CATEGORY politics:

Card image cap

তৃণমূল নেতার পা ছুঁয়ে প্রণাম সৌমিত্রর

খুব কম ব্যবধানে চব্বিশের লোকসভা ভোটে প্রাক্তন স্ত্রীকে হারিয়ে বিষ্ণুপুর থেকে জিতেছেন সৌমিত্র খাঁ। জিতেই তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশংসা শোনা গিয়েছিল বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদের গলায়। এবার প্রকাশ্য রাস্তায় স্থানীয় এক প্রভাবশালী তৃণমূল নেতার পা ছুঁয়ে প্রণাম করতে দেখা গেল তাঁকে। সৌমিত্র খাঁ-র একের পর এক এই আচরণ কি বিশেষ ইঙ্গিতবাহী? পা ছুঁয়ে প্রণাম করার পর রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে নতুন করে জল্পনা। সৌমিত্রর দাবি, এটা নিছক সৌজন্য। তবে তৃণমূল নেতৃত্বের বক্তব্যও উসকে দিয়েছে নয়া জল্পনা।
সৌমিত্র খাঁ সাম্প্রতিক বঙ্গ রাজনীতির এক বিতর্কিত চরিত্র। ২০১১ সালে কংগ্রেসের টিকিটে কোতুলপুর বিধানসভা থেকে জয়লাভ করে বিধায়ক হন। দুবছর যেতে না যেতেই ২০১৩ সালে যোগ দেন তৃণমূলে। বিধায়ক হিসাবে মেয়াদ শেষের আগেই ২০১৪ সালে তৃণমূলের টিকিটে জিতে বিষ্ণুপুরের সাংসদ হন তিনি। সেবারও মেয়াদ শেষের আগেই দলবদল করেন তিনি। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের ঠিক আগে দলবদল করে বিজেপির প্রার্থী হন তিনি। ২০১৯ এ বিজেপির টিকিটে জয়ী হয়ে দ্বিতীয়বারের জন্য বিষ্ণুপুরের সাংসদ হন সৌমিত্র খাঁ।
২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনেও নিজের প্রাক্তন স্ত্রী তথা তৃণমূল প্রার্থী সুজাতা মণ্ডলের বিরুদ্ধে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই শেষে তৃতীয়বারের জন্য বিষ্ণুপুরের সাংসদ নির্বাচিত হন তিনি। নির্বাচনে জয়লাভের পরই তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ডের গালভরা প্রশংসা শোনা গিয়েছিল সৌমিত্র খাঁ-র গলায়। নিজের দলের নেতৃত্বের বিরুদ্ধেও মুখ খুলতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। একের পর এক সৌমিত্রর বিস্ফোরক সেই মন্তব্যে রাজনৈতিক মহলে সৌমিত্র ফের শিবির বদলের জল্পনা শুরু হয়। সেই জল্পনাকে সোমবার আরও উসকে অক্সিজেন জোগাল তৃণমূল নেতাকে প্রকাশ্যে তাঁর প্রণাম করার দৃশ্য।
সোমবার রতনপুরে সাংসদ উন্নয়ন তহবিল সংক্রান্ত কাজে গিয়েছিলেন সৌমিত্র খাঁ। ফেরার সময় রাস্তায় তাঁর সঙ্গে দেখা হয় তৃণমূলের প্রাক্তন রাজ্যস্তরের নেতা, বর্তমানে এলাকার দাপুটে তৃণমূল নেতা হিসাবে পরিচিত ভবতারণ চক্রবর্তীকে দেখতে পেয়েই প্রকাশ্যে তাঁর পা ছুঁয়ে প্রণাম করেন সৌমিত্র। করেন কুশল বিনিময়ও। আর এতেই সৌমিত্রর দলবদল নিয়ে তৈরি হওয়া জল্পনা নতুন করে অক্সিজেন পেয়েছে। যদিও সৌমিত্র খাঁ নিজে এই ঘটনাকে নিছকই সৌজন্য বলে দাবি করেছেন। তৃণমূল নেতা ভবতারণ চক্রবর্তীও বিষয়টিকে একইভাবে ব্যাখ্যা করেন। তবে সৌমিত্রর দলবদলের জল্পনা কিন্তু জিইয়ে রয়েছেই। কারণ, পরে সৌমিত্রর মুখে শোনা গিয়েছে, দরকারে তিনি মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গেও দেখা করতে পারেন।

Card image cap

হতাশ বাম-ছাত্র-যুবরাও

যাঁদের উপর ভরসা করে সিপিএম এবার লোকসভা নির্বাচনে ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্ন দেখেছিল আলিমুদ্দিনের সেই ‘দাপুটে’ সিপিএম প্রার্থীরা এবার নিজের বাড়ির বুথেই হেরেছেন। কেন্দ্রীয় কমিটির সদস‌্য সুজন চক্রবর্তী, দুই তরুণ তুর্কি দীপ্সিতা ধর ও সায়ন বন্দ্যোপাধ‌্যায় নিজেদের লোকসভা কেন্দ্রে শুধু হারেননি যেখানে বসবাস করেন সেই পাড়াতেও ‘কাস্তে হাতুড়ি’কে জেতাতে পারেননি।সুজন ও সায়নের বাড়ি সোনারপুরের দক্ষিণ বিধানসভার কালিকাপুর-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের দুই বুথেই হেরেছে সিপিএম। এমনকী ‘লাল শিবিরে’ অনেক আশা জাগানো যাদবপুরের সৃজন ভট্টাচার্য নিজের বাড়ি, যেখানে সেই ১০৬ নম্বর ওয়ার্ডেও তৃতীয় হয়েছেন, জিতেছেন সায়নী ঘোষ। হাওড়ার বালির নিশ্চিন্দায় নিজের বুথে সিপিএমকে জেতাতে পারেননি শ্রীরামপুরের সিপিএম প্রার্থী দীপ্সিতা ধর। তাঁর বাড়ি ১৮৯ বুথে তৃণমূল ৩৫৭ ভোট পেলেও সিপিএম পেয়েছে মাত্র ২৯৪ ভোট। প্রাপ্ত ভোটের ফল বিশ্লেষণ করে আলিমুদ্দিন দেখেছে, রাজ্যে পাঁচ বছর আগে সিপিএমের ভোট ৬.৩ শতাংশ হলেও এবার কমে প্রায় ৫ শতাংশে নেমেছে। স্বভাবতই ২০১৯ সালে ‘রামে চলে যাওয়া ভোট’ বামে ফেরা দূরের কথা বুথভিত্তিক ফলের তথ‌্য বলছে, রাজ্যের অধিকাংশ বুথে এবছর আরও বেশি সংখ‌্যায় বামপন্থীরা পদ্মফুলে ভোট দিয়েছেন। যে তরুণ প্রজন্মকে ভরসা করে পার্টি ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্ন দেখেছিল তারা মুখ থুবড়ে পড়েছে, জমানতও জব্দ হয়েছে অধিকাংশের। ভোটের ফলে ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্ন অধরা, চরম হতাশ বাম ছাত্র-যুবরাও। রাজ‌্য কমিটির সদস‌্য আলিমুদ্দিনের এক প্রবীণ নেতার স্বীকারোক্তি, “এই নির্বাচন প্রমাণ করে দিল, লাল পতাকা নিয়ে এখন যে মুখই নামুক না কেন, রাজ্যের মানুষ বামেদের আর ভরসা করছে না।”
বামেরা এবার দমদমে সুজন চক্রবর্তী, শ্রীরামপুরে দীপ্সিতা ধর, তমলুক কেন্দ্রে সায়ন বন্দ্যোপাধ‌্যায়কে প্রার্থী হিসাবে তুলে ধরে প্রচারের ফানুস উড়িয়েছিল। সুজন ও সায়ন দুজনেই থাকেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার সোনারপুর দক্ষিণ বিধানসভার কালিকাপুর-১ গ্রামে পঞ্চায়েতে। বাম জমানায় সুজনের স্ত্রী মিলি চক্রবর্তী এই পঞ্চায়েতের সদস‌্যও ছিলেন। ভোটের দিন একেবারে শেষপ্রহরে এসে নিজের ২৫৫ বুথে ভোটও দেন সুজন। এবছর ওই বুথে সিপিএম ৩০০ ভোট পেয়ে তৃতীয় হয়েছে, ৫৫২ ভোট পেয়ে জিতেছে বিজেপি। তৃণমূল প্রার্থী সায়নী ৩৯৫ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় হয়েছেন। অন‌্যদিকে তমলুকে পার্টির প্রার্থী হওয়া সায়নের বাড়ি একই গ্রামের ২৪৯ বুথে এবার ৩৭৫ ভোট পেয়ে জিতেছেন সায়নী। সিপিএম পেয়েছে মাত্র ৩০৩ ভোট, বিজেপি ২৪৬ ভোট পেয়ে তৃতীয় হয়েছে। সোনারপুর দক্ষিণের বিধায়ক লাভলি মৈত্র জানিয়েছেন, “পঞ্চায়েত ভোটে ২৪৯ বুথে তৃণমূল হারলেও এলাকার ছাত্র-যুব-মহিলা-শ্রমিক সংগঠনের সবাই মিলে অক্লান্ত পরিশ্রম করে লোকসভা ভোটে জোড়াফুলকে জিতিয়েছি। আর সুজন চক্রবর্তীর বুথে আগে সিপিএম জিতে আসছিল, কিন্তু ২০১৯ ও ২০২৪, দুবছরই বামেরা অধিকাংশই পদ্মে ভোট দেওয়ায় বিজেপি জিতছে।”

