্পতি সন্ধ্যায় নবান্নে পি চিদম্বরম। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে প্রায় ৪০ মিনিট কথা বলেন তিনি। শোনা যাচ্ছে, ইন্ডিয়া জোট নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা হয়েছে তাঁদের।
জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবারই কলকাতায় পৌঁছন পি চিদম্বরম। কলকাতা বিমানবন্দর থেকে সোজা চলে যান নবান্নে। মুখ্যমন্ত্রী সেখানেই ছিলেন। প্রায় ৪০ মিনিট তাঁদের মধ্যে কথা হয়। স্বাভাবিকভাবেই এই সাক্ষাৎ নিয়ে বিভিন্ন মহলে চর্চা শুরু হয়েছে। মনে করা হচ্ছে, ইন্ডিয়া জোট নিয়ে আলোচনা করতে সোনিয়া গান্ধীর বার্তা নিয়ে নবান্নে এসেছিলেন বর্ষীয়ান এই নেতা।
প্রসঙ্গত, লোকসভা নির্বাচনকে মাথায় রেখে ইন্ডিয়া জোট গঠনের পর শুরুতে আসন ভাগাভাগি নিয়ে টানাপোড়েন তৈরি হলেও, শেষ পর্যন্ত ‘বিগ ব্রাদার’ সুলভ মানসিকতা ঝেড়ে ফেলে আঞ্চলিক দলগুলিকে তাদের মতো লড়ার সুযোগ তৈরি করে দেয় কংগ্রেস। যার ফলে উত্তরপ্রদেশ, বিহার, ঝাড়খণ্ড, তামিলনাড়ু, হরিয়ানা, মহারাষ্ট্রর মতো রাজ্যগুলিতে যেখানে যে শক্তিশালী, সেই সমীকরণে হয় আসন ভাগাভাগি। যার সাফল্যও পায় ‘ইন্ডিয়া’। কিছু কিছু ক্ষেত্রে মতানৈক্য তৈরি হলেও তা নিজেদের মধ্যে মিটিয়ে ফেলা হয়। এমনকী বাংলায় তৃণমূল বিরোধিতার জন্য অধীর চৌধুরীর মতো নেতাকেও কড়া সুরে সতর্ক করা হয় কংগ্রেসের তরফে। ফলে শক্তিশালী বিজেপির বিরুদ্ধে শুরু থেকেই সতর্ক পায়ে হেঁটেছে ‘ইন্ডিয়া’ শিবির। ভোটের ফলাফলে যার সুফলও নজরে পড়েছে। 

Card image cap

বংশরক্ষায় স্ত্রীকে পরপুরুষের সঙ্গে সঙ্গমে ‘জোর’

