CATEGORY state:

Card image cap

রেল দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের গার্ড

সপ্তাহান্তে বাড়িতে দারুণ সময় কাটিয়েছিলেন। সোমবার থেকে কাজে ফেরার পালা। ডিউটি ছিল শতাব্দী এক্সপ্রেসে। কিন্তু নিজের কাজেই সেই ডিউটি বদলেছিলেন। ‘অভিশপ্ত’ কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের গার্ড হিসেবে শিলিগুড়ি থেকে চড়েন আশিস দে। আর সেই ডিউটি বদলই যে মৃত্যুর মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দেবে, তা তো দুঃস্বপ্নেও ভাবেননি আশিস দে। সোমবার উত্তরবঙ্গে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসে দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল রেলের গার্ড আশিসবাবুর। যাঁকে সকালবেলাও চনমনে হয়ে বাজার করতে দেখা গেল, দুপুরে কি না ফিরল তাঁরই নিথর দেহ! এ তো অবিশ্বাস্য! কেউ মেনে নিতে পারছেন না যে পঞ্চাশের ‘তরতাজা যুবক’ আশিস দে আর নেই। কিন্তু কাহিনির চেয়ে সত্য অধিক বিস্ময়কর। আর মৃত্যু এমনই এক নিঠুর সত্য! তা এড়িয়ে যাওয়ার সাধ্যি কারও নেই।
।কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের গার্ড ছিলেন আশিস দে।
শিলিগুড়ি পুরসভার ৩২ নং ওয়ার্ডের সুকান্ত পল্লির বাসিন্দা আশিস দে। শতাব্দী এক্সপ্রেসের গার্ড হিসাবে যাওয়ার কথা ছিল তাঁর। কিন্তু নিজের প্রয়োজনেই ডিউটি বদল করে সোমবার সকালে শিয়ালদহগামী কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের গার্ড হয়ে ট্রেনে ওঠেন তিনি। ঘণ্টা দেড়েক যেতে না যেতেই ফাঁসিদেওয়ার রাঙাপানি ও নিজবাড়ির কাছে ভয়াবহ দুর্ঘটনার কবলে পড়ে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস। ট্রেনটির পিছনে সজোরে ধাক্কা দেয় একটি মালগাড়ি। গার্ডের কামরা-সহ দুটি বগি একেবারে দুমড়েমুচড়ে যায়। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় গার্ড আশিস দে-র। শুধু মৃত্যু নয়, তাঁর দেহও পাকিয়ে প্রায় কুণ্ডলীর আকার ধারণ করেছে বলে জানান প্রত্যক্ষদর্শীরা।
কিছুক্ষণ আগে যে স্বামী দিব্যি সুস্থ অবস্থায় গেলেন কাজে, তাঁকে এভাবে ফিরে আসতে দেখতে হবে, এই আশঙ্কা তো স্বপ্নেও ছিল না। আশিসের স্ত্রী দীপিকা দে কান্না চেপে বলছিলেন, ”বহুদিন পর রবিবার রাত্রে গান গাইতে বসেছিলাম দুজনে। একের পর এক গান গাইলাম – ভালোবাসার গান। নিজে কোনওদিন রান্না করত না। কিন্তু রবিবার নিজের হাতে ডিম ভাজল। আর আজ সব শেষ!” কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের পিছনেই ছিল গার্ডের কামরা। ফলে যা হওয়ার তাই। মালগাড়ির ধাক্কায় সেই কামরা কার্যত উড়ে গিয়ে পড়ল ঘাতক ট্রেনের উপর।

Card image cap

কাগুজে সিগন্যালে চলছিল কাঞ্চনজঙ্ঘা!

সাতসকালে মালগাড়ির ধাক্কায় দুমড়ে মুচড়ে গিয়েছে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, মৃত ৮। কার গাফিলতি? কীভাবে দু্র্ঘটনা? তা নিয়ে উঠে আসছে একাধিক তত্ত্ব। একাংশের দাবি ছিল, সিগন্যাল মানেননি মালগাড়ির চালক। এসবের মাঝেই প্রকাশ্যে নয়া তথ্য। দুর্ঘটনার নেপথ্যে উঠে আসছে সিগন্যাল বিভ্রাট!
বিষয়টা ঠিক কী? রেলের তরফে জানা গিয়েছে, সোমবার সকাল ৫ টা বেজে ৫০ মিনিট থেকে রাঙাপানি ও আলুয়াবাড়ির মাঝের অটোমেটিক সিগন্যাল বন্ধ ছিল। ফলে সকাল থেকেই ট্রেন চলাচল হচ্ছিল অত্যন্ত ধীর গতিতে। পেপার লাইন ক্লিয়ার টিকিটের মাধ্যমে চলাচল করছিল ট্রেন। সকাল ৮ টা বেজে ২৭ মিনিট নাগাদ পেপার মেমো অর্থাৎ কাগুজে ছাড়পত্র পেয়েই রাঙাপানি স্টেশন ছেড়ে এগোয় কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস। জানা গিয়েছে, কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসকে TA912 ফর্ম দিয়েছিলেন রাঙাপানির স্টেশন মাস্টার। যার ভিত্তিতে সিগন্যাল না থাকলেও নির্দিষ্ট গতিতে ট্রেন এগিয়ে নিয়ে যেতে পারেন চালক।
এদিকে ৮ টা বেজে ৪২ মিনিট নাগাদ রাঙাপানি স্টেশন ছাড়ে মালগাড়িটি। এতেই মাথাচাড়া দিচ্ছে একাধিক প্রশ্ন। দুটি ট্রেনের মাঝে সময়ের ব্যবধান ছিল ১৫ মিনিট। পেপার মেমোয় যদি কোনও ট্রেন চালানো হয়, সেক্ষেত্রে নিয়মই হচ্ছে গতি প্রতি ঘণ্টায় হবে ১০ কিমি। এতেই প্রশ্ন তবে কীভাবে পনেরো মিনিট ব্যবধানে চলা দুটি ট্রেন এত কাছে এল? তবে কি কাগুজে ছাড়পত্রের নিয়ম মানেননি চালক? তার জেরেই কি বলি হতে হল ৮ জনকে? উত্তর এখনও অধরা। তবে তদন্তে গোটা বিষয়টা স্পষ্ট হবে বলেই মনে করছে রেল।

Card image cap

ঠিক কখন শুরু কলকাতা-সহ দক্ষিণে টানা ঝড়বৃষ্টি

সকাল থেকে রাত বৃষ্টির অপেক্ষায় বঙ্গবাসী। উত্তরবঙ্গে টানা সাতদিন ধরেই প্রবল বৃষ্টি চলছে, দক্ষিণের কিছু কিছু জেলায় প্রায় রোজই বিকেলের পরে হচ্ছে বজ্রবিদ্যুত-সহ ঝড়বৃষ্টি। কিন্তু তাতে কমছে না গরম। দক্ষিণবঙ্গের পশ্চিমে আজও তিন জেলায় তাপপ্রবাহ এবং বাকি জেলায় চরম গরমে অস্বস্তি। আজও বিকেলের পরে দক্ষিণের জেলায় জেলায় ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।পুরুলিয়া, পশ্চিম মেদিনীপুর ও পশ্চিম বর্ধমান জেলায় তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি সঙ্গে গরম ও অস্বস্তিকর আবহাওয়া। আজ আংশিক মেঘলা আকাশ। তবে আগামিকাল থেকে মেঘলা হবে আকাশ। বাড়বে ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা। মঙ্গলবার প্রাক বর্ষার বৃষ্টি শুরু দক্ষিণবঙ্গে। বুধ-বৃহষ্পতিবার থেকে ঝড়-বৃষ্টির পরিমাণ বাড়তে পারে বলে অনুমান আবহাওয়াবিদদের। কলকাতা, হাওড়া, হুগলি ছাড়া বাকি জেলাতে আজ বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ঝড়বৃষ্টির প্রবল সম্ভাবনা। আগামী তিন-চার দিনের মধ্যেই বর্ষামঙ্গল দক্ষিণবঙ্গে।মঙ্গলবার থেকে বৃষ্টির সম্ভাবনা প্রবল কলকাতায়। বুধ ও বৃহস্পতিবার বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি ও ঝড়ের পরিমাণ বাড়বে। আজ আংশিক মেঘলা আকাশ। গরম আর আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি চলবে। সোমবার সকাল থেকে ঘাম প্যাচপ্যাচে পরিস্থিতি, গরমে নাজেহাল সাধারণ মানুষ। আজ বিকেল বা রাতের দিকে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সামান্য সম্ভাবনা। দুর্যোগের দুর্ভোগ বাড়বে উত্তরবঙ্গে। অসম, মেঘালয়, সিকিম ও উত্তরবঙ্গে অতি প্রবল বৃষ্টির সম্ভাবনা মঙ্গলবার। সিকিম, ভুটান, উত্তরবঙ্গ এবং উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যের প্রবল বৃষ্টিতে দুর্যোগের আশঙ্কা। উত্তরবঙ্গে প্রবল বৃষ্টি চলবে আরও চার-পাঁচদিন।

