CATEGORY games:

Card image cap

বহরমপুর ফিরেই ‘পাঠানি’ জবাব ইউসুফের

ভোটে জয়, প্রথমবার সাংসদ হিসেবে শপথ গ্রহণ। এই পর্ব মিটে যাওয়ার পর আর তাঁকে সেভাবে দেখা যায়নি। আর তাতেই উঠেছিল প্রশ্ন। ‘বহিরাগত’ ক্রিকেটার কি তবে রাজনীতির মাঠে খেলতে ইচ্ছুক নন? বহরমপুরকে কতটাই বা চিনেছেন? সেখানকার মানুষজনের দাবিদাওয়া, চাহিদার জানেনই বা কী? কাজ করবেন কীভাবে? একগুচ্ছ প্রশ্নের মুখের উপর জবাব দিয়ে দিল তাঁর উপস্থিতি। বুধবার বহরমপুরে পৌঁছে তৃণমূলের তারকা সাংসদ ইউসুফ পাঠান সাফ জানিয়ে দিলেন, তিনি নিখোঁজ নন, নিজের কাজ নিয়ে যথেষ্ট ওয়াকিবহাল, দায়বদ্ধ। প্রতিশ্রুতি যা দিয়েছেন, সবই রাখবেন। আর এই ‘পাঠানি’ জবাবে মুখে একেবারে তালা লেগে গিয়েছে নিন্দুকদের!

গত ৪ জুন লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা হয়েছে। ২৫ জুনের মধ্যে সাংসদ হিসেবে সংসদে গিয়ে শপথ নিয়েছেন। তার পর কেটে গিয়েছে দীর্ঘ সময়। কিন্তু একবারও নিজের সংসদীয় এলাকায় যাননি ইউসুফ পাঠান। এমনিতেই তিনি ভোটের লড়াইয়ে নামার পর থেকে একাধিক আলোচনা-সমালোচনার শিকার হয়েছেন। ভোটে জেতার পর তাঁর অদর্শন সেই সমালোচনা আরও বাড়িয়ে তুলেছিল। দলের একাংশই পাঠানকে নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছিলেন। কিন্তু বুধবার সেসবে জল ঢেলে দিলেন পাঠান। বহরমপুরের দলীয় কার্যালয়ে বেশ খোশমেজাজে দেখা গেল তাঁকে। জানালেন, ক্রিকেট খেলতে এতদিন লন্ডনে ছিলেন। তা শেষ হতেই ছুটে এসেছেন এলাকায়।
বহরমপুর তথা বাংলার রাজনীতিতে ‘জায়ান্ট কিলার’ তিনি। পাঁচবারের সাংসদ অধীর চৌধুরীকে হারিয়ে দিল্লিতে গিয়েছেন। তার জন্য তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিশেষ প্রশংসাও পেয়েছেন। ফলে কোনওরকম সমালোচনা মোটেই বরদাস্ত করবেন না। এখন বহরমপুরবাসীর কাজের ভার তাঁর উপর। তা ভালোই বুঝেছেন। তাই তাঁর বার্তা, সমস্ত ক্ষেত্রে কর্তব্য পালনের জন্য পৃথক দায়িত্ববোধ রয়েছে। আর তিনি জানেন কীভাবে তা পালন করতে হয়। ইউসুফের কথায়, ‘‘আমি নিখোঁজ নই। আগেই বলেছিলাম, আমি যেমন রাজনীতিতে দায়বদ্ধ, তেমনই পরিবারের প্রতিও দায়বদ্ধ। ঠিক তেমনই খেলা নিয়েও দায়িত্ব রয়েছে আমরা। আমি খেলেই এত বড় হয়েছি। তবে এখানকার সাধারণ মানুষের জন্য কাজ করার আছে। এখানকার মানুষের কাজ আটকে যেতে কিছুতেই দেব না।’’

Card image cap

অবশেষে বিবাহবিচ্ছেদের ঘোষণা হার্দিক-নাতাশার

হার্দিক-নাতাশার বিচ্ছেদের জল্পনা চলছিল গত কয়েক সপ্তাহ ধরে। অবশেষে সেই জল্পনার অবসান ঘটালেন তারকা ক্রিকেটার। ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করে জানিয়ে দিলেন, তাঁর সঙ্গে নাতাশার বিচ্ছেদের গুঞ্জন সত্যি। একই পোস্ট করতে দেখা গিয়েছে নাতাশাকেও। কিন্তু যুগল জানিয়ে দিয়েছেন পুত্র অগস্ত্যকে একসঙ্গেই বড় করবেন তাঁরা।

সম্প্রতি দেখা গিয়েছিল নিজের ইনস্টাগ্রাম হ্যান্ডেল থেকে ‘পাণ্ডিয়া’ পদবি সরিয়ে নিয়েছেন নাতাশা। ইনস্টাগ্রাম থেকে হার্দিকের সঙ্গে নিজের সমস্ত ছবিও ডিলিট করে দেন তিনি। এর পর থেকেই বাড়তে থাকে গুঞ্জন। সত্যিই কি তাহলে শেষ তাঁদের সম্পর্ক? কিন্তু তা নিয়ে সরাসরি কিছু বলেননি দুজনের কেউই। এবার হার্দিক মুখ খুললেন। সোশাল মিডিয়ায় তাঁকে লিখতে দেখা গিয়েছে, ‘চার বছর একসঙ্গে থাকার পর নাতাশা ও আমি আলাদা হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। একত্রে থাকার সমস্ত রকম চেষ্টা করেছিলাম আমরা।’ এই সিদ্ধান্ত নেওয়া যে অত্যন্ত কঠিন ছিল তাও লিখেছেন হার্দিক। সেই সঙ্গে তাঁদের মধ্যে থাকা পারস্পরিক সম্মান, দাম্পত্য জীবনে সুখী থাকার বিষয়টিও উল্লেখ করেছেন তারকা অলরাউন্ডার। সেই সঙ্গেই উল্লেখ করেছেন অগস্ত্যর ভবিষ্যতের দিকটি। নাতাশা ও তিনি মিলে যে তাঁদের সন্তানকে বড় করে তুলবেন জানিয়ে হার্দিক লেখেন, ‘ওর খুশির জন্য আমাদের পক্ষে যা দেওয়া সম্ভব আমরা দেব।’ প্রায় একই বয়ান নাতাশার পোস্টটিরও।
টি-২০ বিশ্বকাপ জেতার পরও হার্দিক আর নাতাশাকে একসঙ্গে দেখা যায়নি। অনন্ত আম্বানি ও রাধিকা মার্চেন্টের বিয়েতেও হার্দিককে একাই দেখা গিয়েছে। এর মধ্যেই এসপ্তাহে জানা যায়, ব্যাগপত্তর গুছিয়ে নাতাশা নাকি দেশ ছাড়ছেন। পাকাপাকিভাবে হার্দিকের থেকে দূরে যেতেই নাকি এই সিদ্ধান্ত। সেই গুঞ্জনই সত্যি হল। সকলকে নিজেদের সম্পর্কে ইতি টানা সম্পর্কে জানিয়ে দিলেন দুজনই।