Card image cap

তৃণমূলে যোগদান নিয়ে বিস্ফোরক অনন্ত মহারাজ

আজ হঠাৎ করেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বিজেপি সাংসদ অনন্ত মহারাজের বাড়িতে চলে যান। স্বাভাবিকভাবেই তুমুল জল্পনা তৈরি হয় রাজ্য রাজনীতিতে। তাহলে কি অনন্ত মহারাজ জার্সি বদল করছেন! তিনি কি তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিচ্ছেন! সেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। অবশেষে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করে বড় মন্তব্য করলেন সেই অনন্ত মহারাজ।


সূত্রের খবর, এদিন মুখ্যমন্ত্রীর আগমন নিয়ে অনন্ত মহারাজকে প্রশ্ন করা হয়। সাংবাদিকরা তিনি কি তৃণমূলে যোগদান করছেন, এইরকম প্রশ্ন করেন। আর সেই প্রশ্ন আসতেই বড় জবাব দেন রাজ্যসভার বিজেপি সাংসদ। তিনি বলেন, "আমার কি মতি মরে গেছে নাকি? আমি তৃণমূলের সঙ্গেও নেই, অন্য কারওর সঙ্গেও নেই। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী আসছেন। সেই কারণে তাকে স্বাগত জানাচ্ছি।"


স্বাভাবিক ভাবেই যারা অনন্ত মহারাজের বাড়িতে মুখ্যমন্ত্রীর পৌঁছে যাওয়া নিয়ে নানা অংক কষতে শুরু করেছিলেন, যে সমস্ত তৃণমূলের চ্যালা, চামুন্ডারা ভাবছিলেন যে, অনন্ত মহারাজ দলবদল করবেন, তাদের জল্পনায় কার্যত জল পড়ে গেল। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

Card image cap

ওয়ানড়ের সাংসদ পদে ইস্তফা রাহুলের

অবশেষে সংসদীয় রাজনীতিতে পা রাখলেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী! রাহুল গান্ধীর ছেড়ে আসা ওয়ানড়  আসনে উপনির্বাচনে প্রার্থী হচ্ছেন সোনিয়াকন্যা। সোমবার সাংবাদিক সম্মেলনে রাহুল, প্রিয়াঙ্কা ও সংগঠনের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক কে সি বেণুগোপালকে নিয়ে  এই ঘোষণা করলেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে। চব্বিশের লোকসভা ভোটে গান্ধী-গড় রায়বরেলি ও নিজের কেন্দ্র ওয়ানড় –  দুটি আসন থেকেই বিশাল ব্যবধানে জিতেছেন রাহুল গান্ধী। একটি আসন তাঁকে ছাড়তেই হতো। রায়বরেলি রেখে ওয়ানড় ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেন রাহুল। আর দাদার ছেড়ে আসা কেন্দ্রে উপনির্বাচনে প্রার্থী হচ্ছেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। এখান থেকেই শুরু তাঁর রাজনৈতিক কেরিয়ার।সোমবার দিল্লিতে কংগ্রেসের বৈঠক। নিজস্ব ছবি।
সংসদীয় রাজনীতিতে সোনিয়াকন্যার আগমন নিয়ে দীর্ঘ সময় ধরে জল্পনা-কল্পনা চলেছে। বিশেষত বড় কোনও নির্বাচনের মুখে ভেসে ওঠে তাঁর নাম। এতদিন দলীয় অভ্যন্তরীণ বৈঠক, প্রচারে সক্রিয় থাকলেও সরাসরি ভোটের লড়াইয়ে প্রিয়াঙ্কা এই প্রথম।  দাদার ছেড়ে আসা ওয়ানড় আসনে কংগ্রেসের প্রার্থী হিসেবে তাঁর  নাম ঘোষণা করেন দলের সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে। 
সোমবার বৈঠকে এই ঘোষণার পর রাহুল বলেন, ”রায়বরেলি, ওয়ানড় আমায় যে ভালবাসা দিয়েছে, সারাজীবন মনে রাখব। প্রিয়াঙ্কা ওয়ানড় থেকে নির্বাচনে লড়বে। তবে আমি মাঝেমধ্যেই যাব। যা যা প্রতিশ্রুতি দিয়েছি, পূরণ করা হবে। কোন কেন্দ্র বাছব, তা নির্ণয় করা খুব কঠিন ছিল আমার কাছে। পদে না থাকলেও ওয়ানড়ের সঙ্গেই থাকব। আপনারা ভাববেন, এখন থেকে আপনাদের দু’জন সাংসদ। প্রিয়াঙ্কা জিতবেই, আমি আশাবাদী। সঙ্গে আমিও থাকব।” আর প্রিয়াঙ্কার বক্তব্য, ”ওয়ানড়কে রাহুলের না থাকা বুঝতেই দেব না। ভাই যেমন বলল, ওয়ানড়ে ও থাকবে, আমিও তেমন রায়বরেলির লোকদের সঙ্গে থাকব।” এর পর রাহুল মজার ছলে বলেন, ”তাহলে এবার থেকে ওয়ানড়, রায়বরেলি – দু জায়গাতেই দুজন করে সাংসদ থাকবে।” 

Card image cap

বিজেপির ৪০ তারকা প্রচারক

উপনির্বাচন মোটে বাংলার চার কেন্দ্রে। প্রার্থী চারজন। আর তার জন্য ৪০ জন তারকা প্রচারকের তালিকা প্রকাশ করল বিজেপি। তালিকায় রয়েছেন দিলীপ, লকেট, অগ্নিমিত্রা এবং তাপস রায়ের মতো পরাজিত প্রার্থীরা। আবার তেমনই রয়েছেন সুকান্ত মজুমদার, শুভেন্দু অধিকারীর মতো বঙ্গ বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব। তারকা প্রচারকের তালিকায় রয়েছেন সাংসদরাও। রয়েছেন রুদ্রনীল ঘোষও।লোকসভা নির্বাচনের মুখে বারবার বঙ্গে প্রচারে এসেছেন মোদি-শাহের মতো কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। তা নিয়ে রাজ্যের শাসক শিবির বারবার তোপও দেগেছে বিজেপিকে। তবে আশানুরূপ ফল হয়নি। এত ভোটপ্রচার, কাদা ছোড়াছুড়ির পরেও ঘাসফুলের দাপটে বাংলায় সেভাবে মাথা তুলে দাঁড়াতে পারেনি পদ্মশিবির। চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনে বাংলায় কমেছে আসন সংখ্যা। আঠারোর থেকে কমে দাঁড়িয়েছে বারোয়। সামনেই উপনির্বাচন। লোকসভা নির্বাচনের ফলের পুনরাবৃত্তি হোক, তা স্বাভাবিকভাবে চান না দলের কেউই। তাই দলীয় নেতাকর্মীদের মতামত মাথায় রেখে এবার প্রার্থী বাছাই করা হয়। বলে রাখা ভালো, গত বিধানসভা নির্বাচনের মতো এবারও মানিকতলায় প্রার্থী কল্যাণ চৌবে। মতুয়াগড় হিসাবে পরিচিত বাগদায় প্রার্থী করা হয়েছে বিনয়কুমার বিশ্বাসকে। রানাঘাট দক্ষিণের প্রার্থী মনোজকুমার বিশ্বাস। মানসকুমার ঘোষকে রায়গঞ্জ কেন্দ্রের জন্য টিকিট দেওয়া হয়েছে। 