বংশরক্ষার তাগিদে থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত স্ত্রীকে পরপুরুষের জন্য শারীরিক সম্পর্কে জোর করার অভিযোগ। স্বামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ জানাতে যান মহিলা। তবে তা সত্ত্বেও অভিযুক্তের বিরুদ্ধে পুলিশের তরফে কোনও পদক্ষেপই করা হয়নি বলে অভিযোগ। কেন হেফাজতে নেওয়া হল না অভিযুক্তকে, প্রশ্ন তুলল কলকাতা হাই কোর্ট।
বছর চব্বিশ আগে শুরু হয় সংসার। থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত দম্পতির দুটি কন্যাসন্তান হয়। পরে দুজনেরই থ্যালাসেমিয়ায় মৃত্যু হয়। অভিযোগ, ২০১৯ সাল থেকে স্ত্রীর উপরে অত্যাচার শুরু করে স্বামী। বংশরক্ষার তাগিদে সন্তান পেতে স্ত্রীকে এক যুবকের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে বাধ্য করেন বলে অভিযোগ। আপত্তির পরেও বেশ কিছুদিন ওই যুবকের অত্যাচার সহ্য করেন মহিলা। স্থানীয় থানার দ্বারস্থ হন। অভিযোগ, তা সত্ত্বেও গত ১ এপ্রিল ফের ওই যুবক তার ঘরে ঢোকার চেষ্টা করে। তিনি বাধা দেন। তাকে মারধর করে ওই যুবক। তিনি বারুইপুর থানায় গিয়ে মৌখিকভাবে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেন। কিন্তু পুলিশ এফআইআর নেয়নি বলে অভিযোগ। পরে ৮ মে লিখিত অভিযোগ করেন মহিলা। তবে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া না হলে বাধ্য হলে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন।
এদিন বিচারপতি প্রশ্ন করেন, “লিখিত অভিযোগ দরকার কেন? তিনি মুখে বলেছেন সেটা এফআইআর করেছেন? কিন্তু FIR পাওয়ার জন্য অপেক্ষা করছিলেন! পুলিশ একটা পক্ষ নিয়েছে। ধর্ষণের অভিযুক্তকে কী করে থানা ছেড়ে দেয়? আপনারা কোনও নিরাপত্তা দেননি মহিলাকে। আপনারা অভিযুক্তকে নিরাপদে সরে যাওয়ার সুযোগ দিয়েছেন। মহিলার স্বামীর বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নিয়েছে পুলিশ? কেন তাকে হেফাজতে নেওয়া হয়নি?” রাজ্য়ের তরফে জানানো হয়, “সেদিন লিখিত অভিযোগ না পাওয়ায় পুলিশ FIR করেনি। অভিযুক্তের স্ত্রীর আশ্বাসে তাকে থানা থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়। তাকে রেসকিউ করে আনা হয় ১২ জুন। অভিযুক্তকে ১৮ জুন গ্রেপ্তার করা হয়েছে।” বিচারপতির নির্দেশ, ১২ থেকে ১৩ জুনের রাতের বারুইপুর থানার সিসিটিভি ও এসপি অফিসের ওই একদিনের সিসিটিভি ফুটেজ সংরক্ষণ করতে হবে। ওই মহিলার কোনো ক্ষতি যাতে না হয় তা-ও নিশ্চিত করতে হবে পুলিশকে। সাক্ষীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। আগামী ৩০ জুলাই মামলার পরবর্তী শুনানি।

Card image cap

কাঞ্চনজঙ্ঘা কাণ্ডে বিস্ফোরক কাটিহারের DRM

মালগাড়ির গতি বেশি ছিল। কন্ট্রোলরুমে সে কথা জানিয়েছিলেন এক গেটম্যান। কিন্তু যান্ত্রিক ত্রুটি থাকায় চালকের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। ফোনে সতর্ক করার আগেই দুর্ঘটনা ঘটে যায়। বুধবার সাংবাদিক সম্মেলন করে সে কথা জানালেন কাটিহার ডিভিশনের ডিআরএম সুরেন্দ্র কুমার। তিনি আরও জানান, কেন মালগাড়ির গতি বেশি ছিল, তা জানতে তদন্ত শুরু হয়েছে। চলছে জিজ্ঞাসাবাদ।
বুধবার সাংবাদিক সম্মেলন করেন সুরেন্দ্র কুমার। সেখানেই তিনি জানান, পেপার সিগন্যাল বা ছাড়পত্র পাওয়ার পর মালগাড়ির গতি থাকার কথা সর্বোচ্চ ১০-১৫ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা। নিউ জলপাইগুড়ি থেকে রওনা দেওয়ার পর মালগাড়ির গতি ছিল অনেকটাই বেশি। এক গেটম্যান তা কন্ট্রোলরুমকে জানায়। মালগাড়ি চালককে ফোন করে জানানোর আগেই দুর্ঘটনা ঘটে যায়। কিন্তু কেন অতিরিক্ত গতিতে চলছিল মালগাড়ি, তা জানতে তদন্ত কমিটি গঠন হয়েছে। ৩০ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। ইতিমধ্যে ১০ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়ে গিয়েছে। মঙ্গলবার সাতসকালে মালগাড়ির ধাক্কায় দুমড়ে মুচড়ে গিয়েছে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস। রেলের তরফে জানা গিয়েছে, সোমবার সকাল ৫ টা বেজে ৫০ মিনিট থেকে রাঙাপানি ও আলুয়াবাড়ির মাঝের অটোমেটিক সিগন্যাল বন্ধ ছিল। ফলে সকাল থেকেই ট্রেন চলাচল হচ্ছিল অত্যন্ত ধীর গতিতে। পেপার লাইন ক্লিয়ার টিকিটের মাধ্যমে চলাচল করছিল ট্রেন। সকাল ৮ টা বেজে ২৭ মিনিট নাগাদ পেপার মেমো অর্থাৎ কাগুজে ছাড়পত্র পেয়েই রাঙাপানি স্টেশন ছেড়ে এগোয় কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস। জানা গিয়েছে, কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসকে TA912 ফর্ম দিয়েছিলেন রাঙাপানির স্টেশন মাস্টার। যার ভিত্তিতে সিগন্যাল না থাকলেও নির্দিষ্ট গতিতে ট্রেন এগিয়ে নিয়ে যেতে পারেন চালক।

