CATEGORY state:

Card image cap

প্রকাশিত হল মাধ্যমিকের ফল! এবারের সেরা দশের তালিকায় কারা স্থান পেল? রইল সম্পূর্ণ মেধাতালিকা

এক্সপ্রেস কলকাতা ডেস্ক: আজ বৃহস্পতিবার প্রকাশিত হল ২০২৪-এর মাধ্যমিকের ফলাফল। ৮০ দিনের মাথায় ফল প্রকাশ করা হল। সকাল ৯ টায় সাংবাদিক বৈঠক করে ফল প্রকাশ করেছেন মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি রামাণুজ গঙ্গোপাধ্যায়। এবার মোট পরীক্ষার্থী ৯,১০,৫৯৮ জন, এর মধ্যে ৪,০৩,৯০০ ছাত্র এবং ৫,০৮,৬৯৮ ছাত্রী। এ বছরের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে ৭,৬৫,২৫২ জন।

উল্লেখ্য, এবার পাশের হার বেড়েছে। শতাংশের হিসেবে এবার প্রতি ১০০ জনে উত্তীর্ণ হয়েছে ৮৬.৩১ জন। ২০২৩-এ এই হার ছিল ৮৬.১৫ শতাংশ। জেলাভিত্তিক পাশের হারে এবার প্রথম স্থানে রয়েছে কালিম্পং। দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে রয়েছে যথাক্রমে পূর্ব মেদিনীপুর ও কলকাতা। এবারের মাধ্যমিকের মেধা তালিকার প্রথম 10-এ রয়েছেন 57 জন পড়ুয়া। রইল সবিস্তার মেধাতালিকা…
১) প্রথম স্থানাধিকারীর নাম চন্দ্রচূড় সেন। স্কুলের নাম: রামভোলা হাই স্কুল, জেলা: কোচবিহার। প্রাপ্ত নম্বর: ৬৯৩ (৯৯ শতাংশ)।
২) দ্বিতীয় স্থানে জায়গা করে নিয়েছে সাম্যপ্রিয় গুরু। স্কুলের নাম: পুরুলিয়া জেলা স্কুল, জেলা: পুরুলিয়া। প্রাপ্ত নম্বর: ৬৯২ (৯৮.৯৬ শতাংশ)।
৩) তৃতীয় স্থানে রয়েছে ৩ জন পরীক্ষার্থী। দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাট হাই স্কুলের ছাত্র উদয়ন প্রসাদ, বীরভূমের নিউ ইন্টিগ্রেটেড গভর্নমেন্ট হাই স্কুলের ছাত্রী পুষ্পিতা বাঁশুরি এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনার নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ বিদ্যালয়ের ছাত্র নৈর্ঋতরঞ্জন পাল। প্রাপ্ত নম্বর: ৬৯১ (৯৮.৭১ শতাংশ)।
8) চতুর্থ স্থানে জায়গা করে নিয়েছে হুগলির কামারপুকুরের রামকৃষ্ণ মিশন মাল্টিপারপস স্কুলের ছাত্র তপোজ্যোতি মণ্ডল। প্রাপ্ত নম্বর: ৬৯০ (৯৮. ৫৭ শতাংশ)।
৫) পঞ্চম স্থানে রয়েছে পূর্ব বর্ধমানের পারুলডাঙ্গা নসরতপুর হাই স্কুলের ছাত্র অর্ঘ্যদীপ বসাক। প্রাপ্ত নম্বর: ৬৮৯ (৯৮.৪৩ শতাংশ)।
৬) ষষ্ঠ স্থানে জায়গা করে নিয়েছে চার জন পরীক্ষার্থী। দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাট হাই স্কুলের ছাত্র কৃশানু সাহা, মালদহের মোজামপুর হাই স্কুলের ছাত্র মহম্মদ শাহাবুদ্দিন আলি, পশ্চিম মেদিনীপুরের মেদিনীপুর কলেজিয়েট স্কুলের ছাত্র কৌস্তভ সাহু, দক্ষিণ ২৪ পরগনার নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ বিদ্যালয়ের ছাত্রী অলিভ গায়েন। প্রাপ্ত নম্বর: ৬৮৮ (৯৮.২৯ শতাংশ)।
৭) সপ্তম স্থানে রয়েছে সাত জন পরীক্ষার্থী। তাঁদের মধ্যে তিন জন পরীক্ষার্থী দক্ষিণ দিনাজপুরের। বালুরঘাট গার্লস হাই স্কুলের আবৃত্তি ঘটক এবং অর্পিতা ঘোষ, বালুরঘাট হাই স্কুলের সাত্বত দে। এ ছাড়াও বীরভূমের সরোজিনী দেবী সরস্বতী শিশু মন্দিরের ছাত্র আরত্রিক সাউ, পূর্ব মেদিনীপুরের জ্ঞানদীপ বিদ্যাপীঠ হাই স্কুলের ছাত্র সুপম কুমার রায়, বিবেকানন্দ আশ্রম শিক্ষায়তনের ছাত্র কৌস্তভ মাল, এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনার নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশন বিদ্যালয়ের ছাত্র আলেখ্য মাইতিও সপ্তম স্থানে জায়গা করে নিয়েছে। প্রাপ্ত নম্বর: ৬৮৭ (৯৮.১৭ শতাংশ)
৮) অষ্টম স্থানে রয়েছে চার জন পরীক্ষার্থী। পূর্ব বর্ধমানের বর্ধমান বিদ্যার্থী ভবন গার্লস হাই স্কুলের ছাত্রী ইন্দ্রাণী চক্রবর্তী, বর্ধমান মিউনিসিপ্যাল হাই স্কুলের ছাত্র দেবজ্যোতি ভট্টাচার্য, পশ্চিম মেদিনীপুরের মেদিনীপুর মিশন গার্লস স্কুলের ছাত্রী তনুকা পাল, নদিয়ার কৃষ্ণনগর কলেজিয়েট স্কুলের ছাত্র হৃদি মল্লিক। প্রাপ্ত নম্বর: ৬৮৬ (৯৮ শতাংশ)।
৯) নবম স্থানে রয়েছে সাত জন পরীক্ষার্থী। পূর্ব মেদিনীপুরের রামকৃষ্ণ শিক্ষামন্দির হাই স্কুলের সায়ক শাসমল, সাগর জানা, বিবেকানন্দ মিশন আশ্রম শিক্ষায়তনের ছাত্র সাগ্নিক ঘটক, নদিয়ার চাকদহ রামলাল অ্যাকাডেমির ছাত্র জিষ্ণু দাস, দক্ষিণ ২৪ পরগনার নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশনের ছাত্র ঋতব্রত নাথ, ঋত্বিক দত্ত, সারদা বিদ্যাপীঠ হাই স্কুলের ছাত্র সায়নদীপ মান্না, শ্যামপুর হাই স্কুলের ছাত্র অরণ্যদেব বর্মন। প্রাপ্ত নম্বর: ৬৮৫ (৯৭.৮৬ শতাংশ)।
১০) দশম স্থানে রয়েছে ১৫ জন পরীক্ষার্থী। উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জ গার্লস হাই স্কুলের ছাত্রী ভূমি সরকার, মালদহের মোজামপুর হাই স্কুলের ছাত্র বিশাল মণ্ডল, বাকুঁড়ার বাঁকুড়া জেলা স্কুলের ছাত্র সৌভিক দত্ত, পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়া কাশীরামদাস ইনস্টিটিউটের ছাত্র অনীশ কোনার, পূর্ব বর্ধমানেরর পারুলডাঙ্গা নসরতপুর হাই স্কুলের ছাত্র অর্ণব বিশ্বাস, পূর্ব বর্ধমানের বর্ধমান বিদ্যার্থী ভবন গার্লস হাই স্কুলের ছাত্রী সম্পূর্ণা নাথ, হুগলির ইএলআইটি কো-এডুকেশন স্কুলের ছাত্র নীলাঙ্কন মণ্ডল, বাঁকুড়ার তালডাংরা ফুলমতি হাই স্কুলের ছাত্রী সৌমিক খান, গড় রায়পুর হাই স্কুলের ছাত্র সৌমদীপ মণ্ডল, পশ্চিম মেদিনীপুরের মেদিনীপুর শ্রীরামকৃষ্ণ মিশন বিদ্যাভবনের ছাত্র অগ্নিভ পাত্র, পূর্ব মেদিনীপুরের কন্টাই মডেল ইনস্টিটিউশনের ছাত্র সম্পদ পারিয়া, ঋতম দাস, দক্ষিণ ২৪ পরগনার নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশনের শুভ্রকান্তি জানা, সারদা বিদ্যাপীঠ হাই স্কুলের ইশান বিশ্বাস। প্রাপ্ত নম্বর: ৬৮৪ (৯৭.৭১ শতাংশ)।
উল্লেখ্য, এবারের মেধা তালিকায় সবচেয়ে বেশি জায়গা পেয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ছেলে-মেয়েরা। এই জেলা থেকে রয়েছে ৮ জন। এছাড়া দক্ষিণ দিনাজপুর, পূর্ব বর্ধমান ও পূর্ব মেদিনীপুর থেকে ৭ জন, বাঁকুড়া, মালদা ও পশ্চিম মেদিনীপুর থেকে 8 জন, বীরভূম থেকে ৩ জন, উত্তর ২৪ পরগনা, কোচবিহার ও হুগলি থেকে ২ জন এবং নদিয়া, হাওড়া, পুরুলিয়া ও কলকাতা থেকে ১ জন পড়ুয়ারা মেধা তালিকায় জায়গা পেয়েছে। 60 শতাংশের বেশি নম্বর পেয়েছে ১ লাখ ১৮ হাজার ৪১১ জন, যা ১২ শতাংশের বেশি।