Card image cap

নাইট বিদায়ের ক্ষণে কলকাতাকে আবেগঘন বার্তা গম্ভীরের

তোমাদের হাসিতে, আমার হাসি। তোমাদের কান্নায় আমার কান্না।" বিদায়ের ক্ষণে আরও একবার কলকাতাকে একাত্মতার বার্তা দিয়ে গেলেন গৌতম গম্ভীর । হয়তো খানিক কাঁদিয়ে দিয়ে গেলেন সেই সব কেকেআর ভক্তদের, যারা তাঁকে ঘিরেই যাবতীয় স্বপ্ন বুনেছিলেন। বিশেষ ভিডিও বার্তায় কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিদায়ী মেন্টর তথা ভারতীয় ক্রিকেট দলের হেডকোচ গৌতম গম্ভীর বলে গেলেন,  "কলকাতা আমি তোমাদেরই লোক। এতদিন যেটা বেগুনি রংয়ের জন্য করতাম। সেটা এবার নীল রংয়ের জার্সির হয়ে সেটা করার সময় এসেছে। সময় এসেছে তেরঙ্গার জন্য নিজেকে সমর্পণ করার।"

Card image cap

হার্দিককে স্বাগত জানাতে জনজোয়ার ভদোদরার রাস্তায়

ঘরের ছেলে ঘরে ফিরলেন। বিশ্বজয়ের সম্মান মাথায় নিয়ে ভদোদরায় রাজকীয় প্রত্যাবর্তন হার্দিক পাণ্ডিয়ার। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে যাঁর শেষ ওভার জয় এনে দিয়েছিল টিম ইন্ডিয়াকে। এবার তাঁকে প্রাপ্য সম্মান ফিরিয়ে দিলেন ভদোদরাবাসী। রাজপথ অবরোধ করে সাধারণ মানুষ দীর্ঘ প্রতীক্ষা করলেন হার্দিকের আগমনের।

গত কয়েক মাস একেবারেই ভালো যায়নি ভারতের সহ-অধিনায়কের। আইপিএলে ফর্মে ছিলেন না। রোহিত শর্মাকে অধিনায়কত্ব বিতর্কে জেরবার ছিল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। যে মাঠেই নেমেছেন, সেখানেই তীব্র বিদ্রুপ উড়ে এসেছে। তার সঙ্গে ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে জল্পনা চলছে। শোনা যাচ্ছে, স্ত্রী নাতাশা স্ট্যানকোভিচের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক প্রায় শেষ। এমনকী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে তাঁর দলে থাকা নিয়েও সমালোচনা হয়েছিল।
হার্দিক অবশ্য হাসিমুখেই সমস্ত সমস্যা সামলেছেন। শেষ পর্যন্ত ক্রিকেট মাঠে ভালো পারফর্ম করে ভক্তদের থেকে সম্মান পেয়েছেন। শুধু ফাইনালে শেষ ওভারে বল করা নয়। বাংলাদেশের বিরুদ্ধেও হাফসেঞ্চুরি করেছিলেন তিনি। বল হাতে পেয়েছেন ১১টি উইকেট। দেশে ফেরার পর মুম্বইয়ে জনসমুদ্রে ভেসেছিল টিম ইন্ডিয়া। সেখানে ছিলেন হার্দিকও। বিশ্বকাপ ট্রফি হাতে ঢুকেছিলেন ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে।
এবার ঘরের ছেলেকে সম্মান জানাল ভদোদরাও। পাঁচ বছর বয়স থেকে এখানেই থাকে পাণ্ডিয়া পরিবার। রঞ্জিও খেলেছেন বরোদার হয়ে। ভারতের জার্সিতে হুডখোলা গাড়িতে শহরের রাস্তায় ঘুরলেন হার্দিক। পাশে ছিলেন তাঁর দাদা ক্রুণাল পাণ্ডিয়াও। হার্দিককে শুভেচ্ছা জানাতে অসংখ্য মানুষ রাস্তায় নেমে পড়েন। হাত নেড়ে তিনি ধন্যবাদ জানালেন সবাইকে। এর মধ্যে জাতীয় দল থেকেও ভালো খবর আসতে পারে হার্দিকের জন্য। শ্রীলঙ্কা সফরে রোহিত শর্মা বিশ্রামে থাকায় নেতৃত্বের দায়িত্ব আসতে পারে তাঁর কাঁধে।

Card image cap

ইংল্যান্ডকে পরাস্ত করে চতুর্থ বার ইউরো চ্যাম্পিয়ন স্পেন

বার্লিনের অলিম্পিয়াস্তাদিও স্টেডিয়ামে ফাইনাল শুরুর আগে ট্রফি হাতে মাঠে ঢুকছেন জর্জিও চিয়েল্লিনি। গতবারের ইউরো চ্যাম্পিয়ন দল ইটালির তৎকালীন অধিনায়ক। ঠিক সেই সময়ে কী ভাবছিলেন ইংল্যান্ডের বুকায়ো সাকারা? গত ইউরোয় তাঁর জার্সি টেনে ধরার সেই অবিস্মরণীয় মুহূর্ত। আর শেষে টাইব্রেকারে হার। এবার ফের সুযোগ নিজেদের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণের। আর বিপক্ষে এমন একটা দল যাদের ফাইনালে রেকর্ড দুরন্ত। এবারও তারুণ্যের মাধুর্যে মাঠে ফুল ফুটিয়েছেন স্পেনের ইয়ামাল-নিকোরা। আর ফাইনালেও জয় হল স্প্যানিশ আর্মাডার। ট্রফিখরা কাটল না হ্যারি কেনের। গ্যারেথ সাউথগেটের মগজাস্ত্রকে ২-১ গোলে হারিয়ে ইউরো চ্যাম্পিয়ন হল স্পেন । চতুর্থ বার ইউরো জয়ের রেকর্ড লুইস দে লা ফুয়েন্তের দল। যে কৃতিত্ব আর কোনও দেশের নেই। একমাত্র দল হিসেবে টানা সাত ম্যাচ জিতে ইউরোর মুকুট মাথায় পড়ল স্পেন।

Card image cap

টাইব্রেকারে কানাডাকে হারিয়ে কোপায় তৃতীয় স্থান উরুগুয়ের

আর মাত্র তিন মিনিটের অপেক্ষা ছিল কানাডার । ২-১ গোলে এগিয়ে থাকা ম্যাচ আর কিছুক্ষণ ধরে রাখতে পারলেই কোপায় তৃতীয় স্থান অর্জন করে ফেলতেন আলফোন্সো ডেভিসরা। তাও সেটা প্রথমবার অংশগ্রহণ করেই। কিন্তু তাদের সামনে যিনি বাধা হয়ে দাঁড়ালেন, তাঁর নাম লুইস সুয়ারেজ  অতিরিক্ত সময়ে গোল করে বর্ষীয়ান তারকা সমতায় ফেরালেন উরুগুয়েকে । শেষ পর্যন্ত টাইব্রেকারে ম্যাচ জিতে কোপা আমেরিকায় তৃতীয় স্থান ছিনিয়ে নিল তারা।

