CATEGORY politics:

Card image cap

দ্বিতীয় দফাতেও কমল ভোটের হার! নেপথ্যে ঠিক কী কারণ?

এক্সপ্রেস কলকাতা ডেস্ক: পর পর দুই দফায় কমল ভোটের হার। সাত দফার লোকসভা নির্বাচনের (Lok Sabha Election 2024) দ্বিতীয় দফার ভোটগ্রহণ হল শুক্রবার। দেশের ১৩টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ভোটগ্রহণ হল সব মিলিয়ে ৮৮টি আসনে। দেখা যাচ্ছে, সন্ধ্যা ৫টা পর্যন্ত পাওয়া হিসেব অনুযায়ী শুক্রবার ভোট পড়েছে ৬০.৭ শতাংশ। অন্যদিকে, ২০১৯ সালে দ্বিতীয় দফায় সারা দেশে মোট ভোট পড়েছিল ৬৯.৪৩ শতাংশ। অর্থাৎ প্রায় ১০ শতাংশ কম ভোট পড়েছে এবারে। যদিও এখনও ভোটদানের চূড়ান্ত হারের হিসেব মেলেনি, তবে এটা পরিষ্কার গতবারের চেয়ে অনেক পিছনেই থাকবে পরিসংখ্যান।

জানা যাচ্ছে, সব মিলিয়ে ৫টা পর্যন্ত প্রাপ্ত হিসেবে দেশে ভোট পড়েছে ৬০.৭ শতাংশ। যার মধ্যে মণিপুর, ছত্তিশগড়, অসম, ত্রিপুরা ও বাংলায় ভোটদানের হার ৭০ শতাংশের বেশি। কিন্তু উত্তরপ্রদেশ, বিহার ও মহারাষ্ট্রে ভোট পড়ল যথাক্রমে ৫২.৬ শতাংশ, ৫৩ শতাংশ ও ৫৩.৫ শতাংশ। প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালে দ্বিতীয় দফায় সারা দেশে মোট ভোট পড়েছিল ৬৯.৪৩ শতাংশ, যা এবারের তুলনায় প্রায় ১০ শতাংশ বেশি। কিন্তু কেন কমছে ভোটদানের হার? নেপথ্যে কী?
একটা মত অনুযায়ী ভোটের হার কমের দিকে থাকার অর্থ শাসক দলের বিরুদ্ধে ভোট পড়ার সম্ভাবনাই বেশি। অর্থাৎ যে ‘মোদি ঢেউ’-এর কথা বার বার বিজেপিকে (BJP) বলতে শোনা যাচ্ছে, সত্যিই হয়তো তেমন আলোড়ন নেই। অন্য মত আবার উলটো কথা বলছে। অর্থাৎ মোদির পুনরাগমন এতটাই নিশ্চিত এবং বিরোধীদের সেভাবে প্রচারে ঝড় তুলতে দেখা যাচ্ছে না, তাই মানুষ ভোট দিতেও বিরাট হারে আসছেন না। ভোটের হার কমার পিছনে রয়েছে অন্য সম্ভাবনাও। যার সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই। এর মধ্যে প্রধান ইস্যু হল আবহাওয়া। গ্রীষ্মের দাবদাহের কারণে ভোটাররা বুথমুখী হতে চাইছেন না, এমন মতও শোনা গিয়েছে। কিন্তু এর মধ্যে কোনটা যে সঠিক, অর্থাৎ ভোটের হার কমার পিছনে আসল কারণ কী, তা হয়তো ৪ জুনের আগে বোঝা যাবে না।

Card image cap

বীরভূমে একই আসনে জোড়া মনোনয়ন! শতাব্দীর বিরুদ্ধে বিজেপির ‘দুই প্রার্থী’!

এক্সপ্রেস কলকাতা ডেস্ক: বাংলার ৪২টি লোকসভা কেন্দ্র। ২০২৪-এর ভোটে ৪২টির মধ্যে অন্যতম তাৎপর্যপূর্ণ কেন্দ্র হল বীরভূম। অনুব্রত মণ্ডল-হীন বীরভূমে তৃণমূল এবার তাঁদের মাটি ধরে রাখতে পারে কি না তা যেমন একদিকে সকলের নজরে। অন্যদিকে বিজেপি কোনও নতুন মোড় দিতে পারে কি না সেদিকেও নজর সকলের। এরইমধ্যে বীরভূম কেন্দ্রে দেবাশিস ধরের বিকল্প প্রার্থী দিল বিজেপি। মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিনে রাজ্য সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় নিজে দেবতনু ভট্টাচার্যের নামে বিকল্প প্রার্থীকে সঙ্গে করে নিয়ে এসে মনোনয়নপত্র জমা দেন। প্রশ্ন উঠছে, কোনও আগাম আভাস পেয়ে কি এক কেন্দ্রে দুই প্রার্থীর মনোনয়ন জমা করল বিজেপি?

উল্লেখ্য, বীরভূম লোকসভা কেন্দ্রে ইতিমধ্যেই বিজেপির প্রার্থী হিসাবে প্রাক্তন আইপিএস দেবাশিস ধরের নাম ঘোষণা হয়েছে। জেলার বিভিন্ন প্রান্তে প্রচার শুরু করে দিয়েছেন তিনি। এরইমধ্যে বৃহস্পতিবার বীরভূম জেলাশাসকের দফতরে মনোনয়ন জমা দিতে দেখা গেল বিজেপি নেতা দেবতনু ভট্টাচার্যকে। রাজ্যের আর কোনও কেন্দ্রে বিজেপি বিকল্প প্রার্থী না দিলেও বীরভূম কেন্দ্রে দিল কেন। সে প্রশ্নের উত্তরে বিজেপির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় জানান, “এখনও সারা রাজ্যের সর্বত্র মনোনয়ন জমা দেওয়া শেষ হয়নি। তাছাড়া এক এক কেন্দ্রের এক-এক রকম রণকৌশল থাকে। এটা তারই অঙ্গ। এটা অন্যরকম খেলা।” তবে প্রার্থী করার ব্যাপারে কেন্দ্রীয় কমিটির ছাড়পত্র পেয়েই দেবতনু ভট্টাচার্যকে প্রার্থী করা হয়েছে বলে বিজেপি সূত্রে খবর।
প্রসঙ্গত, দেবতনুকে সঙ্গে করে নিয়ে এসেছিলেন জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়। দেবতনু বলেন, “বীরভূম লোকসভা কেন্দ্র থেকে জেলাশাসকের অফিসে মনোনয়ন জমা দিলাম। এটা দলের সিদ্ধান্ত, আমরা দলের সৈনিক। দল যেমন বলেছে, তেমনই করেছি। দল বললে প্রচারেও নামব। দল বলেছে, বীরভূম থেকে আমাকে নমিনেশন ফাইল করতে হবে, আমি করে দিয়েছি।”

Card image cap

প্রচারে গিয়ে ভোটারকে ‘ইডিয়ট!’ বলে সম্বোধন তৃণমূল প্রার্থী শতাব্দীর

এক্সপ্রেস কলকাতা ডেস্ক: ভোট-প্রচারে গিয়ে এবার মেজাজ হারালেন বীরভূমের বিদায়ী সাংসদ তথা এবারের তৃণমূল প্রার্থী শতাব্দী রায় (Shatabdi Roy)। বুধবার দুবরাজপুরের বালিজুড়িতে খাগেশ্বর শিব মন্দিরে পুজো দিতে গিয়েছিলেন তৃণমূল প্রার্থী। সেখানে পুজো দেওয়ার পর স্থানীয় এক বাসিন্দার প্রশ্ন শুনেই বেজায় বিরক্ত শতাব্দী। ভোটারকে ‘ইডিয়ট! ’ বললেন বীরভূম লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী। পরিস্থিতি সামলাতে শেষে শতাব্দীর সামনে থাকা অন্য একজন দলীয় সমর্থককে দেখা যায়, নেত্রীর কাছে হাতজোড় করে পরিস্থিতি সামলাতে। তারপর মন্দির চত্বর থেকে বেরিয়ে যান বীরভূমের তৃণমূল প্রার্থী।

উল্লেখ্য ২০০৯ সাল থেকে এই বীরভূমের সাংসদ তিনি। হ্যাটট্রিক করে ফেলেছেন। কিন্তু কেন হঠাৎ প্রশ্ন শুনে মেজাজ হারালেন বিদায়ী সাংসদ? যাঁর প্রশ্নে শতাব্দী মেজাজ হারিয়েছিলেন, তাঁর নাম সুনীল মণ্ডল। এদিন মন্দির চত্বরের ঘটনার পর সুনীলবাবুকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘আমি জানতে চেয়েছিলাম, তিনি যে কাজ করেছেন, তার কোনও প্রচার নেই কেন? আমি সেটাই জিজ্ঞাসা করছিলাম। আসল কথাটাই আমাকে বলতে দেওয়া হল না। উনি কী দিয়েছেন, সেই উত্তর আমাকে দিয়ে দিয়েছেন।’
খাগেশ্বর শিব মন্দির চত্বরে মেজাজ হারানোর প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হয়েছিল শতাব্দী রায়কেও। বিদায়ী সাংসদ হাসতে হাসতে বললেন, ‘ওই ব্যক্তি তাঁকে বলেছিলেন ট্যাঙ্কের জন্য যে টাকা দেওয়া হয়েছিল, সেটা রাতের অন্ধকারে ফেরত নিয়ে গিয়েছে। এটা তো হয় না। এটা তো ব্যাঙ্ক-টু-ব্যাঙ্ক ট্রান্সফার হয়। এটা তো নগদ টাকা নয়। তাই আমি বললাম, আপনি ভুল কথা কেন বলছেন।’ যদিও শতাব্দীর বক্তব্য, ওই ব্যক্তি পরে তাঁর কাছে এসেছিলেন এবং বিদায়ী সাংসদকে বলেছেন তিনি সেটা বোঝাতে চাননি। পরে ওই ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলবেন বলেও জানিয়েছেন শতাব্দী।
শতাব্দীর মন্তব্যে কড়া সমালোচনা করেছে বিরোধীরা। বীরভূমের কংগ্রেস প্রার্থী মিল্টন রশিদের কথায়, ‘বীরভূমের মানুষ ইডিয়ট নয়। বীরভূমের মানুষ সত্যি খুব বোকা। বীরভূমের মানুষ বোকা না হলে আপনাকে পর পর তিনবার সাংসদ করত না। বীরভূমের মানুষ এবং বিজেপি বোকা না হলে বিজেপির বহিরাগত প্রার্থীকে গ্রহণ করত না। বীরভূমের মানুষকে অনুরোধ করব আপনাদের ইডিয়টই বলুন আর বিজেপি যাই বলুক আপনারা ব্যালেটে তার প্রতিফলন করবেন।’