Card image cap

রাত পোহালেই মাধ্যমিকের ফলপ্রকাশ! কিন্তু কীভাবে দেখবেন রেজাল্ট? জেনে নিন

এক্সপ্রেস কলকাতা ডেস্ক: অবশেষে চলে এলো সেই দিন। রাত পোহালেই প্রকাশ হবে ২০২৪ সালের মাধ্যমিকের ফলাফল(WB Madhyamik Result)। অপেক্ষায় বসে লক্ষ লক্ষ পরীক্ষার্থী। বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় অনুষ্ঠানিকভাবে সাংবাদিক বৈঠক করে ফলাফল ঘোষণা করবে মধ্য শিক্ষা পর্ষদ। বিগত বছরগুলির মতো এবারও অনলাইনে ফল দেখতে পাবে পড়ুয়ারা। আনুষ্ঠানিক ফল ঘোষণার 45 মিনিট পর অর্থাৎ ৯ টা ৪৫ মিনিট থেকে মোবাইল অ্যাপ বা ওয়েবসাইটে লগ ইন করে জানতে পারবে রেজাল্ট।


এবছর মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হয়েছিল গত ২ ফেব্রুয়ারি ও শেষ হয়েছিল ১২ ফেব্রুয়ারি। পরীক্ষা শেষ হওয়ার ৮০ দিনের মাথায় প্রকাশিত হচ্ছে মাধ্যমিক পরীক্ষার ফলাফল। ২০২৪ সালের মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৯ লক্ষেরও বেশি। পর্ষদ সূত্রে খবর, অনলাইনে ফল দেখার সময় পড়ুয়াদের হাতের কাছে রাখতে হবে অ্যাডমিট কার্ড। কারণ, রোল নম্বর ও জন্ম তারিখ ছাড়া জানা যাবে না রেজাল্ট। কিন্তু কোথায় দেখা যাবে সেই ফলাফল, জেনে নিন বিস্তারিত।
১) পশ্চিমবঙ্গ মধ্য শিক্ষা পর্ষদের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে লগ ইন করে সরাসরি ফল দেখার সুযোগ পাবে প্রার্থীরা। এই ওয়েবসাইটগুলি হল, www.wbbse.wb.gov.inwbresults.nic.in  প্রথমে ছাত্র বা ছাত্রীকে ওয়েবসাইটে লগ ইন করতে হবে। ওয়েবসাইটের হোমপেজে মিলবে রেজাল্টের লিঙ্ক। সেখানে লেখা থাকবে মাধ্যমিক ক্লাস 10-র ফল। ওই অপশানে ক্লিক করলেই স্ক্রিনে ভেসে উঠবে একটি ফর্ম। সেখানে প্রার্থীর রোল নম্বর ও জন্ম তারিখ লিখতে হবে। লেখা হয়ে গেলে, লগ ইন অপশানে ক্লিক করলেই সঙ্গে সঙ্গে স্ক্রিনে ফুটে উঠবে রেজাল্ট। এর পর মার্কশিটের PDF ফরম্যাট ডাউনলোড করতে পারবে প্রার্থীরা।
২) শুধুমাত্র ওয়েবসাইট নয়, হাতে মার্কশিট পাওয়ার আগে অ্যাপ থেকেও ফলাফল জানতে পারবেন পরীক্ষার্থীরা। পর্ষদ থেকে প্রকাশিত নোটিসে তিনটি অ্যাপের নাম লেখা হয়েছে- Madhyamik Results 2024, Fastresulthttps://iresults.net/wbbse-app। প্লে-স্টোর থেকে এগুলি ডাউনলোড করে নাম, রোল নম্বর দিয়ে দেখে নিতে হবে ফলাফল।
৩) এছাড়া, রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে থাকা পর্ষদের ক্যাম্প অফিসগুলিতে সকাল ১০টা থেকে মার্কশিট দেওয়া হবে স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে। যা স্কুল প্রধান শিক্ষক-শিক্ষিকা বা টিচার ইনচার্জ সংগ্রহ করতে পারবেন। 2 তারিখ দুপুরের পর থেকে পড়ুয়াদের হাতে মার্কশিট ও শংসাপত্র তুলে দেবে স্কুল কর্তৃপক্ষ।
উল্লেখ্য, এবার এসএমএস-এর মাধ্যমে ফলাফল জানার কোনও ব্যবস্থা করা হয়নি।

Published on 2024-05-01 08:46 PM
Card image cap

কবে এই তীব্র দহনজ্বালা থেকে নিস্তার পাবে বঙ্গবাসী? কী বলছেন আবহাওয়াবিদরা?

আবহাওয়া আপডেট: গরমে রীতিমতো হাঁসফাঁস করছে বঙ্গবাসী। একটাই প্রশ্ন সবার মুখে, কবে হবে বৃষ্টি? এ দিকে আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, আগামী 5 দিন দক্ষিণবঙ্গের জন্য কোথাও বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা নেই। শুধু তাই নই, অধিকাংশ জেলায় বইবে হিট ওয়েভ। আবার কোনো কোনো জেলায় তীব্র হিট ওয়েভের সতর্কতা জারি করা হয়েছে।

আজ থেকে শুরু করে আগামী ২ তারিখ পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গের উপকূলের জেলা অর্থাৎ দক্ষিণ এবং উত্তর ২৪ পরগনায় হিট ওয়েভের জন্য কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে। এই জেলাগুলিতেই আবার ৩ তারিখে রয়েছে হলুদ সর্তকতা। ইস্ট মেদিনীপুরে আজ, কাল এবং পরশু হিট ওয়েভ থেকে সিভিয়ার হিট ওয়েভের সতর্কতা জারি হয়েছে। অন্যদিকে হাওড়া, হুগলি এবং নদীয়া - এই তিন জেলায় ২৯ থেকে ২ তারিখ পর্যন্ত কমলা সতর্কতা ও মুর্শিদাবাদে আগামী তিন দিন লাল সতর্ক বার্তা দেওয়া হয়েছে।
রেহাই নেই উত্তরবঙ্গেও। বেশ কয়েকটি জেলাতে হিট ওয়েভ এর সম্ভাবনা রয়েছে। তবে সেই সাথে উত্তরবঙ্গের নর্থের কিছু জেলায় বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। উত্তরবঙ্গের উত্তর-দক্ষিণ দিনাজপুর ও মালদাতে আজ কমলা সতর্কতা জারি হয়েছে। জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার এবং কোচবিহারে হট এন্ড হিউমিড সতর্কতা দেওয়া হয়েছে। তবে ১ তারিখে দার্জিলিং, কালিংপং, আলিপুরদুয়ারে স্টং লাইটনিং সহ ঝোড়ো হাওয়া ৪০ থেকে ৫০ কিমি গতি বেগে বইবে। যার ফলস্বরূপ হালকা বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
অন্য দিকে ৫ই মে দক্ষিণবঙ্গের উত্তর 24 পরগনা, দক্ষিণ 24 পরগনা এবং পূর্ব মেদিনীপুর - এই তিনটি জেলায় হালকা বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। ৫ তারিখ থেকে জলীয়বাষ্পের প্রবেশ বাড়ছে তার ফলেই দক্ষিণবঙ্গের কিছু জেলায় বৃষ্টিপাত আমরা দেখতে পাবো। পরবর্তী সময় এটি কন্টিনিউ করবে দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায়। এই বৃষ্টির ফলে কিছুটা হলেও স্বস্তি পাবে বঙ্গবাসী।

Card image cap

নাখোদা মসজিদের কাছে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড

সাতসকালে বড়বাজারে নাখোদা মসজিদের কাছে, বহুতলের মধ্যে প্লাস্টিকে গোডাউনে আগুন।  ঘিঞ্জি এলাকা হওয়ায় দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে আগুন। ঘটনাস্থলে পৌঁছে গিয়েছে দমকলের ১০ টি ইঞ্জিন। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় আগুন নিয়ন্ত্রণের কাজ চলছে। এলাকায় বহুতল আবাসনগুলি থেকে বাসিন্দাদের নিরাপদ দূরত্বে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছছেন দমকল মন্ত্রী সুজিত বোস এবং মেয়র ফিরহাদ হাকিম। তবে আগুন লাগার পর ঘটনাস্থলে  কলকাতা উত্তরের বিজেপি প্রার্থী তাপস রায় যেতেই শুরু রাজনৈতিক চাপানউতোর।

বড়বাজারে নাখোদা মসজিদের সামনে ভয়াবহ আগুন লাগে। বহুতলের মধ্যে কার অনুমতিতে চলছিল প্লাস্টিকের গুদাম? এলাকায় পৌঁছে আগের বিজেপি কাউন্সিলরের দিকে তির বর্তমান কাউন্সিলরের এলাকায় বেআইনি নির্মাণ। বেআইনি গুদাম আছে, মানলেন কাউন্সিলর।জানা গিয়েছে, ভোর ৫টা নাগাদ একতলা বাড়িতে প্লাস্টিকের সামগ্রী ও পিচবোর্ড ঠাসা গুদামে আগুন লেগে যায়। পাশের দুটি বহুতলের দুটি তলায় আগুন ছড়িয়ে পড়ে। আতঙ্কিত বাসিন্দারা ছাদে উঠে পড়েন। পুড়ে যায় ফুটপাতের ৭-৮টি দোকান, বাইক ও স্কুটার। বিদ্যুতের তারে আগুন ধরে যায়। সংকীর্ণ রাস্তায় দমকলের গাড়ি ঢোকাতে বেগ পেতে হয়। রবীন্দ্র সরণিতে গাড়ি রেখে হোসপাইপ ঢুকিয়ে আগুন নেভাতে নেমে পড়েন দমকল কর্মীরা। এলাকার বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়। শেষ অবধি পাওয়া খবরে, দমকলের ১৫টি ইঞ্জিনের সাহায্যে ঘণ্টাদেড়েক পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।

Card image cap

কসবায় আক্রান্ত বিজেপি কর্মী, ফাটল মাথা! থানায় বিক্ষোভ দেবশ্রীর!