Card image cap

৪ কেন্দ্রের উপনির্বাচনে বিজেপিতে নয়া দাবি

লোকসভা ভোটের মতো কারও পছন্দের প্রার্থী নয়, দলের পুরনো কর্মী, সংগঠনের কাজে সক্রিয় এবং গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে, তাদেরই উপনির্বাচনের প্রার্থী তালিকায় অগ্রাধিকার দেওয়া হোক। এমনই দাবি উঠল বঙ্গ বিজেপিতে। চব্বিশের লোকসভা ভোটে ৩৪ জন প্রার্থীই ছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর পছন্দের। তাদের প্রায় সকলেই হেরেছেন। এবার চার বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে রাজ্য নেতৃত্ব ও জেলার নেতাদের সর্বসম্মতিতে প্রার্থী বাছাই করা হোক।
চব্বিশের লোকসভা ভোটের পুনরাবৃত্তি চাইছেন না গেরুয়া শিবিরের বড় অংশই। আর সেই মতো আলোচনার ভিত্তিতেই মানিকতলা-সহ বাগদা, রানাঘাট দক্ষিণ ও রায়গঞ্জ, এই চার বিধানসভা কেন্দ্রের জন্য সম্ভাব্য প্রার্থীদের নাম দিল্লিতে পাঠানো হয়েছে। বাগদা, রানাঘাট দক্ষিণ ও রায়গঞ্জে একুশের বিধানসভা ভোটে বিজেপি জিতেছিল। তাই এই তিন কেন্দ্রে প্রার্থী হতে চাইছেন অনেকেই। বাগদায় সম্ভাব্য প্রার্থী হিসাবে আলোচনায় রয়েছে বনগাঁর সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরের স্ত্রী সোমা ঠাকুরের নাম। কিন্তু শান্তনুর স্ত্রীকে প্রার্থী করা নিয়ে জেলা বিজেপির মধ্যেই প্রবল আপত্তি রয়েছে। এছাড়া, বাগদার প্রাক্তন বিধায়ক দুলাল বরের নাম রয়েছে। নাম এসেছে মতুয়া সম্প্রদায়ের বিনয় বিশ্বাস ও অমৃতলাল বিশ্বাসের।
দুলাল এগিয়ে রয়েছেন। রায়গঞ্জে প্রার্থী হিসাবে স্কুল শিক্ষক শংকর চট্টোপাধ্যায়ের নাম শোনা যাচ্ছে। এছাড়াও দাবিদার বিজেপির পুরনো কর্মী বাবুলাল বালা ও মানস ঘোষ। আবার রানাঘাট দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রে মতুয়া সম্প্রদায়ের মনোজ বিশ্বাসের নাম সম্ভাব্য প্রার্থী তালিকায় রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। আর মানিকতলা আসনে এগিয়ে ভারতীয় ফুটবল দলের প্রাক্তন গোলরক্ষক কল্যাণ চৌবের নাম। এর আগেও মানিকতলা কেন্দ্রে প্রার্থী হয়ে তৃণমূলের কাছে হেরেছিলেন কল্যাণ। কল্যাণ বর্তমানে অল ইন্ডিয়া ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি। আলোচনায় কল্যাণ এগিয়ে রয়েছেন। নাম এসেছে উত্তর কলকাতার পুরনো বিজেপি কর্মী অমিতাভ রায় ও শ্যাম জয়সোয়ালের। এছাড়া, গেরুয়া শিবিরের একাংশ তমোঘ্ন ঘোষ ও শিবাজী সিংহরায়কেও চাইছেন বলে খবর।

Card image cap

রাত পোহালেই রায় ঘোষণা! শান্তিপূর্ণ গণনা প্রক্রিয়ার জন্য কী পদক্ষেপ নির্বাচন কমিশনের? রাজ্যপালই বা কী বার্তা দিলেন?

এক্সপ্রেস কলকাতা ডেস্ক: মঙ্গলবার অর্থাৎ ৪ জুন হবে লোকসভা নির্বাচন ২০২৪ এর ফলাফল ঘোষণা। এ দিন ভাগ্যপরীক্ষা হবে ভোটপ্রার্থীদের। কে হাসবে শেষ হাসি, সেদিকে তাকিয়ে বাংলা সহ সমস্ত দেশবাসীও। রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস এক ভিডিয়ো বার্তায় জানিয়েছেন, রাজভবনের পিসরুম এ দিন ২৪ ঘণ্টার জন্য খোলা থাকবে। কোথাও কোনও গোলমাল বা হিংসার ঘটনা ঘটলে, তা যেন দ্রুত পিসরুমে ফোন করে জানানো হয়, বঙ্গবাসীর কাছে সেই আবেদনই জানিয়েছেন রাজ্যপাল।

ইতিমধ্যেই শান্তিপূর্ণভাবে গণনা সম্পন্ন করতে একাধিক পদক্ষেপ করেছে নির্বাচন কমিশন। গণনা কেন্দ্রগুলিতে থাকছে ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তা বলয়। প্রথম পর্যায়ে থাকবেন লাঠিধারী ও এএসআই পদমর্যাদার পুলিশ কর্মী। দ্বিতীয় স্তরে থাকছে সশস্ত্র রাজ্য পুলিশ। আর তৃতীয় পর্যায়ে থাকছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। এছাড়াও গণনা কেন্দ্রের বাইরে ২০০ মিটার পর্যন্ত জারি ১৪৪ ধারা।
মঙ্গলবার দেশে লোকসভা নির্বাচনের ভোট গণনা শুরু হবে। বাংলার ৪২টি আসনের ভোটও একইসঙ্গে গণনা করা হবে। রাজ্যের ৪২টি আসনের গণনা ৫৫টি কেন্দ্রে সম্পন্ন হবে। এই গণনায় মোট ৫০৭ জন প্রার্থীর ভাগ্য নির্ধারণ হবে। গড়ে প্রতি আসনের জন্য ১৭টি রাউন্ডে ভোট গণনা হবে। এর মধ্যে সর্বোচ্চ ২৩টি রাউন্ড এবং সর্বনিম্ন ৯টি রাউন্ড গণনা করা হবে। মোট ৪৯৪৪টি টেবিলে ভোট গণনা হবে।
গণনা প্রক্রিয়া নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে রাজ্যের ৫৫টি গণনা কেন্দ্রে ৯২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়া ২৫২৫ জন রাজ্য পুলিশও নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবেন। প্রতিটি বিধানসভা কেন্দ্রের জন্য একজন করে পর্যবেক্ষক নিয়োগ করা হয়েছে, অর্থাৎ ২৯৪টি বিধানসভা কেন্দ্রের জন্য ২৯৪ জন পর্যবেক্ষক থাকবেন। গণনা কেন্দ্রে পর্যবেক্ষকরাই কেবল মোবাইল ব্যবহার করতে পারবেন।
পাশাপাশি, গণনা কেন্দ্র ও তার আশেপাশের এলাকা সিসিটিভি দ্বারা নজরদারিতে থাকবে। পোস্টাল ব্যালট গণনার ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসার বা অ্যাসিস্ট্যান্ট রিটার্নিং অফিসার শুধুমাত্র একবার নির্দিষ্ট ওটিপি দেখতে মোবাইল ব্যবহার করতে পারবেন। এছাড়া গণনা কেন্দ্রে অন্য কেউ মোবাইল ব্যবহার করতে পারবেন না। গণনা কেন্দ্রে প্রবেশের সময় সাদা কাগজ ও পেন ছাড়া অন্য কিছু আনা যাবে না। যদি কারও কাছে মোবাইল পাওয়া যায়, তবে কেন্দ্রীয় বাহিনী তা বাজেয়াপ্ত করবে এবং নির্বাচনী নিয়ম অনুযায়ী তাঁর বিরুদ্ধে হাজতবাস বা জরিমানা হতে পারে।

Card image cap

সপ্তম দফা ভোটে দেশে কত শতাংশ ভোটের হার? জেনে নিন

এক্সপ্রেস কলকাতা ডেস্ক: গত দেড় মাস আগে শুরু হয়েছিল লোকসভা নির্বাচন। আজ তাঁর সপ্তম অর্থাৎ শেষ পর্যায়। আজ কলকাতা উত্তর, কলকাতা দক্ষিণ, যাদবপুর, দমদম, জয়নগর, মথুরাপুর, বসিরহাট, ডায়মন্ড হারবার, বারাসত – এই কেন্দ্রগুলিতে ভোট গ্রহণ রয়েছে। বাংলার মোট ৫৭ আসনে নির্বাচন আজ। তার মধ্যে রয়েছে বাংলার ৯ টি আসন। এদিন ভাগ্য পরীক্ষা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি থেকে শুরু তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সহ একঝাঁক হেভিওয়েট প্রার্থীর।