চলতি টুর্নামেন্টের শুরু থেকেই দুরন্ত ছন্দে ছিল উরুগুয়ে। ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার দাপট থামিয়ে কোপা জেতার অন্যতম দাবিদার ছিল মার্সেলো বিয়েলসার দল। কিন্তু ছন্দপতন ঘটে সেমিফাইনালে। কলম্বিয়ার কাছে শুরু হার নয়, ম্যাচের শেষে মারামারিতেও জড়িয়ে পড়েন ডারউইন নুনেজরা। কানাডার বিরুদ্ধে শুরু থেকে মাঠে থাকলেও কার্যকর হয়ে উঠতে পারেননি তিনি। বাধ্য হয়ে দ্বিতীয়ার্ধে সুয়ারেজকে নামায় উরুগুয়ে।

প্রথমার্ধে ম্যাচের ফলাফল ছিল ১-১। বেন্টাঙ্কুরের গোলে মাত্র ৮ মিনিটেই এগিয়ে গিয়েছিল উরুগুয়ে। কিন্তু কানাডাও প্রমাণ করে দিল, কেন তাদের স্বপ্নের দৌড় চলছে। ২২ মিনিটে গোল শোধ করেন ইসমায়েল কোনে। অফসাইডে একটি গোল বাতিল হয় উরুগুয়ের। ৮০ মিনিটে কানাডাকে এগিয়ে দেন জোনাথান ডেভিড। ব্যাংক অফ আমেরিকা স্টেডিয়ামে ততক্ষণে জয়ের গন্ধ পেয়ে গিয়েছে তারা। কিন্তু আন্তর্জাতিক কেরিয়ারের শেষ লগ্নে দাঁড়িয়ে থাকা লুইস সুয়ারেজের কাছে অঙ্কটা ছিল অন্যরকম। ৯২ মিনিটে উরুগুয়ের ত্রাতা হয়ে উঠলেন তিনি। নির্ধারিত সময়ের শেষে ম্যাচের ফলাফল থাকে ২-২।

কোপায় অতিরিক্ত ৩০ মিনিটের খেলা থাকে না। ফলে ৯০ মিনিটের পর শুরু হয় টাইব্রেকার। সেখানে উরুগুয়ের ভালভের্দে, বেন্টাঙ্কুর, আরাসকেটা আর সুয়ারেজ গোল করেন। কিন্তু কানাডার হয়ে গোল করতে ব্যর্থ আলফোন্সো ডেভিস আর গোলদাতা ইসমায়েল কোনে। টাইব্রেকারে ৪-৩ ব্যবধানে জিতে কোপায় তৃতীয় স্থান নিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হল উরুগুয়েকে।

Card image cap

লর্ডসে শুরু লর্ডসেই শেষ

একদিন লর্ডসে শুরু হয়েছিল ক্রিকেট পরিক্রমা। সেই লর্ডসেই থেমে গেল জিমি রূপকথা। শুরু আর শেষ মিলে গেল একই বিন্দুতে এসে। জেমস অ্যান্ডারসন রূপকথাও থেমে গেল এদিন। লর্ডসে জিতে কেরিয়ার শেষ করলেন অ্যান্ডারসন। 
ইংল্যান্ড-ওয়েস্ট ইন্ডিজ প্রথম টেস্ট কার্যত হয়ে গেল অ্যান্ডরসনেরই টেস্ট ম্যাচ। অনেক আগেই তিনি জানিয়ে দিয়েছিলেন লর্ডসেই শেষবারের মতো নামবেন। জীবনের শেষ ম্যাচে ইংল্যান্ড এক ইনিংস ও ১১৪ রানে প্রথম টেস্ট ম্যাচ জিতে নিল।
ইংল্যান্ডের তারকা বোলার টেস্টে চারটি উইকেট নেন। প্রথম ইনিংসে একটির পর, দ্বিতীয় ইনিংসে তিনটি উইকেট নেন। তাঁর নামের পাশে লেখা রইল ৭০৪টি টেস্ট উইকেট। ২০০৩ সালে জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে লর্ডসেই অভিষেক টেস্ট খেলতে নেমেছিলেন অ্যান্ডারসন। প্রথম টেস্টে পাঁচটি উইকেট নিয়েছিলেন তিনি। সেই শুরু। তার পর সময় যত এগিয়েছে, অ্যান্ডারসন ততই দাপট দেখিয়েছেন। আগের থেকেও শাণিত হয়েছেন তিনি। সেই অ্যান্ডারসনকেই ম্যাঞ্চেস্টারের হোটেলে ডেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল, ২০২৫-২৬ মরশুমের অ্যাশেজে তাঁকে রাখা হচ্ছে না পরিকল্পনায়। সেই বৈঠকের পরই মে মাসের গোড়ায় এক বিবৃতিতে অ্যান্ডারসন জানিয়ে দেন, ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম টেস্টটা খেলেই তিনি টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসর নিচ্ছেন। প্রথম টেস্টে ক্যারিবিয়ানদের বিরুদ্ধে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত প্রাধান্য দেখিয়েছে ইংল্যান্ড। তিন দিনে খেলা শেষ হয়। ওয়েস্ট ইন্ডিজ প্রথম ইনিংসে করে ১২১ রান। ইংল্যান্ড প্রথম ইনিংসে করেছিল ৩৭১ রান। দ্বিতীয় ইনিংসে ক্যারিবিয়ানরা হারাকিরি করে বসে। ১৩৬ রানে থেমে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজরা। বিদায়বেলায় আবেগে ভাসলেন অ্যান্ডারসন। লর্ডসে উপস্থিত দর্শকরা করতালিতে তাঁকে শেষ বিদায় জানালেন। সবুজ মাঠ থেকে ধীরে ধীরে অপসৃয়মান হয়ে গেলেন অ্যানাডরসন। তাঁর ছায়া দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হয়ে ধরা দেবে বিশ্ব ক্রিকেটে। তাঁর অভাব অনুভূত হবে ইংল্যান্ড ক্রিকেটেও।