এক্সপ্রেস কলকাতা ডেস্ক: ভোটের আগে তপ্ত বাংলায় একাধিক জায়গায় বিক্ষিপ্ত অশান্তি। কসবায় আক্রান্ত হলেন এক বিজেপি কর্মী। বেধড়ক মারে মাথা ফাটল তাঁর। তৃণমূলকে কাঠগড়ায় তুলে আনন্দপুর থানায় অভিযোগ জানিয়েছেন তিনি। কিন্তু পুলিশ এখনও কাউকে গ্রেপ্তার বা আটক না করায় থানার গেটের সামনে বসে অবস্থান বিক্ষোভ করতে দেখা যায় দেবশ্রী চৌধুরী ও বিজেপি কর্মীদের। আন্দোলনরত বিজেপি কর্মীরা ঘটনায় অভিযুক্তদের কঠোর থেকে কঠোরতম শাস্তির দাবি তুলেছেন।

আক্রান্ত বিজেপি নেত্রীর নাম সরস্বতী সরকার। তিনি বিজেপির দক্ষিণ কলকাতা সাংগঠনিক জেলার কসবার (Kasba) মণ্ডল সভাপতি। শনিবার রাতে দলের কিছু কর্মী আনন্দপুর থানার অন্তর্গত কিছু এলাকায় প্রার্থী দেবশ্রী চৌধুরীর সর্মথনে ব্যানার, পোস্টার লাগাচ্ছিলেন। সরস্বতীদেবীর অভিযোগ, হঠাৎ কিছু তৃণমূল কর্মী হামলা চালায় দলীয় কর্মীদের উপর। তিনি দলীয় কর্মীদের বাঁচাতে গেলে তাঁকেও মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। মারধরে মাথা ফেটে যায় তাঁর। রাতেই তিনি আনন্দপুর থানায় অভিযোগ করেন। এই ঘটনায় পুলিশ এখনও কাউকে গ্রেপ্তার বা আটক করেনি।
তাই ঘটনাকে ঘিরে আনন্দপুর থানার সামলে তুমুল বিক্ষোভ বিজেপির। মাঠে নামতে দেখা যায় দক্ষিণ কলকাতা লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী দেবশ্রী চৌধুরীকে। তিনি নিজে সরবস্বতী দেবীর বাড়িতে যান। তারপর তাঁকে সঙ্গে নিয়ে থানায় আসেন। ওসির সঙ্গে দেখা করতে চান। কিন্তু, ওসি থানায় না থাকায় কথা হয়নি।
অন্যদিকে থানার সামনে মমতার সরকারের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে চলতে থাকে স্লোগান, “একটা মহিলা মুখ্যমন্ত্রীর রাজত্ব চলছে, দক্ষিণ কলকাতার তৃণমূলের মহিলা প্রার্থী মালা রায় ভোট চাইছে মেয়েদের এই করার জন্য? একজন মহিলাকে মেরে মাথা ফাটিয়ে দিয়েছে।” ওসির দেখা না পেয়ে রীতিমতো ক্ষোভে ফেটে পড়েন দেবশ্রী। সুর চড়াতে দেখা যায় পুলিশের বিরুদ্ধেও। বলেন, “থানায় তো নেই। স্নান করতে গিয়েছেন। স্নান করে মাংস ভাত খাবেন। তারপর সুখটান দেবেন। দিয়ে সুশান্ত ঘোষকে ফোন করবেন। তারপর সিদ্ধান্ত নেবেন। উনি যতক্ষণ না আসেন আমরা এখানে বসে থাকব। দেখি ওনার হজম হতে কতক্ষণ লাগে। তারপর ওষুধ নিয়ে আসব।” অন্যত্র হামলার কথা অস্বীকার করেছে ঘাসফুল শিবির।

Card image cap

অযোধ্যা পাহাড়ে পিক আপ ভ্যান উলটে ভয়াবহ দুর্ঘটনা, নিহত দুই!

এক্সপ্রেস কলকাতা ডেস্ক: পুরুলিয়ার অযোধ্যা পাহাড়ে ঘটল ভয়াবহ দুর্ঘটনা। পাহাড়ি পথে নামার সময় উলটে গেল একটি পিকআপ ভ্যান। নিহত দুই, আহত প্রায় ৩০ জন। আহতদের পুরুলিয়া গভর্মেন্ট কলেজে নিয়ে যাওয়া হয়। সকলেই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন, তবে বেশ কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। জানা গিয়েছে, তাঁরা বলরামপুর থানার শিমুলবেরা গ্রামের বাসিন্দা।

শনিবার বিকেলে দুর্ঘটনাটি ঘটে পুরুলিয়া অযোধ্যা পাহাড়ের খুঁনটাড় এলাকায়। বলরামপুর থানার শিমুলবেরা গ্রাম থেকে মাহাতান এলাকায় বিয়ে বাড়ির অনুষ্ঠানে আসছিলেন অন্তত তিরিশ জন। বরপক্ষের তরফে হবু কনেকে আশীর্বাদ করতে যাচ্ছিল বলে স্থানীয় সূত্রে খবর। আসার সময় এই দুর্ঘটনা ঘটে। জানা গিয়েছে, পাহাড় থেকে নির্বিঘ্নে অনেকটাই নেমে এসেছিল। একটি বাঁক নেওয়ার সময় গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারায়। পিকআপ ভ্যানের সামনের চাকা খুলে যাওয়ায় এই দুর্ঘটনা ঘটে বলে সূত্রের খবর।
এক প্রত্যক্ষদর্শীর কথায়, “গাড়ির সামনে চাকা খুলে যায়। তাতেই দুর্ঘটনা ঘটে। অযোধ্যা পাহাড় থেকে নিচে নামছিল। সেই সময় এই ঘটনা ঘটে। অযোধ্যা পাহাড়ের শিমুলবেড়া থেকে নিচে নামছিল। শুনলাম বিয়ে বাড়ির গাড়ি ছিল। ৩৫-৪০ জন ছিল। দু’টো পিকআপ ভ্যান উল্টে যায়। আমরাই উদ্ধার করি। হাসপাতালে পাঠিয়েছি সকলকেই।”
ঘটনার খবর পেয়ে তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে আসে বলরামপুর থানার পুলিশ। তারা আহতদের পুরুলিয়া দেবেন মাহাতো গর্ভনমেন্ট মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করে। এদিন আহত মধ্যে দুজনকে মৃত ঘোষণা করা হয়েছে। আহতদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাঁদের সকলের বাড়ি বলরামপুর থানার শিমুলবেরা গ্রামে। খবর পেয়ে হাসপাতালে উপস্থিত হন পুরুলিয়া পুলিশ সুপার অভিজিৎ বন্দোপাধ্যায়-সহ অন্যান্য পুলিশ অধিকারিকরা।

Card image cap

দক্ষিণবঙ্গে বাড়বে আরও গরম! স্বস্তি নেই উত্তরবঙ্গেও!

এক্সপ্রেস কলকাতা ডেস্ক: শনিবার থেকে দক্ষিণবঙ্গে বাড়বে আরও গরম, সঙ্গে তাপপ্রবাহ। স্বস্তি নেই উত্তরেও। দার্জিলিং এবং কালিম্পং ছাড়া উত্তরবঙ্গের বাকি জেলায় তাপপ্রবাহের পূর্বাভাস রয়েছে। কবে মিলবে একটু স্বস্তি? গোটা রাজ্যবাসীর এখন সেটাই প্রশ্ন।