দুপুর ১টা পর্যন্ত দেশে ভোটের হার ৪০.০৯ শতাংশ
রাজ্য ভোটের হার যথাক্রমে:
বিহার - ৩৫.৬৫ শতাংশ
চণ্ডীগড় - ৪০.১৪ শতাংশ
ওডিশা - ৩৭.৬৪ শতাংশ
পঞ্জাব - ৩৮.৮০ শতাংশ
উত্তর প্রদেশ - ৩৯.৩১ শতাংশ
পশ্চিমবঙ্গ - ৪৫.০৭ শতাংশ
হিমাচল প্রদেশ - ৪৮.৬৩ শতাংশ
ঝাড়খণ্ড - ৪৬.৮০ শতাংশ

Card image cap

রাত পোহালেই ষষ্ঠ দফার নির্বাচন! সাথে ভাগ্যপরীক্ষা একঝাঁক হেভিওয়েটের! বাংলার ভোটচিত্র একনজরে…

এক্সপ্রেস কলকাতা ডেস্ক: রাত পোহালেই রাজ্যে ষষ্ঠ দফার লোকসভা নির্বাচন। প্রায় শেষের দিকে পৌঁছে গিয়েছে দেশের অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচন। আগামীকাল রাজ্যের আটটি কেন্দ্রে ষষ্ঠ দফার নির্বাচন সংগঠিত হতে চলেছে। বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, বিষ্ণুপুর, মেদিনীপুর, তমলুক, কাঁথি, ঘাটাল, ঝাড়গ্রাম – এই ৮টি কেন্দ্রের ভোট। নির্বাচন কমিশনের তরফে অশান্তি রুখতে বাড়তি নজরদারি রয়েছে। ইতিমধ্যে এই আটটি কেন্দ্রের জন্য ৯১৯ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন রাখার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। থাকছে অন্যান্য অত্যাধুনিক নিরাপত্তা সংক্রান্ত পদক্ষেপ।

শনিবার বাংলা ছাড়া ভোট হচ্ছে বিহার (৮), হরিয়ানা (১০), ঝাড়খণ্ড (৪), ওড়িশা (৬), উত্তরপ্রদেশ (১৪), দিল্লি (৭) ও কাশ্মীরে (১)। এর মধ্যে কাশ্মীরের অনন্তনাগ আসনটিতে ভোট আগেই হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু খারাপ আবহাওয়া এবং যোগাযোগ ব্যবস্থার সমস্যার জন্য ভোট পিছিয়ে ষষ্ঠ দফায় করা হয়। তবে প্রত্যেক দফার মতো এই দফাতেও নজর থাকবে হেভিওয়েট প্রার্থীদের উপর।
এই দফার নির্বাচনে মোট প্রার্থীর সংখ্যা ৮৮৯ জন। যার মধ্যে রয়েছেন বাংলার একঝাঁক তারকা। নজর থাকবে তমলুকের বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Abhijit Ganguly) দিকে। কলকাতা হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি নির্বাচনের আগে যোগ দিয়েছেন বিজেপিতে। তৃণমূলের যুবনেতা দেবাংশু ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে তাঁর লড়াই। এছাড়াও রয়েছেন ঘাটালের তৃণমূল প্রার্থী দেব (Dev)। টানা তিনবার সাংসদ হওয়ার দৌড়ে রয়েছেন জনপ্রিয় অভিনেতা। তাঁর প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী বিজেপির হিরণ। এছাড়াও মেদিনীপুরে অভিনেত্রী জুন মালিয়া বনাম ফ্যাশন ডিজাইনার অগ্নিমিত্রা পলের লড়াই হবে ষষ্ঠ দফার ভোটে। কাঁথির বিজেপি প্রার্থী সৌমেন্দু অধিকারীও এই দফার অন্যতম হেভিওয়েট প্রার্থী।
বর্তমানে রাজ্যেজুড়ে রয়েছে ১০২০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। তার মধ্যে আগামীকাল ষষ্ঠ দফা নির্বাচনে ৮ টি লোকসভা আসনের নির্বাচনের জন্য কাজে লাগানো হবে ৯১৯ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনীকে। বাকি কোম্পানি থাকবে স্ট্রং রুমে নিরাপত্তায় এবং বাকি জেলায়। এর মধ্যে বাঁকুড়াতে থাকবে ১৭৮ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী, ঝাড়গ্রামে থাকবে ১৩৩ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী, পশ্চিম মেদিনীপুরে ২১৮ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী, পূর্ব মেদিনীপুর ২৩৭ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী, পূর্ব বর্ধমান জেলায় ১৬ কোম্পানি কেন্দ্রে বাহিনী এবং পুরুলিয়া জেলায় ১৩৭ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে। এদিকে ৮টি লোকসভা কেন্দ্র মিলিয়ে মোট রাজ্য পুলিশ মোতায়েন থাকবে ২৯,৪৬৮ জন। এর মধ্যে বাঁকুড়ায় ৬৫২১, ঝাড়গ্রাম ২৪৩৬ জন, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় ৬৯০১জন, পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় ৭১৪ জন, পূর্ব বর্ধমান জেলায় ৭৪৩২ জন, পুরুলিয়া জেলায় ৫৪৬৪ জন।

Card image cap

ঘাটালে বিজেপি নেতার গাড়ি থেকে উদ্ধার নগদ ২৪ লক্ষ টাকা!

এক্সপ্রেস কলকাতা ডেস্ক: শনিবার ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্রের ভোট। আর তার ঠিক আগের দিনই বিজেপি নেতার গাড়ি থেকে উদ্ধার হল নগদ ২৪ লক্ষ টাকা। জানা যাচ্ছে, শুক্রবার সকালে দাসপুরের খুকুড়দায় এলাকায় নাকা চেকিংয়ের সময় দাসপুরের বিজেপি নেতা প্রশান্ত বেরার গাড়ি তল্লাশি করতেই মেলে এক ব্যাগ নগদ টাকা। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শোরগোল পড়েছে রাজনৈতিক মহলে। ইতিমধ্যেই বিজেপি নেতাকে আটক করেছে পুলিশ। তবে তাঁর দাবি, এই টাকা নির্বাচন খাতের। যা পার্টি অফিস থেকে নিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি। ঘটনা প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা হিরণের দাবি, বিজেপি নেতাদের ফাঁসানো হচ্ছে। এই নিয়ে মুখ খুললেন ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী দেবও।

জানা গিয়েছে, প্রশান্ত বেরা দাসপুর বিধানসভার নির্বাচন কমিটির বিজেপির কনভেনর। ২০২১ সালের লোকসভা ভোটে বিজেপির হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতাও করেছেন। আগামিকাল ঘাটাল লোকসভা আসনে ভোট। তার ঠিক আগেরদিন সকালে এই ঘটনার জেরে শোরগোল পড়েছে গোটা এলাকায়।
খুকুড়দা পয়েন্টে নাকা চেকিংয়ের সময়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত এসডিপিও অনিমেষ সিংহ রায় বলেন, “আমাদের কাছে নির্দিষ্ট খবর ছিল একটি লাল রঙের গাড়িতে কিছু টাকা যাচ্ছে। সেই মতো আমরা এই গাড়িটিকে আটকাই। তার মধ্যে এক ব্যক্তিকে পাওয়া যায়, যার নাম প্রশান্ত বেরা। তিনি দাসপুরে বিজেপির কনভেনার। একজন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। তাঁর কাছে ২৪ লাখ টাকা পাওয়া গিয়েছে। তিনি এখনও সদুত্তর দিতে পারেননি। উনি আপাতত আমাদের কাছে কোনও বৈধ নথিপত্র দেখাতে পারেননি। আমাদের তদন্ত এখনও চলছে।”
এবিষয়ে ঘাটালের বিজেপি প্রার্থী হিরণ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘যেভাবে আমার আপ্তসহায়কের বাড়িতে এসেছিল, এটাও সে রকমই এক চক্রান্ত। টাকা, বন্দুক, বোমা বাড়িতে, গাড়িতে ঢুকিয়ে বিজেপি নেতা-কর্মীদের ফাঁসিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চলছে।” হার নিশ্চিত বুঝতে পেরেই তৃণমূল পুলিশকে দিয়ে এসব করাচ্ছে বলে দাবি হিরণের।
অন্য দিকে শুক্রবার সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল তারকা প্রার্থী দেব বলেন, “গোরু চুরির টাকা তো এদের কাছে রয়েছে। কোটি কোটি টাকা ধরা পড়ছে। আমার মনে হল এবার জবাব দেওয়ার প্রয়োজন রয়েছে। এখানে ওরা টার্গেট করেছিল দেবকে। ফেক অডিয়ো ভাইরাল করেছে। এবার মানুষের কাছে স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে যে কে কী ভাবে জিততে চায়ছে। নামের আগে ভুয়ো ডক্টরেড ডিগ্রি লাগাচ্ছে।”

Card image cap

‘হিরণের পাল্লায় পড়ে তোমাকে তো কাউন্সিলরে নামিয়ে দিচ্ছে’, শুভেন্দুর পোস্টের জবাবে কটাক্ষ দেবের!