Card image cap

দুর্ঘটনার কবলে কলকাতাগামী কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস

সকাল পৌনে ৯টা নাগাদ নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনের আগে রাঙাপানি স্টেশনে দুর্ঘটনা ঘটেছে।

শিয়ালদামুখী কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসে মালগাড়ির ধাক্কা। মালগাড়ির ধাক্কায় ট্রেনের পিছনের দুটি কামরা লাইনচ্যুত হয়েছে। লাইন থেকে বেরিয়ে উল্টে গিয়েছে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের দুটি কামরা। দুর্ঘটনায় হতাহতের কোনও খবর মেলেনি। সকাল পৌনে ৯টা নাগাদ নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনের আগে রাঙাপানি স্টেশনে দুর্ঘটনা ঘটেছে। আগরতলা থেকে কলকাতাগামী কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসে ধাক্কা মারে মালগাড়ি। উত্তর-পূর্ব ভারতের সঙ্গে রেলপথে যোগাযোগ ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা।
X হ্যান্ডলে উদ্বেগ প্রকাশ করে পোস্ট করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি লেখেন, “এই মাত্র দার্জিলিঙের ফাঁসিদেওয়া এলাকায় ট্রেন দুর্ঘটনার খবর পেলাম। বিশদে এখনও জানতে পারিনি। কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসে মালগাড়ি ধাক্কা মেরেছে শুনেছি। জেলাশাসক, পুলিশ সুপার, চিকিৎসক এবং অ্যাম্বুল্যান্স ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় উদ্ধারকাজ শুরু হচ্ছে।”দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন দার্জিলিংয়ের সাংসদ রাজু বিস্তা। 
 দার্জিলিংয়ের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অভিষেক রায় জানান, এখনও পর্যন্ত দুর্ঘটনাস্থল থেকে এক মহিলা-সহ ৬ জনের দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মৃত্যু হয়েছে মালগাড়ির চালক বিশাল মিশ্র এবং কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের গার্ডেরও। গ্যাসকাটার থাকলেও আপাতত তা ব্যবহার করা হচ্ছে না। প্রাথমিকভাবে উদ্ধারকারী দলের সদস্যরাই বগি কেটে ভিতরে কেউ আটকে আছেন কিনা, তা খতিয়ে দেখছে।  দড়ি বেঁধে দুর্ঘটনাগ্রস্ত কামরা সরানোর বন্দোবস্ত করা হচ্ছে।  দুর্ঘটনার পরই উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। যেতে পারেন ঘটনাস্থলেও। বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। রেলওয়ে বোর্ডের চেয়ারম্যান ও সিইও জয়া বর্মা সিনহা জানালেন, মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৮। আহত ২৫। 

Card image cap

কালীঘাটে চলছে মমতা-অভিষেকের বিশেষ বৈঠক!

এক্সপ্রেস কলকাতা ডেস্ক: আজ ৪জুন, ভোট গণনার দিন। এখনও পর্যন্ত পাওয়া পরিসংখ্যান থেকে ফলাফল ইতিমধ্যে অনেকটাই স্পষ্ট। বাংলায় তৃণমূল এগিয়ে রয়েছে ৩০-এর বেশি আসনে। অন্য দিকে বিজেপি এগিয়ে রয়েছে ১০টিতে। অর্থাৎ বিভিন্ন বুথফেরত সমীক্ষায় ভবিষ্যদ্বাণী যে মিলছে না, সে ব্যাপারে আর তেমন সন্দেহ নেই। মঙ্গলবার সেই ইঙ্গিত স্পষ্ট হতেই কালীঘাটে মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূলের সর্বময় নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে মমতা এবং তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বসল বিশেষ বৈঠক। তৃণমূল সূত্রের খবর, এর পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে, তা নিয়েই মমতা ও অভিষেকের এই বৈঠক।  
অন্য দিকে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পেলেও ঘাড়ের কাছেই নিশ্বাস ফেলছে ইন্ডিয়া জোট। নীতিশ কুমার এবং চন্দ্রবাবু নাইডুর সঙ্গে কংগ্রেসের তরফে যোগাযোগ করা হচ্ছে বলে সূত্রের খবর। এই সময়ে তৃণমূলের অবস্থান কী হবে, তা নিয়েই দীর্ঘ বৈঠক চলছে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের।

Card image cap

কার দখলে এবারের সিংহাসন? কী ইঙ্গিত বুথ ফেরত সমীক্ষার?

এক্সপ্রেস কলকাতা ডেস্ক: ১৯ এপ্রিল থেকে শুরু হয়েছিল দেশের ১৮তম লোকসভা নির্বাচন। আজ ১ জুন। প্রায় দেড় মাস ধরে দেশের ৫৪৩টি লোকসভা কেন্দ্রে সাত দফায় ভোটগ্রহণ চলেছে। ইভিএমে বন্দি হয়েছে জনতা জনার্দনের রায়। তবে এবার পালা ভোটগণনার। গণনার আগে ফলাফলের আভাস মিলবে বিভিন্ন সংস্থার বুথ ফেরত সমীক্ষায়। এর ফলে কোন দলের পাল্লা ভারী, তার একটা পূর্বাভাস পাওয়া সম্ভব হয়। ‘এক্সিট পোলের ইতিহাস’ সংক্রান্ত বই অনুযায়ী, ‘দ্য ইন্সটিটিউট অফ পাবলিক ওপিনিয়ন’ প্রথমবার ১৯৫৭ সালে বুথ ফেরত সমীক্ষা করেছিল। সমীক্ষা সংস্থাগুলি ভোটারদের সঙ্গে কথা বলে ফলের একটা পূর্বাভাস দেওয়ার চেষ্টা করেন। এই আভাসের সঙ্গে আসল ফলফল মিলতেও পারে, নাও মিলতে পারে।
এক্সপ্রেস কলকাতার বুথ ফেরত সমীক্ষা অনুযায়ী, বাংলার ৪২ টি আসনের মধ্যে তৃণমূল পেতে পারে ২৩ টি আসন। বিজেপি পেতে পারে ১৭ টি আসন। বাম-কংগ্রেসের ঝুলিতে যেতে পারে ২ টি আসন। শতাংশের হিসাবে তৃণমূল ৪২.৫ শতাংশ, বিজেপি ৪৩.৭৬ শতাংশ, বাম-কংগ্রেস জোট ৮.৮ শতাংশ ও অন্যান্যরা ৪.৯৪ শতাংশ ভোট পেতে চলেছে। পাশাপাশি দেশের ৫৪৩ টি আসনের মধ্যে সম্ভাব্য এনডিএ জোট পেতে পারে ৩৫৫ টি আসন, ইন্ডি জোট পেতে পারে ১৫৩ টি আসন, অন্যান্যরা পেতে পারে ৩৫ টি আসন।তবে এই সমীক্ষার সত্যতা বোঝা যাবে ৪ জুন, ভোটগণনা ও ফলপ্রকাশের পর।

Card image cap

এমন ব্যবস্থা নেব যে, এদের আগামী প্রজন্মও দুর্নীতি করার আগে ১০০ বার ভাববে: তৃণমূলের বিরুদ্ধে তোপ প্রধানমন্ত্রীর

এক্সপ্রেস কলকাতা ডেস্ক: অশোকনগরে নির্বাচনী প্রচারে এসে ফের বাংলার দুর্নীতি নিয়ে সরব হলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। একই সঙ্গে দাবি করলেন তাঁর আমলে গত ১০ বছরে কেন্দ্রে কোনও দুর্নীতি হয়নি। মোদীর কথায়, “গত ১০ বছরে কেন্দ্রীয় স্তরে একটাও দুর্নীতি হতে দিইনি। বাংলায় দুর্নীতিকারীদের এমন ব্যবস্থা করব যে, এদের আগামী প্রজন্মও দুর্নীতি করার আগে ১০০ বার ভাববে।’’

