গোপাল বিশ্বাস এক্সপ্রেস কলকাতা:- ক্যালেন্ডারের পাতায় একটা করে তারিখ এগোচ্ছে যতোই ততোই আবহাওয়ার সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে রাজনৈতিক উত্তাপও।
রাজনৈতিক ময়দানে এক ইঞ্চিও জমি ছাড়তে নারাজ সব রাজনৈতিক দল।
আর নির্বাচনী প্রচারে একে অপরকেও টেক্কা দিতে যেমন চলছে দেওয়াল লিখন, থেকে ব্যানার, দলীয় পতাকা দিয়ে এলাকায় মুরে ফেলার কাজ পাশাপাশি প্রার্থীকে নিয়েও চলছে বিভিন্ন ভাবে প্রচারের কর্মসূচী।
আর শনিবার সকাল থেকেই নবদ্বীপ বিধান সভা এলাকার বিভিন্ন এলাকায় নির্বাচনী প্রচারে ঝর তুলতে দেখাগেলো রানাঘাট লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী বিদায়ী সাংসদ জগন্নাথ সরকারকে।
আর এদিনের তার এই কর্মসূচীতে উপস্থিত ছিলেন নদীয়া দক্ষিনের সভাপতি পার্থসারথি চ্যাট্যার্জি, বুধায়ক বঙ্কিম ঘোষ, ছিলেন বিজেপির একাধিক জেলা নেতৃত্বের পাশাপাশি শহর ও ব্লকের বিভিন্ন নেতৃত্ব।
এদিন সকালে মায়াপুর থেকে তার প্রচার বা জনসংযোগ কর্মসূচী শুরু করে।
এক সুবিশাল বাইক র্যালি সহকারে মায়াপুর, বামুনপুকুর এলাকায় জনসংযোগ সেড়ে মহেশগঞ্জ এলাকায় মর্ধাহ্ন ভোজন সারেন।
এর পর পুনরায় সুসজ্জিত বাইক র্যালির মাধ্যমে স্বরূপগঞ্জ, মহেশগঞ্জ, সি এম সি বি, হয়ে গৌরাঙ্গ সেতু পার হয়ে নবদ্বীপ শহরের, কোলপরডাঙ্গা, মনিপুর রাধাবাজার, পোড়ামাতলা, বড়োশিবতলা, হয়ে নবদ্বীপের গ্রামীণ এলাকা বাবলারি হয়ে প্রাচীনমায়াপুর সহ বিভিন্ন এলাকায় জনসংযোগ করে।
আর এদিন নবদ্বীপ ব্লকের স্বরূপগঞ্জ ঘাট সংগ্লগ্ন এলাকায় একটি পথসভার আয়োজন করে বিজেপির তরফে, সেখানেই বক্তব্যে জগন্নাথ সরকার বিগত পাঁচ বছরে তার এম পি ফান্ডের টাকায় কোন কোন এলাকার জন্য কি কি কাজ করেছেন, ও নবদ্বীপের জন্যই বা কি কাজ করেছেন তার ক্ষতিয়ান তুলে ধরেন।
সেখানেই বক্তব্য দিতে গিয়ে তৃণমূলকে প্রকাশ্য চ্যালেঞ্জ ছুড়ে বলেন, বিগত পাঁচ বছরে তিনি যা কাজ করেছেন এ রাজ্যে তৃনমূলের কোন এম পি যদি করে থাকেন, তাহলে তিনি তার মনোনয়ন জমাই দেবেন না,
পাশাপাশি তিনি আরও বলেন তৃনমুল শুধু চুরি করতে আর উন্নয়নে বাধা সৃষ্টি করতে জানে,।
স্বরূপ গঞ্জ বা নবদ্বীপ ঘাট পর্যন্ত রেল নিয়ে এদিনও তিনি দাবী করেন অনুমতি হয়ে আছে রেল দপ্তরের, রাজ্য সরকার জমি অধিগ্রহণ করে দিলেই পরের দিন থেকেই কাজ শুরু হবে।
জগন্নাথ সরকার আরও বলেন করোনার কারনে, টাকার সমস্যা হয়েছিল, না হলে এলাকার উন্নয়নের জন্য আরও কাজ করা যেত।
এদিনে জগন্নাথ সরকারের সমর্থনে দিনভর প্রচার কর্মসূচীতে কর্মীসমর্থকদের উপস্থিতি ছিলো চোখে পড়ার মতো।
সব মিলিয়ে একাধারে জগন্নাথ সরকারের বিরুদ্ধে এলাকায় কোন কাজ না করার বা এলাকার অনুন্নয়নের যে অভিযোগ তুলে প্রচারে ঝাপাতে দেখা গেছে এদিন নবদ্বীপের জনসংযোগ কর্মসূচী থেকে তার সব কিছুর জবাবে প্রকাশ্যে তৃণমূলকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেওয়া কিছটা হলেও বিজেপি কর্মীদের মনোবল বৃদ্ধি পাবে তা বলাই বাহুল্য।