CATEGORY games:

Card image cap

সোশাল মিডিয়ায় নাতাশার ইঙ্গিত নিয়ে জোর জল্পনা

চার বছরের দাম্পত্য ভেঙে টুকরো টুকরো হয়ে গিয়েছে। একসঙ্গে পথ চলার স্বপ্ন শেষ। তবুও হার্দিক পাণ্ডিয়া ও নাতাশা স্ট্যানকোভিচকে নিয়ে চর্চা তুঙ্গে।
সম্প্রতি জানা গিয়েছে যে নাতাশা প্রতারণা এবং মানসিক নির্যাতন সংক্রান্ত রিলগুলোতে বেশি করে প্রতিক্রিয়া দিচ্ছেন, লাইক দিচ্ছেন। সেই সব রিলগুলোতে মানসিক নির্যাতন, প্রতারণা এবং বিষিয়ে যাওয়া সম্পর্কের কথাই তুলে ধরা হচ্ছে। যার প্রেক্ষিতে মনে করা হচ্ছে হার্দিক ও নাতাশার বিচ্ছেদের পিছনে উপরের কারণগুলোই দায়ী।
উল্লেখ্য, গত ১৮ জুলাই যৌথ বিবৃতি দিয়ে আলাদা হওয়ার কথা ঘোষণা করেন হার্দিক পাণ্ডিয়া ও নাতাশা স্ট্যানকোভিচ। যৌথ বিবৃতিতে হার্দিক-নাতাশার পক্ষ থেকে লেখা হয়, “চার বছর একসঙ্গে থাকার পর নাতাশা ও আমি আলাদা হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। একত্রে থাকার সমস্ত রকম চেষ্টা করেছিলাম আমরা।”
হার্দিকের সংসার ছাড়ার পরই ছেলে অগস্ত্যকে নিয়ে সার্বিয়া চলে যান নাতাশা। ৩০ জুলাই হার্দিক পাণ্ডিয়া ছেলে অগস্ত্যর জন্মদিনে সোশাল মিডিয়ায় লেখেন, ”প্রতিটি দিন তুমি আমাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সাহায্য করো। হ্যাপি বার্থডে টু মাই পার্টনার ইন ক্রাইম, মাই হোল হার্ট, মাই আগু। তোমাকে খুব ভালোবাসি।”

Card image cap

ভবানীপুরকে হারিয়ে লিগ শীর্ষে ইস্টবেঙ্গল

কলকাতা লিগে  এই ম্যাচে নামার আগে সমসংখ্যক ম্যাচ থেকে দুটো দলেরই পয়েন্ট সমান ছিল। ফলে সোমবারের ইস্টবেঙ্গল-ভবানীপুর ম্যাচটা যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ ছিল। গ্রুপ শীর্ষে পৌঁছনোর হাতছানি ছিল দুটো দলের সামনেই। শেষমেশ ইস্টবেঙ্গল ১-০ গোলে হারাল ভবানীপুরকে। এই ম্যাচ জেতার ফলে গ্রুপ বি-তে ইস্টবেঙ্গল শীর্ষে পৌঁছে গেল। ৮ ম্যাচে লাল-হলুদের সংগ্রহ ২২ পয়েন্ট। ম্যাচ হেরে যাওয়ায় ভবানীপুরের ঝুলিতে ৮ ম্যাচে ১৯ পয়েন্ট। খেলার সাত মিনিটে ইস্টবেঙ্গল পেনাল্টি থেকে গোল করে এগিয়ে গিয়েছিল। বাকি সময়টা সেই গোল ধরে রেখেছিল লাল-হলুদ ব্রিগেড। ভবানীপুর চেষ্টা করলেও সমতা ফেরাতে পারেনি ম্যাচে। পরবর্তীকালে সুপার সিক্স যখন শুরু হবে, তখন এর সুবিধা পাবে লাল-হলুদ ব্রিগেড। 
এবারের কলকাতা লিগে অন্য দুই প্রধান যেখানে হোঁচট খাচ্ছে, ইস্টবেঙ্গল সেখানে উজ্জ্বল।  লাল-হলুদে কেরলের ফুটবলারের সংখ্যাধিক্য। জেসিন, আমন, আজাদ, বিষ্ণুরা নিজেদের দক্ষতার পরিচয় দিচ্ছেন। খেলার ৭ মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করে লাল-হলুদ ব্রিগেডকে এগিয়ে দেন জেসিন। পেনাল্টি বক্সের ভিতরে রোসলকে অবৈধ ভাবে ফেলে দেওয়া হলে পেনাল্টি পায় ইস্টবেঙ্গল। পেনাল্টি স্পট থেকে গোল করতে ভুল করেননি জেসিন। চলতি মরশুমে তাঁর ৯টি গোল হয়ে গেল। তার মধ্যে কলকাতা লিগেই ৮টি গোল।  রিজার্ভ দলের পাশাপাশি সিনিয়র দলের হয়ে খেলতে নেমেও গোল পাচ্ছেন তিনি। ডুরান্ড কাপেও গোল রয়েছে জেসিনের।
যে কোনও ম্যাচে খেলার শুরুতেই গোল পেয়ে গেলে অ্যাডভান্টেজ পেয়ে যায় যে কোনও দল। এক্ষেত্রে ইস্টবেঙ্গল সেই সুবিধাই পেয়ে গিয়েছিল শুরুতে। কলকাতা লিগে ভবানীপুরও নজর কেড়েছে। ফলে ম্যাচে সতর্ক ছিল ইস্টবেঙ্গল। কিন্তু শুরুতে গোল পেয়ে যাওয়ার পরে ইস্টবেঙ্গল আরও উজ্জ্বল হয়ে ধরা দিতেই পারত। কিন্তু ইস্টবেঙ্গল ভবানীপুরের রক্ষণ ভাঙতে পারেনি। বরং ভবানীপুর একাধিকবার ইস্টবেঙ্গলের পেনাল্টি বক্সে কাঁপুনি ধরিয়ে দিয়েছিল। একবার বাঁ দিক থেকে ভাসানো সেন্টারে জীতেন মুর্মু পায়ে বলে সংযোগই ঘটাতে পারলেন না। খেলার একেবারে শেষ লগ্নে ইস্টবেঙ্গলের রক্ষণে চাপ বাড়িয়েও গোল পায়নি ভবানীপুর।  

Card image cap

হকি খেলেও বড়লোক হওয়া যায়!ভারতের

ভারতীয় হকি দলের অধিনায়ক হরমনপ্রীত সিং, অসম্ভব দক্ষ এবং কুশলী এক হকি প্লেয়ার। এবারের অলিম্পিক্সে তিনি ১০ টি গোল করেছিলেন যা যে কোনও দেশের পুরুষ খেলোয়াড়দের মধ্যে গেমসের সবচেয়ে বেশি গোল।


১৯৯৬ সালে অমৃতসরে জন্মেছিলেন তিনি। ভারতের সবচেয়ে বড়লোক হকি প্লেয়ার হয়েও তিনি বড়লোক হওয়ার ঔদ্ধত্য প্রকাশ করেন না।


বরং ভীষণভাবে মাটিতে পা রেখে দলের সতীর্থদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দলকে একেবারে সামনের থেকে নেতৃত্ব দেন তিনি।


  ২০২৪ প্যারিস অলিম্পিক্সে ব্রোঞ্জ জয়ের অন্যতম রূপকার তিনিই। ভারতের জার্সিতে ২১৯ টি ম্যাচ খেলে ১৮৮ টি গোল রয়েছে তাঁর নামের পাশে।