Card image cap

জিম্বাবোয়ে বধ, সিরিজে এগিয়ে গেল ভারত

সিরিজের প্রথম ম্যাচেই মুখ থুবড়ে পড়েছিল টি-২০ বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। কিন্তু পরের দুই ম্যাচে জিম্বাবোয়েকে ধরাশায়ী করে সিরিজে এগিয়ে গেল মেন ইন ব্লু। অধিনায়ক শুভমান গিলের অর্ধশতরানে ভর করে তৃতীয় ম্যাচে জয় পেল ভারত। ব্যাটারদের পরে জিম্বাবোয়েকে বিপাকে ফেলেন ভারতের বোলাররা। দাপুটে জয় পেয়ে পাঁচ ম্যাচের সিরিজে ২-১ এগিয়ে গেল ভারত। টি-২০ বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পরে প্রথম সিরিজ খেলতে নেমেছিল ভারত । যদিও জিম্বাবোয়ে সফরে যাওয়া ভারতীয় দলে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন দলের অধিকাংশ সদস্য ছিলেন না। তরুণ অধিনায়ক গিলের নেতৃত্বে সিরিজের প্রথম ম্যাচে হেরে যায় ভারত। কিন্তু পরের ম্যাচ থেকেই দুরন্ত কামব্যাক ভারতের। দ্বিতীয় ম্যাচে জিতে ভারত সিরিজে সমতা ফেরায়।বুধবার সিরিজের তৃতীয় ম্যাচে টস জিতে ব্যাট করতে নামে ভারতে। এদিন ম্যাচে নামেন শিবম দুবে, যশস্বী জয়সওয়াল এবং সঞ্জু স্যামসন। এই তিনজনেই ছিলেন টি-২০ বিশ্বকাপজয়ী ভারতের দলে। তবে ইনিংসের শুরুতেই আউট হয়ে যান যশস্বী। গত ম্যাচে সেঞ্চুরি হাঁকানো অভিষেক শর্মাও দ্রুত প্যাভিলিয়নে ফেরেন। সেখান থেকে ম্যাচের হাল ধরেন অধিনায়ক গিল এবং ঋতুরাজ গায়কোয়াড়। ৬৬ রান করেন গিল। ঋতুরাজের ব্যাট থেকে আসে ৪৯ রান। নির্ধারিত ২০ ওভারের শেষে ১৮৪ রান তোলে ভারত, ৪ উইকেট খুইয়ে। 

তবে এদিন ভারতকে ম্যাচ জেতান বোলাররা। দ্বিতীয় ওভারেই প্রথম উইকেট হারায় জিম্বাবোয়ে । প্রথম সাত ওভারে ৫টি উইকেট চলে যায় তাদের। ডিয়ন মেয়ার্স ৬৫ রান করে চেষ্টা করলেও লাভ হয়নি। ভারতীয় বোলারদের দাপটে ২০ ওভারের শেষে ১৫৯ রানে থেমে যায় জিম্বাবোয়ে। তিনটি উইকেট পান ওয়াশিংটন সুন্দর। দুইটি উইকেট যায় আভেশ খানের ঝুলিতে। ২৩ রানে ম্যাচ জেতে ভারত। 

Card image cap

কোচ হিসেবে নাম ঘোষণার পর দেশকে গর্বিত করার বার্তা গম্ভীরের

দেশের সেবা তাঁর কাছে অগ্রাধিকার পায় সবসময়ে। কঠিন সময়ে তাঁর চওড়া ব্যাটে জয়ের স্বপ্ন দেখেছে ভারত। সেই গৌতম গম্ভীর  ফের ফিরলেন জাতীয় দলে। তবে এবার তাঁর ভূমিকা বদলে গেল। ক্রিকেটকে বিদায় জানিয়েছেন আগেই।
টিম ইন্ডিয়ার হেডস্যর হিসেবে আবির্ভাব ঘটল গৌতম গম্ভীরের। এর আগে আইপিএলে মেন্টর, কোচ হিসেবে তাঁকে দেখা গেলেও জাতীয় দলের কোচ হিসেবে এবারই প্রথমবার। মঙ্গলবার বোর্ড সচিব জয় শাহ সোশাল মিডিয়ায় জানিয়ে দিলেন, গৌতম গম্ভীরই ভারতের পরবর্তী কোচ।  রাহুল দ্রাবিড়ের জুতোয় পা গলাচ্ছেন তিনি। এই ঘোষণার অব্যবহিত পরেই গৌতম গম্ভীর সোশাল মিডিয়ায় লিখলেন, ''ভারতই আমার পরিচয়। দেশের সেবা আমার জীবনে অগ্রাধিকার পায়। জাতীয় দলে ফিরতে পেরে আমি সম্মানিত। যদিও এবার ভিন্ন টুপি পরে মাঠে নামব। তবে আমার লক্ষ্য বদলাচ্ছে না। ভারতকে গর্বিত করাই আমার এক ও একমাত্র লক্ষ্য হবে।''গৌতম গম্ভীরের হাতে দেশের ক্রিকেটের রিমোট কন্ট্রোল হাতে উঠল। বিরাট কোহলির সঙ্গে তাঁর মাঠের দ্বৈরথ নিয়ে কম কালি খরচ হয়নি সংবাদমাধ্যমে। কোহলির মতো সুপারস্টার ক্রিকেটারকে কীভাবে সামলান গম্ভীর, সেটাও দেখার। তাছাড়া রাহুল দ্রাবিড় তাঁর কোচিং অধ্যায় শেষ করেছেন দারুণ ভাবে। বার্বাডোজে টি-টোয়েন্টি বিশ্বজয় করে ন্যায়বিচার পান রাহুল দ্রাবিড়। তাঁর ছেড়ে যাওয়া চেয়ারেই বসছেন গৌতম গম্ভীর। ২০১১ বিশ্বকাপ ফাইনালে গৌতম গম্ভীরের সেই অসাধারণ ৯৭ রানের স্মৃতি দেশের ক্রিকেটপ্রেমীদের স্মৃতিতে এখনও সতেজ। তাঁর ও মহেন্দ্র সিং ধোনির পার্টনারশিপ ভারতীয় দলের বিশ্বজয়ের পথ প্রশস্ত করেছিল। সেই গৌতম গম্ভীর জাতীয় দলের হেডস্যর হওয়ার পরে জানান, ''মেন ইন ব্লুর কাঁধে ১.৪ বিলিয়ন মানুষের স্বপ্ন। আমি আমার সব ক্ষমতা দিয়ে এই স্বপ্ন পূরণ করব।''