Card image cap

অভিষেককে তো খুন করতে গিয়েছিলি: নাম না নিয়েই এবার মমতার নিশানাই শুভেন্দু

এক্সপ্রেস কলকাতা ডেস্ক: বীরভূমে তৃণমূল প্রার্থী শতাব্দী রায়ের সমর্থনে দাঁড়িয়ে প্রচারসভায় বিস্ফোরক মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। চাকরি বাতিল থেকে জঙ্গি নিশানায় অভিষেক, বীরভূমের সভা থেকে সব ইস্যুতেই সরব হলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নাম না করে নিশানা করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে।

সম্প্রতি রাজ্যের বিরোধী দলনেতা দাবি করেছিলেন, “সোমবার বোমা ফাটবে।” পরবর্তীতে সোমবার অর্থাৎ গতকাল একসঙ্গে বাতিল হয়েছে ২০১৬ সালের প্যানেলের প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের চাকরি। দুইয়ের মধ্যে যোগ রয়েছে বলেই দাবি তৃণমূলের। এদিন মুখ্যমন্ত্রীর মুখে সেই বোমা প্রসঙ্গ উঠে আসে। বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায়, “বিজেপির এক নেতা বলছেন, বোমা ফাটাবো। তার পর এই রায়।” এর পরই যোগ করেন, “আরে মমতা ব্যানার্জির বিরুদ্ধে এত রাগ তো বোমা ফাটিয়ে মেরে দে!”
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর জঙ্গি নিশানা নিয়ে মুখ খোলেন তৃণমূল নেত্রী। তিনি বলেন, “অভিষেককেও তো খুন করতে গিয়েছিলি। ধরে ফেলেছি আমরা।” প্রসঙ্গত, সোমবার দুপুরে সাংবাদিক বৈঠক করেছিলেন অ্যাডিশনাল পুলিশ কমিশনার মুরলীধর শর্মা। তিনিই তখন বিস্ফোরক তথ্য দেন। জানান, জঙ্গি নিশানায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর বাড়ি, অফিস রেইকি করেন ২৬ /১১ মুম্বই হামলার অন্যতম চক্রী ডেভিড হেডলির শাগরেদ রাজারাম রেগে। যদিও ইতিমধ্যেই তাঁকে গ্রেপ্তার করেছে কলকাতা পুলিশের এসটিএফ।
মমতা আরও বলেন, “তার (অভিষেকের) বাড়ি পর্যন্ত রেইকি করেছে। ফেসটাইমে ফোন করেছিল। বলেছে, আপকা সাথ বাত করনা চাহতে হ্যায়। দেখা করলেই গুলি করে দিত।’’ মমতার কথায়, ‘‘ওদের (বিজেপির) বিরুদ্ধে যারাই লড়াই করবে, হয় তাদের জেলে ঢোকাবে, না হয় খুন করবে।’’

Card image cap

মনোনয়ন জমা-ই দেবোনা, বললেন বিজেপি প্রার্থী

গোপাল বিশ্বাস এক্সপ্রেস কলকাতা:- ক্যালেন্ডারের পাতায় একটা করে তারিখ এগোচ্ছে যতোই ততোই আবহাওয়ার সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে রাজনৈতিক উত্তাপও। 

রাজনৈতিক ময়দানে এক ইঞ্চিও জমি ছাড়তে নারাজ সব রাজনৈতিক দল। 

আর নির্বাচনী প্রচারে একে অপরকেও টেক্কা দিতে যেমন চলছে দেওয়াল লিখন, থেকে ব্যানার, দলীয় পতাকা দিয়ে এলাকায় মুরে ফেলার কাজ পাশাপাশি প্রার্থীকে নিয়েও চলছে বিভিন্ন ভাবে প্রচারের কর্মসূচী।

আর শনিবার সকাল থেকেই নবদ্বীপ বিধান সভা এলাকার বিভিন্ন এলাকায় নির্বাচনী প্রচারে ঝর তুলতে দেখাগেলো রানাঘাট লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী বিদায়ী সাংসদ জগন্নাথ সরকারকে।

আর এদিনের তার এই কর্মসূচীতে উপস্থিত ছিলেন নদীয়া দক্ষিনের সভাপতি পার্থসারথি চ্যাট্যার্জি, বুধায়ক বঙ্কিম ঘোষ, ছিলেন বিজেপির একাধিক জেলা নেতৃত্বের পাশাপাশি শহর ও ব্লকের বিভিন্ন নেতৃত্ব। 

এদিন সকালে মায়াপুর থেকে তার প্রচার বা জনসংযোগ কর্মসূচী শুরু করে।

এক সুবিশাল বাইক র‍্যালি সহকারে মায়াপুর, বামুনপুকুর এলাকায় জনসংযোগ সেড়ে মহেশগঞ্জ এলাকায় মর্ধাহ্ন ভোজন সারেন। 

এর পর পুনরায় সুসজ্জিত বাইক র‍্যালির মাধ্যমে স্বরূপগঞ্জ, মহেশগঞ্জ, সি এম সি বি,  হয়ে গৌরাঙ্গ সেতু পার হয়ে নবদ্বীপ শহরের, কোলপরডাঙ্গা, মনিপুর রাধাবাজার,  পোড়ামাতলা, বড়োশিবতলা, হয়ে নবদ্বীপের গ্রামীণ এলাকা বাবলারি হয়ে প্রাচীনমায়াপুর সহ বিভিন্ন এলাকায় জনসংযোগ করে।

আর এদিন নবদ্বীপ ব্লকের স্বরূপগঞ্জ ঘাট সংগ্লগ্ন এলাকায় একটি পথসভার আয়োজন করে বিজেপির তরফে,  সেখানেই বক্তব্যে জগন্নাথ সরকার বিগত পাঁচ বছরে তার এম পি ফান্ডের টাকায় কোন কোন এলাকার জন্য  কি কি কাজ করেছেন,  ও নবদ্বীপের জন্যই বা কি কাজ করেছেন তার ক্ষতিয়ান তুলে ধরেন।

সেখানেই বক্তব্য দিতে গিয়ে তৃণমূলকে প্রকাশ্য চ্যালেঞ্জ ছুড়ে বলেন,  বিগত পাঁচ বছরে তিনি যা কাজ করেছেন এ রাজ্যে তৃনমূলের কোন এম পি যদি করে থাকেন, তাহলে তিনি তার মনোনয়ন জমাই দেবেন না, 

পাশাপাশি তিনি আরও বলেন তৃনমুল শুধু চুরি করতে আর উন্নয়নে বাধা সৃষ্টি করতে জানে,।

স্বরূপ গঞ্জ বা নবদ্বীপ ঘাট পর্যন্ত রেল নিয়ে এদিনও তিনি দাবী করেন অনুমতি হয়ে আছে রেল দপ্তরের,  রাজ্য সরকার জমি অধিগ্রহণ করে দিলেই পরের দিন থেকেই কাজ শুরু হবে।

জগন্নাথ সরকার আরও বলেন করোনার কারনে, টাকার সমস্যা হয়েছিল,  না হলে এলাকার উন্নয়নের জন্য আরও কাজ করা যেত।

এদিনে জগন্নাথ সরকারের সমর্থনে দিনভর প্রচার কর্মসূচীতে কর্মীসমর্থকদের উপস্থিতি ছিলো চোখে পড়ার মতো। 

সব মিলিয়ে একাধারে জগন্নাথ সরকারের বিরুদ্ধে এলাকায় কোন কাজ না করার বা এলাকার অনুন্নয়নের যে অভিযোগ তুলে প্রচারে ঝাপাতে দেখা গেছে এদিন নবদ্বীপের জনসংযোগ কর্মসূচী থেকে তার সব কিছুর জবাবে প্রকাশ্যে তৃণমূলকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেওয়া  কিছটা হলেও বিজেপি কর্মীদের মনোবল বৃদ্ধি পাবে তা বলাই বাহুল্য।

Card image cap

কে বসবে এবার সিংহাসনে? কোন আসনে কত ভোট পড়ল?