  মাত্র ১৫ বছর বয়সে সুরজিৎ সিং হকি অ্যাকাডেমি থেকে যাত্রা শুরু করেন হরমনপ্রীত সিং। তিনি যে সুদক্ষ গোল স্কোরার কেরিয়ারের শুরু থেকে তাঁর ছাপ রাখতে শুরু করেন হরমনপ্রীত সিং, মালয়শিয়ায় সুলতান অফ জোহারস এ সেরা খেলোয়াড়ের সম্মান পান।


  তাঁর পারফরম্যান্স সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করে নেয় তিনি দাবাং মুম্বই ৫১,০০০ ডলারে তাঁকে দলে তুলে নেয়। এই মুহূর্তে ৫ মিলিয়ন ডলারের মালিক তিনি। ভারতীয় টাকায় যার মূল্য ৪২ কোটি টাকা। তিনি ভারতের জার্সি গায়ে খুবই সফল পাশাপাশি হকি ইন্ডিয়া লিগেও সফল খেলোয়াড়।


  ২০২০ অলিম্পিক্সে ব্রোঞ্জ জিতে ১৫ লক্ষ টাকা প্রাইজ মানি পেয়েছিল ভারতীয় হকি দল, সেই দলের সদস্য ছিলেন হরমনপ্রীত সিং।


  হরমনপ্রীত সিং বিবাহিত তাঁর স্ত্রীয়ের নাম অমনদীপ কউর। তাঁর একটি কন্যা সন্তান রয়েছে যাঁর নাম রুহানত।

Card image cap

কুস্তিতে শীর্ষ বাছাইয়ের কাছে হার ভারতের ঋতিকার

অলিম্পিকে ফের স্বপ্নভঙ্গ। শীর্ষ বাছাইয়ের কাছে হার ভারতের কুস্তিগির ঋতিকা হুডার। নিরধারিত ম্যাচে ১-১ ফলাফল হলেও অ্যাডভান্টেজের জেরে জয়ী হলেন  কিরঘিজস্তানের আইপেরি মেডেট কিজি। ফলে ঋতিকার পদক জয়ের স্বপ্নে ধাক্কা। 
এর আগে হাঙ্গেরির প্রতিপক্ষকে টেকনিক্যাল সুপিরিয়রিটিতে হারিয়ে ঋতিকা ওঠেন শেষ আটে। ম্যাচের ফল ছিল ভারতীয় কুস্তিগিরের পক্ষে ১২-২। 
২০০৮ সালের পর প্রতিটি অলিম্পিকে কুস্তি থেকে পদক এসেছে ভারতের ঝুলিতে। মাত্র ১০০ গ্রাম ওজন বেশি হওয়ার দরুণ ভিনেশ ফোগাট যখন ছিটকে গেলেন, মনে হচ্ছিল এবার হয়তো কুস্তির ঝুলি শূন্য থাকবে। কিন্তু শেষবেলায় সেই শূন্যতা ঘুচিয়ে পদক এনে দিয়েছেন ২১ বছর বয়সি তরুণ কুস্তিগির আমন শেরাওয়াত। ভারতের সবচেয়ে কম বয়সি ক্রীড়াবিদ হিসাবে অলিম্পিক থেকে পদক জিতেছেন তিনি। 
শুক্রবার আমনের পদক জয়ের পরে ফের আশা জাগান ভারতের কুস্তিগির। শনিবার দুপুরে হাঙ্গেরির কুস্তিগির বেরনাডেট ন্যাগিকে হারিয়ে ঋতিকা ওঠেন কোয়ার্টার ফাইনালে। প্রথম রাউন্ডে ৪-২ এগিয়ে গিয়েছিলেন ঋতিকা। ম্যাচের দ্বিতীয় রাউন্ডে আরও বেশি আগ্রাসী হয়ে ওঠেন ভারতীয় কুস্তিগির। টানা ৮ পয়েন্ট জিতে নেন। ১২-২ পয়েন্টে টেকনিক্যাল সুপিরিয়রিটিতে জিতে কোয়ার্টার ফাইনালে উঠে যান ঋতিকা। সেমিফাইনালে তাঁর প্রতিপক্ষ ছিল অলিম্পিকের শীর্ষ বাছাই কিরঘিজস্তানের আইপেরি মেডেট কিজি। শীর্ষ বাছাইয়ের বিরুদ্ধে দুর্দান্ত লড়াই করেন ঋতিকা। তিনি নির্ধারিত সময়ে মাত্র ১ পয়েন্ট নিতে দেন কিজিকে। নিজেও পান ১ পয়েন্ট। কিন্তু শীর্ষ বাছাই কিজি জিতে যান অ্যাডভান্টেজের নিরিখে।

Card image cap

রুপো আসছে বিনেশ ফোগাটের হাত ধরে.

বুধবার রাতে জানা গিয়েছিল, রুপোর দাবি নিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রীড়া আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন কুস্তিগির বিনেশ ফোগাট। প্যারিস অলিম্পিক্স থেকে তাঁকে বাতিল করার সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারেননি তিনি। আন্তর্জাতিক আদালতের রায় ঘোষণার আগেই বৃহস্পতিবার ভোরে অবসর ঘোষণা করেন বিনেশ। জানিয়ে দেন, তিনি হেরে গিয়েছেন কুস্তির কাছে।


কিন্তু সম্ভবর তিনি জানতেন না কি হতে চলেছে… ইতিমধ্যেই আন্তর্জাতিক আদালতে শুনানি শেষ হয়েছে। অলিম্পিক ইতিহাসে নয়া ইতিহাস তৈরি হতে চলেছে।


কুস্তিগীর বিনেশ ফোগাটের শুনানি প্যারিসে কোর্ট অফ আরবিট্রেশন ফর স্পোর্টস (CAS) এ শেষ হয়েছে। বিনেশ প্যারিস অলিম্পিক্সে ৫০ কেজি কুস্তি ফাইনাল থেকে ১০০ গ্রাম অতিরিক্ত ওজনের কারণে অযোগ্য ঘোষিত হওয়ার পর CAS-এ আপিল করেছিলেন। এর আগে, বিনেশ তিনটি সহজ জয়ের মাধ্যমে ৫০ কেজি ফাইনালে পৌঁছে রুপা পদক নিশ্চিত করেছিলেন, তবে অযোগ্যতার কারণে তিনি পদক তালিকার বাইরে চলে যান। প্রতিযোগিতার প্রথম দিন বিনেশ অনুমোদিত ওজন সীমার মধ্যে ছিলেন, কিন্তু দ্বিতীয় দিনে তাকে ১০০ গ্রাম অতিরিক্ত ওজনের কারণে অলিম্পিক কুস্তি ফাইনাল থেকে বাদ দেওয়া হয়।


বিনেশ একটি ভাগ করা রুপা পদকের জন্য CAS-এ আপিল করেছিলেন, যা ১৯৮৪ সালে প্রতিষ্ঠিত একটি আন্তর্জাতিক সংস্থা, যা ক্রীড়া সংক্রান্ত বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য সালিশের মাধ্যমে কাজ করে। আপিলের শুনানি শুক্রবার প্যারিসে তিন ঘণ্টা ধরে চলে।


বিনেশ কে চারজন ফরাসি আইনজীবী প্রতিনিধিত্ব করছিলেন, ভার্চুয়ালি শুনানিতে উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ভারতের অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন (IOA) এর প্রতিনিধিত্বকারী আইনজীবী হরিশ সালভে এবং বি সিংহানিয়া। ইউনাইটেড ওয়ার্ল্ড রেসলিং UWW এর আইনজীবীও শুনানিতে উপস্থিত ছিলেন। পাশাপাশি UWW থেকে রেফারি এবং টেকনিক্যাল অফিসাররা সেখানে উপস্থিত ছিলেন।