উল্লেখ্য ঘূর্ণিঝড় রেমালের জেরে দুর্যোগের সাক্ষী থেকেছে কলকাতা সহ রাজ্যের বিভিন্ন জেলা। রাজ্যে নির্বাচনী প্রচারে এসে এবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মুখে উঠে এলে ঘূর্ণিঝড় প্রসঙ্গ। অশোকনগরের সভার শুরুতেই প্রধানমন্ত্রীর বলেন, প্রথমেই মা কালীকে প্রণাম জানাচ্ছি। তাঁর আশীর্বাদেই আমরা সকলে মিলে ঘূর্ণিঝড়ের মোকাবিলা করেছি। ঘূর্ণিঝড়ের উপরে লাগাতার নজর রেখেছিল ভারত সরকার। আমিও লাগাতার যোগাযোগ রেখেছিলাম। আমাদের এনডিআরএফ ও বাকিরা ভালো কাজ করেছে। কেন্দ্রীয় সরকার সবদিক থেকে রাজ্য সরকারকে যতটা সম্ভব সাহায্য করছে।
এদিন অশোকনগরের নির্বাচনী প্রচারমঞ্চে তৃণমূলের বিরুদ্ধে একের পর এক তোপ প্রধানমন্ত্রীর। টেনে আনলেন সন্দেশখালি থেকে কেশপুরের সন্ত্রাসের প্রসঙ্গও। তৃণমূলের পাশাপাশি বাম এবং তারও আগের কংগ্রেস সরকারকে দায়ী করেছেন মোদী। প্রধানমন্ত্রীর কথায়, “পশ্চিমবঙ্গে কারখানা বন্ধ, চাকরি নেই। এই দুর্দশা কে করল? প্রথমে কংগ্রেস লুটেছিল। তার পর বামেরা লুটেছিল। এখন তৃণমূল দুই হাতে লুট করছে। তিনজনেই পশ্চিমবঙ্গের দোষী।”
হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, “তৃণমূল তো দূরে থাক, কারও ক্ষমতা নেই মোদীকে তাঁর সঙ্কল্প থেকে সরিয়ে দেয়। ক্ষমতায় এলে এক এক টাকার হিসাব হবে। দুর্নীতিকারীদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” এর আগে লুট হওয়া ১৭ হাজার কোটি টাকা মানুষকে ফেরত দিয়েছে বিজেপি সরকার। ক্ষমতায় এলে বাংলায় লুট হওয়া টাকাও জনগণকে ফেরত পেতে সাহায্য করা হবে। অশোকনগরের প্রচারমঞ্চ থেকে এমনই বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
এদিন প্রধানমন্ত্রী বলেন, “বাংলায় লাগাতার খুন আর হামলার ঘটনা ঘটছে। ভোটের আগে বিজেপিকে কর্মীদের জেলে ভরা হচ্ছে। এই সব অত্যাচার সত্ত্বেও বিপুল সংখ্যক মানুষ বেরিয়ে এসে নিজের ভোট নিজে দিচ্ছেন।” আবার ওবিসিদের শংসাপত্র বাতিলের প্রসঙ্গও টানেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘‘তৃণমূল এবং জোট ‘ইন্ডিয়া’র আপনাদের উন্নয়নের সঙ্গে কোনও সম্পর্ক নেই। এরা শুধু নিজেদের ভোটব্যাঙ্ককে তুষ্ট করতে চায়। সংবিধানের ক্ষতি হচ্ছে বলে চিৎকার করতে থাকা মানুষদের পশ্চিমবঙ্গে এসে দেখে যেতে বলুন। এখানকার ওবিসিদের ধোঁকা দিয়েছে তৃণমূল। আদালতে তা প্রকাশ্যে এসেছে। কলকাতা হাই কোর্ট বলেছে, ৭৭ মুসলিম সম্প্রদায়কে ওবিসি ঘোষণা করা অসাংবিধানিক। তৃণমূল লক্ষ ওবিসি যুবদের অধিকার কেড়ে নিয়েছে জিহাদিদের মদত জোগানোর জন্য। আদালতের এই সিদ্ধান্তের পর মুখ্যমন্ত্রীর রূপ দেখে আমি স্তম্ভিত। বিচারকদের উপর প্রশ্ন তোলা হচ্ছে। আমি তৃণমূলীদের প্রশ্ন করতে চাই, এ বার কি বিচারকদের পিছনেও গুন্ডা পাঠাবে!’’
তৃণমূলকে আক্রমণ করে মোদী বলেন, ‘‘তৃণমূলের বিধায়ক হিন্দুদের ভাগীরথীতে ভাসিয়ে দেওয়ার কথা বলেছে। এখানকার সন্তরা সেই ভুল শুধরে নেওয়ার অনুরোধ করেছিলেন। কিন্তু তৃণমূল সেই সন্তদেরই গালিগালাজ করেছে। রামকৃষ্ণ মিশন, ভারত সেবাশ্রম, ইস্কনের সন্ন্যাসীদের অপমান করা হয়েছে। ভোটব্যাঙ্ককে খুশি করতে এবং ভোট জিহাদদের এগিয়ে নিয়ে যেতে এমনটা করা হয়েছে।’’
বসিরহাটের প্রার্থী রেখা রেখা পাত্র-র প্রশংসা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘বসিরহাটের প্রার্থী রেখা কত সুন্দর ভাষণ দিয়েছেন! তৃণমূলের এ রকম কোনও নেতা নেই। এক জন গরিবের মেয়েকে সংসদে পাঠাতে বিজেপি কী ভাবে এত বড় পদক্ষেপ করল, তা দেশবাসী দেখল। আমার বিশ্বাস, তিনি নারীশক্তির প্রতিনিধিত্ব করছেন। তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়াই করে চলেছেন। আমি ওঁর সাহসকে কুর্নিশ জানাচ্ছি। রেখাকে দেখে মনে হয় মা দুর্গার পূজারি রেখা। শাহজাহান শেখদের মতো নেতাদের সাহস যাতে না বাড়ে, তার জন্য রেখার জেতা প্রয়োজনীয়। তৃণমূল মাকে ভয় দেখিয়েছে, মাটিকে অপমান করেছে। তাই বাহাদুর বেটি রেখাকে জেতাতে হবে।’’
মোদী আরও বলেন, ‘‘মতুয়াদের কুর্নিশ জানাই। আপনাদের নাগরিকত্ব পেতে কেউ বাধা দিতে পারবে না। কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। সংবিধান এ অধিকার দিয়েছে। তৃণমূল কেন, কোনও শক্তিই মোদীর সংকল্পকে নড়াতে পারবে না।’’

Card image cap

ঘূর্ণিঝড় রেমালের দাপটে রাজ্যে প্রাণ হারালেন ৫ জন!

এক্সপ্রেস কলকাতা ডেস্ক: ঘূর্ণিঝড় রেমালের (Cyclone Remal) জেরে রাজ্যে একের পর এক মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। পূর্ব বর্ধমানের মেমারির কলনাবগ্রামের কোঙারপাড়ার তড়িদাহত হয়ে মৃত্যু হল বাবা ও ছেলের। এছাড়া মহেশতলাতেও তড়িদাহত হয়ে মৃত্যু হয়েছে এক মহিলার। কলকাতা, নামখানা, মহেশতলা, মেমারি, পানিহাটি মিলিয়ে এই নিয়ে রাজ্যে রেমালের দাপটে প্রাণ হারালেন মোট ৫ জন।

রবিবার থেকে মেমারিতে তীব্র ঝড়বৃষ্টি। ফলে বেশ কয়েক জায়গায় ভেঙে গিয়েছে গাছ। এমনকি উপড়ে গিয়েছে কিছু বিদ্যুতের খুঁটিও। সোমবার সকালে মেমারির কলনাবগ্রামের কোঙারপাড়ায় ঝড়ে ভেঙে পড়া কলাগাছ কাটতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু বাবা-ছেলের। কলাগাছের গায়ে বিদ্যুতের তার পেঁচিয়ে ছিল, তারের সংস্পর্শে আসাতেই দুর্ঘটনা। প্রথমে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন বাবা, বাবাকে বাঁচাতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট ছেলে। মৃত ব্যাক্তিদের নাম ফড়ে সিং(৬৪) ও তরুন সিং(৩০)। স্থানীয়রা তড়িঘড়ি তাঁদের উদ্ধার করে প্রথমে বড়শুল হাসপাতাল ও পরে বর্ধমান মেডিকেলে নিয়ে গেলে চিকিৎসক বাবা ও ছেলে দুজনকেই মৃত বলে ঘোষণ করেন।
অন্য দিকে, দক্ষিণ ২৪ পরগনার মহেশতলার ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের নুঙ্গি মেটেপাড়ায় বাড়িতেই তড়িদাহত হয়ে প্রাণ হারান তাপসী দাস নামে এক মহিলা। মৃত অবস্থায় ওই মহিলাকে পড়ে থাকতে দেখেন প্রতিবেশীরা। খবর দেওয়া হয় মহেশতলা থানায়। পুলিশ ও কাউন্সিলর ঘটনাস্থলে পৌঁছন। তড়িঘড়ি তাঁকে উদ্ধার করে বেহালার বিদ্যাসাগর হাসপাতালে দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে।
রেমাল-দুর্যোগের মধ্যে ইতিমধ্যেই মর্মান্তিক মৃত্যুর খবর মিলেছে কলকাতা এবং নামখানাতেও। রবিবার রাতে ঝড়বৃষ্টির মাঝে এন্টালির ১৫ নম্বর বিবির বাগানে বাড়ির কার্নিশের চাঙড় ভেঙে মৃত্যু হয় শেখ সাজিদ নামে এক ব্যক্তির। ক্যামাক স্ট্রিটেও ভেঙে পড়ে বাড়ির একাংশ। এদিকে নামখানার মৌসুনির বাগডাঙায় অশীতিপর এক বৃদ্ধা নিজের বাড়িতেই প্রাণ হারান।
প্রসঙ্গত প্রতিবছরই প্রাকৃতিক দুর্যোগের জেরে একাধিক মৃত্যুর ঘটনা সামনে আসে। সব মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত রাজ্যে রেমালের দাপটে প্রাণ গেল মোট ৫ জনের।

Card image cap

শক্তি বাড়িয়ে ক্রমশ ধেয়ে আসছে ‘রেমাল’! জেনে নিন অবস্থান সাথে জেলা ভিত্তিক হেল্পলাইন নম্বর!