এক্সপ্রেস কলকাতা ডেস্ক: শুরু হলো বহু প্রতীক্ষিত সিংহাসন দখলের লড়াই! ১৮তম লোকসভা নির্বাচন। কে বসবে এবার দেশের মসনদে? প্রধানমন্ত্রীর কুর্সিতে মোদীর হ্যাটট্রিক নাকি এবার আসবে নতুন মুখ? দেড় মাসের লড়াই শেষে মিলবে সেই উত্তর।


গণতন্ত্রকে মজবুত করতে সকলে ভোটদান করুন। ভোট দান করা আপনার গণতান্ত্রিক অধিকার। গোটা দেশের ২১টি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ভোটগ্রহণ হল শুক্রবার। মোট ১০২ আসনে ভোটগ্রহণ হচ্ছে প্রথম দফায়। ২১টি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ভোটগ্রহণ চলছে। তার মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের তিন আসন জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার এবং কোচবিহার লোকসভা কেন্দ্রও। সাত দফার মধ্যে প্রথম দফাতেই সবচেয়ে বেশি আসনে ভোট হচ্ছে।

কোচবিহার লোকসভা কেন্দ্রে মোট বুথ ২০৪৩। তারমধ্যে স্পর্শকাতর বুথ ১৯৬।
আলিপুরদুয়ার লোকসভা কেন্দ্রে মোট বুথ ১৮৬৭। তারমধ্যে স্পর্শকাতর বুথ ১৫৯।
জলপাইগুড়ি লোকসভা কেন্দ্রে মোট বুথ ১৯০৪। তারমধ্যে স্পর্শকাতর বুথ ৩৯১।

বিকেল ৫ টা পর্যন্ত কোন আসনে কত ভোট? জেনে নিন বিস্তারিত…
বিকেল ৫টা পর্যন্ত হিসেবে এগিয়ে বাংলা।
বাংলা ৭৭.৫৭
ত্রিপুরা ৭৬.১০
পুডুচেরি ৭২.৮৪
অসম ৭০.৭৭
মেঘালয় ৬৯.৯১
মনিপুর ৬৮.৩১
সিকিম ৬৮.০৬
জম্মু ও কাশ্মীর ৬৫.০৮
ছত্তিশগড় ৬৩.৪১
অরুণাচল প্রদেশ ৬৩.২৭
মধ্যপ্রদেশ ৬৩.২৫
তামিলনাড়ু ৬২.০৮
লাক্ষাদ্বীপ ৫৯.০২
উত্তর প্রদেশ ৫৭.৫৪
আন্দামান ৫৬.৮৭
নাগাল্যান্ড ৫৫.৮৫
মহারাষ্ট্র ৫৪.৮৫
উত্তরাখান্ড ৫৩.৫৬
মিজোরাম ৫২.৭৩
রাজস্থান ৫০.২৭
বিহার ৪৬.৩২

উল্লেখ্য, বাংলার তিন কেন্দ্রেই ভোটের হার ৭৫ শতাংশের বেশি। বিকেল ৫টা পর্যন্ত কোচবিহারে ভোট পড়ল ৭৭.৭৩ শতাংশ। আলিপুরদুয়ারে ৭৫.৩৩ শতাংশ এবং জলপাইগুড়িতে ৭৯.৩৩ শতাংশ। সব মিলিয়ে বাংলার তিন লোকসভা আসনে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ভোট পড়ল ৭৭.৫৭ শতাংশ।

সব থেকে বেশি ভোট পড়েছে কোচবিহারের নাটাবাড়িতে। ৮২.১০ শতাংশ। সব থেকে কম আলিপুরদুয়ারের মাদারিহাটে। ৬৮.৬৭ শতাংশ।
প্রথম দফার শক্ত ঘাঁটিতেই সারাদিনে ৪২১টি অভিযোগ বিজেপির। কোচবিহার থেকে সবচেয়ে বেশি ৩০৩টি অভিযোগ বিজেপির। সাংবাদিক বৈঠকে কয়েকটি বুথে পুনর্নির্বাচনের দাবি গেরুয়া শিবিরের।

Card image cap

মমতার বিরুদ্ধে FIR করতে চান অগ্নিমিত্রা! থানায় ঢুকে ডিউটি অফিসারকে ‘ধমক’!

এক্সপ্রেস কলকাতা ডেস্ক: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে থানায় এফআইআর জানাতে গিয়ে অশান্তি মুখে মেদিনীপুরের বিজেপি প্রার্থী অগ্নিমিত্রা পালের। এফআইআর নিতে অস্বীকার করলে কোতয়ালি থানার ডিউটি অফিসারকেই ধমক দেন অগ্নিমিত্রা। বলেন, ‘আমি একজন মহিলা, আমি একজন বিধায়িকা। আমি অভিযোগ করছি। আপনি বাধ্য আমার অভিযোগ নিতে’। পরে থানার সামনেই পথ অবরোধ করে রাস্তার কোতয়ালি থানার গেটে তালাও ঝুলিয়ে দেন বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা।


উল্লেখ্য, একুশের বিধানসভা ভোটে আসানসোল দক্ষিণ কেন্দ্রে জিতেছিলেন বিজেপি প্রার্থী অগ্নিমিত্রা। লোকসভা ভোটে এবার সেই বিধায়ককেই মেদিনীপুর কেন্দ্রে প্রার্থী করেছে গেরুয়াশিবির। বিপক্ষে তৃণমূলের জুন মালিয়া।

অগ্নিমিত্রার অভিযোগ, রামনবমী নিয়ে কোচবিহারের প্রকাশ্য সভায় নেতিবাচক মন্তব্য করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রীর ওই মন্তব্য গ্রহণীয় নয়। এই অভিযোগ এনে মমতার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করতে মেদিনীপুরের কোতোয়ালি থানায় যান বিজেপি প্রার্থী এবং কর্মীরা। কিন্তু থানার আইসি না থাকায় ডিউটি অফিসার এফআইআর নিতে রাজি হননি। যা র ফলস্বরূপ রীতিমতো ধমকের সুরেই অগ্নিমিত্রা বলেন, ‘আপনি আপনার কাজ করুন। FIR-টা নিন। আমি একজন মহিলা, আমি একজন বিধায়িকা। আমি অভিযোগ করছি। আপনি বাধ্য আমার অভিযোগ নিতে। দেখুন, পশ্চিমবঙ্গের অবস্থা দেখুন, একজন বিধায়িকা এসে অভিযোগ দিচ্ছে, অভিযোগ নিচ্ছে না এই পুলিস অফিসার’। এরপর থানা থেকে বেরিয়ে যান ও থানার গেট বন্ধ করে রাস্তায় বসে পড়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন বিজেপি প্রার্থী এবং কর্মীরা।

খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (হেড কোয়ার্টার) পিনাকী দত্ত-সহ দুই ডেপুটি পুলিশ সুপার। কোতয়ালি থানার আইসি অমিত সিনহা মহাপাত্র দুর্ব‌্যবহারের অভিযোগ তোলেন। আরও একবার অগ্নিমিত্রা পাল ডিউটি অফিসারের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। অগ্নিমিত্রার অভিযোগ, “পুলিশ দলদাসের মতো আচরণ করছে। বলা হচ্ছে যেখানকার ঘটনা সেখানে এফআইআর করতে হবে। দীর্ঘক্ষণ অভিযোগপত্র গ্রহণ করা হয়নি।” এরপর অবশ্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র গ্রহণ করে কোতয়ালি থানা। তারপরই থানার গেটে লাগানো তালা খোলা হয়। স্বাভাবিক হয় পরিস্থিতি।

Card image cap

ডায়মন্ড হারবারে অভিষেক বনাম BJP-র ববি! শুনে কী প্রতিক্রিয়া অভিষেকের?

এক্সপ্রেস কলকাতা ডেস্ক: ডায়মন্ড হারবারের প্রার্থীর নাম নিয়ে চলা দীর্ঘ জল্পনার অবসান। বাংলার ৪২টি লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ আসন ডায়মন্ড হারবার। এ কেন্দ্রের বিদায়ী সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী প্রথম থেকে বারবারই বলেছিলেন, এই কেন্দ্রে তাঁর দল এমন প্রার্থী দেবে, যিনি এ কেন্দ্রে লড়াইয়ের জন্য আদর্শ। অবশেষে লোকসভা ভোট শুরুর দুদিন আগে বাংলার শেষ আসন অর্থাৎ ডায়মন্ড হারাবার লোকসভা আসনে প্রার্থী দিয়েছে বিজেপি। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে লড়বেন অভিজিৎ দাস ওরফে ববি। কিছুদিন আগে সজল ঘোষের মুখে শোনা গিয়েছিল এই ‘ববিদা’র কথা। কিন্তু কে এই ‘ববি’? এক নজরে দেখে নিন।


অভিজিৎ দাস ওরফে ববির বয়স ৫৪ বছর। এমএসসি করেছেন তিনি। ১৯৯৩ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতকোত্তর তিনি। এরপর কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বি.এলআইবি.সায়েন্স, ২০১০ সালে উৎকল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি। অভিজিৎ দাস পেশায় আইনি উপদেষ্টা এবং সমাজ কর্মী। শ্রমিক নেতা বলেও পরিচিতি রয়েছে অভিজিৎ দাসের। পেশায় আইনজীবী অভিজিৎ দীর্ঘদিন ধরেই বিজেপির সক্রিয় সদস্য। রাজ্য রাজনীতিতে অভিজিৎ দাস পরিচিত মুখ না হলেও জেলা তথা ডায়মন্ড হারবার লোসকভা কেন্দ্রে পরিচিত মুখ বিজেপির ববি। ছিলেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলা সভাপতি। রেলের যাত্রী সুরক্ষা-স্বাচ্ছন্দ্য কমিটির সদস্যও ছিলেন তিনি।

উল্লেখ্য, এর আগেও ওই কেন্দ্র থেকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে লড়েছেন তিনি। ২০১৪ সালে এই লোকসভা আসন থেকেই প্রার্থী করা হয়েছিল অভিজিৎকে। সেইবার অভিষেকের ধারেকাছে যেতে পারেননি শ্রমিক সংগঠনের এই নেতা ও সংগঠক। ভোট পেয়েছিলেন ২ লক্ষ ৮৫৮ (১৫.৯২%)। প্রায় ৫ লক্ষের বেশি ভোট পেয়ে জিতেছিলেন অভিষেক। সেবার ‘থার্ড বয়’ ছিলেন বিজেপির ববি। এর আগে ২০০৯ সালেও ডায়মন্ড হারবার থেকে লড়েছিলেন অভিজিৎ দাস। সেবার ভোট পেয়েছিলেন ৩৭,৫৪২ (২.৮৮%)।