সিংহানিয়া জানিয়েছেন, তিনি একটি ইতিবাচক ফলাফলের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী। "আমরা IOA এর আইনজীবী ছিলাম। হরিশ সালভে যুক্তি নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন এবং আমি তাকে সহায়তা করছিলাম। মোটামুটিভাবে সবার যুক্তি শোনা হয়েছে। শুনানি ভালো হয়েছে। আশা করা যাচ্ছে বিনেশ কে যোগ্য হিসেবেই রুপোর পদক দেওয়া হবে। কারন তিনি সেমিফাইনালে জয়ী হয়েছিলেন সমস্ত নিয়ম মেনেই। সেক্ষেত্রে রুপোর পদক ফাইনালের আগেই নিশ্চিত করেছিলেন বিনেশ।"

Card image cap

‘ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে ভিনেশের রুপো’, সোশাল মিডিয়ায় বিস্ফোরক শচীন

ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে ভিনেশ ফোগাটের রুপো। সোশাল মিডিয়ায় বিস্ফোরক ভারতের প্রাক্তন ক্রিকেটার শচীন তেণ্ডুলকর। তাঁর মতে, প্রতিটি খেলারই নির্দিষ্ট নিয়ম রয়েছে এবং তার নিয়মিত পর্যালোচনার দরকার রয়েছে। তা না হওয়াতেই ফোগাটের উপরে নেমে এসেছে এই বিপর্যয়।
শচীনের সাফ কথা, কেউ ডোপ করে খেলার দক্ষতা বাড়ালে সেক্ষেত্রে তাঁর পদক ছিনিয়ে নেওয়া যুক্তিযুক্ত। কিন্তু ভিনেশের ক্ষেত্রে বিষয়টা সম্পূর্ণ আলাদা। সে নিজের দক্ষতায় প্রতিপক্ষকে পরাজিত করে সেরা দুইয়ে জায়গা করে নিয়েছিল। তাঁর রুপোর পদক ছিনিয়ে নেওয়াটা কখনওই যুক্তিযুক্ত নয়। যদিও এই পরিস্থিতিতে শচীনের আশা, ন্যায়বিচার পাবেন ভিনেশ।

ভারতের তারকা কুস্তিগিরের পদক নিয়ে তৈরি হওয়া বিতর্কের নিষ্পত্তির জন্য বিষয়টা গিয়েছে কোর্ট অফ আরবিট্রেশন ফর স্পোর্ট। কী হবে তার উত্তর দেবে সময়।
একদিনে তিন প্রতিপক্ষকে মাটি ধরিয়ে রুপো নিশ্চিত করেছিলেন ভিনেশ ফোগাট। তাঁকে নিয়ে স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছিল দেশ। কিন্তু ফাইনালের দিন সকালেই আকাশ ভেঙে পড়ে। জানা যায় ভিনেশ ফোগাটের দেহের ওজন বেশি। নির্দিষ্ট ওজনের থেকে ১০০ গ্রাম বেশি। তার ফলে তিনি ছিটকে যান সোনার লড়াই থেকে। অলিম্পিক অভিযানও শেষ হয়ে যায়। রুপোও ছিনিয়ে নেওয়া হয়। এরই প্রতিবাদ জানিয়ে ন্যায়বিচারের জন্য ক্রীড়া আদালতে গিয়েছেন ভিনেশ। ওজন বেশি হওয়ায় শেষ মুহূর্তে ফাইনালে নামতে না পারলেও ভিনেশ ফোগাট কিন্তু হৃদয় জিতে নিয়েছেন দেশের। তাঁর এই লড়াইকে কুর্নিশ জানাচ্ছে গোটা দেশ। তাঁর উপরে নেমে আসা বিপর্যের পরদিনই ভিনেশ ফোগাট নিজের অবসরের কথা জানিয়ে দেন।

Card image cap

বর্ডারের ওপার থেকে নীরজের জন্য প্রার্থনা নাদিমের মায়ের

অলিম্পিকে রেকর্ড গড়ে সোনা জিতেছেন আর্শাদ নাদিম। প্রথম পাকিস্তানি অ্যাথলিট হিসেবে অলিম্পিক থেকে ব্যক্তিগত ইভেন্টে সোনার পদক এসেছে তাঁর ঝুলিতে। আর্শাদের পিছনে রুপো নিয়েই থামতে হয়েছে ভারতের নীরজ চোপড়াকে। কিন্তু নীরজকে প্রতিপক্ষ বলে ভাবতে রাজি নন আর্শাদের মা। পাকিস্তানি অ্যাথলিটের কাছে ভারতের নীরজ ‘ছেলের মতো’।

এখানেই যেন মিলে যান বর্ডারের দুপ্রান্তের দুই মা। অলিম্পিকের প্রতিযোগিতার গণ্ডি পার করে সন্তানস্নেহে দুজনকে আগলে রাখেন দুজনের মা। যেমন নীরজের মা সরোজ দেবী বলেছেন, আর্শাদও তাঁর সন্তানের মতো। তাঁর মতে, প্যারিস থেকে সোনা জিতেছেন তাঁর ছেলেও। পাকিস্তানের অ্যাথলিটকে নিজের ছেলে হিসেবেই দেখেন সরোজ দেবী। তাঁর সাফ বক্তব্য, “রুপো জিতেও আমরা খুশি। আর যে সোনা পেয়েছে সেও আমারই সন্তান।”
ঠিক একই কথা শোনা গেল আর্শাদ নাদিমের মায়ের মুখেও। নীরজকে নিয়ে তিনি বলেন, “ও আমার ছেলের মতো। ও নাদিমের শুধু বন্ধু নয়, ভাইয়ের মতো। হার-জিত খেলার অঙ্গ। ঈশ্বর ওর মঙ্গল করুন। ও যেন আরও পদক পায়। ওরা ভাইয়ের মতো। আমি নীরজের জন্য প্রার্থনা করেছিলাম।” সেই সঙ্গে তিনি নাদিমের সোনাজয়ের জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন পাকিস্তানের মানুষদের। তিনি বলেন, “যেভাবে গোটা পাকিস্তান নাদিমের পাশে ছিল, তার জন্য ধন্যবাদ জানাতে চাই। তারাও আমার ছেলের সাফল্যের জন্য প্রাথর্না করেছিল।”
মাঠে যতই প্রতিযোগিতা চলুক না কেন, মাঠের বাইরে দুজনের বন্ধুত্ব যথেষ্ট আলোচিত। প্যারিস অলিম্পিক শুরুর মাত্র ৫ মাস আগেও নাদিম জানতেন না গ্রেটেস্ট শো অন আর্থে নামতে পারবেন না। কারণ তাঁর ব্যবহৃত বড়শাগুলো আর আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় ব্যবহার করার যোগ্য ছিল না। অর্থের অভাবে আলাদা করে জ্যাভলিন কেনারও সামর্থ্য ছিল না আর্শাদের। প্রতিবেশী দেশের সতীর্থের এমন দুরাবস্থার কথা শুনে সরব হন নীরজও। পাকিস্তান সরকারের কাছে আবেদনও জানান তিনি। এবার কাঁটাতারের ওপার থেকে ‘মাতৃস্নেহ’ পেলেন নীরজ।

Card image cap

অলিম্পিকে কেন সোনা হাতছাড়া হল? কারণ জানালেন নীরজ চোপড়া

রিস অলিম্পিকে জ্যাভলিন থ্রোতে রুপো জিতে ভারতের গর্ব নীরজ চোপড়া। সোনা হাতছাড়া হওয়ার পরও তিনি হতাশ হননি। তিনি বলেন, "আজ হয়তো জাতীয় সঙ্গীত বাজানোর দিন ছিল না, কিন্তু ভবিষ্যতে আরও সুযোগ আসবে।"



কী বললেন নীরজ?