এক্সপ্রেস কলকাতা ডেস্ক: নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে, ততই চড়ছে ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্রের রাজনৈতিক পারদ। ভোটের ৪৮ ঘণ্টা আগে ঘাটালে গরু চুরি নিয়ে ফের লড়াইয়ে নামল বিজেপি-তৃণমূল। এবার তরজায় নামলেন দুই অভিনেতা প্রার্থী - দেব এবং হিরণ। যদিও শুরুটা করেছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বৃহস্পতিবার সকালে তাঁর একটি সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট দিয়ে। সেই পোস্টই যেন আরও উস্কে দেন ঘাটালের বিজেপি প্রার্থী হিরণ চট্টোপাধ্যায়। তবে এবার পাল্টা জবাব দিলেন দেব। নিশানা করলেন শুভেন্দুকে। সঙ্গে জুড়ে দিলেন হিরণকেও। ঠিক কী বললেন? জেনে নিন…

উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার সকালে নিজের এক্স হ্যান্ডেলে শুভেন্দু তিনটি ছবি পোস্ট করেন। তার ক্যাপশন ছিল ‘দেবের কীর্তি’। প্রথমটি একটি ব্যাঙ্কের লেনদেন ছবি। সেখানে দেখা যাচ্ছে, ‘আরণ্যক ট্রেডার্স’ নামে একটি সংস্থার লেজ়ার অ্যাকাউন্ট থেকে ‘ভেনচার্স প্রাইভেট লিমিটেড’ লেখা সংস্থার আইসিআইসিআই ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্টে ২০১৬ সালের ২৪ এবং ২৫ নভেম্বর দুদফায় ২৫ লক্ষ টাকা করে মোট ৫০ লক্ষ টাকা দেওয়া হয়েছে। আর একটি ডায়েরির পাতার ছবি পোস্ট করা হয়েছে। যেখানে লেখা রয়েছে, ‘দেব মোবাইল: ৭২ হাজার টাকা’ এবং ‘দেব ঘড়ি: ৪ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা’। পাশেই একটি পাতায় ছাপানো অক্ষরে ইংরেজিতে লেখা ‘দেব মোবাইল অ্যান্ড দেব ওয়াচ’। ডায়েরির পাতায় উল্লিখিত পরিমাণ অর্থের উল্লেখ রয়েছে ছাপা অক্ষরের পৃষ্ঠাটিতেও। শুভেন্দু দাবি করেন, যে ডায়েরির পাতা তিনি পোস্ট করেছেন, তা এনামুল হকের। আবার হিরণ দাবি করেছেন, ‘আরণ্যক ট্রেডার্স’ এনামুলেরই সংস্থা। এনামুল গরু পাচার মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত। এনামুলের সংস্থা থেকে দেবের সংস্থার অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকেছিল বলে দাবি বিজেপি প্রার্থীর।
এই পোস্টের জবাবে কিছুক্ষণ পরেই পাল্টা পোস্ট দেবের। শুভেন্দুর পোস্টটি মেনশন করে একটি পোস্টার পোস্ট করেছেন তিনি। তার উপরে লেখা, ‘পিন্টু মন্ডল নিবেদিত গীত-সঙ্গীত পরিবার’। তাতে বলিউডের অভিনেতা গোবিন্দ, অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত-সহ অনেকের সঙ্গে হিরণেরও ছবি রয়েছে। সেটি পোস্টের ক্যাপশনে দেব লেখেন, ‘‘ও শুভেন্দুদা, তুমি নাকি কোথায় মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার স্বপ্ন দেখছ, হিরণের পাল্লায় পড়ে তোমাকে তো কাউন্সিলরে নামিয়ে দিচ্ছে। ভালবাসি বলে বললাম, আমিও জানি তুমি আমাকে ভালবাসো। আর রইল কথা গরু চুরির টাকা, তোমার কোলের ছেলে হিরো হিরণ, সে-ও পিন্টু মন্ডলের থেকে টাকা নিয়েছে, তা হলে উনিও...।’’ এরপর আবারও একটি পৃথক পোস্টে দেব লিখেছেন, ‘‘তা হলে উনিও কি গরু চোর? শুভেচ্ছা দুজনকেই। আর একটা কথা, আমার ভদ্রতা কিন্তু আমার দুর্বলতা নয়।’’
এ প্রসঙ্গে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে হিরণ ও শুভেন্দু অধিকারী উভয়কেই ধন্যবাদ জানান ঘাটালের সাংসদ-অভিনেতা দেব। বলেন, “শুভেন্দুদার পোস্টটা দেখে কাকে ধন্যবাদ দেব বুঝতে পারছি না। হিরণকে নাকি শুভেন্দুদাকে। আমি হিরণকে দিয়েই শুরু করি। আড়াই বছর ধরে মনের মধ্যে অনেক কথা জমে ছিল। কোনও এজেন্সি নিয়ে যখন তদন্ত হয়, তখন সেই তদন্ত নিয়ে বেশি কথা বলা যায় না। আমি খুব আশ্চর্য হলাম এই যে ইডি-সিবিআই কাছে যে তথ্যপ্রমাণগুলো ছিল, সেটা শুভেন্দু অধিকারীর কাছে কেন এবং কীভাবে এল। এটা শুধুই ইডি বা সিবিআইয়ের কাছে থাকা উচিত। কিংবা হোম মিনিস্ট্রির কাছে থাকা উচিত, বা কোর্টের কাছে থাকা উচিত। এই চারজনের বাইরে আমার মনে হয় এই তথ্য আরও কাছে যাওয়া উচিত নয়। এগুলো খুবই গোপন নথি।”
দেব আরও বলেন, “এর থেকে বোঝা যায়, শুভেন্দু অধিকারীর কাছে সোর্স রয়েছে। তাছাড়া, আমি আগেও বলেছি, যে টাকাটা আমি নিয়েছিলাম, সেটা আমি ফিরিয়েও দিয়েছি। সেই তথ্যও আমি সোশাল মিডিয়ায় আপলোড করব।” কথা রাখলেন দেব। বিকেল হতেই এক্স হ্যান্ডেলে তুলে ধরেছেন ৫০ লক্ষ টাকা ফেরতের হিসেব। নথি বলছে, ২০১৭ সালের ৩ ও ১৩ নভেম্বর, দু-দফায় ৫০ লক্ষ টাকা ফেরত দিয়েছেন তিনি। নথির ছবির সঙ্গে দেব লিখেছেন, “সিনেমা জন্য লগ্নি করেছিলেন। সিনেমা রিলিজের পর ফেরত দিয়ে দেওয়া হয়েছিল…”। ওই পোস্টেই ‘ভুয়ো’ ডিগ্রি প্রসঙ্গে হিরণকে খোঁচা দিয়েছেন দেব। লিখেছেন. “এই যে ডক্টর বাবু, আমার Ledger”।

Card image cap

ফের হামলার মুখে দিলীপ! গাড়ি ভাঙচুর, রক্ত ঝরল নিরাপত্তারক্ষীর!