সূত্রের খবর, রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ও সঙ্ঘ পরিবার অভিজিৎকে প্রার্থী করতে চাইলেও দলের ভিতরে মতবিরোধ ছিল। দলের একাংশ অভিষেকের বিরুদ্ধে হেভিওয়েট কাউকে দাঁড় করাতে চাইছিল। কখনও রুদ্রনীল ঘোষ, কখনও শঙ্কুদেব পণ্ডা, কখনও কৌস্তভ বাগচীর নাম শোনা যাচ্ছিল। তবে শেষ পর্যন্ত দলের পুরনো সৈনিক অভিজিতের উপরই ভরসা রেখেছেন নরেন্দ্র মোদি ও অমিত শাহরা।

অন্যদিকে ডায়মন্ড হারবারের বিদায়ী সাংসদ তথা তৃণমূল প্রার্থী অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন কলকাতা বিমানবন্দরে প্রবেশ করার সময় প্রশ্ন করা হয়, আপনার বিরুদ্ধে বিজেপি প্রার্থী দিল অবশেষে। কী বলবেন? এর উত্তরে অভিষেক তাকিয়ে ‘ভাল ভাল ভাল’ বলে চলে যান। প্রতিক্রিয়ায় তিনি বুঝিয়ে দেন, প্রার্থীর নাম নিয়ে তিনি বিশেষ বিচলিত নন। তবে শেষ হাসি কে হাসবে তা সময়ই বলবে।

Card image cap

নির্বাচনের ইতিহাসে নতুন রেকর্ড, প্রতিদিন গড়ে ১০০ কোটি বাজেয়াপ্ত কমিশনের!

এক্সপ্রেস কলকাতা ডেস্ক: নির্বাচনের ইতিহাসে প্রথম, প্রতিদিন গড়ে ১০০ কোটি। লোকসভা নির্বাচনের (Lok Sabha 2024) ইতিহাসে ভোটগ্রহণের আগে সবচেয়ে বেশি পরিমাণ অর্থ বাজেয়াপ্ত করল নির্বাচন কমিশন। গত ১ মার্চ থেকে এখনও পর্যন্ত মোট ৪৬৫০ কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। অর্থাৎ প্রতিদিন গড়ে ১০০ কোটি টাকা। অর্থ ছাড়া বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে মাদকও। এবারের লোকসভা নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণার সময়ই কমিশন জানিয়েছিল, ভোটগ্রহণে দুর্নীতি রুখতে কড়া পদক্ষেপ নেবে নির্বাচন কমিশন। সেই অনুযায়ীই একাধিক সংস্থার সহযোগিতা এবং আমজনতার সাহায্যেই এই বিপুল পরিমান সম্পদ বাজেয়াপ্ত করতে সক্ষম হয়েছে কমিশন।


সোমবার নির্বাচন কমিশন বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, ২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনের সময় ৩৪৭৫ কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল। পাঁচ বছর পরে সেটা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৬৫০ কোটি টাকা। অর্থের পাশাপাশি বাজেয়াপ্ত মাদকদ্রব্যের পরিমাণও বৃদ্ধি এবারে। ২০১৯ সালে ১২৭৯.৯ কোটি টাকার মাদকদ্রব্য বাজেয়াপ্ত করেছিল নির্বাচন কমিশন। যেটা এবার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২০৬৮.৮ কোটি টাকা। সবচেয়ে বেশি অর্থ বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে রাজস্থানে। সেখানে ৭৭৮ কোটি টাকা উদ্ধার হয়েছে। অন্যদিকে পশ্চিমবঙ্গে উদ্ধার হয়েছে মোট ২১৯ কোটি টাকা।

প্রসঙ্গত, দেশজুড়ে এবার সাত দফায় লোকসভা নির্বাচন হতে চলেছে। আগামী ১৯ এপ্রিল প্রথম দফার ভোট হওয়ার কথা। সেদিন বাংলার কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি আসনে ভোটগ্রহণ। নির্বাচন প্রক্রিয়া চলবে মোট ৪৩ দিন। আগামী ৪ জুন ভোটের ফলাফল ঘোষণা করা হবে। দ্বিতীয় ধাপে ২৬ এপ্রিল, তৃতীয় ধাপে ৭ মে, চতুর্থ ধাপে ১৩ মে, পঞ্চম ধাপে ২০ মে, ষষ্ঠ ধাপে ২৫ মে এবং সপ্তম ধাপে ১ জুন ভোটগ্রহণ হবে। ৪ জুন নির্বাচনের ফলপ্রকাশ।

উল্লেখ্য, লোকসভা ভোট ঘোষণার সময়ই কমিশন জানিয়েছিল, পেশিশক্তি, অর্থ, ভুল তথ্য ও আদর্শ আচরণ বিধি লঙ্ঘন বা কমিশনের ভাষায় 4M (Muscles, Money, Misinformation, MCC Violations-এর বিরুদ্ধে কাজ করে যাচ্ছে তারা। সেই প্রক্রিয়া এখনও কার্যকর রয়েছে। কমিশনের বক্তব্য, ভোটারদের মধ্যে নগদ অর্থ, মাদক দ্রব্য এবং মদ যাতে বিলি না করা হয়, সেই দিকে কড়া নজর রাখা হচ্ছে। একই সঙ্গে ভোটারদের প্রভাবিত করতে অন্য কোনও জিনিস যাতে না বিতরণ করা হয়, তা নিশ্চিত করতে নজরদারি চালাচ্ছেন আধিকারিকরা।

আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে ভোট দেবেন ৯৬.৮ কোটি ভোটার। ভোট ঘিরে বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। ৮৫ বছরের বেশি বয়সি ভোটাররা বাড়ি থেকেই ভোট দিতে পারবেন। তাঁদের বুথে যাওয়ার প্রয়োজন নেই। তীব্র গরমের কথা মাথায় রেখে পানীয় জল, শৌচালয়ে পাশাপাশি প্রতিটি ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে অন্যান্য ন্যূনতম পরিষেবার ব্যবস্থা থাকবে। সন্ত্রাস-মোকাবিলায় প্রতি জেলায় নির্বাচন কমিশনের কন্ট্রোল রুম থাকবে। কোনও অভিযোগ পেলেই কড়া পদক্ষেপ করা হবে।

Card image cap

নির্বাচনী আবহে অভিষেকের কপ্টারে আয়কর হানা!

এক্সপ্রেস কলকাতা ডেস্ক: রবিবার পয়লা বৈশাখের দিন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হেলিকপ্টারে তল্লাশি। বেহালা ফ্লাইং ক্লাবে কপ্টারের একটি মহড়া চলছিল। সেই সময় আয়কর দফতরে কর্তারা হানা দেয় বলে জানা গিয়েছে। এমনকি তাঁর নিরাপত্তারক্ষীদেরও তল্লাশি চালানো হয়েছে বলে দাবি তৃণমূলের। এই ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়েছেন অভিষেক নিজেই। ক্ষোভের কথা জানিয়েছেন তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে। 

আগামী ১৯ এপ্রিল থেকে ভোট শুরু হচ্ছে দেশে। প্রথম দফায় বাংলায় ভোট হবে জলপাইগুড়ি, কোচবিহার এবং আলিপুরদুয়ারে। তার পরের ভোট ২৬ এপ্রিল। সেই ভোটও হবে উত্তরবঙ্গেরই তিন কেন্দ্র— রায়গঞ্জ, বালুরঘাট এবং দার্জিলিংয়ে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাই আপাতত ব্যস্ত উত্তরবঙ্গে প্রচারের কাজে। অন্য দিকে অভিষেক যেমন একদিকে উত্তরবঙ্গে জনসভা করছেন তেমনই জেলায় জেলায় ঘুরে সাংগঠনিক বৈঠকও করছেন। সোমবারও তেমনই সাংগঠনিক কাজ ছিল অভিষেকের। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বা কোনও হেভিওয়েট যখন চপার বা বিমানে করে কোথাও যান সেই সময় সেটির ট্রায়াল রান করতে হয়। আজও নিরাপত্তার কারণে বেহালা ফ্লাইং ক্লাবে সেটি প্রস্তুত করা হচ্ছিল। সেই সময়েই আচমকা আয়কর হানা হয়।

তৃণমূল সূত্রে খবর, আয়কর দফতরের আধিকারিকেরা ওই কপ্টারে তল্লাশি অভিযান চালানোর সময় অভিষেকের নিরাপত্তারক্ষীদের ভিতরে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়। তার পরে কপ্টারের ভিতরে রাখা প্রতিটি ব্যাগ খুলে দেখেন আয়কর আধিকারিকেরা। কিন্তু হেলিকপ্টারের ভিতরে তন্ন তন্ন করে খুঁজেও শেষ পর্যন্ত কিছু পাওয়া যায়নি। তৃণমূলের অভিযোগ, কিছু না পেয়ে হতাশ এবং বিরক্ত আয়কর আধিকারিকেরা শেষে হেলিকপ্টারটিকেই দীর্ঘ ক্ষণ আটকে রেখে দেন। ওড়ার অনুমতি চাওয়া হলেও তা দেওয়া হয়নি। পরে এ নিয়ে অভিষেকের নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে বচসাও হয় আয়কর আধিকারিকদের।