Card image cap

কোপার ফাইনালে আর্জেন্টিনা

কোপা আমেরিকার ফাইনালে আর্জেন্টিনা। আলভারেজ ও মেসির গোলে নীল-সাদা জার্সিধারীরা ২-০ গোলে হারাল কানাডাকে। ২২ মিনিটে আলভারেজ গোল করে এগিয়ে দেন আর্জেন্টিনাকে। ৫১ মিনিটে সেই কাঙ্খিত মুহূর্ত। চলতি কোপায় প্রথম গোল পেলেন মেসি। ওই ২-০ গোলেই শেষ পর্যন্ত ফাইনালের পাসপোর্ট জোগাড় করে নিল গত বারের কোপা চ্যাম্পিয়নরা। সেই সঙ্গে স্পেনকে ছুঁতে আর এক কদম বাকি মেসিদের। টানা তিনটি মেগা আন্তর্জাতিক খেতাব জিতে নজির গড়েছিল স্পেন। আর্জেন্টিনাও সেই পথেই এগোচ্ছে। এবারের কোপা ফাইনাল জিতে চ্যাম্পিয়ন হলেই স্পেনের সেই কীর্তি ছুঁয়ে ফেলবে স্কালোনির দল।
২০২১ সালে কোপা আমেরিকা জয়ের পর ২০২২ সালে বিশ্বকাপও জেতে আর্জেন্টিনা। এবারও লাতিন আমেরিকার শ্রেষ্ঠত্বের পথে নীল-সাদা জার্সিধারীরা। আর এক ধাপ কেবল বাকি। এদিন শুরুটা খারাপ করেনি কানাডা। আর্জেন্টিনার রক্ষণের সামনে এসে তারা আর শেষটা করতে পারেনি। স্কালোনির আর্জেন্টিনা আবার গুছিয়ে নিতে একটু সময় নেয়। ২২ মিনিটে এগিয়ে যায় আর্জেন্টিনা। কানাডার ডিফেন্সে দুই ডিফেন্ডার অ্যালিস্টার জনস্টন ও ময়েস বোম্বিতোর মাঝে সুযোগের অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে ছিলেন আলভারেজ। মাঝ মাঠ থেকে আলভারেজের ঠিক সামনে বল ফেলেন ডি পল। ডান পায়ে রিসিভ করে গোল করেন আলভারেজ। ফোরলান, রোমারিও ও মেসির পর চতুর্থ খেলোয়াড় হিসেবে কোপা আমেরিকা ও বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে গোল করলেন ম্যানচেস্টার সিটির এই ফরোয়ার্ড।
বিরতির ঠিক আগে গোলের সুযোগ পেয়েছিলেন মেসি। ডি মারিয়ার পাস আলভারেজ ডামি করলে বল পেয়ে যান মেসি। প্রথম টাচে ডিফেন্ডার জনস্টনকে বোকা বানিয়ে শট নিলেও সেটি বাইরে চলে যায়। ৫১ মিনিটে আসে সেই কাঙ্খিত মুহূর্ত। চলতি কোপায় প্রথম গোল পান মেসি।
এনজো ফার্নান্দেজের শট থেকে মেসি পা ছুঁয়ে নিজের প্রথম গোলটি করেন কোপায়। কানাডা অবশ্য অফসাইডের অভিযোগ তুলেছিল। কিন্তু রেফারি রিপ্লে দেখে গোলের বাঁসিই বাজান। গোলের সুযোগ পেয়েছিল কানাডাও। কিন্তু এমি মার্টিনেজ তৎপর থাকায় গোল করতে পারেনি কানাডা।

Card image cap

লন্ডনের ইস্কনের মন্দিরে কীর্তন শুনলেন কোহলি

১৩ বছরের শাপমুক্তি ঘটেছে বার্বাডোজে। অধরা বিশ্বকাপ জিতে দেশে ফেরার পরদিনই লন্ডনে উড়ে গিয়েছেন বিরাট কোহলি ও অনুষ্কা শর্মা। বিলেতের ইস্কনের মন্দিরে বিরাট ও অনুষ্কাকে কীর্তন শুনতে দেখা গেল। সেই ভিডিও ভাইরাল হয়ে গিয়েছে সোশাল মিডিয়ায়। ভিডিওয় দেখা যাচ্ছে সাদা পোশাকে ইস্কনের মন্দিরে গিয়েছেন অনুষ্কা। কোহলির পরনে কালো টি শার্ট। সেই ইস্কনের মন্দিরে তারকা দম্পত্তি মবড হননি। 
বিশ্বজয়ের পরে হারিকেন বেরিলের জন্য বার্বাডোজে আটকে ছিল ভারতীয় দল। বৃহস্পতিবার সকালে দিল্লি বিমানবন্দরে পা রাখে টিম ইন্ডিয়া। সেখানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে সাক্ষাৎ করে টিম ইন্ডিয়া। তার পরে ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে সেলিব্রেশনে মেতে ওঠেন বিশ্বজয়ী দলের সদস্যরা।  বিরাট কোহলি আলাদা করে জশপ্রীত বুমরাহর অবদানের কথা বলেন ২০১১ সালের বিশ্বজয়ের মাঠে। সেলিব্রেশন শেষ হওয়ার পরেই মুম্বই বিমানবন্দরে দেখা যায় বিরাটকে। লন্ডনের উদ্দেশে রওনা হন কিং কোহলি। সেখানেই সপরিবারে সময় কাটাচ্ছেন বিরাট-অনুষ্কা। ছুটির মেজাজে কোহলি। বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্ব, নক আউট পর্বে ব্যর্থ হলেও ফাইনালে কোহলির ব্যাট ঝলসে ওঠে। দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন তিনি। ম্যাচের সেরাও হন তিনি। 

Card image cap

জিম্বাবোয়ের কাছে হার ভারতের তরুণ ব্রিগেডের

বিশ্বকাপ জয়ের পর টি-টোয়েন্টি থেকে অবসর নিয়েছেন রোহিত শর্মা-বিরাট কোহলি। সেই তালিকায় নাম লিখিয়েছেন অলরাউন্ডার রবীন্দ্র জাদেজাও। এবার নতুনদের পালা ভারতের জয়রথ এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য। জিম্বাবোয়ে সফরকে তারই প্রস্তুতিপর্ব বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। একঝাঁক নতুন মুখে সমৃদ্ধ দল নিয়ে প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচে নেমেছিল টিম ইন্ডিয়া। কিন্তু শেষ পর্যন্ত জিম্বাবোয়ের কাছে টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে ১৩ রানে হারতে হল শুভমানদের।
এদিন হারারের মাঠে টসে জিতে প্রথম বল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন অধিনায়ক শুভমান গিল। যুক্তি ছিল, রান তাড়া করতেই অনেক বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করবেন তাঁরা। এদিন ভারতের জার্সিতে টি-টোয়েন্টিতে অভিষেক ঘটে রিয়ান পরাগ, ধ্রুব জুরেল ও অভিষেক শর্মার। দাপটের সঙ্গেই শুরু করেছিলেন মুকেশ কুমাররা। দ্বিতীয় ওভারেই জিম্বাবোয়ের ব্যাটার ইনোসেন্ট কাইয়াকে বোল্ড করে দেন তিনি। তার পরই শুরু হয় রবি বিষ্ণোইয়ের ম্যাজিক। আইপিএলেও ভালো ফর্মে ছিলেন। কিন্তু টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মূল দলে ঠাঁই হয়নি। এদিন তাঁর স্পিন ঘূর্ণিতে আউট হয়ে ফিরলেন বেনেট, মাধেবেরেরা। বিষ্ণোই ৪ ওভারে মাত্র ১৩ রান দিয়ে তুলে নিলেন ৪ উইকেট। শেষ পর্যন্ত জিম্বাবোয়ের ইনিংস থামে ১১৫ রানে।সহজ লক্ষ্য, পিচে স্পিন থাকলেও তেমন কিছু বিপজ্জনক নয়। নতুনদের কাছে সুযোগ ছিল নিজেদের প্রমাণ করার। রোহিত-বিরাট না হোক, নিজেদের নাম ভারতের জার্সিতে নিজেকে তুলে ধরার। কিন্তু সিকান্দার রাজার স্পিনের কাছে যে এভাবে আত্মসমর্পণ করবেন শুভমানরা, তা কে জানত! অভিষেকে ব্যর্থ অভিষেক শর্মা। শূন্য রান করে ফিরলেন রিঙ্কুও। রুতুরাজ থেকে রিয়ান, কারোর ব্যাটেই রান নেই। একমাত্র চেষ্টা করলেন শুভমান গিল। ২৯ বলে ৩১ রান করে সিকান্দার রাজার বলে আউট হয়ে ফিরলেন তিনি। শেষ পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যান ওয়াশিংটন। কিন্তু ১০২ রানে সব উইকেট হারিয়ে থেমে গেল ভারতের লড়াই। সিরিজের প্রথমটি হেরে যাত্রা শুরু করল টিম ইন্ডিয়া। তবে এই দলই ফের কামব্যাক করতে পারে। হার থেকে শিক্ষা নিয়েই ফের নতুন যাত্রা শুরু করবে টিম ইন্ডিয়া। পরের ম্যাচে সেই সুযোগ থাকছে শুভমানদের কাছে।