এক্সপ্রেস কলকাতা ডেস্ক: চতুর্থ দফার ভোটে সকাল থেকেই অন্যান্য হেভিওয়েট প্রার্থীদের মধ্যে সবথেকে বেশি চর্চায় রইলেন বর্ধমান দুর্গাপুরের BJP প্রার্থী দিলীপ ঘোষ। কখনও আলিঙ্গন করলেন প্রতিপক্ষ কীর্তি আজাদকে, আবার কখনও বা তাঁকে ঘিরে তুমুল বিক্ষোভ চলল। সোমবার সকালে দিলীপ ঘোষ বর্ধমানের তুল্লা বাজারে পৌঁছতেই উত্তেজনা ছড়ায়। সেখানে হামলা চালানো হয় নানান সংবাদ মাধ্যমের গাড়িতেও। এরপর ফের বর্ধমান উত্তরের ২০৪ নম্বর বুথের কাছে হামলার অভিযোগ ওঠে। সেখানেই আহত হয়েছেন দিলীপ ঘোষের নিরাপত্তা রক্ষী। মাথা ফেটে গলগল করে রক্ত বের হতে দেখা যায়।

প্রসঙ্গত, ২০৪ নম্বর বুথ থেকে অভিযোগ আসছিল বিজেপির এজেন্টকে বের করে দেওয়া হয়েছে। অভিযোগ, দিলীপ ঘোষ সেখানে যেতেই তৃণমূলের লোকেরা হামলা চালায়। এই ঘটনায় দিলীপের সঙ্গে যে নিরাপত্তারক্ষীরা ছিলেন, সাব ইন্সপেক্টর সুনীল কুমার ও কনস্টেবল রামু প্রমাণ, উভয়েই আক্রান্ত হন। তাঁদের মাথা ফাটে, হাতে লাগে। এমনকী কনভয়ে নিরাপত্তারক্ষীদের যে গাড়ি, তাও ভেঙে ফেলা হয়। নিরাপত্তারক্ষীদের বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। অভিযোগ, মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালও তৃণমূলের লোকেরা ঘিরে রেখেছে। এই ঘটনার পর বর্ধমান জেলায় দলীয় দফতরে যান।
যদিও এই অভিযোগ প্রসঙ্গে বর্ধমান দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী কীর্তি আজাদ বলেন, ‘‘যেখানেই দিলীপ ঘোষ যান, সেখানেই উত্তেজনা ছড়ায়।’’ তিনি বলেন, ‘‘নির্বাচন কমিশনে আমরা অভিযোগ জানিয়েছি। কিন্তু তারা কর্ণপাত করেনি।’’

Card image cap

হাওড়ার জনসভায় প্রধানমন্ত্রী সামনে আবেগপ্রবণ খুদেরা!

এক্সপ্রেস কলকাতা ডেস্ক: রবিবার ভোটবঙ্গে পরপর চারটি সভা ছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। প্রথমে ব্যারাকপুর, তারপর হুগলি, আরামবাগ ও শেষে হাওড়ায়। বিকেলে হাওড়ার জনসভায় প্রধানমন্ত্রী মঞ্চের নীচে থেকে হাত উঁচু করে নিজেদের আঁকা ছবি তুলে ধরে দুই খুদে ও এক মহিলা। ভিড়ের মধ্যেও সেই ছবি চোখে পড়ে প্রধানমন্ত্রীর ও মঞ্চে বক্তব্য রাখার মাঝেও তাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আমি সভা শেষে তোমাদের থেকে ছবিগুলো নিয়ে নেব।’

রবিবার ব্যাক টু ব্যাক চারটি সভা ছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। সেদিন বিকেলে হাওড়ার শেষ জনসভায় বক্তব্য রাখছিলেন তিনি। মঞ্চের নীচে তখন কাতারে কাতারে ভিড় তাঁর বক্তব্য শোনার জন্য। এরই মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর চোখ যায়, দুই খুদে-সহ এক মহিলার দিকে। মোদীকে উপহার দেওয়ার জন্য নিজের হাতে ছবি এঁকে নিয়ে এসেছিল তারা। প্রধানমন্ত্রী তা দেখা মাত্রই বক্তব্য থামিয়ে দেন কিছুক্ষণের জন্য ও তাদের উদ্দেশে বলেন, ‘তোমরা হাত নামাও। অনেক যত্ন করে তোমরা ছবি এঁকে নিয়ে এসেছো। আমি সভা শেষে তোমাদের থেকে ছবিগুলো নিয়ে নেব।’
এই কথাগুলি বলতেই মঞ্চের নীচে দাঁড়িয়ে থাকা খুদেদের চোখ ছলছল করে ওঠে। তাদের আঁকা ছবি, প্রধানমন্ত্রী দেখেছেন, সেগুলি নেবেন বলেছেন, এটা দেখে আবেগপ্রবণ হয়ে যায় দুই খুদে। প্রধানমন্ত্রী তাদের কান্না থামানোর জন্য অনুরোধ করেন। বলেন, ‘কাঁদবে না। আমি ছবিগুলো নেব। আমার টিম সেগুলো নিয়ে নেবে তোমাদের থেকে।’ তাদের হাতে আঁকা ছবিগুলি হাতে পেয়ে ধন্যবাদও জানান মোদী।

Card image cap

রানাঘাটে ভোটের আগে বড় চমক! মিঠুনের হাত ধরে BJP-তে তৃণমূল প্রার্থীর স্ত্রী

এক্সপ্রেস কলকাতা ডেস্ক: আগামী সোমবার, ১৩ মে অর্থাৎ মাত্র ২ দিন পর রানাঘাটে লোকসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। তার ঠিক আগেই রানাঘাটে দেখা গেল বড়সড় চমক। শনিবার শেষবেলার প্রচারে গিয়ে তৃণমূল প্রার্থীর স্ত্রীকে বিজেপিতে নিয়ে এলেন ‘মহাগুরু’ মিঠুন চক্রবর্তী।

এ দিন রানাঘাটের লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত তাহেরপুরে বিজেপি প্রার্থী জগন্নাথ সরকারের সমর্থনে জনসভা করতে গিয়েছিলেন তারকা প্রচারক মিঠুন চক্রবর্তী। সেই মঞ্চেই তাঁর হাত থেকে পদ্ম পতাকা নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে বিজেপিতে যোগ দিলেন রানাঘাটের তৃণমূল প্রার্থী মুকুটমণি অধিকারীর স্ত্রী স্বস্তিকা ভুবনেশ্বরী। তবে স্থানীয় তৃণমূলের বক্তব্য, ভোটে এর কোনও প্রভাব পড়বে না। জিতবেন তৃণমূল প্রার্থী মুকুটমণি অধিকারীই।
লোকসভা ভোটের (2024 Lok Sabha Election) আগে রানাঘাটে পদ্ম শিবির ছেড়ে ওই লোকসভা কেন্দ্রের ঘাসফুলের প্রার্থী হয়েছেন চিকিৎসক মুকুটমণি অধিকারী। তাঁকে এবার রানাঘাট লোকসভা কেন্দ্রে BJP-র জগন্নাথ সরকারের বিরুদ্ধে লোকসভার প্রার্থী করেছে তৃণমূল। তরুণ মুখ হলেও মতুয়া মহলেও ব্যাপক জনপ্রিয় তিনি। আর ভোট প্রচারের শেষবেলায় তাঁর স্ত্রী স্বস্তিকা ভুবনেশ্বরী যোগ দিলেন গেরুয়া শিবিরে। তাও আবার মিঠুন চক্রবর্তীর মতো তারকা প্রচারকের হাত ধরে।
অন্য দিকে, রানাঘাটের তৃণমূল প্রার্থী মুকুটমণি অধিকারী হলফনামা দিয়ে আগেই জানিয়েছিলেন, তিনি এবং তাঁর স্ত্রী আলাদা থাকেন। উল্লেখ্য, ২০২৩ সালে BJP-তে থাকাকালীন মুকুটমণি অধিকারীর বিরুদ্ধে তিলজলা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছিলেন তাঁর স্ত্রী স্বস্তিকা ভুবনেশ্বরী। বিয়ের ১১ দিনের মাথায় স্বামীর বিরুদ্ধে বধূ নির্যাতনের অভিযোগ নিয়ে আসা হয়। এনিয়ে যথেষ্ট শোরগোল পড়ে। আইনের ছাত্রী স্বস্তিকার সঙ্গে মুকুটমণির আলাপ আগেই। কংগ্রেস পরিবারের মেয়ে স্বস্তিকা, বিয়ের পর তা জেনেই অত্যাচার শুরু হয় বলে অভিযোগ। ইতিমধ্যে তাঁদের বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা চলছে। এখনও পর্যন্ত খাতায়-কলমে তৃণমূল প্রার্থী মুকুটমণি অধিকারীরই স্বস্তিকা ভুবনেশ্বরী।

Card image cap

সন্দেশখালীর ঘটনা শুভেন্দুর সাজানো বলছে বিজেপি নেতা

সন্দেশখালি থেকে একের পর এক যে সমস্ত অভিযোগ সামনে এসেছে, তা নাড়িয়ে দিয়েছে গোটা রাজ্যকে। লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে বিষয়টি নিয়ে রাজনৈতিক তরজাও অব্যাহত। সন্দেশখালির ঘটনায় কলকাতা হাইকোর্টে রিপোর্ট জমা দিয়েছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা CBI-ও। সেই আবহেই সন্দেশখালি নিয়ে এবার নয়া বিতর্ক। সন্দেশখালি থেকে একটি ভিডিও সামনে এসেছে, যেখানে ধর্ষণের কোনও ঘটনা ঘটেইনি বলে দাবি করেছেন বিজেপি-র মণ্ডল সভাপতি। ওই ভিডিও-র সত্যতা যাচাই করেনি এক্সপ্রেস কলকাতা, তবে ভিডিওটি ঘিরে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। 