Card image cap

ডিএ নিয়ে নয়া আপডেট

বিগত বেশ কিছু মাস ধরে একটানা রাজ্য জুড়ে ডিএ নিয়ে বিক্ষোভ চলছে, এই ইস্যুতে দায়ের হয়েছে মামলাও। যদিও বাংলা সরকার তাদের অনুকূলে এখনও পর্যন্ত কিছু ঘোষণা করেনি। এই পরিস্থিতিতে রাজ্য সরকারি কর্মীদের মহার্ঘ ভাতা বৃদ্ধি করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার।


ফের ষষ্ঠ বেতন কমিশনের অধীন ১৪% হারেই মহার্ঘ ভাতা ঢুকবে তাঁদের অ্যাকাউন্টে।


কিন্তু কেন স্রেফ এক মাসের জন্য ১৮% হারে ডিএ মিলবে? এবার সেটারও ব্যাখ্যা দিলেন রাজ্য সরকারি কর্মীদের সংগঠন কনফেডারেশন অফ স্টেট গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজের সাধারণ সম্পাদক মলয় মুখোপাধ্যায়। মলয়বাবু বলেন, 'প্রথমত এপ্রিল মাসে মূল বেতনের সঙ্গে ১০% হারে দিএ যোগ করে মাইনে পেয়েছেন। 


মে মাসে ১৪% হারে মহার্ঘ ভাতা মিলেছে। তবে জুন মাসে ১৪% ডিএর সঙ্গে আরও ৪ শতাংশ যোগ করে ডিএ পাবেন রাজ্য সরকারি কর্মীরা'। তবে জুলাই মাস থেকে কিন্তু পুনরায় ১৪% হারেই মহার্ঘ ভাতা দেওয়া হবে। অর্থাৎ মূল বেতনের সঙ্গে এবার ১৮% ডিএ পেতে চলেছেন তাঁরা।


Card image cap

বড় ঘোষণা মেট্রো রেলের

আগামী সোমবার থেকে বদলাতে চলেছে মেট্রো রেলের রাত্রিকালীন পরিষেবার সময়। ব্লু লাইনে শেষ মেট্রোর সময় বদলাচ্ছে কলকাতা মেট্রো। সোমবার থেকে শেষ মেট্রো রেল ছাড়বে রাত ১০টা ৪০ মিনিটে। মেট্রো রেলের তরফে এই নিয়ে বিস্তারিত জানানো হয়েছে । যাতে অফিস ফেরত থেকে সাধারণ যাত্রীরা আর রাত পর্যন্ত মেট্রো পরিষেবা পায় তার জন্যই রাতের সময়সীমা বাড়ানো হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে কলকাতা মেট্রো রেলের তরফে। এতে যাত্রীদের অনেকটাই সুবিধা হবে বলে অনুমান করা হচ্ছে। এই বিষয়ে মেট্রো রেলের সিপিআরও কৌশিক মিত্র কী জানালেন? শেষ মেট্রো কখন পাবেন যাত্রীরা? সবিস্তর জানতে আসুন দেখে নিন এই ভিডিয়ো।

Card image cap

রেশন দুর্নীতি মামলায় ইডি তে হাজিরা ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তর