Card image cap

কোপা থেকে বিদায় ব্রাজিলের

ছন্দহীন সাম্বা বনাম অপরাজেয় উরুগুয়ে। কোপার শেষ চারে কে পৌঁছবে, তা নির্ধারণ করতে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের সাক্ষী থাকল নেভাডা। ৯০ মিনিটের সেয়ানে সেয়ানে টক্কর গড়াল পেনাল্টিতে। চাপের মুখে পেনাল্টি মিস করে সমস্যায় পড়ল দুই দলই। তবে সাম্বাদের থামিয়ে কোপার সেমিফাইনালে চলে গেল উরুগুয়ে। উগার্তের পেনাল্টি জালে জড়িয়ে যেতেই স্বপ্নভঙ্গ সেলেকাওদের।
উরুগুয়ে চলতি কোপাতে একটাও ম্যাচ হারেনি। শুধু তাই নয়, একই সঙ্গে ২০২৬ বিশ্বকাপ যোগ‌্যতা নির্ণায়ক পর্বে ব্রাজিলকে তারা হারিয়েওছে। অপর দিকে, সাম্প্রতিক সময়ে সাম্বাবাহিনীর পারফরম‌্যান্স মোটেই চোখ ধাঁধানো নয়। কোপাতেই তারা জিতেছে মাত্র একটি ম‌্যাচে। ড্র করেছে দু’টিতে। নিজের ছন্দে নেই ব্রাজিল। সেই কার্ড সমস্যায় দলের অন‌্যতম ভরসা ভিনিসিয়াস জুনিয়রকে বাদ দিয়েই অপ্রতিরোধ্য উরুগুয়ের বিরুদ্ধে শেষ আটের যুদ্ধে নেমেছিল ব্রাজিল।
তবে কোয়ার্টার ফাইনালে যেন অন্য এক ব্রাজিলকে দেখতে পেল ফুটবলবিশ্ব। এদিন প্রথম থেকেই মাঠে ছিলেন তরুণ এনড্রিক। গোটা ম্যাচে সেভাবে সুযোগ তৈরি করতে না পারলেও, উরগুয়ের দখলে বল যেতে দেননি রাফিনহারা। মূলত মাঝমাঠেই খেলা হল নির্ধারিত ৯০ মিনিটে। ম্যাচের বয়স যখন ১৪ মিনিট, রাফিনহার শটে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ ছিল ব্রাজিলের কাছে। কিন্তু বারে শট মারলেন তারকা। ২৮ মিনিটে নিজে শট না করে রাফিনহাকে বল বাড়ান এনড্রিক। সেখানেও গোলের সুযোগ হাতছাড়া হয় সেলেকাওদের। ৩৫ মিনিটে নুনেজের শটে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ ছিল উরুগুয়েরও।

ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে আক্রমণ করে গোল করার বদলে নিজেদের রক্ষণ মজবুত করতেই বেশি মনোযোগী দেখাল দুই দলকে। ৭২ মিনিটে রড্রিগোকে বিশ্রি ট্যাকল করে লাল কার্ড দেখেন উরুগুয়ের নাহিতান নান্দেজ। কিন্তু ১০ জনের উরুগুয়েকে পেয়েও গোল করতে পারেনি ব্রাজিল। নির্ধারিত সময়ের শেষে খেলা গড়াল পেনাল্টি শুটে, কারণ চলতি কোপায় এক্সট্রা টাইমের নিয়ম নেই।

পেনাল্টি মারতে এসে গোল করেন ভালভার্দে, কিন্তু মিলিতাওয়ের প্রথম শট বাঁচিয়ে দেন গোলকিপার রোশে। ব্রাজিলের তৃতীয় পেনাল্টিও পোস্টে মারেন ডগলাস। উরুগুয়ের চতুর্থ শট বাঁচালেও একেবারে শেষ শটে গোল করেন উগার্তো। কেটে ফেলেন সেমির টিকিট। অন্যদিকে, অপর কোয়ার্টার ফাইনালে পানামাকে ৫-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে কলম্বিয়া। দুবার পেনাল্টি পায় তারা। দুবারই গোল করেন কলম্বিয়া ফুটবলাররা। শেষ চারে তারা খেলবে বিরুদ্ধে।

Card image cap

জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে ভারতের ত্রয়ীর T20I অভিষেক,

হারারেতে জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে প্রথম টি২০ আন্তর্জাতিকে টস জিতে ফিল্ডিং নিলেন ভারত অধিনায়ক শুভমান গিল। তিনজনের টি২০ আন্তর্জাতিক অভিষেক হলো।


ভারতের টি২০ দলে আজ সুযোগ পেলেন রিয়ান পরাগ, অসমের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে দেশের হয়ে তিনি খেলবেন। রয়েছেন ধ্রুব জুরেল ও অভিষেক শর্মা।


পাঞ্জাবের অলরাউন্ডার অভিষেক শর্মা যে তাঁর ওপেনিং পার্টনার হবেন, তা গতকালই জানিয়ে দিয়েছিলেন শুভমান গিল। এবারের আইপিএলে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের হয়ে দ্রুততম, ১৬ বলে অর্ধশতরান করেছিলেন অভিষেক। ১৬ ম্যাচে তিনটি অর্ধশতরান-সহ ৪৮৪ রান করেন। সবচেয়ে বেশি ৪২টি ছয় মারেন।


এর আগে, ২০১৮ সালে দিল্লি ডেয়ারডেভিলসে তিনি সই করেন ১৭ বছর বয়সে। আরসিবির বিরুদ্ধে আইপিএল অভিষেকে ১৯ বলে ৪৬ করেছিলেন। ভারতের অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপজয়ী দলের এই সদস্য ১০৪টি টি২০ ম্যাচে ২৬৭১ রান করেছেন। তিনটি শতরান ও ১৬টি হাফ সেঞ্চুরি রয়েছে। ২০১৯ থেকে রয়েছেন সানরাইজার্সে।


অসমের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে আজ ভারতীয় দলে অভিষেক হলো রিয়ান পরাগের। এবারের আইপিএলে তিনি তৃতীয় সর্বাধিক রান সংগ্রহকারী হয়েছিলেন। রাজস্থান রয়্যালসের হয়ে ১৬ ম্যাচে ১৪ ইনিংসে চারটি অর্ধশতরান-সহ পরাগ করেছিলেন ৫৭৩ রান। ২২ বছরের পরাগ ১১৪টি টি২০ ম্যাচে ২৬১৬ রান করেছেন। ২২টি অর্ধশতরান রয়েছে। বল হাতে ৪১টি উইকেটও পেয়েছেন।