আলিপুর আবহাওয়া দফতর দিল তাপমাত্রা বৃদ্ধির পূর্বাভাস। সেই বৃদ্ধি একটু-আধটু নয়, অনেকটাই। জানানো হয়েছে, ২৪ ঘণ্টা পর আরও বৃদ্ধি পাবে তাপমাত্রা। অন্তত ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সঙ্গে চলবে তাপপ্রবাহ। ২৮ তারিখ, রবিবার থেকে কলকাতার তাপমাত্রা টানা রোজই ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর।
দফতর সূত্রে খবর, শুক্র এবং শনিবার আবারও কলকাতায় তাপমাত্রা ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াসের গণ্ডি ছাড়াবে। রবিবার থেকে আগামী বৃহস্পতিবার পর্যন্ত শহরে তাপমাত্রার পারদ দিনের বেলায় টানা ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের উপরে থাকতে পারে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস। শুক্র থেকে আগামী বৃহস্পতিবার পর্যন্ত পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়াতেও থাকবে তীব্র গরম। শুক্রবার থেকেই সেখানে তাপমাত্রা ৪৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের গণ্ডি ছাড়াবে। আগামী মঙ্গলবার সেখানে তাপমাত্রা ছুঁতে পারে ৪৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সে ক্ষেত্রে পশ্চিম বর্ধমানের পানাগড়কে পিছনে ফেলে দিতে পারে পাঁশকুড়া।
তাপপ্রবাহ থেকে বাঁচবে না দক্ষিণবঙ্গের কোনও জেলাই। শনিবার থেকে আগামী মঙ্গলবার পর্যন্ত দক্ষিণের দুই মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া, দুই বর্ধমান, বীরভূমে তীব্র তাপপ্রবাহের সম্ভাবনা রয়েছে। সেখানে জারি করা হয়েছে লাল সতর্কতা। দক্ষিণবঙ্গের বাকি জেলাগুলিতে তাপপ্রবাহের পূর্বাভাস রয়েছে। জারি করা হয়েছে কমলা সতর্কতা।
স্বস্তি নেই উত্তরেও। দার্জিলিং এবং কালিম্পং ছাড়া উত্তরবঙ্গের বাকি জেলায় তাপপ্রবাহের পূর্বাভাস রয়েছে। দুই দিনাজপুর এবং মালদহে আগামী মঙ্গলবার পর্যন্ত তাপপ্রবাহের পূর্বাভাস রয়েছে। জারি কমলা সতর্কতা। জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহারে থাকবে তীব্র গরম। আগামী রবিবার দার্জিলিং, কালিম্পং এবং জলপাইগুড়ির কিছু অংশে ঝড়বৃষ্টি হতে পারে। ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে। তবে জলপাইগুড়িতে বৃষ্টি হলেও অস্বস্তি কমবে না।

Card image cap

কবে হবে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকের ফল প্রকাশ? জানালেন শিক্ষামন্ত্রী

এক্সপ্রেস কলকাতা ডেস্ক: লোকসভা ভোটের মাঝেই এবছরের মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হবে। বৃহস্পতিবার দিনক্ষণ ঘোষণা করল মধ্যশিক্ষা পর্ষদ ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু জানিয়েছেন, আগামী ২ মে মাধ্যমিকের ও ৮ মে উচ্চ মাধ্যমিকের ফল প্রকাশিত হবে। বোর্ড সূত্রে খবর, পরীক্ষার ৮০ দিনের মাথায় প্রকাশিত হচ্ছে মাধ্যমিকের ফলাফল। আর উচ্চমাধ্যমিক ফল ঘোষণা হচ্ছে পরীক্ষা শেষের প্রায় ৭০ দিনের মাথায়।

এ বছর মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হয়েছিল ২ ফেব্রুয়ারি। শেষ হয়েছিল ১২ফেব্রুয়ারি। মে মাসের প্রথম সপ্তাহে মাধ্যমিক পরীক্ষার ফলপ্রকাশ হবে, সেই ইঙ্গিত মিলেছিল আগেই। মধ্যশিক্ষা পর্ষদ সেইমতো প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছিল। পরীক্ষা শেষের ৮০ দিনের মাথায় ফল বেরচ্ছে। ২ মে সাংবাদিক বৈঠক করে ফলাফল ঘোষণা করতে পারেন পর্ষদ কর্তারা। ওইদিন পর্ষদের (WBCSE) ওয়েবসাইট থেকে নিজেদের ফল জানতে পারবে পরীক্ষার্থীরা। স্কুল থেকে মার্কশিটও মিলবে ওই দিন থেকে।
অন্যদিকে, উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার ৭০ দিনের মাথায় প্রকাশিত হচ্ছে ফলাফল। উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা ২৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলেছে। মাধ্যমিকের একসপ্তাহ পর ৮ মে বেরবে উচ্চমাধ্যমিকের ফলাফল। ৮ তারিখ সংসদের ওয়েবসাইট থেকে ফলাফল দেখা যাবে, মার্কশিটও মিলবে। ২ তারিখ ও ৮ তারিখের মাঝে ৭মে, তৃতীয় দফা ভোট রয়েছে। স্কুলগুলি ভোটকেন্দ্র হওয়ার পাশাপাশি কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের থাকার ব্যবস্থাও হয় এখানে। ফলে মাধ্য়মিক ও উচ্চমাধ্যমিকের ফলাফল নিতে পরীক্ষার্থীরা গেলে সমস্যা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছিল। তবে পর্ষদ ও সংসদের দাবি, তাতে কোনও অসুবিধা হবে না। নির্ধারিত দিনেই স্কুল থেকে মার্কশিট সংগ্রহ করতে পারবে পরীক্ষার্থীরা।
উল্লেখ্য পরীক্ষা গ্রহণের পর থেকে খাতা দেখা, নম্বর আপলোড প্রভৃতি বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় এ বছর পরিবর্তন এসেছে। মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক উভয় ক্ষেত্রেই মানুষের শ্রম কমিয়ে যন্ত্রের ভূমিকা বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। সেই কারণে ভুল হওয়ার সম্ভাবনা আগের চেয়ে কমেছে বলে মনে করা হচ্ছে। পর্ষদ এবং সংসদের তরফে বলা হচ্ছে, পরীক্ষার খাতা দেখার ক্ষেত্রে যাতে স্বচ্ছতা থাকে ও ভুলত্রুটি কম হয়, তাই ছাত্র-ছাত্রীদের স্বার্থে কম্পিউটারভিত্তিক পদ্ধতি চালু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

Card image cap

প্রায় ২৬ হাজার চাকরি বাতিল: হাইকোর্টের নির্দেশ চ্যালেঞ্জ করে শীর্ষ আদালতে রাজ্য

এক্সপ্রেস কলকাতা ডেস্ক: এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সোমবার ২৫,৭৫৩টি চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাই কোর্ট। ৪৮ ঘণ্টা কাটতে না কাটতে সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে গেল রাজ্য সরকার। এসএসসির চেয়ারম্যান রায় ঘোষণার দিনই জানিয়েছিলেন, তাঁরা শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হবেন। সেইমতো বুধবার কলকাতা হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে স্পেশাল লিভ পিটিশন দায়ের হল সুপ্রিম কোর্টে। রাজ্যের তরফে আবেদন পত্রে জানান হয়েছে, ‘নির্বিচারে’ রাজ্যের 25,753 জনের চাকরি বাতিল করেছে কলকাতা হাইকোর্ট৷

গত সোমবার হাই কোর্টের বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং মহম্মদ শব্বর রশিদির ডিভিশন বেঞ্চ ২০১৬ সালের নিয়োগের প্রক্রিয়া বাতিল ঘোষণা করে। দেখা যায়, গ্রুপ সি, গ্রুপ ডি, নবম-দশম ও একাদশ-দ্বাদশের মোট মোট ২৫ হাজার ৭৫৩ জনের চাকরি বাতিল হয়েছে। এরপরই সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার কথা জানিয়েছিল এসএসসি। উল্লেখ্য, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশেই বিশেষ বেঞ্চে শুনানি চলছিল হাইকোর্টে।
কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশের পর শিক্ষামন্ত্রই ব্রাত্য বসু জানিয়েছিলেন, “অযোগ্যদের বের করে দিয়ে নতুন নিয়োগ দিতে চাই আমরা। সেই আবেদন হাই কোর্টে করেছিল এসএসসি-ই।” কিন্তু সেই আর্জি বুঝতে না পেরে তৎকালীন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়, সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়ে দিয়েছিলেন।
সোমবার এসএসসির চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার জানান, হাই কোর্টের এই রায়ে তিনি খুশি নন। তিনি প্রশ্ন তোলেন, ‘‘পাঁচ হাজার জনের বিরুদ্ধে অবৈধ ভাবে চাকরি পাওয়ার অভিযোগ উঠেছে, তার জন্য ২৬ হাজার জনের কেন চাকরি বাতিল হবে?’’ সিদ্ধার্থ সে দিনই জানিয়েছিলেন, আইনজীবীদের সঙ্গে পরামর্শ করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন। সেই মতোই চাকরি বাতিলের নির্দেশের বিরুদ্ধে বুধবার সুপ্রিম কোর্টে স্পেশাল লিভ পিটিশন (এসএলপি) করল এসএসসি।
হাই কোর্টের এই রায়ের খবর প্রকাশ্যে আসতে অসন্তোষ ছড়িয়ে পড়ে চাকরিহারাদের মধ্যে। তাঁদের বক্তব্য, আদালতের রায়ে যে সব যোগ্য শিক্ষকেরা চাকরি হারালেন তাদের কী হবে। মানবিক দিক থেকেও কী ব্যাপারটা ভেবে দেখা যেত না! কয়েকজন অযোগ্য, অসৎ মানুষের জন্য হাজার হাজার পরিবার কেন শাস্তি পাবে? এক চাকরিহারার প্রশ্ন, “আমাদের হয়ে ভাবার কী কেউ নেই? আইনের এমন কী কোনও ধারা নেই, যারা মানবিক দিকটা ভাবে? আমাদের দোষটা কী?”
উল্লেখ্য, হাইকোর্টের নির্দেশে বলা হয়েছে, ভোটের ফল প্রকাশের পর ১৫ দিনের মধ্যে নতুন করে নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে। কিন্তু কীভাবে হবে সেই নিয়োগ, তা নিয়ে এখনও কোনও স্পষ্ট বার্তা দিতে পারেনি এসএসসি। আপাতত রাজ্যের আবেদন সুপ্রিম কোর্ট গ্রহণ করে কি না, সেটাই দেখার।

Card image cap

দল বিরোধী কার্যের ফলে দল থেকে বহিষ্কৃত বিনয় তামাং!