এক্সপ্রেস কলকাতা ডেস্ক: ক্রমশ এগিয়ে আসছে রেমাল। সাগর থেকে ১৬০ কিমি দূরে এই মুহূর্তে। ক্যানিং থেকে দূরত্ব ১৯০ কিলোমিটার। সকাল থেকেই বৃষ্টি শুরু হয়ে গিয়েছে দক্ষিণবঙ্গের প্রায় সব জেলায়। ক্ষয়ক্ষতির আতঙ্কে কাঁপছে বঙ্গের উপকূল ও বাংলাদেশের বিস্তীর্ণ এলাকা। কলকাতা-সহ ৬ জেলায় আজ লাল সতর্কতা। জেলায়-জেলায় সকাল থেকেই ঝড়বৃষ্টি, দমকা হাওয়া, জলোচ্ছ্বাস।

আবহাওয়া দফতরের আপডেট, উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থান ভয়ংকর ‘রেমাল’। বাংলাদেশের মংলাতে ল্যান্ডফল করবে এই ঘূর্ণিঝড়। তবে, ঝড়ের প্রভাব সবথেকে বেশি পড়ার আশঙ্কা দুই ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলি, দুই মেদিনীপুর, নদিয়া জেলায়। ইতিমধ্যেই প্রস্তুতি সেরে রাখছে কলকাতা পুরসভা। দুর্যোগ মোকাবিলায় দুর্যোগ মোকাবিলায় সবরকম প্রস্তুতি নিয়ে রাখছে কলকাতা পুরসভা। ঝড়ের কারণে চালু করে দেওয়া হয়েছে কন্ট্রোল রুম। ২৪ ঘণ্টা চালু থাকছে কন্ট্রোল রুম। নবান্নর কন্ট্রোল রুম নম্বর – 033-2317985 / 033-231 7982 । ঝড়-বৃষ্টির জন্য কলকাতা শহরের বাসিন্দাদের হেল্পলাইন নম্বর হল – 9432610428 / 94326 10429।
প্রসঙ্গত, ঘূর্ণিঝড় রেমালের ল্যান্ডফলের সময় যত এগোচ্ছে রাজ্যজুড়ে খারাপ হচ্ছে আবহাওয়া। সমুদ্র উপকূলবর্তী জেলা পূর্ব মেদিনীপুরে বৃষ্টির সঙ্গে চলছে ঝোড়ো হাওয়া। দীঘার সমুদ্রে কড়া নজরদারি চালাচ্ছে প্রশাসন। ঝড়ের তাণ্ডবের কথা মাথায় রেখে পর্যটকদের দিঘা ছাড়ার আর্জি জানিয়ে মাইকিং করছে প্রশাসন। মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে নামার বারণ রয়েছে। তাঁদেরকে পরিবার নিয়ে সতর্কতা মেনে সমুদ্রতট ছেড়ে সুরক্ষিত জায়গায় সরে যেতে বলা হয়েছে।
জেলাভিত্তিক কিছু হেল্পলাইন নম্বর নীচে দেওয়া হলো:
দক্ষিণ ২৪ পরগনা – 18005325328। হাওড়া – ৬২৯২২৩২৮৭০। উত্তর ২৪ পরগনা – 9073940058, 9073936323 ও 9073940039। পূর্ব মেদিনীপুর – 90739 39804। নদিয়া – 03472-252106, 7548975303 (WBSEDCL কন্ট্রোল রুম নম্বর – 03472-251150)। মালদা – 03512 252 058 / 03512 253 056
এছাড়াও ঝড়ের জন্য প্রস্তুত থাকার জন্য সমস্ত জেলাতেই WBSEDCL-এর তরফে সতর্কতা থাকছে। WBSEDCL জানিয়েছে, 8900793503 / 8900793504 নম্বরে যোগাযোগ করে বিদ্যুৎ সংক্রান্ত অভিযোগ বা জিজ্ঞাস্য থাকলে ফোন করা যাবে। এছাড়া 19121 নম্বরে যোগাযোগ করে অভিযোগ জানানো যাবে। রেমাল নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আজ ঝড় দুর্যোগ হবে। ৬টার পর থেকে এই ঝড় বাড়বে। কোস্টাল এলাকাতে হলেও কলকাতাতে ৮০ থেকে ১০০ কিমি বেগে ঝড় বইবে।”

Card image cap

‘রেমাল’ রুখতে নবান্নে বিশেষ কন্ট্রোল রুম! অন্যদিকে ক্ষতি এড়াতে বাতিল বেশ কিছু দূরপাল্লার ট্রেন!

এক্সপ্রেস কলকাতা ডেস্ক: বাংলার উপকূলে আছড়ে পড়তে চলেছে ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’ (Cyclone Remal)। তার ধাক্কা সামলাতে শুক্রবার থেকেই প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে রাজ্য প্রশাসন। শুক্রবার তাই কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার সচিব রাজীব গৌবা, পশ্চিমবঙ্গ ও ওড়িশা প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। সেইসঙ্গে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা কর্তৃপক্ষের তরফে সতর্কতামূলক নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে দুই রাজ্যে। তার আগে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে নবান্নে বিশেষ কন্ট্রোল রুমের দায়িত্ব নিয়েছে IAS-রা।

উপকূলে ঘণ্টায় ১১০ কিলোমিটার বেগে ঝড় বইতে পারে। ৯০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা বেগে ঝড় বইতে পারে কলকাতায়। একাধিক জেলায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। তীব্র ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়ার আশঙ্কায় বেশ কিছু দূরপাল্লার ট্রেন বাতিল করা হল দক্ষিণ পূর্ব রেলের তরফে। রবিবার ২৬ মে হাওড়া-দিঘা কাণ্ডারী এক্সপ্রেস, পাশকুড়া-দিঘা মেমু, পাশকুড়া-দিঘা ইএমইউ বাতিল করা হয়েছে। আবার ২৭ মে সোমবার দিঘা-পাশকুড়া ইএমইউ, দিঘা-পাশকুড়া মেমু বাতিল করা হয়েছে।
হাওয়া অফিসের সর্বশেষ আপডেট অনুযায়ী, রবিবার মাঝরাতেই পশ্চিমবঙ্গের সাগরদ্বীপ ও বাংলাদেশের খেপুপাড়া উপকূলের মাঝখানে ল্যান্ডফল হতে পারে ঘূর্ণিঝড় রেমালের। শনিবারই শক্তি বাড়িয়ে এই গভীর নিম্নচাপ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। শনিবার থেকেই বাংলার আকাশে তার প্রভাব দেখা যাবে।
ইতিমধ্যেই বৃহস্পতিবার WBCS আধিকারিকদের নিয়ে বিশেষ কন্ট্রোল রুম চালু করা হয়েছে। জেলায় জেলায় কন্ট্রোল রুম চালু করেছেন জেলাশাসকরা। নবান্নে বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের ২৪ ঘণ্টার কন্ট্রোল রুমে এখন থেকেই তুমুল সতর্কতা। ঝড়বৃষ্টিতে সাধারণ যোগাযোগ ব্যবস্থা বিঘ্নিত হলে হট লাইনের মাধ্যমে যাতে যোগাযোগ রাখা যায় তার ব্যবস্থাও করে হয়েছে। সাথে রাজ্যের উপকূলবর্তী এলাকায় বিশেষ সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসাবে বাংলাদেশগামী ওয়েল ট্যাংকারের যাতায়াত বন্ধ রাখা হয়েছে। সকাল থেকে শুরু হয়েছে মাইকিং। মাঝ সমুদ্র থেকে মৎস্যজীবীদের ফিরিয়ে আনা হচ্ছে। পর্যটকদেরও শনিবার সকাল থেকে এলাকা খালি করতে বলা হয়েছে।
বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের সচিব ইতিমধ্যেই রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। শনিবার রাজ্যের ষষ্ঠ দফার লোকসভা নির্বাচন (2024 Lok Sabha Election)। পূর্ব মেদিনীপুরের মতো উপকূলবর্তী জেলায় ভোটগ্রহণ। এ বিষয়ে নবান্নের এক আধিকারিক জানালেন, রবিবার রাতে যেহেতু ল্যান্ডফল তাই নির্বাচন প্রক্রিয়ায় কোনও সমস্যা হওয়ার কথা নয়। ভোট মিটলেই ঝড়বৃষ্টি হওয়ায় কথা। তবু সাবধানের মার নেই। ভোটগ্রহণ কেন্দ্রের আশপাশে শক্ত ছাউনির ব্যবস্থা করা হয়। যাতে বিপর্যয়ের সময় এগিয়ে এলে ভোটাররা যাতে সেখানে বৃষ্টির সময় আশ্রয় নিতে পারেন।
অন্য দিকে বিদ্যুৎ, পূর্ত, জনস্বাস্থ্য কারিগরি, পরিবহণ, শিক্ষা, কৃষি-সহ বিভিন্ন দপ্তরকে সতর্ক করে চিঠি দিয়েছে বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তর। রাস্তাঘাট, জেটি, বন্দরের কোনও ক্ষতি হলে যাতে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় মেরামতি শুরু করতে বলা হয়েছে। কর্মীদের ছুটি বাতিল করল কলকাতা পুরসভা (KMC)। শিক্ষাদপ্তরকে উপকূলবর্তী কিছু স্কুলকে ফাঁকা রাখতে বলা গিয়েছে। যাতে প্রয়োজনে সেসব স্কুলগুলি শেল্টার হিসাবে ব্যবহার করা যায়। নিচু এলাকায় লোকজনদের নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নিয়ে আসার কাজ শুরু হয়েছে। হাসপাতালের নিচতলা থেকে রোগীদের প্রয়োজনে উপরের স্থানান্তরিত করার কথা বলা হয়েছে। সেনা, নৌসেনা ও বায়ুসেনার প্রধানদের সঙ্গে বৈঠক করেছে রাজ্য সরকার। প্রয়োজনে যাতে সাহায্য নেওয়া যায়।