জিতেশ শর্মা দলে থাকলেও ধ্রুব জুরেলকে আজ ভারতীয় একাদশে রাখা হয়েছে। দেশের হয়ে তিনটি টেস্ট খেলেছেন জুরেল। এবারের আইপিএলে তিনি ১৫ ম্যাচে ১১ ইনিংসে ১৯৫ রান করেছেন। লোয়ার অর্ডারে পরের দিকে নেমে কার্যকরী ইনিংস খেলতে দক্ষ। উত্তরপ্রদেশের উইকেটকিপার-ব্যাটার জুরেলের দুটি টি২০ অর্ধশতরান রয়েছে। সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারের রাজস্থান রয়্যালসের হয়ে ৩৫ বলে ৫৬ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেছিলেন।


এই সিরিজের ভারত অধিনায়ক শুভমান গিল টস জিতে ফিল্ডিং নেওয়ার কারণ হিসেবে বলেন, উইকেট দেখে ভালো লাগছে। খুব বেশি চরিত্রগত বদল হবে না। তাই টার্গেট তাড়া করার সিদ্ধান্ত। টি২০ বিশ্বকাপ জেতার পর এটি ভারতের প্রথম ম্যাচ হলেও বিশ্বজয়ী দলের কেউ নেই। গিল বলেন, ১১ বছর পর আইসিসি খেতাব জিতলাম আমরা। খুব তৃপ্ত। আগামী দিনে আরও কাপ আসবে। তবে কোনও চাপ অনুভব করছি না।


ভারতীয় দল- শুভমান গিল (অধিনায়ক), অভিষেক শর্মা, ঋতুরাজ গায়কোয়াড়, রিয়ান পরাগ, রিঙ্কু সিং, ধ্রুব জুরেল (উইকেটকিপার), ওয়াশিংটন সুন্দর, রবি বিষ্ণোই, আবেশ খান, মুকেশ কুমার, খলিল আহমেদ।


জিম্বাবোয়ে দল- ওয়েসলি মাধেভেরে, ইনোসেন্ট কায়া, ব্রায়ান বেনেট, সিকান্দর রাজা (অধিনায়ক), ডিওন মেয়ার্স, জনাথন ক্যাম্রবেল, ক্লাইভ মাদান্ডে (উইকেটকিপার), ওয়েলিংটন মাসাকাদজা, লুক জংউই, ব্লেসিং মুজারাবানি, তেন্ডাই চাতারা।

Card image cap

পর্তুগালকে হারিয়ে সেমিতে এমবাপের ফ্রান্স

নির্বিষ ফুটবলে ১২০ মিনিটেও কোনও গোল হল না। শেষ পর্যন্ত টাইব্রেকারে পর্তুগালকে ৫-৩ ব্যবধানে হারিয়ে ইউরো কাপের সেমিফাইনালে উঠে গেল ফ্রান্স। এ বারের মতো ইউরো কাপ শেষ হয়ে গেল ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর। হয়তো আর ইউরো কাপেই দেখা যাবে না তাঁকে। আগের ম্যাচে তিনটি পেনাল্টি বাঁচিয়ে নায়ক হয়েছিলেন দিয়োগো কোস্তা। এ দিন পাঁচটি শটের একটিও বাঁচাতে পারলেন না তিনি। উল্টে টাইব্রেকারে পোস্ট শট পেরে পর্তুগালের খলনায়ক জোয়াও ফেলিক্স। সেমিফাইনালে ফ্রান্স খেলবে স্পেনের বিরুদ্ধে।

গোটা ম্যাচে খুঁজেই পাওয়া গেল না ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোকে। একই রকম নিষ্প্রভ থাকলেন কিলিয়ান এমবাপেও। আদর্শ বনাম শিষ্যের দ্বৈরথ এই ম্যাচে আলোচ্য বিষয় ছিল। দু’জনেই একই রকম খেললেন। মন ভরাতে পারলেন না কেউই। এমবাপের অবস্থা এতটাই খারাপ ছিল যে অতিরিক্ত সময়ের প্রথমার্ধের পর তাঁকে তুলে নিলেন কোচ দিদিয়ের দেশঁ।ফলে টাইব্রেকারে শট মারা হল না এমবাপের। তবে টাইব্রেকারের সময়ে সতীর্থদের গোলে উল্লাস করলেন বার বার। আগের ম্যাচে পেনাল্টি নষ্ট করে কেঁদেছিলেন রোনাল্ডো। কিন্তু টাইব্রেকারে গোল করেছিলেন। এ দিনও টাইব্রেকারে গোল করলেন। কিন্তু দলের বিদায়ের পর পাথরের মতো মুখ করে থাকতে দেখা গেল। চোখ দিয়ে জল পড়ল না। আগের ম্যাচের পর রোনাল্ডোর কথা ধরলে, এটাই তাঁর শেষ ইউরো। সেই যাত্রা কোয়ার্টার ফাইনালেই শেষ হয়ে গেল।ম্যাচের শুরু থেকে বল নিজেদের পায়ে রেখে আক্রমণে উঠছিল ফ্রান্স। শুরুর কয়েক মিনিট পর্তুগালকে দাঁড়াতে দেয়নি তারা। রবার্তো মার্তিনেসের দল ব্যস্ত ছিল বল ক্লিয়ার করতেই। ধীরে ধীরে খেলায় দখল নিতে শুরু করে পর্তুগাল। তবে ফ্রান্সের মতো আক্রমণে ওঠার বদলে তারা নিজেদের মধ্যে পাস খেলে খেলার গতি কমিয়ে দেয়।

মাঝমাঠের দখল নিতে এ দিন অরেলিয়েঁ চুয়ামেনি এবং এদুয়ার্দো কামাভিঙ্গাকে একসঙ্গে নামিয়ে দিয়েছিলেন ফ্রান্সের কোচ দিদিয়ের দেশঁ। দু’জনেই অবশ্য প্রথমার্ধে খুব বেশি প্রভাব ফেলতে পারেননি। অন্য দিকে, পর্তুগালের বেশির ভাগ আক্রমণ হতে থাকে বাঁ দিক দিয়ে। সে দিক দিয়ে খেলছিলেন রাফায়েল লিয়াও। কিন্তু আগের ম্যাচগুলিতেও দেখা গিয়েছে লিয়াওয়ের বল ধরে রাখার প্রবণতা। এ দিনও তার অন্যথা হয়নি। পাশাপাশি তাঁর ক্রস বা পাস কোনওটিতেই নিয়ন্ত্রণ ছিল না। ফলে পর্তুগালের কাছে বলার মতো কোনও আক্রমণ তৈরি হচ্ছিল না।৬৪ থেকে ৭০ মিনিটের মধ্যে দুই দলের কাছেই গোল করার সুযোগ এসেছিল। প্রথম মিস্‌ করে পর্তুগাল। ভিটিনহার শট বাঁচিয়ে দেন ফ্রান্সের গোলকিপার মাইক মাইগনান। দু’মিনিট পরে বিশ্বকাপের ধাঁচে মিস্‌ করেন কোলো মুয়ানি। পিছন থেকে ভেসে আসা বলে শট নিয়েছিলেন। বিশ্বকাপ ফাইনালে তা বাঁচিয়েছিলেন এমিলিয়ানো মার্তিনেস। এ বার পর্তুগালকে বাঁচায় রুবেন দিয়াসের পা। মিনিট চারেক পরে ওসমানে দেম্বেলে দু’ফুট দূরে একা গোলকিপারকে পেলেও বাইরে মারেন। অতিরিক্ত সময়ের শুরুর দিকে রোনাল্ডো একটি সহজ সুযোগ নষ্ট করেন। বক্সের মধ্যে অরক্ষিত অবস্থায় থাকলেও বারের উপর দিয়ে বল উড়িয়ে দেন।