এক্সপ্রেস কলকাতা ডেস্ক: দ্বিতীয় দফাতেই ভোট রয়েছে পাহাড়ে। আগামী শুক্রবার ভোটগ্রহণ পর্ব রয়েছে দার্জিলিঙে। নির্বাচনের তিনদিন আগে পাহাড়ের রাজনৈতিক সমীকরণ দ্রুত বদলাতে শুরু করল। দলবিরোধী কার্যকলাপের অভিযোগে ৬ বছরের জন্য তাঁকে বহিষ্কার করলো প্রদেশ কংগ্রেস। মঙ্গলবার দলের প্রদেশ কমিটির সাধারণ সম্পাদক মনোজ চক্রবর্তী এক বিবৃতিতে ওই সিদ্ধান্তের কথা জানান। এদিনই আচমকায় বড় ঘোষণা করে দিয়েছেন পাহাড়ের গোর্খা নেতা বিনয় তামাং। খোলামেলা ভাবে সোশ্যাল মিডিয়ায় এবং ভাইরাল ভিডিওতে বিজেপি প্রার্থী রাজু বিস্তাকে ভোট দেওয়ার আবেদন জানান।

বিনয় তামাঙের বক্তব্য, ‘দুর্নীতি ও স্বজন পোষনের’ বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বিজেপির রাজু বিস্তাকে সমর্থন করবেন তিনি। তাঁর এই ঘোষণার পর বেশ অস্বস্তিতে পড়ে গিয়েছিল প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্ব। মাত্র পাঁচ মাস আগের কথা। গত নভেম্বরই দিল্লিতে গিয়ে কংগ্রেসে যোগ দিয়েছিলেন বিনয়। আর সেক্ষেত্রে পুরোধা ছিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। পাহাড়ের কংগ্রেস নেতার এমন ঘোষণায় বেশ বিব্রতই হতে হয় দলকে। এরপরই নেমে আসে শাস্তির খাঁড়া। আগামী ৬ বছরের জন্য কংগ্রেস থেকে বহিষ্কার করা হল প্রদেশ কমিটির সাধারণ সম্পাদককে।
উল্লেখ্য, বেপরোয়া ভাবেই দলের এই সিদ্ধান্তকে গুরুত্ব না দিয়ে বিনয় বলেন, “কংগ্রেস কি সিদ্ধান্ত নিয়েছে সেটা নিয়ে মাথাব্যাথা নেই। আমার গোর্খা, দার্জিলিং পাহাড়, শিলিগুড়ি, তরাই এবং ডুয়ার্সের লোকেরা যদি আমাকে উচ্ছেদ করত তবে চিন্তার বিষয় ছিল।” সেই সঙ্গে তিনি দাবি করেন, “কংগ্রেস থেকে আমার বহিষ্কার হল গোর্খা, দার্জিলিং পাহাড়, শিলিগুড়ি, তরাই এবং ডুয়ার্সের মানুষের জয় এবং কংগ্রেসের পরাজয়।” দল থেকে বহিষ্কারের বিনয় কোন দলে যোগ দিচ্ছেন সেই প্রশ্নে পাহাড়ে জল্পনা তুঙ্গে।

Card image cap

SSC মামলার রায়: বাতিল হল ২৫ হাজার ৭৫৩ জনের চাকরি, ফেরত দিতে হবে সুদ-সহ বেতনও!

এক্সপ্রেস কলকাতা ডেস্ক: ভোটের মুখে সোমবার SSC নিয়োগ দুর্নীতি মামলার রায় ঘোষণা করল কলকাতা হাইকোর্ট। কোর্টের তরফে জানানো হয়েছে, ২০১৬ সালের পুরো প্যানেল বাতিল করা হল। চাকরি হারালেন ২৫ হাজার ৭৫৩ জন। শুধু তাই নই, আগামী ৪ সপ্তাহের মধ্যে চাকরিহারাদের ফেরত দিতে হবে সুদ-সহ বেতনও। ডিআই এবং জেলাশাসকদের মারফতই বেতন ফেরাতে হবে তাদের।

সোমবার নির্ধারিত সময়মতো সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ কলকাতা হাইকোর্টে ঘোষণা হল SSC নিয়োগ দুর্নীতি মামলার রায়। বিচারপতি দেবাংশু বসাক ও বিচারপতি মহম্মদ শব্বর রশিদির ডিভিশন বেঞ্চ মামলার রায় ঘোষণা করেন। ২৮১ পাতার রায়ে মোট ৩৭০টি অনুচ্ছেদ রয়েছে। কোর্টের তরফে জানানো হয়েছে পুরো প্যানেল ‘নাল আন্ড ভয়েড’। যার ফলস্বরূপ ২৫ হাজার ৭৫৩ জনের নিয়োগ বাতিল বলে জানাল আদালত। আগামী ৪ সপ্তাহের মধ্যে বেতন ফেরাতে হবে। দিতে হবে বার্ষিক ১২ শতাংশ হারে সুদ। শুধুমাত্র সোমা দাস নামে এক চাকরিপ্রাপকের চাকরি থাকবে বলে জানিয়েছে হাই কোর্ট। কারণ, তিনি ব্লাড ক্যানসারে আক্রান্ত। মানবিক কারণে তাঁর চাকরি বহাল রেখেছে আদালত।
বেআইনি নিয়োগ আটকাতে অতিরিক্ত শূন্যপদ তৈরি করা হয়েছিল বলেই আদালতের পর্যবেক্ষণ। ২৩ লক্ষ মোট চাকরি পরীক্ষার্থী। ২০১৬ সালে এসএসসি নিয়োগ শূন্যপদ ২৪,৬৪০টি। কিন্তু ২৫,৭৫৩টি নিয়োগপত্র ইস্যু করা হয়েছিল। অর্থাৎ শূন্য পদের থেকে ১১১৩ জনকে বাড়তি নিয়োগপত্র দেওয়া হয়েছিল। এই নির্দেশের উপর SSC, বিতর্কিত চাকরি প্রার্থীরা স্টে চাইলে তা বাতিল করে দেওয়া হয় ডিভিশন বেঞ্চের তরফে। প্যানেলের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর যারা চাকরি পেয়েছিল তাদেরকে টাকা ফেরানোর নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।
এসএসসি মামলায় প্রায় আট হাজার চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিলেন কলকাতা হাই কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সেই নির্দেশে স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়। পরবর্তীকালে সেই মামলা যায় সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত। এসএসসি-র চাকরি বাতিলের মামলা হাই কোর্টে ফেরত পাঠায় সুপ্রিম কোর্ট। বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং বিচারপতি মহম্মদ শাব্বর রশিদির বেঞ্চকে ছয় মাসের মধ্যে রায় ঘোষণার নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। জানা গিয়েছে মাত্র তিন মাসেই শুনানি শেষ করে রায় ঘোষণা করা হয়ছে বেঞ্চের তরফে।
এদিন আদালত রায়ে জানায়, সুপার নিউমেরিক পদ বেআইনিভাবে গড়া হয়েছে। যাঁরা বেআইনিভাবে চাকরি পেয়েছেন তাঁদের বেতন ফেরত দিতে হবে। আদালতের নির্দেশ, ‘CBI তদন্ত করবে। প্রয়োজনে হেফাজতে নিয়ে জেরা করতে পারবে। বেআইনিভাবে সুপার নিউমেরিক পোস্ট করে চাকরি পাওয়াদের হেফাজতে নিতে পারবে সিবিআই।’ পাশাপাশি OMR শিট দ্রুত SSC-র সার্ভারে আপলোড করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য এদিন আইনজীবী ফিরদৌস শামীম বলেন, ‘গ্রুপ সি, গ্রুপ ডি, নবম এবং দশম শ্রেণি, একাদশ, দ্বাদশ শ্রেণির নিয়োগ প্রক্রিয়া পুরোপুরি বাতিল করা হয়েছে। বেতন ফেরত দিতে বলা হয়েছে। DI-দের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এই বিষয়ে নজর রাখতে।’ এদিন রায়কে কেন্দ্র করে কোনওভাবেই যাতে হাইকোর্ট চত্বরে গোলমাল না বাঁধে সেই জন্য আঁটসাঁট নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা হয়েছিল। কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থায় মুড়ে ফেলা হয়েছিল হাইকোর্ট চত্বর।
প্রসঙ্গত, আদালতের রায়র আগে সোমবার সকালে নিজের এক্স হ্যান্ডেলে তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ পোস্ট করে লেখেন, ‘শিক্ষক চাকরি মামলা। যেখানে ভুল, অন্যায়, ব্যবস্থা হোক। দোষীরা শাস্তি পাক। কিন্তু, যোগ্য প্রার্থীদের চাকরি যেন বাধা না পায়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার আন্তরিক সদিচ্ছা নিয়ে তাদের চাকরির চেষ্টা করেছে। কিছু অন্যায়কে প্রাধান্য দিতে গিয়ে যেন যোগ্যদের অনিশ্চয়তায় ফেলে না দেওয়া হয়। এদের স্বার্থে যা চেষ্টা দরকার, সরকার করেছে। এদের অবিলম্বে চাকরি দরকার। আশা করি আদালতের রায়ে এই চাকরির জট খুলতে সরকারের চেষ্টা মান্যতা পাবে।’