Card image cap

কতটা শক্তিশালী সাইক্লোন রেমাল? বাংলায় কী প্রভাব? জেনে নিন হাওয়া অফিসের বড় আপডেট

এক্সপ্রেস কলকাতা ডেস্ক: ভোটের বাংলায় নতুন আশঙ্কা। আলিপুর আবহাওয়া অফিসের বড় আপডেট, জারি হল ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’-এর সতর্কতা। ২০২১ সালের ২৬ মে বাংলায় দেখা গিয়েছিল সাইক্লোন ইয়াসের প্রভাব। এবার ২০২৪-এ ফের সেই দিনেই ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’-এর আশঙ্কা। আবহাওয়াবিদরা জানাচ্ছেন, বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া নিম্নচাপটি ২৬ তারিখ বিকেলে বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের উপকূলের পৌঁছতে পারে ‘প্রবল ঘূর্ণিঝড়’ রূপে। তবে কোথায় আছড়ে পড়বে, তা এখনও স্পষ্ট নয়।

হাওয়া অফিস বলছে, উত্তর-পূর্ব থেকে উত্তরমুখী হয়ে এগোবে ঘূর্ণিঝড় রেমাল। গতিবেগ থাকবে প্রায় ১০০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা। শনিবার পূর্ব মেদিনীপুর, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস। রবিবার আবার কলকাতা, হাওড়ায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। কলকাতা, হাওড়ায় ৭০-৮০ কিমি প্রতি ঘণ্টার গতিবেগে ঝড় বইতে পারে। উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস। উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ৯০-১০০ কিমি/ঘণ্টা বেগে ঝড় বইতে পারে। হুগলি, দুই মেদিনীপুর, পূর্ব বর্ধমান, নদিয়ায় ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস। হুগলি, দুই মেদিনীপুর, পূর্ব বর্ধমান, নদিয়ায় ৫০-৬০ কিমি/ঘণ্টা বেগে ঝড় বইতে পারে। জলপাইগুড়ি, মালদহ, দক্ষিণ দিনাজপুরে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা। বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে উত্তরবঙ্গেও। দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, আলিপুরদুয়ারে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস।
এই পরিস্থিতিতে আগেভাগেই মৎস্যজীবীদের সাবধান করেছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। যাঁরা সমুদ্রে গিয়েছেন, তাঁদের বৃহস্পতিবারের মধ্যে ফিরে আসতে বলা হয়েছে। মধ্য এবং দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে বৃহস্পতিবার থেকে এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে শুক্রবার থেকে মৎস্যজীবীদের যেতে বারণ করা হয়েছে। আগামী সোমবার পর্যন্ত জারি থাকবে নিষেধাজ্ঞা। পাশাপাশি ইতিমধ্যেই ঘূর্ণিঝড় পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে আগেভাগেই পদক্ষেপ করতে শুরু করেছে রাজ্যের বিদ্যুৎ দফতর। উল্লেখ্য, রিমেল-এর অর্থ বালু। এটি একটি আরবি শব্দ। এই নামটি ওমানের দেওয়া।

Card image cap

দক্ষিণবঙ্গের ছয় জেলায় ফের কালবৈশাখীর পূর্বাভাস, সাথে বৃষ্টির সম্ভাবনা।

তীব্র গরমের মধ্যেই স্বস্তির বৃষ্টি পেয়েছে বাংলা। কয়েকদিন ধরেই বেশ মনোরম আবহাওয়া রয়েছে দক্ষিণবঙ্গে। কিছুক্ষণের মধ্যেই কলকাতায় ফের বৃষ্টি। আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছেন, দক্ষিণবঙ্গের ছয় জেলায় আগামী ২৪ ঘণ্টায় কালবৈশাখীর পূর্বাভাস রয়েছে। ৫০ থেকে ৬০ কিলোমিটার গতিবেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে। সাথে দুই জেলায় রয়েছে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা।

হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস অনুযায়ী দুপুরেই কলকাতায় হতে পারে বিক্ষিপ্ত ঝড়-বৃষ্টি। আগামী ২-৩ ঘণ্টার মধ্যেই বৃষ্টি শুরু হতে পারে। হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। সঙ্গে ঘণ্টায় ৫০ থেকে ৬০ কিলোমিটার গতিবেগে ঝোড়ো হাওয়ার দেখা মিলতে পারে। দুই জেলায় রয়েছে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা। বজ্রপাত থেকে বাঁচতে সাবধানে থাকার পরামর্শ।
আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, শনিবার দক্ষিণবঙ্গে ছয় জেলায় ঝোড়ো বাতাসের তীব্রতা বেশি থাকবে। সোমবার পযর্ন্ত রাজ্যে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ, নদিয়া – এই ৬ জেলায় ব্রজ বিদ্যুৎ-সহ কালবৈশাখী ঝড়ের পূর্বাভাস রয়েছে। মুর্শিদাবাদ ও পূর্ব মেদিনীপুর – এই দুই জেলায় রয়েছে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা। সেই সঙ্গে কলকাতায় শুরু হয়েছে বৃষ্টি। সন্ধ্যার সময়ে ঝড় বৃষ্টির পরিমাণ বাড়বে বলে জানিয়ে আলিপুর আবাহাওয়া দপ্তর। তবে মঙ্গলবার থেকে বৃষ্টির পরিমাণ ধীরে ধীরে কমে আসবে বলে জানাচ্ছে মৌসম ভবন। ফের ঊর্ধ্বমুখী হবে পারদ।

Card image cap

প্রকাশিত হল উচ্চ মাধ্যমিকের ফলাফল, মেধাতালিকায় ৫৮ জন কৃতী। কারা স্থান পেল সেরা দশের তালিকায়? জেনে নিন

এক্সপ্রেস কলকাতা ডেস্ক: ৬৯ দিনের মাথায় হল উচ্চ মাধ্যমিকের ফল প্রকাশ। এ বছর পাশের হার ৯০ শতাংশ। ৬ লক্ষ ৭৯ হাজার ৭৮৪ জন পাশ করেছে। এইবার ৫৮ জন প্রার্থী প্রথম দশে রয়েছেন। এর মধ্যে হুগলির ১৩ জন, বাঁকুড়া ৯ জন, দক্ষিণ ২৪ পরগনা ৭ জন, কলকাতা ৫ জন, পূর্ব বর্ধমান ও পূর্ব মেদিনীপুর ৪ জন।