অতিরিক্ত সময়ের দ্বিতীয়ার্ধ শুরু হওয়ার আগে অনেকেই চমকে যান। এমবাপেকে তুলে নেন দেশঁ। রিজ়‌ার্ভ বেঞ্চে বসে নাকে বরফ লাগাচ্ছিলেন এমবাপে। তাঁর জায়গায় নামানো হয় বারকোলাকে। সেই অর্ধেও নির্বিষ খেলা হচ্ছিল। শেষ দিক একটি ভাল বল পেয়েছিলেন কনসেসাও। কিন্তু বেশি সময় নেওয়ার কারণে পাস ঠিকঠাক হয়নি। নুনো মেন্দেসের শট বাঁচিয়ে দেন মাইগনান।

Card image cap

T20 বিশ্বকাপের ট্রফি না ছুঁয়েই ছবি তুলেছেন প্রধানমন্ত্রী!

ভারতীয় ক্রিকেট দল ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সাক্ষাতের কিছু ছবি সামনে এসেছে। এই ছবিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চ্যাম্পিয়ন দলের সঙ্গে ট্রফি হাতে দেখা গেছে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী ট্রফি স্পর্শও করেননি। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক:


আফ্রিকা থেকে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জেতার পরে, টিম ইন্ডিয়া ঘূর্ণিঝড়ের কারণে বার্বাডোজে আটকে গিয়েছিল এবং আজ (৪ জুলাই) ভারতীয় দল দেশে ফিরেছে।


টিম ইন্ডিয়া দিল্লি বিমানবন্দরে পৌঁছলে লোকেরা উষ্ণ অভ্যর্থনা জানায়। এর পরে তাঁরা আইটিসি মৌর্য হোটেলে পৌঁছায়। কিছুক্ষণ পরে, ভারতীয় দল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দেখা করতে পৌঁছয়, যার ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হচ্ছে। 


দলের প্রধান কোচ রাহুল দ্রাবিড় এবং অন্যান্য খেলোয়াড়দের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে কথা বলতে দেখা গেছে। 


ভারতীয় দল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাসভবন ৭, লোক কল্যাণ মার্গে তাঁর সঙ্গে দেখা করতে পৌঁছয়। এই সময় দলের খেলোয়াড়রা 'ইন্ডিয়ান চ্যাম্পিয়নস' নামে একটি বিশেষ জার্সি পরেছিলেন।


প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার পাশাপাশি টিম ইন্ডিয়ার সদস্যরা প্রাতরাশও করেন। প্রধানমন্ত্রী মোদীর সঙ্গে দেখা করার পর ভারতীয় দল মুম্বাই রওনা হয়। (পিটিআই)


 বিরাট কোহলির সঙ্গে একটি ছবি ক্লিক করতে দেখা গেছে প্রধানমন্ত্রীকে। (পিটিআই)


প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও টিম ইন্ডিয়ার খেলোয়াড়দের সাথে দেখা করার পরে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন যাতে তিনি লিখেছেন, আমাদের চ্যাম্পিয়নদের সাথে একটি দুর্দান্ত বৈঠক, ৭ এলকেএম-এ বিশ্বকাপ জয়ী দলকে হোস্ট করা এবং টুর্নামেন্টের সময় তাঁদের অভিজ্ঞতা ছিল একটি স্মরণীয় কথোপকথন। 


বিশ্বকাপ ট্রফির সঙ্গে ছবি তোলার সময়, ট্রফিটি না ধরে, প্রধানমন্ত্রী মোদী রোহিত এবং কোচ রাহুল দ্রাবিড়ের হাত ধরেছিলেন। 


প্রকৃতপক্ষে, এটি বলা হয় যে শুধুমাত্র নির্বাচিত কয়েকজনকে আনুষ্ঠানিকভাবে খালি হাতে ট্রফি স্পর্শ করার অনুমতি দেওয়া হয় যার মধ্যে খেলোয়াড় এবং ম্যানেজার যারা প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হয় বা কিছু কর্মকর্তা অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে। এই কথা মাথায় রেখেই হয়তো বিশ্বকাপের ট্রফি হাত দিয়ে স্পর্শ করেননি প্রধানমন্ত্রী মোদী।

Card image cap

দেশে ফিরেই প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে প্রাতরাশ বিশ্বজয়ীদের,

প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের ধাক্কা সামলে অবশেষে দেশে ফিরছে বিশ্বজয়ী টিম ইন্ডিয়া। বৃহস্পতিবার সকাল ছটা নাগাদ দিল্লি বিমানবন্দরে এসে নামবে ভারতীয় দলের চাটার্ড বিমান। তার পরেই ভারতীয় দলের সঙ্গে দেখা করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। দিল্লিতেই বিশ্বজয়ীদের সঙ্গে ব্রেকফাস্ট সারবেন তিনি। তার পরে মুম্বইয়ে বিশাল সেলিব্রেশনের পরিকল্পনা রয়েছে মেন ইন ব্লুর।

হোটেলবন্দি হয়ে পড়েন ভারতীয় ক্রিকেটাররা। ঝড়ের ফলে বার্বাডোজ জুড়ে বিদ্যুৎ ব্যবস্থা বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। রোহিতদের হোটেল বিদ্যুৎহীন হয়েছিল বলে সূত্রের দাবি। পিছোতে থাকে টিম ইন্ডিয়ার দেশে ফেরা। অবশেষে বুধবার দেশে ফেরার বিমানে ওঠেন ক্রিকেটাররা।

দিল্লি বিমানবন্দর থেকেই প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করবেন ক্রিকেটাররা। প্রাতরাশ সারবেন মোদির সঙ্গেই। সেখানে ঘণ্টাদুয়েক থাকবে ভারতীয় দল। তাঁদের জন্য বিশেষ সংবর্ধনার ব্যবস্থাও করা হবে বলে সূত্রের খবর।

মোদির সঙ্গে প্রাতরাশের পরে মুম্বই উড়ে যাবেন বিশ্বজয়ীরা। মুম্বই বিমানবন্দর থেকে ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে যাবেন বিরাট কোহলিরা। এই পথের শেষ এক কিলোমিটার হুড খোলা বাসে রোড শো করবেন। ট্রফি হাতে ভিকট্রি শো করবেন এই বাসযাত্রায়। ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে পৌঁছে আরও একবার সেলিব্রেশন হবে। জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার এই সেলিব্রেশন শেষ হওয়ার পরেই নিজের বাড়ি ফিরবেন ক্রিকেটাররা।