রেশন দুর্নীতি মামলায় ইডি দফতরে হাজিরা অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তর। বেলা ১২টা ৪৫ মিনিটে সিজিও কমপ্লেক্সে ইডির দফতরে পৌঁছন অভিনেত্রী। যদিও ঋতুপর্ণা সিজিও-তে পৌঁছনোর কিছু আগে সেখানে পৌঁছন তাঁর হিসাবরক্ষক। ইডি সূত্রে খবর, বেশকিছু হিসাব সংক্রান্ত কাগজপত্র নিয়ে দফতরে পৌঁছছেন তিনি। এদিকে এদিন অভিনেত্রীর সঙ্গে রয়েছেন তাঁর আইনজীবীরাও। যদিও জিজ্ঞাসাবাদ যেখানে করা হবে সেখানে আপাতত আইনজীবীদের ঢুকতে দেওয়া হয়নি বলেই ইডি সূত্রে খবর। এর আগে ২০১৯ সালে রোজভ্যালি মামলায় অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তকে তলব করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। সেই সময়ও ইডি-র দফতরে হাজিরা দিয়েছিলেন অভিনেত্রী


উল্লেখ্য, এর আগে গত ৫ জুন সিজিও কমপ্লেক্সে অভিনেত্রীকে তলব করে ইডি। কিন্তু সেই সময় বিদেশে ছিলেন অভিনেত্রী। তাই ইমেল মারফৎ অভিনেত্রী জানিয়েছিলেন, ওই দিন তাঁর পক্ষে সিজিও কমপ্লেক্সে উপস্থিত থাকা সম্ভব নয়। একইসঙ্গে দেশে ফিরে যোগাযোগ করবেন বলেও জানিয়েছিলেন তিনি। সেই মতোই এদিন তিনি হাজিরা দিতে সিজিও দফতরে পৌঁছলেন বলে মনে করা হচ্ছে।


ইডি সূত্রে খবর, বুধবার ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তকে জিজ্ঞাসাবাদ করার পাশাপাশি তাঁর বয়ানও রেকর্ড করা হতে পারে। সেই কারণে ইতিমধ্যেই এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের মহিলা আধিকারিক সহ একাধিক আধিকারিক তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য সিজিও কমপ্লেক্সে উপস্থিত হয়েছেন।


এদিন সিজিও কমপ্লেক্সে পৌঁছে গাড়ি থেকে নেমে সোজা হেঁটে ইডি দফতরে প্রবেশ করেন অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। সংবাদমাধ্যমের সামনে কোনও কথাই বলতে চাননি তিনি। ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিনেত্রীর একটি সংস্থার নাম জড়িয়েছে রেশন দুর্নীতি মামলায়। দুর্নীতির টাকা ওই সংস্থার অ্যাকাউন্টে ঢুকেছে বলেই সন্দেহ ইডির তদন্তকারীদের। সেক্ষেত্রে কেন বা কী কারণে ওই টাকা নেওয়া হয়েছে, সেই সংক্রান্ত বিষয়ে প্রশ্ন করা হতে পারে অভিনেত্রীকে।


উল্লেখ্য বিগত বেশকিছু মাস ধরেই রেশন বণ্টন দুর্নীতি মামলায় তদন্ত চালাচ্ছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। মামলার তদন্তে গত অক্টোবার মাসে গ্রেফতার করা হয় রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে। এছাড়াও বাকিবুর রহমান, শংকর আঢ্যর বা বিশ্বজিৎ দাসের মতো আরও কয়েকজনকেও গ্রেফতার করা হয়। এমনকী রেশন দুর্নীতি মামলায় তদন্তে শেখ শাহজাহানের বাড়িতে গিয়েও হামলার মুখে পড়তে হয় ইডি আধিকারিকদের। উত্তপ্ত হয়ে ওঠে উত্তর ২৪ পরগনার সন্দেশখালি। আর এবার সেই রেশন বণ্টন দুর্নীতি মামলাতেই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হল টলি অভিনেত্রীকে।