উচ্চ মাধ্যমিকে ৯০ শতাংশের বেশি নম্বর পেয়েছে মাত্র ৮ হাজার ৩৩১ জন, যা মোট পরীক্ষার্থীর ১.২৩ শতাংশ। ৮০ শতাংশের বেশি নম্বর পেয়েছে মাত্র ৮.৪৭ শতাংশ। ৬০ শতাংশের বেশি নম্বর পেয়েছেন ৪০.৯১ শতাংশ। ৯৭.১৯ শতাংশ পাশ করেছে সায়েন্স গ্রুপে। কমার্সে ৩৮ হাজার ৪২৯ ছাত্রের মধ্যে পাশ করেছে ৯৬.০ শতাংশ। আর্টসে ৫ লাখ ৯৫ হাজার ২৯২-র মধ্যে পাশ করেছে ৮৮.২ শতাংশ। নেপালিতে ৮ হাজার ২৩৯-র মধ্যে ৯২.৯৭ শতাংশ, সাঁতালিতে ১ হাজার ২১২-র মধ্যে পাশ করেছে ৯৩.৬০।
উচ্চ মাধ্যমিকে প্রথম হয়েছে আলিপুরদুয়ারের ম্যাকউইলিয়াম হাই স্কুলের অভীক দাস, দ্বিতীয় নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশনের সৌম্যদীপ সাহা। তৃতীয় মালদহের রামকৃষ্ণ মিশন বিবেকানন্দ বিদ্যামন্দিরের পড়ুয়া অভিষেক গুপ্তা। মেয়েদের মধ্যে যুগ্মভাবে প্রথম হয়েছে প্রতীচী তালুকদার এবং স্নেহা ঘোষ। সব মিলিয়ে তাঁরা চতুর্থ স্থানে। এ ছাড়াও প্রথম দশে রাজ্যের কোন স্কুলের কোন পড়ুয়া রয়েছেন জানার জন্য দেখে নিন সম্পূর্ণ মেধাতালিকা…
১) প্রথম স্থান অধিকার করেছেন আলিপুরদুয়ারের ম্যাকউইলিয়াম হাইস্কুলের ছাত্র অভীক দাস। প্রাপ্ত নম্বর: ৪৯৬।
২) দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেছেন নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশনের ছাত্র সৌম্যদীপ সাহা, প্রাপ্ত নম্বর: ৪৯৫।
৩) তৃতীয় স্থানে রয়েছে মালদহের রামকৃষ্ণ মিশন বিবেকানন্দ স্কুলের ছাত্র অভিষেক গুপ্ত, প্রাপ্ত নম্বর: ৪৯৪।
৪) যুগ্মভাবে চতুর্থ স্থানে রয়েছে কোচবিহারের সুনীতি অ্যাকাডেমির ছাত্রী চতুর্থ প্রতীচী রায় তালুকদার ও চন্দননগরের কৃ্ষ্ণভাবিনী স্কুলের ছাত্রী স্নেহা ঘোষ। প্রাপ্ত নম্বর: ৪৯৩।
৫) পঞ্চম স্থানে রয়েছে ৭ জন। সায়ন্তন মাইতি, কন্টাই হাই স্কুল, কাঁথি। সুস্বাতী কুন্ডু, বাঁকুড়া মিশন গার্লস হাই স্কুল, বাঁকুড়া। সুপ্তোত্থিতা সরকার, বুলবুলচন্ডী গিরিজা সুন্দরী বিদ্যামন্দির, মালদহ। সৌনক কর, স্কটিশ চার্চ কলেজিয়েট স্কুল, কলকাতা। সানন্দা রায়, নবনালন্দা শান্তিনিকেতন উচ্চ বিদ্যালয়, বীরভূম। অঙ্কিত পাল, বেথুয়াডহরি হাই স্কুল, বাঁকুড়া। অর্ণব কর্মকার, রামকৃষ্ণ মিশন বিবেকানন্দ বিদ্যামন্দির, মালদহ। প্রাপ্ত নম্বর: ৪৯২
৬) ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে – রুদ্র দত্ত, মাহেশ শ্রী রামকৃষ্ণ আশ্রম বিদ্যালয়, হুগলি। নিলয় চট্টোপাধ্যায়, নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশন বিদ্যালয়, দক্ষিণ ২৪ পরগনা। শুভদীপ সিনহা মহাপাত্র, বাঁকুড়া বঙ্গ বিদ্যালয়। মনস্বী চন্দ, সুনীতি অ্যাকাডেমি, কোচবিহার। অভ্রকিশোর ভট্টাচার্য, হুগলি কলেজিয়েট স্কুল। সৌম্যজিৎ নন্দী, রামপুরহাট জীতেন্দ্রলাল বিদ্যাভবন, বীরভূম। আফরিন মণ্ডল, মেমারি ভি এস ইনস্টিটিউশন, পূর্ব বর্ধমান। অনিমেষ লায়েক, ইন্দপুর গোয়েঙ্কা হাই স্কুল, বাঁকুড়া। প্রাপ্ত নম্বর: ৪৯১।
৭) সপ্তম স্থানে রয়েছে ৫ জন। সৌমিক ধবল, বাঁকুড়া গভর্নমেন্ট জেলা স্কুল। ঋতব্রত দাস, হুগলি কলেজিয়েট স্কুল। বিদিশা সন্নিগ্রাহী, সিমলি পাল মদন মোহন হাই স্কুল, বাঁকুড়া। অঙ্কিতা সরকার, রায়গঞ্জ করোনেশান হাই স্কুল, উত্তর দিনাজপুর। মহম্মদ শাহিদ, আরামবাগ হাই স্কুল, হুগলি।
৮) অষ্টম স্থানে রয়েছে – অর্ঘ্যদীপ দত্ত, হিন্দু স্কুল, কলকাতা। অস্মিত কুমার মুখোপাধ্যায়, মাহেশ শ্রীরামকৃষ্ণ আশ্রম বিদ্যালয়, হুগলি। সোমশুভ্র কর্মকার, আরামবাগ হাই স্কুল, হুগলি। রুমা কোনার, ভেদুয়াশোল হাই স্কুল, বাঁকুড়া। কৌশিক ঘোষ, গোয়ালযান রিফিউজি হাই স্কুল, মুর্শিদাবাদ। সিঞ্চন দত্ত, বিবর্দ সচ্চিদানন্দ বিদ্যাপীঠ, বাঁকুড়া। প্রাপ্ত নম্বর: ৪৮৯
৯) নবম স্থান – অন্বেষা দত্ত, আলিপুরদুয়ার গার্লস হাই স্কুল। পৃথা দত্ত, চন্দননগর বঙ্গ বিদ্যালয়য়, হুগলি। প্রীতম্বর বর্মণ, তরঙ্গপুর এন কে হাই স্কুল, উত্তর দিনাজপুর। অহন চক্রবর্তী, রামকৃষ্ণ মিশন বয়েজ় হোম হাই স্কুল, রহড়া, উত্তর ২৪ পরগনা। কুশল ঘোষ, তেহট্ট হাই স্কুল, নদিয়া। অদ্বিতীয় বন্দ্যোপাধ্যায়, নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশন বিদ্যালয়, দক্ষিণ ২৪ পরগনা। অর্পণ গোস্বামী, বাঁকুড়া বঙ্গ বিদ্যালয়। অর্ক সাহা, নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশন বিদ্যালয়, দক্ষিণ ২৪ পরগনা। বৃষ্টি পাল, চুঁচুড়া বালিকা বাণী মন্দির, হুগলি। বিতান আহমেদ, সরিষা রামকৃষ্ণ মিশন শিক্ষামন্দির, দক্ষিণ ২৪ পরগনা। উজান চক্রবর্তী, পাঠ ভবন, কলকাতা। প্রাপ্ত নম্বর: ৪৮৮
১০) দশম স্থান – সৃজনী ঘোষ, কৃষ্ণভাবিনী নারী শিক্ষা মন্দির, হুগলি। বৃষ্টি দত্ত, বেগমপুর হাই স্কুল, হুগলি। তন্নিষ্ঠা দাস, পাথফাইন্ডার এইচএস পাবলিক স্কুল, যোধপুর পার্ক, কলকাতা। সোহা ঘোষ, কৃষ্ণভাবিনী নারী শিক্ষা মন্দির, হুগলি। অন্তরা শেঠ, মেঝিয়ারি এস সি এস হাই স্কুল, পূর্ব বর্ধমান। ইন্দ্রাণী সেন, পারুলডাঙ্গা নসরতপুর হাই স্কুল, পূর্ব বর্ধমান। সুকৃতি মণ্ডল, সাঁকরাইল অভয় চরণ হাই স্কুল, হাওড়া। দেবপ্রিয়া বাড়, এগরা ঝাটুলাল হাই স্কুল, পূর্ব মেদিনীপুর। শতপর্ণা মিল, টাকি হাউজ় মাল্টিপারপাস গার্লস হাই স্কুল, কলকাতা। সোহম কোনার, মন্টেশ্বর সাগরবালা হাই স্কুল, পূর্ব বর্ধমান। সোহম মুখোপাধ্যায়, নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশন বিদ্যালয়, দক্ষিণ ২৪ পরগনা। অনীশ ঘড়াই, হলদিয়া গভর্নমেন্ট স্পনসরড বিবেকানন্দ বিদ্যাভবন, পূর্ব মেদিনীপুর। শুভজিৎ ঘোষ, নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশন বিদ্যালয়, দক্ষিণ ২৪ পরগনা। তৌফিক মামুদ, রহিমপুর নবগ্রাম হাই স্কুল, হুগলি। সংসপ্তক আদক, হলদিয়া হাই স্কুল, পূর্ব মেদিনীপুর। অঙ্কিতা ঘোষ, কোচবিহার উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়। প্রাপ্ত নম্বর: ৪৮৭।
উল্লেখ্য, মেধা তালিকায় সবচেয়ে বেশি জায়গা পেয়েছে হুগলি জেলার ছাত্র-ছাত্রীরা। হুগলি থেকে মেধা তালিকায় রয়েছেন মোট ১৪ জন পড়ুয়া।