নীরজের মতে, খেলাধুলায় উত্থান-পতন স্বাভাবিক। আজ আরশাদের দিন ছিল।


তিনি আরও বলেন, "আমি জিতেছি, বিশ্বাস করেছি এবং মেনে নিয়েছি। আজ হয়তো আমার দিন ছিল না। এটা মেনে নিয়ে আমি আরও প্রস্তুতি নেব।"


নীরজ আরশাদ নাদিমের প্রশংসা করে বলেন, "যে পরিশ্রম করে সে অবশ্যই পাবে। আরশাদের থ্রোটি খুব ভাল ছিল।"


নীরজের কুঁচকির চোটের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, "চোটের ভয়ে থাকার কারণে আমি পুরোপুরি থ্রোতে মন দিতে পারছি না।"


নীরজ স্পষ্ট করে জানিয়েছেন যে তিনি চোট থেকে মুক্ত হয়ে আবারও সোনার জন্য লড়াই করবেন।


সোনার স্বপ্ন:

প্যারিস অলিম্পিকে সোনা জেতার স্বপ্ন সত্যি হলেও নীরজ চোপড়া হতাশ হননি। তিনি ভবিষ্যতে আরও ভালো করার প্রতিজ্ঞা করেছেন।

Card image cap

অলিম্পিকে রুপো পাচ্ছেন ভিনেশ?আবেদনের মামলায় বড় আপডেট

কুস্তিগীর ভিনেশ ফোগট পদক পেতে পারেন কি না তা নিয়ে আরও একটি বড় আপডেট সামনে এসেছে। ভিনেশের ক্ষেত্রে, CAS কোর্ট অফ আরবিট্রেশন ফর স্পোর্টস এর ৪ জন আইনজীবী তার হয়ে লড়াই করবেন। ২৪ ঘন্টার মধ্যে ভিনেশের পদক নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া যেতে পারে। অবশ্য ইতিমধ্যেই আজ ৮ অগাস্ট ভিনেশ বিফল মনোরথে কুস্তি থেকে অবসর নেওয়ার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছেন।


জোয়েল মনলুইস, অ্যাস্টেল ইভানোভা, হ্যাবিন এস্টেল কিম এবং চার্লস এমসন সিএএস স্পোর্টস আরবিট্রেশন আদালত শুনানিতে ভিনেশ ফোগাটের আইনজীবী হবেন। তাঁরা প্যারিস ২০২৪ অলিম্পিকের জন্য প্যারিস বার অ্যাসোসিয়েশনের স্বনামধন্য আইনজীবী।


ভিনেশ বুধবার অলিম্পিক ফাইনাল থেকে তাঁর অযোগ্যতার বিরুদ্ধে CAS-এর কাছে আবেদন করেছিলেন এবং তাঁকে যুগ্ম রজত পদক দেওয়ার দাবি করেন। অলিম্পিক গেমস বা উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আগে ১০-দিনের সময়কালে উদ্ভূত কোনও বিবাদের সমাধান করতে এখানে একটি অ্যাড-হক ডিভিশন অফ আরবিট্রেশন ফর স্পোর্টস CAS গঠন করা হয়েছে, যা আগামী কয়েক ঘণ্টার মধ্যে আপিলের শুনানি করবে।


এর মানে হল ২৪ ঘন্টার মধ্যে CAS তার সিদ্ধান্ত জানাবে। ভারতীয় সময় ৭ই অগাস্ট রাত সওয়া ৮টায় এই আবেদন করা হয়েছে। এখন বিষয়টি সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রয়েছে।


UWW, IOA-এর পরামর্শ মানেনি

তবে, কুস্তির আন্তর্জাতিক নিয়ন্ত্রক সংস্থা ইউনাইটেড ওয়ার্ল্ড রেসলিং স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে যে ওজন সংক্রান্ত বর্তমান নিয়মে কোনও পরিবর্তন হবে না। UWW বুধবার গভীর রাতে জারি করা এক বিবৃতিতে বলেছে যে তাদের সভাপতি নেনাদ লালোভিচ ভারতীয় অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন IOA প্রধান পিটি ঊষা – IOA-এর সাথে দেখা করার পরে, আইওএ পরামর্শ দেন, যে কোনও দিন কোনও অ্যাথলিটের ওজন করার পর সেইদিনের জন্য কুস্তিগীরের যোগ্যতা দেখা উচিত। আগের ফলাফল অযোগ্য করা উচিত নয়। UWW আরও বলেছে- UWW একটি উপযুক্ত ফোরামে এই পরামর্শটি নিয়েও আলোচনা করবে। তবে এটি আগের নিয়মে এটি প্রয়োগ করা যাবে না।


CAS এর কাজ কি?

কোর্ট অফ আরবিট্রেশন ফর স্পোর্ট CAS হল বিশ্বজুড়ে খেলাধুলার জন্য তৈরি একটি স্বাধীন সংস্থা। খেলাধুলা সংক্রান্ত সকল আইনি বিরোধ নিষ্পত্তি করাই এদের কাজ। আন্তর্জাতিক সংস্থাটি বিচার ব্যবস্থা মাধ্যমে ক্রীড়া-সম্পর্কিত বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য কাজ করে। এর সদর দফতর সুইজারল্যান্ডের লুসানে। এর আদালত নিউইয়র্ক সিটি, সিডনি এবং লুসানে অবস্থিত। বর্তমান অলিম্পিক আয়োজক শহরগুলিতেও অস্থায়ী আদালত স্থাপন করা হয়েছে।


ভিনেশ তাঁর অবসরের পোস্টে কী লিখেছেন?

ভিনেশ ফোগাট একটি সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে বলেছেন, ‘মা, কুস্তি আমার কাছ থেকে জিতেছে, আমি হেরেছি, দুঃখিত, তোমার স্বপ্ন, আমার সাহস, সবকিছু ভেঙে গেছে, এখন আমার এর চেয়ে বেশি শক্তি নেই। কুস্তি ২০০১-২০২৪ কে বিদায়।’ তিনি ক্ষমা চেয়েছিলেন এবং বলেছেন, আপনারা সবাই আমার কাছে ঋণী থাকবেন।


ইউএসএ রেসলারের সঙ্গে প্রতিযোগিতা

ভিনেশ অযোগ্য প্রমাণিত না হলে, তিনি আমেরিকার কুস্তিগীরের মুখোমুখি হতেন। ভারতীয় তারকা কুস্তিগীর ভিনেশ ফোগট ফাইনালে ওঠার পর মনে করা হচ্ছিল তিনি স্বর্ণপদক জিতবেন। ভিনেশ ফোগট মঙ্গলবার মহিলাদের ৫০ কেজি ফ্রিস্টাইল ইভেন্টের সেমিফাইনালে কিউবার কুস্তিগীর ইউসনিলিস গুজম্যানকে ৫-০ ব্যবধানে হারান। বুধবার (৭ আগস্ট) মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অ্যান সারা হিলডেব্র্যান্ডের বিরুদ্ধে ভিনেশের ফাইনাল অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। এর আগে, তিনি প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে ৫০ কেজিতে অলিম্পিক চ্যাম্পিয়ন এবং চারবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ইউই সুসাকিকে হারিয়েছিলেন।

Card image cap

নীরজই আজ সোনা জয়ের শেষ আশা, সেই ঐতিহাসিক খেলা ক'টা থেকে?