Card image cap

লাভ হচ্ছে না ‘রাতের মেট্রো’য়

জনপ্রিয় হল না রাতের ‘বিশেষ’ মেট্রো পরিষেবা। হচ্ছে না যাত্রী। তাই পরিষেবা চালিয়ে যাওয়া নিয়ে চিন্তায় কর্তৃপক্ষ।
আদালতের গুঁতোয় লোকসভা নির্বাচনের মধ্যেই সোম থেকে শুক্র প্রান্তিক স্টেশন থেকে রাত ১১টায় একটা বিশেষ মেট্রো চালানো শুরু হয়। ২৫ শে মে থেকে চালু হওয়া বিশেষ মেট্রো যদিও বেশিরভাগ দিনই থাকে ফাঁকা। রাত করে বাড়ি ফেরা কিছু অফিসকর্মীকেই নিয়েই ছোটে ট্রেন। স্টেশনে ঢোকার অধিকাংশ গেটও থাকে বন্ধ। ফলে অনেকেই প্রবেশদ্বার খুঁজে না পেয়ে ফিরেও যান। দিন কুড়ি শেষে দেখা যাচ্ছে আপ-ডাউন মিলিয়ে দুটি মেট্রোয় দিনে গড়ে ৬০০ জন করে যাত্রী হচ্ছে। টিকিট থেকে রোজগার হচ্ছে ৬০০০ টাকা। আর এখানেই এই পরিষেবা চালিয়ে যাওয়া নিয়ে কর্তৃপক্ষ নিজেরাই প্রশ্ন তুলেছে। প্রেস বিজ্ঞপ্তি করে তারা জানিয়েছে, একেকটি ট্রিপ চালাতে মেট্রোর খরচ পড়ে ১ লক্ষ ৩৫ হাজার টাকা। অর্থাৎ দুটি মেট্রোয় ২ লাখ ৭০ হাজার। সেইসঙ্গে আরও অন‌্যান‌্য খরচ বাবদ আরও ৫০ হাজার টাকা খরচ হয়। অর্থাৎ ওই মেট্রোটি চালাতে গিয়ে কর্তৃপক্ষের ৩ লক্ষ ২০ হাজার টাকা খরচ হয়। আর আয় হয় মাত্র ছহাজার টাকা।  স্বাভাবিকভাবেই তাই এই মেট্রো ছোটানো নিয়ে কর্তৃপক্ষ চিন্তায়।
যাত্রীদের বক্তব‌্য, শেষ ট্রেন রাত ৯টা ৪০ মিনিটে দমদম ও কবি সুভাষ থেকে ছাড়ার পর এই ট্রেনটি প্রায় দেড় ঘণ্টা বাদে। তাই কেউ যদি শেষ ট্রেন মিস করেন, পরের এই বিশেষ মেট্রো ধরতে তাঁকে দেড় ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হবে স্টেশনে। কেউই তা করবেন না। তাঁদের বক্তব‌্য, মেট্রো যদি সতি‌্যই পরিষেবার সময় বাড়ানো নিয়ে আন্তরিক থাকতো, তাহলে ৯টা ৪০ মিনিটের পর সাড়ে ১০টার মধ্যে অন্তত চারটে মেট্রো চালাত। কিন্তু তা না করে রাত ১১টায় মেট্রো দেওয়া আসলে লোক দেখানো। নির্বাচনের মধ্যে এমন হঠকারি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল।মেট্রোর আধিকারিকদের একাংশ জানিয়েছিল, দেড় ঘণ্টা পর একটা মেট্রো দিলে তা কখনই জনপ্রিয় হতে পারে না। হলও না। ধীরে ধীরে তাই এই পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়ার কথাই জানাবে। কর্তৃপক্ষের বক্তব‌্য, অত রাতে মেট্রো চালাতে গেলে বহু কর্মীকেই বাড়তি সময় থাকতে হয়। টিকিট কাউন্টার থেকে কন্ট্রোলরুম সর্বত্রই লোক থাকেন। বাড়তি সময় কাজের জন‌্য তাঁদের বাড়তি টাকাও দেওয়া হয়। ফলে এত খরচ করেও যাত্রী হচ্ছে না। স্বাভাবিকভাবেই এই বিশেষ পরিষেবা মেট্রো কতদিন টানবে তা নিয়েই তাই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