এ দিকে বিষয়টিকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা বলেই দেখছে তৃণমূল। এ প্রসঙ্গে কুণাল ঘোষ বলেন, “কেন তল্লাশি বলতে পারেনি। অভিষেকের নিরাপত্তারক্ষীরা যখন ছবি তুলতে যাচ্ছিল ঝগড়া করেছে। কিছু খুঁজে পায়নি। জিনিসপত্র খুলে দেখে তছনছ করেছে। বাধা দিতে গেলে বা প্রশ্ন করতে গেলে বলেছে আটকে রাখব। দেরি করাব। আমরা তীব্র নিন্দা করছি।” অপরদিকে, দিলীপ ঘোষ বলেন, “চপারটি অভিষেক কিনেছেন? যে কোম্পানির চপার সেই কোম্পানি ট্যাক্স ভরেছে কি না, লাইসেন্স আছে কি না সেই সব প্রশ্ন করতেই পারে। গতবারের ভোটে তো চপার নামতেই দিত না আমাদের। অনুমতি ছিল না।”

এক্স হ্যান্ডলে অভিষেক এই ঘটনায় কেন্দ্রকে আক্রমণ করে লিখেছেন, ‘‘এনআইএ-র ডিজি এবং এসপিকে সরানোর বদলে আজ নির্বাচন কমিশন এবং বিজেপি তাদের ধামাধারী আয়কর দফতরের আধিকারিকদের পাঠিয়েছিল আমার হেলিকপ্টারে তল্লাশি চালাতে। যদিও তাতে কোনও লাভ হয়নি। কারণ, কিছুই পাওয়া যায়নি।’’

প্রসঙ্গত, মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক রাজীব কুমার আগেই বলে দিয়েছিলেন, ভোট নজরদারিতে এবার ইডি-সহ একাধিক কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে নিয়ে পোর্টাল তৈরি করা হবে। নির্বাচনে কোনওভাবেই অর্থশক্তিকে বরদাস্ত করা হবে না বলে স্পষ্ট নির্দেশ দিয়ে দিয়েছেন মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক। কমিশনের নির্দেশ, জেলাশাসক যখন কোনও হেলিকপ্টার কিংবা বিমানকে অবতরণের সবুজ সঙ্কেত দেবেন, তখন খবর ইনকাম ট্যাক্স ও এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলকেও দিতে হবে।

Card image cap

মমতার পরে এবার অভিষেকের নিশানায় নিশীথ!

এক্সপ্রেস কলকাতা ডেস্ক: লোকসভা ভোটের দামামা ইতিমধ্যেই বেজে গিয়েছে। আগামী ১৯ এপ্রিল প্রথম দফার নির্বাচন। ওইদিন বাংলার কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার ও জলপাইগুড়িতে নির্বাচন। তার আগে শনিবার দুপুরে কোচবিহারে প্রচারসভায় ঝড় তুললেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। কোচবিহার লোকসভা কেন্দ্র থেকে এবার তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী হয়েছেন জগদীশ বর্মা বসুনিয়া। গতকালই কোচবিহার গিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র দফতরের প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিককে টার্গেট করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শনিবার কোচবিহারে রোড শো করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে তিনিও নিশীথ প্রামাণিকের সমালোচনা করেন।


নিশীথ প্রামাণিককে উদ্দেশ্য করে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘এখানে বিজেপি প্রার্থীর বিরুদ্ধে আদালত ছয় মাস আগে গ্রেফতারির সমন পাঠিয়েছিল, তাঁকে আদালতে গিয়ে জামিন নিয়ে হয়েছে। তাঁকে আবার বিজেপি প্রার্থী করেছে।’ দিনহাটা, শীতলকুচিতে বিএসএফের অতিসক্রিয়তা নিয়েও সমালোচনা যায় অভিষেকের মুখে। তিনি প্রশ্ন তোলেন, এখানে একাধিক জায়গায় রাজবংশী মানুষের উপর অত্যাচার হয়েছে। মনে করিয়ে দেন, শীতলকুচিতে গত বিধানসভা নির্বাচনের সময় আধা সেবার গুলিতে পাঁচজন মানুষের মৃত্যুর কথা। অভিষেক বলেন, ‘তিনি তো স্বরাষ্ট্র দফতরের মন্ত্রী ছিলেন। তাঁর দফতরের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ছিলেন অমিত শাহ। তাঁকে একটা চিঠি দিয়ে বলেছেন, এখানে রাজবংশী মানুষের উপর অত্যাচার হচ্ছে।’

অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন, ‘নরেন্দ্র মোদী বলছেন, তিনি দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করছেন। তাহলে আদালত যাঁর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছিল, তাঁকে প্রার্থী করল কী করে? আপনারাই তো কথায়, কথায় হাইকোর্ট, সুপ্রিম কোর্ট দেখান। তাহলে নিশীথ প্রামাণিক প্রার্থী হল কী করে?’ উল্লেখ্য, নিশীথ প্রামাণিক গত লোকসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যান। তাঁর বিরুদ্ধে বেশ কিছু অভিযোগ থাকার কারণে বহিষ্কার করেছিল তৃণমূল কংগ্রেস।

এছাড়াও তৃণমূলকে জেতালে ডিসেম্বরের মধ্যেই মিলবে আবাসের বাড়ি, সিতাইয়ের প্রচার সভা থেকে এমনই প্রতিশ্রুতি তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বারবার রাজ্যের তরফে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে আবাস যোজনার টাকা আটকে রাখার অভিযোগ করা হয়েছে। এমনকী জলপাইগুড়ির প্রাকৃতিক দুর্যোগের পরও আবাসের বাড়ি নিয়ে কেন্দ্রকে নিশানা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেছিলেন, আবাসের বাড়ি থাকলে এত ক্ষতি হত না। এদিন অভিষেক বললেন, আর আবাসের জন্য কারও অপেক্ষা করতে হবে না। আসন্ন নির্বাচনে কোচবিহারে জগদীশচন্দ্র বর্মা বসুনিয়াকে জেতালে ডিসেম্বরের মধ্যে এলাকার বাসিন্দাদের আবাসের ঘর পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেন তিনি।

Card image cap

লোকসভা নির্বাচনে সাংবাদিকদের জন্য বিশেষ নির্দেশিকা

এক্সপ্রেস কলকাতা ডেস্ক: নির্বাচন কমিশনের দ্বারা সাংবাদিকদের জন্য বিশেষ বিজ্ঞপ্তি জারি করা হল। এবারের লোকসভা নির্বাচনে সাংবাদিকরাও পোস্টাল ব্যালটে ভোট দিতে পারবেন।

সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের জন্য বিশেষ নির্দেশিকা জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। কর্মরত সাংবাদিকের যে লোকসভা কেন্দ্রে ভোটাধিকার রয়েছে সেই কেন্দ্রে ১২ ডি ফর্ম পূরণ করে জমা দিতে হবে। সংশ্লিষ্ট জেলা আধিকারিক বা মহাকুমার তথ্য-সংস্কৃতি দফতরে এই ফর্ম পূরণ করা যাবে। ১৮টি জরুরি কাজের সঙ্গে যুক্ত ভোটাররা পোস্টাল ব্যালটে ভোট দেওয়ার সুযোগ পান।

নির্বাচনের দিনগুলিতে কর্মরত সাংবাদিকরা ভোট গ্রহণের খবর সংগ্রহ করতে বিভিন্ন লোকসভা কেন্দ্রে ছুটে বেড়াবেন। পোস্টাল ব্যালাটে ভোট দিতে নিজেদেরকে আগেই অ্যাবসেন্ট ভোটার হিসেবে আবেদন করতে পারেন তাঁরা। তবে সংশ্লিষ্ট জেলা অথবা মহকুমা তথ্য ও সংস্কৃতি আধিকারিকের কাছে জমা করতে হবে আবেদন পত্র। ভোটার কার্ডের জেরক্স এবং এক কপি ছবি জমা দিতে হবে আবেদনকারীদের। ভোটের নির্দিষ্ট দিনের আগে কবে কোথায় তিনি ভোট দিতে পারবেন তা জানিয়ে দেবে কমিশন ।

দমকল, পুলিশ, রেল কর্মীরা এই পোস্টাল ব্যালট প্রক্রিয়ায় ভোটদানের সুযোগ পেয়ে থাকেন। তবে সাংবাদিকরা এই প্রথমবার পোস্টাল ব্যালটে ভোট দেওয়ার সুযোগ পেতে চলেছেন। নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানানো হয়েছে, আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে খবর সংগ্রহের জন্য যেসব সাংবাদিক জাতীয় নির্বাচন কমিশনের Authority Letters-এর জন্য আবেদন করেছেন তারা পোস্টাল ব্যালটে ভোট দেওয়ার জন্য ১২ ডি ফর্ম পূরণ করতে পারবেন। আগামী ১৯ এপ্রিল লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দফায় ভোটগ্রহণ হবে।

Card image cap

‘দানব দস্যু, কচি হোম মিনিস্টার’, নাম না নিয়ে নিশীথকে তোপ তৃণমূল সুপ্রিমোর

কোচবিহার: শুক্রবার ১২ এপ্রিল কোচবিহারে তৃণমূল প্রার্থী জগদীশ চন্দ্র বাসুনিয়ার সমর্থনে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জনসভায় বিভিন্ন বিষয়ে বক্তব্য রাখছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো। সেখানে বিজেপির বিরুদ্ধে তীব্র কটাক্ষ করেন মুখ্যমন্ত্রী ও একই সঙ্গে নাম না করে কোচবিহার লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী নিশীথ প্রামাণিককেও আক্রমণ করেন তিনি।