Card image cap

সরকারি প্রকল্পে দুঃখের দিন ঘোচাচ্ছে বিড়ি শ্রমিকদের

সামান্য পিছন ফিরে তাকালে দেখা যাবে, কয়েক বছর আগেও অবশ্য বিড়ি শ্রমিকদের জীবনযাত্রা এত সহজ ছিল না শুধু মুর্শিদাবাদ নয়, রাজ্যে প্রায় ২০ লক্ষ শ্রমিক এই কাজ করে থাকেন এঁদের মধ্যে অধিকাংশই মহিলা গ্রামীণ অর্থনীতিকে সচল রাখতে এই শ্রমিকদের বড় অবদান আছে তাই তাঁদের জীবনের মান উন্নয়নের জন্যও সচেষ্ট হয় রাজ্য সরকার ২০১৩ সাল থেকেই চালু হয়েছে বিড়ি শ্রমিকদের জন্য কল্যাণ প্রকল্প, যেখানে দুই কিস্তিতে ২০ হাজার টাকা রাজ্যের থেকে পেতে শুরু করেন শ্রমিকরা মূলত এই প্রকল্পের কল্যাণেই তাঁদের জীবনের হালচাল বদলাতে শুরু করে ঘরবাড়ি থেকে সামগ্রিক গেরস্থালির চেহারাটাই বদলে যায় টানাটানির দিন পেরিয়ে অনেকেই নতুন স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছেন কেউ কেউ তাঁদের সন্তানকে শহরে পাঠিয়ে নামী কলেজে পড়াচ্ছেনও এক সময় এসব চিন্তাও করতে পারতেন না তবে, দিন যে বদলেছে তা অস্বীকার করছেন না তাঁরা ছাড়া আছে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা মহিলাদের ক্ষেত্রে তা স্বনির্ভর হওয়ার সুবিধা দিয়েছে স্বাস্থ্যসাথীর কার্ডও চিন্তা ঘুচিয়ে দিয়েছে অনেকটাই সব মিলিয়ে অসংগঠিত ক্ষেত্রের শ্রমিকদের ভালো রাখার যে সংকল্প নিয়েছে রাজ্য, তার জেরেই বদলাতে শুরু করেছে মুর্শিদাবাদের বিড়ি শ্রমিকদের জীবনের পাঁচালী

 

বিড়ি বাঁধা স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকারক এমন বিধিসম্মত সতর্কীকরণ তাঁদের কেউ দেয়নি দিলেও কিছু করার ছিল না সারাদিনে হাজার বিড়ি বাঁধলে হাতে আসে দেড়শো টাকা উপার্জনের সেটিই একমাত্র উৎস পেশার তাগিদে তাই মুখ তোলার অবসর নেই মুর্শিদাবাদের বিড়িশ্রমিকদের তবে এক কালে তাঁদের যে অবস্থা ছিল তা অনেকটাই বদলে গিয়েছে রাজ্য সরকারের শ্রমদপ্তর বিড়ি শ্রমিকদের জন্য যে ওয়েলফেয়ার স্কিম চালু করেছিল, তার সুফল দেখছে মুর্শিদাবাদ গত একদশকে শ্রমিকদের জীবনের মানে এসেছে লক্ষ্যণীয় পরিবর্তন

 

বলতে গেলে, গোটা জেলার অর্থনীতির ভরকেন্দ্র এই বিড়ি বাঁধার কাজ জঙ্গিপুর মহকুমাতেই বহু মানুষের এটাই একমাত্র রুটিরুজি চারিদিকে ভোটের বাদ্যি বাজছে নতুন নতুন প্রতিশ্রুতির ছড়াছড়ি গরমের হাঁসফাস উপেক্ষা করেই তুঙ্গে ভোট প্রচার প্রার্থীদের প্রচারের হালহকিকত তল্লাশ করতে সেখানে পৌঁছে গিয়েছেন সংবাদমাধ্যমের কর্মীরাও তবে এসবের দরুন শ্রমিকদের রোজকার জীবনে বিশেষ হেলদোল নেই ভোটের মুখে তাঁদের বাড়িতে পৌঁছে দেখা গেল, প্রতিদিনের মতোই তাঁরা কাজে বসে গিয়েছেন শ্রমিকদের অধিকাংশই মহিলা কেউ মাপে মাপে কাটছেন কেন্দু পাতা কারও আবার পোষা আঙুলে সুতোর পাকে পাতার পেটে বাঁধা হয়ে যাচ্ছে তামাক কেউ আবার টপাটপ কঞ্চির কাঠি দিয়ে বিড়ির মুখ বন্ধ করছেন সবটাই এত দ্রুত এবং দক্ষতার সঙ্গে হচ্ছে যে দেখে তাক লেগে যায় এই বিড়ি চালান হয়ে যাবে গোটা রাজ্যে অর্থনীতির হিসাবপত্তরের আরও অনেক পরত আছে তবে সেসব পেরিয়ে হাতের কাজেই মন শ্রমিকদের

 

তবে মজুরি নিয়ে ক্ষোভের আঁচও পাওয়া গেল ইতিউতি তা মূলত নির্দিষ্ট কয়েকটি কোম্পানির বিরুদ্ধেই এলাকার প্রবীণ একজন শ্রমিক ক্ষোভ জানিয়ে বললেন, “মজুরি নিয়ে আমাদের সমস্যা কেউ কেউ দেড়শোর বদলে একশো দশ কি কুড়ি টাকা দিচ্ছে তাও হপ্তা পেতে সময় লেগে যায়তার উপর পাতার কারণে বিড়ি বাতিল হওয়ার ঝক্কি তো আছেই স্থানীয় যুবকের তাই দাবি, “দেড়শো টাকায় এখন কিছু হয় না মজুরি না বাড়লে আমাদের চলবে নাএদিকে মহিলাদের সংসার সামলে তবে বিড়ি বাঁধার কাজে বসতে হয় দিনের হিসাব ছশো-সাতশো বিড়িতে গিয়ে আটকে যায় পাল্লা দিয়ে দৈনিক মজুরিও কমতে থাকে মহিলারা তাই প্রত্যেকেই বলছেন, “জিনিসপাতির দাম বাড়ছে এদিকে মজুরি বাড়ছে না রোজ হাজার বিড়ি বাঁধাও যায় নাএই ক্ষোভ অবশ্য সর্বত্র নেই বোঝা গেল, সমস্যাটা এলাকাভিত্তিক সেটুকু মিটে গেলে বিড়িশ্রমিকদের সামগ্রিক জীবনের বদল চোখে পড়ার মতোই

 

আবার একটা ভোট সামনে সরকারের থেকে তাহলে কী চান? সরকার যে তাঁদের কল্যাণ করতে পাশেই আছে সে-কথা তাঁরা বিলকুল জানেন জনপ্রতিনিধির কাছে সুবিধা-অসুবিধার কথা বলতে পারলে নতুন আর কী চাওয়ার থাকে! দুঃখের দিনলিপি পেরিয়ে তাই হাসিমুখেই ভোটের দিকে তাকিয়ে আছেন মুর্শিদাবাদের বিড়িশ্রমিকরা

Card image cap

গ্রীষ্মের দাবদাহে নাজেহাল রাজ্যবাসী! অনির্দিষ্টকালের জন্য পড়ল গরমের ছুটি!

এক্সপ্রেস কলকাতা ডেস্ক: বৈশাখের তীব্র গরম, সঙ্গে তাপপ্রবাহ! রাজ্যে ক্রমবর্ধমান তাপপ্রবাহের জেরে গরমের ছুটি এগিয়ে আনা হল। বুধবারই শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু জানিয়েছিলেন, আগামী সোমবার থেকেই রাজ্যের স্কুলগুলিতে পড়ছে গরমের ছুটি। তবে কতদিন পর্যন্ত এই ছুটি চলবে তা অনির্দিষ্ট।

গতবারও গ্রীষ্মের প্রবল দাবদাহে বেহাল হতে হয়েছিল রাজ্যবাসীকে। চৈত্র মাসেই এতটাই গরম পড়েছিল যে. মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে গরমে ছুটি এগিয়ে এনেছিল শিক্ষা দফতর। তার আগের বছর ডিউ টু এক্সট্রিম হিটওয়েভ’ ২ মে থেকে গরমের ছুটি শুরু হয়ে গিয়েছিল স্কুলগুলিতে। এমনকী, পরে আবার গরম ছুটি বাড়ানো হয়েছিল আরও ১৬ দিন। এবারেও হল তাই।
বুধবারই শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু জানিয়েছিলেন, আগামী সোমবার থেকে রাজ্যের স্কুলগুলিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য গরমের ছুটি শুরু হবে। বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করল রাজ্য স্কুল শিক্ষা দপ্তর। তবে কালিম্পং, কার্শিয়াং ও দার্জিলিংয়ের স্কুলগুলো খোলাই থাকবে।
বৈশাখে পুড়ছে বাংলা। কলকাতা বটেই, গোটা দক্ষিণবঙ্গজুড়ে এখন তীব্র দহনজ্বালা। যতদিন এগোচ্ছে পরিস্থিতি আরও জটিল হচ্ছে। ঘর থেকে বেরতে না বেরতেই নাভিশ্বাস উঠছে সকলের। আবহাওয়া দফতরের তরফে তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে। অত্যন্ত প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বেরতে বারণ করা হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে পড়ুয়াদের পক্ষে স্কুলে যাওয়া বেশ সমস্যার। অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়ছে। রাজ্যে এই দাবদাহ পরিস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছিলেন। তাঁর নির্দেশেই আবহাওয়া দফতরের সঙ্গে নবান্ন বৈঠক করে।
সেই বৈঠকের পরই জানা যায়, আগামী কয়েকদিন তীব্র গরম চলবে। তাই মুখ্যমন্ত্রী গরমের ছুটি এগিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। স্কুলে গরমের ছুটি আগে ৬ মে থেকে শুরু হওয়ার কথা ছিল। গতকাল শিক্ষামন্ত্রী জানিয়েছিলেন, সব ঠিক থাকলে আগামী ২২ এপ্রিল অর্থাৎ সোমবার থেকেই ছুটি শুরু হয়ে যাবে। বৃহস্পতিবারই ছুটি সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি জারি করল স্কুল শিক্ষা দপ্তর। জানানো হয়েছ, সোমবার থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ থাকবে স্কুল। তবে উত্তরবঙ্গের তিনটি জেলা যথা কালিম্পং, কার্শিয়াং ও দার্জিলিংয়ের স্কুলগুলি আপাতত খোলাই থাকবে।

Card image cap

আদালতের নির্দেশকে অমান্য করে হাওড়ায় রামনবমীর বিজেপির মিছিলে অস্ত্রপ্রদর্শন!