ভারতের তারকা জ্যাভলিন থ্রোয়ার নীরজ চোপড়া বৃহস্পতিবার রাতে অলিম্পিক্সে টানা দ্বিতীয় সোনার পদক জয়ের লক্ষ্যে নামবেন। নীরজের ইভেন্ট ভারতীয় সময়ে রাত ১১টা বেজে ৫৫ মিনিটে। জিও সিনেমাতে লাইভ স্ট্রিমিং দেখতে পাবেন। এছাড়া স্পোর্টস 18 চ্যানেলে সরাসরি সম্প্রচার।


নীরজ যোগ্যতা পর্বে ভাল পারফর্ম করেছিলেন।

প্রথম প্রচেষ্টায় ৮৯.৩৪ মিটার থ্রো করে ফাইনালের জন্য যোগ্যতা অর্জন করেছিলেন তিনি। টোকিও অলিম্পিক্সে মতো নীরজ এখানেও কয়েক সেকেন্ডের ব্যবধানে ফাইনালের জন্য যোগ্যতা অর্জন করেছিলেন।

এবারের চ্যালেঞ্জ আগের অলিম্পিকের চেয়ে আরও কঠিন। মোট ৯জন খেলোয়াড়ের মধ্যে নীরজের মতো পাঁচজন তাদের প্রথম থ্রোতেই ফাইনালে উঠেছিলেন।

২৬ বছর বয়সী ভারতীয় খেলোয়াড় খুব ভালভাবে বোঝেন এই চ্যালেঞ্জ। কারণ তিনি গত আট বছর ধরে আন্তর্জাতিক স্তরে এই চ্যালেঞ্জ সামলাচ্ছেন। অলিম্পিক্সের ইতিহাসে খেতাব ধরে রাখতে পঞ্চম পুরুষ জ্যাভলিন থ্রোয়ার অভিপ্রায় নিয়ে ফাইনালে নামবেন নীরজ।

যদি তিনি শিরোপা জেতেন, তা হলে তিনি অলিম্পিক্সের ব্যক্তিগত বিভাগে দুটি স্বর্ণপদক জিতে প্রথম ভারতীয় হয়ে উঠবেন। নীরজ পদক জিতলে স্বাধীনতার পর থেকে তিনিই হবেন মাত্র চতুর্থ ভারতীয় খেলোয়াড়, যিনি দুটি অলিম্পিক্সে পদক জিতেছেন।

স্বাধীনতার পর শুধুমাত্র ব্যাডমিন্টন খেলোয়াড় পিভি সিন্ধুর (একটি রুপো এবং একটি ব্রোঞ্জ) এই রেকর্ড রয়েছে। কুস্তিগীর সুশীল কুমার (একটি রুপো এবং একটি ব্রোঞ্জ) এবং শ্যুটার মনু ভাকর (দুটি ব্রোঞ্জ) ভারতের হয়ে দুটি অলিম্পিক পদক জিতেছেন।

যোগ্যতা পর্বে নীরজ কেরিয়ারের দ্বিতীয় সেরা পারফরম্যান্স দিয়েছেন। ঠিক সময়ে ফর্মে ফিরে আসা গ্রেনাডার অ্যান্ডারসন পিটার্স এবং পাকিস্তানের আরশাদ নাদিমের কাছ থেকে ফাইনালে কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে পারেন নীরজ।

টোকিও অলিম্পিকের রুপোর পদক জয়ী চেক প্রজাতন্ত্রের জাকুব ওয়াল্ডেচও তাঁর সেরা পারফরম্যান্স দিতে বদ্ধপরিকর।


Card image cap

এক থ্রো-তেই ফাইনাল

এলেন দেখলেন আর জয় করলেন। প্যারিস অলিম্পিক্সে জ্যাভেলিনে কোয়ালিফায়ার রাউন্ডে নীরজ চোপড়ার পারফরম্যান্সকে এভাবেই ব্যাখ্যা করতে হবে। প্যারিস অলিম্পিক্সে জ্যাভেলিনে গ্রুপ বি তে খেলতে নেমেচেন নীরজ আর গ্রুপ বি-তে নেমে প্রথম থ্রো-তেই পদক পাকা করলেন তিনি। প্রথম থ্রো নীরজ নিলেন ৮৯.৩৪ মিটারের। এই থ্রো-র সঙ্গে ফিরে এল ২০২০ সালের টোকিও অলিম্পিক্সের ছবি।


নীরজ চোপড়ার থ্রো-র দূরত্ব নিয়ে আলোচনা ছিল। কারণ তিনি এখনও পর্যন্ত ৯০ মিটার স্পর্শ করতে পারেননি। চলতি বছর নীরজের সেরা থ্রো ছিল ৮৮.৩৬ মিটার। তবে অলিম্পিক্সটা পুরোপুরি আলাদা। এবং তিনি গত তিন বছর এই দুটো দিনের জন্য প্রস্তুতি নিয়েছেন। সেটাই দেখালেন কোয়ালিফায়ারে নেমে। একটাই থ্রো-তেই বাজিমাত করলেন।


নীরজের গ্রুপে রয়েছেন আর্শাদ নাদিম। পাকিস্তানের এই অ্যাথলিট প্রথমে জ্যাভলিন ছোঁড়েন ৮৬.৫৯ মিটার দূরে।


নীরজ ফাইনালে প্রবেশ করলেও ব্যর্থ হলেন অপর ভারতীয় কিশোর জেনা। তিনি গ্রুপ এ-তে খেলতে নামেন। তিনবার থ্রো-তে কোনওবারই তিনি ৮০-র গন্ডি টপকাতে পারেননি। তিনি প্রথম থ্রো-তে ছোঁড়েন ৮০.৭৩ মিটার। দ্বিতীয় থ্রো বাতিল হয়। তৃতীয় থ্রো-তে তিনি ছোঁড়েন ৮০.২১ মিটার।


নীরজ ছাড়াও ফাইনালে প্রবেশ করলেন জার্মানির জুলিয়েন ওয়েবার। তিনি থ্রো নেন ৮৭.৭৬ মিটার। এরপর কেনিয়ার জুলিয়াস ইয়েগো (৮৫.৯৭ মিটার), চেকিয়ার জ্যাকুব ভাদেলচে, টনি কেরানেন ফাইনালে প্রবেশ করেন।


কুস্তিতে দাপট ভারতের

নীরজের ফাইনালে প্রবেশের দিনে আশা জাগালেন বিনেশ ফোগাট। তিনি কুস্তির ৫০ কেজি বিভাগে শেষ ১৬-তে খেলতে নেমে ৩-২ তে পরাস্ত করেন জাপানের ইউয়ি সুসাকিকে। এই ইউয়ি সুসাকি টোকিও অলিম্পিক্সে সোনা জেতেন এবং তিনি বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপ জেতেন। এই জয়ের ফলে কোয়ার্টারফাইনালে প্রবেশ করলেন বিনেশ। কোয়ার্টারফাইনালে তিনি খেলতে নামবেন ইউক্রেনের ওসাকা লিভাচের বিরুদ্ধে। ম্যাচটা অবশ্য হাড্ডাহাড্ডি হয়। বিনেশ ফোগাট প্রথমে পিছিয়ে গেলেও পরে কামব্যাক করেন। বিনেশ শেষ মুহূর্তে জিতে যান এবং কোয়ার্টারফাইনালে প্রবেশ করেন।

Card image cap

এত বড় পুরুষাঙ্গ! ভেঙেই গেল পদকের স্বপ্ন

চলতি অলিম্পিক্স Paris Olympics 2024 দেখেছে লিঙ্গ বিতর্ক, এবার পুরুষ লিঙ্গের কারণেই ভাঙল ক্রীড়াবিদের পদকের স্বপ্ন। হ্য়াঁ, একদমই ঠিক পড়েছেন। আকারে বেশ বড় পুরুষাঙ্গই বাধা হয়ে দাঁড়াল অ্যান্থনি আমিরাতির Anthony Ammirati। বছর একুশের ফ্রান্সের পোল ভল্টার এখন ভাইরাল প্যারিসে।


শনিবার তিনি ৫.৭০ মিটার পার করেই ফেলছিলেন একটু হলে, আচমকাই তাঁর লিঙ্গ ঠেকে যায় লম্বা পোলে! আর এরপরেই হতাশায় মাটিতে শুয়ে পড়েন অ্যান্থনি!