এ দিন প্রথমে জগদীশ বাসুনিয়াকে ডেকে তার উদ্দেশ্যে মুখ্যমন্ত্রী বলেন,“আমাদের বাসুনিয়া সাহেব নিপাট ভদ্রলোক।” এরপরই নাম না করে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন নিশীথকে। বলেন, “বিজেপি প্রার্থী দিয়েছে কাকে? দানব দস্যু। কত কেস আছে তার বিরুদ্ধে। বিএসএফ, পুলিশের একাংশ, আর চোরা কারবারিদের সঙ্গে সম্পর্ক রেখে বোমাবাদজি করেন।” বিজেপি প্রার্থী নিশীথের বিরুদ্ধে আরও গুরুতর অভিযোগ জানিয়ে মমতা বলেন,“শীতলকুচিতে পুলিশকে দিয়ে গুলি চালিয়ে পাঁচজনকে হত্যা করেছিল। এর মদতে গরুপাচার,আর্থিক তছরুপের অভিযোগ রয়েছে। এর বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ নেই। তিনি যে কচি হোম মিনিস্টার।”

মুখ্যমন্ত্রী সেখানে মঞ্চে উপস্থিত উদয়ন গুহর দিকে তাকিয়ে তিনি বলেন, “বি কুল। ও (নাম না করে নিশীথ প্রামাণিকের উদ্দেশ্যে) তোমাকে গন্ডগোলে ফেলে ভোট বিএসএফ-কে দিয়ে করিয়ে নেবে। ভুলেও সেটা করো না” বস্তুত, কোচবিহারে উদয়ন গুহ এবং নিশীথ প্রামাণিকের তর্ক-বিতর্ক নতুন কিছু নয়। দু’জনই বরাবর দু’জনকে আক্রমণ করেন বিভিন্ন ইস্যু। কয়েকদিন আগেই দিনহাটায় দুই মন্ত্রী খোলা রাস্তায় জড়িয়ে পড়েন বাক-বিতন্ডায়। পাশাপাশি তৃণমূল-বিজেপি কর্মীদের মধ্যে মারামারি-হাতাহাতি পর্যন্ত চলে। পরে পুলিশ প্রশাসনের উপস্থিতিতে পরিস্থিতি ঠান্ডা হয়।

জনসভায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে উদ্দেশ্য করে মুখ্যমন্ত্রীর স্পষ্ট বার্তা ,“বড় হোম মিনিস্টার আবার কী বলেছেন? তিনি বুনিয়াদপুরকে বলেছেন, বেলুরঘাট। নামটাও জানে না। বালুরঘাট বলুন অন্তত। বেলুরঘাট গিয়ে কী বলেছেন? উল্টে ঝুলিয়ে রেখে দেব? এই কথা বলা শোভা পায়? কাকে ঝোলাবেন? এতটা সোজা খেলা নয়। নিজেদের দেখুন প্রথমে।” এরপর বিজেপিকে সরাসরি আক্রমণ করে মমতা বলেন, “তৃণমূল কে বলছে চোর। এরা ডাকাত। দেশ বেচেছে। নির্লজ্জ বেহায়া একটা রাজনৈতিক দল।”

Card image cap

বাংলার প্রথম দফার ভোটে ১০ হাজার রাজ্য পুলিশ মোতায়েন করবে কমিশন

এক্সপ্রেস কলকাতা ডেস্ক :পশ্চিমবঙ্গের প্রথম দফার ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনীর পাশাপাশি, নিরাপত্তার দায়িত্বে রাজ্য পুলিশও থাকবে। উত্তরবঙ্গের জলপাইগুড়ি, কোচবিহার এবং আলিপুরদুয়ারে ভোট আগামী ১৯ এপ্রিল। প্রথম দফার তিনটি কেন্দ্রে ১০ হাজারের বেশি রাজ্য পুলিশ মোতায়েন করবে নির্বাচন কমিশন। বিভিন্ন জেলা থেকে ভোটের অন্তত তিন দিন আগে পুলিশ পৌঁছে যাবে উত্তরবঙ্গের কেন্দ্রগুলিতে।

প্রথম দফায় বাংলার তিনটি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ রয়েছে। কমিশন সূত্রে খবর, ওই তিনটি আসনের জন্য মোট ১০ হাজার ৮৭৫ জন পুলিশকর্মী মোতায়েন করা হবে। তাঁদের মধ্যে ৩,৯৫৭ জন সশস্ত্র পুলিশ থাকবেন। ভোটের তিন দিন আগে আগামী ১৬ এপ্রিলের মধ্যে ওই পুলিশকর্মীদের নির্দিষ্ট কেন্দ্রে পৌঁছে যেতে বলা হবে।
রাজ্য পুলিশের সঙ্গে উত্তরবঙ্গের তিনটি কেন্দ্রে ভোটের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবে কেন্দ্রীয় বাহিনীও।

কমিশন সূত্রে খবর, রাজ্যে এখন আছে ১৭৭ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। ১৫ এপ্রিলের মধ্যে বাংলায় এসে পৌঁছবে আরও ১০০ কোম্পানি। সুতরাং সংখ্যা দাঁড়াবে ২৭৭ কোম্পানি। তার মধ্যে প্রথম দফায় তিনটি আসনের নির্বাচনে ২৬৩ কোম্পানি মোতায়েন করার প্রস্তাব দিয়েছে রাজ্য সরকার। আলিপুরদুয়ারে ৬৩ কোম্পানি, কোচবিহারে ১১২ কোম্পানি ও জলপাইগুড়িতে ৮৮ কোম্পানি বাহিনী মোতায়েন করা হবে।

জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার এবং কোচবিহার মিলিয়ে মোট বুথের সংখ্যা ৫,৮১৪টি। সম্পূর্ণ কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট করতে হলে প্রতি বিধানসভা কেন্দ্রে ১৬ থেকে ১৮ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী প্রয়োজন হয়। স্ট্রং রুমের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবে ৩ সেকশন বাহিনী। কুইক রেসপন্স টিমে থাকবে ১৯ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। কোচবিহারে ২৭ সেকশন কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হতে পারে কুইক রেসপন্স টিমে। আর জলপাইগুড়িতে ২৮ সেকশন কুইক রেসপন্স টিমে মোতায়েন করার ভাবনা নির্বাচন কমিশনের।

এখনও পর্যন্ত রাজ্যে ২৭৭ কোম্পানি বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। তাঁদের সকলে এখনও রাজ্যে এসে পৌঁছতে পারেনি। প্রথম দফায় ১০০ কোম্পানি বাহিনী এসেছিল বাংলায়। তার পর ৫০ কোম্পানি, ২৭ কোম্পানি এবং শেষ দফায় আরও ১০০ কোম্পানি বাহিনী মোতায়েন করেছে কমিশন। প্রথম দফায় সেই বাহিনীর পাশাপাশি রাজ্য পুলিশও নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকছে।

Card image cap

মহুয়া মৈত্রের আলিপুরের বাসস্থানে হানা সিবিআইয়ের!

এক্সপ্রেস কলকাতা নিউজ ডেস্ক : পূর্বে সংসদে ঘুষের বিনিময়ে প্রশ্নকাণ্ডে বহিষ্কৃত হন মহুয়া মৈত্র। ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটে আবার মহুয়াকে কৃষ্ণনগর কেন্দ্র থেকে টিকিট দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। সিবিআই সূত্রে খবর, ওই মামলাতেই তৃণমূল প্রার্থীর বাসস্থানে তল্লাশি চলছে শনিবার। সংবাদ সংস্থা পিটিআই-ও সিবিআই হানার কথা জানিয়েছে। স্থানীয় সূত্রে খবর, সিবিআইয়ের একটি দল শনিবার সকালে আলিপুরে ‘রত্নাবলী’ নামে একটি আবাসনে যায়। জানা যাচ্ছে, সেখানে ন’তলার একটি ফ্ল্যাটে থাকেন মহুয়ার বাবা দ্বীপেন্দ্রলাল মৈত্র। সেখানেই কেন্দ্রীয় তদন্তকারীদের একটি দল গিয়েছে। লোকসভা ভোটের মুখে বাংলার শাসকদলের একাধিক নেতা এবং দলের ঘনিষ্ঠদের বাড়িতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা অভিযান চালাচ্ছে। রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের ভাই স্বরূপ বিশ্বাসের কলকাতার বাড়িতে হানা দেন আয়কর বিভাগের কর্তারা। আবার রাজ্যের আর এক মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহের বাড়িতে শুক্রবার দিনভর তল্লাশি চালিয়ে প্রায় ৪১ লক্ষ টাকা উদ্ধার করে ইডি। এমনটাই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে চন্দ্রনাথের একটি মোবাইলও। সেই মোবাইল খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে। ইডি জানিয়েছে, চন্দ্রনাথের বাড়ি থেকে বেশি কিছু নথিও উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধার হওয়া টাকার উৎস নিয়ে রাজ্যের মন্ত্রী সন্তোষজনক উত্তর দিতে পারেননি বলেও খবর ইডি সূত্রে। অন্য দিকে, সংসদে টাকা নিয়ে প্রশ্নকাণ্ডে মহুয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ নিয়ে গত ১৯ মার্চ সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল লোকপাল। বরখাস্ত হওয়া তৃণমূল সাংসদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগকে ‘গুরুতর’ বলে বর্ণনা করা হয় লোকপালের নির্দেশিকায়। এর পর সিবিআইয়ের তরফে মহুয়ার বিরুদ্ধে একটি এফআইআর দায়ের হয়। মহুয়ার বিরুদ্ধে প্রথম ওই অভিযোগ তোলেন বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে। তিনি দাবি করেন দুবাইয়ের শিল্পপতি দর্শন হীরানন্দানির কাছ থেকে টাকা নিয়ে সংসদে প্রশ্ন করেছেন মহুয়া। পরিকল্পনামাফিক সংসদে ‘নিশানা’ করেন শিল্পপতি গৌতম আদানিকে। অভিযোগ, সবটাই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে অস্বস্তিতে ফেলার জন্য। এই অভিযোগ জানিয়ে লোকসভার স্পিকারকে চিঠি দিয়ে মহুয়াকে সাংসদ পদ থেকে বরখাস্ত করার দাবি তোলেন বিজেপি সাংসদ। তার আগে মহুয়ার প্রাক্তন বান্ধব জয় অনন্ত দেহাদ্রাই বিভিন্ন অভিযোগে সিবিআই তদন্তের দাবি জানানো হয়েছিল। অন্য দিকে, মহুয়া প্রথম থেকেই এই অভিযোগ অস্বীকার করে এসেছেন। যদিও শিল্পপতি হীরানন্দানি নিজে একটি হলফনামা দিয়ে জানান, মহুয়ার সংসদের লগ ইন আইডি জেনে তাতে প্রশ্ন টাইপ করতেন তিনি। কিন্তু ঘুষের অভিযোগ মানেননি। নিজের লগ ইন আইডি দেওয়ার কথা স্বীকার করলেও ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ স্রেফ উড়িয়ে দিয়েছেন মহুয়াও। তিনি অভিযোগ করেন, তাঁর বক্তব্য না শুনেই লোকসভার এথিক্স কমিটি তাঁকে একতরফা ভাবে বহিষ্কারের সুপারিশ করেছে। গত বছরের ৮ ডিসেম্বর সেই সিদ্ধান্ত লোকসভায় পাশ হয়ে যায়। এর পর তাঁর সাংসদ পদ খারিজের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন মহুয়া। সম্প্রতি সেই মামলায় শীর্ষ আদালতের এক্তিয়ার নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে লোকসভার সচিবালয়। সুপ্রিম কোর্টের নোটিসের উত্তরে গত ১২ মার্চ লোকসভার সচিবালয় জানিয়েছে, সংবিধানের ১২২ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুযায়ী আইনসভার অভ্যন্তরীণ কর্মপদ্ধতিতে বিচারবিভাগ হস্তক্ষেপ করতে পারে না। এখন ওই মামলাতেই কৃষ্ণনগরের তৃণমূল প্রার্থীর একটি বাসস্থানে সিবিআই তল্লাশি চালাচ্ছে বলে সূত্রের খবর।