Card image cap

উচ্চ মাধ্যমিকে প্রথম আলিপুরদুয়ারের অভীক দাস

এক্সপ্রেস কলকাতা ডেস্ক: প্রকাশিত হল  উচ্চ মাধ্যমিকের  ফলাফল । রাজ্যে প্রথম হয়েছেন অভীক দাস। তাঁর প্রাপ্ত নম্বর ৪৯৬।  অভীক আলিপুরদুয়ারের ম্যাকউইলিয়াম হাইস্কুলের ছাত্র। আলিপুরদুয়ারের এই ছাত্রের সাফল্যে পরিবারে কার্যত খুশির হাওয়া।
তাঁর বাবা মা বলেন, 'ও সারাদিন পড়াশোনা করত। খুব পরিশ্রমী।'  ছেলের স্বপ্নপূরণের লক্ষ্যে সমস্তভাবে সাহায্য করবে বলে জানান পরিবার।  অভীক দাস বলেন, 'ভালো পরীক্ষা হয়েছিল। এটা আশা করেছিলাম যে প্রথম পাঁচে থাকব। তবে প্রথম হব আশা করিনি।' তাঁর কথায়, 'ঘড়ি ধরে পড়াশোনা করিনি। যখন মন চেয়েছে পড়েছি। সারাদিন পড়াশোনা করেছি। পড়াশোনাই আমার হ্যাবিট। দিনে আট থেকে দশ ঘণ্টা পড়াশোনা করেছি। আমার ৬টি বিষয়ে ৬ জন গৃহ শিক্ষক ছিল। আমি অ্যাস্ট্রো ফিজিক্স নিয়ে গবেষণা করে বিজ্ঞানী হওয়ার ইচ্ছে রয়েছে।' মাধ্যমিকে রাজ্যে চতুর্থ হয়েছিলেন অভীক।  
উল্লেখ্য, এইবার উচ্চ মাধ্যমিকে মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ৭ লাখ ৫৫ হাজার ৩২৫ জন। 

Card image cap

দুপুর 1টায় উচ্চ মাধ্যমিকের ফল প্রকাশ, কীভাবে রেজাল্ট দেখবেন? জেনে নিন।

এক্সপ্রেস কলকাতা ডেস্ক: অবশেষে প্রতীক্ষার অবসান। আজ ৮ মে দুপুর ১টা নাগাদ আনুষ্ঠানিকভাবে উচ্চ মাধ্যমিকের রেজাল্ট ঘোষণা করবেন সংসদ সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য। পরীক্ষা শেষের ৬৯ দিনের মাথায় ফল প্রকাশ করবে শিক্ষা সংসদ। বিগত বছরগুলির মতো এবারও এক ক্লিকেই ফল দেখতে পাবে ছাত্র-ছাত্রীরা। আনুষ্ঠানিকভাবে রেজাল্ট বের হওয়ার দু’ঘণ্টা পর থেকে অনলাইনে মার্কশিট ডাউনলোডের অনুমতি দিয়েছে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। অর্থাৎ দুপুর 3টে থেকে ওয়েবসাইট, মোবাইল অ্যাপ ও SMS-র মাধ্যমে রেজাল্ট জানতে পারবে ছাত্র-ছাত্রীরা। এরপর ওয়েবসাইট থেকে মার্কশিট ডাউনলোড করে প্রিন্ট আউট নিতে পারবে পরীক্ষার্থীরা।

চলতি বছরে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হয়েছিল ১৬ ফেব্রুয়ারি ও শেষ হয় ২৯ ফেব্রুয়ারি। এই বছরে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ৭ লক্ষ ৯০ হাজার। পরীক্ষাকেন্দ্র ছিল ২,৩৪১টি। এবার সকাল 9টা 45 মিনিট থেকে দুপুর 1টা পর্যন্ত উত্তর লেখার জন্য সময় পেয়েছিল পরীক্ষার্থীরা। হেলথ অ্যান্ড ফিজিক্যাল এডুকেশন, ভিস্যুয়াল আর্টস, মিউজিক ও ভোকেশনাল বিষয়গুলির ক্ষেত্রে অবশ্য 2 ঘণ্টা সময় পেয়েছিল পড়ুয়ারা। দুপুর ৩টে থেকে অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে ফল দেখতে পেলেও আজই মার্কশিট হাতে পাবেন না পরীক্ষার্থীরা। আগামী ১০ মে স্কুলগুলি মার্কশিট দেবে। ওই দিন সকাল ১০টা থেকে স্কুলে গিয়ে মার্কশিট সংগ্রহ করতে পারবেন পরীক্ষার্থীরা। এবার মার্কশিটে নম্বরের পাশাপাশি পার্সেন্টাইলও থাকবে।
উল্লেখ্য, রেজাল্ট দেখার সময় পড়ুয়াদের হাতের কাছে রাখতে হবে অ্যাডমিট কার্ড। ফল দেখার সময় রোল নম্বর ও জন্ম তারিখ লিখতে হবে ছাত্র-ছাত্রীদের। এটা ছাড়া কোন ভাবেই অনলাইনে দেখা যাবে না রেজাল্ট। কী কী ভাবে রেজাল্ট দেখতে পাবে পরীক্ষার্থীরা, জেনে নিন বিস্তারিত...
১) উচ্চ মাধ্যমিকের শিক্ষা সংসদ জানিয়েছে, সংস্থার অফিশিয়াল ওয়েবসাইট থেকে রেজাল্ট দেখত পাবে পড়ুয়ারা। এছাড়া বেশ কয়েকটি বেসরকারি সংস্থার ওয়েবসাইট থেকেও দেখা যাবে ফল। এই ওয়েবসাইটগুলি হল, www.wbchsc.wb.gov.in, www.wbresults.nic.in ও www.results.shiksha। অনলাইনে রেজাল্ট দেখতে প্রথমে পড়ুয়াদের সংসদের ওয়েবসাইটগুলিতে করতে হবে লগ ইন। ওয়েবসাইটের হোম পেজে দেখা যাবে West Bengal Higher Secondary Examinations 2024 – এই লেখাটি। এর উপর ক্লিক করলেই খুলে যাবে একটি পেজ। সেখানে পরীক্ষার্থীকে রোল নম্বর ও জন্ম তারিখ লিখতে হবে। সব শেষে সাবমিট অপশানে ক্লিক করলেই স্ক্রিনে ফুটে উঠবে রেজাল্ট। যা ডাউনলোড করে প্রিন্ট আউট নিতে পারবে পড়ুয়ারা।
২) মোবাইল অ্যাপে রেজাল্ট দেখতে হলে পড়ুয়াদের Google প্লেস্টোর থেকে ডাউনলোড করতে হবে Exametc.com, Uccha Madhyamik Results 2024 , WB HS Result বা FASTRESULT অ্যাপ। এর পর অ্যাপে ঢুকে লিখতে হবে রোল নম্বর ও জন্ম তারিখ। তা হলেই দেখা যাবে ফল।
৩) SMS-এ রেজাল্ট জানতে হলে পড়ুয়াদের মোবাইল ফোনের Write Massage অপশানে গিয়ে লিখতে হবে WB 12। এর পর থাকবে রোল নম্বর। শেষে গোটা SMS-টি পাঠাতে হবে 56070/56263 নম্বরে। SMS পাঠানোর কিছুক্ষণের মধ্যেই পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বর জানতে পারবে সংশ্লিষ্ট ছাত্র বা ছাত্রী।

Card image cap

স্বস্তির বৃষ্টিতেও বিষাদের সুর, একের পর এক মৃত্যু সংবাদ, প্রাণ কাড়ল বজ্রপাত!