এক্সপ্রেস কলকাতা ডেস্ক: শর্ত সাপেক্ষে রামনবমীর মিছিলে অনুমতি দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। কিন্তু কার্যত আদালতের নির্দেশ উপেক্ষা করেই হাওড়ায় রামনবমীর বিজেপির মিছিলে দেখা গেল অস্ত্রপ্রদর্শন। মিছিলে সামিল ছিলেন বিজেপি প্রার্থী রথীন চক্রবর্তী। তাঁর উপস্থিতিতেই প্রকাশ্য দিবালোকে তলোয়ার হাতে দেখা গেল বিজেপি নেতা-কর্মীদের। ঘটনাকে কেন্দ্র করে তুমুল বিতর্ক।


গত কয়েক বছর ধরে রাজ্যে রামনবমীর রমরমা। বিজেপি এবং হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলি সাড়ম্বরে রামনবমী পালন করে কলকাতা ও জেলায়-জেলায়। রীতিমতো অস্ত্র মিছিল বের করে তারা। এই রামনবমীকে কেন্দ্র করে গত বছর উত্তপ্ত হয়ে ওঠে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত। সেই ঘটনার জেরেই এবছর রামনবমীর মিছিলের অনুমতি নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়েছিল। পরবর্তীতে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত শর্তসাপেক্ষে মিছিলে অনুমতি দেন। তিনি স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন, মিছিলে অস্ত্র নেওয়া যাবে না, কোনও প্ররোচনামূলক বক্তব্য রাখা যাবে না। ২০০-র বেশি লোক থাকবে না মিছিলে, উচ্চ শব্দমাত্রার বক্স বাজানো যাবে না। পরিস্থিতি বুঝে প্রয়োজন পড়লে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সাহায্য নিতে হবে।

হাওড়ায় রামনবমীর মিছিল ঘিরে বিশেষ নিরাপত্তাও নিয়েছিল প্রশাসন। হাওড়া সিটি পুলিশের উচ্চ পদস্থ কর্তারা কয়েক দফা বৈঠকও করেন। পুলিশের পাশাপাশি মোতায়েন থাকবে বিশেষ বাহিনী। কিন্তু হাওড়ায় বুধবার দেখা গেল অন্য ছবি। এদিন মধ্য হাওড়ার শ্যামাশ্রী সিনেমা মোড় থেকে রামরাজাতলা পর্যন্ত রামনবমীর একটি মিছিল করা হয়। তাতে ছিলেন বিজেপি প্রার্থী রথীন চক্রবর্তী এবং বিজেপির হাওড়া সদরের সভাপতি। সেই মিছিলেই ধরা পড়ে তলোয়ার হাতে মিছিল করা হয়। রীতিমতো অস্ত্র উঁচিয়েই মিছিলে হাঁটতে দেখা যায়।

এপ্রসঙ্গে রথীন চক্রবর্তী বলেন, ‘হিন্দু দেবী দুর্গার হাতেও অস্ত্র আছে, তাঁকেও পুজো করা হয়। রামনবমীতেও অস্ত্র পুজো করা হয়। এই অস্ত্র শান্তির জন্য। কোন অসৎ উদ্দেশ্য নয়।’ এদিন বিজেপি প্রার্থী আরও অভিযোগ করেন, ‘রাষ্ট্রদ্রোহী শক্তি রামনবমী দিবসকে দাঙ্গা দিবস হিসেবে চিহ্নিত করতে চাইছে। কিন্তু ভারতীয় ধর্ম একইভাবে চিরদিন বেঁচে থাকবে।’

প্রসঙ্গত, সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী উত্তরবঙ্গের প্রচার সভা থেকে বিজেপিকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘উনিশ তারিখ ভোট বলে, সতেরো তারিখ দাঙ্গা করার প্ল্যান করে রেখে দিয়েছে। আমরা দাঙ্গা চাই না। আমরা শান্তি চাই।’ যদিও রামনবমীর সকালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শান্তিরক্ষার বার্তা দিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন। উল্লেখ্য এদিন বিজেপির পাশাপাশি তৃণমূলের প্রার্থীদেরও দেখা যায় বিভিন্ন কেন্দ্রে রামনবমী পালন করতে। দেবের গলাতেও শোনা যায়, জয় শ্রী রাম স্লোগান।

Card image cap

বৈশাখে দগ্ধ বঙ্গ! সতর্কবার্তা আবহাওয়া দফতরের।

এক্সপ্রেস কলকাতা ডেস্ক: গত কয়েকদিন ধরেই রীতিমতো তীব্র দাবদাহে অস্বস্তিতে বঙ্গের সাধারণ মানুষ। আগামী তিন দিন দক্ষিণবঙ্গের তাপমাত্রা আরও বাড়বে বলে জানান আবহাওয়াবিদরা। বৃহস্পতি ও শুক্রবার দক্ষিণবঙ্গের আট থেকে দশটি জেলায় তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তা জারি করা হয়েছে। ভোটপর্বের শুরুতেই যে দহন জ্বালায় জ্বলতে হবে, তা জানা বঙ্গবাসীর। তবে মঙ্গলবার হাওয়া অফিস শোনাল আরও উদ্বেগজনক খবর।


ভরপুর তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি দক্ষিণবঙ্গে। গোটা সপ্তাহ চরম গরম ও অস্বস্তিকর আবহাওয়া থাকার সম্ভাবনা। অন্তত ১০ জেলায় তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তা। বিশেষত পশ্চিমের জেলাগুলিতে তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রির উপরে চলে যেতে পারে। এই পরিস্থিতিতে দুপুরে ৫ ঘণ্টা সতর্ক হয়ে বেরোনোর পরামর্শ দিয়েছে হাওয়া অফিস। সকাল ১১টা থেকে বিকাল ৪টে অবধি খুব দরকার না হলে বাড়ির বাইরে না বেরোনোই ভাল বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস।

ইতিমধ্যেই পানাগড়ের তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রি ছাড়িয়েছে। দক্ষিণবঙ্গের পাশাপাশি কলকাতাতেও তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। তাপপ্রবাহের সতর্কতা রয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদে। এই জেলাগুলির কিছু অংশে লু বইতে পারে। কলকাতায় মঙ্গলবার সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৮.৬ ডিগ্রি। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৮.৭ ডিগ্রি। তবে উত্তরের পাঁচ জেলায় রয়েছে ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা।

আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে খবর, একটি ঘূর্ণাবর্ত রয়েছে উত্তর বাংলাদেশ, মধ্যপ্রদেশ এবং দক্ষিণের কোমরিন এলাকায়। দক্ষিণের কোমরিন এলাকা থেকে কর্নাটক পর্যন্ত একটি অক্ষরেখা রয়েছে। তার জেরে নতুন করে পশ্চিমী ঝঞ্ঝা ঢুকবে ১৮ এপ্রিল, বৃহস্পতিবার। আরেকটি ঘূর্ণাবর্ত রয়েছে রাজস্থানে। সেখান থেকে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ পর্যন্ত একটি পূর্ব-পশ্চিম অক্ষরেখা, যেটি বিহার ও ঝাড়খণ্ডের উপর দিয়ে গিয়েছে। আর এই জোড়া ফলাতেই পুড়ছে বঙ্গ।

Card image cap

রামনবমীতে রাজ্যে অশান্তির আশঙ্কা প্রকাশ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের

এক্সপ্রেস কলকাতা ডেস্ক: ভোটের উত্তাপে ফুটছে বাংলা। আগামী বুধবার রামনবমী। সেদিন অন্যবারের মতই বিভিন্ন জায়গায় মিছিলের আয়োজন করতে চলেছে বিভিন্ন হিন্দুত্ববাদী সংগঠন। তার আগে ইতিমধ্যে মুর্শিদাবাদের বেলডাঙায় উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। নির্বাচনের আগে রামনবমীতে তাই এবারেও রাজ্যে অশান্তির আশঙ্কা। কোচবিহারের সভা থেকে আরও একবার সতর্কবার্তা মমতার। রাজ্যবাসীর কাছে তাঁর আর্জি, “প্ররোচনায় পা দেবেন না।”