যে কারণে ফরাসি অলিম্পিয়ানের পদক জেতা হল না, তা দেখার পর প্রায় সকলেই চমকে গিয়েছেন। কেউ ভাবতেও পারেননি যে, প্যারিসে কোনও ক্রীড়াবিদকে বড় পুরুষাঙ্গ এভাবে বিড়ম্বনায় ফেলে দিতে পারে! এই ঘটনা সোশ্য়াল মিডিয়ায় ঝড় তুলে দিয়েছে। নেটাগরিকরা হাসতেও পারছেন না, আবার দুঃখও প্রকাশ করতে পারছেন না! শুধু দেদারে শেয়ার হচ্ছে ভিডিয়ো। অ্যান্থনি এর আগে দু'টি উচ্চতা পার করেছিলেন। গ্রুপ 'এ'তে তিনি ১২ নম্বরে শেষ করেছিলেন ৫.৬০ পার করে। কিন্তু ৫.৭০ মিটার পার করতে দিল না বিশেষ অঙ্গের আকার! অ্যান্থনি ২০২২ সালে বিশ্ব অ্যাথলেটিক্স অনূর্ধ্ব-২০ চ্যাম্পিয়নশিপে স্বর্ণপদক জিতেছিলেন। তাঁর উপর প্রত্য়াশা ছিল দেশের। কিন্তু এমনই দুর্ভাগ্য় যে... তবে অ্যান্থনির সামনে আরও অলিম্পিক্স রয়েছে, তার আগে নিশ্চয়ই তিনি নিজের বিশেষ অঙ্গ নিয়ে বিশেষ ভাবেই ভাববেন।

Card image cap

আইপিএলের বৈঠকে ক্ষিপ্ত শাহরুখ

আইপিএল মালিকদের বৈঠকে শাহরুখ খান বিবাদে জড়ালেন নেস ওয়াদিয়ার সঙ্গে। নিলামের নিয়ম নিয়ে বাদানুবাদ হয় কলকাতা নাইট রাইডার্স ও পঞ্জাব কিংসের মালিকের মধ্যে।


বুধবার রাতে মুম্বইয়ে বোর্ডের সদর দফতরে আইপিএলের মালিকদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন বোর্ডের কর্তারা। বৈঠক চলার সময়েই বোর্ড সচিব জয় শাহ-সহ অন্য কর্তাদের সামনে বিবাদে জড়ান শাহরুখ এবং ওয়াদিয়া।


একটি ক্রিকেট ওয়েবসাইট এই খবর প্রকাশ করেছে। যদিও এই বাদানুবাদের কথা অস্বীকার করেছেন ওয়াদিয়া। শাহরুখের কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।


বোর্ডের সঙ্গে আইপিএলের দলগুলির বৈঠকে কেকেআর মালিক শাহরুখ নিজেই হাজির ছিলেন। পঞ্জাব কিংসের তরফে হাজির ছিলেন নেস ওয়াদিয়া। সেখানে মেগা নিলাম নিয়ে আলোচনা ওঠে। ক্রিকেট ওয়াবসাইটটির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মেগা নিলামের বিরুদ্ধে সরব হন শাহরুখ। এই নিলাম পুরোপুরি তুলে দেওয়ার প্রস্তাব দেন তিনি। পাশাপাশি, ক্রিকেটার ধরে রাখার নীতি নিয়েও সরব হন তিনি। আরও বেশি ক্রিকেটার ধরে রাখার পক্ষে পরামর্শ দেন। তা মানতে চাননি ওয়াদিয়া। তিনি বিরোধিতা করার পর দু'তরফেই সুর চড়ে। তর্কাতর্কি হতে থাকে। এই ঘটনায় বাকি কর্তারাও বিস্মিত হন।



আইপিএলে প্রতি তিন বছর অন্তর আয়োজিত হয় মেগা নিলাম। আগের নিয়ম অনুযায়ী, একটি দল সর্বোচ্চ চার ক্রিকেটার ধরে রাখতে পারে। একজন 'রাইট-টু-ম্যাচ' কার্ড ব্যবহার করে কিনতে পারে। দলগুলি সেরা চার ক্রিকেটারকে রেখে বাকিদের ছেড়ে দেয়। অন্য দিকে, মিনি নিলাম সাধারণত প্রতি বছর আয়োজন করা হয়। এই নিলামে দলগুলির ক্রিকেটার ছাড়ার ক্ষেত্রে কোনও নিয়ম নেই। যাঁরা আগের মরসুমে ভাল খেলতে পারেননি, সাধারণত তাঁদেরই ছেড়ে দেয় দলগুলি। তবে দুই নিলামের মধ্যে মূল পার্থক্য হল, মিনি নিলামে ক্রিকেটারদের দাম বেশি ওঠে। উদাহরণস্বরূপ, গত বারের মিনি নিলামে মিচেল স্টার্ক ২৪.৭৫ কোটি দাম পান। অতীতের সব নজির ভেঙে দেন।


এমন কোনও ঘটনার কথা স্বীকার করেননি ওয়াদিয়া। বৈঠকের পর তিনি বলেছেন, 'আমি শাহরুখকে ২৫ বছরেরও বেশি চিনি। ওর সঙ্গে কোনও শত্রুতা নেই। প্রত্যেকে নিজেদের মতামত জানিয়েছে। তার পক্ষে যুক্তি দিয়েছে। দিনের শেষে যারা এই প্রতিযোগিতার সঙ্গে যুক্ত তাদের মতামতই প্রাধান্য দিতে হয়। আশা রাখি বোর্ড যেটা ভাল মনে করবে সেটাই করবে।'


শাহরুখ অবশ্য সমর্থন পেয়েছেন কাব্য মরানের। সানরাইজার্স হায়দরাবাদ দলের মালকিন জানান, বড় নিলাম তুলে দিয়ে প্রতি বছর ছোট নিলামের পক্ষে তিনি। এক ওয়েবসাইটে বলেছেন, 'একটা দল গড়ে তুলতে অনেক সময় লাগে। অনেক বিনিয়োগ দরকার হয়। তরুণ ক্রিকেটারদের পরিণত করে তুলতে সময় লাগে। তিন বছর অক্লান্ত পরিশ্রমের পর আজ অভিষেক শর্মার মতো ক্রিকেটার ধারাবাহিক ভাবে ভাল খেলছে। বাকি দলগুলোতেও এ রকম উদাহরণ রয়েছে।'

Card image cap

শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে সিরিজ জয় ভারতের

চওড়া কাঁধেই গিয়েছে গুরু দায়িত্ব। শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে জয় দিয়ে শুরু হয়েছিল ভারতীয় ক্রিকেটের গম্ভীর যুগ। বৃষ্টিবিঘ্নিত দ্বিতীয় ম্যাচেও অনায়াশ জয় পেল সূর্যকুমার যাদবের দল। এইসঙ্গে সিরিজ জিতে নিল তারা। জয় এল ৭ উইকেটে। প্রথমে ব্যাট করে শ্রীলঙ্কা তুলেছিল ১৬১ রান। বৃষ্টির জন্য ভারতের লক্ষ্য হয় ৮ ওভারে ৭৮ রান। তা সহজেই তুলে দেয় ভারতের ব্যাটাররা।