Card image cap

মালগাড়ির মৃত চালকের বিরুদ্ধে FIR যাত্রীর

কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের দুর্ঘটনার দায় এড়াতে এবার যাত্রীকে ব্যবহার রেলের! না জানিয়েই চৈতালি মজুমদার নামী এক যাত্রীর নাম ব্যবহার করে মালগাড়ির চালক ও সহকারী চালকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়েরের অভিযোগ উঠল রেলের বিরুদ্ধে। নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতেই কি রেল কর্তৃপক্ষের এই পদক্ষেপ? উঠছে প্রশ্ন। কারণ চৈতালিদেবী নিজেই বলছেন তিনি এব্যাপারে কিছুই জানেন না। তিনি কোনও অভিযোগ দায়ের করেনি। তাঁর বাবা চিন্ময় মজুমদারও একই কথা জানান। যদিও জিআরপির দাবি, ওই মহিলা যাত্রী এখন মিথ্যা বলছেন।নিজবাড়ির কাছে সোমবার সকালে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসে পিছন থেকে ধাক্কা মারে মালগাড়ি। ওইসময় কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসে কলকাতা যাচ্ছিলেন লেকটাউনের চৈতালি মজুমদার। তিনি এস-৬ কামরাতে ছিলেন। যখন ধাক্কা লাগে তখন তিনিও আঘাত পেয়ে জ্ঞান হারান। চিকিৎসার জন্য নিউ জলপাইগুড়ি রেলওয়ে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। চৈতালিদেবী জানিয়েছেন, ওই সময় জিআরপি কর্মীরা এসে তাঁর খোঁজ খবর নেন। বাড়ির ঠিকানা নেন। পাশাপাশি তাঁকে একটি সাদা কাগজে স্বাক্ষরও করিয়ে নেন। এর পর তাঁর স্বাক্ষর ব্যবহার করেই মালগাড়ির মৃত চালক অনিল কুমার ও সহকারী চালক মন্নু কুমারের নামে অভিযোগ দায়ের করে বলে দাবি।চৈতালি মজুমদার বলেন, “আমার পায়ে খুব লেগেছিল। আমি আতঙ্কের মধ্যে আছি এখনও। আমি ট্রেনের ভেতরে থেকে বুঝব কী করে ট্রেনে কে ধাক্কা মারল। যে মারা গিয়েছে তাঁকে আমি চিনি না। তাঁর বিরুদ্ধে খামোখা অভিযোগ দায়ের করতে যাব কেন! আমি যখন ভর্তি ছিলাম তখন আমি শুধু ঘটনার বর্ণনা দিয়েছি। তারপর একটা সাদা কাগজে আমার নাম, ঠিকানা লিখে স্বাক্ষর করেছি। আমার নামে যা হচ্ছে তা ভিত্তিহীন।” একই কথা বলেন চৈতালীর বাবা চিন্ময় মজুমদার। তিনি বলেন, “ঘটনার পর সে অজ্ঞান হয়ে পড়েছিল। চালক ও সহকারী চালককে সে চিনত না, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করবে কেন? অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। মেয়ের কাছে যখন জিআরপি এসেছিল তখন আমি ওখানেই ছিলাম। ও এরকম কিছুই করেনি।”

Card image cap

থানার দ্বারস্থ সল্টলেকের বৃদ্ধা মা-বৌদি

সম্পত্তিগত বিবাদের জেরে অবিলম্বে বাড়ি বিক্রি করার চাপ। আর তার জেরেই ছোট ছেলের হাতে আক্রান্ত বৃদ্ধা মা, দাদা ও বৌদি। বিধাননগর উত্তর থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। সল্টলেকের সি এফ ব্লকের বাসিন্দা বৃদ্ধা মিনতি মুখোপাধ্যায়ের বড় ছেলের নাম দেবাশিস ও বৌমা মিলন। তাঁদের নিয়ে তিন তলা বাড়িতে থাকেন।


মিনতির দুই ছেলে এবং এক মেয়ে, ছোট ছেলে কর্মসূত্রে দুবাইতে ছিল। পরবর্তীতে তিনি ফিরে আসেন কলকাতায়। এরপর নিউটাউননেই থাকতে শুরু করেন।


পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরে ছোট ছেলে শুভাশিস বাড়ি এসে মায়ের ওপর মানসিক চাপ তৈরি করতেন প্রতিনিয়ত। গত শনিবারের ঘটনা। অভিযোগ, রাত এগারোটা নাগাদ হঠাৎ শুভাশিস বাড়িতে চড়াও হন। বাড়ির গেট বন্ধ থাকায় হাতুড়ি দিয়ে গেট ভাঙে বলে অভিযোগ।