Card image cap

মুখ্যমন্ত্রীকে ১০ দিনের হেপাজত চেয়ে প্রশ্ন ইডি-র

এক্সপ্রেস কলকাতা ডেস্ক : দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালতে হাজির করানো হল আবগারি দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার হওয়া অরবিন্দ কেজরীওয়ালকে। শুক্রবার দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে ১০ দিনের জন্য নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানাল তারা। শুক্রবার মামলাটির শুনানি হচ্ছে বিশেষ সিবিআই আদালতের বিচারক কাবেরী বাওয়েজার এজলাসে। শুক্রবার আদালতে ইডির হয়ে সওয়াল করেন কেন্দ্রের অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল এসভি রাজু। বৃহস্পতিবার রাতে গ্রেফতার করা হয় কেজরীওয়ালকে। নিয়ম মোতাবেক ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই তাঁকে আদালতে হাজির করানো হয়। ইডি আদালতে দাবি করে যে, ‘আবগারি দুর্নীতির কিংপিন’ হলেন কেজরীওয়াল। ইডি আদালতে জানায়, অর্থ তছরুপ প্রতিরোধ আইনের নির্দিষ্ট ধারা মেনেই গ্রেফতার করা হয়েছে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে। আপ প্রধানের জামিনের বিরোধিতা করে ইডি আরও জানায়, অপরাধে সরাসরি যুক্ত ছিলেন কেজরীওয়াল। কিছু ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ঘুষ নেওয়ার জন্যই ওই আবগারি নীতি আপ প্রণয়ন করেছিল বলে দাবি করা হয়েছে। দিল্লির আবগারি মামলায় আপ প্রধান কেজরীকে মোট ন’বার সমন পাঠিয়েছিল ইডি। কিন্তু আট বারই হাজিরা এড়িয়ে যান তিনি। শেষ পাঠানো সমনে বৃহস্পতিবারই ইডি দফতরে হাজিরা দিতে বলা হয়েছিল দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে। কিন্তু হাজিরা না দিয়ে দিল্লি হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন কেজরীওয়াল। হাই কোর্ট তা খারিজ করলে সুপ্রিম কোর্টে যান তিনি। অন্য দিকে, হাই কোর্ট রক্ষাকবচ না দেওয়ার পরেই তৎপর হয় ইডি। বিশাল পুলিশ বাহিনী নিয়ে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কেজরীর বাসভবনে যান ইডি আধিকারিকেরা। তাঁর বাড়ি তল্লাশি করেন। ইডি সূত্রে জানা যায়, কেজরীওয়ালের ফোনও বাজেয়াপ্ত করা হয়। ঘণ্টা দুয়েকের তল্লাশি এবং জিজ্ঞাসাবাদ পর্বের শেষে কেজরীকে গ্রেফতার করে ইডি। তখনই জানা যায় শুক্রবার তাঁকে অর্থ তছরুপ প্রতিরোধ আইন (পিএমএলএ) আদালতে হাজির করানো হবে। আবগারি মামলাতেই রক্ষাকবচ চেয়ে দিল্লির নিম্ন আদালতে গিয়েছিলেন কেজরীওয়াল। সেখানে তাঁর রক্ষাকবচের আবেদন মঞ্জুরও করা হয়েছিল। কিন্তু সম্প্রতি সেই রক্ষাকবচের মেয়াদ শেষ হয়। বৃহস্পতিবার নবম হাজিরার দিন কেজরীওয়াল ইডি দফতরে না গিয়ে সরাসরি দিল্লি হাই কোর্টে যান। সেখানে নতুন করে রক্ষাকবচের দাবি জানান তিনি। কিন্তু দিল্লি হাই কোর্ট কেজরীওয়ালের আবেদন খারিজ করে দেয়। আদালতে পেশ করা আবেদনে কেজরীওয়াল বলেছিলেন, “ইডি নিশ্চয়তা দিক যে, তাদের তলবে সাড়া দিলে আমার বিরুদ্ধে কোনও কঠোর পদক্ষেপ করা হবে না।” আপের অভিযোগ, ইডির লক্ষ্য জিজ্ঞাসাবাদ নয়। এত দিন ধরেও তারা এই মামলায় কেজরীওয়ালের বিরুদ্ধে কোনও তথ্যপ্রমাণ পায়নি। তাই লোকসভা ভোটের আগে সমন পাঠিয়ে তাঁকে গ্রেফতার করার চেষ্টা চলছে। বৃহস্পতিবার দিল্লি হাই কোর্টের বিচারপতি সুরেশকুমার কাইত এব‌ং বিচারপতি মনোজ জৈনের ডিভিশন বেঞ্চে কেজরীওয়ালের আবেদন সংক্রান্ত মামলার শুনানি ছিল। শুনানি শেষে ডিভিশন বেঞ্চ বলে, ‘‘আমরা উভয় পক্ষের বক্তব্য শুনেছি। তবে আমরা এই পর্যায়ে মামলাকারীকে কোনও সুরক্ষা দিচ্ছি না।’’ উচ্চ আদালত রক্ষাকবচ না দেওয়ায় সন্ধ্যাতেই রক্ষাকবচ চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন কেজরীওয়াল। জরুরি ভিত্তিতে মামলা শোনার আর্জি জানান তিনি। তবে সেই শুনানি বৃহস্পতিবার হয়নি। বিচারপতি সঞ্জীব খন্নার নেতৃত্বাধীন সুপ্রিম কোর্টের বিশেষ বেঞ্চ শুক্রবার কেজরীওয়ালের আর্জি শুনতে রাজি হয়। তবে শুনানির আগেই মামলা প্রত্যাহার করে নেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। শুক্রবার কেজরীওয়ালের আইনজীবী অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি শীর্ষ আদালতে জানান, গ্রেফতারির বিরুদ্ধে কেজরীওয়াল নিম্ন আদালতেই সওয়াল করবেন।

Card image cap

গ্রেফতার কেজরিওয়াল !