যে ভিডিও সামনে এসেছে, তাতে বিজেপি মণ্ডল সভাপতিকে স্পষ্ট দেখা গিয়েছে। ক্যামেরার অন্য দিকে আরও কয়েক জনকে কথা বলতে শোনা যায়। ভিডিও-য় যে কথোপকথন শোনা যায়, তা হল, এই আন্দোলনকে ধরে রাখার ক্ষমতা কারও নেই। শুভেন্দুদা তাঁর লোকজনকে দিয়ে টাকা, মোবাইল পাঠিয়ে সাপোর্ট দিচ্ছেন।

তৃণমূলের মুখপাত্র অরূপ চক্রবর্তী সোশ্যাল মিডিয়ায় ওই ভিডিওটি পোস্ট করেছেন। ভিডিও-য় সন্দেশখালির ঘটনা নিয়ে মুখ খুলেছেন সন্দেশখালি ২ নম্বর ব্লকের বিজেপি মণ্ডল সভাপতি গঙ্গাধর কোয়েল। এক্সপ্রেস কলকাতা ওই ভিডিও-র সত্যতা যাচাই করেনি, কিন্তু সেটি সামনে আসার পর বিতর্ক শুরু হয়েছে নতুন করে। কারণ বিজেপি নেতাকে বলতে শোনা গিয়েছে, ধর্ষণের ঘটনাই ঘটেনি। অভিযোগ করানো হয়েছে। গোটাটাই শুভেন্দু অধিকারীর নির্দেশ এবং পরিকল্পনামাফিক হয়েছে।

ভিডিও-য় একজনকে বলতে শোনা যায়, "আমাদের বাড়ির বউদের দিয়ে এটা করানো যেত! আমরাই পারতাম না। দাদা সেখানে বাইরের লোক হয়ে তাদের দিয়ে করিয়েছে। তৃণমূলের লোকদের দিয়েই করিয়েছে...শুভেন্দুদা বলেছিলেন, এটা করতে না পড়লে, তাবড় লোকগুলোকে গ্রেফতার না করালে, ওখানে মাথা তুলে দাঁড়াতে পারবে না। শুভেন্দুদাই পুরোটা নিয়ন্ত্র করতেন। পীযূস এসেছিলেন..."।

ভিডিও-য় গঙ্গাধরকে আরও বলতে শোনা যায়, "আমাকে বলত, এটা করতে হবে, ওটা করতে হবে। কী অভিযোগ করতে হবে, বলে দিতেন।" সন্দেশখালির মহিলাদের কী করে রাজি করালেন জানতে চাইলে গঙ্গাধর জানান, গ্রেফতার না করলে সন্দেশখালিতে টেকা যাবে না, বুলেটের আঘাতে শেষ করে দেবে বলে বোঝানো হয়েছিল। তাতেই রাজি হয়েছেন সকলে। প্রথমে রেখা, তার পর বাকিরা অভিযোগ করেন বলে ওই কথোপকথনে উঠে এসেছে। অনেকে থানা-পুলিশ, তদন্তের ভয়ে পিছিয়েও যান বলে শোনা গিয়েছে ভিডিও-য়। 

এই ভিডিও নিয়ে রাজ্য বিজেপি-র সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের প্রতিক্রিয়া চাওয়া হলে তিনি বলেন, "এ বিষয়ে তদন্ত করছি আমরা। দেখছি। আমার মনে হয় না এমন কোনও বিষয় আছে। তৃণমূল কোনও ভাবে প্রলোভিত করে এটা করেছে কি না খোঁজ করছি।” রাজ্যের দমকল মন্ত্রী সুজিত বসুর বক্তব্য, “যারা বর্তমানে বিরোধী, তারা একটা প্লট তৈরি করেছিল তারা। ওখানে কী কী হয়েছিল, বলেছিল। এটা নিয়ে ভাল করে তদন্ত হওয়া উচিত। এই ধরনের ঘটনা ঘটিয়ে যদি সমাজকে প্রভাবিত করে কেউ, তাহলে শাস্তি হওয়া উচিত। বিরোধীরা সন্দেশখালির ঘটনাকে নির্বাচন পর্যন্ত জিইয়ে রাখতে চাইছে। তাই নানা ভাবে প্রলোভিত করছে। প্রধানমন্ত্রী থেকে অন্যরা খালি সন্দেশখালি সন্দেশখালি করছেন। এর চেয়ে অনেক বড় গটনা ঘটেছে হাথরস, মণিপুরে। ওরা বাংলাকে কলুষিত করতে চাইছে।”

সিপিএম-এর রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম বলেন, “গোটা দেশে এবং রাজ্যে যেখানে অন্যায় হচ্ছে, সেখানে হয় তৃণমূল, নয় বিজেপি, নয়ত দুই দলই যুক্ত আছে।”

Card image cap

তৃণমূলের তারকা প্রচারকের তালিকা থেকে বাদ কুণাল

বুধবার গিয়েছিল তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক পদ বৃহস্পতিবার তারকা প্রচারকের তালিকা থেকেও বাদ কুণাল ঘোষ এদিনই তৃণমূল পঞ্চম দফার তারকা প্রচারকের তালিকা প্রকাশ করে তাতে নাম নেই কুণাল ঘোষের 

 

উল্লেখ্য, বুধবারই আমহার্স্ট স্ট্রিটে এক রক্তদান অনুষ্ঠানে গিয়ে বিজেপি প্রার্থী তাপস রায়ের ভূয়সী প্রশংসা করেন কুণাল তিনি বলেন, প্রার্থী বা জনপ্রতিনিধি হিসাবে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের থেকে পিছিয়ে নেই তাপস তাঁর দরজা সারা দিন, সারা রাত দলের কর্মী এবং সাধারণ মানুষের জন্য খোলা থাকে ঘটনাচক্রে সেই মন্তব্য করার কয়েক ঘণ্টা পরই তৃণমূলের তরফে বিবৃতি দিয়ে বলে দেওয়া হয়, কুণালকে দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে সরানো হয়েছে তাঁর মন্তব্য দলের অবস্থান নয়

 

তৃণমূলের ওই বিবৃতিতে কড়া ভাষায় বলে দেওয়া হয়েছে, “সাম্প্রতিককালে কুণাল ঘোষের একাধিক মতামত অবস্থানের পরিপন্থী এটা স্পষ্ট করে দেওয়া দরকার ওই মন্তব্যগুলি কুণালের নিজস্ব সেগুলিকে যেন তৃণমূলের মতামত মনে না করা হয় শুধুমাত্র তৃণমূলের সদর দপ্তর থেকে যে মন্তব্য করা হচ্ছে সেগুলিই দলের বক্তব্যআর তার ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতে তৃণমূলের তারকা প্রচারকের তালিকা থেকেও বাদ কুণাল

 

বৃহস্পতিবার তৃণমূলের পঞ্চম দফার তারকা প্রচারকের তালিকা প্রকাশ হয় ওই তালিকায় মোট ৪০ জনের নাম রয়েছে দলের শীর্ষস্তরের নেতাদের নাম যেমন রয়েছে তেমনই আবার দেব, সায়ন্তিকা, সোহম থেকে অদিতি মুন্সির মতো তারকারাও রয়েছেন সেই তালিকায় তবে তাতে একমাত্র বাদ গিয়েছে কুণাল ঘোষের নাম অথচ এর আগে তারকা প্রচারকের তালিকায় ছিলেন তিনি যদিও তা নিয়ে মাথা ঘামাতে নারাজ কুণাল বলেন, “শুভেন্দুকে চোর বলতে যাঁদের পাঁচবার ভাবতে হয় তাঁরা তারকা হলে ভালো আমার কোন আফশোস নেই ভালোই হয়েছে গরমে ঘোরাঘুরি থেকে বেঁচে গিয়েছিপদ, তারকা তকমা হারানোর পরেও এদিন কুণাল ঘোষের সঙ্গে দেখা করেন উত্তর কলকাতার অনুগামীরা পদ হারানোর পরেও অনুগামীদের পাশে পেয়ে আবেগতাড়িত কুণাল কথা বলতে বলতে কেঁদে ফেলেন চোখের জল মুছতে মুছতে বলেন, “পদে নয়, পথে আছিকুণালের পাশে দাঁড়িয়েছেন তৃণমূল মুখপাত্র শান্তনু সেনও বলেন, দল বিড়ম্বনায় পড়লে আমরা বিরোধীদের আক্রমণ করেছি দাঁত, নখ বের করে বিরোধীদের আক্রমণ করেছি দলকে কুণালের অবদান ভুলে গেলে চলবে না