আওয়াজ পেয়ে বৃদ্ধা মা চিৎকার করেন, শুভাশিসকে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেন তাঁর দাদা বৌদি। এরপর নম্বরে ফোন করে গোটা বিষয়টি পুলিশকে জানানো হয়। পুলিশ আসছে শুনে তড়িঘড়ি ছোট ছেলে শুভাশিস বাড়ি থেকে বেরোনোর চেষ্টা করে। তখন দাদা ও বৌদি তাঁকে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেন। অভিযোগ, অভিযুক্ত বৌদিকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেন বলে অভিযোগ। অভিযোগ, ছোট ছেলে বাড়ির মিটার বক্স ভেঙে ফেলেন, যাতে মা অন্ধকারে থাকেন। বাড়ির জিনিসপত্র ভাঙচুর করেন। পরে থানায় এফআইআর দায়ের করেন বৃদ্ধা।


বৃদ্ধা বলেন, “আমাকে জব্দ করতে বাড়ির সব জিনিস ভাঙচুর করে। আমি ঘরে ছিলাম, তালা দিয়ে দিচ্ছে, মিটার বক্স ভেঙে ফেলছে, টিভি ভাঙছে। থানায় বলেছি। আমার ছোট ছেলে কেন এমন করছে বুঝতে পারছি না, আদৌ সুস্থ রয়েছে নাকি অসুস্থ হয়ে গেল, চিন্তা হচ্ছে।”

Card image cap

কেন্দ্রের সঙ্গে সমতা রেখে ডিএ বৃদ্ধির ঘোষণা রাজ্যের

দারুণ খুশির খবর রাজ্য সরকারি কর্মীদের জন্য! লোকসভা ভোটের কিছুদিন আগেই সরকারি কর্মীদের ডিএ বৃদ্ধি করেছিল কেন্দ্র। একই সঙ্গে বেশ কয়েকটি রাজ্যের সরকারও ডিএ বৃদ্ধি করে। ভোটের পরেও ভালো খবর এল কর্মীদের জন্য।সাম্প্রতিক অতীতে রাজ্য সরকারি কর্মীদের মহার্ঘ ভাতা বৃদ্ধি করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার।


ডিএ বৃদ্ধি বা মহার্ঘ ভাতা বৃদ্ধি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে টানাপোড়েন চলছে সরকারি কর্মীদের মধ্যে। ডিএ বৃদ্ধি নিয়ে ক্ষোভ বিক্ষোভ বা আন্দোলনের কথা কমবেশি সকলেই জানেন। এবার এল আরেক বড় খবর।

একের পর এক সুখবর রাজ্য সরকারি কর্মীদের জন্য। এবার আরও খুললো কপাল। জানিয়ে রাখি নয়া বিজ্ঞপ্তিতে সরকারি কর্মীদের মাইনে বাড়ার ঘোষণা করল রাজ্য সরকার।

রিপোর্ট অনুযায়ী, এই রাজ্যের নির্দিষ্ট কিছু সরকারি কর্মীদের ডিএ বৃদ্ধির ঘোষণা করা হয়েছে। ইদের ঠিক আগেই বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানানো হয়েছে এই খবর। অল ইন্ডিয়া সার্ভিসের অন্তর্ভুক্ত সরকারি কর্মীদের ডিএ বাড়ানো হচ্ছে। যার ফলে একলাফে বেতনও বাড়বে অনেকটাই।


বর্তমানে ৪৬% হারে ভাতা পান এই সকল সরকারি কর্মীরা। এবার তাদের আরও ৪ শতাংশ হারে ডিএ বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। অর্থাৎ এবার থেকে তারা পাবেন ৫০ শতাংশ হারে ডিএ।

অল ইন্ডিয়া সার্ভিসের কর্মীরা অর্থাৎ সে রাজ্যের আইএএস এবং আইপিএস অফিসাররা এই নয়া হারে মহার্ঘ ভাতা পাবেন। ২০২৪ সালের ১ জানুয়ারি থেকে নয়া হারে ডিএ প্রযোজ্য হবে।

সরকারি বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী জানুয়ারি, ফেব্রুয়ারি, মার্চ, এপ্রিল এবং মে মাসের বকেয়া মহার্ঘ ভাতা জুন মাসের বেতনের সঙ্গে সরকারি কর্মচারীদের অ্যাকাউন্ডে ঢুকবে। এই ঘোষণার পর মুখে হাসি ফুটেছে ছত্তিশগড়ের রাজ্য সরকারি কর্মীদের। প্রসঙ্গত, বর্তমানে ৫০% হারে ডিএ পাচ্ছেন কেন্দ্র সরকারি কর্মীরা। জুলাই মাসে ফের তাদের মহার্ঘ ভাতা বাড়তে পারে।