রামের জন্মদিন উপলক্ষ্যে এবার রাম মহোৎসব পালন করছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ।মঙ্গলবার শুরু হচ্ছে VHP-র মেগা ইভেন্ট।চলবে ২৩ এপ্রিল পর্যন্ত।রামনবমী উপলক্ষ্যে হাওড়ার B E কলেজের গেট থেকে শুরু হয়ে রামকৃষ্ণপুর ঘাট পর্যন্ত মিছিল হবে।১০ হাজার জমায়েতের অনুমতি চাওয়া হলেও, হাইকোর্ট অনুমতি দিয়েছে শুধু ২০০ জনের।উল্লেখ্য, ২১ জুলাই একই রুটে একই শর্তে আরও একটি সংগঠনকে শোভাযাত্রার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

গত কয়েক বছর ধরেই রামনবমীকে ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে পশ্চিমবঙ্গ। গতবছরই যেমন রামনবমীর মিছিল ঘিরে রণক্ষেত্রের চেহারা নিয়েছিল হাওড়া। বিভিন্ন গাড়ি ভাঙচুর করার অভিযোগ উঠেছে। বিভিন্ন দোকানে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। পাশাপাশি, বারবার সাম্প্রদায়িক উত্তেজনার খবর এসেছে নৈহাটির হাজিনগর, হাওড়ার ধূলাগড়, হুগলির রিষড়া, ভদ্রেশ্বর, ডালখোলা থেকে। তাই রামনবমীকে ঘিরে মুখ্যমন্ত্রীর আশঙ্কা মিথ্যে নয়।

তাই রামনবমীর দিন অশান্তির আশঙ্কা প্রকাশ করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, ‘১৭ তারিখ ওদের অশান্তি করার দিন। ওরা চায় অশান্তি করে এনআইএ ঢুকিয়ে ভোট বানচাল করতে। হিংসার জন্য প্রস্তুত হয়ে আছে, কেউ প্ররোচনায় পা দেবেন না। আপনাদের এখানকার প্রার্থী একজন গুন্ডা, তিনি আবার আগুন লাগাবেন। শীতলকুচির মতো গুলি চালিয়ে দেবে’, কোচবিহারের সভা থেকে বিজেপিকে আক্রমণ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।

Card image cap

নববর্ষের ভূরিভোজে সামিল হল স্কুল, মিড ডে মিলে থাকছে ফ্রায়েড রাইস, কষা মাংস

এক্সপ্রেস কলকাতা ডেস্ক: বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বণের শুরু হয় বাংলা নববর্ষের হাত ধরেই। আবার এবারই প্রথম পয়লা বৈশাখ দিনটিকে ‘রাজ্য দিবস’ হিসাবে পালন করা হবে। যা দিনটির গুরুত্বও অনেকাংশেই বাড়িয়ে দিয়েছে।  সব মিলিয়ে দিনটিকে পড়ুয়াদের কাছে স্মরণীয় করে তুলতে স্কুলগুলিকে উৎসাহিত করছে স্কুল শিক্ষা দপ্তর। বাংলা বছরের প্রথম দিন রবিবার, স্কুল ছুটি। তাই পরের দিন, সোমবার পড়ুয়াদের জন্য এই উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে স্কুলে স্কুলে।


এ প্রসঙ্গে বলা হয়েছে, বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে ১৫ এপ্রিল মিড-ডে মিলে বিশেষ মেনু পরিবেশন করতে। স্পেশাল মেনু বলতে প্রতিদিনের রুটিন মেনুর ব্যতীত কিছু। স্পেশাল মেনুতে কী হবে, সেটা স্কুল কর্তৃপক্ষ নিজেদের সুবিধা মতো ঠিক করবে বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। এই বিষয়ে রাজ্যের মিড-ডে মিল তথা পিএম পোষণ প্রকল্পের অধিকর্তা পারমিতা রায় বলেন, “রোজকার বাঁধাধরা মেনুর বাইরে গিয়ে কোনও স্কুল যদি নববর্ষ উপলক্ষে বাচ্চাদের বিশেষ কিছু খাওয়ায়, আমরা তাতে উৎসাহ দিচ্ছি । বিষয়টা স্কুলের উপরেই ছেড়ে দেওয়া হয়েছে । যে স্কুল যেভাবে করতে পারবে।”

জেলার বহু স্কুল সূত্রে খবর, কলকাতার সরকারি স্কুলগুলিতে মিড ডে মিলে দেওয়া হতে পারে ফ্রায়েড রাইস ও মাংস কষা। কোথাও দেওয়া হবে মাংস ভাত। কোথাও পোলাও। শেষে পায়েস বা মিষ্টি। কোনও কোনও মহল থেকে জানা যাচ্ছে সোমবার ওই ধরনের মেনু করে কীরকম সাড়া পাওয়া যাচ্ছে শিক্ষা দফতর তার উপরে ভিত্তি করেই বছরের অন্যন্যা বিশেষ দিনগুলিতে বিশেষ মেনুর কথা ভাবা হবে। জানা যাচ্ছে সোমবার মিড ডে মিলের মেনুতে কী থাকল তার ছবি তুলে শিক্ষা দফতরে পাঠিয়ে দিতে হবে।

স্কুল শিক্ষা দফতরের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়ে শিক্ষানুরাগী ঐক্য মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক কিংকর অধিকারী বলেন, “এই ধরনের খাবার ছাত্র-ছাত্রীদের দিতে পারলে আমরা সকলে খুশি হই । পাশাপাশি বিদ্যালয়ে দশম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র-ছাত্রীদেরও মিড-ডে মিলের আওতায় আনা হোক । একই বিদ্যালয়ে কেউ খাবার পাবে, কেউ পাবে না এই বৈষম্য আমাদের অত্যন্ত অমানবিক বলে মনে হয়।”

Card image cap

নিজের কেন্দ্রে প্রচারে বেরিয়ে বিক্ষোভের মুখে অধীর!

এক্সপ্রেস কলকাতা ডেস্ক: প্রার্থীকে ঘিরে স্লোগান নতুন নয়। নির্বাচনী আবহে এমন ঘটনা আকছার ঘটে থাকে। তবে কোন প্রার্থী কীভাবে এই বিরোধিতা সামলাচ্ছেন, সেটাই দেখার। বহরমপুর লোকসভা কেন্দ্রের কংগ্রেস প্রার্থী হয়েছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী। শনিবার চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনে নিজের কেন্দ্র বহরমপুরে প্রচারে বেরিয়ে ‘গো ব্যাক’ স্লোগান শুনেই মেজাজ হারালেন বহরমপুরের হেভিওয়েট প্রার্থী। এক যুবকের অভিযোগ, উত্তেজনার বশে তাঁকে চড় মেরেছেন অধীর। যদিও, এই ঘটনায় তৃণমূলের বিরুদ্ধেই অভিযোগের আঙুল তুলেছেন অধীর। তাঁকে প্রচার করতে বাধা দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ তোলা হয়েছে।

পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী বেশ খোশমেজাজেই ভোটের প্রচারে বেরিয়েছিলেন বহরমপুর লোকসভা কেন্দ্রের কংগ্রেস প্রার্থী অধীর চৌধুরী। কিন্তু আচমকাই ‘ছন্দপতন’। বহরমপুর পুর এলাকার গান্ধী কলোনি থেকে বিটি কলেজ মোড় পর্যন্ত জনসংযোগ করার সময় এল ‘বাধা’। পাঁচ বারের সাংসদকে ঘিরে উঠল ‘গো ব্যাক’ আওয়াজ। তাতে মেজাজ হারিয়ে বিভান দে নামে এক যুবকেকে চড় কষানোর অভিযোগ উঠল কংগ্রেস প্রার্থী অধীরের বিরুদ্ধে।

কংগ্রেস প্রার্থীর প্রচারে এমন বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। বিক্ষোভকারীদের ধরপাকড় করে প্রিজন ভ্যানে তোলা হয়। আর প্রিজন ভ্যানে উঠতে উঠতেও বিভান চিৎকার করে বারবার বলতে থাকেন যে তাঁকে চড় মেরেছেন অধীর। সিসিটিভি ফুটেজই তার প্রমাণ। যদিও এই ঘটনা নিয়ে অধীরের পালটা কটাক্ষ, ”তৃণমূলের ‘চুল্লুখোর’রা বিরক্ত করছিল, প্রতিবাদ জানিয়েছি। নেশা করে ‘গো ব্যাক’ বলবে, প্রতিবাদ তো করবই। আর সেটাই করেছি। চার দিকে সিসিটিভি আছে, দেখলেই প্রমাণ পাবেন, আদৌ গায়ে হাত দিয়েছি কি না।” কিন্তু নিজের গড়ে প্রচারে বেরিয়েই এভাবে অধীরের বিক্ষোভের মুখে পড়া কি অন্য কোনও অশনি সংকেত? প্রশ্ন উঠছেই।

এই গন্ডগোল নিয়ে বহরমপুর পুরসভার চেয়ারম্যান নাড়ুগোপাল মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘গান্ধী কলোনির মতো জায়গায় যেখানে এক সময় অধীর চৌধুরীকে ‘মসিহা’ মনে করতেন মানুষজন, সেখানে আজ তিনি বিক্ষোভের মুখে। তাই অধীর চৌধুরীর জনভিত্তি শুধু তলানিতে নয়, মাটিতে মিশে গিয়েছে।’’