এক্সপ্রেস কলকাতা ডেস্ক: অবশেষে হল দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির ছোঁয়া। কিন্তু এই স্বস্তির বৃষ্টির মাঝেও বিষাদ। একাধিক জেলা থেকে মিলেছে মৃত্যুর খবর। বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ঝড়-বৃষ্টির মাঝে পড়ে মৃত্যু হয়েছে অন্তত ছয় জনের। খাস কলকাতায় গাছ ভেঙে পড়েও বিপত্তি বেঁধেছে। আবার ঝড়বৃষ্টির জেরে শিয়ালদহের দক্ষিণ শাখায় বন্ধ ট্রেন চলাচল।

সোমবার বিকেলের দিকে থেকেই জেলায় জেলায় বৃষ্টি শুরু হয়। সন্ধে নামতেই কলকাতা ও শহরতলিতেও মুশলধারে বৃষ্টি নামে। কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া-সহ একাধিক জেলায় ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি নামে। সঙ্গে দোসর বজ্রপাত আর দমকা হাওয়া। তীব্র দাবদাহের থেকে মুক্তি আনা প্রথম বৃষ্টিতেই জেলায় জেলায় কাড়ল প্রাণ। এখনও পর্যন্ত অন্তত ছয় জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া যাচ্ছে বিভিন্ন জেলা থেকে।
কালবৈশাখীর প্রথম ধাক্কাতেই কাটোয়া ও কেতুগ্রামে বজ্রপাতে মৃত্যু হয় দুজনের। জখম একজন। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কাটোয়ার কামাল গ্রামের বাগদিপাড়ার বাসিন্দা উন্নতি মাঝি (৪৯) নামে এক বধূ ভেড়া চড়িয়ে বাড়ি ফেরার সময় বজ্রপাতে আহত হন। তাঁকে কাটোয়া হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। কেতুগ্রামের খাটুন্দি গ্রামে বিশ্বনাথ থান্দার (৬৮) নামে এক ব্যক্তি বজ্রপাতে মারা গিয়েছেন। তিনি মাঠ থেকে গরু চড়িয়ে ফেরার সময় এই ঘটনা ঘটে। কেতুগ্রামের পালিটা গ্রামে সুষ্মিতা সোরেন (১৪) এক কিশোরী বজ্রপাতে জখম হয়।
পুরুলিয়ার আরসা থানা এলাকায় প্রচণ্ড ঝড়-বৃষ্টির মাঝে পড়ে যায় তিন পড়ুয়া ও এক স্থানীয় যুবক। বৃষ্টির হাত থেকে বাঁচতে তাঁরা একটি গাছের তলায় আশ্রয় নেন। সেই সময়েই বজ্রপাত হওয়ায় গুরুতর আহত হন চার জনই। স্থানীয়দের তৎপরতায় তড়িঘড়ি তাঁদের উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় স্থানীয় ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক ২ জনকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। মৃতদের মধ্যে এক জন পড়ুয়া ও অপরজন স্থানীয় যুবক। বাকি দুজনকে স্থানান্তর করা হয়েছে পুরুলিয়া মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে।
পশ্চিম মেদিনীপুরে পিংলা থানা এলাকায় ঝড়ের রাতে আম কুড়াতে গিয়ে বজ্রপাতে মৃত্যু হয়েছে এক ব্যক্তির। মৃত ব্যক্তির নাম পিন্টু সামন্ত। বয়স ৩৫ বছর। জানা যাচ্ছে, ঝড়-বৃষ্টির সময় বাড়ির পিছনেই একটি আম গাছের আম কুড়াতে গিয়েছিলেন তিনি। সেই সময়েই এই দুর্ঘটনা ঘটে।

Card image cap

রাজভবনের ওসির কাছে সিসিটিভি ফুটেজ চাইল লালবাজার

রাজভবনের এক অস্থায়ী মহিলা কর্মী বৃহস্পতিবার বোমা ফাটান দাবি করেন, রাজ্যপাল বোস তাঁর দুবার শ্লীলতাহানি করেন হেয়ার স্ট্রিট থানায় অভিযোগও দায়ের করেন যদিও অভিযোগ খারিজ করে দেন সি ভি আনন্দ বোস এই ঘটনার নেপথ্যে রাজনৈতিক যোগসাজশ রয়েছে বলেই মনে করছেন তিনি আর তার পরই রাজভবনের তরফে বিবৃতি জারি করা হয় এর পর রাজভবনে মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয় এমনকী ভোটের সময় পুলিশ রাজভবনে প্রবেশের ক্ষেত্রেও নিষেধাজ্ঞা জারি হয়

 

যদিও কলকাতা পুলিশের দাবি, রাজভবনের তরফ থেকে এরকম কোনও তথ্য পুলিশের কাছে নেই সে কারণেই ওই তরুণীর অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয় আট সদস্যের SET গঠন করা হয় শুক্রবার রাজভবনে যান ওই বিশেষ তদন্তকারী দলের সদস্যরা তরুণীর অভিযোগ খতিয়ে দেখতে বেশ কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদও করা হয় এই ঘটনার তদন্তে রাজভবনের সিসিটিভি ফুটেজও চেয়ে পাঠানো হয়েছে বলেই খবর

 

সেই অভিযোগের ভিত্তিতে SET গঠন করেছে কলকাতা পুলিশ ডিসি (সেন্ট্রাল) ইন্দিরা মুখোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে আট সদস্যের তদন্তকারী দলও তৈরি করা হয়েছে সূত্রের খবর, রাজভবনের ওসির কাছে সিসিটিভি ফুটেজ চেয়ে পাঠানো হয়েছে

Card image cap

রাজ্যপালের বিরুদ্ধে উঠল শ্লীলতাহানির অভিযোগ! থানায় গেলেন নির্যাতিতা!

এক্সপ্রেস কলকাতা ডেস্ক: রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের বিরুদ্ধে উঠল বিস্ফোরক অভিযোগ। রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধানের বিরুদ্ধে এক মহিলা করলেন শ্লীলতাহানির অভিযোগ। জানা গিয়েছে, ওই মহিলা রাজভবনের অস্থায়ী কর্মী। হেয়ার স্ট্রিট থানায় অভিযোগ দায়ের করতে গিয়েছেন নির্যাতিতা। এই ঘটনার তীব্র সমালোচনায় সরব তৃণমূল।

রাজভবনের এক মহিলা কর্মী রাজ্যপালের বিরুদ্ধে এই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করেছেন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাজভবনে কর্মরত পুলিশদের কাছে ছুটে যান ওই মহিলা। কাঁদতে কাঁদতে শ্লীলতাহানির অভিযোগ করেন। এর পর তাঁকে হেয়ার স্ট্রিট থানায় পাঠানো হয়। কমপক্ষে দুবার তাঁর শ্লীলতাহানি করা হয় বলেই দাবি নির্যাতিতার। ডিসি সেন্ট্রালের সামনে গোটা ঘটনা জানান বলেই পুলিশ সূত্রে খবর। এদিকে, শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলায় তিনটি নির্বাচনী জনসভা রয়েছে। তার আগে বৃহস্পতিবার রাতেই কলকাতায় এসেছেন মোদি। রাজভবনে রাত্রিবাস করবেন। তার আগে এমন নজিরবিহীন অভিযোগ নিয়ে তোলপাড়।
অন্য দিকে অভিযোগ খারিজ করেছেন রাজ্যপাল। বৃহস্পতিবার রাতে রাজ্যপালের তরফে জানানো হয়, ‘সত্যের জয় হবেই। বানানো বিষয় নিয়ে আমি মাথা ঘামাতে চাই না। আমার সম্মানহানি করে কেউ যদি নির্বাচনী ফায়দা তুলতে চান, তাহলে ঈশ্বর তাদের মঙ্গল করুন। কিন্তু বাংলায় সন্ত্রাস এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমার লড়াই কখনও থামবে না।’ বলাই বাহুল্য, শ্লীলতাহানির অভিযোগকে কেন্দ্র করে কড়া সমালোচনায় সরব রাজ্যের শাসক শিবির।
বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যে সরব হয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ সাগরিকা ঘোষ। তিনি তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, ‘বাংলার গভর্নর সিভি আনন্দ বোসের বিরুদ্ধে এক মহিলার শ্লীলতাহানির অভিযোগ। কতটা আতঙ্কজনক এবং ভয়ঙ্কর। কলকাতায় নরেন্দ্র মোদীর সফরের আগে একজন মহিলা অভিযোগ করেছেন যে তিনি আজ রাজভবনে গভর্নরের সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে তার শ্লীলতাহানি করা হয়েছে। অভিযোগ দায়েরের জন্য অভিযোগকারীকে হেয়ার স্ট্রিট থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। মহিলা রাজ্যপালের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ করেছেন।’
রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, ‘আজ রাতে রাজভবনে থাকবেন প্রধানমন্ত্রী। তার আগে এ কী কাণ্ড! থানায় অভিযোগ জমা করছেন এক মহিলা। তার শ্লীলতাহানি করা হয়েছে বলে অভিযোগ রাজ্যপালের বিরুদ্ধে। তিনি নাকি বলেন, সকলের অভিযোগ শুনবেন। পিস রুম কি আসলে নারী সম্মানের পিস হেভেন হয়ে গিয়েছে।’ যদিও, রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধানের বিরুদ্ধে কোনও আইনি পদক্ষেপ নেওয়া যায় কিনা, সে ব্যাপারে আইনজীবীর সাহায্য নিচ্ছে পুলিশ।