Card image cap

কেন্দ্রকে দুষে ব্যাখ্যা দিলেন মমতা

উত্তরবঙ্গে ভয়াবহ দুর্ঘটনার পর থেকেই সেখানে পৌঁছে যেতে তৎপরতা শুরু করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু রওনা হতে হতে বিকেল হল। বিকেলে দমদম বিমানবন্দর থেকে বাগডোগরাগামী বিমানে মুখ্যমন্ত্রী রওনা হলেন উত্তরবঙ্গের দিকে। আর বিমানবন্দরে দাঁড়িয়ে এই দেরির জন্য আগাগোড়া দুষলেন কেন্দ্রকে, অসামরিক বিমান পরিষেবাকে। উত্তরবঙ্গ যাওয়ার এত কম বিমান কেন? তুললেন এই প্রশ্ন। 
সোমবার সকাল পৌনে নটা নাগাদ ফাঁসিদেওয়ার  কাছে শিয়ালদহগামী কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের পিছনে ধাক্কা মারে একটি  মালগাড়ি। এক্সপ্রেসের ২টি বগি লাইনচ্যুত হয়েছে। এখনও পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ৮। আহতের সংখ্যা ৪৫। এই খবর শুনেই স্থানীয় প্রশাসনকে উদ্ধারকাজে নামার নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। এর পর তিনি নিজেই দুর্ঘটনাস্থলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। শুরু হয় বিমান ও কপ্টারের খোঁজখবর। তবে এই মুহূর্তে উত্তরবঙ্গের আবহাওয়ার পরিস্থিতির কথা বিবেচনা করে কপ্টারের ঝুঁকি নেননি প্রশাসনিক কর্তারা। বিকেলে বাগডোগরাগামী শেষ যাত্রীবাহী বিমানেই মুখ্যমন্ত্রীর যাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। 
আর এই যাত্রা নিয়ে বিমান পরিষেবাকেই দুষলেন মুখ্যমন্ত্রী। দমদম বিমানবন্দরে পৌঁছে তিনি বলেন, ”বিমানের যে এই অবস্থা, আমি তো জানতামই না। দুপুর ১২টা ৪০ এ উত্তরবঙ্গের বিমান। সেটা তো বুক হয়ে গিয়েছে পুরো। তার পর সেই বিকেলে বিমান। মাঝে আর একটাও বিমান নেই। এই কারণেই তো যেতে এত দেরি হচ্ছে। ইন্ডিগোর বিমানে বুক করা হল। প্রথমে বলছিল, এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান। কিন্তু তা নয়। এত কম বিমান উত্তরবঙ্গে যাওয়ার! অথচ এখানে এসেই বিমানগুলো জ্বালানি তেল ভরে। আর যাওয়ার বেলায় সব বাতিল করবে।” 
বিমানবন্দরে দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী জানান, ”আমি ফাঁসিদেওয়া যাব, উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে যাব। আহতদের সঙ্গে দেখা করব। তার পর আমি কোচবিহারে যাব। সেখানে আগামিকাল আমার দুটো কাজ আছে। সেসব সেরে আবার আমি ওখানে ফিরব।” সূত্রের খবর, মঙ্গলবার তিনি যেতে পারেন দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শনে। এই দুর্ঘটনার নেপথ্যে অ্যান্টি কলিশন ডিভাইস না থাকার কথা বললেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর দাবি, ”আমার সময়ে আমি অ্যান্টি কলিশন ডিভাইসের কথা বলেছিলাম। তা এখনও ট্রেনগুলোতে লাগানো হল না বলে এখনও এত দুর্ঘটনা। আমি তো সকাল থেকেই প্রশাসনকে উদ্ধারকাজে নামিয়ে দিয়েছি। দেখুন দুর্ঘটনা তো বলেকয়ে আসে না। তার উপর কারও হাত নেই। কিন্তু তার পর যে পদক্ষেপ নেওয়া হয়, সেটাই গুরুত্বপূর্ণ।”