Card image cap

নদীয়ায় মতুয়া গড়ে জনসভায় জে পি নাড্ডা! বক্তব্যে শোনা গেলোনা CAA সহ মতুয়াদের নিয়ে কোন কথাই।

এক্সপ্রেস কলকাতা ডেস্ক: দেশজুড়ে লোকসভা নির্বাচনের, দুই দফার নির্বাচনী প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে, আর নদীয়ার দুটি কেন্দ্রে রয়েছে চতুর্থ দফার লোকসভা নির্বাচন। আর যত নির্বাচনের দিন এগিয়ে আসে ততই বাড়ছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের পচার অভিযান কর্মসূচি। আর বিভিন্ন জায়গায় চলছে জনসভারও আয়োজন। 

আর রবিবার রানাঘাট লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী জগন্নাথ সরকারের সমর্থনে নদীয়ার রানাঘাট উত্তর-পূর্ব বিধানসভা এলাকার বগুলা আইটিআই কলেজ মাঠে আয়োজিত হয় নির্বাচনী জনসভা। সেখানে উপস্থিত ছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা।
এ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন জগন্নাথ সরকার, সহ জেলা সভাপতি ও একাধিক বিধায়ক ও নেতৃত্ব। 

প্রায় আধঘন্টা সময় মঞ্চে দাঁড়িয়ে বক্তব্য দেন তিনি, আর সেখানেই রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করেন। 

পাশাপাশি সারাদেশে বিজেপি ক্ষমতায় আসার পর থেকে কি কি উন্নয়নমূলক কাজ করেছেন সেটাও তুলে ধরেন।

তিনি বলেন দেশের ভবিষ্যৎ বদলে গেছে, শুধুই সারা দেশে বিকাশ হয়েছে। বদলে গেছে দেশের সংস্কৃতি, আর সবথেকে বড় ভূমিকা রাজনীতির প্রেক্ষাপটও পাল্টে গেছে। সবকা সাথ সবকা বিকাশ, গোটা দেশে এই মন্ত্রে চলছে উন্নয়ন। 

জে পি নাড্ডার এদিনের এই কর্মসূচীকে ঘিরে বগুলা আইটিআই কলেজ মাঠ চত্বর পুলিশ প্রশাসন ও সিআরপিএফ জওয়ানদের কড়া নিরাপত্তা বলয়ে মুড়ে রাখা হয়। 

অন্যদিকে তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হলো নদীয়ার রানাঘাট লোকসভা কেন্দ্রের একটা বড় অংশ মতুয়া সম্প্রদায় অধ্যুষিত, এমনকি যে এলাকায় এদিনের সভা অনুষ্ঠিত হয় সেই এলাকাটাও প্রায় মতুয়া অধ্যুষিত,এই কেন্দ্রে মতুয়া গড় থাকা সত্ত্বেও মতুয়াদের নিয়ে কোন ব্যাখ্যা করেননি জেপি নাড্ডা। বলেনন নি বিতর্কিত CAA নিয়েও।

 সেখানেই উঠছে প্রশ্ন, তাহলে কি সিএএ লাগু হওয়ার পরে অনেকটাই নির্বাচনী ভোট বাক্সে প্রভাব পড়তে পারে বিজেপির। আর তার কারণেই মতয়াদের এড়িয়ে গেলেন যে জেপি নাড্ডা।

তবে কাকফাটা রোদ আর ৪৫° তাপমাত্রাকে উপেক্ষা করেই এদিনের এই সভায় কর্মীসমর্থকদের উপস্থিতি ছিলো চোখে পড়ার মতো।

Card image cap

‘ভোটের বাংলায় আতঙ্ক তৈরির ছক করছে বিজেপি’: সন্দেশখালি প্রসঙ্গে ক্ষুব্ধ মমতা।

এক্সপ্রেস কলকাতা ডেস্ক: আজ আসানসোলে লোকসভা ভোটের প্রচারে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী তথা অভিনেতা শত্রুঘ্ন সিন্‌হার হয়ে প্রচার করতে শনিবার কুলটিতে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা। প্রচারে বিভিন্ন ইস্যুতে কেন্দ্র সরকারকে আক্রমণ করতে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘কেন এত মিথ্যা কথা বলেন আপনারা?’ তারপরই সন্দেশখালির প্রসঙ্গ তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘ভোটের বাংলায় আতঙ্ক তৈরির ছক করছে বিজেপি।’ কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরাই গাড়িতে করে অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সন্দেশখালিতে যায়নি তো, সন্দেহ প্রকাশ করেন তিনি।

ভোটের প্রচারে আসানসোল গিয়ে আরও একবার সন্দেশখালি ইস্যুতে সরব হয়ে তৃণমূল সুপ্রিমো্ বললেন, ‘কেন মিথ্যা কথা বলে বিজেপি? কেন এখানে চকোলেট বোমা ফাটলেও সিবিআই, এনআইএ, এনএসজির দরকার পড়ে? যেন যুদ্ধ চলছে? পুরোটাই একতরফা ভাবে হয়। রাজ্য পুলিশকে কিছু জানানো হয় না। কেউ জানে না কোথা থেকে কী পাওয়া গিয়েছে। হয়তো ওরাই গাড়ি থেকে নিয়ে এসে দেখিয়েছে। কোনও প্রমাণ নেই।’
উল্লেখ্য, গোপন সূত্রে পাওয়া খবরের ভিত্তিতে শুক্রবার সন্দেশখালির আগারহাটির মল্লিকপাড়ায় হানা দেয় সিবিআই। তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য হাফিজুল খাঁর ভগ্নিপতি আবু তালেব মোল্লার বাড়ি ঘিরে ফেলে কেন্দ্রীয় বাহিনী। সিবিআই এবং বিদ্যুৎ দপ্তরের আধিকারিকদের উপস্থিতিতে ভেঙে ফেলা হয় মেঝে। আর সেখান থেকে অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার করা হয়। বিকেলের দিকে ওই এলাকায় যায় NSG। মেঠো পথ দিয়ে ভেড়ি ঘেরা রহস্যময় বাড়িতে পৌঁছয় এনএসজির রিমোটচালিত রোবট। এক ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে তল্লাশিতে ওই বাড়ি থেকে একটি রহস্যময় ব্যাগ বের করে আনে রোবট। সিবিআই সূত্রে খবর, তল্লাশি চালিয়ে শাহজাহান ‘ঘনিষ্ঠে’র আত্মীয়ের বাড়ি থেকে সুদূর জার্মানির অস্ত্রশস্ত্রও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এই ঘটনা নিয়ে ভোটের মুখে সরগরম রাজনৈতিক মহল। ইচ্ছাকৃতভাবে কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে ব্যবহার করে তৃণমূলকে কলুষিত করার চেষ্টা চলছে বলেই দাবি শাসক শিবিরের। আর এই অভিযোগে সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে নালিশও করেছে তৃণমূল।
এ দিন, এক্স হ্যান্ডেলেও সরব হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেছিলেন, ‘অর্থ ও পেশিশক্তি প্রয়োগ করে ভোটে খেলা ঘোরাতে চাইছে বিজেপি।’ বিজেপি-র সাংসদ শমীক ভট্টাচার্য এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার ভয় পায় বা কাউকে নালিশ করে এরম কখনও শুনিনি। মুখ্যমন্ত্রী বলছেন তিনি রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার। বাঘ-হরিণ-জিরাফ-গন্ডারের কাছে নালিশ জানায় শুনিনি। বাঘ গর্জন করে। কারোর কাছে অভিযোগ করে না। এটাই তো আমাদের জানা। এর থেকে প্রমাণ হচ্ছে তৃণমূল ভয় পেয়েছে। আতঙ্কিত। পরাজয় আসন্ন ওদের।’
উল্লেখ্য, শনিবার উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্রের হাসনাবাদে এক বিজেপি নেতার ভাইয়ের বাড়িতেও বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। সেকথাও উল্লেখ করেন তিনি। তাঁর অভিযোগ, বোমাবাজি করে নির্বাচনে জিততে চাইছে বিজেপি। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘এখানে আসার আগে শুনলাম এক বিজেপি নেতার বাড়িতে বোমা জমা রয়েছে। ভাবছে বোমা মেরে নির্বাচন জিতে যাবে।’’