এক্সপ্রেস কলকাতা ডেস্ক : দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীওয়ালকে বৃহস্পতিবার রাতে গ্রেফতার করল ইডি। আবগারি দুর্নীতি মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাঁকে ৯ বার তলব করেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। কিন্তু তিনি হাজিরা দেননি। এর পর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ তাঁর বাড়িতে পৌঁছয় ইডি। ঘণ্টা দুয়েকের তল্লাশি অভিযান শেষে বাজেয়াপ্ত করা হয় তাঁর মোবাইল ফোন। এর পরেই রাত ৯টা নাগাদ কেজরীওয়ালকে গ্রেফতার করা হয়। মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনের আশপাশের এলাকায় জারি করা হয়েছে ১১৪ ধারা। শুক্রবার পিএমএলএ আদালতে হাজির করানো হবে আপ প্রধানকে। দিল্লির মন্ত্রী তথা আপ নেত্রী অতিশী জানিয়েছেন, কেজরীওয়ালই দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী থাকবেন। তিনি জেলে বসে সরকার চালাবেন। দেশের ইতিহাসে কেজরীওয়ালই প্রথম, যিনি মুখ্যমন্ত্রী পদে থাকাকালীন গ্রেফতার হলেন। এর আগে ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনকেও গ্রেফতার করে ইডি। তবে গ্রেফতারির আগে মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন তিনি। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর গ্রেফতারির পরেই তাঁর বাসভবনের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন আপ কর্মী-সমর্থকেরা। গোটা রাজধানী জুড়েই প্রতিবাদ শুরু করেন তাঁরা। সূত্রের খবর, ১২ জনের ইডি আধিকারিকের একটি দল দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনে গিয়েছিল। তল্লাশি অভিযানের জন্য প্রয়োজনীয় নথি দেখিয়েই কেজরীওয়ালের বাড়িতে প্রবেশ করে তারা। তাঁর বাসভবনের সামনে মোতায়েন করা হয় পুলিশ। অন্য দিকে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যাতেই রক্ষাকবচ চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন কেজরীওয়াল। জরুরি ভিত্তিতে মামলা শোনার আর্জি জানানো হয় তাঁর তরফে। তবে সেই শুনানি বৃহস্পতিবার হয়নি। শুক্রবার হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। দিল্লির আবগারি মামলায় আপ প্রধানকে মোট ন’বার সমন পাঠিয়েছিল ইডি। কিন্তু আট বারই হাজিরা এড়িয়ে গিয়েছেন তিনি। শেষ পাঠানো সমনে বৃহস্পতিবারই ইডি দফতরে হাজিরা দেওয়ার কথা ছিল দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর। কিন্তু হাজিরা না দিয়ে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন কেজরীওয়াল। হাই কোর্ট তা খারিজ করলে সুপ্রিম কোর্টে যান তিনি। আদালতে পেশ করা আবেদনে কেজরীওয়াল বলেন, ‘‘ইডি নিশ্চয়তা দিক যে, তাদের তলবে সাড়া দিলে আমার বিরুদ্ধে কোনও কঠোর পদক্ষেপ করা হবে না।” আপের অভিযোগ ছিল, ইডির লক্ষ্য জিজ্ঞাসাবাদ নয়। এত দিন ধরেও তারা এই মামলায় কেজরীওয়ালের বিরুদ্ধে কোনও তথ্যপ্রমাণ পায়নি। তাই লোকসভা ভোটের আগে সমন পাঠিয়ে তাঁকে গ্রেফতার করার চেষ্টা চলছে। বৃহস্পতিবার বিচারপতি সুরেশকুমার কাইথ এব‌ং বিচারপতি মনোজ জৈনের ডিভিশন বেঞ্চে কেজরীওয়ালের আবেদন সংক্রান্ত মামলার শুনানি ছিল। শুনানি শেষে ডিভিশন বেঞ্চ বলে, ‘‘আমরা উভয় পক্ষের বক্তব্য শুনেছি। তবে আমরা এই পর্যায়ে মামলাকারীকে কোনও সুরক্ষা দেওয়ার কথা দিচ্ছি না।’’ হাই কোর্ট রক্ষাকবচ না দেওয়ার পরেই তৎপর হয় ইডি। আবগারি মামলায় বিআরএস নেত্রী কে কবিতাকে দিন কয়েক আগেই গ্রেফতার করেছে ইডি। বর্তমানে আদালতের নির্দেশে ইডি হেফাজতে রয়েছেন তিনি। কবিতা ছাড়াও এই মামলায় এখনও পর্যন্ত আপের দুই প্রবীণ নেতা সিসৌদিয়া এবং আপের রাজ্যসভার সাংসদ সঞ্জয় সিংহ গ্রেফতার হয়েছেন। রয়েছেন তিহাড় জেলে। অভিযোগ ওঠে, দিল্লি সরকারের ২০২১-২২ সালের আবগারি নীতি বেশ কিছু মদ ব্যবসায়ীকে সুবিধা করে দিচ্ছিল। এই নীতি প্রণয়নের জন্য যাঁরা ঘুষ দিয়েছিলেন, তাঁদের সুবিধা করে দেওয়া হচ্ছিল। আপ সরকার সেই অভিযোগ মানেনি। সেই নীতি যদিও পরে খারিজ করা হয়। বৃহস্পতিবার রাতে আপের এক নেতা দাবি করেন, ‘‘রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হলেন আমাদের নেতা। আমরা এমন আশঙ্কার কথাই এত দিন বলছিলাম।’’

Card image cap

কংগ্রেসের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট বন্ধ !

এক্সপ্রেস কলকাতা ডেস্ক : কংগ্রেসের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা ছিনতাই করা হচ্ছে বলে অভিযোগ তুললেন সনিয়া গান্ধী, রাহুল গান্ধী এবং দলের সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গে। এ বিষয়ে নরেন্দ্র মোদী সরকারের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক প্রতিহিংসারও অভিযোগ তুলেছেন তাঁরা। বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠকে সনিয়া বলেন, ‘‘লোকসভা ভোটের আগে পরিকল্পিত ভাবে এমন পদক্ষেপ করা হচ্ছে। এই ঘটনা শুধু কংগ্রেসের উপর নয়, দেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার উপরেও জঘন্য আঘাত।’’ রাহুল বলেন, ‘‘দেশে আজ গণতন্ত্র নেই। কংগ্রেসের বিরুদ্ধে এই পদক্ষেপ আদতে মোদী-শাহের অপরাধমূলক গতিবিধি।’’ অন্য দিকে, বিচার বিভাগ, আয়কর দফতর-সহ সাংবিধানিক সংস্থাগুলির কাছে খড়্গের আবেদন— ‘‘সত্যই যদি দেশে অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন চান, তা হলে আমাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করার অনুমতি দিন।’’ ২০১৮-১৯ মূল্যায়ন বর্ষের আয়কর সংক্রান্ত অনিয়মের জন্য ১০৫ কোটি টাকা জরিমানার বিরুদ্ধে বিচার বিভাগীয় হস্তক্ষেপ চেয়ে কংগ্রেসের তরফে আর্জি জানানো হয়েছিল দিল্লি হাই কোর্টে। কিন্তু বিচারপতি যশবন্ত বর্মার বেঞ্চ সেই আবেদন প্রত্যাখ্যান করে বলে, ‘‘এ ক্ষেত্রে হস্তক্ষেপের কোনও উপযুক্ত কারণ দেখছে না আদালত।’’ অভিযোগ এর পরে আয়কর দফতর পদক্ষেপ শুরু করেছে। কার্যত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে অ্যাকাউন্টে লেনদেন। এ প্রসঙ্গে বৃহস্পতিবার সনিয়া বলেন, ‘‘কংগ্রেসকে আর্থিক ভাবে পঙ্গু করার চেষ্টা চালাচ্ছেন মোদী।’’ তবে লোকসভা ভোটের আগে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে এই পরিকল্পিত পদক্ষেপ সত্ত্বেও তাঁরা বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই থেকে সরে আসবেন না বলে জানিয়েছেন তিনি। প্রসঙ্গত, আয়কর দফতর সূত্রের খবর ২০১৮-১৯ মূল্যায়ন বর্ষের আয়কর সংক্রান্ত অনিয়মের জন্য ১০৫ কোটি টাকা জরিমানা এবং ৩০ কোটির সুদ অর্থাৎ মোট ১৩৫ কোটি কংগ্রেসের কাছে তাদের প্রাপ্য। রাহুলের দলের পাল্টা দাবি, যুব কংগ্রেস-সহ শাখা সংগঠনগুলির বিরুদ্ধে আয়কর রিটার্ন সংক্রান্ত অতি সামান্য অনিয়মের অভিযোগে (নগদ ১৪.৪০ লাখ টাকা ওই অ্যাকাউন্টে জমা পড়া এবং রিটার্ন জমা দিতে ৪৫ দিন দেরি হওয়ার অভিযোগ) জরিমানা ধার্য করেছিল আয়কর দফতর। যা স্পষ্টতই ‘রাজনৈতিক প্রতিহিংসা’। কংগ্রেসের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টগুলির বিরুদ্ধে আয়কর বিভাগের পদক্ষেপের উপর স্থগিতাদেশ চেয়ে যে আবেদন জানানো হয়েছিল, গত ৮ মার্চ আপিল ট্রাইবুনাল তা খারিজ করে দেয়। কংগ্রেস নেতৃত্বের অভিযোগ, তার পরেই আয়কর দফতর নিয়ম-বহির্ভূত ভাবে তাদের ওই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টগুলি থেকে জরিমানা হিসাবে ১০৫ কোটি টাকা কেটেছে। এর পরে দিল্লি হাই কোর্ট স্থগিতাদেশের আর্জি খারিজ করার পরে ওই অ্যাকাউন্টগুলিতে লেনদেন কার্যত বন্ধ হয়ে গিয়েছে। কংগ্রেসের অভিযোগ, ২০২৩ সালের মার্চের শেষে তাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ছিল ১৬২ কোটি টাকা। পাশাপাশি বিজেপির অ্যাকাউন্টে ছিল ৫,৪২৫ কোটি টাকা। কিন্তু বিজেপির থেকে কোনও আয়কর কাটা হয়নি। প্রসঙ্গত, গত ১৬ ফেব্রুয়ারি সকালে এআইসিসির কোষাধ্যক্ষ অজয় মাকেন প্রথম অভিযোগ করেছিলেন, যুব কংগ্রেস-সহ শাখা সংগঠনগুলির কাছে আয়কর রিটার্ন সংক্রান্ত অনিয়মের অভিযোগে ২১০ কোটি টাকা জরিমানার দাবি জানানো হয়েছিল সংশ্লিষ্ট দফতরের তরফে। তখন বিষয়টি আয়কর ‘অ্যাপিলেট ট্রাইবুনাল’-এর বিচারাধীন ছিল। কিন্তু তার মধ্যেই বেআইনি ভাবে পদক্ষেপ করে আয়কর দফতর দলের চারটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ় করে দেয়।