শ্রীলঙ্কা এদিন ভালো শরু করেও চাপ সামলাতে পারল না। এক সময় ২ উইকেটে ১৩০ রান করে ফেলেছিল তারা। যদিও শেষ পর্যন্ত ১৬১ রানে শেষ হয়ে যায় আসালঙ্কদের ইনিংস। শ্রীলঙ্কানদের মধ্যে রান পেয়েছেন কুশল পেরেরা (৫২), পাথুম নিস্সাঙ্কা এবং কামিন্ডু মেন্ডিস (২৬)। যদিও হার্দিক পটেল, রবি বিষ্ণোই এবং অক্ষর পটেলের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে শেষ চার ওভারে ৭ উইকেট হারায় লঙ্কা বাহিনী।

এর পর বৃষ্টিতে ম্যাচ পণ্ড হওয়ার মতো অবস্থা হয়েছিল। পরে ভারত ব্যাট করতে নামার তিন বল পরেই শুরু হয় তুমুল বৃষ্টি। দীর্ঘক্ষণ খেলা বন্ধ থাকে। ফলে সংক্ষিপ্ত হয়ে যায় খেলা। ৮ ওভারে ভারতের লক্ষ্য দাঁড়ায় ৭৮ রান। যশস্বী (১৫ বলে ৩০ রান), সূর্যকুমার (১২ বলে ২৬ রান) এবং হার্দিক পাণ্ডিয়ার (৯ বলে ২২ রান) দাপুটে ব্যাটিংয়ে অনায়াশে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় নতুন ভারত। এইসঙ্গে কোচ হিসেবে প্রথম সিরিজ জয়ের স্বাদ পেলন গৌতম গম্ভীর।

Card image cap

শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে জয় টিম ইন্ডিয়ার

বিশ্বকাপ জয়ের পরই টি-টোয়েন্টি থেকে অবসর নিয়েছেন রোহিত শর্মা ও বিরাট কোহলি। টিম ইন্ডিয়ার ব্যাটন এখন নতুনদের হাতে। নেতৃত্বের আর্মব্যান্ড উঠেছে সূর্যকুমার যাদবের হাতে। ইতিমধ্যে বদল এসেছে কোচিংয়েও। দ্রাবিড় যুগ শেষ হয়ে যাওয়ার পর ভারতীয় ক্রিকেটে শুরু হয়েছে গৌতম গম্ভীরের আমল। আর সেদিকেই নজর ছিল দেশের ক্রিকেটপ্রেমীদের। শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে কীভাবে অভিযান শুরু করে গম্ভীর বাহিনী। আর সেখানে সহজ জয়ই অপেক্ষা করেছিল সূর্যকুমারদের জন্য। টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে ৪৩ রানে শ্রীলঙ্কাকে হারাল টিম ইন্ডিয়া।

এদিন টসে জিতে প্রথমে বল করার সিদ্ধান্ত নেন শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক চরিত আসালঙ্কা। কিন্তু শুভমান-যশস্বীর দাপটে সেই সিদ্ধান্ত যে এভাবে বুমেরাং হয়ে যাবে, তা বোধহয় তিনি ভাবতে পারেননি। ভারতের দুই ওপেনার স্বভাবসিদ্ধ মারকুটে ভঙ্গিতেই ইনিংস শুরু করেন। প্রথম পাঁচ ওভারের মধ্যেই ৭০ রানের কাছে পৌঁছে যায় টিম ইন্ডিয়া। যদিও পরপর দুই ওভারে আউট হয়ে যান দুই তারকা। যার মধ্যে শুভমান করেন ১৬ বলে ৩৪ এবং যশস্বী করেন ২১ বলে ৪০। কিন্তু তার পরেও রানের গতি থামেনি। নেপথ্যে সূর্যকুমার যাদবের অধিনায়কোচিত ইনিংস। মাত্র ২৬ বলে ৫৮ রান করে যান তিনি। তাঁকে যোগ্য সঙ্গ দেন ঋষভ পন্থ। মাত্র ১ রানের জন্য তাঁর হাফসেঞ্চুরি অধরা থেকে যায়। যদিও তার পর রানের গতি কিছুটা পড়ে যায়। হার্দিক পাণ্ডিয়া, রিঙ্কু সিং, রিয়ান পরাগ কারওর ব্যাটই সেভাবে চলেনি।
শেষ পর্যন্ত ২১৩ রানে থামে ভারতের ইনিংস।
জবাবে ব্যাট হাতে নেমে শুরুটা খারাপ করেনি শ্রীলঙ্কাও। কুশল মেন্ডিস ও পাথুম নিসঙ্কা জুটি ধীরে ধীরে দলকে জয়ের দিকে এগিয়ে দিচ্ছিলেন। মারকুটে ব্যাটিংয়ে তাঁরাও ৬ ওভারে ৬০ রান তুলে ফেলে। দুজনের সামনে কিছুটা অসহায়ই দেখাচ্ছিল মহম্মদ সিরাজ, অক্ষর প্যাটেলদের। তবে নবম ওভারের চতুর্থ বলে কুশল মেন্ডিসকে (৪৫) আউট করেন অর্শদীপ সিং। এর পর ১৫ তম ওভারের প্রথম বলে পাথুমকে (৭৯) তুলে নেন অক্ষর প্যাটেল। এর পর ভারতীয় বোলাররা যেন আগুন ঝরাতে শুরু করে মাঠে। দুই ওপেনার আউট হওয়ার পর আর দাঁড়াতেই পারেনি শ্রীলঙ্কার ব্যাটাররা।
বাকি ৫ ওভারে তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়তে দেখা যায় শ্রীলঙ্কাকে। মাত্র ১৯.২ ওভারেই গুটিয়ে যায় শ্রীলঙ্কা। ২১৪ রানের জবাবে মাত্র ১৭০ রানেই অলআউট হয়ে যায় প্রতিপক্ষ। ভারতের হয়ে ৩টি উইকেট নেন রিয়ান পারাগ। অর্শদীপ ও অক্ষর প্যাটেল ২ টি করে উইকেট এবং সিরাজ ও রবি বিষ্ণোই ১টি করে উইকেট।

Card image cap

অলিম্পিকের কোয়ার্টার ফাইনালে ভারতের ছেলেরাও

একই দিনে জোড়া সাফল্য ভারতের। প্যারিস অলিম্পিকের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আগেই আর্চারিতে স্বপ্ন দেখাতে শুরু করেছে। প্রথমে মেয়েরা যোগ্যতা অর্জন পর্বে চতুর্থ স্থান পেয়ে সরাসরি কোয়ার্টার ফাইনালের ছাড়পত্র জোগাড় করে নিয়েছিল। এবার পালা ছেলেদের। ধীরজ বোম্মাদেভারা, তরুণদীপ রাই এবং প্রবীণ যাদবের দল তৃতীয় স্থান পেয়ে পৌঁছে গেল কোয়ার্টার ফাইনালে।

এঁদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি পয়েন্ট স্কোর করেছেন ধীরজ। ৬৮১ পয়েন্ট নিয়ে ব্যক্তিগত পর্যায়ে চতুর্থ স্থানে শেষ করেন তিনি। অন্যদিকে ৬৭৪ পয়েন্ট নিয়ে তরুণদীপের স্থান ১৪। যদিও তিনজনের মধ্যে সবচেয়ে খারাপ র‍্যাঙ্কিং প্রবীণের। ৬৫৮ পয়েন্ট নিয়ে তিনি শেষ করেছেন ৩৯তম স্থানে।
সব রাউন্ড মিলিয়ে ভারতের স্কোর ২০১৩। দ্বিতীয় স্থানে থাকা ফ্রান্সের স্কোর ২০২৫। আর মেয়েদের মতো এখানেও শীর্ষে আছে দক্ষিণ কোরিয়া। তাদের পয়েন্ট ২০৪৯। চার নম্বরে থাকা চিনের পয়েন্ট ১৯৯৮। যোগ্যতা অর্জন পর্বের প্রথম চারটি দল সরাসরি কোয়ার্টার ফাইনালে খেলার ছাড়পত্র পায়। চতুর্থ স্থানে শেষ করে আগেই ভারতের মেয়েরা শেষ আটের টিকিট পেয়ে গিয়েছিল। সেই দলে ছিলেন অঙ্কিতা ভকত, ভজন কউর এবং দীপিকা কুমারী। এবার হতাশ করলেন না ছেলেরাও। সব মিলিয়ে গোটা দিনটাই স্পেশাল হয়ে রইল তিরন্দাজদের জন্য। তবে মিক্সড ইভেন্টে পঞ্চম স্থানে শেষ করেছে ধীরজ আর অঙ্কিতার জুটি। সেখানে ধীরজের স্কোর ৬৮১ পয়েন্ট। অঙ্কিতা পয়েন্ট ৬৬৬। দুজনে মিলে ১৩৪৭ স্কোর করেছেন তাঁরা। 

Card image cap

এশিয়া কাপের সেমিতে ভারতের মেয়েরা

পাকিস্তান, আমিরশাহীকে ধরাশায়ী করার পর এবার নেপাল। শ্রীলঙ্কার মাটিতে আপাত দুর্বল প্রতিপক্ষকে কার্যত দুরমুশ করে এশিয়া কাপের সেমিতে উঠল ভারতের মেয়েরা। শেফালির ঝোড়ো ইনিংসের উপর ভর করে নেপালকে এদিন ১৭৯ রানের টার্গেট দেয় ভারত। জবাবে তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে নেপাল। ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে মাত্র ৯৩ রান তোলে তাঁরা। ৮২ রানে জয়ী হয় ভারত।

শ্রীলঙ্কার রণগিরি দাম্বুল্লা আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে টসে জিতে প্রথমেই ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় ভারত। ওপেন করতে নেমে শুরু থেকেই নেপালের বোলিং লাইন আপকে নিয়ে কার্যত ছিনিমিনি খেলেন শেফালি বর্মা ও হেমলথা। হাফসেঞ্চুরির দোরগোড়ায় গিয়ে ১৩ ওভারের শেষ বলে ৪২ বলে ৪৭ রান করে আউট হন হেমলতা। তবে আক্রমণের ঝাঁঝ কমাননি শেফালি। ৪৮ বল খেলে ১২ টি চার ও ১টি ছয়ের দৌলতে ৮১ রান করেন শেফালি। ১৫.৩ ওভারে তিনি আউট হওয়ার পর বাকি দায়িত্ব সামলান রডরিগেজ (২৮ নটআউট)। মোট ৩ উইকেটের পতনে নেপালের সামনে ১৭৮ রানের পাহাড় খাঁড়া করে ভারত।

১৭৯ রানের টার্গেট নিয়ে ব্যাট করতে নেমে কার্যত ছন্নছাড়া দেখায় নেপালকে। দ্বিতীয় ওভারের চতুর্থ বলে প্রতিপক্ষের প্রথম উইকেট ভেঙে দেন অরুন্ধতী। পঞ্চম ওভারে বল করতে এসে আরও একটি উইকেট তুলে নেন তিনি। এর পর ভারতের সামনে আর দাঁড়াতেই পারেনি নেপাল। তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়তে থাকে একের পর এক উইকেট। ১১ জন ব্যাটারের মধ্যে সর্বোচ্চ রান করেছেন সীতা মাগার। তাঁর রান সংখ্যা মাত্র ১৮। শেষের দিকে আর জয় নয়, ভারতের আগুন বোলিংয়ের সামনে কোনওমতে অলআউট না হওয়ার লড়াই চালায় নেপাল।

ভারতের হয়ে এদিন ৩টি উইকেট নেন দীপ্তি। দুটি করে উইকেট নেন অরুন্ধুতি ও রাধা। একটি উইকেট যোগ হয় রেনুকা সিংয়ের খাতায়। সেমিফাইনালে ভারতের মুখোমুখি হতে পারে বাংলাদেশ অথবা থাইল্যান্ডের মেয়েরা। গ্রুপ ডির পরিস্থিতির দিকে নজর থাকবে হরমনপ্রীতদের। 

Card image cap

গম্ভীরের সঙ্গে সমঝোতার বার্তা দিয়ে বোর্ডকে চিঠি বিরাটের!

বিরাট কোহলি এবং গৌতম গম্ভীর। দুই তারকার মধ্যে বিবাদ আজও ক্রিকেটপ্রেমীদের চর্চার অন্যতম বিষয়। গম্ভীর জাতীয় দলের কোচ হওয়ার পরে সেই বিবাদ আরও মাথাচাড়া দিয়ে উঠবে কিনা, সেই নিয়েও জল্পনার অন্ত নেই। এহেন পরিস্থিতিতে হঠাৎ খবর ছড়ায়, বিরাট নাকি কার্যত মুচলেকা দিয়েছেন বিসিসিআইয়ের কাছে। ব্যক্তিগত শত্রুতা ভুলে তিনি ‘ভালো ছেলে’ হয়ে গম্ভীরের সঙ্গে ভারতীয় দলের ড্রেসিংরুম শেয়ার করবেন। এমন খবর ছড়াতেই অবশ্য মুখ খুলেছে বিসিসিআইও।

ব্যাপারটা ঠিক কী? বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, বিরাট নাকি বিসিসিআইকে চিঠি লিখেছেন। উল্লেখ্য, টি-২০ বিশ্বকাপ শেষে পরিবারের সঙ্গে ছুটি কাটাচ্ছিলেন কিং কোহলি। শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ওয়ান ডে সিরিজ থেকে বিশ্রাম চেয়েছিলেন। কিন্তু গম্ভীরের ‘নির্দেশে’ তাঁকে রাখা হয়েছে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ওয়ানডে সিরিজের দলে। কারণ সামনের বছর চ‌্যাম্পিয়ন্স ট্রফি রয়েছে। তার আগে খুব বেশি ওয়ান ডে নেই ভারতীয় টিমের।
শ্রীলঙ্কা সিরিজের দলে সুযোগ পাওয়ার পরেই নাকি বিসিসিআইকে চিঠি লিখেছেন বিরাট, এমন খবরই ছড়িয়ে পড়ে নেটদুনিয়ায়। একাধিক সংবাদমাধ্যম দাবি করে, ‘ভালো ছেলে’ হয়ে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়ে চিঠি পাঠিয়েছেন কিং কোহলি। তিনি লিখেছেন, গম্ভীরের সঙ্গে আগে যে সব ঝামেলা হয়েছিল, সেগুলো তাঁদের সম্পর্কে এখন কোনও প্রভাব ফেলবে না। ড্রেসিংরুমে কোনও সমস্যা হবে না দুজনের মধ্যে। তবে দলের সেরা ক্রিকেটার বোর্ডকে এহেন চিঠি পাঠাচ্ছেন, ভারতীয় ক্রিকেটে এমন ঘটনা নজিরবিহীন। যদিও বোর্ডের তরফে জানা গিয়েছে, এমন কোনও ঘটনা ঘটেনি। বিরাট এমন কোনও চিঠি আসেনি বিসিসিআইয়ের কাছে।